(মথি ৩:১৩-১৭)
তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে যর্দ্দনে তাঁহার কাছে আসিলেন। কিন্তু যোহন তাঁহাকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমারই বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন।
পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন৷ আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত’”
যোহন বাপ্তাইজকের বাপ্তিস্ম
মন পরিবর্তন কি?
পাপপূর্ণ জীবন থেকে ফিরে আসা এবং পবিত্র হওয়ার জন্য যীশুতে বিশ্বাস করা৷
জগতের অনেক লোকই জানে না কেন যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ এজন্য আসুন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণের উদ্দেশ্য এবং যোহন বাপ্তাইজক যিনি তাঁকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন তার সমন্ধে কথা বলি৷
প্রথমে, আমাদের চিন্তা করা উচিৎ কোন বিষয়টি যোহন বাপ্তাইজককে লোকেদের যর্দনে বাপ্তাইজিত করাকে পরিচালিত করেছিল৷ এটা মথি ৩:১-১২ পদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, লোকেদের পাপ স্বীকারের দ্বারা তাদের পাপ থেকে ঈশ্বরের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যোহন বাপ্তাইজক লোকেদেরকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন৷ “আমি তোমাদিগকে মন-পরিবর্তনের নিমিত্ত জলে বাপ্তাইজ করিতেছি বটে” (১১ পদ), এবং “প্রান্তরে একজনের রব সে ঘোষণা করিতেছে, তোমরা প্রভুর পথ প্রস্তুত কর, তাঁহার রাজপথ সকল সরল কর৷” (৩ পদ), যোহন বাপ্তাইজক উটের লোমের কাপড় পড়তেন, আর পঙ্গপাল বহন করতেন প্রান্তরে ঘোষণা করতেন, পাপের ক্ষমার জন্য মন পরিবর্তনের বাপ্তিস্মের কথা প্রচার করতেন৷
তিনি লোকেদের কাছে ঘোষণা করেছিলেন, “মনপরিবর্তন কর, মানবজাতির ত্রাণকর্তা আসছেন; তাঁর জন্য পথ প্রস্তুত কর, তাঁর পরিত্রাণের পথ সরল কর৷ পৌত্তলিক দেবতার আরাধনা বন্ধ কর এবং প্রভুকে তোমার অন্তরে গ্রহণ কর৷”
কি থেকে ফিরে আসতে হবে? দেব মূর্তি পূজা থেকে এবং পাপপূর্ণ জীবনের জন্য অন্য সকল শয়তানের কাজ থেকে৷ সুতরাং আমাদের কি করতে হবে? পবিত্র হওয়ার জন্য আমাদের যীশুতে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে হবে৷ যোহন বাপ্তাইজক প্রান্তরে ঘোষণা করেছিলেন, “আমার দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ কর৷ তোমার পাপ ধৌত কর৷ ত্রাণকর্তা তোমার মসীহ এই জগতে আসছেন৷ পুরাতন নিয়মে হোমবলির মেষের মত তিনি তোমার সমস্ত পাপ তুলে নেবেন এবং তোমার সমস্ত পাপ সকল ধৌত করবেন৷”
পুরাতন নিয়মে, প্রতিদিনের পাপ পাপার্থক বলির উপর হস্তার্পণ করার মাধ্যমে অর্পন করা হত৷ ইস্রায়েলীয়দের সারা বছরের পাপও প্রধান যাজকের দ্বারা প্রায়শ্চিত্তের দিনে ছাগের উপর অর্পণ করা হত, যা প্রতি বছরের সপ্তম মাসের দশম দিনে অনুষ্ঠিত হত (যাত্রাপুস্তক ১৬:২৯-৩১)৷
একইভাবে, মানব জাতির পাপ বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশুর উপরে অর্পিত হয়েছিল, যেন তারা পাপমুক্ত হতে পারে৷ তাই যোহন মানুষের কাছে সনির্বদ্ধ অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা যীশুর কাছে ফিরে আসে এবং তাঁর দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়৷
মনপরিবর্তনের প্রাথমিক গুরুত্ব যোহন বাপ্তাইজকের বাপ্তিস্ম দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল, যা ইস্রায়েলের লোকেদের যারা পরবর্তীতে এসেছিল, তাদের যীশুর কাছে ফিরিয়ে এনেছিল৷ মনপরিবর্তনের অর্থ হল পাপের জীবন থেকে ফিরে আসা এবং সমস্ত পাপের ক্ষমার জন্য মসীহকে বিশ্বাস করা৷
ইস্রায়েলের লোকেরা মসীহের প্রত্যাশা করে পাপমোচন করতে পেরেছিল, যিনি পরবর্তীতে এসে তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন৷ একইভাবে আমরা যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা পাপমোচন লাভ করতে পারি যিনি ২০০০ বছর পূর্বে স্বর্গ থেকে এই পৃথিবীতে নেমে এসে সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন৷ কিন্তু পুরাতন নিয়মে ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের নিয়ম পরিত্যাগ করেছিল, ভুল বলি উত্সর্গ করেছিল, আর মসীহকে ভুলে গিয়েছিল৷
কারণ যোহন বাপ্তাইজকের প্রয়োজন ছিল যেন তাদেরকে ঈশ্বরের নিয়ম মনে করিয়ে দেন এবং মসীহ যিনি পরবর্তীতে এসেছিলেন; তাই তিনি লোকেদের বাপ্তিস্ম দিতে আরম্ভ করেছিলেন, এবং অবশেষে যীশুকে যর্দনে বাপ্তিস্ম দিয়েছিলেন৷
অনেক লোক মূর্তি পূজা করার জন্য এবং ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার কারণে মন পরিবর্তনের জন্য যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তাইজিত হয়েছিল৷ বৈধ বলিদানের জন্য তিনটি উপাদান অপরিহার্য ১) জীবিত ও নিঁখুত পশু ২) হস্তার্পণ ৩) পশুর রক্ত৷ জগতের সমস্ত লোক যীশুতে বিশ্বাস করার দ্বারা পাপমুক্ত হয়েছে৷
ফরীশী ও সদ্দুকীরা যখন বাপ্তিস্মের জন্য যোহনের কাছে এসেছিল, যোহন তাদের বলেছিলেন, “কিন্তু অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী বাপ্তিস্মের জন্য আসিতেছে দেখিয়া তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, হে সর্পের বংশেরা, আগামী কোপ হইতে পলায়ন করিতে তোমাদিগকে কে চেতনা দিল? অতএব মন-পরিবর্ত্তনের উপযোগী ফলে ফলবান্ হও। আর ভাবিও না যে, তোমরা মনে মনে বলিতে পার, অব্রাহাম আমাদের পিতা; কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ঈশ্বর এই সকল পাথর হইতে অব্রাহামের জন্য সন্তান উৎপন্ন করিতে পারেন।” (মথি ৩:৭-৯)৷
এই ফরীশী ও সদ্দুকীরা রাজনীতিবিদ প্রতিমাপূজক, তারা ভেবেছিল যে তারা ঈশ্বরের লোক ছিল, এই ঘটনায় তারা বিদ্বেষ করল, ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করল না৷ তারা অন্য দেবতা এবং নিজেদের চিন্তাধারায় বিশ্বাস করেছিল৷
যখন তারা যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার জন্য এসেছিলেন, তখন তিনি তাদের বলেছিলেন, “তোমাদের মিথ্যা বলি উত্সর্গ করা উচিৎ নয়, কিন্তু পাপ থেকে ফিরে আসো এবং সত্যিকারে বিশ্বাস কর যে, মসীহ আসবেন এবং তোমাদের পাপ ধৌত করবেন৷ এটা তোমাদের হৃদয়ে গ্রহণ করা উচিৎ৷”
মন পরিবর্তন হল ভুল পথ থেকে ফিরে আসা সত্য মন পরিবর্তন হলো পাপ ও মিথ্যা বিশ্বাস থেকে ফেরা এবং যীশুর নিকটে আসা, এটা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশে দন্ডাজ্ঞার মাধ্যমে পাপ মোচনে বিশ্বাস করা৷
এভবে, যোহন বাপ্তাইজক ইস্রায়েলীয় লোকেদের নিকট ঘোষণা করেছিলেন, যারা ঈশ্বরের নিয়ম ও হোমবলির রীতি পরিত্যাগ করেছিল তাদের বুঝিয়ে ঈশ্বরের নিকট ফিরিয়ে আনবার জন্য৷ এটা ছিল যীশুর নিকটে লোকেদের ফিরিয়ে আনার জন্য যোহন বাপ্তাইজকের ভুমিকা যাতে তারা তাঁকে বিশ্বাস করে এবং তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি লাভ করে৷
আপনি কি যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পাপমোচনে বিশ্বাস করেন?
সকল মানুষকে যীশুর সম্মুখে কি করতে হবে?
তাদেরকে সমস্ত পাপমুক্ত হবার জন্য তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে৷
যীশু তাঁর রাজত্বে যা করেছিলেন তা ছিল যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা৷ এভাবে জগতের সমস্ত পাপ তাঁর উপর বর্তেছিল৷
এভাবে শুরুতে যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল মানব জাতির জন্য ঈশ্বরের পরিত্রাণ এবং যীশুর ধার্মিকতার কাজ যা জগতের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিল৷ ঈশ্বর তাদের পাপ মোচন করেন, যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷ যীশু যখন এই জগতে এসেছিলেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, তখন স্বর্গরাজ্যের সুসমাচার শুরু হয়েছিল৷ তাঁর বাপ্তিস্মের সাথে সাথেই স্বর্গ খুলে গিয়েছিল যেমন মথি ৩:১৫ পদে বর্ণনা করা হয়েছে, এটা সত্যিকারের প্রায়শ্চিত্তের হোমবলি ছিল যেমন পুরাতন নিয়মের যাত্রাপুস্তকের ১:১-৫ পদ, ৪:২৭-৩১ পদে বর্ণনা করা হয়েছিল৷ পুরাতন নিয়মের সব কিছুর সাথেই নুতন নিয়মের সমকক্ষতা আছে এবং সমকক্ষ পদ আছে৷ “তোমরা সদাপ্রভুর পুস্তকে অনুসন্ধান কর, তাহা পাঠ কর, ইহার একেরও অভাব হইবে না, তাহারা কেহ সঙ্গিনীবিহীন থাকিবে না; কেননা আমার মুখ [দ্বারা] তিনিই ইহা আজ্ঞা করিয়াছেন, এবং তিনিই আপন আত্মা দ্বারা তাহাদিগকে সংগ্রহ করিয়াছেন। (যিশাইয়৩৪:১৬)৷
পুরাতন ও নুতন উভয় নিয়ম সকল মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্তের কথা বলে
প্রতিদিনের পাপের জন্য আমাদের কি প্রতিদিনের অনুতাপ করতে হবে?
না৷
পুরাতন নিয়মে একদিনের পাপ হস্তার্পনের দ্বারা পাপার্থক বলির উপর অর্পন করা হত৷ তারপর পাপার্থক বলিটি রক্ত সেচন করত এবং পাপের পরিবর্তে দন্ডিত হত৷ আর সারা বছরের পাপও হস্তার্পনের মাধ্যমে পাপার্থক বলির উপর অর্পন হত৷ যাতে সকল লোক তাদের সারা বছরের পাপের ক্ষমা পেত৷
নুতন নিয়মে, ঠিক একই রকম ভাবে, যীশু খ্রীষ্ট এসেছিলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেবার জন্য যর্দনে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ এভাবে পুরাতন নিয়মের ভবিষ্যত বাণী সম্পূর্ণ হয়েছিল৷
যোহন বাপ্তাইজক, যিনি যীশুকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন, তিনি ঈশ্বরের একজন সেবক ছিলেন, যাকে যীশুর ৬ মাস পূর্বে পাঠানো হয়েছিল৷ তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেবেন, যোহন ১:২৯ পদে বলা হয়েছে, “ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান৷”
যোহন বাপ্তাইজক যর্দনে যীশুকে বাপ্তাইজিত করার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে বর্তিয়েছিলেন৷ এই ভাবে প্রভু মানব জাতির সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্তের পথ প্রস্তুত করেছিলেন৷ এখন আমাদের সবাইকে এটা বিশ্বাস করতে হবে৷
জগতের সমস্ত পাপ যীশুর উপরে বর্তিয়েছিল৷ যীশুর শিষ্যেরা প্রেরিত ৩:১৯ পদে বলেছিলেন, “অতএব তোমরা মন ফিরাও, ও ফির, যেন তোমাদের পাপ মুছিয়া ফেলা হয়৷”
তারা আমাদের বোঝানোর জন্য সনির্বদ্ধ অনুরোধ করেছিল কেন যোহন বাপ্তাইজক যীশুকে বাপ্তাইজিত করলেন এবং কেন তিনি লোকেদের তাঁকে অনুসরণ করতে বলেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, “মন ফিরাও, ও ফির৷ যীশুর বাপ্তিস্মে পাপমোচনে বিশ্বাস কর৷ তোমার পাপ ধৌত কর৷”
মসীহ এসেছিলেন এবং আমাদের পাপ বাপ্তিস্মের দ্বারা চিরতরে ধৌত করেছিলেন৷ এইভাবে জগতের সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল৷ এমনভাবে যীশুর বাপ্তিস্মে ঈশ্বরের নিয়ম সম্পূর্ণ হয়েছিল, যেমন এটা মথি ৩:১৩-১৭ পদে লেখা আছে, “তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে যর্দ্দনে তাঁহার কাছে আসিলেন। কিন্তু যোহন তাঁহাকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমারই বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন।পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন৷ আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত’”
ঈশ্বরের পরিত্রাণ সম্পূর্ণ করার জন্য যীশু যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে এসেছিলেন৷ যোহন বাপ্তাইজক ঈশ্বরের একজন বিশেষ সেবক ছিলেন৷ লুক ১ অধ্যায় বলে যে, যোহন প্রথম যাজক হারোণের বংশধর ছিলেন৷ ঈশ্বর হারোণের বংশধর যোহনকে নিযুক্ত করেছিলেন কারন তিনি সমগ্র মানব জাতির প্রতিনিধিস্বরূপ তাঁর সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করতে চেয়েছিলেন৷
তাই, ঈশ্বর যীশুর ৬ মাস পূর্বে যোহনকে প্রধান যাজকের গৃহে জন্ম দিয়েছিলেন৷ যোহন বাপ্তাইজক প্রান্তরে ঘোষণা করে যীশুর জন্য পথ প্রস্তুত করেছিলেন, মন ফিরাও, হে সর্পের বংশেরা৷ “মন ফিরাও, ও ফির৷ মসীহ আসবেন৷ তাঁকে মনোনীত কর, না হলে তিনি তোমাদেরকে পৃথক এবং নরকে নিক্ষেপ করবেন৷ তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশে বিশ্বাস কর৷ মন ফিরাও, বাপ্তিস্ম গ্রহণ কর, তাহলে তুমি পাপ থেকে মুক্তি পাবে৷”
পাপমোচনের সুসামাচার সমন্ধে প্রেরিত ৩: ১৯ পদে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা আছে৷ যখন যোহন বাপ্তাইজক মানব জাতির পাপ সমন্ধে ঘোষণা করেছিলেন তখন অনেকে মন ফিরিয়ে ছিল৷
কারণ যোহন বাপ্তাইজক জগতের পাপ যীশুর উপর বর্তিয়েছিলেন, মানব জাতির সমস্ত পাপ সে সময় মুছে গিয়েছিল৷ কেননা যোহন বাপ্তাইজক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, আমরা জানি, আমাদের পাপমোচনের সুসমাচার, জল ও রক্তের সুসমাচার দ্বারা উদ্ধার পেতে পারি৷
যোহন বাপ্তাইজককে কেন যীশুর পূর্বে আসতে হয়েছিল তার কারণ
“এইরূপে” এর অর্থ কি?
১) সবচেয়ে উপযুক্ত
২) সবচেয়ে উপযোগী
৩) কেবলমাত্র এইভাবে অপরিহার্য অন্য কোন পথ নেই৷
যারা যীশু, ত্রাণকর্তাকে বিশ্বাস দ্বারা তাদের পাপ ধৌত করেছেন, তারা যীশুর বাপ্তিস্মের সুসমাচার মথির সাক্ষ্যের মাধ্যমে তাদের পরিত্রাণ সমন্ধে নিশ্চিত হতে পারে৷ মথি ৩:১৫-১৬ পদে যীশু যোহনের নিকটে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন, “আমাকে বাপ্তাইজিত কর৷” আর উত্তর দিয়েছিলেন, “আপনার দ্বারা আমার বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা প্রয়োজন, আর আপনি আমার নিকটে এসেছেন?”
ইনি ছিলেন যোহন বাপ্তাইজক যিনি যীশুকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন, তিনি কে ছিলেন, তিনি তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন৷ যোহন ঈশ্বরের সেবক ছিলেন যাকে মানব জাতির সমস্ত পাপ যীশুর উপর অর্পন করার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ কেননা যীশু ত্রাণকর্তারূপে পুরাতন নিয়মের ভবিষ্যতবাণী সম্পূর্ণ করতে এসেছিলেন, তিনি যোহন বাপ্তাইজককে আদেশ করেছিলেন, তাঁকে বাপ্তাইজিত করতে, যাতে তিনি জগতের সমস্ত পাপ তাঁর মস্তকে তুলে নিতে পারেন৷
কেন? কেননা যীশু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা ও ত্রানকর্তার পুত্র৷ তিনি আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করতে আমাদের নিকটে এসেছিলেন, সুতরাং সমস্ত মানুষকে মুক্ত করতে, তাঁকে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে হয়েছিল৷
“এ কারণে” যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন আর আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন৷ তিনি আমাদের পক্ষ থেকে ক্রুশে দন্ডিত হয়েছিলেন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল আমাদের পরিত্রাণের সাক্ষ্য৷ যেমন ঈশ্বর পুরাতন নিয়মে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, সমস্ত পাপ একটি হোমবলি মেষের শাবকের উপরে বর্তাবে, তেমনি ঈশ্বরের পুত্র মেষ শাবক হয়েছিলেন এবং আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন৷
তাই পুরাতন নিয়মে হস্তার্পণ ও নুতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্ম উভয়েই হল, পাপ অর্পনের জন্য, আর যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে তাদের পরিত্রাণ ও অনন্তজীবন প্রদান করার জন্য৷
যীশুর বাপ্তিস্ম আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে
খ্রীষ্টকে আমরা কিভাবে পরিধান করতে পারি?
খ্রীষ্টের বাপ্তিস্মের দ্বারা৷
যখন যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, তখন যোহন বাপ্তাইজক তাঁকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন, বলেছিলেন, “আমারই আপনার দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা প্রয়োজন, আর আপনি আমার নিকট এসেছেন?”
কিন্তু যীশু উত্তর দিয়েছিলেন, “এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।” এখন সম্মত হও৷ সম্মত হও৷ তিনি যোহনকে বলেছিলেন, “তোমাকে অবশ্যই সকল লোকের পাপ আমার উপর বর্তাতে হবে, যাতে আমি আমাকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারি, যারা জলে পাপমোচনের সুসামাচারে বিশ্বাস করে এবং আমাকে তাদের সকলের পাপের নিমিত্ত বিচারিত হতে হবে, যাতে যারা আমার বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করবে তারা সকলেই তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পায়৷ এইজন্য এখন সম্মত হও৷”
যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, আর যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল ধার্মিকতা অনুসারে ঈশ্বরের পাপমোচনের নিয়ম৷ কারন যখন যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, তখন সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল, আমরা চিরতরে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারি ও বাপ্তিস্ম গ্রহণ করি যখন আমরা যীশুতে বিশ্বাস করি কেননা তিনি হস্তার্পনের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, আমাদের পক্ষে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আর এখন ঈশ্বরের দক্ষিণ পাশে বসে আছেন, আমরা জল ও আত্মার পাপ মোচনে বিশ্বাস দ্বারা উদ্ধার পেতে পারি৷
ইনি যীশু, যিনি জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন যেন আমরা এই বিশ্বাস দ্বারা পাপ মুক্ত হতে পারি যে, যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন আর ক্রুশে আমাদের সমস্ত পাপের মূল্য পরিশোধ করেছেন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল পাপমোচনের সুসামাচারের আরম্ভ৷
বাইবেলে প্রায়ই বাপ্তিস্মে পাপমোচনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রেরিত পৌলও গালাতীয় পুস্তকে বলেছেন যে, তিনি খ্রীষ্টের সাথে ক্রুশারোপিত হয়েছেন, কেননা তিনি খ্রীষ্টের সঙ্গে বাপ্তাইজিত হয়েছেন এবং খ্রীষ্টকে পরিধান করেছেন৷ প্রেরিত পৌল যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে মৃত্যুবরণের মাধ্যমে তার পাপমোচনের বিশ্বাসের কথা বলেছেন৷
“এখন সম্মত হও”
যোহন বাপ্তাইজকের দায়িত্ব কি ছিল?
মহাযাজকরূপে সমস্ত মানুষের পাপ যীশুর উপরে অর্পণ করা৷
যীশু বলেছিলেন, “এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত৷” সমস্ত ধার্মিকতা মানে সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে মুছে ফেলা, এবং সকল মানুষের হৃদয়কে পাপ মুক্ত করা৷ তারপর তিনি তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন এবং যীশু যর্দনে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷
মহাযাজক যেমন ছাগের মস্তকের উপর হস্তার্পণ করতেন, যোহন বাপ্তাইজকও যীশুর মস্তকে হস্তার্পনের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পণ করেছিলেন৷ যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন মহাযাজক, তার দায়িত্ব ছিল সমস্ত পাপ মানবজাতির প্রতিনিধি রূপে যীশুর উপরে অর্পণ করা৷ “হে ঈশ্বর, আমি জগতের সমস্ত পাপ তোমার মেষশাবক যীশুর উপর অর্পন করলাম৷” এভাবে মানবজাতির সমস্ত পাপ যীশুর উপরে অর্পিত হয়েছিল৷
যোহন বাপ্তাইজক যীশুর উপরে হস্তার্পণ করে তাঁকে জলে নিমগ্ন করেছিলেন এবং যীশু যখন জল থেকে উঠেছিলেন, এবং যীশু যখন জল থেকে উঠেছিলেন তখন তিনি তার হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ধার্মিকের পরিত্রাণ সাধন করেছে৷ এভাবে যীশু, যারা বিশ্বাস করে, তাদের সকলের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন৷
স্বর্গ খুলে গিয়েছিল এবং স্বর্গ থেকে একটি বাণী হয়েছিল
কখন থেকে স্বর্গ খুলে গিয়েছিল?
যোহন বাপ্তাইজকের সময় থেকে মথি ১১:১২
“তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে যর্দ্দনে তাঁহার কাছে আসিলেন। কিন্তু যোহন তাঁহাকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমারই বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন।পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন৷ আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত’”
বাপ্তিস্মে যখন যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন তখন তাঁর নিমিত্ত স্বর্গরাজ্য খুলে গিয়েছিল৷ এভাবে নিজেদের চুক্তি যা তিনি অনেক হাজার বছর আগে করেছিলেন তা যীশুর যর্দনে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল৷
এমনভাবে যীশু ঈশ্বরের মেষ শাবকরূপে, সমস্ত মানুষকে জগতের পাপ থেকে উদ্ধার করেছিলেন৷ পৃথিবীর সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল, আর তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করেছিলেন৷
যোহন ১:২৯ পদে এটা সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান৷ কেননা ঈশ্বরের মেষশাবক, যীশুর উপর সমস্ত পাপভার বর্তেছিল, তিন বছর পর তিনি ক্রুশ কাঁধে নিয়ে সেই গলগাথার দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন৷ তাঁর বাপ্তিস্মে তিনি সমস্ত পাপ তুলে নেবার পর, তিনি সমস্ত স্থানে গিয়েছিলেন, তিনি তাদেরকে বলেছিলেন যারা বিশ্বাস দ্বারা তাঁকে গ্রহণ করে, তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে৷
যোহন ৮:১১ পদে, তিনি যে স্ত্রীলোকটি ব্যভিচারে ধৃত হয়েছিল, তাকে বলেছিলেন, “আমিও তোমাকে দোষী করি না৷” তিনি তাকে দোষী করেন নি, কারণ যে ব্যক্তি বিচারিত হয়েছিলেন তিনি স্ময়ং যীশুই ছিলেন, যিনি সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷ এরূপে তিনি সমস্ত লোকেদের বলেছিলেন, তিনি ছিলেন পাপীদের ত্রাণকর্তা৷
কারণ তিনি ঈশ্বরের পুত্র, আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, এখন পৃথিবীর প্রত্যকে বিশ্বাসীই পবিত্র হতে পারে৷ স্বর্গ খুলে গিয়েছিল তিনি যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ স্বর্গরাজ্যের দুয়ার খুলে গেছে আর যারা যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করবে তারা সহজভাবেই প্রবেশ করতে পারবে৷
যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেবার পর ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন
যীশু কিভাবে শয়তানের মস্তক চুর্ন করেছিলেন?
আমাদের সমস্ত পাপের নিমিত্তে দন্ডাজ্ঞা গ্রহণের পর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হওয়ার মাধ্যমে৷
কেননা সমস্ত পাপ তাঁর মস্তকে বর্তেছিল, তাই যীশুকে ক্রুশে বিচারিত হতে হয়েছিল৷ তিনি গভীরভাবে দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে ছিলেন যখন তিনি ক্রুশে তাঁর যন্ত্রণা ভোগ করার সমন্ধে চিন্তা করেছিলেন৷ তিনি প্রার্থনা করেছিলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর রক্ত ঘাম হয়ে ঝরে পড়েছিল৷ যখন তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে গেৎশিমানী নামক একটি স্থানে গেলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, “হে আমার পিতঃ, যদি হইতে পারে, তবে এই পানপাত্র আমার নিকট হইতে দুরে যাউক (মথি ২৬:৩৯)৷” “আমি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছি এবং জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছি, কিন্তু এর জন্য আমাকে মৃত্যু দিওনা৷” কিন্তু ঈশ্বর উত্তর দেন নি৷
পুরাতন নিয়মে প্রায়শ্চিত্তের দিনে, পাপার্থক বলিটি হত্যা করা হত যাতে এর রক্ত প্রধান যাজক কর্তৃক প্রধান যাজক কর্তৃক অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে ছিটানো হয়৷ একইভাবে, যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ হতে হয়েছিল এবং ঈশ্বর ঠিক করেছিলেন যে তিনি অন্য কোনো উপায়ে এটা করবেন না৷ বেদী হল ঈশ্বরের দন্ডাজ্ঞা আর পাপার্থক বলির রক্ত হল জীবন৷ অনুগ্রহ সিংহাসনের পাশে ও সামনে সাতবার রক্ত ছিটানোর অর্থ হল যে, সমস্ত বিচারাজ্ঞা এর উপর অর্পিত হয়েছে (লেবীয় পুস্তক ১৬:১-২২)৷
যীশু এই পানপাত্র তাঁর কাছে থেকে দুরে সরানোর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর পিতা তাঁকে অনুমতি দেন নি আর যীশু শেষে বলেছিলেন, “তথাপি আমার ইচ্ছামত না হউক, তোমার ইচ্ছামত হউক” (মথি ২৬:৩৯)৷ তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যেমন তিনি উপযুক্ত মনে করেন তেমন হোক৷ তিনি প্রার্থনা শেষ করেছিলেন এবং তাঁর পিতার ইচ্ছা অনুসরণ করেছিলেন৷
যীশু তাঁর নিজের ইচ্ছা ত্যাগ করেছিলেন আর তাঁর পিতার বাধ্য হয়েছিলেন৷ কেন? কারণ যদি তিনি জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নেবার পর বিচারিত না হতেন, তবে পরিত্রাণ পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন হত না৷ তিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে মানব জাতির সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷ “কেননা পাপের বেতন মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টতে অনন্তজীবন” (রোমীয় ৬:২৩)৷
ঈশ্বর তাঁর চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন যাতে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি ত্রাণকর্তা পাঠাবেন ও হস্তার্পণ, যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে মানব জাতিকে উদ্ধার করবেন৷ যীশু ঈশ্বরের ইচ্ছার বাধ্য ছিলেন, আমাদের জন্য দন্ডাজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন৷
এটা ছিল আদিপুস্তক ৩:১৫ পদের ভবিষ্যত বাক্যেরও পরিপূর্ণতা, “আর আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে।” ঈশ্বর আদমের কাছে, হবার বংশধর, মসীহকে প্রেরণ করার, প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং তিনি শয়তানের শক্তিকে পরাজিত করবেন৷ যা মনুষ্যজাতিকে পাপ ও নরকগামী করছে৷
যখন আমরা জানি ও যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় মৃত্যুতে বিশ্বাস করি, তখন আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত হয়ে যায় এবং আমরা দন্ডাজ্ঞা থেকে মুক্ত হই৷ যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তের কথা মেনে নিই তখন আমাদের হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস থাকতে হবে৷ আপনার অন্তরে এটা বিশ্বাস করুন, এবং তারপর আপনি পাপমুক্ত হন৷
যীশুর বাপ্তিস্ম হলো স্বর্গীয় সুসামাচারের আরম্ভ
স্বর্গে আরোহনের পূর্বে প্রভুর শেষ আজ্ঞা কি ছিল?
তিনি তাঁর শিষ্যদের আদেশ দিয়েছিলেন সমুদয় জাতিকে তাঁর শিষ্য করতে, পিতা, পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাদের বাপ্তাইজিত করতে
যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল সুসামাচারের আরম্ভ, এবং তিনি তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত দিয়ে সমস্ত পাপীদের পাপমুক্ত করেছিলেন৷ মথি ২৮:১৯ পদে, এটা লিখিত আছে, “অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর৷” যীশু তাঁর শিষ্যদের নিকটে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন যে, পিতা, পুত্রের ও পবিত্র আত্মা সমগ্র মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছে এবং তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের মাধ্যমে তাদের ধৌত করেছে৷
যীশু তাদের সমগ্র জাতিকে শিষ্য করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন, যীশুর বাপ্তিস্ম সমন্ধে শিক্ষা, বাপ্তিস্মে পাপমোচন, বাপ্তিস্ম যা সমগ্র জগতের পাপ ধৌত করেছিল, এগুলো করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন৷
প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে যীশু মাংসে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম জগতের সমস্ত পাপ, তার সাথে আমাদের সমস্ত পাপও তাঁর উপর বর্তেছিল৷ কতুটুকু পাপ তাঁর উপর বর্তেছিল? আগামী দিনের পাপের অবস্থা কি? তিনি আমাদের বলেছেন যে, এমন কি আগামী দিনের পাপও তাঁর উপর বর্তেছিল৷ আমাদের সন্তানদের পাপ, সমস্ত বংশধরদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পাপ, এমনকি আদমের পাপও যীশুর উপর বর্তেছিল৷
কিভাবে পাপ থাকতে পারে না? কিভাবে আমরা পাপমুক্ত থাকতে পারি? কারণ যীশু আমাদের সমস্ত পাপ ও জগতের সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মে তুলে নিয়েছিলেন যাতে সমস্ত বিশ্বাসীরা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে আর স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করার পথ অর্জন করতে পারে৷
“কিন্তু যে সত্য সাধন করে, সে জ্যোতির নিকটে আইসে, যেন তাহার কর্ম সকল ঈশ্বরের সাধিত বলিয়া সপ্রকাশ হয়” (যোহন ৩:২১)৷
যীশু আমাদের পাপ সকল তাঁর বাপ্তিস্ম, তাঁর ক্রুশীয় রক্ত, তাঁর মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থান দ্বারা ধৌত করেছিলেন৷ এজন্য তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু বিশ্বাস করা হল সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হওয়া (এটা হল পাপমোচনে বিশ্বাস করা)৷
যখন আমরা খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস করি, তখন আমরা পাপমুক্ত হই৷ যখন আমরা সঠিকভাবে যীশুকে বিশ্বাস করি তখন আমরা ধার্মিক নাকি পাপী হই? আমরা ধার্মিক হই৷ যদিও আমরা অসম্পূর্ণ স্বত্তা তথাপি আমরা কি পাপমুক্ত? হ্যাঁ, আমরা পাপমুক্ত৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে তাঁর দন্ডাজ্ঞায় বিশ্বাস করা হল সম্পূর্ণ ও সঠিক বিশ্বাস৷
বাপ্তাইজিত হওয়া এবং যীশুর নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা
স্বর্গীয় সুসামাচারের আরম্ভ কি ছিল?
যীশুর বাপ্তিস্ম
কেননা মানুষ অসম্পূর্ণ, যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাস নিশ্চিত করার জন্য ধর্মযাজক তাদের বাপ্তিস্ম দেয়৷ যীশুর বাপ্তিস্ম যেমন বিশ্বাসের প্রমাণ দেয়, তেমনি নুতন জন্ম প্রাপ্তরা তাদের বাপ্তিস্ম দ্বারা তাদের পরিত্রাণ নিশ্চিত করে৷
প্রথমে যাজক নুতন জন্ম ব্যক্তির মস্তকে হাত দিয়ে প্রার্থনা করে, ঈশ্বরের আশীর্বাদের জন্য প্রার্থনা করে যেন এই ব্যক্তি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত উত্তমরূপে তাঁর আরাধনা করে৷ তারপর তিনি তাকে পিতার, পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে বাপ্তাইজিত করেন৷
আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের উপর আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করি৷ এই বাপ্তিস্ম প্রকাশ করে যে, সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল, যাতে বাপ্তিস্ম গ্রহণকারী ব্যক্তি যীশুর সাথে মরতে ও পুনরুত্থিত হতে পারে৷
বাপ্তাইজিত হওয়ার অর্থ হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিশ্বাস নিশ্চিত করা যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তার সব পাপ তুলে নিয়েছেন, পাপের জন্য যীশুর সাথে বিচারিত হওয়া, এবং তাঁর সাথে পুনরুত্থিত হওয়া৷ এর মাধ্যমে পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার সামনে ও শয়তানের সামনে ও ঐ ব্যক্তির ভাই বোনের সামনে নিজের বিশ্বাস ঘোষণা করা৷ এর দ্বারা স্বীকার করা হয় যে, সেই ব্যক্তি জল ও আত্মা দ্বারা নুতন জন্ম লাভ করেছে৷
যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তের সত্য অর্থ জেনে তাঁকে বিশ্বাস করে, তারা জগতের সমস্ত পাপ মুক্ত হয়৷ এ কারণে তারা তার, পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে৷
“পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেগুলি নুতন হইয়া উঠিয়াছে” (২ করিন্থীয় ৫:১৭)৷ আমাদের পুরাতন বিষয়গুলো অতীত হয়েছে এবং আমরা বিশ্বাসে নতুন মানুষরূপে জন্মগ্রহণ করেছি৷ আমাদের হৃদয়ে এটা নিশ্চিত করতে আমরা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করি, আমরা যীশুতে, যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করি৷
যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে নুতন জন্ম গ্রহণের পরের জীবন
নুতন জন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তিরা কি জন্য জীবিত থাকে?
তারা ঈশ্বরের রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতা এবং সমুদয় জগতে সুসমাচার প্রচার করার জন্য জীবিত থাকে৷
পাপমোচন ও নুতন জন্ম লাভ করার পর আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে৷ এটা আবেগপূর্ণ জীবন হওয়া উচিৎ নয় যে কাউকে তার প্রতিদিনের পাপের জন্য প্রতিদিন অনুতাপ করতে হবে৷ বরং, এটা একটি বিশ্বাস পূর্ণ জীবন হতে হবে, যাতে আমরা প্রতিদিন নিশ্চিত হতে পারি যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷
আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল যখন তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ তারপর তিনি আমাদের সমস্ত পাপের জন্য দন্ডাজ্ঞা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিন বছর এই পাপভার নিয়ে জীবনযাপন করেছিলেন৷ ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিলেন৷
যার জন্য আমাদের বিশ্বাসীদের লিখিত বাক্যে বিশ্বাস থাকা উচিৎ, কেবলমাত্র আবেগ নয়৷ যদি আমরা এরূপ করতে ব্যর্থ হই, তবে আমরা পাপমুক্ত ও নুতন জন্ম লাভের পর কেবলমাত্র আমাদের প্রতিদিনের পাপ সমন্ধে চিন্তিত হব৷
আমাদের পাপ সমন্ধে সন্দেহব্যঞ্জক দৃষ্টিকে পরিত্যাগ করতে হবে, আর কেবলমাত্র জল ও রক্তের সুসমাচার বিশ্বাস করতে হবে৷ এটাই হল জীবন যেমনভাবে একজন পাপমুক্ত ব্যক্তির চলা উচিৎ৷
যোহন বাপ্তাইজক যীশুর সমন্ধে কি বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, “ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান৷” (যোহন ১:২৯)৷ তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, যীশু গতকাল, আজ ও আগামীকালের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷
তিনি কি ঐ সমস্ত পাপ তুলে নেন নি? ঐ সমস্ত পাপ কি যীশুর উপর বর্তায়নি? জগতের সমস্ত পাপের সাথে আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পাপও তিনি তুলে নিয়েছিলেন৷ আমাদের যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পাপমোচনের সুসমাচার সমন্ধে নিশ্চিত হতে হবে৷
যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সত্যতা বিশ্বাস করে, তারা পাপমুক্ত হবে৷ যারা যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে তাদের হৃদয়ে পাপ নেই৷
তথাপি অনেক লোক চিন্তা করে তাদের এখনো পাপ রয়েছে, কেননা তারা এখনো সচেতন না যে, ইতিমধ্যে তাদের সমস্ত পাপ বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশুর উপর বর্তেছিল৷ তারা শয়তানের দ্বারা প্রতারিত৷ শয়তান জাগতিক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে তাদের কানে ফিসফিস করে৷ “তুমি প্রতিদিন পাপ কর৷ কিভাবে তুমি পাপমুক্ত হতে পার?”
কেননা এই জগতে আমরা অসম্পূর্ণ ও দুর্বল স্বত্ত্বারূপে বসবাস করি, আমরা কখনই বলতে পারি না যে, আমরা শুধুমাত্র আমাদের কাজকর্মের মাধ্যমে ধার্মিক হই৷ কিন্তু আমরা বিশ্বাসে বলতে পারি যে, আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সত্যতা দ্বারা পাপমুক্ত হই৷ যদি আমরা একবার বিশ্বাস দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সমন্ধে বুঝতে পারি, তাহলে আমাদের হৃদয় পবিত্র হয়, আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে, আমাদের কোনো পাপ নেই৷
“আমি পাপমুক্ত হয়েছি৷ আপনি পাপমুক্ত হয়েছেন৷ আমরা সকলে পাপমুক্ত হয়েছি৷” বেঁচে থেকে সকলের কাছে সুসমাচার প্রচারের ইচ্ছা ও সকলকে জানানো যে আমরা পবিত্র আত্মার শক্তিতে পরিচালিত হই এটা এমনই একটি আনন্দ ও সুখের অনুভুতি৷
অবশ্যই আমরা বিশ্বাসীরা প্রতিদিন পাপ করি কিন্তু আমাদের কোনো পাপ নেই৷ আমাদের হৃদয়ে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত রয়েছে৷ আমাদের হৃদয় পাপে পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু এখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করি, কিভাবে আমরা পাপ পূর্ণ থাকতে পারি?
“সেই কালের পর, প্রভু কহেন, আমি তাহাদের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, আমি তাহাদের চিত্তে তাহা লিখিব” (ইব্রীয় ১০:১৬)৷
আমাদের হৃদয় পাপমুক্ত৷ যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত দ্বারা আমাদের পাপ সম্পূর্ণভাবে মোচন করে এটা সম্ভব করেছেন৷
যে কেউ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে সে কখনই আবার একজন পাপী হতে পারে না
আমরা কি আবার পাপী হব যখন আমরা পাপ করি?
না৷ আমরা আর কখনো পাপী হব না৷
যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করি না তখন এটা কোনো বিষয় নয় যে আমরা কতবার পাপক্ষমার জন্য প্রার্থনা করি, কেননা আমাদের হৃদয়ে পাপ ছিল৷ কিন্তু যখন আমরা সত্য সুসমাচার বিশ্বাস করতে শুরু করি, তখন আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত হয়ে যায়৷
“ওহে, এই দিনগুলিতে আপনি কিভাবে এত আনন্দিত ও প্রফুল্ল ছিলেন?”
“আপনি দেখুন আমার হৃদয়ে আর কোনো পাপ নেই”
“বাস্তবিক? আমি অনুমান করতে পারি আপনি এখনও কতটা পাপ করতে পারেন?”
আপনি জানেন মানুষ পাপ না করে থাকতে পারে না৷ মানুষ এমনই৷ কিন্তু যীশু তাঁর বাপ্তিস্মে সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং এগুলোর জন্য ক্রুশীয় দন্ডাজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন৷ এ কারণে এখন আমি নিজেকে গীর্জায় সুসমাচার প্রচার করার জন্য উত্সর্গ করেছি৷ রোমীয় ৬ অধ্যায়ে বলা হয়েছে আমাদের সকলের এমনভাবেই বাস করা উচিৎ৷ আমার হৃদয়ে পাপ নেই, আমি ধার্মিকের কাজ করতে চাই৷ আমাদের যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করতে হবে এবং সমস্ত পৃথিবীব্যাপী সুসমাচার প্রচার করতে হবে৷ যখন আমরা যীশুকে আমাদের পাপমোচনের গুরুরূপে বিশ্বাস করি তখন আমরা আর কখনই আবার পাপী হতে পারি না৷ আমাদের যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে অনন্ত পরিত্রাণে বিশ্বাস করতে হবে৷ আমি এখন কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ!
কে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করে
যোহন বাপ্তাইজক যীশুর সমন্ধে কি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন?
তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, যীশু ছিলেন ইশ্বরের মেষশাবক যিনি জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছিলেন, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত এমনকি আদিম পাপও৷
যে কেউ আমাদের যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে, সে পরিত্রাণ গ্রহণ করে৷ কিভাবে আমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করব? প্রেরিত ২:৩৮-৩৯ পদ আমাদের এর উত্তর বলে দেয়৷ “তখন পিতর তাহাদিগকে কহিলেন, মন ফিরাও, এবং তোমরা প্রত্যেক জন তোমাদের পাপমোচনের নিমিত্ত যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজিত হও; তাহা হইলে পবিত্র আত্মারূপ দান প্রাপ্ত হইবে। কারণ এই প্রতিজ্ঞা তোমাদের জন্য ও তোমাদের সন্তানগণের জন্য এবং দূরবর্ত্তী সকলের জন্য যত লোককে আমাদের ঈশ্বর প্রভু ডাকিয়া আনিবেন।”
যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার অর্থ হল যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস এবং পাপমুক্ত হওয়া৷ এরপর পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহাররূপে দত্ত হবে৷
খ্রীষ্ট যীশুর নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণের অর্থ হল খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারা পবিত্র হওয়া৷ যখন আমরা এই বিশ্বাসকে আলিঙ্গন করি, তখন আমরা পাপমুক্ত ধার্মিক হই৷ বিশ্বাসীরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত বিশ্বাসের মাধ্যমে তুষারের মত স্বচ্ছ হয়ে যায়৷
“আর তুমি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করিবে”৷ যখন আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের সমস্ত পাপ বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশুর উপরে বর্তেছিল এবং এজন্য তিনি ক্রুশের উপর তাঁর মৃত্যুতে দন্ডাজ্ঞা ভোগ করেছিলেন, তখন আমাদের হৃদয় পরিস্কৃত হয়ে ধৌত হয়৷ আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করি এবং পবিত্র আত্মার শক্তি গ্রহণ করি ও ঈশ্বরের সন্তান হই তখন আমরা নুতন জীবন শুরু করি৷
““ আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে” (যোহন ৮:৩২)৷ আমাদেরকে প্রভুর ক্রুশে দন্ডাজ্ঞার সত্য অর্থ জানা উচিৎ৷ সত্য হল যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা আমাদের সকল পাপ মুছে দিয়েছিলেন৷ তখনই আমাদের পাপের ক্ষমা প্রদত্ত হয়, যখন আমরা সত্য বিশ্বাস করি৷
যীশুর বাপ্তিস্ম আমাদের পাপ মোচন করে
পবিত্র আত্মা কে গ্রহণ করিবে?
তিনি যিনি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যতে বিশ্বাসের মাধ্যমে সমস্ত পাপ মোচন করেছে৷
পুরাতন নিয়মের কালে হোমবলির মাধ্যমে পাপের প্রায়শ্চিত্তের রীতি নুতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্মের প্রতিনিধিত্ব করে৷ যীশুর বাপ্তিস্ম হল পুরাতন নিয়মের সকল ভবিষ্যতবাণীর অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়৷ পুরাতন নিয়মে হস্তার্পনের প্রতিরূপে বিষয় নুতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্মে খুঁজে পাওয়া যায়৷
ইস্রায়েলে সমস্ত পাপ হস্তার্পনের মাধ্যমে যেমন ছাগের উপর অর্পণ করা হত ঠিক তেমনই জগতের সমস্ত পাপ যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তাঁর উপর বর্তেছিল৷
সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কি যীশুর বাপ্তিস্মের উপর বিশ্বাস করতে হবে? হ্যাঁ৷ আমরা করি আমাদের প্রকৃত ঘটনার সত্যতা যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এটা গ্রহণ করতে হবে৷ যদি আমরা যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস না করি তবে আমাদের পাপ যীশুর উপর বর্তাতে পারে না৷ পরিত্রাণ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে৷ অন্যথায়, আমরা ধার্মিক হতে পারব না৷
যীশু জগতের সমস্ত পাপীদের সবচেয়ে উপযুক্ত এবং ধার্মিকতায় তাঁর বাপ্তিস্মে পাপমুক্ত করেছিলেন৷ এটাকে আর কোন পথে আরও উপযোগী ভাবে করা যেত না৷ কারণ যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল সেই রীতি যার দ্বারা সমস্ত পাপ তাঁর উপর বর্তেছিল, আমাদের হৃদয় স্থায়ীভাবে পাপমুক্ত করার জন্য আমাদের এটাতে বিশ্বাস করতে হবে৷
আমাদের এটাও বিশ্বাস করা উচিৎ যে, যীশুর রক্ত ছিল আমাদের সমস্ত পাপের দন্ডাজ্ঞা৷ এভাবে, যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে তারা পাপ থেকে মুক্ত হয়৷
স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করার জন্য আমাদের এই পথেই আমরা পাপ থেকে মুক্ত হতে ও দন্ডাজ্ঞা থেকে পলায়ন করতে পারি৷
নুতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্ম ও পুরাতন নিয়মে হস্তার্পণ হল একে অপরের দর্পণ স্বরূপ৷ এই দুটো বিষয় পুরাতন ও নুতন নিয়মের মধ্যে সংযোগকারী কব্জা হিসাবে কাজ করছে৷
নুতন নিয়মের সময় যোহন বাপ্তাইজক যীশুর ছয় মাস পূর্বে এসেছিলেন৷ যখন যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, এটা ছিল “যীশু খ্রীষ্টের সুসামাচারের আরম্ভ, তিনি ঈশ্বরের পুত্র (মার্ক ১:১)৷ সুসামাচারের আরম্ভ হয়েছিল তখন থেকে যখন যীশু জগতের সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তুলে নিয়েছিলেন৷
মানব জাতির পরিত্রাণের রাজত্ব একত্রিত কতগুলো ঘটনার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিল: যীশুর জন্ম, তাঁর বাপ্তিস্ম, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু, পুনরুত্থান এবং তাঁর স্বর্গারোহন৷ যখন আমরা পরিত্রাণের একত্রিত এই ঘটনাগুলির রীতি জানি, বুঝি এবং বিশ্বাস করি, তখন আমরা সমস্ত পাপমুক্ত হই৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল সুসামাচারের আরম্ভ যখন ক্রুশীয় রক্ত ছিল এটার সমাপ্তি৷
“যীশু খ্রীষ্টের সুসামাচারের আরম্ভ, তিনি ঈশ্বরের পুত্র (মার্ক ১:১)৷ আমরা কেউই তাঁর ধার্মিকতার কার্য বাপ্তিস্ম, তাঁর ক্রুশীয় রক্ত, পুনরুত্থান, স্বর্গারোহন, এবং তাঁর দ্বিতীয় আগমন ঈশ্বরের পুত্রের সুসমাচার থেকে বাদ দিতে পারি না৷
যীশু মাংসিকরূপে এই জগতে এসেছিলেন এবং মানব জাতির সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মে ধৌত করেছিলেন, এটাই ছিল স্বর্গীয় সুসামাচারের আরম্ভ৷ এমনকি যদি এগুলোর একটিও হারিয়ে যায়, তবে স্বর্গীয় সুসমাচার সম্পন্ন হবে না৷
এজন্য, যদি কাউকে নুতন জন্ম গ্রহণ করতে হয়, তবে তাকে খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস করতে হবে৷ এখনকার দিনে অনেক লোকেই যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সত্যতায় বিশ্বাস করে না৷ তারা চিন্তা করে যীশুর বাপ্তিস্ম ছিল শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান৷ এটা একটা সাংঘাতিক ভুল ধারণা৷ যেকেউ যীশুকে বিশ্বাস করে তাকে অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করতে হবে৷
স্বাভাবিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার প্রার্থনা করে কিভাবে আমরা আমাদের পাপ ধৌত করতে পারি? আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল যখন তিনি যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ মানব জাতির পাপ তুলে নেবার জন্য তাঁর আর কোনো উপায় ছিল না৷
স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করার জন্য আমাদের জল ও আত্মার নুতন জন্ম গ্রহণ করতে হবে বাপ্তিস্মের জল, ক্রুশীয় রক্ত ও পবিত্র আত্মা ব্যতীত পাপমোচন হতে পারে না৷ যিনি নুতন জন্ম লাভ করেছেন কেবলমাত্র তিনিই যীশুকে দেখতে পারেন, যীশু যেমন যোহন ৩:৫ পদে নীকদীমকে বলেছিলেন৷ সত্য পরিত্রাণ কেবলমাত্র তখনই আছে যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করি৷
যীশুর বাপ্তিস্ম ব্যতীত কি আমরা পাপমুক্ত হতে পারি?
যীশু কিভাবে আমাদের ত্রাণকর্তা হলেন?
তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সকল পাপ তুলে নিয়ে৷
যীশুর প্রকাশ্য কার্য থেকে তিনি যে, এ পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সকল পাপ তুলে নিয়েছিলেন এটা যদি আমরা উপেক্ষা বা যীশুর পবিত্রতা তাচ্ছিল্য করি, যিনি কুমারী মরিয়মের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন বা যীশুর ক্রুশ বিশ্বাস করতে অবহেলা করি তাহলে খ্রীষ্টধর্ম শুধুমাত্র একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম হিসাবে পরিনত হবে যা বিশ্বাসীদের বৌদ্ধরা যেমন মন্দিরে ক্ষমা কর, ক্ষমা কর, ক্ষমা কর বলে স্তব করে এভাবে পরিচালনা করবে৷
যীশুর বাপ্তিস্মকে উপেক্ষা করার অর্থ হল যে, আমাদের পাপ তাঁর উপর অর্পিত হয় নি৷ আমাদের বিশ্বাস মূল্যহীন হবে একজন ঋণী ব্যক্তির মত যখন সে ঋণ পরিশোধ না করেই দাবি করে যে, সে ঋণ পরিশোধ করেছে, কিন্তু বাস্তবে সে মোটেই ঋণ পরিশোধ করে না, এরূপ ব্যক্তির সাথে আমাদের কোনো পার্থক্য থাকে না৷ এটা আমাদের সকলকে মিথ্যাবাদী করে যদি একজন ঋণী ব্যক্তি বলে সে তার সমস্ত ঋণ পরিশোধ করেছে, যখন সে বাস্তবে কিছুই পরিশোধ করে না, তখনও সে বাস্তবে ও তার বিবেকে একজন ঋণী হয়ে থাকে৷
যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের জলে বিশ্বাসীদের ধৌত করে পরিস্কৃত করেছিলেন এবং তাদের ঈশ্বরের সন্তান করেছিলেন৷ যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, যেন সমস্ত বিশ্বাসীরা পবিত্র হতে পারে৷ যখন আমরা এটা জানি ও বিশ্বাস করি, তখন আমাদের হৃদয় চিরদিনের জন্য পরিস্কৃত হয়৷
ঈশ্বরকে তাঁর অনুগ্রহের জন্য ধন্যবাদ দিই৷ লুক ২:১৪ পদে বলা হয়েছে, “উর্দ্ধলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতি পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি!” যীশুর জলে ও রক্তে বিশ্বাস আমাদের সম্পূর্ণ পরিত্রাণ আনয়ন করে এবং ঈশ্বরের সন্তান তৈরী করে৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করে এবং যে কেউ এই দুটিতে বিশ্বাস করে তারা পাপমুক্ত হয়৷
তাঁর কার্য থেকে কোনো কিছু উপেক্ষিত হতে পারে না৷ কেউ কেউ কেবলমাত্র রক্তে বিশ্বাস করে বলে যে, প্রেরিত পৌল গর্বিত হয়ে ক্রুশের কথা ছাড়া কিছুই বলেন নি৷ কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্ম তাঁর ক্রুশের সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিল৷
আমরা রোমীয় ৬ অধ্যায়ে দেখতে পাই যে, পৌল খ্রীষ্টের সাথে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং তাঁর সাথে মরেছিলেন এবং গালাতীয় ২:২০ পদেও, “খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।”
এবং গালাতীয় ৩:২৭-১৯ পদ, “কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ। যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক। আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে সুতরাং অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে দায়াধিকারী।”
খ্রীষ্টে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার অর্থ হল তিনি এ জগতে যত কাজ করেছিলেন সে সমস্ত কাজে বিশ্বাস করা, তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস৷ যীশুর বাপ্তিস্মে ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করা হল, এ সত্যে বিশ্বাস করা যে, তিনি ইতিমধ্যে প্রায় ২০০০ বছর আগে আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছিলেন৷ অন্য কোনো উপায় নেই যা আমাদের পরিত্রাণ আনয়ন করতে পারে৷
আমরা ঈশ্বরের দ্বারা পাপমুক্ত হই যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্মে ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করি
আমাদের পাপ কি কেবলমাত্র ক্ষমা চাওয়ার প্রার্থনার দ্বারা ধৌত হতে পারে?
না৷ পাপের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব কেবলমাত্র আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে, যে আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপর বর্তেছিল যখন তিনি যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷
“কারণ লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য, এবং মুখে স্বীকার করে পরিত্রাণের জন্য” (রোমীয় ১০:১০)৷
“কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ” (গালাতীয় ৩:২৭)। আমাদের বিশ্বাস আমাদের খ্রীষ্টে বাপ্তিস্ম গ্রহণ, খ্রীষ্টকে পরিধান এবং ঈশ্বরের সন্তান হবার জন্য পরিচালনা করে৷ যখন যীশু এ জগতে এসেছিলেন ও বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তখন আমাদের সমস্ত পাপ ও জগতের পাপ তাঁর উপর অর্পিত হয়েছিল৷
আমাদের বিশ্বাস আমাদেরকে খ্রীষ্টে এক হবার নিমিত্তে নেতৃত্ব দেয়৷ তিনি যখন মরেছিলেন তখন আমরাও মরেছিলাম৷ তিনি যখন পুনরুত্থিত হয়েছেন তখন আমরাও পুনরুত্থিত হয়েছি৷ কারণ এখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত ও তাঁর পুনরুত্থান, তাঁর স্বর্গারোহন ও তাঁর আগমনে বিশ্বাস করি, তাই আমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে ও চিরদিন বেঁচে থাকতে পারি৷
যখন লোকেরা কেবলমাত্র একাকী যীশুর রক্তে বিশ্বাস করে, তখন তারা তাদের হৃদয়ে থাকা অবশিষ্ট পাপ না ভুগে থাকতে পারে না৷ কেন? কেননা তারা যীশুর বাপ্তিস্মের অর্থ জানেও না গ্রহণও করে না, যেটি তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিল এবং তাদের পাপময় হৃদয় পরিস্কৃত করেছিল, তাদের সকলকে অনন্তজীবনের জন্য তুষারের চেয়েও পরিস্কৃত করেছিল৷
আপনি কি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করেন যা আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে? অনুগ্রহ করে এই অপরিবর্তনীয় সত্যে বিশ্বাস করুন৷ যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস ব্যতীত আপনার বিশ্বাস অসার হয়৷ যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস ব্যতীত আপনি আপনার পাপমোচন করতে পারেন না; আপনি অপ্রয়োজনীয় প্রেমে আবদ্ধ হয়ে থাকেন৷
যারা শুধুমাত্র ক্রুশে বিশ্বাস করে, তারা বলে, যীশু আমার প্রভু, আমার ত্রাণকর্তা যিনি আমার জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন৷ তিনি মৃত্যু থেকে পুনরায় উঠেছিলেন স্বর্গারোহনের ৪০ দিন পূর্বে তাঁর পুনরুত্থানের সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আর এখন তিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ পার্শ্বে বসে আছেন৷ আমি বিশ্বাস করি যে, তিনি দ্বিতীয়বার আমাদের বিচার করতে আসবেন, এবং আমি প্রর্থনা করি যে, যীশু আমাকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করবেন তাই আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারব৷ ওহ, আমার প্রিয় যীশু, আমার প্রভু৷
তারা তাদের পাপ ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করে এবং পাপমুক্ত থাকার আশা করে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে পাপ থাকে৷ “আমি যীশুকে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমার হৃদয়ে পাপ রয়েছে৷ আমি যীশুকে ভালবাসি কিন্তু আমার হৃদয়ে পাপ রয়েছে৷ আমি বলতে পারি না, আমার বর অনুগ্রহ করে আমার নিকটে এসো৷ কেননা আমার পাপ রয়েছে এবং আমি আমার পরিত্রাণ সমন্ধে নিশ্চিত হতে পারি নি৷ সুতরাং আমি আশা করি কেবলমাত্র আমার কঠিন প্রার্থনা ও অনুতাপের পর যখন আমি ভালোভাবে প্রস্তুত থাকব তখন যীশু আসবেন৷ আমি আমার সর্বান্তঃকরণে যীশুকে ভালবাসি কিন্তু যীশুর সম্মুখে যেতে সাহস পাই না কারণ আমার হৃদয়ে পাপ রয়েছে৷”
যদি ঈশ্বর এইরূপ লোককে জিজ্ঞাসা করেন, “কেন তুমি মনে কর তুমি সম্পূর্ণ নও?”
তারা উত্তর দেয়, “প্রভু আমি জানি আমি ধার্মিক নই, কেননা আমি প্রতিদিন পাপ করি৷ তাই অনুগ্রহ করে যখন তুমি পাপীদের ডাক তখন আমাকেও ডেক৷”
তারা জানে না যে, ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা ও ন্যায়বিচারক, পাপীদের গ্রহণও করবেন না ও তাঁর সন্তানও তৈরী করবেন না৷
বর এসেছিলেন এবং পাপের সকল সমস্যা কনের জন্য সমাধান করেছিলেন, কিন্তু কনে এই ঘটনা সম্পর্কে সচেতন ছিল না, সে উত্পীড়িত ছিল৷ যখন আমরা চিন্তা করি আমরা পাপী, কেননা আমরা মাংসে পাপ করেছি, তখন ঈশ্বরে আমাদের বিশ্বাস থাকে না৷ যখন আমরা ঈশ্বরের বাক্যের সত্যতা জানিও না বুঝিও না তখন আমাদের হৃদয়ে থাকা পাপ বাড়তে থাকে৷
কিছু লোক কেন পাপ যা তাদের হৃদয়ে থাকে তাতে কষ্ট ভোগ করে?
কেননা, তারা জানেও না, তাদের হৃদয়ে গ্রহণও করে না, যীশুর বাপ্তিস্মের অর্থ যা তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিল৷
বর জগতের পাপ তুলে নিয়েছিলেন৷ কোথায়?যর্দনে যখন তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন৷ যারা এটা বিশ্বাস করে না, তারা এখনো পাপী৷ তারা অপবিত্র কনে হয়ে পড়ে থাকবে৷
বর কনেকে জিজ্ঞাসা করে, “কেমন করে তুমি আমাকে ভালবাস যখন তুমি আমার কনে না? আমাকে তোমার বর ডাকার পূর্বে, তোমার সমস্ত পাপ অবশ্যই ধৌত করতে হবে৷”
আমরা কি যীশুর বাপ্তিস্ম ব্যতীত পাপমুক্ত হতে পারি না! আমরা ঈশ্বরের আকৃতিতে সৃষ্ট, তাই আমাদের হৃদয়ে আমাদের ন্যায়বিচার অন্বেষণ করা এবং আমাদের বিবেকে ন্যায়বান হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ৷ কিন্তু এটা চিন্তা করা আমাদের জন্য অসম্ভব, যে আমরা পাপমুক্ত, যদি আমাদের হৃদয় পরিস্কৃত না থাকে৷ কেবলমাত্র যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও বিশ্বাস করি তখন আমরা সত্যিকারে বলতে পারি যে, আমাদের কোনো পাপ নেই, এবং আমরা ধার্মিক হই৷
আমাদের বিবেক কখনও পবিত্র হতে পারে না যখন বাস্তবে আমাদের হৃদয়ে পাপ থাকে তথাপি আমরা নিজেদের পাপমুক্ত বলে বিবেচনা করি৷ এই অবস্থার মধ্যে ঈশ্বর আমাদের কখনই গ্রহণ করতে পারেন না৷ ঈশ্বর কখনও মিথ্যা বলেন না৷
ঈশ্বর মোশিকে বলেছিলেন, ইস্রায়েলীয়দের একটি আদমশুমারী করে লোকগননা করতে এবং তাদের জীবনের জন্য তাদের মুক্তিপণ পরিশোধ করতে৷ ধনীরা অর্ধেক শেকলের বেশী দেবে না এবং দরিদ্ররা এর কম দেবে না৷ প্রত্যেককে মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল৷
এজন্য, কিভাবে একজন পবিত্র হবে যদি সে যীশুতে বিশ্বাস না করে যিনি তার জীবনের জন্য নিজেকে মুক্তিপণ রূপে উত্সর্গ করেছিলেন? এরূপ ব্যক্তির হৃদয়ে পাপ থেকেই যায়৷
যখন আমরা কেবলমাত্র যীশুর রক্তে বিশ্বাস করি, তখন আমাদের হৃদয়ে পাপ থাকে এবং আমাদের স্বীকার করতে হয় যে, আমরা পাপী৷ কিন্তু আমরা যখন তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় সুসমাচার একত্রে বিশ্বাস করি, তখন আমরা প্রকৃতভাবে বলতে পারি যে, আমাদের পাপ নেই৷ পরিত্রাণ এবং অনন্তজীবন আমাদেরই৷
পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে নিন্দা
কোন প্রকারের পাপ মানুষকে নরকের জন্য দন্ডিত করে?
পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে পাপ, অন্য কথায় যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস না করা৷
রোমীয় ১:১৭ পদে বলা হয়েছে, “কারণ ঈশ্বর দেয় এক ধার্মিকতা সুসামাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক৷” ঈশ্বরের ধার্মিকতা সুসামাচারে প্রকাশিত হয়েছে৷ যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং তাঁর বাপ্তিস্মে ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তই হল সুসামাচারের শক্তি৷ যীশু আমাদের পাপ চিরতরে ধৌত করেছিলেন৷
বিশ্বাস করার অর্থ হল পরিত্রাণ ও বিশ্বাস না করার অর্থ হল অনন্ত নরক৷ আমাদের স্বর্গীয় পিতা তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্রকে এ জগতে পাঠিয়েছিলেন এবং আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্তে তাঁকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন৷ এভাবে, যে তাঁকে বিশ্বাস করে সে তার সমস্ত অপরাধ থেকে পরিস্কৃত হতে পারে৷
এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটি পাপই অবশিষ্ট রয়েছে তা হল তাঁর বাপ্তিস্ম ও তার রক্তে বিশ্বাস না করা৷ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে নিন্দায় বিশ্বাস না করা এবং একটি পাপ যা ঈশ্বর কর্তৃক বিচারিত হবে তা হল নরকে বিশ্বাস না করে নিন্দা করা৷ এটা সকলের একটি গুরুতর পাপ৷ আপনাদের মধ্যে যে কেউ এই পাপ করেন তাকে অবশ্যই অনুতাপ করতে হবে এবং যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাসপূর্বক পাপমোচন করতে হবে৷ যদি না করেন, তবে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবেন৷
আপনি কি তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তের পাপমোচনের সাক্ষ্যের মাধ্যমে পাপমুক্ত হয়েছেন? আপনি কি যোহনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন যেমন এটা যোহন ১:২৯ পদে লেখা আছে, “ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান৷” আপনি কি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করেন যেমন এটা ইব্রীয় ১০:১৮ পদে লেখা আছে, “ভাল. যে স্থলে এই সকলের মোচন হয় সেই স্থলে পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না৷”
ঈশ্বর তাদের চিহ্নিত করেন যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে তাদের হৃদয়ে বিশ্বাস করেন৷ ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর সন্তান তৈরী করেন৷ যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করে তারা যীশুর ধার্মিকতার প্রেমে পাপমোচন করে৷
ঈশ্বর যাদেরকে পাঠিয়েছিলেন, তারা সকলে ঈশ্বরের বাক্যে বলেছেন, কিন্তু যারা পৃথিবীর, যাদেরকে ঈশ্বর পাঠান নি, তারা নিজেদের ধ্যানধারণা অনুযায়ী প্রচার করে৷ এমন অনেকেই আছে যারা পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করে, ঈশ্বর যাদেরকে পাঠিয়েছেন তারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের বিষয়ে প্রচার করেন৷
কিন্তু একজন ব্যক্তি কি নিজে পবিত্র হতে পারে? আমরা কি আমাদের নিজেদের মেধার শক্তি ও নিজেদের চেষ্টার মাধ্যমে পবিত্র হতে পারি? আমরা কি পবিত্র হয়েছি কারণ ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে দিয়েছেন নাকি আমাদের নিজেদের চেষ্টায় পাপমুক্ত পাপমুক্ত হয়েছি?
সত্য বিশ্বাস যা আমাদের পবিত্র করে৷ আমরা কি কালো কয়লা হাজার বার ধুয়েও সাদা করতে পারি? আমরা কালো চামড়া কি লোশন দিয়ে সাদা করতে পারি? কোনো প্রকার সাবান বা লোশন আমাদের পাপ ধৌত করতে পারে না, এবং আমাদের নিজেদের ধার্মিকতা একটি নোংরা ছিন্ন বস্ত্রের মত৷ আমরা কি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করি নাকি শুধুমাত্র ক্রুশীয় রক্তে ধার্মিক হই?
সত্য বিশ্বাস যীশুর বাপ্তিস্মের জলে ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত হতে আসে৷ পরিত্রাণ আমাদের নিজেদের চেষ্টায় কোনো ফল থেকে আসে না, কেবলমাত্র আমাদের যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস পাপ থেকে মুক্ত করে এবং আমাদের ধার্মিক তৈরী করে৷
পিতা সকল লোককে তাঁর পুত্রের হস্তে সমর্পিত করেছেন আর যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তারা অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে৷ পুত্রে বিশ্বাস করার অর্থ হল তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের মাধ্যমে পাপ মোচনে বিশ্বাস করা৷ যারা বিশ্বাস করে তারা ঈশ্বরের সন্তানরূপে অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে৷ যারা পাপমুক্ত তারা চিরদিন ঈশ্বরের দক্ষিণ পার্শ্বে বসবাস করবে৷
যীশুর বাপ্তিস্ম ও ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর এককত্ত্বে বিশ্বাস হল পবিত্র আত্মায়ও বিশ্বাস করা৷ সত্যের বাক্য আমাদের নুতন জন্মের অনুমোদন দেয়৷ আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারা পাপমুক্ত হই৷
বিশ্বাস করুন৷ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস করা হল পাপের ক্ষমা অর্জন করে৷ সত্য সুসমাচার ও ক্ষমা পাওয়ায় বিশ্বাস করুন৷