<প্রকাশিত বাক্য ১৫:১-৮ >
১৫ অধ্যায় সপ্তবাটির মহামারীর বর্ণনা করে, যা ঠিক সাধুগণের রূপান্তরের পরেই তাদের উপরে ঢেলে দেওয়া হবে৷ যারা ঈশ্বরের শত্রুরূপে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল৷ প্রকাশিত বাক্যে প্রায়ই “সাত” সংখ্যাটির আবির্ভাব হয়েছে, যেমন সপ্তমুদ্রা, সপ্ততুরী এবং সপ্তবাটি৷ এগুলো ঈশ্বরের পূর্ণাঙ্গরূপ এবং সর্বময় ক্ষমতার নিদর্শন৷ ঈশ্বরই সর্বজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর৷ যীশুই আমাদের নিমিত্ত সর্বজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, এর অর্থ হল,আমাদের প্রভুই ঈশ্বর যার পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়৷ আমাদের প্রভুই ঈশ্বর, যিনি নিজেই সমস্ত কিছুর পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তাঁর সে সমস্ত সাধনের ক্ষমতাও রয়েছে৷
এইরূপে সাধুগণ অবশ্যই প্রভুর সর্বজ্ঞ ও সর্বময় ক্ষমতা এবং তিনি পৃথিবীর উপরে যে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেবেন, এর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত প্রতাপের জন্য তাঁর প্রশংসা করবে৷ আমরা এই বিষয়ের জন্য প্রভুর ধন্যবাদ করি যে, এইরূপ বিচার শুধু তাঁর সর্বজ্ঞ ও সর্বময় ক্ষমতার দ্বারাই সম্ভব৷ প্রভু সপ্তবাটির মহামারী এবং অনন্ত নরকের যন্ত্রণাভোগের দ্বারা তাঁর শত্রুগণের উপরে যে প্রতিশোধ নেবেন, তাতে সাধুগণের পক্ষে কেবল কৃতজ্ঞ হওয়াই সবচেয়ে যথাযত কাজ৷ এইভাবে সাধুগণ প্রভুর প্রশংসা না করে পারে না৷ হাল্লিলুয়া!
মহাক্লেশের সাত বছর সময়ের প্রথম সাড়ে তিন বছরঅল্প মাত্রায় পার হলেই সাধুগণের রূপান্তর হবে, অতঃপর সপ্তবাটির মহামারী উপস্থিত হবে৷ সপ্তবাটির মহামারীর কারণে ঈশ্বরের শত্রুগণের হৃদয় নিরাশ হয়ে যাবে এবং তারা বুঝতে পারবে যে, আমাদের প্রভুই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এবং তারা তাঁকে ভয় করবে৷
১ পদে বর্ণিত “পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত;” বাক্যটির দ্বারা পৃথিবীর উপরে যে মারী ঢেলে দেওয়া হবে তার শেষ মারীকে বোঝায়, অর্থাৎ সপ্তবাটির মহামারী৷ অন্যকথায়, “মহৎ ও অদ্ভুত” বাক্যাংশটি আমাদেরকে যা বলছে তা তিনভাগে বিভক্ত, প্রথমতঃ, পৃথিবীতে যে সময় মারী আসবে, ভাববানীর বাক্যের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে সাধুগণ সে সম্পর্কে জেনে গেছে; দ্বিতীয়তঃ সাধুগণ সপ্তবাটির মহামারী হতে অব্যহতি পাবে; এবং তৃতীয়তঃ প্রভু কর্ত্তৃক আনীত সপ্তবাটির মহামারীর প্রচন্ডতা হবে বিশ্বব্যাপী এবং মারাত্মক ধ্বংসাত্মক৷
অন্যদিকে, মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পুনরুত্থিত সাধুগণ স্বর্গে দাস মোশির এবং মেষশাবকের গীত গান করবে৷ যাত্রাপুস্তক ১৫:১-৮ পদে এই গানের পটভূমি দেখতে পাওয়া যায়, এটা ইস্রায়েলীয়দের গীত, যে গীত তারা মোশি কর্ত্তৃক পরিচালিত হয়ে লোহিত সাগর পার হওয়ার পরে তারা প্রভুর ক্ষমতা ও প্রতাপের জন্য গেয়েছিল৷ মিশরীয় সৈন্যগণ কর্ত্তৃক পশ্চাৎ ধাবিত হওয়ার মারাত্মক অবস্থা হতে প্রভুর ক্ষমতা ও প্রতাপের দ্বারা রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা প্রভুর প্রশংসা না করে পারত না৷
তেমনিভাবে, নুতন নিয়মের সাধুগণও তাদের অনন্ত নিমিত্ত প্রভুর প্রশংসা না করে পারে না, যে পরিত্রাণ যীশু যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তিস্ম গ্রহণ এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তের দ্বারা সাধিত পাপ মোচনের মধ্য দিয়ে এসেছে৷ যখন শেষ সময় আসবে, তখন ঈশ্বরের লোকেরা পুনরায় ঈশ্বরের প্রশংসা করবে, তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান, রূপান্তর এবং অনন্তজীবনের জন্য তাঁর ধন্যবাদ করবে, সমস্ত কিছুই যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে সম্ভব হয়েছে, যিনি তাদেরকে তাদের শত্রুগণ এবং তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছেন৷
সেই সাথে এই গানের গুরুত্বপূর্ণ স্বাতন্ত্র হল যে, এটা প্রভুর সর্বজ্ঞতা, মহিমা এবং ধার্মিকতার প্রশংসা করে৷ সাক্ষ্যমরেরা প্রভুর প্রতাপ, তাদের পাপ হতে পরিত্রাণের অনুগ্রহ এবং অনন্তজীবনের জন্য তাঁর আশীর্বাদের জন্য তাঁর প্রশংসা না করে পারে না৷
৫ পদে, “সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির” বলতে সমাগম তাম্বুকে বোঝানো হয়েছে, যা ঈশ্বর মিশর ত্যাগ করার সময় ইস্রায়েলীয়দেরকে প্রভুর সংসর্গে থাকার জন্য অনুগ্রহদান হিসাবে দিয়েছিলেন৷
৬ পদে, “মসীনা” বলতে এখানে ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে বোঝানো হয়েছে৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, দূতগণ ঈশ্বরের ধার্মিকতার বস্ত্রে আচ্ছাদিত হবে এবং তাঁর হতে বিচারের প্রতিদান দিতে ক্ষমতা লাভ করবে, যাতে কখনও কোনো শত্রু বাদ না পড়তে পারে৷
দ্বিতীয়তঃ এটা আমাদেরকে বলে যে, যেহেতু পাপীদের ঈশ্বরের পরিত্রান খুবই অপরিহার্য্য, তাই যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস ব্যতীত কেউই প্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে না৷
তৃতীয়তঃ এটা আমাদেরকে দেখায় যে, মানবজাতির কোনো উত্তমতা কখনও কাউকে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিচার এড়াতে সক্ষম করে না এবং কেবল যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা পাপীদের উপরে ঢালা ঈশ্বরের ক্রোধ হতে যে কেউ নিস্তার পেতে পারে৷
অতএব, সাধুগণকে অবশ্যই দৃঢ়ভাবে সুসমাচার ধারণ করতে হবে এবং শেষ মুহুর্তে তা প্রচার করতে হবে৷ আর যারা এখনও তাদের পাপের ক্ষমা লাভ করে নি, তাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য, এবং প্রভুর দ্বারা যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারের নিকটে ফিরে আসতে হবে৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে দেখায় যে, বিচার অনুসারে ঈশ্বর তাঁর শত্রুগণের উপরে সপ্তবাটির মহামারী আনয়ন করবেন, আর প্রত্যেক চোখ তা যথাযতভাবে দেখবে, পাপের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কখনও এটা থামাতে পারবে না৷
প্রকাশিত বাক্যের ১৫ অধ্যায় আমাদেরকে দেখায় যে, খ্রীষ্টারী, শয়তান ও দেবতাগণ, এবং যারা সকলে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং বিশ্বাস করে না, যা আমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের প্রেম অবস্থান করতে সহায়ক, তারা আমাদের প্রভুর শত্রু৷ ঈশ্বরের এই শত্রুগণের উপরে মহামারী আনয়নের জন্য আমি প্রভুর ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি৷ ঈশ্বরের দাস মোশি এবং মেষশাবকের গীত গান করা কেবল সাধুগণেরই উপযুক্ত৷
প্রভুর ধার্মিকতা, প্রতাপ, মহিমা ও সত্যের প্রশংসা করা থেকে আমাদেরকে কেউ বিরত করতে পারে না৷ এইরূপ আশীর্বাদের জন্য আমি প্রভুর প্রশংসা করি৷ হাল্লিলুয়া!