Search

Bài giảng

বিষয় ১১: আবাস

[18-1] পতিত বাবিলের পৃথিবী (প্রকাশিত বাক্য ১৮:১-২৪)

পতিত বাবিলের পৃথিবী
< প্রকাশিত বাক্য ১৮:১-২৪ >
“এই সকলের পরে আমি স্বর্গ হইতে আর এক দূতকে নামিয়া আসিতে দেখিলাম; তিনি মহাক্ষমতাপন্ন এবং তাঁহার প্রতাপে পৃথিবী দীপ্তিময় হইল। তিনি প্রবল রবে ডাকিয়া কহিলেন, ‘পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল; সে ভূতগণের আবাস, সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার হইয়া পড়িয়াছে। কেননা সমুদয় জাতি তাহার বেশ্যা ক্রিয়ার রোষমদিরা পান করিয়াছে, এবং পৃথিবীর রাজগণ তাহার সহিত ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবীর বণিকেরা তাহার বিলাসিতার প্রতাবে ধনবান্‌ হইয়াছে।’ পরে আমি স্বর্গ হইতে এইরূপ আর এক বাণী শুনিলাম, ‘হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও। কেননা উহার পাপ আকাশ পর্য্যন্ত সংলগ্ন হইয়াছে এবং ঈশ্বর উহার অপরাধ সকল স্মরণ করিয়াছেন। সে যেরূপ ব্যবহার করিত, তোমরাও তাহার প্রতি সেইরূপ ব্যবহার কর; আর তাহার ক্রিয়ানুসারে দ্বিগুণ, দ্বিগুণ প্রতিফল তাহাকে দেও; সে যে পাত্রে পেয় প্রস্তুত করিত, সেই পাত্রে তাহার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণে পেয় প্রস্তুত কর। সে যত আত্মগৌরব ও বিলাস করিত, তাহাকে তত যন্ত্রণা ও শোক দেও। কেননা সে মনে মনে বলিতেছে, আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসিয়া আছি, বিধবা নহি, কোন মতে শোক দেখিব না। এই জন্য একই দিনে তাহার আঘাত সকল—মৃত্যু, শোক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইবে; এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া যাইবে; কারণ তাহার বিচারকর্ত্তা প্রভু ঈশ্বর শক্তিমান্‌। আর পৃথিবীর যে সকল রাজা তাহার সঙ্গে ব্যভিচার ও বিলাস করিত, তাহারা তাহার দাহের ধূম দেখিয়া তাহার জন্য রোদন ও বক্ষে করাঘাত করিবে; তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া তাহারা বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর, বাবিলের সেই পরাক্রান্তা নগরীর সন্তাপ, কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই তোমার বিচার উপস্থিত! আর পৃথিবীর বণিকেরা তাহার নিমিত্ত রোদন ও বিলাপ করিতেছে; কারণ তাহাদের বাণিজ্য-দ্রব্য কেহ আর ক্রয় করে না; এই সকল বাণিজ্য-দ্রব্য—স্বর্ণ, রৌপ্য, বহুমূল্য মণি, মুক্তা, মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র, পট্টবস্ত্র, সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র; সর্ব্বপ্রকার চন্দন কাষ্ঠ, হস্তিদন্তের সর্ব্বপ্রকার পাত্র, বহুমূল্য কাষ্ঠের ও পিত্তলের লৌহের ও মর্ম্মরের সর্ব্বপ্রকার পাত্র, এবং দারুচিনি, এলাচি, ধূপ, সুগন্ধি লেপ্যদ্রব্য, কুন্দুরু, মদিরা, তৈল, উত্তম সূজী ও গোম, পশু ও মেষ; এবং অশ্ব, রথ ও দাস ও মনুষ্যদের প্রাণ। আর তোমার প্রাণের অভিলষিত ফলসমূহ তোমা হইতে গিয়াছে, এবং তোমার সমস্ত শোভা ও ভূষা তোমা হইতে বিনষ্ট হইয়াছে; লোকে তাহা আর কখনও পাইবে না। ঐ সকলের যে বণিকেরা তাহার ধনে ধনবান্‌ হইয়াছিল, তাহারা তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যে মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা ছিল, এবং সুবর্ণে ও বহুমূল্য মণি মুক্তায় মণ্ডিতা ছিল; কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই সেই মহাসম্পত্তি ধ্বংস হইল। আর প্রত্যেক কর্ণধার, ও জলপথে যে কেহ গমন করে, এবং মাল্লারা ও সমুদ্রব্যবসায়ীরা সকলে দূরে দাঁড়াইল, এবং তাহার দাহের ধূম দেখিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিল, সেই মহানগরীর তুল্য কোন্‌ নগর? আর তাহারা মস্তকে ধূলা দিয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যাহার ঐশ্বর্য্য দ্বারা সমুদ্রগামী জাহাজের কর্ত্তারা সকলে ধনবান্‌ হইত; কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই সে ধ্বংস হইয়া গেল। হে স্বর্গ, হে পবিত্রগণ, হে প্রেরিতগণ, হে ভাববাদিগণ, তোমরা তাহার বিষয়ে আনন্দ কর; কেননা সে তোমাদের প্রতি যে অন্যায় করিয়াছে, ঈশ্বর তাহার প্রতীকার করিয়াছেন। পরে এক শক্তিমান দূত বৃহৎ এক পাট যাঁতার তুল্য একখান প্রস্তর লইয়া সমুদ্রে নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, ইহার ন্যায় মহানগরী বাবিল মহাবলে নিপাতিতা হইবে, আর কখনও তাহার উদ্দেশ পাওয়া যাইবে না। বীণাবাদকদের, গায়কদের, বংশীবাদকদের ও তূরীবাদকদের ধ্বনি তোমার মধ্যে আর কখনও শুনা যাইবে না; এবং আর কখনও কোন প্রকার শিল্পকারকে তোমার মধ্যে পাওয়া যাইবে না; এবং যাঁতার শব্দ আর কখনও তোমার মধ্যে শুনা যাইবে না; এবং প্রদীপের শিখা আর কখনও তোমার মধ্যে জ্বলিবে না; এবং বর কন্যার রব আর কখনও তোমার মধ্যে শুনা যাইবে না; কারণ তোমার বণিকেরা পৃথিবীর মহল্লোক ছিল, কারণ তোমার মায়াতে সমস্ত জাতি ভ্রান্ত হইত। আর ভাববাদিগণের ও পবিত্রগণের রক্ত, এবং যত লোক পৃথিবীতে হত হইয়াছে, সেই সকলের রক্ত ইহার মধ্যে পাওয়া গেল।”
 
 

টীকা

 
পদ ১: “এই সকলের পরে আমি স্বর্গ হইতে আর এক দূতকে নামিয়া আসিতে দেখিলাম; তিনি মহাক্ষমতাপন্ন এবং তাঁহার প্রতাপে পৃথিবী দীপ্তিময় হইল।”
ঈশ্বর যে দাসগণকে এই পৃথিবীতে তাঁর কাজের জন্য পাঠিয়েছেন, লোকেরা তাদের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং অভিশাপের ধর্মোপদেশ শুনতে পারে৷ তাদের পাপ ও দুর্ভাগ্য থেকে মুক্ত হতে, তাদেরকে এবং আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের দাসগণ কর্ত্তৃক প্রচারিত স্বর্গের আত্মিক অনুগ্রহের বাক্য আপনার হৃদয়ে গ্রহণ এবং বিশ্বাস করতে হবে৷
 
পদ ২: “তিনি প্রবল রবে ডাকিয়া কহিলেন, পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল; সে ভূতগণের আবাস, সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার হইয়া পড়িয়াছে।”
“পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল” বাইবেলে ব্যবহৃত “বাবিল” শব্দটি দ্বারা পৃথিবীর কোন যুগকে বোঝায়৷ উদারহণস্বরূপ, পুরাতন নিয়মে আমরা বাবিলের গগনস্পর্শী উচ্চগৃহ নির্মানের কাহিনী দেখি, নিজেদের শক্তি একত্র করার দ্বারা তারা একটি গগনস্পর্শী নির্মান করার দ্বারা ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করেছিল, যার কারণে ঈশ্বর কর্ত্তৃক সেটার পতন হয়েছিল৷ যখন উপরের অনুচ্ছেদ বলে যে, পড়িল, পড়িল মহতী বাবিল, এটা আমাদের বলছে যে, এই পৃথিবীর পতন হবে৷ কিছু লোক আছে যারা হয়তো চিন্তা করে, “এই পৃথিবী হয়তো সুন্দরভাবেই দাঁড়িয়ে আছে, সুতরাং এটা কিভাবে পতিত হবে?” কিন্তু ঈশ্বর আমাদের এখানে বলছেন যে, যখন সপ্তবাটির মহামারী একের পর এক ঢালা হবে, তিনি বাবিলের গগনস্পর্শী উচ্চগৃহ যেভাবে নামিয়ে এনেছিলেন, সেইভাবেই এই পৃথিবীকে ধ্বংস করবেন৷
কিন্তু এই পৃথিবী ঈশ্বর কর্ত্তৃক সপ্তবাটির মারী দ্বারা ধ্বংস কেন হবে? কারণ এই পৃথিবীর লোকবৃন্দ খ্রীষ্টারীর সাথে নিজেদেরকে যুক্ত করে নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুগণ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদেরকে হত্যা করবে এবং শেষ মুহুর্তে তারা এভাবেই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে৷ এর আরো কারণ হল এই পৃথিবী “দেবতাগণের বাসস্থানে” পরিণত হবে৷
কেন এই অবস্থা হবে? অর্থাৎ কেন এই পৃথিবী দেবতাগণের বাসস্থান হবে? এর কারণ যখন শেষ সময় আসবে, তখন বহু লোক খ্রীষ্টারীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং খ্রীষ্টারী হতে শয়তানের ছাব গ্রহণের দ্বারা এই মন্দ একজনের সেবক হবে৷
শাস্ত্রে শয়তানকে বোঝাতে নাগকে ব্যবহার করা হয়েছে এবং দেবতাগণ বলতে নাগের সেবকগণকে বোঝানো হয়েছে৷ এমনিভাবে, যখনই এটা বলা হয় যে, পৃথিবী দেবতাগণের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে, এর অর্থ হল, নাগের সেবক খ্রীষ্টারী সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীকে অধিকার করেছে৷ শেষ সময়ের পৃথিবীতে যখন সপ্তবাটির মারী ঢালা হবে, তখন এই পৃথিবী নাগ এবং দেবতাগণের পৃথিবী হয়ে যাবে এবং এমন অবস্থা দাঁড়াবে যেন সমস্ত পৃথিবীটা তাদের অধিকারে আরো দ্রুত এই পৃথিবীর পতন হবে, ঈশ্বর কর্ত্তৃক সপ্তবাটির চূড়ান্ত মারী আনয়নের দ্বারা এই পৃথিবীর পতন হবে৷
 
পদ ৩: “কেননা সমুদয় জাতি তাহার বেশ্যা ক্রিয়ার রোষমদিরা পান করিয়াছে, এবং পৃথিবীর রাজগণ তাহার সহিত ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবীর বণিকেরা তাহার বিলাসিতার প্রতাবে ধনবান্‌ হইয়াছে।”
ঠিক বাক্যে যেভাবে আক্ষরিকভাবে বলা হয়েছে “সমুদয় জাতি” পৃথিবীর বেশ্যাক্রিয়ার রোষ মদিরা পান করেছে৷ অন্যকথায়, এই পৃথিবীর লোকেরা এই পৃথিবীকে ঈশ্বর রূপে চিন্তা করেছে ও বিশ্বাস করেছে এবং এইরূপে এটাকে অনুসরণ করেছে৷ তারা ঈশ্বরের থেকে পৃথিবীকে অধিক ভালোবেসেছে৷ এভাবে এই পৃথিবী দ্রুত পাপ বৃদ্ধির স্থানে পরিণত হয়েছে এবং এর লোকবৃন্দ পাপে মত্ত হয়ে জীবনযাপন করেছে৷
অতএব, এর ফলাফল হল পাপের দ্বারা পৃথিবীর পতন৷ কেননা লোকেরা পৃথিবীকে ঈশ্বরের ন্যায় ভালোবেসেছে এবং অনুসরণ করেছে, তিনি তাঁর সপ্তবাটির মারীর শাস্তির দ্বারা তাদেরকে ধ্বংস করবেন৷ এই পৃথিবীতে বসবাসরত প্রত্যেকেরই ঈশ্বর কর্ত্তৃক আনিত সপ্তবাটির মহামারী দ্বারা চূড়ান্তভাবে ধ্বংস হবে এবং নরকে নিক্ষিপ্ত হবে৷
ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর স্পষ্ট সতর্কবাণী দিচ্ছেন যে, যারা প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা প্রত্যেকে শেষ সময়ে সপ্তবাটির মারীর সম্মুখীন হবে৷ আপনাকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, যদি আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করেন এবং ঈশ্বরের সতর্কবাণী অবজ্ঞা করে অবিরত তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে থাকেন, তাহলে আপনি কেবল সপ্তবাটির মারী দ্বারা দন্ডিত হবেন না, কিন্তু আপনি অনন্ত নরকের দন্ডও লাভ করবেন৷ 
অতএব, লোকদেরকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, ঈশ্বরের মহা ও ভয়ঙ্কর মারী এড়াতে তাদেরকে এখনই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারের কাছে ফিরে আসতে হবে৷
যদিও পৃথিবীর অনেক রাজা এবং বনিকেরা এর দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা সম্পদের মহারাশি করেছিল, যখন তারা এই পৃথিবীকে ঈশ্বর কর্ত্তৃক আনিত মহামারী দ্বারা ধূলিসাৎ হতে দেখবে, তারা বিলাপ, আর্তনাদ, শোক এবং গর্জ্জন সহকারে বিলাপ করবে৷
সুতরাং আমাদের অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদেরকে প্রত্যেকের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে, আর আমাদের নতুন সহস্রাব্দের পানে দৃষ্টিপাতের দ্বারা জীবনযাপন করতে হবে৷ আমাদেরকে অবশ্যই প্রত্যেককে জল ও আত্মার সুসমাচারের দিকে পরিচালিত করতে হবে, যাতে প্রত্যেক মানুষ মহামারী থেকে পরিত্রাণ পায়৷
 
পদ ৪: “পরে আমি স্বর্গ হইতে এইরূপ আর এক বাণী শুনিলাম, ‘হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও।”
“হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও।” এটা সাধুগণের প্রতি বলা ঈশ্বরের বাক্য৷ অন্যকথায়, শেষ সময়ে সাধুগণের অবশ্যই পৃথিবীর প্রতি কোনো অধিকার থাকবে না এবং পৃথিবীর দাসরূপে তারা জীবনযাপন করবে না৷ এমনকি ইতিপূর্বে যারা সাধু হয়েছে, যদি শেষ সময়ে তারা পৃথিবীর পাপে পতিত হয়, তবে তারা ঈশ্বরের ভয়াবহ বিচারের মারী এড়াতে পারবে না৷ অন্যকথায়, ঈশ্বর সমস্ত সাধুগণকে শেষ সময়ে পৃথিবীর দাস হওয়ার দ্বারা তাঁর ক্রোধ সঞ্চয় না করার কথা বলেছেন৷
 
পদ ৫: “কেননা উহার পাপ আকাশ পর্য্যন্ত সংলগ্ন হইয়াছে এবং ঈশ্বর উহার অপরাধ সকল স্মরণ করিয়াছেন।”
ঈশ্বর বাস্তবিক এই পৃথিবীর সমস্ত পাপ এবং কার্যসমূহ স্মরণ করেন এবং এই পাপ সমূহের বিচারের দিনের প্রতীক্ষা করেন৷ ঈশ্বরেরঈশ্বরের সংকল্প অনুসারে হটাৎ একদিন খ্রীষ্টারীর আবির্ভাবের সাথে সাথে সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করবে৷ তথাপি এখনও কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে, এই পৃথিবী ধ্বংস হবে না; কিন্তু অনন্তকাল স্থায়ী হবে৷
যাহোক, তারা যেভাবে চিন্তা করে পৃথিবী সেইভাবে স্থায়ী হবে না৷ কিন্তু ঈশ্বর কর্ত্তৃক আনিত সপ্তবাটির সপ্ততুরীর মারী দ্বারা হটাৎ ধ্বংস হয়ে যাবে৷ কিন্তু যখন শেষ সময় উপস্থিত হবে ঈশ্বর পৃথিবীর সর্বত্র ক্লেশ আনয়ন করবেন এবং পৃথিবীকে ধ্বংস করবেন৷ এভাবে আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্য্যের সাথে শেষপর্যন্ত বিশ্বাসের জীবনযাপন করতে হবে, দৃঢ়তার সাথে এই বিশ্বাস ধারণ করতে হবে যে, যীশু খ্রীষ্টের রাজ্য বাস্তবিকই আসবে৷
ঈশ্বর তাঁর দূতকে পৃথিবীর উপরে সপ্তবাটির মারী ঢালার নির্দেশ দানের পূর্বে এই পৃথিবীতে পাপ এত বৃদ্ধি পাবে এবং বহু বিস্তৃত হবে যে, তা ঈশ্বরের বিচার গ্রহণের উপযুক্ত হওয়ারও উপযুক্ত হবে৷ অতএব, ঈশ্বর এই পৃথিবীর পাপ স্মরণ করবেন এবং পৃথিবীকে ধ্বংসের বিলম্ব করবেন না৷ অধিকন্তু, খ্রীষ্টারী এবং পৃথিবীর লোকেরা ঈশ্বরের লোকেদেরকে নির্যাতন করতে থাকবে, সাধুগণকে তাদের বিশ্বাস অস্বীকার করতে বাধ্য করতে থাকবে এবং তাদের মধ্যে হতে সাক্ষ্যমর হতে থাকবে৷ যখন এই সমস্ত বিষয় ঘটবে, তখন এই পৃথিবী সপ্তবাটির মারীর সম্মুখীন হবে৷
 
পদ ৬: “সে যেরূপ ব্যবহার করিত, তোমরাও তাহার প্রতি সেইরূপ ব্যবহার কর; আর তাহার ক্রিয়ানুসারে দ্বিগুণ, দ্বিগুণ প্রতিফল তাহাকে দেও; সে যে পাত্রে পেয় প্রস্তুত করিত, সেই পাত্রে তাহার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণে পেয় প্রস্তুত কর।”
এখানে লেখা হয়েছে, “সে যেরূপ ব্যবহার করিত, তোমরাও তাহার প্রতি সেইরূপ ব্যবহার কর৷” এখানে “সে” বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে? এই পৃথিবীকে বোঝানো হচ্ছে, যেখানে পাপীরা, খ্রীষ্টারী এবং শয়তান বাস করে৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, তারা যেভাবে সাধুগণের প্রতি নির্যাতন, পীড়ন, মৃত্যু ও ক্লেশ আনয়ন করেছিল, ঈশ্বরও তেমনি ঠিক তাদেরকে একই পাওনা পরিশোধ করবেন৷ 
৬ পদে আরো বলা হয়েছে, “সে যে পাত্রে পেয় প্রস্তুত করিত, সেই পাত্রে তাহার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণে পেয় প্রস্তুত কর।” পৃথিবীর সমস্ত ভ্রান্ত ধর্ম যা শয়তানের মিথ্যা প্রচারণার দ্বারা লোকেদেরকে নরকে পরিচালিত করে, এই সকলকে দন্ড দিতে দূতগণের প্রতি দেওয়া এটা ঈশ্বরের আজ্ঞা৷ এর অর্থ হল, ভ্রান্ত শিক্ষাদান, শয়তানের বাক্যের সাথে ঈশ্বরের বাক্যের মিশ্রণ এবং লোকদেরকে শয়তানের পথে চালিত করার পাপের জন্য ঈশ্বর আজকের খ্রীষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের উপরে তাঁর আত্মার দন্ড আনয়ন করবেন৷ অতএব, যে সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা পৃথিবীর লোকের ন্যায় একই দন্ড লাভ করবে৷ 
 
পদ ৭: “সে যত আত্মগৌরব ও বিলাস করিত, তাহাকে তত যন্ত্রণা ও শোক দেও। কেননা সে মনে মনে বলিতেছে, আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসিয়া আছি, বিধবা নহি, কোন মতে শোক দেখিব না।”
ঈশ্বর এখানে পীড়ন এবং দুঃখভোগসহ দর্পকারী লোকেদের পাপের পাওনা পরিশোধ করার কথা বলেছেন৷ যে সমস্ত ধার্মিক লোক নুতন জন্ম প্রাপ্ত হয় নি, অবিশ্বাসীগণ, জাগতিক লোক, ঈশ্বর তাদের সকলকে খুঁজে বার করবেন এবং দন্ডিত করবেন৷
তথাপি তারা দর্পকারী, তারা নিজেদের বিষয়ে বলছে, “আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসিয়া আছি, বিধবা নহি, কোন মতে শোক দেখিব না। ” অতএব ঈশ্বর তাদের প্রতি তাদের ধ্বংসের মারী আনয়ন করবেন৷ ঈশ্বর কর্ত্তৃক আনিত মহামারী দ্বারা তারা সকলে একই সময়ে তাদের সকল সম্পদ এবং প্রিয় বিষয়বস্তুর নিমিত্ত শোক ভোগ করবে৷
 
পদ ৮: “এই জন্য একই দিনে তাহার আঘাত সকল—মৃত্যু, শোক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইবে; এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া যাইবে; কারণ তাহার বিচারকর্ত্তা প্রভু ঈশ্বর শক্তিমান্‌।”
সপ্ত মারীর আবির্ভাবের সাথে সাথে একই দিনে মৃত্যুর মারী, শোক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হবে৷ খ্রীষ্টারী এবং তার সকল পার্থিব অনুসারীগণ এভাবেই অনন্তকাল নরকে পুড়ে দন্ডিত হবে৷
 
পদ ৯: “আর পৃথিবীর যে সকল রাজা তাহার সঙ্গে ব্যভিচার ও বিলাস করিত, তাহারা তাহার দাহের ধূম দেখিয়া তাহার জন্য রোদন ও বক্ষে করাঘাত করিবে;”
পৃথিবীর লোকবৃন্দ, রাজগণ তাদের নিজেদের চোখের সামনে তাদের পৃথিবীকে অগ্নি ও ভূমিকম্প দ্বারা গ্রাস হতে এবং সপ্তবাটির মারী দ্বারা ধ্বংস হতে দেখবে৷ অতঃপর পৃথিবীর রাজগণ তাদের ক্ষতির নিমিত্ত বিলাপ, রোদন ও গর্জ্জন সহকারে বিলাপ করবে৷
 
পদ ১০: “তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া তাহারা বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর, বাবিলের সেই পরাক্রান্তা নগরীর সন্তাপ, কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই তোমার বিচার উপস্থিত!”
পৃথিবী যে ধ্বংস হবে এটা যারা বিশ্বাস করে নি, যখন তারা নিজেদের চোখের সামনে পৃথিবীর চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া দেখবে, তখন তারা ভয়ে আক্রান্ত হবে৷ পৃথিবী তার সৌন্দর্য্যে যখন চাকচিক্যময় থাকবে, এমন একটি দিনে ঈশ্বর তাঁর বিচার আনয়ন করবেন এবং এই পৃথিবী একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে৷
 
পদ ১১-১৩: “আর পৃথিবীর বণিকেরা তাহার নিমিত্ত রোদন ও বিলাপ করিতেছে; কারণ তাহাদের বাণিজ্য-দ্রব্য কেহ আর ক্রয় করে না; এই সকল বাণিজ্য-দ্রব্য—স্বর্ণ, রৌপ্য, বহুমূল্য মণি, মুক্তা, মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র, পট্টবস্ত্র, সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র; সর্ব্বপ্রকার চন্দন কাষ্ঠ, হস্তিদন্তের সর্ব্বপ্রকার পাত্র, বহুমূল্য কাষ্ঠের ও পিত্তলের লৌহের ও মর্ম্মরের সর্ব্বপ্রকার পাত্র, এবং দারুচিনি, এলাচি, ধূপ, সুগন্ধি লেপ্যদ্রব্য, কুন্দুরু, মদিরা, তৈল, উত্তম সূজী ও গোম, পশু ও মেষ; এবং অশ্ব, রথ ও দাস ও মনুষ্যদের প্রাণ।”
যখন পৃথিবীর ধ্বংস সন্নিকট, তখন কেউ কি কোনো কিছু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে? পৃথিবীর বনিকেরাও তাদের পৃথিবীকে হারানোর নিমিত্ত রোদন ও বিলাপ করবে৷ ঈশ্বর যখন সপ্তবাটির মারী পৃথিবীতে ঢেলে দেবেন, তখন কেউই আর কোনো কিছু ক্রয় করতে পারবে না৷ এই পৃথিবী আর কখনও পুনঃনির্মিত হবে না, এর ধ্বংসের উপরে কেবল খ্রীষ্টের রাজ্য নির্মিত হবে৷
এখানে অত্যাধিক মূল্যবান পণ্যদ্রব্যের একটা তালিকা রয়েছে, যার দ্বারা আজকের দিনে লোকেরা নিজেদেরকে বিলাসপুর্ণভাবে সজ্জিত করে৷ কিন্তু এই সকল জিনিস একদিন অকেজ হয়ে যাবে, তখন আর কেউ কখনও পুনরায় এইরূপ পার্থিব জিনিসের অনুসন্ধান করবে না৷ পার্থিব ধর্মগুলো নগদ মূল্যের বিনিময়ে যে সমস্ত বস্তু ক্রয় করেছিল এগুলো তাই৷ পার্থিব ধর্মগুলো তাদের অর্থের প্রতি ভালবাসার কারণে কল্পনাযোগ্য যে কোনো কিছু করতে পারে, এমনকি একটি টাকার বিনিময়ে তারা যে কোনো আত্মাকে বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করবে না৷
 
পদ ১৪-১৮: “আর তোমার প্রাণের অভিলষিত ফলসমূহ তোমা হইতে গিয়াছে, এবং তোমার সমস্ত শোভা ও ভূষা তোমা হইতে বিনষ্ট হইয়াছে; লোকে তাহা আর কখনও পাইবে না। ঐ সকলের যে বণিকেরা তাহার ধনে ধনবান্‌ হইয়াছিল, তাহারা তাহার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়াইয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে বলিবে, হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যে মসীনা-বস্ত্র, বেগুনিয়া বস্ত্র ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা ছিল, এবং সুবর্ণে ও বহুমূল্য মণি মুক্তায় মণ্ডিতা ছিল; কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই সেই মহাসম্পত্তি ধ্বংস হইল। আর প্রত্যেক কর্ণধার, ও জলপথে যে কেহ গমন করে, এবং মাল্লারা ও সমুদ্রব্যবসায়ীরা সকলে দূরে দাঁড়াইল, এবং তাহার দাহের ধূম দেখিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিল, সেই মহানগরীর তুল্য কোন্‌ নগর?”
লোকেরা আর কখনোই তাদের পার্থিব সম্পত্তি পুনরায় দেখতে পারবে না৷
যে বনিকেরা এই পৃথিবীর মাধ্যমে ধনবান হয়েছিল, তারা তাদের পৃথিবীর চূর্ণবিচূর্ণ হওয়াকে দেখে রোদন ও মহাবিলাপ করবে৷ তারা বিষন্ন হয়ে আর্তনাদ করবে, যেহেতু যখন পৃথিবী ধ্বংস হবে, তখন এর সাথে তারাও ধ্বংস হবে এবং একই দিনে তাদের সকল গচ্ছিত সম্পদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷
যখন পার্থিব সম্পদের উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মসমূহ ধ্বংস হবে, এই পৃথিবীর লোকেরা তখন বিলাপ করবে, “হায়! হায়!” আন্তর্জাতিক বনিকেরা এবং নাবিকেরা যারা পৃথিবীর আদ্যপ্রান্ত ভ্রমন করত; তারাও বিলাপ করবে৷ এই সকল লোকেরা হতাশ হয়ে বিলাপ করবে, “মানবজাতি কর্ত্তৃক নির্মিত কোন যুগ আজকের চাইতে মহৎ এবং অধিকতর উত্কর্ষ?”
 
পদ ১৯: “আর তাহারা মস্তকে ধূলা দিয়া রোদন ও বিলাপ করিতে করিতে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হায়! হায়! সেই মহানগরীর সন্তাপ, যাহার ঐশ্বর্য্য দ্বারা সমুদ্রগামী জাহাজের কর্ত্তারা সকলে ধনবান্‌ হইত; কারণ এক ঘন্টার মধ্যেই সে ধ্বংস হইয়া গেল।”
যে সমস্ত লোকেরা ভেবেছিল যে, এই পৃথিবী চিরস্থায়ী হবে, সপ্তবাটির মারীর দ্বারা পৃথিবীর পতন দেখে তারা মহাদুঃখভোগের সাথে বিলাপ করবে৷ যারা এই পৃথিবীতে রয়ে যাবে তারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক আনিত সপ্তবাটির মারী দ্বারা সম্পূর্ণ পৃথিবীর ধ্বংস দেখে রোদন ও বিলাপ করবে, কিন্তু তাদের রোদন নিস্ফল হবে, যেহেতু ততক্ষণে এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুই শেষ হয়ে গেছে৷ যদিও তখন তাদের রোদন করা উচিত যে, তারা তাদের পাপের কারণে নরকে যেতে বাধ্য কাজেই তাদেরকে এই অনন্ত ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে হলে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা উচিত৷
 
পদ ২০: “হে স্বর্গ, হে পবিত্রগণ, হে প্রেরিতগণ, হে ভাববাদিগণ, তোমরা তাহার বিষয়ে আনন্দ কর; কেননা সে তোমাদের প্রতি যে অন্যায় করিয়াছে, ঈশ্বর তাহার প্রতীকার করিয়াছেন।”
যখন সপ্তবাটির মারী আনিত হবে, তখন স্বর্গে রূপান্তরিত সাধুগণ আনন্দ করবে এই জন্য যে, তাদের উপর যে অন্যায় করা হয়েছিল, এই মারীর দ্বারা ঈশ্বর তার প্রতীকার করেছেন৷ এটা ঠিক যে, ঈশ্বর তাঁর শত্রুগণের উপরে ভয়ঙ্কর মহামারী আনয়ন করবেন৷ 
 
পদ ২১: “পরে এক শক্তিমান দূত বৃহৎ এক পাট যাঁতার তুল্য একখান প্রস্তর লইয়া সমুদ্রে নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, ইহার ন্যায় মহানগরী বাবিল মহাবলে নিপাতিতা হইবে, আর কখনও তাহার উদ্দেশ পাওয়া যাইবে না। ”
ঈশ্বর এখানে বলেন যে, এক পাট যাঁতার তুল্য একটি প্রস্তর যেমন সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল, তেমনি এই পৃথিবীকে পুনরায় আর কখনও দেখা যাবে না৷ তখন আমাদের প্রভু এই পৃথিবী এবং পৃথিবীস্থ সমস্ত কিছু নুতনীকরণ করবেন এবং এই পৃথিবীকে খ্রীষ্টের রাজ্যে পরিণত করার কার্য্য সম্পন্ন করবেন৷ 
 
পদ ২৪: “বীণাবাদকদের, গায়কদের, বংশীবাদকদের ও তূরীবাদকদের ধ্বনি তোমার মধ্যে আর কখনও শুনা যাইবে না; এবং আর কখনও কোন প্রকার শিল্পকারকে তোমার মধ্যে পাওয়া যাইবে না; এবং যাঁতার শব্দ আর কখনও তোমার মধ্যে শুনা যাইবে না;”
যখন সপ্তবাটির মারী শেষ হবে, তখন পূর্বের লোকেরা এই পৃথিবীতে সে সঙ্গীত ধ্বনি শুনেছিল তা আর কখনও শোনা যাবে না, কিম্বা কোনো শিল্পকারের হাতুড়ির শব্দ শোনা যাবে না৷
 
পদ ২৩: “এবং প্রদীপের শিখা আর কখনও তোমার মধ্যে জ্বলিবে না; এবং বর কন্যার রব আর কখনও তোমার মধ্যে শুনা যাইবে না; কারণ তোমার বণিকেরা পৃথিবীর মহল্লোক ছিল, কারণ তোমার মায়াতে সমস্ত জাতি ভ্রান্ত হইত।”
সপ্তবাটির মারী যখন শেষ হয়ে যাবে, এই পৃথিবীতে পুনরায় আর প্রদীপের আলো দেখা যাবে না, কিম্বা বর এবং কনের রব আর শোনা যাবে না৷ পৃথিবীর মায়ার প্রতারণাও শেষ হয়ে যাবে, যেহেতু পৃথিবীকেই শেষ হয়ে যেতে হবে৷
 
পদ ২৪: “আর ভাববাদিগণের ও পবিত্রগণের রক্ত, এবং যত লোক পৃথিবীতে হত হইয়াছে, সেই সকলের রক্ত ইহার মধ্যে পাওয়া গেল।”
যেহেতু শয়তানের লোকেরা ঈশ্বরের ভাববাদীগণ ও সাধুগণের রক্তপাত ঘটাবে, সেই কারণে ঈশ্বর এই পৃথিবীর উপরে সপ্তবাটির মারী ঢেলে দেবেন৷