Search

خطبے

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-28] জল ও আত্মার সুসমাচার হচ্ছে সৌন্দর্যের অলংকার (যাত্রা পুস্তক ২৫: ৩১-৪০)

জল ও আত্মার সুসমাচার হচ্ছে সৌন্দর্যের অলংকার
(যাত্রা পুস্তক ২৫: ৩১-৪০)
“আর তুমি নির্মল স্বর্ণের এক দীপবৃক্ষ প্রস্তুত করিবে; পিটান কার্য্যে সেই দীপবৃক্ষ প্রস্তুত হইবে; তাহার কান্ড, শাখা, গোলাধার, কলিকা ও পুষ্প তৎসহিত অখন্ড হইবে। দীপবৃক্ষের এক পার্শ্ব হইতে তিন শাখা ও দীপবৃক্ষের অন্য পার্শ্ব হইতে তিন শাখা, এই ছয় শাখা তাহার পার্শ্ব হইতে নির্গত হইবে। এক শাখায় বাদাম পুষ্পের ন্যায় তিন গোলাধার, এক কলিকা ও এক পুষ্প থাকিবে; এবং অন্য শাখায় বাদামপুষ্পের ন্যায় তিন গোলাধার, এক কলিকা ও এক পুষ্প থাকিবে; দীপবৃক্ষ হইতে নির্গত ছয় শাখায় এইরুপ হইবে। দীপবৃক্ষে বাদামপুষ্পের ন্যায় চারি গোলাধার, ও তাহাদের কলিকা ও পুষ্প থাকিবে। আর দীপবৃক্ষের যে ছয়টি শাখা নির্গত হইবে, তাহাদের এক শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখন্ড এক কলিকা, অন্য শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখন্ড এক কলিকা ও অপর শাখাদ্বয়ের নীচে তৎসহ অখন্ড- এক কলিকা থাকিবে। কলিকা ও শাখা তৎসহ অখন্ড হইওব; সমস্তই পিটান নির্ম্মল স্বর্ণের একই বস্তু হইবে। আর তুমি তাহার সাতটি প্রদীপ নির্ম্মাণ করিবে; এবং লোকেরা সেই সকল প্রদীপ জ্বালাইলে তাহার সম্মুখে আলো হইবে। আর তাহার চিমটা ও গুলতরাশ সকল নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মাণ করিতে হইবে। এই দীপবৃক্ষ এবং ঐ সমস্ত সামগ্রী এক তালন্ত পরিমিত নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মিত হইবে। দেখিও, পর্ব্বতে তোমাকে দেখান গেল, সেইরুপ সকলই করিও।” 
 
 
এই অনুচ্ছেদে সমাগম তাম্বুর দীপবৃক্ষের বিষয়ে বর্ণনা করে। আজকে আমি অলংকারের ফুল এবং দীপ এর আত্মিক অর্থের ব্যাখা দিতে চাই। ঈশ্বর মোশিকে প্রথমে খাটি সোনা দিয়ে একটি দীপাধার তৈরী করার আদেশ দিলেন। প্রথমে দীপাধারটি সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছিল এবং নিচের অংশ থেকে উঠে যাওয়া ডাঁটিটা সোনা পিটিয়ে তৈরী করাবে। দীপধারে তিন শাখা করে মোট ছয়টি ডাল থাকবে। সাত নম্বর দীপটি শাখাগুলোর র্শীষে থাকবে। এই সাতটি দীপ জ্বালানোর জন্য তাতে তেল দেওয়া হয়। তখন দীপাধারটি পবিত্র স্থানের ভিতরে চারিদিকে উজ্জ্বল আলোকপাত করে এমনকি দীপাধারের চারিদিকেও। 
আমার আপনার জন্য আমাদের প্রভু স্বর্গের রাজাধিরাজ, তিনি মানব রুপে এই পৃথিবীতে এসেছেন। আর যীশু সেই পরিত্রাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং উজ্জ্বল নীল লোহিত বর্ণে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। এই পরিত্রানের কাজ যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে যিনি এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং ৩০ বছর বয়সে যর্দন নামক নদীতে যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং পরে তাঁকে ক্রুশারোপিত হতে হয়েছিল। ‘এই রুপ’ হর্স্তাপনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হলেন, এবং সমস্ত মানব কুলের পাপ তুলে নিলেন (মথি৩:১৫)। যীশু, যিনি মানব রুপে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে সমস্ত মানবকুলের পাপ তুলে নিয়ে ক্রুশে ক্রুশারোপিত হয়েছেন এবং তাঁর পরিত্রানের দায়িত্ব তিনি উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের মতো স্পষ্টভাবে পালন করেছেন। ঈশ্বরের মন্ডলী স্থাপনের এটাই একমাত্র সত্য।
আমাদের প্রভু মন্ডলীর অলংকার । আমার আপনার, এবং যারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে তাদের সকলের জন্য ঈশ্বর পরিত্রানের ভিক্তি। যাইহোক, আমি এবং আপনি আমরা সকলে ঈশ্বরের মন্ডলীর সদস্য হতে পেরেছি শুধুমাত্র যীশু যে আমাদের সমন্ত পাপ তুলেনিয়েছেন তাতে বিশ্বাসের মাধ্যমে। জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদে সজ্জিত। গ্রিকে “চার্চ” শব্দকে কেন ............. Ekklesia) নামে ডাকা হয়, “আর যার অর্থ হচ্ছে পাপ পূর্ণ জগৎ থেকে ডেকে জড়ো করা”। যিনি জগতের লোকদের পাপ থেকে মুক্ত করেছেন তিনি যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কেউ না। তিনিই একমাত্র প্রভু যিনি জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা এসেছেন এবং সমস্ত পাপের মন্দতা ধুয়েমুছে দিয়েছেন। প্রভুর বাপ্তিস্মে এবং তাঁর রক্ত সেচনে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি এবং সম্পূর্ণ রুপে ধার্ম্মিক গণিত হয়েছি। সত্যে বিশ্বাসের কারণে আমাদের প্রভু আমাদেরকে ধার্ম্মিক গণিত করেছেন এবং তিনি এই জগতে এসে উজ্জ্বল নীল বেগুনে সুতায় সম্পূর্ণ রুপে পরিত্রাণের কাজ সাধন করেছেন। এই বিশ্বাসই উজ্জ্বল নীল, বেগুনে সুতাই প্রকাশিত।
যীশু যখন এই পৃথিবীতে এসে যোহন বাপ্তাইজক দ্বরা বাপ্তাইজিত হলেন তখন যীশু আমাদের সকলের পাপ তুলে নিয়েছেন (মথি৩:১৩-১৭)। আর এই সত্য এবং বিশ্বাস উজ্জ্বল নীল, বেগুনে মসীনা সুতাই প্রকাশিত। যীশু খ্রীষ্ট যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হওয়ার পরে জগতের পাপের কারণে ক্রুশে ক্রুশারোপিত হতে হয়েছিল, এবং তিনি চিরকালের জন্য আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন। অন্য দিক থেকে, যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর কাঁধে তুলে আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। এভাবে তাঁর কাজ তিনি উজ্জ্বল মসীনা সুতার ন্যায় করেছেন, এবং প্রভু জগতের সমস্ত প্রকার পাপ থেকে রক্ষা করেছেন। সত্যিকারের পরিত্রাণে বিশ্বাস হচ্ছে সে সত্য সম্পূর্ণ ভাবে জানা এবং তাতে বিশ্বাস করা।
কারণ আমরা বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি, আর পাপ থেকে এই পরিত্রাণ হচ্ছে ঈশ্বরের একটা দান। পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপনের পূর্বে যীশু খ্রীষ্ট যেমন বাপ্তিম্মের মাধ্যমে এবং রক্ত সেচনের মাধ্যমে আমাদের পরিত্রাণ অঙ্কিত করে রেখেছিলেন। এই বিশ্বব্রহ্মান্ড এমনকি মানব জাতির পূর্বপুরুষ আদম এবং হবাকে সৃষ্টির আগেই ঈশ্বর যীশু খ্রিষ্টে এবং জলও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা পাপীদের তাদের অধর্ম হতে পরিত্রাণের সঙ্কল্প স্থির করেছিলেন; এবং যখন সময় উপস্থিত হল, তখন তিনি বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্ত সেচনের দ্বারা এ কার্য সাধন করতে এ পৃথিবীতে এসেছিলেন । আমাদের ঈশ্বর যিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা সম্পূর্ণ রুপে পাপ ক্ষমার মধ্যদিয়ে পূর্ণ করেছেন। ঈশ্বরের সমস্ত প্রতিজ্ঞা যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে এবং ক্রুশে রক্ত সেচনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রুপে পূর্ণতা লাভ করেছে। যারা এটাতে বিশ্বাস করে তাদের সকলের কাছে ঈশ্বর পরিত্রাণকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন এবং পাপময় জগৎ থেকে উদ্ধার করে পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়ে তাদেরকে অনন্ত জীবন পাবার অধিকারী করেছেন।যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে তাদেরকে ঈশ্বর নিজের লোকদের মতো উদ্ধার করেন। এই সত্য হচ্ছে পরিত্রাণের সত্য, যা উজ্জ্বল নীল, বেগুনে সুতায় প্রকাশিত হয়েছে।
 
 

জল ও আত্মার সুসমাচার হচ্ছে দীপবৃক্ষের একখানি খন্ড

 
সমস্ত মানবজাতির জন্য পরিত্রাণ অপরিহার্য, আর সেই পরিত্রাণের প্রধান ভিক্তি প্রস্তর হলেন যীশু। জলও আত্মার সুসমাচারের সাথে যীশু পরিত্রাণের কাজটি সম্পন্ন করেছেন এবং আমাদের জন্যই সেই পরিত্রাণের ভিক্তিটি স্থাপন করেছেন। ঈশ্বরের দীপবৃক্ষটি বাদাম পুষ্পের ন্যায় সৌন্দর্য। ইহার একটি খন্ড আছে। তেমনি যীশু খ্রীষ্টও পরিত্রানের পুষ্প। যীশু খ্রীষ্ট যদি সত্য পরিত্রানের পুষ্প হন, তবে পরবর্তী অলংকাররা কারা ? অবশ্যই তারা যারা ঈশ্বরের দাস এবং যারা পাপ থেকে পরিত্রান গ্রহন করেছেন। অন্যভাবে, যীশু খ্রীষ্ট হচ্ছেন পুষ্প এবং আমরা হচ্ছি তার অলংকার যা পুষ্পকে সুভাষ ছড়াতে সাহায্য করে। 
পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করার পর, আমাদের প্রভু আমাদের সকলকে সুসমাচারের অলংকার করেছেন। আপনি ইহা জানেন এবং বিশ্বাস করেন? পাষ্টর বয়োজ্যেষ্ঠ এবং ভাই ও বোনেরা তারা সকলে আমাদের অলংকার। যে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, সেই সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার। ঈশ্বরই প্রথমে নীল, বেগুনি এবং লাল মসীনা সূতা দিয়ে পরিত্রাণে স্তম্ভ স্থাপন করেছিলেন। তারপরে, তিনিই প্রথমে জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদের সকলকে উদ্ধার করেছেন এবং সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার তৈরি করেছেন যেন আমরা সুসমাচারের পুষ্প হয়ে পুষ্পের সুবাস ছড়াই। আমরা সকলেই যখন সৌন্দর্য্যের অলঙ্কার হয়ে উঠি, তখন আমরা আমাদের পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারি। অন্য সকলে যখন নিজেদেরকে ক্ষুদ্র অলঙ্কার হিসেবে মনে করে, সেটা কোন বিষয় না, কিন্তু প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, আমরা সকলেই সুসমাচারের জন্য একেকটি অলঙ্কার। অন্য কোন কিছু করার জন্য নয়। 
কারণ, শয়তান সবসময় ঈশ্বরের বিপক্ষে, সে সর্বদাই চেষ্টা করে যেন আমরা যেন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করি, এমনকি আমরা সকলে যেন পাপ থেকে মুক্ত না হতে পারি। কিন্তু আমরা তো পাথরে চাপা বীজের মত, যা শয়তানের চাপ থাকা সত্তে¡ও, আমরা পুষ্পমন্ডিত হব। তেমনি প্রত্যেকটি পাপী মানুষ জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। ঈশ্বর পাপে হারিয়ে যাওয়া আত্মাকে রক্ষা করতে চান, এবং তিনি সমগ্র জগতে জল ও আত্মার সত্য ছড়িয়ে দিতে চান। তেমনি, ঈশ্বরের মন্ডলীও সেই একই উদ্দেশের জন্য কাজ করে। যখন পুরোহিত তাঁর মন্ডলীতে ভাল সুসমাচার না দিয়ে অন্য কিছু করে, তখন ঐ মন্ডলীতে পরিত্রাণের ফল পেতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। যাহোক, যদি কোন পুরোহিত শুধুমাত্র ধর্মসভা দানের মাধ্যমে সেবা দেয়, তবে সে কেবল একজন সুন্দর সুসমাচার প্রচারকের চেয়ে একজন সুসমাচার বাধাকারী। 
শয়তান প্রথমে আমাদের জীবন এবং আমাদেরকে মেরে ফেলতে এসেছিল, কিন্তু আমাদের প্রভু আমাদেরকে অনন্ত জীবন দিতে এসেছিলেন এবং তাঁর যা কিছু আছে, সমস্ত কিছু দেওয়ার মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে যদি কোন উপকার হয়, তবে আমরা তা ছড়িয়ে দিতে ইতস্ততঃ হব না। তা করতে যতই কঠিন হোক না কেন। ঐ ধরণের মনোভাব আমাদেরকে সুসমাচারের অলঙ্কার হতে সাহায্য করে। একজন সাধারণ চাকরের মত একজন পুরোহিতের জন্য সুসমাচার প্রচার করা ভাল। যদি সূর্যের নিচে তাদের এই সৌন্দর্যের অলঙ্কারের ব্যবস্থা পূর্ণের দ্বারা একটি আত্মাও মুক্তি পেত, তাহলে তারা এটা সারা জীবন করে যেত। পুরোহিতগণ তাদের বিশ্বাসের দ্বারা তাদেরকে ঈশ্বরের সুসমাচার বহন করতে উদ্বুদ্ধ করে। আপনার অনুভব করার প্রয়োজন যে, কত চেষ্টা এবং কত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় শুধুমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারের পুষ্পকে মুকুলিত করতে। আমি এবং আপনি পাপের ক্ষমা পেতে সক্ষম হয়েছি কারণ, আমাদের বিশ্বাসের পূর্বপুরুষরাও সেই রকম ছিলেন যারা শাস্ত্রের বাক্য রক্ষা করার জন্য সাক্ষ্যমর হয়েছিলেন। 
সমাগম তাম্বুর মধ্যে সাতটি দীপ ছিল যেখানে ঈশ্বরের পবিত্র তেল ঢালা হত। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের মূল্যবান তৈল গ্রহণ করতে এবং ইহাতে আনন্দ করতে সক্ষম হয়েছি, এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমরা সুসমাচারের অলঙ্কার হয়ে উঠেছি। আমরা যখন সুসমাচার প্রচার করি, তখন আমরা অনুভব করব যে, সেখানে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। একটার পর আরেকটা, সেখানে করার কোন শেষ নাই। সুসমাচারের বই প্রকাশ করে, বাক্য প্রচারের ক্ষেত্রে পুরোহিতদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল গঠন করে, প্রার্থনা ও ভাইবোনদের পরিচালনার জন্য, এবং ভাইবোনরা যাতে ঈশ্বরের সেবা করতে পারে- এই সমস্ত ক্ষেত্রে সুসমাচার প্রচার করে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কারের কার্য সম্পাদিত হয়েছে। আমি আশা করি আপনি এটা কখনো ভুলবেন না যে, ঈশ্বর আমাদেরকে ধার্মিকতায় ব্যবহার করছেন এবং আমরা অলঙ্কার হয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারের পুষ্প মুকুলিত করছি। 
 
 
নতুন বিশ্বাসীদের উত্তম সেবা করাও ঈশ্বরের কাজ করা
 
যে সমস্ত ভাই ও বোনেরা সদ্যই পাপের ক্ষমা পেয়েছে তারা যেমন ঈশ্বরের মন্ডলীতে সবচেয়ে সুন্দরতম, কিন্তু একই সাথে তারাই সবচেয়ে ভিত্তিহীন। তাদের আগে পালককেও নিশ্চিত হতে হবে এবং তাদের উৎসাহিত করবে, তারা যেন আধ্যাত্মিক অবস্থাকে বুঝতে পারে। কেন তা করা হবে? কারণ যদিও তারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে, তবুও তাদের বিচারের মান এখনো মাংসভিত্তিক। সেই জন্য বিশ্বাসের পূর্বপুরুষদের যারা প্রথমে বিশ্বাস করেছে, যারা তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করেছে, তারা অবশ্যই অলঙ্কার হয়েছে। তারা অবশ্যই নতুন বিশ্বাসীদের সেবা দান করেছে, আর যখনই এই বিশ্বাসীরা বিশ্বাসে বেড়ে উঠে, তারা অনুভব করবে যে, তাদেরকে কিভাবে যতœ নেওয়া হয়েছে, যখন তারা নতুন বিশ্বাসী ছিল। তারা এই দয়ার জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে, যা তাদের ব্যক্তিগতভাবে এসেছে, এবং তাদের বিশ্বাসের সহিত তারা আবার নতুন বিশ্বাসীদের কাছে ঐ দয়া দেখাবে বা ফিরিয়ে দিবে। 
যাহোক, আপনি শর্তবিহীন দয়ার আচরণ করবেন না। শর্তহীনভাবে তাদের প্রতি দয়ালু হবেন, শুধুমাত্র দৈহিক অপরিহার্য ফলস্বরূপ নয়। যাতে এর দ্বারা একজনের আত্মা বেড়ে উঠে এবং উন্নতি লাভ করে। ঈশ্বরের ইচ্ছায় বিশ্বাসে জীবন যাপনের জন্য মানুষদের আত্মিক অবস্থায় নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে পরিচালনা দেওয়া। আর আমরাই যদি অন্ধ হই, তবে তাদেরকে সাহায্য করা অসম্ভব, এটা তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। আপনি কি জানেন কেন কিছু ভাই ও বোনেরা মন্ডলী ত্যাগ করে? তারা যে ত্যাগ করে তার কারণ হচ্ছে তারা আত্মিক নির্দেশনায় পরিচালিত হয় নি। শুধুমাত্র দীপবৃক্ষের মত খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যারা এই দীপবৃক্ষ অলঙ্কারের রূপ দাবি করে, তাদেরকে মাংসিক চিন্তা অস্বীকার করতে হবে। এমনকি তাদের স্বীয় ধার্মিকতাও এবং তারা অবশ্যই তাদের হৃদয়কে ঠিক করবে এবং তারা তাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছার আনুগত্যে আনবে। তারা অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নিজেদেরকে ঈশ্বরের মন্ডলীর সেবক হতে হবে। 
সমাজ সেবকেরা ধ্যান করে কিভাবে মানুষদেরকে উত্তম সেবা দেওয়া যায়। উপযুক্ত পাঠ্যক্রমের কাজ কি? ভিক্ষুকদের টাকা দেওয়া নাকি সাহায্যের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করা। তাই ক্ষুদা মেটানোর জন্য অনেক লোকই শুধুমাত্র টাকা দান করে। কিন্তু ঐ সমস্ত সমাজসেবকেরা যাদের বুদ্ধি আছে, তারা কখনোই তাদের টাকা দান করবে না, তার পরিবর্তে তারা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করবে, যাতে তারা নিজেরা কাজ করে স্বাধীনভাবে জীবনে বেঁচে থাকতে পারে, আর এটাই হচ্ছে তাদের প্রতি সঠিক সাহায্য। তাই অন্যকে সাহায্য করাই হচ্ছে অনেক উঁচু পর্যায়ের এক অভিজ্ঞতা অর্জন করা। 
একইভাবে এটাকে বলা হচ্ছে সুসমাচার প্রচার করা। আর এটিও হচ্ছে এক ধরণের ঈশ্বরের দান, কারণ এটি ঈশ্বরের বাক্য সেবার দ্বারা একজন যাতে মাংস ও আত্মার সাথে খাপ খেয়ে বেড়ে উঠে। অন্যভাবে, আত্মাকে প্রভুর দিকে পরিচালনা করতে হবে এবং তারা নিজেদেরকে অবশ্যই মাংসিকভাবে পরিচালনা করতে হবে, যেন তারা বিশ্বাসে জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারে। এই বিষয়ে পুরোহিতকে অবশ্যই সবসময় সজাগ থাকতে হবে। পুনর্জন্মপ্রাপ্ত হিসেবে আমাদের বিশ্বাসের জীবন যাপন হচ্ছে প্রতিদিন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও পর্বে সৌন্দর্যের অলঙ্কার সম্পন্ন করা। ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার পূর্বে আমাদেরকে সারাটা জীবন সুসমাচারের অলঙ্কাররূপে বিশ্বস্তভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। 
আমাদেরকে রক্ষা করার পর, আমাদের ঈশ্বর আমাদেরকে অলঙ্কার রূপে তৈরী করেছেন এবং উপযুক্ত দায়িত্বে দায়িত্ব দিয়েছেন যেন আমরা সেবা করতে পারি এবং সুসমাচারের ফুল মুকুলিত করতে পারি। জগতের লোকেরা যারা নতুন জম্ম লাভ করেনি তারা সকলে অবাধ্য, ধৃষ্ট এবং উদ্বত তারা সবসময় অন্য বিশ্বাসীদের সাহায্যে রক্ষা পেতে চায়। কিন্তু ঈশ্বরের দাসগন যাদের ঈশ্বর যাজক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন তাঁরা সকলে ঈশ্বরের ইচ্ছাতে সর্তক এবং তারা সুসমাচারের অলঙ্কার হিসেবে তাদের প্রতি যা করতে স্থিরীকৃত তারা তা করতে বিশ্বস্ত। যাজকদের অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করার বিষয়টা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের প্রভু বলেছেন, “সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্ব্বলদিগের সাহায্য করিতেহইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিৎ, কেননা তিনি আপনি বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা দান করা ধন্য হইবার বিষয়”(প্রেরিত ২০:৩৫)। এটা শুধুমাত্র কল্পনা বিষয়ক ধারণা নয়, কিন্তু এটা হচ্ছে বিশ্বাস পরিচালনার নীতি এবং প্রকৃত জীবন। প্রকৃত পক্ষে যারা দেয় তারা বেশি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় যারা তা গ্রহণ করে।এই বিষয়ে আপনার নিজের কি কোন অভিজ্ঞতা আছে? 
আমি আপনাদের একটা গল্প বলি। এক দম্পতির খুব বৃদ্ধ বয়সে একটি সন্তান হয়েছিল, এজন্য তারা প্রার্থনা করেছিল যেন তাদের সন্তান স্নেহ ভালবাসায় বেড়ে উঠে। যেমন তারা প্রার্থনা করেছিল ঠিক সে ভাবে তাদের সন্তানটি স্নেহ ভালবাসায় বেড়ে উঠতে লাগল। কিন্তু সময়ানুক্রমে তারা বুঝতে পারল যে তাদের ছেলেটি যাকে তারা চিন্তা করে এসেছে যে সে সবসময় ভালবাসায় বেড়ে উঠবে, কিন্তু তার পরিবর্তে সে একজন স্বার্থপর হিসেবে বেড়ে উঠেছে, যে নিজেকে ছাড়া কারো বিষয়ে চিন্তা করে না। তারা তাদের সন্তানের প্রতি যা করেছিল, সেটা ঐ সন্তানের কোন উপকারে আসে নি। সে যেহেতু সর্বদা গ্রহণ করত, তাই সে শিখে গিয়েছিল যে কিভাবে গ্রহণ করা যায়, কিভাবে অন্ধকে দেওয়া যায় সেটা সে কখনো চিন্তা করে নি। এবং এটাই তাকে এক পর্যায়ে লোভ এবং স্বার্থপরতায় পরিপূর্ণ সন্তান হিসেবে গড়ে তুলেছিল। ফলে ঐ বুড়ো দম্পতি আবার প্রার্থনা করেছিল যেন তাদের সন্তানকে এমন একজনে পরিণত করা হয় যে সবসময় জানে যে কীভাবে অন্যদের ভালবাসতে হয়।
গ্রহণ অপেক্ষা দান করা ধন্য হইবার বিষয়,প্রভুকে সেবা করা কত মজার একটি বিষয়। ইহা কত কৃতজ্ঞতার বিষয়? যখন আমি ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করি তখন চিন্তা করি যে একটি আত্মা পাপ থেকে মুক্ত হলে ইহাতে কত আনন্দ এবং কত কৃতজ্ঞতা। একজন ধার্ম্মিক ব্যক্তি অনেক আত্মার কাছে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ঈশ্বরের মন্ডলীতে সুসমাচারের অলঙ্কারের নিিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর আমাদের অলঙ্কার রূপে যে অবস্থানে প্রতিষ্টিত করেছেন, আমি আপনি তা অবশ্যই অনুভব করব। অলঙ্কারের এই অবস্থানে আমরা অবশ্যই বিশ্বাসের দ্বারা নিয়ম পূর্ণ করব। আমি বিশ্বাস করি যে আমরা সুসমাচার প্রচার করব ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসের মাধ্যমে, আমাদের মাংসের অহংকার বা ক্ষমতা দ্বারা নয়, আর যে এভাবে করবে সে পরিত্রানের ফুল বয়ে নিয়ে আসবে। আর যখন আমরা সুসমাচারের অলঙ্কার হয়ে উঠব, তখনই সুসমাচার ছড়িয়ে যাবে আর এর মাধ্যমেই অনেকে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে।
 
 

মন্ডলী হচ্ছে দীপবৃক্ষ যা পরিত্রাণের আলো দ্বারা সারা পৃথিবীকে আলোকিত করে

 
একসাথে সমবেত হয়ে একজন ধার্মিক সুসমাচারের দীপবৃক্ষ হয়ে উঠে এবং এই পৃথিবীকে আলোকিত করে। একজন ধার্মিক ব্যাক্তি জল ও আত্মার সুসমাচারের আলো উজ্জ্বল করে। জীবন দীপবৃক্ষের মতো যা সত্যের আলো দ্বারা পৃথিবীর অন্ধকারকে আলোকিত করেছে Ñআর এটাই হচ্ছে আমাদের জীবন। যখন একজন ধার্মিক ব্যক্তি যে পাপের ক্ষমা লাভ করেছে এবং সুসমাচারের অলংকার হয়েছে তারা পৃথিবীতে বিশ্বাসে ফুলের সুভাস ছড়াচ্ছে এবং ইহা যখন ঘটছে, তখন জল ও আত্মায় সুসমাচার এবং আত্মা সমগ্র পৃথিবীতে সাক্ষী হচ্ছে। সৌন্দর্যের অলঙ্কার ছাড়া দীপে কোন ফুল থাকতে পারে না। দীপাধারে বাদাম পুষ্পের ন্যায় চারি গোলাধার ও তাহাদের কলিকা কলিকা থাকিবে। আমরা যখন ঐ প্রকার অলঙ্কার হয়ে উঠব এবং যে নিয়ম নির্ধারিত, প্রত্যেকে আমরা যখন তা পূর্ণ করব তখন ঈশ্বরের মন্ডলীর প্রত্যেকে উত্থিত হবে এবং অনেক আত্মা তাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করবে। আমরা যখন দীপাধারের দিকে তাকাই, আমরা তখন দেখি যে সেখানে এক শাখাদ্বয়ের নিচে তৎসহ অখন্ড এক কলিকা ও অপর শাখাদ্বয়ের নিচে তৎসহ অখন্ড এক কলিকা থাকিবে। যেমন আপনার সুসমাচার প্রচার করার মধ্য দিয়ে পুষ্পের সুসমাচার সমস্ত জায়গায় অনেক সুভাসিত হয়েছে এবং সুসমাচার সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি এবং আপনি এই গুলোর সাক্ষী বা অলঙ্কার। জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে আমরা আজ থেকে তা জগতে ছড়িয়ে দিতে হবে, আর অলঙ্কার হিসেবে এরূপ অগণিত কাজ সম্পন্ন্ করেছি। আর আপনি কিভাবে আপনার পাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছেন তা আপনি অন্যের কাছে মঙ্গলের জন্য সাক্ষ্য দেন। 
আমাদের বাস্তব জীবনের কৃত কর্ম বহন করার লক্ষে আমরা অলঙ্কার হিসেবে বিভিন্ন প্রকার কাজ করেছি। উদাহরণ স্বরুপ আমরা দুই বছর পূর্বে আমাদের শিষ্যত্ব প্রশিক্ষণের জন্য আমরা আত্মিক উদ্দীপনার জন্য একটি উপাসনালয় নির্ম্মাণ করেছি। এই দু’তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তৈরী করতে আমাদের প্রায় মাসখানিক লেগেছে। আমরা যখন বিম্বাসে বাড়িটি তৈরী করেছি, আমরা চিন্তা করেছিলাম “ঈশ্বরের বাক্য শুনে অনেক ভাই ও বোনেরা এবং অনেক হারানো আত্মা আমাদের সুসমাচারের ক্লাশে আত্মিক উদ্দীপনার জন্য আসবে এবং পাপের ক্ষমা লাভ করবে”। যদিও এই বাড়িটি তৈরী করার সময় আমাদেরকে অনেক কঠিন পর্যায়ে সম্মুখীন হতে হয়েছে তা স্বত্বেও আমরা সবসময় আমাদের এই চিন্তাকে আমাদের মনে ঠিক রাখতাম। এই শিষ্যত্ব প্রশিক্ষণের কেন্দ্রটি কেমন করে গড়ে উঠেছে, এবং আমরা কিভাবে এই আরামদায়ক জায়গাতে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে সক্ষম হয়েছি। এটা করতে সম্ভব হয়েছে কারণ যারা প্রত্যেক অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করেছে। আমি এবং আপনি অলঙ্কার হয়ে উঠেছি তার কারণ হচ্ছে আমরা এই জায়গায় সুন্দর এক পরিবেশে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারছি। সেখানে কি কোন সৌন্দর্য্যতা নেই, আর এই সহজ ঘটনাগুলো কখনোই আসবে না। এই বাড়িটি তৈরী করার পূর্বে ঐ জায়গাটি শুধুমাত্র জন শুন্য এক মরুভূমি ছিল। আমরা যদি ঐ নিরানন্দ জায়গায় ঈশ্বরের বাক্য শুনার জন্য সমবেত হতাম তাহলে আপনি কি এই জায়গায় আসতে চাইতেন? উপাসনা চালানোর জন্য এটা খুব ঠান্ডা থাকাতে আপনি হয়তো আর না গিয়ে আপনার বাড়িতে ফিরে যাবেন।
যেহেতু সৌন্দর্যের অরঙ্ককার স্থাপন করা হয়েছিল যার ফলে আমরা শুধুমাত্র আজকের দিনে মুকুলিত সুসমাচারের ফুল ফুটাতে সক্ষম হয়েছি, শুধুমাত্র তাই নয়, কিন্তু ভবিষ্যতেও আমাদেরকে চালিয়ে যেতে হবে। কোরিয়ানে একটি বিখ্যাত কবিতার কয়েক লাইন যার শিরোনাম হচ্ছে “চন্দ্রমলি­কার পাশে” কবিতাটি এ রকমÑ 
“একটি চন্দ্রমলি­কা পুষ্পিত করতে 
বুলবুল পাখিটি বসন্তে অবশ্যই গাইতো
 একটি চন্দ্রমলি­কা পুষ্পিত করতে.
অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘে বাজ অবশ্যই ঘন ঘন পড়ত......”
প্রকৃতপক্ষে, ঈশ্বরের অনেক দাস এবং অনেক সাধুকে সুসমাচারের শীর্ষে অলঙ্কার হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। যে সমস্ত কর্মীরা সৌন্দর্যের অলঙ্কারের নীতি পূর্ণ করেন, জল ও আত্মার সুসমাচার পূর্ণ করতে তাঁরা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। 
সৌন্দর্য্য অলঙ্ককারের নিচে প্রভু আরো অনেক বাদাম পুষ্পের ন্যায় গোলাধান স্থাপন করেছেন যেন আমরা অলঙ্ককারের নীতি পূর্ণ করতে পারি। এবং ঈশ্বর ও তাঁর সঠিক সময়ে আমাদেরকে তাঁর আশীর্বাদে পূর্ণ করেছেন, সাতটি প্রদীপের জন্য আমাদেরকে তেলও দিয়েছেন। আমরা জানি যে, আমাদের বাহুবল দ্বারা আমরা কোন কিছুই করতে পারি না, আমাদের প্রভুই আমাদেরকে মন্ডলীর মাধ্যমে তাঁর আশীর্বাদের বস্ত্র পরাইয়াছেন যেন আমরা অলঙ্ককারের নীতি পূর্ন করতে পারি, আর তা হবে সুসমাচারের সেবা করা। আপনি যে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হয়েছেন তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার বাহুবল দ্বারা সুসমাচার প্রচার করবেন,এটা আপনাকে বুঝতে হবে। বরং আমরা সকলে ঈশ্বরের আশীর্বাদের মাধ্যমে গৌরবযুক্ত হয়েছি।
এখন যারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে এবং পূর্বেও যারা লাভ করেছে তারা সকলে একই অলঙ্কার হয়ে সুসমাচার প্রচার করছে। তাদের আত্মিক লেভেল থাকা স্বত্বেও কেন তারা সকলে এক; এর কারণ হচ্ছে তাদের সকরকে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার নামে ডাকা হয়। কোন কিছুর প্রত্যাশা ছাড়া আমরা প্রত্যেকে এক একজন সৌন্দর্য্যরে অরঙ্ককার। অন্যান্য কাজের প্রতি খেয়াল না করেই শুধুমাত্র আত্মিকভাবে বাক্য প্রচার করাটাই সঠিক আত্মিক জীবন নয়। যারা সত্যিকারার্থে আত্মিক তারা সুসমাচারের আমি উপকারার্থে যে কোন কাজই করতে পারে। “আমার মন্ডলীর অবস্থান এই স্থানে তাই এই কাজ গুলোই করব। এখন আপনি যখন পাপের ক্ষমা লাভ করেছেন, তখন আপনাকে কি অন্য সব কিছুই করতে হবে?” আর এটা সঠিক নয়। যখন কেউ সুসমাচার প্রচার করতে আসে তখন কেউ একজন এর চেয়ে উচ্চ বা নিচ নয়, সবাই সমান। সুসমাচার মুকুলিত করার জন্য আমরা সকলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হব এবং উত্তম হয়ে উঠব।
 
 

কেমন করে পুনঃজন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীরা মাংসিক বিষয় অনুসরন করে।

 
“পাপের ক্ষমা পেয়ে নিষ্পাপ হয়েছি বলে আমি খুবই খুশি। আমি যদি ধনী হতাম তবে খুবই খুশি হতাম। কেউ কি আছেন যারা মাংসে সাফল্য হতে চান এবং তার কি আত্মিক সমস্যা সমাধিত হয়েছে?” যখন আমি প্রথম প্রভুর সাথে সাক্ষাত করি তখন চিন্তা বা অনুভব করেনি যে তিনি আমাদিগকে উদ্ধার করেছেন যেন আমরা সুসমাচারের উপযুক্ত অলঙ্কার হয়ে উঠি, আমি চিন্তা করেছিলাম ব্যবসায় এবং অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে নিয়ম পূর্ণ করি। আমি চিন্তা করেছি যে আমি প্রতিদিন গীর্জায় যাব, সান্ডেস্কুলে ছোটদের কাছে ছড়িয়ে দিব, ছোট একটি ব্যবসা চালাব এবং দিনে কয়েক ঘন্টার নিমিত্ত কাজ করব আর উপার্জনের কিছু টাকা দশমাংশ হিসেবে গীর্জায় দিব, এই ভাবে এই সমস্ত সেবা দানের মাধ্যমে মন্ডলীকে সাহায্য করব। অবশ্যই আমি চিন্তা করেছি যে, আমার ব্যবসায়ে যে সময় ব্যয় করি সে সময় টুকু পৃথক রেখে তা শুধুমাত্র প্রভুর জন্য ব্যয় করব। আমার চিন্তাটা ছিল আসলে দুঃখজনক, যখন আমি প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, অলংকার হিসেবে আমি কি নিয়ম পালন করেছি, সে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে ইহা পূর্ণ করতে চান না।
একসময় আমার চিন্তাটা ছিল ভুল। প্রভু আমাকে এই কাজ করতে অনুমতি দেননি। তাই এখন আমি একজন সাধারণ অলঙ্কার হয়ে নিজেকে মিশনের প্রতি উৎসর্গ করে দিয়ে এবং জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়ানোর মধ্য দিয়ে নিয়মটি পূর্ণ করব। ঈশ্বরের কাছে যা কিছু সন্তুষ্ট তাই আমরা করব তিনি যদি আমাদেরকে পাহাড় সরাতে বলেন আমরা অবশ্যই তা সরাব। অগণিত মানুষ যদি পাহাড় সরানোর মাধ্যমে রক্ষা পাই তবে আমরা তা করতে আরো বেশি উৎসাহিত হব। এমনকি তা যদি দেখতে অসম্ভব, ঝুঁকিপূর্ণ বা আশাহীন মনে হয় আর প্রভু যদি আমাদেরকে বিশ্বাসে তা করতে বলেন আর সেটি যদি আত্মিক দিক থেকে উপকারি হয় তবে আমরা বিশ্বাস করব যে, সে জিনিস আমরা অর্জন করেছি। কোদাল গুলো দ্বারা যদি আমরা পাহাড় কাটি তবে আমাদের শুরুটাই র্দূবল হয়ে যাবে, কিন্তু একই ভাবে আমরা যদি পাহাড়টি বায়ুপূর্ণ গ্যাস দ্বারা বিস্ফোরণ করি তবে পাহাড়টি চূর্ণ হয়ে যাবে। পরে পাহাড়ের ভগ্নস্তুপ গুলো বুলডোজার দিয়ে পরিস্কার করে সমতলে নিয়ে আসব। তারপরে পাহাড়টি একেবারে অদৃশ্য হয়ে যাবে। এর কারণ হচ্ছে আমরা যান্ত্রিকতায় নির্ভর করেনি বরং প্রভুর ইচ্ছার মাধ্যমে সব কিছু হয়েছে, অন্যভাবে, আমরা ঈশ্বরের সুসমাচার বিশ্বাসের মাধ্যমে অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করেছি। তাঁর অলঙ্কার হিসেবে আমরা কীভাবে আমাদের নিয়ম বহন করব।
আমরা যেন সুসমাচার ছড়ানোর অলঙ্কার হয়ে উঠতে পারি, সে জন্য প্রভু আমাদেরকে তাঁর মন্ডলীতে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হিসেবে আমরা কোথায় অবস্থিত হয়েছি, আর যখন সুসমাচার ছড়ানোর সময় আসে তখন প্রকৃত ভাবে সেখানে কোন সময় থাকে না, যা বেশি অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ অন্যটির চেয়ে। আমাদের যদি কোন প্রকার পদ থাকে, তবে সে পদের জন্য আমরা তার দাস। যেমনটি প্রভু যীশু বলেছেন, “তখন তিনি বসিয়া সেই বারো জনকে ডাকিয়া কহিলেন, কেহ যদি প্রথম হইতে ইচ্ছা করে, তবে সে সকলের শেষে থাকিবে ও সকলের পরিচারক হইবে”(মার্ক৯:৩৫)। ইহা কি সত্য নয় যে, যখন প্রভু আমাদিগকে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করার জন্য আহ্বান করেন? আর তিনি চান না যে, আমরা যেন আমাদের বাহুবল দেখাই বা সর্দপে পদক্ষেপ গ্রহন করি। যখন আমরা সৌন্দর্যের অলঙ্কারের নিয়ম ভাল করে পূর্ণ করি তখন আমাদের প্রভু দীপাধারের সাতটি দীপের আলোর ন্যায় কাজ করেন যা পবিত্র স্থানকে উজ্জ্বল ভাবে আলোকিত করেন।
আজকের শাস্ত্রের অনুচ্ছেদে ইহা লেখা আছে যে, “আর তাহার চিমটা ও গুলতরাশ সকল নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মাণ করিতে হইবে। এই দীপবৃক্ষ এবং ঐ সমস্ত সামগ্রী এক তালন্ত পরিমিত নির্ম্মল স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মিত হইবে। দেখিও যেরুপ আর্দশ দেখান গেল, সেইরুপ করিও (যাত্রাপুস্তক ২৫:৩৮-৪০)। দীপাধারের পাত্রের মধ্যে সজ্জিত একটি পলিতা আছে। দীপাধারের মধ্যে তেল দেওয়ার পরে দীপে পলিতা স্থাপন করা হয় যা দীপাধারের উপরে অবস্থান করে। জ্বলন্ত পলিতা জ্বল জ্বল করে জ্বলে, এবং পলিতাজ্বালক তাতে আগুন দিত । এই পলিতা সোনা দিয়ে তৈরী। যাজক জলন্ত পলিতা গুলো সজ্জিত রাখত, এবং সেগুলো ট্রেতে রাখত। এই ধরণের পাত্র পবিত্র স্থানে ব্যবহৃত হত।
 আমাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভের পর আমরা যখন সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করেছি, তখন এমন অবস্থা হয়েছিল, যখন আমাদের হৃদয় অন্য কোন চাকুরি থেকে বা আমাদের নিজের ব্যস্ততা থেকে পৃথক বা ভাবলেশহীন ছিল। তাই সে সময়ে যখন আমরা আমাদের বিশ্বার স্থাপনের কাজটি অভ্যস্তগত ভাবে বা হৃদযের সাথে করি। একই সময়ে ঈশ্বরের দাসগণের উচিৎ দীপাধারের পলিতা পরিবর্তন করার। জ্বলন্ত পলিতা যেমন সজ্জিত করা হত, তেমনি ঈশ্বরের দাসগণ আমাদেরকে প্রদত্ত দায়িত্ব গুলো বিকল্প উপায়ে পরিবর্তন করে আমাদের হৃদয় নূতনীকরণ করেন। যে দায়িত্ব আমাদেরকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা পরিবর্তনের মাধ্যমে ঈশ্বরের দাসগণ আমাদের হৃদয় আরো নূতন করে দেয়। আমাদের প্রভু আমাদের আংশিক পুড়ে যাওয়া হৃদয় সরিয়ে দিয়েছেন যেন আমরা আমাদের নূতনীকরণ হৃদয় দ্বারা ঈশ্বরের সুসমাচার চালিয়ে যেতে সক্ষম হই, যেমনটি লেখা আছে, “পুরাতন বিষয় গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে (২করিন্থীয়৫:১৭)। এটার মাধ্যমে অনেক সেবক হৃদয়কে আরেকটি বারের মতো নূতন করার জন্য হৃদয়ের সহিত সুসমাচারের সেবা করতে আসে। 
আপনার কি মনে পড়ে যে, পবিত্র স্থানের ভিতরে খাঁটি সোনা ছাড়া অন্য কোন কিছু ছিল না? বিশ্বাসের মাধ্যমে পূর্ণ বিশ্বাসের সে অলঙ্কার হতে আপনাকে অবশ্যই অবিরতভাবে প্রভর নতুন কাজের জন্য দেখাতে হবে। শুধুমাত্র আমরা কি সবসময় বিশ্বাসের দ্বারা বাঁচতে পারি? অবশ্যই হ্যাঁ, আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমেই আজকেও বাঁচব এবং ভবিষ্যতেও বাঁচব। বিশ্বাসের দ্বারাই আমরা অলঙ্কারের নতুন নিয়ম প্রতিদিন পূর্ণ করি। আমরা ঈশ্বরের সুসমাচারের সেবক, আমাদেরকে অবশ্যই সজ্জিত পলিতা থেকে সমস্ত পোড়া জিনিস সরিয়ে ফেলতে হবে,এবং দীপের যতœ নিতে হবে সব সময় সেগুলোর আলোকে উজ্জ্বল ভাবে রাখতে হবে এবং তা যেন কখনো নিভে না যায়।
 পবিত্র স্থানের ভিতর খুবই গৌরবযুক্ত। প্রভু ধার্ম্মিকগণকে তাঁর মন্ডলীতে আহ্বান করে সমবেত করেছেন, যেন তাঁরা দীপাধার হয়ে পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে পারে। ইহাতে ঈশ্বর নেতা স্থাপন করেছেন, তিনি সমস্ত ধার্ম্মিককে তাঁর একটি দান তিনি তাদের দিয়েছেন যা সুসমাচার সেবাতে সক্ষম করে এবং তিনি আমাদের সকলকে আহŸান করেছেন, যেন আমরা সৌন্দর্যের অলঙ্কার হয়ে প্রভুর সেবা করতে পারি; যা সুসমাচারের ফুল আমাদের প্রত্যেকের নির্দিষ্ট স্থান থেকে মুকুলিত করে। ঈশ্বর আমাদিগকে সমগ্র পৃথিবীতে এবং সমস্ত পাপী মানুষের কাছে সুসমাচার ছড়িয়ে দেবার জন্য মনোনীত করেছেন। এটাই ঈশ্বরের মন্ডলীতে “ekklesia” । অন্য বাক্যে, আমরা যারা ঈশ্বরের মন্ডলীর লোকেরা যেখান থেকে তিনি আমাদের ডেকে বের করে এনেছেন এবং একসাথে রক্ষা করেছেন। আমাদের ঈশ্বর আমাদের সমস্ত প্রকার পাপ থেকে রক্ষা করেছেন এবং জগৎ থেকে ডেকে বের করে এনেছেন। আমাদের প্রভুর পরিত্রাণের মধ্যদিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, যীশুতে বিশ্বাস করাইয়াছেন, এবং মন্ডলী গঠন করেছেন যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে সুসমাচারের সেবা করতে পারি। এই সত্য সাধুদের সমাগমের কারণে গঠিত হয়েছে।
 
 

জল ও আত্মার সুসমাচারের আলো ছড়িয়ে দিতে মন্ডলীর অস্তিত্ব বিদ্যমান

 
এক শেকল পরিমাণ সোনা গলিয়ে দীপাধারটি তৈরী করার কারণ হচ্ছে ঈশ্বরের মন্ডলীকে একত্রিত করা এবং সুসমাচারের পুষ্পকে মুকুলিত করা। এই দীপাধার ঈশ্বরের মন্ডলীকে নির্দেশ করে, এবং ইহা সমস্ত অন্ধকারকে আলোকিত করে। আর ইহাই মন্ডলীর একমাত্র উদ্দেশ্য। আমাদেরকে সেবা করার জন্য আবার নতুন জন্ম নেবার জন্য মন্ডলী প্রথমে অলঙ্কার হয়ে উঠে, এবং আমাদেরকে পরিবর্তন করে। আমি আপনি এবং সকলে যারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে তারা সকলে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার এবং আমরা অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব পালন করব যেন আমরা সুসমাচারের ফুল পূর্ণ ভাবে মুকুলিত করতে পারি। সমস্ত ধার্ম্মিক ব্যক্তি এবং ঈশ্বরের মন্ডলীদের অবশ্যই দীপাধারের নিয়ম বহন করতে হবে এবং সমস্ত পৃথিবীতে সুসমাচারের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে এবং আমাদের প্রভুর সেবা করতে হবে। 
আমরা নতুন কোন সম্প্রদায় স্থাপন করছি না। আমরা যদি কোন সম্প্রদায় নিয়ে বর্ণনা করতে চায় তবে সেটা হবে যীশুর সম্প্রদায়। যারা প্রভুর সেবা করছে আমরা সকলে ধার্ম্মিক। যখন আমরা দীপাধারের সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হয়ে উঠি এবং প্রভুর সেবা করি, আমরা অনুভব করব যে, অলঙ্কার স্বরুপ আমাদের সমস্ত প্রয়োজন পূরণ করেন। আমরা যদি প্রভুর কাছে আমাদের প্রয়োজনের কথা না ও জানাই, ঈশ্বর নিজে ঐ প্রয়োজন চাওয়ার আগে তা পূরণ করেন। সমস্ত কিছুই ঠিক সময়ে দেবেন, যেমনটি প্রভু বলেছেন, “কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে (মথি৬:৩৩)”। যারা সুসমাচারের সেবা করেন প্রভু তাদের সকলকে ধার্ম্মিক গণিত করেছেন। যে সমস্ত দাসেরা অলঙ্কারের নিয়ম পালন করে, এবং কঠিন সময়ের সম্মুখীন হয় প্রভু তাদের শক্তি দেন, এবং বলেছেন চিন্তা কর না, “উদ্দীপিত হও আমি তোমাদের সঙ্গে সর্বদা আছি।” যখন অলঙ্কারদের বিশ্বাস না থাকে, তখন তিনি তাদেরকে বিশ্বাস দান করেন এবং বলেন,“ তোমাদের বিশ্বাস শক্ত হউক। তোমরা তাঁর শক্তির মাধ্যমে সমস্ত কিছু করতে পার যিনি তোমাদের শক্তি যোগাইয়া দেন”। প্রভু তাদের উপরে তাঁর আশীর্বাদ প্রদান করেন। প্রভু সমস্যার সমাধান করেছেন, বলেছেন, আমার সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার, বাস্তবিকই তোমার এই জিনিসের প্রয়োজন। আমি তোমার জন্য সমস্ত প্রকার সমস্যা সমাধান করে দিব। তাঁর পূণ্য কাজের জন্য আমাদেরকে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেন, ঈশ্বর আমাদিগকে আশীর্বাদ করেন এবং ধার্ম্মিক ব্যক্তি যে অলঙ্কার হয়ে উঠে। 
আমরা যারা ধার্ম্মিক, আমরা কি করব,আমরা অবশ্যই সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হয়ে সুসমাচারের সেবা করব। আমাদের ছাত্ররা বিশ্বাসে সুসমাচারের অলঙ্কার হয়ে তাদের অবশ্যই পরিচালনা করবে।সুসমাচারের অলঙ্কার হিসেবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাসী গণ তাদের জায়গা থেকে জীবিকা অর্জনের জন্য তারা এটা অবশ্যই করবে। আমরা যা কিছু করি, প্রভুর অলঙ্কার হওয়ার জন্য আমরা সকলে অবশ্যই তা করি। সুসমাচারের অলঙ্কারের নিয়ম পালনের মধ্যেই আমাদের ধার্ম্মিকতার অস্তিত্ব বিদ্যমান, আর এটাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, প্রকৃত পক্ষে আমরা কী ভাবে বেঁচে থাকতে পারি। সুসমাচারের ফুল মুকুলিত করার জন্য সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হওয়া আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আমরা নিজেরা ফুল নয়। সুসমাচারের ফুল হচ্ছেন যীশু। সত্যের আলোও হচ্ছেন যীশু। আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমেই এবং নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা সুতার সত্য পরিত্রাণে বিশ্বাসের মাধ্যমেই যীশুকে সমগ্র পৃথিবীতে প্রচার করছি। ১ম করিন্থীয় ১০:৩১ পদে লেখা আছে, “অতএব তোমরা ভোজন, কি পান, কি যাহা কিছু কর, সকলই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর”। আমাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বস্ত ভাবে অলঙ্কারের নিয়ম পূর্ণ করার মাধ্যমে সুসমাচার প্রচার করা।
লোকেরা তাদের যৌবন বয়সে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলে যে,“ কীভাবে আমি আমার ভবিষ্যত জীবনের মোড় ঘোরাবো? আমার প্রিয়জনরা কোথায় এবং আমার ভবিষ্যতের স্বামী বা স্ত্রী কী আছে? আমার ভবিষ্যতের স্বামী বা স্ত্রী কোথায়? তিনি ঈশ্বরের মন্ডলীতে, তিনি যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া আর কেউ না। তিনি কি করবেন? তিনিই আলোটি উজ্জ্বল করবেন। তিনিই হচ্ছেন জল ও আত্মার সুসমাচারের আলো। তিনি হচ্ছেন প্রভু, আর আমরা সকলে খ্রীষ্টের ভার্যা। প্রভু আপনাকে তাঁর মন্ডলীতে আসতে বলেছেন, তিনি বলেছেন যে, তিনি আপনার সাথে তাঁর মন্ডলীতে বাক্যের মাধ্যমে কথা বলবেন। প্রভু বলিতেছেন যে, তিনি অর্থাৎ প্রভু, আপনারা যখন সমস্ত হৃদয় দিয়ে সেই সত্যে যা নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা সুতাই প্রকাশ করেছেন, তাতে বিশ্বাস করে যদি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন তবে তিনি আপনাদের সাথে বাক্যের মাধ্যমে কথা বলবেন। তিনি আপনাকে বলেছেন যে, তিনি অর্থাৎ প্রভু আপনার কাছে এসে দেখা করবেন যখন আপনি তাঁকে বিশ্বাস করবেন। 
ধার্ম্মিক ব্যক্তিদেরকে অব্যশই তাদের চিন্তাতে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। যখন আপনি জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আপনার হৃদয় পূর্ণ করবেন, তখন পবিত্র আত্মা আপাকে প্রতিদিন সজাগ রাখবে। সমস্ত ধার্ম্মিক ব্যক্তিগণকে তাদের জীবনকে পবিত্র আত্মার চালনায় চালাতে হবে, যাতে তারা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারে। আমরা যখন তা করি তখন আমরা নিজেরাই আত্মিক চিন্তা থেকে জাগতিক চিন্তা গুলোকে অনুভব করতে হবে।
সম্ভবত আপনি আগে হয়তো পেঁয়াজের খোঁসা স্তর বাই স্তর ছিঁড়েছেন। প্রথমে সেখানে চামড়া থাকে, আর যখন আপনি তা ছিঁড়া শেষ করেন, তখন সেখানে আবার অন্য আরেকটি স্তর দেখা যায়, যার রং ঈষৎ সবুজ। আর আপনি যখন এই ঈষৎ সবুজ রং চামড়া ছিঁড়ে দেন, তখন ভিতরে সাদা একস্তর প্রকাশিত হয়। পুরো পেঁয়াজটি সাদা স্তর থেকে আরেক সাদা স্তর এ ভাবেই পেঁয়াজটি তৈরী। যখন ইহা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে তখন সাদা চামড়াটি ও অনাবৃত হচ্ছে, ঐ সময় ঐ অনাবৃত স্তরটি পীতাভ রঙ এর চামড়াতে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু আবার যখন এই পীতাভ রং এর চামড়াটি ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে তখন আবার ঐ সাদা রংএর স্তরটিই প্রকাশ পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আবার ঐ ভিতরের চামড়াটি বাইরের চামড়ার রুপে পরিণত হচ্ছে যখন তুমি সতেজ অংশটু পাওয়ার জন্য আবার পেঁয়াজটি ছিঁড়ছো। 
আমাদের মাংসও ঐ পিঁয়াজের মতো, তাই আমরা ও অবশ্যই আমাদের প্রতিদিনের জাগতিক চিন্তা গুলো প্রতিদিনই দূর করে দিব। এখন আপনি নিজে ভাবুন, “আমি যখন রক্ষা পেয়েছিলাম তখন নিজেকে অস্বীকার করেছিলাম, কিন্তু পাপের ক্ষমা লাভের পর কি আমি নিজেকে বার বার অস্বীকার করি? আপনার কি কোন ধারণা আছে যে গতবছর নিজেকে আমি কত বার অস্বীকার করেছি? আমার হৃদয়কে এভাবে ঘোরানো ছিল যথেষ্ট কঠিন, কিন্তু এখন কি আমি আবার করছি? এটা আসলে খুবই কঠিন”। কিন্তু ভাই ও বোনেরা তোমরা তোমাদের মাংসিক চিন্তা গুলো দুর করে দাও, আর এই কাজটি হবে তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালকাজ। প্রভু আমাদিগকে বলিতেছেন যে, আমাদের মাংসিক চিন্তাকে পিঁয়াজের খোঁসার মতো ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে। আর এটই হবে তোমাদের জন্য সবচেয়ে সঠিক পথ।
আমাদের প্রভু বাক্যের মাধ্যমে আমাদের সাথে দেখা করতে চান। তিনি আমাদের সাথে দর্শনরুটির টেবিলে, দীপাধারে, বেদীর ধুপে এবং অনুগ্রহের সিংহাসনের সম্মুখে দেখা করতে চান। এখানে আমি যা বলতে চাচ্ছি সেটা তা নয় যে নিজেকে অস্বীকার করার জন্য আপনাকে চাপ দেওযা হবে এবং এতে বিশ্বাস না থাকা স্বত্বেও আপনাকে বিশ্বাস করাতে মনস্ত করা হবে, কিন্তু আপনাকে বিশ্বাসে আপনার সমস্ত হৃদয় দিয়ে নিজেকে অস্বীকার করতে হবে। একন আপনি বুঝতে পারছেন? প্রভু আপনাকে শুধু বলার জন্য বলছেন না, আপনার ভালোই বলছেন, যদি আপনি নিজেকে অস্বীকার করেন, কিন্তু তিনি চান যেন আপনি অবশ্যই তা করেন। যখন আপনি আপনার জোর করবেন যে আপনি অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবেন, তখন দেকবেন যে,আপনি আপনার আত্মবিসর্জন আপনি নিজে অর্জন করে ফেলেছেন। আপনার অনুভব ছাড়াই ইহা আপনার কাছে পৌছাবে। “অহো আমি নিজেকে কী ভাবে অস্বীকার করতে পারলাম”। কিন্তু সাধারণ নিয়ম যদি সে না শেখে থাকে এবং লোকেরা যদি তাদের ইচ্ছাকে প্রধান্য দেয়, তবে এটা অর্জন করতে শুধু অসম্ভব হযে উঠবে না বরং তারা তাদের বিশ্বাসই হারাবে। যখন আমরা প্রভুর অনুগ্রহেই আমাদের হৃদয়কে পোষ মানাব, তবে আমরা অবশ্যই আমাদের মাংসিক চিন্তাকে আমাদের বশে আনতে পারব। অবশ্যই, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অনেক বাধা-বিপত্তি দেখা দেবে, কিন্তু আমরা তা অর্জন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব, পরিশেষে আমরা তা অর্জন করে নেব। এটাই কি স্বাভাবিক নয়? কারন, প্রভু আমাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং তাঁর দাস তৈরী করেছেন। এমন কোন জিনিস নেই যা আমরা করতে পারব না, যেমনটি প্রেরিত পৌল বলেছেন, “যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলেই করিতে পারি” (ফিলিপীয় ৪:১৩)। এ ছাড়াও যখন সুসমাচারের ফুল মুকুলিত করার সময় আসবে তখন আপনি যদি সবার চাইতে ছোট অলঙ্কারও হন, সুসমাচার মুকুলিত হবেই । এমন কি আছে যা আমরা করতে পারি না? আমরা যখন অলঙ্কার হওয়াতে অবহেলিত হয়, তখন প্রভু আমাদেরকে সুসমাচারের ফুল বানিয়ে আমাদের আত্মাকে রক্ষা করবেন, আমরা কি তাঁর সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার হয়ে উঠতে পারব না? অবশ্যই আমরা পারব। 
আমাদের হৃদয়ে আমরা অবশ্যই বিশ্বাস স্থাপন করব। আমরা যা কিছু করব, তা সঠিক কিনা তা দেখার চেষ্টা করব। আর যদি সঠিক হয়, তবে বলব, “হ্যাঁ এটাই সঠিক,” এবং কোনটা ভুল তা ভুল বলে জানবো, বলব,‘‘ না, আমার চিন্তাটাই ছিল ভুল। আমিই ভুল ছিলাম। ঈশ্বরকে অনুসরণ, নিজেকে অস্বীকার এবং আমাদের নিজের ইচ্ছাকে বশীভূতকরণ ব্যতিরেকে এটার কিছু হতে পারে না। আমরা যখন আমাদের মাংসিক ইচ্ছকে রেখে দেব, তখন আমাদের প্রভু আমাদের আকার বদলাবেন। যেভাবেই হোক, আমরা নিজেদের আকারকে বদলাতে পারি না। আত্মিক ব্যক্তি হওয়ার পরও যে আপনি নিজের চেষ্টায় সেটা অর্জন করবেন তা সম্ভব নয়। ঈশ্বরের সম্মুখে আমরা সঠিক না ভুল তা দেখতে আমরা কি করব, আর আমরা যদি ভুল হই তবে আমরা যা কিছুই করি না কেন, তাতে নত হয়ে বলব যে, “হ্যাঁ প্রভু! শুধু মাত্র তুমিই সত্য, এবং আমিই মিথ্যা।” যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এটা করব, আমাদের মনের অন্ধকার দূর হয়ে যাবে। প্রভু আমাদের বলেন,“তোমার মতো, একজনের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছি। আমি তোমার দিকে আলো ঘুরিয়ে দিয়েছি”। আমাদের প্রভু আমাদেরকে বলিতেছেন, “সকলেই দীপ্তি দ্বারা প্রকাশ হইয়া পড়ে; বস্তুতঃ যাহা প্রকাশ হইয়া পড়ে, তাহা সকলেই দীপ্তিময়”(ইফিষীয়৫:১৩)। 
আমাদের ইচ্ছাশক্তির বাইরে আমরা করতে পারব না এমন কোন জিনিস নাই। আমরা যা কিছু করি, সমস্ত কিছই তা পবিত্র স্থানে বাস করে। আর আমরা যখন বিশ্বাসে পবিত্র স্থানে বাস করি তখন ঈশ্বর আমদের মধ্যে কাজ করেন। আমাদেরকে বিশ্বস্ত অলঙ্কার বানাতে ঈশ্বর আমাদের উপরে প্রচুর আশীর্বাদ বর্তিয়েছেন। কারণ বাস্তবিকপক্ষেই আমাদের মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে চান, তিনি আমদেরকে আরো বেশি আশীর্বাদ দিতে চান। আমি আশা করি আপনারা সকলে এই সত্যে বিশ্বাস করবেন। এবং আমি আরো আশা করি, আপনি ঈশ্বরের সমস্ত বাক্যে বিম্বাস করেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন? আপনাকে যখন এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে তখন আপনি যদি হ্যাঁ বোধকে উত্তর দেন তবে আপনার বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বাসের রাজ্যটা এইরূপ, যে নিজে ছাড়া অন্য কেউই শিখতে পারে না। 
যাজক, এবং আমদের সকল ভাই ও বোনেরা তাঁরা সবাই সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার। আপনি হচ্ছেন একজন কুৎসিত অলঙ্কার কিন্তু আমি একজন সুন্দর অলঙ্কার।” আমি জানি যে, আপনাদের মধ্যে মনে হয় এ রকম চিন্তা করে, কিন্তু যখন ঐ রকম চিন্তা আপনার মধ্যে জেগে উঠবে, আপনি তখন ঘুরে দাঁড়াবেন, এবং অনুভব করবেন যে এই ধরণের চিন্তার কারণে আপনি ঈশ্বরের মনের নির্দেশনা থেকে অন্য পথ যাচ্ছেন। অলঙ্কাররা কোন ধরণের কাজ করলে অন্যান্য সাধুদের সাথে উদ্দেশ্যেহীন পুরষ্কারের প্রতিযোগিতা করা হবে? একজন অলঙ্কারকে কত সুন্দর দেখাবে সেটা কোন বিষয় না, কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কি ফুলের চেয়েও সুন্দর? অলঙ্কাররা যদি ফুলের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়, তবে ফুলটি হয়ে যাবে ব্যবহারের অযোগ্য যা সন্তুষ্ট জনক না। একটি ছোট ইট বা বড় ইট এই দুটো ইটই বাড়ির দেয়াল তৈরীতে ব্যবহৃত হয়, তেমনি আমরা সকলে খারাপ হই বা ভাল হই আমাদের প্রত্যেককে সুসমাচারের ফুল মুকুলিত করতে আমাদের প্রয়োজন।
এই স্থান থেকে, আমরা কাউকে অবহেলার চোখে দেখি না। আমরা একে অন্যকে করি, এবং চিন্তা করব যে, আমরা সকলে খুবই মূল্যবান। প্রত্যেকেই মূল্যবান এবং প্রত্যেকেরই প্রয়োজন আছে। ঈশ্বর যেমন মোশীকে পরিত্রাণের নিয়ম অনুসারে খাঁটি সোনা দিয়ে দীপাধার তৈরী করতে বলেছিলেন, তেমনি তিনি আমাদেরকে ধার্ম্মিকতায় পরিণত করেছেন এবং জল ও আত্মার সুসমাচারের সেবা করণার্থে সৌন্দর্য্যরে অলঙ্কার তৈরী করেছেন। ঈশ্বর আমাদেরকে অনুগ্রহ করার জন্য তাঁর সুসমাচার আমাদের মাধ্যমে ছড়িয়েছেন। এমনকি এখনও ঈশ্বর তাঁর মন্ডলীর মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়াচ্ছেন। এই সুসমাচার ছড়ানোর মাধ্যমে এবং অলঙ্কারদের মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁর সত্য ভালবাসা পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে প্রকাশিত করতে চান। হাল্লেলুয়া!