Search

説教集

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-33] প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ (যাত্রাপুস্তক ২৮:১-১৪)

প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ
(যাত্রাপুস্তক ২৮:১-১৪)
“আর তুমি আমার যাজক হইবার জন্য ইস্রায়েল-সন্তানগণের মধ্য হইতে তোমার ভ্রাতা হারোণকে ও তাহার সঙ্গে তাহার পুত্রগণকে আপনার নিকটে উপস্থিত করিবে। হারোণ এবং হারোণের পুত্র নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরকে উপস্থিত করিবে। আর তোমার ভ্রাতা হারোণের জন্য, গৌরব ও শোভার নিমিত্তে তুমি পবিত্র বস্ত্র প্রস্তুত করিবে। আর আমি যাহাদিগকে বিজ্ঞতার আত্মায় পূর্ণ করিয়াছি, সেই সকল বিজ্ঞমনা লোকদিগকে বল; যেন আমার যাজনার্থে হারোণকে পবিত্র করিতে তাহারা তাহার বস্ত্র প্রস্তুত করে। এই সকল বস্ত্র তাহারা প্রস্তুত করিবে- বুকপাটা, এফোদ, পরিচ্ছদ, চিত্রিত অঙ্গ রক্ষক বস্ত্র, উষ্ণীষ ও কটিবন্ধন; তাহারা আমার যাজনার্থে তোমার ভ্রাতা হারোণের ও তাহার পুত্রগণের নিমিত্তে পবিত্র বস্ত্র প্রস্তুত করিবে। তাহারা স্বর্ণ এবং নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মসীনা সূত্র লইবে। আর তাহারা স্বর্ণ এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূত্রে শিল্পকারের কর্ম দ্বারা এফোদ প্রস্তুত করিবে। তাহার দুই মুড়াতে পরস্পর সংযুক্ত দুই স্কন্ধপটি থাকিবে; এইরূপে তাহা যুক্ত হইবে; এবং তাহা বদ্ধ করিবার জন্য বুনানি করা যে পটুকা তাহার উপরে থাকিবে, তাহা তৎসহিত অখন্ড এবং সেই বস্ত্রের তুল্য হইবে; অর্থাৎ স্বর্ণে এবং নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূত্রে হইবে। পরে তুমি দুইটি গোমেদ মণি লইয়া তাহার উপরে ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম খোদাই করিবে। তাহাদের জন্মক্রম অনুসারে ছয় নাম এক মণির উপরে ও অবশিষ্ট ছয় নাম অন্য মণির উপরে খুদিত হইবে। শিল্পকর্ম ও মুদ্রা খোদাই করিবার ন্যায় সেই দুইটি মণির উপরে ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম খোদাই করিবে, এবং তাহা দুই স্বর্ণস্থালীতে বদ্ধ করিবে। আর ইস্রায়েল-সন্তানদের স্মরণার্থক মণিস্বরূপে তুমি সেই দুই মণি এফোদের দুই স্কন্ধপটিতে দিবে; তাহাতে হারোণ স্মরণ করাইবার নিমিত্তে সদাপ্রভুর সম্মুখে আপনার দুই স্কন্ধে তাহাদের নাম বহিবে। আর তুমি দুই স্বর্ণাস্থালী করিবে, এবং নির্মল স্বর্ণ দ্বারা পাকান দুইটি মাল্যবৎ শৃঙ্খল করিয়া সেই পাকান শৃঙ্খল সেই দুই স্থালীতে বদ্ধ করিবে।” 
 
 
আসুন আমরা এখন প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রতি লক্ষ্য করি। প্রধান যাজক যে পোশাক পরতেন, সেটির মধ্যে অন্যতম উপকরণ হচ্ছে এফোদ। এই এফোদ সোনালী, বেগুনি, নীল, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা দ্বারা তৈরি ছিল। প্রধান যাজকের পবিত্র পোশাক একজন দক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, যিনি শৈল্পিকভঅবে এই পাঁচটি সূতা দিয়ে নকশা করেছিলেন। 
বাইবেলে উল্লেখিত সোনালী সূতাটি এখানে সত্য বিশ্বাসের সম্পর্কে বলে। প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত নীল সূতাটি বাপ্তিস্মকে নির্দেশ করে, যা সমগ্র মানবজাতির পাপগুলো বহন করার জন্য যীশু খ্রীষ্টকে যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে নিতে হয়েছিল (মথি ৩:১৫)। বেগুনি সূতাটি রাজাধিরাজের বিষয়ে বলে, এবং লাল সূতাটি যীশু খ্রীষ্টের আত্মত্যাগের বিষয়ে বলে, যা তিনি সমগ্র মানবজাতির পাপের শাস্তি বহন করার সময়ে সহ্য করেছিলেন। আর প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত সাদা সূতাটি ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে প্রকাশ করে, যেটি নীল, বেগুনি ও লাল সূতা দ্বারা প্রত্যেকের পাপ দূর করেছে। 
প্রধান যাজকদের দায়িত্বগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি ছিল ঈশ্বরের কাছে উপহার উৎসর্গ করা। বলি নিয়মানুসারে ঈশ্বরের কাছে উপহার উৎসর্গের মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন করে, প্রধান যাজক শুধুমাত্র ঈশ্বরের সেবাই করতেন না, কিন্তু এটি এই অর্থও প্রকাশ করে যে, ইস্রায়েল জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে তিনি তাদেরকে সাহায্য করতেন। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, প্রধান যাজকের প্রথম ও সর্বপ্রধান দায়িত্ব ছিল ঈশ্বরের সেবা এবং আরাধনার জন্য তাঁর কাছে উপহার উৎসর্গ করা। 
এই বিষয়টি প্রমাণ করতে যাত্রাপুস্তক ৩২ অধ্যায়ে উল্লেখিত ঘটনাটি আপনাদের কাছে আমি উল্লেখ করছি। মোশি যখন ঈশ্বরের কাছ থেকে দশ আজ্ঞা নিতে সীনয় পর্বতে গিয়েছিলেন, তখন মোশিকে সেই পাহাড় থেকে নামতে দেখে ইস্রায়েল জাতি হারোণকে বলেছিলেন, “উঠুন, আমাদের অগ্রগামী হইবার জন্য আমাদের নিমিত্ত দেবতা নির্মাণ করুন, কেননা যে মোশি মিশর দেশ হইতে আমাদিগকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন, সেই ব্যক্তির কি হইল, তাহা আমরা জানি না” (যাত্রাপুস্তক ৩২:১)। তখন ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে সোনার আংটি, কানের দুল এবং অন্যান্য গয়না নিয়ে হারোণ তাদের জন্য বাছুরের আকারে একটি মূর্তি তৈরি করলেন। এরপরে ইস্রায়েলের লোকজন বলেছিল, “হে ইস্রায়েল, এই তোমার দেবতা, যিনি মিশর দেশ হইতে তোমাকে বাহির করিয়া আনিয়াছেন” (যাত্রাপুস্তক ৩২:৪)। এটা দেখে হারোণ সেই বাছুরের সামনে একটি বেদী তৈরি করলেন এবং পরবর্তী দিনটিকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ঊৎসবের দিন হিসেবে ঘোষণা করলেন। 
পরবর্তী দিনটি যখন আসল, ইস্রায়েলের লোকজন হোমবলি এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করতে থাকল; তারপরে তারা ভোজন পান করতে বসল, এবং হৈহুল্লোর করে আমোদ প্রমোদ করার জন্য উঠে দাঁড়াল। ঈশ্বরের সাক্ষাতে এটি একটি বড় অপরাধ হল, এবং ইস্রায়েল জাতিকে তাঁর ভয়ঙ্কর শাস্তির সম্মুখীন হতে হল। আমাদেরকে এই ঘটনাটি অবশ্যই মনে রাখা উচিত। প্রধান যাজক হারোণেরও অবশ্যই কিছু দূর্বলতা ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ঈশ্বরের ইচ্ছা মান্য করতে হতো, কারণ এটা ভুলে গেলে হতো না যে, একজন প্রধান যাজক হিসেবে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল ঈশ্বরের সেবা করা। কিন্তু প্রধান যাজক হিসেবে হারোণ তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রধান যাজকের দায়িত্ব পালন করার সময়ে, ঈশ্বর কর্তৃক স্থাপিত বলি উৎসর্গের নিয়মানুসারে তাঁকে হোমবলি এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করতে হতো, এতে তাঁর লোকজন তাঁকে অনুসরণ করুন বা না করুক, সেটা কোন মুখ্য বিষয় ছিল না। 
এক কথায়, হারোণ প্রধান যাজকের একমাত্র দায়িত্ব ছিল ঈশ্বরের সেবা করা। কিন্তু আজকের দিনে, ধর্মযাজকেরা শুধুমাত্র লোকদের জন্য কাজ করে, ঈশ্বরের জন্য করে না। এটা চিন্তা করে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হই যে, আজকের দিনের অধিকাংশ আধুনিক যাজকেরা এরকম ভুল ধারণা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও আমি এত দুশ্চিন্তিত নই, কারণ এদের মধ্যেও অনেক বিশ্বস্ত যাজক খুঁজে পাওয়া যাবে। লোকদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে, যাজকদেরকে বলি উৎসর্গের নিয়মানুসারে ঈশ্বরের কাছে সঠিকভাবে বলি উৎসর্গ করে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করা উচিত। 
আমাদেরকে এই অনুচ্ছেদে বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবে, যেখানে ঈশ্বর মোশিকে বলেছেন, “তুমি আমার যাজক হইবার জন্য ইস্রায়েল-সন্তানগণের মধ্য হইতে তোমার ভ্রাতা হারোণকে ও তাহার সঙ্গে তাহার পুত্রগণকে আপনার নিকটে উপস্থিত করিবে” (যাত্রাপুস্তক ২৮:১)। ঈশ্বর হারোণকে প্রধান যাজকের পোশাক পরিধান করিয়েছিলেন, যেটি প্রথমতঃ এবং প্রধানতঃ ঈশ্বরের সেবা করার উদ্দেশে আলাদাভাবে তাঁর জন্য বানানো হয়েছিল। আজকের প্রত্যেক ধর্মযাজককে এটা না ভুলে যাওয়া উচিত যে, প্রধান যাজকের পোশাক সোনালী, নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা দ্বারা তৈরি ছিল। 
 
 

প্রধান যাজকের দায়িত্বগুলি সম্পন্ন করতে

 
প্রায়শ্চিত্তের দিনে, বছরে একবার ইস্রায়েলীয়দের পাপগুলো দূর করতে, বলি প্রাণী মাথার উপরে হস্তার্পণের মাধ্যমে প্রধান যাজককে তাদের সমস্ত পাপগুলো সেটিতে অর্পণ করতে হতো, হোমবলির বেদীতে সেটির রক্ত রাখতে হতো, এবং অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে সেটি ছিটিয়ে দিতে হতো। ঠিক একইভাবে স্বর্গের প্রধান যাজক, যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির পাপ তুলে নিয়েছেন, তাঁর রক্ত সেচন করেছেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন, মত্যু থেকে আবার জীবিত হয়েছেন এবং এটা যারা বিশ্বাস করে, তাদের পক্ষে এভাবে পরিত্রাণের বিজয় এনেছেন। 
প্রধান যাজক হিসেবে ঈশ্বরের সেবা করার সময় হারোণকে একটি আলাদা পোশাক পরতে হতো যেটিকে বলা হতো “এফোদ”, এবং এটি সোনালী, নীল, বেগুনি, লাল ও সাদা মসীনা সূতা দিয়ে তৈরি ছিল। প্রধান যাজকের এই পোশাক দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে শিখাতে চেয়েছেন যে, পাপের ক্ষমা পেতে আমাদেরকে এইভাবে বলি উৎসর্গ করতে হবে। প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত সোনালী, নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতার গভীর তত্ত্ব উপলব্ধি করতে আমাদেরকে অবশ্যই পাপ ক্ষমার সম্বন্ধে জানতে হবে, যা ঈশ্বরের ধার্মিকতা, তাঁর ভালবাসার দ্বারা সাধিত হয়েছিল। 
প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত পাঁচটি সূতার দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে দেখাতে চেয়েছেন যে, জগত সৃষ্টির পূর্বেও তিনি যীশু খ্রীষ্টেতে পাপ থেকে অনন্তকালীন মুক্তি স্থাপন করেছেন (ইফিষীয় ১:৪)। অতএব, যাজক হিসেবে আমাদেরকে দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে, আমাদেরকে প্রথমে জল ও আত্মার সুসমাচারে উল্লেখিত পাপ ধৌতকরণের বিষয়টা বুঝতে হবে এবং এতে বিশ্বাস করতে হবে। আর এটা হচ্ছে পরিত্রাণের পুর্ব নির্ধারিত প্রমাণ, যা পিতা ঈশ্বর আমাদের জন্য যীশু খ্রীষ্টেতে স্থাপন করেছেন। 
প্রধান যাজককে তাঁর যাজকীয় দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে তাঁকে সঠিকভাবে ঈশ্বরের কাছে বলি উৎসর্গ করতে হবে- কারণ, লোকদের পাপ ক্ষমার জন্য, তাঁকে বলি উপহারের মাথায় হস্তার্পণ করতে হতো এবং তিনি উৎসর্গের নিয়মানুসারে তাদের পাপগুলো সেটিতে অর্পণ করতেন। প্রায়শ্চিত্তের দিনে, বলি উপহারের মাথায় প্রধান যাজককে হস্তার্পণ করতে হতো এবং রক্তপাত করার জন্য সেটির গলা কাটতে হতো। হস্তার্পণের মাধ্যমে ইস্রায়েলীয়দের সারা বছরের পাপগুলো বলি উপহারটিতে হস্তান্তর করা হতো। আর রক্তপাতের মাধ্যমে, তাদের সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত হতো। এবং উৎসর্গের সমাপ্তির জন্য যাজক সেটির রক্ত ছিটিয়ে দিতেন এবং সেটির মাংস পুড়িয়ে ফেলতেন। তিনি তার লোকদের পাপ ক্ষমার জন্য এইভাবে বলি উৎসর্গ করতেন। 
আমাদেরকে এই অংশে বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবেঃ প্রধান যাজককে তাঁর লোকদেরকে শিক্ষা দিতে হতো যে, সেই উপহার আগুন দিয়ে পোড়ানোর পূর্বেই তাদের পাপগুলো বলি উপহারে হস্তান্তরিত হয়েছে, এবং সেই উপহারটির রক্তপাত এবং সেটিতে হস্তার্পণের মাধ্যমে তাদের পাপের ক্ষমা সাধিত হয়েছে। এটাই প্রত্যেক প্রধান যাজকের সবচেয়ে মহৎ দায়িত্ব ছিল। প্রধান যাজক ছিলেন এমন একজন লোক যাঁকে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হতো। অন্যদিকে, তাঁকে জল ও আত্মার সুসমাচারের একজন বিশ্বস্ত তত্ত্বাবধায়ক হতে হতো। যদিও প্রধান যাজক ইস্রায়েলের সাধারণ লোকদের মতোই একজন দূর্বল মানুষ ছিলেন, কিন্তু তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে উপহার উৎসর্গ এবং বলি উৎসর্গের নিয়মে প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাস করে, তিনি তাঁর লোকদেরকে পাপের ক্ষমা পেতে সক্ষম করতেন। ঠিক একইভাবে, যদিও আমরা দূর্বল, কিন্তু স্বর্গের প্রধান যাজক, যীশু আমাদের জন্য এবং আমাদের পাপের ক্ষমা পাওয়ার জন্য যা করেছেন, আমরা যদি সেটি বিশ্বাস করি, তবে আমরা যীশুর সাথে চলতে সক্ষম হব। 
সমাগম তাম্বুর নিয়মে প্রকাশিত বলি উৎসর্গের নিয়ম হচ্ছে পরিত্রাণের জ্ঞান যা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে। ঈশ্বরের যে জ্ঞান আমাদেরকে পাপ থেকে রক্ষা করেছে, সেটি প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত সোনালী, নীল, বেগুনি, লাল ও সাদা মসীনা বস্ত্রে তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান যাজককে তাঁর দায়িত্বগুলি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য, তাঁকে এই বিষয়ে অন্যদেরকে শিক্ষা দিতে হবে যে, মানবজাতিকে নিষ্কলঙ্ক তৈরি করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বলি উৎসর্গের নিয়ম অনুসরণ করা, যেটি ঈশ্বর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজকের রাজকীয় যাজকদের মত (১পিতর ২:৯), আমাদেরকে অবশ্যই সবসময় এই সাক্ষ্য বহন করতে হবে যে, যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়ে এই পৃথিবীর সমস্ত পাপ একবারে তুলে নিয়েছেন, আমাদের পরিবর্তে তাঁর রক্ত সেচন করেছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন, কবরপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং আমাদের জন্য মৃত্যু থেকে আবার জীবিত হয়ে উঠেছেন। 
মানুষেরা কি নিজেদের পাপ থেকে নিজেরাই রক্ষা পেতে পারে? এই পৃথিবীর ধর্মগুলো কি মানবজাতির সমস্ত পাপ দূর করে দিতে পারে? প্রধান যাজক আমাদেরকে যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন যে, কেবলমাত্র যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্তের দ্বারা স্থাপিত পরিত্রাণের সত্যের মাধ্যমে আমাদের পাপগুলো মোচন সম্ভব হতে পারে। শুধুমাত্র ঈশ্বর কর্তৃক স্থাপিত পরিত্রাণের সুসমাচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা পেতে পারি। স্বর্গরাজ্যের চিরকালীন প্রধান যাজক, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই মানবজাতির পাপের ক্ষমা হতে পারে। অন্যদিকে, যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং ঈশ্বর যেহেতু রক্তমাংসের শরীরে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, এবং যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন বলে, আমাদের মত পাপীদের অন্যায়গুলো ধুয়ে দিতে ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছেন। যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে, তাঁর রক্ত সেচন করে এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে তিনি আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড সহ্য করেছেন। এই পবিত্র কাজের মাধ্যমে পাপ থেকে মানবজাতির পরিত্রাণ সাধন করেছেন (রোমীয় ৫:১৮)। যীশু আমাদের জন্য যা করেছেন, তিনি যদি তা না করতেন, তবে আমরা কখনো রক্ষা পেতে পারতাম না। স্বর্গের এই প্রধান যাজক, যিনি জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে আমাদের পাপগুলো দূর করে, আমাদেরকে পবিত্র ঈশ্বরের সন্তান করেছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্ট ব্যতিরেকে আর কেউ নন। 
স্বর্গের আধ্যাত্মিক প্রধান যাজক পিতা ঈশ্বরের পরিত্রাণের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন, যেটি আমাদের পাপ ক্ষমার জন্য পূর্ব নির্ধারিত ছিল। আর এজন্যই যীশু বলেছেন, “আমি আলফা এবং ওমিগা, প্রথম ও শেষ, আদি এবং অন্ত” (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৩)। শুরু এবং শেষ নিয়ে তাঁর সঠিক জ্ঞান দিয়ে, বলি উৎসর্গের পদ্ধতিতে উল্লেখিত তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে যীশু আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন। আমাদের পাপগুলো এবং দূর্বলতাগুলোর জন্য আমাদেরকে যেন কখনো ধ্বংস হতে না হয় এবং দন্ড পেতে না হয়, সেজন্য তিনি এটা সম্ভব করেছেন। স্বর্গের প্রধান যাজক আমাদের জন্য যা করেছেন, তা হলো- বাপ্তাইজিত হয়ে তিনি সমগ্র মানবজাতির পাপগুলো তুলে নিয়েছেন, তাঁর রক্ত সেচন করে তিনি সেগুলো দূর করে দিয়েছেন, এবং এভাবেই তিনি আমাদের জন্য উত্তর পরিত্রাণ সাধন করেছেন। ঈশ্বরের জ্ঞান সমগ্র মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ দেয়। আর এটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনার সূতা দ্বারা সাধিত হয়েছিল। পিতা ঈশ্বর নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে গুপ্ত সত্যের দ্বারা যীশু খ্রীষ্টেতে সমস্ত পাপের চিরক্ষমার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন এবং এই সত্যে বিশ্বাসীদের পক্ষে তিনি উত্তমভাবে পরিত্রাণ সাধন করেছেন। 
 
 

প্রধান যাজকের এফোদের বন্ধনী

 
প্রধান যাজকের পোশাকগুলির মধ্যে এফোদের জন্য একটি বন্ধনী ছিল। প্রধান যাজক কর্তৃক তাঁর এফোদের জন্য পরিহিত কোমরবন্ধনীটিও ছিল সোনালী, নীল, বেগুনি এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের তৈরি। একটি বন্ধনী সাধারণত “শক্তি”-কে নির্দেশ করে। অন্যদিকে, এটি আমাদেরকে বলে যে, যে বিশ্বাস নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে সাধিত পরিত্রাণে বিশ্বাস করে, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে এটির সেই শক্তি আছে। শুধুমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারেই ঈশ্বরের শক্তি আছে, যেটি যারা বিশ্বাস করে তাদের প্রত্যেককে রক্ষা করে (রোমীয় ১:১৬)। ফলে, এখানে নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে যা উল্লেখিত আছে, সেটি থেকে বিচ্ছিন্ন যে কোন কৃত্রিম সুসমাচারে বিশ্বাস করাটা ব্যর্থ চেষ্টা করা হবে। 
যাদের অনেক দোষ-ত্রুটি আছে, ঈশ্বর প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে তারাও সঠিকভাবে তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন, কারণ ঈশ্বর কর্তৃক সাধিত পাপ ক্ষমার সত্যের দ্বারা এই পৃথিবীর সমস্ত পাপ যীশু খ্রীষ্টেতে স্থানান্তরিত হয়েছে (মথি ৩:১৫-১৭; লেবীয়পুস্তক ১৬:১-২২)। যাহোক, যারা বিশ্বাস করে যে, নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত যীশুর পবিত্র কাজগুলি তাদেরকে রক্ষা করেছে, তাদের মাংসিক ইচ্ছাশক্তি দূর্বল হওয়া সত্ত্বেও তাদের পরিত্রাণ সম্পর্কে তারা পুণরায় নিশ্চিত হতে পারে। স্বর্গের প্রধান যাজক, যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে আমরা যখন থাকি, তখন কোন কিছু কি আমাদেরকে ঈশ্বরের ভালবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে? নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের পরিত্রাণে আমাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণ হয়েছে। 
যাজকদের পক্ষে তাদের যাজকীয় দায়িত্বগুলি পালন করার জন্য, তারা কোন মিথ্যা সুসমাচারে বিশ্বাস করতে পারেন না, যেটি বলি উৎসর্গের নিয়ম অনুসরণ করে না, কারণ এটি সমাগম তাম্বুতে স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। যারা এধরণের মিথ্যা সুসমাচার প্রচার করে, তারা কত সংযোজন করে তাদের ধর্মীয় উপদেশ প্রচার করে, সেটা কোন বিষয় না, তারা কারো কোন সাহায্য করতে পারে না, কারণ তারা সমাগম তাম্বুতে প্রকাশিত জল ও আত্মার প্রকৃত সুসমাচার এবং ঈশ্বরের সাক্ষ্য বহন করে না। যাহোক, তারা প্রতারক এবং বেতনভোগী ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা যখন স্বর্গের প্রধান যাজক, যীশু খ্রীষ্টকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে গ্রহণ করি, তখন সমাগম তাম্বুর নিয়মাবলীতে উল্লেখিত রক্তপাত এবং হস্তার্পণের বলি উৎসর্গের রীতিটি আমরা অস্বীকার করতে পারি না। আমাদেরকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, এই পৃথিবীতে অসংখ্য মিথ্যা সুসমাচার রয়েছে। তাছাড়া, প্রচারক যিনিই হোন না কেন সেটা কোন বিষয় না, কিন্তু তিনি যদি জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার প্রচার করেন, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই তাঁর উপদেশটি শুনতে হবে এবং সেটি গ্রহণ করতে হবে। 
এফোদের জন্য ব্যবহৃত পাঁচটি উপকরণ এবং এটির কোমর বন্ধনী আমাদের প্রকৃত পরিত্রাণকে নির্দেশ করে। সেগুলি বলি উৎসর্গের নিয়মে উল্লেখিত উপকরণসমূহ ছিল, যেগুলি প্রধানত পুরাতন নিয়মের রক্তসেচন এবং হস্তার্পণের ভিত্তিতে গঠিত, ঈশ্বর প্রদত্ত বলি উৎসর্গের নিয়মানুসারে সঠিকভাবে উৎসর্গ করা হলে, পাপীদের জন্য পাপের ক্ষমা বয়ে আনতো। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা নতুন নিয়মে এই উপকরণসমূহের উল্লেখ আছে; যারা বিশ্বাস করে, তাদের পক্ষে যীশু এভাবে পাপক্ষমার পরিত্রাণ বহন করেছেন। যে কেউ তাঁর সর্বান্তঃকরণে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, সে পাপের ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন গ্রহণ করতে পারে। যারা বর্তমানে প্রধান যাজকের দায়িত্বে নিযুক্ত রয়েছেন, সত্যিকারভাবে সেই পুনর্জাতদের মধ্যে এই সত্যের কথা বলা হয়েছে। 
পৃথিবীস্থ প্রধান যাজক বলি উপহারটির মাথায় হস্তার্পণের মাধ্যমে তাঁর লোকদের সমস্ত পাপ সেটিতে অর্পণ করতেন; এরপরে তিনি সেটির গলা কাটতেন এবং এটির রক্তপাত করতেন, অনুগ্রহ সিংহাসনে সেই রক্ত ছিটিয়ে দিতেন, এবং এভাবে তিনি ঈশ্বরের সম্মুখে প্রকৃত সুসমাচার সমর্থন করে তাঁর যাজকীয় দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করতেন। কিন্তু স্বর্গের প্রধান যাজক হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন; তিনি তাঁর দেহটি উৎসর্গ করে, ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করে এবং মৃত্যু থেকে আবার জীবিত হয়ে তিনি তাঁর লোকদের সমস্ত পাপ সম্পূর্ণভাবে দূর করে দিয়েছেন। এই কাজগুলি করার মাধ্যমে, তিনি তাঁর লোকদেরকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা পেতে সক্ষম করেছেন, এবং ঈশ্বরের পুর্বনির্ধারিত সঙ্কল্প সিদ্ধ করেছেন। বর্তমানে, যীশুর শিষ্যেরা যখন এই সুসমাচার প্রচার করে যে, যীশু খ্রীষ্ট মানবজাতির সমস্ত পাপ দূর করেছেন, তাহলে তারা তাদের যাজকীয় দায়িত্ব সফলভাবে পালন করছে। 
আজকের খ্রীষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের যে অনেক সমস্যা হচ্ছে, এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে এই সম্প্রদায়ে এমন অনেক আধ্যাত্মিক প্রতারক আছে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচার না জানা সত্ত্বেও, তাদের যাজকীয় দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করার দাবি করে। ঈশ্বরের সম্মুখে প্রকৃত যাজক হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা। ঈশ্বরের মন্ডলীর অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন? আমি আপনাদেরকে বলতে পারি যে, পাপীদের মাঝে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে এখনো ঈশ্বরের মন্ডলীর অস্তিত্ব রয়েছে। আর এভাবেই ঈশ্বরের সেবা এবং তাঁর সাদৃশ্যে সৃষ্ট আত্মাগুলিকে ভালবাসতে হয়। 
 
 

এই পৃথিবীর প্রত্যেককে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার জানতে হবে

 
সারা পৃথিবী জুড়ে আজকের খ্রীষ্টিয়ান সম্প্রদায়কে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার জানা উচিত। আমাদের ঈশ্বর বলেছেন, “তোমরা পৃথিবীর লবণ........... তোমরা পৃথিবীর জ্যোতি” (মথি ৫:১৩-১৪)। আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, আমরা হচ্ছি এই পৃথিবীর সত্যের আলো ও আত্মিক লবণ। জল ও আত্মার সুসমাচার যারা জানে এবং এতে বিশ্বাস করে, তারা হচ্ছে আধ্যাত্মিক যাজক। যারা লোকদের জন্য ভালো কাজ করে এবং তাদের পাপের ক্ষমা পেতে তাদেরকে সক্ষম করে। কিন্তু অন্যদিকে, জল ও আত্মার সুসমাচার না জানা সত্ত্বেও যে সকল ধর্মযাজক তাদের যাজকীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার দাবি করে, তারা বেতন ভোগী ছাড়া আর বেশি কিছু নয়। যারা বেতন ভোগী হিসেবে তাদের যাজকীয় দায়িত্ব পালন করে, তারা লোকদেরকে নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান তৈরি করতে পারে, কিন্তু তাদের অনুসারীদের মধ্যে থাকা পাপগুলো তারা ধুয়ে দিতে পারে না। 
তারাই হচ্ছেন প্রকৃত যাজক যাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়েছে, এবং যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে নিষ্কলঙ্কভাবে ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে পারেন। তাদেরকে যাজকীয় দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে এবং ব্যবস্থাগত বলি উৎসর্গ করার দায়িত্ব দেওয়ার ফলে তারা লোকদের সমস্ত পাপ ধুয়ে ফেলতে পারেন, যা তাদের পাপ থেকে ধৌত হতে ঈশ্বর প্রত্যেককে সক্ষম করেন। এমন যাজকদের দ্বারাই ঈশ্বর মানবজাতিকে তাঁর পরিত্রাণের কাজগুলি জানতে, সেগুলিতে বিশ্বাস করতে, তাঁর কাছে ফিরে আসতে এবং ধার্মিক জীবন যাপন করতে সক্ষম করেছেন। যাজকেরা হচ্ছেন এমন লোক, যাদের প্রত্যেককে নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের নিগূঢ়তত্ত্ব উপলব্ধি করানোর এবং এই সত্য ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। যাহোক, আধ্যাত্মিক যাজকত্ব হচ্ছে জল ও আত্মার সুসমাচারের মত সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 
ঈশ্বর আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্য দিয়েছেন, যেন আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের আধ্যাত্মিক যাজকত্বটাকে সম্পন্ন করতে পারি। আমাদেরকে এই বিশ্বাস (সোনালী বস্ত্র) দেওয়ার জন্য আমাদের তাঁকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে, যেটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে গুপ্ত প্রকৃত সুসমাচারে বিশ্বাস করে। আমরা যখন প্রধান যাজকের পোশাক নিয়ে ধ্যান করি, তখন আমরা খুঁজে বের করতে পারব যে, মানবজাতির পাপের ক্ষমা কিভাবে সাধিত হয়েছে। প্রধান যাজকের পোশাক নিয়ে সুক্ষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে, জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রতারকদের দ্বারা রচিত মিথ্যা সুসমাচার দ্বারা ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতিকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেন নি। কিন্তু, জগত সৃষ্টির পূর্বে থেকেই যীশু খ্রীষ্টেতে ঈশ্বর পাপ থেকে আমাদের পরিত্রাণ সম্বন্ধে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন এবং যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও রক্ত সেচনের দ্বারা তিনি সেই সঙ্কল্প সঠিকভাবে সাধন করেছেন। 
প্রধান যাজকের পোশাকগুলির মধ্যে সেখানে নিপূণভাবে বোনা ঢিলে পাজামা এবং পরিচ্ছদও ছিল। আমরাও অন্তর্বাস পরে থাকি, কিন্তু আমরা যেমন অন্তর্বাস পরি, তার থেকে প্রধান যাজকের পোশাকগুলি ছিল আলাদা। প্রধান যাজকের ঢিলে পাজামাটি ছিল সারা দেহ থেকে পা পর্যন্ত ঢোকার একটি লম্বা পোশাক। কারণ, এটি মসীনা সূতা দিয়ে তৈরি ছিল, ফলে এতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারত। প্রধান যাজক যখন হোমবলি উৎসর্গ করতেন, তখন তাদেরকে উপহারটির টুকরোগুলো পোড়ানোর জন্য হোমবলির বেদীতে সেগুলি আনতে হতো। এই বেদী তুলনামূলক উঁচু করে বানানো ছিল, যার ফলে প্রধান যাজকেরা যখন হোমবলি উৎসর্গের বেদীর কাছে আসতেন, তখন তাদের দেহের নিম্নাংশ দেখা যেত। তাই, প্রধান যাজকদের দেহের নিম্নাংশ ঢাকার জন্য ঈশ্বর মোশিকে একটি মসীনার সূতার ঢিলে পাজামা এবং পরিচ্ছদ তৈরি করতে বলেছিলেন, নতুবা তারা কোন পাপকাজে জড়িয়ে পড়ে, তাদের মৃত্যু হতে পারে। 
প্রধান যাজকদের পোশাকগুলো কেমন উজ্জল ছিল? তাঁর বুকে লাগানো বুকপাটাতে বারোটি মূল্যবান পাথর বসানো ছিল, এবং স্কন্ধপটিতেও মূল্যবান পাথর বসানো ছিল। বুকপাটাটি পাকানো দড়ির মতো তৈরি খাঁটি সোনার দুটি শিকল দ্বারা স্কন্ধপটির সাথে দৃঢ়ভাবে বাঁধা ছিল, এবং এফোদ থেকে বুকপাটাটি যেন না পড়ে যায়, সেজন্য এটি এফোদের বন্ধনীর সাথে বাঁধা ছিল। তাই, প্রধান যাজক যখন হাটতেন, তখন খাঁটি সোনার পাকানো শিকলগুলি সামনে পেছনে দুলতো এবং জ্বলজ্বল করত। মোট কথা, ন্যায়বিচারের বুকপাটাতে বসানো বারোটি মূল্যবান পাথরগুলিও জ্বলজ্বল করত, দুই স্কন্ধপটিতে বসানো বড় মূল্যবান পাথরগুলি অস্পষ্টভাবে জ্বলজ্বল করত, এবং সাদা মসীনা সূতা দ্বারা তৈরি পাগড়িতে বসানো সোনার থালাটিও কপালে সোনায় জ্বলজ্বল করত। 
তাহলে সমাগম তাম্বুতে ঠিক কি পরিমাণে সোনা ছিল? এর সব তক্তাগুলি সোনায় মোড়ানো ছিল, এবং অনুগ্রহ সিংহাসন, দীপাধার, দর্শনরুটির মেজ এবং পবিত্র স্থানের এমন অনেক সাজসরঞ্জাম সোনা দিয়ে তৈরি ছিল। সমাগম তাম্বুটি সাধারণত জাকজমক পূর্ণ ছিল। ঠিক সেভাবে, আমরা যখন যীশু খ্রীষ্টের রাজ্যে প্রবেশ করব, তখন আমরা উপলব্ধি করতে পারব যে, এই রাজ্য ঠিক কতটা চমৎকার। বাইরে থেকে সমাগম তাম্বু দেখলে, এটিকে এত আকর্ষণীয় মনে না হতে পারে, কিন্তু যে জানে যে, এতে কি পরিমাণ সোনা ব্যবহৃত হয়েছে, সেই মিশ্রিত সোনার ওজন এক টনেরও বেশি হতে পারে। সমাগম তাম্বুতে ব্যবহৃত মোট সোনার পরিমাণ ছিল ঊনত্রিশ তালন্ত সাতশো ত্রিশ শেকল (যাত্রাপুস্তক ৩৮:২৪) এবং আমরা যদি এটিকে আজকের পরিমাপ পদ্ধতিতে গণনা করি, তাহলে এটি প্রায় এক টনেরও বেশি হতে পারে, কারণ এক তালন্ত বা (=৩০০০ শেকল) এর ওজন ৪২ কিলোগ্রাম। 
আপনি কি সোনা এবং নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা দিয়ে বিশ্বাসের পোশাক প্রস্তুত করেছেন? এখানে উল্লেখিত সোনা বিশ্বাসের নির্দেশ করে; নীল সূতাটি যীশু যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেটিকে নির্দেশ করে; বেগুনি সূতাটি স্বয়ং ঈশ্বর, যীশুর পবিত্রতাকে নির্দেশ করে; লাল সূতাটি আমাদেরকে বলে যে, যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, এবং ক্রুশে তাঁর মূল্যবান রক্ত সেচন করেছেন; এবং সাদা মসীনা সূতাটি ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে বলে, যেটি ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে প্রকাশ করে। একইভাবে, প্রধান যাজকের পোশাক এবং তাম্বু-দ্বারে ব্যবহৃত নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন। 
 
 

এই সত্যে বিশ্বাস সহকারে আমরা যখন ঈশ্বরের সম্মুখে আসি, আমরা আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা পেতে পারি

 
আমরা যখন ঈশ্বরের সম্মুখে আসি, তখন আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাস থাকা উচিত, যেটি তাম্বু দ্বার এবং প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত পরিত্রাণের সত্যে বিশ্বাস করে। প্রায়শ্চিত্তের দিনে প্রধান যাজক যখন বলি উৎসর্গ করতেন, তখন তাকে বলি উপহারটির মাথায় হস্তার্পণ করতে হতো এবং এটির গলা কেটে এর রক্তসেচন করতে হতো। হস্তার্পণের মাধ্যমে, তার লোকদের সমস্ত পাপ সেই বলি প্রাণীতে স্থানান্তরিত হতো এবং রক্তপাতের মাধ্যমে সেই পাপগুলি মুছে যেত। আর যে এটিতে বিশ্বাস করে না, সে ঈশ্বরের সম্মুখে যেতে পারে না। এই বিশ্বাস ব্যতিরেকে ঈশ্বরের কাছে বলি উৎসর্গ করার চেষ্টা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে মূর্খতা। বলি উৎসর্গের নিয়ম এবং সমাগম তাম্বুর উপকরণসমূহ এই সবগুলিই বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যেটি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে। ঈশ্বরের দ্বারা কথিত বাক্যে তার বিশ্বাসের মাধ্যমে, বলি উৎসর্গের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়ে, প্রধান যাজক ঈশ্বরের সম্মুখে আসতে পারতেন এবং তার লোকদের জন্য সঠিকভাবে তার যাজকীয় দায়িত্ব পালন করতে পারতেন।
কিন্তু, আমাদের বিশ্বাস এখন কেমন? এই বর্তমান যুগে আপনি এবং আমি যে, এই সত্য জানি এবং এতে বিশ্বাস করি, এবং বিশ্বাস সহকারে ঈশ্বরের সম্মুখে জীবন যাপন করি, আমরাও তাঁর রাজকীয় যাজক (১পিতর ২:৯)। আপনার বিশ্বাসটাও কি সেই বিশ্বাসের সাথে এক, যেটি পুরাতন নিয়মে উল্লেখিত বলি উৎসর্গের রীতিতে বিশ্বাস করে? প্রকৃত বিশ্বাসকে অবশ্যই এমন হতে হবে, যেটি পুরাতন এবং নতুন নিয়মে বর্ণিত সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করে। বিশ্বাসের বাহ্যিক ধরণ সময়ানুক্রমে ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত বিশ্বাসের মূল সারমর্মটি অবশ্যই এক থাকা উচিত। প্রধান যাজকেরা ঈশ্বর কর্তৃক নিযুক্ত এমন লোকজন, যারা বলি উৎসর্গের নিয়মানুসারে তাদের বলি উপহার উৎসর্গ করেন। 
বাইবেল যখন বলে যে, এফোদটি “নিপুণভাবে বানানো হয়েছিল,” এটার অর্থ এই যে, এটি দীর্ঘসময় ধরে ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছিল। প্রধান যাজককে এফোদটি পরিধান করতে হতো, যেটি পাঁচটি বিশেষ সূতা ছাড়া অন্য কোন সূতা দিয়ে বোনা ছিল না। ঠিক সেভাবে, যারা যাজক হয়েছেন তারা যেন নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে বিশ্বাসকারী প্রকৃত বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রথমে পবিত্রতায় পরিহিত হতে পারেন, এবং এরপরে ঈশ্বরের সম্মুখে গিয়ে অন্যদের পাপ ক্ষমার জন্য বলি উৎসর্গ করতে পারেন। 
আপনার বিশ্বাসটি এখন কোন পর্যায়ে আছে? আপনি সম্পূর্ণভাবে জল ও আত্মার সুসমাচার জানেন এবং এতে বিশ্বাস করেন? পুরাতন নিয়মের প্রধান যাজকদের বিশ্বাস, যেটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত সত্যে বিশ্বাস করে, সেটি ঐ বিশ্বাসের মতোই এক, যেটি নতুন নিয়মের যুগের জল ও আত্মার সুসমাচার এবং আত্মাতে বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস হচ্ছে পরিত্রাণের প্রকৃত বিশ্বাস, যেটি কেউ কখনো পরিবর্তন করতে পারে না। এই বিশ্বাস ছাড়া, কেউ ঈশ্বরের সম্মুখে কেউ আসতে পারে না, এমনকি তাঁর পবিত্র সুসমাচারও প্রচার করতে পারে না। পরিশেষে, এটার অর্থ হচ্ছে এই যে, এই সত্য সুসমাচারের মাধ্যমে যারা তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে নি, তারা অন্যের জন্য তাদের যাজকীয় দায়িত্বগুলি সম্পন্ন করতে পারে না। 
আমাদের হোমপেজের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা সংবাদ শুনতে পাই। পেরু থেকে চীন, উগান্ডা থেকে হল্যান্ড এবং সারা পৃথিবী থেকে আমরা শুনতে পাই যে, আমাদের বিনামূল্যে খ্রীষ্টিয়ান বইগুলির মাধ্যমে অনেক লোক পাপের ক্ষমা গ্রহণ করছে। জল ও আত্মার সুসমাচার ধারক এই বইগুলির মাধ্যমে, যে সকল লোকদের সাথে আমাদের কখনো দেখা হয় নি, তারাও তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করছে। প্রত্যেক দেশের লোকেরা যদি পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে, এবং সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের সহকারী হিসেবে কাজ করে, তাহলে কত মহৎ কাজ সম্পাদিত হতে পারে? আমাদের বিনামূল্যে খ্রীষ্টীয় বইগুলি যদি প্রত্যেক দেশে ছড়িয়ে যেতে পারে, তাহলে সারা পৃথিবী জুড়ে অনেক লোকদের প্রকৃতভাবে নতুন জন্ম পেতে খুব কঠিন হবে না। আমাদের বইগুলি পড়ার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে অগণিত আত্মা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করছে। অতএব, সমাগম তাম্বুতে প্রকাশিত পরিত্রাণের সত্য ছড়িয়ে দিতে এবং আমাদের যাজকীয় দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে আরো বিশ্বস্ত হতে হবে। 
প্রিয় সহবিশ্বাসীগণ, আপনি শুধুমাত্র যখন নিষ্কলঙ্ক এবং পবিত্র হবেন, তখনই আপনি সমগ্র পৃথিবীর লোকদের কাছে সত্য সুমাচার প্রচার করতে পারবেন, এর আগে নয়। আমাদেরকে যাজক হতে হলে, সে বিশ্বাসটি আমাদের অবশ্যই থাকতে হবে, যেটি সমাগম তাম্বুতে উল্লেখিত চারটি সত্যে বিশ্বাস করে। আমাদের যীশু, যিনি নিজেই স্বর্য় ঈশ্বর, তিনি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ দূর করেছেন। এই পৃথিবীতে এসে, বাপ্তাইজিত হয়ে, তাঁর রক্ত সেচন করে, যীশু আমাদের সমস্ত পাপ ধূয়ে দিয়েছেন, এবং সাহসীভাবে আমাদের পরিবর্তে সেই পাপগুলির জন্য কষ্ট যাতনা সহ্য করে, যারা বিশ্বাস করে তাদের সমস্ত পাপ থেকে তিনি তাদেরকে রক্ষা করেছেন। যে কেউ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে যে, এটি আমাদেরকে ধার্মিক এবং নিষ্কলঙ্ক তৈরি করে, সে এই পবিত্র পোশাকগুলি পরিধান করতে পারে। আমরা যখন এই পোশাকগুলি পরিধান করে তাঁর কাছে তাঁর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করব, এবং তাঁর সেবা করব, তখনই আমরা এই সুসমাচার ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে আমাদের যাজকীয় দায়িত্বগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব। 
আপনি কি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনার পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন? আপনার হৃদয়ে কি সোনালী সূতার মতো বিশ্বাস খুঁজে পাওয়া যাবে? শুধুমাত্র সুসমাচারের সত্য জানাটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু আমাদেরকে সর্বান্তঃকরণে এটিতে বিশ্বাসও করতে হবে। তাম্বু দ্বার এবং প্রধান যাজকের পোশাকে ব্যবহৃত চারটি সূতা থেকে প্রাপ্ত সত্যগুলির মধ্যে কোন একটা বাদ দিলে আমাদের চলবে না, সেগুলির প্রত্যেকটি যেন আমাদের হৃদয়ে অবশ্যই খুজে পাওয়া যায়। তাহলে, আজকের ছদ্মবিশ্বাসী কারা? যখন কোন কিছুকে প্রায় একই দেখায় কিন্তু খুব কাছ থেকে পরীক্ষা করলে এর আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, তখন আমরা সেটিকে নকল বলি। তাহলে, মিথ্যা সুসমাচারগুলিও কি এরকমই নয়? যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করার পরিবর্তে অন্য কোন মিথ্যা সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা সবাই এমন লোক যাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস আছে। 
 
 
আপনার বিশ্বাসকে স্থাপন করুন এবং আত্মিক সৈনিকদের মত যুদ্ধ করুন
 
এমন অনেক মিথ্যা প্রতিবেদক আছেন, যারা নিজেদেরকে প্রকৃত প্রতিবেদক বলে দাবি করেন এবং অর্থ দিয়ে লোকদেরকে প্রতারিত করেন। এই মিথ্যা সাংবাদিকরা নকল পরিচয়পত্র বহন করেন এবং নিজেদেরকে প্রকৃত সাংবাদিক বলে দাবি করেন, এবং এদের দ্বারা অনেক লোক প্রতারিত হন। আজকাল, এমন লোক লোক আছেন, যারা মিথ্যা সুসমাচার প্রচার করেন কিন্তু যেটিকে আসলে প্রকৃত সুসমাচারের মতো মনে হয়, কিন্তু সত্যটা হচ্ছে এই যে, সেগুলো জল ও আত্মার সুসমাচার থেকে একেবারে ভিন্ন। যাহোক, কোন সুসমাচারে বিশ্বাস করার আগে বিশেষ মনোযোগ সহকারে আমাদেরকে এটি খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, এটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতার প্রত্যেকটি ধারণ করে কি না এবং এগুলোর কোনটি বাদ পড়ছে কি না। কোন সূতা বাদ না দিয়ে এর প্রত্যেকটি দ্বারা দক্ষভাবে ঈশ্বর মোশিকে প্রধান যাজকের পোশাক তৈরির আদেশ দিয়েছিলেন; এটার অর্থ হচ্ছে এই যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে যখন আজকের ধর্মযাজকের বিশ্বাস স্থাপিত হবে, তখন এর কোন উপাদান বাদ দেওয়া তাদের উচিত হবে না। আমরা যদি বিশ্বাস না করি যে, নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা-এই চারটি সূতার মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ সাধন করেছেন- তাহলে আমরা কখনো ঈশ্বর কর্তৃক নিযুক্ত হতে পারি না। 
তাহলে আমরা কিভাবে বুঝতে পারি যে, কারো বিশ্বাস মিথ্যা কি না? আমরা যখন প্রধান আজকের পোশাকের রংগুলির প্রতি লক্ষ্য করব, আমরা উপলব্ধি করতে পারব যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে যারা বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণ। এই লোকদের মতো কেউ যদি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাহলে আপনি তাকে সেই লোকের সাথে তুলনা করতে পারেন, যে তার সমস্ত পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পেয়েছে। এমন অনেক লোক আছেন, যারা নীল সূতার সত্যে অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে না, এবং শুধুমাত্র ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে, কিন্তু চিন্তা করে যে, তাদের বিশ্বাস ত্রুটিহীন। এধরণের লোকেরা প্রকৃত সুসমাচারে বিশ্বাসী লোকদের মতো নয়। যেহেতু, এই সকল লোকেরা সত্য সুসমাচার সম্বন্ধে জানে না, তাই তারা পাপের আত্মিক ক্ষমা সম্পর্কে প্রচার করতে পারে না। 
প্রিয় সহবিশ্বাসীগণ, আপনার এখন অবশ্যই প্রকৃত সুসমাচারে বিশ্বাসী এবং মিথ্যা সুসমাচারে বিশ্বাসী লোকদের বিশ্বাস বুঝতে সক্ষম হবেন। এই পৃথিবীতে এমন অনেক ধর্মযাজক আছেন, যারা এধরণের মিথ্যা সুসমাচারে বিশ্বাস করেন। পুরাতন নিয়মে, পাঁচটি উপকরণ দ্বারা প্রধান যাজকের পোশাক তৈরি ছিল, এবং এই বিশ্বাস থাকার মাধ্যমে আমরা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি। আর এজন্যই আমরা শয়তানের বিপক্ষে আমাদের আত্মিক যুদ্ধে লড়াই করছি। 
প্রেরিত পৌল এই সম্বন্ধে ইফিষীয় পুস্তকে লিখেছেন। আসুন আমরা ইফিষীয় ৬:১০-১৮ পদে দেখি, “শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও। ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার। কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে। এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সম্পন্ন করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে পার। অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া, এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক; এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে; এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর। সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক।” 
প্রেরিত পৌল আমাদেরকে “প্রভুতে ও তাঁর শক্তির পরাক্রমে বলবান হতে” এবং “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান করতে” বলেছেন, যেন আমরা “দিয়াবলের চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াতে পারি।” ঈশ্বরের এই সমগ্র যুদ্ধসজ্জা কী? এটা হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য। অন্যদিকে, ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে, এটি পরিধানের মাধ্যমে এবং ধরে রাখার মাধ্যমে পৌল আমাদেরকে মিথ্যা বিশ্বাসের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে বলেছেন। আর এজন্যই তিনি বলেছেন, “কেননা রক্ত মাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।” তিনি এই যুগের আধিপত্যদের বিপক্ষে, এই পৃথিবীর সমর্থনকারীদের বিপক্ষে এবং শয়তানের দুষ্ট আত্মাদের বিপক্ষে তিনি আমাদেরকে যুদ্ধ করতে বলেছেন। 
পৌল আমাদেরকে বলেছেন, “এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সম্পন্ন করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে পার। অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া, এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক; এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে; এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।” পৌল আমাদেরকে এসব বলেছেন, যেন এগুলি পালন করে, আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে পারি। কারণ, আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছি এবং পাপের ক্ষমা পেয়েছি, যেন আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে অনন্ত জীবন উপভোগ করতে পারি। 
আমরা মাংসিকভাবে দূর্বল। অতএব, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাসের ঢাল পরিধান করতে হবে। আমাদেরকে ধার্মিকতার বুকপাটা পরিধান করতে বলার মাধ্যমে, পৌল আমাদেরকে বলতে চেয়েছেন যে, আমাদেরকে সর্বান্তঃকরণে অবশ্যই এই সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে। প্রধান যাজক যেমন বারোটি মূল্যবান পাথন বসানো এবং সেগুলিতে ইস্রায়েলের বারো জাতির প্রত্যেকটি জাতির নাম খোদাই করা বুকপাটা তাঁর বুকের উপরে পরিধান করতেন, তিনি এটা দ্বারা বলতে চেয়েছেন যে, প্রত্যেক লোককে আমাদের হৃদয়ে আলিঙ্গন করা উচিত এবং তাদেরকে খ্রীষ্টেতে পরিচালিত করা উচিত। প্রধান যাজক বুকপাটাতে বসানো যে বারোটি পাথর পরিধান করতেন এবং সেটি তার বুকে বহন করতেন, এটার অর্থ হচ্ছে যে, তিনি ইস্রায়েলের সব লোকদেরকে তার হৃদয়ে বহন করতেন। 
প্রেরিত পৌল যেমন এখানে বলেছেন, “তোমরা সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হও”, আমাদেরকে অবশ্যই সঠিক এবং চূড়ান্ত বিশ্বাস থাকতে হবে, যেটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে বিশ্বাস করে। যখন আমাদের দূর্বলতাগুলোকে আমরা ভয় না পেয়ে, আমাদের হৃদয়ে নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে বিশ্বাস করে, তখন আমাদের হৃদয় আরা দৃঢ় হয়। আমাদের এই বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা দৃঢ় বিশ্বাসে স্থির হয়ে ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে পারি। যাহোক, আমাদেরকে অবশ্যই ধার্মিকতার বুকপাটা পরিধান করতে হবে, এবং আমাদের হৃদয়-মন দিয়ে এতে বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে এতে বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে এই সত্য সুসমাচার জানাটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের হৃদয় দিয়ে এতে বিশ্বাসও করতে হবে। 
সুসমাচার প্রচারের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই শান্তির সুসমাচারের জুতা পরিধান করতে হবে। জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে শান্তি দিয়েছেন। ঈশ্বর আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে বলেছেন, যেটি আমাদের মাঝে শান্তি বয়ে এনেছে এবং সুসমাচারের সেবা করে জীবন যাপন করতে আমাদেরকে সাহায্য করেছে।
ঈশ্বর আমাদেরকে “বিশ্বাসের ঢাল” গ্রহণ করতে এবং “দুষ্টদের ভয়ঙ্কর তরোয়াল” ধ্বংস করতেও বলেছেন। প্রাচীনকালে, যুদ্ধ করবার জন্য তরোয়াল ছিল পছন্দের প্রথম হাতিয়ার। পৌল আমাদেরকে বলছেন যে, শয়তান আমাদেরকে কিভাবে আক্রমণ করে। শয়তান আমাদের দূর্বলতা এবং অক্ষমতাগুলোতে তাঁর নির্দেশনা অনুসারে নিখুঁতভাবে আক্রমণ করে, এবং বলে যে, “তুমি নিজেকে কি মনে কর? তোমার হৃদয় থেকে যে সকল চিন্তা-ভাবনা এবং কাজকর্ম উথলে ওঠে, সেগুলি সবই অশুচি, কিন্তু এরপরেও তুমি কিভাবে সুসমাচার প্রচারকে সমর্থন কর? এটা কোন ধরণের মূর্খতা? তুমি কি মনে কর না যে, তুমি খুব অহংকারী? কেন তুমি এখনো নিজেকে সোনা করছ না।” কিন্তু এসব ভয়ঙ্কর তরোয়াল দ্বারা আপনি যদি আঘাত প্রাপ্ত হন এবং এগুলির কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন যে, “আপনি সঠিক”, তাহলে আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত যে, “প্রকৃতপক্ষে আমি কোন ধরণের যাজক যে, আমি নিজেকেই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি না?” এটা যদি ঘটে থাকে, তাহলে আপনার আত্মা মরে যাবে এবং আপনি আত্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করবেন। আর এজন্যই প্রেরিত পৌল আমাদেরকে বিশ্বাসের ঢাল গ্রহণ করতে বলেছেন। কোনটি আমাদেরকে মাংসিক চিন্তা-ভাবনা থেকে রক্ষা করতে পারে, যেগুলি আমাদেরকে দূর্বলতায় ফেলে? এটাই হচ্ছে প্রকৃত বিশ্বাস, যেটি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রে বিশ্বাস করে। আর এটাই বিশ্বাসের ঢাল। 
যখন আমাদের উপরে ভয়ঙ্কর আঘাতগুলো নির্বিশেষে আসতে থাকে, তখন এই বিশ্বাস দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে সেগুলি প্রতিরোধ করতে বলেছেন। “ঈশ্বর নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে আমাকে পবিত্র করেছেন। আর আমি সর্বান্তঃকরণে এতে বিশ্বাস করি।” এমন বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমরা ভয়ঙ্কর তীরগুলো এবং শয়তানের মন্ত্রণা এবং আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারি। 
আপনি কি দূর্বল? আপনার দেহ নিশ্চিতভাবেই দূর্বল। অতএব, আপনাকে অবশ্যই প্রত্যেকটি জিনিসের সাথে বিশ্বাস সহকারে ব্যবহার করতে হবে, যেটি জল ও আত্মার সুসমাচার এবং ঈশ্বরের তত্ত্বাবধানে বিশ্বাস করে। পাপের ক্ষমা গ্রহণ করার পরে, আপনি প্রথমে ছোট বিষয়ের সাথে বিশ্বাস সহকারে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু পরবর্তীতে এমন অনেক কঠিন কিছু আপনার কাছে আসবে যেগুলির সাথে বিশ্বাস ছাড়া অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে না। শুরুতে, আপনার দূর্বলতা খুব ছোট আকারে দেখা দিতে পারে, কিন্তু সময়ানুক্রমে, সেগুলি অনেক বড় আকারে এবং ভয়ঙ্করভাবে দেখা দিতে পারে। অবশেষে, আপনি অসংখ্য দূর্বলতা দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়বেন, যেগুলি আপনাকে পিছিয়ে দেবে। 
সময়ানুক্রমে, আপনার মনে যখন এই সন্দেহ জাগে যে, আপনি প্রকৃতভাবে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন কিনা, তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনার বিপক্ষে শয়তান তার কঠিন আক্রমণ প্রেরণ করছে। যাহোক, আপনার বিশ্বাসের মাধ্যমে, আপনার দূর্বলতাগুলোও আপনাকে অবশ্যই দূর করতে হবে। তাছাড়া, আপনার মাংসিক চিন্তা ভাবনাগুলোও আপনাকে প্রতিরোধ করতে হবে, যেগুলো আপনার দূর্বলতাগুলির কারণে আপনাকে ধ্বংসের পথে পরিচালিত করে। বিশ্বাসের ঢাল দিয়ে, আপনাকে অবশ্যই শয়তানের আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে হবে এবং চিৎকার করে বলতে হবে, “দূর হও, শয়তান! যেমন রোমীয় ১:১৭ পদে লেখা আছে, “কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে,” যদিও আমার অনেক দূর্বলতা আছে, তবু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আমি ধার্মিক।” ধার্মিক লোকেরা অবশ্যই বিশ্বাস দ্বারা বাঁচবো। 
আমাদের কি কোন কিছু আছে, যা নিয়ে আমরা এই পৃথিবীতে গর্ব করতে পারি? এ পৃথিবীতে গর্ব করার মতো আমাদের কিছুই নেই, কিন্তু তাসত্ত্বেও এই পৃথিবীর লোকদের সম্মুখে আমরা সাহসীভাবে কথা বলতে পারি। এই পৃথিবীর লোকেরা আপনাকে বলতে পারে, “আপনি যদি ধার্মিক হন, তাহলে আমিও ধার্মিক। তখন আপনি তাদেরকে এভাবে উত্তর দিতে পারেন, “শুনুন, আপনি যদি ধার্মিক হন, তবে আমি সব ধার্মিকের জননী।” এই পৃথিবীতে এমন অনেক লোক আছেন, যাদের কোন বোধশক্তি নেই এবং আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ধরে সেগুলি দ্বারা আমাদেরকে আক্রমণ করেন। “আপনি একজন ভালো লোক নন। আপনি এটা করতে পারেন না, এবং আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ধরে আমাদেরকে আক্রমণ করতে পারেন না।” তারা যদি আমাদেরকে এভাবে আক্রমণও করে, তাহলে আমাদের প্রকৃতপক্ষে বিঘ্নিত হওয়ার কোন কারণই নেই। আপনি বলতে পারেন, “আপনি ঠিক। আমি আপনার মতো তেমন ভালো নই, কিন্তু তাসত্ত্বেও আমি প্রকৃত সুসমাচারে বিশ্বাস করি। আপনি কি জানেন এই সুসমাচারটি কী? আপনি জানেন নীল সূতাটি কি? বেগুনি সূতাটি কি? লাল সূতাটি কি? সাদা মসীনা সূতা কি? আপনি মূল গ্রন্থে দেখুন। আপনি সম্ভবতঃ কমপক্ষে এক মাসের রবিবারগুলোর পূর্বেই এগুলির অর্থ বুঝতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে তা নয়, আপনি যদি একবছর পরেও সেগুলির অর্থ বুঝতে পারেন, তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। এগুলি উপলব্ধি করার আগেও আপনাকে সম্ভবত ৫০০ প্রজন্মও লেগে যেতে পারে। আপনি কি জানেন, সেই সোনালী সূতাটি কী? ভালো, আপনার মতো নয়, তবে আমি এই বিষয়গুলির প্রত্যেকটি জানি এবং এগুলিতে বিশ্বাস করি।” এভাবে, আপনার বিশ্বাস দ্বারা সাহসীভাবে আপনাকে শয়তানের আক্রমণগুলো অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। আপনার অবশ্যই দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে, এবং এই বিশ্বাসের দ্বারাই আপনাকে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে। 
“যদিও আমি দূর্বল, তবু আমি ঈশ্বরের সুসমাচারের সেবা করি। জল ও আত্মার সুসমাচারের সেবা করাই হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা। যদিও আমি অক্ষম, তবুও ঈশ্বরের রাজ্যে আমি একজন রাজা। আমি একজন রাজকীয় যাজক। যিনি একজন রাজার মতোই আর আমি যদি সুসমাচার প্রচার না করি, তবে আপনারা প্রত্যেকেই নরকে যাবেন।” ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে অবশ্যই এই ধরণের সাহসী বিশ্বাস থাকতে হবে। এই বিশ্বাস এমন কিছু নয়, যেটি আপনি ক্ষমতার দ্বারা অর্জন করতে পারেন, কিন্তু এটি হচ্ছে এমন একটি জিনিসি, যা ঈশ্বর আমাদেরকে দিয়েছেন, এবং আপনাদেরকে শুধুমাত্র বিশ্বাসে এটি গ্রহণ করতে হবে। আপনি কি বিশ্বাসের মাধ্যমে এই বিশ্বাস গ্রহণ করেছেন? 
ইফিষীয় ৬:১৭ পদে প্রেরিত পৌল আমাদেরকে বলেছেন, “পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ পরিধান কর।” আপনি কি সঠিকভাবে জানেন, এই শিরস্ত্রাণটা কী? মধ্যযুগীয় সৈনিকদের কথা মনে করতে পারছেন? তারা লোহার তৈরি শিরস্ত্রাণ পরতো, এবং ঘোড়ার পিঠে চড়ে লম্বা বল্লম দিয়ে প্রতিপক্ষদের সাথে যুদ্ধ করত। তারা যখন তাদের সারা মুখমন্ডল ঢেকে শিরস্ত্রাণ পরতো, তখন তারা যদি চোখে আঘাত না পেত, তাদেরকে আহত করা খুব দুঃসাধ্য ছিল। এধরণের বল্লমের আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য শিরস্ত্রাণগুলো বিশেষভাবে তৈরি ছিল। ঠিক সেভাবে, পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণও সেরকম ভূমিকা পালন করে থাকে। 
তাছাড়া, আমাদের মাথাতেও সত্যের জ্ঞান অবশ্যই খাঁটি হতে হবে। সুসমাচারের সত্য আমাদের জ্ঞানে সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে। “এটা সত্য কি না? এটা কি ভুল না ঠিক?” -আমাদের অনিশ্চয়তা নিয়ে এভাবে চিন্তা না করে, আমাদের মাথাতে বোধশক্তি অবশ্যই সুবিন্যস্ত হতে হবে : “ঈশ্বর নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতার মাধ্যমে আমাকে সঠিকভাবে পবিত্র করেছেন। এবং আমি এতে বিশ্বাস করি।” আমরা যখন এভাবে বিশ্বাস করব, তখন আমাদের মধ্যে কোন দূর্বলতা থাকবে না, যা দ্বারা শয়তান আমাদেরকে পাপ করাতে পারে। আর এজন্যই আমাদেরকে পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ দ্বারা সজ্জিত হতে হবে। তাই, সত্যের প্রকৃত জ্ঞান দ্বারা আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। 
তাছাড়া পৌল আমাদেরকে আত্মার খড়্গও গ্রহণ করতে বলেছেন। আর এই আত্মার খড়্গ হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য, এবং আমরা যখন ঈশ্বরের বাক্য শিখি, জানি এবং এতে বিশ্বাস করি, তখন এটি আমাদের বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। শয়তান অন্য লোকদের দ্বারা, অর্থ, বিপরীত লিঙ্গ এবং আপনার দূর্বলতাগুলো দ্বারাও হিংস্রভাবে আক্রমণ করে, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যে আমাদের বিশ্বাস দ্বারা আমরা সেগুলিকে প্রতিরোধ করতে পারি। 
প্রধান যাজকের পোশাকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, ইফিষীয় পুস্তকে প্রেরিত পৌল প্রকৃত বিশ্বাসটা কি, সেটা আমাদেরকে এভাবে দেখিয়েছেন : “তোমরা ধার্মিকতার বুকপাটা পরিধান কর।” অন্যদিকে, তিনি আমাদেরকে সত্যের বুকপাটা পরিধান করতে বলেছেন, যার মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে ধার্মিক তৈরি করেছেন। পৌল আমাদেরকে “পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ এবং আত্মার ঢাল গ্রহণ করতে”ও বলেছেন। এই দৃষ্টান্ত ব্যবহার করে, সত্যের পূর্ণ জ্ঞান থাকার মাধ্যমে এবং ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে শয়তানের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে, তাকে আঘাত করতে এবং পরাজিত করতে বলেছেন। কোন দ্বিধাদ্বন্দ ছাড়াই তিনি আমাদেরকে শয়তানের প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ধ্বংস করতে বলেছেন, যেগুলি আমাদের বিশ্বাসকে দূর্বল করে ফেলে। যারা মিথ্যা সুসমাচার প্রচার করে, তারা এমন লোকদের মত যারা যীশুর ক্রুশীয় রক্ত এবং ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে তাঁর স্বর্গীয় প্রতীক, যে শুধুমাত্র এক অংশে বিশ্বাস করে দাবি করে যে, তাদের সমস্ত পাপ ধৌত হয়েছে। কৃত্রিম বিশ্বাসকে আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে এবং সেটি ছুড়ে ফেলতে হবে। 
যে বিশ্বাস নীল সূতার কাজকর্ম ছাড়া শুধুমাত্র যীশুতে বিশ্বাস করে, সেটি কৃত্রিম পোশাক পরা যাজকের মতো। এই পৃথিবীতেও, এমন অনেক খ্রীষ্টিয়ান আছেন, যারা তাদের বিশ্বাস থেকে নীল সূতাকে গণনার অন্তর্ভূক্ত করে না, যাদের প্রত্যেককে আমরা গণনাই করতে পারি না। যাহোক, আমাদের বইগুলিতে আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে রাখি, এবং নীল, বেুগনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুসমাচারের সাক্ষ্য বহন করি, যে সুসমাচারে আমরা বিশ্বাস করি। লোকেরা এটা বিশ্বাস করে কি না, সেদিকে বিবেচনা না করে, সেই সত্য পড়তে, জানতে এবং এতে বিশ্বাস করতে তাদেরকে অনন্তঃ একটি সুযোগ দিতে হবে যে, আমাদের বইগুলো ঈশ্বরের প্রকৃত বাক্য ধারণ করে। যারা শুধুমাত্র বিশ্বাস করে যে, যীশুই ঈশ্বর এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের মাধ্যমে তিনি তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন, তারা অন্যদেরকে এমনকি নিজেদেরকেও হতাশ করে, তাদের আবেগ-অনুভূতির উপরে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করতে প্রবৃত্ত হয়। কিন্তু আমরা যারা সেই সত্য জানি, এতে বিশ্বাস করি এবং এটি প্রচার করি যে, বাপ্তাইজিত হয়ে এবং ক্রুশে রক্তসেচনের মাধ্যমে স্বয়ং ঈশ্বর, যীশু আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করেছেন। 
আপনি কি এখনো বিশ্বাস করেন যে, নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্র দিয়ে প্রধান যাজকের পোশাক তৈরি ছিল? যারা পবিত্রতায় সম্পূর্ণভাবে পরিহিত হয়েছেন, তারা এমন লোকদের মতো যারা এই পাঁচটি সূতা দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করেছেন। যারা তাদের হৃদয়ে নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা সূতা দ্বারা সাধিত পাপের ক্ষমাতে বিশ্বাস করেন, তারা হচ্ছেন বিশ্বাসের প্রকৃত লোক এবং আধ্যাত্মিক যাজক, যারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের সমস্ত পাপ থেকে তারা প্রকৃতভাবে রক্ষা পেয়েছেন। 
এখানে এমন কিছু আছে যে, যারা আধ্যাত্মিক যাজক হয়েছেন, তারা কখনো সেটা ভুলতে পারেন না। আর এটা হচ্ছে নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের সংশ্লিষ্টতা, প্রকৃত সুসমাচারের প্রতিফলন। এই পাঁচটি সূতা দ্বারা আমরা পাপ ক্ষমার পবিত্র পোশাক তৈরি করি, বিশ্বাস সহকারে সেগুলি পরিধান করি, এবং ঈশ্বরের সম্মুখে আসি। এটি আমাদের সত্য বিশ্বাস সম্পর্কে বলে। আমাদের বিশ্বাসের কারণে যেটি এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর আমাদের হৃদয় পবিত্র করেছেন, যেমন তিনি পুরাতন নিয়মের প্রধান যাজকদের প্রতি করেছিলেন। এই সত্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে, আমরা সবাই ঈশ্বরের সম্মুখে যাজক হয়েছি। আমরা হচ্ছি রাজকীয় যাজকবর্গ, যারা ঈশ্বরের সেবা করে। 
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি আপনাদের মধ্যে সেই বিশ্বাস থাকার কথা বলছি, যেটি এই সত্যে বিশ্বাস করে, এবং এই বিশ্বাসের দ্বারা শয়তানের বিপক্ষে যুদ্ধ করুন এবং আপনার যাজকীয় দায়িত্বগুলি পরিপূর্ণ করুন। আর এটা করার মাধ্যমে, আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি যে, আপনারা চিরকাল বিশ্বস্তভাবে আপনাদের যাজকীয় দায়িত্বগুলি পালন করবেন। আমি এসব বলছি কারণ আপনি যদি নীল, বেগুনি, লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্রের সুসমাচারে বিশ্বাস করা ত্যাগ করেন, তাহলে আপনার নিকট থেকে আপনার যাজকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। আমি প্রার্থনা করি যে, প্রকৃত সুসমাচারে দৃঢ় বিশ্বাসের মাধ্যমে যারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে, আপনারা প্রত্যেকে তাদের থেকেও বেশি বিশ্বস্ত যাজক হবেন। এটা আমার আশা যে, আপনার শেষ পর্যন্ত সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করে যাবেন, এবং আপনারা যেন অনন্ত জীবনের সুসমাচার না হারিয়ে ফেলেন, সেজন্য আপনাদের বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করুন এবং চিরকাল আপনাদের যাজকীয় দায়িত্বগুলি পালন করুন।