Search

Kazania

বিষয় ৩: জল ও আত্মার সুসমাচার

[3-21] আপনি কি সত্যিই ইচ্ছা করেন যে, আপনার বিশ্বাস পিতরের বিশ্বাসের মতো? (মথি ১৬:১৩-২০)

আপনি কি সত্যিই ইচ্ছা করেন যে, আপনার বিশ্বাস পিতরের বিশ্বাসের মতো?
< মথি ১৬:১৩-২০ >
“পরে যীশু কৈসরিয়া-ফিলিপীর অঞ্চলে গিয়া আপন শিষ্যদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, মনুষ্যপুত্র কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে? তাঁহারা কহিলেন, কেহ কেহ বলে, আপনি যোহন বাপ্তাইজক; কেহ কেহ বলে, আপনি এলিয়; আর কেহ কেহ বলে, আপনি যিরমিয় কিম্বা ভাববাদিগণের কোন এক জন। তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কি? শিমোন পিতর উত্তর করিয়া কহিলেন, আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র। যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, হে যোনার পুত্র শিমোন, ধন্য তুমি! কেননা রক্তমাংস তোমার নিকটে ইহা প্রকাশ করে নাই, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতা প্রকাশ করিয়াছেন। আর আমিও তোমাকে কহিতেছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে আমি আপন মন্ডলী গাঁথিব, আর পাতালের পুরদ্বার সকল তাহার বিপক্ষে প্রবল হইবে না। আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিব; আর তুমি পৃথিবীতে যাহা কিছু বদ্ধ করিবে, তাহা স্বর্গে বদ্ধ হেইবে, এবং পৃথিবীতে যাহা কিছু মুক্ত করিবে, তাহা স্বর্গে মুক্ত হইবে। তখন তিনি শিষ্যদিগকে এই আজ্ঞা দিলেন, আমি যে সেই খ্রীষ্ট, এই কথা কাহাকেও বলিও না।”
 
 
আপনার বিশ্বাস কেমন?
 
আজকে, আমি শাস্ত্রের মাধ্যমে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে, আপনারা পিতরের বিশ্বাসের মতো আপনাদের বিশ্বাসকে কিভাবে দৃঢ় করতে পারবেন। আজকের এই শাস্ত্রাংশটিতে যীশু শিষ্যদেরকে জিজ্ঞেস করলেন যে, লোকে তাঁর বিষয়ে কি বলে, তিনি কে? তখন শিষ্যদের উত্তর ছিল, “কেহ কেহ বলে, আপনি যোহন বাপ্তাইজক; কেহ কেহ বলে, আপনি এলিয়; আর কেহ কেহ বলে, আপনি যিরমিয় কিম্বা ভাববাদিগণের কোন এক জন” (মথি ১৬:১৪)। এরপর পিতর তাঁর বিশ্বাস প্রকাশ করলেন এবং বললেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র” (মথি ১৬:১৬)।
শাস্ত্রে আমরা তিন ধরণের অভিষেক দেখতে পাই। প্রথমত, ইস্রায়েলের সিংহাসনে উপবিষ্ট হওয়ার আগে রাজাদেরকে অভিষেক করা হতো। উদাহরণস্বরূপ, দায়ূদ যখন রাজা হলেন, তখন শমূয়েল ভাববাদী ভেড়ার শিংয়ে তেল ভরে সেটা দায়ূদের মাথায় ঢেলে তাঁকে অভিষেক করলেন। শাস্ত্র বলে, “আর সেই দিন হইতে সদাপ্রভুর আত্মা দায়ূদের উপরে আসিলে” (১ শমূয়েল ১৬:১৩)। দ্বিতীয়ত, প্রধান যাজকদেরকে অভিষেক করা হতো। তৃতীয়ত, ভাববাদীদেরকে অভিষেক করা হতো। 
এখানে বাইবেলে পিতর যখন যীশুকে উত্তর দিলেন “আপনি সেই খ্রীষ্ট,” তখন তিনি তাঁর বিশ্বাসকে প্রকাশ করলেন, তিনি যীশুকে নিজের রাজা হিসেবে স্বীকার করলেন। তিনি এটাও স্বীকার করলেন যে, প্রভুই তাঁর ভাববাদী। পিতর তাঁর বিশ্বাস এইভাবে স্বীকার করলেনঃ “যীশু খ্রীষ্ট হলেন ত্রাণকর্তা। তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন, এভাবে তিনি পাপীদের পরিত্রাণ করলেন।” 
যীশু খ্রীষ্ট হলেন সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। তিনি আদিতে আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করলেন (আদিপুস্তক ১:১-৩১)। ত্রিত্ব ঈশ্বর আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন, এবং আমাদেরকে এই পৃথিবীতে রাখলেন। যীশু খ্রীষ্ট, পিতা ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মন ঈশ্বর, এই তিনে মিলে পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী আদম ও হবাকে তৈরী করলেন। ঈশ্বরই এই বিশ্বব্রহ্মান্ড ও মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন। পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মন ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই আমরা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এতে বসবাস করছি।  
যেহেতু ত্রিত্ব ঈশ্বর হলেন জীবন্ত ঈশ্বর, তাই তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন ও জানিয়েছেন যে, তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের পরিত্রাতা। আমাদের জন্য পবিত আত্মার ভূমিকা কি? পবিত্র আত্মা এই সাক্ষ্য ও নিশ্চয়তা দেন যে- ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট এই জগতে নেমে আসলেন, মানবজাতির প্রতিনিধি যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন, ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন, এবং এভাবে আমাদের সমস্ত পাপ মোচন করলেন। পবিত্র আত্মা আমাদেরকে এই নিশ্চয়তা দেন যে, যীশ খ্রীষ্ট জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ মোচন করেছেন। আর তিনি আমাদেরকে এই নিশ্চয়তা দেন যে, পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মন ঈশ্বর- এই তিনের দ্বারা আমাদের পরিত্রাণ সাধিত হয়েছে। তিনি আমাদেরকে এই শিক্ষা দেন যে, জগতের সমস্ত পাপ থেকে পাপীদেরকে পরিত্রাণ করার জন্য যীশু খ্রীষ্ট এই জগতে নেমে এলেন, যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃ বাপ্তাইজিত হলেন, ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন, আর এভাবে আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হলেন। যীশু খ্রীষ্ট যদি যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা, ক্রুশে রক্ত সেচন দ্বারা এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হওয়ার দ্বারা আমাদের ত্রাণকর্তা না হতেন, তাহলে আর কেউ কখনোই আমাদের পাপ মোচন করতে পারতো না। যীশু খ্রীষ্ট হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের প্রকৃত পালক। 
এই শেষ সময়ে আমাদের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে, তা হল পিতরের বিশ্বাস। তিনি তাঁর বিশ্বাস এভাবে স্বীকার করলেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র” (মথি ১৬:১৬)। বর্তমান সময়ে শয়তান বিভিন্ন ধরণের ভ্রান্ত ধর্ম দিয়ে লোকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও শূন্যতা তৈরী করছে। এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় কোনায় জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের আবশ্যকতা আমি স্পষ্টভাবে অনুভব করতে পারি। যারা জল ও আত্মার সুসমাচার জানে না, আমি এখন পর্যন্ত তাদের কাছে তা প্রচার করছি। এই লোকেরা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার জানে না, কারণ তারা সত্যের বাক্য থেকে এখনো পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারে নাই যে, যীশু হলেন ঈশ্বরের পুত্র, মানবজাতির ত্রাণকর্তা এবং প্রকৃত ভাববাদী। আমরা যীশু খ্রীষ্টকে জানি কিনা, তা নির্ভর করে আমাদেরকে প্রদত্ত ঈশ্বরের জল ও আত্মার সুসমাচার জানি কিনা তার উপর। 
যীশু হলেন সৃষ্টিকর্তা, আর তিনি হলেন ত্রাণকর্তা, যিনি আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা এই সত্যে বিশ্বাস করুন। যীশ হলেন প্রকৃত ভাববাদী, যিনি আমাদেরকে সমস্ত সত্য শিক্ষা দিয়েছেন; তিনি হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের রাজা। তাঁর লোকদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য রাজাধিরাজ যীশু খ্রীষ্ট যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক বাপ্তাইজিত হলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ নিজে বহন করলেন, ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করে নিজেকে উৎসর্গ করলেন এবং এভাবে আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হলেন। আপনার এবং আমার জন্য যীশু হলেন স্বর্গরাজ্যের প্রধান যাজক, রাজাধিরাজ এবং প্রকৃত ভাববাদী। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, যীশুই হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের প্রকৃত ঈশ্বর?
যীশু হলেন স্বর্গরাজ্যের প্রধান যাজক, রাজাধিরাজ এবং প্রকৃত ভাববাদী। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনি এবং আমি যদি এই তিনের মধ্যে যে কোন একটিও বুঝতে ও বিশ্বাস করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা কখনোই আমাদের পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারব না, আর আমরা বিনষ্ট হয়ে যাব। আপনি এবং আমি যদি জল ও আত্মার সুসমাচার না জানতাম, তাহলে এর অর্থ দাঁড়াত এটাই যে, আমরা মানবজাতির ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টকেও জানি না। তাহলে, আমরা কোন জিনিসটির উপর নির্ভর করছি, আর আপনি এখন কিসে বিশ্বাস করেন? এটা কি জল ও আত্মার সুসমাচার নয়? নাকি আমরা শুধুমাত্র একটা ধর্মীয় বিষয় হিসেবে যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করি? 
ঈশ্বরের রাজ্যে কোন ধর্মীয় বিশ্বাসই টিকবে না। তাই, আপনাকে এখন ভাবতে হবে যে, আপনার হৃদয়ে সে সমস্ত পাপ আছে, আপনি সেগুলো কিভাবে মোচন করবেন? জল ও আত্মার সুসমাচারের ক্ষমতায় বিশ্বাস না থাকা সত্ত্বেও পিতরের যে প্রকৃত বিশ্বাস ছিল, আপনি কি সেই বিশ্বাস লাভ করতে পারবেন? না, অবশ্যই না। এইজন্য, এখন আপনাকে অনতিবিলম্বে জল ও আত্মার সুসমাচারে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। 
আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে, জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারই হল এই পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসি? আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে, ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দান করেছেন। আর আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি তাঁর জন্ম, বাপ্তিস্ম, সেচিত রক্ত, মৃত্যু এবং পুনরুত্থান দ্বারা আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। এই শেষ সময়ে, আমাদের প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। তাই, আসুন আমরা সত্যে অর্থাৎ জল ও আত্মার সুসমাচারের পাথরে আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করি। 
জল ও আত্মার এই সুসমাচারই হল সত্য সুসমাচার যা আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছে। যারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে বাইরে ফেলে দেওয়া হবে; কিন্তু যারা এতে বিশ্বাস করে, তারা নিঃশর্তভাবে খাঁটি পরিত্রাণ লাভ করবে। জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারের এই ক্ষমতা আছে যে, যারা এতে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করবে, তাদেরকে প্রকৃত পরিত্রাণ দান করবে। যদি আপনি এই সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি শুধু আপনার পাপ থেকে পরিত্রাণই লাভ করবেন না, কিন্তু ঈশ্বরের প্রেমও অনন্তকাল লাভ করবেন। যাইহোক, যদি আপনি এই সুসমাচারে বিশ্বাস না করেন, তাহলে আপনি শুধু ঈশ্বরের প্রেমকে অগ্রাহ্যই করবেন না, কিন্তু প্রভুর প্রেমও আপনার কাছ থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে। 
আপনি কি জানেন না যে, ঈশ্বর-প্রদত্ত জল ও আত্মার পরাক্রমী সুসমাচার দ্বারা আপনার সমস্ত ভবিষ্যৎ পাপও ইতোমধ্যেই মোচিত হয়েছে? আপনি যদি আর কিছুই নাও জানেন, তবুও আপনাকে এই সত্য যেকোন মূল্যে অবশ্যই জানতে হবে। আর আপনাকে এতে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন কিনা, তার উপরেই আপনার আত্মার পরিত্রাণ নির্ভর করে। যদি আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, তাহলে এর প্রকৃত মূল্য বুঝতে পারবেন। 
 
 

জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারে বিশ্বাসই হল স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের চাবি

 
পিতরের বিশ্বাস দেখে প্রভু তাঁকে বললেন যে, তিনি তাঁকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিবেন। তাহলে, আপনি কি জানেন, পিতরের বিশ্বাস কেমন ছিল? তাঁর এই উত্তরের মধ্যেই তাঁর বিশ্বাস দেখা যায়, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র” (মথি ১৬:১৬)। এই বিশ্বাস হল স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের চাবি। এই বিশ্বাসকে আরো বিস্তারিতভাবে জানার জন্য এবং এটাকে আরো ভালভাবে আত্মস্থ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই প্রথমে স্পষ্টভাবে জানতে হবে ও বিশ্বাস করতে হবে যে, জল ও আত্মার সুসমাচার কি বলছে। যীশু খ্রীষ্ট জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা এসেছেন। সুতরাং, আমরা তাঁকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করি কিনা এর উপরেই নির্ভর করে আমরা স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি লাভ করতে পারব কিনা। 
মথি ১৬:১৯ পদে প্রভু পিতরকে বলেছেন, “আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিব।” এখানে স্বর্গরাজ্যের চাবি বলতে জল ও আত্মার সুসমাচার বোঝার জ্ঞান এবং প্রকৃত সত্যে বিশ্বাসকে বোঝায়। ‘যীশু আমাদের ত্রাণকর্তা, তিনি আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ থেকে ত্রাণ করেছেন’ এটা স্পষ্টরূপে জানা এবং বিশ্বাস করাই হল এখানের এই বিশ্বাস। 
পিতরের বিশ্বাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারই হল প্রকৃত সত্য। যদি আপনি এখন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, তাহলে গোটা পৃথিবী ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও আপনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ লাভ করবেন। যদি আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাহলে আমাদের আত্মা হোঁচট খাবে না, আর আমরা সমস্ত ধরণের প্রতিকূলতাকেই জয় করতে পারব। পভু বলেছেন যে, যদি আমাদের সরিষা দানার মতো ক্ষুদ্র বিশ্বাসও থাকে, তাহলে প্রভুর আগমন দিনে আমরা জগৎকে জয় করতে পারব। পৃথিবীর শেষ দিনে আমরা প্রভুকে সাহস সহকারে স্বাগতম জানাতে পারব, সমস্ত ধন্যবাদ জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রাপ্য। এইজন্য, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসীরা পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত তাদের বিশ্বাসকে রক্ষা করতে পারে। 
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি বলেই আমরা ঈশ্বরের মন্ডলীর বৃদ্ধি ঘটাতে পারি এবং অনেক আত্মাকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারি। এই বিশ্বাস ছাড়া এটা একেবারেই অসম্ভব। প্রভু বলেছেন, যদি আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা এই জগতে ঈশ্বরের মন্ডলী গঠন করতে পারবো, এবং পাপীদেরকে তাঁর কাছে আনতে পারবো। 
প্রভু শিমোন পিতরের বিশ্বাস দেখে তাঁকে বলেছিলেন যে, তিনি তাঁকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিবেন; তাই আমাদেরও পিতরের মতো ঠিক একই বিশ্বাস থাকতে হবে। সর্বোপরি, পিতরের বিশ্বাস দেখেই প্রভু তাঁকে বলেছিলেন যে, “আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিব।” আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বর এই জগতে আমাদের রাজা হিসেবে, আমাদের যাজক হিসেবে এবং আমাদের ভাববাদী হিসেবে তাঁর তিনটি ভূমিকা সম্পন্ন করলেন। তাহলে, আমরা কেন এই তিন ভূমিকায় বিশ্বাস করে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবো না?
যীশু খ্রীষ্ট নিজেই ঈশ্বর, এবং আপনার ও আমার ত্রাণকর্তা। পাপীদের ত্রাণকর্তা হওয়ার জন্য যীশু মানব দেহ ধারণ করলেন এবং মরিয়মের গর্ভ হতে এই জগতে জন্মগ্রহণ করলেন। মথি ১:১ পদে বলা হয়েছে, “যীশু খ্রীষ্টের বংশাবলি-পত্র, তিনি দায়ূদের সন্তান, অব্রাহামের সন্তান।” এটা আমাদেরকে এটা জানায় যে, যীশু দায়ূদ বংশের মাধ্যমে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে এই জগতে নেমে আসলেন। পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে দায়ূদ বলেন, 
“সদাপ্রভু আমার প্রভুকে বলেন, 
তুমি আমার দক্ষিণে বস, 
যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি” (গীতসংহিতা ১১০:১)।
“আমার প্রভু” বলতে দায়ূদ এখানে যীশুর বিষয়ে বলছিলেন। অন্যকথায়, দায়ূদ স্বীকার করছিলেন যে, তাঁর ঈশ্বর হলেন যীশু। যাইহোক, যখন মশীহ সত্যি সত্যি আসলেন, তখন মানুষ তাঁকে চিনতে পারল না, আর তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ মনে করল। অন্যদিকে, পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে দায়ূদ বলেন যে, তাঁর ঈশ্বর হলেন যীশু খ্রীষ্ট। 
যীশু হলেন আমাদের ঈশ্বর এবং আমাদের ত্রাণকর্তা। তিনি হলেন আমাদের পালক। পিতর স্বীকার করেছিলেন যে, যীশু ছিলেন তাঁর ঈশ্বর, তাঁর ত্রাণকর্তা এবং তাঁর ভাববাদী। এই তিন বিশ্বাসকে “খ্রীষ্ট” শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজাধিরাজ যীশুই আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন; তিনি হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, আমাদের প্রকৃত ভাববাদী ও পালক, যিনি আমাদেরকে সমস্ত বিষয়ে শিক্ষা দেন। 
যীশুকে আমাদের ঈশ্বর, আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের ভাববাদী হিসেবে বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্য বর্তমানে আবশ্যক হয়ে পড়েছে। যীশু হলেন আপনার এবং আমার ঈশ্বর, আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের রাজা; যেমনটি পিতর প্রভুকে বলেছিলেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।” আমাদের সকলের এই বিশ্বাস অবশ্যই থাকতে হবে। জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের জন্য সত্যিই আবশ্যক, কারণ প্রভু শুধুমাত্র এই বিশ্বাস দেখেই আমাদেরকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দেন। তথাপি আজকে অনেক মানুষ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না। এটা হল ঈশ্বরের কার্যকে অবিশ্বাস করা, যা তিনি স্বয়ং এই পৃথিবীতে এসে করেছিলেন। 
যদি যীশু বলেন যে, তিনি জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ একেবারে চিরকালের জন্য মোচন করেছেন, তাহলে আমাদের কোন প্রশ্ন ছাড়াই এটা যথাযথভাবে বিশ্বাস করা উচিত। যীশু এই জগতের সমস্ত পাপ মোচন করেছিলেন এবং আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। এই জগতে এসে তিনি জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে একেবারে চিরকালের জন্য পরিত্রাণ করলেন। তিনি হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা ও রাজা। যখন আমরা যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করি, তখন আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যে, তিনি আমাদের পাপ মোচনের জন্যই যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন। যদি আমরা এদের একটিও অবিশ্বাস করি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, যা আমাদেরকে আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ করে, তা তৎক্ষণাৎ ভেঙে পড়বে। 
আমাদের বিশ্বাস যখনই দূর্বল হয়ে যাবে, তখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস অবশ্যই স্বীকার করব। আমরা জীবনে যখনই প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবো, তখন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে ঈশ্বরের কাছে অবশ্যই সাহায্য প্রার্থনা করব। আমাদের বুঝতে হবে, যীশুর কাছে প্রার্থনা করা, আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা একই কথা। যখন আমরা অন্তঃকরণ দিয়ে বিশ্বাস করতে পারব যে, পিতা ঈশ্বর এবং তাঁর পুত্র আমাদের কাছে একই ঈশ্বর, তখন আমাদের প্রার্থনা নড়বড়ে হবে না। যীশুতে বিশ্বাস দ্বারাই আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছি, আর এই বিশ্বাস দ্বারাই আমরা যীশুর কাছে তাঁর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করি। যীশুই হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের ঈশ্বর। ত্রাণকর্তা যীশুতে বিশ্বাস দ্বারাই আমরা পিতা ঈশ্বরকে জানতে পেরেছি, এবং তাঁর প্রেম উপলব্ধি করতে পেরেছি। এইজন্যই, আমরা এখন পরিত্রাণ প্রাপ্ত মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করছি। 
আমরা যখনই প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই, তখন আমরা যীশুর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি আমাদেরকে এই বিপত্তি অতিক্রম করতে সাহায্য করেন এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করেন। আমাদের মধ্যে কয়েকজন হয়ত ভাবতে পারি যে, আমরা কার কাছে প্রার্থনা করব, পিতা ঈশ্বরের কাছে নাকি তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের কাছে। আমরা যে কারোর কাছেই প্রার্থনা করতে পারি। কারণ পিতা ঈশ্বর এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য একই ঈশ্বর। 
তাহলে হয়ত আপনি ভাবছেন যে, পবিত্র আত্মা তাহলে ঈশ্বর নন। তা নয়। পবিত্র আত্মাও ঈশ্বর। পবিত্র আত্মা আমাদেরকে পিতা ঈশ্বর কর্তৃক সাধিত পরিত্রাণের কার্য সম্পর্কে বিশ্বাস দান করেন, এইজন্য আমরা পবিত্র আত্মার নামে প্রার্থনা করি না। এই পার্থক্য ছাড়া, পবিত্র আত্মাও ঈশ্বর। এইজন্যই, যখন ঈশ্বর আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করলেন, তখন পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর এবং পবিত্র আত্মন ঈশ্বর, এই তিনে মিলে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড ও আমাদের সৃষ্টি করলেন (আদিপুস্তক ১:২৬-২৮)।
আমাদের এটা বিশ্বাস করা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, যীশু হলেন ঈশ্বর, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন; আবার তিনি হলেন পরিত্রাণকর্তা ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। যদি আমরা যীশুকে শুধুমাত্র আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করি, কিন্তু ঈশ্বর হিসেবে বিশ্বাস না করি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস হোঁচট খাবে। যীশু বাস্তবিকই আমাদের ঈশ্বর, কিন্তু যদি আমরা এটা অস্বীকার করি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস ব্যর্থ হয়ে যাবে। আপনি হয়তো এখনো ভাবছেন, “যীশু কি ঈশ্বর? সত্যিই কি তিনি নিজেই ঈশ্বর? আমি নিঃসন্দেহে এটা বিশ্বাস করি যে, যীশু বাস্তবিকই মরিয়মের গর্ভে জন্মগ্রহন করেছিলেন, বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছিলেন। কিন্তু, যীশু নিজেই ঈশ্বর, এর প্রমাণ কোথায়?” শাস্ত্রে অগণিত প্রমাণ পাওয়া যাবে। যীশু হলেন ঈশ্বর- এই সাক্ষ্যে বাইবেল পরিপূর্ণ। 
 
 
ইব্রীয়দের প্রতি পত্রে ঈশ্বর কি বলেন?
 
আসুন আমরা ইব্রীয়দের প্রতি লেখা পত্র পাঠ করি, এবং দেখি যে, ঈশ্বরের বাক্য কি বলছে। ইব্রীয় ১:৮-১২ পদে লেখা আছেঃ
“কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন,
‘হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন অনন্তকালস্থায়ী;
আর সারল্যের শাসনদন্ডই তাঁহার রাজ্যের শাসনদন্ড।
তুমি ধার্মিকতাকে প্রেম, ও দুষ্টতাকে ঘৃণা করিয়াছ;
এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, 
তোমার সখাগণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণে আনন্দ-তৈলে।’
আর, 
‘হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ,
আকাশমন্ডলও তোমার হস্তের রচনা।
সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী;
সেই সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,
তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সেই সকল জড়াইবে,
বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, 
আর সেই সমস্তের পরিবর্তন হইবে;
কিন্তু তুমি যে, সেই আছ,
এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।’”
এখানে ১০ পদে বাইবেল বলে, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমন্ডলও তোমার হস্তের রচনা,” আর এখানে “প্রভু” বলতে ঈশ্বরের পুত্রকে বোঝানো হয়েছে, যা ৮ পদে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, যীশু হলেন ঈশ্বর, কারণ বলা হয়েছে, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমন্ডলও তোমার হস্তের রচনা।” এই পৃথিবীর সৃষ্টি কে করেছেন? তিনি হলেন যীশু খ্রীষ্ট। তাহলে, ঈশ্বর কে? তিনি হলেন পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর এবং পবিত্র আত্মন ঈশ্বর, যাঁরা সবাই মিলে আমাদেরকে উদ্ধারের পরিকল্পনা করেছিলেন। যীশু হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, কারণ বাইবেল বলেঃ
“আর, 
‘হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ,
আকাশমন্ডলও তোমার হস্তের রচনা।
সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী;
সেই সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,
তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সেই সকল জড়াইবে,
বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, 
আর সেই সমস্তের পরিবর্তন হইবে;
কিন্তু তুমি যে, সেই আছ,
এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না” (ইব্রীয় ১:১০-১২)।
এখানে “প্রভু” বলতে কাকে বলা বোঝানো হয়েছে? ইনি হলেন যীশু খ্রীষ্ট, সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। এই আকাশমন্ডল এবং পৃথিবী একদিন বিনষ্ট হয়ে যাবে। এই সমস্ত জিনিস বিনষ্ট হয়ে গেলেও বাইবেল বলে, “কিন্তু তুমি যে, সেই আছে, এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।” এর মানে হল একমাত্র ঈশ্বরই ঈশ্বরই অনন্তজীবী। যীশু খ্রীষ্ট হলেন অনন্তজীবী ঈশ্বর, আর তিনি পিতা ঈশ্বরের পুত্র। যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ঈশ্বর।
ইব্রীয় ১:১০ পদে বলা হয়েছে, “‘হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমন্ডলও তোমার হস্তের রচনা।” এখানে যীশুর কথাই বলা হয়েছে। যীশু খ্রীষ্টেই মানবজাতির প্রকৃত ভাববাদী, আর তিনি হলেন ত্রাণকর্তা ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করার জন্য তাঁর ভাববাণী অনুসারে এই জগতে নেমে আসলেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন, এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন। ঈশ্বর স্বয়ং আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। ঈশ্বরের এই তিন ভূমিকা বোঝাটা আপনার এবং আমার জন্য অত্যাবশ্যক। 
একটা মজার গল্প বলা যাক। অনেক আগে, একজন লোক ছিল। সে অন্য ধর্ম থেকে খ্রীষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করার পর সে তার কাকাকেও গীর্জাতে যোগদান করার জন্য জোর করতে লাগল। ভাতিজার এই জোরাজুরিতে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে সে রাজি হয়ে গেল এবং তার সাথে গীর্জাতে যাওয়া শুরু করল। সে তার ভাতিজাকে বেঞ্চে বসে প্রার্থনা করতে শুনল, “পিতা, এই সুন্দর দিনের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।” সে তার ভাতিজাকে এরকম প্রার্থনা করতে শুনে নিজে নিজে ভাবল, “হুম… ঈশ্বর যদি আমার ভাতিজার পিতা হন, তাহলে ঈশ্বর এবং আমি নিশ্চয় ভাই-ভাই।” তাই সে প্রার্থনা করতে শুরু করল, “ভাই, কেমন আছো?”
যদি আমরা যীশুর দ্বারা পাপের ক্ষমা লাভের পরও না জানি এবং বিশ্বাসও না করি যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর, তাহলে আমরা কি করে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে পারি? ঈশ্বর যেহেতু তাঁর পুত্রকে প্রেরণের দ্বারা আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন, তাই এটা পরিষ্কার যে, যীশু হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং ত্রাণকর্তা। এইজন্য, যীশু খ্রীষ্টই আদিতে আমাদের সৃষ্টি করেছিলেন, এবং তিনিই আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। ঈশ্বরের পুত্র যীশুই হলেন এই আকাশমন্ডল, পৃথিবী ও মানুষের সৃষ্টিকর্তা। যীশু হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, আর তিনি নিজেই ঈশ্বর। পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে আমরা ভাবতে পারি যে, যদিও আমরা যীশুর দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করেছি, কিন্তু পিতা ঈশ্বর, যিনি পুত্র অপেক্ষাও মহান, তিনি থাকতে পুত্রের কাছে প্রার্থনা করাটা অন্যায়। তাই ভুল করে পুত্রকে আমাদের ঈশ্বর বলে ডেকেছি বলে আমরা দুশ্চিন্তা করতে পারি। কিন্তু এই দুশ্চিন্তার কোন ভিত্তি নেই। যীশুকে আমাদের ঈশ্বর বলে ডাকাটা ঠিক আছে। এই কারণেই, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের কাছে স্বয়ং ঈশ্বর। 
আমার সহ-বিশ্বাসীগণ, যে যীশু আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন, তিনি নিজেই ঈশ্বর। যীশুকে “আমাদের প্রভু,” “আমাদের ত্রাণকর্তা,” এবং “আমাদের ঈশ্বর” বলে ডাকার মধ্যে অদ্ভূত কিছু নেই; কারণ আমরা ঈশ্বরকেও একইভাবে “আমাদের ঈশ্বর” এবং “আমাদের পিতা” বলে ডাকি। এর মধ্যে ভুল কিছু নেই। পিতা ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে বিচারের সমস্ত ক্ষমতা দান করেছেন। তিনি তাঁর পুত্রকে এই জগতে প্রেরণের দ্বারা আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। আমাদের ত্রাণকর্তা যীশুই হলেন ঈশ্বরের পুত্র, আমাদের ঈশ্বর এবং আমাদের মশীহ। ঈশ্বরের পুত্রই আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। অবশ্যই এটা ঈশ্বরের নির্দেশে হয়েছিল, কিন্তু যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের ঈশ্বর বলে ডাকার মধ্যে ভুল কিছু নেই। 
যখন আমাদের বিশ্বাসের বিষয় আসে, আমরা যীশুকে, যিনি আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন, তাঁকে শুধু ঈশ্বরের পুত্র বলেই বিশ্বাস করব না, কিন্তু তাঁকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা, ত্রাণকর্তা এবং পালক হিসেবেও অবশ্যই বিশ্বাস করব। আর আমরা এটাও বিশ্বাস করব যে, তিনি হলেন আমাদের বিচারকর্তা, আর আমাদের উপরে তাঁর সমস্ত ধরণের ক্ষমতা ও পরাক্রম আছে। যদি আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এবং এই ধরণের বিশ্বাস নিয়ে চলি, তাহলে আমাদের পথের যেকোন বাধা-বিপত্তিকে জয় করতে পারব। 
 ‘ত্রিত্ব ঈশ্বর আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন, আর বাস্তবিকই তিনি আমাদেরকে তাঁর পরিকল্পনা অনুসারেই পরিত্রাণ করেছেন’ আসুন আমরা এই শেষ কালে আমাদের এই বিশ্বাস কখনোই না হারাই। বরং আসুন আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে জীবন যাপন করি যে, যীশুই হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং পরিত্রাণের ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। আসুন আমরা এই শেষকালে সাহস নিয়ে জীবন যাপন করি,  আর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যীশুই হলেন আমাদের প্রকৃত ভাববাদী, যিনি আমাদেরকে সমস্ত বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। 
 
 

আমাদেরকে জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার অবশ্যই জানতে হবে

 
শুধুমাত্র যখনই আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার জানব, তখন আমরা আমাদের জীবনে যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাস করতে পারব; আমাদের জীবনে যতই বাঁধা আসুক না কেন, আমরা তা পারবই। কিছু মানুষ এখনো প্রার্থনার সময় অস্বস্তি অনুভব করে যে, “আমি কি পিতা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব নাকি পুত্রের কাছে প্রার্থনা করব?” কিন্তু আমরা পিতা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, বা তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের কাছে প্রার্থনা করি, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু যে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ তা হল- আমরা বিশ্বাসে প্রার্থনা করি; আমরা সর্বান্তঃকরণে এটা বিশ্বাস করি যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। 
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস এবং যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে বিশ্বাস বলতে কি বোঝায়- তা আপনাকে এবং আমাকে খুব স্পষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। এই শেষকালে সমস্ত কিছুই মন্দ। আমরা দেখতে পাই- এখন মানুষ একে অপরকে কত কম বিশ্বাস করে এবং শয়তান মানুষের হৃদয়কে এমনভাবে নাড়া দিচ্ছে, যাতে তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করতে পারে। আমাদের সহ-বিশ্বাসীদের পরস্পরের প্রতি যে বিশ্বাস আছে দিয়াবল শুধু সেটাই বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে না, কিন্তু ঈশ্বরে আমাদের যে বিশ্বাস, সেটা বিনষ্ট করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টির আগে যে রকম ঘোর অন্ধকার ও শূন্য অবস্থা ছিল, দিয়াবল আমাদেরকে সেই রকম অবস্থায় ঠেলে ফেলার চেষ্টা করছে। এইজন্য, আমরা যারা এই শেষকালে বাস করছি, আমাদেরকে অবশ্যই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশু খ্রীষ্টই হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, আর তিনিই আমাদের ঈশ্বর। যীশু আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ ও শাস্তি থেকে পরিত্রাণ করেছেন; আর তিনিই হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর; আর তিনিই হলেন আমাদের প্রকৃত ভাববাদী, যিনি আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিষয়ে সমস্ত রকম শিক্ষা দিয়েছেন। 
যীশু আমাদেরকে বলেছেন যে, যারা সমগ্র জগৎ হারায়, কিন্তু পিতা ঈশ্বর এবং তাঁর পুত্রে বিশ্বাস দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ লাভ করে, তারা শতগুণ পুরষ্কার পাবে। যীশু খ্রীষ্ট প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, যখন তাঁর রাজ্য এই পৃথিবীতে নেমে আসবে, তখন তিনি তাঁর বিশ্বাসীদেরকে ঈশ্বরের নিজের সন্তান হওয়ার অধিকার দান করবেন। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমরা অনেক ভাক্ত প্রচারকদের দেখি, যারা মানুষকে ভ্রান্ত ও মিথ্যা সুসমাচার দ্বারা ভ্রান্ত করছে। 
যীশু বলেন, “আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না। অতএব যে কেহ আপনাকে এই শিশুর মত নত করে, সেই স্বর্গ-রাজ্যে শ্রেষ্ঠ” (মথি ১৮:৩-৪)। যখন জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাসের বিষয় আসে, তখন আপনি বৃদ্ধ ও জ্ঞানী মানুষ হলেও আপনাকে অবশ্যই শিশুর মতো সরল হতে হবে। আপনি যদি বৃদ্ধও হন, আপনাকে ঈশ্বরের সাক্ষঅতে অবশ্যই সৎ হতে হবে; আর আপনি যদি পাস্টর হন, যখন বিশ্বাসীদের মধ্যে অর্ধার্মিকতা দেখবেন, তখন তাদের প্রতি অবশ্যই রাগান্বিত হবেন এবং তাদেরকে বকা দিবেন ও অনুশোচনা দিবেন। আপনার হৃদয় ও আত্মা ঠিক শিশুর মতো হতে হবে। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আপনাকে একটা শিশুর মতো অবশ্যই নত ও সৎ হতে হবে। 
ঈশ্বরের বাক্য যথাযথভাবে বোঝা এবং তাতে বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদেরকে অবশ্যই যথাযথভাবে বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর আমাদেরকে কি বলছেন; আর আমাদেরকে এই বাক্যানুসারে বিশ্বাস করতে হবে। শুধুমাত্র যখনই আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে পরিষ্কারভাবে জানতে পারব, যা তাঁর বাক্যে প্রকাশিত হয়েছে, তখন আমরা বিশ্বাসে শয়তানকে পরাজিত করতে পারব। যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তখন আমাদের বিশ্বাস দৃঢ় থাকে। আমরা যদিও পাপের ক্ষমা লাভ করেছি, কিন্তু এখানো আমাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছা পরিষ্কারভাবে অবশ্যই বুঝতে হবে। আর ঈশ্বরের ইচ্ছা হল এই যে, এই পৃথিবীতে যেন জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রাচুর্য্য থাকে। 
আমি একটু ব্যাখ্যা সহকারে বলতে চাই। ধরুন, এই সময় আপনাকে কেউ বলছে, “জল ও আত্মার সুসমাচার হল খুবই অপ্রচলিত। এটা সত্যিই কিছু না।” জল ও আত্মার সুসমাচার যদি কিছুই না হয়, তাহলে আপনি পাপ ক্ষমা লাভের জন্য ও ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার জন্য আর কোন সুসমাচারে বিশ্বাস করবেন? জল ও আত্মার সুসমাচার যদি উত্তর না হয়, তাহলে কি আপনি অন্য কোন সুসমাচার অনুসরণ করবেন না? যখনই আমরা অন্যদেরকে বলতে শুনি যে, “জল ও আত্মার সুসমাচার কিছুই না,” তখন আমরা আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারি যে, এই সুসমাচারই হল প্রকৃত সুসমাচার। আপনার যদি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না থাকে, তাহলে আপনি নানাবিধ ভাষায় কথা বলা অথবা অলৌকিক কার্য করার মতো আরো অনেক ভ্রান্ত শিক্ষায় ও চিহ্নে বিশ্বাস করবেন। তখন আপনি আপনার মন্ডলীর নেতাদের অগভীর, বাহ্যিক চিহ্ন সাধনকেই দেখবেন; তাদের বাহ্যিক চেহারা দেখে বিচার করবেন; আর আপনি নিজেও আপনার বাহ্যিক চেহারা ফিটফাট করার চেষ্টাই করবেন। যদি জল ও আত্মার সুসমাচার কিছুই না হয়, তাহলে আপনার বিশ্বাস হোঁচট খাবে। যদি আমাদের বিশ্বাসের উদ্দেশ্য ‘ঈশ্বরের সন্তান হওয়া’ না হয়ে অন্য কিছু হয়, তাহলে আমরা বিনষ্ট হতে বাধ্য। 
যেহেতু আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা ইতোমধ্যেই আমাদের পাপের ক্ষমা লাভ করেছি, তাই এখন আমরা সত্যের বাক্য স্পষ্টরূপে বুঝতে পারি এবং অন্যদের কাছে উদাহরণ হতে পারি। সত্যের বিশ্বাসী হিসেবে আমাদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার শুধু নামমাত্র কিছু নয়, কিন্তু এটা আমাদের কাছে সবকিছু। যাইহোক ভন্ডরা, যারা লোকদেরকে ভ্রান্ত সুসমাচার দ্বারা প্রতারণা করছে, তারা তাদেরকে প্রতারণার জন্য একই ধরণের খ্রীষ্টান ধর্মতত্ত্ব ব্যবহার করে। খ্রীষ্টানদেরকে চতুরতার সাথে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা যুক্তিহীন বিশ্বাস ব্যবহার করে। এই সমস্ত ভ্রান্ত লোকেরা মানুষদের লোভকে ব্যবহার করে তাদের প্রতারিত করে। তারা তাদের কাছে সব ধরণের সুন্দর সুন্দর প্রতিজ্ঞা করে, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। 
উদাহরণস্বরূপ, যখন তারা কিছু সফল ব্যবসা সম্পর্কে শোনে, তখন তারা তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এটাকে ব্যবহার করে, তারা বলে, “আপনারা যদি এতে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার ধনী হবেন!” যেহেতু এইসব ভন্ডদের তাদের গল্পের পিছনে সব সময় যুক্তিযুক্ত ভিত্তি থাকে, তাই এগুলো লোকদের কাছে আকর্ষনীয়ই মনে হয়। তারা অন্যদের উদাহরণ টেনে বলে যে, অমুক অমুক এতে বিনিয়োগ করে লাভবান হয়েছিল, তাই আপনারাও যদি এই একই ধরণের বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনারাও আকর্ষনীয় লাভ পাবেন; তারা লোকদেরকে এভাবে ভ্রান্ত নিশ্চয়তা দান করে। লোকেরা তাদের এই সমস্ত নিশ্চয়তাই বিশ্বাস করে, আর সম্পূর্ণরূপে প্রতারিত হয়। যারা এইভাবে প্রতারিত হয়, তারাও কখনো সহজে এই রকম হাস্যকর লোভের বশীভূত হয় না। কিন্তু যখন তারা আপতদৃষ্টিতে যুক্তিসঙ্গত কোন কিছুর বিষয়ে শোনে, তখন তারা ফাঁদে পড়ে যায়। শয়তান ঠিক এইভাবেই কাজ করে। যদিও দিয়াবল খুব বেশি কথা বলে না, কিন্তু সে যা বলে, তা এতো চতুরতার সাথে বলে যে, যারা তা শোনে, তারা অধিকাংশই তার ফাদে পতিত হয়। 
তাই, আজকে, আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তার সাথে বলছি যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর; যাতে দিয়াবল অন্য কিছু বললেও আপনারা তাতে ভ্রান্ত না হন। যীশু ঈশ্বর। তিনি ত্রাণকর্তা। তিনি ভাববাদী। যীশু এই তিন ভূমিকা সম্পন্ন করেছিলেন। আর যদি আমরা যীশুর সাধিত এই তিন ভূমিকার একটিকেও অস্বীকার করি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত পথে যাবে, আর পরিশেষে আমরা বিনষ্ট হয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি যে, যীশু হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের ঈশ্বর। আমি বিশ্বাস করি যীশু নিজেই ঈশ্বর। আমাদের এটা কোন ধরণের সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশু হলেন আমাদের ঈশ্বর। বাক্য বলে, “জগৎ তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল” (যোহন ১:১০); তাই আমাদের এটা বিশ্বাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর। এই অবশ্যস্বীকার্য প্রমাণ নিজেদের কাছে থাকাটা আবশ্যক। আর আমাদেরকে শাস্ত্রে ঠিক এর মতো করেই বিশ্বাস করতে হবে। যারা নিজেদের চিন্তানুসারে অন্যভিন্ন কথা বলে, আপনার এবং আমার তাদের বিশ্বাস করা উচিত না। 
যীশু হলেন দ্রাক্ষালতা, আর পিতা ঈশ্বর হলেন কৃষক। আর আমরা হলাম দ্রাক্ষালতার শাখা। যোহন ১৫ অধ্যায়ে যীশু এই তিনটি ভূমিকা উল্লেখ করেছেন; তিনি আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি হলেন দ্রাক্ষালতা, পিতা ঈশ্বর কৃষক এবং আমরা হলাম শাখা। প্রভু বলেন যে, যদি আমরা শাখা হিসেবে তাঁতে থাকি, তাহলে আমরা প্রচুর ফলে ফলবান হব; কিন্তু যদি আমরা তাঁতে না থাকি, তাহলে আমরা শুকিয়ে যাব। দ্রাক্ষালতার শাখা বলতে ঈশ্বরের মন্ডলীর সদস্যদের বোঝায়। যীশু হলেন মন্ডলীর মস্ত, আর পরিত্রাণপ্রাপ্ত ধার্মিকগণ হলেন ঈশ্বরের সন্তান এবং তাঁর দেহের অঙ্গ। তাহলে বলা যায়, ধার্মিকগণ হলেন দ্রাক্ষালতার শাখা, আর যীশু হলেন এর মূল। তাই, যদি ধার্মিকগণ যীশুর মধ্যে থাকেন, তাহলে তারা প্রচুর ফলে ফলবান হবেন। 
ধার্মিকগণ যীশুর মন্ডলীতে একত্রিত হন। মন্ডলীর মস্তক হিসেবে এবং আমাদের ভাববাদী হিসেবে যীশু আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার শিক্ষা দিচ্ছেন। আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে তিনি আমাদেরকে পাপ ক্ষমার অনুগ্রহ দান করছেন। আর আমাদের ঈশ্বর হিসেবে যীশু তাঁর লোকদেরকে কনান দেশে পরিচালিত করে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘যীশুর শাখা হিসেবে আমরা তাঁতে আছি’- এর অর্থ হল, আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং আমাদের ঈশ্বর, আর আমরা তাঁর সাথে এক, এবং আমরা সেই প্রতিটি বাক্যে বিশ্বাস করি যা যীশু আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। 
যীশু হলেন জল ও আত্মার সুসমাচারের মালিক। তিনি হলেন আমাদের ঈশ্বর এবং আমাদের ত্রাণকর্তা। ঈশ্বর হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা এবং সৃষ্টিকর্তা। আমরা সবাই তাঁর দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিলাম (যোহন ১:১১)। তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিলেন বলেই আমরা সত্যকে জানতে পেরেছি এবং তাঁতে বিশ্বাস করতে পেরেছি। পিতর সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, প্রভু হলেন খ্রীষ্ট এবং জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র। আপনি কি ঈশ্বরের কাছে এই রকম বিশ্বাস দেখাতে পারবেন? 
বাকীটা জীবন ধরে আমাদের খ্রীষ্টের দেহে, অর্থাৎ ঈশ্বরের মন্ডলীতে যা করতে হবে তা হল এই এইঃ আমাদের সাথে অবশ্যই প্রমাণ থাকতে হবে; আর আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার অবশ্যই প্রচার করতে হবে। জল ও আত্মার সুসমাচারের এই সত্য দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছিলেন; আমাদেরকে এই সত্য অবশ্যই প্রচার করতে হবে যেন, আমরা এই শেষকালে যতটা সম্ভব, তত আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত করতে পারি। যদি ঈশ্বরের মন্ডলী শুধুমাত্র একটা আত্মাকেও রক্ষা করতে চেষ্টা করে, তাহলে এটা হলো ঈশ্বরের অনুমোদিত কার্য। ঈশ্বরের মন্ডলীকে এই কাজ অবশ্যই করতে হবে। পাপ থেকে পরিত্রাণপ্রাপ্ত ধার্মিকগণকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশু হলেন ঈশ্বর। আর তাদেরকে শয়তানে বিপক্ষে এবং নিজেদের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে হবে। স্বর্গরাজ্য আসার দিন পর্যন্ত তাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে নিজেদের বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে; আর প্রভুর মুখোমুখি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে বিশ্বাসের এমন একটি জীবন যাপন করতে হবে, যা ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করে। 
আমাদের দায়িত্ব হল এই জগতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা। আর আমাদের সকলকে অন্য একটি কাজ অবশ্যই করতে হবে, সেটি হল, আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে, যা আমাদেরকে যীশু আমাদের ভাববাদী হিসেবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের নিজেদেরকে ঈশ্বরের আত্মিক পরিচালনায় পরিচালিত হতে হবে, এবং আমাদের নিত্যকার জীবনে তাঁর শিক্ষার কাছে সমর্পিত হতে হবে। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসীদেরকে প্রভু স্বর্গ-রাজ্যের, অর্থাৎ ঈশ্বরের রাজ্যের চাবিগুলো দিয়েছেন। 
আজকাল অনেক খ্রীষ্টান নিজেদেরকে আত্মিক বলে দেখাতে চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ভন্ডামী, আত্মিক প্রতারণা করে। বাস্তবিকপক্ষে, তাদের অনেকেই প্রতারণার উদ্দেশ্যে নিজেদের পবিত্রীকৃত বলে দেখায়। কিন্তু তাদের পবিত্রীকরণের কোন বৃদ্ধি নেই। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা একেবারে চিরকালের জন্য রূপান্তরিত হই। ভাক্ত ভাববাদীরা অন্যদেরকে প্রতারণা করার জন্য আত্মিক ভন্ডামী করে। আর তাদের হৃদয় যেহেতু সব সময় মাংসিক অভিলাষে মত্ত থাকে, তাই তারা নিজেদেরকে বাহ্যিক সৌন্দর্য দ্বারা ঢেকে রাখতে চেষ্টা করে। ঈশ্বরে তাদের বিশ্বাস তৈরী করার এবং তা দৃঢ় করার চেষ্টা না করে, ভন্ডরা উল্টো শুধু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে। এই আত্মিক প্রতারকদের জল ও আত্মার সুসমাচারে কোন বিশ্বাস নেই, কিন্তু তারা নিজেদের মাংসিক অভিলাষের তাড়নায় মত্ত থাকে। যীশু খ্রীষ্ট হলেন আমাদের ত্রাণকর্তা, আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের প্রকৃত ভাববাদী। যদি আমরা এই তিন রূপের কোন একটিও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরাও আত্মিক প্রতারকদের মধ্যে পড়ে যাব। 
যদি আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনার জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা ছাড়া আর কোন কিছুই প্রচার করার নাই। তাহলে আমরা ঈশ্বরের জন্য কি করব? আমাদের ঈশ্বরের কাজ করা উচিৎ, আর জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করাই হল ঈশ্বরের কাজ করা। যাকোব ৪:১৭ পদে বলা হয়েছে, “বস্তুতঃ যে কেহ সৎকর্ম করিতে জানে, অথচ না করে, তাহার পাপ হয়।” তাহলে এটা পরিষ্কার যে, আমাদের নিজেদের নয়, কিন্তু ঈশ্বরের সেবা করতে হবে। কিন্তু ঈশ্বরের সেবা করার জন্য আমাদের ঠিক কি করতে হবে? আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে, এবং তা প্রচার করতে হবে। আমরা এভাবেই ঈশ্বরের সেবা করতে পারি। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা ছাড়া ঈশ্বরের দৃষ্টিতে উত্তম কিছু করা অসম্ভব। এইজন্য, আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা এবং তা প্রচার করাই হল ঈশ্বরের সেবা করা। এই সুসমাচারে বিশ্বাস করা ও তা প্রচার করাই হল ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সবথেকে উত্তম কাজ। 
 
 

জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের যে বিশ্বাস, আমাদেরকে তা রক্ষা করতেই হবে

 
হিতোপদেশ ৪:২৩ পদে ঈশ্বর বলেছেন, “সমস্ত রক্ষনীয় অপেক্ষা তোমার হৃদয় রক্ষা কর, কেননা তাহা হইতে জীবনের উদ্গম হয়।” ঈশ্বরের এটা বলার একটা ভাল কারণ আছে। আমরা কষ্টভোগ করি, চিন্তিত থাকি, দুঃখিত থাকি, কষ্টে অথবা আনন্দে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের হৃদয়ের যে বিশ্বাস, আমাদেরকে তা রক্ষা করতেই হবে। এর কারণ হল- যদি আমরা এই সুসমাচারে বিশ্বাস না করি, এবং তা হৃদয়ে ধারণ না করি, তাহলে আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে দাঁড়াতে পারব না। “প্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর, তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা, এবং তুমি আমার ত্রাণকর্তা, যে আমাকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছে, আর তুমি আমার প্রকৃত ভাববাদী, যে আমাকে সত্য জানিয়েছে,” ঈশ্বরকে এটা বলার মতো বিশ্বাস থাকাটা আমাদের জন্য আবশ্যক। আর আমাদেরকে আমাদের এই বিশ্বাস অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। এইজন্য, জল ও আত্মার সুসমাচার ছাড়া আমাদের আর অন্য কোন সুসমাচারে বিশ্বাস করা উচিত নয়, এবং অন্যদের হাস্যকর দাবিতেও বিচলিত হওয়া উচিত নয়। 
খোলাখুলি বললে, ঈশ্বর এবং জল ও আত্মার সুসমাচারের সেবা করা ছাড়া আত্মিক আর কি কাজ থাকতে পারে? আর কোন আত্মিক কাজ নেই! এখন, আমরা যারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি, আমরা যদি জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস না করি, অনুসরণ না করি, আমাদের নিত্যকার জীবনে বিশ্বাসে তা প্রচার না করি, তাহলে কি আমরা আত্মিক কোন কিছু প্রকাশ করতে পারবো? না, অবশ্যই না! যখন আমরা নিজেদের বিষয় নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকবো এবং নিজেদের অর্জন নিয়ে দম্ভ করতেই থাকবো, তখন আমরা আত্মিক স্বভাবের কিছু কি করে প্রকাশ করতে পারব? 
ঈশ্বর আমাদেরকে আগেই ভাববাণীর বাক্য বলেছিলেন। তা হল জল ও আত্মার সুসমাচার। এই সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা অবশ্যই প্রভুর সেবা করব এবং তাঁকে অনুসরণ করব। যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর শুধু আমাদেরই ত্রাণকর্তা নন, কিন্তু সকলের ত্রাণকর্তা, যখন আমরা তাঁকে অনুসরণ করি, যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের পার্থিব সম্পত্তি দান করি, যখন আমরা এটার জন্য এক হয়ে প্রার্থনা করি, যখন আমরা একই অন্তঃকরণে কাজ করি, আর যখন আমরা আত্ম-ত্যাগ করে প্রভুর সেবা করি, তখন এই সমস্ত কাজই হল ঈশ্বরের আত্মিক কার্য। বিশ্বাসের জীবনে আত্মা আছে এবং মাংস আছে। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা, বিশ্বাসে তাঁকে অনুসরণ করা, এবং জল ও আত্মার সুসমাচারের কাজ করা- এগুলো হল আত্মার কার্য, আর এই সমস্ত কাজ জীবন রক্ষা করে। 
আমার সহ-বিশ্বাসীগণ, আমাদের হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাস অবশ্যই আরো বৃদ্ধি হতে হবে। আমরা যীশুকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর হিসেবে, আমাদের পরিত্রাণের ঈশ্বর হিসেবে, এবং আমাদের ভাববাদী হিসেবে অবশ্যই বিশ্বাস করব। তিনি আমাদের ভাববাদী, যিনি আমাদের সমস্ত বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। যখন আপনি এবং আমি আমাদের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করি যে, যীশু আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন, তখন আমরা আমাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাঁকে ধন্যবাদ দিই; যখন আমরা উপলব্ধি করি যে, ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর, তখন আমরা তাঁর বাক্যের বাধ্য হই, এবং যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা যেন শয়তান কর্তৃক ভ্রান্ত না হই, এজন্য যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে রক্ষার জন্য আগেই সমস্ত বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন, তখন আমরা আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি যে, যীশু বাস্তবিকই নিজেই ঈশ্বর এবং আমাদের ত্রাণকর্তা, আর আমরা তাঁকে আরো বেশি করে ধন্যবাদ দিই। আমাদেরকে সমস্ত বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন বলে আমরা ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ; আর এই কৃতজ্ঞার জন্য আমরা জল ও আত্মার সুসমাচা প্রচার করতে, অনুসরণ করতে, এতে বিশ্বাস করতে এবং এটার বাধ্য হতে বাধ্য। 
প্রভু যখন পিতরকে বলছিলেন যে, “আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দিব,” তখন তিনি বোঝাতে চাচ্ছিলেন যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে পিতরের যে বিশ্বাস, তার উপরে তিনি তাঁর মন্ডলী স্থাপন করবেন। আর বাস্তবিকই আমাদের ঈশ্বর পিতরের বিশ্বাস এবং তাঁর সাক্ষ্যের উপরে নিজের মন্ডলী স্থাপন করেছেন। আমাদের সকলের জন্যও এটাই সত্য। আমরা আমাদের বর্তমান বিশ্বাস স্বীকার করি এবং জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারের অখন্ডতা উপলব্ধি করি। যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা উপলব্ধি করছি যে, তিনি আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন, আর যদি তাই হয়, তাহলে আমরা এটাও উপলব্ধি করছি যে, তিনি আমাদের ঈশ্বর। অধিকন্তু, আমরা তাঁকে আমাদের ভাববাদী হিসেবেও উপলব্ধি করছি। আমরা অবশ্যই স্বীকার করব যে, যীশু আমাদের ত্রাণকর্তা। জল ও আত্মার সুসমাচারে এই ধরণের বিশ্বাসের উপরেই ঈশ্বর তাঁর মন্ডলী স্থাপন করেছেন। আর তিনি আমাদেরকে অনুগ্রহ করে তাঁর মন্ডলীর সদস্য হিসেবে ডেকেছেন। 
তিনি তাঁর মন্ডলী পিতরের বিশ্বাসের উপর স্থাপন করবেন, এটা বলার পর যীশু বললেন, “পাতালের পুরদ্বার সকল তাঁহার বিপক্ষে প্রবল হইবে না” (মথি ১৬:১৮)। এখন, শয়তান যত কঠোর চেষ্টাই করুক না কেন, সে ঈশ্বরের মন্ডলীর ক্ষতি করতে পারবে না, সে ঈশ্বরের সন্তানদের কেড়ে নিতে পারবে না, যাদেরকে প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা পরিত্রাণ করেছেন। 
আমার সহ-বিশ্বাসীগণ, যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে ও প্রচার করে, তারা যেখানেই একত্রিত হয়, সেটাই ঈশ্বরের মন্ডলী। যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস দ্বারা আমরা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পন করেছি, খ্রীষ্টের সাথে মরেছি, এবং খ্রীষ্টের সাথে জীবনে পুনরুত্থিত হয়েছি। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পূণর্জন্মপ্রাপ্ত বিশ্বাসীদের মন্ডলীই হল পিতরের কাছে কথিত প্রভুর মন্ডলী। আর ধার্মিকগণ হলেন খ্রীষ্টের এই দেহের সদস্য। এই চমৎকার আশীর্বাদের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। 
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসীরা হল ঈশ্বরের নিজের লোক। আর তাদের বিশ্বাস হল ঠিক পিতরের বিশ্বাসের মতো। এমন দৃঢ় বিশ্বাস দানের জন্য আমি প্রভুকে আমার সমস্ত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। হাল্লিলূয়া!