Search

ΣΥΧΝΕΣ ΕΡΩΤΗΣΕΙΣ για την Χριστιανική Πίστη

Θέμα 4: Συχνές Ερωτήσεις από τους Αναγνώστες των Βιβλίων μας

4-5. যে পরিত্রাণ পায়, সে কি অনন্তকালের নিমিত্ত পরিত্রাণ পায়?

বেশ, আপনারা হয়ত জানেন যে আমাদের পরিত্রাণ জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস হতে আসে৷ অন্য কথায়, যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে বিশ্বাস করি, তখন আমরা নুতন জন্ম প্রাপ্ত প্রাপ্ত হতে ও ধার্মিকে পরিনত হতে পারি৷
সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আমরা আমাদের অন্তরে সত্যে বিশ্বাস করি কিনা৷ যেভাবে লেখা রয়েছে, “কারণ লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে, ধার্ম্মিকতার জন্য, এবং মুখে স্বীকার করে, পরিত্রাণের জন্য” (রোমীয় ১০:১০)৷ আমরা যখন বিশ্বস্তভাবে সত্য সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস স্বীকার করি, সেই মুহুর্তেই পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয়ে নিবাস করেন৷ এবং সেই মুহূর্ত থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেন৷
এবং, যতদিন না আপনারা সত্য সুসমাচারকে অস্বীকার করেন, ততদিন আপনারা আপনাদের পরিত্রাণ হারিয়ে ফেলতে পারেন না৷ কিন্তু, নুতন জন্ম প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, যদি কোনো প্রকারে সুসমাচারকে অস্বীকার করে, তাহলে তখন সে ‘মৃত্যুজনক পাপ’ করে (১ যোহন ৫:১৬)৷ প্রকৃত নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুদের পক্ষে সত্য সুসমাচার অস্বীকার করা অসম্ভব, কারণ সুসমাচার এতই স্বচ্ছ যে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভবনাই নেই৷ 
তবে, বাইবেল বলে যে শেষকালে বিশ্বাসের এই ধরনের অস্বীকৃতি ঘটবে ( ২ থিষলনীকীয় ২:৩)৷ এবং মথি ১৩: ৩-৯ বলে, “তখন তিনি দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহাদিগকে অনেক কথা কহিতে লাগিলেন। তিনি কহিলেন, দেখ, বীজবাপক বীজ বপন করিতে গেল। বপনের সময় কতক বীজ পথের পার্শ্বে পড়িল, তাহাতে পক্ষীরা আসিয়া তাহা খাইয়া ফেলিল। আর কতক বীজ পাষাণময় ভূমিতে পড়িল, যেখানে অধিক মৃত্তিকা ছিল না, তাহাতে অধিক মৃত্তিকা না পাওয়াতে তাহা শীঘ্র অঙ্কুরিত হইয়া উঠিল, কিন্তু সূর্য্য উঠিলে পর পুড়িয়া গেল, এবং তাহার মূল না থাকাতে শুকাইয়া গেল। আর কতক বীজ কাঁটাবনে পড়িল, তাহাতে কাঁটাগাছ বাড়িয়া তাহা চাপিয়া রাখিল। আর কতক বীজ উত্তম ভূমিতে পড়িল ও ফল দিতে লাগিল; কতক শত গুণ, কতক ষাট গুণ, ও কতক ত্রিশ গুণ। যাহার কাণ থাকে, সে শুনুক”
এই বাক্যটি আমাদের বলে যে যারা প্রথমে জল ও আত্মার সুসমাচার শ্রবন  এবং বিশ্বাস করলেও শেষে তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে, তারা শেষপর্যন্ত তাদের পরিত্রাণ হারিয়ে ফেলবে৷ বাইবেল বলে, “কিন্তু যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকিবে, সেই পরিত্রাণ পাইবে” (মথি ২৪:১৩)৷ আমরা যতদিন সত্য সুসমাচারকে জগতের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান বিষয়রূপে স্বীকার এবং শেষপর্যন্ত যে কোনো ত্যাগস্বীকারের বিনিময়ে সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসকে রক্ষা করব, ততদিন আমাদের পরিত্রাণ বাতিল হয়ে যাবে না৷ দয়া করে যিহিস্কেল ৩৩:১২-১৬ পদ দেখুন৷  
সুতরাং, যতদিন পর্যন্ত সত্য সুসমাচারে আপনাদের বিশ্বাস থাকবে, ততদিন আপনাদের পরিত্রাণ কার্যকর থাকবে৷ এই কারণেই প্রভু ঈশ্বর বলেন, “ধার্মিক বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” (রোমীয় ১:১৭, হবক্‌কূক ২:৪)৷ আমি আশা করি আপনারা আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হবেন, এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবেন৷