Search

Predigten

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[16] পরস্পর মঙ্গলবাদ করো

প্রেরিত পৌল রোমের সাধুগণকে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, পরস্পর মঙ্গলবাদ করো। এই যুগে সম্পুর্ণ আন্তরিকার সহিত প্রভুতে আমরা কাকে মঙ্গলবাদ করতে পারি? আমরা আনন্দের সাথে যাজক সম্প্রদায় বিশ্বাসীগণকে যারা সমস্ত জগত ব্যাপী ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করছে তাদের মঙ্গলবাদ জানাতে পারি। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের বই পড়ে রক্ষা পেয়েছে আমরা তাদের সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারি, আমরা মন্ডলীগণকে, বিশ্বাসীগণকে এবং ঈশ্বরের দাসগণকে খ্রীষ্টেতে মঙ্গলবাদ করতে পারি।
 যেহেতু সকলে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তাই ধার্মিক সকলকে মঙ্গলবাদ করতে পারেন না। এই পৃথিবীতে এমন অনেক লোক নেই যাদেরকে আমরা আনন্দের সাথে মঙ্গলবাদ করতে পারি।ইহা অত্যন্ত দুঃখ জনক যে এমন অনেক লোক নেই যারা জলও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, যাদেরকে আমরা মঙ্গলবাদ করতে পারি এবং একই বিশ্বাসে সহভাগিতা করতে পারি। আমরা পাপীদের সঙ্গে সহভাগিতা করতে পারি না যারা পার্থিব মন্ডলীতে ঈশ্বরের দাস বলে দাবি করে।
 ঠিক যেমন পাপ ও পবিত্র আত্মা এক সঙ্গে বাস করতে পারে না, তেমনি পাপী এবং ধার্মিক পরস্পর মঙ্গলবাদ করতে পারে না। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, ঈশ্বরের কাছে আধ্যাত্মিক আরাধনা এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ের জন্য কাজ বুপহার দিতে পারে। কিন্ত পাপীগণ, যারা তাদের পাপ থেকে এখনো ক্ষমা গ্রহণ করে নাই, ঈশ্বরের ব্যবস্থা পলনের মধ্য দিয়ে রক্ষা পাবার চেষ্টা করে, ধার্মিকদের সঙ্গে তাদের আধ্যাত্মিক সহভাগিতা হতে পারে না। ঠিক মেন পশু ও মানুষ পরস্পর আলাপ করতে পারে না, ধার্মিকগণ পাপীদের সাথে আধ্যাত্মিক সহভাগিতা স্থাপন করতে পারে না। 
 আমরা দেখতে পাই যে, কেবল মাত্র সেই সব লোকদের সঙ্গে পৌলের আধ্যাত্মিক সহভাগিতা ছিল যাদের তার মত একই বিশ্বাস ছিল। আমরা জানি যে যদি কারো পৌলের সঙ্গে সহভাগিতা থাকে, তাবে এর অর্থ এই যে পৌল তার বিশ্বাস অনুমোদন করেছেন। অতএব, আমি ভাবি, “যদি আজ আমি কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রধান হতাম, আমি কাদের পরিদর্শন ও মঙ্গলবাদ করতাম?” আমি নিশ্চিত যে, যদি আমি গাংনাং যাই, আমি গাংনাং মন্ডলী পরিদর্শন করবো। আমি ঈশ্বরের দাসগণ ও বিশ্বাসীগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো এবং তাদের সঙ্গে রুটি ভাঙ্গায় সহভাগিতা করবো। আমি আমার ভাই বোনদের বাড়ি পরিদর্শন করবো এবং তাদের মঙ্গলবাদ করবো। কিন্তু কেবল মাত্র সেই সব লোকদের আমি মঙ্গলবাদ করত পারি যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে এবং যাদের পবিত্র আত্মাতে একই বিশ্বাস আছে তাদের সঙ্গে আমি অংশ গ্রহন করতে পারি।
 আমরা দেখতে পাই যাদের বিশ্বাস পৌল কর্তৃক অনুমোদিত তারা কেমন আশীর্বাদ পেয়েছে। ইহা কেমন মাহান বিষয় যে আমরা জল আত্মার সুসমাচার দ্বারা পরস্পরের বিশ্বাসকে সুসংহত করি এবং পরস্পর মঙ্গলবাদ করি। আপনার কি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস আছে যা পরস্পর মঙ্গলবাদ করতে আপনাকে অনুমতি দেয়? আপনি কি সন্দেহ ব্যতিত বিশ্বস্তভাবে স্বীকার করতে পারেন যে ঈশ্বরের সাক্ষাতে আপনার কোন পাপ নাই? 
 আমি যখন চীন দেশে ভ্রমনে গিয়েছিলাম তখন সেখানকার একজন সঙ্গী বিশ্বাসীকে মঙ্গবাদ করবার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি এক ভাইকে দেখতে গিয়েছিলাম যিনি হিরন নদীর তীরে বাস করেন। আমরা পরের দিন সকালে খুব তাড়াতাড়ি উঠি। তিনি আমাদের জন্য এক বড় আকারের নাস্তা তৈরি করেছিলেন। আমরা প্রকান্ড এক গোল টেবিলে বসেছিলাম, আমরা প্রত্যেকে বিস্তৃত পরিবারের ন্রায় সদয় ভাবে বসেছিলাম এবং সেখানে বিশ্বাসীদের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর সহভাগিতা ছিল। নিকটতম শহর থেকে একজন প্রচারক সেখানে এসেছিলেন যিনি আমাদিগকে দেখতে খুবই উৎসুক ছিলেন। সুতরাং যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের আমরা মঙ্গলবাদ করতে পারি। 
 আমি যদি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যাই তবে আমি কোথায় যাব? আমি নিউইয়র্কে উৎফুল্ল পালক সমুয়েল কিম ও তার স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আরও সেখানে দি নিউ লাইফ চার্চে আমাদের ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি কয়েক বছর আঘে রাশিয়াতে ও নূতন জন্ম প্রাপ্ত মন্ডলী পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। জাপানে আমি ডিকন সুন- অক পার্ক এর টোকিও বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। 
 আমরা ধার্মিকগণ, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস দ্বারা রক্ষা পেয়েছি, আমরা মাংসের কোন কার্য সম্পাদনের দ্বারা আমরা রক্ষা পাই নাই, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতার নিমিত্ত যা আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে পেয়েছি।
 আপিন দেখতে পারেন যে লোকের একান্তে ধার্মিকগণের প্রতি মঙ্গলবাদ জ্ঞাপন করে, ঠিক মেন রোমীয় ১৬ অধ্যায়ে লোকদের মঙ্গলবাদের পৌলের একটি তালিকা ছিল। ঠিক যেমন পৌল করেছিলেন, আমরা সব খ্রীষ্টিয়ানকে মঙ্গলবাদ করতে পারি না কারণ তাদের মধ্যে সকলের প্রকৃত বিশ্বাস নেই, কিন্তু কেবলমাত্র যারা জানে ও ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে। আমরা সাহায্য করতে পারি না বরং আমাদিগকে বিশ্বাস প্রদানের নিমিত্তে ঈশ্বরের প্রশংসা করি যেমন আমরা মঙ্গলবাদ প্রদানের নিমিত্তে ঈশ্বরের প্রশংসা করি যেমন আমরা মঙ্গলবাদ জানাতে পারি এবং মঙ্গলবাদ গ্রহন করি।
 
 

পৌল এই সব লোকদের থেকে পৃথক থাকতে আমাদিগকে সতর্ক করেছেন।

 
 ১৭ পদের শুরুতে, দ্বিতীয় বার পৌল আমাদের মৃদু ভৎর্সনা করে বলেছেন, উহাদের হইতে পৃথক থাক, যারা নিজেদের উদরের দাসত্ব করে। “ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক। কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মাধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সকল লোকদের মন ভুলায়”(রোমীয় ১৬:১৭-১৮)। যারা 
 খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু উদরের দাসত্ব করে যারা বিশ্বাসীদের মধ্যে বিবাদের কারণ হয় সরল ভাবে মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ করে। আমরা অবশ্যই এরূপ লোকদের মঙ্গলবাদ করবো না কিন্তু তাদের থেকে দূরে থাকব। 
 পৌল আমাদেরকে সতর্ক করেছেন, কেননা এইরূপ লোকেরা মন্ডলীর দুর্দশার কারণ যারা জোর করে পৃথক করে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এবং সরল ভাবে তাদের বিশ্বস্ত ভাবে অতিরিক্ত লোভ করার কারণে কেবলই খায়। এরূপ প্রতারক খ্রীষ্টিয়ান নেতাগণ লোকদিগকে পাপের অধীনে রাখতে চেষ্টা করে, তাদের অনুসারীদের সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা পালন করতে শিক্ষা দেয়। তারা কেবল মাত্র যীশু নামে তাদের নিজেদের উদর পূর্ণ করে এবং নিরাপরাধ লোকদের ঠকায়। তাদের মঙ্গলবাদ করা আমাদের কোন প্রয়োজন নেই; তাদের যাজকত্ব হলো। নিজেদের উদরের দাসত্ব করা।
 
 

জল ও আত্মার সুসমাচার অবশ্যই সমস্ত জাতির কাছে প্রচারিত হবে !

 
 তৃতীয়তঃ পৌল সমস্ত জাতির কাছে সুসমাচার প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। ২৬ পদে আছে, “কিন্তু সম্প্রতি ব্যক্ত হইয়াছে, এবং ভাববাদিগণের লিখিত গ্রন্থ দ্বারা সনাতন ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে, বিশ্বাসের আজ্ঞাবহতার নিমিত্তে সর্ব জাতির নিকটে জ্ঞাত করা গিয়াছে......” জল ও আত্মার সুসমাচার যা পৌল প্রচারিত সত্য সুসমাচার সমস্ত বিশ্বাস করবে এবং মান্য করবে। ইহা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, যে সমস্ত অঞ্চলে পৌল মন্ডলী স্থাপন করেছিলেন, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছিল এখন সেই সব অঞ্চল ইসলামিক অঞ্চলে পরিনত হয়েছে। একদা এক সময়ে, পৌল এই সব অঞ্চলে গিয়ে ছিলেন এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পূর্ণ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসীদের মধ্য থেকে মন্ডলীতে নেতাদিগকে স্থাপন করেছিলেন এই একই সাদৃশ্যে আমাদের মিশন স্কুলে প্রশিক্ষণের পর আমাদের মন্ডলীগুলিতে আমরা কাৰ্য্যকারীদের পাঠাই। যদিও ঐ সময়ে মন্ডলীগুলিতে তাদের বিশ্বাস রক্ষিত ছিল “প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক,”(ইফিষীয় ৪:৫), তারা কোন কোন বিশেষ অবস্থায় তাদের সুসমাচারে বিশ্বাস রক্ষা করতে ব্যর্থ হত, কারণ তারা লিখিত ভাবে সুসমাচার সংরক্ষণ করত না।
 ঠিক এখন আমাদের বইগুলি তুর্কি ভাষায় অনুবাদের কাজ চলছে। তুরস্ক থেকে একজন আমাদের ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বই এর সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং স্বেচ্ছা সেবক হিসাবে অনুবাদ করছেন। আমরা এখন জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি যেখানে পৌল নিজে এক সময় সুসমাচার প্রচার করেছিলেন এবং ঈশ্বরের মন্ডলী স্থাপন করেছিলেন। পৌল যেসব অঞ্চলে ভ্রমন করতে করতে প্রচার করেছিলেন, আমরাও সেই একই অঞ্চলে একই সুসমাচার প্রচার করছি। পৌল প্রচারিত সুসমাচার ছিল জল ও আত্মার সুসমাচার, ইহা বিশ্বাস এবং পালন করার মাধ্যমে সমস্ত জাতি রক্ষা পেতে পারে। 
 রোমীয় পুস্তকের শেষ অধ্যায়ে আছে, পৌল রোমের সাধুদের পরস্পর মঙ্গলবাদ করতে বলেছিলেন, যারা তাদের কেবল উদর পূর্ণ করতে চায় তাদের বেছে দূরে থাকতে বলেছিলেন, এবং সমস্ত জাতির কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে বলেছিলেন।
 
 
জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদিগকে শক্তি যোগায়
 
 চতুর্থ বিষয় হলো, পৌল মন্তব্য করেছেন যে, জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদিগকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করবে।“যিনি তোমাদিগকে সুস্থির করিতে সমর্থ—আমার সুসমাচার অনুসারে ও যীশু খ্রীষ্ট-বিষয়ক প্রচার অনুসারে, সেই নিগূঢ়তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে, যাহা অনাদি কাল অবধি অকথিত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি ব্যক্ত হইয়াছে, এবং ভাববাদিগণের লিখিত গ্রন্থ দ্বারা সনাতন ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে, বিশ্বাসের আজ্ঞাবহতার নিমিত্তে, সর্ব্বজাতির নিকটে জ্ঞাত করা গিয়াছে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা সেই একমাত্র প্রজ্ঞাবান্‌ ঈশ্বরের গৌরব যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে হউক। আমেন” (রোমীয় ১৬:২৫-২৭)। রোমের সাধুগণ কি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন? ইহা ছিল পৌলের জল ও আত্মার সুসমাচার যা রোমের সাধুগণ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। ইহা ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার। 
 সুসমাচারে ঈশ্বর তাঁর রাজ্য আমাদিগকে দিয়েছেন। এমন কি যারা দোষে পরিপূর্ণ তাদের সমস্ত পাল তুলে নিতে এই সুসমাচারের ক্ষমতা আছে। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের শুধু পাপ মুক্ত করে না কিন্তু এই সুসমাচারের প্রচারক তৈরি করে; কে কত দূর্বল এবং দোষে পরিপূর্ণ তা কোন ব্যাপার নয় বরং সকলে তা হতে পারে। কেবল মাত্র ঈশ্বরের রাজ্য এবং জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদিগকে পরিপূর্ণ রূপে তৈরি করতে পারে। এই সুসমাচারের পাশাপাশি আর কোন সত্য নেই যা কারো আত্মা হৃদয়, চিন্তা এবং দেহ অধিকতর সবল করতে পারে।
 পৌল সাধারন ভাবে সুসমাচারকে “সুসমাচার” বলে অভিহিত করেন নি, কিন্তু ইহা “আমার সুসমাচার ” বলে অভিহিত করেছেন পৌল প্রচারিত সুসমাচার হলো পুরাতন ও নূতন নিয়মে প্রকাশিত জল ও আত্মার সুসমাচার। এই জল ও আত্মার সুসমাচার। এই জল ও আত্মার সুসমাচারের ভিত্তি পুরাতন নিয়মের ভাববাদিগণ কর্তৃক প্রকাশিত ও নূতন নিয়মে যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পূর্ণতা প্রাপ্ত সুসমাচার। এই কারণ পৌল বলেন যে “তার সুসমাচার” ভাববাদিগণের গ্রন্থে গুপ্ত সেই নিগূঢ়তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে যা এখন ব্যক্ত হয়েছে।
 পৌল প্রচারিত সুসমাচারে পুরাতন নিয়মের প্রথম ৫টি পুস্তকের বিশেষ করে লেবীয়দের মধ্যে বলিদান প্রথার ইঙ্গিত ছিল এবং নূতন নিয়মে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্ম তাঁর ক্রুশিয় মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থানের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণতা সাধিত হয়েছিল। এই কারণ পৌল সব গৌরব দিলেন, “তাঁকে যিনি আমার সুসমাচার অনুসারে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ।” 
 জল ও আত্মার সুসমাচার ঈশ্বরের সাধুগণ ও দাসগণকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই সুসমাচারের মাধ্যমে, আমাদের বিশ্বাস, আত্মা, চিন্তা এবং দেহ অধিক সবল করে। কিভাবে আমাদের বিশ্বাস সবল হতে পারে? যখন আমরা দূর্বল তখন সব সময় আমাদের কি দাঁড়াতে শক্তি যোগায়? আমাদের বিশ্বাস সবল থেকে সবলতর হয় কারণ আমরা খ্রীষ্টের পরিত্রাণ গ্রহন করেছি, যিনি আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের উপর রক্ত সেচন দ্বারা পাপ তুলে দিয়েছেন। আমরা এখন বলতে পারি যে, ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের কোন পাপ নেই কারণ আমাদের হৃদয় কোন কিছুতেই লজ্জিত নহে, এই অলজ্জিত আধ্যাত্মিক বিশ্বাস দ্বারা, যারা এখনো পর্যন্ত পাপের অধীন তাদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারি। 
 
 
চুড়ান্ত সতর্কীকরণ
 
 পৌল ১৬ অধ্যায়ের শেষে সংক্ষিপ্ত প্রার্থনায় বলেছেন, “যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা সেই একমাত্র প্রজ্ঞাবান ঈশ্বরের গৌরব যুগ পর্যায়ের যুগে যুগে হউক। আমেন।” কেমন গৌরবান্বিত ঈশ্বর? খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় প্রচারিত ঈশ্বর সর্বপেক্ষা গৌরবান্বিত। আমরাও গৌরবান্বিত হই যখন আমরা আমাদের সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে সুসমাচারের দাসত্ব করি।
 রোমীয় ১৬ অধ্যায়ের পৌলের বানী সুগন্ধি যুক্ত যা হলোঃ পরস্পর মঙ্গলবাদ করো, যারা কেবল তাদের উদর পূর্ণর্বার তাদের থেকে দূরে থাক, সমস্ত জাতীর কাছে সুসমাচার প্রচার করো। ইহা ছিল রোমের মন্ডলীকে দেওয়া পৌলের শেষ মৃদু র্ভৎসনা। পৌলের প্রচারিত জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদিগকে সবলীকৃত হতে ক্ষমতা দিয়েছে। ইহাতেই আমাদের বিশ্বাস। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস একই বিশ্বাস যা বাইবেলে বর্ণিত প্রেরিতগণের ছিল এবং যে বিশ্বাস আমাদের নিজেদের মন্ডলী এখন রয়েছে।
 আপনি একত্ব বোধ করতে পারবেন? আমি বিষ্মিত হই যখন আমি বাইবেল পড়ি এবং উপলব্ধি করি যে, আমরা বাইবেলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বিশ্বাসে সম্পূর্ণ এক যারা দু`হাজার বছর আগে বাস করত। 
 আপনি কি ভাবতে পারেন যে কত লোক প্রতিদিন সুসমাচারে অংশ গ্রহণ করছে? আমরা প্রতিদিন কমপক্ষে দু’হাজার লোকের সঙ্গে সুসমাচারে অংশ গ্রহণ করি। এই দু’হাজার খুব শ্রীঘ্র দশ হাজারে বৃদ্ধি পাবে যদি প্রত্যেক জাতির নূতন জন্ম প্রাপ্ত পবিত্রগণ তাদের প্রতিবেশীদের কাছে সুসমাচার প্রচার করে এবং দশ হাজার লোকের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ হাজারে পরিনত হতে পারে। আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন সারা পৃথিবীতে এরূপ সুসমাচার প্রচার অসম্ভব ব্যাপার নয়। অবশ্য, আমাদের বইয়ে মূল বিষয় জল ও আত্মার সুসমাচার যা অন্তর্হিত নয় কিন্তু সংরক্ষিত, রবং যত লোক পড়ছে তাদের মনোযোগ পরিবর্তিত হয় না। যে বইয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে সমৃদ্ধ, অনেক লোকেরা অনুকরণ করবে এবং ইহা পড়বে, এবং ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করবে। যে দিন সুসমাচার সমগ্র জগতে ব্যপ্ত হবে সে দিন খুব বেশি দূরে নয়।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতা যা আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে আপনার বিশ্বাস হেতু পেরেছেন এ বিষয়ে উন্নত দেশগুলি যথেষ্ট সচেতন নয়। সমুদয় বিশ্বের সঙ্গে সত্য সুসমাচারে আমরা অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক যা এই পৃথিবীর অজ্ঞাত রহস্য এবং এরূপে যারা তাদের পাপ সম্পূর্ণরূপে আবৃত করেছে তাদের পরিত্রানের গোপনীয়তা ব্যক্ত করতে আমরা বিশেষ ভাবে আগ্রহী। ঈশ্বরের এই ধার্মিকতা জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাওয়া যায়; তাই যারা এই সুসমাচার গ্রহণ করবে, তারা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাবে এবং গৌরব করবে।
 আমরা বারবার জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে কথা বলছি তাই অনেক লোক ইহা অদ্ভুত মনে করছে। আমরা কত বার বলছি। ইহা কোন বিষয় নয়, ইহা আমাদের আত্মাকে আনন্দে ও ধন্যবাদে পূর্ণ করে। যেহেতু অনেক খ্রীষ্টিয়ান এখনও পাপে আবদ্ধ। আমরা সমগ্র পৃথিবীতে বার বার জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি। বস্তুত এই সুসমাচার হলো অতিশয় সুসমাচার যা পৌল সহ সকল প্রেরিতগণ দ্বারা লিখিত হয়েছি, সব আত্মাগণ এই সুসমাচার বিশ্বাস করবে। আমাদের মনোযোগ সহকারে শোনা এবং জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের অন্তরে গভীর ভাবে মুদ্রিত করা প্রয়োজন। কারণ ইহা প্রত্যেক খ্রীষ্টিয়ানের জন্য অত্যাবশ্যক।
 আমরা প্রতিদিন আমাদের বইয়ের মাধ্যমে মুদ্রিত করে ও ইলেকট্রনিক এবং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দু’হাজারেরও বেশি লোকদের সঙ্গে সুসমাচারে অংশ গ্রহণ করি। আমরা নিশ্চিত যে যদি সত্যের এই বীজ কোন উত্তম ভূমিতে পড়ে, তবে ত্রিশ, ষাট ও শতগুণ ফসল উৎপন্ন হবে। একজন ব্যক্তি ডজন ডজন লোকের কাছে সুসমাচার প্রচার করতে পারে; তখন এই লোকদের প্রত্যেকে ডজনেরও অধিক লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচারিত হতে পারে। 
 যখন আমরা শুনতে পাই যে দু’হাজারেরও বেশি লোক এর কাছে সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে, তখন আমাদের অন্তর ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই যে সমস্ত পৃথিবীতে সুসমাচার প্রচারের দ্বারা খুলে দেওয়ার জন্য। আমি প্রার্থনা করি যে ঈশ্বর তাঁর দাসগণকে বিশ্বাসে আরও সবল করবেন।
 জল ও আত্মার সুসমাচার এখন পরিত্রাণের পক্ষে সত্যের নূতন তরঙ্গে সারা বিশ্বে প্রচারিত হচ্ছে। পবিত্র আত্মা গ্রহণ ও ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার একমাত্র পথ এই সুসমাচার। আপনি কত কঠিন ভাবে পার্থিব ধর্ম অনুসন্ধান করলেন তা কোন ব্যাপার নয়, আপনি জল ও আত্মার সুসমাচার খুঁজে পাবেন না।
 সারা বিশ্বের লোকেরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেবে কারণ তারা এখন জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে তাঁর ধার্মিকতার বিশ্বাস করছে। যত জন আমাদের বই পড়বে সকলে বিস্মিত হবে, “হায়! যীশু কিভাবে সমস্ত পাপ থেকে আমাদের উদ্ধার করলেন?” পূর্বে যারা এই সুসমাচার কখনো শোনে নাই। 
 কারা পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তি চায় এবং যারা চিরকালের তরে তাদের পাপের পূর্ণ ক্ষমা পাওয়ার, পবিত্র আত্মা পাওয়ার আকাংখা করে, যখন তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে চুরান্ত ভাবে জানে ও গ্রহন করে তখন তাদের মন শান্তিতে পূর্ণ হয়। এই মুহূর্তে জল ও আত্মার সুসমাচার সমস্ত জাতির কাছে প্রচারিত হবে। 
 আমার আত্মা আনন্দে পরিপূর্ণ যে জল ও আত্মার সুসমাচার সমস্ত পৃথিবী ব্যাপী প্রচারিত হচ্ছে। যদি আমি সুসমাচারের দাসত্ব করি, আমি জানি যে আমি দূর্বল এবং দোষে পূর্ণ কিন্তু আমি সম্পূর্ণভাবে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি এবং ঈশ্বরের ধার্মিকাত জ্ঞাত আছি। আমি সর্বদা প্রভুর কাছ থেকে নূতন শক্তি পাই। সুতরাং আমি সব সময় তাঁর সুসমাচারের দাসত্ব করতে পারি। সুসমাচার এখন অনেক জাতির কাছে ও অনেক লোকের কাছে আমাদের বই পড়ার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেছে, এবং এমন নিষ্কলঙ্ক সুসমাচার পড়ে বিস্মিত হচ্ছে।
 সারা বিশ্বে যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাস করে তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা রক্ষা পেয়েছে। এই কারণ কেন আমরা আমাদের সম্পূর্ণ দূর্বলতা থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে থাকতে পারি, কারণ আমরা আমাদের প্রভুকে ও আমাদের ঈশ্বরের ধার্মিকাতকে বিশ্বাস করি। আমরা ঈশ্বরের কাৰ্য্যকারী। আমরা আমাদের জাগতিক উদরের বিষয় অনুসন্ধান করে সন্তুষ্ট হই না কিন্তু সারা বিশ্ব ব্যাপী সত্য বিশ্বাস প্রচার করি। আমি আশীর্বাদ করি এবং আশা করি যে অনেক ধার্মিক বিশ্বাসী সারা জগৎ ব্যাপী সুসমাচার প্রচারের প্রতিদন্ধি হবে।
 পৌলের মত, আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার যীশুর আগমন পর্যন্ত নিরলস ভাবে প্রচার করতে পারি। এই মহান নিয়োগের বিষয় স্মরণ করে আমরা একত্রে কঠোর পরিশ্রম করি। যখন আমরা পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত সুসমাচার প্রচার করতে থাকব, প্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে আসবেন এবং আমাদিগকে গৃহে নিয়ে যাবেন। আমরা অবশ্যই যত্ন সহকারে শুনব যা পৌল আমাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিয়েছেন, আমরা পরস্পর উৎসাহ দেব ও মঙ্গলবাদ করবো। যদিও আমরা আমাদের কাৰ্য্যে অভাব বোধ করি, আমরা বিশেষভাবে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ভাবে সবলীকৃত হই। বাস্তবিক আমরা জানি, জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস কেমন সুন্দর ও নিশ্চিত। আমরা বাস্তবিক আমাদের প্রভুতে বিশ্বাসী যিনি ঈশ্বরের ধার্মিকতায় নিষ্কলঙ্ক। 
 যখন আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাস দ্বারা এই পৃথিবীর দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে আমাদের করনীয় অনেক কিছু আছে, আমরা এই পৃথিবীতে সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের প্রশংসা করি, যিনি ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরূপ। 
 হাল্লিলূয়া! আমি চিরকাল আমাদের প্রভু ঈশ্বরের ধার্মিকার প্রশংসা করবো!