Search

Bài giảng

বিষয় ১১: আবাস

[3-4] ঈশ্বরের হৃদয়কে সন্তুষ্টকারী দাসগণ ও সাধুগণ (প্রকাশিত বাক্য ৩: ৭-১৩)

ঈশ্বরের হৃদয়কে সন্তুষ্টকারী দাসগণ ও সাধুগণ
< প্রকাশিত বাক্য ৩: ৭-১৩ >
 
 
বর্তমান পৃথিবীতে ফিলাদিল্‌ফিয়ার মত যত মন্ডলী রয়েছে
 
প্রভু এখানে আমাদেরকে বলেছেন যে, এশিয়ার সপ্ত-মন্ডলীর মধ্যে ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলী ঈশ্বরের সবচেয়ে বেশী নিয়ন্ত্রানাধীনে ছিল৷
আজকের যুগেও আমরা দেখি যে, ঈশ্বর এশিয়ার সপ্ত-মন্ডলীকে ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীর মত করতে চান৷ তাদের মধ্যে দিয়ে কাজ করতে এবং তাদের দ্বারা সন্তুষ্ট হতে চান৷ এমনকি আজকের সময়েও যে সমস্ত মন্ডলী ঈশ্বরের শাসনাধীনে, সেগুলো জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছে৷
তখনকার মত বর্তমানেও যে সমস্ত সাধুগণ ঈশ্বরে বিশ্বস্ত, যদিও তাদের ক্ষমতা সীমিত, তারা মন্ডলীর অধীনে, যারা ঈশ্বরের জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করে৷ এইরূপ কার্যকারীদের দ্বারা প্রভু সন্তুষ্ট৷ তাদের কেউই অন্য দেবতার ভাববানীতে মুগ্ধ হবে না, বা তাদের কাছে হাত পাততে হবে না৷ তাদের কেউই তাদের কথার দ্বারা পুরস্কৃত হবে না, বা প্ররোচনার শক্তিতে থেমে যাবে না৷ তারা একমাত্র যা করবে তা হল, তারা বিশ্বাস করে ও প্রচার করে যে, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু একাই আমাদের সমস্ত পাপ একেবারে তাঁর উপরে তুলে নিয়েছেন এবং খ্রীষ্টের ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে আমাদের পাপের বিচার তাঁর মধ্যে চলে গেছে৷
যারা ঈশ্বরকে অনুসরণ করে, তাঁর আরাধনা করে, এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছা পালন করে, এই বিশ্বাসীদের থেকে এই কার্যকারীরা কম নয়৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করে, তারা জাগতিকভাবে ধনী নয়৷ কিন্তু তাদের অন্য ধন আছে৷ তাদের যা কিছু বিশ্বাস এবং শখ, তা হল, জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা৷ তারা বিশ্বাস করে যে, সুসমাচার প্রচারের কাজ হচ্ছে, তাই যা প্রভুর হৃদয়কে সন্তুষ্ট করে৷ বাস্তবিক এর জন্যই যোহনের দ্বারা যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন এবং আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিতে তিনি পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা শুধুই প্রভুর ধন্যবাদ করে এবং একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে৷
আমরা যেটা চাই তা হল, জল ও আত্মার সুসমাচার প্রত্যেকের কাছে প্রচারিত হোক এবং প্রত্যেকে পাপ থেকে মুক্ত হোক৷ ঈশ্বর সারা পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে আমাদেরকে অদ্ভুতভাবে নিয়োগ করেছেন, আর তিনি আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছেন যাতে অনেক ফল উত্পন্ন হয়৷ এছাড়াও তিনি আমাদেরকে বিশ্বাস প্রদান করেছেন, যার সাহায্যে শেষ সময়ে আমরা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করতে পারি এবং রূপান্তরের আশীর্বাদ ও সহস্রাব্দের রাজ্যের জীবন প্রদান করেছেন৷ ঈশ্বর প্রভুর সাক্ষাতে আমাদের জন্য সাক্ষ্যমরের মৃত্যু অনুমোদন করেছেন এবং তিনি আমাদেরকে প্রথম পুনরুত্থানে অংশগ্রহন এবং স্বর্গীয় গৌরবে পরিপূর্ণ হতে অনুমোদন করেছেন৷
আমরা যারা ঈশ্বরের প্রেমের মন্ডলীতে আছি, তারা এখন জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের জন্য উত্সর্গীকৃত৷
আসুন চিন্তা করি, আমরা কিভাবে সমগ্র পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারি৷ ঈশ্বর তাঁর মন্ডলীগণকে বলেছেন যে, সুসমাচারের দরজা ইতিমধ্যে খোলা হয়ে গেছে৷ কারণ ঈশ্বর যা নির্ধারণ করেছেন, কেউ তা থামাতে পারবে না৷ তিনি অবসম্ভাবীরূপে সমস্ত কিছু পূর্ণ করবেন৷
আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর বাপ্তিস্মের সুসমাচার সমগ্র বিশ্বে প্রচার করার অনুমতি দিয়েছেন৷ এমনকি আজকে এই পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার বিস্তারের জন্য তাঁর মন্ডলীগণ আশীর্বাদযুক্ত হয়ে আছে৷ যখন তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের দিকে তাকানো হয়, তারা হয়তো ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে৷ কারণ তাদের হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদের প্রেম পাওয়া যায়, ঈশ্বর তাদেরকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছেন এবং তাদের মধ্য দিয়ে কাজ করছেন৷
পৃথিবীর এই ধরনের মন্ডলীগুলো পৃথিবীর জন্য মহা প্রত্যাশার৷ ঈশ্বর তাদেরকে বিশ্বাসের সাথে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিস্তারের কার্য প্রদান করেছেন, আর তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে, তারা যা করবে, কেউ তার প্রতিরোধ করতে পারবে না৷ পৃথিবীর সর্বত্র তারা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছে, এবং এই সুসমাচার এভাবে সমগ্র জগতে বিস্তার লাভ করবে৷ ঈশ্বর তাদেরকে শক্তিমান করবেন, রক্ষা করবেন এবং তাদের সাথে কাজ করবেন৷ আমরা এখন দেখি যে, যারা এই কাজের সাথে যুক্ত এবং পৃথিবীর সমগ্র জাতিকে দৈহিক এবং আত্মিক উভয়ভাবে সুসমাচার বিস্তার করেছে৷ ঈশ্বর তাদেরকে আশীর্বাদ করেন৷ 
আমরা পৃথিবীর প্রত্যেক প্রান্তে আমাদের বই ও ই-মেল বইয়ের মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি৷ আমরা এই কাজ পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত করব, আর প্রভু এই পৃথিবীতে খ্রীষ্টের রাজ্য পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাবেন৷ সাহিত্যের মাধ্যমে পৃথিবীর ৬ বিলিয়ন লোকের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে প্রভু আমাদের সক্ষম করবেন৷ ঈশ্বর আমাদের সকলকে আশীর্বাদ করুন!
ঈশ্বরের সন্তুষ্টিজনক কাজ করতে আমাদের আত্মিক যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক৷ এরূপে আমি ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন তাঁর দাসগণকে আশীর্বাদ করেন এবং দৃঢ়রূপে ধরে রাখেন৷ প্রভুর মত বিশ্বস্ত আর কেউ নেই৷ আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে অন্য কোনো সত্য নেই, এমনকি একটিও নেই, যা পরিস্কার বা যথার্থ আনতে পারে, যে সত্য সুসমাচারে আমরা বিশ্বাস করি, জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের কাছে তা এনেছে৷
 
 
যারা জয় করে, ঈশ্বরের আশীর্বাদযুক্ত বাক্য-প্রকাশিত বাক্যের পুস্তক তাদেরকে দেওয়া হয়েছে
 
“যে জয় করে, তাহাকে আমি ঈশ্বরের জীবনবৃক্ষের ফল ভোজন করিতে দিব।” এই সত্যের অর্থ হল যে, ঈশ্বর এরূপ লোকেদের তাঁর সহস্রাব্দের রাজ্যে বাস করতে অনুমতি দেবেন৷ “যে জয় করে” এখানে তাদেরকে বলা হয়েছে, শেষ সময়ে বিশ্বাসের মাধ্যমে যারা খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের দ্বারা বিশ্বাস রক্ষা করে, আর আজকের সময়ের জন্য, যারা সত্য বাক্য বিশ্বাসের মাধ্যমে ভ্রান্ত সুসমাচারের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জয় লাভ করে৷ আমরা অবশ্যই সারা পৃথিবীতে আমাদের প্রচারিত জল ও আত্মার সুসমাচারের উন্মাদনায় জয় লাভ করব৷ আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার বাক্যে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত মিথ্যাবাদী এবং ভ্রান্ত মতবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করব এবং জয় লাভ করব৷ 
মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং জয় লাভ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্য গভীরভাবে ধ্যান করতে হবে৷ এখন যদি আমাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস থাকে এবং আমাদের সমস্ত পাপ পরিস্কার হয়ে থাকে, তাহলে এই মুহূর্ত থেকে মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ শুরু হবে৷ যারা সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা ভ্রান্ত সুসমাচারে বিশ্বাসকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং জয়ী হবে৷
আমরা অবশ্যই সর্বদা এরূপ ভ্রান্ত সুসমাচার অনুসারীদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করব৷ কেন? কারণ জল ও আত্মার সুসমাচারের শক্তি তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসকে ধ্বংস করে দিতে পারে, তাদের কাছে নূতন জীবন আনয়ন করতে পারে৷ বাইবেল আমাদেরকে উত্তমের দ্বারা মন্দের উপরে জয়ী হতে বলে৷ এরূপে আমরা অবশ্যই কখনই আধ্যাত্মিকতার উত্তম যুদ্ধ বন্ধ করব না, যা এই আত্মাগুলোকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করে৷ 
আমাদের এই আত্মিক যুদ্ধের মধ্যে আত্মার পরিত্রাণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং জয়লাভ করার দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে অনন্তজীবনের সমস্ত ফল প্রদান করতে পারি৷
 
 
ডুমুর গাছের দৃষ্টান্ত থেকে প্রভু আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন
 
ডুমুর গাছ ইস্রায়েল জাতির প্রতীক৷ প্রত্যেকে জাতিরই একটি জাতীয় ফুল বা গাছ রয়েছে, ইস্রায়েলের জন্য ডুমুর গাছই এর প্রতীক৷ এটা আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে যে, যখন ইস্রায়েল জাতি ঘন পত্রশোভিত ডুমুর গাছের মত বিস্তৃতি লাভ করবে, জগতের শেষ সময় তখন খুবই সন্নিকট হয়ে পড়বে৷ বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, প্রভু পুনরায় আসবেন যখন ইস্রায়েল জাতি এই জগতে পুনরায় গঠিত এবং শক্তিশালী হবে৷ 
আজকের দিনের সংবাদপত্রগুলো ইস্রায়েলের এবং ফিলিস্তিনীদের সংঘর্ষের খবরে পূর্ণ থাকে৷ ইস্রায়েল বর্তমানে তাদের ঐতিহাসিক অধিকারভুক্ত রাজ্যের অবস্থানে, মহাশক্তিধর অবস্থায় আছে৷ ভবিষ্যতে ইস্রায়েলের উত্থান বা পতন হোক সবই ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে পূর্ণ হবে৷ আর যখন ইস্রায়েল এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে, আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এখনই সেই সময়, যখন প্রভুর দ্বিতীয় আগমন এই পৃথিবীতে সিদ্ধ হবে৷ বাইবেল যেমন বলে যে, ডুমুর গাছ যখন ঘন পত্রে শোভিত হবে, তিনি বলেন, শেষ সময়ে ইস্রায়েলীয়রা পুনরায় গঠিত এবং উন্নত হবে৷ আরও বলা হয়ছে, শেষ সময়ে আকস্মিক দুর্ঘটনা হবে, যেটা পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশে মহামারীর আকারে হবে৷
ঈশ্বর প্রত্যেককে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে এবং বিশ্বাস রাখতে বলেছেন৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের উপরে ঈশ্বরের সমস্ত উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে৷ এরূপে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে৷ প্রভু আমাদেরকে বলেছেন, “কিন্তু তোমরা সর্ব সময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্য পুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে শক্তিমান হও” (লূক ২১:৩৬)৷ আমাদের নিজেদের শক্তি দ্বারা আমরা মহাক্লেশ এড়াতে পারি না, যা আসছে৷ কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা এটা জয় করতে পারি৷ আমরা এখন নিজেরা একটা অবস্থার মধ্যে নিজেদেরকে খুঁজে পাই, যেখানে আমরা নিকটবর্তী মহাক্লেশের সময়ের জন্য আমরা অবশ্যই আমাদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত করব৷
যদি খ্রীষ্টিয়ানরা ভাবে যে, যখন শেষ সময় আসবে, তখন তারা মহাক্লেশের মধ্যে থাকবে না, তাহলে তাদের বিশ্বাসে মারাত্মক ভুল আছে৷ আমরা অবশ্যই প্রাক- মহাক্লেশের রূপান্তরের মতবাদে বিশ্বাস করি না৷ শাস্ত্রের পক্ষে এই মতবাদ বাইবেলের সত্য থেকে আলাদা, বিশেষ করে প্রকাশিত বাক্য পুস্তক থেকে, এই মতবাদ আমাদেরকে বলে যে, যখন সাত বছরের মহাক্লেশের প্রথম সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হবে, তখন সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু আসবে৷ সাধুগণ সাত বছরব্যাপী মহাক্লেশের সময়ে প্রবেশ করবে, এটা ভাবা সাধুগণের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক এবং ভুল বিশ্বাস ধারণ করা হবে৷ আপনাকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, তারাও মহাক্লেশের মধ্যে থাকবে৷
সম্পূর্ণ ঈশ্বরের বাক্যের বিবেচনায় ধার্মিকেরা এই পৃথিবীতে কতদিন বাস করবে? তারা ততদিন বেঁচে থাকবে, যতদিন না পর্যন্ত শয়তান পাপীদের তার চিহ্ন গ্রহণ করতে হুকুম করে এবং খ্রীষ্টারীর সৈন্য দ্বারা সাধুগণ সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করে৷ এটাই ঈশ্বরের প্রকাশিত সত্য এবং সঠিক বিশ্বাস৷
 
 

শেষ সময়ে মহা আত্মিক যুদ্ধ আসবে

 
ঈশ্বর অনুমোদিত মহাক্লেশের সময়ে ধার্মিকের ফল, বিশ্বাস পরিষ্কারভাবে প্রদর্শিত হবে৷ আপনাকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ব্যতীত, শেষ সময়ে আপনি শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সত্য বিজয় লাভ করতে পারবেন না৷ কিন্তু এই সময়ে আরো পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করবেন যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস হেতু ধার্মিকেরা চূড়ান্ত বিজয়ের অধিকারী, এমনকি তারা পৃথিবীর নিকটবর্তী শেষান্তে তারা সত্যই বিজয়ী হবে৷ এরূপে শেষ সময়ে পৌঁছানোর পূর্বেই সমগ্র পৃথিবীতে আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের কাজ পূর্ণ করতে হবে৷
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচার, সত্যের বাক্য আমাদের সঙ্গে আছে, যা আমাদেরকে চূড়ান্ত বিজয় প্রদান করতে পারে৷ ঈশ্বর পূর্বেই পরিষ্কারভাবে পৃথিবীকে তার মৃত্যুর কথা বলেছেন৷ আমাদেরকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, প্রভু যে সময়ে আগমন করবেন, তখন তিনি সাধুগণকে স্বর্গে তুলে নেবেন, আর তখনও যারা পৃথিবীতে থেকে যাবে, তাদের উপরে তিনি মহা বিপর্যয় আনবেন৷ এরূপে সত্য বিশ্বাসের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা অবশ্যই শেষ সময়কে গ্রহণ করব। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে। ঈশ্বর তাদেরকে সহস্রাব্দের রাজ্যের জন্য বিশ্বাসে প্রতীক্ষা করতে বলেছেন, ঠিক যেমন তিনি নোহের সময়ে বলেছিলেন যে, লোকেরা যখন পানাহারে ব্যস্ত থাকবে, সেই সময়ে পৃথিবীর শেষ হবে৷
জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ব্যতিত লোকেরা পৃথিবীর শেষ সময়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবে না৷ সবকিছুর দ্বারা আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করব৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা মোটেই ঈশ্বরের থেকে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে না৷ শেষ সময়ের চূড়ান্ত ধাপে ঈশ্বর পৃথিবীর উপরে সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী আনয়ন করবেন৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিচার থেকে বাদ পড়বে না, তাদেরকে অবশ্যই এখন এই সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে৷ 
অতএব, ঈশ্বরের এই বিচার এড়াতে, জল ও আত্মার সুসমাচারের বিষয় শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন এবং সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাকে (নারী/পুরুষ) এটা বিশ্বাস করতে হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচার প্রত্যেকের জন্য পরিত্রাণের সত্য৷ জল ও আত্মার এই সুসমাচার ব্যতীত ঈশ্বরের সম্মুখে আর কোনো সত্য সুসমাচার নেই৷ পূর্বের চেয়ে বর্তমান পৃথিবীর পাপের সংস্কৃতির মাধ্যমে পাপের গভীরতার জন্য জল ও আত্মার সুসমাচার অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন৷
এই যুগের ভবিষ্যতের আর কোনো নিশ্চয়তা নেই, লোকেরা প্রতিদিন পাপ করার মাধ্যমে জীবনযাপন করছে, এবং শুধুমাত্র তাদের সন্তুষ্টির দিকে ধাবিত হচ্ছে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে মানবজাতির জন্য সত্য প্রত্যাশা পাওয়া যায়, আর একমাত্র এই বাক্যই আমাদেরকে সত্য প্রত্যাশা প্রদান করতে পারে৷ তত্স্বত্তেও এই পৃথিবী এমন যে, ঈশ্বরের অনুসন্ধান করে না৷ আমরা যেরূপ পাপে পূর্ণ, সেরূপে শীঘ্রই আমরা আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হব, আপনাকে সমস্ত হৃদয় দিয়ে যীশু প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে৷ তাহলে আপনি ঈশ্বরের ভয়াবহ বিচার থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন৷ বাইবেল প্রতেককে সতর্ক করে দিয়েছে, তাদের পাপের জন্য অনুতাপ করতে, ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসতে এবং জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করতে৷
শেষ সময় এমন সময়, যখন লোকেরা এটা বুঝতে পারা ব্যতীতই পাপে পানাহার করতে করতে অগ্নি ও গন্ধকের হ্রদে প্রবেশ করবে৷
লোকেদের অবশ্যই তাদের পাপ থেকে মুক্তির জন্য ঈশ্বর প্রদত্ত পরিত্রাণ গ্রহণ করতে হবে, কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচার জানা ব্যতীত কিভাবে তারা তাদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে? প্রত্যেকে অবশ্যই জানে যে, তাকে (নারী/পুরুষ) তার পাপের কারণে ঈশ্বরের ভয়াবহ বিচার গ্রহণ করতে হবে এবং বোঝে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারই পাপমোচনের সত্য এবং আশীর্বাদের বাক্য৷ 
কোন তারিখ এবং ক্ষণে পৃথিবীর শেষ সময় আসবে, সে সম্পর্কে বাইবেল আমাদেরকে কিছুই বলে নি৷ পৃথিবী ধ্বংসের ক্ষণ ঈশ্বরই জানেন৷ ঈশ্বরের শেষ ক্ষণ প্রকাশ আমাদের জন্য মহা দুর্ভিক্ষ বয়ে আনবে৷ এই কারণে ঈশ্বর মানুষের থেকে তাঁর বিচারের দিন গোপন রেখেছেন৷ কিন্তু যখন ঈশ্বরের নিরূপিত সময় আসবে, তাঁর দ্বারা সবকিছুই সিদ্ধ হবে, আর তখন সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবীর আরম্ভ হবে৷
মূল অনুচ্ছেদে ঈশ্বর বলেছেন, “তুমি আমার ধৈর্য্যের কথা রক্ষা করিয়াছ, এই কারণ আমিও তোমাকে সেই পরীক্ষাকাল হইতে রক্ষা করিব, যাহা পৃথিবীনিবাসীদের পরীক্ষা করিবার জন্য সমস্ত জগতে উপস্থিত হইবে।” এই বাক্য ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা যে, তিনি সাধুগণকে সপ্ত-মহামারী থেকে রক্ষা করবেন, যা তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে আসবে৷ যাহোক, এর অর্থ এই নয় যে, তিনি সাক্ষ্যমরের মৃত্যু থেকে সাধুদের বাদ দেবেন বা শেষ কালে খ্রীষ্টারী দ্বারা নির্যাতিত করবেন৷ বিপুল সংখ্যক লোকের পাপের প্রায়শ্চিত্ত না থাকার কারণে এবং জল ও আত্মার সত্যে বিশ্বাস না থাকার জন্য ঈশ্বরের ভয়াবহ বিচারের সম্মুখীন হবে৷ ফলে, তাদের পাপপূর্ণ আত্মা নরকে নিক্ষিপ্ত হবে৷ কিন্তু ঈশ্বর শীঘ্রই সাধুদের সাক্ষ্যমর করবেন৷ সাক্ষ্যমরের মৃত্যু হল তাই যা, ভয়ঙ্কর মহামারী থেকে রক্ষা করে৷ 
 
 
মহাক্লেশের শেষ সময়ে লোকেরা কি প্রকারের চিহ্ন গ্রহণ করবে?
 
বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, লোকেরা খ্রীষ্টারীর নাম ধারণকারী চিহ্ন গ্রহণ করবে, কিন্তু প্রকাশিত বাক্য আমাদেরকে আরো বলেছে যে, যারা তাদের কপালে বা ডান হাতে খ্রীষ্টারীর নামের চিহ্ন গ্রহণ করবে তারা অগ্নি ও গন্ধকের হ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ খ্রীষ্টারীর নামের এই চিহ্ন গ্রহণের মাধ্যমে তারা শয়তানের অনন্তকালের দাসে পরিণত হবে৷ যাদের পাপ রয়েছে, তাদের জন্য অগ্নি ও গন্ধকের হ্রদ সঞ্চিত৷
অনুগ্রহের যুগ এখন চলে যাচ্ছে, যখন বিশ্বাসের মাধ্যমে লোকেরা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে৷ বাইবেলে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, শেষ সময়ে অগনিত সাক্ষ্যমরেরা উঠবে৷ কারণ সাক্ষ্যমরদের নাম জীবন-পুস্তকে লেখা রয়েছে, তারা স্বাভাবিকভাবেই খ্রীষ্টারীর নামের চিহ্ন থেকে বাদ পড়বে৷
ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা সবাই সেই সময় সাক্ষ্যমর হবে৷ যাদের ধার্মিকতা আছে, তারা শেষ সময়ে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করতে ভয় করবে না৷ কিন্তু পরিবর্তে তারা অবশ্যই সহস্রাব্দের রাজ্যের জন্য ঈশ্বরের ধন্যবাদ করবে৷ যা তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷
কেননা খ্রীষ্টারীর নামের চিহ্ন গ্রহণ করা বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজ, যা প্রভুকে অস্বীকার করার সামিল৷ আমরা অবশ্যই এটা পরিহার করব৷ এই সময় ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখা এবং ঈশ্বরকে গৌরব করার জন্য আমরা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময়ে সকলে উঠতে পারি৷ আমাদের প্রভু আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি সাধুগণকে সমস্ত সমস্যা জয় করার শক্তি প্রদান করবেন৷
 
 

কিভাবে এবং কখন পর্যন্ত ঈশ্বরের জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা উচিত?

 
আমাদের প্রভু কতদিন পর্যন্ত আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করার অনুমতি দিয়েছেন? উত্তর হল, মহাক্লেশে আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় পর্যন্ত৷ ঈশ্বর ধার্মিকদের জন্য জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের দরজা বিস্তৃতভাবে খুলে দিয়েছেন, যাতে তারা তখন পর্যন্ত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারে৷ তাদের সাক্ষ্যমরত্বের এই সময় পর্যন্ত, ধার্মিকেরা অবিরত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে থাকবে৷ এটা তখন পৃথিবীর উপরে ভয়ঙ্কর মহামারীর মাধ্যমে ধাবিত হবে৷ 
বর্তমানে এখন ধার্মিক ও পাপীরা প্রভুর প্রদত্ত সুন্দর প্রকৃতি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে জীবনযাপন করছে৷ মহাক্লেশের সময়ে পৌঁছানোর সময় পর্যন্ত ধার্মিকেরা অবশ্যই খাঁটি বিশ্বাস রক্ষা করবে এবং জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারে রত থাকবে এবং প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করবে৷ ধার্মিকদের প্রয়োজন সুসমাচার প্রচারের কৃষিকাজ করা৷
শেষ সময়ে. যখন সেই পশুর চিহ্ন আমাদের বলপূর্বক গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে, আমরা অবশ্যই প্রভুর প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে পার্থিব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব এবং জয় লাভ করব৷ শেষ সময়ে যখন আমরা খ্রীষ্টারী দ্বারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করব, তখন আমাদের বিশ্বাসের বিজয় হবে৷ ধার্মিকের সমস্ত জীবন যাপন ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল৷ যদি তারা প্রভুর বাক্যে বিশ্বাস করে, তিনি তাদেরকে পরীক্ষাকালে রক্ষা করবেন, আর যদি পৃথিবীর শেষ সময় পর্যন্ত সুসমাচার প্রচার করে, ঈশ্বর তাদেরকে বিজয়ী জীবন প্রদান করবেন৷ ধার্মিকেরা অবশ্যই আজকে বা আগামীকাল সমস্ত স্থানে সত্য পরিত্রাণের সুসমাচার প্রচার করবে৷ 
যখন প্রভু সহস্রাব্দের রাজ্য আমাদের কাছে আনয়ন করবেন, আমরা সবাই অবশ্যই প্রভুর পুনরাগমনের জন্য প্রতীক্ষা করব এবং তাতে পুরস্কারের নিমিত্ত বিশ্বস্ত থাকব, যা আমাদের জন্য প্রতীক্ষা করছে৷ যখন প্রভু এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তখন ধার্মিকগণকে সহস্রাব্দের রাজ্য প্রদান করবেন৷ ধার্মিকেরা তখন প্রভুর সাথে একসাথে ঈশ্বরের দ্বারা গৌরাবন্বিত হবে৷
কিন্তু বর্তমানের জন্য, এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, যখন আমরা এরূপ করতে সক্ষম হব না৷ তাই সুসমাচার হল, যা পাপীদের তাদের পাপ থেকে রক্ষা করে, জল ও আত্মার সুসমাচার হল সত্য পাপমোচনের সুসমাচার৷
পৃথিবীর শেষ না হওয়া পর্যন্ত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করলে ধার্মিকেরা প্রভুর সাথে সাক্ষাত করবে ও অনন্তকাল প্রভুর সাথে থাকবে৷ আমি বিশ্বাসে প্রভুর ধন্যবাদ করি৷ আমাদেরকে এই প্রত্যাশা প্রদান করার জন্য প্রভুর আরো ধন্যবাদ হওয়া উচিত৷
 
 
ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলী ছিল প্রভুর বিশেষ প্রিয় মন্ডলী, যে কিঞ্চিৎ শক্তি থাকা সত্ত্বেও যীশুর নাম অস্বীকার করেনি এবং ঈশ্বরের বাক্য পালন করেছে
 
ঈশ্বর ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীকে পরীক্ষা দিতে তাঁর বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেছেন৷ এই আশীর্বাদ পাপমোচনের আশীর্বাদ, সহস্রাব্দের রাজ্যে বাস করার আশীর্বাদ এবং ঈশ্বরের অনন্ত রাজ্যে বাস করার আশীর্বাদ৷ যে খ্রীষ্টিয়ানরা এখনও পাপী আছে, তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদের বাইরে থাকবে৷ কিন্তু ধার্মিকেরা সহস্র বছর রাজত্ব করবে৷
প্রভু ধার্মিকদেরকে তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর মাধ্যমে এই পৃথিবী থেকে তুলে নেবেন, এবং পৃথিবীর উপরে চরম মহামারী প্রবাহিত করবেন৷ ঈশ্বর এইরূপে ভালো থেকে মন্দের প্রভেদ করবেন এবং পাপীদের বিচার ও ধ্বংস করবেন৷ ঈশ্বর ধার্মিকদের প্রেম করেন, যদিও তাদের শুধু কিঞ্চিত শক্তির মাধ্যমেই তারা তাঁর বাক্য পালন করে এবং পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করে৷ যে সমস্ত সাধুদের এ প্রকার বিশ্বাস ছিল এবং যারা এই ধরণের মন্ডলীতে ছিল, তারা সত্যই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়েছিল৷ ঈশ্বর এই ধার্মিক সাধুগণের দ্বারা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন৷
ঈশ্বর বলেন যে, যারা তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও জয়লাভ করে, তিনি তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন৷
এই পৃথিবীতে অনেক খ্রীষ্টিয়ান আছে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে বলে দাবি করে, তথাপি শয়তানের দ্বারা প্রতারিত হয়৷ পরিত্রাণের কার্য, যা যীশুর এই পৃথিবীতে আসার মাধ্যমে সমস্ত পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করে, সেটা তাঁর দুটি ধার্মিকতার কার্য দ্বারা অর্জিত হয়েছিল৷ এই পরিত্রাণের বিশ্বাসের কাজগুলি হল, তিনি যর্দ্দন নদীতে তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর উপরে তুলে নিয়েছিলেন এবং তিনি এই সমস্ত পাপ ক্রুশের উপরে বহন করার দ্বারা তাঁর নিজ রক্তের মাধ্যমে এই পাপের কারণে বিচারিত হওয়ার দ্বারা তাঁর কাজের পূর্ণতা সাধন করেছেন, এটাই পরিত্রাণের সুসমাচার, পাপ মোচনের সুসমাচার, যা পাপীদেরকে রক্ষা করেছে৷
কিন্তু যার বিশ্বাসের অভাব আছে, “যে কেউ যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস ব্যতীত নিস্পাপ হওয়ার দাবি করে,” এরূপ বিশ্বাস ভ্রান্ত৷ অন্যদিকে, কিছু লোক দাবি করে যে, তারা যীশুকে যেমন ভালবাসে অন্যকেউ তেমন বাসে না, কিন্তু সেই সাথেই তারা নিজেদেরকে পাপী হিসাবে বর্ণনা করে৷ কিন্তু আমাদের প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসকারী ব্যতীতকখনও অন্য কাউকে স্বর্গে অনুমোদন করবেন না৷ তিনি তাঁর জীবন পুস্তকে পাপীদের নাম লেখেন না৷ একমাত্র যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদের নাম প্রভুর জীবন পুস্তকে লেখা আছে৷
ঈশ্বর-দেয় পরিত্রাণ, “একজন যা করে” এর দ্বারা অর্জিত হয় না৷ পরন্তু, “একজন যা বিশ্বাস করে” তার দ্বারা অর্জিত হয়৷ এই বিশ্বাস প্রথমেই স্থাপন করতে হবে যে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র এবং আমাদের ত্রাণকর্তা৷ দ্বিতীয়ত যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করা আমাদের পরিত্রাণের নিমিত্ত সম্পূর্ণ এবং অপরিহার্য কাজ৷ এছাড়া আমরা অবশ্যই খ্রীষ্টের পুনরুত্থান এবং তাঁর দ্বিতীয় আগমনে বিশ্বাস করব৷
মথি ৭:২১-১৩ পদে বলা হয়েছে, “যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে। সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য্য করি নাই? তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।” কেন ঈশ্বর এই লোকেদেরকে অস্বীকার করবেন? কেননা পাপসহ তাদের নাম প্রভুর জীবন পুস্তকে থাকতে পারে না৷ আজকাল অনেকে আছে যারা যীশুকে তাদের মুক্তিদাতা হিসাবে বিশ্বাসের ঘোষণা করে কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে না৷, যা তিনি যোহনের নিকট গ্রহণ করেছিলেন৷
এরূপে তাদের নাম জীবন পুস্তকে লেখা হয় নি৷ এই পাপীরা তাদের পাপ বহন করে চলেছে, তথাপি তারা প্রভুর স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে৷ কিন্তু তারা এতে প্রবেশ করতে পারে না৷ কিছু লোক এতই দুঃসাহসী যে, তারা বিশ্বাস করে, তাদের যদিও পাপ থাকে, তথাপি তারা স্বর্গে প্রবেশ করবে৷ এরূপ লোকেরা ঈশ্বর প্রদর্শিত পরিত্রাণে বিশ্বাস করে না৷ কিন্তু তারা তাদের গর্ব দ্বারা নির্মিত নিজস্ব মতবাদে বিশ্বাস করে৷ যাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত এবং বিশ্বাস করে না যে, যীশুই ঈশ্বর, নতুবা এই বিষয়ে বিশ্বাস করে না যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, নতুবা বিশ্বাস করে না যে, তিনি ক্রুশের উপরে সমস্ত পাপ বহন করেছেন৷ এই সমস্ত লোকেরা যীশু খ্রীষ্টকে শুধুমাত্র পৃথিবীর চারজন মহাবিজ্ঞ ব্যক্তিদের একজন হিসাবে বিশ্বাস করে৷ এরূপ লোকেরা পাপী, যদিও তারা যীশুকে তাদের ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করে৷ যাহোক, এই পাপীদেরকে দেবার জন্য প্রভুর কিছু রয়েছে৷ আপনি হয়তো জিজ্ঞাসা করবেন, কিন্তু কি? ভালো কিছুই নয়, নরক তাদের জন্য প্রতীক্ষা করছে৷
আমরা যারা ধার্মিক, যাদের পাপ ক্ষমা হয়েছে, আমরা অবশ্যই জল ও আত্মায় বিশ্বাসের মাধ্যমে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব এবং জয়লাভ করব৷ ধার্মিকেরা যেটা বিশ্বাস করে তা কলুষিত সত্য নয়৷ লোকে যাই বলুক না কেন, যতদিন না প্রভুর দিন আসছে, আমরা কখনই সত্য সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ করব না, যার দ্বারা আমরা আমাদের প্রভুকে বিশ্বাস করি৷ ব্যক্তিগতভাবে ধার্মিকেরা প্রভু হতে যে সত্য বাক্য গ্রহণ করে এটা প্রভুর বাক্যের দ্বারা পরীক্ষিত৷ ঈশ্বর নিজেই এই বাক্য মানুষের ভিতরে বলেন৷ ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পাপমোচনের প্রতিজ্ঞা করেছেন৷ ধার্মিকেরা তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে এবং জিসুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশে বিশ্বাসের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে৷ পাপীরা আমাদের বিষয়ে যা বলে, তার কি কোনো মূল্য বা গুরুত্ব আছে? মোটেও না! ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিকেরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদের বিশ্বাস রাখবে৷
এখন প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার সময় এবং ভবিষ্যত আর বেশী দুরে নয়, পৃথিবীতে পারমানবিক যুদ্ধও আসবে৷ আর প্রাকৃতিক আকস্মিক দুর্ঘটনাগুলি দুরের মহা সর্বনাশের মান পরিমাপের জন্য নিরূপন করা হয়েছে৷ ঈশ্বরের দাসগণ অবশ্যই পরিষ্কারভাবে দেখতে পারে যে, পৃথিবীতে কি আসছে, আর তারা সেটা প্রচার করে৷ আপনি অবশ্যই অনুধাবন করেন যে, পৃথিবীর শেষ সময় হটাৎ করে আসতে পারে৷ যখন পারমানবিক যুদ্ধ পৃথিবীকে ধ্বংস করবে, প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছাবে, এবং পশুর চিহ্ন আমাদের উপরে নিক্ষেপ করা হবে, তার মানে যখন আমরা আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের সময় এবং সহস্রাব্দের রাজ্য প্রতিষ্ঠার সময় আসবে এই সময় পৃথিবীতে খ্রীষ্টের পুনরাগমনের সময়৷ সমস্ত কিছুই প্রভুর দ্বারা ঘটবে এবং পরিপূর্ণ হবে৷
যে কেউ যা বলুক, সেটা কোনো ব্যাপার নয়, আমরা অবশ্যই পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করব এবং বিশ্বাস রক্ষা করব৷ কঠোরতা উপেক্ষার মাধ্যমে প্রভুকে অনুসরণ করে আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে নির্দিষ্টভাবে বিশ্বাস করব এবং প্রচার করব৷
আসুন আমরা প্রভুর দিনের প্রতীক্ষায় জীবনযাপন করি৷ আসুন জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা পাপীদেরকে তাদের পাপের ক্ষমার জন্য প্রস্তুত করি! আমি বিশ্বাস করি আমাদের প্রভু ধার্মিকদের জন্য ইতিমধ্যে স্বর্গের সমস্ত সঞ্চিত আশীর্বাদ প্রস্তুত করেছেন এবং আমাদের জন্য প্রতীক্ষা করছেন৷ আমরা অবশ্যই মৃত্যু হতে পুনরুত্থান এবং সাধুগণের আসল রূপান্তরের সেই দিনের পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুত থাকব৷ আপনার জীবন কতটা শূন্য এ ব্যাপারে আক্ষেপ করার পরিবর্তে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করুন৷
যখন আপনি ইতিমধ্যে সুসমাচারের সত্য জেনেছেন, তাহলে কিভাবে এতে বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে নরককে আপনার শেষ পছন্দ হিসাবে বেছে নেবেন? জীবনের শূন্যতায় হতাশ হওয়ার পরিবর্তে জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা পাপ মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে অবশ্যই সহস্রাব্দের রাজ্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ ঠিক ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীর ন্যায় ঈশ্বরের নির্দেশিত ঐ প্রকারের বিশ্বাসে জীবনযাপন করার পরে আমরা অবশ্যই আমাদের প্রভুর সাথে উর্দ্ধে মিলিত হব! হাল্লিলূয়া!