Search

Bài giảng

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[8-2] ঈশ্বরের ধার্মিকতা হল ব্যবস্থার ধর্মবিধির সিদ্ধতা (রোমীয় ৮:১-৪)

< রোমীয় ৮:১-৪ >
 “অতএব এখন, যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দন্ডাজ্ঞা নাই। কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে। কারণ ব্যবস্থা মাংস দ্বারা দুর্ব্বল হওয়াতে যাহা করিতে পারে নাই, ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে এবং পাপার্থক বলিরূপে পাঠাইয়া দিয়া মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন, যেন আমরা যাহারা মাংসের বশে নয়, কিন্তু আত্মার বশে চলিতেছি, ব্যবস্থার ধর্ম্মবিধি সেই আমাদিগেতে সিদ্ধ হয়।”
 
 রোমীয় ৮:১-৪ পদে আমাদিগকে বলা হয়েছে তাদের কি প্রকার বিশ্বাস যারা খ্রীষ্টেতে আছে। অনুচ্ছেদের যে নিগূঢ়তত্ত্বের সম্মুখীন আমরা হই তা হল, ব্যবস্থার সমস্ত দাবী ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা।
 তা হলে সেই বিশ্বাস কি যা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে? এটা হল সেই বিশ্বাস যা পাপের মোচন লাভ করেছে, এটা বিশ্বাসের দ্বারা যে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্ত দ্বারা প্রভু পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। অতএব আমরা যীশুতে বিশ্বাসের দ্বারা পাপের উপর জয়ী হতে পারি, যিনি ত্রাণকর্তারূপে ঈশ্বরের ধার্মিকতা অনুসরণ করে সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করেছেন। এটাই সেই বিশ্বাস যা ঈশ্বরের ধার্মিকতা অনুসরণ করে এবং যে বিশ্বাসে আমরা জয়ী হই। 
 সর্বপ্রথমে, রোমীয় ৮:১ পদে আমাদেরকে বলা হয়েছে, “অতএব এখন যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দন্ডাজ্ঞা নাই।” যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা যীশু খ্রীষ্টে বসবাস করে, নিশ্চিতভাবে তাদের কোন পাপ নেই।বিশ্বাস যেমন যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্তের উপর নির্ভশীল, যা ব্যবস্থা দ্বারা সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করে। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস একজন সাধুর নূতন জন্ম পাওয়ার জন্য অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস। আর অন্য কিছু কি এই মরনশীল মানুষকে পাপবিহীন করতে পারে? এবং যতক্ষন যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা অটল বিশ্বাস থাকে, তাদের সমস্ত পাপ মুছে যায়। এর কারণে যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, যীশু তাদের উদ্দেশে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে তুলে নিয়েছেন।
 রোমীয় ৮:৩ পদে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, “ঈশ্বর নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে পাঠিয়েছেন” এবং যা “তিনি মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন।” অন্য কথায় যীশুর “দেহে” পাপের দন্ডাজ্ঞা দ্বারা পিতা ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্রের উপরে পৃথিবীর সমস্ত পাপ অর্পন করেছেন। এই সত্যের বাক্য প্রকাশিত হয়েছে মথি ৩:১৩-১৭ (এই বিষয়ের উপর আরো বিস্তারিত আলোচনা আমার বইতে পাওয়া যেতে পারে “আপনি কি সত্যই জল ও আত্ম হ`তে নূতন জন্ম প্রাপ্ত?”) এই সত্যে যারা বিশ্বাস করে তাদের কোন পাপ নেই, কারণ ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছেন।
 
 

দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি!

 
 রোমীয় ৭:২৪ এবং ৮:৬ পদ দুটি বৈশাদৃশ্যমূলক বিষয়বস্তু ধারণ করে। তাদের মধ্যে একটি পাপ সমস্যার আলোচনা করে, অন্য কথায়, নিজের মাংসের কামলালসার কারণে ঈশ্বরের অবাধ্যতা এবং অন্যটিতে পাপ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা তিনি যীশু খ্রীষ্টতে পেয়েছিলেন।
 রোমীয় ৭:২৪-২৫ পদে বলা হয়েছে, “কেনান প্রত্যাশায় আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইয়াছি; কিন্তু দৃষ্টি গোচর যে প্রত্যাশা, তাহা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যাহা দেখে, সে তাহার প্রত্যাশা কেন করিবে? কিন্তু আমরা যাহা দেখিতে না পাই, তাহার প্রত্যাশা যদি করি, তবে ধৈৰ্য্য সহকারে তাহার অপেক্ষায় থাকি।” পৌল যখন তার নিজের মাংসের দিকে তাকান, তখন তিনি আর্ত্তনাদ করে ওঠেন যে, তিনি একজন দুর্ভাগ্য মানুষ, কিন্তু তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান, কারণ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তিনি তার মাংস থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। আমরা আরো অনুধাবন করতে পারি যে, এমনকি পৌল অন্তরে ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করতেন, কিন্তু মাংসে পাপের ব্যবস্থা পালন করতেন।
 পৌল স্বীকার করেন যে, ঈশ্বরে জীবন-যাপন করার পরিবর্তে তার মাংস ঈশ্বরের অসন্তুষ্টির জীবন-যাপন করার পাপ ব্যবস্থা অনুসরণ করত। এবং তিনি আরো বলেন যে, তার মন হৃদয় এখনো ঈশ্বরের আত্মার ব্যবস্থা অনুসরণ করে। এই দুই ব্যবস্থার চাপে পিষ্ট হয়ে পৌল দুর্ভাগ্য এবং হতাশা অনুভব করলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্ত করে ঈশ্বরের ধার্মিকতর পূর্ণতা সাধনের জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদের দ্বারা বিশ্বাসের বিজয় ঘোষনা করেন।
 পৌল এই রকম ধন্যবাদ দিতেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে, যীশু খ্রীষ্ট যেমন সমস্ত মানুষের পাপ, তেমনি তার সমস্ত পাপের প্রতিকার করেছেন। পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিতে যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে মানুষের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে নিলেন। এবং ক্রুশে পাপর্থক বলি হলেন, যারা তাকে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সবাইকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। এ জন্যে পৌল রোমীয় ৮:১ পদে ঘোষনা করেছেন, “অতএব এখন যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দন্ডাজ্ঞা নাই।” কোন দন্ডাজ্ঞা নাই অর্থ হল, সত্য যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তাদের কোন পাপ নাই। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা যীশুকে বিশ্বাস করে, তাদের হৃদয়ে পাপ থাকতে পারে না। তারা মাংসে দূর্বল হতে পারে, কিন্তু যাই হোকনা কেন, তাদের কোন পাপ নেই।
 তুলনামূলকভাবে, দন্ডাজ্ঞা অর্থ হল, পাপের অস্তিত্বের দন্ডাজ্ঞা হওয়া। যখন কেউ কিছু ভুল করে, আমরা সাধারণত এটাকে পাপ বলি। কিন্তু এর কারণ হল, সে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না, তাই সে একজন পাপী।উপরে উল্লিখিত অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আরো বলে যে, যারা খ্রীষ্টেতে থাকে তাদের উপর কোন দন্ডাজ্ঞা নেই।
 যাহোক, এই ঘোষনা তথাকথিত ন্যায়পরায়নতার মতবাদের উপর ভিত্তি করে নয়, যা পৃথিবীর ধর্মগুলো তাদের পক্ষে দাবী করে। ধর্ম বিশ্বাসীদেরকে তাদের বিশ্বাসে ধার্মিক বলিয়া গণ্য করা হয়, অর্থ হল, একজন উচ্চাভিলাষী দাবী করে যে, এমনকি কেউ অধার্মিক হলে এবং তার হৃদয়ে পাপ থাকলেও শুধু যীশুতে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বর তাকে ধার্মিক বলেয় গণ্য করেন। ঈশ্বর কিভাবে মিথ্যা বলেন এবং একজন পাপীকে পাপবিহীন হতে আহবান করেন? তিনি তা করেন না। তিনি একজন পাপীকে আহবান করার পরিবর্তে বলেন, “তোমার পাপের দ্বারা তুমি অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর সম্মুখীন; জল ও আত্মায় দেখানো আমার ধার্মিকতায় বিশ্বাস কর।”
 আজকাল অনেক লোক তাদের ভুল বিশ্বাসের যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে এবং মতবাদ গঠনের দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জনের চেষ্টা করে। এই ধরনের বিশ্বাস খুব ভুল এবং বিপদজনক। যীশু কি সত্যের ঈশ্বর ছিলেন না, তিনি সম্ভবত তাঁর অনুসারী হিসাবে পাপীদের আহবান করতেন। কিন্তু আপনার অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, যীশু, যিনি সত্য, তিনি পাপীকে ধার্মিক বা পাপীবিহীন বলে গণ্য করেন না। ঈশ্বরের পবিত্রতা, বিচার এবং ধার্মিকতা দ্বারা পাপীকে ধার্মিক এবং পাপবিহীন বলে গণ্য করা অসম্ভব।
 আপনাকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, আপনার পাপ হতে মুক্তি শুধু যীশুতে বিশ্বাসের দ্বারা আসে নাই, কিন্ত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা এসেছে। এমনকি যদি আপনি যীশুতে বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর আপনাকে ধার্মিক বলে গণ্য করবেন না, যদি আপনি ঈশ্বরের ধার্মিকতা না জানেন এবং বিশ্বাস না করেন। কিন্তু আজকের সত্য হল, এরূপ মতবাদ যা ক্রমবর্ধমান এবং ন্যাপরায়নতার মতবাদের মত অনেক গোঁড়া খ্রীষ্টিয়ানদের গৃহীত মতবাদ। কিন্তু অল্প সংখ্যক অনুধাবন করে যে, তথাকথিত গোঁড়া মতবাদীরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানা বা শোন থেকে আসলে একজনকেই প্রতিরোধ করতে পারে। তারা আসলেই ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিরুদ্ধে এটা না বুঝে এই মতবাদে বিশ্বাসের দ্বারা অনেক লোক ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভে ব্যর্থ হয়, এই ধরণের মতবাদ তাদের উন্নতির নিজস্ব প্রতিবন্ধকতা। 
 যদি আপনি একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হতে চান, আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যের সাথে পরিমাপ করতে হবে, এটা দেখতে যে, আপনি খ্রীষ্টেতে আছেন কি-না। এবং এরূপ করতে আপনাকে অবশ্যই জল ও আত্মার বাক্য দেখতে, শুনতে এবং বুঝতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “যীশু, আমার বিশ্বাসটি কি সঠিক? কখন আমি বলি যে, আমি যীশুতে বিশ্বাস করি, আমি শুধুমাত্র ধর্ম অনুশীলন করছি না? আমি কি অর্ধে রাস্তায় দুই পা ফাঁক করে দাঁড়িয়েছি, না যীশুর পক্ষে না বাহিরে?” এখন ইহাতে বিশ্বাসের মাধ্যমে আপনার ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভের সময় এবং সত্যের যে বিশ্বাসে বাস করা, তা হল, “অতএব এখন যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাদের প্রতি কোন দন্ডাজ্ঞা নাই।” 
 ইফিষীয় পুস্তকে আমরা প্রায়ই এই অনুচ্ছেদটির সম্মুখীন হতে পারি 
“যীশুর মাধ্যমে পাপ মোচন।” এর অর্থ হল যে, আমাদের সমস্ত পাপ মুক্ত করার জন্য ঈশ্বর পূর্বেই যীশু খ্রীষ্টকে নির্ধারণ এবং নির্বাচণ করেছিলেন। যীশুতে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় যাদের পাপ মোচিত হয়েছে, তারা যীশুতে প্রবেশ করে, এবং তাদের পাপ সম্পূর্ণভাবে মুছে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রভুর দেওয়া জল আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে, সে এমন একজন যে প্রভুর ধার্মিকতা লাভ করেছে এবং এই সুসমাচার প্রচার করে।
 যারা বিশ্বাস করে যে, যীশু খ্রীষ্টেতে ঈশ্বরের ধার্মিকতা এবং যারা তাঁর খোলা বাহুর মধ্যে প্রবেশ করে তাদের কোন পাপ নেই। এই সত্য এবং সঠিক উত্তর। কারণ যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্ত তাদের সমস্ত পাপ ঢেকে দেয়, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টেতে থাকে, তাদের মধ্যে পাপ থাকা অসম্ভব। অতএব যারা খ্রীষ্টেতে আছে সত্যই তাদের কোন পাপ নেই। এটাই সত্য যে-যারা খ্রীষ্টেতে থাকে তাদের কোন পাপ নেই–জল ও আত্মার বাক্যে এর উত্তর পাওয়া যায়, এরূপে পাপ সমস্যা সম্পর্কে আর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। আপনিও সত্যিকার ধার্মিক হতে পারেন, যখন আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন। জল ও আত্মার সুসমাচার জানা এবং বিশ্বাস করার মধ্যে ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিহিত, তাহলে আপনি যখন খ্রীষ্টেতে বাস করবেন, তখন আপনি ধার্মিক সাধু হয়ে যাবেন।
 ধরুন, আপনি একটা কঠিন সমস্যার মুখোমুখি। যদি সত্যি আমরা এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে চাই, অবশ্যই সমস্যার কাঠিন্যতার দিকে না তাকিয়ে আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। একইভাবে যারা যীশুতে বিশ্বাস করে এবং এখনো তাঁর মধ্যে প্রবেশ করে নাই, তাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের ধার্মিকতার অনুসন্ধান করতে হবে।
 কিছু লোক ভাবে খ্রীষ্টিয়ান ধর্ম হচ্ছে পৃথিবীর অনেক ধর্মের মধ্যে একটি; এবং তারা এই ধরণের ক্রমবর্ধমান পবিত্রতার মতবাদে বিশ্বাস করা এবং চলে আসার মাধ্যমে পাপ সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকে। কিন্তু শীঘ্রই তারা বুঝতে পারবে যে, না এই ধরণের মতবাদ, না নিজেদের ধার্মিকতা, কোনটাই তাদের পাপ পরিষ্কার করতে পারে না। পরিবর্তে তারা নিজেরাই উদ্ভাবন করবে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারাই তাদের পাপ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
 যদি আপনি একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হতে চান, আপনাকে অবশ্যই হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করতে হবে। কিন্তু ধার্মিকত লোকেরা তাদের ধার্মিকতা লাভ করতে এই ধরণের ক্রমবর্ধমান পবিত্রতার মতবাদ এবং ন্যায়রায়নতার মতবাদের দ্বারা তাদের নিজস্ব কাজের দ্বারা পরিমাপ করে পাপ সমস্যার সমাধান করতে পদক্ষেপ নেয়। অনুতাপের প্রার্থনা হইতে এই ধরণের বিশ্বাসে আস্তা আসে যা শেষ পর্যন্ত তাদের অবশ্যম্ভাবী ধংস থেকে মুক্ত করতে পারে না, যখনই তারা এই ধরণের প্রার্থনার সাহায্যে তাদের নিজেদের পাপ দেখতে পায় যে, তারা অধিক থেকে অধিকতর পাপে পূর্ণ হয়।
 কিন্তু যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা মাংসে দূর্বল থাকলেও ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা তাদের পাপ সমস্যার সমাধান করা হবে। যারা এভাবে বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করে, তাদের মনে কোন পাপ নেই তথা তাদের বিরুদ্ধে কোন দন্ডাজ্ঞা নেই।
 
 
কারণ যীশুতে ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিহিত 
 
 ২পদে বলা হয়েছে, “কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।” ঈশ্বর মানুষকে দুটি ব্যবস্থা দিয়েছেন, যীশুতে জীবনের আত্মার ব্যবস্থা, আর পাপ মৃত্যুর ব্যবস্থা। পৌল যেমন বলেন, জীবনের আত্মার ব্যবস্থা আমাদের সমস্ত পাপ হইতে এবং মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে। নূতন জন্ম লাভ করতে আপনাকে অবশ্যই পৌলের মাধ্যমে বলা সত্যকে বুঝতে এবং অনুধাবন করতে হবে। এই সত্য সমানভাবে পৃথিবীর প্রত্যেককে প্রয়োগ করা হয়েছে। 
 আমরাও জীবনের আত্মার ব্যবস্থায় বিশ্বাসের দ্বারা পাপ এবং মৃত্যুর ব্যবস্থা হতে মুক্ত হয়েছি; তা না হলে আমাদের অবশ্যই পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থার অধীনে অবশ্যম্ভাবী ধংসের সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু হৃদয়ে যীশুতে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা - তা হলে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্ত - আমরা তাঁর ধার্মিকতা লাভ করেছি, জীবনের আত্মার ব্যবস্থার অধীনে এসেছি, এবং আমাদের জন্য প্রস্তুতকৃত অনন্তজীবন লাভ করেছি। তাহলে আপনি খোঁজ করুন কোথায় জল ও আত্মার সুসমাচার পাবেন, যা আপনার সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারে? ইহা বাপ্তিস্মের মধ্যে, যা যীশু যোহন কর্ত্তৃক লাভ করেছিলেন এবং ক্রুশের উপরে, যেখানে তিনি তাঁর রক্ত বহিয়েছিলেন। অন্য কথায়, জল ও আত্মার সুসমাচারে ঈশ্বরের ধার্মিকতা পাওয়া যায়।
 তাহলে ধার্মিকতার সুসমাচার কি যা আমাদেরকে পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হহতে মুক্ত করে? এটাই সসমাচার যে- আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে জন্মেছিলেন, তাঁর নিজের উপরে সমস্ত পাপ তুলে নিতে ত্রিশ বছর বয়সে যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রশারোপিত হয়েছিলেন এবং মৃত্যু খেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন- সব কিছুই আমাদেরকে পাপ খেকে মুক্ত করতে করেছিলেন- ইহাই ঈশবের ধার্মিকতায় নির্মিত সুসমাচার। 
 মানুষ তাদের দূর্বলতার কারণে পাপ করতে জন্মগ্রহণ করে, ঈশ্বর এটা জেনে সমস্ত পাপীমের পাপ থেকে মুক্ত করতে তাদেরকে পরিত্রাণের সুসমাচার দিলেন, যা তাদেরকে পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করে। পাপ মোচনের এই যথার্থ সুসমাচার পাওয়া গেল যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তের মধ্যে। এই সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা সমস্ত মানুষ পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত হতে পারে- ঈশ্বরের এই ধার্মিকতাই জীবনের ব্যবস্থা, যা মানুষকে তার সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে। 
 ঈশ্বর মানুষকে তাঁর বাক্যের ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং নিরূপন করেছেন যে ,এই ব্যবস্থার দ্বারা জীবন-যাপনের যেকোন ব্যর্থতাই পাপ। একই সময়ে ঈশ্বর আরো একটি ব্যবস্থা নিরূপন করেছেন, যা পাপীদের পাপ থেকে মুক্ত করে। এই পরিত্রাণের ব্যবস্থা ঈশ্বরের সত্য ধার্মিকতার মধ্যে লুকানো অনুগ্রহের ব্যবস্থা, যারা এটাকে বিশ্বাস করে তাদেরকে অনন্ত জীবন দান করেন। ঈশ্বর মানুষের জন্য যে পাপমোচনের ব্যবস্থা নিরূপন করেছেন, তা হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের ব্যবস্থা- তাহা যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্ত- এবং এই বিশ্বাসই জীবনের ব্যবস্থা, যা তাদেরকে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আবৃত করতে পারে।
 তাহলে কে এই জীবনের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে চলতে পারে? যে কেউ ঈশ্বর- দেয় জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাকে পৃথিবীর সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করা হবে এবং এই বিশ্বাসের দ্বারা সে(পুং/স্ত্রী) ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করবে। 
 ঈশ্বর কিভাবে আপনাকে জীবনের আত্মার ব্যবস্থা দিয়েছেন? একজন সাদ্ধী নারীর থেকে জন্ম নেওয়া তাঁর পুত্রকে এই জগতে পাঠানোর দ্বারা, যোহন কর্ত্তৃক তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর উপর অর্পণ করার দ্বারা, এবং তাঁকে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করার দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত পাপ পরিস্কার করে যীশুকে পাপীদের ত্রাণকৰ্ত্তা বানালেন। এই সত্যে যারা বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে ঈশ্বর নূতন জন্ম এবং ক্ষমা প্রদান করেছেন, এবং এটাই আমাদেরকে তাঁর দেওয়া জীবনের আত্মার ব্যবস্থা।
 তাহলে পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থা কি? এটা একটা আজ্ঞা যা ঈশ্বর মানুষকে দিয়েছেন। ঈশ্বর নিরূপিত তাঁর আজ্ঞায় “কর” এবং “করনা” দ্বারা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এবং এই আজ্ঞা থেকে পথ ভ্রষ্ট হয়ে যে কোন ব্যর্থতাই একটা পাপ তৈরী করে, যার মৃত্যুর বেতন নরকে শাস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
 এভাবে প্রত্যেকে মৃত্যুর ব্যবস্থার অধীনে সমর্পিত ছিলম, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট তার বাপ্তিস্ম এবং ক্ৰশীয় রক্ত সেচনের দ্বারা আমাদিগকে মৃত্যুর ব্যবস্থা হতে মুক্ত করেছেন। যীশু ছাড়া কেউ পাপীদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে না, এবং অন্য কোন পথ নয় কিন্তু তার দেয়া জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদেরকে সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করতে পারে। অতএব আপনি অবশ্যই জানেন এবং বিশ্বাস করেন যীশু কিভাবে এই পৃথিবীতে আপনাকে রক্ষা করতে এসেছিলেন এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতা কি।
 যাহোক, আজকাল অনেক লোক আছে দৃঢ়ভাবে যীশুতে বিশ্বাসের ঘোষনা দেয় এবং ব্যবস্থা সম্পর্কে উচ্চজ্ঞান ধারণ করে-এটাই পাপ এবং মৃত্যুর ব্যবস্থা- এখনো সম্পূর্ণভাবে জল ও আত্মার ব্যবস্থা উপেক্ষিত, যা আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে। অনেকে এই উপেক্ষা নিয়েই যীশুকে বিশ্বাস করে যাচ্ছে। এ থেকে আমরা দেখতে পাই জল এবং আত্মার সুসমাচার কত লুকায়িত। এই জল ও আত্মার সুসমাচার হইতে ক্রুশের উপর বিশ্বাস ধারণের সুসমাচার আলাদা। অনেক লোক যীশুর ‘রক্ত’ এবং “ক্রুশ’ কে মহা গুরুত্বসহকারে প্রাধান্য দেয়, কিন্তু বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যীশু ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন, কিন্তু তিনি পৃথিবীর সব পাপ তুলে নিয়েছেন, যখন তিনি ক্রুশারোপিত হলেন তখন নয় কিন্তু যখন তিনি যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হলেন তখন।
 আপনাকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এই জানেন পার্থক্য স্বর্গ এবং নরকে যাওয়ার পার্থক্য তৈরী করে। এটা দেখতে একটা ছোট খাট পার্থক্য, মৌলিক পার্থকের জাল অবিচ্ছেদ্য, কিন্তু এই দুই বোদ্ধাদের মধ্যে গভীর পার্থক্য রয়েছে। এ কারণে যীশুকে যখন আপনি আপনার ত্রাণকর্ত্তারূপে গ্রহণ করতে চাইবেন, আপনাকে অবশ্যই জল ও আত্মার বিশ্বাসে কেন্দ্রিভূত হতে হবে। শুধু মাত্র এরূপ করলে আপনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। এবং আজকাল এখনো অনেক লোক ঈশ্বরের ধার্মিকতা অগ্রাহ্য করতে যীশুকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছে।
 কোন কোন লোক কম পাপ করে নিজেদেরকে পরিষ্কর করার জন্য ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতা এমন কিছু নয়, যা মানুষের নিজের চিন্তা, চেষ্ট এবং কর্ম দ্বারা লাভ করা যায়। একমাত্র পাপমোচনে বিশ্বাসের দ্বারা জল ও আত্মার সত্যে লুকায়িত ধার্মিকতা লাভ করা যায়। নিজেদেরকে পবিত্রকরণের জন্য যারা ব্যবস্থা অনুসরণ করে তারা নির্বোধ বিশ্বাসী। এমন কেউ নেই যে, ব্যবস্থার সমস্ত শর্ত অনুসরণ করতে পারে। 
 
 

যীশুর দেহে পাপের দন্ডাজ্ঞা দ্বারা

 
 ৩ পদে বলা হয়েছে, “কারণ ব্যবস্থা মাংস দ্বারা দূর্বল হওয়াতে যাহা করিতে পারে নাই, ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে এবং পাপার্থক বলিরূপে পাঠাইয়া দিয়া মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন।” এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা খঁজে পাই পৌলের জল ও আত্মার সাক্ষ্য কত বিস্তারিত। পৌল এখানে বলেছেন, পিতা ঈশ্বর কিভাবে যীশুর উপর পৃথিবীর সমস্ত পাপ অর্পণ করলেনঃ “নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশ্যে এবং পাপার্থক বলিরূপে। পাঠাইয়া দিয়া মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন।” 
 যখন এটা বলা হয়, ঈশ্বর মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন, এর অর্থ কি? এর অর্থ হল, পিতা ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, এবং যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত করে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর দেহে অর্পণ করেছেন, এবং এভাবেই অনন্তকালের জন্য বিশ্বাসীদের সমস্ত পাপ পরিষ্কার হয়ে গেছে। একারণেই ইহা বলে যে, “ব্যবস্থা যাহা করিতে পারে নাই, ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন।” ঈশ্বর তাঁর পুত্রের উপর অর্পণের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত পাপ মুছে দয়েছেন। এবং সমস্ত পাপ মুছার জন্য তাঁকে ক্রুশারোপিত এবং মুত্য থেকে পুনরুত্থিত হতে হয়েছে।
 এটাই সত্যের সুসমাচার, যা আপনাকে রক্ষা করে, এবং এই সুসমাচারই জল ও আত্মার সুসমাচার। যোহন ৩:৫ পদে আমাদের প্রভু নীকদীমকে কি বলেছেন, “যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না,” ইহাই যথাযথ সুসমাচার। ঈশ্বরের ধার্মিকতা সুসমাচার স্পষ্টই প্রতিয়মান হয়, যখন যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হলেন, ক্রুশে রক্ত সেচন করলেন এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন। 
 মথি ৩:১৫ পদে বলা হয়েছে, “কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে (যোহন বাপ্তাইজক) কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন।” এই অনুচ্ছেদটি ঈশ্বরের ধার্মিকতার সাক্ষ্য বহন করে এবং ইহা যীশুতে প্রকাশিত। যখন যীশু গালীল থেকে যর্দ্দন নদীর কাছে আসলেন এবং যোহন বাপ্তাইজক কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হতে চেষ্টা করলেন, যোহন তাহা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, বলেছিলেন, “আপনার দ্বারাই আমার বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যই, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন?” কিন্তু উপরের অনুচ্ছেদের দ্বারা যীশু যোহনকে আদেশ দিলেন, “এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।”
 তাহলে, “সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা” অর্থ কি? এর অর্থ হল, যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন। যখন যীশু বাপ্তিস্মের পরে জল থেকে উঠে এলেন, তাঁর নিমিত্ত স্বর্গ খুলে গেল এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নেমে আসতে দেখলেন। তখন স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত।” বাপ্তিস্যের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নেয়াতে ঈশ্বর যীশুর উপর সন্তুষ্ট ছিলেন। এখানে আমরা দেখি, এই তিন ব্যক্তি একত্রে ত্রিত্ব ঈশ্বর পিতা, পুত্র, পবিত্র আত্মা, যিনি প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে মানুষকে তাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করতে সংকল্প করেছিলেন।
 বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যীশুর জন্য স্বর্গ খুলে গিয়েছিল, যখন তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং স্বর্গ থেকে এই ঘোষনা হয়েছিল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত।” তাহলে বলা হয়েছে, যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা তৎক্ষণাৎ তাঁর পুত্র পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, এজন্য পিতা ঈশ্বর এই ঘটনা দ্বারা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তাহলে যীশু বাপ্তাইজত হয়েছিলেন এবং তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর দেহে স্থানান্তরিত হয়েছিল, তিনি ক্রুশে ক্রুশারোপিত এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হওয়ার দ্বারা সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করেছিলেন।
 অন্য কথায়, যীশু ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনের জন্য যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন। তারপর তিনি ক্রুশে মরেছিলেন। এই বাপ্তিস্ম এবং মৃত্যু অর্থ সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন। যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের সাথেই পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন, এ জন্যেই তিনি ক্রুশে রক্ত বহিয়েছিলেন। আর পুনরুত্থানের দ্বারা তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা পূর্ণ করেছিলেন।
 “ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতা” অর্থ হচ্ছে মানব জাতির সমস্ত পাপ হইতে মুক্ত করণের প্রকৃয়া। এই ধার্মিকতার কার্য্য পূর্ণ করতে যীশু বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা সমস্ত মানুষের পাপ তুলে নিয়েছেন। ঈশর সঠিক এবং সর্বোত্তম উপায়ে সমস্ত ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করেছেন। বাপ্তিস্ম, রক্ত এবং যীশুর পুনরুত্থান ঈশ্বরের কি ধার্মিকতা সাধন করেছিল, ঈশ্বরের এই ধার্মিকতা আমাদেরকে পাপবিহীন করেছিল; এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদের উপর অর্পিত হয়েছিল। ত্রিত্ব ঈশ্বর সংকল্প করেছিলেন, যীশু পূর্ণতা সাধন করলেন এবং এমনকি এখনো পবিত্র আত্মা ইহার ধার্মিকতার সাক্ষ্য বহন করিতেছে। ঈশ্বর প্রদত্ত বাক্যে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে, “নিজ পুত্রকে পাপময় মাংসের সাদৃশে এবং পাপার্থক বলিরূপে পাঠাইয়া মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন।”
 নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন। যদি আপনি আসলে জীবনের বাকী সময়ের জন্য সঠিকভাবে ব্যবস্থার আজ্ঞা পালন করতে পারেন তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন। আপনি অবশ্যই সর্বোত্তম উপায়ে সেগুলো অনুসরণ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি কখনো সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা দ্বারা জীবন-যাপন করতে সক্ষম হবেন না। যখন আপনি সবচেয়ে ছোট আজ্ঞাটি লঙ্ঘন করেছেন, আপনি সমস্ত ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছেন (যাকোব ২:১০), এবং প্রত্যেকেই সমস্ত ব্যবস্থার শেষ পর্যন্ত পালন ব্যতীত পাপী।
 আপনি হয়তো সর্বোত্তম ইচ্ছায় ব্যবস্থার অনুসরণ করবেন, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতা কখনো চায় না আমরা ব্যবস্থা পালনের দ্বারা সিদ্ধি লাভ করি। ঈশ্বর আমাদিগকে যে ব্যবস্থা দিয়েছেন, তা আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, যেন আমরা আমাদের পাপ চিনতে পারি, কারণ আমরা মাংসে দূর্বল, আমরা কেউই ঈশ্বরের ব্যবস্থার শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে পারি নাই। 
 একারণে ঈশ্বর আমাদের গভীর পাপ থেকে মুক্ত করতে তাঁর প্রিয় পুত্ৰক পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের পাপ তুলে নিতে যোহন দ্বার বাপ্তাইজিত করেছিলেন। মাংসে তাঁকে বাপ্তাইজিত করা হয়েছিল, অন্য কথায়, পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর দেহে অর্পণ করা হয়েছিল। এ কারণে বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর যীশুর “মাংসে পাপের দন্ডাজ্ঞা করিয়াছেন”, এবং এভাবেই ঈশ্বর আমাদেরকে পাপ বিহীন করলেন।
 আমাদের অবশ্যই জানতে হবে এবং বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর কিভাবে আমাদের পাপ মুছে দিলেন। তাঁর পুত্রকে যোহন কর্ত্তৃক করার দ্বারা এবং মানবজাতির প্রতিনিধি করার দ্বারা ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপরে অর্পণ করলেন। তার পরে তিনি পৃথিবীর সমস্ত পাপ যীশুকে দিয়ে ক্রুশে বহন করালেন, আমাদের পরিবর্তে মূল্য পরিশোধ করতে রক্ত বহাইলেন এবং মরলেন। আর মৃত্যু হইতে তাঁর পুনরুত্থানের দ্বারা যারা ইহাতে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের জন্য পাপ মোচনের পথ খুলে দিলেন। তাহলে ঈশ্বর এভাবে সংকল্প করলেন এবং আমাদের পাপের পরিত্রাণ বয়ে আনলেন। 
 অতএব আমাদের অবশ্যই হৃদয়ে বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তের অর্থ হচ্ছে, আমাদের পাপমোচন। যারা ঈশ্বরের এই ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন, তারা অবশ্যই সঠিকভাবে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেন। 
 আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পাপবিহীত হতে এবং আপনার সমস্ত পাপের ক্ষমা লাভ করতে এই উপায়ে বিশ্বাস করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে বুঝতে হবে ঈশ্বর কিভাবে আপনার পাপ মুছে দিয়েছেন, এবং তাঁর ইচ্ছা অনুসরণ করিয়েছেন এবং আপনার নিজের ইচ্ছায় বিশ্বাস ব্যতীত ঈশ্বরের সম্মুখে ইহা বিশ্বাস করিয়েছেন।
The New Life Mission

Tham gia khảo sát của chúng tôi

Bạn biết đến chúng tôi qua đâu?