Search

คำสอน

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[9-3] যাকোবকে প্রেম করে কি ঈশ্বর ভুল করেছেন? (রোমীয় ৯:৩০-৩৩)

< রোমীয় ৯:৩০-৩৩ >
“ তবে আমরা কি বলিব? পরজাতীয়েরা, যাহারা ধার্মিকতা অনুধাবন করিত না, তাহারা ধার্মিকতা পাইয়াছে, বিশ্বাসমূলক ধার্মিকতার পাইয়াছে; কিন্তু ইস্রায়েল ধার্মিকতার ব্যবস্থার অনুধাবন করিয়াও সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত পঁহুছে নাই। কারণ কি? বিশ্বাস দ্বারা নয়, কিন্তু যেন কৰ্ম্ম দ্বারা তাহারা অনুধাবন করিত। তাহারা সেই ব্যাঘাতজনক প্রস্তরে ব্যাঘাত পাইল; যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে ব্যাঘাত জনক প্রস্তর ও বিঘ্নজনক পাষান স্থাপন করিতেছি; আর যে তাহার উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হইবে না।”
 
আমাদের আহবান করে আমাদের প্রভু বলেন, “কেননা আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি” (মথি ৯:১৩)। আমাদের এটা বোঝা উচিতযে, যারা নিজেদের ধার্মিকতার অন্বেষণ করে, পরিত্রাণের অনুগ্রহ তাদের জন্য দেওয়া হয়নি, সুতরাং এটা এড়ানোর জন্য, তার পরিবর্তে আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের ধর্মকতায় বিশ্বাস করতে হবে।
 রোমীয় ৯:১৩ পদে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বর যাকোবকে প্রেম করতেন অন্যদিকে এষৌকে ঘৃনা করতেন। যারা কৃতজ্ঞতার সাথে ঈশ্বরের আশীর্বাদ গ্রহন করে, ঈশ্বর তাদেরকে পাপের ক্ষমা দান করে অনুগ্রহ দান করেছেন, যা তাদেরকে তাঁর লোক করেছে। আমরা সকলে ঈশ্বরের ধার্মিকতার জ্ঞানে তাঁকে অবশ্যই বিশ্বাস করব।
 আমাদের সকলের জন্য দেওয়া ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্য আমাদের শিখতে ও বুঝতে হবে। কেউ যদি তার পাপ থেকে মুক্ত হতে চায়, তবে প্রথমেই তাকে তার নিজের পাপ ও অধর্ম সম্বন্ধে এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে জানতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই তাঁর ধার্মিকতা জানতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। ঈশ্বর বলেন, যারা নিজেদের নরকযোগ্য হিনাবে বুঝতে পারে, তাদেরই কেবল তাঁর ধার্মিকতার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের পাপ ও অর্ধম চিনতে পারা গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে, পাপের কারণে নরকের অপরিহার্য শাস্তি ঈশ্বরের ক্রোধ হিসাবে আমাদের উপরে বর্ত্তাবে।
কিন্তু আমরা আমাদের হৃদয়ের গভীরে জল এবং আত্মার সুসমাচার ধারণ করতে পারি যা আমাদের প্রভুর বাপ্তিস্ম, তাঁর ক্রুশে মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থানের দ্বারা আমরা পাই, কারণ একমাত্র তারাই ইহা পারে যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানে এবং এই ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে। এ কারণে ঈশ্বরের প্রেম এবং অনুগ্রহ এমন কিছু নয় যা অনুতাপের আরাধণা অথবা ভক্তিপূর্ণ জীবন-যাপনের দ্বারা অর্জন করতে হয়, যা অনেক ধর্মপ্রাণ লোকেরাই করে থাকে। যাইহোক, ঈশ্বর তাদের জন্য পাপের ক্ষমা দিয়েছেন যারা তাঁকে ভক্তি করে এবং তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে।
জল ও আত্মার সুসমাচার সাদরে বিশ্বাস করার জন্য আমাদের হৃদয়কে অবশ্যই সর্বদা প্রস্তত রাখতে হবে। আপনি কি ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে গ্রহণ করতে চান? তাহলে তাঁর ব্যবস্থার দ্বারা আপনার নিজ কর্মের অক্ষমতাসমূহ ঈশ্বরের সম্মুখে স্বীকার করুন। আপনি ঈশরের ক্রোধের নীচে, কারণ আপনি আপনার পাপ সমূহ জানেন এবং এজন্য আপনার তাঁর ধার্মিকতার প্রয়োজন! যখন আপনি আপনার হৃদয়ের গভীরে জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাসে স্বীকৃতি দেবেন, ঈশ্বরের ধার্মিকতা তখন আপনার হবে। আপনাকে অবশ্যই এই সত্য জানতে হবে।
 
 
যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন তাদের হৃদয় দিধান্বিত এবং বদ্ধ
 
 ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, শুরুতে আমাদের চিন্তা-চেতনা গুলো অক্ষম ছিল (আদিপুস্তক ১:২) শুরুতে মানুষের চিন্তা-জেতনা গুলো কেন অক্ষম ছিল? এর কারণ পতিত দূত শুরু থেকেই মানুষকে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্যের বিরুদ্ধে ফিরানোর জন্য তাদের মনের মধ্যে সন্দেহ তৈরী করেছিল। এই কারণেই মানুষের হৃদয়ে পাপ প্রবেশ করল (আদিপুস্তক ৩:১-৮)।
শাস্ত্রে আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর সৃষ্ট একজন দূত তাঁর বিপক্ষতা করল। এই দূত ঈশ্বরের সিংহাসনের চারিদিকে তার নিজ ক্ষমতা এবং ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, এবং তার অধিকার সুসংহত করার জন্য বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে। এই পতিত দুত মনুষ্যদেরকে প্রলোভিত করে, ভুল পথে চালিত করে এবং তাদেরকে ঈশ্বরের বিপক্ষে ফিরায়। এই দূতকে বলা হয়েছে শয়তান। এই দাম্ভিক দূত এখনও পর্যন্ত বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের মধ্যে সমভাবে সমস্ত প্রকার দাম্ভিকতাপূর্ণ এবং বিদ্রোহী আচার আচরনের দ্বারা কাজ করে যাচ্ছে। ভুল পথে চালিত মানুষের মাধ্যমে সে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্য এবং তার শাসনে চ্যালেঞ্জ করে।
 শয়তান সর্বদা মিথ্যার অবলম্বন করে, এজন্য লোকেরা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাসে সমর্থ হয় না। শয়তানের দ্বারা ভুল পথে চালিত হয়, অনেকে তাদের নিজেদের ধার্মিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ চেষ্টা করে। সে মানব জাতিকে পাপে পতিত করে, এর ফলশ্রুতিতে, সে তাদের জীবনকে এবং তাদের মনকে সন্দেহপূর্ণ করে।
 
 

পাপের ক্ষমা এবং ধার্মিকতা ঈশ্বর হতে দত্ত

 
মানব জাতীর জন্য পাপ হতে যে পরিত্রাণ, যারা শয়তানের মিথ্যা প্ররোচনার দ্বারা যে পাপে পতিত হয়েছে, তাহা এক জনের আকাঙ্খর অথবা (পুরুষ/ নারী) নিজেদের ধার্মিকতার উপর নির্ভর করে না। যাই হোক, অনেক লোক তাদের পাপ থেকে মুক্তির জন্য হতাশাভাবে চেষ্টা করে, যদি ও তারা নিজেদের দূর্বলতা সমূহ অনুরোধ করা ছাড়াই ঈশ্বরের বিরূদ্ধে চলে। ঈশ্বর তাদের তীব্র তিরষ্কার করেণ, যারা নিজেদের ধার্মিকতায় অবলম্বন করে, এবং তাদেরকে, যারা তাদের ভাল কাজের দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভের চেষ্টা করে। এই প্রকার লোকের জন্য পরিত্রাণ নয়; একমাত্র তাদের জন্যই যারা জানে যে তারা পাপী, এবং যারা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদেরকে ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতা দান করেছেন। 
ঈশ্বরের সার্বভৌম সংকল্প মানবীয় ধ্যান ধারণা থেকে মৌলিকভাবে ভিন্ন। পৌল আমাদেরকে বলেছেন যে, এ ধরনের ব্যক্তিরা শ্রেষ্টত্ব প্রকাশের জন্য ধর্মিয় মন্ডলীতে নিয়মিত অংশগ্রহন, সন্ধ্যা প্রার্থনা, ভোরের প্রার্থনা উপবাস, উপহার, অনুতাপের প্রার্থনা ইত্যাদি দ্বারা (পুরুষ/নারী) কখন ও তাদের নিজেদের (পুরুষ/নারী) পাপ ধৌত করতে সমর্থ হবে না।
ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, ব্যবস্থার কার্যদ্বার আমরা আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারিনা, এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে আমাদের করতে পারি না। ৯ অধ্যায়ে ৩২-৩৩ পদে বলে, “কারণ কি? বিশ্বাস দ্বারা নয়, কিন্তু যে কর্ম দ্বারা তাহারা অনুধাবন করিত। তাহারা সেই ব্যাঘাতজনক প্রস্তরে ব্যাঘাত পাইল; যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে ব্যাঘাতজনক প্রস্তর ও বিঘ্নজনক পাষান স্থাপন করিতেছি; আর যে তাঁহার উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হইবে না।”
 এইরূপে, আমরা অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করে, একারণে যীশু ঈশ্বর এবং মানব জাতির মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে উৎসগীকৃত হলেন। অতএব ইহা অবশ্যই কঠিন যে, আপনি বুঝতে পারবেন, ঈশ্বরের ধার্মিকতার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার নিজের ধার্মিকতায় প্রবেশ করেন। আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা, যা বিনামূল্যে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে, তা অগ্রাহ্য করা আমার উচিত নয়, যখন আমরা যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্ত্তারূপে স্বীকার করি।
এমন কি এখনও অনেক লোক আছে, যারা প্রভু যীশুকে তাদের ত্রাণকর্ত্তারূপে স্বীকার করে পাপীদের মত রয়েছে। কারণ তারা সুসমাচারে বিশ্বাস করে নাই, যা ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ করে। মানুষ ঈশ্বরের ব্যবস্থা অনুসরন করে তাঁর ধার্মিকতা অর্জন করতে পারে না। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্য বিশ্বাস করে, তারা নিজস্ব ধার্মিকতা অনুসরণ করা পরিত্যাগ করে। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যীশু তাদের বিঘ্ন জনক পাষান হয়েছেন।
 যারা খ্রীষ্ট যীশুকে তাদের ত্রাণকর্ত্তা হিসাবে বিশ্বাস করে, জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য তাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করে, এবং যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার অনুসরণ করে, তারা অবশ্যই এদের অনুসরণ করে। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে প্রকাশিত ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্যে বিশ্বাস করার মাধ্যমেই কেবল পাপের ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন পাওয়া যায়। এই বাক্যের দ্বারা আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়ে যে, খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে কারা পাপের ক্ষমা পায়নি; এবং এই সাথে এই বাক্য এই শিক্ষা দেয় যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করবে।
সঠিকভাবে বিশ্বাস করতে হলে, এটা বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর কোন একদল লোককে নিঃশর্তভাবে পৃথক করে নরকে পাঠাবেন। ঈশ্বর যদি কাউকে কাউকে প্রেম করতেন এবং অন্যদেরকে বিনা কারণে ঘৃনা করতেন, তাহলে মানুষ তাঁর ধার্মিকতাকে শ্রদ্ধা করত না।
জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পাপীদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশে ঈশ্বর ধার্মিকতার ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং তাঁর প্রেমের মহা আশীর্বাদে আমাদের সজ্জিত করেছেন। জল ও আত্মার সুসমাচারে ঈশ্বরের ধার্মিকতার কথা বলা হয়েছে, তাই প্রত্যেককে নিজস্ব আত্ম-ধার্মিকতা অবশ্যই ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তাদেরকেই ঈশ্বরের ধার্মিকতা দেওয়া হয়েছে, যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে।
 আত্ম-ধার্মিকতা দ্বারা নিজেদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা ঈশ্বর মানুষকে দেন নাই। এমনকি কেউ যদি যীশুতে বিশ্বাস করে, তবুও ঈশ্বরের ধার্মিকতাপূর্ণ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করে, তবে এই ধার্মিকতা সে গ্রহণ করতে পারে না (যোহন ৩:১-৮)।
যীশু যে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন এবং ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন, তাই হল ঈশ্বরের ধার্মিকতা। এই কারণে যারা আত্মা ধার্মিকতার অন্বেষণ করে, যীশু তাদের কাছে ব্যাঘাতজনক প্রস্তরস্বরূপ। সুতরাং যীশুকে বিশ্বাসীদেরকে এই কথা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, যারা অধার্মিকতার অনুসরণ করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে পদদলিত করে। ঈশ্বর ধার্মিকতায় বিশ্বাস ব্যতিত কেউই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, তাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা লাভ করতে হবে।
 যীশু খ্রীষ্ট, যিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, তিনিই পাপীদের ত্রাণকর্ত্তা এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতা। যেহেতু যীশু জল ও আত্মার বাক্য দ্বারা পাপ ক্ষমা করেছেন, তাই অবশ্যই প্রকৃতভাবে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। যীশুতে বিশ্বাসীগণকে অবশ্যই যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্মকে এবং ক্রুশীয় রক্ত সেচনকে ঈশ্বরের ধার্মিকতা হিসাবে বিশ্বাস করতে হবে। যারা লিখিত জল ও আত্মার বাক্যে বিশ্বাস করে, তারাই কেবল স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করে।
 
 

ক্রোধের পাত্র এবং অনুগ্রহের পাত্র-এই দুটি ভাগের কথা আমাদের বলা হয়েছে

 
প্রভু বলেন, “বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমূদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিংবা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্ত্তে কি দিবে?” (মথি ১৬:২৬)। এই জগতে কেউ যদি নিজের অনন্ত জীবন হারায়, তবে যত জাগতিক অর্জনই করুক না কেন, সবকিছু বৃথা। কেউ যদি পৃথিবীকে জয় করে, এমনকি বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডও জয় করে তাতে কোন লাভ হবে না, যদি না সে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে নিহিত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন।
 যত উন্নত মতবাদই তৈরী করা হোক না কেন, জল ও আত্মার সুসমাচারে সাধিত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ সেই ধার্মিকতা অর্জন ও বিশ্বাস করতে পারে। যীশুতে বিশ্বাসীগণ কেবল মাত্র তখনই তাদের পাপ থেকে মুক্ত হবে, যখন তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা গ্রহণ করে বিশ্বাস করবে।
 আজকাল বিশ্বাসীদের জন্য এই ব্যাপারটা খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, নিজেদেরকে তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসী বলে ঘোষনা করলেও প্রতিদিন সকালের প্রার্থনা সভায় নিজেদের পাপের জন্য তারা আর্তনাদ করে। কিন্তু আসলে তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশাস করে না। আমাদের এটা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না তার এই সত্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রানে বিশ্বাস করে না; তারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, বরং তাঁর ক্রোধ সঞ্চয় করে। কারণ, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিপক্ষে, তারা শুধু তাঁর শত্রুই হতে পারে।
যোহন ৩:৫ পদে আছে, “যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না।” এই কারণে, জল ও আত্মার সুসমাচারে এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্ত পাপের সমস্য থেকে মুক্ত হতে পারেন। জল ও আত্মার সুসমাচারই হল ঈশ্বরের ধার্মিকতা, যা আপনাকে পাপ থেকে মুক্ত করতে পারে এবং তাঁর ধার্মিকতা দান করতে পারে।
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি যদি ধার্মিক হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় নিহিত জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে বিশ্বাস করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আর ও অনুধাবন করতে হবে যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আপনার হৃদয় পূর্ণ করতে হলে, আপনার আত্মা ধার্মিকতা পরিহার করতে হবে। ইস্রায়েল এবং পরজাতী উভয়ের জন্য পৌল বলেন যে, তারা যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করতে চায়, তাহলে নিজেদের ধার্মিকতা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের ফল স্বরূপ অব্রাহামকে ঈশ্বর পুত্র দিয়েছিলেন। জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রতিয়মান হয়। ধার্মিকতার বাক্যে বিশ্বাস করলে ধার্মিক হওয়া যায়। ইসহাকের স্ত্রী রিবিকা যমজ সন্তান গর্ভে ধারন করেছিলেন, তাদের জন্মের পূর্বে, ভাল মন্দ কিছু করার পূর্বেই তাঁকে বলা হয়েছিল,“জ্যেষ্ট কনিষ্টের দাস হবে।” এই অংশের ভিত্তিতে অনেকে মনে করে যে, ঈশ্বর ন্যায়বান, কিন্তু তাদের এই ধারণা ঠিক নয়। 
 যেহেতু, রিবিকার গর্ভে থাকা অবস্থায়ই ঈশ্বর তাদের ভবিষ্যত বিশ্বাস সম্পর্কে জানতেন, সেই জন্যই এমন হয়েছিল। জল ও আত্মার সুসমাচারে ঈশ্বরের ধার্মিকতা গুপ্ত রয়েছে। কারণ ঈশ্বর দেখতে পেয়েছিলেন যে, এষৌ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় নয় বরং নিজের সৎ কর্মের অহংকারী হবে, এজন্যে ঈশ্বর তাকে পরিত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে ঈশ্বর বুঝতে পেরেছিলেন যে, যাকোব ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করবেন এবং তাকেই সমস্ত গৌরব দেবেন, এই কারণে ঈশ্বর তাকে তৈয়ার না করে পারেন নি।
ঈশ্বর যে যাকোবকে প্রেম করেছিলেন এবং এষৌকে ঘৃনা করেছিলেন, সত্যের ভিত্তিতেই তা করেছিলেন। এষৌর মত লোককে ঈশ্বর প্রশংসা করেন না, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বাদ দিয়ে নিজের ক্ষমতায় অহংকারী হয়, কিন্তু তিনি যাকোবের মত লোকদের দ্বারা সন্তুষ্ট হন এবং তাদেরকে প্রেম করেন, যারা নিজেদের অধার্মিকতা জানে এবং শুধু মাত্র তাঁর ধার্মিকতায় করে। 
ঈশ্বর কেন এষৌর প্রতি এমন করলেন? এই প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে মানুষ ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে ভুল বোঝে। তারা মনে করে যে, ঈশ্বর যদি কাউকে কাউকে প্রেম করেন এবং কাউকে ঘৃনা করেন তাহলে অবশ্যই ঈশ্বরের কোন ভুল আছে; এবং এই কারণে ঈশ্বরকে অন্যায্য ঈশ্বর মনে করে এমনকি যীশুতে বিশ্বাস করতেও তারা অস্বীকার করে।
কিন্তু ঈশ্বর কিভাবে অন্যায্য হতে পারেন? যদি কেউ ঈশ্বরকে অন্যায্য মনে করে থাকেন, তার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার সত্যে তাদের ধারনা নাই। উপরন্তু, নির্দিষ্টভাবে বলা যায় যে, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করছে না, মানবীয় ধার্মিকতার দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে আড়াল করে আরো বড় পাপ করছে। ঈশ্বরের ধার্মিকতার সম্মুখে প্রত্যেকে তার আত্মধার্মিকতা দূর করতে হবে এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিহিত পরিত্রাণের বাক্যে বিশ্বাস করার এটাই একমাত্র পথ। যদি আপনি ঈশ্বরকে অন্যায্য বলেন, তবে তা আপনার নিজস্ব চিন্তার ফল, যাতে প্রমাণিত হয় যে, আপনি ঈশ্বরের পবিত্র সঙ্কল্প সম্পর্কে অজ্ঞ, যে সংকল্প তাঁর পরিকল্পনা এবং মনোনয়নের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বরের ধর্মময় সংকল্প ছিল, আমাদের সম্মুখে তাঁর ধার্মিকতা প্রকাশ প্রকাশ করা। যেহেতু ঈশ্বর এই যমজ দুই ভাইয়ের ভাগ্য আগে থেকেই জানতেন, সেই অনুসারে তাঁহার ধার্মিকতায় এবং প্রেমে বিশ্বাসীকে প্রেম করতে সংকল্প করেছিলেন।
আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা ঈশ্বরের সংকল্পের মধ্যেই ছিল। যাকোব এষৌর মধ্যে কাকে তিনি আহবান করবেন? আমাদের প্রভু বলেন যে,তিনি, “পাপীদিগকে নয় কিন্তু ধার্মিকদিগকে আহবান” করতে এসেছেন। অন্যকথায় ঈশ্বরের ধার্মিকতা যাকোবের মত লোকদের আহবান করে। এষৌর ক্ষেত্রে, সে যে শুধু ঈশ্বরের ধর্মময় আহবানে সাড়া দেয়নি তাই নয়, বরং সে নিজের ধার্মিকতা অহংকারী ছিল। এই কারণে এষৌ ঘনিত হলেন, সেই সাথে ঈশ্বরের ধার্মিকতার আহবানে সাড়া দিয়ে যাকোব তাঁর সন্তান হলেন।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রেম জেনে এবং তাতে বিশ্বাস করেই কেবলমাত্র বাইবেলের এ সমস্ত সত্য বোঝা যাবে। যদি কেউ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় প্রেম ছাড়া তাঁর পূর্ব মনোনয়নের ধাঁ ধাঁ সমাধান করতে চায়, সে তার নিজের ফাঁদে পতিত হবে এবং নিজের ধংস নিজেই ডেকে আনবে।
তাঁর ধার্মিকতা প্রকাশের উদ্দেশেই ঈশ্বর পূর্বনিরূপন করেছেন। যাকোব এজন্য এমন ব্যক্তি ছিলেন যিনি নিজের অধার্মিকতা বুঝতে পেরেছিলেন এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতার বাক্যে বিশ্বাস করেছিলেন। ঈশ্বর যে যাকোবকে প্রেম করেছিলেন এবং এষৌকে পরিত্যাগ করেছিলেন, তা ছিল ন্যায্যসংগত। ঈশ্বরের ন্যায্য দৃষ্টিতে প্রত্যেকেই ক্রোধের পাত্র; কিন্তু যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সকলকে তাঁর পরিত্রাণ দিয়েছেন। যারা ঈশ্বরের অনুগ্রহের সজ্জায় সজ্জিত, যারা নিজেদের ধার্মিকতায় গর্বিত নয়, কিন্তু পরিত্রাণের জন্য তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে। এই ধরনের লোকেরা স্বীকর করে যে, “আমার পাপের কারণে আমি নরকযোগ্য। হে প্রভু ঈশ্বর আমাকে অনুগ্রহ কর এবং তোমার ধার্মিকতা আমাকে শিক্ষা দাও।” 
যারা তাঁর ধর্মময় প্রেমে বিশ্বাস করে, কেবল মাত্র তাদেরকেই তিনি পাপের ক্ষমা দেন, এবং আমরা যে তাঁর সন্তান হয়েছি, সেটাও আমাদের জন্য তাঁর সংকল্প। যাকোবের প্রতি প্রেম এবং এষৌকে ঘৃনা করার কারণে আপনি ঈশ্বরকে ভুল বুঝবেন না। যদি, কোন কারণে, আপনি এখনও ঈশ্বরের ধার্মিকতা না বুঝে থাকেন, তবে এখনই সময় ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রেমে তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করুন। 
আমি ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, যারা সঠিকভাবে ঈশ্বরের ধর্মময় সংকল্প বুঝতে পারে, তাঁর ধার্মিকতায় নিহিত ঈশ্বরের ধর্মময় কার্য্য তারা বুঝতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর খুব অল্প লোকেই ঈশ্বরের ধর্মময় পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিক ধারনা রয়েছে এবং তাতে বিশ্বাস রয়েছে, কিন্তু ঈশ্বর সম্বন্ধে অনেকেরই ভুল ধারনা রয়েছে। 
এসব লোকেরা মনে করে যে, যেহেতু ঈশ্বর এষৌকে ঘৃনা করেছিলেন, তাই কিছু লোক বিনা কারণেই ঈশ্বর দ্বারা ঘৃনিত হয়, যেন এটা তাদের অদৃষ্ট। কিন্তু আমাদের ঈশ্বর এমন স্বেচ্ছাচারী ঈশ্বর নন। ঈশ্বর এমন বিচারক যিনি তাঁর ধার্মিকতায় ধর্মময় এবং ন্যায়বান। ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককেই তাঁর ধর্মময় অনুগ্রহ দিতে চান।
 যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর ধার্মিকতা দিতে চেয়েছে, যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তাদেরকে তিনি অনুগ্রহে সজ্জিত করবেন। 
নূতন নিয়মে মথি লিখিত সুসমাচারের ৯:১২-১৩ পদে যীশু এই সত্য প্রকাশ করেছেন, “সুস্থ্য লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই, বরং পীড়িতদেরই প্রয়োজন আছে। তোমরা গিয়া শিক্ষা কর, এই বচনের মর্ম কি, আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়, কেননা আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকে ডাকিতে আসিয়াছি।” যদিও অনেকে নিজেদেরকে অসুস্থ্য মনে করে, তবুও সুস্থ্য লোকের জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই। মানুষ যখন সুস্থ্য থাকে তখন যেমন তারা ডাক্তারের প্রয়োজন অনুভব করে না, তেমনি তারা তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের ধার্মিকাতার গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারে না। ঈশ্বরের ধার্মিকতা না জেনে তারা সর্বক্ষণ নিজেদের ধার্মিকতা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে।
কিন্তু পাপীদেরকে অবশ্যই আত্মধার্মিকতা পরিত্যাগ করে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিশ্বাস করতে হবে। আপনি যাকোবও হতে পারেন, এষৌও হতে পারেন। আপনি কার মত হতে চান? আপনার সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করে আপনার পুরস্কার বা শান্তি, অর্থাৎ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আপনার বিশ্বাস করা না করার উপরেই এটা নির্ভর করে।
 
 
ঈশ্বর ভুল করেন নাই
 
 প্রত্যেক ব্যক্তিই প্রকৃতিগতভাবেই প্রতিযোগী। হতে পারে তাদের মধ্যে অনেকেই অধিক মেধা সম্পন্ন এবং সয়ংসম্পূর্ণ, এবং অপরের জন্য অনেক অনেক প্রশংসনীয় কাজ করতে পারেন। কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় নিহিত বিশ্বাস বুঝতে না পারলে গ্রাহ্য হবে না। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আপনি এবং আমি, প্রত্যেকেই এমন কি ইস্রায়েলীয়রা নরকযোগ্য ছিলাম। তাছাড়া আমরা আমাদের নিজস্ব কোন চেষ্টা, কাজ বা শক্তি দ্বারা ধার্মিক গণিত হই নাই, কিন্তু একমাত্র ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক গণিত হয়েছি।
কারণ ঈশ্বর নিরপেক্ষভাবে এবং ন্যায্যভাবে প্রত্যেকের জন্য তাঁর ধর্মময় প্রেম বিতরণ করেছেন, এই সত্যে বিশ্বাস করলেই মানুষ তার পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। হয়তো আপনি ভাবতে পারেন, কিন্তু আসলেই ঈশ্বর অন্যায্য নন।
মানুষের গ্রহণ বা অস্বীকারের উপরে নির্ভর করে সে ঈশ্বরের আশীর্বাদে পরিত্রাণ পাবে কি না, এই কারণে কিছু লোক ঈশ্বরের ক্রোধের পাত্র এবং বাকীরা অনুগ্রহের পাত্র হয়েছে। পার্থক্য দেখতে গেলে, যাকোব ঈশ্বরের অনুগ্রহের পাত্র এবং এষৌ ক্রোধের পাত্র হয়েছিল।
কিন্তু পবিত্র আত্মাবিহীন কিছু ধর্মতত্ত্ববিদ ঈশ্বরের সঙ্গে পরিহাস করে, তারা বলে, “দেখুন, ঈশ্বর কি ফরৌণকে ক্রোধের পাত্র করেন নাই? যাকোব এবং এষৌর দিকে দেখেন! রিবিকাকে দেখেন! দেখুন, কুমারের কাজ! ঈশ্বর কি একেবারেই প্রথম থেকে কাউকে কাউকে সমাদরের পাত্র করেন নাই? এটা সম্পূর্ণ ভাগ্যের ব্যাপার।” তাদের মুক্তি এ রকম; কিছু কিছু লোককে ঈশ্বর জন্মের পূর্বেই মনোনীত করে রেখেছেন; এবং যাদেরকে তিনি পূর্ব থেকেই নিরূপণ এবং মনোনীত করে তাঁর প্রেমে সজ্জিত করেছেন, তাদেরকে তিনি তাঁর সন্তান করেছেন; অন্য বাকী সবাই নরকযোগ্য। এইভাবেই ঈশ্বরের মনোনয়নকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু ঈশ্বর প্রত্যেককেই তাঁর ধার্মিকতা দিয়েছেন, যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, তাদেরকে তিনি নিরপেক্ষভাবে মনোনীত করেন।
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করার মাধ্যমে আমরা ধার্মিক হয়েছি, কিন্তু এর পূর্বে আমরা তাঁর সন্তান ছিলাম না। তাঁর বাক্যের মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা ধার্মিক হয়েছি বিধায় ঈশ্বর আমাদের বিশ্বাস গ্রাহ্য করেছেন। এটাই ঈশ্বরের পরাক্রম প্রকাশের সত্য সুসমাচার।
মূলতঃ, ঈশ্বর আমাদের সাথে ছিলেন না, আমরা তাঁকে চিনতাম না, আমরা পাপী ছিলাম; ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি। আমরা যে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, সেটা অসম্পূর্ন সুসমাচার নয়, কিন্তু সম্পূর্ণ ও প্রকৃত সুসমাচার। ঈশ্বরের দেওয়া সত্যের মাধ্যমে আমরা তাঁর ধার্মিকতা অর্জন করতে পেরেছি, তাই আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত।
আমাদের জীবন সমস্যায় পরিপূর্ণ থাকতে পারে, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদের ভুললে চলবে না, কারণ ঈশ্বর তাঁর পরাক্রমী মহিম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানে, বিশ্ব- ব্রহ্মান্ডের মধ্যে সে-ই সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। আমরা যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, ত্রিত্ত্ব ঈশ্বরই তাদের অনুগ্রহের পিতা। তিনি আমাদের পবিত্র ঈশ্বর। যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তিনি তাদের হৃদয়ে বিশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর ধার্মিকতা জানার মাধ্যমে এবং তাঁকে বিশ্বাসের মাধ্যমে, ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং অনুগ্রহের দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে গ্রাহ্য হয়েছি।
এখনও অনেকে তাদের সৎ কর্মনির্ভর ধারনায় বিশ্বাসী রয়েছে। অগ্রিমাংশ, মন্ডলীর জন্য স্বেচ্ছাশ্রম, প্রতিযোগীতামূলকভাবে বড় বড় দান- এসবকে আপনি সৎকর্ম মনে করতে পারেন। কিন্তু তা আপনাকে পরিত্রাণ দিতে পারেও না, দেবেও না। শুধুমাত্র এসব কাজ দ্বারা বুঝায় না যে, আপনি ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাস করেন, বরং এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আপনি আত্মধার্মিকতার পিছনে ছুটছেন। যারা মাংসিক চিন্তাভাবনায় বদ্ধ রয়েছে, তারা ঈশ্বরের বিপক্ষ। যারা এইসব বিষয়ে এখনও আবদ্ধ, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা এখনও জানে না।
শাস্ত্র থেকে আমরা জানতে পারি যে, পরিত্রাণের পিছনে ছুটে বেড়ালে তাঁকে ধরা যায় না, কিন্তু তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্য পরিত্রাণ লাভ করা যায়। আমাদের দয়াময় ঈশ্বরে বিশ্বাস করার মাধ্যমেই আমরা এ ধার্মিকতা লাভ করতে পারি। আমরা যে ঈশ্বরের প্রেম পেয়েছি, তা আমাদের নিজেদের কর্ম দ্বারা হয়নি, কিন্তু কেবলমাত্র তাঁর ধার্মিকতা বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা তাঁর অনুগ্রহপূর্ণ প্রেম লাভ করতে পারি। এই কারণে আমরা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, কি করি না তার উপরেই সত্য বিশ্বাস সম্পূর্ণ নির্ভর করছে।
একেবারে প্রথম থেকে আমরা কি মূল্যহীন ছিলাম না? আমরা কি ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে এতটা সৎ হই নাই? অনন্তকাল পর্যন্ত, আমরণ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে পারি এবং তাঁর সন্তান হওয়ার গর্ব করতে পারি।
 পৃথিবীতে অনেকে আছে যারা বলে, ঈশ্বর নাই এবং মন্দ কাজ করে, কিন্তু আমরা যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, আমরা তাঁর অনুগ্রহ পেয়েছি। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমরা আসলেই সৎ এবং ঈশ্বরের গর্ব করা আমাদের প্রাপ্য। এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় আমরা বিভিন্ন পরীক্ষা ও সমস্যার মধ্য দিয়ে গমন করতে পারি। কিন্তু আমরা আত্মিকভাবে ধনী এবং সুখী। আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতা অনুসরণ করতে হবে এবং যীশুতে আনন্দ করতে হবে।
সমস্ত পাপীকে ঈশ্বর তাঁর সাক্ষাতে তাঁর সন্তান, পাপহীন, ধার্মিক এবং শুচি করেছেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতা কে পেতে পারে, আমাদের তা অনুধাবন করা উচিত। ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদের সমস্ত অধর্ম মুছে দিয়েছে এবং পাপ থেকে পরিস্কার করেছে। আপনি এই সত্যে বিশ্বাস করেন বা না করেন তা আপনার স্বাধীনতার উপরে নির্ভরশীল। ঈশ্বরের ধার্মিকতার দ্বারা আপনিও আপনার পাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন। তাহলে এখন আপনি কি করবেন? আগামীকাল বিশ্বাস করার জন্য কি রেখে দেবেন?
ঈশ্বরের ধার্মিকতা আপনার সহবৰ্ত্তী হোক।