Search

Sermones

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-30] সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রতা (যাত্রাপুস্তক ২৮:৩৬-৪৩)

সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রতা
(যাত্রাপুস্তক ২৮:৩৬-৪৩)
“আর তুমি নির্মল স্বর্ণের এক পাত প্রস্তুত করিয়া মুদ্রার ন্যায় তাহার উপরে ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র’ এই কথা খোদাই করিবে। তুমি তাহা নীল সূত্রে বদ্ধ করিয়া রাখিবে; তাহা উষ্ণীষের উপরে থাকিবে, উষ্ণীষের সম্মুখভাগেই থাকিবে। আর তাহা হারোণের কপালের উপরে থাকিবে, তাহাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা আপনাদের সমস্ত পবিত্র দানে যে সকল দ্রব্য পবিত্র করিবে, হারোণ সেই সকল পবিত্র দ্রব্যের অপরাধ বহন করিবে, এবং তাহারা যেন সদাপ্রভুর কাছে গ্রাহ্য হয়, এই জন্য উহা নিয়ত তাহার কপালের উপরে থাকিবে। আর তুমি চিত্রিত সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা অঙ্গ রক্ষিণী বুনিবে, ও সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা উষ্ণীষ প্রস্তুত করিবে; এবং কটিবন্ধনটি সূচি দ্বারা শিল্পিত করিবে। আর হারোণের পুত্রগণের জন্য অঙ্গ রক্ষক বস্ত্র ও কটিবন্ধন প্রস্তুত করিবে, এবং গৌরব ও শোভার জন্য শিরোভূষণ করিয়া দিবে। আর তোমার ভ্রাতা হারোণের ও তাহার পুত্রগণের গাত্রে সেই সকল পরাইবে, এবং তাহাদের অভিষেক ও হস্তপূরণ করিয়া তাহাদিগকে পবিত্র করিবে, তাহাতে তাহারা আমার যাজনকর্ম করিবে। তুমি তাহাদের উলঙ্গতার আচ্ছাদনার্থে কটি অবধি জঙ্ঘা পর্যন্ত শুক্ল জাঙ্গিয়া প্রস্তুত করিবে। আর যখন হারোণ ও তাহার পুত্রগণ সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, কিম্বা পবিত্র স্থানে পরিচর্যা করণার্থে বেদির নিকটবর্তী হইবে, তৎকালে যেন অপরাধ বহিয়া না মরে, এই জন্য তাহারা এই বস্ত্র পরিধান করিবে। ইহা হারোণ ও তাহার ভাবী বংশের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।” 
 
 
যাত্রাপুস্তক ২৮:৩৬ পদে বলা হয়েছে, “আর তুমি নির্মল স্বর্ণের এক পাত প্রস্তুত করিয়া মুদ্রার ন্যায় তাহার উপরে ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র’ খুদিবে।” এই পাতটি পাগড়ির উপরে নীল সূতা দ্বারা স্থাপন করা হতো যেন পড়ে না যায়। 
মহাযাজকের এই পাগড়ির দ্বারা ঈশ্বর আমাদের কি বুঝাতে চাচ্ছেন? পাগড়ি এবং এর উপরে অলঙ্করণের দ্বারা ঈশ্বর বুঝাতে চাচ্ছেন যে, যীশু খ্রীষ্ট যখন যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন, তখন তিনি জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন এবং সেইভাবে আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন। 
ঈশ্বরের সাক্ষাতে বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে হলে আমাদের প্রকৃত বিশ্বাস থাকতে হবে। এবং প্রকৃত বিশ্বাস স্থাপনের জন্য প্রথমে আমাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। আমাদের প্রভু আমাদের সকলকে বলেছেন, “আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে” (যোহন ৮:৩২)। আবেগের মাধ্যমে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা প্রকৃত বিশ্বাস নয়। তাই, প্রকৃত বিশ্বাস করতে গেলে প্রথমে আমাদের সত্যের জ্ঞান থাকতে হবে, তারপরে আবেগের ব্যাপার, এবং তারপরে আমাদের ইচ্ছা থাকতে হবে। এটা করতে গেলে আমাদের অবশ্যই সেই বিশ্বাস থাকতে হবে, যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সেই সত্য জানতে পারব, যে সত্য মহাযাজকের পোশাকের বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। 
মহাযাজকেরা যে পাগড়ি পরতেন, তার সাথে একটি সোনার পাত ঝুলানো থাকতো, সেই পাতটি নীল সূতা দ্বারা আটকানো থাকত। এর দ্বারা এই সত্যই প্রকাশিত হয় যে, আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসে এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। সেই জন্য আজকের আলোচ্য বাক্যটিতে বলা হয়েছে, “আর তাহা হারোণের কপালের উপরে থাকিবে, তাহাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা আপনাদের সমস্ত পবিত্র দানে যে সকল দ্রব্য পবিত্র করিবে, হারোণ সেই সকল পবিত্র দ্রব্যের অপরাধ বহন করিবে,” (যাত্রাপুস্তক ২৮:৩৮)। যে বিশ্বাস দ্বারা ইস্রায়েল জাতির পাপের সমস্যা সমাধান হতো মহাযাজকের পাগড়ির উপরে স্থাপিত সোনার পাতের দ্বারা এবং যে নীল সূতা সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, তার দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। 
 
 

সমস্ত মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য যীশুর বাপ্তিস্মের অতি প্রয়োজন ছিল

 
মহাযাজকের পাগড়ির উপরে নীল সূতা দ্বারা লাগানো সোনার পাতটি প্রকাশ করে, পাগড়ি যদি বর্তমানে একজন আত্মিক প্রচারক হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে, যোহন বাপ্তাইজক হস্তার্পণের দ্বারা যীশুকে যে বাপ্তিস্ম দিয়েছিলেন, সেটা পুরাতন নিয়মের বলিদান প্রথার প্রতিরূপ, এবং সেইভাবে আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত হয়েছে। পুরাতন নিয়মের যুগে মহাযাজক বিশ্বাস করতেন যে, বলিদান প্রথার মাধ্যমে বলি উৎসর্গের দ্বারা সব পাপ মুছে যেতো। অন্যদিকে, আপনি ও আমি, আমরা যারা এই নূতন নিয়মের যুগে বাস করছি, আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যীশু এই পৃথিবীতে এসে যখন যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন, তখন তিনি একবারে চিরকালের জন্য মানবজাতির সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। যেহেতু, যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাই সেই বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি একবারে চিরদিনের জন্য জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। 
যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের সমস্ত পাপ নির্বিশেষে তাঁর উপরে অর্পণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ মহাযাজক, যোহন বাপ্তাইজক, যিনি সমস্ত মানবজাতির প্রতিনিধি, তাঁর পাপও জগতের সকল মানুষের পাপের সঙ্গে একসাথে যীশুর উপরে অর্পণ করা হয়েছিলো। 
তাহলে ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের কেমন বিশ্বাস থাকতে হবে? আমাদের সেই প্রকৃত বিশ্বাস থাকতে হবে, অর্থাৎ যীশু এই পৃথিবীতে এসে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং জগতের সমস্ত মানুষের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। সত্যের জ্ঞানের সাথে সাথে আমাদেরকে অবশ্যই হৃদয়ের গভীরে এই সত্যের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এই প্রকৃত বিশ্বাসের মাধ্যমে যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের কাজ করি, লোকে আমাদের প্রচার শুনে এই প্রকৃত বিশ্বাস হৃদয়ে স্থাপন করবে এবং তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে তুষারের মত সাদা হবে। এই সত্য যারা হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করে যীশু খ্রীষ্ট তাদের সকলকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। 
সর্বোপরি, বর্তমানকালের সুসমাচার প্রচারকদের জল ও আত্মার সুসমাচার সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। প্রকৃত সুসমাচারের জ্ঞান না থাকলে এবং বিশ্বাস না থাকলে আমরা আমাদের আত্মিক যাজকত্ব করতে পারি না। অন্য কথায়, নীল, বেগুনি ও লাল সুতার মাধ্যমে প্রকাশিত সত্যের, অর্থাৎ পাপ ক্ষমার প্রকৃত সত্যে যাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস আছে কেবলমাত্র তারাই আত্মিক যাজকত্বের দায়িত্ব পালন করতে পারে। অন্য কথায়, যারা যীশুর বাপ্তিস্মের এবং একইসাথে তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করার মাধ্যমে পাপের ক্ষমা লাভ করেছে, কেবলমাত্র তারাই সত্য সুসমাচার প্রচারকের দায়িত্ব পালন করতে পারে। এইভাবে, প্রত্যেক আত্মিক প্রচারকের জন্য প্রকৃত সত্যের সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। তাই বাইবেলে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, “জ্ঞানের অভাব প্রযুক্ত আমার প্রজাগণ বিনষ্ট হইতেছে; তুমি তো জ্ঞান অগ্রাহ্য করিয়াছ, এই জন্য আমিও তোমাকে নিতান্ত অগ্রাহ্য করিলাম, তুমি আর আমার যাজক থাকিবে না; তুমি আপন ঈশ্বরের ব্যবস্থা ভুলিয়া গিয়াছ, আমিও তোমার সন্তানকে ভুলিয়া যাইব” (হোশেয় ৪:৬)। 
প্রায়শ্চিত্তের দিনে মহাযাজক যখন ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হতেন তখন তিনি পাগড়ি না পরে কখনোই মহা পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারতেন না। ঈশ্বর যেভাবে নিরূপণ করেছিলেন, ঠিক সেইভাবে মিহি মসীনা দ্বারা প্রস্তুত পাগড়ির উপরে নীল সূতা দ্বারা সোনার পাত লাগানো অবস্থায় সেই পাগড়ি পরে মহাযাজক মহা পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতেন। যেমন আপনিও এখন বিশ্বাস করেন যে, সেই নীল সূতা যোহন বাপ্তাইজকের কাছে নেওয়া যীশুর বাপ্তিস্মকেই প্রকাশ করে (মথি ৩:১৫, ১পিতর ৩:২১)। 
মানুষ প্রতিদিন পাপ না করে পারে না। তাই পাপের শাস্তি মৃত্যু এবং আত্মিক ধ্বংস তারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না। কিন্তু যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন এবং এইভাবে জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। মথি ৩:১৫ পদে যেমন যীশু বলেছেন, “এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।” পিতা ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তাঁর পুত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপরে অর্পণ করা হয় এবং তিনি সেটাই অনুমোদন করেছিলেন। যীশু যে যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন এর দ্বারা এটাই প্রকাশিত হয় যে, তিনি একবারে চিরকালের জন্য জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। এইজন্য সেই সময়ে আপনার ও আমার পাপও যীশুর উপরে অর্পণ করা হয়েছিল। 
কারণ সকলেই পাপ করেছেন, এবং সকলেই ঈশ্বরের গৌরববিহীন হয়েছে (রোমীয় ৩:২৩)। বাইবেল বলে, “কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে পাপী বলিয়া ধরা হইল” (রোমীয় ৫:১৯)। পাপ করে না এমন কেহ কি আছে? না, অবশ্যই নাই। তাহলে আমরা কোথায় যাব? ঈশ্বর বলেছেন, যদি আমাদের কোন ধরণের পাপ থাকে, সেটা যেমনই হোক না কেন, তাদের দ্বারা হোক বা মনের চিন্তা দ্বারা হোক, আমরা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবো। কারণ ঈশ্বর বলেছেন যে, “পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমীয় ৬:২৩)। আমাদের অন্তরে যদি সরিষা দানারও মত পাপ থাকে, তবে সেগুলোও আমাদের ধুয়ে ফেলতে হবে। ঈশ্বরের সম্মুখে সকল মানবাজাতি পাপ করেছে, এবং এর জন্যে সকলেই তাদের পাপের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হবে। যাহোক, ঈশ্বর বলেছন, “পাপের বেতন মৃত্যু”। তিনি তাঁর পুত্রকে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করালেন, এবং ক্রুশীয় মৃত্যু অনুমোদন করলেন। পাপের বেতন হল মৃত্যু। এই মৃত্যু দ্বারা এখানে কি বোঝানো হয়েছে? এর দ্বারা নরককে বোঝানো হয়েছে। 
ইব্রীয় ৯:২৭ পদে বলা হয়েছে, “আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরূপিত আছে।” ঈশ্বর বলেন যে, মৃত্যুর পরে আমাদের জন্য বিচার অপেক্ষা করছে। সমস্ত মানুষের জন্য এই কথা সত্য যে, ধার্মিক হোক বা পাপী হোক, যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে, অথবা যারা পায়নি সকলেই মৃত্যুর পরে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। ঈশ্বর মানুষকে নিজের প্রতিমূর্তিতে তৈরি করেছেন, তাই এটাই বোঝা যায় যে, প্রতিটি মানুষ চাক বা নাই চাক, প্রত্যেককেই অনন্তকাল বেঁচে থাকতে হবে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, দুই প্রকারের অনন্ত জীবন রয়েছে, একটা হলো অনন্ত আশীর্বাদযুক্ত স্বর্গরাজ্য ও অন্যটি হলো অভিশপ্ত নরক। 
যীশু খ্রীষ্টই হলেন অনন্তকালীয় মহাযাজক। তিনি স্বর্গরাজ্যের মহাযাজক হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং পৃথিবীর মানুষের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছিলেন, জাগতিক বলিদানের মাধ্যমে নয় কিন্তু নিজের দেহকে বলিদানের মাধ্যমে (ইব্রীয় ৭:২১, ৮:১১-১২, ১০:১০)। ঈশ্বর নিজে এ পৃথিবীতে এসে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন যেন আপনি ও আমি জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গরাজ্যের মহাযাজকরূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, মানুষের মত রক্ত মাংসের এই পৃথিবীতে এসে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। এইভাবে আপনার সমস্ত পাপ একবারে চিরকালের জন্য যীশু খ্রীষ্টের উপরে অর্পিত হয়েছিল। এবং যেহেতু বাপ্তিস্মের দ্বারা তিনি জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, তাই সেই পাপের শাস্তিস্বরূপ তাঁকে ক্রুশীয় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। 
এই কারণে ঈশ্বর এই নিয়ম দিয়েছিলেন যেন মহাযাজকের পাগড়ির উপরে নীল সূতা দ্বারা লাগানো সোনার পাতের উপরে এই কথা খোদাই করে লেখা থাকে “সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রতা”, এবং সেই পাপ যেন পড়ে না যায়, এইজন্য নীল সূতা দ্বারা সেটা পাগড়ির সাথে লাগানো থাকত। এর দ্বারা আমাদেরকে বলা হচ্ছে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত মানুষের পাপের ভার নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে, তারা হৃদয়ে পবিত্রতা লাভ করে এবং ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হতে পারে। 
 
 
সোনার পাতটি পাগড়ির সামনে লাগানো থাকবে
 
যাত্রাপুস্তক ২৮:৩৭ পদে বলা হয়েছে, “তুমি তাহা নীল সূত্রে বদ্ধ করিয়া রাখিবে; তাহা উষ্ণীষের উপরে থাকিবে, উষ্ণীষের সম্মুখভাগেই থাকিবে।” এর মানে এই যে যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্মে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস থাকতে হবে। যীশু খ্রীষ্টের উপরে জগতের সমস্ত পাপভার অর্পিত হয়েছিল এই সত্য জানার মাধ্যমে এবং বিশ্বাস করার দ্বারা আমরা পাপের ক্ষমা পেতে পারি। এই কথা বলা কি ভুল যে, যখন তিনি বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন তখন আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন? মানুষ কেন ধ্বংস হয়ে যায়? এটার কারণ নয় যে, আপনি ও আমি পাপ করেছি এবং সেইজন্য ধ্বংস হয়ে যাবো বা ঈশ্বরের অগ্রাহ্য হবো। কিন্তু মানুষ ধ্বংস হয় এই কারণে যে, তারা এই সহজ সত্যতা বিশ্বাস করে না, যার জন্য তাদের ভিতরে পাপ থেকে যায়। যেহেতু যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন এইভাবে আমাদের সমস্ত পাপ তাহার উপরে অর্পণ করা হয়েছিল, সেই কারণে তিনি আমাদের প্রাপ্য শাস্তি নিজেই ভোগ করেছিলেন। বুদ্ধি দ্বারা এই সত্য আমাদের বুঝতে হবে এবং হৃদয় দ্বারা এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করতে হবে। কেবলমাত্র তখনই যীশুর বাপ্তিস্মের বিশ্বাস আমাদের হৃদয়ে স্থাপিত হবে। বাইবেলে ঈশ্বর বিশ্বাসের কথা বলছেন। সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আমরা স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি। 
পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম বলে মানুষ যেন তার নিজের বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বৌদ্ধ ধর্ম বলে যে, নির্বাণে প্রবেশ করতে হলে কঠোর সাধনার মাধ্যমে, মানুষের হৃদয়কে শুচি করতে হবে। অন্য কথায়, বৌদ্ধ ধর্ম এই শিক্ষা দেয় যে, কঠোর সাধনা এবং গভীর তপস্যার মাধ্যমে মানুষকে তার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এভাবে সেই একসময় নিজেই নিজের দেবতা হয়ে যাবে। আসলে কিন্তু কেউই এটা অর্জন করতে পারে না। কিছু কিছু ধর্মভীরু লোকেরা নিজেদেরকে সমাজ থেকে দূরে পাহাড়ে তপস্যার জন্য নিয়ে যায়, যেন নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে। প্রাথমিক মন্ডলীর যুগে দেখা যায় যে, এমনকি খ্রীষ্টিয়ানরাও নিজেদেরকে পবিত্র করার জন অনেক বড় বড় উপাসনালয় তৈরি করেছিল। কিন্তু সমাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে গেলেও মানুষ কখনো নিজের চিন্তা চেতনা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। এটা একটা বড় ভুল যে, যদি আমরা সমাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারি, কোন মানুষের সাথে যোগাযোগ না রাখি তবে আমরা সমস্ত প্রকার কামনা ও অভিলাষ থেকে এবং আবেগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবো। অন্যদিকে, আমাদের এই মানসিক স্বভাব এমন যে, যতই আমরা নিজেকে জাগতিক কামনা বাসনা থেকে দূরে রাখতে চাইব, ততই সেগুলো বৃদ্ধি পাবে। কারণ, আমাদের হৃদয়ে এমন পাপ রয়েছে যে, যতরকম কঠোর চেষ্টাই আমরা করি না কেন সে পাপ থেকে মুক্ত হওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এজন্য যীশু বলেছিলেন যে, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন।” আমাদের প্রভুই স্বর্গরাজ্যের একমাত্র পথ। তিনিই সেই সত্য। তিনিই জীবন। যীশুই আমাদের জীবনের প্রভু। 
মানুষ সারা জীবন স্বর্গরাজ্যের পথ খুজে বেড়ায়। যে পথ তাদেরকে ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে সেই পথ খুঁজে পেতে হলে তাদেরকে প্রকৃত সত্য সঠিকভাবে জানতে হবে। প্রকৃত সত্য হল এই যে, ঈশ্বর নিজেই মানুষের বেশে এই পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন, এবং যোহন বাপ্তাইজকের বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন, জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন। এই সত্য জানার মাধ্যমে এবং যীশুর উপরে আমাদের সমস্ত পাপ অর্জন করা হয়েছিলো এই বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। 
অন্যদিকে, নিজের বুদ্ধিতে বা ক্ষমতায় অথবা অনেক অনেক ভাল কাজ করার মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অসম্ভব। কেন? আমরা কতগুলো ভাল কাজ করেছি, সেটি কোন বিষয় নয়। আপনি যদি শুধুমাত্র একটি ঈশ্বরের নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে এটি এই অর্থ হয়ে দাঁড়ায় যে, আপনি ঈশ্বরের কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঈশ্বরের একটি মাত্র নিয়ম ভঙ্গ মানে ঈশ্বরের সামনে একজন পাপীর উপস্থিতি। এই প্রকার মানুষের ক্ষেত্রে নিজের কার্য দ্বারা স্বর্গে যাওয়া অসম্ভব। আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করা এবং যোহন বাপ্তাইজক দ্বারা স্বর্গে যাওয়া অসম্ভব। আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করা এবং যোহন বাপ্তাইজক দ্বারা যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁতে অর্পণ করব। যীশু আপনারসহ সমস্ত মানবজাতির পাপ নিজ দেহে তুলে নিয়েছেন। তাই যীশুতে আপনার পাপ অর্পিত হওয়া মানে আপনার সমস্ত পাপ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে। 
এটি অর্জন করে আপনি প্রথমে পরীক্ষা করে দেখবেন যে, আপনার হৃদয়ে পাপ আছে কি না। এবং যখন উপলব্ধি করবেন যে, আপনার হৃদয়ে পাপ আছে, তখন লাল, নীল ও বেগুনি সূতায় প্রকাশিত পাপের পরিত্রাণে বিশ্বাস করব। এইরূপে আপনি আপনার ঈশ্বর অনুমোদিত বিশ্বাস লাভ করবেন। খ্রীষ্টের দেহ উৎসর্গীকরণে বিশ্বাস করে আমরা একবারে পাপের পরিত্রাণ পেয়ে স্বর্গে যেতে পারি। মানুষ পাপ করছে বলে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারছে না, তা নয়। কিন্তু তারা প্রকৃত সত্য জানে না ও লাল, নীল ও বেগুনি সূতায় প্রকাশিত সুসমাচারে বিশ্বাস করে না বলে তারা স্বর্গে প্রবেশ করতে অক্ষম হয়েছে। আমরা বলতে পারি না যে, ঈশ্বরের বাক্যের অজ্ঞতা ও বাক্য হতে দূরবর্তী কারণে আমরা মন্দতে অনুপ্রাণিত হয়েছি, কিন্তু আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে পরিত্রাণ পেয়েছি। 
মহাযাজক যেমন ঈশ্বরের সামনে বিশ্বাসে যজ্ঞবেদী উৎসর্গ করে মানুষকে পবিত্র করে, তেমনি আমরা, রাজকীয় যাজকগণ অবশ্যই সত্যকে পরিষ্কারভাবে জানব এবং ঈশ্বরের পবিত্রতা হৃদয়ে গ্রহণ করব। কখন, কোথায় ও কোন আত্মাগুলো আমাদেরকে বিশ্বাসে যজ্ঞবেদী উৎসর্গ করতে বলছে, সেটা কোন বিষয় নয়। কিন্তু আমরা প্রথমে অবশ্যই ঈশ্বরের পবিত্রতায় আবৃত হব। সোনার পাতটি এই বাক্য দ্বারা ক্ষোদাই করা ছিল “সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রতা”; এই বাক্যটি আজকের মহাযাজক আমাদের কপালে চিরকাল থাকবে। 
সঠিক ও পরিষ্কার পাপের পরিত্রাণের সত্য লাল, নীল ও বেগুনি মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত সুসমাচার। এই সুসমাচার আমাদের সকল পাপ পরিষ্কার করেছে ও আমাদের সকলকে পাপহীন, পবিত্র ও উৎসর্গ করেছে। এটি অতি স্বচ্ছ যে, যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তাইজিত হওয়ার সময় আমাদের পাপ তাঁতে অর্পিত হয়েছে। যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তাইজিত হয়ে একবারে আমাদের পাপ ধুয়ে দিয়েছেন এবং যারা এতে বিশ্বাস করে, তারা পাপের পরিত্রাণ লাভ করে এবং বিশ্বাসে জীবন যাপন করে। তাছাড়া, পাপের পরিত্রাণ লাভের পর যখন আমরা বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে থাকব, তখন আমরা অবশ্যই ধ্যান ও গভীরভাবে বিশ্বাস করব যে, এই সুসমাচার কত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। এবং যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণের সুসমাচার কত মহৎ, যা আমাদের আত্মিক জীবনে প্রয়োজন। 
জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্য সর্বদা আমাদের অন্তরে বাস করবে। কেন? কারণ, আমরা প্রতিদিন সব সময় পাপ করি। যারা আমার বই পড়েন, তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে বুঝতে পারে না যে, যীশু বাপ্তাইজিত ও ক্রুশারোপিত হয়ে আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করেছেন। যাহোক, আমরা যদি এই সত্যকে শুদ্ধ জ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করি, তবে এটি কোন কাজে আসবে না। যত বার বার সম্ভব আমরা ততবার তাঁর বাপ্তিস্মের উপরে ধ্যান করব, কারণ আমরা প্রতিদিন পাপ করি। এই বিশ্বাস থাকা মানে গোলাবাড়িতে শস্য জমার মত ও সেগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার মত। অন্য কথায়, জল ও রক্তের সুসমাচার ধ্যান করা হচ্ছে আমাদের আত্মিক খাদ্য। এই জন্যে যীশু বলেছেন, “সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা যদি মনুষ্যপুত্রের মাংস ভোজন ও তাঁহার রক্ত পান না কর, তোমাদের মধ্যে জীবন নাই। যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে, এবং আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব” (যোহন ৬:৫৩-৫৪)। 
আমরা প্রতিদিন যীশুর বাপ্তিস্মে দীক্ষিত হব। সকল যাজককে এই বিশ্বাসে আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একমাত্র যখনই তাদের পরিষ্কার ও দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে, তখনই তারা তাদের পরিত্রাণ চালিয়ে যেতে পারবে। যেমন অন্য পাপীকে শিক্ষা দেওয়া, যেন সে পরিত্রাণ পায়। এটা করা কি বিধেয় নয়? অবশ্যই। আমাদের প্রতিদিন যা প্রয়োজন, তা হল যীশুর বাপ্তিস্মে ও যীশুতে বিশ্বাস, যিনি আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করেছেন। 
মহাযাজক যে মুকুট পরতেন, তা এই পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই পৃথিবীতে কি এমন মুকুট পাওয়া যাবে, যা সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো ও নীল দড়ি দিয়ে বাঁধা? একমাত্র মহাযাজকেরই এই মুকুট রয়েছে। আজকে এটি আমাদের নিগূঢ় সত্য বলে : রাজকীয় যাজক যীশুর বাপ্তিস্মে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাকবে। এটি আরো বলে যে, আপনি ও আমি এই সত্যে বিশ্বাস করে আমাদের যাজকীয় কার্য সম্পন্ন করতে পারি। 
যীশুর বাপ্তিস্মে আমাদের বিশ্বাস প্রতিদিন পরিষ্কার ও আরো শক্ত হবে। আমাদের পাপ তুলে নিয়েছেন বলে যীশু ক্রুশারোপিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বাপ্তাইজিত হওয়ার সময় আমাদের পাপ তুলে নিয়েছেন। তিনি ক্রুশে মৃত্যুবরণের সময় এটি বলেছেন “সমাপ্ত হইল” (যোহন ১৯:৩০)। তারপর তিনি মৃত্যু থেকে উঠলেন ও জীবিত হয়ে এলেন। এই ধার্মিকতার কাজ করে আমরা যারা তাঁতে বিশ্বাস করি, যীশু আমাদের সকল পাপ নিখুঁতভাবে ধৌত করেছেন। 
আমরা প্রতিদিন যীশুর বাপ্তিস্ম স্মরণ করব। কেন? কারণ, আমাদের জীবন ভুল ও কলঙ্কে পরিপূর্ণ। আপনি কি বুঝতে পারছেন? যত সময় যায়, আমরা আমাদের অপর্যাপ্ততা ও দূর্বলতা দেখতে পাই। এরপরও কি আপনি যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করবেন না? 
 
 

সোনার পাতে “সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রতা” ক্ষোদিত ছিল

 
যে বিশ্বাস আমাদেরকে পাপহীন ও পবিত্র করে, সেটি কোন ধরণের বিশ্বাস? এটি নীল সূতার বিশ্বাস যা যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণে বিশ্বাস করে। যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে যীশু আমাদের ও সমস্ত মানবজাতির পাপ তুলে নিয়েছেন। যে বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাস করব যে, যীশু আমাদের পাপ তুলে নেওয়ার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, সেই বিশ্বাসে আমরা পাপ হতে ধৌত হওয়ার চমৎকার অনুভূতি লাভ করব। যখন যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তখন মানবজাতির পাপসমূহ তাঁর উপর অর্পিত হয়েছিল। যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, তারা একবারে তাদের সমস্ত পাপ হতে ধৌত হয়েছে, তাদের সমস্ত পাপ যীশুতে অর্পিত হয়েছে। বিশ্বাসে তাদের পাপ ধৌত হয়েছে। এই ধৌতকরণ সমাগম তাম্বুর নীল রঙে প্রকাশিত হয়েছে। অন্য কথায়, যখন আপনি তাঁর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস ও এই বলে স্বীকার করবেন যে, “আহা! আমার পাপ, আপনার ও সমস্ত পৃথিবীর সকল মানুষের পাপ যীশু খ্রীষ্টেতে অর্পিত হয়েছে,” তখন আপনার হৃদয়ের সমস্ত পাপ ধৌত হবে। আপনি যদি এই সত্যে বিশ্বাস করেন, তবে আপনার পাপও সম্পূর্ণরূপে ধূয়ে গেছে। 
যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ জানার পূর্বে আপনার হৃদয়ে পাপ ছিল। এই গ্রহে এমন কেউ নেই যে, এই সত্য জানার পূর্বে পাপহীন ছিল। প্রত্যেকে পাপ করেছে, এবং প্রত্যেকের জন্য নরক নির্ধারিত আছে। কিন্তু পাপ হতে ধৌত করতে যীশু এই পৃথিবীতে আসলেন এবং বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও পুরাতন নিয়মের যজ্ঞীয় নিয়মের হস্তার্পণ একই। যজ্ঞীয় পশুর উপর হস্তার্পণের দ্বারা ইস্রায়েল জাতির পাপ পশুর উপর অর্পণ করা হত। যার জন্য আমরা পুরাতন নিয়মে, বিশেষতঃ লেবীয় পুস্তকে “তাঁর (বা তাদের) হস্তার্পণ” কথাটি বার বার খুঁজে পাই। 
যীশু যখন বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তখন আপনার পাপসমূহ কি যীশুতে অর্পিত হয়েছিল? যীশু যখন বাপ্তাইজিত হচ্ছিলেন, তখন তিনি বললেন, “এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত” (মথি ৩:১৫)। “এইরূপে” শব্দটির গ্রীক শব্দ হচ্ছে “যঁ:ড়ং”, যার অর্থ হল “এই পথে”, “খুবই উপযুক্ত”, বা “এছাড়া অন্য কোন পথ নেই”। এই বাক্যটি বলে যে, যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে যীশু সমস্ত মানবজাতির পাপ নিজের উপরে অখন্ডনীয়রূপে তুলে নিয়েছেন। কারণ, যীশু যে মুহূর্তে বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তটি ছিল চরম মুহূর্ত। আমি এই মুহূর্তকে কখনো ভুলব না। আপনি এই বাক্য অবশ্যই মনে রাখবেন, যদিও এটা পরিষ্কার অক্ষরে লেখা রয়েছে। প্রতিদিন জল ও আত্মার সুসমাচার ধ্যান করে আপনি হৃদয়ে বিশ্বাস করবেন। 
আমরা পাপহীন হতে পারি ও স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারি, যদি আমরা হৃদয়ে বিশ্বাস করি যে, যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। আমরা কি অন্য কোন মাধ্যমে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারি? আপনি সবসময় চিন্তা করবেন যে, আপনি যত বড় হবেন, আপনি তত ভদ্র ও নিয়মানুবর্তী হবেন। কিন্তু আপনি দেখবেন, আপনি যত বড় হচ্ছেন, আপনি তত ন্যক্কারজনক হচ্ছেন। আপনি যদি মনে করেন যে, সময় কাটিয়ে আপনি দয়ালু ও আত্ম-নিয়মানুবর্তী হতে পারবেন। তবে আপনি শীঘ্রই স্বীকার করবেন যে, আপনি তা করতে অক্ষম হচ্ছেন। আসল বিষয়টা হচ্ছে, আমরা যত বড় হই, আমরা তত অধৈর্য্যশীল হই ও রাগকে আটকে রাখতে পারি না। আমরা কি এটা করতে পেরেছি। বরঞ্চ আমরা নিজেদের কাজ দ্বারা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারব। কিন্তু আমাদের ঐ প্রকার কোন কর্মক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র পাপ, শয়তানি ও রাগ আমাদের হতে উৎপন্ন হয়। 
আমি আপনাদেরকে যা বলতে চাচ্ছি, তা হল পরিত্রাণ কার্য দ্বারা অর্জিত হয় না, কিন্তু বিশ্বাসে অর্জিত হয়। ইব্রীয় ১১:১ পদ বলে যে, “আর বিশ্বাস প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান, অদৃশ্য বিষয়ের প্রমাণপ্রাপ্তি।” যদিও আমরা তাঁকে দেখি নি, তিনি আমাদের জীবনে কাজ করেন। আমাদের অগোচরে ঈশ্বর এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর বাক্যের দ্বারা তিনি সত্যের পরিত্রাণ দেখিয়েছেন। এই পরিত্রাণের সত্য হৃদয়ে বিশ্বাস করে, আমরা হৃদয়ে সমস্ত পাপ হতে ধৌত ও পরিত্রিত হতে পারি। এটি এখনো ক্ষমতাশালী। অতএব, পাপীরা এখন হৃদয়ে এটি বিশ্বাস করে পরিত্রাণ পেতে পারে। নিজেদের কার্যের দ্বারা পাপ হতে উদ্ধার পেতে পারবে না। 
মহাযাজকের মুকুটের সামনের দিকে সোনার পাত লাগানো জল ও আত্মার সুসমাচার জানব ও এতে বিশ্বাস করব। বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু আপনার ও আমারসহ প্রত্যেকের পাপ তুলে নিয়েছেন। সর্বশক্তিমান যীশু এইরূপে আমাদের পাপ তুলে নিয়েছেন। আমরা এটি জানব ও বিশ্বাস করব। আমরা যখন কান দিয়ে ঈশ্বরের বাক্য শুনব, তখন মাথায় তা জেনে বিশ্বাস করব যে, আমাদের হৃদয় পরিষ্কার। আমরা অনেক পাপ করেছি, এখন ও ভবিষ্যতেও আরো পাপ করব, তাই পাপ হতে আমাদের পরিত্রাণ করতে যীশু এই পৃথিবীতে এসে বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের পাপ তুলে নিয়েছেন। 
যীশু যখন মানবজাতির সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে ধৌত করেছেন, আপনার পাপও তখন যীশুতে অর্পিত হয়েছিল। এই সত্যে বিশ্বাস করে আপনি সমস্ত পাপ হতে উদ্ধার পেতে পারেন। যীশু খ্রীষ্ট, যিনি জল ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণে যখন আমরা বিশ্বাস করব, তখন আপনি ও আমি আমাদের হৃদয়ের পাপ হতে ধৌত হতে পারব। এবং যখন বিশ্বাস করব যে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের শাস্তি তুলে নিয়েছেন, তখন আমরা ঈশ্বরের খুব কাছের সন্তান হই। অতএব, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে আমরা পুনর্জন্মপ্রাপ্ত ও ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি। প্রভু আমাদেরকে এই প্রকার বিশ্বাস দিয়েছেন।
 
 
মহাযাজকের মসীনার পাজামা
 
ঈশ্বর মোশীকে মহাযাজকের জন্য মসীনার পাজামা বানাতে আজ্ঞা দিলেন ও তা যাজককে পরাতে বললেন। বস্ত্রটি যাজকের উলঙ্গতা ঢাকার জন্য কোমর থেকে ঊরু পর্যন্ত পরতে হবে। ঈশ্বর আরো বলেছেন যে, হারোণ ও তাঁর পুত্রের মৃত্যুকে এড়াতে, যখন তারা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণে যাজকের যজ্ঞবেদী উৎসর্গ করার সময় এটি পরে আসবে। তিনি আরো বলেছেন যে, এটি হারোণ ও তাঁর বংশধরদের জন্য অনন্তকালীন প্রতিমূর্তি। 
পাজামাগুলো মহাযাজকের উলঙ্গতা ঢাকার জন্য অন্তর্বাসে পরা হত। ঈশ্বরের সামনে উলঙ্গতা প্রকাশ করা মানে তাঁর সামনে অপবিত্রতা প্রকাশ করা। তাই যাদের পাপ ঈশ্বরের সামনে প্রকাশ পায়, তারা মরে যায়। এই জন্য ঈশ্বর যাজদের উলঙ্গতা ঢেকে দিতে বলেছেন। অন্য কথায়, ঈশ্বর আমাদেরকে আমাদের পাপ ও অপবিত্রতা বিশ্বাসের দ্বারা ঢেকে দিতে বলেছেন। সেই বিশ্বাস হল তাঁর ধার্মিকতার খাঁটি সুসমাচারের বিশ্বাস। 
মহাযাজকের সাদা মসীনার পাজামা কি? সেগুলো হলো ঈশ্বরের ধার্মিকতার উপর বিশ্বাস। ঈশ্বর আমাদেরকে পাপমুক্ত করেছেন, এটি হলো সেই খাঁটি পরিত্রাণের সত্য। যীশু খ্রীষ্ট যিনি নিজেই ঈশ্বর (বেগুনি সূতা) এই পৃথিবীতে আসলেন, বাপ্তাইজিত (নীল সূতা) হলেন, তাঁর রক্ত সেচন করলেন ও ক্রুশে মরলেন (লাল সূতা), মৃত্যু থেকে আবার উঠলেন এবং এইরূপে সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন। হৃদয়ে মসীনার পাজামার পরিত্রাণ পরিধান করে বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের পাপ ধৌত করেছেন এবং আমাদের পরিবর্তে আমাদের পাপের দন্ডের বেতন পরিশোধ করেছেন। এতে বিশ্বাস করে আমরা সম্পূর্ণরূপে পরিত্রিত হতে পারি এবং ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি ও তাঁর রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। 
যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করাই সমস্ত ময়লা হতে মুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায়। বিশেষতঃ, নীল সূতায় বিশ্বাস, যা যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছেন। এই সত্যই পরিত্রাণের সঠিক সত্য যা আমাদের পাপ ধৌত করে। এবং এতে বিশ্বাস করে আমরা আমাদের সমস্ত অপবিত্রতা ঢাকতে পারি। আমরা কেমন করে অপর্যাপ্ততা ও পাপ নিয়ে দ্বিধা ছাড়া ঈশ্বরের সামনে আসতে পারি? এটা সম্ভব, যখন আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতাতে বিশ্বাস করা যা আমাদের ময়লা নিখুঁতভাবে ঢেকে রাখে। জল ও রক্তের উপর বিশ্বাস যা লাল, নীল ও বেগুনি সূতা, এর মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ করেছেন এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অপবিত্রতাকে ঢাকতে পারব। যীশু এই পৃথিবীতে আসলেন, তাঁর ধার্মিক কার্য দ্বারা আমাদেরকে নিখুঁতভাবে ধার্মিক করেছেন এবং এইরূপে আমাদের অনন্ত পরিত্রাণের ঈশ্বর হয়েছেন। এতে বিশ্বাস করে আমরা পাপমুক্ত হতে পারি। ঈশ্বর যে ধার্মিকতা দ্বারা আমাদের ভালবেসেছেন ও পাপমুক্ত করেছেন, সেই ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে আমরা পাপের দন্ড হতে মুক্ত হতে পারি। ঈশ্বরের ধার্মিকতা হৃদয়ে বিশ্বাস করে আমরা অনন্ত জীবন পেতে পারি। 
আমরা প্রতিদিন পাপ করি। আমরা অবশ্যই উপলব্ধি করব যে, ঈশ্বরের সামনে পরিত্রাণের সাদা মসীনার পাজামা না পরে উপস্থিত হয়, যা নীল, বেগুনি ও লাল সূতার মাধ্যমে আমাদের পাপ ধৌত করেছে, তবে সেই ব্যক্তি মৃত্যুর সম্মুখীন হবে। ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হওয়ার সময় যে বিশ্বাস আমাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে, সেটি হল তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করা। যে বিশ্বাস ঈশ্বরের ধার্মিকতাতে বিশ্বাস করে, সেই বিশ্বাস জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে। ঈশ্বর আমাদেরকে সাদা মসীনার পাজামা পরতে বলেছেন, তাই আমরা অবশ্যই হৃদয়ে বিশ্বাস সহকারে পাপ হতে পরিত্রাণের এই পাজামা পরব। 
যখন আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের সম্মুখে আসি, তখন আমরা মারা পড়ব না। প্রধান যাজকের পোশাকে জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার প্রকাশিত হয়েছে। মহাযাজকের কোন পোশাক আত্মিক অর্থহীন হয় না। আমরা যারা আজকের দিনের মহাযাজক, আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের আদেশ করা কোন পোশাক পরা বাদ দিব না। মহাযাজক যদি মসীনার পাজামা ছাড়া অন্য সব পোশাক পরে, তবে কি হবে? সে অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে। সাধারণ লোকেরা তাদের ইচ্ছামত এই মসীনার পাজামা পরতেও পারে, নাও পরতে পারে। কিন্তু মহাযাজকগণ যদি এটি না পরেন, তবে তারা মারা যাবেন। কারণ তাদের লজ্জাজনক উলঙ্গতা, যা তাদের পাপ ও অপবিত্রতা, তা সঠিকভাবে আবৃত হয় নি। 
আমরা যদি ঈশ্বরের খাঁটি পরিত্রাণে বিশ্বাস না করে ঈশ্বরের সম্মুখীন হই, তবে কি হবে? তিনি যে আমাদের পাপমুক্ত করেছেন, হৃদয়ে এটি বিশ্বাস না করে ও হৃদয়ে পরিত্রাণের পোশাক না পরে যদি আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হই, তবে কি হবে? আমরা পাপীই থেকে যাব। যেসব পাপী এখনো পরিত্রাণ পায় নি, তারা দন্ড পাবে, মৃত্যুবরণ করবে ও অনন্তকালীয় নরকের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, কেননা ‘পাপের বেতন মৃত্যু’। এই জন্য ঈশ্বর আপনার জন্য যে পরিত্রাণের পোশাক প্রস্তুত করেছেন, তা হৃদয়ে পরিধান করব। নীল, বেগুনি ও লাল সূতায় প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাস করে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। 
এই জন্য বাইবেল বলে যে, সোনা, মরিচারোধক ও খুবই মূল্যবান ধাতু “বিশ্বাস” কে নির্দেশ করে। বাইবেলে, সোনা বিশ্বাসকে নির্দেশ করে ও তামা দন্ডাজ্ঞাকে নির্দেশ করে। আমরা দেখতে পাই যে, সোনালী সূতা মহাযাজকের পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হত। এটি নির্দেশ করে যেন আমরা খাঁটি পরিত্রাণের সুসমাচারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি। নীল, বেগুনি ও লাল সূতায় প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাস করি। ঈশ্বর বলেছেন, এটি একটি প্রতিমূর্তি যা অনন্তকাল ধরে রাখা হবে। 
আপনি ও আমি হৃদয়ে ও মনে এই সত্য নির্ভুলভাবে বিশ্বাস করব। সত্য বিশ্বাস অবশ্যই সত্য জ্ঞান, অনুভূতি ও কার্য দ্বারা অর্জিত হয়। আপনার কি এই প্রকার বিশ্বাস ও সত্য আছে? আপনি কি সত্যিই হৃদয়ে নীল, বেগুনি ও লাল সূতায় প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাস করেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং এর জন্য তিনি বাপ্তাইজিত হয়ে, রক্তসেচন করে ও মৃত্যু থেকে আবার উত্থাপিত হয়ে আপনার পাপসমূহ ধৌত করেছেন? আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে এই সত্যে বিশ্বাস করেন, তবে আপনি হৃদয়ে ও আত্মায় পরিত্রাণের পোশাক দ্বারা আচ্ছাদিত হয়েছেন। 
ঈশ্বর ইস্রায়েলের লোকদের তিরষ্কার করেছেন, যেমন প্রেরিত পৌল বলেছেন, “ফলতঃ ঈশ্বরের ধার্মিকতা না জানায়, এবং নিজ ধার্মিকতা স্থাপন করিবার চেষ্টা করায়, তাহারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বশীভূত হয় নাই” (রোমীয় ১০:৩)। যারা নিজেদের দৃশ্যতঃ ভাল কাজের দ্বারা নিজেদের ধার্মিকতাকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা নিয়ে গর্ব করে, ঈশ্বর তাদেরকে পছন্দ করেন না। তাঁর ভালবাসা থেকে বেশি ভাল কাজ ঈশ্বর আমাদের জন্য করেছেন, তাতে যারা বিশ্বাস করে না, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি কিসে বিশ্বাস করেন? আপনি কি ঈশ্বরের ধার্মিকতা নাকি নিজের ধার্মিকতাতে বিশ্বাস করেন? আপনি কি সত্যিই হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন এবং তিনি যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্ত দ্বারা আপনার পাপসমূহ ধৌত করেছেন? আপনি কি এই সত্যে বিশ্বাস করেন, এবং এটি কি সেটি, যাতে আপনি বিশ্বাস করেন? আপনি কি সত্যিই এই সত্য হৃদয়ে ধারণ করেছেন ও এতে বিশ্বাস করেছেন? নাকি আপনি এখনো পাপের পরিত্রাণ পেতে বদান্য জীবন যাপন করার কঠোর চেষ্টা করছেন? 
আপনি অবশ্যই হিতৈষী জীবন যাপন করবেন। এমনকি পুনর্জন্মপ্রাপ্ত হওয়ার পর আপনি আরো হিতৈষী জীবন যাপন করবেন। যাহোক, পবিত্র আত্মায় আপনি প্রথমে জানবেন যে, আসলে ধার্মিক জীবন কেমন। বাইবেল বলে, “কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন” (১পিতর ২:৯)। আজকের ঈশ্বরের যাজকদের, সদয় জীবন যাপন মানে প্রকৃত সুসমাচার প্রচার করা। 
তারা কত অসহায়, যারা সুসমাচারে ও ঈশ্বরের প্রেমে, ঈশ্বর যে যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে রক্ত সেচনের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন, তাতে বিশ্বাস করে না। 
একসময় ভাঙ্গা জাহাজের জেলেদের দল ছিল, যারা ১০ দিন ঝড় ও সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে আমাজান নদীর মুখে পৌছাত। ১০ দিন ধরে পানি না খেয়ে তারা ক্লান্ত হয়ে যেত। পরিশেষে, তারা পরিষ্কার জলের কাছে পৌছাত। যাহোক, নদীর মুখ এত বিস্তীর্ণ ছিল যে, বিস্ময়কর বিষয়টা হল যে, তারা চিনতে পারে না যে, তারা আসলে পানীয় জলের উপরে ভাসছে। ফলে, তারা সবাই মারা যেত, খাওয়ার জলের প্রাচুর্য্য সত্তে¡ও ক্লান্ত হয়ে যেত। তারা কত অসহায়! এটি আত্মিকভাবে বলতে গেলে, আজকের যুগের সমস্ত লোকেরা জানে না যে, তাদের পাপ ইতিমধ্যে যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে রক্তসেচনের মাধ্যমে ধৌত হয়েছে, যার জন্য তারা তাদের পাপের জন্য উন্মত্ত হয়ে যন্ত্রণা ভোগ করছে, আত্মিকভাবে নিঃশেষিত হচ্ছে। 
ঈশ্বর আপনাকে ও আমাকে ভালবাসেন বলে তিনি আমাদের সকলের পাপসমূহ ধৌত করার ধার্মিক কাজ সাধন করেছেন। এই সত্যে বিশ্বাস করে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। বিশ্বাস আমাদেরকে পুনর্জন্ম পেতে সাহায্য করে। পুনর্জন্ম হওয়া মানে আবার ঈশ্বরের সন্তান হয়ে জন্ম গ্রহণ করা। যদিও আমরা একবার পাপী হয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি, তবে যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে স্বীকার করি, তখন আমরা পবিত্র আত্মার কাজের দ্বারা ধার্মিক হই। পাপহীন হয়ে পুনর্জন্মপ্রাপ্ত হয়ে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। 
আপনি কি ঈশ্বরের উপযুক্ত ও পরিত্রাণের ধার্মিক পোশাকে আপনার আত্মাকে আচ্ছাদিত করেছেন? আপনার হৃদয় কি সত্যিই এই সত্যে বিশ্বাস করে? সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, আপনি এই প্রকৃত সুসমাচারে হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করছেন কি না। সত্য উপলব্ধি ও সাংসারিক জগতের শিক্ষার সম্বন্ধে দৃঢ় অভিমত পোষণ করার চেষ্টা না করে, আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করবেন, যা পাপ হতে পরিত্রাণপ্রাপ্তদের আপনি শিক্ষা লাভ করেন। সত্য সুসমাচার এমন নয় যে, আপনি শুধুমাত্র জানবেন, কিন্তু এটি হৃদয়ে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। এতে সত্য বিশ্বাসের দ্বারা আপনি স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবেন। ভ্রাতা ও ভগ্নীগণ, ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের প্রতি কিসের আশীর্বাদ দিতে রাজী হয়েছেন? তাঁর একমাত্র পুত্রের উৎসর্গের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর নিজের সন্তান করেছেন। 
এই পৃথিবীর মানুষ ধার্মিক কাজ করতে চায়। এবং যারা ভাল কিছু করে তাদেরকেও শ্রদ্ধা করে। যীশু, যিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাঁর কাজ কি ধার্মিক নয়? জল ও আত্মার সুসমাচার মানব কর্তৃক সৃষ্ট হয় নি। এটি খুব পবিত্র ও ধার্মিক কাজ, যা ঈশ্বর বিশেষভাবে আমাদের জন্য সম্পন্ন করেছেন। কারণ, যীশু জগতের সমস্ত লোকের জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন ও ক্রুশে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, যার জন্য আমরা তাঁকে আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হিসেবে জেনেছি। এটা কোন বিষয় নয় যে, কখন ও কোথায় শুধুমাত্র এক জন ধার্মিক ব্যক্তি আছেন এবং তিনি যীশু খ্রীষ্ট একা। এই গ্রহে একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া এমন কেউ নেই যে, নিজে নিজেই ধার্মিক হয়েছে। 
আপনি কি ধার্মিক হতে চান? আপনার জন্য কৃত ঈশ্বরের ধার্মিক কাজে বিশ্বাস করে আপনি ধার্মিক ব্যক্তি হতে পারেন। জল ও আত্মার সুসমাচার হচ্ছে ঈশ্বরের ধার্মিক কাজ। যীশুতে বিশ্বাস করা, যিনি এই ধার্মিক কাজ করেছেন। আমাদেরকে ভালবাসেন বলে ঈশ্বর আমাদের সকলের পাপ ধৌত করেছেন। যখন আমরা সত্য বিশ্বাস দ্বারা তাঁর প্রেম গ্রহণ করি, তখন আমরাও পবিত্র হই, যেমন ঈশ্বর পবিত্র। ঈশ্বর বলেছেন, “তোমরা পবিত্র হইবে, কারণ আমি পবিত্র” (লেবীয়পুস্তক ১১:৪৫)। আসলে ঈশ্বর আমাদেরকে আমাদের বিশ্বাসের জীবন বিশ্বাসে যাপন করতে বলেছেন। আপনি কি সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যীশুর ধার্মিকতার কাজে বিশ্বাস করেন, যা আমাদেরকে নিখুঁতভাবে আমাদের সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করেছে? আমি বিশ্বাস করি যে, এই জগতের সর্ব ধার্মিক কার্য ইতিমধ্যে আমাদের প্রভুর আত্মিক উৎসর্গ দ্বারা পূর্ণ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ, তাঁর ক্রুশে রক্তসেচন ও তাঁর মৃত্যু থেকে আবার উত্থাপনের দ্বারা সাধিত হয়েছে। 
আমি বিশ্বাসের সহিত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে, তিনি তাঁর সত্য বাক্য দ্বারা আমাকে এই সব দিয়েছেন।