Rev. Paul C. Jong
সূচিপত্র
ভূমিকা
1. আপনারা কি যোহন বাপ্তাইজকের পরিচর্যা জানেন? (মার্ক ১:১-১১)
2. যারা সাধারণ মানুষদের তুলনায় ভিন্ন একটি জীবনযাপন করে (মার্ক ১:১-১১)
3. আসুন আমরা মাংসিক ভাবনা ফেলে দিই এবং ঈশ্বরের বাক্য যেভাবে আমাদের চালনা দেয় সেইরূপ বিশ্বাস করি (মার্ক ২:২৩-৩:৬)
4. যীশু যিনি জগতের সকল পাপ মুছে দিতে পারেন (মার্ক ২:১-১২)
5. জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করবার দ্বারা আপনার অন্তরের পাপের সমাধান করুন (মার্ক ২:১-১২)
6. ঈশ্বরে নির্ভর করবার দ্বারা আপনাদের বিশ্বাস যাপন করুন (মার্ক ২:১৩-২২)
7. প্রকৃত সুসমাচারে বিশ্বাস করতে অস্বীকৃত হওয়ার দ্বারা পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে নিন্দা করবেন না (মার্ক ৩:৭-৩০)
8. কোন্ ধরনের অন্তর উত্তম ভূমি? (মার্ক ৪:১০-২০)
9. আপনার অন্তরটি কি পথের পার্শ্বের ভূমির ন্যায়? (মার্ক ৪:১-৯)
10. জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা ঈশ্বরের রাজ্য পরিপূর্ণ হয়েছে (মার্ক ৪:২১-৩২)
11. আসুন আমরা অন্তিম দিন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস যাপন করি (মার্ক ৪:৩৫-৪১)
12. আপন কামনার কারণে বিনষ্ট হওয়ার অভিশাপে অভিশপ্ত একজন হতভাগ্য মানুষ পরিত্রাণ পায় (মার্ক ৫:১-২০)
13. যারা কেবলমাত্র প্রভুতে বিশ্বাস করে (মার্ক ৫:২৫-৪৩)
14. কুমারী মরিয়মের পূজা করবেন না (মার্ক ৬:১-৬)
15. ঈশ্বর আমাদের পর্যাপ্তভাবে পরিত্রাণ করেছেন (মার্ক ৬:৩৪-৪৪)
মার্কের সুসমাচার সাক্ষ্য দেয় যে যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র ও স্বয়ং ঈশ্বর৷ এবং এই সুসমাচার এই সাক্ষ্যও দেয় যে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা৷ কাজেই আমরা দেখতে পাই যে মার্কের সুসমাচারের লেখক জোরের সাথে যীশুর সাক্ষ্য বহন করে, নিশ্চিত করছেন যে তিনিই ঈশ্বর ও আমাদের ত্রাণকর্তা৷ সেই কারণেই আমি মার্কের সুসমাচারে যে যীশু খ্রীষ্ট প্রকাশিত হয়েছিলেন, জল ও আত্মার সুসমাচারের উপর ভিত্তি করে আমি যত অধিক সম্ভব তাঁর সাক্ষ্য বহন করতে চাই৷ যেটি সুস্পষ্ট সেটি হলো খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের মূল কথাটি জল ও আত্মার সুসমাচারে পাওয়া যায়৷ যীশু নীকদীমকে বলেছিলেন, “সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না” (যোহন ৩:৫)৷
তাহলে জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য কোথায় প্রকাশিত হয়েছে? যীশুর ও যোহন বাপ্তাইজকের পরিচর্যা কার্যের মধ্যে সবিস্তারে পরিত্রাণের এই সত্যের প্রকাশ ঘটেছে, যা হলো জল ও আত্মার সুসমাচারের সারবস্তু৷
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস অন্য মানুষের আত্মায় খুব শক্তিশালী একটি প্রভাব বিস্তার করে৷ এই সুসমাচারে বিশ্বাস প্রতিটি বিশ্বাসীকে পবিত্র ঈশ্বরের সাক্ষাতে, পবিত্র আত্মার পরিচালনার অধীনে আসতে এবং যীশু খ্রীষ্টের সাথে একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করতে সমর্থ করে৷ এই ধরনের বিশ্বাস আমাদেরকে “আত্মিক যাজকত্ব” প্রাপ্ত করবার সুযোগ দেয়৷ আমাদের অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রত্যাদেশ ও আমাদের বিশ্বাস অনুসারে প্রচার করতে হবে যে যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ত্রাণকর্তা৷ কাজেই আমরা চাই না যে জল ও আত্মার সুসমাচার কেবলমাত্র আমাদের সম্পত্তি হয়ে রয়ে যাক৷ জল ও আত্মার এই সুসমাচার হলো সেই সুসমাচার যা জগতের সর্বস্থানের প্রত্যেকটি মানুষকে বলা উচিত৷