• All e-books and audiobooks on The New Life Mission website are free
  • Explore multilingual sermons in global languages
  • Two new revised editions in English have been released
  • Check out our website translated into 27 languages
Search

Sermons

বিষয় ১১: আবাস

[21-1] স্বর্গ হতে যে পবিত্র নগরী নেমে আসবে (প্রকাশিত বাক্য ২১:১-২৭)

স্বর্গ হতে যে পবিত্র নগরী নেমে আসবে
< প্রকাশিত বাক্য ২১:১-২৭>
“পরে আমি এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই। আর আমি দেখিলাম, পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম, স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে, নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল। পরে আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল। আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি। পরে তিনি কহিলেন, লিখ, কেননা এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য। পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হইয়াছে; আমি আল্‌ফা এবং ওমিগা আদি এবং অন্ত; যে পিপাসিত, আমি তাহাকে জীবনজলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব। যে জয় করে, সে এই সকলের অধিকারী হইবে; এবং আমি তাহার ঈশ্বর হইব, ও সে আমার পুত্র হইবে। কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু। আর যে সপ্ত দূতের কাছে সপ্ত শেষ আঘাতে পরিপূর্ণ সপ্ত বাটি ছিল, তাঁহাদের মধ্যে এক দূত আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, আমি তোমাকে সেই কন্যাকে, মেষশাবকের ভার্য্যাকে দেখাই। পরে তিনি আত্মাতে আমাকে এক উচ্চ মহাপর্ব্বতে লইয়া গিয়া পবিত্র নগরী যিরূশালেমকে দেখাইলেন, সে স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে, নামিয়া আসিতেছিল, সে ঈশ্বরের প্রতাপবিশিষ্ট; তাহার জ্যোতিঃ বহুমূল্য মণির, স্ফটিকবৎ নির্ম্মল সূর্য্যকান্তমণির তুল্য। তাহার বৃহৎ ও উচ্চ প্রাচীর আছে, দ্বাদশ পুরদ্বার আছে; সেই সকল দ্বারে দ্বাদশ দূত থাকেন, এবং কয়েকটী নাম সেগুলির উপরে লিখিত আছে, সে সকল ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বাদশ বংশের নাম; পূর্ব্বদিকে তিন দ্বার, উত্তরদিকে তিন দ্বার, দক্ষিণদিকে তিন দ্বার ও পশ্চিমদিকে তিন দ্বার। আর নগরের প্রাচীরের দ্বাদশ ভিত্তিমূল, সেগুলির উপরে মেষশাবকের দ্বাদশ প্রেরিতের দ্বাদশ নাম আছে। আর যিনি আমার সঙ্গে আলাপ করিতেছিলেন, তাঁহার হস্তে ঐ নগর ও তাহার দ্বার সকল ও তাহার প্রাচীর মাপিবার জন্য একটী সুবর্ণ নল ছিল। ঐ নগর চতুষ্কোণ, তাহার দৈর্ঘ্য ও বিস্তার সমান। আর তিনি সেই নল দ্বারা নগর মাপিলে দ্বাদশ সহস্র তীর পরিমাণ হইল, তাহার দৈর্ঘ্য, বিস্তার ও উচ্চতা এক সমান। পরে তাহার প্রাচীর মাপিলে, মনুষ্যের অর্থাৎ দূতের পরিমাণ অনুসারে এক শত চোয়াল্লিশ হস্ত হইল। প্রাচীরের গাঁথনি সূর্য্যকান্তমণির, এবং নগর নির্ম্মল কাচের সদৃশ পরিষ্কৃত সুবর্ণময়। নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূল সকল সর্ব্ববিধ মূল্যবান্‌ মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্য্যকান্তের, দ্বিতীয় নীলকান্তের, তৃতীয় তাম্রমণির, চতুর্থ মরকতের, পঞ্চম বৈদূর্য্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার। আর দ্বাদশ দ্বার দ্বাদশটী মুক্তা, এক এক দ্বার এক এক মুক্তায় নির্ম্মিত; এবং নগরের চক স্বচ্ছ কাচবৎ বিমল সুবর্ণময়। আর আমি নগরের মধ্যে কোন মন্দির দেখিলাম না; কারণ সর্ব্বশক্তিমান্‌ প্রভু ঈশ্বর এবং মেষশাবক স্বয়ং তাহার মন্দিরস্বরূপ। “আর সেই নগরে দীপ্তিদানার্থে সূর্য্যের বা চন্দ্রের কিছু প্রয়োজন নাই; কারণ ঈশ্বরের প্রতাপ তাহা আলোকময় করে, এবং মেষশাবক তাহার প্রদীপস্বরূপ। আর জাতিগণ তাহার দীপ্তিতে গমনাগমন করিবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন। ঐ নগরের দ্বার সকল দিবাতে কখনও বদ্ধ হইবে না, বাস্তবিক সেখানে রাত্রি হইবে না। আর জাতিগণের প্রতাপ ও ঐশ্বর্য্য তাহার মধ্যে আনীত হইবে। আর অপবিত্র কিছু অথবা ঘৃণ্যকারী ও মিথ্যাকারী কেহ কদাচ তাহাতে প্রবেশ করিতে পাইবে না; কেবল মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে যাহাদের নাম লিখিত আছে, তাহারাই প্রবেশ করিবে।“
 
 

টীকা

 
পদ ১: “পরে আমি এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।”
এই বাক্যের অর্থ হচ্ছে, আমাদের প্রভু তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী, উপহার হিসাবে সাধুগণকে দান করবেন, যারা পুনরুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই মুহূর্ত থেকে সাধুগণ আর প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবীতে বাস করবেন না, বরং, নুতন, দ্বিতীয় নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করবে৷ এই আশীর্বাদ ঈশ্বরের দান, যা তিনি তাঁর সাধুগণকে প্রদান করেছেন৷ যে সকল সাধুগণ কেবল প্রথম পুনরুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল, ঈশ্বর তাদেরকেই এরূপ আশীর্বাদ দান করবেন৷ 
অন্যভাবে বলা যায়, খ্রীষ্ট কর্ত্তৃক প্রদত্ত পবিত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা যে সকল সাধুগণ তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তারা এই আশীর্বাদ উপভোগ করে৷ আমাদের প্রভু সাধুগণের বর৷
 
পদ ২: “আর আমি দেখিলাম, পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম, স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে, নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল।”
ঈশ্বর সাধুগণের নিমিত্ত একটি পবিত্র নগরী প্রস্তুত করেছেন৷ এই নগরীটি নতুন যিরুশালেম নগরী, ঈশ্বরের পবিত্র স্থান৷ এই স্থানটি ঈশ্বরের সাধুগণের নিমিত্ত পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে৷ আর এ সমস্ত কিছুই সাধুগণের নিমিত্ত যীশু খ্রীষ্টের পরিকল্পনায় হয়েছে, এমনকি এটা আমাদের প্রভু ঈশ্বর বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টি করেছেন৷ অতএব, সাধুগণ তাঁর অনুগ্রহ দানের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারে না, এবং তাদের বিশ্বাসে তারা তাঁকে সমস্ত গৌরব দেবে৷
 
পদ ৩: “পরে আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন।”
এখন থেকে সাধুগণ প্রভুর সাথে ঈশ্বরের আবাসে যুগপর্যায়ে যুগে যুগে বাস করবেন৷ এ সমস্ত কিছুই প্রভু ঈশ্বরের অনুগ্রহ, একটা উপহার যা সাধুগণ জল ও আত্মার পরিত্রাণের বাক্যে তাদের বিশ্বাসের দ্বারা গ্রহণ করবে৷ যারা আশীর্বাদে আবৃত হয়ে প্রভুর আবাসে প্রবেশ করেছে, এবং তাঁর সাথে বাস করছে, তারা যুগপর্যায়ে যুগে যুগে প্রভু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও গৌরব দেবে৷
 
পদ ৪: “আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”
এখন যে সকল সাধুগণের সঙ্গে ঈশ্বর বাস করেন, তাদের আর কোনো দুঃখ নেই, প্রিয়জন হারানোর ব্যথা নেই, বা দুঃখের কান্না নেই৷ 
সাধুগণের জীবন থেকে প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবীর শোকতাপ বিলীন হয়ে যাবে, এবং তাদের জন্য প্রতীক্ষারত রয়েছে প্রভু ঈশ্বরের সাথে আশীর্বাদযুক্ত ও গৌরবযুক্ত নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বসবাস৷ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, সাধুগণের নিজস্ব ঈশ্বর হিসাবে সমস্ত কিছু, চতুর্দিকের সমস্ত বিষয় নুতন সৃষ্টি করবেন যেন দুঃখের কোনো অশ্রু না থাকে, কান্না না থাকে, মৃত্যু, বিলাপ বা অসুস্থতা অর্থাৎ যে সব বিষয়গুলো প্রথম পৃথিবীতে সাধুগণের কষ্টের কারণ হয়েছে সেগুলো যেন না থাকে৷
 
পদ ৫: “আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি। পরে তিনি কহিলেন, লিখ, কেননা এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য।”
ঈশ্বর এখন সমস্ত কিছুই নুতন করে তৈরী করবেন, এবং এক নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করবেন৷ তাঁর সৃষ্ট প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী নিশ্চিহ্ন করে, তিনি দ্বিতীয় আকাশ ও পৃথিবী তৈরী করবেন৷ এই পদটি আমাদেরকে কি বলে নি যে, ঈশ্বর পুরাতনকে পরিস্কার করে তার পরিবর্তে একটি নুতন বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করবেন৷ এইরূপে ঈশ্বর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী তৈরী করবেন এবং সাধুগণের সঙ্গে বাস করবেন৷ যে সমস্ত সাধুগণ প্রথম পুনরুত্থানে অংশ নিয়েছিল, তারাও এই আশীর্বাদের অংশীদার হবে৷ এই সমস্ত বিষয় যা মানবজাতি তাদের চিন্তাচেতনায় কখনও স্বপ্নেও দেখতে পাবে না, কিন্তু এটাই তা যা ঈশ্বর তাঁর সাধুদের জন্য প্রস্তুত করেছেন৷ এই মহৎ কার্যের নিমিত্ত, সাধুগণ ও সমস্ত কিছু ঈশ্বরকে গৌরব, ধন্যবাদ, সমাদর, সম্মান ও প্রশংসা দেবে৷
 
পদ ৬: “পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হইয়াছে; আমি আল্‌ফা এবং ওমিগা আদি এবং অন্ত; যে পিপাসিত, আমি তাহাকে জীবনজলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব।”
আমাদের প্রভু ঈশ্বর, সেই সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই সংকল্প করেছেন এবং সুসম্পন্ন করেছেন৷ প্রভু যা কিছু করেছেন, সমস্ত কিছুই তিনি তাঁর জন্য ও তাঁর সাধুগণের জন্য করেছেন৷ তাই সাধুগণকে এখন “খ্রীষ্টের” ও ঈশ্বরের সন্তান বলে ডাকা হয়৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের সাধু হয়েছে, তারা এখন বুঝতে পারছে যে, যদিও তারা যুগপর্যায়ে যুগে যুগে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও প্রশংসা দেয়, তথাপি প্রভু ঈশ্বরের কার্য এবং তাঁর প্রেমের জন্য তাঁকে যথেষ্ট ধন্যবাদ না দিয়ে পারে না৷
“যে পিপাসিত, আমি তাহাকে জীবনজলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব” নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে, আমাদের প্রভু সাধুগণকে জীবন-জলের উনুই দান করবেন৷ ঈশ্বর তাঁর সাধুগণকে যে আশীর্বাদ প্রদান করেছেন, তার মধ্যে এটাই সব চাইতে মহাদান৷ এজন্য সাধুগণ নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে যুগপর্যায়ে যুগে যুগে বাস করবে এবং জীবন জলের উনুই হতে পান করবে, অনন্ত জীবনের অধিকারী তারা এখন ঈশ্বরের সন্তান হয়েছে এবং তারা গৌরবে বাস করছে৷ আমাদেরকে এই মহা আশীর্বাদ প্রদানের জন্য আমি প্রভু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও গৌরব দিই৷ হাল্লিলুয়া! 
 
পদ ৭: “যে জয় করে, সে এই সকলের অধিকারী হইবে; এবং আমি তাহার ঈশ্বর হইব, ও সে আমার পুত্র হইবে।”
“যে জয় করে” বলতে এটা বোঝানো হয়েছে যে, যাদের প্রভুর দেওয়া বিশ্বাসে নির্ভরতা রয়েছে৷ ঈশ্বরের শত্রুগণকে এবং জগতকে জয় করতে এই বিশ্বাস সমস্ত সাধুগণকে দত্ত হয়েছে৷ প্রভু ঈশ্বর আমাদের বিশ্বাস এবং তাঁর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য প্রেম, যা জগতের সমস্ত পাপের উপর, আমাদের দুর্বলতার উপর এবং খ্রীষ্টারীর নির্যাতনের উপর আমাদেরকে বিজয় প্রদান করেছে৷
সমস্ত কিছুর উপরে বিজয় প্রদানের জন্য আমি প্রভু ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও গৌরব করি৷ যে সকল সাধুগণ প্রভু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, তারা তাদের বিশ্বাসের দ্বারাই ভালোভাবে খ্রীষ্টারীকে জয় করতে পারে৷ প্রত্যেক সাধুগণকে আমাদের প্রভু এই বিশ্বাস দিয়েছেন, যার দ্বারা তাদের সমস্ত শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তারা বিজয়োল্লাস করতে পারে৷
সাধুগণ, যারা তাদের বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টারী এবং জগতকে জয় করেছে, ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে অধিকার দিয়েছেন৷ আমাদের প্রভু সাধুগণকে তাঁর বিজয়ের বিশ্বাস প্রদান করেছেন, যেন তারা তাঁর রাজ্যের অধিকারী হয়৷ ঈশ্বর আমাদেরকে সেই বিশ্বাস দিয়েছেন, যা খ্রীষ্টারীর উপর বিজয়োল্লাস করে, কেননা ঈশ্বর এখন আমাদের ঈশ্বর হয়েছেন, এবং আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি৷ আমাদের সমস্ত শত্রুগণের উপর এই বিজয়ী বিশ্বাস প্রদানের জন্য আমি প্রভু ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি৷
 
পদ ৮: “কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।”
তাঁর সত্তায় আমাদের প্রভু ঈশ্বর সত্যের ঈশ্বর এবং প্রেমের ঈশ্বর৷ তাহলে ঈশ্বরের সম্মুখে মৌলিকভাবে ঐ সমস্ত ভীরু লোক কারা? এরা তারা, যারা আদি পাপে জন্মলাভ করেছে, যারা প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে নি৷ কেননা তাদের জ্ঞানে তারা ঈশ্বরের চাইতে বেশী প্রতিমার ভজনা করেছে, তারা পরিষ্কারভাবে শয়তানের দাস হয়েছে৷ এর কারণ হল, তারা প্রভু ঈশ্বরের সম্মুখে প্রতিমার ভজনা করে, আর, এই কারণে তারা দীপ্তির চাইতে আরো বেশী অন্ধকারকে ভালবাসে এবং তার অনুসরণ করে, তাই তারা ঈশ্বরের সম্মুখে ভীরু না হয়ে পারে না৷
ঈশ্বর তাঁর অস্তিত্বে দীপ্তমান৷ অতএব, এটা একটা প্রতিষ্ঠিত বিষয় যে যারা নিজেদেরকে অন্ধকারে রাখবে, তারা ঈশ্বরকে ভয় করবে৷ যাদের আত্মা শয়তানের অধিকারে, যারা অন্ধকার পছন্দ করে, তারা ঈশ্বরের সম্মুখে ভীরু, কারণ ঈশ্বর নিজেই দীপ্তি৷ এই কারণে তাদেরকে অবশ্যই তাদের মন্দতা এবং দুর্বলতাসমূহ ঈশ্বরের কাছে আনতে হবে, তাঁর কাছ থেকে তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে হবে৷ 
এই সমস্ত “অবিশ্বাসী” যাদের হৃদয় প্রভু ঈশ্বরের প্রেমকে বিশ্বাস করে না, এবং তাঁর জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা তাঁর শত্রু এবং ঈশ্বরের সম্মুখে মহাপাপী৷ তাদের আত্মা মন্দতায় পরিপূর্ণ, এবং তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং পাপ করতে ভালবাসে, ভ্রান্ত নিদর্শনের অনুসরণ করে, সমস্ত প্রকার দেবদেবীর ভজনা করে, এবং সমস্ত প্রকার মিথ্যা কথা বলে৷ সুতরাং ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিচারে তারা গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ এটাই তাদের হৃদয়ের মৃত্যুর শাস্তি৷
এই প্রকার লোক যারা ঈশ্বরের সম্মুখে ভীরু, ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন না, যারা তাঁর জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাস করে না, এবং যারা শয়তানের দাসে পরিণত হয়েছে তারা ঘৃণিত৷ অপরদিকে, আমাদের প্রভু তাদের জন্য অনন্ত শাস্তি অনুমোদন করেছেন, তাদের সকলকে (নরঘাতক, বেশ্যাগামী, মায়াবী, প্রতিমাপূজক এবং সমস্ত মিথ্যাবাদী) অগ্নিহ্রদে ও গন্ধকে নিক্ষিপ্ত করবেন৷ এভাবে যে নরক ঈশ্বর তাদেরকে দেবেন, তা তাদের দ্বিতীয় মৃত্যু৷
পদ ৯: “আর যে সপ্ত দূতের কাছে সপ্ত শেষ আঘাতে পরিপূর্ণ সপ্ত বাটি ছিল, তাঁহাদের মধ্যে এক দূত আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, আমি তোমাকে সেই কন্যাকে, মেষশাবকের ভার্য্যাকে দেখাই।”
একজন দূত সপ্তবাটির এক মারী এনে যোহনকে বললেন, “আইস, আমি তোমাকে সেই কন্যাকে, মেষশাবকের ভার্য্যাকে দেখাই।” এখানে “মেষশাবকের ভার্য্যা” বলতে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা তাঁর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাসের দ্বারা যীশু খ্রীষ্টের ভার্য্যা হয়েছে৷
 
পদ ১০-১১: “পরে তিনি আত্মাতে আমাকে এক উচ্চ মহাপর্ব্বতে লইয়া গিয়া পবিত্র নগরী যিরূশালেমকে দেখাইলেন, সে স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে, নামিয়া আসিতেছিল, সে ঈশ্বরের প্রতাপবিশিষ্ট; তাহার জ্যোতিঃ বহুমূল্য মণির, স্ফটিকবৎ নির্ম্মল সূর্য্যকান্তমণির তুল্য।”
“পবিত্র নগরী যিরূশালেম” বলতে পবিত্র নগরী বোঝায়, যেখানে সাধুগণ তাদের বরের সাথে বাস করবে যোহন যে নগরীটি দেখেছিল, তা ছিল বাস্তবিকই অত্যন্ত সুন্দর এবং চমত্কার৷ আকারে রাজকীয়, আভ্যন্তরীণ দিক এবং বাহিরের দিক ছিল ছিল মূল্যবান পাথরে সজ্জিত, পরিস্কার এবং স্বচ্ছ৷ দূত যোহনকে দেখিয়েছিলেন যে, যীশু খ্রীষ্টের ভার্য্যাগন তাদের বরের সাথে কোথায় বাস করবেন৷ এই পবিত্র নগরী যিরূশালেম স্বর্গ হতে নেমে আসবে, ঈশ্বরের এই উপহার তিনি মেষশাবকের ভার্য্যাকে প্রদান করবেন৷
পবিত্র নগরী যিরূশালেম উজ্জ্বলতায় ন্যায় দীপ্তমান, এর জ্যোতি বহুমূল্য মনির তুল্য, স্ফটিক মত নির্মল সূর্যকান্ত মণির তুল্য৷ অতএব, যারা এসে বাস করবে, গৌরবের ঈশ্বর যুগপর্যায়ে যুগে যুগে তাদের হবে৷ ঈশ্বরের রাজ্য হচ্ছে এই প্রকারের জ্যোতি, আর তাই, যারা তাদের সমস্ত মন্দতা, দুর্বলতা এবং পাপ সমূহ ধৌত করেছে, তারা এই নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে৷ এইরূপে, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, এই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করার জন্য, আমাদেরকে শিখতে হবে, জানতে হবে এবং জল ও আত্মার বাক্যের সত্যে বিশ্বাস করতে হবে, যা প্রভু আমাদেরকে দিয়েছেন৷ 
 
পদ ১২: “তাহার বৃহৎ ও উচ্চ প্রাচীর আছে, দ্বাদশ পুরদ্বার আছে; সেই সকল দ্বারে দ্বাদশ দূত থাকেন, এবং কয়েকটী নাম সেগুলির উপরে লিখিত আছে, সে সকল ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বাদশ বংশের নাম;”
নগরীর দ্বার দ্বাদশ দুতের দ্বারা রক্ষিত ছিল, আর তাদের উপরে ইস্রায়েল সন্তানদের দ্বাদশ বংশের নাম লিখিত ছিল৷ নগরীটির বৃহৎ ও উচ্চ প্রাচীর ছিল, এটা আমাদেরকে বলে যে, এই পবিত্র নগরীতে প্রবেশের পথ খুবই কঠিন৷ অন্যভাবে বলা যায়, ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার পেতে হবে, অন্যথায়, ঈশ্বরের সৃষ্ট জগতের বিষয় অথবা মানবিক প্রচেষ্টার দ্বারা উদ্ধার পাওয়া অসম্ভব৷
আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেতে এবং ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে, এটা দ্বার্থ্যহীনভাবে স্বীকার করে যে, যীশুর দ্বাদশ শিষ্যের ন্যায় সম-বিশ্বাস আমাদের প্রয়োজন আছে, যে বিশ্বাস জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে৷ সুতরাং জল ও আত্মার সুসমাচারে এরূপ বিশ্বাস যাদের নেই তারা পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না৷ এই কারণে পবিত্র নগরীর দ্বারে প্রভু ঈশ্বর কর্ত্তৃক দ্বাদশ দূতকে নিয়োগ করা হয়েছে৷
অপর দিকে, “তাদের উপর লিখিত নাম” এই উক্তিটি আমাদেরকে বলে যে, এই নগরীর অধিকারীগণ ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে৷ এর অধিকারীগণ ঈশ্বর নিজে এবং তাঁর সন্তানগণ ব্যতীত অন্য কেউ নয়, এখান যারা তাঁর সন্তান হয়েছে, পবিত্র নগরী তাদের অধিকারে৷
 
পদ ১৩: “পূর্ব্বদিকে তিন দ্বার, উত্তরদিকে তিন দ্বার, দক্ষিণদিকে তিন দ্বার ও পশ্চিমদিকে তিন দ্বার।”
নগরীর পূর্ব দিকে তিনটি দ্বার ছিল, তাছাড়া এর উত্তর, দক্ষিন ও পশ্চিম প্রত্যেকদিকে তিনটি করে দ্বার রয়েছে৷ এটা আমাদেরকে দেখায় যে, কেবলমাত্র যারা তাদের হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তারাই এই নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে৷
 
পদ ১৪: “আর নগরের প্রাচীরের দ্বাদশ ভিত্তিমূল, সেগুলির উপরে মেষশাবকের দ্বাদশ প্রেরিতের দ্বাদশ নাম আছে।”
অট্টালিকা বা প্রাচীরের ভিত্তিমূলে অসংখ্য প্রস্থর ব্যবহৃত হয়েছে৷ বাইবেলে “প্রস্থর” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে প্রভু ঈশ্বরে আমাদের বিশ্বাসের নিমিত্ত৷ এই পদটি আমাদেরকে বলে যে, প্রভু ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে হলে, আমাদের অবশ্যই সেই বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যে বিশ্বাস তিনি মানবজাতিকে দিয়েছেন, এই বিশ্বাস আমাদের সমস্ত পাপ থেকে তাঁর সঠিক পরিত্রাণে বিশ্বাস করে৷ সাধুগণের এই বিশ্বাস পবিত্র নগরীর বহুমূল্য মনির চাইতেও আরো বেশী মূল্যবান৷ এই পদটি এখানে আমাদেরকে বলে যে, নগরীর প্রাচীর দ্বাদশ ভিত্তিমূলের উপর স্থাপিত ছিল, সেগুলোর উপরে মেষশাবকের দ্বাদশ প্রেরিতের দ্বাদশ নাম লিখিত ছিল৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বরের নগরীতে কেবল তাদেরকে অনুমোদন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে যীশু খ্রীষ্টের দ্বাদশ প্রেরিতের ন্যায় বিশ্বাস ছিল৷ 
 
পদ ১৫: “আর যিনি আমার সঙ্গে আলাপ করিতেছিলেন, তাঁহার হস্তে ঐ নগর ও তাহার দ্বার সকল ও তাহার প্রাচীর মাপিবার জন্য একটী সুবর্ণ নল ছিল।”
এই বাক্যের অর্থ হচ্ছে, ঈশ্বরের নগরীতে প্রবেশ করতে হলে একজনকে অবশ্যই ঐ প্রকারের বিশ্বাস থাকতে হবে, যে বিশ্বাস তাঁর দ্বারা অনুমোদিত, এই প্রকারের বিশ্বাস তার (নারী/পুরুষ) পাপের ক্ষমা আনয়ন করবে৷ যে দূত যোহনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তার কাছে নগরীটি মাপার জন্য একটি সুবর্ণ নল ছিল৷ এর অর্থ হচ্ছে, আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যে, আমাদের প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে সমস্ত আশীর্বাদ আমাদেরকে প্রদান করেছেন৷ আর “আর বিশ্বাস প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান” (ইব্রীয় ১১:১)৷ বাস্তবিকই ঈশ্বর আমাদেরকে পবিত্র নগরী এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন, এমনকি আমরা যার জন্য প্রত্যাশা করেছিলাম এই জিনিস তার চেয়েও মহৎ৷
পদ ১৬: “ঐ নগর চতুষ্কোণ, তাহার দৈর্ঘ্য ও বিস্তার সমান। আর তিনি সেই নল দ্বারা নগর মাপিলে দ্বাদশ সহস্র তীর পরিমাণ হইল, তাহার দৈর্ঘ্য, বিস্তার ও উচ্চতা এক সমান।”
নগরীটি ছিল চতুষ্কোণ, এর দৈর্ঘ্য ও বিস্তার এবং উচ্চতা একই মাপের৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বরের সন্তানদের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস রয়েছে৷ এমতবস্থায়, যাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস নেই, আমাদের প্রভু ঈশ্বর তাদের কাউকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন না৷
অনেক লোক আছে যাদের একই ধরনের অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে যে, তারা কেবল খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করবে, এমনকি তাদের পাপ থাকলেও৷ কিন্তু আমাদের প্রভু, আমাদেরকে পাপ থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন ও পবিত্র আত্মা দিয়েছেন, আর যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, তিনি এই পৃথিবীতে তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্যে দিয়ে তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, তিনি কেবলমাত্র তাদেরকেই তাঁর সন্তান করেছেন৷ এটাই বিশ্বাস যা আমাদের প্রভু আমাদের কাছে চেয়েছেন৷ 
 
পদ ১৭: “পরে তাহার প্রাচীর মাপিলে, মনুষ্যের অর্থাৎ দূতের পরিমাণ অনুসারে এক শত চোয়াল্লিশ হস্ত হইল।”
বাইবেল অনুসারে ৪র্থ সংখ্যার অর্থ দুঃখভোগ৷ প্রভু ঈশ্বর আমাদের কাছে যে বিশ্বাস চেয়েছেন, তা এমন কিন্তু নয় যে, যে কারোরই এই বিশ্বাস রয়েছে, বরং এই বিশ্বাস কেবলমাত্র তাদের রয়েছে, যারা ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে, এমনকি তাদের নিজস্ব চিন্তাচেতনায় তারা এটা সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পারে না৷ একজন খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে কেবলমাত্র যীশুর ক্রুশে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করা অসম্ভব, যেহেতু প্রভু ঈশ্বর এবং ত্রাণকর্তা৷ আপনি কি জানেন প্রভু কি বোঝাতে চেয়েছেন, যখন তিনি যোহন ৩:৫ পদে বলেছেন, “সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না?” আমাদের প্রভুর এই পৃথিবীতে আগমনের কারণ, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হওয়া, ক্রুশে জগতে সমস্ত পাপ বহন করা এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের অর্থ কি, আপনি কি জানেন? আপনি যদি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, তাহলে আমি এখানে যা বলেছি, আপনি তা বুঝতে পারবেন৷
 
পদ ১৮: “প্রাচীরের গাঁথনি সূর্য্যকান্তমণির, এবং নগর নির্ম্মল কাচের সদৃশ পরিষ্কৃত সুবর্ণময়।”
এই পদটি আমাদের বলে যে, ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে, যে বিশ্বাস আমাদেরকে অনুমোদন করে তা খাঁটি, এবং তা আদৌ জগতের অন্যকিছুতে নেই৷ 
 
পদ ১৯-২০: “নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূল সকল সর্ব্ববিধ মূল্যবান্‌ মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্য্যকান্তের, দ্বিতীয় নীলকান্তের, তৃতীয় তাম্রমণির, চতুর্থ মরকতের, পঞ্চম বৈদূর্য্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার।”
নগরীর প্রাচীরের ভিত্তিমূল বহু মূল্যবান পাথর দ্বারা সজ্জিত ছিল৷ এই বাক্য আমাদেরকে বলে যে, আমরা আমাদের প্রভুর বাক্য দ্বারা বিশ্বাসে আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিপালিত হচ্ছি৷ আর এই বহু মূল্যবান পাথর আমাদেরকে বহু আশীর্বাদ স্বরূপ দেখায় যা প্রভু তাঁর সাধুগণকে দেবেন৷
 
পদ ২১: “আর দ্বাদশ দ্বার দ্বাদশটী মুক্তা, এক এক দ্বার এক এক মুক্তায় নির্ম্মিত; এবং নগরের চক স্বচ্ছ কাচবৎ বিমল সুবর্ণময়।”
বাইবেলে মুক্তাকে ‘সত্য’ হিসাবে বর্ণনা করা হয় (মথি ১৩:৪৬)৷ একজন প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানকারী সত্যকে অধিকার করতে, আনন্দে তার (নারী/পুরুষ) সমস্ত বিষয় সম্পত্তি পরিত্যাগ করবে, যে সত্য তাকে (নারী/পুরুষ) অনন্ত জীবন দান করবে৷ এই পদ আমাদেরকে বলে যে, যে সমস্ত সাধুগণ পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করবে, এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় তাদেরকে দীর্ঘসহিষ্ণু হওয়ার প্রয়োজন আছে৷ সত্যের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তাদেরকে দৃঢ়ভাবে সুস্থির থাকতে হবে৷ যারা প্রভু কর্ত্তৃক উদ্ধৃত সত্য বাক্যে বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে কঠোর অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে৷ 
 
পদ ২২-২৩: “আর আমি নগরের মধ্যে কোন মন্দির দেখিলাম না; কারণ সর্ব্বশক্তিমান্‌ প্রভু ঈশ্বর এবং মেষশাবক স্বয়ং তাহার মন্দিরস্বরূপ। “আর সেই নগরে দীপ্তিদানার্থে সূর্য্যের বা চন্দ্রের কিছু প্রয়োজন নাই; কারণ ঈশ্বরের প্রতাপ তাহা আলোকময় করে, এবং মেষশাবক তাহার প্রদীপস্বরূপ।”
এই অনুচ্ছেদের অর্থ হচ্ছে, সমস্ত সাধুগণ রাজাদের রাজা যীশু খ্রীষ্টের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হবে৷ আর পবিত্র নগরী যিরূশালেমের জন্য প্রথম সূর্য্য ও চন্দ্রের আলোর কোনো প্রয়োজন নেই, কেননা যীশু খ্রীষ্ট, জগতের আলো তিনি এটি আলোকিত করবেন৷
 
পদ ২৪: “আর জাতিগণ তাহার দীপ্তিতে গমনাগমন করিবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন।”
এই অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, যারা সহস্রাব্দের রাজ্যে বাস করেছিল, তারা এখন নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করবে৷ “জগতের রাজারা” বলতে সাধুগণকে বোঝানো হয়েছে যারা সহস্রাব্দের রাজ্যে বাস করেছিল৷ একই পদে বলা হয়েছে, পৃথিবীর এই সমস্ত রাজাগণ, “তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন”৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, সাধুগণ যারা ইতিমধ্যে তাদের গৌরবময় দেহে জীবনযাপন করেছে, তারা এখন সহস্রাব্দের রাজ্য থেকে ঈশ্বরের সৃষ্টকৃত নুতন রাজ্য নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করবে৷ 
এইরূপে, যারা এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় কেবল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা নুতন জন্মলাভ করেছিল, এবং সহস্র বছর রাজত্বের নিমিত্ত খ্রীষ্টের রাজ্যে বাস করতে রূপান্তরিত হয়েছিল, তারা পবিত্র নগরী যিরূশালেমে প্রবেশ করতে পারবে৷
 
পদ ২৫: “ঐ নগরের দ্বার সকল দিবাতে কখনও বদ্ধ হইবে না, বাস্তবিক সেখানে রাত্রি হইবে না।”
কেননা নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী, যেখানে পবিত্র নগরী দেখানো হয়েছে, তা ইতিমধ্যে পবিত্র আলোতে পরিপূর্ণ, যেখানে না কোনো অন্ধকার আছে না আছে কোনো মন্দতা৷
 
পদ ২৬: “আর জাতিগণের প্রতাপ ও ঐশ্বর্য্য তাহার মধ্যে আনীত হইবে।”
এই পদটি আমাদেরকে বলে যে, প্রভু ঈশ্বরের অদ্ভুত প্রতাপের মধ্য দিয়ে, যারা সহস্র বছরের নিমিত্ত খ্রীষ্টের রাজ্যে বাস করে আসছিল, তারা এখনও, পবিত্র নগরী যেখানে অবস্থিত, সেই নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করার যোগ্য৷
 
পদ ১৭: “আর অপবিত্র কিছু অথবা ঘৃণ্যকারী ও মিথ্যাকারী কেহ কদাচ তাহাতে প্রবেশ করিতে পাইবে না; কেবল মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে যাহাদের নাম লিখিত আছে, তাহারাই প্রবেশ করিবে।”
এই পৃথিবীস্থ খ্রীষ্টিয়ান এবং অ-খ্রীষ্টিয়ান উভয়েই যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য জানে না, তারা অপবিত্র, ঘৃণ্য ও মিথ্যাবাদী৷ কাজেই তারা পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না৷
ঈশ্বরের বাক্যে আমাদেরকে অনুমোদন করেছেন৷ এটা নিশ্চিত করতে যে, এই পৃথিবীতে প্রভু আমাদেরকে যে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন তার ক্ষমতা কত মহৎ৷ যদিও এই পৃথিবীর অনেকের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে, কিন্তু এমন সময় ছিল যখন যখন এই সুসমাচার তথাকথিত খ্রীষ্টিয়ানদের দ্বারা অবজ্ঞাত ও তুচ্ছিকৃত হয়েছে৷ কিন্তু প্রভুর দেওয়া কেবলমাত্র এই জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাস হল স্বর্গের চাবি৷
এখনও অনেকে রয়েছে যারা এই সত্য সমন্ধে অজ্ঞ, কিন্তু আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, যে কেউ উপলব্ধি এবং বিশ্বাস করে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা প্রভু তাকে (নারী/পুরুষ) স্বর্গে প্রবেশের চাবি এবং পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, তার (নারী/পুরুষ) নাম জীবনপুস্তকে লিখিত হবে৷
আপনি যদি জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করে থাকেন এবং বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি পবিত্র নগরীতে প্রবেশের আশীর্বাদে আবৃত হবেন৷
The New Life Mission

TAKE OUR SURVEY

How did you hear about us?