Search

布道

বিষয় ৮: পবিত্র আত্মা

[8-7] সুন্দর সুসমাচার যা বিশ্বাসীদের মধ্যে পবিত্র আত্মা বাস করবার অনুমতি দেয় (যিশাইয় ৯:৬-৭)

সুন্দর সুসমাচার যা বিশ্বাসীদের মধ্যে পবিত্র আত্মা বাস করবার অনুমতি দেয়
< যিশাইয় ৯:৬-৭ >
 “কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়েছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃতভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে –‘আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিত, শান্তিরাজ’। দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্ত্তৃত বৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায় বিচার ও ধার্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্যোগে ইহা সম্পন্ন করিবে।”
 
 
বিশ্বাসীদের মধ্যে বাস করতে পবিত্র আত্মা কি অনুমতি প্রাপ্ত?
জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচার
 
 পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে আমাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা প্রয়োজন। আমাদের প্রভুর নাম হল আশ্চর্য্য মন্ত্রী ও বিক্রমশালী ঈশ্বর। আমাদের প্রভু নিজেকে স্বর্গের পথ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। যীশু খ্রীষ্ট প্রত্যেককে সুন্দর সুসমাচার দান স্বরূপ উপহার দিয়েছেন।
 যাহা হউক, এই পৃথিবীতে অনেক লোক এখনো অন্ধকারে বাস করছে। তারা এই অন্ধকার থেকে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা করছে কারণ তারা সুন্দর সুসমাচার জানে না; তারা তাদের পাপ থেকে কখনোই মুক্তি পেতে পারে না। এর পরিবর্তে তারা ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাস করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তুলনামূলক পার্থক্য হল, যারা সত্যের অন্বেষণ করে তারা সুন্দর সুসমাচারের সম্মুখিন হবে, ঈশ্বরের আশীর্বাদের পরিপূর্ণ জীবনে তারা বাকী জীবন–যাপন করবে। আমি এটা ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ রূপে বিশ্বাস করি যা আমাকে সুন্দর সুসমাচার খুঁজে পেতে ও তাদের পাপ থেকে পরিষ্কৃত হতে তাদেরকে সাহায্য করে।
 অতএব পাপ থেকে মুক্তি অসম্ভব হবে যদি তাঁর আশীর্বাদ না থাকে। যদি আমরা প্রভুর সঙ্গে মিলিত হই এবং পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করি তখন আমরা প্রচুর আশীর্বাদের ভাগী হই। দুঃখজনক ভাবে অনেক লোক এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস ঈশ্বরের আশীর্বাদ থেকে আসে এ বিষয়ে সচেতন নয়।
 ঈশ্বরের আশীর্বাদের ফল স্বরূপ সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করা যা যীশু খ্রীষ্ট তাঁর অদ্বিতীয় পুত্র দ্বারা দত্ত হয়েছিল পৃথিবীতে যীশুই একমাত্র পাপ থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং তাঁর করুণায় আমরা আশীর্বাদ পাই। অন্য কিছুই আমাদের পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করে না অথবা আমাদের অন্তরের দোষ মুছতে সাহায্য করে না। কে নিজেকে তার নিজের পাপ থেকে এবং অনন্ত মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পারে?
 ঈশ্বর আমাদিগকে বলেন, “একটি পথ আছে, যাহা মানুষের দৃষ্টিতে সরল, কিন্তু তাহার পরিনাম মৃত্যুর পথ” (হিতোপদেশ ১৬:২৫)। লোকেরা তাদের নিজের ধর্মমতকে প্রতিষ্ঠিত করে এবং নিজদিগকে মৃত্যু ও ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। অনেক ধর্ম শ্লাঘা করে যে তারা তারা ধার্মিকতার জোর দিয়ে প্রকাশ করে এবং তাদের পাপ থেকে লোকেদের রক্ষার জন্য তাদের নিজের পথ দেখায় কিন্তু এটা কেবল জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারাই হয় যা আমাদের প্রভু আমাদিগকে দিয়েছেন, যা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করতে পারে। যীশুই কেবল একমাত্র ত্রাণকর্তা যিনি পাপীদের তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
 যোহন ১৪:৬ পদে আমাদের প্রভু বলেন, “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন।” তাদের মৃত্যুর পথে তিনি তাঁর নিজের শরীর ও রক্ত দিয়েছেন। তিনি নিজের সত্য জীবনের পথ উল্লেখ করেছেন। ঈশ্বর বলেন যে যদি কেহ যীশুর সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস না করেন তিনি স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আমাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা আবশ্যক, আমাদের পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য এবং বিশ্বাস করেন যে তিনি স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করবার নিমিত্তে আমাদের একমাত্র ত্রাণকর্তা।
 


একদা প্রাচীন ইস্রায়েল!

 
“যিহূদা রাজ উষিয়ের পৌত্র যোথমের পুত্র আহসের সময়ে অরাম রাজ রৎসীন ও ইস্রায়েল রাজ রমলিয়ের পুত্র পেকহ যিরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন,কিন্তু যুদ্ধে তাহা জয় করিতে পারিলেন না” ( যিশাইয় ৭:১)। ইস্রায়েল মূলত এক জাতি ছিল। যাহাহউক, ইস্রায়েল উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল। ঈশ্বরের মন্দির যিরুশালেম যিহূদার দক্ষিণাংশে, যেখানে শলোমন রাজার পুত্র রহবিয়াম রাজত্ব করত। পরে উত্তরাংশে শলোমনের দাস যেরোবয়ম অন্য রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন এবং এভাবে ইস্রায়েল বিভক্ত হয়েছিল। ঐসময় থেকে বিশ্বাসের এই অবনতি আজকের প্রচলিত ধর্মমতের বিরুদ্ধে উৎস হয়ে আছে। যেরবিয়ম এরূপে প্রচলিত ধর্মমতের বিরুদ্ধে মত সৃষ্টিকারী হয়ে ছিল। তিনি ঈশ্বরের ব্যবস্থার পরিবর্তন করেন তাঁর সিংহাসন রক্ষা করা প্রয়োজন হয়েছিল এবং প্রচলিত ধর্মমতের বিরুদ্ধবাদী পিতা হয়েছিল। তিনি উত্তরাংশের রাজ্যে তাঁর জাতি ইস্রায়েলের জন্য পৃথক ধর্ম সৃষ্টি করেছিলেন, এবং তিনি এমন কি দক্ষিণাংশের রাজ্য যিহূদা আক্রমণ করার চেষ্টা করলেন। এভাবে প্রায় ২০০ বছর অতিবাহিত হল, কিন্তু দুই রাজ্যের মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের কোন পরিবর্তন হল না।
 যাহাহউক, ঈশ্বর যিশাইয়র মাধ্যমে বললেন, “অরাম ইফ্রয়িম ও রমলিয়ের পুত্র তোমার বিরুদ্ধে এই হিংসার মন্ত্রণা করিয়াছে বলিয়াছে, আইস, আমরা যিহূদার বিরুদ্ধে যাত্রা করি, তাহাকে ত্রাসযুক্ত করি, ও আপনাদের জন্য তথায় বিনাস সাধন করিয়া তাহার মধ্যে এক জনকে, টাবেলের পুত্রকে রাজা করি। এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহিতেছেন, তাহা স্থির থাকিবে না এবং সিদ্ধও হইবে না। কেননা অরামের মস্তক দম্মেশক ও দম্মেশকের মস্তক রৎসীন। আর পঁয়ষট্টি বৎসর গত হইলে ইফ্রয়িম বিনষ্ট হইবে, আর জাতি থাকিবে না। আর ইফ্রয়িমের মস্তক শমরিয় ও শম-রিয়ের মস্তক রমলিয়ের পুত্র। স্থির বিশ্বাসী না হইলে তোমরা কোন ক্রমে স্থির থাকিতে পারিবে না” ( যিশাইয় ৭:৫-৯)।
 ঐ সময়ে ঈশ্বর রাজা আহসের কাছে যিশাইয়ের মাধ্যমে ভাববাণী করলেন, কিন্তু তাঁহাতে রাজার কোন বিশ্বাস ছিল না। আহস কেবল উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন যে, তিনি সিরিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে যেতে সমর্থ ছিলেন না, কিন্তু ঈশ্বরের দাস যিশাইয়ের আসরেন এবং তাকে বললেন, “পঁয়ষট্টি বৎসর অপেক্ষা কম সময়ে উত্তর ইস্রায়ের ভেঙ্গে যাবে। আর দুই রাজার মন্দ ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।”
ঈশ্বরের দাস বললেন, রাজা আহস ঈশ্বর থেকে চিহ্নের অন্বেষণ করেন, “তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোন চিহ্ন যাচ্ঞা কর, অধোলোকে কি উর্দ্ধলোকে যাচ্ঞা কর” (যিশাইয় ৭:১১)। “তিনি কহিলেন, হে দায়ুদেব কুল, তোমরা একবার শুন, মনুষ্যকে ক্লান্ত করা কি তোমাদের দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র বিষয় যে, আমার ঈশ্বরকে ও ক্লান্ত করিবে? অতএব প্রভু আপনি তোমাদিগকে এক চিহ্ন দিবেন; দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানুয়েল রাখিবে” (যিশাইয় ৭:১৩ - ১৪)। এই হল তাঁর ভাববাণী; তিনি তাঁর জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করবেন।
 


ঈশ্বরের শত্রু কে?

 
 মানবতার শত্রু পাপ এবং পাপ শয়তান থেকে সৃষ্টি। এবং কে আমাদের পাপ থেকে রক্ষাকারী? ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া আর কোন ত্রাণকর্তা নেই। মানুষের মাংসে মৌলিক দুর্বলতা আছে এবং সেজন্য হতে পারেন কিন্তু পাপ জিম্মায় রাখে। সে ছিল শয়তানের কতৃত্ত্বের অধিন। অনেক লোক দেবজ্ঞ দেখতে যায় এবং ভক্ত ভাববাদী যে ভাবে তাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে সে ভাবেই তারা জীবন যাপন করছে। এটাই সরাসরি প্রমাণিত যে তারা শয়তানের কতৃত্ত্বাধীনে।
 প্রভু যিশাইয়ের কাছে পরিত্রাণের সাক্ষ্য দিলেন, বললেন যে একজন কুমারী একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিবে এবয় নাম ইম্মানুয়েল। এটাই ঈশ্বরের পরিকল্পনা মানুষ বেশে পাপময় দেহে যীশুকে পাঠান এবং শয়তানের উৎপীড়ন থেকে তাঁকে পাপীদের কে রক্ষা করতে হবে। ভাববাণী অনুসারে, কুমারী মরিয়মের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে মানব আকারে যীশু এই জগতে আসলেন।
 যদি যীশু আমাদের কাছে আসতেন তাহলে আমরা আজও শয়তানের কতৃত্ত্বের অধীনে বাস করতাম। কিন্তু যীশু এই জগতে এসেছিলেন এবং যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং রুশের ওপর মরে আমাদিগকে সুন্দর সুসমাচার দিয়েছেন যা সকল পাপীকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করবে। সে কারণে অনেক মানুষ সুন্দর সুসমাচার বিশ্বাস করে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা পেয়ে থাকেন এবং ঈশ্বরের সন্তান হন।
 এমনকি বর্তমানে, অনেক ধর্ম বিশারদগণ যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বর অথবা মানুষ এই দুইয়ের মধ্যে কোন একটি নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন। রক্ষণশীল ধর্ম বিশারদ গণ বলেন, “যীশুই ঈশ্বর” কিন্তু কিছু নূতন ধর্ম বিশারদ গণ কড়া জবাব দ্বারা সমালোচনা করছে যে যীশু জোসেফের অবৈধ সন্তান ছিলেন। কি দুঃখ জনক উক্তি ইহা!
 কিছু নূতন ধর্ম বিশারদ গণ বলেন যে তারা বিশ্বাস করতে পারেন না যে যীশু জলের উপর দিয়ে হাঁটতে কোন সামর্থ ছিল। তারা বলেন, যীশু বাস্তিবক দিগন্তের কোন নীচু পাহাড়ের ওপর দিয়ে হেঁটেছিলেন এবং তাঁর শিষ্যগণ অনেক দূর থেকে তাঁকে দেখেছিলেন, ভেবে দেখুন তিনি জলের ওপর দিয়ে হেঁটেছিলেন।” বর্তমান দিনে ধর্মতত্ত্বের চিকিৎসক গণ যারা নূতন ধর্ম বিশারদ স্কুলের সঙ্গে যুক্ত তারা ধর্মতত্ত্বের মহান ব্যক্তি নন। তাদের অধিকাংশ বাইবেল থেকে যা হৃদয়গমন করেছেন কেবল তাই বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন।
 অন্য একটি উদাহরণ দেওয়ায়, বাইবেল বলে যে যীশু পাঁচটি রুটি ও দুইটি ভাজা মাছ দ্বারা ৫০০০ লোককে খাইয়ে ছিলেন। কিন্তু তারা এই অলৌকিক কাজ সম্পর্কে অত্যন্ত অবিশ্বাসী। তারা এর কার্য্যকাল সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। “ লোকেরা যীশুকে অনুসরণ করেছিল এবং অনাহারে মৃত্যু হচ্ছিল। সুতরাং যীশু তাঁর শিষ্যদের খাবার যোগাড় করতে বলেলন। তখন একটি শিশু স্বেচ্ছাপ্রনদিত হয়ে তার খাবারগুলো তাঁকে দিলেন, এবং সমস্ত বয়স্ক লোকেরা তাদের নিজেদের খাবার নিল। সুতরাং খাবার খাওয়ার পর তারা খাবার গুলো সংগ্রহ করল এবং অবশিষ্ট বার ডালা পাওয়া গেল।” এই প্রকার ধর্ম বিশারদগণ সরলভাবে তাদের নিজেদের অত্যন্ত সীমিত বোধগম্যের দ্বারা ঈশ্বরের বাক্য সম্পাদন করতে চেষ্টা করে। ঈশ্বর প্রদত্ত সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস থাকাই সরলভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা। বিশ্বাস অর্থ কোন জিনিসে ঠিক বিশ্বাস করা নয়, কারণ ইহা জ্ঞানের ধারনা তৈরি করে, কিন্তু কোন জিনিসের পরিবর্তে বিশ্বাস থেকে পতিত হওয়া বরং ইহা নয়। আমরা ইহা হৃদয়ঙ্গম করতে পারি, অথবা পারিনা, আমরা অবশ্যই তাঁর বাক্য গ্রহণ করব, যেমন ভাবে তারা লিখেছেন ও তাঁহাতে নির্ভর করব।
 এস্তুত মনুষ্যপুত্ররূপে যীশু আমাদের কাছে এসেছিলেন, অর্থ এই যে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। যীশু যিনি ঈশ্বর, আমাদের রক্ষার জন্য এই জগতে এসেছিলেন। যিশাইয় ভাববাণী বলেছিলেন, যে একজন কুমারির গর্ভে জন্ম গব্দহন করে মনুষ্যপুত্ররূপে তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন।
 আদি ৩:১৫ পদে, প্রভু ঈশ্বর সম্পর্কে বলেছিলেন, “আর আমি তোমাতে ও নারিতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ন করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমুল চূর্ন করিবে।” এর অর্থ হলো ঈশ্বর যীশুকে পাঠাবার পরিকল্পনা করলেন, মানুষের আকৃতি প্রকৃতিতে, তাদের পাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমাদের ত্রাণকর্তারূপে।
 বাইবেলে ইহা লিখিত আছে, “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু তোমার হুল কোথায়?” “মৃত্যুর হুল পাপ ও পাপের বল ব্যবস্থা” (১ করিন্থীয় ১৫:৫৫-৫৬)। মৃত্যুর হুল পাপ। যখন একজন মানুষ পাপ করে মৃত্যু তাকে এর ক্রীতদাস করে। কিন্তু আমাদের প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছেন, “স্ত্রী লোকের বংশ তোমার মস্তক চূর্ণ করবে।” এর অর্থ যীশু পাপের হুল ধ্বংস করবেন যা শয়তান এনেছিল।
 যীশু এই জগতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেবেন এবং তাদের জন্য বিচারিত ও ক্রুশারোপিত হবেন। তিনি তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করলেন যিনি সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন। যখন আদম ও হবা পাপ করলেন, ঈশ্বর শয়তানের ক্ষমতা থেকে মানুষকে রক্ষা করবার প্রতিজ্ঞা করলেন। আধুনিক বিশ্বে, ঈশ্বরের শত্রু হলো যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে না।
 


কেন যীশু এই জগতে জন্মগ্রহণ করলেন?

 
ঈশ্বর আমাদের পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করবার জন্য ব্যবস্থা ও সুন্দর সুসমাচার দিলেন। ঈশ্বরের ব্যবস্থার অধীনে তাঁর সাক্ষাতে পাপী বলে গণ্য হয়। অধিকন্তু, ব্যবস্থায় দেওয়া হয়েছিল যেন লোকেরা তাদের পাপ জানতে পারে। যখন লোকেরা পাপের ও ব্যবস্থার দাসত্ব করত, তখন আমাদের প্রভু ব্যবস্থার দাবী ধার্মিকতার পরিপূর্ণতা সাধনে এই জগতে এলেন।
 যীশু ব্যবস্থার অধীনে জন্মগ্রহণ করলেন। তিনি ব্যবস্থার যুগে জন্মেছিলেন। এই কারণে লোকেদের ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়েছিল, তাদের জন্য পাপের ক্ষমা পেতে তাদের পাপ জানা প্রয়োজন হয়েছিল। লোকেরা তাদের কাপড় থেকে ময়লা পরিষ্কার করে যখন তারা উপলব্ধি করতে পারে যে সেগুলো ময়লা। অধিকন্তু, তাদের পাপ সনাক্ত করতে লোকেদের ঈশ্বরের ব্যবস্থা জানা আবশ্যক। যদি ব্যবস্থা না থাকত তাহলে পাপের কোন জ্ঞান জন্মাম না, এবং যীশুর এই জগতে আসার কোন প্রয়োজন হত না।
 যদি আপনি ঈশ্বরের ব্যবস্থা জানেন, তাহলে আপনাকে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ও সুযোগ করে নিতে হবে। আমরা ব্যবস্থা জানি এবং সে কারণে আমাদের পাপ সম্পর্কে শিখতে সমর্থ হই। কেবল পরে আমরা আমাদের পাপ সম্পর্কে জানি যা যীশু খ্রীষ্ট আমাদিগের বিশ্বাসের জন্য সুন্দর সুসমাচার দিয়েছেন। যদি ঈশ্বর ব্যবস্থা আমাদিগকে দিতে রাজি না হতেন, তাহলে আমরা পাপী হতাম না। এবং বিচারিত ও বিকশিত হতাম না। ঈশ্বর আমাদিগকে ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং পাপীদের তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করবার জন্য সুন্দর সুসমাচার আমাদিহগকে উপহার দিয়েছেন।
 ব্যবস্থা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সৃষ্টি ঈশ্বরের পরিত্রাণের ব্যবস্থার মধ্যে বিকশিত। ইহাই প্রেমের ব্যবস্থা। ঈশ্বর মানুষকে বলেন, “কিন্তু সদস্য জ্ঞান-দায়ক যে বৃক্ষ তাঁহার ফল ভোজন করি ও না” (আদি ২:১৭)। এই ব্যবস্থা ঈশ্বর আমাদের জন্য দিতে রাজি হয়েছিলেন; এবং ব্যবস্থা প্রেমের ভিত্তিতে আমাদের সকল পাপ থেকে ঈশ্বর আমাদিগকে রক্ষা করলেন। পরিত্রাণের ব্যবস্থা আমাদের পাপের ক্ষমার ভিত্তি স্বরূপ। ঈশ্বর আমাদিগকে বলেন যে তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং সবকিছু তাঁর ইচ্ছা অনুসারে বিকশিত হয়েছে। এর অর্থ এই যে ঈশ্বর সম্পূর্ণ রূপে বিদ্যমান এবং লোকেরা পরিত্রাণের ব্যবস্থা বিশ্বাস করতে যা সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে গুনান্বিত হবে।
 অবিমিশ্রিত ঈশ্বর সম্পূর্ণ ভাবেই উত্তম। এই জগতের জন্য অবিলম্বে সম্পাদিত ঈশ্বরের প্রেম তাঁর অদ্বিতীয় পুত্রের বলিদান, যিনি সকল পাপীর মুক্তি দাতা হলেন। যখন ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের পাপ থেকে রক্ষার জন্য সুন্দর সুসমাচার প্রদান না করতেন, তাহলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিলাপ করতাম। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের নিজেদের
ধ্বংস থেকে আমাদিগকে রক্ষা করতে চাইলেন এবং সে কারণে পরিত্রাণের বিধান প্রতিষ্ঠিত করলেন। ব্যবস্থার কারণে, আমার আমাদের পাপের উপলব্ধি করতে সমর্থ হই, এবং সরাসরি সেগুলো দেখতে পাই, যীশুর সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করতে শুরু করি। যখন আমরা ঈশ্বরের বাক্য লঙ্ঘন করি, আমরা ব্যবস্থার বিপরীতে পাপী বলে সুস্পষ্ট ভাবে প্রকাশিত হই, আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপের ক্ষমার জন্য জানু পেতে তাঁর করুণা ভিক্ষা করি।
 যীশু একজন মহিলার মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করলেন এবং পাপ থেকে মানব জাতিকে রক্ষার জন্য এই জগতে আসলেন। যীশু আমাদের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনা পূর্ণতা সাধন করতে মানব রূপে এই জগতে আসলেন। আমরা তাঁর সুন্দর সুসমাচার বিশ্বাস করি। সে কারণে আমরা প্রভুর প্রশংসা করি।
 কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করা, কেন ঈশ্বর আমাকে এত দুর্বল করে তৈরি করলেন, যেন আমি সহজেই পাপে পতিত হতে পারি এবং আমার অপরাধের জন্য অধীক শাস্তি ভোগ করি? কিন্তু ঈশ্বর কখনো চাননি আমরা শাস্তি ভোগ করি। তিনি আমাদিগকে শাস্তি ভোগের অনুমতি দেন, কারণ আমরা যীশুর সুসমাচারে অবিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদিগকে শাস্তি ভোগ ও সুন্দর সুসমাচার উভয়ই দিয়েছেন। সুতরাং, আমাদের তাঁহার সন্তান হিসাবে একই ক্ষমতা দিয়েছেন। এই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। কিন্তু দিয়াবল বলে, “না! না! ঈশ্বর একজন স্বৈরশাসক! সামনের দিকে এগিয়ে যাও এবং তোমার ইচ্ছামত জীবন যাপন কর। স্বাধীন হও! তোমার নিজের কাজের মধ্য দিয়ে তোমার ভাগ্য রচনা কর!” দিয়াবল আরও চেষ্টা করে, যেন মানব জাতি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে না পারে। কিন্তু যারা ঈশ্বর থেকে পৃথক জীবন যাপন করতে পছন্দ করে, তারা তাঁর পরিত্রাণের পরিকল্পনার বিঘ্ন স্বরূপ। যীশু এই জগতে আসলেন এবং তাদের ডাকলেন, যারা শয়তানের কর্তৃত্তাধীন থাকে, তাদের পাপ পরিত্যাগ করতে চায়। আমরা ঈশ্বর থেকে পৃথক জীবন যাপন করতে পারি না।
 

মানুষ জন্মগত পাপী যার গন্তব্যস্থান নরক
 
 পৃথিবীতে এমন কোন সত্য নেই যা অপরিবর্তনীয়। কিন্তু যীশুর সুন্দর সুসমাচার অপরিবর্তনীয় সত্য। অতএব, লোকেরা ঐ সত্যের ওপর নির্ভর করতে পারে এবং শয়তানের ক্ষমতা থেকে মুক্তি পেতে পারে। আদম ও হবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে মানব জাতির পাপ এসেছে এবং খ্রীষ্টের মধ্যস্থতা ব্যতীত নরকের আগুনে কষ্টভোগ করতে হবে। তাঁর এই বলিদানের বদলে তাঁকে ধন্যবাদ, মানুষ ঈশ্বরের সন্তান হবার ক্ষমতা দ্বারা আশীর্বাদযুক্ত হয়েছিল। “কিন্তু যে [দেশ] যাতনাগ্রস্ত ছিল, তাহার তিমির আর থাকিবে না” (যিশাইয় ৯:১)। ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এই জগতে পাঠালেন এবং তাদেরকে গৌরবান্বিত করলেন, যারা সুন্দর পরিত্রাণে বিশ্বাস করে।
“যে জাতি অন্ধকারে ভ্রমণ করিত, তাঁহার মহা – আলোকে দেখিতে পাইয়াছে; যাহারা মৃত্যুচ্ছায়ার দেশে বাস করিত, তাহাদের উপরে আলোক উদিত হইয়াছে” (যিশাইয় ৯:২)। আজ এই বাক্য আপনার এবং আমার কাছে সত্য। সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা, আমরা অনন্ত জীবনের আশীর্বাদ লাভ করি, যা আমরা এই পৃথিবীতে লাভ করতে পারি না। যীশু খ্রীষ্ট জগতে থেকে মানুষের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, তিনি তাদেরকে স্বর্গীয় রাজ্যে অনন্ত জীবন দেন।
 

তিনি সুসমাচারের সুন্দর আলো দিয়ে ছায়া দেন যারা হতাশায় ভুগছে
 
মানুষ কুয়াশার মত, এই পৃথিবীতে এক মুহুর্তের জন্য থাকা কিন্তু শীঘ্রই অদৃশ্য হয়ে যায়। তার জীবন এক বর্ষজীবি গাছ ও ঘাসের মত। ঘাস বছরের কেবল কয়েক মাসের জন্য এর জীবন ধরে রাখে এবং ঈশ্বরের দুরদর্শিতার অনুসারে অদৃশ্য হয়ে যায়। আমাদের জীবনের সমস্ত অহংকার ঘাসের মতই অর্থহীন। কিন্তু ঈশ্বর আমাদিগকে তাঁর সন্তান করবার জন্য সুন্দর সুসমাচার আমাদের নিঃশোষিত আত্মা ও তাঁর ধার্মিকতা দিয়েছেন। ইহা কেমন বিস্ময়কর অনুগ্রহ! আমাদের অর্থহীন জীবন অনন্ত জীবন পরিনত হবে, ঈশ্বরের এই প্রেমকে ধন্যবাদ দেই এবং আমরা আশীর্বাদের সহিত তাঁর যোগ্য সন্তানে পরিনত হলাম।
 এখানে একটি আত্মার স্বীকারোক্তি আছে, যিনি সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের অনুগ্রহে আশীর্বাদের ভাগী হয়েছিলাম।
 আমি এমন একটি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলাম, যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করত না। সে কারণে আমি এই সুন্দর চিন্তা ভাবনাকে এগিয়ে নিতে স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে আমার মায়ের জন্য প্রার্থনা করি এবং পৃথিবীতে আমার পরিবারের কল্যাণের জন্য প্রতিদিন সকালে তার সম্মুখে এক বোল জল এনে রাখতাম। আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, আমি আমার অস্তিত্বের মূল্য বা কারণ জানতাম না, যা আমার বিশ্বাস তৈরি করেছিল বাস্তবিক আমার জীবন অথবা মৃত্যু ইহা কোন ব্যাপার ছিল না। আমি আমার নৈতিকতা সম্পর্কে অচেতন ছিলাম; আমি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছিলাম।
 এই প্রকার জীবন আমাকে নিঃশোষিত করল এবং আমি দ্রুত বিবাহ করলাম। আমার বিবাহিত জীবন ভালছিল। আমার তেমন কোন আকাঙ্খা ছিলনা, সুতরাং আমি শান্ত ও নির্মল জীবন যাপন করছিলাম। তারপর আমার একটি সন্তান হল এবং ঐ সময় থেকেই আমি দেখলাম যে, আমার মধ্যে প্রেম আবির্ভূত হচ্ছে। আমি আমার স্বার্থপর আকাঙ্খা হারাতে আরম্ভ করি, কিন্তু আমি ঐসব ক্ষতির বিষয় শঙ্কিত ছিলাম।
 এভাবে আমি ঈশ্বরকে খুজতে শুরু করলাম। আমি দুর্বল ও অক্ষম ছিলাম এবং সে কারণে, আমার প্রিয়জনদের সম্পূর্ণভাবে তত্ত্বাবধান করবার প্রয়োজন হয়েছিল। সুতরাং আমি গীর্জাতে যেতে শুরু করি, কিন্তু আমার মায়ের জলের বলের সামনে প্রার্থনা করার থেকে আমার বিশ্বাসের সামান্য পার্থক্য ছিল। আমার প্রার্থনা ছিল কেবল অস্পষ্ট উদ্বেগ ও প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে।
 একদা, আমি স্থানীয় গীর্জাতে অনুষ্ঠিত এক ছোট সভাতে যোগদান করি এবং যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, আমার চোখ থেকে জল পড়তে শুরু করল। আমি হতবুদ্ধি হলাম ও কান্না থামাতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু চোখের জল ক্রমাগত পড়তে থাকল। লোকেরা চারিদিক থেকে আমার মাথায় হস্তার্পণ করল এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণ করার জন্য আমাকে অভিবাদন জানাল। কিন্তু আমি কিংকর্তব্য বিমূঢ় ছিলাম। ঈশ্বরের বাক্যের সঙ্গে আমার কোন ঘনিষ্টতা ছিল না এবং তাঁহার প্রতি আমার কেবল দুর্বল বিশ্বাস ছিল। সুতরাং আমার কোন দৃঢ় বিশ্বাস ছিল না, বরং পবিত্র আত্মার এই নৈতিক শক্তি ছিল।
 আমি পেন্টিকস্তাল ক্যারিশম্যাটিক আন্দোলনের সঙ্গে মনে মনে মুক্ত হয়ে গীর্জাতে যোগদান করতে থাকলাম, আমার মত অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা ছিল এবং প্রায় প্রত্যেকেরই নানা ভাষায় কথা বলতাম। একদিন, আমি একজন পালকের দ্বারা পরিচালিত একটি পুনরুজ্জীবন সভায়ে নিমন্ত্রণ পেলাম, যার লোকেরা বলে যে তারা পবিত্র আত্মার পূর্ণ হয়েছিল। পালক বহু সংখ্যক লোককে গীর্জাতে জমা করলেন এবং বললেন তিনি তাঁর পবিত্র আত্মার ক্ষমতা প্রয়োগ করে কারো সাইনোসাইটস একটি অসুস্ততা যা হাসপাতালে সহজে আরোগ্য হয়। সুতরাং আমি অদীর আগ্রহী হলাম, তিনি কিভাবে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করলেন। কিন্তু তার পরে পালক তার আরোগ্যকারী শক্তি প্রয়োগে সফল হতে জন সমক্ষে আবির্ভূত হলেন, তিনি শ্লাঘা করতে থাকলেন যে, তিনি একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাতত্রে তার অথবা তার (স্ত্রী) বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কৃতকার্য্যর অথবা অকৃতকার্য্যর বিষয় ভবিষ্যত বাণী করতে পারতেন। প্রচুর লোক তার ঈশ্বর থেকে প্রাপ্ত ক্ষমতার প্রশংসা করতে থাকলেন।
 কিন্তু আমি তাকে বুঝতে পারলাম না। এবং আমি বলতে পারলাম না যে পবিত্র আত্মার দ্বারা কোন কিছু করার মত কোন ক্ষমতা ছিল কি-না। আমি এটা গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবতে পারলাম না, হয়ত সে সাইনোসাইটস আরোগ্য করতে অথবা পূর্ব থেকে অনুমান করে কার পরীক্ষার কৃতকার্য্যতার বিষয় বলতে পারত। সুতরাং, তার এই দৃশ্যত অলৌকিক কাজ পবিত্র আত্মার কাজ হিসাবে আমি নিতে পারলাম না।
 ঈশ্বরের ক্ষমতা ও প্রেম যা আমার মনে ছিল। আমি তার থেকে পার্থক্য দেখলাম। ঐ কারণে, আমি ঐ গীর্জাতে যাওয়া বন্দ করে দিলাম এবং যারা পালকের ক্ষমতা বিশ্বাস করে সেই লোকদের এড়িয়ে চলতে থাকলাম। এরপরে, আমি একটি গোপন মণ্ডলীতে যোগদান করতে থাকলাম, আমি তাহা পছন্দ করেছিলাম, কারণ আমি ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে অধীক আলোচনা করা বিশ্বাস করেছিলাম। আমি এর মাধ্যমে ব্যবস্তার বিদ্বান হয়েছিলাম এবং জেনে ছিলাম যে, আমি অত্যন্ত অধার্মিক ছিলাম। ঈশ্বর আমার ভয়ের বাঁধা হলেন এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আমি তাঁর উপস্থিতি সম্মানজনক ভাবে দেখতে পারলাম না এবং তাঁর আত্মার আবির্ভাবে আমি উপেক্ষিত হলাম।
 যিশাইয় ৫৯:১-১ পদে লিখিত আছে, “দেখ, সদাপ্রভুর হস্ত এমন খাট নয় যে, তিনি পরিত্রাণ করতে পারেন না; তাঁহার কর্ণ এমন ভারীনয় যে, তিনি শুনতে পান না, কিন্তু তোমাদের অপরাধ নকল তোমাদের ঈশ্বরের সহিত তোমাদের বিচ্ছেদ জন্মাইয়াছে। তোমাদের পাপ সকল তোমাদের হইতে তাঁহার শ্রীমুখ আচ্ছাদন করিয়াছে। এই জন্য তিনি শুনেন না।” এই অবস্তান আমার দৃষ্টিগোচর হল। পবিত্র আত্মা গ্রহণ করা ও তাঁর সন্তান হওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব হল কারণ আমি যা কিছু করেছিলাম অথবা ভেবেছিলাম সবই পাপে পরিপূর্ণ ছিল।
 আমি ঈশ্বরকে ভয় করতাম এবং অবিলচিত ভাবে অনুতাপের প্রার্থনা করছিলাম। আমাকে এরূপ করতে কেহই বলে নাই, কিন্তু আমি সম্মানজনক ভাবে ঈশ্বরের সাক্ষাতে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। আমি পাপে পূর্ণ ছিলাম, আমি অনুতাপের প্রার্থনা আন্তরিকতার সাথে উৎসর্গ করি। কিন্তু এই প্রার্থনা আমার পাপ ধৌত করতে ব্যর্থ হল। আমি আমার সমস্ত চিন্তা ও আন্তরিকতা তাঁর সাক্ষাতে উপস্থাপন করলাম তথাপি পাপ আমার মধ্যে ছিল। ঐ সময় থেকে, আমি ঈশ্বরের সাক্ষাতে বিলাপ করতে লাগলাম। আমি তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র হতে ইচ্ছা করলাম কিন্তু আমি ঠিক পবিত্র হতে পারলাম না, সুতরাং আমার বিলাপ ও পাপ সকল স্তূপীকৃত হল।
 এই ধর্মীয় বিশৃঙ্খলার সময়ে আমার বাবার স্ট্রোক হল। তিনি ৪০দিন যাবৎ অপারেশন কক্ষে ও হাসপাতালের বিছানায় ক্লেশভোগ করতে লাগলেন। কিন্তু আমি আমার বাবার জন্য প্রার্থনা করতে পারলাম না, আমি একজন পাপী ছিলাম, সুতরাং আমি ভাবলাম যে যদি আমি আমার বাবার জন্য প্রার্থনা করতাম, তার ব্যাথা আরও বেশি বেড়ে যেত। আমার বিশ্বাসের দীনতায় আমি দুর্দশাগ্রস্ত ছিলাম এবং আমি ঈশ্বরের অনুস্বরন করতে ইচ্ছা করলাম কিন্তু পারলাম না। সুতরাং আমি আমার বিলাপ ক্রমাগত চালাতে থাকলাম এবং অবশেষে তাঁর থেকে ঘুরে দাঁড়ালাম আমার ধর্মিয় জীবন ঐ ভাবেই শেষ হয়ে গেল। আমি চিন্তা করলাম যদি আমি তাঁকে বিশ্বাস করতাম, তাঁর আত্মা আমার মধ্যে বাস করত এবং আমি শান্তি খুজে পেতাম। কিন্তু বুহগা কোন ঘটনা ছিল না। এর পরে আমার জীবন আর ও অধিক অর্থহীন হয়ে পড়ে এবং আমি ভয় ও অসুখিভাবে বাস করতে থাকলাম।
 কিন্তু প্রভু আমাকে ত্যাগ করলেন না। তিনি আমাকে একজন বিশ্বাসীর সম্মুখীন করলেন যিনি সত্যই ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিলেন। আমি এই ব্যক্তির কাছ থেকে শিক্ষিত হলাম, যেন যীশু যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নেন এবং তিনি তাদের জন্য ক্রুশে বিচারিত হলেন। সে কারণে আমার পাপ সহ এই জগতের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়েছিল। যখন আমি শুনলাম এবং ইহা বুঝলাম, আমি দেখতে পারলাম যে, আমার সমস্ত পাপ পরিষ্কৃত হয়েছে। ঈশ্বর আমাকে আমার সমস্ত পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করতে সাহায্য করলেন, আমাকে পবিত্র আত্মার আশীর্বাদ দান করলেন এবং আমাকে শান্তিপূর্ণ জীবন দিতে রাজি হলেন। তিনি আমাকে নিরবে চালনা দিলেন, ভাল ও মন্দ সম্পর্কে আমাকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে দিলেন এবং আমাকে এই পৃথিবীর প্রলোভন জয় করবার ক্ষমতা দিয়ে আমাকে বুদ্ধি দেন। তিনি আমার প্রার্থনার উত্তর দেন এবং আমাকে ধার্মিক ও কষ্ট স্বীকারে যোগ্য জীবন যাপন সাহায্য করেন। আমি সত্যই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই যে আমাকে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
 প্রত্যেকেই আমাদিগকে প্রভুর অনুগ্রহে আশীর্বাদ নিয়ে পবিত্র আত্মা গ্রহনে সমর্থ করেছেন। আমি প্রভুকে ধন্যবাদ করি যে তাঁর সুন্দর সুসমাচার দেওয়ার জন্য। ঈশ্বর ধার্মিকদের এরূপ সুখের জন্য আশীর্বাদ করেন। ধার্মিকের অন্তর আনন্দে পূর্ণ। প্রভু আমাদিগকে সুখময়তা দিতে রাজি হয়েছেন। আমরা জানি ঈশ্বরের পরিত্রাণের প্রেম ও অনুগ্রহ তাদের জন্য কেমন মুল্যবান এবং আমরা তাদের জন্য কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ। ঈশ্বর স্বর্গের সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে সুখময়তা দিয়ে থাকেন। এই জিনিসগুলি টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায় না। ঈশ্বর সৎ ন্যায়পরায়ন পবিত্র আত্মা সুন্দর সুসমাচার যা আমাদের জীবনকে আশীর্বাদ যুক্ত করেছিল। প্রভু আমদিগকে সুন্দর সুসমাচার দিয়েছেন। এবং তিনি সুখী যে ধার্মিকেরা আশীর্বাদের জীবন উপভোগ করছে।
 লূকে সংরক্ষণ করা হয়েছে যে, মরিয়ম বললেন, “কেননা ঈশ্বরের কোন বাক্য শক্তিহীন হইবে না। তখন মরিয়ম কহিলেন, দেখুন, আমি প্রভুর দাসী, আপনার বাক্যানুসারে আমার প্রতি ঘটুক” (লূক ১:৩৭-৩৮)। যে মুহুর্তে মরিয়ম ঈশ্বরের সুন্দর বাক্যে বিশ্বাস করলেন, ঈশ্বরের দূতের কথা অনুসারে যীশু ঠিক তাদের বিশ্বাসের দ্বারা গ্রহণ করেছিলেন, ধার্মিকেরা সুন্দর সুসমাচার তাদের অন্তরে ধারন করে।
 “কারণ তুমি তাহার ভারের যোয়ালি, তাঁহার স্কন্ধের বাঁক, তাহার উপদ্রবকারীদের দন্ড ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছ, যেমন মিদিয়নের দিনে করিয়া ছিলে” (যিশাইয় ৯:৪)। শয়তান সব বিনাশ, অসুস্থ্যতা এবং উৎপীড়নের মাধ্যমে আমাদের জীবন যাপন করলাম, কিন্তু আমরা তাঁকে জয় করতে যথেষ্ট দুর্বল। কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে প্রেম করেন, সুতরাং তিনি শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং তাঁকে পরাজিত করেন।
 “কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন। একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ, দায়ুদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্ত্তৃত্ব বৃদ্ধির সুদৃঢ় করা হয়। ন্যায় বিচার ও ধার্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনী গণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে” (যিশাইয় ৯:৬ -৭ )।
 যীশু যা এনেছিলেন সেই সুন্দর সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদিগকে তাঁর সন্তানরূপে গৌরবান্বিত করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে শয়তানকে পরাজিত করেছেন এবং শয়তানের কর্ত্তৃত্ব থেকে আমাদিগকে মুক্ত করেছেন।
 প্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা ক্ষমতা দ্বারা সমস্ত পাপের অন্ধকার দূরীভূত করতে এই জগতে এসেছিলেন। সুতরাং আমরা আমাদের প্রভুকে বিস্ময়কর একজন হিসাবে আহবান করে থাকি। তিনি আমাদের জন্য অনেক বিস্ময়কর কার্য্য সাধন করেছেন। ঈশ্বরের সিদ্ধান্তে এই জগতে মনুষ্য পুত্রের আগমন ছিল রহস্যজনক। “সদাপ্রভু কহিতেছেন, আইস, আমরা উত্তর প্রত্যুত্তর করি; তোমাদের পাপ সকল সিন্দুর বর্ণ হইলে ও হিমের ন্যায় শুক্লবর্ণ হইবে; লাক্ষার ন্যায় রাঙ্গা হইলেও মেষ লোমের ন্যায় হইবে” ( যিশাইয় ১:১৮)।
 প্রভু আমাদিগকে আমাদের পাপ হতে রক্ষা ও আমাদিগকে অনন্ত ক্ষমা দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন। যীশুকে বিস্ময়কর একজন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তদানুসারে, তিনি আমাদের জন্য অলৌকিক কার্য্য সম্পাদন করেছেন। “তাঁর নাম হবে আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর।” ঈশ্বর আমাদের আশ্চর্য্য মন্ত্রী হিসাবে সুন্দর সুসমাচারের দ্বারা আমাদের পরিত্রাণের পরিকল্পনা করেছেন এবং তাঁর পরিক্লনা অনুসারে আমাদের পাপ থেকে আমাদিগকে চির কালের তরে রক্ষা করেছেন। ঈশ্বরের মুর্খতা মানুষের অপেক্ষা অধীক জ্ঞান দায়ক। যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম এবং আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করতে ক্রুশীয় মৃত্যু এ সবই তাঁর জ্ঞানের জন্য হয়েছিল। এই রহস্য জনক কাজ যা তিনি আমাদের জন্য করেছিলেন, কিন্তু ইহা হয় প্রেমের ব্যবস্তা যা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদিহকে রক্ষা করেছে। সত্যের সুসমাচারই প্রেমের ব্যবস্থা যা আমাদিগকে জল ও তাঁর রক্তের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মা গ্রহণে পরিচালিত করে।
 প্রভু যিশাইয় ৫৩:১০ পদে বলেন, “তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনা গ্রস্থ করিলেন।’’ যীশু তাঁর আত্মাকে ঈশ্বরের ইচ্ছানুযায়ী পাপের বলীরূপে উৎস্বর্গ করলেন। তিনি তাঁর পুত্র, যীশু খ্রীষ্টের উপর জগতের সমস্ত পাপভার বর্তাইলেন এবং তাঁকে ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা যাতনাগ্রস্থ করলেন যেন তিনি তাদের জন্য বিচারিত হন। এই হল সুন্দর সুসমাচার যা মানুষকে তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করে। খ্রীষ্ট আমাদের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করলেন, পাপের দেনা শোধ করলেন এবং পরিত্রাণ দিয়ে আমাদের আশীর্বাদ যুক্ত করলেন।
 

ঈশ্বরের যজ্ঞীয় পদ্ধতি
 
যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশু কত পাপ তুলে নিয়েছিলেন?
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পাপগুলি আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত
 
 বাইবেল বলে দিনের পাপের জন্য ক্ষমার পরিনাম নৈবেদ্য। একজন পাপী একটি নির্দোষ পশু মাথায় হস্তার্পন করে তাঁর পাপ পশুর উপরে বর্ত্তাবে। তারপর সে বলিদান করবে এবং এর রক্ত যাজকদের হাতে দিবে। যাজক কিছু পশুর রক্ত নিবে এবং বেদির শৃঙ্গে রেখে নৈবেদ্য দাহ করবে এবং বাকী অংশ বেদির মূলে সবলে নিক্ষেপ করবে। এই ভাবে দিনের পাপের জন্য তিনি ক্ষমা পেতে পারেন। একজন পাপীর বলির উপর তাঁর পাপ বর্ত্তানোর উপায় হল হস্তার্পন। যারা যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে তাদের বলি উৎসর্গ করে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করতে পারে। যজ্ঞীয় পদ্ধতি হল যীশুর সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার পূর্বে আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবার উপায়।
 ঈশ্বর প্রায়শ্চিত্তের দিন নির্ধারণ করেছিলেন, সুতরাং ইস্রায়েল জাতির সমস্ত বৎসরের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য ঈশ্বর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন। ৭ম মাসের ১০দিনে ছিল বলি উৎসর্গের দিন। ঈশ্বর নিযুক্ত মহাযাজক হারোণ সমস্ত ইস্রায়েলের বাৎসরিক পাপ অন্যের কৃত দোষের ফলভোগী ব্যক্তির উপরে বর্ত্তাতেন। ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুসারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করা হত। তাঁর বিজ্ঞতা ও মানুষের জন্য প্রেম থেকে পাপের ক্ষমা আসে। এই তাঁর ক্ষমতা।
 “বিচারের বই অনুসারে” “বেদীর শৃঙ্গে বলি দাহ করবে” (প্রকাশিত বাক্য ২০:১২)। যেখানে মানুষের পাপ সংরক্ষণ করা হয়। কারণ যাজক বেদীর শৃঙ্গে পাপার্থক বলিরূপে রক্ত ছিটিয়ে বলি দাহ করে বিচারের বইয়ে লিখিত তাদের পাপ ও নাম মুছে দেয়া হয়। সব মাংসের জীবন রক্ত। ইস্রায়েলীয়দের পাপ নৈবেদ্য তুলে নিয়ে যায় এবং অন্যের কৃত দোষের ফলভোগী ব্যক্তি হত হয়ে পাপের দেনা পরিশোধ করে। ঈশ্বর যজ্ঞীয় পশু হত্যা করে তাদের পাপের বিচার গ্রহণ করলেন। এই ছিল আমাদের জন্য তাঁর বিজ্ঞতা ও প্রেমের চিহ্ন। যীশু খ্রীষ্ট এই জগতে এসে ঈশ্বরের পরিকল্পনা গুনান্বিত করতে পাপের জন্য উৎসর্গীকৃত হয়েছিলেন। যীশু তাঁর উৎসর্গীকরণের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। আমরা যদি এই প্রতিজ্ঞাত বাক্যে দৃষ্টিপাত করি, আমরা দেখি, “তাঁকে চূর্ণ করতে প্রভুর ইচ্ছা ছিল, তিনি তাঁকে দুঃখ দিলেন” অথবা “তিনি জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন।”
 “কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভাবে থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে-‘আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’। দায়ুদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্ত্তৃত্ববৃদ্ধি ও শান্তির সীমা থাকিবেনা, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে (যিশাইয় ৯:৬-৭)।”
 যীশু ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করেছিলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে সকল বিশ্বাসীদের শান্তি দিয়েছিলেন, তা ছিল রহস্যজনক ও বিস্ময়কর প্রতিজ্ঞা ছিল। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা ছিল প্রেমের প্রতিজ্ঞা, যার দ্বারা তিনি মানব জাতির শান্তির পরিকল্পনা করেছিলেন। এই হল ঈশ্বর আমাদিগকে কি প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ করেছিলেন এবং তিনি কি করেছিলেন।
 মথি ১:১৮ পদে আছে, “যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এরূপে হয়েছিল। তাঁহার মাতা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগদত্তা হইলে তাহাদের সহবাসের পূর্বে জানা গেল, তাঁহার গর্ভ হইয়াছে – পবিত্র আত্মা হইতে।” “যীশু” অর্থ ত্রাণকর্তা, যিনি তাঁর জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে ইচ্ছুক। “খ্রীষ্ট” অর্থ অভিষিক্ত রাজা। যীশু নিষ্পাপ এবং আমাদের রাজা ও ত্রাণকর্তা যিনি তাঁর জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে কুমারীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
“আর তিনি পুত্র প্রসব করিবেন, এবং তাঁহার নাম যীশু (ত্রাণকর্তা) রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন। এই সকল ঘটিল, যেন ভাববাদী দ্বারা কথিত প্রভুর এই বাক্য পূর্ণ হয়” (মথি ১:২১-২২)।
 

যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন
 
মথি ৩:১৩-১৭ পদে লিখিত আছে, “তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে যর্দ্দনে তাঁহার কাছে আসিলেন। কিন্তু তাঁহাকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমরাই বাপ্তাইজিত হওয়া আবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্ম্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন। পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া অমনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন। আর দেখ স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত।”
 এই অংশে যোহন বাপ্তাইজক আবির্ভূত হয়েছেন কেন যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হলেন? যীশু বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন এবং ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুসারে তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন।
 “শাসনভার তাঁর স্কন্ধের উপরে বর্ত্তাইবে” (যিশাইয় ৯:৭ পদ)। এখানে “শাসন” অর্থ যীশুই স্বর্গের কর্ত্তা ও জগতের রাজা হিসাবে সমস্ত কর্ত্তাত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী। কেবল মাত্র যীশু খ্রীষ্টকেই এই কর্ত্তাত্ব প্রদান করা হয়েছে। যীশুই এক বিস্ময়কর কার্য্য করেছেন, সমস্ত মানবজাতির পাপ তুলে নিয়েছেন। এই বিস্ময়কর জিনিস হল, যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্ম হয়েছিল। যীশু কি অর্থ প্রকাশ করলেন, “এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত” এভাবে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়া সঠিক ও উপযুক্ত।
 রোমীয় ১:১৭ পদে আছে, “কারণ ঈশ্বর – দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, ধার্ম্মিক ব্যাক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে।” ঈশ্বরের ধার্মিকতা এই সুসমাচার প্রকাশ করেছে। জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার কি ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ করেছে? হ্যাঁ। সত্য সুসমাচার হল যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা এই জগতের পাপভার তুলে নিয়েছেন। জল ও আত্মার সুসমাচার হল সুন্দর সুসমাচার, যা ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশ করেছে। যীশু কিভাবে এ জগতের পাপভাবে তুলে নিলেন? যখন যোহন তাঁকে যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত করলেন, তখন তিনি জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন।
 গ্রীক ভাষায় “ডিকাইসুন” হল “সব ধার্মিকতা”। এর অর্থ হল যীশু বিস্ময়করভাবে মানব জাতির সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। এটার অর্থ যীশু জগতের সমস্ত পাপ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কৃত, শুদ্ধ ও সুন্দর করেছেন। যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন।
 যে পরিষ্কৃত, শুদ্ধ ও সুন্দর করেছেন। যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন।
 ঈশ্বর জানতেন যে, মানব জাতির শান্তির জন্য সম্পূর্ণভাবে যীশুর বাপ্তিস্মের প্রয়োজন ছিল। যীশু আমাদের ত্রাণকর্ত্তা হতে পারতেন না, যদি তিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত না হতেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন না করতেন। যীশু পাপার্থক বলি উৎসর্গের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
 ঈশ্বর যিশাইয় ৫৩:৬ পদে বলেন, “আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি, প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি, আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অধর্ম্ম তাঁহার উপরে বর্ত্তাইয়াছেন।” যীশু ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারে জগতের সমস্ত পাপ গ্রহণ করলেন। এই কারণে যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে মাংসে মানুষের পাপর্থক বলি হলেন।
 যীশু মানব জাতির সমস্ত পাপ গ্রহণ করলেন এবং তাদের জন্য বিচারিত হলেন, সুতরাং তিনি ঈশ্বরের পরিকল্পনা পূর্ণ করলেন এবং তাঁর অনন্ত প্রেম ব্যক্ত করলেন। যখন যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের পর জল থেকে উঠলেন, ঈশ্বর বললেন, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত” (মথি ৩:১৭)।
 

একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন
 
“কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে, আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে – ‘আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ” (যিশাইয় ৯:৬)। যীশু ঈশ্বরের পুত্র। যীশুর সৃষ্টির ঈশ্বর যিনি সমস্ত বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্ট করেছেন। কেবল তিনি পুত্র নন, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। তিনি সৃষ্টিকর্ত্তা এবং শান্তির রাজা। যীশুই ঈশ্বর যিনি মানুষকে সুখ শান্তি দেন।
 যীশু সত্যের ঈশ্বর। তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, আমাদের রক্ষা করেছেন এবং আমাদের শান্তি দিয়েছেন। এই জগতে কি পাপ আছে? না, কোন পাপ নেই। কারণ আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, সেখানে কোন পাপ নেই, কেননা আমরা সুন্দর সুসমাচারকে বিশ্বাস করি, যা বলে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম এবং মৃত্যু দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন। যীশু আমাদিগকে মিথ্যাবাদী করেন নাই। যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তের দ্বারা পাপের দেনা পরিশোধ করেছেন। যারা তাঁহাতে বিশ্বাস করে, তিনি আমাদের সকলকে তাঁর সন্তান হওয়ার অধিকার দিয়েছেন ও শান্তি দিয়েছেন। তিনি অনন্তকালের জন্য বিশ্বাসে আমাদিগকে তাঁর পবিত্র সন্তান তৈরি করেছেন। আমি প্রভুর প্রশংসা করি এবং তাঁকে ধন্যবাদ দেই।
 

ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক যিনি জগতের পাপভার নিয়ে যান!
 
যোহন ১:১৯ পদে আছে, “পরদিন তিনি যীশুকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিলেন, আর তিনি কহিলেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান!” পরদিন যীশু খ্রীষ্ট পুনরায় যোহন বাপ্তাইজকের নিকটে আবির্ভূত হলেন। তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন। যোহন বাপ্তাইজক একনিষ্টভাবে যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “ ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান!” যোহন ১৯:৩৫-৩৬ পদে তিনি পুনরায় সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “পরদিন পুনরায় যোহন ও তার দুই শিষ্য দাঁড়াইয়া ছিলেন; আর যীশু বেড়াইতেছিলেন, এমন সময় তিনি তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক।”
যীশু ত্রাণকর্ত্তা যিনি ঈশ্বরের মেষশাবকরূপে এসেছিলেন, পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর ঠিক যেভাবে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্ট আমাদের কাছে এসেছিলেন একজন আশ্চর্য্য মন্ত্রী ও বিক্রমশালী ঈশ্বররূপে আর বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করলেন। একজন বালক আমাদের জন্য জন্মেছেন। তিনি যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে জগতের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছেন, পাপের দেনা পরিশোধ করেছেন এবং শান্তিরাজ হয়েছেন, যিনি আমাদের সকলকে শান্তি ও পাপের ক্ষমা দিয়েছেন। “ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার নিয়ে যান।”
 এক সময় লোকদের তাদের পাপের জন্য মৃত্যুবরণ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। লোকদের অগণিত পাপ করাই উদ্দেশ্য ছিল কারণ তাদের পাপের স্বভাব ছিল এবং অবশেষে নরকে দন্ড পেত। তারা দুঃখজনক জীবন যাপন করত, তাদের দুর্বলতার কারণে তাদের কেউই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে অথবা তা স্বপ্নেও দেখতে পারত না। যীশু খ্রীষ্ট, যিনি আমাদের ঈশ্বর, তাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করলেন যখন তিনি যোহন কর্ত্তৃক যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হলেন এবং তাদের ভ্রান্তিজনক কাজের জন্য বিচারিত ও ক্রুশারোপিত হলেন। খ্রীষ্ট তাঁর মৃত্যুর সময়ে বলেছিলেন, “সমাপ্ত হইল” (যোহন ১৯:৩০)। এই ছিল তার বাস্তব সাক্ষ্যের ঘোষনা যে, যীশু সমস্ত মানুষকে তাদের পাপ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা করলেন, এবং যে কেহ সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে তিনি সম্পূর্ণভাবে তাকে মুক্ত করেন।
“ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান।” আপনি কি জানেন জগতের সমস্ত পাপ কোথায়? সেগুলো কি যীশু খ্রীষ্টের শরীরে নয়? সমস্ত পাপ কোথায় অনধিকার প্রবেশ করল যে, এই পৃথিবী আমাদিগকে অবনত করল? আর সকলেই যীশু খ্রীষ্টতে স্থানান্তরিত হয়েছে। আমাদের সমস্ত পাপ কোথায়? তাঁর স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার দ্বারা তারা একজনের শরীরের মধ্যে, তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দেহে।
 

জন্ম থেকে কবর পর্যন্ত সবই পাপ
 
 আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জীবনের সমস্ত অংশ ব্যাপিয়াই পাপ। যেদিন আমরা জন্মেছিলাম সেদিন থেকে ২০দিন পার হওয়া পর্যন্ত আমরা পাপে দায়বদ্ধ থাকি। ২০ বছর যাবৎ ঐ পাপগুলো কোথায় দায়বদ্ধ ছিল? সেগুলো খ্রীষ্টের শরীরে স্থানান্তরিত হয়েছিল। পাপগুলি যা আমরা ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দায়বদ্ধ ছিলাম তাও খ্রীষ্টের দেহে স্থানান্তরিত হয়েছিল। একজন মানুষ কত বছর বাঁচে সেটা কোন ব্যাপার নয়, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাপে সে যে দায়বদ্ধ ছিল তা যীশু খ্রীষ্টেতে স্থানান্তরিত হল। আদম থেকে শুরু করে এই পৃথিবীতে শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সমস্ত মানব জাতির পাপের যে দায়বদ্ধতা ছিল তা যীশুতে স্থানান্তরিত হল। এমনকি আমাদের ছেলেমেয়েদের ও নাতী নাতনীদের পাপও ইতিপূর্বে যীশুতে স্থানান্তরিত হয়েছে। যীশু যখন বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন তখনই সমস্ত পাপ তাঁহাতে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
 এই জগতে কি এখনও পাপ আছে? না। কোন পাপ অবশিষ্ট নেই। এই পৃথিবীতে কোন পাপ থাকতে দেওয়া হয় নাই কারণ আমরা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করি যা যীশু খ্রীষ্ট আমাদিগকে দিয়েছেন। আপনার অন্তরে কি কোন পাপ আছে? না। আমেন। আমরা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করি যা বলে যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেছেন। আমাদের জন্য এই বিস্ময়কর কাজ করার জন্য আমরা সর্বশক্তিমান যীশুর প্রশংসা করি।
 যীশু খ্রীষ্ট আমাদের হারানো জীবনকে পুনঃস্থাপিত করেছেন। এখন আমরা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করি সুতরাং আমরা ঈশ্বরের সাথে বাস করতে সক্ষম। এমনকি যে সব লোকেরা ঈশ্বরের শত্রু ছিল- পাপীরা যাদের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না- এখন সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা তারা তাদের পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
 সুন্দর সুসমাচার আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, যখন যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত, ক্রুশারোপিত ও পুনরুত্থিত হলেন তখনই আমাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে পরিষ্কার করেছেন। আমরা যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের পবিত্র সন্তান হলাম। যীশু তাঁর নিজের শরীর পাপের জন্য বলিকৃত হতে উৎসর্গ করলেন। তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র, যিনি জগতে আর কোন পাপ অবিশষ্ট রাখেন নাই। পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের প্রত্যেককে রক্ষা করেছেন। যিশাইয় ৫৩:৫ পদে আছে, “কিন্তু তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন।”
 যীশু জগতের মৌলিক পাপ ও প্রকৃত পাপসহ সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, কোন অপরাধ অবশিষ্ট রাখেননি। তিনি তার ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা আমাদের পাপের দেনা শোধ করেছেন এবং সেরূপে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। যীশু এই সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন। আমরা যীশুর মাধ্যমে নূতন জীবন খুঁজে পেয়েছি। যারা এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের আত্মিক মৃত্যু হয় না। আমরা এখন নূতন এবং অনন্ত জীবন পেয়েছি, কারণ যীশু আমাদের পাপের দেনা শোধ করেছেন। আমরা যীশু খ্রীষ্টের সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি।
 আপনি কি বিশ্বাস করেন যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, তিনি আপনার ত্রাণকর্ত্তা? আমি বিশ্বাস করি। যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জীবন। আমরা তাঁর মাধ্যমে নূতন জীবন পেয়েছি। আমাদের পাপ ও অনধিকার প্রবেশের কারণে আমরা মৃত্যুর যোগ্য ছিলাম। কিন্তু যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা আমাদের পাপের দেনা শোধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে পাপের দাসত্ব থেকে, মৃত্যুর কর্ত্তৃত্ব থেকে ও শয়তানের বন্ধন থেকে মুক্ত করেছেন।
 সদাপ্রভুই ঈশ্বর যিনি আমাদের পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করেছেন এবং যারা যীশুতে বিশ্বাস করে তাদের প্রত্যেকের ত্রাণকর্ত্তা হয়েছেন। যখন আমরা ইব্রীয় ১০:১২, ১৪ ও ১৮ পদ দেখি, আমরা দেখতে পাই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে পবিত্র করেছেন যেন আমাদের পুনরায় পাপের ক্ষমা পাওয়ার প্রয়োজন না হয়। আমরা যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করি। আমাদের পাপ ও অপরাধের জন্য আমরা মৃত্যুর যোগ্য ছিলাম কিন্তু এখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে বিশ্বাস দ্বারা স্বর্গে প্রবেশ করতে ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে সক্ষম হয়েছি।
 “উত্তম মেষপালক মেষদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত” ( যোহন ১০:১১)। আমাদের প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থানের মাধ্যমে আমাদিগকে এই পৃথিবীর পাপ থেকে রক্ষা করতে এসেছিলেন। যারা এই সত্যে বিশ্বাস দ্বারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে তাদের তিনি অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা দেন। ধন্য প্রভু। তোমার সুসমাচার সুন্দর সুসমাচার যা বিশ্বাসীদিগকে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা দিতে পারে। হাল্লিলূয়া! প্রভুর প্রশংসা করি।