Search

Bài giảng

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[11] ইস্রায়েল কি রক্ষা পাবে?

রোমীয় ১১:১ পদে আছে,“তবে আমি বলি, ঈশ্বর কি আপন প্রজাবৃন্দকে ঠেলিয়া ফেলিয়া দিয়াছেন? তাহা দূরে থাকুক; আমিওত একজন ইস্রায়েলীয়, অব্রাহামের বংশজাত, বিন্যামিনের গোত্রজ।”
অন্য কথায় ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের পরিত্যাগ করেন নাই, পৌল নিজেই একজন ইস্রায়েলীয় ছিলেন।
 ঈশ্বর রোমীয় ১১:২-৫ পদে বলেন, “ঈশ্বর আপনার যে প্রজাবৃন্দকে পূর্বে জ্ঞাত ছিলেন, তাহাদিগকে ঠেলিয়া ফেলেন নাই। অথবা তোমরা কি জান না, এলিয়ের ইতিহাসে শাস্ত্র কি বলে? তিনি ইস্রায়েলের বিপক্ষে ঈশ্বরের নিকটে এইরূপে অনুরোধ করেন, “প্রভু তাহারা তোমার ভাববাদিগণকে বধ করিয়াছে, তোমার যজ্ঞ বেদি সকল উৎপাটন করিয়াছে, আর আমি একাই অবশিষ্ট রহিলাম, আর তাহারা আমার প্রাণ লইতে চেষ্টা করিতেছে।” কিন্তু ঈশ্বরীয় বাণী তাহার প্রতি কি বলে? “বালের সম্মুখে যাহারা হাঁটু পাতে নাই, এমন সাত সহস্র লোককে আমি আপনার নিমিত্ত অবশিষ্ট রাখিয়াছি। তদ্রূপ এই বর্তমান কালে ও অনুগ্রহের নির্বাচন অনুসারে অবশিষ্ট এক অংশ রহিয়াছে।’’’’
 যেমন ঈশ্বর আমাদিগকে বললেন যে অনেক ইস্রায়েল যীশুতে বিশাস করে তাঁর কাছে ফিরে আসবে, অনেক যিহূদী তাদের পাপ থেকে রক্ষা পাবে। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যখন শেষ সময় উপস্থিত হবে, অধিক সংখ্যক পরজাতীয়গণ যীশু খ্রীষ্টের আগমন এবং ঈশ্বরের ধর্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা তাদের পাপ থেকে মুক্তি পাবে। 
 পৌল বলেন, “আপনি কি জানেন না এলীয় সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?” এখানে, পৌল একটি ঘটনার প্রতি নির্দ্দেশ করলেন যে, অবশেষে অনেক ইস্রায়েলীয় যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস স্থাপন করবে ও তাদের সকল পাপ তুলে নেওয়া হবে। এলীয়ের প্রতি ঈশ্বর বলেন, শাস্ত্র আমাদিগকে বলে যে, অনেক ইস্রায়েলীয় তাদের ত্রাণকর্তারূপে যীশুকে গ্রহণ করবে। আমরা এই বাক্য বিশ্বাস করি।
শাস্ত্রে, ৭ সখ্যাটি পরিপূর্ণতার প্রতীক। ঈশ্বর ছয়দিনে এই পৃথিবী সৃষ্টি করলেন এবং সপ্তম দিনে বিশ্রাম করলেন। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত সাত সহস্র লোককে সংরক্ষণ করেছেন, যারা বালের সামনে হাঁটু পাতে নাই। এর অর্থ এই যে, অনেক ইস্রায়েলীয় যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের ত্রাণকর্তারূপে গ্রহণ করবে এবং তাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ পাবে। 
এখানে ইস্রায়েলীয় এবং পরজাতীয়দের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়েছে। পৌল বিশ্বাস করেন যে, ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক লোক রক্ষা পাবে। 
 
 
তারা কি পতনের নিমিত্ত উছোট খেয়েছিল? 
 
 পৌর রোমীয় ১১:৬-১২ পদে বলেছেন যে, যদি ইস্রায়েলীয়রা যীশুকে তাদের মুক্তিদাতারূপে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করত; তাহলে পরজাতীয়গণ পরিত্রাণ পেত না। যেহেতু ইস্রায়েলীয়গণ যীশুকে তাদের মুক্তিদাতারূপে গ্রহণ করে নাই, তাই ঈশ্বর জল আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে পরজাতীয়গণের নিমিত্ত রক্ষার পথ খুলে দিয়েছেন। ফলে, ঈশ্বরের সংকল্প অনুসারে পরজাতীয়দের কারণে ইস্রায়েলীয়দের অন্তর্জালা জন্মে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তাঁর সন্তানরূপে গণিত হয়েছে। অবশেষে ইস্রায়েলীয়রা যীশুকে তাদের ত্রাণকর্তারূপে গ্রহণ করেতে শুরু করবে, বস্তুত যীশু খ্রীষ্টকে তাদের মশীহরূপে গ্রহণ করে নেবে।
 
 
মূল পবিত্র হলে এরূপে শাখা সকলও পবিত্র হয় 
 
 রোমীয় ১১:১৩ পদ অনুসারে, “কিন্তু হে পরজাতীয়েরা তোমাদিগকে বলিতেছি: পরজাতীয়দের জন্য প্রেরিত বলিয়া আমি নিজ পরিচৰ্য্যা পদের গৌরব করিতেছি।” পৌল বলেন যে, পরজাতীয়দের প্রেরিত হিসাবে তিনি তার নিজের রক্ত মাংস দিয়ে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন পরজাতীয়গণকে পূনর্জন্মে তাদের অন্তর্জালা জন্মানোর মধ্য দিয়ে।
 “কারণ তাহাদের দূরীকরণে যখন জগতের সম্মিলন হইল; তখন তাহাদিগকে গ্রহণ করণে মৃতদের মধ্য হইতে জীবন লাভ বই আর কি হইবে? আর অগ্রিমাংশ যদি পবিত্র হয়, তবে সূজীর তালও পবিত্র; এবং মূল যদি পবিত্র হয়, তবে শাখা সকলও পবিত্র”(রোমীয় ১১:১৫-১৬)।এই অংশের অর্থ যখন অব্রাহাম, ইস্রায়েলীয়দের মূল, তাঁর বাক্যে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের ধার্মিকতা অর্জন করেছিলেন এবং রক্ষা পেয়েছিলেন, তাহলে ইস্রায়েলীয়দের জন্যও ইহা সম্ভব ছিল যে অব্রাহামের শাখা রক্ষা পাইত। একই সময়ে, পৌল পুনর্জন্মপ্রাপ্ত পরজাতীয়দের সতর্ক করেছেন যেন, তারা শ্লাঘা না করেন, কারণ তাদের বন্য জিত বৃক্ষের শাখা থেকে ভেঙ্গে কলমরূপে জিত বৃক্ষের সঙ্গে লাগিয়ে ঈশ্বরের পবিত্র জাতির ন্যায় নূতন জীবন দেওয়া হয়েছে। যেমন রোমীয় ১১:১৮ পদে আছে, “তবে সেই শাখা সকলের বিরুদ্ধে শ্লাঘা করিও না; কিন্তু যদি শ্লাঘা কর, তুমি মূলকে ধারণ করিতেছ না, কিন্তু মূলই তোমাকে ধারণ করিতেছে।”
 আমরা ঈশ্বরের জাতি হয়েছি, কারণ আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি; কিন্তু যদি আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা পরিত্যাগ করি, আমরাও দূরীকৃত হব। আমরা ইহা করতে পারি না, কারণ যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতায় পূর্ণ হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেছেন, বস্তুত আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি। ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা রক্ষা পেয়েছি; আমাদের কার্য্যর দ্বারা নয়। আমরা, পরজাতীয়গণ, তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে। তাঁর জাতি হয়েছি; ইস্রায়েলের ভগ্ন শাখা স্বরূপ প্রতিভুরূপে স্থাপন করেছেন।
 
 

আমরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, কারণ আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি

 
 অতএব ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা খ্রীষ্টিয়ান এবং যিহূদী উভয়েই তাঁর জাতি হিসাবে যীশুর সঙ্গে কলমরূপে লাগানো যেতে পারে। যদি আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস না করি, তবে আমরা আমাদের পাপের কারণে তাঁর প্রকৃত বিচারের দ্বারা নিশ্চিতভাবেই মরব। পৌল প্রথমে ইস্রয়েলীয়দের সতর্ক করেছেন, কিন্তু আমরাও এই সতর্ক বাণী থেকে রেহাই পাচ্ছি না। 
 ঈশ্বর আমাদের অথাৎ পরজাতীয়দের প্রতি কৃপা করেছেন, এবং তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করেছেন। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানে এবং বিশ্বাস করে, তাদের সমস্ত পাপ হতে রক্ষা করেছে। এখনকার সব খ্রীষ্টিয়ান ধংস হবে যদি তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে যথাযথভাবে রক্ষা না পায়। এমন কি যদিও তারা যীশুকে তাদের ত্রাণকর্তারূপে স্বীকার করে।
 রোমীয় ১১:২৩-২৪ পদে আছে, “আবার উহারা যদি আপনাদের অবিশ্বাসে না থাকে, তবে উহাদিগকেও লাগান যাইবে, কারণ ঈশ্বর উহাদিগকে আবার লাগাইতে সমর্থ আছেন। বস্তুত যেটি স্বভাবতঃ বন্য জিত বৃক্ষ, তোমাকে তাহা হইতে কাটিয়া লইয়া যখন স্বভাবের বিপরীতে উত্তম জিত বৃক্ষে লাগান গিয়াছে, তখন প্রকৃত শাখা যে উহারা উহাদিগকে নিজ জিত বৃক্ষে লাগান যাইবে, ইহা কত অধিক নিশ্চয়।” অন্য কথায়, ঈশ্বর প্রত্যেককে তাঁর ধার্ম্মিকতার বিশ্বাসে চালিত হতে ক্ষমতা দেন। উহা জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় প্রতিজ্ঞাত ক্ষমতা। ইস্রায়েলীয় এবং পরজাতীয়গণ উভয়েই যদি তাদের প্রতিজ্ঞানুসারে চালিত না হয়, তবে তারা ঈশ্বরের সন্তান হবে না। কারণ তারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে। ঈশ্বরের ধার্মিকতা ব্যবস্থার ধার্মিকতাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করে। ঈশ্বরের ধার্মিকতার মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলীয় এবং সমস্ত জগতের পরজাতীয়গণ তাদে বিশ্বাস দ্বারা রক্ষা পাবে। ইহা ঈশ্বরের পরিত্রাণের মহা আশীর্বাদ, যাহা সুসমাচার প্রচারের দ্বারা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা সাধন করে। ঈশ্বরের ক্ষমতা তাঁর ধার্মিকতার মধ্য দিয়ে তাঁর বিশ্বাসের প্রতিজ্ঞা তৈরী করে। 
 আমরা রোমীয় ১১:২৬-২৭ পদে দেখতে পাই, “আর এই প্রকারে সমস্ত ইস্রায়েল পরিত্রাণ পাইবে, যেমন লিখিত আছে, 
“সিয়োন হইতে মুক্তি দাতা আসিবেন।
 তিনি যাকোব হইতে ভক্তিহীনতা দূর করিবেন;
 আর তাহাই তাহাদের পক্ষে আমার নিয়ম,
 যখন আমি তাহাদের পাপ সকল হরণ করিব।’’” 
 ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, অবশেষে তিনি শেষকালে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করবেন। এইরূপে ঈশ্বর নিজে ইস্রায়েলীয়দের মন থেকে সমস্ত অশ্লীলতা এবং দিয়াবলের কবল থেকে মুক্ত করতে প্রতিজ্ঞা করেছেন এবং তাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টেতে তাদের বিশ্বাস উৎপন্ন করবেন । যদিও তাদের পূর্ব পুরুষগণ বিশ্বস্ত ছিল,। ইস্রায়েলীয়রা নিজেরা পরিত্রাণ গ্রহন করে নাই। কিন্তু ঈশ্বর তাদের অন্তর স্পর্শ এবং তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস উৎপন্ন করে নিকট ভবিষ্যতে তাদের পরিত্রাণ করতে ইচ্ছা পোষন করেছেন।
 
 

ঈশ্বর আমাদের সকলকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন, যেন তিনি সকলের প্রতি দয়া করতে পারেন

 
 আমরা ৩২ পদের নিগূঢ় তত্ত্ব পড়ি, “কেননা ঈশ্বর সকলকেই অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করিয়াছেন, যেন তিনি সকলের প্রতি দয়া করিতে পারেন।” সকলেই ঈশ্বরের সাক্ষাতে বিরুদ্ধাচারী হয়েছে। কেহই সম্পূর্ণভাবে তাঁকে মান্য করে না, এই কারণে ঈশ্বর আমাদের সকলকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন, সুতরাং তিনি আমাদিগকে সহানুভুতি এবং ভালবাসা দিতে পারেন। এটা নিতান্ত বিস্ময়কর সত্য।
 এই অংশের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি ঈশ্বর কেন মানুষকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন। কি বিস্ময়কর তাঁর দূরদর্শিতা! ঈশ্বর আমাদের ন্যায় অবাধ্যদের প্রতি তাঁর পবিত্র ধার্মিকতা এবং সদয় প্রেমের বস্ত্র দ্বারা আমাদিগকে আবৃত করেছেন। আমরা তাঁর এই বিস্ময়কর উদ্দেশের জন্য কেবলমাত্র তাঁকে বিশ্বাস করি এবং ধন্যবাদ দেই। ঈশ্বর এমন কি অবাধ্যতায় রুদ্ধ ইস্রায়েলীয়দের তাঁর ধার্মিকতার প্রেমে আবদ্ধ করেছেন। ইস্রায়েলীয়রা অদ্যাবধি যীশুর প্রতি ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়, তাকে নাসারতীয় বলে হেয়জ্ঞান করে, পরন্তু অনেক পরজাতীয় খ্রীষ্টিয়ান তাঁকে টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।
 যারা ঈশ্বরের সদয় প্রেম অবজ্ঞা করে তাদের নরকে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। ঈশ্বর ইতিমধ্যে তাদের জন্য জ্বলন্ত নরক প্রস্তুত করেছেন; কিন্তু তিনি দেখতে চান না যে, মানুষ নরকে যাক, কারণ তিনি তাহাদের প্রতি দয়াপূর্ণ। “কিভাবে আমি তোমাদের নরকে পাঠাই?” পূর্ণ সংখ্যক পরজাতীয়গণ তাঁর পরিত্রাণ গ্রহণ করার পর অনেক ইস্রায়েলীয় তাদের ত্রাণকর্তরূপে যীশুকে বিশ্বাস করবে; যখন খ্রীষ্টারী তাদেরকে নির্যাতন করবে ও সাড়ে সাত বছর ব্যাপী দারুনভাবে ক্লেশ দেবে। ভাবীকালে, ইস্রায়েলীয়দের মধ্য থেকে অসংখ্য বিশ্বাসী উঠবে, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরুপ যীশুকে স্বীকার করবে।
 “কারণ ঈশ্বর সকলকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন, যেন তিনি সকলে প্রতি দয়া করতে পারেন।” এই বিস্ময়ক অংশটুকুতে বর্ণানা করা হয়েছে যে, ঈশ্বর সব পাপীদেরকে তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা রক্ষা পাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। 
 ঈশ্বর পৌলকে বললেন যে, তিনি ইস্রায়েলীয়দের অনুতপ্ত করে যীশুতে বিশ্বাস করাবেন যখন মহাক্লেশের মধ্য দিয়ে পূর্ণ সংখ্যক পরজাতীয়গণ সাক্ষ্যমর হবে। যেমন পৌল রোমীয় ১১:৩৩ পদে বলেন, “আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অনুসন্ধেয়!”
 সমস্ত বাস্তব প্রজ্ঞা এবং স্বর্গীয় দূরদর্শিতা ঈশ্বর থেকে আসে। তিনি আদি থেকে সমস্ত মানুষকে অপর্যাপ্ত অস্তিত্ব দিয়ে তৈরী করেছেন। এটাই ঈশ্বরের প্রজ্ঞা, যা আমাদিগকে তাঁর পরিত্রাণ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। এই কারণ, শেষ দিন পর্যন্ত তাঁহাকে বিশ্বাস করলে রক্ষা পাব, এমনকি ইস্রায়েলীয়রাও রক্ষা পাবে। আমাদের মধ্যে যাদের মনোনয়ন ঠিক নেই তারা তুচ্ছ পদার্থের ন্যায় অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু আমাদিগে তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাঁহার দ্বারা মনোনীত ও গুনান্বিত করেছেন। ঈশ্বর পুরাতন নিয়মে মন্দিরে বলিদান প্রথা অনুসারে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত সেচন দ্বারা সকল পাপীদের রক্ষা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যখন ঈশ্বরের ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে শয়তান সকল মানবতাকে কুকর্ম্মে প্রলুব্ধ করছে।
 তাহলে কিভাবে একজন ঈশ্বরের প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস করতে পারে? “তাহা হইতে ও তাঁর দ্বারা ও তাঁর নিমিত্ত, যুগে যুগে তাঁরই গৌরব হোউক। আমেন।” কে এই সত্যকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে যে ঈশ্বর আমাদিগকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন, যেন আমাদের প্রতি তাঁর দয়া করতে পারেন? কেহ কি সাহস করে বলতে পারে যে, সে উহা করে ভুল করেছে? কেহই না! সব গৌরব এবং স্বর্গীয় দূরদর্শিতা চিরকালের জন্য তাঁরই হোক।
 প্রেরিত পৌল পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে লিখেছেন, “কেননা প্রভুর মন কে জানিয়াছে? “তাঁহার মন্ত্রীই বা কে হইয়াছে ? অথবা কে অগ্রে তাঁহাকে কিছু দান করিয়াছে যে, এই জন্য তাঁহার প্রত্যপকার করিতে হইবে? যেহেতুক সকলি তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।”(রোমীয় ১১:৩৪-৩৬)।
 যদিও আমরা দোষে পূর্ণ আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচার প্রচারের দ্বারা বেঁচে থাকি। তারা প্রতিপক্ষ হিসাবে কে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচার প্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে। ঠিক আছে! আমাদের মধ্যে এমন লোক উঠতে পারে, আমরা প্রার্থনা করব এবং সতর্ক হব যেন আমাদের মধ্যে কেহই এইরূপ প্রলোভনে না পড়ে। কোন অবস্থাতেই আমাদের সুসমাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত নয়। আমরা অবশ্যই কখনও অবিশ্বস্ত হৃদয় নিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াব না। যারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে সে এই পৃথিবীতে এবং এর পরেও ধংস হবে।
 ইস্রায়েলীয়দের জন্য যীশুতে বিশ্বাস করার সময় নিকটবর্ত্তী। কত অদ্ভুত বিষয় হত যদি এই পৃথিবীর ছয়শত কোটি লোক ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসত এবং পরিত্রাণ গ্রহণ করত? ধার্মিকতগণ যারা,
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তাদের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকানো উচিত নয়, কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পিত কাজের প্রতি দৃষ্টি করুন এবং তাদের নূতন আকাশ ও নূতন পৃথিবীতে প্রবেশ করে বাস করার মত বিশ্বাসের প্রস্তুতিকরণ আবশ্যক। ধার্মিকের সর্বদাই বিশ্বাস এবং আশা নিয়ে জীবন-যাপন করা উচিত। 
 আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই, কারণ আমি জানি যে ইস্রায়েলীয়দের খ্রীষ্টকে তাদের ত্রাণকর্তারূপে বিশ্বাস করার সময় নিকটবর্ত্তী।
 প্রভু যীশু, শীঘ্রই আইস!