Search

Preken

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-4] কেন ঈশ্বর মোশিকে সীনয় পর্বতে আহবান করেছিলেন, তার কারণ (যাত্রাপুস্তক ১৯:১-৬)

কেন ঈশ্বর মোশিকে সীনয় পর্বতে আহবান করেছিলেন, তার কারণ
(যাত্রাপুস্তক ১৯:১-৬)
“মিসর দেশ হইতে ইস্রায়েল-সন্তানদের বাহির হইবার পর তৃতীয় মাসে, [প্রথম] দিনেই তাহারা সীনয় প্রান্তরে উপস্থিত হইল। তাহারা রফীদীম হইতে যাত্রা করিয়া সীনয় প্রান্তরে উপস্থিত হইলে সেই প্রান্তরে শিবির স্থাপন করিল; ইস্রায়েল সেই স্থানে পর্ব্বতের সম্মুখে শিবির স্থাপন করিল। পরে মোশি ঈশ্বরের নিকটে উঠিয়া গেলেন, আর সদাপ্রভু পর্ব্বত হইতে তাঁহাকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি যাকোবের কুলকে এই কথা কহ, ও ইস্রায়েল সন্তানগণকে ইহা জ্ঞাত কর। আমি মিস্রীয়দের প্রতি যাহা করিয়াছি, এবং যেমন ঈগল পক্ষী পক্ষ দ্বারা, তেমনি তোমাদিগকে বহিয়া আপনার নিকটে আনিয়াছি, তাহা তোমরা দেখিয়াছ। এখন যদি তোমরা আমার রবে অবধান কর ও আমার নিয়ম পালন কর, তবে তোমরা সকল জাতি অপেক্ষা আমার নিজস্ব অধিকার হইবে, কেননা সমস্ত পৃথিবী আমার; আর আমার নিমিত্তে তোমরাই যাজকদের এক রাজ্য ও পবিত্র এক জাতি হইবে। এই সকল কথা তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে বল।”
 
 

কেন ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে মনোনীত করেছেন?

 
 মূল অনুচ্ছেদটি যাত্রাপুস্তক ১৯:১-৬ পদ থেকে নেওয়া হয়েছে। যদিও অনুচ্ছেদটি বড় নয়, তথাপি এই বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলব। যাত্রা পুস্তক ১৯ থেকে ২৫ অধ্যায়ে যে সত্য প্রকাশিত হয়েছে, এই অনুচ্ছেদে সেই সত্য সম্বন্ধে আমি বলব। ইস্রায়েলেরা যখন সীনয় প্রান্তরে এসেছিলে, তখন এটা ছিল তিন মাস পূর্বে যখন ইস্রায়েল জাতি মিশর থেকে মুক্ত হয়েছিল। সীনয় পর্বতের সম্মুখেই ঈশ্বর তাদেরকে শিবির স্থাপন করতে বলেছিলেন, এবং মোশীকে পর্বতে ডাকলেন। 
 ঈশ্বর মোশীকে ডাকলেন, ইস্রায়েলদেরকে তাঁর বাক্য জ্ঞাত করলেন, “এখন যদি তোমরা আমার রবে অবধারন কর ও আমার নিয়ম পালন কর, তবে তোমরা সকল জাতি অপেক্ষা আমার নিজস্ব অধিকার হইবে কেননা সমস্ত পৃথিবী আমার; আর আমার নিমিত্তে তোমরাই যাজকদের এক রাজ্য ও পবিত্র এক জাতি হইবে। এই সকল কথা তুমি ইস্রায়েল সন্তানদিগকে বল।” এ কারণেই ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে তাঁর নিজস্ব অধিকারে এবং যাজকদের ন্যায় তাদেরকে তাঁর রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে ডেকেছেন এবং উঠিয়েছেন। 
 এই উদ্দেশেই ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে মিশর দেশ থেকে উদ্ধার করেছেন। যে পদ্ধতিতে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে তাঁর নিজস্ব অধিকার করবেন, তাহল ইস্রায়েল জাতিকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে তিনি তাদেরকে তাঁর নিয়ম এবং সমাগম তাম্বুতে বলিদানের প্রথা দিয়েছেন, যার মধ্য দিয়ে তিনি তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন, তাঁর নিজস্ব লোক করবেন, এবং তাদেরকে যাজকদের জাতি রূপে খুঁজে পাবেন। কাজেই ইস্রায়েলদেরকে অবশ্যই এই বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হবে, এবং ঈশ্বর তাদের কাছে যে বিশ্বস্ততা চান তা তাদেরকে অর্জন করতে হবে। ইস্রায়েল জাতিকে ঈশ্বরের যাজকদের রাজ্যের জাতি করতে, ঈশ্বর তাদেরকে এক হাতে ৬১৩ আজ্ঞার গোটান ব্যবস্থা দিয়েছেন, এবং অন্য দিকে তাদেরকে সমাগম তাম্বুর স্থাপন করতে প্রস্তুত করেছেন। 
 অতএব, যীশু খ্রীষ্ট যিনি ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধারকর্তা মশীহ রূপে এসেছিলেন, তাঁকে যদি তারা বিশ্বাস না করে, তাহলে অবশ্যই তারা অনুতাপ করবে এবং তাদের হৃদয় দিয়ে তারা তাকে বিশ্বাস করবে। যীশু যিনি তাম্বুতে বলিযোগ্য নিয়মে, পাপের বলিরূপে মূল বিষয় ছিলেন, তিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ এবং ক্রুশে রক্ত সেচনের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন। কাজেই, ইস্রায়েল জাতিকে অবশ্যই দ্ব্যর্থহীন ভাবে এই সত্যকে গ্রহণ করতে হবে, যা অব্রাহমের বংশধর, তাদেরকে মিশরের বাহিরে আনয়নের দ্বারা তাঁর সন্তান করেছেন, ঈশ্বর তাদের জন্যই এই সত্য প্রস্তুত করেছেন এবং তাম্বু উৎসর্গের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন। একই সাথে, যেহেতু ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের ব্যবস্থা অবধাবন করতে সমর্থ ছিল না, কাজেই ঈশ্বর কর্ত্তৃক বলিযোগ্য উৎসর্গ দানের মাধ্যমে, তাঁর দ্বারা বলিযোগ্য প্রথা তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে। এই বলিযোগ্য উপহার হচ্ছেন যীশু খ্রীষ্ট, মুক্তিদাতা, যিনি মানব জাতিকে এর পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন।
 এমন কি এখনও, ইস্রায়েলীয়রা মোশীকে সকল খ্যাতনাম ভাববাদীর ন্যায় বড় ভাববাদী হিসাবে মনে করে। এতে তারা সঠিক। যাহোক, যেহেতু তারা মশীহ রূপে যীশু খ্রীষ্টকে, যিনি তাদেরকে তাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, তাকে বিশ্বাস করে নাই, কাজেই তারা ঈশ্বরের বাক্য রূপ নূতন নিয়ম বুঝতে পারে নাই, বরং এর পরিবর্তে তারা কেবল ঈশ্বরের বাক্য রূপ পুরাতন নিয়ম অনুধাবন করেছে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, যীশু খ্রীষ্ট কেবল মোশীর চাইতে বড় ভাববাদী নয়, বরং তিনি হচ্ছেন স্বর্গরাজ্যের মহাযাজক, মশীহ, যার জন্য ইস্রায়েলীয়রা এখনও অপেক্ষা করছে এবং প্রত্যাশায় রয়েছে। এই বিশ্বাসের দ্বারা ইস্রায়েলীয়দেরকে এখন অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, সমাগম তাম্বুর বলিদান যোগ্য উপহারের মূল বিষয়বস্তু আর অন্য কেউ নয়, মশীহ নিজেই। 
 
 
ঈশ্বর চেয়েছিলেন ইস্রায়েলীয়রা যেন মোশীকে যথাযথ সম্মান দেয়, কিন্তু....
 
 ইস্রায়েলীয়দের সম্মুখে ঈশ্বর কেন মোশীকে এত উচ্চে উঠিয়েছনে? এর কারণ ছিল, মোশীর মধ্য দিয়ে ঈশ্বর যে সকল কথা বলেছেন, তারা যেন তা বিশ্বাস করে এবং গ্রহণ করে। অন্যভাবে বলা যায়, মোশী তাদেরকে যা বলেছিলেন তা ছিল স্বয়ং ঈশ্বরের কথা, এটাই ইস্রায়েলীয়দেরকে বিশ্বাস বিশ্বাস করাতে চেয়েছিলেন। ঈশ্বর মোশীকে সীনয় পর্বতে ডেকেছিলেন যেন তিনি ইস্রায়েলীয়দের সম্মুখে উচ্চে উঠেন। এই বিষয়টিই ইস্রায়েলীয়দেরকে শিখিয়েছিলে মোশী এবং ঈশ্বরকে ভয় করতে, ইস্রায়েলরা দেখল যে মোশী ঈশ্বরের সাথে কতঅ বলছেন, তাতেই তারা তাকে বিশ্বাস করল, যেহেতু মোশী ঈশ্বরের বন্ধু ছিলেন, তাই তিনি তাঁর সাথে কথা বলতেন। 
 এই রূপে, মোশী ঈশ্বরের যে বাক্য ইস্রায়েল জাতির কাছে প্রকাশ করত, তা ইস্রায়েলীয়রা সহজেই প্রকৃত বাক্য রূপে এমন ভাবে বিশ্বাস করত যেন ঈশ্বর তাদেরকে বলছেন। যাহোক, মোশীকে তারা এত বেশি মান্য করত যে, ইস্রায়েলীয়রা যীশু খ্রীষ্ট মশীহকে তাদের হৃদয়ে তাদের নিজেদের উদ্ধার কর্তা রূপে গ্রহন না করে মহ ভুর করেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই, ইস্রায়েলীয়রা তাদের মোশীহকে সঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল, এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাঁর পরিত্রাণের প্রেমকে অগ্রাহ্য করেছিল। এখন তাদের সম্মুখে এক মহা কার্য রয়েছে,- তাহল, যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করা, যিনি মোশীর চাইতেও বড় ভাববাদী ছিলেন, তাদের হৃদয়ের তাদের স্বয়ং উদ্ধারকর্তা রূপে ছিলেন। 
 
 

ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে সমাগম তাম্বু প্রস্তুত করতে এবং তাকে বলিদানের উপহার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন

 
 যদিও মোশীর কাছে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে তাঁর ব্যবস্থা এবং আজ্ঞা দিয়েছিলেন তার পরেও তিনি তাদেরকে সমাগম তাম্বু স্থাপন করতে বলেছিলেন। ঈশ্বরের ক্ষমাশীল প্রেম যা সত্যই ইস্রায়েলীয়দের পাপ মুছে দিয়েছে, তা এই সমাগম তাম্বুর বলিদান পন্থার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও এই বলিদান প্রদ্ধতির সমাগম তাম্বুর মধ্য দিয়ে, ঈশ্বর আব্রাহমের আত্মিক বংশধরদের পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, এবং তিনি তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন, যেন ঈশ্বরের সন্তান হয়ে তাদের কোন কিছুর অভাব না হয়।
 ঈশ্বর তাঁর দশ আজ্ঞা সম্বলিত খোদাই করা দুইটি পাথরের টুকরা ইস্রায়েল জাতিকে দিলেন। এই দশ আজ্ঞার মধ্যে উপরের চারটি আজ্ঞা যা মানব জাতি এবং ঈশ্বরের মধ্যে সংরক্ষিত হবে, এবং ছয়টি আজ্ঞা যা মানবিক সম্বনয় সাধনে সংরক্ষন হবে। এই দশ আজ্ঞার ভিত্তিতেই ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে শত আজ্ঞা দিয়েছেন, যা তারা তাদের দৈনন্দিন জীবন- যাপনে অবশ্যই পালন করবে। 
 কি কারণে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে এত বেশি নিয়ম-কানুন ও আজ্ঞা দিলেন, তিনি তাদের হৃদয়ে দেখাতে চেয়েছেন যে, ঈশ্বরই একমাত্র সর্বময় স্বর্গীয় সত্ত্বা। আত্মিক ইস্রায়েল জাতি,- অর্থাৎ, যারা তাদের উদ্ধারকর্তা রূপে যীশুকে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর ছাড়া তাদের আর অন্য কোন সত্ত্বা থাকতে পারে না। ইস্রায়েল জাতিকে কনান দেশের ভূমিতে প্রবেশ করার পূর্বেই এই সত্য পরিষ্কার ভাবে শিক্ষা দিতে হবে যে, তিনি হচ্ছেন যিহোবা, সীনয় পর্বতে ঈশ্বর মোশীকে ইস্রায়ের জাতিকে তাঁর ব্যবস্থা দিতে বলেছিলেন। আর যখনই তারা সমাগম তাম্বুর বলিদান প্রথা অনুসারে বলিদান যোগ্য উপহার উৎস্বর্গের মাধ্যমে তাদের পাপের ক্ষমা পেত। 
 
 

ইস্রায়েল জাতি ঈশ্বরের কাছ থেকে ব্যবস্থা ও আজ্ঞা সমূহ গ্রহণ করলেন

 
 চলুন আমরা যাত্রাপুস্তক ২৪:৩-৮ পদ লক্ষ্য করি,“তখন মোশি আসিয়া লোকদিগকে সদাপ্রভুর সকল বাক্য ও সকল শাসন কহিলেন, তাহাতে সমস্ত লোক একস্বরে উত্তর করিল, সদাপ্রভু যে যে কথা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব। পরে মোশি সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য লিখিলেন, এবং প্রত্যূষে উঠিয়া পর্ব্বতের তলে এক যজ্ঞবেদি ও ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশানুসারে দ্বাদশ স্তম্ভ নির্ম্মাণ করিলেন। আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানগণের যুবকদিগকে পাঠাইলে তাহারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমার্থক ও মঙ্গলার্থক বলিরূপে বৃষদিগকে বলিদান করিল। তখন মোশি তাহার অর্দ্ধেক রক্ত লইয়া থালে রাখিলেন, এবং অর্দ্ধেক রক্ত বেদির উপরে প্রক্ষেপ করিলেন। আর তিনি নিয়মপুস্তকখানি লইয়া লোকদের কর্ণগোচরে পাঠ করিলেন; তাহাতে তাহারা কহিল, সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব। পরে মোশি সেই রক্ত লইয়া লোকদের উপরে প্রক্ষেপ করিয়া কহিলেন, দেখ, এ সেই নিয়মের রক্ত, যাহা সদাপ্রভু তোমাদের সহিত এই সকল বাক্য সম্বন্ধে স্থির করিয়াছেন।”
 ঈশ্বর যখন মোশীর মধ্য দিয়ে ইস্রায়েল জাতিকে ব্যবস্থা দিলেন, তখন থেকেই তিনি এই রক্তের নিয়ম স্থাপন করলেন। এর অর্থ হচ্ছে ঈশ্বরের ব্যবস্থা হল জীবনের ব্যবস্থা। ঈশ্বর তাঁর জীবন ব্যবস্থার কথা ইস্রায়েলদেরকে বললেন, এবং ইস্রায়েল জাতি তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করল। আই মোশী ইস্রায়েলীয়দেরকে হোমার্থক বলি ও মঙ্গলার্থে বলিরূপে বলির রক্ত আনতে বললেন। ঈশ্বর মোশীকে তার লোকদের একত্র করলেন, এবং তাদেরকে ব্যবস্থা ও আজ্ঞাসমূহ পড়ে শুনালেন, যা ঈশ্বরের নিয়ম এবং যা তিনি তাদের জন্য স্থির করেছেন। এবং তারপর, মোশী তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ঈশ্বর আপনাকে যে আদেশ দিয়েছেন, আপনি কি তা পালন করবেন?” তখন ইস্রায়েলীয়রা এক স্বরে উত্তর দিল, বাস্তবিকই তারা সকলেই তাঁকে মান্য করবে। 
 তখন ঈশ্বর মোশীর মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলদের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন যে, “আমি তোমাকে রক্ষ করব এবং তোমাকে যাজকের রাজ্যের করব।” তারপর মোশী হোমার্থক ও মঙ্গলার্থক বলির রক্ত তাদের উপর প্রক্ষেপ করলেন। এই বিষয়টি দেখায় যে, যখন কোন ব্যক্তি পাপ করে, তখন তাকে (পুরুষ/স্ত্রী) অবশ্যই বলিদানের উপহারের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমা পেতে হবে। জীবন্ত বাক্য রূপে ঈশ্বর আমাদেরকে যা বলেছেন, আমরা অবশ্যই তাঁকে গ্রহণ করব। মোশী বলির রক্ত নিলেন, তার লোকদের উপর প্রক্ষেপ করলেন এবং তাদেরকে বললেন, “এই সেই নিয়মের রক্ত, যাহা সদাপ্রভু তোমাদের সহিত এই সকল বাক্য সম্বন্ধে স্থির করিয়াছেন।” এটা আমাদেরকে বলে যে, যেহেতু ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত বাক্য, তাই এই বাক্যকে যদি আমরা ধারন না করি, তাহলে আমরা অবশ্যই আমাদের পাপ মুছার নিমিত্ত বলিদানের উপহারের উপর আমাদের হাত রাখব, এটাকে বধ করব এবং আমাদের পাপের নিমিত্ত এই বলিদানের রক্ত ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করব।
 আমাদেরকে যে বিষয়টি অবশ্যই বুঝতে হবে, তাহল ঈশ্বরের এই ব্যবস্থা, এখানেই আমাদের পাপের শাস্তি, কিন্তু আবার একই সাথে বলিদানের প্রথা ও রয়েছে, যা আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে। আমরা যখন ঈশ্বরের ব্যবস্থা এবং আজ্ঞার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি, যখন আমরা বুঝতে পারব যে, এই ব্যবস্থা এবং আজ্ঞা সমুহ বলিদানে পাওয়া যায়, যা আমাদের পাপের ক্ষমা আনায়ন করে, তখন অবশ্যই সেগুলো আমাদের হৃদয়ে গ্রহণ করব। এই বিশ্বাস অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কেননা আমরা যখন ঈশ্বরের ব্যবস্থা ধরে রাখি তখন আশীর্বাদ প্রাপ্ত হই, এবং যখন ধরে রাখতে ব্যর্থ হই তখন অভিশপ্ত ইই। আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, বলিদানের উপহারের দ্বারা আমাদেরকে অবশ্যই সর্বদা আমাদের পাপ ধৌত করতে হবে। তাই, যারা পাপ করত তাদেরকে তাদের পাপ, বলিদানের উপহারের ইপর প্রবাহিত করত, ইজার মাথায় তাদের হাত রেখে, এই বলিদানের রক্ত নিয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে হত। আমাদেরকে অবশ্যই এ সমস্ত বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, ব্যবস্থা এবং বলিদানের প্রথা হচ্ছে ব্যবস্থার জীবন, যার মধ্য দিয়ে আমরা ঈশ্বর হতে নূতন জীবন গ্রহণ করতে পারি। 
 অতএব, ঈশ্বরের ব্যবস্থা আমাদেরকে আমাদের পাপ শেখায়, এবং জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের এই পার্থক্য দেখায় যে, বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়েছে, যে বাপ্তিস্ম যীশু খ্রীষ্ট যোহনের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন, এবং ক্রুশে তাঁর ও সেচন-এর অর্থ হল এই সত্য যে, তিনি জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। 
 ১১১ প্রাচীন কালে, জাতিগণ যখন একে অন্যের কাছে প্রতিজ্ঞা করত, তখন কখনও কখনও তারা বিভিন্ন প্রকার বলিদানের উপহার নিয়ে আসত। তারা মেষ ছাগ অথবা ষাড় নিয়ে আসত এবং তারা তাদের এইসব বলির উপহারের গ্রীবার অগ্রভাগ ছেদন করে এই বলির রক্ত দ্বারা তাদের ঐক্যমত প্রকাশ করত। এর দ্বারাই নিয়মের অত্যাবর্শকীয় শর্ত পালিত হয়েছে, কারন এর অর্থ হল, “আমার সহিত কৃত নিয়ম যদি তুমি পালন না কর, তাহলে তুমিও এই ভাবে মৃত্যু বরণ করবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে তারা রক্তের নিয়ম স্থাপন করলেন।” 
 একই ভাবে, ঈশ্বরও রক্তের দ্বারা তাঁর ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপিত করেছেন। অন্য দিকে তিনি আমাদেরকে বলেন যে, আমরা যদি তাঁর ৬১৩ ব্যবস্থা ও আজ্ঞা পালনে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা এই পাপের কারণে হত হব। কিন্তু একই সাথে, তিনি আমাদেরকে সমাগম তাম্বুর বলিদান প্রথার মধ্য দিয়ে বিশ্বাসের সাথে আমাদের পাপার্থক বলি তাঁকে অর্পণের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে বলেন।
 আমরা যদি ঈশ্বরের ব্যবস্থার বাক্যে গভীর ভাবে বিশ্বাস না করি, তাহলে আমাদের পাপের জন্য আমরা ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে কখনোই রক্ষা পাব না। কিন্তু আমরা যদি তাঁকে কৃতজ্ঞতার উপহার দেই, যা তিনি আমাদের জন্য স্থির করেছেন, তাহলে ঈশ্বর এই বলিদানের উপহার গ্রহণ করবেন এবং আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করবেন। আমরা সকলে অবশ্যই এই জীবনের ব্যবস্থার বিশ্বাস করব, পরিত্রাণের এই ব্যবস্থা আমাদেরকে বলে যে, সমাগম তাম্বুর বলিদান প্রথার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতির সকলের পাপ ক্ষমা করবেন, এবং এই ভাবে আমাদের হৃদয় পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে। যে কেউ ঈশ্বরের ব্যবস্থা অগ্রাহ্য করে, সে ঈশ্বরের প্রেমের ক্ষমা পাপ না, তাই আমাদের সকলকে ব্যবস্থা এবং আমাদের নিজ জীবনের জন্য পরিত্রাণের সত্য রূপে বলিদানের প্রথায় বিশ্বাস করতে হবে।
 এই কারণে মোশী রক্তে স্থিরকৃত নিয়ম পাঠ করলেন এবং সেই রক্ত ইস্রায়েল লোকদের উপর প্রক্ষেপ করলেন, এই রক্ত দিয়ে তারা ঈশ্বরের সাথে তাদের প্রতিজ্ঞা স্থির করলেন। অতএব, আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা যদি রক্তে স্থির কৃত ব্যবস্থা অবধান না করি, তাহলে আমরা সকলেই মারা যাব, কাজেই আমাদের অবশ্যই বিশ্বাসের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে হবে, আর কেবল যীশু খ্রীষ্টে এই ব্যবস্থা যিনি ঈশ্বর কর্ত্তৃক কত মূল্যবান আমাদের হোমার্থক ও মঙ্গলার্থক বলি।
 আমাদের সকলকেই অবশ্যই এই সত্য বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, সমাগম তাম্বুর বলিদানের প্রথা অনুসারে ঈশ্বরকে আমাদের বলিদানের উপহার দানের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা হতে পারে। নীল, বেগুনে ও লাল এবং মিহি মসীনা সূতার মধ্য দিয়ে সমগ্র মানব জাতির পাপের ক্ষমার বিষয় আমাদেরকে পরিষ্কার ভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। পাপের ক্ষমা লাভের উদ্দেশে হস্তপর্ণের মাধ্যমে বলিদানের যোগ্য উপহারের মস্তকে তাদের সমস্ত পাপ অর্পণ করতে হত। এবং তারপর এই বলির রক্ত হোমবলির বেদির শৃঙ্গি ছিটিয়ে দেওয়া হত, এবং বাকী রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেওয়া হত।
 এটা ছিল ব্যবস্থার পাপ ও মৃত্যু দ্বারা ধারণকৃত প্রকৃত বলিদানের উপহার। অতএব, বলিদান যোগ্য উপহার যা আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দেয়, সেই প্রতিজ্ঞাত পাপের ক্ষমা আমরা অবশ্যই বিশ্বাসে গ্রহণ করব। সমাগম তম্বুর বলিদানের প্রথা প্রদানের দ্বারা, ঈশ্বর আমাদেরকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা দিয়েছেন, যেন আমরা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতে পারি এবং আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা পেতে পারি। ঈশ্বর মানব জাতিকে যে দুইটি ব্যবস্থা দিয়েছেনঃ ব্যবস্থা নিজেই এবং সমাগম তাম্বুর বলিদান প্রথা, আমাদের হৃদয়ে তা গ্রহণরে দ্বারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক দ্বও পাপের ক্ষামার আশীর্বাদ আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। 
 
 

কিভাবে আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারি?

 
 ঈশ্বর মোশীকে যে বলিদানের প্রথা দিয়েছেন, তার মধ্য দিয়ে তিনি ইস্রায়েল জাতিকে দেখাতে চেয়েছে যে তাদের বলিদানের উপহারের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমায় বিশ্বাসের দ্বারাই তাদের পরিত্রাণ।
 আমরা যখন স্থির কৃত বলিদানের উপহারের বিশ্বাস ঈশ্বরকে দেই, তখন তিনি আমাদের বিশ্বস্ততা গ্রহণ করেন এবং আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেন। কেন? কারণ ঈশ্বর ইতিমধ্যেই সমগ্র মানব জাতিকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং যারা বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা করে তাদেরকে তাঁর পবিত্রকরণের আশীর্বাদ দান করেন। একজন যিনি যথার্থ তাঁর মধ্য দিয়েই বলিদানের প্রথা স্থির করা হয়েছে, ঈশ্বর আমাদেরকে এই পরিত্রাণের ব্যবস্থা বুঝতে সমর্থ্য করেছেন। যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তিস্ম গ্রহণ এবং ক্রুশে রক্ত সেচনের দ্বারা তার (পুরুষ /স্ত্রী) পাপ চিরতরে ধৌত করেছেন, এই সত্য যদি কেউ না জানে অথবা বিশ্বাস না করে, তাহলে সে (পুরুষ/স্ত্রী) অবশ্যই বিচারিত হবে। কাজেই আমাদের এক অবশ্যই ঈশ্বরের ক্ষমার প্রেমে বিশ্বাস করতে হবে। 
 সমাগম তাম্বুর বলিদান প্রথা মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, যার পরিত্রাণের পদ্ধতি ছিল, বলির উপর আমাদের হতে রাখার দ্বারা আমাদের পাপ সমূহ বলিতে চলে যায়। তাই আমরা অবশ্যই ক্ষমার সুসমাচারে বিশ্বাস কাব, যে সুসমাচারে আমাদের সকলকে যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে তাদের পাপ ধৌত করেছে,তাদেরকে অধিকার দিয়েছেন। যারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ব্যবস্থা এবং বলিদানের প্রথা বুঝতে পারে নাই, তারা কখনও চিরকালের নিমিত্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারে না, কিন্তু যারা ক্ষমার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা সকলে অনন্তকালীন পাপের ক্ষমার গ্রহণ করতে পারে।
 ঈশ্বর শুধু আমাদেরকে পাপের বিষয়ই বলেন নাই, বরং তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, আমরা পাপেপূর্ণ জীব, যারা প্রতিদিন পাপ না করে পারি না। কাজেই, আমাদের এই সমস্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে তিনি আমাদেরকে তাঁর উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করতে বলেছেন। এ কারণেই ঈশ্বর বলেন, একজন পাপী যখন তার কর্ত্তৃক উপহার দেয়, “তুমি আমার নিমিত্তে মৃত্তিকার এক বেদির নির্মাণ করিবে, এবং তাহার উপরে তোমার হোমবলির ও মঙ্গলার্থক বলি, তোমার মেষ ও তোমার গরু উৎসর্গ করিবে। আমি যে যে স্থানে আপন নাম স্মরণ করাইব, আশীর্বাদ করিব”(যাত্রাপুস্তক ২০:২৪)।
 ইস্রায়েলেরা ঈশ্বরকে পাপার্থক বলি উৎসর্গ করত, তারা বলির মস্তকে তাদের হাত রাখত, আর এর মধ্য দিয়ে বরিতে তাদের পাপ চলে যেত, বলির রক্ত হোমার্থক বেদির শঙ্গের উপর রাখা হত এবং এর মাংস বেদির উপর রেখে আগুণে পোড়ানো হত। ঈশ্বর প্রদত্ত পরিত্রাণের ব্যবস্থাকে আন্তরিক ভাবে বিশ্বাস করার মাধ্যমে তারা অত্যাবর্শকীয় ভাবেই এই ধরণের বলি উৎসগ করত। ঈশ্বর যে উপহার চাইতেন, তা শুধু প্রথা সর্বস্ব্য ছিল না, বরং এটা ছিল বিশ্বাসের তাদের পাপ গুলো আন্তরিক ভাবে অর্পণ করার নিয়ম। তার বিশ্বাস করত যে যদি তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহের জন্য এটা না করে, তাহলে তারা অবশ্যই নরকে যাবে।
 আমাদের পাপ মুছে ফেলার জন্য প্রভু যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর রক্ত বিসর্জন দিয়েছিলেন। পাপার্থক বলি আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করতে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই বিশ্বাসের বলি, নূতন নিয়মের পরিত্রাণের বলির পূর্ব ছায়া রূপে খ্রীষ্ট যীশুতে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল,- অর্থাৎ খ্রীষ্ট পৃথিবীতে এসেছেন, যোহনের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছেন, এবং এই ভাবে সমস্ত মানব জাতিকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। আমাদের হৃদয়ে এই সত্য বিশ্বাসের দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সন্তান হই। 
 
 
 আমরা অবশ্যই মতবাদের বিশ্বাস ছুঁড়ে ফেলে দেব 
 
 যাত্রাপুস্তক ২০:২৫-২৬ পদ বলে, “তুমি যদি আমার নিমিতে প্রস্তরের বেদি নির্মাণ কর, তবে খোদিত প্রস্তরে তাহা নির্মাণ করিও না, কেননা তাহার উপরে অস্ত্র তুলিলে তুমি তাহা অপবিত্র করিবে। আর আমার বেদির উপরে সোপান দিয়া উঠিও না, পাছে তাহার উপরে তোমার উলঙ্গতা অনাবৃত হয়।” এই পদের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর কি বলতে চেয়েছেন সেই বিষয় আমরা অবশ্যই বিশেষ মনোযোগ দেব। ঈশ্বর ইস্রায়েলদেরকে বললেন যেন তারা একটি বেদি নির্মাণ করে, যদি তারা এটি নির্মাণ করে, তাহলে যেন প্রস্তরের বেদি নির্মাণ করে, তারা যেন খোদিত প্রস্তরে নির্মাণ না করে, বরং প্রান্তরে, যা এর প্রকৃত আকৃতিও গঠন অনুযায়ী হবে। এর অর্থ কি? এর অর্থ হচ্ছে, ঈশ্বর তাঁর পরিত্রাণে আমাদের বিশ্বাস গ্রহণ করতে আনন্দিত হয়েছেন, যা কখনেই মানবিক চিন্তা-চেতনা দ্বারা সংযুক্ত বা পরিবর্তিত করা যাবে না।
 আর এই অংশের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদের সর্তক করেছেন যে,“আর আমার বেদির উপরে সোপান দিয়া উঠিও না, পাছে তাহার উপরে তোমার উলঙ্গতা আনাবৃত হয়।” মানুষের তৈরী ধর্মবাদি বিশ্বাস তাঁর ভজনা কর না। এই পৃথিবীর প্রত্যেক ধর্ম মানব সৃষ্ট বিশ্বাস প্রথা ছাড়া আর কিছুই না। তারা তাদের নিজেদের ধর্মে সাধারণ এভং মূল একটা নীতি সংযুক্ত করে, যা লোকদেরকে ধাপে ধাপে পবিত্র হতে চেষ্টা করতে বলে, তাহলে তারা বিশস্তপূর্ণ ধার্মিক জীবন-যাপন করতে পারবে। এমন কি খ্রীষ্টিয়ান ধর্মাবদ গণ দাবী করেন যে, তারা ঈশ্বরের ব্যবস্থার অনুসারে ধার্মিক জীবন-যাপন করবেন স্বভাবিক ভাবেই পবিত্ৰকৃত হতে পারবে। 
 কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কি এটা সত্য? অবশ্যই না! মানুষ আব্রাহমে বংশধর হিসাবে জন্মগ্রহণ করে, পাপের কারণে ঈশ্বর ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারে না এবং বাদ ও দিতে পারে না, বরং এই সমস্ত পাপের কারণে তাদেরকে হঠাৎ মৃত্যুর সম্মুখিন হতে হয়। অতএব, জগতের পাপ থেকে এই সমস্ত লোকদেরকে উদ্ধার করতে, সমাগম তাম্বুর বরিদান প্রথা স্থাপন করেছেন, এবং বাস্তবিকই তাদের উদ্ধার করেছেন।
 সুতরী আমরা সকলে অবশ্যই ক্ষমার সুসমাচার, আমাদের পাপের ক্ষমার, আমাদের পরিত্রাণ যা ঈশ্বর নীল, বেগুনে, ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতা দ্বারা সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বারে আমাদের জন্য স্থাপন করেছেন তা গ্রহণ করব। যেহেতু এটা বাইবেলের বাক্যে লিখিত হয়েছে যে,যীশু খ্রীষ্ট বাক্যের ঈশ্বর হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন; তাই পূর্বে বর্ণিত, নীল, বেগুনে, ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতা দ্বারা সমাগম তাম্বুর প্রতিয়মান, এভাবে তিনি তাঁর কার্য্য করেছেন, এবং বাস্তবিকই তিনি আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। 
 কিন্তু যাদের মধ্যে কেবল ধার্মিক ও মতবাদের বিশ্বাস রয়েছে, তাদের কি অবস্থা হবে? তাদের প্রতিদিনের পাপের ক্ষমা নিয়েই বা তারা কি করছে? এই ধরণের লোকেরা তাদের অনুতাপের প্রার্থনা উপহারের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণের চেষ্ট করে, পবিত্রকরণ বৃদ্ধির মতবাদে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ধার্মিক হতে চেষ্টা করে। এটা হল মানুষের নিজের তৈরী ভ্রান্ত মতবাদের বিশ্বাস। নিজের চেষ্টায় ঈশ্বরের দেখা পাওয়ার চিন্তা করা এক ধরণের একগুয়েমি, এবং এটা বাস্তবিক ভাবে নিজেকে জাহির করার মত ধার্মিকতার একটি পাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। 
 লোকদের প্রথমে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, এমন কিছুই নেই যে তার দ্বারা তাদের নিজেদের সমস্ত পাপ নিজেরাই ঈশ্বরের সম্মুখে মুছে ফেলতে পারে। আমরা যখন এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেছি, আমরা সকলেই এরূপ পাপেই জন্ম গ্রহণ করেছি, তাই আমরা কেবল নিজেরা পাপ না করে পারি না, আর এজন্যই আমরা সর্বদা এত বেশি পাপ করে থাকি। এটা কোন বিষয় নয় যে, আমাদেরকে কত বার তাঁর ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে বলেন যে, পাপ কর না, কিন্তু আমরা এমন যে আমরা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে লঙ্ঘন না করে পারি না এবং ঈশ্বরের সম্মুখে আরও অনেক বেশি পাপ করে থাকি। সুতরাং, আমরা যে পাপে পরিপূর্ণ, ঈশ্বরের ব্যবস্থার সম্মুখে তা আমাদেরকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আমাদের প্রভু যীশুর কার্যে যেমন তাঁর নীল, বেগুনে, ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সৃথা দ্বারা প্রতিয়মান কার্যের মধ্য দিয়ে, ঈশ্বর আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, আর পরিত্রাণের এই সত্য আমরা অবশ্যই আমাদের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করব।
 ঈশ্বরের বাক্য ব্যতিত আর অন্য কোন পথ নেই, যা জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে, প্রভু নিজেই তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের নিজ বলিদানের উপহার হয়েছেন, আর তাই, এভাবেই তিনি বাস্তবিকই জগতের সমত পাপ থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন। তাই বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যিহোবা ব্যতিরেকে আর অন্য কোন ঈশ্বর নাই, আর এই জন্য খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে ছাড়া কেউই পিতার কাছে আসতে পারে না (যোহন ১৪:৬)। ঈশ্বরের ব্যবস্থার বাক্য বুঝ না এবং বিশ্বাসের দ্বারা আমরা পাপী হই আর জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার পাই। এটাই ঈশ্বরে আমাদের প্রকৃত এবং সত্য বিশ্বাস। 
 তাই, আমাদের সকলকে অবশ্যই তাঁর পরিত্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, যেহেতু এটা হচ্ছে পাপ ক্ষমতার ব্যবস্থা যা ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করতে, আমাদের জন্য স্থির করেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মত খ্রীষ্টিয়ান ধর্ম নয়, বরং এটা হচ্ছে পরিত্রাণের সত্য যা আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তির উপর স্থাপিত, যা যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে, যিনি নীল, বেগুনে, ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতায় আর্বিভূত হয়েছেন।
 
 
উপরের মূল অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে, কেন ঈশ্বর আমাদেরকে আহবান করেছেন
 
 আমাদের সকলকে এই বিষয়টি অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে তাঁর বিশেষ অধিকারে রাখতে তিনি আমাদেরকে আহবান করেছেন। আমাদের নিজস্ব কার্য ও প্রচেষ্টা দ্বারা আপনি এবং আমি কখনোই ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি না। বরং আপনি এবং আমি ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি, কেননা আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করেছি, আর এই সত্য হল, যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন ব্যবস্থার অভিশাপ শাস্তি ও নরকের ধংস থেকে আমাদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ এবং ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা, তিনি বাস্তবিকই আমাদের মধ্যে যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে উদ্ধার করছেন। ঈশ্বরের পুত্র মোশীহ মাংসিক দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে মানব জাতির সমস্ত পাপ ক্রুশে বহন করেছেন, আমাদের পাপের মূল্য পরিশোধ করতে তিনি নিজেই আমাদের নিমিত্ত উৎসর্গীকৃত হয়েছেন ও ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন, এবং এই ভাবে সত্যই যারা তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাঁকে বিশ্বাস কের তিনি তাদের উদ্ধার কর্তা হয়েছেন। 
 ঈশ্বর আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি নীল, বেগুনে, ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতার মধ্য দিয়ে তিনি মানব জাতিকে পাপের যথার্থ ক্ষমা দিয়েছেন। আমাদের প্রভু আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, “আমি তোমার পাপের ক্ষমার জন্য যে কার্য করেছি, আমি এই পৃথিবীতে এসেছিলাম এবং যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলাম, এবং ক্রুশের উপর আমার রক্ত সেচন করেছিলাম, তুমি কি আমার এই কার্যে বিশ্বাস কর?” ঈশ্বরের সম্মুখে আমরা সকলে যা বলতে পারি তাহল, “হ্যাঁ”। ঈশ্বর আমাদেরকে উদ্ধার করতে যে পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, তাতে বিশ্বাস ব্যতিরেকে আর অন্য কোন পথ নেই। পুরাতন নিয়মেরকালে কেবল ইস্রায়েলদের জন্যই নয়, বরং আজ আপনি এবং আমিও ট্ট বাস্তবিক, পৃথিবীর সমস্ত লোক- জানে কেন ঈশ্বর মোশীকে সীনয় পর্বতে ডেকেছিলেন এবং এই মূল অনুচ্ছেদের বাক্যে তার সাথে কথা বলেছিলেন।
 ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে দশ আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং বিশ্বাসে তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহন করতে তাদেরকে মৃত্তিকার একটি বেদি নির্মান করতে বললেন (যাত্রাপুস্তক ২০:২৪)। ঠিক যেভাবে আমাদের বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে নীল, বেগুনে লাল সুতা এবং মিহি মসীনা সুতায় প্রতিয়মান হয়েছে যা, ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন, আমরা অবশ্যই আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধারিত হব।
 ঈশ্বরের নিজেস্ব নাম কি? তাঁর নাম হচ্ছে, “যিহোবা।” এর অর্থ, “আমি যে আছি সেই আছি।” অর্থাৎ, ঈশ্বর তিনি যিনি নিজেই তাঁর সত্ত্বা। তাহলে, কিভাবে তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন ? তিনি জল ও আত্মার মধ্যদিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন (যোহন ৩:৫)। আমাদের প্রভু মাংসিক দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা মানবজাতির সমস্ত পাপ তুলেনিয়েছেন এবং আমাদের নিমিত্ত ক্ৰশে মৃত্যু বরণ করতে উৎসর্গীকৃত হয়েছেন। এসমস্ত সবই সত্য, এবং আমরা অবশ্যই এতে বিশ্বাস করব, কেননা ঈশ্বর আমাদের এই বিশ্বাস রাখতে বলেছেন, যা নীল, বেগুনে লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতা সমাগম তাম্বুর দ্বার প্রঙ্গণে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যখন আমাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনাকে অগ্রাহ্য করি, কেবল তখনই সত্য বিশ্বাস আসে, এবং ঈশ্বর প্রদত্ত পাপের ক্ষমা উপলব্দি করতে পারি। তাঁর এই সর্তহীন প্রেম, আমাদেরকে প্রদান করার জন্য আমরা তাকেধন্যবাদ দিতে পারিনা, কেননা আমাদের এমন কিছুই নেই, যা দিয়ে আমরা ঈশ্বরের সম্মুখে গর্ব করতে পারি। 
 আমাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরীয় জ্ঞানে বাইবেলের উপর আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করতে হবে। ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে এই বিশ্বাসের ভিত্তি সম্পর্কে বলেছেন, তাছাড়া তিনি আমাদেরকে এই বিষয় বলেছেন। সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বারের বর্ণে প্রতিয়মান সত্যে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। এই বর্ণ যা বিশ্বাসের ভিত্তিতে স্থাপিত। আমরা অবশ্যই সত্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করব। আপনাকে এবং আমাকে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে, ঈশ্বর তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্যদিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত সেচন করেছেন। 
 আপনি যদি আত্মিক ইস্রায়েল হতে চান, তাহলে খ্রীষ্টিয়ান ধর্মবাদী বিশ্বাস ধংস করনের দ্বারা, বলিদান প্রথা পুনঃস্থাপনের দ্বারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে আপনাকে অবশ্যই পাপ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। আপনাকে এবং আমাকে অবশ্যই নীল,বেগুনে ও লাল সূতা এবং মিহি মসীনা সূতায় প্রতিয়মান জল ও আত্মার সুসমাচার জানতে হবে, এবং পুনরায় আমাদের পাপ ক্ষমার বিশ্বাসের ভিত্তি তৈরী করতে হবে, যেন আমরা দৃঢ় ও শক্তভাবে দাঁড়াতে পারি।
 আমাদের অবশ্যই বিশ্বাসে যীশুকে ধন্যবাদ দিব। আমরা যারা নরক যোগ্যছিলাম, আমদের পরিত্রাণের জন্য পিতা ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টকে পৃথিবীতে পাছিয়েছিলেন, যিতি তাঁর সত্য বাক্য নীল, বেগুনে, লাল সূতা ও মিহি মসীনা সূতার ন্যায় এসেছেন। সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে এই সত্যে বিশ্বাস করতে হবে যে, নীল, বেগুনে, লাল ও মিহি মসীনা সূতায় প্রতিয়মান তাঁর চারটি কর্মের দ্বারা আমাদের প্রভু আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, এবং তাঁর ক্সমার প্রেম বিশ্বাসের দ্বারা, আমরা আমাদের সমস্ত ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা একমাত্র ঈশ্বরকে প্রদান করব। কি কারনে মোশীকে ঈশ্বর সীনয় পর্বতে ডেকেছিলেন, আমরা যখন তা পরিষ্কাভাবে বুঝতে পারব এবং বিশ্বাস করতে পারব, তখন, যাদের পাপ ক্ষমার উপর প্রকৃতই বিশ্বাসের ভিত্তি রয়েছে, তাদের একজনের ন্যায় আমরা ও আহবান প্রাপ্ত হতে পারি। কি কারণে ঈশ্বর আমাদেরকে সীনয় পর্বতে আহগবান করেছেন, আপনি এবং আমি তা অবশ্যই বুঝতে পারব, আর এতে বিশ্বাস করুন। বলিদানের মধ্যদিয়ে এটা আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছে এবং আমাদেরকে তাঁর সন্তান করেছে। 
 সমাগম তাম্বুর দ্বার প্রাঙ্গণে থেকে এই সত্য প্রতিয়মান হয়েছে ঈশ্বরের দয়ার অনুগ্রহে প্রবেশ করতে আপনি আরও বেশী সমর্থ হবেন। আপনারা সকলে যেন ঈশ্বরের ক্ষমার প্রেমে বিশ্বাস করতে পারেন এবং আপনাদের হৃদয়ে এটা গ্রহণ করতে পারেন, এটাই আমার একান্ত প্রত্যাশা ও প্রার্থনা।
The New Life Mission

Doe mee aan ons onderzoek

Hoe heeft u over ons gehoord?