Search

Sermões

বিষয় ১১: আবাস

[3-6] শিষ্যত্বের জীবনের জন্য সত্য বিশ্বাস (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-২২)

শিষ্যত্বের জীবনের জন্য সত্য বিশ্বাস
< প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-২২>
 
লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর বিশ্বাস এমন হয়েছিল যা, প্রভুর বমন করে বাইরে ফেলে দেওয়ার যোগ্য ছিল৷ অতএব, প্রভু অগ্নি দ্বারা পরিস্কৃত সোনা তাঁর নিকট থেকে ক্রয় করতে বলেছেন, যাতে তারা তাদের বিশ্বাসে ধনবান হয়৷ এই ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস এ যুগের ধার্মিকদের মধ্যে এটার বাহ্যিকরূপ আরো গঠন করতে পারে৷ কারণ তারা বিনামূল্যে তাদের বিশ্বাস গ্রহণ করেছে, তারা অনুধাবন করে না যে, তা ঠিক কত মূল্যবান বিশ্বাস৷ এভাবে ঈশ্বর তাদের তীব্র তিরস্কার করেন, এবং ধার্মিকদের পরামর্শ দেন যে, তাদেরকে অগ্নি দ্বারা পরিস্কৃত স্বর্ণের ন্যায় বিশ্বাস প্রদান করবেন৷ আমরা এই অনুচ্ছেদটিতে আরো দেখতে পাই যে, প্রভু এশিয়ার সপ্ত-মন্ডলীর একই রকম বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন৷ প্রভু সকলকে আজ্ঞা করেছেন, যার কান আছে সে শুনুক, পবিত্র আত্মা মন্ডলীগুলোকে কি বলছেন৷
৩:১৭ পদে আমরা দেখি যে, লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলী এর নিজস্ব প্রতারণার গভীর ফাঁদে পতিত হয়েছিল এটা ভেবে যে, তাদের সম্পদের প্রাচুর্যতা ঈশ্বরের পবিত্র অনুগ্রহের সমান এবং তা তাদের দিতে বা করতে হবে৷ এই ভ্রান্ত পথে চালিত সমাজের জন্য ঈশ্বর নিঁখুতভাবে তাদের আত্মিক দারিদ্রতা ও কৃপনতা উল্লেখ করেছেন৷
লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলী অবশ্যই বিশ্বাসে ধনবান হতে পারে, কিন্তু বস্তুত তারা বিশ্বাসহীন, দরিদ্র মন্ডলী৷ তাদের বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন, আধ্যাত্মিক উদ্ধত্বের কারণে ব্যর্থ এবং তারা যীশুর চাইতে জগতকে বেশী ভালবেসেছিল৷
প্রকাশিত বাক্য ৩: ১৪-২২ পদ শিষ্যত্বের জীবনের কথা বলে, সত্যিই তারা যীশুর শিষ্য যারা খ্রীষ্টের বাক্য পালন করে এবং সেই মত চলে, যারা যীশুতে বিশ্বাসের দ্বারা নুতন জন্মপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা সকলে তাঁর শিষ্য হওয়ার যোগ্য৷ প্রভু চান যেন আমরা শিষ্যত্বের জীবনযাপন করি৷ আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এই শিষ্যত্বের জীবন প্রকৃতই আমাদেরকে প্রদান করা হয়েছে৷
এই অনুচ্ছেদে প্রভু বলেছেন যে, তিনি সেই সমস্ত সাধুদের বমন করে বাইরে ফেলে দেবেন, যারা শিষ্যত্বের জীবনযাপন করে না৷ ১৫-১৬ পদে যেমন লিখিত হয়েছে, “আমি জানি তোমার কার্য্য সকল, তুমি না শীতল না তপ্ত; তুমি হয় শীতল হইলে, নয় তপ্ত হইলে ভাল হইত। এইরূপে তুমি কদুষ্ণ, না তপ্ত না শীতল, এই জন্য আমি নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি।” যদি মুক্তি প্রাপ্তরা প্রভুর সম্মুখে না উষ্ণ না শীতল হয়, তবে সেটা কেবল তাদের আত্মিক দারিদ্রতাকেই ইঙ্গিত করে৷ আরো এরূপ অনেক লোক আছে যারা এখনও শিষ্যত্বের জীবন সম্পর্কে জানে না৷ কিন্তু যারা নুতন জন্মপ্রাপ্ত, তারা সকলে অবশ্যই শিষ্যত্বের জীবনযাপন করবে৷ আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি৷ এটা আমাদের পরিত্রাণ৷ 
তাহলে আমাদের পরিত্রাণ এবং নুতন জন্মের পরে আমাদেরকে কি প্রদান করা হয়েছে? আমাদেরকে যে জীবন প্রদান করা হয়েছে, যা প্রভুর ন্যায় হতে, তাঁর বাক্য মান্য করতে এবং অনুসরণ করতে চেষ্টা করে৷ এটাই একটা শিষ্যের জীবন৷ তাঁর সাধুগণের থেকে এই শিষ্যত্বের প্রত্যাশায় লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলী যে কথা বলার মাধ্যমে তিরস্কার করেছিলেন, তা হল, “না শীতল, না উষ্ণ”৷
যে বিশ্বাস না শীতল, না উষ্ণ, তা ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস৷ তাহলে এই ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস কি, যা মানব জাতিকে না শীতল, না উষ্ণ করতে এত বেশী আয়েশ প্রদান করে? এটা এই বিশ্বাস যা পিঠা রাখতে এবং খেতে উভয় পন্থাই রাখতে চেষ্টা করে৷ এই বিশ্বাসই সেই বিশ্বাস যা শিষ্যত্বের জীবনযাপন করে না৷ যাদের বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীনতারা এমন লোক যারা রক্ষা পাওয়া সত্ত্বেও যীশুর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে না৷ তারা যীশুকে অনুসরণের অভিনয় করতে পারে, কিন্তু বস্তুতঃ তা করতে পারে না, অন্যকথায় যারা উভয় দিকে রক্ষা পেতে চায় তাদের বিশ্বাসকে বলে ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস৷
জগত এই ধরনের বিশ্বাস বিজ্ঞতার সাথে আলোচনা করে৷ এই বিশ্বাস জাগতিক সময়ের জন্য জ্ঞানী হতে পারে কিন্তু এটা এ ধরনের বিশ্বাস যা প্রভুর বমনের কারণ৷ কি ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস প্রভুকে বমন করায়? এটা কি বিশ্বাস না যা না শীতল, না উষ্ণ-এর মত, এর একটা সুন্দর ধারণা আপনার থাকা উচিত৷ যাদের বিশ্বাস ঈশ্বরের মন্ডলীর সাথে না যুক্ত, না পৃথক, তারা একই সময়ে সব করে এবং করে না৷ তাদের বিশ্বাসের জীবন এমন যদি নম্বর দেওয়া হয়, তাহলে বলার ৬০, তাহলে তারা তাদের বিশ্বাসের জীবনকে ৬০ নম্বরের মধ্যে সীমিত রেখেছে, অন বেশী না কম৷
যাদের বিশ্বাসের জীবন এই প্রকারের, তারা আধ্যাত্মিকভাবে দরিদ্র৷ ১৭-১৮ পদে যেমন বলা হয়েছে, “ তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান্‌, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ। আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই; তুমি আমার কাছে এই সকল দ্রব্য ক্রয় কর—অগ্নি দ্বারা পরিষ্কৃত স্বর্ণ, যেন ধনবান্‌ হও; শুক্ল বস্ত্র, যেন বস্ত্র পরিহিত হও, আর তোমার উলঙ্গতার লজ্জা প্রকাশিত না হয়; চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও।”
যাদের বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন, তারা পার্থিব সম্পদকে আত্মিক সম্পদ হিসাবে গ্রহণ করে৷ যদিও তারা অনুভব করে যে, প্রকৃতই তারা দুর্ভাগ্য, অবসন্ন এবং দরিদ্র, তারা সম্পূর্ণভাবে তা অনুধাবন করে না৷ এরাই সেই লোক যারা নিজেদেরকে চেনে না৷ তারা নিজেরা নিজেদের বিষয়ে ভাবে, “আমিই সঠিক, আমিই খাঁটি, ব্যক্তিত্ববান এবং অন্যদের দ্বারা সমর্থিত এবং তাই এইভাবে বাস করা আমাদের পক্ষে ঠিক আছে যদিও আমি মুক্ত হয়েছিলাম,” এবং তারা তাদের মান অনুসারে জীবনযাপন করে৷ এই জগতে তারা বিশ্বস্ত, কিন্তু ঈশ্বরের মন্ডলীতে তারা বিশ্বস্ত নয়৷ তাদের বিশ্বাস শুধুই ঐকান্তিকতাহীন৷ অতএব, ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি তাদের বমন করে বাইরে ফেলে দেবেন৷ 
তারা কোনো বড় উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ডলীতে আসে না, বরং সমস্ত দায়িত্ব এড়িয়ে চলে৷ তারা শুধু মন্ডলীর সভাতে বসে এবং যখন সভা শেষ হয়, যত শীঘ্র সম্ভব তারা চলে যায়৷ তারা মন্ডলীর স্বেচ্ছা কাজে কখনও অংশগ্রহন করে না, যদিও তারা কাজ করে, তারা নিশ্চিত করে যে, এটা সবচেয়ে ক্ষুদ্র অংশগ্রহন৷ তারা করে কিন্তু করে না, তারা করে না কিন্তু করে৷ এরা আত্মিকভাবে দরিদ্র লোক৷
এই ধরনের লোকেদের জন্য ঈশ্বর নিম্নবর্ণিত পরামর্শ দিয়েছেন, “আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই; তুমি আমার কাছে এই সকল দ্রব্য ক্রয় কর—অগ্নি দ্বারা পরিষ্কৃত স্বর্ণ, যেন ধনবান্‌ হও; শুক্ল বস্ত্র, যেন বস্ত্র পরিহিত হও, আর তোমার উলঙ্গতার লজ্জা প্রকাশিত না হয়; চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও।” তিনি তাদেরকে ধনবান হওয়ার জন্য আগুনে পরিস্কৃত সোনা কিনতে বলেছেন৷
যদি আপনি প্রভুকে প্রকৃতই বিশ্বাস করতে চান, এবং যদি আপনি প্রকৃতই তাঁকে আপনার বিশ্বাসের যোগ্য মনে করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাসের জীবন তৈরী করতে শিখতে হবে৷ তাহলে আপনি কিভাবে বিশ্বাস শিখতে পারেন? বাক্যে বিশ্বাস এবং ত্যাগ স্বীকারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে আপনি অবশ্যই তা শিখতে পারবেন৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আগুনে পরিস্কৃত সোনা কিনতে বলেছে৷ এর অর্থ হল, ঈশ্বরের বাক্য অনুসরণ করতে গেলে অনেক ক্লেশ ও পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়৷ কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস এবং অনুসরণের দ্বারা এরূপ সমস্ত পরীক্ষা ও ক্লেশ জয় করা যেতে পারে৷ এরূপ করার দ্বারা আমাদের হৃদয় পরিস্কৃত হয় এবং সত্যরূপে ঈশ্বরের বাক্যকে চিনতে এবং তাতে সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করতে বিশ্বাস প্রদান করে৷
সত্য বিশ্বাস জয় করতে আমাদেরকে অবশ্যই ত্যাগস্বীকারের মূল্য পরিশোধ করতে হবে, ত্যাগের মূল্য পরিশোধ না করার কারণে আমরা বিশ্বাসের জীবন তৈরী করা শিখতে পারি না৷ অন্যকথায়, কঠোরতার মধ্যে দিয়ে না গেলে, আমরা কখনই বিশ্বাসের জীবন তৈরী করা শিখতে পারি না৷ যদি আমরা প্রকৃতই বিশ্বাসের লোক হতে চাই, প্রভুর শিষ্যত্বের জীবনযাপন করতে চাই এবং বিশ্বাসের জন্য আশীর্বাদযুক্ত হতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ত্যাগ স্বীকারের মূল্য পরিশোধ করতে হবে৷ ত্যাগস্বীকার ব্যতীত তা কখনই অর্জিত হবে না৷
শুরু থেকে কে বিশ্বাসী ছিল? কেউ না৷ কারণ লোকে বিশ্বাসকে অগ্রাহ্য করেছিল এবং মন্ডলী তাদের বাক্য সমন্ধে এভাবে শিক্ষা দিত এবং পরিচালিত করত৷ আমরা অবশ্যই মানি যে, মন্ডলী আমাদেরকে পরিচালিত করে এবং বিশ্বাসে এটা অনুসরণ করায়৷ কিন্তু এরূপ কঠিনতার সাথে এক নাগাড়ে লেগে থাকলে এক সময় ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ এ কারণে বাক্যের পরিচালনা, সহভাগিতা এবং ত্যাগ শিক্ষার দ্বারা বিশ্বাসের লোক হওয়া যায়৷ কিন্তু লোকেরা যদিও লোকেরা বিশ্বাস শিখতে চায়, কিন্তু তারা ত্যাগস্বীকার করতে চায় না, তাই তারা পরিস্কৃত সত্য ধারণ করতে পারে না৷ এ কারণেই প্রভু আমাদেরকে তাঁর নিকট থেকে আগুনে পরিস্কৃত সোনা কিনতে বলেছেন, যাতে আমরা বিশ্বাসে ধনবান হতে পারি৷ 
এই বাক্যের সত্য আপনি তখন বুঝতে পারবেন, যখন আপনি অগ্রগামী সাধুদের নিকট থেকে বিশ্বাসের জীবন তৈরী করার শিক্ষা গ্রহণ করবেন৷ এবং তাদের জীবনযাপন অনুসরণ করবেন৷ আপনি যদি শুধু বাক্যে তত্ত্ব শোনেন কিন্তু আপনাকে কি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা অনুসরণ না করেন, এবং আপনি যদি সাক্ষ্য, প্রার্থনা এবং সভায় অংশগ্রহন করেন, কিন্তু প্রকৃতভাবে সেগুলো অনুসরণ না করেন তাহলে আপনি বিশ্বাসের জীবন তৈরী করা শিখতে পারবেন না৷ কারণ, আপনার বিশ্বাস অল্প, জাগতিক জ্ঞানে আপনি আপনার বিশ্বাসকে মন্ন্দতার মাপকাঠিতে মাপেন না৷ আপনি নিজের সম্পর্কে ভাবেন, “আমি পরিত্রাণ পেয়েছি, আমার অর্থ আছে, আমি যুগ যুগ ধরে যা করেছি, সেটা ঠিক, সুতরাং আমি অন্যদের থেকে উত্তম হব৷ হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত, এই লোকগুলো থেকে আমি উত্তম৷”
যদি আপনি স্বর্ণের ন্যায় খাঁটি বিশ্বাস গঠন করা শিখতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ত্যাগস্বীকারের মূল্য পরিশোধ করতে হবে৷ এটা পালন এবং অনুসরণ করা কি সহজ? এটা পালন করতে ত্যাগস্বীকার প্রয়োজন হয়৷ ত্যাগস্বীকার কি সহজ? অবশ্যই না৷ কিন্তু যদি বমনের দ্বারা বাইরে নিক্ষিপ্ত হওয়া এড়াতে চান, তাহলে আপনাকে ত্যাগ স্বীকারের দ্বারা পালন করতে হবে৷
কিন্তু যারা ত্যাগস্বীকার করতে চায় না, তারা সত্য বিশ্বাসের জীবন তৈরী করা শেখে না, তারা আত্মিকভাবে দুর্বল৷ পালন করতে, কাউকে প্রথমে অবশ্যই তার (নারী/পুরুষ) মনকে চূর্ণ করতে হবে৷এরূপ করতে সক্ষম না হলে, সময়ের আবর্তনে তাদের হৃদয় আত্মিক দুর্ভাগ্যের মধ্যে পতিত হয়৷ নিজেদের বিশ্বাসের দীনতা না বুঝে, পেছনে পেছনে তারা পূর্বে গত হয়ে যাওয়া সাধুদের গালমন্দ করে৷ আপনাকে অবশ্যই সত্য বিশ্বাসের জীবন গঠন করা শিখতে হবে৷ যখন আপনি আত্মিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং ঈশ্বরের পক্ষে যুদ্ধ করেন, আপনার বিশ্বাস পরিস্কৃত হবে, যেরূপ আপনি আত্মিক ক্ষত জয় করেছেন এবং অনুধাবন করবেন যে, আত্মিক বিজয়ে জীবনযাপন করতে কেমন লাগে৷ আপনি এই বিশ্বাস জানতে পারেন শুধুমাত্র তখন, যখন প্রকৃতভাবে আপনি তার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন৷
যীশুর মন্ডলীর সেবকদের এটা লিখে তিরস্কার করেছেন, “তুমি না জান তোমার উলঙ্গতা, না জানো তোমার দারিদ্রতা৷ তুমি রক্ষা পেয়েছ কিন্তু তোমার বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন৷ না এটা, না ওটা৷ একটা মাত্র জিনিস যা তোমার আছে, তা হল পরিত্রাণ, যা তুমি ছুড়ে ফেলে দিয়েছ, এটা ছাড়া তোমার আর কিছুই নেই৷”
ঈশ্বরের সেবকেরা অথবা আমাদের পূর্বপুরুষেরা শিষ্যত্বের জীবনযাপন ব্যতীতই কি সময়ের প্রেক্ষিতে বিশ্বাসে অগ্রগামী হয়েছিলেন? অবশ্যই না! তারা ঈশ্বরের পক্ষে আনন্দ ও দুঃখ, সব প্রকারের সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন৷ এভাবে চললে ঈশ্বর আপনাকেও পরিচালনা দেবেন যখন আপনি ঐরূপ চরম অবস্থার মধ্য দিয়ে গমন করবেন৷ অতএব, আপনাকে এই ঘটনায় বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বর তাদের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা এবং পরিচালনা দেন, যারা আপনার পূর্বে বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করেছিলেন৷
The New Life Mission

Participe da nossa pesquisa

Como você ficou sabendo sobre nós?