• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ১১: আবাস

[2-8] থুয়াতীরাস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র (প্রকাশিত বাক্য ২: ১৮-২৯)

থুয়াতীরাস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র
< প্রকাশিত বাক্য ২: ১৮-২৯ >
“ আর থুয়াতীরাস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি ঈশ্বরের পুত্র, যাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখার তুল্য, ও যাঁহার চরণ সুপিত্তলের সদৃশ, তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কর্ম্ম সকল ও তোমার প্রেম ও বিশ্বাস ও পরিচর্য্যা ও ধৈর্য্য, আর তোমার প্রথম কর্ম্ম অপেক্ষা প্রচুরতর শেষ কর্ম্ম আমি জানি। তথাচ তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নাম্নী যে নারী আপনাকে ভাববাদিনী বলে, তুমি তাহাকে থাকিতে দিতেছ, এবং সে আমারই দাসগণকে বেশ্যাগমন ও প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলি ভক্ষণ করিতে শিক্ষা দিয়া ভুলাইতেছে। আমি তাহাকে মন ফিরাইবার জন্য সময় দিয়াছিলাম, কিন্তু সে নিজ ব্যভিচার হইতে মন ফিরাইতে চায় না। দেখ, আমি তাহাকে শয্যাগত করিব, এবং যাহারা তাহার সহিত ব্যভিচার করে, তাহারা যদি তাহার কার্য্য হইতে মন না ফিরায়, তবে তাহাদিগকে মহাক্লেশে ফেলিয়া দিব; আর আমি মারী দ্বারা তাহার সন্তানগণকে বধ করিব; তাহাতে সমস্ত মণ্ডলী জানিতে পারিবে, “আমি মর্ম্মের ও হৃদয়ের অনুসন্ধানকারী, আর আমি তোমাদের প্রত্যেক জনকে আপন আপন কার্য্যানুযায়ী ফল দিব” । কিন্তু থুয়াতীরাতে অবশিষ্ট তোমাদের যত জন সেই শিক্ষা গ্রহণ করে নাই,—লোকে যাহাকে গভীরতত্ত্ব বলে, শয়তানের সেই গভীরতত্ত্ব সকল যাহারা জ্ঞাত হয় নাই—তাহাদিগকে বলিতেছি, তোমাদের উপরে আমি অন্য কোন ভার অর্পন করি না; কেবল যাহা তোমাদের আছে, তাহা আমার আগমন পর্য্যন্ত দৃঢ়রূপে ধারণ কর। আর যে জয় করে, ও শেষ পর্য্যন্ত আমার আদিষ্ট কার্য্য সকল পালন করে, তাহাকে আমি আপনি পিতা হইতে যেরূপ পাইয়াছি, তদ্রূপ “জাতিগণের উপরে কর্ত্তৃত্ব দিব; তাহাতে সে লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে এমনি শাসন করিবে যে, কুম্ভকারের মৃৎপাত্রের ন্যায় চুরমার হইয়া যাইবে” । আর আমি প্রভাতীয় তারা তাহাকে দিব। যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।” 
 
 

টীকা

 
১৮ পদ: “আর থুয়াতীরাস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি ঈশ্বরের পুত্র, যাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখার তুল্য, ও যাঁহার চরণ সুপিত্তলের সদৃশ, তিনি এই কথা কহেন; ”
থুয়াতীরাস্থ মন্ডলীতে ঈষাবেল ভুল শিক্ষা দিচ্ছে৷ আহাব রাজার স্ত্রী ঈষাবেল, ইস্রায়েল এবং তার দাসগণকে ব্যভিচার, বেশ্যাগমন এবং প্রতিমার কাছে উচ্ছিষ্ট বলি ভক্ষণ করার মত ভুল পথে চালিত করেছে৷ যীশুর বর্ণনানুসারে “অগ্নিশিখার চক্ষু”, ঈশ্বর সতর্ক করেছেন যে, তাঁর মন্ডলীতে ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের তিনি বিচার করবেন এবং প্রচন্ডভাবে তিরস্কার করবেন৷
 
১৯ পদ: “আমি জানি তোমার কর্ম্ম সকল ও তোমার প্রেম ও বিশ্বাস ও পরিচর্য্যা ও ধৈর্য্য, আর তোমার প্রথম কর্ম্ম অপেক্ষা প্রচুরতর শেষ কর্ম্ম আমি জানি।” 
কিন্তু একই সঙ্গে ঈশ্বর থুয়াতীরাস্থ মণ্ডলীর দাসগণ এবং সাধুগণকে বলেছেন যে, তাদের কার্যসকল পূর্বাপেক্ষা এখন আরও ভাল৷
 
২০ পদ: “তথাচ তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নাম্নী যে নারী আপনাকে ভাববাদিনী বলে, তুমি তাহাকে থাকিতে দিতেছ, এবং সে আমারই দাসগণকে বেশ্যাগমন ও প্রতিমার কাছে উৎসৃষ্ট বলি ভক্ষণ করিতে শিক্ষা দিয়া ভুলাইতেছে।”
থুয়াতীরাস্থ মণ্ডলীর জন্য সমস্যা ছিল যে, তারা ভাক্ত ভাববাদিনীর শিক্ষা গ্রহণ করেছে৷ ঈষাবেল একজন বেশ্যাভক্ত ভাববাদিনীর ন্যায়, যাকে মন্ডলীতে জায়গা দেওয়া হয়েছে, এবং তার শিক্ষা অনুসরণের দ্বারা সাধুগণের হৃদয় পূর্ণ করেছে এবং তাদেরকে মাংসিক কামনার দিকে চালিত করছে৷ যার ফল স্বরূপ ঈশ্বরের মহাক্রোধ তাদের উপরে নেমে আসবে৷
সাধুগণের মত যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর সত্য মন্ডলীতে আহ্বান করেন না৷ যাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা বাস করেন না, মন্ডলীতে নেতৃত্ব দানের পদে তাদেরকে রাখেন না৷ এই কারণে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার পরিবর্তে যারা তাদের মাংসিক ও জাগতিক বিষয়ের সন্ধান করে, তারা ঈশ্বরের সত্য মন্ডলীতে কখনই সম্মানিত এবং গ্রহনযোগ্য হতে পারে না৷
 
২১ পদ: “আমি তাহাকে মন ফিরাইবার জন্য সময় দিয়াছিলাম, কিন্তু সে নিজ ব্যভিচার হইতে মন ফিরাইতে চায় না।”
এই বাক্য আমাদের বলে যে, যাদের মাংসিক ভাব এবং যারা পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করে নি, তারা পবিত্র আত্মার স্বর শুনতে পারে না এবং তাঁকে উপলব্ধি করতে পারে না৷ এই কারণে ভাববাদিনী তার নিজ ব্যভিচার থেকে মন ফিরাতে পারত না৷ ফলে সে পবিত্র আত্মার তরবারি দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হল এবং মাংস ও আত্মা উভয়েই নরক যোগ্য হয়ে পড়ল৷
জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে যারা বিশ্বাস করে, একমাত্র তারাই ঈশ্বরের সত্য মন্ডলীতে তাঁর সেবক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে যারা বিশ্বাস করে না, তারা কিভাবে এই পৃথিবীতে একজন ভাল পালক হবেন, একজন বিশ্বস্ত নেতা হবেন, যিনি ঈশ্বরের সন্তানদের তাঁর দিকে চালিত করবেন, তারা পারে না৷ অতএব, আমাদেরকে অবশ্যই এই ভ্রান্ত ভাববাদীদের চিনতে হবে এবং মন্ডলী থেকে বের করে দিতে হবে৷ একমাত্র এরূপ করলে এবং তাকে আত্মিকভাবে অনুসরণ করলেই শয়তানের সমস্ত চক্রান্তের মধ্যেও ঈশ্বরের মন্ডলী টিকে থাকতে পারবে৷
 
২২ পদ: “দেখ, আমি তাহাকে শয্যাগত করিব, এবং যাহারা তাহার সহিত ব্যভিচার করে, তাহারা যদি তাহার কার্য্য হইতে মন না ফিরায়, তবে তাহাদিগকে মহাক্লেশে ফেলিয়া দিব;”
এই অনুচ্ছেদটি আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে, ঈশ্বর নিজেই তাঁর সেই সমস্ত দাসগণকে, যারা উপলব্ধি করে নি এবং মন্দতাকে পরিত্যাগ করে নি, তারা আত্মিকতা স্বত্তেও ব্যভিচার করে, তাদেরকে খুঁজে বের করে মহাক্লেশের মধ্যে ফেলে দেবেন৷ ঈশ্বরের দাসগণ এবং সাধুগণকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর নিজেই তাঁর মন্ডলীগুলোকে ধরবেন, পরিস্কার করবেন এবং তাদেরকে সঠিক পথে নির্দেশনা দেবেন৷
ঈশ্বরের সত্য মন্ডলীতে ভাক্ত ভাববাদীদের জন্য কোনো জায়গা থাকবে না৷ যদি সেখানে কোনো ভাক্ত ভাববাদী থাকে, ঈশ্বর তাদেরকে খুঁজে বের করবেন এবং তাদেরকে বিচার করবেন৷ এই ধরনের ভাক্ত ভাববাদীদের দ্বারা যদি ঈশ্বরের মন্ডলীতে দ্বিধাদন্ধের সৃষ্টি হয়, তবে ঈশ্বর অবশ্যই তাদেরকে মহাক্লেশ যুক্ত শাস্তি দেবেন৷
 
২৩ পদ: “আর আমি মারী দ্বারা তাহার সন্তানগণকে বধ করিব; তাহাতে সমস্ত মণ্ডলী জানিতে পারিবে, “আমি মর্ম্মের ও হৃদয়ের অনুসন্ধানকারী, আর আমি তোমাদের প্রত্যেক জনকে আপন আপন কার্য্যানুযায়ী ফল দিব”
ঈশ্বর তাঁর মন্ডলী থেকে ভাক্ত ভাববাদীদের বার করে দেবেন, প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে তিনিই তার মন্ডলীর রক্ষক৷ ঈশ্বর তাঁর মন্ডলীর তত্ত্ববধান করেন এবং তাঁর দাসগণ এবং সাধুগণকে উত্তম ও বিশ্বস্ত কার্যের জন্য পুরস্কৃত করেন৷
এর অর্থ হচ্ছে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে, পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত তাদের বিশ্বাস ধরে রেখেছে, তারা ইতিমধ্যেই ঈশ্বরের পবিত্রগণ হয়েছেন৷ যারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য অন্য কোন পথ থাকে না, তারা মন্ডলীর সাথে হৃদয়ের একাত্মতায় জীবনযাপন করে, ঈশ্বরের পবিত্র লোক হয় এবং শেষ দিন পর্যন্ত তাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ করে না৷ ঈশ্বরের সত্য মন্ডলীতে সব সময় জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের প্রয়োজন নেই, কিন্তু নিন্দুকদেরকে এই সুসমাচারে বিশ্বাস করানোর জন্যই তা প্রচার করা প্রয়োজন৷
 
২৫ পদ: “কেবল যাহা তোমাদের আছে, তাহা আমার আগমন পর্য্যন্ত দৃঢ়রূপে ধারণ কর।” 
বিশ্বাসীরা অবশ্যই কখনও জল ও আত্মার সুসমাচার থেকে বিশ্বাস হারায় না এবং আমাদের প্রভুর আগমন দিন পর্যন্ত তা ধরে রাখে৷ শয়তানকে প্রতিহত করার জন্য তাদের মধ্যে জল ও আত্মার সুসমাচারের শক্তি এবং ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায়৷ এই বিশ্বাসে সাধুগণ ঈশ্বরকে খুশি করতে পারে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা সাধুগণ যদি ঈশ্বরের সত্য মন্ডলীতে থাকে, তাহলে শেষ দিনে তারা আনন্দ উল্লাস করতে পারবে৷
 
২৬ পদ: “ আর যে জয় করে, ও শেষ পর্য্যন্ত আমার আদিষ্ট কার্য্য সকল পালন করে, তাহাকে আমি আপনি পিতা হইতে যেরূপ পাইয়াছি, তদ্রূপ “জাতিগণের উপরে কর্ত্তৃত্ব দিব;” 
জল ও আত্মার সুসমাচার ঈশ্বর যাদেরকে দিয়েছেন, সেই সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা সেই সাধুগণ যেন তাদের সমস্ত শত্রুদেরকে জয় করতে পারে৷ বিশ্বাসের এই লড়াই একটি যুদ্ধ যা সর্বদা আমাদেরকে বিজয়ী করে৷ সমস্ত সাধুগণ শেষ সময়ে খ্রীষ্টারীদের বিরুদ্ধে এইভাবে যুদ্ধ করবে এবং সাক্ষ্যমর হবে, ফলস্বরূপ তাদেরকে প্রভুর সাথে রাজত্ব করার ক্ষমতা দেওয়া হবে৷
 
২৭ পদ: “তাহাতে সে লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে এমনি শাসন করিবে যে, কুম্ভকারের মৃৎপাত্রের ন্যায় চুরমার হইয়া যাইবে”
ঈশ্বর সাক্ষ্যমর সাধুদের তাঁর রাজত্বের ক্ষমতা প্রদান করবেন৷ অনুচ্ছেদে যেমন বলা হয়েছে, এভাবে তারা ক্ষমতার সাথে রাজ্য জয় করবে, লোহার দন্ডের ন্যায় শক্ত হবে যা কুম্ভকারের মৃত্পাত্রকে চূর্ণ করতে পারে৷
 
২৮ পদ: “ আর আমি প্রভাতীয় তারা তাহাকে দিব।”
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্যমে যারা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, ঈশ্বরের বাক্যের সত্য উপলব্ধি করার আশীর্বাদ তাদেরকে দেওয়া হবে৷
 
পদ ২৯: “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।” 
ঈশ্বরের মন্ডলীতে গমনাগমনের মাধ্যমে সকল সাধুগণ পবিত্র আত্মার স্বর শুনতে পারে, কারণ ঈশ্বরের দাসগণের ভেতর দিয়েই পবিত্র আত্মা সকল সাধুগণের সাথে কথা বলেন৷ ঈশ্বর মন্ডলীর মধ্যে দিয়ে তাঁর বাক্যস্বরূপ যা বলেছেন, সাধুগণ তা অবশ্য শুনতে পায় এবং বুঝতে পারে৷
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?