Search

דרשות

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-6] ত্বকচ্ছেদের ব্যবস্থা দ্বারা ঈশ্বর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আমাদের জন্যে তা (আদিপুস্তক ১৭:১-১৪)

ত্বকচ্ছেদের ব্যবস্থা দ্বারা ঈশ্বর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আমাদের জন্যে তা
(আদিপুস্তক ১৭:১-১৪)
“অব্রামের নিরানব্বই বৎসর বয়সে সদাপ্রভু তাঁহাকে দর্শন দিলেন ও কহিলেন, আমি সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বর, তুমি আমার সাক্ষাতে গমনাগমন করিয়া সিদ্ধ হও। আর আমি তোমার সহিত আপন নিয়ম স্থির করিব, ও তোমার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব। তখন অব্রাম উবুড় হইয়া পড়িলেন, এবং ঈশ্বর তাঁহার সহিত আলাপ করিয়া কহিলেন, দেখ, আমিই তোমার সহিত আপন নিয়ম স্থির করিতেছি, তুমি বহুজাতির আদিপিতা হইবে। তোমার নাম অব্রাম [মহাপিতা] আর থাকিবে না, কিন্তু তোমার নাম অব্রাহাম [বহুলোকের পিতা] হইবে; কেননা আমি তোমাকে বহুজাতির আদিপিতা করিলাম। আমি তোমাকে অতিশয় ফলবান করিব, এবং তোমা হইতে বহু জাতি জন্মাইব; আর রাজারা তোমা হইতে উৎপন্ন হইবে। আমি তোমার সহিত ও পুরুষানুক্রমে তোমার ভাবী বংশের সহিত যে নিয়ম স্থাপন করিব, তাহা চিরকালের নিয়ম হইবে; ফলতঃ আমি তোমার ঈশ্বর ও তোমার ভাবী বংশের ঈশ্বর হইব। আর তুমি এই যে কনান দেশে প্রবাস করিতেছ, ইহার সমুদয় আমি তোমাকে ও তোমার ভাবী বংশকে চিরস্থায়ী অধিকারার্থে দিব, আর আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব। ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও কহিলেন, তুমিও আমার নিয়ম পালন করিবে; তুমি ও তোমার ভাবী বংশ পুরুষানুক্রমে তাহা পালন করিবে। তোমাদের সহিত ও তোমার ভাবী বংশের সহিত কৃত আমার যে নিয়ম তোমরা পালন করিবে, তাহা এই, তোমাদের প্রত্যেক পুরুষের ত্বক্‌ছেদ হইবে। তোমরা আপন আপন লিঙ্গাগ্রচর্ম্ম ছেদন করিবে; তাহাই তোমাদের সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে। পুরুষানুক্রমে তোমাদের প্রত্যেক পুত্রসন্তানের আট দিন বয়সে ত্বক্‌ছেদ হইবে, এবং যাহারা তোমার বংশ নয়, এমন পরজাতীয়দের মধ্যে তোমাদের গৃহে জাত কিম্বা মূল্য দ্বারা ক্রীত লোকেরও ত্বক্‌ছেদ হইবে। তোমার গৃহজাত কিম্বা মূল্য দ্বারা ক্রীত লোকের ত্বক্‌ছেদ অবশ্য কর্ত্তব্য; আর তোমাদের মাংসে বিদ্যমান আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হইবে। কিন্তু যাহার লিঙ্গাগ্রচর্ম্ম ছেদন না হইবে, এমন অচ্ছিন্নত্বক্ পুরুষ আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে; সে আমার নিয়ম ভঙ্গ করিয়াছে।”
 
 আদি পুস্তক ১৭ অধ্যায়ে ঈশ্বর আব্রাহামের সাথে যে নিয়ম স্থির করেছেন তা আমাদেরকে আত্মিক বিষয় দেখায়, সমাগম তাম্বুর বলিদান উপহারের মস্তকের উপর তাদের হস্ত রাখার মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত পাপ মুছে ফেলা হত, আর এভাবে বলিতে তাদের পাপ সমূহ চলে যেত। অন্য ভাবে বলা যায়, ঈশ্বর অব্রাহামের সাথে যে নিয়ম স্থির করেছিলেন তা ছিল, পাপার্থক বলি ও হোমার্থক বলির পূর্ব সংকল্প। ঈশ্বর অব্রাহামকে তুকেচ্ছদ করতে প্রতিজ্ঞা করিয়েছেন, যেহেতু তিনি তার ঈশ্বর হবেন ও তার ভাবী বংশের ঈশ্বর হবেন, সমাগম তাম্বু সম্পর্কে ভাববাণী করা হয়েছিল যে, অব্রাহামের বংশধরেরা তাদের পাপ মুছে ফেলতে, তাদের বলিদান যোগ্য উপহারের মস্তকে তাদের হাত রাখবে। তাছাড়া আমরা অবশ্যই উপলব্ধি ও বিশ্বাস করব যে, এই ঘটনাটি আমাদেরকে দেখায় যে, যীশু খ্রীষ্ট যোহনের কাছ থেকে তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করবেন।
 ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, “তুমি আকাশে দৃষ্টি করিয়া যদি তারা গণিতে পার, তবে গণিয়া বল; তিনি তাঁহাকে আরও বলিলেন, এই রূপ তোমার বংশ হইবে” (আদিপুস্তক ১৫:৫)। পুনরায় অব্রাহামের কাছে উপস্থিত হয়ে, ঈশ্বর আবারও প্রতিজ্ঞা করলেন, “আমি তোমাকে অতিশয় ফলবান করিব, এবং তোমা হইতে বহুজাতি জন্মাইব; আর রাজারা তোমা হইতে উৎপন্ন হইবে। আমি তোমার সহিত ও পুরুষানুক্রমে তোমার ভাবী বংশের সহিত যে নিয়ম স্থাপন করিব, তাহা চিরকালের নিয়ম হইবে; ফলত: আমি তোমার ঈশ্বর ও তোমার ভাবী বংশের ঈশর হইব”(আদিপুস্তক ১৭:৬-৭)। 
 ঈশ্বর, অব্রাহাম ও তার বংশধরকে তুকচ্ছেদের নিয়ম স্থির। করতে প্রতিজ্ঞা করেছেন। ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের কাছে তাদের বলিদান যোগ্য উপহার উৎসর্গ করতে এর উপর যখন তাদের হস্ত অর্পণ করত, তার সাথে ত্বকচ্ছেদের মিল রয়েছে। তাছাড়া পূর্বেই বলা হয়েছে যে, নূতন নিয়মের কালে যীশু খ্রীষ্ট যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করে পাপের ক্ষমা সাধন করবেন। আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, অব্রাহামে কাছে ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রতিজ্ঞত পুরাতন নিয়মের ত্বকচ্ছেদ প্রথা, নূতন নিয়মে যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে পাপ ধৌত করণের আত্মিক ত্বকচ্ছেদে প্রতীয়মান। আর এই উদ্দেশে এটা আমাদেরকে বলে যে, সমাগম তাম্বুতে যখন ইস্রায়েলীরা তাদের বলি উৎসর্গ করত, তখন অব্রাহামে বিশ্বাসের ন্যায় তাদের বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন ছিল। 
 ঈশ্বর অব্রাহামকে বলেছিলেন, “তোমরা আপন আপন লিঙ্গাগ্রচর্ম্ম ছেদন করিবে, তাহাই তোমাদের সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে। পুরুষানুক্রমে তোমাদের প্রত্যেক পুত্র সন্তানের আট দিন বয়সে ত্বকচ্ছেদ হইবে, এবং যাহারা তোমার বংশ নয়, এমন পরজাতীয়দের মধ্যে তোমাদের গৃহেজাত কিম্বা মূল্য দ্বারা ক্রীত লোকেরও ত্বকচ্ছেদ হইবে” (আদিপুস্তক ১৭:১১-১২)। অন্যকথায়, ঈশ্বর, অব্রাহাম ও তার জাতিগণের মধ্যে ত্বকচ্ছেদের এই নিয়ম স্থির করেছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি অব্রাহামের ও তার ভাবী বংশের ঈশ্বর হবেন, কিন্তু তাঁর পূর্বে অব্রাহাম ও তাঁর বংশে প্রত্যেকের ত্বকচ্ছেদ করতে হয়েছিল: “তোমার গৃহজাত কিম্বা মূল দ্বারা ক্রীত লোকের ত্বকচ্ছেদ অবশ্যই কর্ত্তব্য; আর তোমাদের মাংসে বিদ্যমান আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হইবে” (আদি পুস্তক ১৭:১৩ )।
 এই কারণে জগতের সমস্ত লোকদের মধ্যে, একমাত্র ইস্রায়েলীয় পুরুষ লোকেরা সেই অব্রাহাম থেকে তাদের লিঙ্গাগ্রেরচর্ম্ম ছেদন করে আসছে। বর্তমানে স্বাস্থ্যের উপকারীতার জন্য ত্বকচ্ছেদ ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে, কিন্তু ঐ সময়ে কেবল মাত্র পুরুষ লোকেরা ত্বকচ্ছেদ করত। এটা ছিল অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার চিহ্ন স্বরূপ, আর ঈশ্বর তাকে ও ইস্রায়েল জাতিকে, তার বংশধদেরকে তাদের মাংসিকতা বহন করতে, তাদের সাথে তিনি চিহ্ন স্বরূপ এই নিয়ম স্থাপন করেছেন। 
 আদি পুস্তক ১৭:১১ পদে বলা হয়েছে, “তোমরা আপন আপন লিঙ্গাগ্রচৰ্ম্ম ছেদন করিবে, তাহাই তোমাদের সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে।” কাজেই ত্বকচ্ছেদ হল নিয়মের চিহ্ন স্বরূপ। স্মরণ করুন, কিভাবে ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞা স্থির করেছেঃ “তুমি কিভাবে জান যে তুমি আমার সন্তান? তুমি কেবল এটা জান তোমার ত্বকচ্ছেদের ক্ষত চিহ্নের দিকে তাকিয়ে। এখন থেকে তোমাদের মধ্যে প্রত্যেক পুত্র সন্তান তার লিঙ্গাগ্রের চৰ্ম্ম ছেদন করবে। আর এই ভাবে তোমাদের মাংসে বিদ্যমান আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হবে। আমি তোমার ও তোমার ভাবী বংশের ঈশ্বর হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছি। আর আমি তোমাকে আশীর্বাদ করতে, তোমার বংশ বৃদ্ধি করতে, কনান দেশে প্রবেশ করতে ও তোমা হতে জাতি উৎপন্ন করতে ও রাজা উৎপন্ন করতে প্রতিজ্ঞা করেছি।” (আদি পুস্তক ১৭:৪-১৪)। 
 ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি অব্রাহাম ও তাঁর ভাবী বংশের সাথে যে নিয়ম স্থাপন করেছেন তা তাদের মাংসে বিদ্যমান। অপরদিকে বলা যায়, ইস্রায়েলীয় পুত্র সন্তানদের লিঙ্গাগ্রের চর্মছেদনে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা মুদ্রাঙ্কিত হয়েছে। ইস্রায়েল জাতির প্রতি, তাদের ত্বকচ্ছেদের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞা স্থির করেছেন, এবং ত্বকচ্ছেদের মাধ্যমেই এটা স্থির করা হত যে, তারা অব্রাহামের বংশধর কিনা। সুতরাং যারা ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হত, তারা অব্রাহামের বংশধর হিসাবে স্বীকৃত ও আশীর্বাদ প্রাপ্ত হত; কিন্তু যারা অত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত, তাদেরকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হত না। 
 
 
প্রকৃত পক্ষে ইস্রায়েল জাতির জন্য অব্রাহাম ছিলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি
 
 ইস্রায়েল জাতির জন্য ব্যবস্থার পিতা মোশির চাইতেও বিশ্বাসের পিতা অব্রাহাম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। যদিও অনেক ইস্রায়েলীয় রয়েছে যারা এখন নোহকে স্মরণ করতে পারছে না, আবার অল্পই রয়েছে যারা অব্রাহামকে মনে করতে পারে না। তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে হয়তো তারা শেথ বা মথুশেলহকে মনে করতে পারে, কিন্তু সমস্ত ইস্রেয়েল জাতির নিমিত্ত অব্রাহাম বিশ্বাসের পিতা রূপে স্মরণীয় ছিলেন। ইস্রায়েল জাতির পিতা রূপে সকলেই তাঁকে অনুধাবন করে, বিশ্বাস করে ও অনুসরণ করে। কাজেই ঈশ্বর অব্রাহামের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েল জাতির কাছে যে প্রতিজ্ঞা স্থির করেছিলেন, তা এখনো কার্যকর রয়েছে। 
 ইস্রায়েল জাতি নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসে দৃঢ় করছিল, “আমরা অব্রাহামের বংশধর। আমাদের লোকেরা আমাদের মাংসে বিদ্যমান ত্বকচ্ছেদ চিহ্ন বহন করছে। অতএব ঈশ্বর আমাদের ঈশ্বর এবং আমরা তাঁর সন্তান।” যে কারণে ইস্রায়েলীয়রা নিজেদেরকে ঈশ্বরের পছন্দের লোক রূপে গণনা করত, তার কারণ হল ঈশ্বর অব্রাহামের মধ্য দিয়ে ত্বকচ্ছেদের যে নিয়ম স্থাপন করেছিলেন, তাতে তারা এখনও বিশ্বাস করে যাচ্ছে। 
 অব্রাহামের দুজন স্ত্রী ছিল: তাঁর ব্যবস্থাসিদ্ধ স্ত্রী সারী, ঈশ্বর কর্তৃক যার নাম দেওয়া হয়েছিল সারা, এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হাগার, যিনি ছিলেন সারীর দাসী। কেননা যেহেতু সারী তাঁর জন্য কোন সন্তান ধারন করতে সক্ষম ছিলেননা, তাই অব্রাহাম হাগারের মধ্য দিয়ে একটি সন্তান লাভ করার চিন্তা করেছিলেন (আদিপুস্তক ১৬:১-৪)। কিন্তু ঈশ্বর পরিষ্কারভাবে বললেন, যেহেতু সারী ব্যবস্থা অনুসারে অব্রাহামের স্ত্রী ছিলেন, কাজেই তাঁর নিজের সন্তান হতে হবে; কেননা তিনি অব্রাহামকে আকাশের তারার ন্যায় অসংখ্য বংশধর দিবেন। ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি কেবল তাদেরকে তাঁর সন্তান হিসাবে জানবেন, যারা সারীর দেহ হতে জন্ম লাভ করবে। কিন্তু ইসমাইল যে দ্বিতীয় স্ত্রী হাগার হতে জনাম লাভ করেছে, সে ঈশ্বরের সম্মুখে স্বীকৃতি পাবে না। 
 ইস্রায়েল জাতি যদি ত্বকচ্ছেদ না করত, তাহলে ঈশ্বর তাদের সহিত যে প্রতিজ্ঞা স্থির করেছিলেন, তা নিষ্ফল হয়ে যেত। ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর নিয়মের চিহ্নস্বরূপ ত্বকচ্ছেদ করতে বলেছিলেন, যেন এই নিয়ম তাদের মাংসে বিদ্যমান চিরকালের নিয়ম হয়। এই কারণে ইস্রায়েলীয়রা ত্বকচ্ছেদ করত, নতুবা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা তাদের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়ত। সম্ভবতঃ ইস্রায়েলদের মধ্যে এমন কেউ ছিল না যার ত্বকচ্ছেদ করা হত না, কারণ, তারা জানত যে, ত্বকচ্ছেদবিহীন লোক পরজাতির সমতুল্য; যারা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার অংশীদার হতে পারে না।
 
 

আত্মিক ত্বকচ্ছেদ

 
 ঈশ্বর অব্রাহাম এবং তাঁর ভাবী বংশের সাথে যে নিয়ম স্থাপন করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ রূপে পূর্ণতা লাভ করেছে তখন, যখন যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা মানব জাতি সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়ে সমস্ত পাপের ক্ষমা সাধন করেছেন। 
 ঈশ্বর ইস্রায়লদেরকে সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গণের দ্বারের নিমিত্ত এটাকে আচ্ছাদন করতে এবং নীল, বেগুনে, ও লাল এবং পাকানো মসীনন সূতা দ্বার এক পর্দা প্রস্তুত করতে বললেন। (যাত্রা পুস্তক ২৬:৩১, ২৭:১৬)। সমাগম তাম্বু মধ্যে দিয়ে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে আগত পরিত্রাণ সম্বন্ধে ঈশ্বর আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন, ৩০ বছর বয়সে যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে মানব জাতির সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন এবং এই ভাবে আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা দিয়েছেন,- তারা সকলে অব্রাহামের বংশধর। ঈশ্বর, তাদের ঈশ্বর হয়েছেন, যারা সমাগম তাম্বুর নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীনা সূতায় বিশ্বাস করেছে। 
 যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সকলে অবশ্যই আত্মিক ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হই। আত্মিক ত্বকচ্ছেদ হল আত্মার পাপ গুলোকে কেটে বাদ দেওয়া, অর্থাৎ যীশুর বাপ্তিস্মে (রোমীয় ২:২৯) যে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হয়েছে, এবং আমাদের হৃদয় পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে, এটা বিশ্বাস করা।
 নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীনা সূতায় প্রতীয়মান জল ও আত্মার সুসামচারে বিশ্বাসের দ্বারা যারা আজকে তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তারা সকলে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা এবং তাঁর সন্তান। যেমন ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন, “রাজারা তোমা হইতে উৎপন্ন হইবে”
(আদি পুস্তক ১৭:৬), বাস্তবিক তাঁর লোকেরা সমগ্র জগতে রাজত্ব করছে। 
 আমরা যদি অব্রাহামে বংশধর হতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করতে হবে, যে বাপ্তিস্ম যীশু খ্রীষ্ট গ্রহণ করেছেন এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করতে হবে। যেহেতু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি না যে, যীশুর বাপ্তিস্ম সম্পর্কে জানা এবং এতে বিশ্বাস করা কত গুরুত্বপূর্ণ। যীশু খ্রীষ্ট হলেন রাজাদের রাজা। তিনি রাজাদের রাজা যিনি বেগুনীয়া কাপড় পড়ে এসেছেন (যোহন ১৯:৫)। যীশু বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের রাজা এবং এর সৃষ্টিকর্তা। যেহেতু তিনি ঈশ্বরে একমাত্র পুত্র, তিনি পিতার ইচ্ছা পালন করতে এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং আমাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন, তিনি আমাদের সমস্ত পাপ বাপ্তিস্মের মধ্যে দিয়ে একেবারেই তুলে নিয়েছেন। আমাদের পাপ ধৌত করতে, তিনি আমাদের হৃদয় থেকে সমস্ত পাপ ছিন্ন করেছেন এবং বাপ্তিস্মের দ্বারা এগুলো তাঁর শরীরে বহন করেছেন, আর আমাদের সমস্ত পাপের নিমিত্ত বিচারিত হয়ে তিনি ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন। এই ভাবে যারা সকলে এই সত্যে বিশ্বাস করবে, তারা অব্রাহামের বংশধর হতে পারবে। 
 অব্রাহাম, তার পরিবার, এবং তার বংশধরগণ সকলে শারীরিক ত্বকচ্ছেদ করেছিলেন। এমন কি পরজাতি হতে মূল্যে ক্রীত দাসগণও ত্বকচ্ছেদ করেছিলেন। যখন তারা এই নিয়মে বিশ্বাস করেছিল, তারা ত্বকচ্ছেদ করেছিল, এমন কি এই সমস্ত পরজাতি দাসেরাও আশীর্বাদ প্রাপ্ত হতে লাগল, এবং ঈশ্বর তাদের ঈশ্বর হলেন। সূতরাং এই বিশ্বাস, যার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি, আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়েছি, আর এই বিশ্বাস দ্বারা আমরা স্বর্গে প্রবেশ করব, এবং আমরা এই পৃথিবীতে রাজারূপে বেঁচে থাকব। নুতন নিয়মের যুগে এই বিশ্বাস হল তাদের বিশ্বাস, যারা বিশ্বাস করে যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন। 
 যাহোক, কিছু লোক দাবী করে, যীশুর বাপ্তিস্ম গুরুত্বপূর্ণ নয়, কাজেই তারা বিশ্বাস করে, তারা কেবলমাত্র যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে। যদিও তারা সমাগম তার যুগে। সম্পাদিত বলিদান যোগ্য উপহারের মস্তকের উপর হস্তর্পণে বিশ্বাস করত, তথাপি যীশুর বাপ্তিস্মকে গরুত্ব দিত কম। এই জন্য তারা এই বিশ্বাসের নাছোরবান্দা থাকে যে, যেহেতু এই পৃথিবীতে যীশুর প্রথম কাজের অনেক পূর্বে অব্রাহামে বিশ্বাসকে ঈশ্বর অনুমোদন করেছিলেন এবং তা মোশির সমাগম তাম্বুর অনেক পূর্বে, সেই জন্য এখনো তারা শুধুমাত্র যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস দ্বারা পরিত্রাণ পেতে চায়, তাঁর বাপ্তিস্মকে গুরুত্ব দেয় কম। 
 কিন্তু আমরা অবশ্যই মনে রাখব যে, ঈশ্বর অব্রাহামকে যখন তাঁর কাছে তিন বৎসরের এক গাভী, তিন বৎসরের এক ছাগী, তিন বৎসরের এক মেষ এবং এক ঘুঘু ও এক কপোতশাবক আনতে বললেন, - এ সমস্ত কিছুই করেছেন অব্রাহামকে বুঝানোর জন্য যে তিনি অব্রাহাম এবং তার ভাবী বংশকে তাদের উত্তোরাধিকার রূপে কনান দেশ দিবেন,- আগুন দ্বারা হোম বলি উৎসগ করার পরিকল্প ঈশ্বরের ছিল। আদি পুস্তক ১৫:১৭ পদে বলা হয়েছে, “পরে সূর্য অস্তগত ও অন্ধকার হইলে দেখ, ধূম যুক্ত চুলা ও অগ্নিময় উল্কা, এ দুই খন্ড শ্রেণীর মধ্য দিয়া চলিয়া গেলে।” ঈশ্বর হেবলের হোমার্থক বলি ও তার বিশ্বাসকে অনুমোদন করেছেন, কিন্তু তিনি কয়িনের বিশ্বাসকে অনুমোদন করেন নাই, কেননা সে এই হোমার্থক বলিতে বিশ্বাস করে নাই। 
 বর্তমান খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে অনেকে রয়েছে, যারা আত্মিক ত্বকচ্ছেদে বিশ্বাস ব্যতিত ভুল বশতঃ অন্ধের মত বিশ্বাস করে যে, তারা কেবলমাত্র যীশুতে বিশ্বাস করেই উদ্ধার পেয়েছে। যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের সমস্ত পাপ যে, যীশুতে চলে গেছে এই সত্য বিশ্বস ব্যতিত, তারা কেবল যীশুর ক্রুশারোপনকে বিশ্বাস করে। এই ধরণের লোকেরা কখনোই ঈশ্বরের নিজের লোক হতে পারে না, কারণ এই ভাবে বিশ্বাস করলে তাদের হৃদয় থেকে কখনোই তাদের পাপ সমূহ মুছে যেতে পারে না। যেহেতু ঈশ্বর বলেছেন যে, তাঁর নিয়মের চিহ্ন হচ্ছে মাংসে বিদ্যমান তুকচ্ছেদে; অতএব, ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞার সাথে অত্বকচ্ছেদ প্রাপ্তদের কোন সম্পর্কই থাকতে পারে না।
 যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে যীশু যে বাপ্তিস্মগ্রহন করেছেন, তাতে বিশ্বাস ব্যতিত মানুষ কি পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারে? এই ধরণের লোকেরা কি ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে? তারা কি স্বর্গে প্রবেশ করতে পারে? এই প্রশ্ন গুলোর সন্দেহাতিত উত্তর হচ্ছে, না! এই উত্তরের জন্য যে মূল অনুচ্ছেদটি আজকে আমরা অধ্যায়ন করেছি, তা আমাদেরকে পরিষ্কার সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়। ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ঠিক একই প্রতিজ্ঞা আজকে তিনি আপনার এবং আমার সাথে করেছেন, আমাদের মধ্যে যারা ত্রাণকর্তারূপে যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করেছে, তাঁর বাপ্তিস্মে এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেছে, তারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে। যারা এই ভাবে বিশ্বাস করবে, ঈশ্বর অব্রাহামকে যেমন আশীর্বাদ করেছিলেন, ঠিক সেই ভাবে তাদেরকেও আশীর্বাদ করবেন।
 
 

যীশুর প্রকৃত বিশ্বাসীরা তাদের নিজেদের তৈরী মতবাদ অনুসরন করে না

 
 বাইবেলে ঈশ্বরের বাক্য নির্দিষ্ট এবং পরিত্রাণের সত্য স্পষ্ট; আমরা যত বেশি এটা পড়ি এবং এটার বিষয় চিন্তা করি, এটা আরও বেশি দৃঢ় ও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। বর্তমান খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের বিশ্বাস ভ্রান্ত, নিজেদের চিন্তা দ্বারা ঈশ্বরকে বিশাস করে এবং অনুসরন করে; অথচ তাদের এই ভুল সম্পর্কে তারা অসচেতন। এই ধরণের লোকের বিশ্বাসের ভিত্তি খুবই ভ্রান্ত। অন্ধের মত তারা বিশ্বাস করে যে, যীশু তাদেরকে উদ্ধার করেছেন, হতে পারে তারা নিজদের চিন্তা-চেতনায় সন্তুষ্ট; কিন্তু তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বর তাদের অন্ধ বিশ্বাসকে অনুমোদন করেন নাই।
 আমাদের প্রভু বলেন, যে কেউ তাঁকে অনুসরণ করতে চায়, তবে প্রথমেই তাকে অবশ্যই তার নিজেকে অস্বীকার করতে হবে এবং তাকে (পুরুষ / নারী ) যীশুর ক্রুশ বহন করতে হবে। যে কেউ ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে, তাকে অবশ্যই তার (পুরুষ / নারী ) নিজস্ব চিন্তা-চেতনাকে ফেলে দিতে হবে এবং প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের বাক্য কি বলে, সেই অনুসারে বলতে হবে। আজকে, আপনি এবং আমি অবশ্যই সেই পাপের ক্ষমায় বিশ্বাস করব, যে ক্ষামা যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে আসার মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে দিয়েছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্যে দিয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং বহন করেছেন, ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছেন এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন।
 আজকের দিনেও অনেকে রয়েছে যারা এভাবে বিশ্বাস করে না, বরং তারা যীশুর নাম অন্ধের মত ধরে রাখে এবং বলে, তাদের বিশ্বাসে নিজস্ব পথ রয়েছে। এই প্রকার বিশ্বাসের লোকেরা যীশুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কিছু লোক দাবী করে যে, পর্বতের গুহায়। প্রার্থনা করতে করতে তারা যীশুর দর্শন পেয়ে পরিত্রাণ পেয়েছে। আবার অনেকেই বলে, যখন তারা মন্ডলীতে যায়, গিয়ে তারা সারা রাত উপবাস প্রার্থনা করার ফলে তাদের পাপ দূরীভূত হয়েছে, কারণ তারা পাপের কারণে নিদারুন মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করেছিল, অনুতাপের প্রার্থনা ছাড়া যা থেকে তারা রেহাই পাচ্ছিল না। 
 আমাদের প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে যে প্রকৃত পরিত্রাণ আসে, পূর্বে লিখিত বিশ্বাসের সাথে সেই প্রকৃত পরিত্রাণে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। যদি আমাদের এই ধরণের বিশ্বাস থাকে, তাহলে তিনি আমাদের পাপ ক্ষমা করবেন ঈশ্বরের বাক্যে কোথায় এটা বলা হয়েছে? কোথায়ও না! এই প্রকার লোকেরা পুরোপুরি সচেতন নয় যে, ঈশ্বর অসীম এবং যীশু সর্বশক্তিমান, তারা খ্রীষ্টের নাম বহন করে এবং সেই সাথে ঈশ্বর সম্পর্কে অনিশ্চিত বিশ্বাস যোগ করে নিজেদের পাপের কথা ভুলে গিয়ে তারা অনর্থক ঈশ্বরের নাম নেয়, এবং এই ভাবে আরও অধিক পরিমাণে ঈশ্বরের ক্রোধ সঞ্চয় করে এই লোকেরা নিজেদের চিন্তা প্রসূত যীশুকে উপস্থাপন করে, নিজেদের ধারণা প্রসূত পরিত্রাণে বিশ্বাস করে এবং নিজেদের কল্পনায় নির্ভর করে।
 আদি পুস্তক ১৭:১৪ পদে বলা হয়েছে, “কিন্তু যাহারা লিঙ্গাগ্রচর্স্ম ছেদন না হইবে এমনু অচ্ছিন্ন ত্বক পুরুষ আপন লোকদের মধ্যে হইতে উচ্ছিন্ন হইবে; সে আমার নিয়ম ভঙ্গ করিয়াছে।” ঈশ্বর স্পষ্টতই আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি আত্মিক ত্বকচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করবেন। তাছাড়া ঈশ্বর দ্ব্যর্থহীনভাবে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, কেবলমাত্র যারা জল ও আত্মায় নূতন জন্ম লাভ করবে, তারাই তাঁর সন্তান হবে। এইরূপে যারা কেবল তাঁর বাপ্তিস্ম ব্যতিত ক্রুশীয় রক্তে যীশুকে বিশ্বাস করবে তারা কখনোই ঈশ্বরের সন্তান হতে পারবে না। এই প্রকার লোকেরা ঈশ্বরের সাথে প্রতারণা করছে কেননা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত সুসমাচারে তাদের বিশ্বাস নেই, আর তাই ঈশ্বরে লোক হতে উচ্ছিন্ন হবে এবং তাঁর দ্বারা অভিশপ্ত হবে। 
 বিশ্বাসের যে ভিত্তি আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে, তা জল ও আত্মার সুসমাচার ভিন্ন অন্য কিছু নয়। কেবলমাত্র যখন জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের মূল ভিত্তি রূপে স্থাপন করা হয় কেবল তখনই আমরা দৃঢ়ভাবে এবং সম্পূর্ণ রূপে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতে পারি। আত্মিক পরজাতীয় যাদের হৃদয় আত্মিকভাবে ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত নয়, তারা কিভাবে তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের বাক্য ধরে রাখতে পারে? তারা কখনোই ধরে রাখতে পারে না! কেননা জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদেরকে আত্মিকভাবে ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হতে অনুমোদন করেছে, ঈশ্বরের সন্তান হতে যোগ্য করেছে, এই দৃঢ় ভিত্তি ব্যতিত ঈশ্বরের বাক্য আমাদের কাছে আসে কেবলমত্র আমাদের জাগতিক জ্ঞানের দ্বারা।
 এই জন্য মূলত যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, নূতন জন্ম প্রাপ্ত সেই সমস্ত দাসগণ সহজেই আত্মিক শিক্ষা বুঝতে সক্ষম হয়। অন্য ভাবে বলা যায়, যারা জল ও আত্মায় নূতন জন্ম প্রাপ্ত হয়, তারা ঈশ্বরের বাক্য শুরতে পায় এবং বুঝতে পারে। যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে অজ্ঞ লোকরদে সাথে সাক্ষাত করি, যারা ক্রুশীয় রক্তের মধ্য দিয়ে নূতন জন্ম গ্রহণ করেছে বলে দাবী করে, তারা বলে যে, আমরা একই ঈশ্বরের বিশ্বাস করি, তথাপি, আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন ঈশ্বরের কথা বলছি। এখানে সত্য ঈশ্বর কে? সত্য ঈশ্বর হচ্ছেন সেই ঈশ্বর, যিনি অব্রাহামের কাছে তাঁর প্রতিজ্ঞাত বাক্য দিয়েছিলেন।
 ঈশ্বর অব্রাহাম এবং তার বংশধরদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, 
“তোমাদের মাংসে বিদ্যমান আমার নিয়ম চিরকালের নিয়ম হইবে” (আদিপুস্তক ১৭:১৩)। আমরা যে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি, আমাদের সেই চিহ্ন কোথায়? আমাদের হৃদয়ে যীশুর বাপ্তিস্ম বিশ্বাসের দ্বারা এই চিহ্ন আমাদের হৃদয়ে খুঁজে পাওয়া যায়, সত্য সুসমাচার বিশ্বাসের দ্বারা যারা হৃদয়ে আত্মিক ত্বকচ্ছেদ করেছে তারা ও আমরা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি। আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়া নিমিত্ত প্রভু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, আর তাই আমরা আত্মিক ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়েছি, আমাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাসের দ্বারা আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি।
 এই সত্যে এটা আমাদের বিশ্বাস যে, আমরা আমাদের সমস্ত পাপ যীশু খ্রীষ্টেতে দিয়ে দিয়েছি, এবং যীশু আমাদের এই পাপ সমূহ ক্রুশে বহন করেছেন; আমাদের নিমিত্ত ক্রুশারোপিত হয়েছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন, আর এইভাবে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। অন্যভাবে বলা যায়, এটাই বিশ্বাস যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি। তাহলে আমাদের কি আর কোন পাপ অবশিষ্ট আছে? অবশ্যই না! আমাদের আর কোন পাপ নাই। সুসমাচারে বিষ্ময়কর সত্যে সমস্ত কিছু পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।
 
 

কিভাবে আপনি এবং আমি অব্রাহামের বংশধর হতে পারি?

 
 আমরা অব্রাহামের বংশধর হয়েছি, কেননা সমাগম তাম্বুতে প্রতীয়মান নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীন সূতায় যীশুর কার্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আত্মিক ভাবে ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়েছি। এর কারণ আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেছি, তাই আমরা আত্মিকভাবে ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়েছি এবং ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি। কেননা আমরা বিশ্বাস করেছি যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং আমাদের পাপের নিমিত্ত ক্রুশে বিচারিত হয়েছেন, আর আমরা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি। আর এই ভাবে আপনি এবং আমি আত্মিকভাবে অব্রাহামের বংশধর হয়েছি। 
 যারা জল ও আত্মায় নূতন জন্ম লাভ করেছে তাদেরকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে বাস্তবিক তারা কেমন । আপনি এবং আমি , আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছি , এবং যারা বিশ্বাসে আত্মিক ত্বকচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়েছি, তারা সকলে ঈশ্বরের সন্তান এবং তাঁর নিজস্ব লোক। 
 আমরাই আগত সহস্রাব্দের রাজ্যের রাজা, যারা ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টির উপর রাজ্যত্ব করব এবং তাঁর সমস্ত জাঁকজমক পূর্ণ আনন্দ উপভোগ করব। এই ভাবে আমাদের মূতি পরিবর্তীত হয়েছে। এই পৃথিবীর লোকেরা কি জানে বাস্তবিক আমরা কারা? তারা জানে না। কিন্তু আমরাই তারা, যাদের আত্মিক মূর্তি পরিবর্তীত হয়েছে বিশ্বাসের দ্বারা। আর এই ভাবে আমরা আমাদেরকে এখন পরিষ্কার ভাবে ও দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানতে পেরেছি।
 যারা ঈশ্বরের বাক্যে নূতন জন্ম লাভ করেছে, তারা বাস্তবিক জানে তারা কারা। আমরা মৌলিক ভাবে তাদের থেকে আলাদা, যারা নিজেদেরকে পার্থিব ধর্মের অনুসারী হিসাবে দাবী করে, যারা সম্পূর্ণ অজ্ঞ অবস্থায় ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে, যারা ঈশ্বরে নূতন জন্ম প্রাপ্ত সন্তানদের দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকায়। যেমন ইস্রায়েলরা নিজেদেরকে ঈশ্বরের মনোনীত লোক হিসাবে মনে করে এবং নিজেদেরকে ইস্মায়েলের বংশধর হিসাবে দাবী করে, তেমনি আমরাও নিজেদেরকে অব্রাহামের আত্মিক বংশধর হিসাবে ঈশ্বরের সন্তান বলে দাবী করতে পারি। 
 আমরা যারা আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, সৌভাগ্য ক্রমে আমরা অব্রাহামে বংশধর হয়েছি। সমাগম তাম্বুতে প্রতীয়মান নীল, বেগুনে ও লাল সূতার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। 
 আর ঈশ্বর যেভাবে অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি আকাশের তারা ন্যায় তার বংশ বৃদ্ধি করবেন, তেমনি ভাবে আমাদের প্রতি এই প্রতিজ্ঞার প্রকৃত পূর্ণতা আমাদের নিজেদের চোখেই আমরা প্রত্যক্ষদর্শী। এটাই অনুগ্রহ যা ঈশ্বর আমাদের প্রদান করেছেন।
 আমাদের হৃদয়ের ত্বকচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর পৃথিবীর পাপ সমূহ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। আর এই বিশ্বাসের ত্বকচ্ছেদ সমাগম তাম্বুর দ্বারে ব্যবহৃত নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান মিহি মসীনা সূতা দ্বারা প্রস্তুতকৃত।