“অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নান করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্তসঙ্গত আরাধনা” (রোমীয় ১২:১)।
এই “চিত্তসঙ্গত আরাধনা” কি, যাহা দি নিউ ইন্টারন্যাশনাল ভার্সন (এনআইভি) এ “আধ্যাত্মিক আরাধনা” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে, যা অবশ্যই আমরা ঈশ্বরকে দিব? ঈশ্বরকে চিত্তসঙ্গত আরাধনা দেওয়ার অর্থ তাঁর পূণ্যবান কার্য্য আমাদের দেহ তাঁকে উপহার দেওয়া। যেহেতু আমরা রক্ষা পেয়েছি, আমাদের প্রয়োজন পূণ্যবান সুসমাচার প্রচারের জন্য ঈশ্বরের প্রীতিজনক রূপে আমাদের দেহকে উৎসর্গ করা। চিত্তসঙ্গত আরাধনা যা আমরা অবশ্যই ঈশ্বরকে আমাদের দেহকে পবিত্রময়রূপে তাঁর সান্নিধ্যে দিয়ে দেব।
১২ অধ্যায়ে পৌল আমাদের আধ্যাত্মিক আরাধনা কি এই বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এই যুগের অনুরূপ হব না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরুপান্তরিত হব, যেন আমরা পরীক্ষ করে জানতে পারি, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতি জনক ও সিদ্ধ।
চিত্তসঙ্গত আরাধনা হল আমাদের সমস্ত দেহ ও হৃদয়কে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করা। তাহলে কিভাবে ধার্মিক ঈশ্বরের সাক্ষাতে এরূপ জীবন-যাপন করতে পারে? পৌল বলেন যে, আমরা এই যুগের অনুরূপ হব না, কিন্তু আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা রুপান্তরীকৃত হব, তাহলে আমরা ঈশ্বরের পূণ্যবান কাজের জন্য আমাদের দেহ উৎসর্গ করব। পরন্ত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আমাদের দেহ এবং হৃদয় ঈশ্বরের চিত্তসঙ্গত আরাধনারূপে উপহার দিব।
এই অংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইহা আমাদের বলে যে, আমরা এই যুগের অনুরূপ হব না, এবং উহার পরিবর্তে আমরা ঈশ্বরের কাজ করব এবং আমাদের মনের নুতনীকরণ দ্বারা রুপান্তরিত হব।
আমরা আমাদের মনের প্রথম নূতনীকরণ ব্যতিত আধ্যাত্মিক আরাধনা দিতে পারি না। এমনকি ধার্মিক তার দেহ কিংবা অন্তর ঈশ্বরকে দিতে পারে না, যদি তারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করতে ক্ষান্ত হয়।
আমরা এই প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারি যেরূপ পৌলের সময়কালে ঘটেছিল। কারণ আমরা বেগে ধাবিত এই পাপ পূর্ণ প্রজন্মের মধ্যে বসবাস করছি; আমরা কি ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি নাই, আমাদের বর্তমান যুগ অনুসরণ করা অপরিহার্য্য। এমন কি প্রমাণিত যে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, সে সাংসারিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে পারে না, তারা তাদের জীবন জাগতিক লোকদের ন্যায় যাপন করে। এই কারণে বাইবেল আমাদিগকে বলে, এই যুগের অনুরূপ হইও না।
তাহলে, কিভাবে, ধার্মিকগণ তাদের সম্পূর্ণ অন্তর ও দেহ দ্বারা ঈশ্বরের নিকটে চিত্তসঙ্গত আরাধনারূপ পবিত্র বলিদান উৎসর্গ করতে পারে, যাহা এই জগতে প্রকাশ করা হয়েছে? জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমাদের অন্তর অবিরতভাবে নূতনীকরণ দ্বারা কেবলমাত্র ইহা সম্ভব। ধার্মিকগণ ঈশ্বরের উত্তম ও পবিত্র ইচ্ছা জানতে এবং অনুসরণ করতে পারে, যখন তারা তাদের মন নূতন করবে এবং তাঁর ধার্মিকতার দ্বারা রুপান্তরীকৃত হবে।
পৌল তার পার্থিব কার্য্যর অজ্ঞতার কারণে ইহা বলেন নাই। পরন্ত, তাদের এইরূপ অবস্থা ও কর্মক্ষমতার বিষয় অজ্ঞ থাকায় তিনি বিশ্বাসীদের “উত্তম হও” বলার মাধ্যমে ধর্ম্মীয় উপদেশ দেন নাই। এই কারণে পৌল ঈশ্বরের সেবা করণার্থে আমাদের হৃদয় নুতনীকরণ করতে উৎসাহ দিয়েছেন, কারণ তিনি ও ঐ বিশ্বাসীদের ভালভাবে জানতেন যে, তাদের এই পৃথিবী থেকে এভাবে নিয়ে যেতে পারবেন।
জন্ম হোক আর না হোক, শারীরিক কাঠামো এক জনের থেকে আর এক জনের খুব বেশী পার্থক্য থাকে না। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে যারা পূনর্জাত হয় এবং যারা হয় না- এই হল ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস। কেবলমাত্র ধার্মিকগণ যখন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে অবিরামভাবে তাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা প্রভুর অনুসারী হতে পারে।
তাহলে আমরা কি করে মনের নূতনীকরণ করতে পারি? সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাস স্থাপন করে পাপ থেকে আমাদের সম্পূর্ণ মুক্তির ঘোষনা দিয়ে আমাদের অন্তর নূতনীকরণ করতে পারি। প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছেন, কারণ আমরা আমাদের দেহ ও মন, আমাদের মাংসিক দূর্বলতা ও দৌর্বল্যের কাছে বদ্ধ ছিল। ধার্মিকদের মন নূতনীকরণ হতে পারে, কারণ আমাদের প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্ৰুশীয় রক্ত দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছেন।
অতঃপর, আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে কিরূপ আচরণ করব তার বাস্তব জ্ঞান থাকা আমাদের প্রয়োজন। তাঁর সম্পূর্ণ ইচ্ছা কি আমরা তা অবশ্যই দেখে বুঝব, তিনি আমাদের কাছে কি চান, তিনি আমাদের কি বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন, এবং ধার্মিকের অবশ্যই পূনর্জন্ম বিষয়ে করণীয় কি। আমরা অবশ্যই তাঁর সেবায় আমাদের অন্তরের নূতনীকরণ করব। ঈশ্বরের ইচ্ছানুযায়ী আমরা আমাদের দেহ ও মন ও নিজেকে পবিত্র বলিদানরূপে তাঁর কাছে উৎসর্গ করব। আমরা আমাদেরকে তাঁর কাছে উৎসর্গ করতে পারি, যখন আমাদের মনের নূতনীকরণ হবে। ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন, উহা আমাদের মনের নূতনীকরণের বিশ্বাস থেকে আসে।
কাদের পূনর্জন্ম হয়েছে বা হয়নি এটাই তার পার্থক্য। কেবলমাত্র ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা তাদের মনের নূতনীকরণ হতে পারে। আমরা, ধার্মিকগণ, সর্বদা এই বিষয়গুলি করতে পারি, যেমন বিশ্বাসে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারি আমাদের অন্তরের পবিত্রকরণ ও নূতনীকরণ দ্বারা এবং পার্থিব এবং মাংসিক কামনা দূরীকরণের মাধ্যমে।
আপনি অবশ্যই আপনার অন্তর বিশ্বাসে নূতনীকরণ করবেন
টিভিতে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি আছে। এই পৃথিবীর লোকেরা এই খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ষ্টাইল ও ফ্যাশন অনুকরণ করার জন্য ক্ষিপ্রতার সাথে চিষ্টা করছে। আমরা সহজেই টিভি দেখে সর্বশেষ প্রবণতার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারি। আমরা রিমোট কন্ট্রোলের দ্বারা সমস্ত পৃথিবীকে প্রকাশ করতে পারি। আপনার জীবন কি এই যুগের অনুরূপ নয়?
আমি অনুভব করছি যে, এই যুগ দ্রুত বদলাচ্ছে। যদিও আমরা এখন টাকা ব্যবহার করছি, অবশেষে আমরা ইলেক্ট্রনিক টাকা এবং ইলেক্ট্রনিক কার্ড ব্যবহার করব। আর যদি এই ইলেক্ট্রনিক কার্ড হারাই তাহলে আমরা অপদার্থ হব; আমরা আমাদের আর্থিক সুখ স্বাচ্ছন্দের জন্য হয়তো আমাদের হাতে ও কপালে সনাক্ত করণ সংখ্যা ধারণ করব। আমি চিন্তা করি যে ঐ সময় অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। আমরা আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা আমাদের অন্তরকে সুস্থির করি এবং এরূপ সময় আসবার পূর্বে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করি; সুতরাং আমরা, ধার্মিকগণ এই যুগের অনুরূপ হব না।
প্রত্যেক জাগরিত মুহূর্তে আমি ঈশ্বরের সেবার বিষয়ে চিন্তা করি। এখন আমি তাঁর ধার্মিকতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থেকে পরিশ্রম সহকারে সুসমাচার প্রচার করতে ইচ্ছা করি, যখন আমাদের হাতে ও কপালে সনাক্ত করণ চিহ্ন দেওয়ার সময় আসবে, তৎপরে তাঁর বাক্য প্রচার করা সম্ভব হবে না। আমি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করছি। আমি কেবলমাত্র তখন বিশ্রাম নিতে সমর্থ হব যেদিন আমি আর অধিক কাজ করতে পারব না। এমনকি সেই মুহূর্ত যখন আসবে, আমি আমার সম্পত্তি নিতান্ত দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেব।
কিন্তু এখন, অন্তর থেকে কেবল মাত্র ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করব কিন্তু জগতের অনুরূপে নয়। রোমের অনেক ধার্মিক ব্যক্তি যারা পৌল কর্তৃক প্রচারিত সুসমাচারের দ্বারা পরিত্রাণ পেয়েছিল, সময়ের প্রেক্ষিতে জগতের অনুরূপে জীবন-যাপন করায় আমাদের প্রভু কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। আমরা অবশ্যই তাদের পদচিহ্ন অনুসরণে মনোযোগী হব না।
পৌল এই অংশটুকু দুঃশ্চিন্তার বিষয় মনে করে লিখেছিলেন, রোমে বিশ্বাসীগণ জগতের অনুরূপে চলছে। আপনার দেহ জগতের অনুরূপে চলছে, তাহলে একটা মূল্যবান বিষয় আছে যা আপনি করতে পারেন। আপনার মনের নূতনীকরণ। প্রভু কি আপনার সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন নি? ঈশ্বরের পূণ্যবান সুসমাচার স্মরণ করুন এবং চিন্তা করুন, তাঁকে কিভাবে সন্তুষ্ট করবেন। আপনার মন নূতন করুন এবং জাগতিকভাবে নয় কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে ধ্যান করতে করতে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য কর্ম করুন। এইভাবেই পৌল রোমের বিশ্বাসীদেরকে স্মরণ করাইয়া দিয়েছিলেন, যেমন আজ আমাদের মঙ্গলার্থে করা হচ্ছে।
যদিও আমরা এই যুগের অনুরূপ হব না বলে দাবি করি, বাস্তবে আমরা বশ্যতা স্বীকার করি। এমনকি আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা আমরা এখনও প্রভুর সেবায় রত থাকতে পারি। যদিও এই যুগের অনুরূপ না হওয়ার মত আমাদের ইচ্ছা খুঁজে বের করা কঠিন, তথাপি আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের প্রভু ঈশ্বরের ধার্মিকতার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন। এই কারণে আমরা সর্বদা তাঁর ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের পূণ্যবান কাজের সেবা করতে পারি। আমরা তাঁহাতে বিশ্বাস দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উত্তম এবং পবিত্র ইচ্ছার অনুগামী হতে পারি।
আমরা প্রতি মুহুর্তে অবশ্যই আমাদের মনকে নূতনীকরণ করব। কারণ ধার্মিকগণ, যারা এই পৃথিবীতে অকার্য্যকর পার্থিব লোকদের থেকে পবিত্র, তারা সংসারিক লোকদের চেয়ে অধঃপতিত ব্যক্তির মত ভুল চিন্তা-ভাবনা নিয়ে তাদের মনে ও দেহে মোকাবেলা করা বেশ ঝুঁকি পূর্ণ। এই কারণে আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাস দ্বারা আমাদের অন্তরে সর্বদা সতর্ক থাকব।
যেহেতু খ্রীষ্ট আমাদের পাপ সকল তুলে নিয়েছেন, বাস্তবিক আমাদের নিজেদের বিশাস সহকারে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা প্রয়োজন যেন আমাদের বিশ্বাস নিষ্কলঙ্ক থাকে। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার দ্বারা আমাদের প্রভু আপনার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন? যদি আপনি তা বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি বিশ্বাসে আমাদের প্রভুর কাজ করতে পারেন, আপনার অতীতে সমস্ত অধাৰ্ম্মিকতায় অমনোযোগী হোন, যেহেতু আপনার কাছ থেকে আপনার পাপের বিচার এবং দন্ড তুলে নিয়েছেন।
আমরা অবশ্যই জল আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমাদের মন নূতনীকরণ করব। ইহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবশেষে আমরা সকলে গীর্জা ত্যাগ করব এবং মরব যদি আমরা এই শেষ যুগে জল ও আতসার সুসমাচারে বিশ্বাস করে আমরা আমাদের মনের নূতনীকরণ না করি।
অবিচ্ছন্ন ভাবে নূতনীকরণ দ্বারা বিশ্বাসে জীবন-যাপন করা সাইকেল চালিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার সামিল। কারো মনের নূতনীকরণ না হওয়া পর্ব্বতের চূড়ায় যাওয়ার পথে নেমে থাকা এবং প্যাডেলে চাপ না দেওয়া সামিল। যদি আপনি প্যাডেলে চাপ না দেন, কেবল আপনি নেমে যাবেন না, কিন্তু আপনি বাস্তবিক পিছলে পাহাড়ের নীচে পড়ে যাবেন এবং ধ্বংস হবেন।
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস আমাদের একই নীতি মেনে চলা আমরা সাইকেলে চড়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি। আমাদের শক্তি এবং ইচ্ছা দ্বারা চূড়ায় পৌঁছানো অসুবিধাজনক। আমাদের ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্থির সংকল্প হয়ে থাকা প্রয়োজন, যেমন আমরা আমাদের মাংসে যাপন করি। জাগতিক চিন্তা-ভাবনায় আমাদের একমূহুর্ত ও যাপন করা উচিত নয়।
আমাদের মাংস সহজেই ইচ্ছা প্রবণ হয়ে ওঠে যে কোন সময় আমরা আমাদের সামর্থের বাইরে চলে যাই। “আমি ইহা করতে পারি না। আমি ইহ খাপ খাইয়ে নিতে পারি না। আমার ইচ্ছা শক্তি বেশ দূর্বল, কিন্তু বাস্তবিক ঐ ভাইয়ের ইচ্ছাশক্তি প্রবল। আমার কোনই শক্তি নেই, কিন্তু ঐ বোনের অনেক শক্তি আছে। আমি ঐ ভাই বোনদের তুলনায় বেশ দূর্বল। তারা ঈশ্বরের কাজ করার ব্যাপারে উপযুক্ত, আমি নই।” যদি কেহ ঈশ্বরের ধার্মিকতা ধারণ ও বিশ্বাস না করে তবে প্যাডেলে চাপ দিতে দিতে অবশেষ থেমে যাবে এবং পাহাড়ের নীচে পড়ে গিয়ে ধ্বংস হবে।
ইহা কি অল্প সংখ্যক লোকের আবেদন? অবশ্যই না। এই আবেদন প্রত্যেকেরই। একজন ভাল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সাইকেল চালক সাইকেল চালিয়ে আনায়াসে পাহাড়ের উপর উঠতে পারে। কিন্তু একজন দূর্বল ব্যক্তি কাঠন সময় এ নিপাতিত থাকবে। যাহা হউক, ধার্মিকদের জন্য সমস্যাটা তাদের শারীরিক শক্তিতে অবস্থিত নয়- ইহা জল ও আত্মায় সুসমাচারের বিশ্বাসে স্থির সংকল্পে আবদ্ধ থাকা। শারীরিক শক্তির দ্বারা আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়। শারীরিক দূর্বলতা অথবা সবলতা এর কিছুই করতে পারে না।
স্মরণ করুণ অনেকে বিশ্বাসে জীবন পরিচালনা করতে পারে না কারণ তাদের প্রবল ইচ্ছা শক্তি রয়েছে। আপনি অবশ্যই অন্যের সঙ্গে আপনার তুলনা করবেন না এবং নিরাশ হবেন না। একনিষ্টভাবে ঈশ্বরের ধার্মিকতা ধারণ করুণ। প্রভু আমাদের সম্পূর্ণ রূপে টেনে তুলবেন যদি আমরা অব্যাহত ভাবে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আমাদের মনের নূতনীকরণ করি। পরিত্রাণের সুসমাচার আমাদের অন্তরে রোপিত হয় এবং প্রভু আমাদিগকে ধারণ করেন তবে প্রতিদিন আমাদের অন্তর পরীক্ষা করব। আমরা অবশ্যই আমাদের অপরিচ্ছন্ন মন ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা প্রভুর কাজের মধ্যে দিয়ে পবিত্র করব।
আমি আমার মনের নূতনীকরণ দ্বারা তাঁর সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় তাঁর অনুগ্রহের জন্য আমাদের প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা আমাদের ঈশ্বর সর্বদা আমাদের বিশ্বাস দ্বারা তাঁর সাক্ষাতে গমণাগমণ করার অনুমতি দিয়েছেন।
যেহেতু আমি জানি যে আমাতে উত্তম কিছুই বাস করে না
পৌল রোমীয় ৭:১৮ পদে বলেছেন, “যেহেতু আমি জানি যে আমাতে (আমার মাংসে) উত্তম কিছুই বাস করে না; আমার ইচ্ছা উপস্থিত বটে, কিন্তু উত্তম ক্রীড়া উপস্থিত নয়।” পৌল খুব ভাল ভাবে জানতেন যে তার মাংসে উত্তম কিছুই বাস করে না। মাংসের ব্যবস্থায় উত্তম কিছুই বাস করে না।
পৌল নিশ্চয়তা দিলেন যে তাঁর মাংসে উত্তম কিছুই বাস করে না। তিনি জানতেন কত অধিক পরিমাণে তিনি ব্যবস্থাকে ভালবাসতেন এবং এর দ্বারা বেঁচে থাকা কত কঠিন সেটা কোন বিষয় নয়, কিন্তু ইহা তিনি করতে পারে না। অন্তর প্রভুর পক্ষে চলতে এর নূতনীকরণ চায়। কিন্তু মাংস আধ্যাত্মিক যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে পলায়ন করতে চায়।
এই কারণে পৌল রোমীয় ৭:২১-২৪ পদে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, “অতএব আমি এই ব্যবস্থায় দেখিতে পাইতেছি যে সৎকাৰ্য্য করিতে ইচ্ছা করিলেও মন্দ আমার কাছে উপস্থিত হয়। বস্তুতঃ আন্তরিক মনুষ্যের ভার অনুসারে আমি ঈশ্বরের ব্যবস্থায় আমোদ করি। কিন্তু আমার অঙ্গ-প্রতঙ্গ অন্য প্রকার এক ব্যবস্থা দেখিতে পাইতেছি, তাহা আমার মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পাপের যে ব্যবস্থা আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আছে, আমার তাহার বন্দি দাস করে। দূর্ভাগ্য মনুষ্য আমি। এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে রক্ষা নিস্তার করিবে?”
কিভাবে পৌল তার দেহের বিষয় ব্যাখ্যা করলেন তিনি “দেহের মৃত্যুর” বিষয় বর্ণণা করেছেন। আপনার দেহ কিরূপ? ইহা কি মৃত্যুর দেহ নয়? অবশ্যই ইহা মৃত্যুর! দেহ নিজেই একটা মৃত্যুর দেহ। ইহা পাপরত থাকতে চায় এবং পাপে পরিপূর্ণতার দিকে ধাবিত হয়। “কেমন হতভাগ্য মানুষ আমি! কে আমাকে মৃত্যুর দেহ থেকে উদ্ধার করবে?” এ কারণে পৌল বলেন, “আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি! তখন আমি অন্তর দিয়ে প্রভুর ব্যবস্থা পালন করতাম কিন্তু পাপের ব্যবস্থা মাংস দ্বারা হচ্ছে।” (রোমীয় ৮:২৫)।
পৌল দুই প্রকার ব্যবস্থার কথা প্রকাশ করেছেন। প্রথমটি মাংসের ব্যবস্থা। ইহা কেবলমাত্র মাংসের ইচ্ছা অনুসারন এবং মাংসের ভাবনার মধ্যে বান করে। যাহা ঈশ্বরের সন্তুষ্টি বিধানে সম্পূর্ণ বিপরীত।
দ্বিতীয়টি জীবনের আত্মার ব্যবস্থা। আত্মার ব্যবস্থা আমাদিগকে সঠিক পথে চালিত করতে চায় এবং ঈশ্বর চান যেন তা অনুসরন করি। আত্মার ব্যবস্থা ইচ্ছা পোষণ করে যে মাংসের ব্যবস্থা বিপরীত দিকে অবস্থিত। আমরা খ্রীষ্টিয়ানগণ এই দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে কোথায় যাচ্ছি তা স্থির করতে চেষ্টা করছি।
আমরা মাঝে মাঝে আমাদের মাংসের চাহিদা সংরক্ষণ করি; কিন্তু আমরা যখন আমাদের মন নূতন করি। আমারা আত্মার আকাংখার দ্বারা ঈশ্বরের কার্য্য অনুসরন করি। কারণ কেন আমরইহা করি-আমাদের দেহকে ঈশ্বরের কাছে বলিরূপে উৎসর্গ করি এবং অনতিবিলম্বে মাংসের কর্মকরি কারণ আমরা মাংসে আছি। আমরা অবশ্যই এরূপ অবস্থায় আমাদের মন সর্বদা পবিত্র আত্মার দ্বারা নূতনীকরণ করব।
যদিও রক্ষা পেয়েছি, তথাপি আমরা সহজেই এই যুগের অনুরূপ হই কারণ আমরা মাংসে জীবন-যাপন করছি। কারণ এই জগতের প্রত্যেকে এই যুগে অনুরূপে জীবন-যাপন করছে, আমরা সহজেই তাদের দ্বারা প্রভাবিত হই। এইরূপে কেবলমাত্র একটি পথ যা দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে অনুসরন করতে পারি; এবং তা হল আমাদের মনের নূতনীকরণ। আমরা আমাদের মনের বিশ্বাসের নূতনীকরণ দ্বারা সর্বদা জীবন-যাপন করতে পারি। এভাবে আমরা তাঁর পূনরাগমন পর্যন্ত সর্বদা আমাদের প্রভুকে অনুসরণ করতে পারি।
কেবল আমাদের মাংসের প্রতি দৃষ্টি করুন, আমাদের মধ্যে কেহই প্রভুর পূণ্যবান কাৰ্য্য অনুসরণ করতে পারে না এবং আমরা সকলে কষ্টের মধ্য দিয়ে ধংস হব। কিন্তু আমরা আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা প্রভুকে অনুসরণ করতে পারি এবং আমাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাঁর ধার্মিকতা ধারণ করতে পারি। আমরা অবশ্যই আমাদের মনের নূতনীকরণ করব এবং তাঁকে অনুসরণ করব। এই কারণে পৌল রোমীয় ৮:২ পদে বলেন, “কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যু ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।”
মাংস দ্বারা দূর্বল হওয়াতে ব্যবস্থা যাহা করতে পারে নাই, খ্রীষ্ট তাহা ঈশ্বরের ধার্মিকতা দ্বারা সাধন করেছেন। যেমন রোমীয় ৮:৩ পদে আছে, “কারণ ব্যবস্থা মাংস দ্বারা দূর্বল হওয়াতে যাহা করিতে পারে নাই, ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে এবং পাপার্থক বলিরূপে পাঠাইয়া দিয়া মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন।”
ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে এই জগতে পাঠাইয়াছেন এবং তাঁর মাংসে আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা করেছেন। ঐ “তাঁর মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন” অর্থ আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং এইরূপে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। ব্যবস্থার নিরপেক্ষতার দাবী রক্ষা করতে ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের উপর রক্ত সেচন দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করেছেন।
পরিত্রাণ পাওয়ার পর দুই প্রকার লোক প্রকাশিত হয়। এক প্রকার মানুষ মাংসে জীবন-যাপন করতে থাকে এবং তাদের মন মাংসের প্রতি আসক্ত থাকে; এবং অন্য প্রকার মানুষ আত্মতে জীবন-যাপন করে এবং তাদের মন আত্মতে আসক্ত থাকে। আপনি অবশ্যই বুঝতে পারেন যে মাংসের ভাব আপনাকে মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করবে, কিন্তু আত্মার ভাব আপনাকে জীবন ও শান্তির দিকে পরিচালিত করবে। মাংসে ভাব ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শক্রতা জন্মায়।
আমরা ঈশ্বরের ব্যবস্থার অধীন নই, আমরা কখনো ইহা করতে পারি না (রোমীয় ৮:৭)। এমনকি পূনর্জাত ধার্মিকগণ মাংসের ভাবনায় পতিত হবে, যদি তারা তাদের মন নূতনীকরণ না করে। যদি আমরা বিশ্বাস না করি যে, ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং এইরূপে আমাদের মন নূতনীকরণ না করি, তবে আমরা সহজেই মাংসিক কাজে লিপ্ত হব এবং প্রভুর অনুসারী হতে পারব না। এই কারণে আমরা অবশ্যই সর্বদা আমাদের মনের নূতনীকরণ করব।
পৌল বলেন যে আমরা, পূনর্জাত ধার্মিকগণ, হয় মাংসিকতায় লিপ্ত হয়ে মাংসিক ভাবনায় চলি অথবা আমাদের মনের নূতনীকরণ দ্বারা আত্মার ভাবে চলি। আমরা দুইয়ের মাঝে পড়ে দোদুল্যমান হই। কিন্তু তথাপি পৌল বলেন, “তোমরা মাংসের অধীনে নও, আত্মার অধীনে রহিয়াছ, যদি বাস্তবিক ঈশ্বরের আত্মা তোমাদিগেতে বাস করেন। কিন্তু খ্রীষ্টের আত্মা যাহার নাই, সে খ্রীষ্টের নয়” (রোমীয় ৮:৯)।
আমরা ঈশ্বরের পবিত্র জাতি। অন্য কথায়, আমরা তাঁর জাতি। যদি আমরা জগতের কামাসক্তের ন্যায় চলি এবং আমাদের দূর্বলতা দ্বারা তাদের বশ্যতা স্বীকার করি, আমাদের পূনর্জন্ম হওয়া আবশ্যক। যখন আমরা মাংসিক বিষয়ের প্রতি আমাদের মন আসক্ত করি, তখন আমরা মাংসে পতিত হই। কিন্তু যখন আমাদের অন্তরে পবিত্র আত্মা বাস করেন, আমরা খ্রীষ্টের লোক হই। ভিন্নভাবে, আমরা ঈশ্বরের পবিত্র জাতি হই।
পৌল বলেন, “খ্রীষ্টের দ্বারা আমাদের দেহ মৃত।” এবং তিনি আরো যুক্ত করলেন, “আর যদি খ্রীষ্ট তোমাদিগেতে থাকেন, তবে দেহ পাপ প্রযুক্ত মৃত বটে, কিন্তু আত্মা ধার্মিকতা প্রযুক্ত জীবন।” (রোমীয় ৮:১০) আমাদের আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা অবশ্যই জাগরিত হবে। আমরা এখনো দূর্বল, এবং আমাদের দেহ সহজেই আমাদের মৃত্যুর সময়কাল পর্যন্ত বিপদগামী হবে। কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আমাদের মন ও চিন্তা সকলের অবশ্যই নূতনীকরণ হওয়া আবশ্যক।
যখনই আমরা আমাদের ভিতরে পাপের পক্ষে আকাঙ্খা উপলব্দি করি তখনই ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি স্থাপন করি। আমরা জানি যে- প্রভুর ধার্মিকতা দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতার দিকে দৃষ্টি করুন এবং বিশ্বাস কর। আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেই এবং ঈশ্বরের কাজ ধ্যান করি। ঈশ্বর নিষ্কলঙ্ক এবং তাঁর প্রীতিজনক ইচ্ছার বিষয়ে ধ্যান করি, তখন আপনার মন সব সময় নূতনীকরণ হয়ে থাকবে।
আমরা অবশ্যই আমাদের মন বিশ্বাসের দ্বারা নূতনীকরণ করব এবং আমাদের মনের বিষয়গুলি ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য স্থির করতে পারি। এভাবেই ধার্মিকতায় জীবন-যাপন করা বাঞ্চনীয়। এরূপ কার্য্যর মধ্য দিয়ে আমরা তাঁর পুনরাগমন পর্যন্ত প্রভুর অনুসরণ করতে পারি। আমি জানি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ইহা কঠোর পরিশ্রম এবং অনেক সময় গীর্জাতে আসাও কঠিন বিষয়। প্রত্যেকেই অসুবিধার সম্মুখীন হই। অনেকসময় আমরা এমনকি যীশুকেও বিদ্বেষ করি, যখন তিনি তাঁর মৃত্যুর সময় চিৎকার করে বলেন, “সমাপ্ত হইল।” আমি সুনিশ্চিত যে, আমরা বলতে সমর্থ হব, “সমাপ্ত হইল,” এবং সমস্ত কষ্টকর বিষয় থেকে মুক্ত হব।
আমাদের প্রভুর দ্বিতীয় আগমন নিকটে। তাই এই জগতের অনুরূপে না চলে বরং আমাদের মনকে নূতন করি। কারণ আমাদের অন্তরে প্রভুকে অনুসরণ করেত ঈশ্বরের ধার্মিকতা ধারণ করা প্রয়োজন। আমাদের মনের নূতনীকরণ অবশ্যই অব্যহত থাকবে, এই কারণে তাঁর পুনরাগমন পর্যন্ত আমরা প্রভুকে অনুসর করতে থাকব, সময় সন্নিকট।
সম্প্রতি আমি একটি সংবাদ পত্রের প্রবন্ধে পড়েছি যে, এ্যান্টার্কটিক ওজন গহবর এই তৃতীয় মহাদেশীয় সংযুক্ত রাষ্টের আকার অপেক্ষ বৃহৎ রূপ ধারণ করেছে। আমি আরো অন্য একটি প্রবন্ধে ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা নেতৃত্বে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহন করার অধিকারের বিষয় পড়েছি। এই পদ্ধতি ব্যালেষ্টিক ক্ষেপনাস্ত্র মধ্যাকাশে গুলি করে ধংস করবে এবং এ ব্যপারে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা সফল হয়েছে। এই বিজড়িত কারণ উন্নয়নগুলি সুনিশ্চিত যে পরিবেশ ক্রমবর্ধমানভাবে ধংস হবে এমন কি সামরিক বাহিনীর ধংস যজ্ঞের ক্ষমতা বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।
যদি কোন দেশ তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে, প্রতিদ্বন্দীরূপে বৃদ্ধি না কি সমকক্ষরূপে তাদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে? পৃথিবীর সব জাতি অন্য এক দেশের সামরিক শক্তির উন্নয়ন দেখে অলসভাবে পিছিয়ে থাকে না, যদি বড় শক্তিগুলির মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়, তখন কি ঘটবে?
যখন কোন জাতি পারমানবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা করতে থাকে, তখন মহাশক্তিধর দেশগুলি তাদেরকে পারমানবিক সামর্থ অর্জনে চরমভাবে বাধা দিতে থাকে, কিন্তু যখন এরূপ প্রতিরোধ কর্মসূচী ব্যর্থ হয় এবং কথিত দেশ ব্যপক ধংসযজ্ঞ অস্ত্রশস্ত্র অর্জনে সমর্থ হয় তখন তাদেরকে ভয় দেখানো হয়। তখন বিশ্বের অবশিষ্টাংশ এরূপ পরিস্থিতিতে নিশ্চিতভাবে নূতন অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টা করতে থাকে।
এইরূপ নূতন অস্ত্রশস্ত্র পারমানবিক অস্ত্রশস্ত্র অপেক্ষ সামরিক শক্তি দ্বারা আরো অধিক ধংস সাধন করবে। অতীতের মত এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত বন্দুক যুদ্ধ হবে না, শুধু মানুষ মরবে না কিন্তু সম্পূর্ণ নগর অথবা পুরো দেশ নিশ্চিহ্ন হবে। পারমানবিক যুদ্ধ কোন বিশেষ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না কিন্তু বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হবে। ইতিমধ্যে, এইরূপ একটি যুদ্ধে সম্পূর্ণ ধংস হয়েছে, এমন কি মহাধংসযজ্ঞ রূপে প্রাকৃতিক দূর্যোগ পৃথিবীতে অপেক্ষা করছে। ওজনস্তর খুব দ্রুত ধংস হতে থাকবে। বিরাট জলচ্ছাস এবং ঝড় অব্যাহতভাবে বনশূন্য প্রকৃয়াকে বৃদ্ধি করছে। অতঃপর খ্রীষ্টারী মহাশক্তি নিয়ে আবির্ভূত হবে এবং এই পৃথিবীকে জয় করবে।
আপনি বলতে পারেন যে, আমি ইহা চরমভাবে চিত্রায়িত করছি, কিন্তু মানবীয় স্বভাব মৌলিকভাবে কেবল মন্দ। জাতিগণ সৈন্য সংখ্য বৃদ্ধি করছে এবং নূতন অস্ত্রশস্ত্রের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, যাহা কখনোই ভালো উদ্দেশে ব্যবহৃত হবে না। পারমানবিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যপক বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্রের সমকক্ষ হতে পারে। দেশগুলি একে অপরকে আঘাত করবে সুতরাং তারা নিজেরা অপেক্ষাকৃত অধিককাল টিকে থাকতে চাইবে। অন্যজাতি যে কোন একক দেশের বিরুদ্ধে আক্রমন করবে যেন বিশ্বে অসীম ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে। অভিপ্রায় কি ছিল, সেটা কোন ব্যপার নয়, একদা পারমানবিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরী এবং সামরিক সামর্থ তৈরী হয়েছিল কেবল মাত্র মন্দ উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য।
অনেক বছর আগে পৌল রোমের বিশ্বাসীদের বলেছিলেন এই যুগের অনুরূপ না হয়ে বরং তাদের অন্তর নূতনীকরণের দ্বারা প্রভুর অনুসরণ করবে। এই অংশটুকু আমাদের জন্য খুবই উপযোগী যারা এই যুগে বাস করছি। এই শেষকালে আমরা অবশ্যই বুঝব যে ঈশ্বরের ইচ্ছা কত উত্তম, প্রীতিজনক ও নিষ্কলঙ্ক, এবং আমাদের বিশ্বাস দ্বারা আমরা প্রভুর অনুসরণ করব।
যদিও আমাদের অনেক দোষ ত্রুটি আছে, আমাদের প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান পবিত্র আত্মারূপে আমাদের মধ্যে বাস করেন। যদিও আমাদের স্বাভাবিক দেহ দূর্বল হতে পারে, আমাদের মধ্যে পবিত্র আত্মা অত্যন্ত সবল। এই পবিত্র আত্মা বাক্যের দ্বারা বিশ্বাসে আমাদের মন নূতনীকরণ করে তাহলে আমরা প্রভুকে অনুসরণ করতে সমর্থ হব।
আমরা পবিত্র আত্মার শক্তির উপর নির্ভর করি, আমাদের মন নূতনীকরণ করি, এবং প্রভুর সেবা করি। যদি প্রভু আমাদের কাছে ফিরে আসেন তথাপি আমরা তাঁর সেবা করতে থাকব, তৎপরে তাঁর সঙ্গে চলে যাব। যীশু ফিরে আসার দিন পর্যন্ত আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রচারের মধ্যে জীবন – যাপন করতে থাকবে। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আপনার মনের নূতনীকরণ করুন।