Aufgrund von COVID-19 und der Unterbrechung des internationalen
Postdienstes haben wir unseren "kostenlosen Druckbuch-Service" vorübergehend eingestellt.
Angesichts dieser Situation können wir Ihnen die Bücher derzeit nicht zusenden.
Beten Sie, dass diese Pandemie bald endet und der Postdienst wieder aufgenommen wird.
1-6. অনুতাপের জন্য প্রার্থনা করলে কি আমাদের পাপ ধুয়ে যাবে?
শুধু অনুতাপের জন্য প্রার্থনা করলে আমাদের পাপ কখনোই ধুতে পারে না। কারণ, কর্মের মাধ্যমে উদ্ধার পাওয়া যায় না। বরং সম্পূর্ণরূপে এবং স্থায়ীভাবে পাপমুক্ত হতে হলে আমাদের অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস করতে হবে; বিশ্বাস করতে হবে যে যীশুই ঈশ্বর। যীশু নিজে বাপ্তাইজিত হয়ে এবং ক্রুশে রক্ত দিয়ে আমাদের সব পাপ ধুয়ে দিয়েছেন এবং আমাদের নূতন জীবন দিয়েছেন –এই বিশ্বাসেই কেবলমাত্র পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে অনুতাপের জন্য প্রার্থনা করে আমরা কি প্রতিদিনকার পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারি? না। ২০০০ বছর আগে যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সব পাপ ধুয়ে দিয়েছেন। যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে রক্তদানের দ্বারা আমরা অনন্তকালের জন্য পাপমুক্ত হয়েছি। তিনি নিষ্পাপ মেষশাবক হিসাবে বলিকৃত হলেন, আমাদের সকল পাপ ক্রুশীয় মৃত্যুর রক্তপাতের দ্বারা মোচন করলেন। এমন কি যীশুর উপর বিশ্বাস করার পরেও আমরা যে পাপ করি তা থেকে যীশুর বাপ্তিস্মের দ্বারা সত্যই মুক্ত হতে পারি। আমাদের মৃত্যদিন পর্যন্ত তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা। যীশু পৃথিবীতে এলেন এবং “এইরূপে” (মথি ৩:১৫ পদ) বাপ্তাইজিত হলেন এবং আমাদের পাপ ধুয়ে দিয়ে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করলেন। বাপ্তিস্মের মাধ্যমে ঈশ্বরের পুত্র আমাদের পাপের দায়ভার নিজকাঁধে নিলেন। যীশুর বাপ্তিস্ম অর্থ “ধৌত হওয়া”। কারণ, তিনি যখন বাপ্তাইজিত হলেন তখনই আমাদের সকল পাপ তাঁর উপরে বর্তালো। আমরা পাপ থেকে সম্পূর্ণ ধৌত ও মুক্ত হলাম। বাপ্তিস্মের আরো অর্থ “দীক্ষিত হওয়া, সমাধিস্থ হওয়া”। কারণ আমাদের সকল পাপ যীশুর উপরে বর্তালো, আমাদের মত পাপীর জন্যই তিনি মৃত্যু বরণ করলেন। এই সত্যে যে বিশ্বাস করে যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তার পাপ ধুয়ে দিয়েছেন, সে অনন্তকালের জন্য পাপমুক্ত হয়। এই প্রকৃত সত্য আমাদের হৃদয়ে বিশ্বাস করতে হবে যে, আমাদের সমস্ত পাপ, এমনকি বর্তমানেও যে সব পাপ আমরা করি, ২০০০ বছর আগেই সে সব যীশুর উপর বর্তিয়েছে এবং “এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা” আমাদের পাপ দূরীভূত হতে পারে, যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস স্থাপন করি। কারণ, সেই বিশ্বাসই আমাদের সকল পাপ থেকে ধৌত করে। এটাই যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভের প্রকৃত সুসমাচার, কারণ যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি আমাদের পাপ ধুয়ে নিয়েছেন। পাপ স্বীকার করার অর্থ ঈশ্বরের ব্যবস্থাকে গ্রহণ করা, কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাসেই শুধু পাপমুক্তি লাভ করা যায়। বাপ্তিস্মের জল ও যীশুর রক্তই হল স্বর্গীয় সত্য যা সব মানুষকে পাপমুক্ত করে। আমাদের মুক্তি শুধু পাপ স্বীকারের উপর নির্ভর করে না, কিন্তু যীশু যে তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সব পাপ ধুয়ে নিয়েছেন এই বিশ্বাসের উপরেই নির্ভর করে। যীশু নিজেই ক্রুশীয় শাস্তিভোগ করলেন যেন আমাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করতে পারেন। সুতরাং যর্দন নদীতে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্তের মধ্যে প্রকৃত পরিত্রাণ নিহিত। যীশু আমাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে নিয়েছেন এই বিশ্বাসেই আমরা পাপ মুক্তি লাভ করতে পারি। যদি কেউ প্রচার করে যে, শুধুমাত্র পাপ স্বীকারের মাধ্যমেই পাপের মুক্তি পাওয়া যায় তাহলে তারা সত্য পরিত্রাণ বিষয়ক সুসমাচার অবজ্ঞা করছে। অতএব যীশুর পরিত্রাণে বিশ্বাস করতে হলে যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। কখনই এটা বলবেন না যে, শুধু মাত্র পাপ স্বীকারের মাধ্যমেই পাপমুক্তি পাওয়া যায়।