Search

Bài giảng

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[15] আসুন, সমগ্র পৃথিবীব্যাপী আমরা সুসমাচার প্রচার করি

“কিন্তু ধনবান যে আমরা আমাদের উচিত, যেন দূর্বলদিগের দূর্বলতা বহন করি; আর আপনদিগকে তুষ্ট না করি। আমাদের প্রত্যেক জন যাহা উত্তম,তাহার জন্য,গাঁথিয়া তুলিবার নিমিও, প্রতিবাদকে তুষ্ট করুক” (রোমীয় ১৫:১-২)।
 যারা তাদের নিজেদের ধার্মিকতা অন্বেষণ করে না রবং ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, যেহেতু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর ধার্মিকতা অন্বেষণ করেন নাই। ধার্মিকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে বাস করে এবং অন্যদের মঙ্গলের জন্য সুসমাচার প্রচার করে। পৌল বলেন যে, সবলেরা নিজেদের সন্তুষ্টির পরিবর্তে দুর্বলদিগের দূর্বলতা বহন করতে হবে। 
 ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসীরা অবশ্যই সুসমাচার প্রচার করবে কেন না তারা যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও রক্ত দ্বারা অন্যকে পাপ থেকে নিৰ্ম্মল করতে পারে। এই করণে যারা অলস এবং পাপীদের রক্ষার জন্য সুসমাচার প্রচার করে না তাদের ঈশ্বর কেন ঘৃণা করেন। অতএব আমরা অবশ্যই নিজেদের ধার্মিকতা প্রচার করব যেন পাপীরা বিশ্বাসের মধ্যদিয়ে রক্ষা পেতে পারে। আমরা অবশ্যই পরস্পরকে গেঁথে তুলব।
 
 

অন্যের ভিত্তির উপর যেন বিশ্বাসের গৃহ না গাঁথি

 
 ২০ পদে আছে,“আর আমার লক্ষ এই, খ্রীষ্টের না যে স্থানে কখনো উচ্চারিত হয় নাই, এমন স্থানে যেন সুসমাচার প্রচার করি, পরের স্থাপিত ভিত্তিমূলের উপরে যেন না গাঁথি।”
 পৌল যে সুসমাচার প্রচার করেছেন তার মধ্যে অদ্ভুত কিছু ছিল। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসীগণ জল ও আত্মার সুসমাচার কঠোর ভাবে চেষ্টা করা উচিত যেমন পৌল করেছিলেন। ঘটনা ক্রমে আমরা আমাদের নিজের পরিবর্তে অবশ্যই অন্যের মঙ্গল কামনা করব। লোকেরা যারা অন্যের মঙ্গল
কামনা করে বরং তারা খ্রীষ্টের সঙ্গে ক্রুশরোপিত ও তাঁর সঙ্গে পুনরুত্থিত হয়। যারা বিশ্বাস করে খ্রীষ্ট মরেন নাই কিন্তু জীবিত আছেন।
 “এই কারণ বশতঃ আমি তোমাদের নিকটে যাইতে অনেক বার নিবারিত হইয়া আসিতেছি, কিন্তু এখন এই সকল অঞ্চলে আমার আর স্থান নাই, এবং অনেক বৎসর ধরিয়া আকাংখা করিয়া আসিতেছি যে, স্পেন দেশে যাইবার সময়ে তোমাদের ওখানে যাইব; কারণ আশা করি যে, যাইবার সময়ে তোমাদিগকে দেখিব, এবং প্রথমে তোমাদের সহবাসে কতক পরিমাণে তৃপ্ত হইলে তোমরা আমাকে সেখানে আগাইয়া দিবে। কিন্তু এক্ষণে পবিত্রদিগের পরিচর্য্যা করিতে যিরূশালেমে যাইতেছি। কারণ যিরূশালেমস্থ পবিত্রদিগের মধ্যে যাহারা দীনহীন, তাহাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়েরা প্রীত হইয়া সহভাগিতা সূচক কিছু চাঁদা সংগ্রহ করিয়াছে। বাস্তবিক তাহারা প্রীত হইয়াই তাহা করিয়াছে; আর তাহারা উহাদের কাছে ঋণীও আছে; কেননা যখন পরজাতীয়েরা আত্মিক বিষয়ে তাহাদের সহভাগী হইয়াছে, তখন উহারাও সাংসারিক বিষয়ে তাহাদের সেবা করিবার জন্য ঋণী। অতএব সেই কর্ম্ম সম্পন্ন করিবার এবং মুদ্রাঙ্ক দিয়া সেই ফল তাহাদিগকে দিবার পর, আমি তোমাদের নিকট দিয়া স্পেন দেশে গমন করিব। আর আমি জানি, যখন তোমাদের নিকটে আসিব, তখন খ্রীষ্টের আশীর্ব্বাদের পূর্ণতায় আসিব”(রোমীয় ১৫:২২-২৯)।
 
 
পৌল ছিলেন ইতস্ততঃ ভ্রমণকারী প্রচারক এবং ঈশ্বরের মন্ডলীর তত্ত্বাবধায়ক
 
 যখন পৌল যিরূশালেম মন্ডলীর পথে যাইতে যাইতে। খ্রীষ্টিয়ানদের পরিচর্য্য করছিলেন, তিনি তাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছিলেন। পৌল যুক্ত করলেন যে কেননা যখন পরজাতীয়রা আত্মিক বিষয়ে তাহাদের সহভাগী হইয়াছে, তখন উহারাও সাংসারিক বিষয়ে তাহাদের সেবা করিবার জন্য ঋণী। যিরূশালেমের পবিত্রগণ ঐ সময়ে নির্যাতনের মধ্যে ছিলেন, এবং তাদের পার্থিব অভাব অনাটন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারছিলেন না। যিরূশালেম মন্ডলী যখন যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাস করে ভয়ানকভাবে নির্যাতন ভোগ করছিল তখন পরজাতীয় ভাই-বোনদের দ্বারা অসামান্য সান্ত্বনা পেয়েছিলেন। 
 অতীত কালের ন্যায় বর্তমান কালেও ঐতিহ্য গতভাবে ঈশ্বরের মন্ডলীতে তাদের সম্পদ নিজেদের মধ্যে ভোগ করার পরিবর্তে দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছে। বিশ্বাসীরা বিশেষ ভাবে আত্মায় পূর্ণ হয়েছে তারা একাকী বাস করতে পারে না। কেন? কারণ পবিত্র আত্মা তাদের অন্তরে বাস করেন। তারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত পবিত্র আত্মা কর্তৃক চালিত যিনি তাদের মধ্যে বাস করেন।
 ইহা বিস্ময়কর ব্যাপার যে, পরজাতীয় মন্ডলী যীরূশালেম মন্ডলীকে আত্মিক সমর্থন ও ভার বহন করেছিল। এটা ছিল পবিত্র আত্মার কাজ। পবিত্র আত্মা জল ও আত্মার সুসমাচারের জন্য ভার বহন করেছিল, কোন ব্যক্তিগত বিষয়ের জন্য নয় বরং প্রয়োজনীয় অনুদান মঞ্জুর করেছিল, ঐ সময়ে ইস্রায়েল দেশে অনেকে প্রতারিত হয়েছিল, কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল, এমন কি খ্রীষ্টকে তাদের মুক্তিদাতা রূপে বিশ্বাস করার কারণে হত হয়েছিল। 
 টিভি প্রামান্য চিত্রে আমরা প্রায়ই পাহাড়ের গুহায় সাক্ষ্যমরদের ভূগর্ভস্থ সমাধি ক্ষেত্র দেখতে পাই। হই ছিল সেই সময়ের যিরূশালেম মন্ডলী যে পরিনতি ভোগ করেছিল। ঈশ্বরের মন্ডলী কোন অসুবিধার সম্মুখীন হলে আমরা অবশ্যই আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
 আমরা পারস্পরিক সহযোগীতার গুরুত্ব প্রতিহত করি, যা সাম্প্রতিক মন্ডলীগুলিতে বিস্তার লাভ করেছে; কিন্তু ঐ সময়ে ছিল, যখন বিশ্বাসীরা নির্যাতনের হাত থেকে পলায়ন করে গুপ্তভাবে জীবন যাপন করছিল। কেবলমাত্র পবিত্র আত্মাই এই সব বিষয়ের সামাধান করতে পারেন। কারণ যিরূশালেম মন্ডলী ছিল নিগৃহিত, অন্যান্য মন্ডলীর সাহায্য করাই সাভাবিক ছিল, কারণ এটা ছিল পবিত্র আত্মার কাজ; যা ছিল সংহত ও সুন্দর।
 আপনি একজন ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসী, এরূপ কাজে ভালভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারেন, দি নিউ লাইফ মিশন এর মন্ডলীর সদস্যগণ তহবিল সংগ্রহ করে বিশ্বব্যাপী প্রচারের কালে বিনিযোগ করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই কিছু অর্থিক সংকটের সম্মূখিন হলে ও আত্মাগণকে রক্ষার জন্য সুসমাচার প্রচারে তারা খুবই উৎসুক।
 পৌল জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের সময় তাঁবু সেলাইয়ের কাজ করতেন। তাঁর স্থাপিত মন্ডলীর যখন কেহ তত্ত্বাবধান করত, তিনি তার কাছে মন্ডলীর দায়িত্ব অর্পণ করেন, এবং সুসমাচার প্রচারের জন্য অন্য অঞ্চলে চলে যেতেন-সমস্ত সময় তিনি তাঁবু সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
 ঠিক যেমন আপনি একাকী নিজের জন্য বেঁচে যাকেন না; আমাদের যাজকীয় সম্প্রদায় তাদের নিজেদের জন্য বেঁচে থাকে না। যাদের অন্তরে পবিত্র আত্মা বাস করেন তারা ঈশ্বরের কাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন-যেহেতু তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আমাদের মিশনের যাজকবর্গ ও নিয়মিত সদস্য উভয়েই “তাঁবু সেলাই বৃত্তি” এর মাধ্যমে সুসমাচার পরিবেশন করছে, ঘটনাস্থলে তারা তাদের নিজের চাকুরী করে ভরন পোষন করছে আবার একই সময়ে সুসমাচার প্রচার কাজে আর্থিকভাবে এবং স্বেচ্ছা সেবক হিসাবে উভয় ভাবেই সাহায্য করে।
 এইরূপে আমরা পৌলের যাজকত্বের মধ্যে এবং আজকের ঈশ্বরের মন্ডলীতে অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পাই। আমাদের মনের কাঠামো একই এবং পবিত্র আত্মার সন্তুষ্টি অনুসারে জীবন যাপন করে। যখন তীব্র শীত পড়ে তখন আমাদের মনের অবস্থা কেমন হয়? আমরা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গী খ্রীষ্টিয়ান এবং ঈশ্বরের দাসদের বিষয় চিন্তা করি; এবং তাদের শীতে কষ্ট পাওয়ার বিষয় জানাতে উৎসুক হই। আমরা নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানগণ একে অপরের তত্ত্বাবধান করি। বাইবেলের সব ধার্মিকগণ একে অপরের প্রয়োজন বোধ করেছেন এবং একত্রে ঈশ্বরের ধার্মিকতা পরিবেশন করেছেন। এই বিশ্বাসের জীবন হল ধার্মিকতগণের প্রকৃত জীবন। 
 আমরা এরূপে মন স্থির করেই জীবন যাপন করি। যখন আমরা প্রথম জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে শুরু করেছিলাম, আমরা দৈবক্রমে শুরু করেছিলাম, আমাদের কিছুই ছিল না। আমরা এমন অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিলাম যে আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করছিলাম। এমনকি চার্চ বিল্ডিং এর ভাড়া পরিশোধ করার জন্য মাত্র কয়েশ ডলার আমাদের হাতে ছিল। কিন্তু আমরা আমাদের এই দেশেই সর্বত্র সাহিত্য সেবায় নিজদিগকে উৎসর্গ করি।
 যখন আমরা অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মূখিন হই, তখন ঈশ্বর আমাদিগকে সমাধান দেন, আমাদিগকে আমাদের যাজকত্বের ফল দেখান অনুমোদন করেন। কারণ পবিত্র আত্মা আমাদের অন্তরে প্রতীক্ষারত থাকেন, আমাদের সুসমাচার প্রচারের আকাংখা আমাদের অন্তরে প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে, আমাদের সামনে অসুবিধাগুলো কোন ব্যাপার নয়। জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের দ্বারা আমরা হারানো আত্মাগণকে ঈশ্বরের প্রেমের অংশ দিতে চাই, ঠিক যেমন ভাবে ঈশ্বরের মন্ডলী এবং ধার্মিকগণ বাইবেল লিখেছিলেন।
 আমরা সাম্প্রতিক মন্ডলীগুলিতে নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানদের পরস্পর তত্ত্বাবধান করতে পারি, এবং আমরা সেরূপ করে থাকি। ইহা পবিত্র আত্মার প্রেরণা ছাড়া সম্ভব নয়, পবিত্র আত্মা নূতন জন্ম প্রাপ্ত উৎসর্গীকৃতদের মধ্য দিয়ে সমুদয় জগতে ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রচার করছেন; এবং এভাবেই করতে থাকবেন।
 
 
এমন কি আমরা শেষে দিনের সম্মূখীন !
 
 লোকেরা বলে যে আমরা শেষ যুগে বাস করছি, বাইবেলের সমস্ত জটিল ভাববাণীগুলো পূর্ণ হতে যাচ্ছে। 
 শেষ দিনগুলিতে আকষ্মিক মহা দূর্ষটনা এবং দুযোগ সমস্ত কিছু সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করবে। বিশ্বাসীগণ, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসে অবশ্যই আমারা দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকব এবং অত্যন্ত পরিশ্রম সহকারে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করব। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তারা এই শেষ যুগে এসে পরস্পরকে প্রেম করবে এবং অবশ্যই অন্তরে পরিচর্যা করতে থাকবে। জগতের কঠিন হৃদয়ের ন্যায় আমাদের নিজের হৃদয় অনুভুতিহীন হতে পারে, কিন্তু শেন পর্যন্ত আমরা এই পৃথিবীকে জয় করব, কারণ পবিত্র আত্মা আমাদের সঙ্গে আছেন। আর্থিক অবস্থা কোন ব্যাপার নয়, ঈশ্বরের মন্ডলী এবং আত্মাগণের পরিচর্যা করা আমাদের প্রযোজন। আমরা অবশ্যই তাদের পরিচর্যা করব যারা আমাদের সাহায্য কামনা করবে, আমাদের সঙ্গী ভাই-বোনদের বিষয় চিন্তা করব ও প্রেম করব এবং শেষ পর্যন্ত সুসমাচার প্রচার করব।
 আমাদের নিজের ধার্মিকতার অন্বেষণ করা অপেক্ষা রবং আমরা অন্যের পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই নিজদিগকে উৎসর্গ করব। সমগ্র পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত অনেক আত্মা আছে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের কথা কখনো শোনে নাই, এমনকি ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানবার সুযোগও পায় নাই। আমরা অবশ্য যুদ্ধেরত সৈনিকদের ন্যায় হারানো আত্মাগণকে ও জাতিকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা জয় করবার মত আমাদের মন স্থির করব। বল প্রযোগ করে এই সংগঠন আসে নাই, আমরা নৈতিক শক্তির প্রভাবে বাধ্য হচ্ছি, বরং ইহা স্বাভাবিকভাবেই অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা আমাদের অন্তরে ঐগুলি উত্থাপন করেন।
 পৃথিবীর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের মহান কার্যের দায়িত্ব ভারে আজ আমাদের অন্তর তৎপর। এই বিশ্বের আরও অসুবিধার বিষয় আপনাকে বলতে চাই, ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মাকে পর্যাপ্ত পরিমানে আমাদের উপর ঢেলে দিয়েছেন। যারা সত্যের জন্য তৃষিত, আমরা তাদের কাছে আমাদের মুদ্রিত এবং ইলেকট্রনিক বই এর মাধ্যমে বিনামূল্যে সুসমাচার প্রচার করব। আমরা সমগ্র বিশ্বা ব্যাহী ইন্টরনেটের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।
 যদিও আমেরিকান অথবা ইউরোপীয়দের মত আমাদের কোন সম্পদ নেই, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ সুসমাচার তাদেরকে এখনও দিতে পারি। আমরা পিতরের মত একই মনের অধিকারী, যিনি বলেছিলেন, “রৌপ্য কি স্বর্ণ আমার নাই, কিন্তু যাহা আছে, তাহা তোমাকে দান করি; নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের নামে হাঁটিয়া বেড়াও” (প্রেরিত ৩:৬)। 
 তারা যাহা জ্ঞাত ছিল না আমরা সেই ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ সুসমাচার আমরা বিনামূল্যে তাদেরকে দিতে পারি। যদিও বিশ্বব্যাপী পরিমান করলে দেখা যাবে আমরা তাদের অপেক্ষা অধিকতর ধনী নই, আমরা ঈশ্বরের দাসগণ যিনি ঈশ্বরের ধার্মিকতার অন্তভূক্ত সুসমাচার দিতে পারেন। যারা আমাদের যাজক বৃত্তির দ্বারা সুসমাচারের মধ্য দিয়ে এসেছেন মহান আশির্বাদের মধ্যে দিয়ে এই সুসমাচার জ্ঞাত হয়েছেন এবং বিশ্বাস করেছেন।
 এখন ইন্টারনেটের যুগ, এবং ঈশ্বর সমস্ত বিশ্ব উন্মুক্ত করে দিতে আমাদিগকে প্রস্তুত করেছেন। আমরা দেখছি-যখন তাদেরকে আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ সুসমাচার দিয়েছি তখন তারা কত কৃতজ্ঞচিত্তে ও আনন্দে পরিপূর্ণ। হারানোদের কাছে আমরা যখন ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচার প্রচার করা হয় তখন অন্ধকারাপন্ন পৃথিবী অধিক ক্ষমতাপন্ন ও কৃতজ্ঞ হয়েছিল। পৃথিবী কি এভাবে শেষ হবে, অথবা ঈশ্বর কি আমাদের এভাবে সুসমাচার প্রচার করার সুযোগ দিবেন? ইহাই তাই আমরা যে বিষয়কে ভাবি এবং প্রার্থনা করি। সব কিছুই পবিত্র আত্মা দ্বারা পবিত্র ভাবেই পরিপূর্ণ হবে।
 আমার নূতন জন্মের পূর্বে আমি মাংসের তত্ত্বাবধানে ছিলাম; আমি স্বার্থপর হিসাবে ব্যবহৃত হতাম। কেবল আমি নই, কিন্তু আমরা সকলে এমত ছিলাম। যদি কেহ মাংসের সন্তুষ্টির বিধানে বাস করে তারা প্রেমে চলছে বলে দাবি করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল তারা প্রকৃতভাবে অন্যকে প্রেম করতে পারে না। কারা পবিত্র আত্মা পেয়েছে এবং কারা পায় না ইহাই তাদের মধ্যে পার্থক্য। পাপীরা কেবল মাত্র তাদের নিজেদের জন্যই বেঁচে থাকে কিন্তু যারা পবিত্র আত্মার শক্তিতে বেঁচে আছে, বরং তারা বাস্তবিক অন্যের জন্য বেঁচে আছে। ত্রিত্ব ঈশ্বর তাঁর বিশ্বাসীদের অন্য আত্মা জনের জন্য বেঁচে থাকার ক্ষমতা দিয়েছেন। কারণ ঈশ্বর তাদের অন্তরে বাস করেন এবং তাদের পরিচালনা দেন, তারা যেন তাঁর পূণ্যবান কাজ করতে পারে।
 এই পৃথিবীতে কত মন্ডলী স্থাপিত হয়েছে এটা কোন বিষয় নয়; এদের মধ্যে প্রায় সকলেই জাগতিক সংস্থায় পরিনত হয়েছে। তারা তাদের অবিবেচনা প্রসূত মন্ডলী স্থাপন করতে টাকা ব্যয় করে না, এবং তাদের লক্ষ লক্ষ ডলারের বাজেট আছে, তথাপি তাদের সম্পদের অতি ক্ষুদ্র অংশ দাতব্য কাজে দেওয়া হয়ে থাকে। তারা এই পৃথিবী থেকে উন্মাদের মত অধিক সম্পদ উপার্জন করতে থাকে, পাপ থেকে আত্মাগণকে রক্ষা করার আসল কর্তব্য তারা নিকৃষ্ট ও গুরুত্বহীন মনে করে তা পরিত্যাগ করে। তারা ঈশ্বরের মন্ডলীর অংশ হতে পারে না, তাঁর মন্ডলী নিজের স্বার্থে ঈশ্বরের উর্ধে চলতে পারে না। 
 ঈশ্বরের প্রকৃত মন্ডলী এর সমস্ত সম্পদ স্বচ্ছতা ও সততার মধ্য দিয়ে হারানো আত্মাগণকে রক্ষার কাজে ব্যবহার করে। যেমন বাইবেল বলে, “ধন্য যাহারা দয়াশীল, কারণ তাহারা দয়া পাইবে” ( মথি ৫:৭ )। ঈশ্বর এই জগতে আত্মাগণকে পরিচর্যা করা ও তাদের পাপ মোচনের পথ দেখানোর হৃদয় আমাদিগকে দিয়েছেন, এবং তিনি সব কিছু সম্ভব করেই সৃষ্টি করেছেন। জল ও আত্মার সুসমাচার এখন একত্রে ৪০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত এবং ৬০টিরও বেশি নামে প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে, এদের প্রত্যেকটি যারা আধ্যাত্মিক মৃত্যুর সম্মুখিন তাদের কাছে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সাক্ষ্য বহন করছে। 
 এই পৃথিবীকে ভয়ংকর দুর্দশায় গ্রাস করা এবং এর শেষ হওয়ার পূর্বে অনেক পাপীকে রক্ষার নিমিত্তে আমরা যদি জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করি এবং ঈশ্বরের কাছে আন্তরিক ভাবে প্রার্থনা করি তাহলে তিনি কি সন্তুষ্ট হবেন না? আসুন, আমরা নিরুৎসাহ না হই কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতিশয় বিশ্বস্ত থাকি।
 অতীতে, দরীদ্রেরা পরস্পরের সাহায্যের দ্বারা বেঁচে থাকত। কিন্তু আমরা এখন সীমাহীন প্রতিযোগীতার যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে কেবল মাত্র সবলেরাই বেঁচে থাকতে পারে। আমরা এই সমকালীন লোকদের দিকে যখন তাকাই, আমরা আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে আত্মপ্রত্যয়ী হই যেন আমরা অবশ্যই যারা ইহা শোনে নাই তাদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করি। আমরা আন্তরিকভাবে সুসমাচার পরিবেশন করছি। যারা এই কঠোর পৃথিবীতে পরিশ্রান্ত ও ক্লান্ত তাদের অশেষ যন্ত্রনা থেকে শান্তি আনায়ন করবে। আমরা তাদের প্রতি জল ও আত্মার সুসমাচারের আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ বর্ষণ করি। আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকায় আমাদের বিশ্বাস হেতু খ্রীষ্টের জন্য বেঁচে থাকতে পারি, কারণ তিনি আমাদের সমস্ত পাপ
তুলে নিয়েছেন।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতায় পূর্ণ সুসমাচার আমরা দশগুণ, শতগুণ সহস্রগুণ ও লক্ষগুণ বেশি বেগে এখন প্রচার করব। আমাদের অনেক কিছু করনীয় আছে, সুতরাং আমরা বিশ্বস্ত হব। যারা বিচক্ষণ তারা তাদের প্রভুর বিচক্ষণতা দিয়ে প্রত্যেক আত্মার কাছে সুসমাচার প্রচার করবে। আমাদের প্রতি ঈশ্বর দত্ত বিচক্ষণতা অনুসারে আমরা অবশ্যই সুসমাচার প্রচার কাজ করব। আমাদের নিজের কোন ক্ষমাতা নেই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে আমরা যদি পবিত্র আত্মার অনুরূপ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে আমাদিগকে ভগ্নচূর্ণ করি, ঈশ্বর আমাদের সব ইচ্ছা মেনে নেবেন।
 খ্রীষ্ট পাপীদিগকে যে প্রেম করলেন তাঁর সেই সত্য প্রেম আমাদিগকে দিলেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় আমাদের বিশ্বাস দ্ধারা আমরা এই পৃথিবীতে পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই কারনে পৃথিবীতে বেঁছে থাকতে যত বেশি বাঁধাবিঘ্ন আসুক আমরা অবশ্যই আরো কঠোর ভাবে সুসমাচার প্রচারের কাজ করব। যারা এখনো ইহা শোনে নাই তাদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
 ঈশ্বর বলেন, “বালের সম্মূখে যাহারা হাঁটু পাতে নাই এমন সাত সহস্র লোককে আমি আপনার নিমিত্ত অশিষ্ট রাখিয়াছি” ( রোমীয় ১১:৪ )। এই পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যাদের জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করা প্রয়োজন। বস্তুত অনেক আত্মাগণ, পালকগণ, ধর্মতত্ত্ববিদগণ অথবা সাধারণ সদস্যগণ এদের মধ্যে যে কেউ উত্থিত হবে।
 খ্রীষ্টের প্রেমের কারণ আমরা সুসমাচারের জন্য কাজ করতে সমর্থ হব। আমরা তাদের দ্বারা অভিভূত হয়ে আরও অধিক কাজ করতে থাকবো।কিন্তু আমরা অধিক বিশ্বস্ত হবে এবং অনেক বাঁধা বিঘ্নের সম্মুখিন হলেও আমরা অধিক পরিশ্রমী হয়ে সুসমাচার প্রচার করতে থাকব। ইহাই খ্রীষ্টের হৃদয়। আমি প্রার্থনা করি যে আপনি, একজন ধার্মিক কেবল মাত্র নিজের জন্য চিন্তা করেন না। যদি আপনি কেবল নিজের জন্য চিন্তা করেন, তাহলে বিশ্বাসের অথবা প্রার্থনার কোন প্রয়োজন নেই কারণ আপনি হারানো আত্মাগণের জন্য কিছুই করছেন না বরং নিজে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যদি আপনি নিজের ভরণ পোষনের জন্য অর্থ উপার্জন করেন তখন অন্য আত্মাগণের মঙ্গলের জন্য কি ঘটবে? আপনি ঈশ্বরের সাহায্য কামনা করবেন কারণ আপনি দূর্বল। 
 এভাবেই আমাদের বিশ্বাস এবং প্রার্থনা বৃদ্ধি পাবে। এই কারণ ঈশ্বর বলেন, 
 “কেহ কেহ বিতরন করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে” (হিতোপদেশ ১১:২৪)।
 জল ও আত্মার সুসমাচার অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই হলো। খ্রীষ্টিয়ানদের সবচেয়ে ধার্মিক জীবন। আধ্যাত্মিক জীবন হল সত্য সুসমাচার প্রচার যা লোকদিগকে খ্রীষ্টের দিকে পরিচালিত করবে। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের এবং তাদের আত্মাগণের পরিচর্যা করি এবং সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী সুসমাচার প্রচার করি। ঈশ্বরের ধার্মিকতার আশির্বাদ আপনার সহবৰ্ত্তী থাকুক।
 হাল্লিলূয়া! আসুন আমরা আমাদের প্রভুর প্রশংসা করি! আমি তাকে ধন্যবাদ দিই তাঁর পূণ্যবান ও উত্তম কাজের জন্য এবং অন্ধকারের কর্ত্তৃত্ব থেকে আমাদিগকে মুক্ত করে পুত্রের রাজত্বে পরিচালিত করার জন্য।