< প্রকাশিত বাক্য ২: ৮-১১ >
এই অনুচ্ছেদটি এশিয়া মাইনরে অবস্থিত স্মূর্ণাস্থ মণ্ডলীর প্রভুর পত্র বিশেষ, কিন্তু এই মন্ডলীটি বস্তুগতভাবে ধনী৷ যিহুদীদের ভয়ঙ্কর নির্যাতন স্বত্তেও, মৃত্যু পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েও এই মন্ডলীর দাস ও সাধুগণ বিশ্বাস ধরে রেখেছিল, প্রভুকে এবং জল ও আত্মার সুসমাচার তারা অস্বীকার করে নি৷ প্রভুর বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে যুদ্ধ করে তারা জয়ী হয়েছিল৷
ভবিষ্যতের দুঃখ ক্লেশকে যেন স্মূর্ণাস্থ মণ্ডলীর সদস্যরা ভয় না পায়, প্রভু তাদের কাছে সেটাই চেয়েছিলেন৷ যদি তারা মরণ পর্যন্ত বিশ্বস্ত থাকে তিনি তাদের জীবন মুকুট দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন৷
ঈশ্বর তাঁর সন্তানগণকে বলেছেন, যারা নিজেদেরকে ভাববাদী বলে দাবি করে তাদের ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে তারা যেন যুদ্ধ করে এবং জয়ী হয়৷ আমরা অবশ্যই জানি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য কি প্রকার বিশ্বাস প্রয়োজন রয়েছে৷ আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে,জল ও আত্মার সুসমাচার সত্য সুসমাচার এবং এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদেরকে অবশ্যই ভ্রান্ত মতবাদ এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে হবে, যা পৃথিবীর খ্রীষ্টিয়ানদের মাঝে মহামারীর আকার ধারণ করেছে৷ যখন সমস্ত পৃথিবী শয়তানের দ্বারা প্রতারিত হবে, তখন ঈশ্বর জল ও আত্মার সুসমাচারের পরিপূর্ণতা দানের জন্য আমাদের প্রভুকে পাঠাবেন৷ যারা এই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তিনি তাদেরকেও তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন৷ আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে এবং এ সত্যে বিশ্বাস করতে হবে৷
সেই লোকেরা কারা যারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে? তারা শক্তিশালী বা বন্য মানুষ নয়, কিন্তু একজন ব্যক্তি, যিনি তাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের কারণে তাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন৷ এই প্রকার লোকেরাই জল ও আত্মার সুসমাচার জানা এবং বিশ্বাস করার মাধ্যমেই ভ্রান্ত মতবাদ এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জয়ী হয়৷ যারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে এবং ভ্রান্ত মতবাদকে জয় করে, ঈশ্বর তাদেরকে দ্বিতীয় মৃত্যুর আশীর্বাদ করবেন৷
যারা জয় করে, ঈশ্বরের পরিত্রাণ তাদেরকে দেওয়া হয়েছে
প্রকাশিত বাক্য আমাদেরকে বলে যে, “যে জয় করে, সে দ্বিতীয় মৃত্যু দ্বারা হিংসিত হইবে না”৷ যে জয় করে, ঈশ্বর তাকে নূতন জীবন ও নূতন পৃথিবী দান করবেন৷ আমাদের দুইটি কান আছে তাই আমরা দুই ধরণের গল্প শুনি৷ যেমন-আমরা একই সাথে সত্য এবং মিথ্যা দুটোই শুনি৷ ঈশ্বরের বাক্য ও শয়তান এ দুইয়ের মধ্যে আমাদের অদৃষ্ট দ্বিধান্বিত হতে পারে যে কার বাক্য আমরা গ্রহণ করব এবং কার বাক্য অস্বীকার করব৷
এই কারণেই আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে, এই বাক্য সত্য এবং এতে আমাদের বিশ্বাস দ্বারা ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে হবে৷ কেননা পৃথিবীর প্রত্যেকেই পাপের গহ্ববরে তলিয়ে যাচ্ছে, এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার খুঁজতে হবে, যা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে৷ কিন্তু, মন্দতার/অসত্যের কারণে অনেকেই এই সত্যকে গ্রহণ করতে পারে না, কেননা ইতিমধ্যে তারা ভ্রান্ত শিক্ষকদের দ্বারা অসত্য গ্রহণ করেছে৷ এই ধরনের ভ্রান্ত ভাববাদীরা তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে পরিত্রান প্রচার করেছে যে, আপনি যদি পাপ না করেন, তাহলে আপনি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন না৷
কিন্তু আমাদের জ্ঞানে আমরা প্রতিনিয়ত পাপ করছি, পাপ করা আমাদের অপরিহার্য স্বভাব, এভাবেই আমরা পৃথিবীতে পাপে জড়িয়ে পড়তে পারি৷ এই পৃথিবীতে ভ্রান্ত ভাববাদীদের দ্বারা এভাবে যদি পাপীদের হৃদয় পাপে জর্জরিত হয়, তাহলে কিভাবে তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারবে এবং তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পাবে? তাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের মন্ডলীতে ফিরে আসতে হবে, জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্য শুনতে হবে, এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে সত্যকে ধারণ করতে হবে৷ পৃথিবীর অনেকেই তাদের পরিত্রাণের জন্য সত্য মন্ডলীর সন্ধান করছে, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই এটা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে ও ব্যবস্থা নির্ভর মন্ডলীতে যুক্ত হচ্ছে এবং সে কারণে নরকে যেতে বাধ্য হচ্ছে৷
তবে কি ধরনের মন্ডলী ঈশ্বরের মন্ডলী হবে যা পাপীদের জন্য প্রয়োজন? ঈশ্বরের মন্ডলী সেটাই, যেখানে প্রত্যেক পাপীর জন্য জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারিত হয়৷ বাইবেলে ঈশ্বরের মন্ডলী বলতে যীশুর বাপ্তিস্ম, এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্ত সেচনকে বোঝানো হয়েছে৷ ঈশ্বরের সত্য মন্ডলী পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করে এবং শিক্ষা দেয় যে কিভাবে যীশু পৃথিবীর সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করলেন এবং কিভাবে তিনি জল ও আত্মার সুসমাচারের সাথে তাদের সম্পর্ক তৈরী করলেন৷ প্রত্যেক পাপী যারা তার (পুরুষ/নারী) পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে, তারা এই বিশ্বাস দ্বারাই পেয়েছে, এবং এই বিশ্বাস ঈশ্বরের মন্ডলীতে জল ও আত্মার সুসমাচার শ্রবণের মাধ্যমে এসেছে৷
কিন্ত অনেক খ্রীষ্টিয়ানেরা না শুনে, না জল ও আত্মার সংস্পর্শে আসে, তারা তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেতে সমর্থ হবে না৷ কিন্ত ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, তিনি তাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করবেন, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে এবং যারা ভ্রান্ত সুসমাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জয়ী হয়৷ ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, যে জয় করে, সে দ্বিতীয় মৃত্যু দ্বারা হিংসিত হবে না৷
যারা ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং জয়ী হয় একমাত্র তারা প্রকৃতভাবে পাপ থেকে উদ্ধার পায়৷ কেননা আমরা পাপী হয়ে জন্মেছি, আমরা যদি ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে জয়ী না হতে পারি, তাহলে আমরা শেষে শয়তানের বন্দী হয়ে যাব, পাপ করতে বাধ্য হব, এবং শেষ পর্যন্ত নরকের যোগ্য হব৷ এই কারণে ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে বলেছেন, যেন আমরা আমাদের পরিত্রাণের জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে আত্মিকভাবে যুদ্ধ করি এবং জয়ী হই৷
এখানে বলা হয়েছে যে, সিংহ বা বাঘের মত অনেক প্রাণীই আছে যেগুলো তাদের বাচ্চাদেরকে খুব সতর্কতার সাথে পাহাড়ের নীচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় যেন বাচ্চাগুলো নিজেরাই উপরে উঠার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে৷ কেবল ঐ বাচ্চাগুলোকেই কিভাবে পাহাড়ে উঠতে হবে তা শেখানো হয়৷ ঈশ্বরও তেমনি আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন, এবং কেবলমাত্র যারা এই সুসমাচারকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হবে, তিনি তাদেরকে স্বর্গে যাওয়ার অনুমতি দেবেন৷
আমাদের নিজেদের রক্ত মাংস দ্বারা পরিত্রাণ আসে না৷ একমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা উদ্ধার পেতে পারি৷ যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারাই প্রকৃত পরিত্রাণ নির্ভর করে৷ আমাদের হৃদয় যখন ঈশ্বরের পুত্রের বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্ত সেচনে, যা পৃথিবীর সমস্ত পাপ ধৌত করেছে, তাতে বিশ্বাস করে, তখন আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে ও আমাদের আকস্মিক ধ্বংস থেকে উদ্ধার পাব৷ এইরূপে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা স্বর্গে প্রবেশ করে, এবং যারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা শেষ পর্যন্ত নরকে যায়৷ এই কারণে আমাদের অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে এবং ভ্রান্ত সুসমাচারকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে৷
মানুষ যেন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা উদ্ধার পেতে না পারে, তাই শয়তান ভ্রান্ত শিক্ষা ও মিথ্যার দ্বারা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে৷ তাহলে এই সমস্ত ভ্রান্ত শিক্ষা কি? ভ্রান্ত সুসমাচার এই ধরণের শিক্ষা দিচ্ছে যে, যীশু কখনই তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নেন নি৷ তারা শিক্ষা দেয় যে, যীশু যদিও আমাদের আদি পাপ তুলে নিয়েছেন, কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা আমাদের প্রতিদিনের পাপ ধৌত করতে হবে৷ হতে পারে এই শিক্ষা আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান বাড়াতে পারে, কিন্তু জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, এই সব শিক্ষা সবই ভ্রান্ত৷
প্রত্যেকেরই পাপমুক্তি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আসে, ভ্রান্ত সুসমাচার আমাদের কখনই পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে না৷ এই কারণে আমাদেরকে অবশ্যই এই ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে হবে৷ শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করার অর্থ হচ্ছে স্বভাবের বিরুদ্ধে দাঁড়ান৷ আমাদেরকে অবশ্যই স্থির করতে হবে কোনটি আমরা বিশ্বাস করব; জল ও আত্মার সুসমাচার না কি ভ্রান্ত সুসমাচার, এবং আমাদেরকে অবশ্যই এর একটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এমনকি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, তাদের বিশ্বাস যদি দোদুল্যমান হয়, তবে তা শয়তানকে জয় করতে পারে না৷
যারা উদ্ধার পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই ঈশ্বরের বাক্য এবং শয়তানের বাক্যের মধ্যে যুক্তি-তর্ক করতে থাকে৷ যখনই তারা জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেবল তখনই তাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে৷ সৃষ্টির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকেই, যারা উদ্ধার পেয়েছে, এমন ব্যক্তি হয়েছে যে ভ্রান্ত সুসমাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন৷ আমরা সকলে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার খোঁজ করব, ভ্রান্ত সুসমাচার পরিহার করব এবং বিশ্বাসে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পাব৷
ভ্রান্ত সুসমাচার কি?
ধরুণ, একটি গ্রাম আছে, সেখানে যারা বাস করে তারা প্রত্যেকই এক চোখ বিশিষ্ট, এবং ঐ গ্রামে একজন পরিদর্শক আসলেন যিনি দুই চোখ বিশিষ্ট৷ পরিদর্শককে “অদ্ভুত”, “অস্বভাবিক” এমনকি Heretic বলে ডাকত৷ কি কারণে তারা পরিদর্শককে তাদের ধর্মমত বিশ্বাসের বিরোধী বলে দাবী করল, এর কারণ তিনি তাদের থেকে ভিন্ন প্রকৃতির (এক চোখ বিশিষ্ট নয়) ছিলেন, যাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ট মনে করা হয়৷ এমনিভাবে পৃথিবীতে একটি পক্ষপাতিত্ব আছে, যাকে “সংখ্যাগরিষ্ঠের নিয়ম-কানুন” বা অন্যভাবে বলতে গেলে “যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে সত্য আছে” বলা যায়৷ কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এই ধরনের বিচার বা সিদ্ধান্ত একেবারেই ভুল৷
শেষ কালে পৃথিবীতে, সংখ্যাগরিষ্ঠের দ্বারা বিশ্বাস নির্ধারিত হবে না, বরং সঠিক অপরিহার্য ভিত্তির উপর হবে, তখন কোথায় এই সত্য পাওয়া যেতে পারে? এটা পাওয়া যেতে পারে পাপীদের অনুতাপ এবং তাদের বিনাশ থেকে উদ্ধারের মাধ্যমে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য কান দিয়ে শুনে এবং এই সুসমাচার হৃদয়ে বিশ্বাস করার পরেই সকলে এভাবে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে এবং ধার্মিক হয়েছে৷
সুতরাং, দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবেই অনেকেই ভ্রান্ত সুসমাচারের মধ্যে পড়ে রয়েছে, কিন্তু তাদের সামনে যখন প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হয়, তখন তারা সেটিকে বিচিত্র, ধর্মমতের বিরোধী বলে ভাবে এবং তা প্রত্যাখ্যান করে৷ কিন্তু যে জল ও আত্মার সুসমাচার তারা প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটাই সত্য সুসমাচার যা প্রকাশিত হয়েছে, প্রেরিতগণ নিজেরাই বিশ্বাস এবং প্রচার করেছেন, সমস্ত জায়গায় যাওয়ার পর আবার প্রৈরিতিক যুগ ফিরে এসেছে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে পাপের সমস্যার সমাধান হতে পারে৷
অব্রাহমের বংশধর যীশু, আমাদের সত্য, যিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত পাপ নিজের উপর একেবারেই তুলে নিলেন, এবং আমাদের জন্য ক্রুশে রক্ত সেচন করলেন৷ ঈশ্বরের বাক্য এই সাক্ষ্য বহন করছে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত পাপ বহণ করেছেন৷ তিনি ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন, মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, এবং ঈশ্বরের দক্ষিণ পার্শ্বে উপবিষ্ট আছেন৷ দুহাজার বছর পূর্বে এই সত্য পূর্ণতা লাভ করেছে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার মাধ্যমে তিনি ঈশ্বর হয়েছেন৷
কিন্তু যারা এখনও মিথ্যাকে ধারণ করে আছে তারা জানে না যে যীশুতে তাদের যে বিশ্বাস, তা তাদের পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তিদানের মাধ্যমেই এসেছে, কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমান খ্রীষ্টিয়ান জগতের অনেক আত্মাই পাপে হারিয়ে যাচ্ছে, এবং ভ্রান্ত সুসমাচারের দ্বারা দ্বিধান্বিত হচ্ছে৷ এ কারণে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য বিশ্বাস করে, তারা অবশ্যই এই সুসমাচার আরও বেশী এবং বারবার প্রচার করে ও ছড়িয়ে দেয়৷ কেবলমাত্র এই সত্য সুসমাচার শোনার মাধ্যমেই লোকেরা তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারে৷
বাইবেলের (মথি ৩:১৩-১৭, ইফিষীয় ১:১৩) পদে জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য প্রকাশিত হয়েছে৷ একই অংশে, স্মূর্ণা মন্ডলীর প্রতি ঈশ্বর আদেশ করেছেন যেন তারা বস্তুগত সম্পত্তি পরিহার করে তাদের বিশ্বাসে ধনী হয়৷ কিন্তু তিনি যিহুদীদেরকে শয়তানের সেবক বলেছেন, কেননা যদিও তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে বলে দাবী করে, তবুও তারা, যীশুর প্রায়শ্চিত্তের সুসমাচার তাদের হৃদয়ে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে৷ তারা যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের পুত্র এবং তাদের উদ্ধারকর্তা রূপে বিশ্বাস করে না, এমনকি আমাদের প্রভু যে জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, তাও বিশ্বাস করে না, কেননা, যীশু যে তাদের পাপসমূহ তুলে নিয়েছেন, এ বিষয়টি তারা গ্রহণ করতে চায় না৷ এমনকি তারা যিহোবা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছে এবং এভাবে প্রতিনিয়ত তাদের হৃদয়ে পাপ হচ্ছে৷
এই ধরনের লোকেরা তাদের ওষ্ঠাধরে দাবী করে যে, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, কিন্তু সত্য এই যে, এটা “শয়তানের ধর্মসভা” যা তাঁকে বিশ্বাস করে না৷ এমনকি যারা যীশুকে বিশ্বাস করে বলে দাবী করে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে তাঁর প্রায়শ্চিত্তকে গ্রহণ করে না, তারাও এই শয়তানের দলভুক্ত৷
এই পৃথিবীতে দুইটি দলের অস্তিত্ব রয়েছে, একটি শয়তানের অপরটি ঈশ্বরের৷ প্রভু যখন ফিরে আসবেন, শয়তানের দলকে চিরতরে ধ্বংস করা হবে এবং ঈশ্বরের দলকে অনন্ত আশীর্বাদ করা হবে৷ অন্যভাবে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বর পাপীদের মধ্য থেকে ধার্মিকদের আলাদা করবেন৷ সকলেই না, কিন্তু যীশুকে যে তার (পুরুষ/নারী) উদ্ধারকর্তা রূপে স্বীকার করবে সেই স্বর্গে যাবে৷
এটা যীশু আমাদেরকে মথি ৭:২১-২৩ পদে যা বলেছিলেন তার দ্বারা পরিষ্কারভাবে দর্শানো হয়েছে: “যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে। সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য্য করি নাই? তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।”
অতএব, আমরা এটা বলতে পারি না যে, যারা যীশুকে বিশ্বাস করে বলে দাবী করে এবং তাঁর নামে ডাকে তারা সকলেই স্বর্গে যাবে৷ এমনকি তারা যদি যীশুকে তাদের উদ্ধারকর্তা রূপে বিশ্বাস করে, কিন্তু তারা যদি জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস না করে, তাহলে তারা শয়তানের সেবক, শেষে এমনিতেই নরকে যেতে বাধ্য হবে৷ কেননা তারা যীশুকে বিশ্বাস করে, এই দাবী করা সত্ত্বেও তারা ভ্রান্ত সুসমাচার অনুসরণ করার কারণে তাদেরকে নরকে পাঠানো হবে৷
যাদের পাপ আছে এবং শয়তানের দাসত্বে আছে, তারা নরকে যেতে বাধ্য৷ কিন্তু আমাদের মধ্যে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা লাভ করেছে, তাদের জন্য স্বর্গের দরজা খুলে দেওয়া হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, তারা অবশ্যই স্বর্গে প্রবেশ করবে৷
পৃথিবীতে পাপ থেকে উদ্ধার পেতে হবে, আমাদের পাপ সম্পর্কে কেবলমাত্র এই জ্ঞান যথেষ্ট নয়৷, কিন্তু সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য বোঝার সামর্থ্য আমাদের থাকতে হবে৷ সুতরাং আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের লিখিত বাক্যে মনোযোগ দিতে হবে এবং এতে বিশ্বাস থাকতে হবে৷ এবং আপনার বিশ্বাসের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার কি তা জানতে হবে৷ তাহলেই কেবল আপনি দ্বিতীয় মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পারেন, এবং ঈশ্বরের স্বর্গে প্রবেশ করতে পারেন৷
২ যোহন ১:৭ পদ আমাদেরকে বলে, “কারণ অনেক ভ্রামক জগতে বাহির হইয়াছে; যীশু খ্রীষ্ট মাংসে আগমন করিয়াছেন, ইহা তাহারা স্বীকার করে না; এই ত সে ভ্রামক ও খ্রীষ্টারী৷” এখানে ভ্রামক বা প্রবঞ্চক বলতে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা স্বীকার করে না যে যীশু খ্রীষ্ট মাংসে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, তারা অস্বীকার করে যে, প্রভু, ঈশ্বরের পুত্র, যিনি মাংসে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, যর্দন নদীতে বাপ্তিস্ম গ্রহনের দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, এবং আমাদের পাপের নিমিত্ত আমাদের স্থানে বিচারিত হয়ে ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন৷
যীশু আমাদের থেকে আমাদের সমস্ত পাপের বিচার তুলে নিয়েছেন, যারা এই বিষয়টি স্বীকার করে না, তারাই ভ্রামক/প্রতারক এবং শয়তানের বিশ্বস্ত/অনুগত দাস৷ তাদের ভ্রান্ত সুসমাচারের শিক্ষা বিস্তারের দ্বারা তারা অনেককে বিভ্রান্ত করছে এবং ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এবং জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে৷
যারা দাবী করে যে, তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, অথচ শয়তানের ভ্রান্ত সুসমাচারের বিরুদ্ধে আত্মিক যুদ্ধ করে না, তারা শেষে ঈশ্বরের রাজ্যের এবং তাঁর সন্তানদের শত্রু হিসাবে পরিণত হবে৷ তাদের অনুসারীরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করল বা না করল, এ ধরনের লোকেরা সে দিকে লক্ষ্য রাখে না৷ তারা সকলে কেবল নিজেদের গৌরব এবং ধনসম্পত্তির দিকে লক্ষ্য রাখে৷ এই ধরনের ভন্ড দাসেরা কেবল নিজেদের উদর পরিপূর্ণ করে৷ সংক্ষেপে বাইবেলে এদেরকেই খ্রীষ্টারীর অনুসারী বলা হয়েছে৷
ধর্মমত- বিরুদ্ধ ব্যাক্তিদের প্রতারণাসমূহ
যিহিস্কেল ১৩ :১৭-১৮ বলে, “আর হে মনুষ্য-সন্তান, তোমার জাতির যে কন্যাগণ আপন আপন হৃদয় হইতে ভাববাণী বলে, তুমি তাহাদের বিরুদ্ধে তোমার মুখ রাখ, এবং তাহাদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল; তুমি বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ধিক্ সেই স্ত্রীলোকদিগকে যাহারা প্রাণের মৃগয়া করিবার নিমিত্তই সমস্ত কনুইয়ের জন্য বালিশ সেলাই করে, ও সর্ব্ব আকৃতির লোকের মাথার জন্য আবরণী প্রস্তুত করে; তোমরা কি আমার প্রজাদের প্রাণ মৃগয়া করিয়া আপনাদের প্রাণ রক্ষা করিবে?” আমরা দেখতে পাই যে, কিভাবে শয়তানের দাসেরা মানুষের আত্মাকে কেড়ে নেয়৷
এই অংশে বলা হয়েছে যে, শয়তানের অনুসারীরা মানুষের জন্য মোহময় হাতা সেলাই করে৷ কিং জেমস সংস্করণে এই অংশটাকে এইভাবে বলা হয়েছে, “ধিক্ সেই স্ত্রীলোকদিগকে যাহারা প্রাণের মৃগয়া করিবার নিমিত্তই সমস্ত কনুইয়ের জন্য বালিশ সেলাই করে,” আপনার বাহুতে বালিশ সেলাই করলে তা কতটা হাস্যকর ও অস্বস্তিকর ব্যাপার হবে, অন্যের কতটা না দৃষ্টিকটু হবে! ঠিক তেমনি যারা জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে জানে না বা তাতে বিশ্বাস করে না, বিভিন্ন মন্ডলীতে নেতৃত্বের দায়িত্ব তাদের জন্য তেমনি হাস্যকর ও অস্বস্তিকর৷ কেন? কারণ মন্ডলীর এই সব দায়িত্বের জন্য তারা উপযুক্ত নয়৷ তারা জানে যে, এখনও তাদের বিচার সম্পন্ন হয় নি বা তারা নূতন জন্ম পায় নি, কারণ জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে৷
তাহলে, কিভাবে তারা প্রভুর জন্য কাজ করতে পারে? সুতরাং ঈশ্বরের কাজ করতে হলে প্রথমেই আপনাকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রান পেতে হবে, নিশ্চিত হতে হবে যে,পবিত্র আত্মা আপনার অন্তরে আছেন; অতপর প্রভুর বাক্য ও সত্য সমন্ধে আপনার যথেষ্ট শিক্ষা থাকতে হবে এবং তারপরেই আপনি মন্ডলীর দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারবেন৷
বাইবেলের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, তাঁর উপর বিশ্বাসের দ্বারাই তাঁর সন্তানেরা ভ্রান্ত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং জয়ী হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা নূতন জন্ম না হলে, কোনো কিছুই অর্জন করা যাবে না৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারাই ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে৷ মথি ১১:১২ পদ অনুযায়ী, “আর যোহন বাপ্তাইজকের কাল হইতে এখন পর্যন্ত স্বর্গরাজ্য বলে আক্রান্ত হইতেছে, এবং আক্রমীরা সবলে তাহা অধিকার করিতেছে৷” যারা সবলে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করে-সবল, অর্থাৎ অসত্যের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ৷ আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচার হৃদয়ে গ্রহণের মধ্য দিয়ে, ভ্রান্ত শিক্ষার বিরুদ্ধে জয়ের মধ্য দিয়েই আপনি সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পেতে পারেন, এবং কেবল তখনই পবিত্র আত্মা আপনার হৃদয়ে বাস করতে পারেন৷
পূর্ণাঙ্গ পরিত্রাণ পেতে হলে, এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেককে ঈশ্বরের সত্য বাক্য সাথে নিয়ে, অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হতে হবে৷ এই পৃথিবী, সত্য এবং অসত্যের শক্তির মধ্যে এবং নূতন জন্ম প্রাপ্ত এবং নূতন জন্ম প্রাপ্ত নয়, তাদের জন্য একটি যুদ্ধক্ষেত্র৷ এই পৃথিবী ঈশ্বর এবং শয়তানের মধ্যে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, কারণ আদম ও হবা যদিও ঈশ্বর হতে জীবন পেয়েছিল, তবুও ঈশ্বরের বাক্যের চেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত শয়তানের মিথ্যা প্ররোচনায় আরো বেশী বিশ্বাস করেছে৷
বর্তমানের যুগ জানে যে তার দিন গণনা করা হয়েছে, সে ভাববাদীদের দ্বারা লোকেদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করে তাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে, ভ্রান্ত অলৌকিক কার্য দ্বারা তাদেরকে প্রতারিত করছে, এবং পবিত্র আত্মার কার্যের বেশ ধারণ করে শয়তান তার মন্দ কার্যের দ্বারা তাদেরকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করছে৷ “আর ইহা আশ্চর্য্য নয়, কেননা শয়তান আপনি দীপ্তিময় দূতের বেশ ধারণ করে” (২ করিন্থীয় ১১:১৪)৷ প্রধান প্রধান ধর্মসমূহ জয় করে, শয়তান ধার্মিকদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়৷ যদিও এখন এমন একটি যুগ, যেখানে মিথ্যা সত্যকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে ফেলেছে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, শেষে তারা ঐ সমস্ত অসত্য থেকে মুক্ত হবে এবং চূড়ান্তভাবে মুক্ত হবে৷
আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেতে হবে, অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে, এবং ভ্রান্ত শিক্ষা যা দাবী করে যে, যারা তার সত্যে, এই ধরনের মিথ্যাকে জয় করবে তারা দ্বিতীয় মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করবে না৷
আসুন আমাদের সামনে স্মুর্না মন্ডলীর অনুসারী সাধুদের বিরোধিতাকারী ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের বিশ্বাস রক্ষা করি, যেন আমরাও, প্রভুতে আমাদের বিশ্বস্ততার জন্য তাঁর দ্বারা দায়িত্ব প্রাপ্ত হই৷