Search

خطبے

বিষয় ১১: আবাস

[3-1] সার্দ্দিস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র (প্রকাশিত বাক্য ৩:১-৬)

সার্দ্দিস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র
< প্রকাশিত বাক্য ৩:১-৬>
“আর সার্দ্দিস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা এবং সপ্ত তারা ধারণ করেন, তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কার্য্য সকল; তোমার জীবন নামমাত্র; তুমি মৃত। জাগ্রৎ হও, এবং অবশিষ্ট যে সকল বিষয় মৃতকল্প হইল, তাহা সুস্থির কর; কেননা আমি তোমার কোন কার্য্য আমার ঈশ্বরের সাক্ষাতে সিদ্ধ দেখি নাই। অতএব তুমি স্মরণ কর, কিরূপে প্রাপ্ত হইয়াছ ও শুনিয়াছ, আর তাহা পালন কর, এবং মন ফিরাও। যদি জাগ্রৎ না হও, তবে আমি চোরের ন্যায় আসিব; এবং কোন্‌ দণ্ডে তোমার নিকটে আসিব, তাহা তুমি জানিতে পারিবে না । তথাপি সার্দ্দিতে তোমার এমন কয়েকটী লোক আছে, যাহারা আপন আপন বস্ত্র মলিন করে নাই; তাহারা শুক্ল পরিচ্ছদে আমার সহিত গমনাগমন করিবে; কেননা তাহারা যোগ্য। যে জয় করে, সে তদ্রূপ শুক্ল বস্ত্র পরিহিত হইবে; এবং আমি তাহার নাম কোন ক্রমে জীবন-পুস্তক হইতে মুছিয়া ফেলিব না, কিন্তু আমার পিতার সাক্ষাতে ও তাঁহার দূতগণের সাক্ষাতে তাহার নাম স্বীকার করিব। যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন। ”
 
 

টীকা

 
১ পদ: “আর সার্দ্দিস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা এবং সপ্ত তারা ধারণ করেন, তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কার্য্য সকল; তোমার জীবন নামমাত্র; তুমি মৃত।”
প্রভু ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা এবং সপ্ত তারা ধারণ করেন৷ সার্দ্দিস্থ মন্ডলীতে বহু অবিশ্বস্ত জীবন ছিল৷ এই জন্য ঈশ্বর মন্ডলীতে বিশ্বস্ত জীবনযাপন করতে সতর্ক করলেন৷ সার্দ্দিস্থ মন্ডলীর দাসদিগকে ঈশ্বর বললেন, “তোমার জীবন নামমাত্র; তুমি মৃত।” এর দ্বারা ঈশ্বর বোঝালেন যে, সার্দ্দিস্থ মন্ডলীর দাসগণের বিশ্বাস কাজের জন্য মৃত ছিল৷ 
 
২ পদ: “জাগ্রৎ হও, এবং অবশিষ্ট যে সকল বিষয় মৃতকল্প হইল, তাহা সুস্থির কর; কেননা আমি তোমার কোন কার্য্য আমার ঈশ্বরের সাক্ষাতে সিদ্ধ দেখি নাই।”
প্রভু সার্দ্দিস্থ মন্ডলীতে দূতকে দীর্ঘকাল ব্যাপী অবিশ্বাসী থাকতে দিলেন না৷ ঈশ্বরের বাক্যে তাদের পরিপূর্ণ বিশ্বাস ছিল না, তাই তিনি এই মন্ডলীকে ভর্ত্সনা করলেন৷ যেহেতু ঈশ্বরের লিখিত বাক্যে সর্বান্তঃকরণে বিশ্বাস করেনি তাই তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে পাপে জীবনযাপন করছিল৷
সাধুগণ যদি তাদের বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের বাক্যানুসারে জীবনযাপন করে তাহলে তারা দুর্বল হলেও ঈশ্বর ও মনুষ্যের পূর্বে উচ্চে উত্থাপিত হবে৷ এরূপ পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সাধু হতে হলে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস ও স্মরণ করে বিশ্বস্তভাবে জীবন যাপন করতে হবে, যার দ্বারা পরিপূর্ণ সাধু হওয়া যায়৷
 
৩ পদ: “অতএব তুমি স্মরণ কর, কিরূপে প্রাপ্ত হইয়াছ ও শুনিয়াছ, আর তাহা পালন কর, এবং মন ফিরাও। যদি জাগ্রৎ না হও, তবে আমি চোরের ন্যায় আসিব; এবং কোন্‌ দণ্ডে তোমার নিকটে আসিব, তাহা তুমি জানিতে পারিবে না ।”
আদি মন্ডলীর সাধু ও দাসগণ জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে এবং তা ধারণ করেঅপরিমেয় ত্যাগস্বীকার করেছিল৷ প্রভু তাদেরকে এই মূল্যবান জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ত্যাগ করতে নিষেধ করলেন৷ সুসমাচার গ্রহণ করার কারণে তাদের জীবন পর্যন্ত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল৷ আত্মার প্রকৃত পরিত্রাণের সুসমাচার দৃঢ়ভাবে ধারণ করে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাস এবং কাজ অবশ্যই পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবে৷ 
যারা পরিত্রাণ প্রাপ্ত তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে কিভাবে তারা জল ও আত্মার সুসমাচার শুনেছিল এবং বিশ্বাস করেছিল৷ পরিত্রাণ ও আশীর্বাদের জন্য ধন্যবাদপূর্ণ জীবনযাপন করতে হবে৷ নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধু ও দাসগণ অবশ্যই সর্বদা কিভাবে মহৎ এবং আশীর্বাদের মধ্যে বাস করে, তা তারা ঈশ্বর হতে পেয়েছিল৷ যদি তা না হয়, তাহলে তারা বোকার স্থানে বাস করছে, তারা জানে না প্রভু কখন আবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন৷
 
৪ পদ: “তথাপি সার্দ্দিতে তোমার এমন কয়েকটী লোক আছে, যাহারা আপন আপন বস্ত্র মলিন করে নাই; তাহারা শুক্ল পরিচ্ছদে আমার সহিত গমনাগমন করিবে; কেননা তাহারা যোগ্য।”
তত্সত্ত্বেও, ঈশ্বর এখানে আমাদের বলেছেন যে, সার্দ্দিস্থ মন্ডলীর কিছু বিশ্বাসী যারা তাদের বস্ত্র মলিন করে নি, তারা দৃঢ়ভাবে তাদের বিশ্বাস ধারণ করেছিল৷ ঈশ্বর আরো বলেছেন যে, এই বিশ্বস্ত সাধুগণ ঈশ্বরের দাস হিসাবে বাস করবে৷ যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় সজ্জিত তারা প্রভুর পথে চলবে৷ তারা প্রভুর সাথে চলেছিল কারণ তাদের বিশ্বাস প্রভুর সাথে চলার যোগ্য ছিল৷
যে সাধুগণের বিশ্বাস প্রভু কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল, প্রভু তাদের যেকোনো স্থানে পরিচালিত করবেন৷ বাস্তবতা এই যে, প্রভুর বাক্যে বিশ্বাসী বলে তারা তাদের বস্ত্র মলিন এবং পার্থিব বিষয়ে আত্মসমর্পণ করে নি৷ প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা প্রভুতে স্থির থেকে যারা ধার্মিকতার বস্ত্রে আচ্ছাদিত হয়েছে, তারা পৃথিবীর সাথে আপোষ করে না৷ অন্যকথায়, তারা ভ্রান্ত সুসমাচারের পৃথক দিকটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে৷ 
তারা প্রভুর সুসমাচার প্রচারকদেরকে তাঁর সুসমাচারের জন্য বিশ্বাস করার দ্বারা শুক্ল বস্ত্রে আচ্ছাদিত হয়ে এবং তাঁর সাথে চলার মত করে এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করে৷ এই কারণেই তাঁর বাক্যে বিশ্বাস এবং সর্বদা তাঁকে অনুসরণের জন্য প্রভু সর্বদা তাদের সাথে থাকেন৷
 
পদ ৫: “ যে জয় করে, সে তদ্রূপ শুক্ল বস্ত্র পরিহিত হইবে”৷ শুক্ল বস্ত্র বলতে এখানে ঈশ্বরের শত্রুদের উপরে জয়ী হওয়া বোঝায়৷ বিশ্বাসে বিজয়ীদেরকে আশীর্বাদ করা হয়েছে যে, তাদের নাম কোনদিনই জীবন-পুস্তক থেকে মুছে ফেলা হবে না৷ আর তাদের নাম নুতন যিরূশালেমেও লেখা থাকবে”৷ 
যারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস দ্বারা এই পৃথিবীকে জয় করে, তারা অনন্ত-জীবন যাপন করবে, তাঁর সাধুদের মতই তারা ধার্মিকতার বস্ত্রে আচ্ছাদিত হবে এবং প্রভুর কাজের সেবা করবে৷ প্রভুও তাদের বিশ্বাস গ্রহণ করবেন এবং জীবন-পুস্তকে তাদের নাম লিখবেন এবং এই নামগুলো কোনদিনই মুছে যাবে না৷ 
আমাদের প্রভুর প্রতিজ্ঞাত বাক্য আমাদের বলে যে, যার প্রকৃত বিশ্বাস আছে, সে ঈশ্বরের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সত্যই বিজয়োল্লাস করবে৷“ যে জয় করে, সে তদ্রূপ শুক্ল বস্ত্র পরিহিত হইবে”৷ শুক্ল বস্ত্র বলতে এখানে ঈশ্বরের শত্রুদের উপরে জয়ী হওয়া বোঝায়৷ বিশ্বাসে বিজয়ীদেরকে আশীর্বাদ করা হয়েছে যে, তাদের নাম কোনদিনই জীবন-পুস্তক থেকে মুছে ফেলা হবে না৷ আর তাদের নাম নুতন যিরূশালেমেও লেখা থাকবে৷ “ আমি পিতার সাক্ষাতে তাহার নাম স্বীকার করিব”৷ এখানে স্বীকার করা বলতে, ঈশ্বর তাদের বিশ্বাসকে অনুমোদন করবেন বুঝিয়েছেন৷
 
৬ পদ: “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন। ”
যাদের প্রকৃত বিশ্বাস আছে, পবিত্র আত্মা তাঁর মন্ডলীর মাধ্যমে তাদেরকে যা বলেন তারা সর্বদা তা শোনে৷ এরূপে তারা ঈশ্বরের সাথে বসবাস করে এবং অবিরত পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হয়৷