Search

Kazania

বিষয় ১১: আবাস

[9-1] অগাধ লোকের কূপের মারী (প্রকাশিত বাক্য ৯: ১-২১)

অগাধ লোকের কূপের মারী
< প্রকাশিত বাক্য ৯: ১-২১ >
“পরে পঞ্চম দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি স্বর্গ হইতে পৃথিবীতে পতিত একটা তারা দেখিলাম; তাহাকে অগাধলোকের কূপের চাবি দত্ত হইল। তাহাতে সে অগাধলোকের কূপ খুলিল, আর ঐ কূপ হইতে বৃহৎ ভাটির ধূমের ন্যায় ধূম উঠিল; কূপ হইতে উত্থিত সেই ধূমে সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকারাবৃত হইল। পরে ঐ ধূম হইতে পঙ্গপাল বাহির হইয়া পৃথিবীতে আসিল, আর তাহাদিগকে পৃথিবীস্থ বৃশ্চিকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা দত্ত হইল। আর তাহাদিগকে বলা হইল, পৃথিবীস্থ তৃণের কি হরিদ্বর্ণ শাকের কি কোন বৃক্ষের হানি করিও না, কেবল সেই মনুষ্যদেরই হানি কর, যাহাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই। উহাদিগকে বধ করিবার অনুমতি নয়, কেবল পাঁচ মাস পর্য্যন্ত যাতনা দিবার অনুমতি তাহাদিগকে দত্ত হইল; তাহাদের আঘাতে বৃশ্চিকাহত মনুষ্যের যাতনাতুল্য যাতনা হয়। তৎকালে মনুষ্যেরা মৃত্যুর অন্বেষণ করিবে, কিন্তু কোন মতে তাহার উদ্দেশ পাইবে না; তাহারা মরিবার আকাঙ্ক্ষা করিবে, কিন্তু মৃত্যু তাহাদের হইতে পলায়ন করিবে। ঐ পঙ্গপালের আকৃতি যুদ্ধার্থে সজ্জীভূত অশ্বগণের ন্যায়, ও তাহাদের মস্তকে যেন সুবর্ণের তুল্য মুকুট ছিল, এবং তাহাদের মুখ মনুষ্য-মুখের ন্যায়; আর তাহাদের কেশ স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায়, ও তাহাদের দন্ত সিংহ-দন্তের ন্যায়। আর তাহাদের বুকপাটা লৌহ-বুকপাটার ন্যায়, ও তাহাদের পক্ষের শব্দ রথের, যুদ্ধে ধাবমান বহু অশ্বের শব্দতুল্য। আর বৃশ্চিকের ন্যায় তাহাদের লাঙ্গুল ও হুল আছে; এবং পাঁচ মাস মনুষ্যদের হানি করিতে তাহাদের ক্ষমতা ঐ লাঙ্গুলে রহিয়াছে। ঐ পঙ্গপালের রাজা অগাধলোকের দূত, তাহার নাম ইব্রীয় ভাষায় আবদ্দোন, ও গ্রীক ভাষায় তাহার নাম আপল্লুয়োন [বিনাশক]। প্রথম সন্তাপ গত হইল; দেখ, ইহার পরে আরও দুই সন্তাপ আসিতেছে। পরে ষষ্ঠ দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি ঈশ্বরের সম্মুখস্থ স্বর্ণবেদির চারি শৃঙ্গ হইতে এক বাণী শুনিতে পাইলাম; উহা সেই ষষ্ঠ তূরীধারী দূতকে কহিল, ইউফ্রেটীস মহানদীর সমীপে যে চারি দূত বদ্ধ আছে, তাহাদিগকে মুক্ত কর। তখন মনুষ্যজাতির তৃতীয় অংশকে বধ করিবার জন্য যে চারি দূতকে সেই দণ্ড, ও দিন ও মাস ও বৎসরের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছিল, তাহারা মুক্ত হইল। ঐ অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা দুই সহস্র লক্ষ; আমি তাহাদের সেই সংখ্যা শুনিলাম। আর দর্শনে আমি সেই অশ্বগণ ও তদারোহী ব্যক্তিদিগকে এইরূপ দেখিতে পাইলাম, তাহাদের বুকপাটা অগ্নিময় ও নীলবর্ণ ও গন্ধকময়, এবং অশ্বগণের মস্তক সিংহ-মস্তকের ন্যায়, ও তাহাদের মুখ হইতে অগ্নি, ধূম ও গন্ধক বাহির হইতেছে। ঐ তিন আঘাত দ্বারা, তাহাদের মুখ হইতে নির্গত অগ্নি, ধূম ও গন্ধক দ্বারা, তৃতীয় অংশ মনুষ্য হত হইল। কেননা সেই অশ্বদের শক্তি তাহাদের মুখে ও তাহাদের লাঙ্গুলে; কারণ তাহাদের লাঙ্গুল সর্পের তুল্য এবং মস্তকবিশিষ্ট; তদ্দ্বারাই তাহারা হানি করে। এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না। আর তাহারা আপন আপন নরহত্যা, আপন আপন কুহক, আপন আপন ব্যভিচার ও আপন আপন চৌর্য্য হইতেও মন ফিরাইল না।”
 
 

টীকা

 
পদ ১: ““পরে পঞ্চম দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি স্বর্গ হইতে পৃথিবীতে পতিত একটা তারা দেখিলাম; তাহাকে অগাধলোকের কূপের চাবি দত্ত হইল।” 
আর ঈশ্বর একজন দূতকে অগাধ লোকের কূপের চাবি দিলেন, যার অর্থ হল, তিনি মানবজাতির নিমিত্ত নরকের ন্যায় ভয়ঙ্কর মারী আনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
অগাধ লোকের কূপকে আবার অতল গহ্বরে স্বরূপ বলা হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে অনন্ত পাতাল৷ পৃথিবীতে বসবাসকারী খ্রীষ্টারী, তার অনুসারীরা এবং যারা ধার্মিকদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাদের জন্য দুঃখভোগ আনয়ন করবেন এবং ঈশ্বর অগাধ লোকের কূপ বা অতল গহ্বর খুলে দেবেন৷ এই অতল গহ্বরের চাবি পঞ্চম দূতকে দেওয়া হয়েছে৷ এটা একটা ভয়ঙ্কর মারী যা নরকের ন্যায় সাংঘাতিক ভয়ঙ্কর৷
 
পদ ২: “তাহাতে সে অগাধলোকের কূপ খুলিল, আর ঐ কূপ হইতে বৃহৎ ভাটির ধূমের ন্যায় ধূম উঠিল; কূপ হইতে উত্থিত সেই ধূমে সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকারাবৃত হইল।”
ঈশ্বর যখন অগাধ লোকের কূপ বা অতল গহ্বর মুক্ত করার অনুমতি দেবেন, তখন সমস্ত পৃথিবী আগ্নেয়গিরির ভস্মের ন্যায় ধুলায় পরিপূর্ণ হবে, ঈশ্বর তখন অন্ধকারময় মারী আনয়ন করবেন৷ যারা অন্ধকার ভালবাসে তাদের জন্য এই অন্ধকার রেখে দেওয়া হয়েছে৷ ঈশ্বরই ঈশ্বরীয় জ্যোতি, যিনি আমাদেরকে আলোকিত করেছেন, এবং প্রত্যেককে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন৷ যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর তাদেরকে পরিত্রাণের অনুগ্রহ দেন এবং তাদেরকে তাঁর উজ্বল আলোতে বাস করার অধিকার দেন৷ কিন্তু যারা সত্যকে গ্রহণ করে না, তারা ন্যায়বিচারক ঈশ্বরের প্রতিফলের সম্মুখীন হবে, তিনি তাদের উপর অন্ধকারময় মারী এবং সত্য বিচার আনয়ন করবেন৷ 
মানুষ স্বাভাবিকভাবেই পাপী হয়েই জন্মগ্রহণ করে, এবং তাদের জীবনে তারা আলোর পরিবর্তে অন্ধকারকেই পছন্দ করে৷ প্রভু কর্তৃক তাদেরকে যে জল ও আত্মার সুসমাচার দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান ও বিশ্বাস না করার দরুন তারা এইরূপে ঈশ্বর হতে এই অন্ধকারময় মারী গ্রহণের উপযুক্ত হয়৷
 
পদ ৩: “পরে ঐ ধূম হইতে পঙ্গপাল বাহির হইয়া পৃথিবীতে আসিল, আর তাহাদিগকে পৃথিবীস্থ বৃশ্চিকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা দত্ত হইল।”
ঈশ্বর এই পৃথিবীতে পঙ্গপাল পাঠাবেন এবং তাদের পাপের শাস্তি দেবেন, যারা তাদের স্বভাবজাত চিন্তা-চেতনায় ঈশ্বরীয় সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে৷ এই পঙ্গপাল মারী এমন বেদনাদায়ক হবে যা বৃশ্চিকের হুলের যন্ত্রণার মত, অতএব, পৃথিবীর সমস্ত পাপীরা অবশ্যই ঈশ্বরের সত্য প্রেমকে বিশ্বাস করবে৷ যারা এই সত্য প্রেমকে দেখতে পাবে যে,ঈশ্বরের প্রেমকে অবজ্ঞা ও তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাপ কত বড় ও বেদনাদায়ক৷
ঈশ্বর এই পৃথিবীতে পঙ্গপাল পাঠিয়েছেন এবং মানুষকে তাদের স্বভাবজাত চিন্তা-চেতনায় ঈশ্বরীয় সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তাদের পাপের পুরস্কার পরিশোধের নিমিত্ত তাদেরকে প্রস্তুত করেছেন৷ পঙ্গপালের মারীর দুঃখভোগই হচ্ছে তাদের পাপের পুরস্কার৷
 
পদ ৪: “আর তাহাদিগকে বলা হইল, পৃথিবীস্থ তৃণের কি হরিদ্বর্ণ শাকের কি কোন বৃক্ষের হানি করিও না, কেবল সেই মনুষ্যদেরই হানি কর, যাহাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই।”
ঈশ্বর যখন পঙ্গপালের ভয়ঙ্কর মারী আনয়ন করবেন, তখন যারা তাঁর দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত তাদেরকে তাঁর ক্ষমা প্রদর্শন করতে ভুল করবেন না৷ এছাড়াও প্রকৃতির ক্ষতিসাধন না করার জন্য তিনি পঙ্গপালকে নির্দেশ দিয়েছেন৷
 
পদ ৫: “উহাদিগকে বধ করিবার অনুমতি নয়, কেবল পাঁচ মাস পর্য্যন্ত যাতনা দিবার অনুমতি তাহাদিগকে দত্ত হইল; তাহাদের আঘাতে বৃশ্চিকাহত মনুষ্যের যাতনাতুল্য যাতনা হয়।”
শলোমনের গীত ৮:৬ পদে ঈশ্বর তাঁর প্রেম ও ক্রোধ সম্পর্কে বলেন, “ কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নিশিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি৷” তেমনিভাবে এই মারী আমাদেরকে বলে যে, কত ভয়ঙ্কর শাস্তিই না তাদের জন্য হবে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করে৷ এই মারী মানুষকে পাঁচ মাস পর্যন্ত যাতনা দেবে৷
 
পদ ৬: “তৎকালে মনুষ্যেরা মৃত্যুর অন্বেষণ করিবে, কিন্তু কোন মতে তাহার উদ্দেশ পাইবে না; তাহারা মরিবার আকাঙ্ক্ষা করিবে, কিন্তু মৃত্যু তাহাদের হইতে পলায়ন করিবে।”
পঙ্গপালের মারী এরূপ মহাদুঃখভোগ নিয়ে আসবে, আর লোকেরা তখন এই যাতনা থেকে মরতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু তথাপি যারা যতই আকাঙ্খা করুক, তারা মরতে পারবে না৷ এই মারী এসেছে কারণ মানুষ ঈশ্বরকে অগ্রাহ্য করেছে, যিনি জীবন ও মৃত্যু উভয়ের অধিকর্তা৷ কিন্তু এই পঙ্গপালের মারীর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর আমাদের দেখিয়েছেন যে, ঈশ্বরের অনুমতি ব্যতিত মৃত্যু আসতে পারে না৷
 
পদ ৭-১২: “ঐ পঙ্গপালের আকৃতি যুদ্ধার্থে সজ্জীভূত অশ্বগণের ন্যায়, ও তাহাদের মস্তকে যেন সুবর্ণের তুল্য মুকুট ছিল, এবং তাহাদের মুখ মনুষ্য-মুখের ন্যায়; আর তাহাদের কেশ স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায়, ও তাহাদের দন্ত সিংহ-দন্তের ন্যায়। আর তাহাদের বুকপাটা লৌহ-বুকপাটার ন্যায়, ও তাহাদের পক্ষের শব্দ রথের, যুদ্ধে ধাবমান বহু অশ্বের শব্দতুল্য। আর বৃশ্চিকের ন্যায় তাহাদের লাঙ্গুল ও হুল আছে; এবং পাঁচ মাস মনুষ্যদের হানি করিতে তাহাদের ক্ষমতা ঐ লাঙ্গুলে রহিয়াছে। ঐ পঙ্গপালের রাজা অগাধলোকের দূত, তাহার নাম ইব্রীয় ভাষায় আবদ্দোন, ও গ্রীক ভাষায় তাহার নাম আপল্লুয়োন [বিনাশক]। প্রথম সন্তাপ গত হইল; দেখ, ইহার পরে আরও দুই সন্তাপ আসিতেছে। ”
অগাধ লোকের কূপ হতে পঙ্গপালের লঙ্গুলের পাঁচ মাস পর্যন্ত মানুষের হানি করবার ক্ষমতা রয়েছে৷ যদিও তারা দেখতে স্ত্রীলোকের ন্যায় তথাপি এই পঙ্গপালসমূহ সাধারনভাবে ভয়ঙ্কর ও রুক্ষ প্রকৃতির৷ এর দ্বারা এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে যে, পুরুষেরা ঈশ্বরকে খোঁজার পরিবর্তে স্ত্রীজাতির সাথে ব্যভিচারে আসক্ত হওয়া কত মহাপাপ৷ আমাদের একথা ভুললে চলবে না যে, জৈবিক দুর্বলতার মাধ্যমে শয়তান আমাদের ধরতে চেষ্টা করে এবং ঈশ্বর থেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে কাম-লালসায় গভীরভাবে নিমজ্জিত করে৷
 
পদ ১৩-১৫: “পরে ষষ্ঠ দূত তূরী বাজাইলেন, আর আমি ঈশ্বরের সম্মুখস্থ স্বর্ণবেদির চারি শৃঙ্গ হইতে এক বাণী শুনিতে পাইলাম; উহা সেই ষষ্ঠ তূরীধারী দূতকে কহিল, ইউফ্রেটীস মহানদীর সমীপে যে চারি দূত বদ্ধ আছে, তাহাদিগকে মুক্ত কর। তখন মনুষ্যজাতির তৃতীয় অংশকে বধ করিবার জন্য যে চারি দূতকে সেই দণ্ড, ও দিন ও মাস ও বৎসরের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছিল, তাহারা মুক্ত হইল।”
মানুষের প্রতি অনুগ্রহের কারণে পাপের বিচার করতে ঈশ্বর দীর্ঘসহিষ্ণু হলেও, শেষ পর্যন্ত সেই বিচার শুরু হয়েছে৷ এখনই যুদ্ধের মহামারীর সময়, যারা যারা ইউফ্রেটিস নদীর পারস্থ তাদের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ হত হবে৷
 
পদ ১৬: “ঐ অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা দুই সহস্র লক্ষ; আমি তাহাদের সেই সংখ্যা শুনিলাম।”
এখানে অশ্বারোহীদের সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর দ্বারা আধুনিক ইলেকট্রনিক্স যুদ্ধের বিষয় বোঝানো হয়েছে৷ এই যুদ্ধের মাধ্যমে তৃতীয়াংশের মানুষ হত হওয়ার পরেও যারা বেঁচে থাকবে তারা প্রতিমাপূজা করবে, পাপের জন্য অনুতাপ করতে অস্বীকার করবে৷ এতেই বোঝা যায় যে, শেষকালে পাপের কারণে মানুষের হৃদয় কতটা কঠিন হয়ে পড়বে৷
 
পদ ১৭: “আর দর্শনে আমি সেই অশ্বগণ ও তদারোহী ব্যক্তিদিগকে এইরূপ দেখিতে পাইলাম, তাহাদের বুকপাটা অগ্নিময় ও নীলবর্ণ ও গন্ধকময়, এবং অশ্বগণের মস্তক সিংহ-মস্তকের ন্যায়, ও তাহাদের মুখ হইতে অগ্নি, ধূম ও গন্ধক বাহির হইতেছে।”
প্রেরিত যোহন কি দেখিয়েছিলেন, তিনি ২১ শতকের ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক অস্ত্র-শস্ত্র, যেমন ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও আধুনিক কালের সৈন্যবাহিনী৷
 
পদ ১৮-১৯: “ঐ তিন আঘাত দ্বারা, তাহাদের মুখ হইতে নির্গত অগ্নি, ধূম ও গন্ধক দ্বারা, তৃতীয় অংশ মনুষ্য হত হইল। কেননা সেই অশ্বদের শক্তি তাহাদের মুখে ও তাহাদের লাঙ্গুলে; কারণ তাহাদের লাঙ্গুল সর্পের তুল্য এবং মস্তকবিশিষ্ট; তদ্দ্বারাই তাহারা হানি করে।”
শেষ কালে আধুনিক অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত মহা যুদ্ধবিগ্রহ নেমে আসবে৷ এই জাতীয় অস্ত্র-শস্ত্র থেকে গন্ধক, ধোঁয়া ও অগ্নির মারী ছড়িয়ে পড়বে, আর পৃথিবীর তৃতীয়াংশ মানুষ এতে মারা পড়বে৷
 
পদ ২০: “এই সকল আঘাতে যাহারা হত হইল না, সেই অবশিষ্ট মনুষ্যেরা আপন আপন হস্তকৃত কর্ম্ম হইতে মন ফিরাইল না, অর্থাৎ ভূতগণের ভজনা হইতে, এবং “যে প্রতিমাগণ দেখিতে বা শুনিতে বা চলিতে পারে না, সেই সকল স্বর্ণ, রৌপ্য, পিত্তল, প্রস্তর ও কাষ্ঠময় প্রতিমাগণের” ভজনা হইতে নিবৃত্ত হইল না।”
এই মহামারী সত্ত্বেও যারা বেঁচে গেল, এমনকি যারা দেবতার ভজনা ও তাদের সামনে মাথা নত করেছিল, তারাও ধ্বংস হয়ে গেল৷
 
পদ ২১: “আর তাহারা আপন আপন নরহত্যা, আপন আপন কুহক, আপন আপন ব্যভিচার ও আপন আপন চৌর্য্য হইতেও মন ফিরাইল না।”
এর দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, শেষ কালে মানুষ তাদের পাপের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে অনুতপ্ত হবে না৷ এই জন্য ঈশ্বর পাপীদের বিচার করবেন এবং ধার্মিকদের একটি নুতন আশীর্বাদযুক্ত পৃথিবীতে অধিকার দেবেন৷