Search

布道

বিষয় ৩: জল ও আত্মার সুসমাচার

[3-3] যীশু খ্রীষ্ট জল,রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন (১যোহন ৫:১-১২পদ)

যীশু খ্রীষ্ট জল,রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন
(১যোহন ৫:১-১২পদ)
 “যে কেহ বিশ্বাস করে যে, যীশুই সেই খ্রীষ্ট, সে ঈশ্বর হইতে জাত; এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে, সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে। ইহাতে আমরা জানিতে পারি যে, ঈশ্বরের সন্তানগণকে প্রেম করি, যখন ঈশ্বরকে প্রেম করি ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি। কেননা ঈশ্বরের প্রতি প্রেম এই, যেন আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি; আর তাঁহার আজ্ঞা সকল দূর্ব্বহ নয়; কারণ যাহা কিছু ঈশ্বর হইতে জাত, তাহা জগতকে জয় করে; এবং যে জয় জগতকে জয় করিয়াছে, তাহা এই, আমাদের বিশ্বাস। কে জগতকে জয় করে? কেবল সেই, যে বিশ্বাস করে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র। তিনি সেই, যিনি জল ও রক্ত দিয়া আসিয়াছিলেন, যীশু খ্রীষ্ট; কেবল জলে নয়, কিন্তু জলে ও রক্তে। আর আত্মাই সাক্ষ্য দিতেছেন, কারণ আত্মা সেই সত্য। বস্তুতঃ তিনে সাক্ষ্য দিতেছেন, আত্মা ও জল ও রক্ত, এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই। আমরা যদি মনুষ্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ করি, তবে ঈশ্বরের সাক্ষ্য মহত্তর; ফলতঃ ঈশ্বরের সাক্ষ্য এই যে, তিনি আপন পুত্রের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়াছেন। ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে, ঐ সাক্ষ্য তাহার অন্তরে থাকে; ঈশ্বরে যে বিশ্বাস না করে, সে তাঁহাকে মিথ্যাবাদী করিয়াছে; কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহা সে বিশ্বাস করে নাই। আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রে আছে। পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই।”
 
 
কিসের দ্বারা যীশু এসেছিলেন ?
জল,রক্ত এবং আত্মা দ্বারা
 
যীশু কি জল দ্ধারা এসেছিলেন? হ্যাঁ, তিনি এসেছিলেন। তিনি তাঁর বাপ্তিস্ম দ্ধারা এসেছিলেন। জল বলতে যর্দ্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজক দ্ধারা যীশুর বাপ্তিস্মকে বুঝানো হয়েছে। এটা ছিল পাপমুক্তির বাপ্তিস্ম, যার দ্ধারা তিনি জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
 যীশু কি রক্ত দ্ধারা এসেছিলেন? হ্যাঁ, তিনি এসেছিলেন। তিনি মাংসে মুর্তিমান হলেন এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্ধারা জগতের সব পাপ তুলে নিলেন, তারপর ক্রুশে রক্তসেচনের মাধ্যমে পাপের জন্য মুল্য দিলেন। যীশু রক্ত দ্ধারা এসেছিলেন।
যীশু কি আত্মা দ্ধারা এসেছিলেন? হ্যাঁ, তিনি এসেছিলেন। যীশু ঈশ্বর ছিলেন কিন্ত পাপীদের ত্রাণকর্তা হবার জন্য আত্মারূপে মাংসে প্রতিয়মান হলেন।
অনেকেই বিশ্বাস করে না যে, যীশু জল, রক্ত এবং আত্মা দ্ধারা এসেছিলেন। খুব কম লোকেই বিশ্বাস করে যে, যীশুই রাজাদের রাজা, প্রভুদের প্রভু। অধিকাংশ লোকের সন্দেহ “যীশু কি সত্যিই ঈশ্বরের পুত্র, না মনুষ্য পুত্র?” অনেকে, ধর্মতত্ত্ববিদ ও প্রচারকেরা বিশ্বাস করে যীশু, ঈশ্বর বা ত্রাণকর্তা বা একমাত্র সত্ত্বা নয়, বরং একজন মানুষ।
কিন্ত ঈশ্বর বলেন, যে কেউ বিশ্বাস করে যে, যীশুই রাজাদের রাজা, প্রকৃত ঈশ্বর, এবং প্রকৃত ত্রাণকর্তা, সে ঈশ্বর হতে জাত। যারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যীশুকে প্রেম করে, যারা সত্য সত্যই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে,তারা একই ভাবে যীশুকে প্রেম করে।
মানুষ জগৎ জয় করতে পারে না। প্রেরিত যোহন বলেন, প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ানেরাই কেবল জগৎ জয় করতে পারে। তার কারণ, তারা যীশুর জল, রক্ত ও আত্মায় বিশ্বাস করে। জগৎ জয়ের ক্ষমতা মানুষের ইচ্ছা, চেষ্টা বা আগ্রহ থেকে উৎপন্ন হয় না। “যদি আমি মনুষ্যদের, এবং দূতগণের ভাষা বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দকারক পিত্তল ও ঝম্‌ঝম্‌কারী করতাল হইয়া পড়িয়াছি। আর যদি ভাববাণী প্রাপ্ত হই, ও সমস্ত নিগূঢ়তত্ত্বে ও সমস্ত জ্ঞানে পারদর্শী হই, এবং যদি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যাহাতে আমি পর্ব্বত স্থানান্তর করিতে পারি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি কিছুই নহি। আর যথাসর্ব্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই।”(১ করিন্থীয়১৩:১-৩)।এখানে যে ‘প্রেম’ এর কথা বলা হয়েছে, তার দ্বারা যীশুকে অর্থাৎ যিনি জল, রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, তাঁকে বুঝানো হয়েছে।
 
 
যে জল এবং রক্তে বিশ্বাস করে, কেবলমাত্র সেই জগৎ জয় করতে পারে
 
কে জগতকে জয় করে?
যে যীশুর বাপ্তিস্ম,রক্ত ও আত্মায় বিশ্বাস করে
 
 ১ যোহন ৫:৫-৬ পদে বলা হয়েছে, “কে জগৎকে জয় করে? কেবল সেই, যে বিশ্বাস করে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র। তিনি সেই, যিনি জল ও রক্ত দিয়া আসিয়াছিলেন, যীশু খ্রীষ্ট; কেবল জলে নয়, কিন্তু জলে ও রক্তে।”
 সহ- খ্রীষ্টিয় ভাই-বোন, যিনি জগৎকে অর্থাৎ শয়তানকে জয় করেছেন তিনি যীশু খ্রীষ্ট। যে কেউ যীশুর জলে, রক্তে এবং আত্মায় বিশ্বাস করে সেও জগৎকে জয় করে। যীশু কিভাবে জগৎকে জয় করলেন? জল, রক্ত ও আত্মার প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে । বাইবেলে ‘জল’ বলতে ‘যীশুর বাপ্তিস্মকে বুঝানো হয়েছে (১পিতর ৩:২১ পদ) যীশু মাংসিক দেহে এই জগতে এসেছিলেন। জগতের পাপীদের রক্ষা করার জন্য তিনি এসেছিলেন; জগতের সকল পাপীর সমস্ত পাপ তিনি তুলে নিলেন এবং সেই পাপের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ ক্রুশে প্রাণ দিলেন। 
 ক্রুশীয় রক্তসেচন দ্বারা বোঝা যায় যে, তিনি মানুষরূপে জগতে এসেছিলেন। পাপীদের উদ্বার করার জন্য তিনি মাংসময় দেহে জগতে এলেন এবং জলে বাপ্তাইজিত হলেন। কাজেই যীশু জল ও রক্ত এই উভয় দ্বারাই আমাদের কাছে এলেন। অন্য কথায়, জলে তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে এবং মৃত্যুতে তাঁর রক্তের মাধ্যমে তিনি আমাদের সকল পাপ তুলে নিলেন।
 শয়তান কিভাবে কর্তৃত্ব করে? শয়তান মানুষের মনে ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং মানুষের আত্মায় অবাধ্যতার বীজ বপণ করে। অন্য কথায়, শয়তান মানুষকে প্রতারণা করে যেন তারা ঈশ্বরের অবাধ্য হয় এবং এইভাবে শয়তান মানুষকে তার দাস করে।
 যাহোক,যীশু এই জগতে এলেন এবং জলে বাপ্তিস্ম গ্ৰহণ ও ক্রুশে রক্তে সেচনের মাধ্যমে সমস্ত মানুষের পাপ মুছে দিলেন। তিনি শয়তান কে জয় করলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ মুছে দিলেন।
যীশু খ্রীষ্ট মানুষের ত্রাণকর্তা, তাই তিনি এই কাজ সাধন করলেন। তিনি জল ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন বলে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা হলেন।
 
 

যীশু তাঁর পাপমুক্তির বাপ্তিস্ম দ্ধারা সমস্ত জগতের সকল পাপ তুলে নিয়েছেন

 
যীশু জগতকে জয় করেছেন বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
তার অর্থ তিনি জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন
 
 যেহেতু যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং আমাদের পাপের পূর্ণ প্রায়শ্চিও সাধন করার জন্য ক্রুশে প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই তিনি আমাদের পাপ থেকে আমদিগকে উদ্ধার করতে পারেন। মানবজাতির প্রতিনিধি যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ যীশুর উপর অর্পণ করা হল। আমাদের পাপের মুল্য রূপে তিনি ক্রুশে প্রাণ দিলেন। তিনি মৃত্যুবরণ করলেন এবং পুনরুত্থিত হলেন, এইভাবে শয়তানের ক্ষমতাকে জয় করলেন। তাঁর মৃত্যুতে তিনি পাপের মুল্য পরিশোধ করলেন।
 
 

বাপ্তিস্মের জল ও ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে যীশু পাপীদের কাছে এলেন

 
প্রেরিত যোহন বলেন যে, প্রায়শ্চিও শুধু জল দ্ধারা হয় না, কিন্ত জল ও রক্তে দ্ধারা । কাজেই যীশু সকল পাপ তুলে নিলেন এবং চিরতরে আমাদের পাপ দূর করলেন, তাঁতে বিশ্বাস করে এবং তাঁর বাক্যে বিশ্বস্ত হয়ে সব পাপী উদ্ধার পেতে পারে।
 
কিভাবে তিনি শয়তানের ক্ষমতাকে জয় করলেন?
বাপ্তিস্ম, রক্ত এবং আত্মার মাধ্যমে
 
শুধুমাত্র আমাদের পাপ তুলে নেওয়ার জন্য যীশু এই জগতে আসেননি, কিন্ত ক্রুশে রক্তসেচনের মাধ্যমে আমাদিগকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্যও তিনি এসেছিলেন। যর্দ্দনে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি আমাদের পাপ তুলে নিলেন এবং ক্রুশে আমাদের পাপের জন্য মূল্য দিলেন। ঈশ্বরের ন্যায্য ব্যবস্থা সম্পর্কে ভাববাণীতে যা বলা হয়েছে ‘পাপের বেতন মৃত্যু’
(রোমীয় ৬:২৩ পদ), তা পূর্ণ হল।
জগৎ জয় করা সস্পর্কে যীশু কি বলেন? যে বিশ্বাস জগতকে জয় করে তা হল যীশুর জল ও রক্তের প্রায়শ্চিত্তে বিশ্বাস। মাংসে মুর্তিমান হলেন এবং বাপ্তিস্মের জল ও ক্রুশীয় মৃত্যু সস্পর্কে সাক্ষ্য দিলেন।
যীশু জগতকে অর্থাৎ শয়তানকে জয় করলেন। প্রাথমিক মন্ডলীর শিষ্যরা রোমান সাম্রাজ্যের চাপের কাছে অথবা অন্য কোন প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার না করে সাক্ষ্যমরের মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করেছেন।
এটা সেই বিশ্বাসের ফল। অর্থৎ যীশুর জল (বাপ্তিস্ম দ্ধারা পাপ তুলে নিয়েছেন), এবং ক্রুশীয় রক্ত (পাপের মুল্যরূপে তিনি নিজের জীবন দিলেন)।
যীশু আত্মা দ্ধারা এলেন (মাংসময় দেহে এলেন),তাঁর বাপ্তিস্মের এবং ক্রুশে রক্তসেচনের মাধ্যমে সমস্ত পাপ তুলে নিলেন, যেন আমরা যারা পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি তারা জগতকে জয় করতে পারি।
 
 
এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম যা যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা পরিত্রাণ করে (১ পিতর ৩:২১ পদ)।
 
পরিত্রাণের প্রতিরূপ কি?
যীশুর বাপ্তিস্ম
 
 ১ম পিতর ৩ অধ্যায় ২১ পদে বলা হয়েছে, “আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম অর্থাৎ মাংসের মালিন্যত্যাগ নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে সৎসংবেদের নিবেদন—তাহাই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে।” প্রেরিত পিতর সাক্ষ্য দিলেন যে যীশুই ত্রাণকর্তা এবং তিনি বাপ্তিস্মের জল ও রক্ত দ্বারা এসেছিলেন। সুতরাং যিনি জল ও রক্ত দ্ধারা এসেছিলেন, সেই যীশুকে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। এবং আমাদের জানতে হবে যে, যীশুর বাপ্তিস্ম জল‌ই আমাদিগকে উদ্ধার (পরিত্রাণ) করে। প্রেরিত পিতর বলেন যে, পাপের প্রায়শ্চিত্তে বাপ্তিস্মের ‘জল’, ‘রক্ত’ ও ‘আত্মা’ অপরিহার্য্য উপাদান।
 যীশু বাপ্তিস্ম ছাড়া কোন শিষ্য‌ই কখ‌নও শুধুমাত্র ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেন নাই। রক্তে বিশ্বাস করা মানে অর্ধ বিশ্বাস অর্ধেক বা অসম্পূর্ণ বিশ্বাস সময়ের সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যারা জল, রক্ত ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদের বিশ্বাস ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়।
 যাহোক, বর্তমান পৃথিবীতে রক্তের সুসমাচারের ঘোষণাই ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে ? মানুষ সত্যের বাক্য অর্থাৎ জল ও আত্মার প্রায়শ্চিত্ত সম্বন্ধে জানে না, তাই তারা নূতন জন্ম লাভ করতে পারে না ।
 কোন এক সময় পাশ্চাত্যের মন্ডলীগুলো কুসংস্কারের শিকার হয়েছিল । কিছু দিনের জন্য মনে হচ্ছিল তারা , উন্নতি করছিল, শয়তানের দাসেরা তাদেরকে কুসংস্কারে বিশ্বাস করতে সহায়তা করেছিল । 
 তাদের কুসংস্কার এরকম ছিল যে , তারা বিশ্বাস করত যদি কেউ । কাঠে অথবা কাগজে ক্রুশ আঁকে তাহলে শয়তান পালিয়ে যাবে; শুধুমাত্র যীশুর রক্তে বিশ্বাস করলে শয়তান পালিয়ে যাবে। এই ধরণের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস দ্বারা শয়তান তাদের প্রতারণা করল যে, তাদেরকে শুধু যীশুর রক্তে বিশ্বাস করতে হবে। শয়তান এমন ভান করল, যেন সে যীশুর রক্তে ভয় পায়, বুঝলো যে যীশু পাপীদের জন্য রক্ত দিয়েছেন।
 যাহোক, পিতর এবং অন্যান্য সকল শিষ্যেরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তের সত্য সুসমাচার প্রচার করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে খ্রীষ্টিয়ানেরা কি প্রচার করেন? তারা কেবল যীশুর রক্তই প্রচার করেন।
কিন্তু বাইবেলের বাক্যে এবং আত্মা, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্তের পরিত্রাণে আমাদের বিশ্বাস করা উচিত। যদি আমরা যীশুর বাপ্তিস্মকে অশ্রদ্ধা করি, এবং শুধু এইটুকুই প্রচার করি যে, যীশু ক্রুশে আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছেন , তাহলে পরিত্রাণ সম্পূর্ণ হবে না।
 
 
ঈশ্বরের জলে পরিত্রাণের পক্ষে ‘সাক্ষ্যের বাক্য’ 
 
ঈশ্বর যে আমাদের উদ্ধার করেছে, তার প্রমান কি ?
জল , রক্ত এবং আত্মা
 
 ১যোহন ৫ অধ্যায় ৮ পদে প্রভু বলেন, “বস্তত তিনে সাক্ষ্য দিতেছেন।” প্রথমত : আত্মা, দ্বিতীয়ত : যীশুর বাপ্তিস্মের জল এবং তৃতীয়ত: ক্রুশীয় রক্ত। এই তিনটি বিষয়ই এক। সকল পাপ থেকে আমাদের সকলকে রক্ষা করার জন্য যা পৃথিবীতে এলেন। বাপ্তিস্ম, রক্ত এবং আত্মা - এই তিনের মাধ্যমে তিনি একাই তা সাধন করলেন।
 ‘তিনে সাক্ষ্য দিতেছে।` এই তিনটি বিষয় প্রমান দিচ্ছেন যে, ঈশ্বর আমাদের উদ্ধার করেছেন। প্রমানের এই তিনটি উপাদান হল । যীশুর বাপ্তিস্মের জল, রক্ত এবং আত্মা। পৃথিবীতে আমাদের জন্য যীশু এই তিনটি বিষয় সাধন করেছেন ।
 এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় না থাকলে পরিত্রাণ সম্পূর্ণ হত না। পৃথিবীতে এই তিনে অর্থাৎ আত্মা, জল এবং রক্ত সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
 যীশু, যিনি এই পৃথিবীতে মানুষের কাছে এসেছিলেন, তিনি একাধারে ঈশ্বর, আত্মা এবং পুত্র। মাংসময় দেহে তিনি আত্মারূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন। এবং জগতের সকল পাপ তুলে নেবার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর দেহে সমস্ত পাপ তুলে নিলেন এবং ক্রুশে রক্ত সেচনের মাধ্যমে আমাদের মত পাপীদের উদ্ধার করলেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাপের মূল্য পরিশোধ করলেন। এটাই জল, রক্ত এবং আত্মার পরিপূর্ণ সুসমাচার ।
 যদি এদের একটিকে বাদ দেওয়া হত, তাহলে ঈশ্বরের যে পরিত্রাণ আমাদিগকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছে , তা অস্বীকার করা হত। বর্তমানের অধিকাংশ বিশ্বাসীদের সাথে যদি আমরা একমত হতাম, তাহলে আমরা বলতাম, ‘পৃথিবীতে রক্ত এবং আত্মা –এই দুয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।’
প্রেরিত যোহন বলেন, তিনে এই সাক্ষ্য বহন করছে- যীশুর বাপ্তিস্মের জল, ক্রুশীয় রক্ত এবং আত্মা। প্রেরিত যোহন তাঁর সাক্ষ্যে খুবই পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছেন । যে বিশ্বাস পাপীকে পাপ থেকে উদ্ধার করে, তা হল আত্মা, জল এবং রক্তে বিশ্বাস। কোন বিশ্বাসে মানুষ জগতকে জয় করার ক্ষমতা পায়? এটা ঠিক এখানেই আছে। জল, রক্ত এবং আত্মা দ্বারা আগত যীশুতে বিশ্বাস। এগুলোতে বিশ্বাস করুন এবং পরিত্রাণ ও অনন্ত জীবন গ্রহণ করুন।
 
যীশুর বাপ্তিস্ম ছাড়া পরিত্রাণ কি যথার্থ হয় ?
না
 
অনেক দিন আগে, যখন আমি নূতন জন্ম পাই নাই, তখন আমিও খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে শুধুমাত্র যীশুর ক্রুশীয় রক্ত ও আত্মায় বিশ্বাস করতাম। আমি বিশ্বাস করতাম যে, তিনি আত্মায় এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, আমার জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং আমাকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। আমি এই দুটো বিষয় কেবল বিশ্বাস করতাম এবং অন্যদের কাছে উপযাচক হয়ে এই বিষয়ে প্রচার করতে চাইতাম।
আমি ধর্মতত্ত্ব পড়ার পরিকল্পনা করলাম যেন মানুষের জন্য যীশুর মত কাজ করতে পারি এবং মরতে পারি। আমি সব ধরণের বড় বড় বিষয় পরিকল্পনা করলাম।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত আমি এই দুইটি বিষয়ে বিশ্বাস করছিলাম, ততদিন পর্যন্ত আমার হৃদয়ে সবসময় পাপ ছিল। যার কারণে আমি জগতকে জয় করতে পারি নাই। পাপ থেকে মুক্ত হতে পারি নাই। পাপ থেকে মুক্ত হতে পারি নাই।যতদিন আমি রক্ত ও আত্মায় বিশ্বাস করেছি, ততদিন আমার হৃদয়ে পাপ ছিল।
 যীশুতে বিশ্বাস করার পরেও আমার হৃদয়ে পাপ ছিল, কারণ আমি জল, অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে জানতাম না। তাই যতদিন পর্যন্ত আমি বাপ্তিস্মের জল, রক্ত এবং আত্মায় বিশ্বাস করি নাই, ততদিন পর্যন্ত আমার পাপমুক্তি সম্পূর্ণ হয় নাই।
মাংসের পাপ আমি জয় করতে পারি নাই তার কারণ আমি যীশুর বাপ্তিস্মের তাৎপর্য জানতাম না। এমনকি এখনও অনেকে যীশুকে বিশ্বাস করার পরেও মাংসিক পাপ করে। তাদের হৃদয়ে এখনও পাপ আছে এবং যীশুর প্রতি প্রথম প্রেম পুনরুদ্ধার করার জন্য তারা সব কিছু করে।
 তারা প্রথম প্রেম কখনই ফিরে পাবে না কারণ জল দ্বারা তারা তাদের পাপ পূর্ণরূপে ধুয়ে দেয় নাই। তারা উপলদ্ধি করতে পারে না যে, বাপ্তিস্মের সময় যীশু তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, এবং পতিত হওয়ার পরে তারা তাদের বিশ্বাল পুনরুদ্ধার করতে পারে না।
বিষয়টি আমি আপনাদের সবার কাছে পরিস্কার করতে চাই। যীশুতে বিশ্বাস করে আমরা বিশ্বাসের জীবন-যাপন করতে পারি এবং জগতকে জয় করতে পারি। আমরা যত অসম্পূর্ণ হই না কেন,যত পাপ এ জগতে করি না কেন যখনই আমরা বিশ্বাস করব যে, ত্রাণকর্তা হিসাবে যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পাপ থেকে আমাদের সম্পূর্ণ মুক্ত করেছেন, তখনই আমরা বিজয়ী হব।
 যাহোক, বাপ্তিস্মের জল ব্যতিরেকে শুধু যীশুতে বিশ্বাস করলে আমরা পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার পেতে পারি না। প্রেরিত যোহন আমাদের বলেন যে, সেই বিশ্বাস জগতকে জয় করে, যা যীশুকে, যিনি বাপ্তিস্মের জল, রক্ত এবং আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, তাঁকে বিশ্বাস করে।
 যারা যীশুর বাপ্তিস্মে এবং রক্তে বিশ্বাস করে তাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রকে পাঠালেন। তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র যীশু আত্মায় ( মাংসের দেহে ), আমাদের কাছে এলেন। আমাদের পাপের মূল্যরূপে ক্রুশে রক্ত সেচন করলেন। এইভাবে যীশু আমাদের সকলকে পাপ থেকে উদ্ধার করলেন।
যীশু জল, রক্ত ও আত্ম দ্বারা এসেছিলেন, এই সত্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা জগতকে জয় করতে পারি এবং এই বিশ্বাস পাপ থেকে আমাদের সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করেছে।
জলের বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্ত যদি না থাকত , তাহলে যথার্থ পরিত্রাণ সাধিত হত না। যে কোন একটা ছাড়া আমরা সত্যিকার
পরিত্রাণ পেতাম না। জল এবং রক্ত এবং আত্মা ছাড়া প্রকৃত পরিত্রাণ আর্জন করা যায় না। কাজেই, জল , রক্ত ও আত্মায় আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এটা জানুন, তাহলেই আপনি সত্যিকার বিশ্বাস ধারণ করতে পারবেন।
 
 
আমি আপনাদের বলছি যে, জল , রক্ত এবং আত্মার সাক্ষ্য ছাড়া প্রকৃত পরিত্রাণ হতে পারে না
 
পরিত্রাণের সাক্ষ্য দানকারী অত্যাবশ্যকীয় তিনটি উপাদান কি কি ?
জল , রক্ত ও আত্মা
 
 উপরের প্রশ্ন সম্বন্ধে কেউ হয়তো এ রকম ভাবতে পারে যে,
“যীশু আমার ত্রাণকর্তা। আমি ক্রুশীয় রক্তসেচনে বিশ্বাস করি এবং আমি সাক্ষ্যমর হতে চাই। আমার হৃদয়ে পাপ থাকা সত্বেও আমি যীশুতে বিশ্বাস করি। প্রতিদিন আমি পরিশ্রম সহকারে অনুতাপের প্রার্থনা করেছি, সৎ, ন্যায় এবং দানশীলতার কাজ করেছি। তোমার জন্য আমি আমার জীবন এবং জগতের সমস্ত সম্পদ দিয়ে দিয়েছি। আমি বিয়ে পর্যন্ত করিনি। ঈশ্বর আমাকে না জেনে পারবেন কিভাবে ? যীশু আমার জন্য ক্রুশে মরেছেন। আমাদের পবিত্র ঈশ্বর পৃথিবীতে নেমে এলেন এবং আমাদের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করলেন। আমি তোমাতে বিশ্বাস করি এবং তোমার জন্য বলিদান উৎসর্গ করেছি; তোমার জন্য আমার সমস্ত কাজ বিশ্বস্তভাবে করেছি। যদিও আমি অযোগ্য, এবং আমার ভিতরে কিছু কিছু পাপ আছে, সেজন্য কি যীশু আমাকে নরকে পাঠাবেন ? না, তিনি তা করবেন না।
এই লোকের মত অনেক লোক আছে। তারা বিশ্বাস করে না যে,
যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন।
যীশুতে বিশ্বাস করার পরেও যাদের হৃদয়ে পাপ আছে, তারা কোথায় যাবে ? তারা নরকে যাবে, তারা পাপী।
 তারা নরকে যাবে, যারা মনে করে যে তারা ঈশ্বরকে সন্তষ্ট করছে । উপরন্তু, অনেকে বলে ক্রুশীয় মৃত্যুর সাথে যীশু সব পাপ তুলে নিয়েছেন, তাই জগতে আর কোন পাপ নেই । যাহোক, কেবলমাত্র রক্ত এবং আত্মা সম্পর্কে এখানে বলা হচ্ছে।এটা সেই বিশ্বাস নয় যা মানুষকে পরিপূর্ণ পাপমুক্তি দিতে পারে ।
 আমাদের বিশ্বাস করা উচিত যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সব পাপ তুলে নিয়েছেন, বিচারিত হয়েছেন এবং আমাদের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর তিন দিন পরে পুনরুত্থিত হয়েছেন।
এই প্রকার বিশ্বাস ছাড়া সম্পূর্ণ পাপমুক্তি সম্ভব নয়। যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশে মরেছিলেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। যীশু খ্রীষ্ট জল, রক্ত ও আত্মা দ্বারা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি জগতের সব পাপ তুলে নিয়েছেন।
জগতে তিনটি প্রধান উপাদান এই সাক্ষ্য বহন করছেন - আত্মা, জল এবং রক্ত।
 প্রথমতঃ পবিত্র আত্মা সাক্ষ্য দেন যে, যীশুই ঈশ্বর এবং মানুষের বেশে তিনি নেমে এসেছিলেন।
 দ্বিতীয় উপাদান জল। এই জল হল যোহন বাপ্তাইজক দ্বারা যর্দ্দন নদীতে যীশুর বাপ্তিস্ম, যার মাধ্যমে আমাদের পাপ তাঁর উপরে অর্পণ করা হয়েছিল।যীশু বাপ্তাইজিত হওয়ার সময় আমাদের সকল পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হল ( মথি ৩:১৫ পদ )।
তৃতীয় সাক্ষী রক্ত, যার অর্থ নূতন জীবন এবং যীশু আমাদের পক্ষে আমাদের পাপের জন্য বিচারের দায় নিজের উপরে নিলেন। আমাদের জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করলেন, আমাদের জন্য পিতার বিচার গ্রহণ করলেন এবং তৃতীয় দিবসে পুনরুত্থিত হলেন।
তাঁর পুত্রের বাপ্তিস্ম ও রক্ত, যা পাপমুক্তির বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়, তাতে যে বিশ্বাস করে পিতা ঈশ্বর তার হৃদয়ে পবিত্র আত্মাকে প্রেরণ করেন। যারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত তারা বাক্য দ্বারা জগতকে জয় করে।যারা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে তারা শয়তানকে, মিথ্যা ভাববাদীকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে, যে কোন ধরণের চাপকে জয় করতে পারে। আমাদের এই ক্ষমতা আছে তার কারণ, আমাদের হৃদয়ে যীশুর জল, তাঁর রক্ত এবং আত্মা - এই তিনটি বিষয় আছে।
 
জগত এবং শয়তানকে আমরা কিভাবে জয় করতে পারি ?
এই তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যে বিশ্বাস করে
 
আমরা জগত এবং শয়তানকে জয় করতে পারি, কারণ আমরা আত্মা, জল এবং রক্তে বিশ্বাস করি। যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস করে তারা মিথ্যা ভাববাদীদের সবকিছু জয় করতে পারে। বিশ্বাসে জয় করার ক্ষমতা জল, রক্ত এবং আত্মার। মাঝে নিহিত রয়েছে। আপনি কি তা বিশ্বাস করেন ?
 যীশু ঈশ্বরের পুত্র, আমাদের ত্রাণকর্তা, যীশুর বাপ্তিস্মের বিশ্বাস না করলে আপনি নূতন জন্ম লাভ করতে পারবেন না, জগতকেও জয় করতে পারবেন না। আপনার হৃদয়ে কি তা আছে ?
 আপনার হৃদয়ে কি আত্মা এবং জল আছে। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, যীশুর উপরে আপনার সমস্ত পাপ অর্পণ করা হয়েছে ? ক্রুশীয় রক্ত কি আমার হৃদয়ে আছে ?
যীশুর জল ও আত্মা আপনার হৃদয়ে থাকলে, আপনি যদি বিশ্বাস করেন যীশু আপনার জন্য ক্রুশে প্রাণ দিয়েছেন, আপনার বিচারের দায় তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন, তাহলে আপনি জয় করতে পারবেন।
প্রেরিত যোহনের হৃদয়ে এই অত্যাবশ্যকীয় তিনটি উপনাদান ছিল বিধায় তিনি জগতকে জয় করতে পেরেছিলেন। তিনি তার সমস্ত ভ্রাতা, যারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের বাঁধা ও হুমকির সম্মুখিন হচ্ছিল, তাদের কাছে বিশ্বাসে পাপমুক্তির কথা বলেছিলেন। তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, “তোমরাও এইভাবে জগতকে জয় করতে পার। যীশু আত্মা, জল ও রক্ত দ্বারা এসেছিলেন। তিনি যেমন জগতকে জয় করেছিলেন, বিশ্বাসীরাও তেমনি জগতকে জয় করবে বিশ্বাসীদের জন্য জগতকে জয় করার এটাই একমাত্র পথ।”
১ যোহন ৫:৮ পদে বলা হয়েছে, “বস্তুত তিনে সাক্ষ্য দিতেছেন, আত্মা ও জল ও রক্ত, এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই।” অনেকে এখনও রক্ত এবং আত্মা সম্পর্কে কথা বলেন, কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে বলেন না। যদি তারা ‘জল’কে বাদ দেন তাহলে এখনও তারা শয়তান দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে। আত্ম প্রতারণা ও অনুতাপ থেকে তাদের বের হয়ে আসতে হবে; নূতন জন্ম বিষয়ক যীশুর বাপ্তিস্মের জলে বিশ্বাস করতে হবে।
 জল ও রক্তে বিশ্বাস না করলে কেউ জগতকে জয় করতে পারে না। আপনাকে আমি আবার বলছি, কেউ না। যীশুর জল ও রক্ত অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তাঁর বাক্য, আত্মার অর্থাৎ জ্যোতির তরবারি।
 যীশুর বাপ্তিস্ম আমাদের সব পাপ ধুয়ে দিয়েছে, একথা আজও অনেকে বিশ্বাস করে না। তারা শুধুমাত্র দুইটি বিষয়ে বিশ্বাস করে। যখন যীশু তাদের বলেন, ‘উঠ, দীপ্তিমতি হও,’ তারা দীপ্তিমতি হতে পারে না। তাদের হৃদয়ে তখনও পাপ থাকে। যীশুকে বিশ্বাস করার পরেও তারা নরকেই যাবে ।
 
 
যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুসমাচার সুনির্দিষ্টভাবে প্রচার করতে হবে যেন মানুষ শ্রবণ করে, বিশ্বাস করে এবং উদ্ধার পায়
 
বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করা শুধুই কিএকটি মতবাদ?
না, এটা শুধু মতবাদ নয়। এটাই সত্য।
 
যখন আমরা সুসমাচার প্রচার করি, তা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট হতে হবে। যীশু আত্মা, বাপ্তিস্ম ( যা আমাদের সব পাপ তুলে নিয়েছে ), এবং রক্ত (যা দ্বারা আমাদের পাপের মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে )দ্ধারা এসেছিলেন। আমাদেরকে এই তিনটিতে বিশ্বাস করতে হবে।
 যদি তা না হয়, তাহলে আমরা সুসমাচার প্রচার করি না, সাধারণ ধর্ম প্রচার করি। এই পৃথিবীর খ্রীষ্টিয়ানেরা খ্রীষ্ট ধর্মকে একটি ধর্ম হিসাবে উল্লেখ করে। খ্রীষ্ট ধর্মকে একটি ধর্ম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। এটা হল সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত পাপ থেকে মুক্তির বিশ্বাস, যে বিশ্বাস ঈশ্বরমুখী। এটা কোন ধর্ম নয়।
ধর্ম হল মানুষের সৃষ্টি, আর বিশ্বাস হল আমাদের জন্য ঈশ্বরের অনুমোদিত পরিত্রাণাভিমুখী। এটাই হল পার্থক্য। আপনি যদি তা অবহেলা করেন, তাহলে আপনি খ্রীষ্ট ধর্মকে অন্য ধর্মের মতই ভাবছেন এবং উপদেশ ও নৈতিকতার মাধ্যমে এর প্রচার করছেন।
 যীশু এই পৃথিবীতে কোন ধর্ম প্রবর্তন করতে আসেন নাই। খ্রীষ্ট ধর্ম বলে কোন ধর্ম তিনি প্রতিষ্ঠা করেন নাই। কেন আপনি বিশ্বাস করেন এটা একটা ধর্ম ? যদি তাই হয়, তাহলে কেন বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাস করেন না ? আপনি কি মনে করছেন আমি ভুল বলছি ?
অনেকে ধর্ম হিসাবে যীশুতে বিশ্বাস করে এবং বলে, “পার্থক্য কি ? স্বর্গ, নির্বাণ, পূণ্যলোক . . . . . . . সবই এক, কিন্তু নামে ভিন্ন। শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই একই স্থানে যাব।”
 খ্রীষ্টিয় বন্ধুগণ, আমাদের সত্যের মুখোমুখি হওয়া উচিত। আমাদের উঠতে হবে এবং দীপ্তিমতি হবে। নির্দ্বিধায় আমাদের এই সত্য প্রচার করা উচিত।
যখন কেউ বলে, “এটা একমাত্র পথ হতে পারে না,” তখন দৃঢ়ভাবে আপনার বলা উচিত, “হ্যাঁ, এটাই একমাত্র পথ। যিনি জল, রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, সেই যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করলেই কেবল আপনি স্বর্গে যেতে পারবেন।” আপনার দীপ্তি এত উজ্জ্বল হবে যে, অন্যেরা পরিত্রাণের বাক্য শুনবে, নূতন জন্ম পাবে এবং স্বর্গে যাবে।
 
 
প্রকৃত বিশ্বাস ধারণ করুন : প্রতিদানহীনভাবে যারা যীশুরকে প্রেম করে এবং যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের প্রায়শ্চিত্ত সম্পর্কে জানে না, তারা ধ্বংস হবে
 
যীশুতে বিশ্বাস করার পরও কারা ধ্বংস হবে?
যারা যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে না
 
বিধিবহির্ভূতভাবে যীশুতে বিশ্বাস করা প্রতিদানহীন ভাবে যীশুর প্রতি ভালবাসার সামিল এবং এই বিশ্বাস খুব সাধারণ ধর্ম বিশ্বাস।
 প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় একটি জাহাজ ডুবে গেল এবং কয়েকজন রাবারের নৌকায় ভেসে থেকে কোন রকমে জীবন বাঁচালো। তারা আত্মরক্ষার জন্য SOS সংকেত পাঠালো, কিন্ত খারাপ আবহাওয়ার জন্য অন্য কোন জাহাজে তাদের কোন সংকেত পৌঁছালো না। তারপর একটি হেলিকপ্টার তাদের উদ্ধার করতে এলো। হেলিকপ্টার থেকে একটি দড়ি নামিয়ে দেওয়া হলো।
 দড়িটি নিজের শরীরে না পেচিয়ে শুধু হাত দিয়ে ধরে ঝুলে থাকলে যে অবস্থা হবে, যীশুর প্রতি প্রতিদানহীন প্রেমের প্রকাশকারী ব্যক্তির অবস্থাও তদ্রুপ; নিজের ইচ্ছা অনুসারে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে। সে এখনও নিরাপদ নয়, কিন্তু সে বলে, ‘‘আমি বিশ্বাস করি। আমাকে উদ্ধার কর। আমি বিশ্বাস করি, কাজেই আমি মনে করি আমি উদ্ধার পাব।” যে যীশুর বাপ্তিস্মে ও রক্তের সত্য বুঝতে পারে না, সে বিশ্বাস করে দড়ি ধরে ঝুলে থাকলে সে রক্ষা পাবে না।
 কিন্তু যখন তাকে উপর দিকে টেনে তোলা হবে, তখন তার হাতের মুষ্টি আস্তে আস্তে ঢিলা হতে থাকবে। শুধু নিজের শক্তিতে সে দড়িটি ধরে ঝুলে থাকে। যখন শক্তি ফুরিয়ে আসে, মুষ্টি শিথিল হয়ে যায়, তখন সে আবার সাগরে পড়ে।
 যীশুর প্রতি প্রতিদানহীন ভালবাসা এ রকম। অনেকে বলতে পারে যে তারা ঈশ্বর এবং যীশুতে বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাস করে যে যীশু আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, কিন্তু এই বিশ্বাস সম্পূর্ণ বিশ্বাসের একটি অংশ মাত্র। তারা শুদ্ধ সুসমাচার বিশ্বাসও করে না, সে অনুযায়ী জীবন যাপনও করে না। তাই জোর করে বার বার বলে যে তারা বিশ্বাস করে।
 বিশ্বাস করা এবং বিশ্বাস করার চেষ্টা করা এক বিষয় নয়। তারা বলে যে, শেষ পর্যন্ত তারা যীশুকে অনুসরন করবে, কিন্তু হৃদয়ে পাপ থাকার কারণে শেষ দিন তারা দুরীকৃত হবে। যীশু বাপ্তিস্ম, রক্ত এবং জল দ্বারা এসেছিলেন একথা না জেনেই তারা যীশুকে বিশ্বাস করে। শুধু তাঁর রক্তের জন্যই যদি তারা যীশুকে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা নরকে যাবে।
 বাপ্তিস্মের জলে এবং ক্রুশীয় রক্তের বাক্যে আপনার হৃদয়কে বাঁধুন। যীশু যখন পরিত্রাণের দড়ি ছাড়বেন, যারা জল, রক্ত ও আত্মার সুসমাচারে নিজেদেরকে বাঁধবে, তারা উদ্ধার পাবে।
 হেলিকপ্টারের সেই উদ্ধারকারী লাউড স্পিকারে চিৎকার করে বলছিল, ‘‘দয়া করে, আমার কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। আমি যখন দড়ি ছুড়ে মারব, তখন আপনার শরীরের চারিদিকে এবং দুই বাহুর নিচে এই দড়ি দিয়ে নিজেকে শক্ত করে বাঁধুন। তারপর যেমন আছেন তেমন থাকুন। হাত দিয়ে দড়ি ধরে ঝুলে থাকবেন না। শুধু আপনার চারিদিকে দড়িটা দিয়ে বাঁধুন এবং আরামে থাকুন। তাহলে আপনি উদ্ধার পাবেন।”
 তার এই নির্দেশ শুনে একজন লোক তা অনুসরন করল, নিজেকে দড়ি দিয়ে বাঁধলো এবং উদ্ধার পেল। কিন্তু অন্যজন বললো, ‘‘চিন্তা করবেন না। আমার গায়ে খুব শক্তি আছে, আমি স্বাস্থ্য ক্লাবে চাকুরী করি। আমার মাংসপেশী দেখতে পাচ্ছেন? আমি মাইলের পর মাইল ঝুলে থাকতে পারি।” তারপর সে দড়ি ধরে ঝুলে থাকলো এবং তাকে উপর দিকে টানা শুরু হলো।
 প্রথম দিকে দুইজনকেই টেনে তোলা হচ্ছিল, কিন্তু তার পরেই পার্থক্য দেখা গেল। যে ব্যক্তি নির্দেশ পালন করেছিল এবং দড়ি দিয়ে নিজের চারদিক ভালভাবে পেচিয়ে ছিল, একটানে তাকে উপরে তোলা হলো। সে তার জ্ঞান হারিয়েছিল, কিন্তু যে কোন ভাবেই হোক তাকে উপরে তোলা হলো।
 নিজের শক্তি সম্বন্ধে যার মধ্যে অহংকার ছিল, ক্রমান্বয়ে সে শক্তি হারিয়ে ফেলছিল এবং তার মুষ্টি শিথিল হয়ে গেল। নির্দেশ অমান্য করার জন্য এবং না শোনার জন্য তাকে জীবন দিতে হলো।
 পাপের মুক্তি পূর্ণভাবে লাভ করার জন্য যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের প্রায়শ্চিত্ত, যা জগতের সমস্ত আত্মাকে পাপ থেকে উদ্ধার করে, তাতে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। একথা যারা সর্বান্ত:করণে বিশ্বাস করে, তারা পরিত্রাণ পায় – ‘‘আমি যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে এবং ক্রুশে রক্তসেচন করে তোমাকে পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করেছি।”
 যারা শুধু রক্তে বিশ্বাস করে তারা বলে, ‘‘চিন্তা করো না। আমার বিশ্বাস আছে, যীশুর রক্তের জন্য আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকব। শেষ পর্যন্ত আমি যীশুর অনুসরন করব। শুধু রক্তে আমার যে বিশ্বাস তা জগত এবং আমার বাকী জীবনের পাপ জয় করার জন্য যথেষ্ট।”
 যাহোক, এটা যথেষ্ট নয়। যারা নিজেদেরকে তাঁর প্রজা হিবেসে সাক্ষ্য দেয়, তারা এই তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করে; যীশু আত্মা দ্বারা এসেছিলেন এবং বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন (যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম নিয়ে তিনি জগতের সমস্ত পাপ কিনে নিলেন), যে সমস্ত পাপের মুল্যরূপে তিনি ক্রুশে প্রাণ দিলেন, এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন। যারা এই তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করে এবং সাক্ষ্য দেয়, পবিত্র আত্মা তাদের কাছে আসেন। ‘‘হ্যাঁ, আমি তোমার ত্রানকর্তা, জল ও রক্ত দ্বারা আমি তোমাকে উদ্ধার করেছি, আমি তোমার ঈশ্বর।”
কিন্তু যারা এই তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করে না, ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণ দেন না। যদি এই তিনটির একটিও বাদ পড়ে, ঈশ্বর বলেন, ‘‘না, আমি তোমাকে উদ্ধার করিনি।” তাঁর সকল শিষ্য এই তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করতেন। যীশু বলেন, তাঁর বাপ্তিস্ম হলো পরিত্রাণের সাক্ষ্য, এবং তাঁর রক্ত হলো বিচার।
 
 
প্রেরিত পৌল এবং পিতরও যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সাক্ষ্য বহন করেছিলেন
 
যীশুর শিষ্যরা কি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন?
যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সাক্ষ্য
 
 প্রেরিত পৌল কি যীশুর বাপ্তিস্মের বিষয়ে বলেছিলেন? আসুন দেখি, তিনি কতবার যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে বলেছিলেন। রোমীয় ৬:৩ পদে তিনি বলেন, ‘‘অথবা তোমার কি জান না যে, আমার যত লোক খ্রীষ্ট যীশুর উদ্দেশ্যে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, সকলে তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশ্য বাপ্তাইজিত হইয়াছি।” আবার ৬:৫ পদে তিনি বলেন, ‘‘কেননা যখন আমরা তাঁহার মৃত্যু সাদৃশ্যে তাঁহার সহিত একীভূত হইয়াছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হইব।” গালাতীয় ৩:২৭ পদে বলেন, “কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।” প্রেরিতগণ ‘জল’ অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্মের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ‘‘আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম --- তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে” (১ পিতর ৩:২১ পদ)।
 
 

যীশুর জল ও রক্ত দ্বারা প্রভুর প্রায়শ্চিত্তের পরিত্রাণ এসেছে

 
ঈশ্বর কাকে ধার্মিক বলেন?
যার হৃদয়ে কোন পাপ নাই
 
 মানুষের জন্য যীশু যা দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত করেছেন, তা হলো যীশুর বাপ্তিস্মের জল এবং ক্রুশীয় রক্ত। এই প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবং দীপ্তিময় হতে পারি। কিভাবে? এই তিনটি বিষয়ের সাক্ষ্য দিয়ে।
 ‘উঠ এবং দীপ্তিমতি হও’। ঈশ্বর আমাদের প্রতি দীপ্তি বর্ষণ করেছেন এবং আমাদের দীপ্তিমান হতে বলেছেন। সেই আদেশ আমাদের মান্য করা উচিত।
 কিন্তু অনেকে তা শোনে না। সম্পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে আমাদের সুসমাচার প্রচার করা উচিত। যীশুতে বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি উদ্ধার পাবেন। আপনি ধার্মিকগণিত হবেন। যদি আপনার হৃদয়ে এখনও পাপ থাকে, তাহলে আপনি ধার্মিক নন। আপনি এখনো জগতের পাপকে জয় করতে পারেন নি।
 যীশুর জলে (বাপ্তিস্মে) বিশ্বাস না করলে আপনি কখনও হৃদয়ের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। যীশুর রক্তে বিশ্বাস না করলে আপনি কখনও বিচার এড়াতে পারবেন না। যীশু আত্মা দ্বারা এসেছেন, একথা বিশ্বাস না করলে আপনি কখনও মুক্তি পাবেন না। এই তিনটি সাক্ষ্যে বিশ্বাস না করলে আপনি কখনও সম্পূর্ণরূপে ধার্মিক হতে পারবেন না।
 অপর্যাপ্ত ধার্মিকতা ‘তথাকথিত ধার্মিকতার’ দিকেই ধাবিত করে। কেউ যদি বলে তার পাপ আছে, অথচ নিজেকে ধার্মিক হিসাবে দাবী করে, তাহলে সে যীশুতে নাই। বর্তমানে অনেক লোক তথাকথিত ধার্মিকতায় ঝুলে থাকতে চেষ্টা করে। এই বিষয়ে তারা টন কে টন মুল্যহীন রচনা সৃষ্টি করে।
 হৃদয়ে পাপ থাকলে ঈশ্বর কি কোন ব্যক্তিকে ধার্মিক বলেন? না, তিনি তা করেন না। তিনি যেমন দেখেন তেমনি বলেন। তিনি সর্বশক্তিমান কিন্তু কখনও মিথ্যা বলতেপারেন না। মানুষ ধার্মিকতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারে না। পরিষ্কার কোন জিনিসকে আমরা শুধু ‘পরিষ্কার’ বলি। পাপ থাকলে আমরা তাকে পরিষ্কার বলি না।
 আপনি ভাবতে পারেন হৃদয়ে পাপ থাকা সত্বেও যীশু আপনাকে ধার্মিক বলবেন, এটা ভুল।
 যীশু তখনই আমাদের ধার্মিক বলেন, যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, তিনি আত্মা দ্ধারা, এসেছিলেন জল ( বাপ্তিস্মের সময়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন ) দ্ধারা এসেছিলেন রক্ত (মাংসের বেশে এসে আমাদের জন্য মৃত্যু বরণ করলেন) দ্বারা এসেছিলেন।
 সহ খ্রীষ্টিয় ভাইবনেরা, তথাকথিত ধার্মিকতার জল ও আত্মার সুসমাচারের জন্য ব্যাপারে কিছুই করার নাই। তথাকথিত অথবা হবু ধার্মিক বিষয়টি মানুষের নিজস্ব ধর্মমত থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আপনার হৃদয়ে পাপ থাকলে ঈশ্বর কি আপনাকে ধার্মিক বলবেন? যীশুতে দৃঢ় বিশ্বাস করলেও আত্মায় পাপ থাকলে ঈশ্বর তাকে ধার্মিক বলেন না। যীশু কখনও মিথ্যা বলতে পারেন না। তবুও আপনি কি মনে করেন, হৃদয়ে পাপ থাকার পরও তিনি কাউকে ধার্মিক বলতে পারেন? মানুষ এইভাবে চিন্তা করে কিন্তু ঈশ্বর নয়। ঈশ্বর মিথ্যা ঘৃণা করে। শুধু আত্মা এবং রক্তে বিশ্বাস করলে তিনি কি আপনাকে ধার্মিক বলবেন? কখনও না।
 এক প্রকার লোককেই তিনি ধার্মিক বলেন। যে ব্যক্তির অন্তরে কোন পাপ নাই। যারা তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করে তিনি তাদের স্বীকৃতি দেন। তিনটি বিষয়ে অর্থাৎ যীশু, যিনি মাংসের বেশে পৃথিবীতে এসেছিলেন, যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং আমাদের পাপ মুছে ফেলার জন্য ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন।
 যারা প্রায়শ্চিত্তের সুসমাচারে বিশ্বাস করে ঈশ্বর কেবল তাদেরকেই স্বীকৃতি দেন। তারা যথার্থভাবে বিশ্বাস করে। তিনি আমাদের জন্য যা কিছু করেছেন, সবকিছুতেই তারা সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে যে, যীশু এসেছিলেন এবং সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তাদের পক্ষে তিনি ক্রুশে বিচারিত হয়েছিলেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছিলেন।
 ঈশ্বরের প্রেম থেকেই এ সব কিছুই সাধন করা হয়েছে। যীশু স্বর্গ থেকে নেমে এলেন এবং বললেন, ‘‘হে পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।” (মথি ১১:২৮ পদ)। আমাদের পাপ তুলে নিয়ে তিনি এ কথা বললেন।
 শুধুমাত্র যীশুর রক্তে যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের স্বীকৃতি দেন না। যারা শুধু যীশুর রক্তে বিশ্বাস করে, তাদের হৃদয়ে এখনও পাপ আছে।
 কাকে যীশু পাপমুক্ত বলে স্বীকৃতি দেন? ‘‘আমি এই পৃথিবীতে এসে যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে তোমাদের সকল পাপ তুলে নিয়েছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, জগতের সমস্ত পাপ আমার উপর অর্পণ করা হয়েছে। ক্রুশে আমি তোমাদের পাপের মূল্য পরিশোধ করেছি। এইভাবেই আমি তোমাদের উদ্ধার করেছি।” যীশুর বাপ্তিস্ম, তাঁর রক্ত এবং যীশুই যে ঈশ্বর এই সত্যে বিশ্বাস করুন। পরিত্রান লাভের জন্য এগুলো অতি প্রয়োজন।
 যারা এই তিনটি বিষয়ে বিশ্বাস করেন যীশু তাদের বলেন, ‘‘হ্যাঁ’, তোমরা উদ্ধার পেয়েছ, তোমরা ধার্মিক এবং ঈশ্বরের সন্তান।” যীশুর বাপ্তিস্মে, রক্তে ও আত্মায় একত্রে বিশ্বাস করলে আপনি পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। যারা শুধু রক্ত ও আত্মায় বিশ্বাস করে তাদের হৃদয়ে এখনো পাপ রয়েছে।
 ঈশ্বরের রাজ্যে একটি মাত্র সত্য আছে। সেখানে ন্যায় বিচার, সততা, প্রেম এবং দয়া রয়েছে। মিথ্যার লেশমাত্রও নেই। মিথ্যা এবং ছলনা ঈশ্বরের রাজ্যে থাকতে পারেন না।
 
কে ব্যবস্থাবিহীনতা অনুসরন করে?
যীশুর বাপ্তিস্মে যে বিশ্বাস করে না
 
‘‘সেইদিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম কার্য্য করি নাই?” (মথি ৭:২২পদ)। ঈশ্বর কখনও মানুষের ঐ সকল কাজের স্বীকৃতি দেন নাই। ‘‘তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; এ অধর্মাচারিরা, আমার নিকট হইতে দূর হও”। (মথি ৭:২৩পদ)।
 “আমি তোমার জন্য দুটো বাড়ি উৎসর্গ করেছি। তোমরা জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি। তুমি কি আমাকে দেখতে পাও না? ইয়ালু নদীর তীরে আমি তোমাকে অস্বীকার করি নাই। এবং আমার জীবন দিয়ে দিয়েছি। তুমি কি আমাকে দেখতে পাও নি।”
‘‘তাহলে তোমার হৃদয়ে কি পাপ আছে?’’
‘‘হ্যাঁ, প্রভু, একটু আছে।”
‘‘তাহলে দূর হও। কোন পাপীই এখানে আসতে অনুমতি পায় না।”
‘‘আমি সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করেছি।”
‘‘তুমি সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করেছ, তার মানে কী?
নিজের অস্থিরতা থেকেই তুমি মৃত্যুবরণ করেছ। তুমি কি আমার বাপ্তিস্ম ও রক্ত স্বীকার কর? আমি কি কখনও বলেছি যে, তুমি আমার সন্তান? তুমি কখনও আমার বাপ্তিস্মে বিশ্বাস কর নাই এবং আমি ও তোমাকে কখনও আমার সন্তান বলি নাই। তবুও তুমি তোমার বিশ্বাসে ঝুলে থেকেছ এবং মৃত্যুবরণ করেছ। আমি কখন তোমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি? তুমি নিজেই এগুলো বলছো। প্রায়শ্চিত্তের জন্য তুমি একাই ভালবেসেছ এবং চেষ্টা করেছ।তুমি কি বুঝতে পারছো? এখন তুমি তোমার পথে যাও।”
 যীশু আমাদের জগতে এবং দীপ্তিমতি হতে বলেছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা অনেক নকল খ্রীষ্টিয়ান এবং মিথ্যা ভাববাদীর সামনে জড়সড় হয়ে থাকে এবং উজ্জ্বলভাবে দীপ্তিমতি হতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র ষ্ফুলিঙ্গ বৃহৎ আগুনের শুরু করতে পারে। যদি শুধুমাত্র একজন সাহস করে দাঁড়ায় এবং সাক্ষ্য দেয়, সমস্ত পৃথিবী উজ্জ্বল হবে। যিশাইয় ৬০:১-২ পদে আছে, ‘‘উঠ, দীপ্তিমতী হও, কেননা তোমার দীপ্তি উপস্থিত, সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার উপরে উদিত হইল। কেননা, দেখ, অন্ধকার, পৃথিবীকে, ঘোর তিমির জাতিগণকে, আচ্ছন্ন করিতেছে, কিন্তু তোমার উপরে সদাপ্রভু উদিত হইবেন, এবং তাঁহার প্রতাপ তোমার উপরে দৃষ্ট হইবে।”
আমাদিগকে উঠতে এবং দীপ্তিমতি হতে বলা হচ্ছে, কারণ অসত্য ও মিথ্যা সুসমাচারের অন্ধকার পৃথিবীকে ছেয়ে ফেলবে। যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তারাই কেবল তাঁকে ভালবাসতে পারে। যারা পাপ থেকে মুক্ত হয়নি, তারা যীশুকে ভালবাসতে পারে না। তারা কিভাবে পারবে? তারা শুধু ভালবাসার কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস না করলে সত্যিকারভাবে ভালবাসবে কি করে?
 
 
তিনটি বিষয় পাপীর পরিত্রাণের সাক্ষ্য বহন করে
      
আপনার হৃদয়ে পরিত্রাণের সাক্ষ্য কি?
যীশুর বাপ্তিস্ম
 
‘‘পৃথিবীতে তিনে সাক্ষ্য দিতেছেন; আত্মা, জল ও রক্ত; এবং এই তিনের সাক্ষ্য একই।” যীশু এই পৃথিবীতে এলেন এবং জল ও রক্ত দ্বারা তাঁর কাজ সাধন করলেন। তিনি এই কাজ করলেন এবং আমাদের উদ্ধার করলেন।
 ‘‘আমরা যদি মনুষ্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ করি, তবে ঈশ্বরের সাক্ষ্য মহত্তর; ফলত ঈশ্বরের সাক্ষ্য এই যে, তিনি আপন পুত্রের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়াছেন। ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে, ঐ সাক্ষ্য তাহার অন্তরে থাকে; ঈশ্বরে যে বিশ্বাস না করে, সে তাহাকে মিথ্যাবাদী করিয়াছে; কারণ ঈশ্বর আপনা পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহা সে বিশ্বাস করে নাই। আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রে আছে। পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই।” (১ যোহন ৫:৯-১২ পদ)।
 নূতন জন্ম প্রাপ্তরা মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। আমরা ধার্মিক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছি। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া নূতন জন্ম প্রাপ্তরা যখন প্রায়শ্চিত্তের সত্য সম্বন্ধে কথা বলে, তখন লোকেরা আপত্তি করতে পারে না। তারা তা গ্রাহ্য করে। তারা বলে যে আমরা সঠিকভাবে বিশ্বাস করেছি এবং আমাদের বিশ্বাস সঠিক। আমরা যদি সাক্ষ্য দেই যে আমরা কিভাবে নূতন জন্ম লাভ করেছি, তাহলে কেউ সেই সত্য অস্বীকার করতে পারবে না। তারা বলে আমরা সঠিক। আমরা মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করি।
 কিন্তু এই অংশে বলা হচ্ছে যে, ঈশ্বরের সাক্ষ্য মহত্তর; কারণ এটা ঈশ্বরের সাক্ষ্য। এখানে বলা হয়েছে, ঈশ্বরের পুত্রই সাক্ষ্য দিচ্ছেন। ঠিক না? তাঁর পুত্রের সাক্ষ্য কি? ঈশ্বর আমাদের উদ্ধার করেছেন তার প্রমাণ যীশু আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, তিনি প্রায়শ্চিত্তের জল দ্বারা এসেছিলেন এবং তিনি ক্রুশীয় রক্ত দ্বারা এসেছিলেন। ঈশ্বর সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, এইভাবেই তিনি আমাদের রক্ষা করেছেন এবং আমরা তাতে বিশ্বাস করি বলেই তাঁর সন্তান হয়েছি।
 ‘‘ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে, ঐ সাক্ষ্য তাহার অন্তরে থাকে; ঈশ্বরের যে বিশ্বাস না করে, সে তাঁহাকে মিথ্যাবাদী করিয়াছে; কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহা সে বিশ্বাস করে নাই।”
 এই অংশে সম্পূর্ণ নির্ভলভাবে বলা হয়েছে, কারা পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে যে ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে তার অন্তরে সেই সাক্ষ্য আছে। আপনার হৃদয়ে কি এই সাক্ষ্য আছে? আপনার মধ্যেও আছে এবং আমার মধ্যেও আছে। আমাদের জন্য ঈশ্বর জগতে নেমে এলেন (মরিয়মের গর্ভে মাংসের বেশে তিনি এলেন)। ৩০ বছর বয়সে নিজের উপরে সমস্ত পাপভার নেওয়ার জন্য তিনি বাপ্তাইজিত হলেন। এবং আমাদের সমস্ত পাপ নিয়ে তিনি ক্রুশে বিচারিত হলেন। আমাদের অনন্ত জীবন দেওয়ার জন্য তিন দিন পর পুনরুত্থিত হলেন। এভাবে যীশু আমাদের উদ্ধার করলেন।
 তিনি যদি পুনরুত্থিত না হতেন তাহলে কি হতো? কবর থেকে তিনি কিভাবে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেন? এ কারণেই তিনি আমার ত্রাণকর্তা। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।
 যেমন তিনি বলেছেন, তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত দ্বারা তিনি আমাদের উদ্ধার করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি বলেই আপনি ও আমি উদ্ধার পেয়েছি। আমার মধ্যে এবং আপনার মধ্যে সেই সাক্ষ্য রয়েছে ।পরিত্রাণ প্রাপ্তরা কখনও যীশুর জল অর্থাৎ বাপ্তিস্ম কে অশ্রদ্ধা করে না। আমাদের মুক্তির জন্য তিনি যা যা করেছেন, আমরা তার কোনটাই বাদ দিই না।
 ‘‘কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত।” (মথি ৩:১৫ পদ)। আমরা কখনও অস্বীকার করি না যে যর্দ্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজকের কাছে বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। পাপ থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা কখনই জল অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্ম কে অস্বীকার করতে পারে না।
 
 
যারা বিশ্বাস করে কিন্তু পাপের মুক্তি পায়নি শেষে তারা যীশুর বাপ্তিস্মকে অস্বীকার করে
 
ঈশ্বরকে কে মিথ্যাবাদী করে?
যে যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে না
 
 প্রেরিত যোহন কত নির্ভুলভাবে লিখেছেন, ‘‘যে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না, সে তাঁহাকে মিথ্যাবাদী করে।” প্রেরিত যোহন যদি এখন বেঁচে থাকতেন, আমাদের মত খ্রীষ্টিয়ানদের তিনি কি বলতেন? ‘যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন’ কিনা তাই জানতে চাইতেন।
 যোহন বাপ্তাইজকও কি এই সাক্ষ্য দেন নাই যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন? ‘‘আমি যখন তাঁকে বাপ্তাইজিত করলাম, তখন কি তাঁর উপরে সমস্ত পাপ অর্পিত হয় নাই? এবং তিনি কি সমস্ত পাপ নিজকাঁধে তুলে নেন নাই?” তিনি সাক্ষ্য দিতেন, ‘‘তোমাদের পাপ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন।”
 যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, আমাদের উদ্ধার করার জন্য তিনি যা করেছেন সেসব কাজে বিশ্বাস করে না, তারা ঈশ্বরকে মিথ্যাবাদী করে। যখন আমরা বলি যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, তখন তারা বলে, ‘‘হে আমার প্রিয় বন্ধু, তিনি আমাদের সকল পাপ তুলে নিতে পারেন নি। কেবল আমাদের আদি পাপ তুলে নিয়েছেন, কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের পাপ রয়ে গেছে।”
 তারা বলে যে, প্রতিদিন অনুতাপ করতে হবে এবং বর্তমানের পাপের মুক্তির জন্য প্রতিদিন সব পাপ স্বীকার করতে হবে। এটাই তারা বিশ্বাস করে। আপনারা সকলেও কি তাই বলেন? যারা বিশ্বাস করে না যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী করে।
 
 
যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তসেচনের মাধ্যমে আমাদিগকে চিরকালের জন্য একবারে পাপমুক্ত করেছেন
 
কে মিথ্যা বলছে?
যে যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে না
 
 তিনি বাপ্তাইজিত হলেন এবং একবারে চিরকালের জন্য আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন। যারা যীশুর বাপ্তিস্মে ও রক্তে বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদেরকে রক্ষা করেন, যারা বিশ্বাস না করে, তিনি তাদের পরিত্যাগ করেন। তাই, আমরা যা বিশ্বাস করি তার উপরে নির্ভর করে আমরা উদ্ধার পাব কি পাব না। যীশু জগতকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। যারা বিশ্বাস করে তারা মুক্ত হয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস না করে তারা উদ্ধার পায় না, বরং তারা ঈশ্বরকে মিথ্যাবাদী করে। মানুষ তাদের দূর্বলতার জন্য নরকে যায় তা নয়, কিন্তু তারা নরকে যায় বিশ্বাসের অভাবের কারণে। ‘‘যে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না, সে তাঁহাকে মিথ্যাবাদী করে।’’ যারা বিশ্বাস করে না যে যীশুর ইপর তাদের পাপ অর্পণ করা হয়েছে, তাদের হৃদয়ে এখনো পাপ রয়েছে। তারা বলতে পারে না যে তাদের পাপ নাই।
 একবার এক ডিকনের সাথে আমার দেখা হলো, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘‘ডিকন, যীশুকে বিশ্বাস করলে আমার পাপ কি চলে যাবে?”
‘‘অবশ্যই চলে যাবে।”
‘‘তাহলে, যীশু জগতের সব পাপ তুলে নিয়েছেন এবং বলেছেন, সমাপ্ত হইল, তুমি উদ্ধার পেয়েছ। এটা কি ঠিক নয়?”
‘‘হ্যাঁ, আমি মুক্ত হয়েছি।”
‘‘তাহলে আপনি নিশ্চয় পাপ থেকে মুক্ত?”
‘‘হ্যাঁ, আমি মুক্ত।”
‘‘আপনি আবার পাপ করলে তখন কি হবে?”
‘‘আমরা মানুষ মাত্র, পাপ না করে কি করে পারব? সুতরাং আমাদের অনুতাপ করতে হবে এবং প্রতিদিন পাপ ধুতে হবে।’’
ডিকনের হৃদয়ে এখনো পাপ রয়েছে, কারণ সে সুসমাচারের সত্য সম্পূর্ণরূপে জানে না।
 তার মত আরও অনেকে আছে যারা ঈশ্বরকে পরিহাস করে এবং তাঁকে মিথ্যাবাদী করে। যীশু, যিনি ঈশ্বর, তিনি কি জগতের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেতে ব্যর্থ হয়েছেন? এটা খুবই দুঃখজনক। যীশু যদি পাপ থেকে উদ্ধার না করে থাকেন, তাহলে তিনি কিভাবে পরিত্রাণের ঈশ্বর হলেন? কি করে তিনি আমাদের তাঁকে বিশ্বাস করতে বলেন? আপনি কি তাঁকে মিথ্যাবাদী করতে চাচ্ছেন? আমি আপনাকে পরামর্শ দিই আপনি তা করবেন না। বাইবেল ঈশ্বরকে পরিহাস করতে নিষেধ করেছেন, তার মানে ঈশ্বরকে মিথ্যাবাদী করবেন না এবং তাঁকে প্রতারণা করার চেষ্টা করবেন না। তিনি আমাদের মত নন।
 প্রায়শ্চিত্তের সুসমাচার সম্পর্কে প্রেরিত যোহন সম্পূর্ণ নির্ভূলভাবে উপস্থাপন করেছেন। ঈশ্বর আমাদের জন্য যা যা করেছেন অনেক লোক তাতে বিশ্বাস করতে চায় না (আসলে যীশু জল, রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন)।
 যারা ঈশ্বরের কথিত বাক্যে বিশ্বাস করে না, এবং যারা তাতে বিশ্বাস করে (যারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে বলে, ‘‘আমি ধার্মিক” এবং যারা বলে, ‘‘আমি পাপী”)। তাদের মধ্যে কারা সত্যি কথা বলছে? যারা ঈশ্বরের কার্য্য অর্থাৎ জল, রক্ত ও আত্মার সাক্ষ্যে বিশ্বাস করে না, তারা মিথ্যা বলছে। তাদের বিশ্বাস অলীক। যারা বিশ্বাস করে না, তারা ঈশ্বরকে মিথ্যাবাদী করে।
 তাঁকে মিথ্যাবাদী করবেন না। যীশু যর্দ্দন নদীতে এলেন এবং এইভাবে (বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে) সমস্ত ধার্মিকতা (জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন) পূর্ণরূপে সাধন করলেন।
 
 
অসত্য আত্মা যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর পবিত্রতা পেয়েও অস্বীকার করে
 
শয়তান এবং দিয়াবল কি অস্বীকার করে?
যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর পবিত্রতা
 
তাঁর পুত্রে বিশ্বাসে বিশ্বাসীর হৃদয়ে সাক্ষ্য থাকে। যে পাপ থেকে মুক্ত হয় সে বিশ্বাস করে যে, বাপ্তিস্মের সময় যীশুর উপরে তার পাপ অর্পণ করা হয়েছিল এবং সেইজন্য সে যীশুর জল ও রক্তের মাধ্যমে পরিত্রাণ পেয়েছে। যীশু মরিয়মের গর্ভে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করার আগে তিনি যর্দ্দনে বাপ্তাইজিত হলেন; তিনি মরলেন এবং পুনরুত্থিত হলেন।
 ধার্মিকের হৃদয়ে সাক্ষ্য থাকে। যিনি জল, রক্ত এবং আত্মা দ্বারা এসেছিলেন, সেই যীশুতে আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণের প্রমাণ রয়েছে। আপনার ভিতরে সাক্ষ্য আছে। ‘নিজের ভিতরে সাক্ষ্য রাখুন।’ আমি আপনাকে বলছি। পরিত্রাণের প্রমাণ হিসাবে আপনার ভিতরে যদি সাক্ষ্য না থাকে তাহলে আপনি পরিত্রাণ পাননি।
 প্রেরিত যোহন বলেন, ‘‘ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে, সেই সাক্ষ্য তাহার অন্তরে থাকে।” এটা কি শুধু ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের সাক্ষ্য? জলে বিশ্বাস করা, রক্তে নয়? ঈশ্বরের স্বীকৃতি লাভের জন্য আপনাকে তিনটাতেই বিশ্বাস করতে হবে।
 কেবলমাত্র তখনই যীশু আপনার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়ে বলবেন যে, ‘তুমি উদ্ধার পেয়েছ।’ আপনি কি বলছেন যে, কেবলমাত্র দুটোতে বিশ্বাসের দ্বারা আপনার মধ্যে সাক্ষ্য আছে? তাহলে এটা আপনার নিজস্ব মতে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা হবে। এটা হবে, ‘নিজেই নিজের সাক্ষ্য বহন করা।’
 এমন অনেকেই আছে। অনেকে আছে যারা তিনটির মধ্যে শুধুমাত্র দুটো বিষয়ে বিশ্বাস করে। তারা বলে যে তারা মুক্ত হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তারা বইও লেখে। কী প্রগলভো তারা! এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। তারা নিজেদেরকে ‘সুসমাচার প্রচারমূখী’ বলে। তারা মনে করে তারা শুধু সুসমাচার প্রচারমূখী নয়, ধার্মিকও। তারা জলে বিশ্বাস করে না কিন্তু তারপরও পরিত্রাণ সম্পর্কে গর্ব করে। তারা অনেক যুক্তি দেখায়। কিন্তু ঈশ্বরের সাক্ষ্য তাদের অন্তরে নাই। এটা শুধুমাত্র প্রমাণার্থে সত্য বলে ধরে নেওয়া।
 আপনি কিভাবে একে পরিত্রাণ বলবেন? শুধুমাত্র যারা যীশুতে অর্থাৎ যিনি আত্মা, জল ও রক্ত দ্বারা এসেছিলেন, তাঁতে বিশ্বাস করে। তাদের অন্তরে ঈশ্বরের ও মানুষের স্বার্থ থাকে।
 প্রেরিত পৌল বলেছেন, ‘‘কেননা আমাদের সুসমাচার কেবল বাক্যে নয়, কিন্তু শক্তিতে ও পবিত্র আত্মায় ও অতিশয় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হইয়া ছিল” (১ থিষলনকীয় ১:৫ পদ)।
 মানুষ যখন শুধুমাত্র যীশুর রক্তে বিশ্বাস করে তখন শয়তান আনন্দ করে। ‘‘হে, মূর্খেরা, তোমরা আমরা দ্বারা প্রতারিত হয়েছ। হ্যাঁ, ---।” অনেক লোক বিশ্বাস করে যীশুর রক্তের প্রশংসা করলে শয়তান দূরে চলে যায়। তারা মনে করে শয়তান যীশুর ক্রুশকে ভয় পায়। শয়তান কেবলমাত্র অভিনয় করছে। এর দ্বারা আমাদের মূর্খ হওয়া উচিত নয়।
 মানুষের মধ্যে যখন শয়তানের আত্মা প্রবেশ করে, তখন সে উম্মাদ হয়ে ওঠে এবং তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। শয়তানের জন্য এটা কোন অসুবিধাপূর্ণ কৃতিত্ব নয়। দিয়াবল মানুষের দ্বারা প্রায় সব কিছু করানোর ক্ষমতা রাখে। দিয়াবলকে খুব অল্পই তার মস্তিস্ক ব্যবহার করতে হয়। হত্যা করার ক্ষমতা ছাড়া শয়তানকে ঈশ্বর আর সব ক্ষমতা দিয়েছেন। দিয়াবল মানুষকে গাছের পাতার মত কাঁপাতে পারে, চিৎকার করাতে পারে এবং মুখ থেকে ফেনা বের করাতে পারে।
 এইগুলো যখন ঘটে, বিশ্বাসীরা তখন চিৎকার করে বলে, ‘‘যীশু নামে দূর হও, দূর হও।” তারপর যখন ব্যক্তিটি সজ্ঞানতা ফিরে পায় এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে, তখন লোকে বলে যীশু রক্তের ক্ষমতায় এটা হয়েছে। কিন্তু এটা যীশু রক্তের ক্ষমতায় নয়, এটা দিয়াবল কেবলমাত্র অভিনয় করছে।
 শয়তান এবং দিয়াবল তাদেরকে ভীষণ ভয় করে যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের পাপ ধুয়ে পরিষ্কার করেছেন, যিনি রক্তের দ্বারা ক্রুশীয় বিচার নিজে তুলে নিয়েছেন এবং তিনদিন পর পুনরুত্থিত হয়েছেন, যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের পরিত্রাণ প্রাপ্ত ব্যক্তির সাক্ষ্যের কাছ শয়তান থাকতে পারে না। আপনি নিশ্চয় জানেন, ক্যাথলিক পাদ্রীরা মাঝে মাঝে শয়তানকে তাড়ায়। ছবিতে আমরা এরকম দেখেছি। ‘দ্যা ওমেন’ ছবিতে যাজক একটি কাঠের ক্রুশ ধরে রাখতেন এবং সেটাকে আন্দোলিত করতেন। কিন্তু সে যখন মারা যান, যে নূতন জন্ম পেয়েছে সে এভাবে পরাজিত হয় না।
 সে যীশুর রক্ত ও জলের বিষয়ে বলে, শয়তান যখন অত্যাচার করতে চেষ্টা করে, তখন সে শয়তানকে জিজ্ঞাসা করে, ‘‘তুমি কি জান, যে যীশুর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন?” তখন শয়তান পালিয়ে যাবে। নূতন জন্ম প্রাপ্তদের আশে পাশে থাকতে শয়তান পছন্দ করে না। নুতন জন্ম প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বসে থাকলে শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরে যে বিশ্বাস করে না, সে তাঁকে মিথ্যাবাদী করে। তারা তাঁর পুত্রের সাক্ষ্যে, জল ও রক্তের সাক্ষ্যে বিশ্বাস করে না।
 
ঈশ্বরের পুত্রের সাক্ষ্য কি?
বাপ্তিস্ম, রক্ত ও আত্মা
 
 ঈশ্বরের পুত্রের সাক্ষ্য কি? সেই সাক্ষ্য এই যে, তিনি আত্মা দ্বারা এসেছিলেন এবং জল দ্বারা সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। নিজের উপরে তিনি জগতের সমস্ত পাপ নিলেন ও আমাদের জন্য ক্রুশে রক্ত বহালেন। এটাই কি জল, রক্ত ও আত্মার প্রায়শ্চিত্ত নয়?
 ঈশ্বরের সাক্ষাতে লোকে মিথ্যা বলে, কারণ তারা জল এবং রক্তের সুসমাচার অর্থাৎ প্রায়শ্চিত্তের সুসমাচারে বিশ্বাস করে না। তাদের বিশ্বাস অলীক, তারা মিথ্যাকে ছড়ায়।
 আসুন, ১ যোহন ৫ অধ্যায়ে ফিরে যায়, ১১ পদে লেখা আছে, ‘‘আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রে আছে।” এখানে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন, যে কেউ এটা গ্রহণ করে সে সেই জীবন পায়। এই জীবন তাঁর পুত্রে আছে। যারা অনন্ত জীবন পায়, তারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাসের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা পেয়েছে। পরিত্রাণ প্রাপ্তরা অনন্ত জীবন পায় এবং চিরকাল বেঁচে থাকে। আপনি কি অনন্ত জীবন পেয়েছেন?
 ১২ পদে আছে, “পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে, ঈশ্বরের পুত্রকে যে পাই নাই, সে সেই জীবন পাই নাই।” অন্য কথায়, পুত্র জগতে যা করেছেন, (বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং পুনরুত্থান করেছেন) তা যে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে একটাকে যে বাদ দেয়, সে অনন্ত জীবন পাবে না, পাপ থেকে উদ্ধার পাবে না।
 যীশু যা করেছেন (জল, রক্ত এবং আত্মা), তার উপরে বিশ্বাসের ভিত্তিতে ঈশ্বর মানুষকে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মধ্যে বাক্য আছে কিনা এ বিষয়গুলো আমাদের তা বলে দেয়। যীশুর বাপ্তিস্মে, তাঁর রক্তে এবং আত্মায় বিশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি তাদের সনাক্ত করেন।
 
 
যারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত নয়, তারা মেষ ও ছাগলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না
 
পরিত্রাণ প্রাপ্ত এবং পরিত্রাণ অপ্রাপ্তদের মধ্যে কে পার্থক্য করতে পারে?
নূতন জন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তি
 
প্রেরিত যোহন পরিষ্কারভাবে পাপের মুক্তিপ্রাপ্ত ধার্মিকদের সনাক্ত করেছেন। প্রেরিত পৌলও করেছেন। ঈশ্বরের দাসেরা কিভাবে মেষ ও ছাগের মধ্যে পার্থক্য করেন? সত্যিকারের ঈশ্বরের দাসের সঙ্গে ভানকারী দাসের মধ্যে তারা কিভাবে পার্থক্য করেন? যারা যীশুর জল ও রক্তে বিশ্বাস করে পাপমুক্ত হয়েছে, এটা পর্যবেক্ষণ করবার ক্ষমতা তাদের আছে।
 পালক, প্রচারক অথবা মন্ডলীর প্রাচীন হলেই পরিত্রাণ প্রাপ্তদের সনাক্ত করা যায় না, যে মেষ ও ছাগের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না সে এখনও পাপ থেকে মুক্ত হয়নি, তার মধ্যে জীবন নাই। কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থে পরিত্রাণ প্রাপ্ত তারা পার্থক্য বুঝতে পারে। যাদের ভিতরে জীবন নাই তারা এই পার্থক্য বুঝতেও পারে না, সনাক্ত করতেও পারে না।
 এটা অন্ধকারে রং পৃথক করার মত অবস্থা। সবুজ সবুজই, সাদা সাদাই। চোখ বন্ধ করে থাকলে আপনি রং দেখতেও পারবেন না, চিনতেও পারবেন না।
 কিন্তু যাদের চোখ খোলা রয়েছে তারা রঙের সামান্যতম পার্থক্যও বুঝতে পারে। কোনটা সবুজ, কোনটা সাদা তারা বলতে পারে। একই ভাবে পরিত্রাণ প্রাপ্ত এবং পরিত্রাণ অপ্রাপ্তদের মধ্যে নিশ্চিত পার্থক্য রয়েছে।
 পরিত্রাণের সুসমাচার, জল, রক্ত ও আত্মার সুসমাচার আমাদের প্রচার করতে হবে। আমাদেরকে উঠতে হবে এবং দীপ্তিমতী হতে হবে। আমরা যখন চারিদিকে লোকের কাছে আমাদের বিশ্বাস ঘোষনা করি, তখন মানুষের বাক্যে কথা বলি না। বাইবেলে ১ যোহন ৫ অধ্যায়ে এর অর্থ বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যেন কোন দ্বিধা না থাকে এজন্য ধাপে ধাপে এটা ব্যাখ্যা করা উচিত।
 আমরা যে বাক্য প্রচার করছি, তা যীশুর জল, রক্ত ও আত্মার বাক্য, পরিত্রাণের জ্যোতি। যীশুর জলকে মানুষের কাছে তুলে ধরা মানে উজ্জ্বলভাবে প্রতীয়মান হওয়া। আমাদের এটা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যেন, পৃথিবীর কেউ বলতে না পারে যে, সে এটা জানে না।
 পরিত্রাণ প্রাপ্তরা যদি উঠে না আসে, যদি উজ্জ্বল না হয়, অনেক লোক পাপ মুক্তি ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে। তাতে ঈশ্বর সম্ত্তষ্ট হবেন না। তিনি আমাদের অলস দাস বলবেন। যীশুর জল ও রক্তের সুসমাচার আমাদের প্রচার করতে হবে।
 পরিত্রাণ পাবার জন্য যীশুর বাপ্তিস্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই কারণে আমি বার বার বিষয়টি পুনরুক্তি করছি। শিশুদের কাছে কোন বিষয় ব্যাখ্যা করতে চাইলে, বার বার সেই বিষয়ে বলতে হয়, যেন তারা প্রতিটি বিষয় নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারে।
 নিরক্ষর লোককে শিক্ষা দিতে গেলে আমাদের সম্ভবত: বর্ণমালা থেকে শুরু করতে হয়। তারপরে ক্রমান্বয়ে বর্ণের সাহায্যে শব্দ লিখতে শিক্ষা দেই। যখন সে ‘শাস্তি শব্দটি একসাথে করতে পারে, তখন আমরা এই শব্দের মানে ব্যাখ্যা করা শুরু করি। হুবুহু এইভাবেই যীশুর সম্বন্ধে লোকের কাছে আমাদের বলতে হবে যেন নিশ্চিভাবে আমরা বুঝতে পারি যে তারা সত্যিকারভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরেছে।
 যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তিনি জল, রক্ত ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন। আমি প্রার্থনা করি, আপনি যীশুকে আপনার ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করুন এবং পাপ থেকে মুক্ত হোন।
 যীশুই ঈশ্বর, আমাদের ত্রাণকর্তা এই বিশ্বাস থেকে এবং যীশুর বাপ্তিস্ম, রক্ত ও ক্রুশে বিশ্বাস থেকে জল ও আত্মার পরিত্রাণের বিশ্বাস উৎপন্ন হয়।