• 所有新生命宣教会 The New Life Mission 网站上的电子书和有声书均可免费下载
  • 探索以多种语言提供的全球性讲道
  • 查看我们已翻译成27种语言的网站
  • 第1卷新修订版已全新推出
Search

布道

বিষয় ৩: জল ও পবিত্র আত্মার সুসমাচার

[3-14] আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে নূতন জন্ম লাভ করতে হবে (যোহন ৩:১-৫ পদ)

আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে নূতন জন্ম লাভ করতে হবে
(যোহন ৩:১-৫ পদ)
“ফরীশীদের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁহার নাম নীকদীম; তিনি যিহূদীদের এক জন অধ্যক্ষ। তিনি রাত্রিকালে যীশুর নিকটে আসিলেন, এবং তাঁহাকে কহিলেন, রব্বি, আমরা জানি, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত গুরু; কেননা আপনি এই যে সকল চিহ্ন-কার্য সাধন করিতেছেন, ঈশ্বর সহবর্তী না থাকিলে এই সকল কেহ করিতে পারে না। যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, সত্য সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, নূতন জন্ম না হইলে কেহ ঈশ্বরের রাজ্য দেখিতে পায় না। নীকদীম তাঁহাকে কহিলেন, মনুষ্য বৃদ্ধ হইলে কেমন করিয়া তাহার জন্ম হইতে পারে? সে কি দ্বিতীয় বার মাতার গর্ভে প্রবেশ করিয়া জন্মিতে পারে? যীশু উত্তর করিলেন, সত্য সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না।”
 
 
আমরা এখন জানি যে, এমন অনেক খ্রীষ্টান আছে যারা চিন্তা করে যে, তারা অনেক অনুতাপের প্রার্থনা করলে তাদের পাপ থেকে ধৌত হতে পারবে, আর তারা শুধু তাই করে। কিছু খ্রীষ্টান প্রচুর উপহার দান করে। তারা চিন্তা করে যে, এটা করলে ঈশ্বর তাদেরকে প্রেম করবেন। অপরদিকে, কিছু মানুষ আছে যারা তাদের সারাটি জীবন নতুন নতুন মন্ডলী স্থাপন করেই কাটিয়ে দেয়। তারা চিন্তা করে যে, এটা করলে ঈশ্বর তাদের উপর খুশি হবেন। 
এমন খ্রীষ্টানও আছে, যারা চিন্তা করে যে, তারা যদি প্রচুর মিশনারী কাজ করে, তাহলে ঈশ্বর তাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন। আর তাই তারা এই কাজে বিশ্বস্থ। প্রত্যেক জাতির কাছে খ্রীষ্টের প্রেম প্রচার করতে তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, যদি প্রয়োজন হয়, তারা তাদের জীবন দিতেও প্রস্তুত। তাই তারা যেকোন স্থানে স্বেচ্ছায় যায় এবং কাজ করে, তা সেই স্থান যতই সংকটপূর্ণ হোক না কেন। এই খ্রীষ্টানরা ঈশ্বরকে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে কঠোর চেষ্টা করে। এই রকম কার্য-নির্ভর বিশ্বাসের জীবন যাপন করে তারা ভাবে যে, একদিন তারাও পূণর্জন্ম লাভ করবে। তারা চিন্তা করে যে, যেহেতু তারা সুসমাচার প্রচারে তাদের জীবনকে উৎসর্গ করছে, তাই ঈশ্বর পরিশেষে তাদেরকে আশীর্বাদ করবেন এবং পূণর্জন্ম দান করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, এই রকম চিন্তা করাটা একেবারেই ভুল। 
এই পথভ্রষ্ট খ্রীষ্টানরা তাদের পাপ থেকে উদ্ধার লাভের জন্য এবং পূণর্জন্ম লাভের জন্য বিশ্বাসের এই রকম মাংসিক জীবন যাপন করছে। তারা নিজেদের বিশ্বাসে পূর্ণ। তারা বিশ্বাস করে যে- যদি তারা মন্ডলীতে নিয়মিতভাবে যোগদান করে, প্রচুর দান-ধ্যান করে, এবং ঈশ্বরকে মনোযোগ ও বিশ্বস্থভাবে সেবা করে, তাহলে তারা কোন না কোনভাবে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারবে। তারা নিজেরা নিজেরা চিন্তা করে, “যদি আমি প্রভুর প্রতি বিশ্বস্থ হই, তাহলে তিনি আমার জীবনে কাজ করবেন, এবং একদিন আমাকে পূণর্জন্ম দান করবেন। এটা করলে, আমি বুঝতেই পারব না কখন আমি পূণর্জন্ম লাভ করেছি!” তারা হয়তো এমনটা চিন্তা করতে পারে, কিন্তু প্রভু কাউকে এইভাবে পূণর্জন্ম দান করেন না। 
এই চিন্তা নিয়ে তাদের কোন লাভ হবে না, কারণ প্রভু বলছেন, তাঁর চিন্তা তাদের চিন্তা থেকে আলাদা। মানুষ যাই চিন্তা করুক না কেন, ঈশ্বর পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন যে, পূণর্জন্ম লাভ করতে হলে এক জন মানুষকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে। ঈশ্বর এটাকে যথেষ্ট পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, কোন মানুষ তার মাংসিক চেষ্টায় পূণর্জন্ম লাভ করতে পারে না, কিন্তু শুধুমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই লাভ করতে পারে। 
আমাদের প্রভু যোহন ৩:১-৫ পদে যেমনটি বলেছেন, পূণর্জন্ম লাভ করতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মা হতে পূণর্জন্ম লাভ করতে হবে। এর অর্থ হল- আমরা এই জগতের কোন কিছু ঈশ্বরকে উপহার দিয়ে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারব না, কিন্তু আমাদের অন্তঃকরণ দিয়ে শুধুমাত্র তাঁর বলা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই আমরা পূণর্জন্ম লাভ করতে পারব। মানুষ নিজেদেরকে যতেই ঈশ্বরের প্রতি নিয়োজিত করুক না কেন, তারা যত কঠোর কাজ এবং চেষ্টাই করুক না কেন, এটা তাদেরকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করতে পারবে না। কোন মানুষ নিজের মাংসিক চেষ্টায় তার আত্মাকে পূণর্জন্ম লাভ করাতে এবং পাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে না। অনেক খ্রীষ্টানই ভ্রান্ত চিন্তা করে যে, “কেউ জানে না কিভাবে পূণর্জন্ম লাভ করতে হয়। শুধু ঈশ্বর জানেন, কারণ প্রভু যেমনটি বলেছেন, “বায়ু যে দিকে ইচ্ছা করে, সেই দিকে বহে, এবং তুমি তাহার শব্দ শুনিতে পাও; কিন্তু কোথা হইতে আইসে, আর কোথায় চলিয়া যায়, তাহা জান না; পবিত্র আত্মা হইতে জাত প্রত্যেক জন সেইরূপ” (যোহন ৩:৮ পদ)। 
কিন্তু তারা এমনটা চিন্তা করে, কারণ তারা প্রভুর বলা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার জানে না। অবশ্যই, ঈশ্বর আমাদের সম্বন্ধে সমস্ত কিছুই জানেন। ঈশ্বর পরিষ্কারভাবে জানেন যে, যদি মানুষ জল ও আত্মার সুসমাচার জানে ও তাতে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারবে। ঈশ্বর নিজেই পরিকল্পনা করেছেন যে, মানুষ শুধুমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারাই পূণর্জন্ম লাভ করবে। যাইহোক, এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা জানে না যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই একজন মানুষ পূণর্জন্ম লাভ করতে পারে। ফলোশ্রুতিতে, তারা অজ্ঞতার এবং মস্ত ভ্রান্তির মধ্যে বাস করছে। অগণিত খ্রীষ্টান মতিভ্রমের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তার নিজেরা নিজেরা চিন্তা করে, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমি আমার বিশ্বাসের জীবন বয়ে নিয়ে যাচ্ছি, কোন না কোনভাবেই একদিন আমি পূণর্জন্ম লাভ করব।” কিন্তু এটা হল নিজের কপাল যাচাইয়ের মতো। অধিকন্ত, যখন খ্রীষ্টানরা জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে শোনে, তারা এটাকে অগ্রাহ্য করে; তারা চিন্তা করে, “আমি যা শিখেছি, তার থেকে এই রাস্তা খুবই ভিন্ন।”
কিন্তু, যদি তারা নিজেদের চিন্তা ত্যাগ করে সত্যিকারে জল ও আত্মার সুসমাচারে মনোনিবেশ করে এবং এর পরিত্রাণের সত্য উপলব্ধি করে, তাহলে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে। তারা বলবে, “ওয়াও! বাস্তবিকিই আমার সমস্ত পাপ উধাও হয়ে গেছে! এখন আমি আমার সমস্ত পাপ থেকে সত্যিই মুক্তি লাভ করেছি!” দুঃখের বিষয় এই যে, অনেক মানুষই প্রথমবার জল ও আত্মার সুসমাচার জানার পর তাদের পরিত্রাণে পৌঁছায়, কিন্তু তারা জল ও আত্মার সুসমাচারকে যথার্থভাবে বুঝতে পারে না। ফলে, অনেক মানুষই, তারা যে পাপ থেকে যে পরিত্রাণ লাভ করেছে, এই নিশ্চয়তার খোঁজে জল ও আত্মার সুসমাচার থেকে সরে গিয়ে অন্যদিকে চলে যায়। কিছু মানুষ বলে যে, যখন তারা প্রার্থনা করছিল, তখন তারা পূণর্জন্ম লাভ করেছে। আবার অন্যরা বলে যে, প্রভু তাদের স্বপ্নে এসে তাদেরকে বলেছেন যে, তারা মুক্ত হয়েছে। এর কারণ হল-  পূণর্জন্ম লাভ এবং পুনর্বিকশিত হওয়ার বিষয়ে লোকদের অন্যবিধ ধারণা নেওয়ার প্রবণতা। কিছু সময়, যখন আমি লোকদের জিজ্ঞেস করি যে, তারা পূণর্জন্ম এবং পুনর্বিকাশ লাভ করেছে কি না, তখন প্রায়ই তারা এই উত্তর দেয় যে, “হ্যাঁ, আমি পূণর্জন্ম লাভ করেছি এবং পুনর্বিকশিত হয়েছি। কিন্তু তথাপি, আমার হৃদয়ে পাপ রয়েছে।” কিন্তু এটা তাদের উদ্ভট দাবী, এটা ঈশ্বরের সত্য বাক্যের বিষয়ে তাদের অজ্ঞানতা তুলে ধরে। 
একদিকে মানুষ বলছে যে, তারা তাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছে, আবার একই সময়ে বলছে যে, তাদের হৃদয়ে এখনো পাপ রয়েছে- এই কথার কোন অর্থ হয়? যদি কেউ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা তার সমস্ত পাপ থেকে একেবারে চিরকালের জন্য মুক্তি লাভ করে থাকে, তাহলে সে নবজীবন লাভ করেছে। এই “নবজীবন লাভ” শব্দটির অর্থ হল-জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পাপ থেকে ধৌত হওয়া এবং নূতন হওয়া; পূণর্জন্ম লাভের অর্থও একই। যখন আমরা বলি যে, আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি, এর অর্থ হল- যদিও আগে আমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পাপী ছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের পাপের সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই। এর অর্থ হল- যদিও আমরা আগে পাপী হিসেবে জীবন যাপন করেছি, কিন্তু এখন জল ও আত্মার সুসমাচারের সাক্ষীদের কাছে এর বিষয়ে শুনে এবং বিশ্বাস করে আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি। 
আমরা নবজীবন লাভ করেছি, এর অর্থও এই একই যে- যদিও আমরা আগে পাপী ছিলাম, কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে ধৌত হয়েছি বলে এখন আমরা নতুন পুরুষ ও নারী হয়েছি। অন্যকথায়, যদিও আমরা আমাদের মাতার গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন থেকেই পাপী ছিলাম, কিন্তু এখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার জেনেছি, আমাদের কান দিয়ে এটা শুনেছি এবং এটা জেনে আমাদের অন্তঃকরণ দিয়ে এতে বিশ্বাস করেছি, তাই আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি, অর্থাৎ পূণর্জন্ম লাভ করেছি। যদিও আমাদের শরীর এবং বাহ্যিক চেহারায় কোন পরিবর্তন আসেনি, কিন্তু আমাদের অন্তঃকরণ দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছি বলে আমরা পূণর্জন্ম লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। 
এই পৃথিবীর বাতাসের গতিবিধি কে নিয়ন্ত্রণ করে? তিনি হলেন ঈশ্বর। কে বায়ুমন্ডলে বাষ্প আনেন, আবহাওয়ার বিধান গঠণ করেন, বাতাসের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন, সমস্ত কিছুকে প্রাণবন্ত করেন এবং এই পৃথিবীকে জীবনে ভরিয়ে তোলেন? তিনি হলেন আমাদের ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্ট। এইজন্য, আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের কান দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে এবং হৃদয় দিয়ে এতে বিশ্বাস করে পূণর্জন্ম লাভ করতে হবে। পূণর্জন্ম লাভের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে পরিত্রাণের সত্যে বিশ্বাস করতে হবে, যা জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে এসেছে।
আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বর আমাদেরকে যে সত্য দান করেছেন, তা হল জল ও আত্মার সুসমাচার। আপনার হৃদয়ে পাপ থাকা সত্ত্বেও আপনি শুধু প্রার্থনা দ্বারা পবিত্র আত্মাকে লাভ করেছেন- আপনি যদি এমনটা বলেন, তাহলে এটা একটা ভ্রান্ত বিশ্বাস। পবিত্র আত্মা হলেন ঈশ্বরের শুচি আত্মা, তাই যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তিনি শুধুমাত্র তাদের হৃদয়েই আসতে পারেন। পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয়ে শুধুমাত্র তখনই আসেন যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু খ্রীষ্ট যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপে নিজের দেহে একেবারে চিরকালের জন্য তুলে নিয়েছেন, এবং ক্রুশে তাঁর দেহকে দান ও রক্ত সেচনের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছেন। যখন আমরা এই সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে ধৌত হই, তখন পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয় মধ্যে আসেন। জল ও আত্মার সুসমাচারই আমাদের হৃদয়েকে পাপমুক্ত করে। আর শুধুমাত্র যখনই আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা প্রকৃতরূপে উদ্ধারপ্রাপ্ত হই, তখনই আমরা আমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের আত্মার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি। পবিত্র আত্মা হলেন সত্যের আত্মা, যিনি শুধুমাত্র তাদের হৃদয়েই বাস করেন যারা তাদের পাপ থেকে ধৌত হয়েছে। 
আদিপুস্তক ১:২ পদে বলা হয়েছে, “পৃথিবী ঘোর ও শূন্য ছিল, এবং অন্ধকার জলধির উপরে ছিল, আর ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে অবিস্থিতি করিতেছিলেন।” ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে অবস্থিতি করিতেছিলেন- এর অর্থ হল-  আমরা পাপী ছিলাম বলে, আমাদের হৃদয় পবিত্র ছিল না বলে, পাপের অন্ধকারে আমাদের হৃদয় পূর্ণ ছিল বলে এবং পাপ আমাদেরকে কলুষিত করেছিল বলে পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয়ে নেমে আসতে পারছিলেন না। কিন্তু ঈশ্বর দীপ্তিকে আজ্ঞা করলে যেমন দীপ্তি হল, ঠিক তেমনি যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার জানলাম এবং এতে বিশ্বাস করলাম, তখন পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয় মধ্যে আসতে পারলেন। 
 
 

মানুষ কিভাবে তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে?

 
নীকদীমকে বলা প্রভুর কথা থেকে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি। প্রভু নীকদীমকে বলেছিলেন, “যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না” (যোহন ৩:৫)। নীকদীম হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন এবং যীশুকে বললেন, “মনুষ্য বৃদ্ধ হইলে কেমন করিয়া তাহার জন্ম হইতে পারে? সে কি দ্বিতীয় বার মাতার গর্ভে প্রবেশ করিয়া জন্মিতে পারে?” (যোহন ৩:৪)। নীকদীম যীশুর বাক্যকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করেছিলেন। তাই তিনি চিন্তা করলেন যে, পূণর্জন্ম লাভ করার অর্থ হল- একজন মানুষকে দ্বিতীয়বার তার মায়ের গর্ভে প্রবেশ করতে হবে এবং আর একবার জন্ম নিতে হবে। তাই তিনি যীশুর কথা বুঝতে পারলেন না। নীকদীম দেহে তার মায়ের থেকেও অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলেন, তাই তাকে জন্ম দেওয়া তার মায়ের পক্ষে অবশ্যই অসম্ভবপর ছিল। তাই প্রভু তাকে ভর্ৎসনা করে বললেন, “তুমি ইস্রায়েলের গুরু, আর এই সকল বুঝিতেছ না?” (যোহন ৩:১০)। 
এই পৃথিবীতে এমন অনেক পন্ডিত যাজক আছে, যারা নিজেরাই জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কে অজ্ঞ, কিন্তু অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা হল নীকদীমের মতো, আর বর্তমান যুগেও এমন অনেক লোক আছে। নীকদীম ছিলেন স্যানহেদরিনের ৭০ জন সদস্যের একজন, যা বর্তমান যুগে বিধানমন্ডলীর সদস্যের সমরূপ। ধর্মীয়ভাবে বললে, তিনি একজন ফরীশী ছিলেন। 
তাই, পার্থিবভাবে বললে, নীকদীম স্যানহেদরিনের একজন সদস্য ছিলেন, আর ধর্মীয়ভাবে বললে, তিনি একজন যিহূদী নেতাও ছিলেন। যাইহোক, তিনি জল ও আত্মা হতে পূণর্জন্ম লাভের সত্যের বিষয়ে জানতেন না। যদিও তিনি সমস্ত বিষয়ে ইস্রায়েলদের শিক্ষা দেওয়ার মতো যথেষ্ট শিক্ষিত লোক ছিলেন, কিন্তু তিনি নিজেই জল ও আত্মা হতে কিভাবে পূণর্জন্ম লাভ করা যায়, তা জানতেন না। আজকের খ্রীষ্টান সমাজে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে। এমনকি এখনো আমরা এমন অনেক মানুষদের দেখতে পাই, যারা খ্রীষ্টান সমাজের নেতা হিসেবে কাজ করছে, কিন্তু তারা এমনকি জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কেই জানে না। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ হল আত্মিক উদ্দীপনার সভা আয়োজনের জন্য খুব নামকরা, কিছু হল পাস্ট, আর বাকি কিছু মানুষ বিভিন্ন ধরণের মিশনারী প্রতিষ্ঠান চালিয়ে থাকে।   
গতকালকে আমার কিছু অবসর সময় ছিল বলে আমি খ্রীষ্টান বইয়ের একটা দোকানে ঢুকেছিলাম। এই দোকানের অনেক বইয়ের মধ্যে আমি জল ও আত্মার সুসমাচারের উপর লেখা একটা বইও পেলাম না। আমাদের সকলকে যা অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে তা হল- পূণর্জন্ম নিজের কাজে অথবা চেষ্টায় লাভ করার জিনিস নয়। আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে, শুধুমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই একজন মানুষের হৃদয় তার পাপ থেকে ধৌত হতে পারে। আপনারাও অবশ্যই প্রথমে ঈশ্বর-প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার জেনে এবং এরপর এতে বিশ্বাস করে প্রকৃতরূপে পূণর্জন্ম লাভ করেছেন। 
নীকদীম এবং আমাদেরকে, উভয়কেই যীশু বলছেন, “আমি পার্থিব বিষয়ের কথা কহিলে তোমরা যদি বিশ্বাস না কর, তবে স্বর্গীয় বিষয়ের কথা কহিলে কেমন করিয়া বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৩:১২)। যদিও মানুষদের জানা উচিৎ যে, তারা জল ও আত্মা থেকেই পূণর্জন্ম লাভ করতে পারে, কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই এই জ্ঞান নেই। যীশুর সময়ের লোকেরাও, যীশু যখন তাদেরকে পার্থিব বিষয়ে বলেছিলেন, তারা তা বিশ্বাস করে নাই। একইভাবে, যদিও জল ও আত্মায় বিশ্বাসী লোকেরা এই সুসমাচার অনেকের কাছে প্রচার করেছে, এবং তাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে যে, পূণর্জন্ম লাভের পর কিভাবে বিশ্বাসের একটা আত্মিক জীবন যাপন করতে হয়, তবুও তারা এটা বিশ্বাস করে না। 
যোহন বাপ্তাইজকের নেওয়া বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের প্রভু মানবজাতির সমস্ত পাপ একেবারে চিরকালের জন্য নিজের দেহে নিয়ে নিলেন; তারপর তিন ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন; কবরপ্রাপ্ত হলেন এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন; আর এভাবে তিনি আমাদেরকে, বিশ্বাসীদেরকে একবারে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করলেন। পুরাতন নিয়মের কথা উল্লেখ করে আমাদের প্রভু পূণর্জন্ম লাভের বিষয়টিকে নীকদীমের কাছে আরো একবার ব্যাখ্যা করলেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্যপুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৪-১৫)। মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সাপকে উঠিয়েছিলেন, সেইভাবে যীশুকেও উচ্চীকৃত হতে হতো; আর যারা এই উচ্চীকৃত যীশুতে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর তাদেরকে অনন্ত জীবন দান করেন। 
আমাদের প্রভু যখন বলছিলেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্যপুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে,” তখন তিনি জল ও আত্মার সুসমাচার সম্পর্কেই বলছিলেন। আমাদের প্রভু ক্রুশারোপিত হতে পেরেছিলেন, কারণ এর আগেই তিনি যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন। এইজন্যই তিনি জগতের সমস্ত পাপ নিজের কাঁধে নিতে পেরেছিলেন এবং ক্রুশে প্রাণ ত্যাগের আগে চিৎকার করে বলতে পেরেছিলেন, “সমাপ্ত হইল!” কারণ ক্রুশারোপিত এবং উচ্চীকৃত হওয়ার জন্য আমাদের প্রভুকে প্রথমে যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে নিতে হতো। বাইবেল অনুসারে বললে, আমাদের পাপের বলিস্বরূপ প্রথমে নিজের উপরে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে না নিলে যীশু কখনোই এই অভিশপ্ত ক্রুশে মরতে পারতেন না। এই কারণেই ক্রুশারোপিত হওয়ার আগে আমাদের প্রভুকে যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হতে হয়েছিল। আর এভাবে মানবজাতির সমস্ত পাপ নিজের উপরে গ্রহণ করার কারণেই তিনি আমাদের স্থানে নিজে হত হতে পেরেছিলেন। তাই, যেহেতু যীশু মানবজাতির সমস্ত পাপের জন্য ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন, তাই তিনি প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছেন। এখন তাঁকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করে আমরা পূণর্জন্ম লাভ করতে পারি। নীকদীমকে বলা এই বাক্যের মাধ্যমে প্রভু আমাদেরকে এটাই শিক্ষা দিচ্ছেন। 
 
 
ঈশ্বরের আশীর্বাদযুক্ত বাক্য
 
যীশু নীকদীমকে যে বাক্য বললেন, এটা আমাদের সকলের জন্যও একইভাবে খুবই আশীর্বাদের। যেহেতু নীকদীম পুরাতন নিয়মের বিষয়ে খুব ভালভাবে জানতেন, তাই যীশু তাকে বললেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্যপুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৪-১৫)। এই আশীর্বাদযুক্ত বাক্য দ্বারা প্রভু নীকদীমকে এটা জানাচ্ছেন যে, যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা তিনি জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিবেন, ক্রুশে হত হবেন এবং এভাবে তাদের ত্রাণকর্তা হবেন। 
মিসর দেশ ত্যাগের পর ইস্রায়েল সন্তানেরা যখন প্রান্তরে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হল, তখন তারা তাদের এই কষ্টের জন্য মোশিকে এবং প্রভু ঈশ্বরকে দোষারোপ করল। তখন তাদের ঔদ্ধত্য দেখে ঈশ্বর তাদের মধ্যে জ্বালাদায়ী সাপ পাঠালেন, যেন তাদেরকে কামড়ে মেরে ফেলে। সেই জ্বালাদায়ী সাপগুলো যাদের কামড়ে দিল, তারা সকলে ফুলে উঠল, তাদের মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে লাগল এবং তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গেল। এই জ্বালাদায়ী সাপগুলোর বিষে ইস্রায়েল সন্তানদের যন্ত্রণা পেতে দেখে এবং মৃত্যু হতে দেখে তাদের নেতা মোশি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন। তিনি প্রার্থনা করলেন, “প্রভু, অনুগ্রহ করে ইস্রায়েল সন্তানদের রক্ষা করুন!” তখন ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “তাদের ধৃষ্টতার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে দন্ড দিচ্ছি!” তথাপি, মোশি ঈশ্বরকে অনুরোধ করতে লাগলেন, “তারপরও, প্রভু, অনুগ্রহ করে এই লোকদের রক্ষা করুন!” তখন ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “তুমি পিত্তলের এক জ্বালাদায়ী সাপ তৈরী করে পতাকার উপরে রাখ। আর ইস্রায়েল সন্তানদের বল, যারা পিত্তলের এই সাপের দিকে তাকাবে, তারা রক্ষা পাবে।” 
মোশি ইস্রায়েল সন্তানদেরকে এই নির্দেশনা বললেন। আর যারা বাধ্য হয়ে পতাকার উপরের এই পিতলের সাপের দিকে তাকালো, তারা বাস্তবিকই বিষ থেকে মুক্ত হল এবং রক্ষা পেল। একইভাবে, যেভাবে সেই পিত্তলের সাপকে উচ্চে তোলা হয়েছিল, সেভাবেই আমাদের প্রভুকেও যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণের পর ক্রুশে তোলা হয়েছিল, আর তিনি আমাদের স্থানে আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করলেন। পাপের বিষে আক্রান্ত হয়ে আমরা সবাই মৃত্যু এবং অভিশাপের এক নির্মম গন্তব্য লাভ করেছিলাম, কিন্তু আমাদের মত এইরকম লোকদের রক্ষার জন্য প্রভু নিজেই ক্রুশে হত হয়েছিলেন। আর যেভাবে পুরাতন নিয়মে লাঠির উপরে উচ্চীকৃত সেই পিত্তলের সাপের দিকে তাকিয়ে লোকেরা রক্ষা পেয়েছিল, সেভাবেই যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার কার্যে বিশ্বাস করেছে, তাদেরকে ঈশ্বর পূণর্জন্মের আশীর্বাদ দান করেছেন। যীশু যর্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা ঈশ্বরের যে ধার্মিকতার কার্য সম্পন্ন করেছিলেন, যারা তাতে বিশ্বাস করে এবং ক্রুশারোপিত প্রভুকে তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করে, তাদেরকে ঈশ্বর পূণর্জন্মের আশীর্বাদ দান করেছেন। পিতা ঈশ্বর আমাদের প্রভুকে এই জগতের সমস্ত পাপ বহন করিয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করিয়ে মৃত্যুবরণ করিয়েছেন। 
যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে, ক্রুশে হত হয়ে এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়ে যীশু প্রত্যেক পাপীকে অনুগ্রহের চেয়েও বেশি কিছু দান করেছেন এবং তাদেরকে তাদের পাপের দন্ড হতে উদ্ধার করেছেন। প্রভু নীকদীমকে বললেন যে, কেউ স্বর্গে যায় নাই, কিন্তু মনুষ্যপুত্র স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন। জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের প্রভু পাপ ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন লাভের পথ খুলে দিয়েছেন। যীশ বলেন, “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না” (যোহন ১৪:৬)। মানবজাতির সমস্ত পাপ বহন করে এবং ক্রুশারোপিত হয়ে আমাদের প্রভু প্রথমবারের মতো স্বর্গের দ্বার খুলে দিলেন, যেন যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করে, তারা সবাই বিশ্বাসে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের সকলকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে একেবারে চিরকালের জন্য সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করেছেন। 
যীশু বলেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্যপুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে” (যোহন ৩:১৪)। কি এমন কারণ ছিল যে, আমাদের প্রভুকে ক্রুশারোপিত হতে হল? তিনি কি আমাদের মতো পাপ করেছিলেন? তিনি কি আমাদের মতো পাপী ছিলেন? তাঁর কি আমাদের মতো পাপ ছিল? না, অবশ্যই না! তথাপি, আমাদের প্রভুকে অভিশপ্ত গাছে পেরেকবিদ্ধ এবং ক্রুশারোপিত হতে হল। এই সমস্ত করা হয়েছিল যেন আপনি ও আমি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হই ও রক্ষা পাই। শুধু আপনাকে ও আমাকে নয়, কিন্তু পৃথিবীর সকলকে উদ্ধারের জন্য যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে যীশু নিজেই পৃথিবীর সমস্ত লোকদের পাপ বহন করলেন; আর এইভাবে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নেওয়ার জন্যই যীশু ক্রুশারোপিত হতে পেরেছিলেন এবং মানবজাতিকে তাদের বিচারদন্ড হতে মুক্ত করতে পেরেছিলেন; আর এইভাবেই প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের সকলকে মূহুর্তের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে পূণর্জন্ম লাভ করার আশীর্বাদ দান করেছেন (১ যোহন ৫:৩-৭)। 
শুধুমাত্র যখনই কেউ প্রকৃতরূপে যীশুর বাপ্তিস্ম কার্যে এবং ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্তে বিশ্বাস করবে, তখনই সে পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারবে এবং জল ও আত্মা হতে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারবে। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকৃতরূপে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর তাদেরকে একেবারে চিরকালের জন্য তাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভের এবং একেবারে চিরকালের জন্য তাঁর নিজের সন্তান হওয়ার আশীর্বাদ দান করেন। শুধুমাত্র বিশ্বাসে, বাইবেলে লিখিত বাক্যানুসারে যোহন বাপ্তাইজকের নিকট নেওয়া যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারাই আমরা পূণর্জন্ম লাভ করতে পারি। 
এখানে ‘জল’ যোহন বাপ্তাইজকের নিকট গ্রহণ করা যীশুর বাপ্তিস্মকে নির্দেশ করে, এবং ‘আত্মা’ নির্দেশ করে যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর। ঈশ্বর নিজেই মানবরূপ ধারণ করে এই জগতে নেমে এলেন, যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা মানবজাতির সমস্ত পাপ একেবারে নিজের উপরে তুলে নিলেন, ক্রুশারোপিত হয়ে এই সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করলেন, এবং এইভাবে, যারা বিশ্বাস করে, তাদের সকলকে তাদের পাপ ও বিচারদন্ড থেকে উদ্ধার করলেন। এটা হল পবিত্র আত্মার কাজ। আমরা সকলে পাপী ছিলাম, কিন্তু যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হওয়ার মাধ্যমে মানবজাতির সমস্ত পাপ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করে প্রভু আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করলেন। আমাদের প্রভুই আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা উদ্ধার করেছেন। যীশু বলেছেন যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পূণর্জন্ম লাভ করবে, শুধুমাত্র তারাই স্বর্গরাজ্য দেখতে পাবে এবং এতে প্রবেশ করতে পারবে। 
জল ও আত্মা থেকে পূণর্জন্ম লাভ শুধুমাত্র তখনই সম্ভব, যখন আমরা বিশ্বাস করব যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ মোচন করেছেন এবং আমাদের পাপের জন্যই ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছেন। যীশু হলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র, আর তিনি নিজেই ঈশ্বর এবং ত্রাণকর্তা, যিনি আমাদের, স্বর্গের ও পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানবদেহ ধারণ করে এই জগতে নেমে আসলেন, মানবজাতির পাপ তাদের জায়গায় নিজে বহন করার জন্য ক্রুশে তাঁর দেহ দান করলেন, কবরপ্রাপ্ত হলেন এবং তিন দিন পর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন, আর এইভাবে যারা তাঁতে (যীশুতে) বিশ্বাস করে, তাদের সকলকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার ক্ষমতা দিলেন। এইজন্যই আমাদের প্রভু সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি স্বর্গরাজ্যের প্রধান যাজক হয়েছেন। 
 
 

প্রভুই মেষদের দ্বার

 
প্রভু বলেন, তিনিই মেষদের দ্বার। তাহলে স্বর্গের দরজায় কে দাঁড়িয়ে আছেন? আমাদের প্রভু দাঁড়িয়ে আছেন। এই দরজা কে খুলে দেন? আমাদের প্রভুই খুলে দেন। তাই, স্বর্গরাজ্যের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হলে, একজন মানুষকে অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্তে বিশ্বাস করতে হবে। এই রকম বিশ্বাস থাকাটা আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। কিন্তু যারা এই স্বর্গীয় সুসমাচারে বিশ্বাস করে না, তারা পূণর্জন্ম লাভ করেনি, তাই তাদেরকে অন্য একটি স্থানে নিক্ষেপ করা হবে। যে কেউ যীশুর ঈশ্বরত্বকে অস্বীকার করে, তাঁর মানবরূপ ধারণকে অস্বীকার করে, অথবা তাঁর বাপ্তিস্ম অস্বীকার করে, যার মাধ্যমে তিনি মানবজাতির সমস্ত পাপ নিজে বহন করেছেন, সে স্বর্গের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। 
যারা ঈশ্বর-প্রদত্ত জলের সুসমাচারে বিশ্বাস করে না; যারা বিশ্বাস করে না যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর; যারা বিশ্বাস করে না যে, তিনি তাঁদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন; এবং যারা বিশ্বাস করে না যে, তিনিই পাপের সমস্ত দন্ড ভোগ করেছেন- ঈশ্বর তাদের স্বর্গে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে, এর মহিমায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং অনন্ত জীবন ভোগ করতে পারবে, কারণ তারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে। এটাই হল জল ও আত্মার সুসমাচারের এবং ঈশ্বরের করুণার পরিত্রাণের ক্ষমতা। 
পিত্তলের সাপটিকে যেমন একটা কাঠদন্ডের উপরে তোলা হয়েছিল, তেমনি যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা মানবজাতির সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করার জন্য আমাদের প্রভুকেও ক্রুশের উপরে তোলা হয়েছিল। জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়ে আমাদের সমস্ত দন্ড তিনি নিজে ভোগ করলেন। এটাই জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার। এটাই পাপ থেক মানবজাতির পরিত্রাণ। জল ও আত্মার এই পরাক্রমী সুসমাচারই হল এমকাত্র সত্য, যার মাধ্যমে মানবজাতি বিশ্বাসে ঈশ্বর থেকে তাদের পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারে। আপনারা কি এখন বুঝতে পারছেন, জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা পূণর্জন্ম লাভ বলতে কি বোঝায়? পূণর্জন্ম লাভের সত্য কি? কিভাবে আমরা নবজীবন লাভ করতে পারি? কিভাবে আমরা নতুন পুরুষ ও নারী হতে পারি? কিভাবে আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি? আমাদের পাপপূর্ণ এবং কলুষিত অবস্থা থেকে আমরা কিভাবে পাপমুক্ত হয়েছি? পাপী অবস্থা থেকে আমরা কিভাবে ধার্মিক হতে পারি? শুধুমাত্র যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে তাঁর সেচিত রক্তের সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারাই এই সমস্ত বিষয়ের সত্য সাধন সম্ভব হয়েছে। 
দুঃখের সাথে বলতে হয়, এই পৃথিবীর অগণিত লোক এই সত্য সম্পর্কে অজ্ঞ। আর তাদের এই অজ্ঞতায়, এমনকি আজকের খ্রীষ্টানরাও যীশুতে অন্ধভাবে বিশ্বাস করছে। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না। অসংখ্য খ্রীষ্টান তাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভের কঠোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা বিফল হচ্ছে এবং পরিশেষে তারা ভন্ড হয়ে যাচ্ছে- এটা দেখে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আজকের শাস্ত্রাংশে নীকদীম যেমন জানতেন না যে, জল ও আত্মা হতে পূণর্জন্ম লাভ করতে হয়, তেমনি এই যুগের ধর্মতাত্ত্বিকগণ, যাজকগণ এবং খ্রীষ্টানরাও জানে না কিভাবে জল ও আত্মা হতে পূণর্জন্ম লাভ করতে হয়। নীকদীম খুব পন্ডিত এবং সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তথাপি, তিনি যীশুর বাক্য একদমই বুঝতে পারেন নাই। আর আজকের অসংখ্য খ্রীষ্টান যাকজগণও তার মত বাক্য যথাযথভাবে বুঝতে পারেন না। যদিও জাগতিকভাবে এই নামকরা খ্রীষ্টান নেতাদের খুবই আকর্ষণীয় পদ ও মর্যাদা রয়েছে, কিন্তু তারা আত্মিকভাবে অন্ধ। 
যোহন লিখিত সুসমাচারের ৩ অধ্যায়ের অধিকাংশ অংশ, ১ পদ থেকে ২১ পদ ধরেই যীশু এবং নীকদীমের মধ্যে হওয়া কথোপকথন লেখা হয়েছে। যীশু এইভাবে কথা বলছিলেন, যাতে আত্মিকভাবে অন্ধ এই লোকের চোখ খুলে যায়। অবশেষে, নীকদীমের মাথা খুলে গেল, এবং তিনি উপলব্ধি করলেন, “আহা! আমি জানতাম যে, যীশু একজন সাধারণ ব্যক্তি নন, কিন্তু এখন আমি নিশ্চিত জানলাম যে, তিনি ঈশ্বরের পুত্র এবং মানবজাতির ত্রাণকর্তা। আমি জানলাম, তিনিই সেই মশীহ, যিনি আমাকে উদ্ধারের জন্য এসেছিলেন এবং আমার পাপ গ্রহণ করে আমার জায়গায় নিজে দন্ডভোগ করেছিলেন। এখন আমি এটা জানি!”
এই কথোপকথনের ফলোশ্রুতিতে, নীকদীমের আত্মিক চোখ খুলে গেল এবং তিনি প্রকৃত বিশ্বাস লাভ করলেন। এইজন্যই, যীশু যখন ক্রুশে মরেছিলেন, তখন নীকদীম স্যানহেদরিনের একজন সদস্য হয়েও স্বেচ্ছায় তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। যীশুর দেহকে কবরে রাখার জন্য প্রস্তুত করতে তিনি গন্ধরসে মিশ্রিত অগুরু নিয়ে এসেছিলেন। যেহেতু নীকদীম, যীশুর বাক্য শুনে এবং এতে বিশ্বাস করে তার পাপ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন, তাই তিনি জল ও আত্মার সুসমাচার হতে পূণর্জন্ম লাভ করেছিলেন, এবং স্বর্গরাজ্যের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 
আমার সহ-বিশ্বাসীগণ, যখন আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করি যে, যোহন বাপ্তাইজকের নিকট নেওয়া বাপ্তিস্মের দ্বারা যীশু জগতের সমস্ত পাপ নিজের নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছেন, শুধুমাত্র তখনই আমরা আমাদের পরিত্রাণে পৌঁছাতে পারি। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারা আমরা প্রকৃতরূপে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারি। আমরা যারা যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্তে বিশ্বাস করি, আমাদেরকে তিনি পূণর্জন্ম দান করেন; আর অন্যান্য যারা এই একই সত্যে বিশ্বাস করবে, তাদেরকেও এই পূণর্জন্ম দান করবেন, কারণ তিনি জগতের সকলের জন্যই এটা করেছেন। তাহলে কিসের মাধ্যমে আমরা পূণর্জন্ম লাভ করেছি? যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্তে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা পূণর্জন্ম লাভ করেছি। যখন যীশু যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তখন আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হয়েছিল। যীশু নিজেই ঈশ্বর এবং সৃষ্টিকর্তা, আর তিনি আমাদেরকে এই আশীর্বাদ দান করেছেন যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা পূণর্জন্ম লাভ করতে পারি। 
 
 

যীশুই ঈশ্বর

 
প্রত্যেক মানুষের কাছে যীশু নিজেই ঈশ্বর। যোহন ১:১-৩ পদে লেখা আছে, “আদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের সহিত ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন। তিনি আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন। সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই।” এই বাক্য কে? এই বাক্য হলেন যীশু খ্রীষ্ট, যিনি তাঁর বাপ্তিস্ম এবং রক্তের মাধ্যমে আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ হতে উদ্ধার করেছেন। যীশু মানবদেহ ধারণ করে এই জগতে আসলেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন, ক্রুশে হত হলেন, মৃত্যু হতে পুনরুত্থিত হলেন এবং এভাবে এই পরিত্রাণের মাধ্যমে আমাদেরকে এই সক্ষমতা দান করলেন যে, আমরা বিশ্বাসে পূণর্জন্ম লাভ করতে পারি। 
১ পিতর ৩:২১ পদে বাইবেল বলে যে, যীশুর প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম আমাদেরকে পরিত্রাণ করে। আমি শুনেছি যে, আমাদের এক ভাই যখন অন্য একটি লোকের কাছে এটা প্রচার করছিল, তখন সেই লোকটি তৎক্ষণাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে গেল এবং রাগ করে এটাকে অগ্রাহ্য করল। সে বলল যে, বাইবেল এটা বলে না। কিন্তু এইভাবে রাগ না করে, আপনাদেরকে বরং ঈশ্বরের বাক সযত্নে শুনতে হবে এবং যদি ঈশ্বরের বাক্য সঠিক হয়, তাহলে আপনারা এতে বিশ্বাস করবেন। এটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পূণর্জন্ম লাভ করা ধার্মিকগণের কাছ থেকে যদি আপনি সত্য শুনেন, তাহলে আপনি বুঝতে শুরু করবেন যে, বাইবেল কি বলছে। তাহলে, আপনি জল ও আত্মার এই সত্য সুসমাচার কোথায় শুনতে পাবেন? শুধুমাত্র ঈশ্বরের মন্ডলীতেই আপনি এই সত্য শুনতে পাবেন। যদিও আমরা পাপী ছিলাম, কিন্তু যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা যীশু আমাদেরকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। আর যে এই সত্য শিক্ষা দেয়, সে নিঃসন্দেহে ঈশ্বরের একজন মূল্যবান দাস।  
বাইবেল বলে যে, যীশু ক্রুশে উচ্চীকৃত হয়েছিলেন, “যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৫)। তাহলে আপনার বিষয়টি কেমন? আপনি কি সত্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা পাপের ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন লাভ করেছেন? আপনি কি সত্যই প্রভুর ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা পূণর্জন্ম লাভ করেছেন? আপনি যেই হোন না কেন, তাতে কিছু যায় আসে না। যখন আপনি বিশ্বাস করবেন যে, প্রভু আপনার মত পাপী লোকদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা পরিত্রাণ করেছেন, তখন আপনি পাপের ক্ষমা এবং পূণর্জন্ম লাভ করবেন। বস্তুত, আপনি যদি যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে সেচিত তাঁর রক্ত দ্বারা আসা পরিত্রাণে বিশ্বাস না করেন, তাহলে এটা আপনারই ক্ষতি। আপনি এই সুসমাচারের ক্ষমতাপূর্ণ কাজ আপনার জীবনে দেখতে পাবেন না। অন্যভাবে বললে, এটা আপনার জীবনকে ডিনামাইটের মতো বিকশিত করত, এই আশীর্বাদের কাজটা আপনি আপনার জীবনে দেখতে পাবেন না। পাপ থেকে আমাদের পরিত্রাণ সাধনের জন্য, জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আসা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করলে, শুধুমাত্র তখনই আমরা এর আশীর্বাদ লাভ করতে পারব। মানবদেহ ধারণ করে এই জগতে প্রভুর আসা থেকে শুরু করে তাঁর পরিত্রাণ, ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যুবরন, এবং তাঁর পুনরুত্থান- এই সমস্তই হল, এই জগতে করা যীশুর পরিত্রাণের কার্য। অবশ্যস্বীকার্য সত্য এই যে, যদি আমরা যীশুতে, যিনি জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা এসেছিলেন- তাঁতে বিশ্বাস করি, তাহলে বাস্তবিকই আমরা পূণর্জন্ম লাভ করব, আমাদের পরিত্রাণে পৌঁছাব এবং অনন্ত জীবন লাভ করব। “স্বর্গীয় বিষয়” বলতে আমাদের প্রভু নীকদীমকে এই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছিলেনঃ “আমি পার্থিব বিষয়ের কথা কহিলে তোমরা যদি বিশ্বাস না কর, তবে স্বর্গীয় বিষয়ের কথা কহিলে কেমন করিয়া বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৩:১২)। 
যীশু আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন। জল ও আত্মা দ্বারাই ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ করলেন এবং শয়তানের হাত থেকে উদ্ধার করলেন, আর এই সমস্তই হল যীশুর পরিত্রাণের কার্য। যদি আমরা শুধুমাত্র প্রভুর সাধনকৃত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাহলেই পরিত্রাণ লাভ করতে পারব। এটা আমাদের জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ। তাই, যীশু মানবজাতিকে দুই ধরণের অনুগ্রহ দান করেছেন। একটা হল- তাঁর সার্বজনীন অনুগ্রহ, এবং অন্যটি হল- তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ। প্রভুর সার্বজনীন অনুগ্রহ বলতে ঈশ্বরের সেই আশীর্বাদকে বোঝায় যা আমরা প্রকৃতির মধ্যে দেখতে পাই, সূর্য থেকে শুরু করে বাতাস এবং অন্যান্য সবকিছুই যা আমরা আমাদের এই জাগতিক জীবনে উপভোগ করি। 
এই অনুগ্রহ ঈশ্বর ধার্মিক থেকে শুরু করে পাপী, সকলের উপর সমানভাবে দান করেছেন। অন্যদিকে, ঈশ্বরের বিশেষ অনুগ্রহ বলতে বোঝায় যে, যীশু মানব দেহ ধারণ করে এই জগতে আসলেন, যোহন বাপ্তাইজকের নিকট বাপ্তিস্ম গ্রহন করলেন, এবং জগতের সমস্ত পাপ কাঁধে নিয়ে ক্রুশারোপিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ মোচন করলেন। এই বিশেষ আশীর্বাদে বিশ্বাস করে, অর্থাৎ জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আসা পরিত্রাণে বিশ্বাস করে আমরা পূণর্জন্ম ও পরিত্রাণ লাভ করতে পারি। হাল্লিলূয়া! প্রভুর প্রশংসা হোক! 
The New Life Mission

参加我们的调查

您是如何了解到我们的?