• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[8-5] ঈশ্বরের ধার্মিকতায় চালিত হওয়া (রোমীয় ৮:১২-১৬)

< রোমীয় ৮:১২-১৬ >
“অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা ঋণী, কিন্তু মাংসের কাছে নয় যে, মাংসের বশে জীবন যাপন করিব। কারণ যদি মাংসের বশে জীবন-যাপন কর, তবে তোমরা নিশ্চয় মরিবে, কিন্তু যদি আত্মাতে দেহের ক্রিয়া সকল মৃত্যুসাৎ কর, তবে জীবিত থাকিবে। কেননা যত লোক ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তাহারাই ঈশ্বরের পুত্র। বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা বলিয়া ডাকিয়া উঠি। আত্মা আপনিও আমাদের আত্মার সহিত সাক্ষ্য দিতেছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।”
 
 
 প্রেরিত পৌল যিনি মানুষ হিসাবে ঈশ্বরের পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন , তিনি বলেন যে, নূতন জন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীদেরকে মাংসের বশে নয় কিন্তু আত্মায় চলতে হবে। পৌল বলেন যে, বিশেষত যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করেছি, আমরা যদি মাংসের বশে চলি, তাহলে আমাদের মৃত্যু হবে, কিন্তু যদি আত্মার বশে চলি, তাহলে আমরা বেঁচে থাকব। এইভাবে অবশ্যই আমাদের এই সত্যে বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসীগণ কিভাবে বেঁচে থাকবে? ঈশ্বরের ধার্মিকতায় নাকি মাংসিক অভিলাষের বশে? ঈশ্বরের ধর্মময় কাজে নিজেদের দেহকে সঠিক এবং সুশৃঙ্খলভাবে। সমর্পণ করতে তাদের অবশ্যই জানতে হবে।
 
 

অপরিহার্য বাধ্যবাধকতা

 
 পৌল দাবী করেন যে, আত্মার বশে চলার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কারণ আমরা খ্রীষ্টিয়ানেরা ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর ধার্মিকতায় প্রবেশ করেছি। ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে সচেতন হওয়ার পূর্বে এবং তাঁকে বিশ্বাস করার পূর্বে আমরণ আত্মার বশে চলতে পারতাম না। কিন্তু এখন আমরা যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের হৃদয়, চিন্তা-চেতনা, মেধা, দেহ এবং সময় তাঁর ধর্মময় কাজের জন্য সমর্পণ করতে পারি। ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রচার কাজে এবং তাঁর ধর্মময় কাজের জন্য আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে।
 
 

মাংসের বশে চলা

 
 বাইবেল বলে, আপনি যদি খ্রীষ্টে থাকা অবস্থায় আত্মার বশে না চলেন, পাপে জীবন-যাপন করেন, অন্য অবিশ্বাসীদের মত আপনিও ধংস হয়ে যাবে। তার কারণ হল, নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান হওয়া সত্ত্বেও আপনি ঈশ্বরের ধার্মিকতায় জীবন-যাপন করেন না। যদি সত্যিকার খ্রীষ্টিয়ান আপনি হতে চান, তাহলে মাংসের বশে নয় কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতার চালনায় আপনাকে জীবন-যাপন করতে হবে, কারণ তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর ধর্মময় কাজ করাই এখন আপনার প্রধান কর্তব্য। তা-না করে আপনি যদি মাংসে জীবন-যাপন করেন, আপনার আত্মা মৃত্যু বরণ করবে। কিন্তু যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতার বশে জীবন-যাপন করেন তাহলে অনন্তকাল শান্তিতে বেঁচে থাকবেন।
 
 

ঈশ্বরের পুত্রগণ

 
 “কেননা যত লোক ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তাহারাই ঈশ্বরের পুত্র।”(রোমীয় ৮:১৪)।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসীগণ পবিত্র আত্মারূপ অনুগ্রহদান পেয়েছে এবং পবিত্র আত্মা তাদেরকে পরিচালনা দেন। তারাই “ঈশ্বরের পুত্রগণ”। “ঈশ্বরের পুত্রগণের”, মধ্যে পবিত্র আত্মা বাস করেন। ঠিক একই ভাবে, যাদের অন্তরে পবিত্র আত্মা বাস করেন না, তারা তাঁর নয়। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের পথে চলা শুরু হয়। জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাস করে আমরা তাঁর সন্তান হই। অন্য কথায়, ঈশ্বরের সন্তান হওয়া তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে শুরু হয়। অর্থাৎ তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে আমরা ঈশ্বরের পরিবারের সদস্য হই, কারণ আপনাকে পাপ থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশেই তিনি তাঁর ধার্মিকতা দান করেছেন।
 সেই যিহূদী নেতা নীকদীম যখন যীশুর সাথে সাক্ষাত করল, যীশু তাকে বললেন যে, জল ও আত্মায় নূতন জন্ম না পেলে কেউই ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে না। এই কথায় নীকদীম চমৎকৃত হলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “নীকদীম তাঁহাকে কহিলেন, মনুষ্য বৃদ্ধ হইলে কেমন করিয়া তাহার জন্ম হইতে পারে? সে কি দ্বিতীয়বার মাতার গর্ভে প্রবেশ করিয়া জন্মিতে পারে?”(যোহন ৩:৪)। উত্তরে যীশু বললেন, “সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না। মাংস হইতে যাহা জাত, তাহা মাংসই; আর আত্মা হইতে যাহা জাত, তাহা আত্মাই। আমি যে তোমাকে বলিলাম, তোমাদের নূতন জন্ম হওয়া আবশ্যক, ইহাতে আশ্চর্য্য জ্ঞান করিও না। বায়ু যে দিকে ইচ্ছা করে, সেই দিকে বহে, এবং তুমি তাহার শব্দ শুনিতে পাও; কিন্তু কোথা হইতে আইসে, আর কোথায় চলিয়া যায়, জাননা; আত্মা হইতে জাত প্রত্যেক জন সেইরূপ” (যোহন ৩:৫-৮)।
 যীশু বললেন যে, জল ও আত্মায় জন্ম গ্রহণ সম্বন্ধে যে বুঝতে পারে না, সে নূতন জন্ম সম্বন্ধে বুঝতে পারে না। যোহন বাপ্তাইজক দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ এবং ক্রুশে রক্ত সেচনের বিশ্বাস মানুষকে ঈশ্বরের সাধিত ধর্মময় কাজে অর্থাৎ তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করতে চালনা দেয়। যারা সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাস করে, তারা পবিত্র আত্মারূপ অনুগ্রহদান লাভ করতে পারে। জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করা যায়। ঈশ্বরের ধার্মিকতা গ্রহণ করলে মানুষ ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে। যারা তাঁর সন্তান হয় তারা আমাদের ভাই ও বোন।
 
 
 আত্মাই সাক্ষ্য দেয় যে, আমারা ঈশ্বরের সন্তান
 
 “বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকিয়া উঠি। আত্মা আপনিও আমাদের আত্মার সহিত সাক্ষ্য দিতেছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান” (রোমীয় ৮:১৫-১৬)।
 আমরা যে ঈশ্বরের সন্তান, দুইটি প্রমাণের মাধ্যমে সেই সাক্ষ্য দিতে পারি। প্রথমতঃ জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের ধার্মিকতা দ্বারা আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি; দ্বিতীয়তঃ পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস করেন। জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মা কাজ করেন। এই গুলো সব ঈশ্বরের সংকল্প। জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাসে আমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয় যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান। ঈশ্বরের ধার্মিকতা জেনে এবং তাতে বিশ্বাস করে যারা তাঁর সন্তান হয়েছে, তারা ঈশ্বরকে “আব্বা” অর্থাৎ পিতা বলে সম্বোধন করতে পারে।
 যুক্তি দিয়ে চিন্ত করে দেখুন। যার ভিতরে পাপ রয়েছে, সে কিভাবে ঈশ্বরকে পিতা সম্বোধন করতে পারে? পাপী অবস্থায় ঈশ্বর কাউকে তাঁর সন্তান হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন না, কোন পাপীই ঈশ্বরকে পিতা হিসাবে সেবা করতে পারে না।আপনিও অবশ্যই আপনার ভিতরে অনুসন্ধান করে দেখুন-কোনভাবে আপনার ভিতরে আপনার ভিতরেও এই ভ্রান্তি রয়েছে কি-না। পবিত্র আত্মার মাধ্যমে যারা নিজেদেরকে ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে দাবী করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে। ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পর্কে আমাদের গভীর ভাবে চিন্তা করা উচিত।
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?