যীশু একবারই বাপ্তাইজিত হয়ে এবং একবারই ক্রুশীয় বিচারে বিচারিত হয়ে একবারই আমাদের পাপ তুলে নিলেন। মথি ৩:১৫ পদে যেমন লেখা আছে, “এখন সম্মত হও, কেননা এই রূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।”
যোহন ১:২৯ পদে যোহন বাপ্তাইজক বলেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতে পাপভার লইয়া যান।” যোহন ১৯:৩০ পদে যীশু বলেন, “সমাপ্ত হইল”। ইব্রিয় ১০:৯-১৮ পদে আছে, “…… তৎপরে তিনি বলিলেন, “দেখ, তোমার ইচ্ছা পালন করিবার জন্য আসিয়াছি।” তিনি প্রথম বিষয় লোপ করিতেছেন, যেন দ্বিতীয় বিষয় স্থির করেন। সেই ইচ্ছাক্রমে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণ দ্বারা, আমরা প্রবিত্রীকৃত হইয়া রহিয়াছি। আর প্রত্যেক যাজক দিন দিন সেবা করিবার একরূপ নানা যজ্ঞ পুনঃ পুনঃ উৎসর্গ করিবার জন্য দাঁড়ায়, সেই সকল যজ্ঞ কখনও পাপহরণ করিতে পারে না। কিন্তু ইনি পাপর্থক একই যজ্ঞ চিরকালের জন্য উৎসর্গ করিয়া ঈশ্বরের দক্ষিণে উপবিষ্ট হলেন, এবং তদবধি অপেক্ষা করিতেছেন, যে পর্যন্ত তাঁহার শত্রুগণ তাঁহার পাদপীঠ না হয়। কারণ যাহারা পবিত্রীকৃত হয়, তাহাদিগকে তিনি একই নৈবেদ্য দ্বারা চিরকালের জন্য সিদ্ধ করিয়াছেন। আর পবিত্র আত্মাও আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিতেছেন, কারণ অগ্রে তিনি বলেন, “সেই কালের পর, প্রভু কহেন, আমি তাহাদের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, আমি তাহাদের হৃদয়ে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহাদের চিত্তে তাহা লিখিব,” তৎপরে তিনি বলেন, “এবং তাহাদের পাপ ও অধর্ম সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না।” ভাল, যে স্থলে এই সকলের মোচন হয়, সেই স্থলে পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না।”
যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের মাধ্যমে একবারেই সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়।