বাবিল বলতে বাইবেলে ঈশ্বর থেকে বিছিন্ন জগতকে বোঝানো হয়েছে৷ পুরাতন নিয়মে “বাবিলের উচ্চগৃহ” এর কাহিনীতে রয়েছে৷ যেহেতু মানুষ একত্রিত হয়ে ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করার উদ্দেশ্যে এবং নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাবিলের উচ্চগৃহ নির্মান করতে গিয়েছিল; তখন ঈশ্বর তাদেরকে বাধা দিলেন, তাদের জন্য ভাষার ভেদ সৃষ্টি করলেন এবং তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ল৷
তেমনিভাবে, বর্তমান সেই বাবিলের উচ্চগৃহের সময়ের সমরূপ৷ পৃথিবীর রাজারা ব্যভিচার করছে, জাগতিক বিলাসিতাপূর্ণ জীবনযাপন করছে, বনিকেরা ঈশ্বরকে অগ্রাহ্য করেছে এবং পৃথিবীর ধন-সম্পত্তি বেচাকেনায় খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ ধর্মের নামে ভ্রান্ত ভাববাদীরা বড় গলায় চিত্কার করছে, তারা মানুষের হৃদয় নিয়ে ব্যবসা করছে জগতের সম্পদের দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ করছে৷ তারা পার্থিব বিষয় ভালোবেসেছে, তাদের বক্তব্য হল এই যে, এ যাবৎ এররম উন্নত পৃথিবী আর কখনও দেখা যায় নি৷
একইভাবে, যখন শেষকাল উপস্থিত হবে, পৃথিবী তখন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এতটাই কলুষিত হবে এবং পাপে এত বিস্তৃত হয়ে যাবে যে, তখন ঈশ্বরের নিজের তৈরী পৃথিবী নামিয়ে আনা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না৷ পৃথিবীকে মাত্রাতিরিক্ত ভালবাসার কারণে মানুষ পৃথিবীকে নিজের ঈশ্বর হিসাবে গন্য করেছে এবং জাগতিকভাবে জীবনযাপন করছে৷ এইভাবে পৃথিবী পাপের শয্যায় পরিণত হয়েছে, এবং মানুষ সেই শয্যায় পাপের মদিরায়মাতাল হয়েছে, এবং এই পাপের ফলেই পৃথিবী তার নিজের ধ্বংসের পরিণতি ডেকে এনেছে৷ এই জন্য ঈশ্বর কর্তৃক আনীত সপ্তবাটির মহামারী দ্বারা পৃথিবী আক্রান্ত হবে৷
এই পৃথিবী কেন সপ্তবাটির মহামারী দ্বারা পৃথিবী আক্রান্ত হবে, তার আর একটা কারণ, যেহেতু মানুষ জাগতিক বিষয়ের প্রতি আসক্ত হবে এবং শয়তান ও খ্রীষ্টারীর দাসে পরিণত হবে, এবং খ্রীষ্টারী অনুসারীদের সাথে একত্রিত হবে, এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা যারা নুতন জন্ম লাভ করেছে, তখন তারা সাক্ষ্যমর হবে৷
যখন শেষকাল উপস্থিত হবে, মানুষ খ্রীষ্টারীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং শয়তানের ছাব গ্রহণ করবে এবং এইভাবে মন্দ শক্তির অনুসারী হবে৷ কারণ, এই পৃথিবীর মানুষেরা খ্রীষ্টারীর সাথে একমত হয়ে ঈশ্বরের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং ঈশ্বরের সন্তানগণকে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ সাধুগণের প্রতি তাদের অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ক্লেশ এসবের প্রতিশোধ ঈশ্বর অবশ্যই তাদের কাছ থেকে নেবেন৷