< প্রকাশিত বাক্য ৯: ১-২১>
সপ্ততুরীর মহামারীতে, আমরা উপরে উল্লিখিত অনুচ্ছেদে শুধুমাত্র পঞ্চম ও ষষ্ঠ তুরীর মারীর মধ্যে দিয়ে গমন করেছি৷ পঞ্চম তুরীধ্বনি পঙ্গপালের মারী ও ষষ্ঠ ইউফ্রেটিস নদীর দিকে যুদ্ধের মারী ঘোষণা করে৷
প্রথম বিষয়টি আমাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন যে পবিত্রগণ সপ্ততুরীর এই মহামারীর মধ্য দিয়ে গমন করবে কিনা৷ এটাই প্রথম বিষয়, যা আমরা শুনেছি, জেনেছি ও বিশ্বাস করেছি৷
পবিত্রগণ কি সপ্ততুরীর মহামারীর মধ্যাবস্থায় নিজেদের খুঁজে পাবে? অবশ্যই, পবিত্রগণেরাও এই মারীর মধ্যাবস্থায় নিজেদেরকে খুঁজে পাবে৷ পৃথিবীর তৃতীয় অংশের বন-জঙ্গল পুড়ে যাবে, সমুদ্রের ও নদীসমূহের তৃতীয় অংশের জল রক্তে পরিণত হবে, এবং সূর্য, চন্দ্র ও তারা সমূহের তৃতীয় অংশ তাদের উজ্বলতা হারাবে ও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হবে৷ যদিও সমস্ত পৃথিবীর তৃতীয় অংশ কোনোটা রক্তে পরিণত হবে বা উজ্বলতা হারাবে, এর অর্থ হচ্ছে, আরো দুই তৃতীয়াংশ এখনও রয়েছে৷ এই বাক্য আমাদের বলে, আমরা পবিত্রগণ যারা রক্ষা পেয়েছি, আমরা নিজেদেরকে প্রথমে ছয়টি মারী পৃথিবীর তৃতীয় অংশ ধ্বংস করবে তার মধ্যাবস্থায় খুঁজে পাব৷ সে যাই হোক, এই সমস্ত মারীকে আমরা ভয় করব না, কেননা ঈশ্বর তাঁর পঞ্চম মারীতে পঙ্গপালকে, “কেবলমাত্র তাদেরকে, যাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই”, তাদের হানি করার নির্দেশ দিয়েছেন, সপ্ততুরীর মহামারীর মধ্যাবস্থায় তিনি মুদ্রাঙ্ক দ্বারা পবিত্রগণকে রক্ষা করবেন৷
কিন্তু এখনও রয়েছে এর অর্থ হল, সাধুগণ সমস্ত মারীর মধ্যে দিয়ে গমন করবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আপনি এবং আমি, যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছি, আমাদেরকে প্রথম মারীর মধ্যাবশ্থায় খুঁজে পাব, যে মারী ঈশ্বর হতে অগ্নিবৃষ্টির দ্বারা পৃথিবীর তৃতীয় অংশ পুড়িয়ে ফেলবে, জলন্ত পর্বত সমুদ্রে পড়ে সমুদ্রের তৃতীয় অংশ জল রক্তে পরিণত হবে, এবং আকাশ থেকে বৃহৎ তারা পড়বে যা নদনদী ও উনুই সকলের জল নাগদানায় পরিনত করবে৷
আমরা চতুর্থ মারীর মধ্যে বাস করব, সূর্য, চন্দ্র ও তারাসহূহের তৃতীয় অংশ সংঘর্ষে অন্ধকার নেমে আসবে, তাছাড়া আমরা পঞ্চম মারীর ভেতর দিয়েও গমন করব, পঙ্গপাল যখন বৃশ্চিকের ক্ষমতায় মানুষের ক্ষতি করবে, এবং ষষ্ঠ মারী যখন ইউফ্রেটিস নদীর তীরে বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ করবে, তখনও আমরা এই সমস্ত মারীর মধ্যে নিজেদেরকে খুঁজে পাব৷ এই বিষয় কেউ কিছুই করতে পারবে না, কেননা ঈশ্বরের দূরদর্শিতা অপেক্ষা করছে তা বুঝতে হবে৷ কাজেই আমরা এই ছয়টি ভয়ঙ্কর মারীর মধ্যে বেঁচে থাকব তা ঈশ্বরের বাক্যে লিখিত আছে৷
আমাদের প্রভু আপনার সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে রক্ষা করেছেন৷ তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্যে দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, ক্রুশে তাঁর রক্ত দিয়েছেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছেন৷ যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য যা করেছেন তা বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করেছি৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা যারা তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তারাও এই ছয়টি ভয়ঙ্কর মারীর মধ্যে বেঁচে থাকবে এবং তাদের প্রতি ঈশ্বরের বিশেষ প্রতিরক্ষা থাকবে৷ অন্যভাবে এই বাক্য আমাদেরকে বলে যে, আমাদের উপর ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ থাকবে৷ আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এই বিশেষ অধিকার প্রদানের জন্য আমাদের সমস্ত ধন্যবাদ গ্রহণে আমাদের ঈশ্বর কত যোগ্য এবং আমাদের মধ্যে যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে তাদেরকে তিনি মারীর মধ্যেও রক্ষা করবেন৷
পঞ্চম দূত যখন তার তুরী বাজিয়েছিল, যোহন দেখেছিলেন, “আকাশ থেকে একটি তারা পৃথিবীতে পতিত হল” যাকে “অগাধ লোকের কুপের চাবি দেওয়া হয়েছিল”৷ এখানে তারা বলতে একজন দূতকে বোঝানো হয়েছে, ঈশ্বর অর্থে ঈশ্বরের তারাগণের অর্থ হল, তাঁর সমস্ত দাস ও সাধুগণ৷ যখন এই দূত পৃথিবীতে পতিত হল, অগাধ লোকের কুপের চাবি গ্রহণ করল, এবং এই চাবি দিয়ে মুক্ত করল, আর কূপ থেকে বৃহৎ ভাটির ধুমের ন্যায় ধুম উঠল৷
“অগাধ লোকের কুপ” যা একটি স্থানের বিষয় বলে, এটা শুধু আক্ষরিক, এর কোনো শুরু বা শেষ নেই৷ তাছাড়া অতল গহ্বর হিসাবে পরিচিত, এই কূপ অনন্ত গভীর৷ পঞ্চম দূত যখন তুরী বাজাল, তত্ক্ষনাত সে অগাধ লোকের কুপের চাবি গ্রহণ করল, এবং এই চাবি দ্বারা কূপ মুক্ত করল৷ এই কূপ থেকে বৃহৎ ধুম বেরিয়ে আসল, যেন মনে হয় বৃহৎ অগ্নি৷ অতল গহ্বরের ধুম সূর্য ও আকাশ ঢেকে ফেলল এবং সমস্ত পৃথিবীকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করল৷
অগাধ লোকের কুপ যখন খোলা হয়েছিল তখন শুধু ধুমই নির্গত হল না, কূপ থেকে ধুমের সাথে পঙ্গপালও নির্গত হল আর যে সমস্ত পঙ্গপাল পৃথিবীতে বের হয়ে আসল, তাদেরকে পৃথিবীস্থ বৃশ্চিকের ন্যায় ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তাদের লাঙ্গুল দিয়ে মানুষকে হুল বিদ্ধ করতে পারে৷ তাদের বিষয় বাইবেল এইভাবে বর্ণনা করে যে, তাদের মুখমন্ডল মানুষের মুখমন্ডলের ন্যায়, তাদের আকৃতি যুদ্ধে ধাবমান অশ্বের ন্যায়, তাদের দন্ত সিংহের দন্তের ন্যায়, এবং তাদের কেশ স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায়৷
একটি মাত্র পঙ্গপালের শব্দ ব্যবহার করার বিপরীতে বহুবাচক শব্দ “পঙ্গপালসমূহ” ব্যবহার করা হয়েছে, বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, আমরা শুধুমাত্র একটা বা অল্প সংখ্যক পঙ্গপালের কথা বলছি না, বরং মেঘের ন্যায় অসংখ্য পঙ্গপাল, যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের পঙ্গপালের ন্যায় দেখা যাবে, এবং চলার পথে এদের সম্মুখে যত উদ্ভিদ পড়বে, তা তারা মূল পর্যন্ত ধ্বংস করে দেবে৷ এই পঙ্গপাল অতল গহ্বর লোকে উত্থিত হবে, এবং পাঁচ মাস মানুষকে যাতনা দেবে৷
যারা সপ্ততুরীর মারীর পঞ্চম মারী দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবে, এরা তারা যারা নুতন জন্ম প্রাপ্তদের ছেড়ে যাবে৷ আমাদের প্রভু আমাদের উপর পঙ্গপালের মারী আনয়ন করবেন না, কেননা তিনি নুতন জন্ম প্রাপ্তদের জানেন, যদিও তারা হুলবিদ্ধ হয়েছিল, তারা পরিত্রাণের সুসমাচার ছুড়ে ফেলে দিয়ে, আশ্চার্যন্বিত হয়েছিল, “কেন আমি উদ্ধার পেলাম?” এই বিষয়ে ৪ পদে আমি নিশ্চিত হতে পারি, “আর তাহাদিগকে বলা হইল, পৃথিবীস্থ তৃণের কি হরিদ্বর্ণ শাকের কি কোন বৃক্ষের হানি করিও না, কেবল সেই মনুষ্যদেরই হানি কর, যাহাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই।”
আমরা জানি যে, ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে ১৪৪,০০০ জন লোক ঈশ্বরের মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত, কিন্তু বাইবেলে পরজাতীয়দের বিষয়ে উল্লেখ নেই৷ তাহলে কি এর অর্থ এই যে, পাপীদের মত আমরাও পঙ্গপালের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হব? আদৌ না! যেহেতু ১৪৪,০০০ ইস্রায়েলীয় মুদ্রাঙ্কিত হয়েছে, সুতরাং আমরাও,- তাহল যাদের হৃদয়ে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তারাই পবিত্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে মুদ্রাঙ্কিত হয়েছে৷ আপনার হৃদয়ে কি পবিত্র আত্মা নেই? কেননা পবিত্র আত্মা যার হৃদয়ে বাস করেন, তারা ঈশ্বরের সন্তানরূপে মুদ্রাঙ্কিত হয়েছে, আমরাও ১৪৪,০০০ ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে, কাজেই তাঁর লোক হিসাবে আমরাও পঙ্গপালের মহামারী হতে রক্ষা পাব৷
যারা নুতন জন্ম লাভ করে নি, পঙ্গপালের মারী কেবলমাত্র তাদেরই ক্ষতিসাধন করবে, লোকেরা আমাদের আরো বেশী ঘৃনা ও নির্যাতন করবে৷ মারীর সময়কাল পাঁচ মাস পর্যন্ত যারা নুতন জন্ম লাভ করে নি, কেবলমাত্র তারাই পঙ্গপাল দ্বারা হুল বিদ্ধ হবে, ভীষণ যন্ত্রনায় ছটফট করবে, কিন্তু মরবে না৷ এই পঙ্গপালের মুখমন্ডল মানুষের মুখমন্ডলের ন্যায়, তাদের কেশ, স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায়, তাদের দন্ত হিংস্র সিংহের ছেদক দন্তের ন্যায়, এবং বিষাক্ত লাঙ্গুল দিয়ে তারা তাদেরকে হুল ফুটাবে, তারা বর্ণনাতীত যন্ত্রণার স্বীকার হবে৷ এই পঙ্গপাল সমূহ তাদের গতিপথে তাদের মস্তকের দ্বারা প্রত্যেককে আঘাত করবে, তাদের দন্ত দ্বারা সমস্ত জায়গায় তাদেরকে কামড় দেবে, এবং তাদের বিষাক্ত লেজ দ্বারা তাদেরকে হুলবিদ্ধ করবে, তাদের প্রতি বর্ণনাতীত বিষম যন্ত্রণা আনয়ন করবে৷
একটি হুল অবিশ্বাস্য যন্ত্রণা বয়ে আনবে, সম্ভবত তা উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুত স্পৃষ্ট হওয়ার সমকক্ষ, যা পাঁচ মাসের জন্য হবে৷ আর লোকেরা মরতে পারবে না, পঙ্গপাল দ্বারা তারা কি পরিমান যাতনা পাচ্ছে অথবা এরূপ যাতনা থেকে রেহাই পেতে তারা যতই মৃত্যু কামনা করুক না কেন, তাতে কিছুই হবে না৷ কেননা এই পঙ্গপালের মারীতে Undead যুক্ত করা হয়েছে, পাঁচ মাসের জন্য পৃথিবীতে কোথাও মৃত্যু থাকবে না৷ এই মারী পাঁচ মাস পর্যন্ত পৃথিবীকে যাতনা দেবে৷
আমাদের চোখে আমরা এই মারী দেখতে পাব না, কেননা এগুলো সমস্ত কিছুই ঈশ্বর কর্তৃক সংকল্পকৃত৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে তিনি এই পৃথিবীতে মারী আনয়ন করবেন, এই পৃথিবীর মানুষের মধ্যে অনেকে না ঈশ্বরকে বা তাঁর প্রেম ও পরিত্রাণকে বিশ্বাস করে, না তাঁর প্রায়শ্চিত্তের সুসমাচার বিশ্বাস করে৷ এই সমস্ত কিছুই ঈশ্বর কর্তৃক সাধিত হয়েছে৷ কারণ ঈশ্বর এই সমস্ত কিছু করার সংকল্প সাধন করেছেন, আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর বাস্তবিক এই সমস্ত কিছু আনয়ন করবেন৷
একমাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করেই আমরা সমস্ত কিছু করতে পারি, ঈশ্বরের সংকল্প ও কাজ কি, সেই বিষয়ে কেউ কখনও তর্ক করতে না পারে, এমনকি এই অবস্থাতে যখন পঙ্গপালের দ্বারা লোকেরা যন্ত্রণা ভোগ করবে, তখনও আমাদের কামড়ানো বা হুল ফুটানোর জন্য ঈশ্বর পঙ্গপালকে অনুমতি দেবেন না এবং এই মারী হতে তিনি আমাদেরকে রক্ষা করবেন৷ আর যাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক রয়েছে, তাদের ক্ষতি সাধন না করার জন্য তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেবেন৷
কেন ঈশ্বর সপ্ততুরীর মারী আনয়ন করবেন?
ঈশ্বরের সপ্ততুরীর মারী আনয়ন করার উদ্দেশ্য হল, যেন নুতন জন্ম প্রাপ্তরা তাদের নিকট থেকে গৌরব গ্রহণ করতে পারে, যারা এখনও নুতন জন্ম লাভ করে নি, তাদেরকে নুতন জন্ম লাভ করতে আরেকটি সুযোগ প্রদান করবেন৷, এবং ঈশ্বর সৃষ্ট এই পৃথিবীর প্রত্যেককে দেখাবেন যে, প্রভুই ঈশ্বর, এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, ত্রাণকর্তা এবং সমস্ত কিছুর বিচারক৷
প্রথমতঃ মহামারীর মধ্যে দিয়ে পাপীদের প্রতি দুঃখ-কষ্ট আনয়নের দ্বারা এবং তাদের নিকট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ধার্মিক হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন৷ ঈশ্বর ধার্মিক করেছেন প্রভুর মহত্বের প্রশংসা, তাঁর অনুগ্রহ, আশীর্বাদ ও গৌরবের নিমিত্ত৷
দ্বিতীয়তঃ ঈশ্বর তাঁর সর্বশেষ শস্য কর্তনের সময় এই মারীর অনুমতি দেবেন৷ তিনি উদ্ধারের নিমিত্ত সপ্ততুরীর মারী আনয়ন করবেন, শেষ সময়ে তাদের মধ্যে অনেকেই জল ও আত্মার সুসমাচার জেনে থাকবে, কিন্তু এতে বিশ্বাস করবে না৷ ঈশ্বর যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সমস্ত কিছুর মধ্যে এই ক্লেশ দেবেন, পরজাতি ও ইস্রায়েলীয় উভয়েই, তাদের পরিবর্তন আসবে, প্রভুর পক্ষে ফিরে আসবে এবং উদ্ধার পাবে৷
তৃতীয়তঃ, এই পৃথিবীর কোনো কিছুই অস্তিত্ব প্রভু ব্যতীত আসে নি, যীশু খ্রীষ্ট যিনি মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর মৃত্যুর দ্বারা সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছিলেন, যারা তাঁর ও তাঁর পিতার প্রেমকে গ্রহণ করে নি এবং পরিত্রাণের সুসমাচারে বিশ্বাস করে নি, এই সমস্ত ভয়ঙ্কর মহামারীর মধ্যে দিয়ে তিনি তাদেরকে তাঁর রাজকীয় ক্ষমতা দেখাবেন৷ যারা নুতন জন্ম লাভ করে নি, তিনি তাদেরকে এই জগতে এবং পরবর্তী জীবনে অনন্ত নরকের উভয় স্থানে তাদের প্রতি দুঃখভোগ আনয়ন করবেন৷
ঈশ্বর এই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত এই পৃথিবীতে মারী আনয়ন করবেন৷ আমাদেরকে অবশ্যই জানতে ও বুঝতে হবে যে, বাস্তবিক এই মারী আসবে৷ আমরা যদিও, বিশেষভাবে পঙ্গপালের মারী থেকে অব্যহতি পাব, তবুও আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এত কিছু সত্ত্বেও আমরা অবশ্যই সমস্ত মারীর মধ্যে বেঁচে থাকব৷ অগ্নির মারী যা পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষরাজি ও প্রকৃতির তৃতীয় অংশ দগ্ধ করবে, জলের মারী যা সমুদ্রের তৃতীয় অংশের জল রক্তে পরিনত করবে, এবং নদনদী ও উনুই সমূহের জল নাগদানায় পরিনত হবে, অন্ধকারের মারী যা সূর্য, চন্দ্র বা তারাসমুহকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করবে, এবং যুদ্ধের মারী যা পৃথিবীকে ধ্বংস করবে, আমরা সকলে এই সমস্ত মারীর মধ্যে থাকব, এবং ভালো থাকব৷ কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই এটাও বুঝতে হবে যে, যেহেতু আমরা এইসব মারীর মধ্যে বেঁচে থাকব, কাজেই এর মধ্যেও মহা-আনন্দে পরিপূর্ণ থাকব৷
সপ্ততুরীর মারীতে, আমরা পার্থিব জগতের সুযোগ সুবিধা হারিয়ে ফেলব৷ এক মুহুর্তের জন্য ভাবুন যে, চারিদিকে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হচ্ছে, ভূমিকম্প মাটি উপড়ে ফেলছে, পর্বত ধোঁয়ায় দগ্ধ হচ্ছে, আর সমুদ্র, নদ-নদী ও উনুই সকলের তৃতীয় অংশ রক্তে ও নাগদানায় পরিণত হচ্ছে৷ ধুলিকণা, ধোঁয়া ও ভষ্ম সমস্ত পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছে, সূর্য সকাল ১০ টায় উঠছে আর বিকেল ৪ টেই অস্ত যাচ্ছে, এবং চন্দ্র ও তারাসমূহ তাদের উজ্বলতা হারিয়ে ফেলেছে, যা আমরা আর কখনও দেখতে পাব না৷ এই রকম এক জগতে থেকে আপনি কি আপনার পার্থিব জীবন সম্পর্কে উৎসাহিত থাকতে পারবেন? অবশ্যই না!
এই কারণেই পবিত্রগণ কেবলমাত্র ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি রাখবেন এবং একই সাথে কেবলমাত্র তাদের প্রত্যাশা তাঁর রাজ্যের উপর রাখবেন৷ আমাদের সকল প্রত্যাশার শতকরা ১০০ ভাগ ঈশ্বরে খুঁজে পাওয়া যায়৷ না এই পৃথিবীতে বসবাস করার কোনো ইচ্ছা আমাদের রয়েছে না আমরা এমন করতে পারি, বরং আমরা সহস্র বছর পার করার নিমিত্ত জগতের সমস্ত সম্পদ দান করেছি৷ কেননা ঈশ্বর কর্তৃক সমস্ত মারী সংকল্পিত ও অনুমোদিত হয়েছে, সুতরাং কেউই এগুলোকে রদ করতে পারবে না৷ যেহেতু ঈশ্বর এই সমস্ত মারীর সংকল্প করেছেন, সুতরাং তিনি এইগুলোকে অবশ্যই অনুমোদন করবেন৷
কেন ঈশ্বর কর্তৃক মহামারীর সংকল্প বাইবেলে লিখিত হয়েছে? কেন ঈশ্বর যোহনকে স্বর্গে তুলে নিলেন, এবং সপ্ত তুরী বাজানোর সাথে সাথে যে সমস্ত মারী ঘটবে তা দেখালেন, এবং তিনি যা দেখলেন ও শুনলেন তা তাকে লিখতে বললেন? এই পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তা দেখে, যেন পবিত্রগণ তাদের প্রত্যাশা কেবলমাত্র ঈশ্বরের রাজ্যে স্থাপন করতে পারেন এবং প্রত্যেকে যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে৷
ঈশ্বর এই সমস্ত কিছুর সংকল্প করেছেন ও অনুমতি দিয়েছেন; যেন সমস্ত মারীর মধ্যে লোকেরা পুনরায় চিন্তা করতে পারে এবং যেন তারা অগ্নিহ্রদে ও প্রজ্বলিত নরকের কষ্টভোগ না করে৷ অন্যকথায়, এই সমস্ত মারী থেকে রক্ষা পেতে ঈশ্বর তাদেরকে একটি আশ্রয় দিয়েছেন৷ কেননা, ঈশ্বর চান যেন শেষ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কেউই নরকে না যায়, তিনি চান যেন এই মারীর মধ্যে দিয়ে পাপীদের হৃদয় তাঁর দিকে ফেরে৷ আমি বিশ্বাস করি এই বাক্য লিখিত হয়েছে এবং আমাদেরকে দেখানো হয়েছে, যেন প্রত্যেকে স্বর্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে৷
অপর দিকে, আমাদের প্রতি যে মারী আনয়ন করেছেন, তা যে কেবল আমাদেরকে কষ্টই দেবে তা নয়, ঈশ্বর এই পৃথিবীতে ও আমাদের প্রতি এই মারী আনয়ন করেছেন যেন, আমরা আমাদের প্রত্যাশা জগতের উপর না রাখি, কিন্তু তাঁর রাজ্যে প্রত্যাশা করি৷ এছাড়াও আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তিনি এ সমস্ত কিছুর অনুমতি দিয়েছেন, আমাদেরকে প্রস্তুত করতে, অগনিত আত্মা যেগুলো নরকে যেতে বাধ্য তাদেরকে তাঁর পরিত্রাণের প্রেম প্রচার করতে, যেন তারাও, পরিত্রাণের বাক্যে বিশ্বাস করতে পারে এবং উদ্ধার পেতে পারে ও এই ক্লেশ থেকে রক্ষা পেতে পারে৷
কয়েক প্রকারের মাগুর মাছ আছে যেগুলো অন্যান্য মাছের চাইতে খ্যাত, তাদের হুলের জন্য তারা যন্ত্রণার কারণ হতে পারে৷ আপনি যদি সতর্কতার সাথে এই মাছ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে তাদের কাঁটার বিষ-হুলে আপনার হাত বিদ্ধ হতে পারে, এবং তখন এমন অসহ্য যন্ত্রণা অনুভূত হবে যেন আপনি বৈদ্যুতিক শক পেয়েছেন৷ পঙ্গপালের দ্বারা হুলবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণার সাথে তুলনা করলে এই যন্ত্রণা কিছুই নয়৷
এ ধরনের দৈহিক যন্ত্রণা পাঁচ মাসের জন্য, একবার ভাবুন তো! সম্ভবত এটা আরো ভয়ানক যন্ত্রণা হবে, এমনকি লোকেরা তাদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মরতেও চাইবে, কিন্তু তারা মরতে পারবে না৷ এমনকি তারা নিজেদের হত্যা করতেও পারবে না, যেভাবে বাক্য আমাদেরকে বলে, “তাহারা মরিবার আকাঙ্ক্ষা করিবে, কিন্তু মৃত্যু তাহাদের হইতে পলায়ন করিবে। ” কারণ আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি এবং এইরূপে আমাদের মধ্যে আমাদের মধ্যে পবিত্র আত্মা রয়েছেন, ঈশ্বর আমাদেরকে এই মারী থেকে রক্ষা করবেন, যেন আমরা পঙ্গপালের দ্বারা চালিত মারীর যন্ত্রণা ভোগ না করি৷ এমনকি এই মহামারীর মধ্যেও আমরা রক্ষা পেয়েছি, কেননা আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি৷
কেবল ভয়ে প্রকাশিত বাক্য পুস্তকটি অগ্রাহ্য করা আমাদের উচিত নয়, বরং প্রকাশিত বাক্যের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, কিভাবে ঈশ্বর আমাদেরকে মারী থেকে রক্ষার জন্য তাঁর বিশেষ ব্যবস্থা দিয়েছেন, কিভাবে তিনি আমাদের মধ্য দিয়ে গৌরাবন্বিত হবেন, এবং আমরাও কিভাবে ঈশ্বর কর্তৃক তাঁর গৌরবে আবৃত হব৷ এই সমস্ত কিছু জেনে আমরা প্রত্যয়ী হতে পারব, আরো বেশী সুসমাচার প্রচার করতে পারব, এবং যখন মহাক্লেশের সময় আসবে, আমরা ঈশ্বরকে আরো বেশী গৌরব দিতে পারব৷ এভাবে আমাদের হৃদয়ে আমরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই আমরা এই যুগে বাস করব, আমাদের পার্থিব জীবনের জন্য কোনো লোভ থাকবে না৷ পূর্বেই ঈশ্বর আমাদেরকে এই সকল বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যেন আমাদের সাহস থাকে৷ অতএব, অবশ্যই আমাদের দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রয়েছে৷
ঈশ্বর সপ্তমারীকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন, প্রথম চারটি মারী বিপর্যয় আর শেষের তিনটি মারী সন্তাপ, এবং তিনি আরো পরিস্কার করেছেন যে, পরে এটি আরো বেশী ভয়ঙ্কর ও প্রচন্ড তীব্র হবে৷ সুতরাং তিনি বিশেষভাবে ঘোষণা করেন যে, যখন পঞ্চম মারী শেষ হবে, “প্রথম সন্তাপ গত হইল; দেখ, ইহার পরে আরও দুই সন্তাপ আসিতেছে।”
দ্বিতীয় সন্তাপ ষষ্ঠ তুরীর মারী: “উহা সেই ষষ্ঠ তূরীধারী দূতকে কহিল, ইউফ্রেটীস মহানদীর সমীপে যে চারি দূত বদ্ধ আছে, তাহাদিগকে মুক্ত কর। তখন মনুষ্যজাতির তৃতীয় অংশকে বধ করিবার জন্য যে চারি দূতকে সেই দণ্ড, ও দিন ও মাস ও বৎসরের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছিল, তাহারা মুক্ত হইল।” ১৬ পদ বলে, “ঐ অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা দুই সহস্র লক্ষ;” এই পদ দেখায় যে প্রকান্ড যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে, এবং এই যুদ্ধ বিগ্রহে মনুষ্যজাতির তৃতীয় অংশ হত হবে৷ অন্যকথায়, ঈশ্বর এই পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মারী আনয়ন করবেন৷
১৭-১৮ পদ বলে, “আর দর্শনে আমি সেই অশ্বগণ ও তদারোহী ব্যক্তিদিগকে এইরূপ দেখিতে পাইলাম, তাহাদের বুকপাটা অগ্নিময় ও নীলবর্ণ ও গন্ধকময়, এবং অশ্বগণের মস্তক সিংহ-মস্তকের ন্যায়, ও তাহাদের মুখ হইতে অগ্নি, ধূম ও গন্ধক বাহির হইতেছে। ঐ তিন আঘাত দ্বারা, তাহাদের মুখ হইতে নির্গত অগ্নি, ধূম ও গন্ধক দ্বারা, তৃতীয় অংশ মনুষ্য হত হইল।” অশ্বারোহী সৈন্যের দ্বারা প্রকৃতই অগনিত লোক হত হবে, এবং ঈশ্বর তার অনুমতি দেবেন৷ ষষ্ঠ দূত তুরী বাজালে পর এই মারী আসবে৷ এটাই সেই মারী যা ষষ্ঠ দুতের তুরীধ্বনির শব্দে নেমে আসবে৷
যখন এই সপ্ততুরী বাজবে তখন কি ঘটবে? পুনরুত্থান ও রূপান্তর ঘটবে৷ ষষ্ঠ তুরীর আসন্ন মারী হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা, নতুবা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে সরাসরি মানুষের মৃত্যু আনয়ন করবে৷ কেননা এ সমস্ত কিছুই সপ্ততুরীর মারীর অন্তর্ভুক্ত এই বাইবেলে লিপিবদ্ধ রয়েছে, আমি এই বাক্যে বিশ্বাস করি, কিন্তু আপনি? আপনিও কি এই সত্যে বিশ্বাস করেন?
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আপনি কি আপনার পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন? যদিও এই মারী সংযুক্ত হয়েছে, তবুও আপনি অনন্ত মারীর কষ্টভোগ থেকে রক্ষা পাবেন এবং কখনই নরকে যাবেন না, এজন্য আপনাকে এখনই জল ও আত্মার সুসমাচারে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে, যা ঈশ্বর আপনাকে আপনার সমস্ত পাপ মুছে দেওয়ার জন্য মহাক্লেশ থেকে রক্ষার নিমিত্ত দিয়েছেন, এবং আপনাকে তাঁর রাজ্য, নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন৷ আপনাকে অবশ্যই এই সুসমাচারে বিশ্বাস নিশ্চিত করতে হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে আপনার বিশ্বাস ব্যতীত স্বর্গের আর কোনো পথ নেই৷
যীশু পিতরকে বলেছিলেন, “আর আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবি দেব৷” স্বর্গ রাজ্যের এই চাবি আমাদেরকে দত্ত হয়েছে, যখন আমরা যীশু খ্রীষ্টকে আমাদের মুক্তিদাতারূপে বিশ্বাস করি যে, তিনি এই পৃথিবীতে এসেছেন, যোহন বাপ্তাইজকের নিকটে যর্দন নদীতে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা তিনি জগতের ও সমস্ত মানুষের পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, তিনি সমস্ত পাপ বহন করেছেন ও ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তিনি মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়েছেন৷ কেবল যখন আমাদের এই বিশ্বাস থাকে; যে বিশ্বাস আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছে কেবল তখন আমরা এই মহামারী থেকে রক্ষা পেতে পারি ও স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি৷
সপ্তম তুরী বাজানোর সাথে সাথে রূপান্তর আসবে, একই সাথে সাক্ষ্যমর আসবে যা প্রকাশিত বাক্যে ১৩ পদে বর্ণনা করা হয়েছে৷ যখন খ্রীষ্টারীর উত্থান হবে, তখন সুসমাচারের জন্য আমরা আমাদের ধার্মিকতার মৃত্যু, সাক্ষ্যমরের সম্মুখীন হব৷
আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, যে সুসমাচার আপনি জানেন ও বিশ্বাস করেন তা কত মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ৷ জল ও আত্মার এই সুসমাচারে বিশ্বাস করুন৷ শেষ কালে আপনি তাহলে সাহসের সাথে জয়ী হতে পারবেন এবং প্রভুর প্রতিজ্ঞাত সহস্রাব্দের রাজত্বে এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করতে পারবেন৷ যীশু খ্রীষ্ট, যিনি ঈশ্বর, তাঁর চতুর্দিকে দাঁড়ানো ২৪ জন প্রাচীনের একজনের ন্যায় প্রভুর আরাধনা করুন,জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ব্যতিরেকে সাহসের সাথে মহাক্লেশকে জয় করার আর অন্য কোনো পথ নেই৷
আমার প্রত্যাশা ও প্রার্থনা এই যে, আপনিও আপনার হৃদয় দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুদের ন্যায় হবেন, শেষ কালে রাজ্য ও তাঁর অনন্তকালীন স্বর্গের উত্তরাধিকারী হোন৷