Search

דרשות

বিষয় ১১: আবাস

[21-2] আমাদের অবশ্যই ঈশ্বর কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্বাস থাকতে হবে (প্রকাশিত বাক্য ২১:১-২৭)

আমাদের অবশ্যই ঈশ্বর কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্বাস থাকতে হবে
< প্রকাশিত বাক্য ২১:১-২৭>
 
ঈশ্বর আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী প্রদান করেছেন৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেছেন, আপনি এখন কি দেখছেন, প্রথম আকাশ ও পৃথিবী, এর অভ্যন্তরের সমস্ত কিছু, সবই বিলুপ্ত হবে, আর এই স্থলে তিনি নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী, নুতন সমুদ্র দেবেন, এবং বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছুই নুতন ভাবে সৃষ্টি করবেন৷ এর অর্থ হচ্ছে, সাধুগণ যারা প্রথম পুনরুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, প্রভু ঈশ্বর তাদের উপহার হিসাবে তাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দান করবেন৷ এই আশীর্বাদ ঈশ্বরের দান, যে সমস্ত সাধুগণ তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তিনি তাদেরকে এই উপহার প্রদান করবেন৷
অতএব, যে সমস্ত সাধুগণ প্রথম পুনরুত্থানে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরকে তিনি এই আশীর্বাদ দেবেন৷ কেবলমাত্র সেই সমস্ত সাধুগণকে এই আশীর্বাদ অনুমোদন করেছেন, যারা যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া পবিত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন৷ এইরূপে আমাদের প্রভু সাধুগণের বর হয়েছেন৷ এখন জ বিষয়টি সম্পন্ন হতে বাকি আছে তা হল, ভার্য্যাকে বরের সুরক্ষার সজ্জায় এবং আশীর্বাদে সজ্জিত হতে হবে, এবং মেষশাবকের ভার্য্যা হিসাবে পরাক্রমে প্রবেশ করতে হবে, এবং তাঁর অনন্ত রাজ্যে চিরকালের জন্য বসবাস করতে হবে৷
এই অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আরো বলে যে, পবিত্র নগরী যিরূশালেম স্বর্গ থেকে নেমে আসবে৷ এটা কোনো সাধারণ নগরী নয়, তাই এটা বলে যে, কনে যেমন বরের জন্য সুসজ্জিত ঠিক তেমনি নগরীটিও সুসজ্জিত ছিল এবং স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে৷
ঈশ্বর সাধুগণের জন্য পবিত্র নগরী প্রস্তুত করেছেন৷ এই নগরী যিরূশালেম নগরী, ঈশ্বরের আবাস৷ এই আবাস কেবলমাত্র ঈশ্বরের সাধুগণের নিমিত্ত প্রস্তুত করা হয়েছে৷ আরো যীশু খ্রীষ্টের সাথে সাধুগণের জন্য এটা সম্পাদিত হওয়ার পূর্বে প্রভু ঈশ্বর এই বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন৷ অতএব, সাধুগণ তাদের বিশ্বাসে প্রভু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারেন না, এবং এই অনুগ্রহ দানের জন্য তাঁকে গৌরব না দিয়ে পারেন না৷
সাধুগণ ঈশ্বরের সন্তান হয়েছে, আর তিনি তাদের ঈশ্বর হয়েছেন, এসবই ঈশ্বরের অনুগ্রহ হতে প্রাপ্ত, এবং জল ও আত্মার পরিত্রাণের বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা সাধুগণ তাঁর কাছ থেকে এই দান গ্রহণ করেছে৷
সুতরাং, যারা প্রভুর আবাসে প্রবেশ করতে এবং তাঁর সাথে বাস করতে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা যুগপর্যায়ে যুগে যুগে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও গৌরব দেবে, তাই শাস্ত্র আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর তাদের নেত্রজল মুছিয়ে দেবেন, তাই, না সেখানে কোনো মৃত্যু থাকবে, না কোনো ক্রন্দন, না কোনো দুঃখ কষ্ট থাকবে, বিগত বিষয়গুলো সবই অতীত হয়ে যাবে৷ যদিও এই পৃথিবীতে এখনও দুঃখ, ক্রন্দন, যন্ত্রণা, মৃত্যু, আর্তনাদ এবং বেদনা রয়েছে, কিন্তু নুতন স্বর্গ এবং নুতন পৃথিবীতে এই সমস্ত বিষয় থাকবে না৷ প্রভুর দেওয়া নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে যারা বাস করবে, তাদেরকে আর কখনই চোখের জল ফেলতে হবে না, বা তাদের প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় কাঁদতে হবে না৷
যখন সাধুগণের নুতন স্বর্গে ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশের সময় উপস্থিত হবে, প্রথম আকাশ, প্রথম পৃথিবী এবং তাদের সমস্ত দুঃখ কষ্ট বিলীন হয়ে যাবে, আর সাধুগণ ঈশ্বরের সাথে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে সমস্ত আশীর্বাদে জীবনযাপন করবে৷ ঈশ্বর প্রথম পৃথিবীর সমস্ত মন্দতাকে তুলে নেবেন এবং এই নুতন পৃথিবীকে নিঁখুত করবেন৷ 
মূল অনুচ্ছেদ ২১ অধ্যায়ে আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর বিষয় বলে, যা ২০ অধ্যায়ে সহস্রাব্দের রাজ্যের বর্ণনায় পরে৷ ২০ অধ্যায়ের সাথে এই পৃথিবীর সঙ্গে পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত কিছুরই সমাপ্তি ঘটেছে৷ খ্রীষ্টারী (পশু) যুগ, ভাক্ত ভাববাদী, তার অনুসারী এবং যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে নি, বরং এই পৃথিবীতে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, অ সমস্ত কিছুই অতীত হয়ে যাবে৷ যখন সহস্রাব্দের রাজ্য খুব নিকটে চলে আসবে, তারা সকলেই অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে, আর কেবলমাত্র একটা স্থানই রয়েছে নরক, যেখানে তাদেরকে দেখা যাবে৷
এইভাবে ২১ অধ্যায়ে ঈশ্বর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর বিষয় বলেন, যা তিনি সাধুগণকে দেবেন, একটি নিস্কলঙ্ক স্থান যেখানে কোনো পাপীরা যেতে পারবে না৷ ঠিক যেমন আপনি জীব জন্তু দেখতে চিড়িয়াখানায় যান, তেমনি যখনই এই সময় উপস্থিত হবে, যে কেউ শয়তান এবং তার অনুসারীদের দেখতে চাইবে, তাকে নরকে যেতে হবে৷
ঈশ্বর আমাদেরকে যে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দেবেন, সেখানে আমাদের সাথে প্রভুও বাস করবেন৷ ঈশ্বর আমাদের জন্য যে পবিত্র নগরী তৈরী করেছেন তা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং সবুজ বৃক্ষরাজিতে সমৃদ্ধ৷ যখন নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী আসবে, প্রথম পৃথিবীর সমস্ত বিষয় এবং এর সমস্ত মন্দতা বিলীন হবে, কেবলমাত্র সত্যের অস্তিত্ব থাকবে, আর প্রকৃত সাধুগণ যুগপর্যায়ে যুগে যুগে স্বর্গরাজ্যে রাজত্ব করবেন৷
 
 
আপনার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নিরুত্সাহিত হবেন না
 
বর্তমান যুগ হল, নিরাশ এবং অন্ধকারময় যুগ৷ যাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিতভাবে মেঘাছন্ন, বর্তমান যুগে কোথাও প্রত্যাশা খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ এই কারণে যদিও আমরা সুসমাচার প্রচার করি, তথাপি আমরা নিরাশা ও দুর্বলতা অনুভব করি যেমন আমি নিজেও, মাঝে মাঝে আমার হৃদয় দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু যখন প্রকাশিত বাক্য পড়ি এবং এই অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা করি, তখন আমি বুঝতে পারি যে, সাধুগণ এবং ঈশ্বরের দাসদেরকে শেষ সময়ের এসমস্ত বিষয় মোকাবিলা করতে হবে, এর জন্য দুঃখিত হওয়ার কিছুই নেই৷ এটা আমাদের বুঝতে শেখায় যে, বর্তমানে ক্লেশ এবং সম্মুখে উজ্জ্বল রয়েছে হৃদয়কে বলবান করছেন৷
আমরা যদি বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য করি, আমরা দেখতে পাই, আমাদের জীবন বাস্তবিকই হতাশা ব্যঞ্জক, বেদনাময় এবং অর্থহীন, আর সুসমাচারের পরিচর্যা স্বত্তেও অবিরত সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার দ্বারা আমরা নিরুত্সাহিত হয়ে পড়ব৷ কিন্তু ঈশ্বরের সে সকল আশীর্বাদ আমাদের সহবর্তী, যদিও এইগুলো আমাদের মাংসিক চোখে দেখা যাবে না, তথাপি আমাদের হৃদয় সমস্ত প্রতিবন্ধকতা থেকে স্বাধীন এবং প্রত্যাশা ও আনন্দে পরিপূর্ণ৷ এই কারণে যেহেতু আমাদের ঈশ্বর ইতিমধ্যে আমাদেরকে তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন, তাই আমাদের আর দুঃখ বেদনায় জীবনযাপন করার প্রয়োজন নেই৷
আপনি কি নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বিশ্বাস করেন? যদিও আপনার এর কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তথাপি আপনি কি কখনও এর উপর গভীর ধ্যান করেছেন?
এই পৃথিবীতেও কিছু সুন্দর জায়গা রয়েছে৷ যখন আমরা এই পৃথিবীতে সুন্দর পরিবেশে বসবাস করার বিষয়ে কথা বলি, তখন আমরা স্বভাবতই গাছপালা, নদীর পাশের সবুজ ভূমি, ফুলের বাগান এবং ভালো মানুষের কথা বলি৷ তাছাড়া অবশ্য পরিস্কার জলের প্রবাহ হতে হবে, কোনো বাজে লোক থাকবে না, না কোনো অভাব থাকবে৷ যখন এই সমস্ত চাহিদাই পূর্ণ হয়, তখন আমরা বলি, পরিবেশটা খুব ভালো৷ কিন্তু সমগ্র পৃথিবীতে দম্ভ করার মত যে উত্তম উত্তম জায়গা আছে, তার থেকেও সমস্ত কিছু বেশি নিঁখুত ভাবে স্বর্গে রয়েছে৷ 
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এত সুন্দর পবিত্র নগরী ঈশ্বর কাদের জন্য স্বর্গ থেকে নামিয়ে আনবেন৷ ঈশ্বর কেবলমাত্র সাধুগণের নিমিত্ত এই নগরী প্রস্তুত করেছেন, অন্য কারো জন্য নয়৷ এই কারণে প্রথম পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আমরা ভুলে যাব৷ যদিও আমরা সহস্রাব্দের রাজ্যে গৌরবের সাথে বাস করব, তথাপি পরবর্তী জগত নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর বিষয়ে ২১ অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে, যা ঈশ্বর সত্যই আমাদেরকে দিতে চান, যেন আমরা আরো মহা গৌরবের সাথে প্রভুর সঙ্গে থাকতে পারি৷ এইরূপে ঈশ্বর আমাদের নিকট যীশু খ্রীষ্টকে পাঠিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, আর আমাদেরকে পুনরুত্থিত ও রূপান্তরিত করবেন৷ পুনরুত্থিত যীশুর দেহের সমরূপ দেহে আমরা প্রভুর সাথে থাকব, এই প্রত্যাশা আমাদের হৃদয়ে আশীর্বাদপূর্ণ এক যথার্থ চিত্র তুলে ধরে৷
আমাদেরকে নুতন স্বর্গ এবং নুতন পৃথিবীর রাজ্য প্রদান করতে, ঈশ্বর এই পৃথিবীতে আপনাকে এবং আমাকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনি আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন৷ সাধুগণ যদি ঈশ্বরের নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যানের উপলব্ধির দ্বারা এই পৃথিবীতে বাস করে, তাহলে কোনো প্রকার সমস্যা, দুঃখভোগ, বা যাতনাভোগ ছাড়াই তারা নিশ্চিন্তে বাস করতে পারবে৷ প্রভু কি করেছেন, এবং ভবিষ্যতে তিনি আমাদের জন্যে কি করবেন সেগুলোর দিকে তাকালে আমরা সকলে কর্মতত্পর ভাবে ও উদ্যমতায় থাকতে পারি৷
কিন্তু, আমরা যখন আমাদের দিকে লক্ষ্য করি, এবং এই জগতের হতাশাময় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য করি, তখন হতাশায় পতিত হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই থাকে না৷ আপনাকে এবং আমাকে অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে, ঈশ্বর আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন, আর তাই স্বর্গ আমাদের৷ এটাই বাস্তব৷ এটাই সত্য৷ কাজেই এই পৃথিবী যদি আপনাকে দুঃখ দেয়, তাহলে আপনি দুঃখার্ত হবেন না, এবং ক্রোধান্বিত হবেন না, বরং প্রভুর দিকে দৃষ্টি রাখবেন৷ প্রত্যাশায় জীবনযাপন করবেন, আর বিশ্বাস করবেন যে, বাস্তবিক প্রভু তাঁর সাধুগণকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন৷
ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি সমস্ত কিছুই নুতন ভাবে তৈরী করবেন৷ তিনি যোহনকে এই সকল বাক্য লিখতে বলেছেন যে, তিনি সমস্ত কিছু নুতন ভাবে প্রস্তুত করবেন, “যেহেতু এই সকল বাক্য সত্য এবং বিশ্বস্ত৷” যারা প্রথম পুনরুত্থানে অংশগ্রহণ নেবে, তারা সেই স্থানে থাকার নুতন আশীর্বাদও গ্রহণ করবে, যেখানে ঈশ্বর সমস্ত কিছুই নুতনভাবে তৈরী করবেন৷ এই সকল বিষয়, যা আমাদের মানবিক চিন্তাচেতনা দ্বারা আমরা স্বপ্নেও দেখতে পারি না, বরং এটা এমন বিষয় যে, ঈশ্বর তাঁর সাধুগণের জন্য প্রস্তুত করেছেন৷ এই মহা কার্য সাধনের জন্য সাধুগণ এবং সমস্ত কিছু এইরূপে মহা আনন্দের সঙ্গে ঈশ্বরকে যুগপর্যায়ে যুগে যুগে সমস্ত গৌরব, কৃতজ্ঞতা, সম্মান এবং প্রশংসা প্রদান করবে৷ 
বাইবেল আমাদের বলে যে, “আর বিশ্বাস প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান, অদৃশ্য বিষয়ের প্রমাণ প্রাপ্তি”৷ অন্যভাবে বলা যায়, যদিও আমরা এটা আমাদের চোখে দেখতে পাই না, তত্সত্ত্বেও এর সবই সত্য৷ আমাদের প্রত্যাশা ছিল, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমরা রক্ষা পাব, আর আমাদের এই পরিত্রাণের বিশ্বাসের দ্বারা আমরা বাস্তবিকই রক্ষা পেয়েছি৷ আর একারণে রক্ষা পাওয়ার পরে আমরা অনন্তকালের জন্য সম্পূর্ণ নিঁখুত পৃথিবীতে বাস করতে চেয়েছিলাম এবং প্রত্যাশা করেছিলাম, তাই বাস্তবিক ঈশ্বর আমাদের জন্য এই প্রত্যাশা পরিপূর্ণভাবে সাধন করেছেন৷ আমরা চেয়েছিলাম এবং প্রত্যাশা করেছিলাম, সত্যই সমস্ত কিছু আসবে, কেননা আমাদের প্রত্যাশা সত্য৷ 
প্রকাশিত বাক্য ১০ অধ্যায়ে ঈশ্বর যখন তাঁর দুতের মধ্যে দিয়ে যোহনের সাথে কথা বলছিলেন, যে দূত সমুদ্র ও পৃথিবীর উপর দিয়ে দাঁড়িয়েছিল, আর যোহন যখন এইসব লেখার চেষ্টা করছিলেন, ঈশ্বর তাকে লিখতে নিষেধ করলেন৷ এই সকল বিষয় যা ঈশ্বর বলেছেন, নিশ্চিত বিষয় যেগুলো তিনি লেখার অনুমতি দেবেন না, কেননা এই সকল নিগুঢ়তত্ত্ব যা তিনি কেবলমাত্র আমাদের সাধুগণের কাছে প্রকাশ করবেন৷
এই নিগুঢ়তত্ত্ব আমাদের রূপান্তর ছাড়া আর কিছুই নয়৷ কোন মুহুর্তে আমাদের রূপান্তর হবে তা যথার্থভাবে জানতে হলে প্রথমে আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এই নিগুঢ়তত্ত্ব জানতে হলে ঈশ্বরের সপ্ত তুরীর বিষয় বুঝতে হবে৷ তাহলে, কখন সপ্তম তুরী বাজবে? সপ্তম তুরী তখন বাজবে যখন, সাত বছরের মহাক্লেশের প্রথম সাড়ে তিন বছর অতিক্রম করবে৷ এই সময় সাধুগণের পুনরুত্থান ও রূপান্তর ঘটবে৷ আর যখন রূপান্তর সম্পন্ন হবে, তখন সপ্ত বাটির মারী ঢেলে দেওয়া হবে৷
কয়েক বছর আগে, “এশিয়া মাইনরের সপ্ত মন্ডলী” এই বিষয়ের উপর একটা উদ্দীপনা সভার আয়োজন করেছিলাম৷ এশিয়া মাইনরের এই সপ্ত মন্ডলীর উপর আমি একটি বইও লিখেছিলাম, এবং বর্তমান অনুচ্ছেদে আমি সেই বিষয় ব্যাখ্যা করেছি৷ বইয়ের সারমর্মের দিকে তাকালে আমি অনুভব করতে পারি যে, যদিও বাস্তবিকই সময় পরিবর্তিত হয়েছে, তথাপি ঈশ্বরের বাক্যের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি৷
ঈশ্বর আপনার এবং আমার জন্য যে স্থান প্রস্তুত করেছেন আপনি কি সেই নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করতে চান? এই জগতের ত্রুটি বিচ্যুতি সমূহ আর থাকবে না৷ ঈশ্বর যখন বলেছেন যে, তিনি সমস্ত কিছুই নুতন ভাবে সৃষ্টি করবেন, কিছু লোক এই বিষয়টিকে এইভাবে ব্যাখা করে যে, পুনঃস্থাপনের ন্যায় তিনি এ সমস্ত কিছুর রূপদান করবেন৷ কিন্তু ২১ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ একটি নুতন পৃথিবী, বিগত পৃথিবীর চেয়ে সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন৷ ঈশ্বর প্রস্তুতকৃত সম্পূর্ণ নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে নুতন জন্মপ্রাপ্তেরা অংশগ্রহন করবে, কেননা তারাই সেই, যারা পবিত্রতায় অংশগ্রহণ করেছে৷ অপরদিকে বলা যায়, এই কারণে তারা স্বর্গের অংশীদার হয়েছে৷
জাগতিক লাভের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তে আমাদেরকে অবশ্যই আত্মিক বিষয়ের চিন্তা করতে হবে৷ আমি প্রার্থনা করি আপনারা অবশ্যই সাধু ও দাসগণের মত হবেন, যারা বিশ্বাস করে, বাস্তবিক ঈশ্বর আমাদের আত্মার জন্য যা দিয়েছেন, এবং বিশ্বস্তভাবে বিশ্বাস করে যে এই সমস্ত বিষয় অবশ্যই সম্পন্ন হবে, এবং প্রকৃতই সত্য৷ ঈশ্বর আমাদেরকে মহা-আশীর্বাদ দিয়েছেন৷
ঈশ্বর বলেছেন, যারা পিপাসিত তিনি তাদেরকে বিনামূল্যে জীবন-জলের উনুই হতে জল দেবেন৷ এই বাক্য জল ও আত্মার সুসমাচাকে প্রকাশ করে না৷ লোকেরা যখন বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর এই পৃথিবীতে তাঁর সুসমাচার দান হেতু তাদের তৃষ্ণা থেকে তাদেরকে মুক্ত করেছেন, এটা জীবন জল পান করার সাদৃশ্য৷ কিন্তু এই অনুচ্ছেদ শুধু এই বিষয়টিই প্রকাশ করে না, বরং এটা প্রকৃত জীবন-জল প্রকাশ করে, যা নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে পান করা হবে, সেখানে যে কেউ এই জীবন-জল পান করবে, সে কখনই মরবে না, প্রভুর ন্যায় তার (নারী/পুরুষ) দেহ পরিবর্তিত হবে, এবং সে (নারী/পুরুষ) অনন্তকাল তাঁর সাথে বাস করবে৷
আমাদের প্রভু ঈশ্বর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই সংকল্প করেছেন এবং পরিপূর্ণতা সাধন করেছেন৷ সমস্ত বিষয় যা প্রভু করেছেন, তিনি সেগুলো তাঁর নিজের জন্য করেছেন, এবং তাঁর সাধুগণের জন্য করেছেন৷ এইরূপে ঈশ্বর নিজেই এখন সাধুগণকে খ্রীষ্টের ন্যায় আখ্যায়িত করবেন, এবং তাঁর সংকল্প অনুসারে ঈশ্বরের প্রকৃত সন্তান হবেন৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক হয়েছে, তারা এখন বুঝতে পারে, ঈশ্বরের মহাপ্রেম এবং তাঁর বিস্ময়কর কার্যসমূহে, যার দ্বারা চিরকাল প্রভুর ধন্যবাদ ও প্রশংসা করার কোনো ঘাটতি তাদের থাকবে না৷
যেমন প্রভু বলেছেন, “যে পিপাসিত, আমি তাহাকে জীবনজলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব৷” বাস্তবিকই তিনি তাঁর সাধুগণকে জীবন-জলের উনুই দিয়েছেন এবং তাদেরকে অনন্তজীবনের আনন্দ ভোগ করার অধিকার দিয়েছেন৷ ঈশ্বর তাঁর সাধুগণকে এই মহামূল্যবান উপহার প্রদান করেছেন৷ অতএব, সাধুগণ অনন্তকালের জন্য নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করবে, এবং জীবন জলের উনুই থেকে জলপান করবে, তারা আর কখনই পিপাসিত হবে না৷ অন্যভাবে বলা যায়, সাধুগণ এখন ঈশ্বরের সন্তান হয়েছে, যারা প্রভু ঈশ্বরের ন্যায় জীবনের অধিকারী, তারা গৌরবে বাস করবে৷ আমাদেরকে মহা আশীর্বাদ দানের জন্য আমি আবারও প্রভু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও গৌরব দিই৷ 
 
 

সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস আমাদেরকে জগৎ জয় করতে সক্ষম করেছে

 
প্রেরিত যোহন এখন তার বর্তমান অবস্থায় ফিরে এসেছেন৷ ৭ পদে বলা হয়েছে, “যে জয় করে, সে এই সকলের অধিকারী হইবে; এবং আমি তাহার ঈশ্বর হইব, ও সে আমার পুত্র হইবে।” “যে জয় করে” এর অর্থ হচ্ছে যারা প্রভুর দত্ত বিশ্বাস রক্ষা করে৷ এই বিশ্বাস সমস্ত সাধুগণকে তাদের সমস্যা ও প্রলোভনকে জয় করতে সাহায্য করে৷ প্রভু ঈশ্বরে আমাদের বিশ্বাস জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকৃত প্রেম তাঁর দত্ত, যা জগতের সমস্ত পাপের উপরে ঈশ্বরের বিচার, আমাদের শত্রুগণের উপর, আমাদের নিজস্ব দুর্বলতার উপর এবং খ্রীষ্টারীর নির্যাতনের উপর আমাদের বিজয় এনে দিয়েছে৷
সমস্ত কিছুর উপরে বিজয় প্রদানের জন্য আমি প্রভু ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি৷ সাধুগণ যারা প্রভু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাসে খ্রীষ্টারীকে জয় করতে পারে, কেননা তাদের প্রত্যেককে আমাদের প্রভু ঈশ্বর এই বিশ্বাস দিয়েছেন, যার দ্বারা তারা তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়োল্লাস করতে পারে৷ এভাবে যারা তাদের বিশ্বাসে জগৎ এবং খ্রীষ্টারীকে জয় করেছে, ঈশ্বর এখন তাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে অধিকার দেবেন৷ আমাদেরকে এই দৃঢ় বিশ্বাস প্রদানের জন্য আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি৷
ঈশ্বর বলেন, যারা জয় করে তাদেরকে তিনি উত্তরাধিকার রূপে তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দেবেন, যেখানে না কোনো কান্না, না কোনো দুঃখ-বেদনা, না কোনো দুঃশ্চিন্তা আছে৷ কেবলমাত্র যারা জয় করে তারাই এটা গ্রহণ করবে৷ এই বিজয়ের বিশ্বাস হচ্ছে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাস, যা প্রভু আমাদেরকে দিয়েছেন৷ এই বিশ্বাস যার দ্বারা আমরা জগতকে, আমাদের পাপসমূহ, আমাদের দুর্বলতা, এবং খ্রীষ্টারীকে জয় করতে পারি৷
যে বিশ্বাস খ্রীষ্টারীকে জয় করে, সেই বিশ্বাসের পুরস্কার রূপে আমরা শীঘ্রই ঈশ্বরের নিকট থেকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী গ্রহণ করব৷ আমরা আমাদের বিশ্বাসে আমাদের সমস্ত আশীর্বাদ গ্রহণ করেছি, যখন খ্রীষ্টারী আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের বিশ্বাস তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, তখন আমরা এই বিশ্বাসের দ্বারাই আমাদের শত্রুদের সমস্ত ক্ষমতার উপর বিজয়োল্লাস করতে পারি৷ যারা জয় করে তারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে, অন্যেরা তাদের কি বলল তাতে তাদের কিছু এসে যায় না, তারা এই বিশ্বাসে বিশ্বাস রক্ষা করে যে প্রভু তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন৷ আমাদের মধ্যে যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণের পর নুতন জন্ম লাভ করেছে, তারা এখন শেষ সময়ে বাস করছে, তাদের অবশ্যই বিশ্বাসে খ্রীষ্টারীর ষড়যন্ত্রের উপর জয়ী হতে হবে৷ 
আমাদের বিশ্বাসে আমরা ক্ষনস্থায়ী পরীক্ষাগুলো জয় করতে পারি, এবং এই সত্যে বিশ্বাস করতে পারি যে, প্রভু আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দিয়েছেন, সমস্ত ধনসম্পদ, বিলাসিতা এবং গৌরব দিয়েছেন৷ আমাদের জন্য যখন আরো সুন্দর পৃথিবী অপেক্ষা করছে, তখন কি আমরা বাস্তবে বিশ্বাসের সুসমাচারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি? ভবিষ্যতে আমাদের জন্য যখন সমস্ত উত্তম বিষয়গুলো অপেক্ষা করছে, আমরা বিস্ময়কর জিনিসের প্রতীক্ষায় রয়েছি, মাত্র কয়েকটা দিন ধৈর্য্য ধরলে আমরা কি এই বর্তমান দুঃখভোগকে জয় করতে পারব না? আমরা সকলেই ধৈর্য্য ধরতে পারি৷
বাইবেলে বিশ্বাস, প্রত্যাশা এবং প্রেম, প্রয়োজনীয় ধার্মিকতারূপে বারবার বলা হয়েছে যা সাধুগণ তাদের হৃদয়ে ধারণ করবে৷ যাদের প্রত্যাশা রয়েছে যে ঈশ্বর তাদেরকে সমস্ত আশীর্বাদ দিয়েছেন, এই বিশ্বাসের দ্বারা তারা তাদের বর্তমান ক্লেশকে জয় করতে আরো বেশি সক্ষম হয়েছে, আর এটাই বাস্তব৷ কারণ, শেষ মারী খুবই ক্ষনস্থায়ী তার কারণ ঈশ্বর তাদেরকে রক্ষা করতে তাঁর সাধুগণের পথ দেবেন, যেন আমরা সকলে এর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে পারি৷ আমি আশা করি যেন আপনি এই মুহূর্ত থেকেই নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করেন এবং বিশ্বাসের বলে এতে বাস করেন৷
বিশ্বাসের বলে, আপনার মাংসিক চামড়ার পরিবর্তে বরং, সমস্ত বাক্য আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করবে৷ যখন এরূপ ঘটবে, তখন আপনারা হৃদয়ে বলযুক্ত হবেন, যেভাবে নুতন শক্তি ফিরে পায়, আর এটাই হবে প্রত্যাশা৷
শেষকালে সমস্ত সাধুগণই সাক্ষ্যমর হবে৷ নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে আমরা যে প্রত্যাশা রেখেছি তার দিকে দৃষ্টিপাত করুন, নুতনীকৃত শক্তি দ্বারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে আমরা আরো বেশী যোগ্য৷ 
তাঁর সত্ত্বায়, আমাদের প্রভু ঈশ্বর হলেন বিশ্বস্ত ঈশ্বর এবং প্রেমের ঈশ্বর৷ তাহলে ঈশ্বরের সম্মুখে ঐ সমস্ত লোক কারা যাদের ভিত্তিমূল কাপুরুষোচিত? এরা তারা, যারা আদি পাপে জন্মগ্রহণ করেছে, যারা প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের বাক্যে তাদের পাপ পরিস্কার করে নি৷ কেননা তাদের জ্ঞানে তারা ঈশ্বরের ভজনার চাইতে মন্দতার ভজনা করেছে আরো বেশী, স্পষ্টতই তারা শয়তানের দাস হয়েছে৷ এর কারণ তারা প্রভু ঈশ্বরের সম্মুখে মন্দতার আরাধনা করেছে, তারা আলোর চাইতে অন্ধকারকে বেশী ভালোবেসেছে এবং তার অনুসরণ করেছে, তাই তারা প্রভু ঈশ্বরের সম্মুখে ভীরু অসহায়৷ এই সমস্ত লোক যারা ঈশ্বরের সম্মুখে ভীরু, তারা জ্বলন্ত অগ্নিময় গন্ধক হ্রদে অংশ নেবে৷
এটা একটা প্রতিষ্ঠিত বিষয় যে, এই প্রকার লোক যারা তাদের হৃদয়ে পাপের কারণে নিজেরাই নিজেদেরকে অন্ধকারে রেখেছে, তাদের কাছে ঈশ্বরকে ভয় করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই৷ যাদের আত্মা শয়তানের অধিকারে তারা অন্ধকার ভালবাসে, যীশু খ্রীষ্ট যিনি দীপ্তি তাঁর সম্মুখে তারা ভীরু৷ এই কারণে তারা অবশ্যই তাদের মন্দতা ও দুর্বলতা সমূহ ঈশ্বরের সম্মুখে নিয়ে আসবে এবং তাঁর কাছ থেকে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করবে৷ প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে যারা বিশ্বাস করে না, তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে মহাপাপী এবং তাঁর শত্রু৷
যেহেতু আত্মা জঘন্য, আর তাই তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তারা পাপ ভালবাসে এবং যারা পাপ করেছে তারা ভ্রান্ত চিহ্ন অনুসরণ করে, সমস্ত দেবদেবীর ভজনা করে, আর সকল প্রকার মন্দ, মিথ্যা কথা বলে, ঈশ্বরের ন্যায্য বিচারে তারা সকলে গন্ধকমিশ্রিত হ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ এটাই তাদের দ্বিতীয় মৃত্যুর শাস্তি৷
যে সমস্ত লোকেরা নরকে যাবে তাদেরই দ্বিতীয় মৃত্যু হবে, আর এরা তারা যারা ভীরু, যারা বিশ্বাস করে নি, যারা জঘন্য, যারা হত্যাকারী, মায়াবী ও প্রতিমাপূজক, যারা খ্রীষ্টারীর সঙ্গে এবং তার অনুসারী, তারা এখনও ঈশ্বরের প্রেমকে গ্রহণ করে নি৷ যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে না সে খুবই মন্দ ব্যক্তি৷ বাইবেল আমাদের বলে, এই সমস্ত মন্দ ব্যক্তি সকলেই গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ এই কারণে বাইবেল এটাকে দ্বিতীয় মৃত্যু বলে৷
যারা দ্বিতীয় পুনরুত্থানে অংশ নেবে তারা অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হলেও মরবে না, আর তারা অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হলেও, তারা দৈহিক ভাবে পুনরুত্থিত হবে যা বিচার কালের নিমিত্ত থাকবে৷
ঈশ্বরে অবিশ্বাসীরা পুনরায় জীবিত হবে ও গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ দ্বিতীয় পুনরুত্থান যা নরকের অগ্নিতে অনন্ত যন্ত্রণা আনবে, যার কোনো মৃত্যু নেই, এই সমস্ত কিছুই, যারা বিশ্বাস করে নি তাদের অন্য রাখা হয়েছে৷ 
সপ্তবাটির মারী ঢালার পর, সহস্রাব্দের রাজ্য সম্পন্ন হবে, এবং যখন সহস্র বছর শেষ হবে, সাধুগণ নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে গমন করবে৷ এই অংশে, “আমি তোমাকে সেই কন্যাকে, মেষশাবকের ভার্য্যাকে দেখাই।” মেষশাবকের ভার্য্যা বলতে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা উদ্ধার পেয়েছে৷
 
 

পবিত্র নগরীর সৌন্দর্য্য ও গৌরব বর্ণনাতীত

 
যিরূশালেম নগরীকেই পবিত্র নগরী বলা হয়েছে, যেখানে সাধুগণ বরের সাথে বাস করবে৷ যোহন যে নগরী দেখেছিলেন, তা সত্যিই সুন্দর এবং চমত্কার৷ এটা রাজকীয় আকৃতির ছিল, এর ভেতরে ও বাইরে মূল্যবান পাথরে সজ্জিত ছিল, পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন ছিল৷ দূত যোহনকে দেখালেন, যীশু খ্রীষ্টের ভার্যাগণ তাদের বরের সাথে কোথায় বাস করবে৷
বহুমূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরী একটি স্থানে বসবাসের কথা চিন্তা করুন৷ এই নগরী বারোটি ভিন্ন প্রকারের বহুমূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, যারা মেষশাবকের ভার্যা হয়েছে, তারাই অনন্তকাল বাস করবে, এই নগরী ঈশ্বরের দান, যা তিনি মেষশাবকের ভার্যাকে দেবেন৷ এই অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, যিরূশালেম নগরীটি উজ্বল, আর তাই এর আরো মূল্যবান পাথরের ন্যায় মূল্যবান মণি বিশেষ পাথরের ন্যায় হীরকের ন্যায় শুভ্র৷
ঈশ্বরের গৌরব হচ্ছে, পবিত্র নগরী এবং যারা এতে বসবাস করে৷ ঈশ্বরের রাজ্য এই প্রকার জ্যোতি, আর কেবল যারা তাদের সমস্ত মন্দতা, দুর্বলতা এবং সমস্ত পাপ ধৌত করেছে, তারা নগরীতে প্রবেশ করতে পারে এবং এতে বাস করতে পারে৷ এইরূপে এই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে, আমাদের প্রভু আমাদের যে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন, এই সত্যের বাক্য আমরা সকলে অবশ্যই বিশ্বাস করব৷
এই অংশটি আমাদের বলে নগরীটির উচ্চ প্রাচীর ও বারোটি দ্বার রয়েছে৷ এবং এটা বলে যে, এই দ্বারে যে নাম লিখিত রয়েছে তা ইস্রায়েল জাতির বারো বংশের সন্তানদের নাম৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, তিনি বাস্তবিক এবং সত্যই তাঁর সাধুগণের জন্য চতুর্দিকে উচ্চ প্রাচীর ও দ্বার বেষ্টিত করে এই নগরী প্রস্তুত করেছেন৷ 
এটা একটা আত্মিক চিহ্ন যে পবিত্র নগরীতে প্রবেশের পথ খুবই কঠিন৷ অন্যভাবে এটা আমাদের বলে যে, এই পৃথিবীর যে কোনো সৃষ্ট বস্তু দ্বারা বা মানবীয় চেষ্টা দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে পাপ থেকে মুক্ত হওয়া অসম্ভব৷ আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পেতে হবে এবং ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে হবে, এটা দ্বার্থ্যহীনভাবে স্বীকার করতে হবে যে, যীশু খ্রীষ্টের বারোজন শিষ্যদের বিশ্বাসের ন্যায় আমাদেরও সেইরূপ বিশ্বাস রয়েছে যে বিশ্বাস জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্যে বিশ্বাস করে৷ সুতরাং যাদের জল ও আত্মার সুসমাচারের এই বিশ্বাস নেই, তারা কখনই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না৷ 
প্রভু ঈশ্বর কর্ত্তৃক বারোজন দুতের দ্বারা নগরীটিকে পাহারা দেওয়া হচ্ছে৷ অন্যদিকে, “তাদের নাম (দ্বারে) লিখিত” এই অংশটি আমাদের বলে যে, ইতিমধ্যেই নগরীর বিজয়ীদের চিহ্নিত করা হয়েছে, কেননা এর বিজয়ীগণ ঈশ্বর নিজেই এবং তাঁর সন্তানগণ ব্যতিরেকে অন্য কেউ নয়, আর নগরীটি ঈশ্বরের লোকেদের অধিকারে যারা তাঁর সন্তান হয়েছে৷ 
উত্তর, দক্ষিন, পূর্ব ও পশ্চিম এই চারদিক হতে পবিত্র নগরীটির তিনটি দ্বার রয়েছে৷ আমি নিশ্চিত প্রভু এই তিনটি দ্বারের বিষয়ে বলেছেন, তা সুসমাচারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা আমরা বিশ্বাস করি৷ ১ যোহন ৫: ৭-৮ পদ অনুসারে এই তিনে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সুসমাচারের সত্য৷ যারা এই তিন সাক্ষ্যে বিশ্বাস করে, স্বর্গ ও পৃথিবীতে, তারা স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে৷ আমরা নুতন জন্মপ্রাপ্তেরা ত্রিত্ব ঈশ্বর এবং জল, রক্ত ও আত্মার মধ্যে দিয়ে আমাদের উদ্ধারের তাঁর ধার্মিক কার্যে বিশ্বাস করি৷
নগরীর প্রাচীরের বারোটি ভিত্তির উপর বারোজন প্রেরিতের নাম লিখিত রয়েছে, এই ঘটনাটি আমাদের বলে যে, প্রভু যেরূপ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেভাবেই তিনি তা করেছেন, তাই তিনি জীবন পুস্তক থেকে তাদের নাম মুছে ফেলবেন না, এবং লিখবেন৷ 
ফার্লংয়ের গ্রীক প্রতিশব্দ Stadion যা দৈর্ঘের পরিমাপের একক, বর্তমান সময়ের প্রায় ৬০০ ফুট (১৮৫ মি)৷ বাইবেল যখন আমাদের বলেছে যে, বর্গাকৃতি নগরীর পার্শ্বের দৈর্ঘ্য ১২০০০ ফার্লং অর্থাৎ বর্তমান মাপে ২২২০ কি.মি (১৩৯০ মাইল) আমাদেরকে আরো বলা হচ্ছে যে, এই নগরীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা সমান৷ এই নগরীর রাজকীয় আকৃতির দ্বারা আমরা এটাই বুঝতে পারি যে, ঈশ্বরের রাজ্য কতটা মহৎ এবং গৌরবময়৷
বাইবেলের অর্থ অনুযায়ী চতুর্থ সংখ্যা হচ্ছে দুঃখভোগের সংখ্যা৷ যে বিশ্বাস প্রভু আমাদের নিকট দাবি করেছেন, তা যে কারোর কাছে থাকতে পারে এমন নয়, বরং এই বিশ্বাস কেবল তাদের রয়েছে যারা এইভাবে ঈশ্বরের বাক্যকে গ্রহণ করেছে, এমনকি কি তারা এটা তাদের মানবিক চিন্তা-চেতনা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করতে পারে না৷
একজন খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে শুধুমাত্র যীশুর ক্রুশ এবং প্রভু ঈশ্বর ও উদ্ধারকর্তা এই বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করা অসম্ভব৷ যেমন আমাদের প্রভু নিজেই বলেছেন, কেউই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না, যদি সে (নারী/পুরুষ) না, জল ও আত্মায় নুতন জন্ম প্রাপ্ত না হয়৷ মানুষ কেবল তখনই নুতন জন্ম লাভ করতে পারে যখন তারা বিশ্বাস করে যে, জগতের সমস্ত পাপ যীশুতে চলে গেছে, যখন যীশু যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, এবং যখন তিনি তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন, এবং তাদের স্থলে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন৷
“নগরীটি ছিল খাঁটি স্বর্ণের, যেন স্বচ্ছ কাঁচের মত” এই অংশটি আমাদেরকে বলে যে, যাদের বিশ্বাস এমন স্বর্ণের ন্যায় খাঁটি,- অর্থাৎ যারা সত্যই ঈশ্বরে বিশ্বাস করে কেবল তারাই এতে প্রবেশ করতে পারে৷ এটা আমাদেরকে বলে, বিশ্বাস যা আমাদেরকে প্রভুর পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে অনুমোদন করে, এটা এক প্রকার বিশ্বাস যা ঈশ্বরের বাক্যে ঠিক যেভাবে লিখিত আছে তাই বিশ্বাস করে, যা জগতিস্থ বিষয় থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং খাঁটি৷ অপর দিকে এটা আমাদেরকে বলে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারে শুদ্ধভাবে নুতন জন্ম লাভ করতে হলে অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যকে গ্রহণ করতে হবে, সত্যই এই বাক্যে বিশ্বাস করতে হবে এবং তার (নারী/পুরুষ) বিশ্বাসকে সংশোধন করতে হবে৷
নগরীর প্রাচীরের ভিত্তিমূল সমূহ বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান পাথরের দ্বারা সজ্জিত, এটা আমাদেরকে বলছে যে, আমরা আমাদের প্রভুর বিভিন্ন বাক্য দ্বারা প্রতিপালিত হব৷ আমাদের অবশ্যই সুশৃঙ্খল বিশ্বাস থাকতে হবে, কেবল জল ও আত্মার সুসমাচার অথবা স্বর্গ সহস্রাব্দের রাজ্যের জন্য প্রত্যাশা নয়৷ যখন বর্তমান দুঃখ-কষ্ট প্রচন্ড হয়, তখনই ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে দিয়ে এই বিশ্বাস আসে৷
প্রভু সাধুগণকে কেবল তাদের পাপের ক্ষমার আশীর্বাদ দেন নি, বরং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাশার আশীর্বাদ পূর্ণ করেছেন, তাই যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে তারা সহস্রাব্দের রাজ্যে ও স্বর্গে প্রবেশ করবে৷ নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী যেখানে না কোনো বেদনা রয়েছে না কোনো দুঃখ পাওয়া যাবে, সেখানে প্রবেশের জন্য আমরা সাধুগণ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই৷
সাধুগণ, যারা পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে চায়, পৃথিবীতে থাকা অবস্থায়, তাদের যথেষ্ট অনুতাপ করার প্রয়োজন আছে, তাদের বিশ্বাসের মূলে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন আছে৷ যারা প্রভু ঈশ্বরের বলা সত্য বাক্যে বিশ্বাস করে, অন্যকথায় তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে মহা অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন আছে৷ যখন শেষ সময় আসবে, খ্রীষ্টারীর যুগ, বিশ্বাসের বিপক্ষগণও উপস্থিত হবে৷
এই খ্রীষ্টারী, শয়তানের দাসরূপে অনেক লোকের বিশ্বাসের উপর নির্যাতন আনয়ন করবে, তাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করানোর চেষ্টা করবে৷ লোকেরা যদি খ্রীষ্টারীর পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ করে, তাহলে সহস্রাব্দের রাজত্ব এবং স্বর্গ যে তাদের নাগালের বাইরে যাবে কেবল তাই নয়, কিন্তু তারাও শয়তানের সাথে নরকে নিক্ষিপ্ত হবে৷
কাজেই শেষকালের পরীক্ষা প্রলোভন, যাতনা-নির্যাতন এবং মহামারীর মধ্যে বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে প্রানপন লড়াই করতে হবে এবং সেই অধ্যাবসায়ের ফলেই আমাদের জন্য নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দেওয়া হবে৷
নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করা হল, প্রভুর বাহু বন্ধনে থাকা৷ কেননা যীশু খ্রীষ্ট যিনি নুতন জগতের আলো, পবিত্র নগরীর জ্যোতি রূপে আলো দিচ্ছেন, সেখানে আলোকিত করার জন্য সূর্য অথবা চন্দ্রের কোনো আলোর প্রয়োজন নেই৷ যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ত্রাণকর্তা, সৃষ্টিকর্তা এবং বিচারক, আর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে তিনি ঈশ্বর যিনি আমাদের সাথে বাস করবেন৷ সাধুগণের সর্বদা এই প্রভুর প্রশংসা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই৷
কিং জেমস সংস্করণে ২৪ পদে এভাবে লেখা আছে, “আর জাতিগণ তাহার দীপ্তিতে গমনাগমন করিবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন।” যখন এখানে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তিরা প্রথম পৃথিবীতে রাজত্ব করেছিল, যখন তারা ধনসম্পত্তির মালিক হল, তখন তারা সেই ধনসম্পত্তি নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে আনয়ন করেছিল৷ পৃথিবী বলতে এখানে সহস্রাব্দের রাজ্যের পৃথিবীকে বলা হয়েছে৷
যদিও সাধুগণ রক্ষা পেয়েছে এবং একই ভাবে সহস্রাব্দের রাজ্যে প্রবেশ করবে, তত্সত্ত্বেও তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতা দেওয়া হবে, অনেকে দশ নগরীর উপরে রাজত্ব করবে, আবার অন্যেরা পাঁচ নগরীর উপরে, যেভাবে প্রথম পৃথিবীতে তারা সুসমাচার প্রচারের জন্য পরিশ্রম করেছিল, সেই অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করা হবে৷
২৪ পদ আমাদের কি বলে, এই রাজগণ যাদের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতা ছিল, তারা নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করবে৷ অন্যভাবে বলা যায়, যারা সহস্রাব্দের রাজ্যে রাজত্ব করেছিল, তারা নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রবেশ করবে, রাজগণ প্রভুতে তাদের বিশ্বাস, এবং তাদের সমস্ত প্রতাপ এবং সমাদর আনবেন৷ অতএব, আমরা সকলে বর্তমানে যে পৃথিবীতে বাস করছি, এই প্রথম পৃথিবীতে এই ব্যাপারে কিছু করার নেই৷
কেননা নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী, যেখানে পবিত্র নগরী দেখানো হয়েছে তা ইতিমধ্যেই পবিত্র আলোক দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে, সেখানে কোনো অন্ধকার থাকতে পারে না, না থাকতে পারে কোনো মন্দ ব্যক্তি৷ এই জগতের খ্রীষ্টিয়ান, অ-খ্রীষ্টিয়ান উভয়ের মধ্যে যারা জল ও আত্মার সুসমাচার জানে না, তারা নোংরা, জঘন্য ও মিথ্যাবাদী৷ অতএব, তারা পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না৷ কেননা, যে কেউ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, সে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারে, এই জল ও আত্মার সুসমাচার হচ্ছে পাপ ক্ষমা হওয়ার এবং স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশের চাবি৷ আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, যখন আপনি উপলব্ধি করবেন যে, ঈশ্বর আপনাকে এই চাবি দিয়েছেন, আপনার নাম জীবন-পুস্তকে লিখিত হবে৷ আর যখন আপনি এই সুসমাচারের সত্য গ্রহণ করবেন তখন আপনি পবিত্র নগরীর সমস্ত আশীর্বাদে আবৃত হবেন৷
বিশ্বাস করুন পবিত্র নগরী ইতিমধ্যেই আমাদের দেওয়া হয়েছে৷ আর এই প্রত্যাশা অনুসারে আপনার জীবনযাপন করুন৷
কেননা বর্তমান সময়ে আমরা যে সব বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছি, তা জাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিমাপ করা হচ্ছে; আমরা বুঝতে পারি না প্রকৃত সুখ কি৷ কিন্তু যখন আমরা খ্রীষ্টিয়ান পরিমাপ দন্ড দ্বারা পরিমাপ করি তখন আমরা বুঝতে পারি যে, যারা স্বর্গ রাজ্যের অধিকারী তারা প্রকৃত অর্থেই সুখী৷ কেন/ কারণ আগে কি পরে হোক, জগতের সমস্ত কিছু বিলীন হয়ে যাবে৷ ঈশ্বরের সংকল্প অনুযায়ী যখন শেষ কালের ক্লেশ এবং মহামারী উপস্থিত হবে, তখন আমাদের প্রত্যাশার কোনো স্থান নির্দেশ না করেই তা বিলীন হয়ে যাবে৷
বরং বিপরীতে, যারা অনন্ত স্বর্গ রাজ্যে তাদের বিশ্বাস রাখবে, যা কখনও পঁচে যাবে না, কখনও পুড়ে যাবে না, বরং তারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে৷ যারা পাপমুক্ত, কেবল তারাই ঈশ্বরের প্রস্তুতকৃত পবিত্র নগরী যিরূশালেমে প্রবেশ করতে পারবে৷ এই জগতে সেই সবচাইতে বেশী সুখী যার অবস্থানের মধ্যেও স্বর্গে রয়েছে, যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে এবং ধৌত করা হয়েছে৷
আমরা অবশ্যই আশীর্বাদে আমাদের জীবনযাপন করব৷ আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দেওয়ার জন্য যে কেউ তাঁকে গৌরব দেয়, এবং যে আমাদেরকে সত্য সুসমাচার প্রচার করতে উত্সর্গ করেছে, যা প্রত্যেক এবং প্রতিটি আত্মা স্বর্গে প্রবেশ করাতে সক্ষম করেছে৷
চলুন, আমরা সকলে এরূপ আশীর্বাদে বাস করি, ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আমরা তাঁর প্রেমে অবস্থিতি করি, এবং চিরকাল তাঁর আলিঙ্গনাবদ্ধ থাকি৷