Search

דרשות

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-19] স্বর্ণের দীপবৃক্ষ (যাত্রাপুস্তক ২৫:৩১-৪০)

স্বর্ণের দীপবৃক্ষ
(যাত্রাপুস্তক ২৫:৩১-৪০)
“আর তুমি নির্ম্মল স্বর্ণের এক দীপবৃক্ষ প্রস্তুত করিবে; পিটান কার্য্যে সেই দীপবৃক্ষ প্রস্তুত হইবে; তাহার কাণ্ড, শাখা, গোলাধার, কলিকা ও পুষ্প তৎসহিত অখণ্ড হইবে। দীপবৃক্ষের এক পার্শ্ব হইতে তিন শাখা ও দীপবৃক্ষের অন্য পার্শ্ব হইতে তিন শাখা, এই ছয় শাখা তাহার পার্শ্ব হইতে নির্গত হইবে। এক শাখায় বাদামপুষ্পের ন্যায় তিন গোলাধার, এক কলিকা ও এক পুষ্প থাকিবে; এবং অন্য শাখায় বাদামপুষ্পের ন্যায় তিন গোলাধার, এক কলিকা ও এক পুষ্প থাকিবে; দীপবৃক্ষ হইতে নির্গত ছয় শাখায় এইরূপ হইবে। দীপবৃক্ষে বাদামপুষ্পের ন্যায় চারি গোলাধার, ও তাহাদের কলিকা ও পুষ্প থাকিবে। আর দীপবৃক্ষের যে ছয়টী শাখা নির্গত হইবে, তাহাদের এক শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখণ্ড এক কলিকা, অন্য শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখণ্ড এক কলিকা ও অপর শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখণ্ড এক কলিকা থাকিবে। কলিকা ও শাখা তৎসহ অখণ্ড হইবে; সমস্তই পিটান নির্ম্মল স্বর্ণের একই বস্তু হইবে। আর তুমি তাহার সাতটী প্রদীপ নির্ম্মাণ করিবে; এবং লোকেরা সেই সকল প্রদীপ জ্বালাইলে তাহার সম্মুখে আলো হইবে। আর তাহার চিমটা ও গুলতরাশ সকল নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মাণ করিতে হইবে। এই দীপবৃক্ষ এবং ঐ সমস্ত সামগ্রী এক তালন্ত পরিমিত নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মিত হইবে। দেখিও, পর্ব্বতে তোমাকে এই সকলের যেরূপ আদর্শ দেখান গেল, সেইরূপ সকলই করিও।”
 
স্বর্ণদ্বীপ বৃক্ষ
 স্বর্ণের দীপবৃক্ষটি বিশেষ দক্ষতার সহিত খাঁটি স্বর্ণদ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। এটা হাতুড়ি দ্বারা নির্মিত খাঁটি স্বর্ণের একটি অখন্ড দীপবৃক্ষ ছিল, এর দুপাশ থেকে তিনটি শাখা নির্গত হয়েছিল এবং দীপবৃক্ষের উপর সাতটি তীর এবং ছয়টি স্বর্ণের শাখা স্থাপন করা হয়েছিল। স্বর্ণের দীপবৃক্ষটি যেমন খাঁটি স্বর্ণ দ্বারা বিশেষ দক্ষতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তেমনি এটা দেখতে ছিল খুবই আকর্ষনীয় এবং সুন্দর।
 দীপবৃক্ষের উপর সাতটি দীপাধার ছিল তেল রাখার জন্য সেগুলো পবিত্র স্থানকে সব সময় উজ্জল আলোয় আলোকিত করে রাখত। কেবলমাত্র একজন সমাগম তাম্বুর নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের পর্দা উত্তোলন ও দ্বার খুলে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারত। শুধু মাত্র তারাই এস্থানে প্রবেশ করতে পারত যারা নীল, বেগুনে এবং লাল বস্ত্রে প্রতীয়মান পরিত্রাণের কার্যে বিশ্বাস করত। এরূপে, কেউ এই বিশ্বাস ব্যতীত পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারত না, কেননা এটা ছিল এমন একটি স্থান যা শুধুমাত্র তাদের প্রবেশ করার জন্য অনুমোদন ছিল যারা সমাগম তাম্বুর দরজার নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের রহস্য জানত। 
 এজন্য, কেবলমাত্র তারাই, যারা নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসিনা বস্ত্রের অবিশ্বাস্য পরিত্রাণে বিশ্বাস করত তারা ঈশ্বরের গির্জার সদস্য হতে পারত। সমাগম তাম্বুর দ্বারে ব্যবহৃত চারটি রং জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রতিচ্ছবি, যা পূর্ব থেকে যীশুর এজগতে আসা, যিনি আমাদের পাপ সকল নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধম্যে এবং পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করে ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন। 
 এই সত্য জল ও আত্মার সুসমাচার ছাড়া প্রকৃত পাপ ক্ষমার আর কোন সুসমাচার নেই যা প্রভু আমাদের প্রদান করেছেন। জল ও আত্মার সুসমাচার যীশুর বাপ্তিস্ম যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন এবং ক্রুশের দন্ডাজ্ঞা যা তিনি আমাদের পাপের ক্ষমার নিমিত্ত বহন করেছিলেন এর দ্বারা গঠিত হয়েছিল। এরূপে, যারা কেবল তাদের সর্বান্তকরনে এই সত্য বিশ্বাস করবে তারা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে। অন্য কথায়, ঈশ্বর তাদের অনুমোদন করেন যারা নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের বিশ্বাস করে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করবে। 
 পবিত্র স্থানের ভিতরে স্বর্ণের দীপবৃক্ষ যেমন সর্বদা আলো ছড়ায়, তেমনি যারা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছেন জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করার মাধ্যমে তারাও এই পৃথিবীতে পরিত্রাণের সেই আলোয় আলোকিত করেছেন যা লোকদের তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছে। অন্য কথায়, কেবল মাত্র তারাই জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে যারা দীপবৃক্ষের ভূমিকা পালন করতে পারেন যা আমাদের পরিত্রাণের আলো দিয়েছে, যাতে অন্যেরাও এই সত্য জানতে এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারে। 
 দীপবৃক্ষে ফুল, অলংকৃত হাতল এবং গোলাকার বাটি ছিল। ঈশ্বর যেমন আদেশ দিয়েছিলেন যে, সাতটি দীপ দীপবৃক্ষের উপর স্থাপিত হবে, যখন দীপবৃক্ষ আলো ছড়াতো তখন অন্ধকার পবিত্র স্থানের পথ সর্বদা আলোকিত দেখাত। এর অর্থ হল ধার্মিক যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস দ্বারা তাদের পাপ থেকে পরিস্কৃত হয়েছে। তারা সকলে একত্রিত, ঈশ্বরের গৃহ নির্মাণ করে এবং এই পৃথিবী আলোকিত করে। দীপবৃক্ষের আলো যা পবিত্র স্থান আলোকিত করত এটা হল জল ও আত্মার সুসমাচার যা এই পৃথিবীর অন্ধকার সরিয়ে দেয়।
 আমাদের পাপমুক্ত করতে মানব দেহে যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। আমাদের পাপ তুলে নিলেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন এবং আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করে, তিনি ক্রুশ বিদ্ধ হলেন। এভাবে যীশু পরিত্রাণের আলো হয়েছিলেন। সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনে, পাপীরা হস্তার্পনের মাধ্যমে পাপার্থক বলির উপর তাদের পাপ অর্পন করত এবং তাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করবার নিমিত্ত এটা হত্যা করত।
 এইরূপে, যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের আইনানুসারে বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও ক্রুশে মৃত্যুবরণের দ্বারা আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছিলেন, এবং তিনি সমগ্র মানব জাতির পরিত্রাণের আলো হলেন। নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান সুসমাচার দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট মানব জাতির পরিত্রাণ পরিপূর্ণ করেছিলেন। এভাবে আমরা বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুসমাচার যা যীশু খ্রীষ্ট আমাদের প্রদান করেছেন তাতে বিশ্বাস দ্বারা পাপমুক্ত হয়েছি। যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তাদের সবাইকেও এই সত্যের আলো আবিষ্কার করতে হবে।
 যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে পরিত্রাণের আলোয় আলোকিত করেছেন যাতে কেবলমাত্র জল ও আত্মায় যারা বিশ্বাস করে নতুন জন্ম লাভ করেছেন তারা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। এরূপে যারা শুধুমাত্র জল ও আত্মায় নতুন জন্ম লাভ করেছেন তারা ঈশ্বরের গির্জার অংশ হতে পারে এবং সমগ্র পৃথিবীতে জল ও আত্মার আলো ছড়াতে এবং সুসমাচার ছড়িয়ে দেবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। কেননা তারা একমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে এবং এটা ছড়িয়ে দেয়, ঈশ্বর বিশেষ ভাবে এই জল ও আত্মার সুসমাচার তাদের বুঝতে দিয়েছেন এবং তাদের এই সত্য সুসমাচারের আলোয় আলোকিত হবার আনুমতি দিয়েছেন। 
 এইরূপে, আমাদের বুঝতে হবে সমগ্র বিশ্বব্যাপী এই সুসমাচার প্রচারের কাজ শুধুমাত্র তাদের দ্বারা হতে পারে যারা জল ও আত্মা সুসমাচারের প্রকৃত সত্য বোঝে। পাপীরা পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারে না। শুধুমাত্র যারা সমাগম তাম্বুর দ্বারের নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান সুসমাচার বিশ্বাস করে তারা প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে, কেবল মাত্র যারা নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের সম্বন্ধে জানে তাদের এবং হৃদয়ে বিশ্বাস করে সমাগম তাম্বুর নিকটে আসে এবং পরিত্রাণের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত বিষয় খুঁজে বের করে, তারা আসতে পারে। 
 সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনের পথ ও নীল, বেগুনে ও লাল বস্ত্রের আলোয় আলোকিত হত। যারা সমাগম তাম্বু খুঁজত তাদের উপহার দেবার জন্য, ঈশ্বর এর প্রঙ্গনেও একই রং দিয়ে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পুরাতন নিয়মের লোকেরা তাদের প্রতিদিনের উৎসর্গের মাধ্যমে এরকবারে সম্পূর্ণ হতে পারত না। এ কারণে তাদের মশীহের জন্য অপেক্ষা করতে হত। যাহোক, যখন সত্যিকারের মশীহ যীশু খ্রীষ্ট আসলেন, তখন তারা বুঝতে ব্যর্থ হল যে, তিনি প্রকৃত মশীহ রূপে এসেছিলেন, সমাগম তাম্বুর দ্বারের পর্দায় প্রকাশিত রং অনুসারে তিনি আমাদের অনন্ত জীবন প্রদান করে করেছিলেন। 
 এটা হল বর্তমান খ্রীষ্টিয়ানের মত, যদিও তারা যীশু নাম ডাকে তথাপি তারা জানেনা যে তিনি নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে এসেছিলেন এবং আমাদের সঠিকভাবে পাপমুক্ত করেছেন, যখন পুরাতন নিয়মের লোকেরা হস্তার্পণের মাধ্যমে এবং রক্তের মাধ্যমে তাদের প্রতিদিনের উপহার উৎসর্গ করত তখন তাদের বিশ্বাস করতে হত যে, ত্রাণকর্তা এভাবে দৃশ্যমান হবেন, তাদের হোমবলির উৎসর্গের মত। 
 এরূপে, পৃথিবীর লোকদেরও বিশ্বাস করতে হবে, যীশু খ্রীষ্ট ত্রাণকর্তা এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, পুরাতন নিয়মে যেমন হস্তাৰ্পনের মাধ্যমে হোমবলির উপর পাপ অর্পণ করা হয় তেমনি বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং রক্ত সেচন করেছিলেন আর এভাবে তাঁর লোকদিগকে পাপ মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু যদি তারা পুরাতন নিয়মের হোমবলি সম্বন্ধে না জানে তবে তাদের যীশু এ জগতে বাপ্তিস্ম ও রক্ত দ্বারা এসেছিল নাকি একাকী ক্রুশীয় রক্তের দ্বারা এসেছিল নাকি শুধুমাত্র একজন ত্রাণকর্তা রূপে এসেছিল তা সম্বন্ধে তাদের কোন ধারনাই নেই। 
 ঈশ্বরের সৃষ্টিতে, আজকের খ্রীষ্টিয়ানদের বিশ্বাস পুরাতন নিয়মের হোমবলি উৎসর্গে পদ্ধতির সাথে স্থাপন করুন এটা তাহলে ইস্রায়েল লোকদের ক্রটির মত হবে। কেননা তাদের মশীহের উপর সত্য বিশ্বাস নেই যিনি হোমবলি উৎসর্গের প্রতীয়মান ছিলেন, তারা বিশ্বাস করে না যে মশীহ এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন। কিন্তু ইস্রায়েল সহ এই বিশ্বের সমস্ত লোক, সকলকে জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করতে হবে, যীশু তাঁর রাজত্বকালে তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশারোহনের মাধ্যমে তাদের পাপ মুক্ত করেছিলেন। 
 আপনাকে এবং আমাকে আমাদের সমস্ত পাপ ও দন্ডাজ্ঞা থেকে মুক্ত করার নিমিত্ত যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন। সমাগম তাম্বুর দ্বারে প্রতীয়মান নীল, বেগুনে ও লাল বস্ত্রের সত্য জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমরা যীশু খ্রীষ্টকে জানতে সক্ষম হয়েছে। পরিত্রাণের সত্য সুসমাচার হৃদয়ে বিশ্বাস করে লোকজন। সত্যিকারে পাপের ক্ষমা লাভ করে। জল ও আত্মার সুসমাচার যা যীশু খ্রীষ্ট এ জগতে এসে আমাদের দিয়েছেন, বাপ্তাইজিত হয়েছেন এবং ক্রুশে মৃত্যু বরন করেছেন আপনাকে হৃদয়ে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি পাপ মুক্ত হয়েছেন। এই সত্য আপনার সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে মুক্ত করেছে। 
 ঈশ্বরের পবিত্র গৃহ যেখানে তিনটি পর্দা ছিল, প্রতিটি দ্বারে নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের পর্দা ছিল। যা আমি আপনাদের বার বার বলেছি, এই চারটি রং প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বরের পরিত্রাণ প্রকাশ করে: আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করার নিমিত্ত, ঈশ্বর পাপ ক্ষমার আইন নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের মধ্যমে স্থাপন করেছিলেন। এ কারণে, পাপ ক্ষমার এই আইন অনুসারে যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে ঈশ্বর আমাদের বিশ্বাস গ্রহণ করবেন এবং চিরতরে আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করবেন। 
 এটা হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস যা নীল, বেগুনে ও লাল বস্ত্রের প্রতীয়মান সুসমাচার যা আমাদের যে কেউ বিশ্বাস করে তারা চিরতরে পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে। ঈশ্বর প্রদত্ত এ গুরুত্বপূর্ণ হোমবলির সুসমাচার জেনে ও বিশ্বাস করে যে কেহ তাঁর কাছে যেতে পারে। ঈশ্বরের গৃহের পবিত্র দ্বারের প্রবেশ পথে স্তম্ভের উপরে নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের এই পর্দা গুলো ঝুলানো ছিল। ঈশ্বরের কাছে যাবার জন্য আমাদের পর্দার চারটি রংঙ্গে বিশ্বাস করতে হবে। 
 নীল বস্ত্রের বিশ্বাস হল যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের পাপ ক্ষমা করেছেন এবং লাল বস্ত্রের বিশ্বাস হল যে যীশু আমাদের পাপের দন্ডজ্ঞা বহন করে ক্রুশারোহণ করেছেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছেন। বেগুনে বস্ত্রে যে বিশ্বাস প্রকাশিত হয় তা হল যীশু নিজেই ঈশ্বর, এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের বিশদ বাক্য যে পূর্বেই তিনি আমাদের পাপ মোচন করেছেন-তাহল নীল, বেগুনে ও লাল বস্ত্র। এই সত্যকে বলা হয় জল ও আত্মার সুসমাচার। এরূপে, যীশু আমাদের জল ও আত্মার বিশ্বাস দ্বারা পাপমুক্ত করেছেন, আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। এটা হল তাদের বিশ্বাস যারা সমাগম তাম্বুর দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে এবং পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারে।
 সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনে নীল, বেগুনে ও লাল বস্ত্র আমাদের বুঝতে দেয় ঈশ্বরের পরিকল্পনা তিনি কিভাবে আমাদের পাপমুক্ত করেছেন, আমাদের পরিত্রাণ দেখিয়েছেন, ঈশ্বরের স্থাপিত পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, এটা আমাদের মানুষের কোন চিন্তা দ্বারা গঠিত নয়। এমন কি যদি আমরা পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য হোমবলি উৎসর্গ হস্তার্পণের মাধ্যমে পাপ অর্পণ ও রক্ত সেচন ছাড়াই প্রতিদিনের পাপের ক্ষমা চাই, তাহলে আমরা আমাদের অনন্ত পাপের ক্ষমা পেতে পারি না। কেবলমাত্র তখনই যখন হোমবলির উপহার যিনি এসেছিলেন পাপ থেকে মুক্ত করতে, পৃথিবীর অনন্ত পাপ তুলে নিতে তখন আমরা এই সত্যে সম্পন্ন রূপে বিশ্বাস করে পাপ মুক্ত হয়েছি এবং এভাবে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করি। 
 যদি আমাদের হৃদয়ে এই সত্যের সুসমাচারের বিশ্বাস থাকে, তাহলে আমরা পরিত্রাণের সুসমাচারে ছড়িয়ে দিতে পারি যা প্রতিটি হরানো আত্মা অনন্ত জীবনের পথে ফিরিয়ে আনবে। যীশুর কার্যকাল যা নীল, বেগুনেও লাল বস্ত্রের প্রতীয়মান এতে বিশ্বাস করে আমরা এই পৃথিবীতে সত্যের পাপ ক্ষমায় আলোকিত করতে পারি। পবিত্র স্থানের দীপবৃক্ষ এবং সাতটি প্রদীপ এবং যখন এই প্রদীপ গুলো আলো ছড়াতো তখন সমাগম তাম্বুর স্বর্ণের মোড়ানো তক্তায় এদের আলোয় প্রতিফলন ঘটত, এভাবে পবিত্র স্থানের ভিতরে সমস্ত স্থানে উজ্জলভাবে আলোকিত হত। যদি পবিত্র স্থানে কোন দীপবৃক্ষ না থাকত, তাহলে এটা শুধুমাত্র অন্ধকারই থেকে যেত। এটাই হল এর কারণ কেন ঈশ্বর স্থানান্তরিত করলেন এই অন্ধকার পৃথিবীতে পবিত্র ব্যক্তিদের এবং তাঁর দাসদের যারা জল ও আত্মায় সুসমাচারে বিশ্বাস করে। 
 
 

স্বর্ণের দীপবৃক্ষের ভূমিকা কি?

 
 স্বর্ণের দীপবৃক্ষ আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে, ঈশ্বর আমাদের বিশ্বাস প্রদান করেছেন যা সত্যের বিশ্বাস যা পৃথিবীর আলো হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে যীশু খ্রীষ্ট এই জগতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন। অন্য কথায়, ঈশ্বর আমাদের বলেছেন, এই বিশ্বাসে পরিত্রাণকে আলোকিত করতে। যখন আমরা আমাদের হৃদয়ে বিশ্বাসে পরিত্রাণের সুসমাচার ধারন করি তখন এটা হল বাস্তব মুহুর্ত যখন সত্যের আলোয় আলোকিত হয়। লোকেরা তখন দেখবে এবং এই উজ্জ্বল আলোর কাছে আসবে বুঝতে পারবে যে ঈশ্বর নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে তাদের পাপ মুক্ত করেছেন এবং তারা ঈশ্বরের নিজের লোক হবেন। এই সত্যের আলো হল জল ও আত্মার সুসমাচার যা পিতা ঈশ্বর, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিকল্পিত এবং পরিপূর্ণ।
 আমাদের এসত্যে বিশ্বাস যে যীশু এ জগতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর রক্ত সেচন এবং মত্য বরণ করেছেন আর পুনরায় জীবিত হয়ে আমাদের সকল পাপের ক্ষমা প্রদান করেছেন, আমরা সুসমাচার প্রচার করছি যারা ইচ্ছা করবে তারা পাপ মুক্ত হতে পারবে। যদি যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও আমাদের জন্য উৎসর্গীকৃত না হতেন, তবে আপনি এবং আমি আমরা কখনো আমাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারতাম না।
 কেননা যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, তাঁর রক্ত সেচন করেছেন এবং আমাদের জন্য উৎসর্গীকৃত হয়েছিলেন তিনি সমস্ত পাপীদের বিশ্বাস প্রদান করেছেন যা তাদের পাপ মুক্ত করেছে। আমরা এখানে কোন মিথ্যা ডকট্রিন প্রচার করছিনা। সমগ্র বিশ্বব্যাপী আমরা নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান পরিত্রাণের আলো প্রচার করছি। কেননা আমাদের বিশ্বাস আছে, যীশু বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় উৎসর্গীকরন জেনে ও বিশ্বাস করে আমরা তাদের জন্য আলো ছড়াচ্ছি যাদের হৃদয়ে অন্ধকার রয়েছে। এভাবে যারা এই আলোর মাধ্যমে আলোকিত হয়েছে তারা চমৎকার অবিশ্বাস্য সাক্ষ্য বহন করছেন যে তাদের সকলের হৃদয় থেকে পাপ দূরীভূত হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত লোক বাপ্তিস্ম যা যীশু গ্রহণ করেছেন এবং ক্রুশীয় উৎসর্গীকরন যার দ্বারা তিনি পৃথিবীর সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন এগুলো জানতে আসবে এবং এগুলো তাদের নিজেদের পাপ মোচনের জন্য বিশ্বাস করে তারা সত্যের আলো আবিষ্কার করবে। 
 কেন যীশু খ্রীষ্টকে এই জগতে আসতে হয়েছিল? কেন তাঁকে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে হয়েছিল? কেন তাকে ক্রুশে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল? কেন তাঁকে তিন দিনপর মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত হতে হয়েছিল? এই সমস্ত কিছুর কারন হল যীশু খ্রীষ্ট হন মশীহ। মশীহ রূপে পরিত্রাণের সমস্ত কার্য সম্পাদন করার নিমিত্ত যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন আর এভাবে তিনি পাপীদের পরিত্রাণের আলোয় আলোকিত করেছেন। একারণে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী পরিত্রাণের আলো ছড়ানোর দ্বারা আমরা অনেকে এই সত্য জানতে সক্ষম হয়েছি, বিশ্বাস করেছি এবং এভাবে অনন্ত জীবন গ্রহণ করছি।
 আপনি এবং আমি আমরা হলাম দীপবৃক্ষ যারা এই পৃথিবী জল ও আত্মার সুসমাচারের আলোয় আলোকিত করবো। সুসমাচারের মাধ্যমে যা আমরা প্রচার করছি, লোকেরা জানতে পারবে সত্যের আলো যা তাদের পাপ মুক্ত করবে। যারা এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে আলোর সন্ধান করেছেন তারা আমরা যা প্রচার করছি তার উজ্জল আলো দেখতে পাবেন, এই সত্যের আলোয় আসবেন এবং তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন। বিশ্বাস যা সত্যের বিশ্বাস সমস্ত মানুষ। এর দ্বারা পাপ মুক্ত হতে পারেন।
 এই সুসমাচার কোন ধর্মীয়তত্ত্বের ব্যাপার না। এরূপে আমাদের হৃদয়ে সত্য বিশ্বাস করতে হবে। আমরা সুসমাচার প্রচার করতে পারি কেবলমাত্র যখন আমরা সত্যিকারে বিশ্বাস করি যীশুর কার্যকাল যা নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু যদি আমরা প্রদীপ যেখানে তেল রাখা হয় সেটা ব্যতীত পাপের, ক্ষমা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা চিরন্তন আলো ছড়াতে পারি না, আর এই জন্য ঈশ্বর আমাদের গির্জা প্রদান করেছেন যা আমাদের দীপবৃক্ষ। দীপবৃক্ষের প্রতিটি শাখায় যেখানে গোলাকার বাটি ছিল, আর এই গোলাকার বাটি গুলোর নিচে অলংকারের কারুকার্য ছিল। এর অর্থ হল বিশ্বাস ব্যতীত গির্জা তৈরি হয় না।
 কেবলমাত্র গির্জাই হল সেই স্থান যেখানে তারা একত্রিত হয়ে বিশ্বাসে সত্যিকারে তাদের হৃদয়ের পাপের ক্ষমা পেয়েছে। গির্জায় মস্তক হলেন যীশু খ্রীষ্ট, এবং গির্জা হল তার দেহ। দেহ যেমন মস্তকের আদেশ মত চলে, তেমনি গির্জা এর বাহু এবং পা দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট যেমন আদেশ দেন তেমনি চলে। এটা হল তাই যে ভাবে সুসমাচার আমাদের পাপমুক্ত করে। তাহলে, প্রভুর গির্জা ঘর দেখতে কেমন? অন্ধকার পাপে রঞ্জিত, সমগ্র পৃথিবী মৃতবৎ এবং এর মধ্যে গির্জা সে সব আত্মার সন্ধান করছে যারা নরকগমন এড়াতে পারে না। এই কারণে আপনি এবং আমি সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাঁর গির্জায় কাজ করছি।
 যে সমস্ত দেশে খ্রীষ্টধর্মের লম্বা ইতিহাস রয়েছে সেখানে অনেকেই বাইবেল খুব ভালভাবে অধ্যায়ন করেছে এবং বাইবেল সম্বন্ধে তারা জ্ঞানদীপ্ত। আমি বিশ্বাস করি এরূপ ব্যক্তিদের মধ্যে যারা অবিচল ভাবে প্রকৃত সত্যের সন্ধান করছে তারা এই সত্যের মুখোমুখি হবে আর তখনি তারা তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারবে। তাই এরূপ ব্যক্তিদের নিকট জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে আমি বিশ্বাসে সকল নতুন জন্ম প্রাপ্ত পবিত্র ব্যক্তিদের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করি।
 কারণ খ্রীষ্টধর্ম, অন্য ধর্মের বিসদৃশ, বিশ্বাসের বাক্যের উপর এর ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, যদি আমরা শুধুমাত্র সঠিক ভাবে বাক্য প্রচার করতে পারি তাহলে লোকজন পাপের ক্ষমা গ্রহণ করবে। কিন্ত অনেকে আছেন যারা ভয়ংকর ভাবে এই সত্যের বিরোধী, কেবল মাত্র উপহাস করেন এবং এতে বিশ্বাস করেন না, এটা কোন বিষয় নয় যে এটা কতটা তাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে কিছু কিছু এক গুঁয়ে ধর্মীয় লোক আছে যারা ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাস করে না এবং এরূপ লোক কখনও জল ও আত্মার সুসমাচারের এই সত্যতা কখনও বিশ্বাস করে না। কিন্তু তাদের খবর কি যারা বাইবেলকে ঈশ্বরের বাক্যরূপে গ্রহণ করেছে? অগণিত লোক যারা এই সুসমাচার শুনে ও বিশ্বাস করে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করবে।
 আমার এই বিশ্বাস আছে কারণ প্রথম দিন থেকেই আমি এবং আপনি আমরা একত্রে ঈশ্বরের সেবা করছি। একদিন আসবে যখন এই সুসমাচার অসংখ্য লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং সুসমাচারের কাজ মহৎ রূপে জেগে উঠবে। এর কারণ হল ঈশ্বর সেখানে কাজ করেছেন আমরা সম্ভাবত দেখতে পারিনা আর হাজার হাজার লোক প্রতিদিন সত্যিকারের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করছে। আর আপনার এবং আমার মত অনেক অনেক লোক প্রদীপ হবে এবং সমগ্র বিশ্বের লোকদের মধ্যে তাদের হৃদয়ের বিশ্বাস যা নীল, বেগুনে এবং লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের বিশ্বাস লোকদের মধ্যে পরিত্রাণের বিশ্বাস ছড়িয়ে দেবে। আমি বিশ্বাস করি যে তারা সমগ্র জগত আলোকিত করবে, নতুন বিশ্বাসীরা উঠতে থাকবে, এবং তারাও শিখতে পারবে এবং এই সুসমাচার প্রচার করবে।
 আমরা যারা এখন ঈশ্বরের প্রদীপ হয়ে বিশ্বাসের পরিত্রাণের আলোয় আলোকিত করছি যা বিশ্বাস নীল, বেগুনে ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের সত্যে প্রতীয়মান। নীল বস্ত্র যীশুর বাপ্তিস্মের সত্যতা প্রদান করে- এটা হল যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের পাপভার বহন করেছিল; বেগুনী বস্ত্র হল যীশু খ্রীষ্ট রাজাদের রাজা এ সত্যের আলোয় আলোকিত; লাল বস্ত্র হল, যীশু ক্রুশে জগতের পাপ বহন করছিলেন এবং এর জন্য রক্ত সেচন করেছিলেন এই সত্যের আলো বির্কীন করা বুঝায়; এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্র যীশুর বাক্য যা দ্বারা তিনি পাপীদের ধার্মিক করেছেন এ সত্যের আলোয় উদ্বীপ্ত। সুসমাচার জল ও আত্মার বাক্য ঈশ্বর প্রদান করেছেন যা হল নীল, বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান সত্যের আলো।
 এই সুসমাচার আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে তিনি প্রভুরূপে দ্বিতীয়বার এই জগতে আসবেন, আমাদের পুনরায় জীবিত করবেন, তাঁর হাজার হাজার বছরের রাজত্বে আমাদের প্রবেশের অধিকার দেবেন এবং আমরা চিরতরে তাঁর সহিত বাস করব। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে, অনন্ত জীবন কি?
 এই বিশ্বব্রাহ্মান্ড এতই বিস্তৃত এবং প্রসারিত যে বিজ্ঞানীরা বলেন আমাদের সৌরজগতের বাহিরে অন্যান্য অসংখ্যা তারা এবং ছায়াপথ রয়েছে যেগুলো গণনা করা আমাদের সামর্থ্যের বাহিরে। বিশ্বব্রহ্মান্ডের যে ভুমি ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন তা হল বিস্ময়কর বিরাটাকার। আমাদের জানা বিশ্বব্রহ্মান্ডের বাহিরে, অসংখ্যা রাজ্য সমগ্র গ্যালাক্সি জুড়ে এমন কি যা সম্বন্ধে আমরা জানিও না। উল্কা বাস্তবিক পক্ষে এটা যদি এখন নিক্ষিপ্ত হয় একটি গ্রহের টুকরার মত যা অনেক মিলিয়ন বছর আগে গ্যালাক্সি থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল তা কেবলমাত্র এখন পৃথিবীতে পৌঁছাচ্ছে এবং আগুন জ্বলছে। 
 অন্য কথায়, বর্তমানে আমরা জানতে পারছি শতকোটি বছর আগে কি ঘটেছিল। এই রূপে বিশ্বব্রহ্মান্ডের বিস্তৃত ভূমি ঈশ্বর কতৃক সৃষ্টি হয়েছে তা এখনো আমাদের অজানা রয়েছে। কিন্তু যদিও বিশ্বব্রহ্মান্ড আমাদের কাছে অজানা রয়েছে, কিন্তু ঈশ্বরের জন্য এটা এতই ছোট যে একটি হাতের তালুর মত। ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ যিনি বিশ্বব্রহ্মরেন্ড সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
 আমারা সত্যের আলোয় পৃথিবী আলোকিত করবো যা হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস যা দ্বারা সকলে পাপের অনন্ত ক্ষমা পায় এবং অনন্ত জীবন উপভোগ করে। ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের উজ্জ্বল আলোয় অনুমোদন করেছেন যীশু খ্রীষ্টের সহিত চিরতরে বাস করার নিমিত্ত। ঈশ্বর চিরতরে আমাদের সহিত বাস করবেন, তাঁর আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমাদের অনুমোদন করেছেন এবং তাঁর গৌরবের বস্ত্রে আমাদের আবৃত করেছেন। কেন? কেননা আমরা তাঁর শক্তির আলোর সুসমাচারে বিশ্বাস করি। একবার এই আলো আবিস্কার করতে পারলে আমরা সত্য বুঝতে সক্ষম হই, তখন এটা আমরা অন্যদের কাছে প্রচার না করে থাকতে পারি না। 
 আর যখন আমরা সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের কাজ দেখেছি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডে তখন তাঁর কাজের উপর থেকে আমাদের বিশ্বাস ম্নান যেতে পারে না। শতকোটি বছর আগে কিছু তাঁরা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল তথাপি আমাদের চোখ এখনো তাদের দেখতে পায় কারণ তারা এই গ্রহ থেকে শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে! আমরা কেবলমাত্র “অনন্তকালের” ধারনা সম্বন্ধে কলাপনা করতে পারি যখন আমরা বিশ্বব্রহ্মান্ডের অসীমত্ব সম্বন্ধে চিন্তা করি তখন। 
 আমরা যারা ঈশ্বরের গির্জায় অংশ হয়েছি এখন আমরা আমাদের জীবন দ্বারা সুসমাচারের সত্য আলো ছড়াবো, আমার যারা নীল, বেগুনী ও লাল বস্ত্রের প্রতীয়মান সত্য বিশ্বাস করেছি। আমরা বিশ্বাস করি যে এই পরিত্রাণ আমাদের জীবনে আর্শিবাদ এবং ঈশ্বরের রাজ্য অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এবং আমরা জানি যে ঈশ্বরের ইচ্ছা সমস্ত মানুষ যেন পরিত্রাণ পায় এবং তার তত্ত্বজ্ঞানে পৌঁছাতে পারে (১ম তীমথিয় ২:৪ পদ)। একারণে যারা পরিত্রাণের আলো সম্বন্ধে জানে তাদের জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে এবং ঈশ্বর তাদের এ কাজ দিয়েছেন এটা বিশ্বাস করতে হবে।
 ঈশ্বর আমাদের আর্শিবাদ করেছেন এজন্য আমার একাজ করতে সমর্থ হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে বুঝতে পেরেছি যে এই আর্শিবাদ কতটা মহৎ, এটা করা আমাদের অধিকার এবং বিশ্বাসে আমরা এ কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি আশা করি আপনারা সবাই এই সত্যের আলো জেনে হৃদয় পূর্ণ করেছেন। ঈশ্বরের অনুগ্রহে আপনি এবং আমি আমারা নীল, বেগুনী লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান তার কার্যকাল বিশ্বাস করি, এবং আমরা সমগ্র পৃথিবীর আলো হয়েছি, তাদের একজন যারা সমগ্র পৃথিবী আলোকিত করে। হাল্লিলূয়া! আমি ঈশ্বরকে আমার সকল ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।