Search

خطبے

বিষয় ১১: আবাস

[3-3] ফিলাদিলফিয়াস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র (প্রকাশিত বাক্য ৩: ৭-১৩)

ফিলাদিলফিয়াস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র
< প্রকাশিত বাক্য ৩: ৭-১৩ >
“আর ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি পবিত্র, যিনি সত্যময়, যিনি “দায়ূদের চাবি ধারণ করেন, যিনি খুলিলে কেহ রুদ্ধ করে না, ও রুদ্ধ করিলে কেহ খুলে না,” তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কার্য্য সকল; দেখ, আমি তোমার সম্মুখে এক খোলা দ্বার রাখিলাম, তাহা রুদ্ধ করিতে কাহারও সাধ্য নাই; কেননা তোমার কিঞ্চিৎ শক্তি আছে, আর তুমি আমার বাক্য পালন করিয়াছ, আমার নাম অস্বীকার কর নাই। দেখ, শয়তানের সমাজের যে লোকেরা আপনাদিগকে যিহূদী বলিলেও যিহূদী নয়, কিন্তু মিথ্যা কথা বলে, তাহাদের কোন কোন লোককে ইহাই দিব; দেখ, আমি তোমার চরণসমীপে তাহাদিগকে উপস্থিত করিয়া প্রণিপাত করাইব; এবং তাহারা জানিতে পারিবে যে, আমি তোমাকে প্রেম করিয়াছি। তুমি আমার ধৈর্য্যের কথা রক্ষা করিয়াছ, এই কারণ আমিও তোমাকে সেই পরীক্ষাকাল হইতে রক্ষা করিব, যাহা পৃথিবীনিবাসীদের পরীক্ষা করিবার জন্য সমস্ত জগতে উপস্থিত হইবে। আমি শীঘ্র আসিতেছি; তোমার যাহা আছে, তাহা দৃঢ়রূপে ধারণ কর, যেন কেহ তোমার মুকুট অপহরণ না করে। যে জয় করে, তাহাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে স্তম্ভস্বরূপ করিব, এবং সে আর কখনও তথা হইতে বাহিরে যাইবে না; এবং তাহার উপরে আমার ঈশ্বরের নাম লিখিব, এবং আমার ঈশ্বরের নগরী যে নূতন যিরূশালেম স্বর্গ হইতে, আমার ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিবে, তাহার নাম এবং আমার নূতন নাম লিখিব। যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।” 
 
 

টীকা

 
পদ ৭: “ আর ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি পবিত্র, যিনি সত্যময়, যিনি “দায়ূদের চাবি ধারণ করেন, যিনি খুলিলে কেহ রুদ্ধ করে না, ও রুদ্ধ করিলে কেহ খুলে না,” তিনি এই কথা কহেন;”
সকলের রাজা হিসাবে প্রভু স্বর্গরাজ্যে রাজত্ব করেন৷ তিনি সত্য, ক্ষমতা এবং শক্তির ঈশ্বর- তিনি যা খোলেন, কেউ তা বন্ধ করতে পারে না৷ প্রভুই যথার্থ ঈশ্বর, যিনি জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে পাপীদেরকে তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করতে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ একমাত্র প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের চাবি দিয়ে স্বর্গের দরজা খোলা যেতে পারে৷ আমাদের প্রভুর স্বর্গরাজ্যে যা আছে, এমন কিছুই নেই যা তাকে খুলতে পারে৷
 
পদ ৮: “আমি জানি তোমার কার্য্য সকল; দেখ, আমি তোমার সম্মুখে এক খোলা দ্বার রাখিলাম, তাহা রুদ্ধ করিতে কাহারও সাধ্য নাই; কেননা তোমার কিঞ্চিৎ শক্তি আছে, আর তুমি আমার বাক্য পালন করিয়াছ, আমার নাম অস্বীকার কর নাই।”
ঈশ্বরের মন্ডলীর মধ্যে দিয়ে প্রভু সুসমাচারের দরজা খুলে দিয়েছেন৷ এরূপে, প্রভুর আজ্ঞা ব্যতীত কেউই দরজা খুলতে পারে না৷ অতএব, ধার্মিকেরা অবশ্যই শেষ পর্যন্ত তাদের বিশ্বাস ধরে রাখবে, যখন প্রভু পুনরায় ফিরে আসবেন৷ এই ধরনের বিশ্বাসই যা ঈশ্বরের দাসগণ এবং তাঁর সাধুগণের অবশ্যই থাকতে হবে৷ তাদের বিশ্বাস অবশ্যই এই প্রকার হবে না, যার শুরুটা বৃহৎ কিন্তু শেষ পরিনাম মৃত্যু৷ তারা অবশ্যই তাদের প্রথম অপরিবর্তনীয় বিশ্বাস, যা প্রভু তাদেরকে দিয়েছিলেন, তাতে অটল থাকবে৷ 
সাধুগণের এই বিশ্বাসই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস, যা এই ঘটনায় বিশ্বাস করে যে, এই পৃথিবীতে আমাদের প্রভুর এক নতুন রাজ্য, এক নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী আসবে; আমরা এই রাজ্যে অনন্তকাল বাস করব৷ সাধুগণকে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের দিন আসা পর্যন্ত অবশ্যই এই বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে৷
ফিলাদিলফিয়াস্থ মন্ডলীর দাসগণ এবং তাঁর সাধুগণের শুধু কিঞ্চিত শক্তি ছিল৷ এছাড়া তাদের অনেক ত্রুটি ছিল৷ যাহোক, সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে তারা ঈশ্বরের বাক্য পালন করেছিল এবং তারা প্রভুর নাম অস্বীকার করে নি৷ 
 
পদ ৯: “দেখ, শয়তানের সমাজের যে লোকেরা আপনাদিগকে যিহূদী বলিলেও যিহূদী নয়, কিন্তু মিথ্যা কথা বলে, তাহাদের কোন কোন লোককে ইহাই দিব; দেখ, আমি তোমার চরণসমীপে তাহাদিগকে উপস্থিত করিয়া প্রণিপাত করাইব; এবং তাহারা জানিতে পারিবে যে, আমি তোমাকে প্রেম করিয়াছি। ” 
ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি কোনো কোনো ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের জানুপাত করিয়ে প্রণিপাত করাবেন, যাতে তারা বুঝতে পারে যে, ঈশ্বর তাঁর মন্ডলী, ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীকে কত প্রেম করেছেন৷ 
“শয়তানের সমাজের যে লোকেরা আপনাদিগকে যিহূদী বলিলেও যিহূদী নয়,” যিহূদীদের কথা বলা হয়েছে, যারা বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরকে গৌরাবন্বিত করতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে৷ কিন্তু বস্তুতঃ তারা অনেকেই তা নয়৷ পরন্তু, তারা শয়তানের দাস হয়েছিল এবং ঈশ্বরের মন্ডলী এবং তাঁর সাধুগণের পশ্চাতেও ছিল৷
পূর্বের ন্যায় আজকে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, যারা যীশু নামে ডাকে এবং তাঁর ভজনা করে, তাদের অনেকে শয়তানের অস্ত্ররূপে তার দাসে পরিণত হয়েছে৷ ঈশ্বর ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীর জন্য তাঁর প্রেমের অংশ প্রদর্শন করেছেন, যাকে তিনি প্রেম করেন এবং গৌরবের পাত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন৷ 
 
পদ ১০: “ তুমি আমার ধৈর্য্যের কথা রক্ষা করিয়াছ, এই কারণ আমিও তোমাকে সেই পরীক্ষাকাল হইতে রক্ষা করিব, যাহা পৃথিবীনিবাসীদের পরীক্ষা করিবার জন্য সমস্ত জগতে উপস্থিত হইবে।”
বিশেষতঃ প্রভু ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীর দাসগণকে তাঁর ধৈর্য্যের কথা রক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ বস্তুতঃ এই প্রকার বিশেষ ধৈর্য্য ব্যতীত আমরা ঈশ্বরের সমস্ত বাক্যের পূর্ণতার জন্য অপেক্ষা করতে পারি না৷ অতএব, তাঁর ধৈর্য্যের কথা রক্ষা করতে আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্যে সঠিক বিশ্বাস থাকতে হবে৷ ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীকে এর ধৈর্য্যের জন্য প্রভু একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেছিলেন৷ এই বিশেষ পুরস্কার ফিলাদিল্‌ফিয়াস্থ মন্ডলীর জন্য সেই পরীক্ষাকালে আসবে৷ এখানে পরীক্ষাকাল বলতে খ্রীষ্টারীর বিঘ্নের কালকে বোঝানো হয়েছে৷ 
 
পদ ১১: “আমি শীঘ্র আসিতেছি; তোমার যাহা আছে, তাহা দৃঢ়রূপে ধারণ কর, যেন কেহ তোমার মুকুট অপহরণ না করে।” 
কারণ প্রভুর আগমন আসন্ন, সাধুগণ অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদের বিশ্বাস ধারণ করবে৷ এছাড়া তারা অবশ্যই প্রভুর প্রতিজ্ঞাতে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস করবে৷ ঈশ্বরের দাসগণ অবশ্যই সাধুগণের সাথে থাকবে এবং তাদের বিশ্বাসকে হারানো থেকে রক্ষা করবে, যাতে ঈশ্বর হতে প্রাপ্ত তাদের পুরস্কার চুরি না হয়ে যায়৷
 
পদ ১২: “যে জয় করে, তাহাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে স্তম্ভস্বরূপ করিব, এবং সে আর কখনও তথা হইতে বাহিরে যাইবে না; এবং তাহার উপরে আমার ঈশ্বরের নাম লিখিব, এবং আমার ঈশ্বরের নগরী যে নূতন যিরূশালেম স্বর্গ হইতে, আমার ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিবে, তাহার নাম এবং আমার নূতন নাম লিখিব। ”
যারা শয়তানকে জয় করবে, তারা সাক্ষ্যমরদের সারিতে যুক্ত হবে৷ ঈশ্বরের রাজ্যের পবিত্র মন্দিরে তাদের নাম লেখা থাকবে৷ এমনকি বর্তমানের ন্যায়, তারা ঈশ্বরের মহাকার্যকারী হিসাবে ব্যবহৃত হবে এবং তারা প্রভুদ দ্বারা অস্ত্ররূপে ব্যবহৃত হতে থাকবে৷
 
পদ ১৩ : “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।” 
প্রভুর সেসমস্ত দাস ও সাধুগণ যাদের ঈশ্বরের বাক্য শোনবার মত কান আছে, তারা শুনুক, আত্মা মন্ডলীর মাধ্যমে তাদেরকে কি বলছেন৷ এরূপে ঈশ্বর যখন তাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন, ঈশ্বরের দাস ও সাধুগণেরা অবশ্যই মন্ডলীতে বাস করবে এবং তারা অবশ্যই এই মন্ডলীকে রক্ষা করবে৷