Search

خیمۂ اِجتماع دا مطالعہ

পবিত্র স্থান

ملدے جُلدے خطبے

· সমাগম তাম্বুর প্রত্যেক তক্তার রৌপ্যের দুইটি চুঙ্গি ও দুইটি পায়া (যাত্রাপুস্তক ২৬:১৫-৩৭)

সমাগম তাম্বুর প্রত্যেক তক্তার রৌপ্যের দুইটি চুঙ্গি ও দুইটি পায়া
(যাত্রাপুস্তক ২৬:১৫-৩৭)
“পরে তুমি আবাসের জন্য শিটীম কাষ্ঠের দাঁড় করান তক্তা প্রস্তুত করিবে। প্রত্যেক তক্তা দীর্ঘে দশ হস্ত ও প্রস্থে দেড় হস্ত হইবে। প্রত্যেক তক্তার পরস্পর সংযুক্ত দুই দুই পায়া থাকিবে; এইরূপে আবাসের সকল তক্তা প্রস্তুত করিবে। আবাসের নিমিত্তে তক্তা প্রস্তুত করিবে, দক্ষিণদিকে দক্ষিণ পার্শ্বের নিমিত্তে বিংশতি তক্তা। আর সেই বিংশতি তক্তার নীচে চল্লিশ রৌপ্যের চুঙ্গি গড়িয়া দিবে; এক তক্তার নীচে তাহার দুই পায়ার নিমিত্তে দুই চুঙ্গি, এবং অন্য অন্য তক্তার নীচেও তাহাদের দুই দুই পায়ার নিমিত্তে দুই দুই চুঙ্গি হইবে। আর আবাসের দ্বিতীয় পার্শ্বের নিমিত্তে উত্তরদিকে বিংশতি তক্তা; আর সেইগুলির জন্য রৌপ্যের চল্লিশ চুঙ্গি; এক তক্তার নীচে দুই চুঙ্গি ও অন্য অন্য তক্তার নীচেও দুই দুই চুঙ্গি; আর আবাসের পশ্চিমদিকের পশ্চাদ্ভাগের নিমিত্তে ছয়খানি তক্তা করিবে। আর আবাসের সেই পশ্চাদ্ভাগের দুই কোণের জন্য দুইখানি তক্তা করিবে। সেই দুই তক্তার নীচে যোড় হইবে, এবং সেইরূপ মাথাতেও প্রথম কড়ার নিকটে যোড় হইবে; এইরূপ উভয়েতেই হইবে; তাহা দুই কোণের নিমিত্তে হইবে। তক্তা আটখানা হইবে, ও সেইগুলির রৌপ্যের চুঙ্গি ষোলটী হইবে; এক তক্তার নীচে দুই চুঙ্গি, ও অন্য তক্তার নীচে দুই চুঙ্গি থাকিবে। আর তুমি শিটীম কাষ্ঠের অর্গল প্রস্তুত করিবে, আবাসের এক পার্শ্বের তক্তাতে পাঁচ অর্গল, ও আবাসের অন্য পার্শ্বের তক্তাতে পাঁচ অর্গল, এবং আবাসের পশ্চিমদিকের পশ্চাদ্ভাগের তক্তাতে পাঁচ অর্গল দিবে। এবং মধ্যবর্ত্তী অর্গল তক্তাগুলির মধ্যস্থান দিয়া এক প্রান্ত অবধি অন্য প্রান্ত পর্য্যন্ত যাইবে। আর ঐ তক্তাগুলি স্বর্ণে মুড়িবে, এবং অর্গলের ঘর হইবার জন্য স্বর্ণকড়া গড়িবে, এবং অর্গল সকল স্বর্ণ দিয়া মুড়িবে। আবাসের যে আদর্শ পৰ্ব্বতে তোমাকে দেখান গেল, তদনুসারে তাহা স্থাপন করিবে। আর তুমি নীল, বেগুনে ও লাল এবং পাকান সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা এক তিরস্করিণী প্রস্তুত করিবে; তাহা শিল্পকারের কৰ্ম্ম হইবে, তাহাতে করূবগণের আকৃতি থাকিবে। তুমি তাহা স্বর্ণে মুড়ান শিটীম কাষ্ঠের চারি স্তম্ভের উপরে খাটাইবে; সেইগুলির আঁকড়া স্বর্ণময় হইবে, এবং সেইগুলি রৌপ্যের চারি চুঙ্গির উপরে বসিবে। আর ঘুন্টি সকলের নীচে তিরস্করিণী খাটাইয়া দিবে, এবং তথায় তিরস্করিণীর ভিতরে সাক্ষ্যসিন্দুক আনিবে; এবং সেই তিরস্করিণী পবিত্র স্থানের ও অতি পবিত্র স্থানের মধ্যে তোমাদের জন্য প্রভেদ রাখিবে। আর অতি পবিত্র স্থানে সাক্ষ্য- সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখিবে। আর তিরস্করিণীর বাহিরে মেজ রাখিবে,ও মেজের সম্মুখে আবাসের পার্শ্বে, দক্ষিণদিকে দীপবৃক্ষ রাখিবে; এবং উত্তরদিকে মেজ রাখিবে। আর তাম্বুর দ্বারের নিমিত্তে নীল, বেগুনে, লাল ও পাকান সাদা মসীনা সূত্রনির্ম্মিত শিল্পকারের কৃত এক পর্দ্দা প্রস্তুত করিবে। আর সেই পর্দ্দার নিমিত্তে শিটীম কাষ্ঠের পাঁচটী স্তম্ভ নির্ম্মান করিয়া স্বর্ণে মুড়িবে, ও স্বর্ণ দ্বারা তাহার আঁকড়া প্রস্তুত করিবে, এবং তাহার নিমিত্তে পিত্তলের পাঁচ চুঙ্গি ঢালিবে।”
 
তক্তা
সমাগম-তাম্বুটি ৪৮ টি তক্তা দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল; উত্তর ও দক্ষিণ প্রতি দিকের জন্য ২০টি তক্তা করে, পূর্ব দিকের ছয়টি তক্তা এবং পিছনের দুই পাশের জন্য দুইটি তক্তা করে। প্রতিটি তক্তা ৪.৫ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ৬৭.৫ সেঃ মিঃ প্রস্থে মাপা হয়েছিল। প্রত্যেক তক্তায় দুটি করে রৌপ্যের পায়া ও দুটি করে চুঙ্গি পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় ছিল। এটা আমাদের কাছে আবারও প্রকাশ করে যে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ একমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণ সাধিত হয়।
 
 

ঈশ্বরের অনুগ্রহ খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণ

 
অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ান জানে এবং এমনকি উচ্চকন্ঠে ইফিষীয় ২:৮-৯ এই বিখ্যাত পদটি বলে, “কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান; তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে”। কিন্তু হতভাগ্য বশত, তারা জানে না সত্যিকারের অনুগ্রহ কি এবং পাপমুক্ত হবার জন্য তাদের কোন প্রকার বিশ্বাস প্রয়োজন? যাহোক, রৌপ্যের দুই পায়া এবং পরস্পর সংলগ্ন দুই চুঙ্গির রহস্য আমাদের কাছে পরিষ্কার রূপে ঈশ্বরের পরিত্রাণের রহস্য প্রকাশ করে।
তক্তার নিচে স্থাপিত দুই পায়া ও রৌপ্যের দুই চুঙ্গির সত্যতা বোঝার জন্য প্রথমে আমাদের সুসমাচারের ভিত্তির সত্যতা সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। সমাগম-তাম্বুর সকল দরজায় নীল, বেগুনী, লাল ও সাদা মসীনা সুতার বস্ত্রের পর্দা ছিল। এই চারটি রং আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে, আমাদের পাপ ও বিনাশ থেকে মুক্ত হবার জন্য যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের প্রয়োজন ছিল। আর এগুলো আমাদের যীশুর পরিত্রাণের সত্যতা এবং যেকোন প্রকার সন্দেহ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। আমাদের অবশ্যই পাপ মুক্ত হবার জন্য এ সত্যতা সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে; নীল, বেগুনী,লাল ও সাদা মসীনা বস্ত্রে এটাই প্রতীয়মান হয় আর আমাদের এটা বিশ্বাস করা উচিত।
 যীশু বলেছিলেন, “আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে” (যোহন ৮:৩২পদ)। এরূপে, আমাদের প্রত্যেককে অবশ্যই আত্মিক সত্যতা জানার মাধ্যমে সত্যিকারের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে হবে যা সমাগম-তাম্বুর সন্মুখে ও মহা পবিত্র স্থানের পর্দার চার রঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। নীল, বেগুনী ও লাল এবং সাদা মসীনা বস্ত্র সমাগম- তাম্বুর দরজার পর্দার উপকরণ।
অন্য কথায়, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ত্রাণকর্তা এবং যারা তাকে বিশ্বাস করে তাদের রাজা, যিনি একদা যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সকল পাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছিলেন এবং চিরতরে আমাদের সকল পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন আর পৃথিবীর সকল পাপ বহন করার মাধ্যমে তিনি ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন। যীশু খ্রীষ্ট, যিনি আমাদের রাজা, তিনি বাপ্তাইজিত ও ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যথাযথভাবে আমাদের পাপমুক্ত করেছিলেন এ কারনে নীল ও লাল বস্ত্র আমাদের কাছে প্রকাশ করে যা আমাদের পাপমুক্ত হবার জন্য অপরিহার্য। আমাদের পাপ তুলে নিতে যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং জগতের পাপ বহন করেছিলেন, আর তিনি ক্রুশে রক্ত সেচন করে, চিরতরে আমাদের সকলকে আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন, এভাবে তিনি তাঁর পরিত্রাণের কার্য সম্পন্ন করেছিলেন।
এখানে, অবশ্যই আমাদের এই চারটি দিক বিশ্বাস করতে হবে যে, নীল বস্ত্র (যীশু বাপ্তিস্ম), লাল বস্ত্র (তাঁর রক্তসেচন), বেগুনী বস্ত্র (তিনি আমাদের রাজা) এবং সাদা মসীনা বস্ত্র (তিনি এই জটিল পৃথিবীর নির্মাণ কর্তা এবং আমাদের ধার্মিক রূপে তৈরি করেছেন) আমাদের পরিত্রাণের জন্য তিনি এ উপাদান গুলো ব্যবহার করেছিলেন। আমাদের বুঝতে হবে যে, যদি আমরা এগুলোর সব কটি ছাড়া কেবলমাত্র একটিতে বিশ্বাস করে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবার চেষ্টা করি তাহলে এরূপ পরিত্রাণ পরিপূর্ণ পরিত্রাণ হবে না। কেন? কেননা সমাগম তাম্বু প্রত্যেকটি তক্তার দুটি পায়ায় রৌপ্যের চুঙ্গি ছিল যা তক্তা গুলোকে আঁকড়ে রাখত। 
বাইবেলে ঈশ্বরের উপহার, রৌপ্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ চিহ্নিত করে। আর রোমীয় ৫:১-২পদে এটা লিখিত আছে, “অতএব বিশ্বাসহেতু ধার্ম্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সন্ধি লাভ করিয়াছি; আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।” আমাদের পরিত্রাণ কেবলমাত্র তখনই অনুমোদিত হতে পারে যখন আমাদের বিশ্বাস সঠিকভাবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়। যেমন সমাগম-তাম্বুর প্রত্যেক তক্তার নিচে দুটি পায়া আর এই পায়াগুলোর ভার বহন করার জন্য রৌপ্যের চুঙ্গি অনুরূপভাবে ঈশ্বর আমাদের বলেছেন যে, আমাদের পরিত্রাণ সম্পূর্ণরূপে সাধিত হয় তখন যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত উভয়েই বিশ্বাস করি।
 এ কারনে আমাদের সকলকে বিশ্বাস করতে হবে এবং প্রধান বিষয়বস্তু কেন প্রতিটি তক্তার দুটি পায়া সামনের দিকে সম্প্রসারিত ছিল।
তক্তার এই দুটি পায়া ও দুটি চুঙ্গি হল জল ও আত্মা সুসমাচারের প্রতীক, যেটি নূতন নিয়মের সময়ে যীশু এসেছিলেন, যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে রক্ত সেচন ও ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আর এভাবে আমাদের পরিত্রাণ সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন করেছিলেন।
অন্য কথায়, পাপ ক্ষমার অনুগ্রহ, এটা যারা প্রকৃতভাবে কেবলমাত্র তাদের হৃদয়ে ধার্মিকতার পরিত্রাণে বিশ্বাস করে যা যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে ও তাদের পাপ মোচন করার জন্য ক্রুশে রক্ত সেচন করে সম্পন্ন করেছিলেন। এরূপে, আমাদেরকে আমাদের পাপ থেকে মুক্ত হবার জন্য আমাদের যীশুর এদুটো কাজে বিশ্বাস করা প্রয়োজন। বাস্তবিকপক্ষে, সমাগম-তাম্বুর প্রতিটি জিনিসই যীশু, যিনি আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছেন তাঁর প্রতিটি কাজের বিশদ বর্ণনা করে। এটার এমন কোন কারণ ছিল না যার জন্য ঈশ্বর সমাগম-তাম্বুতে ইস্রায়েল লোকদের ব্যবহারের জন্য প্রতিটি তক্তার দুটি করে পায়া এবং রৌপ্যের চুঙ্গি তৈরি করেছিলেন।
আমরা পাপমুক্ত হয়েছি এবং আমাদের সকল পাপ ও অপরাধ থেকে যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে রক্ত সেচন যা ঈশ্বর আমাদের প্রদান করেছেন তাঁর এসমস্ত কাজের মাধ্যমে রেহাই পেয়েছি। অন্য কথায়, এটা হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা যার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার পেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস হল খাঁটি সোনার তৈরি যা ঈশ্বর আমাদের প্রদান করেছেন।
 
 
আপনি কি এখনো জানেন না প্রকৃতপক্ষে আপনি কে এমন কি যীশুকে বিশ্বাস করার পরেও?
 
 আপনি কি নিজেকে ভাল বলে বিবেচনা করেন? আপনি কি নিজের সম্বন্ধে চিন্তা করেন যে আপনি ধার্মিকতার চরিত্রের অধিকারী যা কিনা কোন অধার্মিকতার সঙ্গে একেবারেই তুলনা করা যায় না, যেকোনো অবস্থায় বা যেকোনো পরিবেশেই? আপনি কি মনে করেন যে, যেকোন ভাবে আপনি ঈশ্বরের সন্মুখে ধার্মিক, কারণ আপনি ঈশ্বরের দশ আজ্ঞা আপনার হৃদয়ে রেখেছেন এবং আপনার জীবনে এগুলো মেনে ও অনুসরন করে চলার চেষ্টা করছেন? যখন আমরা একান্তে ব্যাভিচার ও অবিবাহিত অবস্থায় সহবাস করি তখন আমরা কেবলমাত্র ধার্মিক হবার জন্য এসব ছলোনা করি।
বর্তমানে, স্যাটেলাইট টিভিতে ১০০ চ্যানেল দেখা যাচ্ছে। দিনে ২৪ঘন্টা এই চ্যানেল গুলো তাদের নিজেদের বিশেষ প্রোগ্রাম দেখাচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছে মোটের উপর এই চ্যানেল গুলোর মধ্যে, বানিজ্যিকভাবে সবচেয়ে সাফল্যপ্রাপ্ত চ্যানেলগুলো হল প্রাপ্ত বয়স্কদের চ্যানেল। সেখানে এরুপ অনেক রকমের প্রাপ্ত বয়স্কদের চ্যানেল রয়েছে যেখানে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন প্রকার আত্মসংযোগ হারানো পনোগ্রাফির উপাদান রয়েছে। পর্নোগ্রাফির ওয়েব সাইটের অবস্থা কি? বলা নিষ্প্রয়োজন, বর্তমানে পর্নোগ্রাফির স্পাম-মেইলগুলোর মহা প্লাবন বয়ে চলছে। প্রত্যেকের এই অশ্লীল ওয়েব-সাইটের জন্য পরিতাপ করা উচিত, কিন্তু যখন আমরা এর সরবরাহের আইন ও ফরমাস নিয়ে চিন্তা করি, তখন আমরা দেখি তাদের সাফল্যের একমাত্র অর্থ হল অগণ্য মানুষ তাদের এরুপ ওয়েব সাইট উপভোগ করে। 
এই বাহ্যমুর্তি আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে, আমরা মানুষ সৃষ্টির প্রথম থেকেই কলুষিত ও নোংরা। বাইবেল উদাহরনের সাহায্যে মানব জাতির পাপর্পূণ হৃদয় ব্যাভিচার, অবৈধ সম্পর্ক ও অসৎচরিত্র চিহ্নিত করে। ঈশ্বর বলছেন এই জিনিস গুলো মানুষের হৃদয় থেকে আসে এবং তাদের কলুষিত করে এভাবে তারা পরিস্কার রুপে পাপ করে। আমরা কি তাহলে সকলে পাপেপূর্ণ। ঈশ্বর বারংবার বলেছেন যে, সহজাত বৈশিষ্ট্যের জন্য আমরা পাপে পূর্ণ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা কি এটা স্বীকার করি? এটা কিভাবে? আমরা কি পাপের বৈশিষ্ট্য থেকে পালাতে পারি যা আমাদের চোখ বন্ধ এবং কান আবৃত রেখেছে? আমরা সংযত হতে।
 পারিনা কিন্তু সব রকমের পাপ আমরা আমাদের মনের কল্পনা ও চিন্তাধারা দিয়ে করে থাকি। এটা কোন ব্যাপার না যে আমরা নিজেদেরকে কতটা বলি যে, আমাদের এরপ পাপ থেকে দুরে যেতে হবে, আর এটা কোন ব্যাপার না যে আমরা কতটা কঠোর চেষ্টা করি এরূপ করার জন্য, এসবই অসার। বস্তুতঃ আমাদের মাংস এরুপ যে, আমরা পবিত্র ব্যক্তি যে কখনও মাংসিক পাপ করেনি, তার মত হতে পারিনা, কিন্তু আমাদের আসলে পাপের সহিত কুটুম্বিতা আছে, এটা থেকে পৃথক হবার কোনআগ্রহ নেই হৃদয় ও মাংস মানবজাতিকে সবসময় পবিত্র জিনিস থেকে দুরে সরাতে চায়, আর এটা একটা ব্যাপার, অধিকন্তু, তারা পাপে আবদ্ধ হতে চায় না কিন্তু এমনকি সবচেয়ে বড় পাপ তারা করে।
পূর্বে, জন্ম থেকে চীনা দার্শনিক কনফিউশাস সংক্রান্ত অনেক কিছু তাদের শিক্ষা দিত আর তারা তাদের এই শিক্ষা বাস্তবে চর্চার জন্য কঠোর চেষ্টা করত। অন্যদিকে, পশ্চিমে, ক্যাথলিক বা আইন বলে সৃষ্টি খ্রীষ্টিয়ান গীর্জাগুলো এর ধর্মীয় ভাবমূর্তির উপর কর্তৃত্ব করত আর অনেক পশ্চিমা লোক কঠোর চেষ্টা করত ঈশ্বরের এই আইন মেনে চলতে, আর চিন্তা করত যে, তারা পবিত্র ও পবিত্র হতে পারবে যতক্ষণ তারা এই কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারবে। সম্ভবত এটা কোন ব্যাপার না যে, তাদের ধর্মীয় পটভূমি কি, যখন তারা নিজেদের ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হয় এবং নিজেদের সত্য রূপে প্রকাশ করতে চায় তখন তারা কেবলমাত্র মন্দ ও মনের বীজ রূপে আর্বিভূত হয়।
মানুষ অর্ধামিক, দোষে পূর্ণ, এবং পাপে পূর্ণ ধূলা ও নোংরা দিয়ে তৈরী। আপাতঃ দৃষ্টিতে, ভাল লোক যারা তারা লোক দেখানোর জন্য নয় কিন্তু তাদের অকপট হৃদয়ে ভাল কাজ করে এবং যারা সত্যিকারেই তাদের ভাল কাজের জন্য প্রশংসা পেতে অসচ্ছন্দ বোধ করে, এমনকি তারাও তাদের মৌলিক প্রকৃতি যা ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রতিফলিত হয় তা থেকে পালাতে পারে না, তারা পাপেপূর্ণ এবং মন্দতার বীজ। কেননা মানুষের মন্দ ধার্মিকতা ঈশ্বরের সাক্ষাতে একটি বড় পাপ, ঈশ্বরের প্রেমে মানুষ পাপে বিচারাজ্ঞা থেকে তারা তাদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত এবং জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ না করা পর্যন্ত পালাতে পারে না। ঈশ্বরের সাক্ষাতে মানুষের কোন অর্জনই ভাল বলে অনুবাদিত হতে পারে না, তারা ধুলিসম এবং মানব জাতির ইচ্ছা তাঁর সাক্ষাতে কেবলমাত্র আর্বজনা।
 বাইবেলে, পরোক্ষভাবে মানুষ হল বৃক্ষ/কাঠ। একটি শিঠীম কাঠের গুড়ি ঈশ্বর প্রথমে এটা স্বর্ণ দিয়ে মোড়ান না পর্যন্ত ঈশ্বরের মন্দিরের প্রবেশ পথের পিলারের জন্য এটা নিজে উত্তোলিত হতে পারেনা। আর ঈশ্বরের অনুগ্রহের পরিত্রাণ ব্যতীত মানুষ ধুলার চেয়ে বেশী কিছু হতে পারেনা যা আগুনের দন্ডাঞগার সম্মুখীন হয়।
যাহোক, আমরা কেবল মাত্র পাপই ছিলাম, ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্ট মশীহের বাপ্তিস্ম ও রক্ত সেচনের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ ও অপরাধ তুলে নিয়েছিলেন। এরূপ পরিত্রাণ সম্বন্ধে মশীহ আসবার এক হাজার বছর পূর্বে রাজা দায়ূদ ভবিষৎ বাণী করেছিলেনঃ “পশ্চিম দিক হইতে পূর্ব্ব দিক যেমন দূরবর্ত্তী, তিনি আমাদের হইতে আমাদের অপরাধ সকল তেমনি দূরবর্ত্তী করিয়াছেন। পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুনা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুনা করেন। কারণ তিনি আমাদের গঠন জানেন; আমরা যে ধূলিমাত্র, ইহা তাঁহার স্মরণে আছে” (গীতসংহিতা ১০৩:১২-১৪)।
পূর্বে আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে জেনেছি, মানব জাতির ধার্মিকতা ছিল আমাদের জীবনের নির্ধারিত বিধি। যখন আমি ঈশ্বর প্রদত্ত পরিত্রাণ সম্বন্ধে জানতাম না এবং তার বাক্যে বিশ্বাস ছিলনা, তখন আমিও এটা পছন্দ করতাম, বস্তুত আমার নিজের কোন ধার্মিকতা ছিলনা, কিন্তু তখনও আমি নিজেকে উপযুক্ত মনে করেছিলাম। সুতরাং আমার শৈশব থেকে আমি অনেক সময় কোন অনুচিত কাজ সহ্য করতে পারতাম না, এমন কি যাদের সঙ্গে আমার খাপ খেতনা তাদের সঙ্গে আমার সংঘাত বাঁধত। “ধার্মিকতার জীবন যাপন করা” এটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। এরূপ, আমি নিজেকে ঈশ্বরের সম্মুখে দেখতে ব্যর্থ হয়েছি, তাই আমি আমার নিজের ধার্মিকতায় পূর্ণ ছিলাম। সুতরাং আমি নিজেকে অন্যদের চেয়ে উত্তম মনে করেছিলাম এবং ধার্মিক ভাবে জীবন যাপন করার জন্য কঠোর চেষ্টা করে ছিলাম।
কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতার সম্মুখে আমার মত এরূপ একজন ব্যক্তি পাপে পূর্ণ মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি এমন কেউ ছিলাম না যে ঈশ্বরের দশ আজ্ঞার একটি ও পালন করতে বা ৬১৩টি আইনের একটিরও বাধ্য ছিলাম। প্রকৃত ঘটনা হল অধার্মিকতায় এগুলো পালন করার ইচ্ছা আমার ছিল, যা ছিল ঈশ্বরের বাক্যের বিরুদ্ধাচারন, আর আমি পাপ করে সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিলাম এবং যা ছিল ঈশ্বরের বিপরীত। মানব জাতির সমস্ত ধার্মিকতা ঈশ্বরের সম্মুখে অধার্মিকতা।
এই প্রজন্ম, যেটি অসচ্চরিত্রের বন্যা এবং কলুষিত অবস্থার মধ্যে ঈশ্বর এবং তাঁর নীতি হারিয়েছে, এমন কি অপরাধ বোধ টুকুও হারিয়েছে। যা হোক, আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা মানুষ প্রতিদিন পাপ না করে থাকতে পারি না, আর যেজন্য আমরা নরকের দন্ড প্রাপ্তি থেকে কোন ভাবেই বাদ পড়িনা।
 
 
আমরা অধার্মিক ও পাপে পূর্ণ ছিলাম, কিন্তু প্রভু এখনআমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা তাঁর নিজের করে তৈরী করেছেন।
 
আমরা সকল অধার্মিক ছিলাম, কিন্তু পরিত্রাণর উপহারের মাধ্যমে প্রভু আমাদের মত মানুষকে আমাদের সকল পাপ মুক্ত করেছেন, পবিত্র স্থানের প্রতিটি তক্তা র্দৈঘ্য ৪.৫ মিটার ও প্রস্থ ৬৭.৫ সেঃ মিঃ শিটিম কাঠের উপর স্বর্ণ দ্বারা মোড়ান। পবিত্র স্থানের দেয়ালের মত ছিল। প্রতিটি তক্তার নিচে তক্তার ভার বহন করার জন্য দুটি করে রৌপ্যের চুঙ্গি ছিল। এখান রৌপ্যের চুঙ্গি দুটিতে প্রতিয়মান হয় যে, ঈশ্বর আমাকে এবং আপনাকে নিজে সম্পূর্ণরূপ পাপ মুক্ত করেছেন।
 সত্য হল যে, ঈশ্বর তাঁর প্রেমে আমাদের পাপমুক্ত করেছেন, যে জন্য তিনি এই পৃথিবীতে এসছিলেন এবং আমাদের পাপ তুলে নিতে নিজে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে আমাদের পাপের নিমিত্ত দন্ডাজ্ঞা বহন করছিলেন, এভাবে তিনি আমাদের জগতের সমস্ত পাপ ও দন্ডাজ্ঞা থেকে মুক্ত করেছেন। পরিত্রাণের উপহার যা তিনি আমাদের দিয়েছেন এত বিশ্বাস প্রযুক্ত আমরা নূতন জন্ম গ্রহন করি। পরিত্রাণের এই উপহার যা আমাদের দিয়েছেন, এটা হল সোনার মত অক্ষয়, আর এজন্য এটা চিরতরে অপরিবর্তনীয়।
 পরিত্রাণ যা ঈশ্বর আমাদের প্রদান করেছেন, তা হল যীশুর বাপ্তিস্মে ও রক্তে তৈরী, আর এটা সম্পূর্ণ ও পরিস্কার রূপে আমাদের পাপ সকল মুছে দিয়ছে। এর কারণ প্রভু আমাদের সকল পাপ মুক্ত করেছেন যা আমি ও আপনি আমাদের মন, চিন্তাধারা এবং বাস্তব করেছি, এসব থেকে ঈশ্বর আমাদের সম্পূর্ণভাবে রেহাই দিয়েছেন, ঈশ্বর প্রদত্ত পরিত্রাণের উপহার যা ঈশ্বর আমাদের অন্তর দিয়েছেন এর দ্বারা আমরা তাঁর মূল্যবান পবিত্র ব্যক্তিতে পরিনত হয়ছি সমাগম তাম্বুর দুটি চুঙ্গি যা প্রতিটি তক্তার ভার বহন করছে, এর মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের জল ও আত্মার পরিত্রাণের কথা বলেছেন। ঈশ্বর আমাদের বলেছেন যে, এটা ১০০ভাগ তাঁর করুনা ও অনুগ্রহ যে আমরা তাঁর সন্তান হয়ছি।
যদি আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত বিশ্বাস করা থেক বিরত হই, তবে আমাদের মধ্যে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আমরা এমনই মানুষ যে পাপের দন্ডাজ্ঞা পেতে আমরা সকলে বাধ্য ছিলাম। আমরা কেবলমাত্র মরনশীল ছিলাম যারা ঈশ্বর ঘোষিত পাপের বেতন মৃত্য আইনানুসার নিজেদের নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য বাধ্য ছিলাম, তারা বুঝতে পেরেছি এবং ধার্মিকতার বিচার অনুসারে মৃত্যু, নরকের জন্য অপেক্ষা করছি। এ কারণে যদি আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস ত্যাগ করি তাহলে আমরা কিছুই না বলে বিবেচিত হয়। 
পাপের এই যুগের ভিতর বাস করে, আমাদের অবশ্যই কখনও ভুলে যাওয়া ঠিক নয় যে আমাদের ভাগ্য কেবলমাত্র আগুনের দন্ডাজ্ঞার জন্য অপেক্ষা করছিল। আমরা এরূপে মরনশীল ছিলাম। যাহোক, ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমাদের সকলকে প্রদত্ত হয়েছে কেননা তিনি আমাদের জল ও আত্মার পরিত্রাণ প্রদান করছেন। মশীহ পৃথিবীতে এসছিলন, যোহনর দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ছিলন, তাঁর রক্ত সেচন ও ক্রুশে মৃত্যুবরণ করছিলন, পুনরায় মৃত্যু থেক জীবিত হয়েছিলেন আর এভাবে তিনি আমাদের সকলকে সমস্ত পাপ, অধার্মিকতা এবং সমস্ত দন্ডাজ্ঞা থেকে মুক্ত করেছেন। এই সঠিক সুসমাচার জল ও রক্ত বিশ্বাসের দ্বারা আমরা এখন পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি, আর আমরা কেবলমাত্র ঈশ্বরকে আমাদের বিশ্বাস ধন্যবাদ জানাতে পারি।
যদিও আমরা মাংস, আমাদের কাজ, জগতে আমরা অসম্পূর্ণ তথাপি আমরা সমস্ত পৃথিবীব্যাপি এই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি। যদিও এই যুগ একটি কলুষিত যুগ, কেননা আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করি আর তাই আমরা সঠিক ভাবে এবং যে কোন দূর্বলতা মুক্ত হয়ে প্রভুর সেবা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এরূপ অবস্থায় আমাদের নিজদের কোন ক্ষমতা দ্বারা উপনীত হয়নি কারণ প্রভু আমাদের তাঁর অনুগ্রহ পরিত্রাণের পবিত্রাতার বস্ত্র প্রদান করেছেন।
কেননা প্রভু আমাদের যথার্থরূপে পাপ ও দন্ডাজ্ঞা থেকে মুক্ত করছেন যার জন্য আমরা পরিত্রাণের শক্তির এই কাপড় পড়েছি, আর এ কারণেই আমরা সঠিক ভাবে প্রভুর সেবা করত সক্ষম হয়ছি। কেননা প্রভু আমাদের জল ও আত্মা দ্বারা তাই আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের অসম্পূর্ণতা থাকা সত্বেও আমরা তাঁর সেবা করতে পারি, আমাদের পাপ, ত্রুশে ও দন্ডাজ্ঞা দ্বারা আমরা বাধা প্রাপ্ত নই।
 
 
সত্যিকারে আমি যা তা আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহেই হয়েছি
 
 প্রকৃতপক্ষে, এগুলো কিছুই সম্ভব হত না যদি কিনা ঈশ্বরের অনুগ্রহ না থাকত। সমস্ত পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়া এবং সঠিকরূপে এই সুসমাচার প্রচার করা প্রভুর অনুগ্রহ ব্যতিত সম্ভব ছিলনা। এটা শতকরা একশ ভাগ পরিত্রাণের অনুগ্রহ যা ঈশ্বর আমাদের প্রদান করেছেন যার জন্য আপনি এবং আমি আমরা আমাদের জীবন সুসমাচারের সেবা ও প্রতিপালন করতে সক্ষম হয়েছি।
আমরা ঈশ্বরের মন্দিরের স্তম্ভ হয়েছি (প্রকাশিত বাক্য ৩:১২ পদ) আর বিশ্বাসে তার রাজ্যের প্রজা হয়েছি কারণ ঈশ্বর আমাদের স্বর্ণের মত বিশ্বাস প্রদান করেছেন, এখন আমারা ঈশ্বরের গৃহে বাস করি। এই যুগ, জগত যখন পাপের বন্যায় মগ্ন, একটা যুগ যখন অধিকাংশ লোক ঈশ্বরকে ভুলে গেছে বা ঈশ্বর নিন্দা করে তখন আমরা পরিষ্কার জল দ্বারা ধৌত হয়েছি এবং পরিস্কৃত হয়েছি আর আমরা পরিস্কার জল পান করতে ও সঠিক ভাব প্রভুর সেবা করতে সক্ষম হয়েছি-আমি একথা প্রকাশ করতে পারিনা যে আমি কতটা কৃতজ্ঞ এই আর্শিবাদের জন্য।
বস্তুতঃ আমাদর বিশ্বাস কেমন এটা হল তাই। আমরা কিভাব ধার্মিক হতে পারি? আমরা কিভাবে নিজেদের ধার্মিক বলে গননা করতে পারি যখন আমাদের ভিতরে কোন ভাল গুন নাই। কিভাবে আমরা এরুপ মানুষ আমি এবং আপনি পাপ মুক্ত হতে পারি? আপনি কি আপনার মাংসিক ধার্মিকতা দ্বারা পাপ মুক্ত ও ধার্মিক হতে পারন? মাংসিক চিন্তা ধারা, আপনার নিজের প্রচষ্টা এবং আপনার নিজের কাজ-এগুলোর যে কোন একটি আপনাকে পাপ মুক্ত, ধার্মিক করতে পারবে? আপনি কি জল ও আত্মার সুসমচারের বিশ্বাস দ্বারা ধার্মিক হতে পারেন? আমি কি ঈশ্বরের পরিত্রাণ যা নীল, বেগুনী, লাল ও সাদা মসীনা সুতার প্রতীয়মান হয় এর দ্বারা ধার্মিক হতে পারেন? আমি কি ঈশ্বরের প্রকাশিত জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পরিত্রাণ যা মশীহ সম্পন্ন করেছিলেন এটা বিশ্বাস ব্যাতীত ধার্মিক হতে পারেন? আপনি কখনো এরুপ করতে পারেন না। কেবল মাত্র লাল সুতার বস্ত্রের বিশ্বাস দ্বারা আমরা কখনই ধার্মিক হতে পারি না।
কেননা যীশু খ্রীষ্ট, আমাদের ত্রাণকর্তা ও মসীহ, পৃথিবীর সমস্ত পাপ, আমাদের জীবন কালের সমস্ত পাপ নিজর কাধেঁ তুলে নিয়েছিলেন বাপ্তিস্মের মাধ্যম যা তিনি যোহনের দ্বারা আমার সমস্ত পাপ মুছে ফেলত, আমাদের পক্ষে গ্রহণ করেছিলেন, আর এভাবে এত বিশ্বাস দ্বারা আমরা ধার্মিক হয়েছি। যেমন পুরাতন নিয়মে পাপার্থক বলি/হোমবলি পাপি বা প্রধান যাজক যখন এটার মাথার উপর হস্থাপর্ণ করত তখন এটা পাপ ভার বহন করত, তেমনি নূতন নিয়ম, যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে সমস্ত পাপ ভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রকৃত পক্ষে যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের পাপ ভার তুলে নিয়েছিলেন (মথি ৩:১৫)। আর তিনি যোহনের সাক্ষে প্রকাশিত হয়েছিলেন “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষ শাবক, যিনি জগতের পাপ ভার লইয়া যান” (যোহন ১:২৯)।
যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে পরবর্তী তিন বছর তিনি আমাদের পরিত্রাণের জন্য বাস করেছিলেন, ক্রুশে গমন করে আমাদের সমস্ত পাপ ও দন্ডাজ্ঞার শেষ করে, তিনি নিজ দেহকে ঈশ্বরের কাছে দিয়েছিলেন যেমন একটি মেষ তার লোম ছেদকের সম্মুখে নীরব থাকে তেমনি, আর এভাবে আমাদের নূতন জীবন দিয়েছিলেন।
 এর কারণ হল যীশু যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের পাপ তুলে নিয়ে ছিলেন যার জন্য তিনি নিরবে নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন এবং তাঁর দুই হাতে ও পায়ে রোমীয় সৈনিক দ্বারা প্রেক গাঁথা হয়েছিল যখন তিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন। ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যীশু তাঁর শরীরের সমস্ত রক্ত সেচন করেছিলেন। এবং আমাদের পরিত্রাণের চুড়ান্ত পর্ব তিনি এই বলে শেষ করেছিলে যে, “সমাপ্ত হইল” (যোহন ১৯:৩০ পদ)। 
 এভাবে মৃত্যু বরণ করে, তিনি তিন দিন পর পুনরায় মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছিলেন, স্বর্গারোহন করেছিলেন, আর আমাদের অনন্ত জীবন প্রদান করে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা হলেন। যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তিনি জগতের পাপভার কাধেঁ তুলে নিয়েছিলেন এবং ক্রুশবরণ করে, পুনরুত্থিত হয়ে ও স্বর্গারোহন করে যীশু আমাদের সত্যিকারের ত্রাণকর্তা হলেন। তাই, বাইবেল বলে, “ভাল, যে স্থলে এই সকলের মোচন হয়, সে স্থলে পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না”(ইব্রীয় ১০:১৮ পদ)। 
 
 

কেবল মাত্র ক্রুশীয় রক্ত ও ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় মতবাদের পবিত্রতা বৃদ্ধি আপনাকে কখনো সম্পূর্ণ রূপে পাপমুক্ত করতে পারে না

 
খ্রীষ্টিয়ানদের জানা উচিৎ যে তারা সঠিক ভাবে শুধুমাত্র যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে না, কেননা মানুষ প্রতিদিন তাদের চোখ ও কর্ম দ্বারা পাপ করে, তারা শুধুমাত্র ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে তাদের পাপ মুছে ফেলতে পারে না। বর্তমান মানুষের জীবনে অসচ্চরিত্র হল সবচেয়ে বড় অপরাধ। পৃথিবী নোংরা যৌনতা সংস্কৃতির মত ব্যপ্ত হয়ে গেছে আর আমরা মাংসে এর অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাইবেল আদেশ দেয় ব্যাভিচার না করার জন্য, কিন্তু আজকের বাস্তবতা হল এই, কারণতাদের পারপাশ্বিক পরিবেশ, অনেক লোকের জীবন এজন্য ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে যদিও তারা এমনটি চায় না।
ঈশ্বর বলেছিলেন যে, যে কেউ কোন স্ত্রী লোকের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকায় তবে সে তখনই, তার হৃদয় দ্বারা পাপ করে (মথি ৫:২৮ পদ), আর আমাদের চোখ প্রতিদিন যা দেখে তা সবই নোংরা। সুতরাং মানুষ প্রতিটি মিনিট ও প্রতিটি সেকেন্ড এরূপ খারাপ পাপ করছে। যখন এরূপ অবস্থা তখন তারা কিভাবে অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা পবিত্র হবে আর ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করবে? কিভাবে তারা ধার্মিক হতে পারে? যখন তারা নিজেদের অনেক সময় দিন শিক্ষা দেয় এবং বৃদ্ধ হয়ে কোন প্রকারে পবিত্র হয় তখন কি তাদের হৃদয় ধার্মিক হয়? তাদের চরিত্র কি নম্র হয়? তারা কি আরো ধৈর্যশীল হয়? অবশ্যই না। সত্যিকারে বিপরীত দিকের অবস্থা কি?
প্রবল ক্ষমতাশালী খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবে যা শেখান হয় তাই হল “পবিত্রতা বৃদ্ধিকারী”। ধর্মীয় শিক্ষায় যা আছে তা হল যখন খ্রীষ্টিয়ানরা যীশুর ক্রুশে মৃত্যুকে অনেক দিন যাবত বিশ্বাস করে প্রতিদিন অনুতাপের প্রার্থনা করে, প্রতিদিন প্রভুর সেবা করে, তখন তারা আস্তে আস্তে পবিত্র হয় এবং ভাল গুনের অধিকারী হয়, এটা দাবি করে দীর্ঘদিন যাবত আমরা যীশুকে বিশ্বাস করে আসছি এবং যাদের পাপ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না, আমরা তাদের ধার্মিক রূপে তৈরি করেছি; তাই যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হবে তখন আমরা সম্পূর্ণ পবিত্র ও পাপমুক্ত থাকব।
আর এটা এই শিক্ষা দেয় যে, কেননা আমরা সব সময় অনুতাপের প্রার্থনা করেছি, আমরা প্রতিদিন আমাদের পাপ ধৌত করেছি, যেমন আমরা আমাদের পোষাক ধৌত করি, আর এজন্য যখন আমরা শেষে মৃত্যুবরণ করব তখন আমরা একজন যথার্থ ধার্মিক ব্যক্তির মত ঈশ্বরের কাছে চলে যেতে পারব। অনেকেই এমন বিশ্বাস করে। কিন্তু এটা শুধুমাত্র মানুষের দুর কম্ৰপনা সম্বন্ধে চিন্তাধারার একটি ভন্ডামিমুলক ভেলকিবাজি।
 রোমীয় ৫:১৯ পদে বলা হয়েছে, “কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞা বহতা দ্বারা অনেককে পাপি বলিয়া ধরা হইল, তেমনি সেই আর এক ব্যক্তির আজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে ধার্মিক বলিয়া ধরা হইবে।” এই অনুচ্ছেদটি আমাদের বলে যে এক জনের বাধ্যতার জন্য আমরা সকলে পাপ মুক্ত হয়েছি। যা আমি এবং আপনি করতে পারেনি যীশু এই জগতে এসে ব্যক্তিগত ভাবে অর্জন করেছিলেন। আপনি এবং আমি আমরা আমাদের নিজেরা নিজেদের পাপমুক্ত করতে পারিনা এটা ভালভাবে জেনে, যীশু আমাদের পক্ষে আমাদের পাপ মোচন করেছিলেন, এটা এমন একটা জিনিস যা আপনি বা আমি কখনো করতে পারতাম না। এই জগতে এসে, বাপ্তিস্ম গ্রহন করে, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে ও পুনরুজ্জীবিত হয়ে তিনি আপনাকে ও আমাকে পাপমুক্ত করেছেন আর চিরতরে আমাদের পাপ পরিস্কৃত করেছেন।
যীশু খ্রীষ্ট তাঁর লোকদিগকে পাপ মোচন করে পরিত্রাণ দিতে পেরেছিলেন কারণতিনি ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাধ্য ছিলেন। মশীহের মত ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাধ্য হয়ে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের অনুগ্রহের পরিত্রাণ। তাঁর বাপ্তিস্ম, ক্রুশে এবং পুনরত্থানের মাধ্যমে প্রদান করেছিলেন। এভাবে আমাদের পরিত্রাণ প্রদান করে যীশু যথার্থ ভাবে পাপ মোচন সম্পন্ন করেছিলেন। আর এখন, বিশ্বাস দ্বারা আমরা অনুগ্রহের পরিত্রাণের কাপড় পরেছি, প্রভু আমাদের পরিপূর্ণ ভাবে পাপ থেকে পরিত্রাণ করেছেন যা আমরা কখনও নিজেদের প্রচেষ্টা দ্বারা করতে পারতাম না।
যাহোক, অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ান বাপ্তিস্ম যা যীশু গ্রহণ করেছিলেন এটা বিশ্বাস করে না, কিন্তু যীশুর রক্ত সেচন যা তিনি ক্রুশে সেচন করেছিলেন তারা শুধুমাত্র এটা বিশ্বাস করার মাধ্যমে তাদের নিজেদের কার্য থেকে পবিত্র হতে চায়। অন্য কথায়, যীশু যে সমগ্র মানব জাতির পাপ তুলে নিয়েছিলেন যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, এই সত্য লোকেরা এখনো বিশ্বাস করে না। মথি ৩য় অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, যীশু তাঁর রাজত্ব কালে প্রথম যে কাজটি করেন তা হলো যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তাইজিত হওয়া। এই সত্যই চার সুসমাচার লেখকদের দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছিল।
 যীশু যোহন বাপ্তাইজক, মানব জাতির প্রতিনিধি এবং নারীকুলের গর্ভজাতদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ তাঁর দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন তথাপিও অনেক লোক আছে যারা এই বিষয়টিকে অবজ্ঞা করে এবং এটাকে বিশ্বাস করে না। এরুপ লোকেরা যীশুর বাপ্তিস্ম ব্যাতীতই তাঁকে বিশ্বাস করে, এবং ঐকান্তিক আগ্রহ সহকারে কেবল মাত্র যীশুর মূল্যবান রক্ত যা তিনি ক্রুশে সেচন করেছিলেন তার প্রশংসা করে। কেবলমাত্র ক্রুশে যীশু বেদনাপূর্ণ মৃত্যুর দ্বারা তারা আবেগে আপ্লুত হয়, তারা তাদের প্রশংসায় সর্বপ্রকার উচ্চশব্দ তৈরি করে, চিৎকার করে, “রক্তে চমৎকার শক্তি। মেষের মূল্যবান রক্তের কাজের শক্তি চমৎকার।” তারা ঈশ্বরের কাছে যেতে চেষ্টা করে, অন্য কথায় নিজেদের আবেগে, তেজে এবং সক্রিয় প্রানশক্তিতে। কিন্তু আপনাকে অবস্যই বুঝতে হবে যে, তারা এরূপ যতই করুক না কেন ততই তারা ভন্ডামি করে, পবিত্র হওয়ায় বাধা দেয় কিন্তু আসলে তারা গোপনে তাদের হৃদয়ে পাপ সঞ্চয় করছে।
 
 

জল ও আত্মার সুসমাচারের কথা না জেনে কিভাবে আমরা যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা রুপে বিশ্বাস করতে পারি?

 
যখন আমরা শুনি লোকেরা সমাগম তাম্বু নিয়ে কথা বলছে, তখন আমরা প্রায়ই দেখি যে, তারা গোলক ধাঁধার মত কি বলছে প্রকৃত পক্ষে তা সমন্ধে তারা সামান্যতম জানে না। যখন সমাগম তাম্বুতে বিশ্বাস জন্মে তখন আমরা কিভাবে মনে করব যে এই পথটাই কেবলমাত্র সুবিধাজনক ও উপযুক্ত? কেননা পাপ থেকে পরিত্রাণ যা ঈশ্বর বিশদভাবে সম্পন্ন করেছিলেন, ঈশ্বর আমাদের বিশদভাবে এবং সঠিক ভবে আমাদের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছিলেন এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সমাগম তাম্বুর মাধ্যমেও প্রভু আমাদের বুঝিয়েছেন যে লাল ও বেগুনী কাপড়, জল ও রক্ত দ্বারা তিনি আমাদের মুক্ত করেছেন। আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের পাপ মোচন করতে প্রভু এসেছিলেন, “শুধুমাত্র জলদ্বারা নয়, কিন্তু জল ও রক্ত দ্বারা” (১ম যোহন ৫:৬)। জল, রক্ত এবং আত্মা যা আমরা বিশ্বাস করি এগুলো সবই এক। মানুষের রূপে এসে, যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহন করে, মৃত্যু বরণ করে এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ঈশ্বর আমাদের মুক্ত করেছেন।
পরিত্রাণের এই সম্পূর্ণ প্রকৃতি আমরা সমাগম তাম্বুর মাধ্যমে আবিস্কার ও বিশ্বাস করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি তক্তার দুটি পায়া এবং দুটি রৌপ্যের চুঙ্গি অধ্যায়নের মাধ্যমে আমারা এ পদ্ধতি বুঝতে পারি যে যার দ্বারা যীশু আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আর এভাবে আমরা এই সত্য খুঁজে পাই যা নিশ্চিত ভাবে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যা যীশুর রাজত্ব কালে নীল, বেগুনী এবং লাল সূতায় প্রতীয়মান হয়েছিল।
বাইবেলের একটি অংশ অন্য কোথাও পরিত্রাণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের পরিত্রাণের আর্শিবাদ প্রয়োজন যা যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশ এ দুটি উপাদান দ্বারা নির্মিত। যারা এ সত্যে বিশ্বাস করে তারা, যারা ঈশ্বরে জন্মগ্রহন করেন তাদের একজন হন। জল ও আত্ম দ্বারা আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করে, ঈশ্বর যথার্থ ভাবে আমাদের পরিত্রাণ সাধন করেছিলেন।
দুটি পায়া, অন্য কথায় যা প্রতিটি তক্তার জন্য তৈরী করা হয়েছিল এবং রৌপ্যের দুটি চুঙ্গি। এই সত্য চিরন্তন ভাবে এবং ভয়ানক ভাবে আমাদের এবং আমাদের পাপের ক্ষমার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। অত্যন্ত সুক্ষভাবে, ঈশ্বর আমাদের জন্য যে পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন তাতে বিশ্বাস করতে হবে, আর আমরা যদি বিশ্বাস না করি নীল, বেগুনী ও লাল কাপড়ের সত্যে, তাহলে আমরা কখনও পাপমুক্ত হতে পারব না।
 সমাগম তাম্বুর প্রতিটি তক্তায় দাঁড় করানোর জন্য যেমন রৌপ্যের চুঙ্গি প্রয়োজন ছিল তেমনি যখন আমরা যীশুকে বিশ্বাস করি তখন তার দুটি অনুগ্রহের কথা আমাদের সত্যিকারে বিশ্বাস করা অপরিহার্য। সেগুলো কি? সেগুলো হল যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন আর তিনি আমাদের সমস্ত দন্ডাজ্ঞা ও পাপের অভিশাপ বহন করেছিলেন এবং ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন। যেকেহ ধার্মিক হয় সে কেবল মাত্র এই দুটি অনুগ্রহ সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করার মাধ্যমে যথার্থ পরিত্রাণ পায়। আমাদের বিশ্বাস উভয় যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্ত তাঁর এই দুটি উপহারের উপর আমাদের পরিত্রাণ নির্ভর করে। ঈশ্বরের গৃহে দৃঢ়ভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে। যেমন তক্তার দুটি পায়ার উপর রৌপ্যের দুটি চুঙ্গি দৃঢ় ভাবে দাঁড় করান ছিল।
 এ ভাবে, এটা হল আমাদের সাঠিক বিশ্বাস যা তাঁর পরিত্রাণের দুটি সত্যের উপর নির্ভর করে আর যা আমাদের সত্যিকারের নির্দোষ মানুষে পরিনত করে। যীশু প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস দ্বারা আমরা স্বর্ণের মত চিরতরে অপরিবর্তনীয় বিশ্বাস গ্রহন করি। জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস দ্বারা যা নীল, বেগুনী ও লাল এবং সাদামিহি সুতায় প্রতিয়মান হয়, আমরা সাধু তুল্য হই যারা যথার্থ পাপের ক্ষমা গ্রহন করে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন।
 
 
বর্তমান এবং জল ও আত্মার সুসমাচারের যুগ পর্যন্ত ধর্মতত্ব
 
গির্জার প্রারম্ভে ৩১৩ খ্রীষ্টাব্দে মিলার রাজাজ্ঞার সময়, বর্তমানেও যীশুর বাপ্তিস্ম বাদ দিয়ে ক্রুশীয় সুসমাচার বিস্তার লাভ করে। ৩১৩ খ্রীষ্টাব্দে খ্রীষ্টধর্ম রোমান ধর্ম হিসাবে বৈতধা লাভ করে। এখানে জল ও আত্মা সম্বন্ধে প্রচার করা হত, কিন্তু এরপর রোমান ক্যাথলিকরা গির্জায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্টা করে। তারপার চর্তুদশ খ্রীষ্টাব্দের প্রথমে উত্তর ইটালির কিছু সমৃদ্ধশালী প্রদেশে এটা সবকিছু মানুষের তৈরি চিন্তাধারা দ্বারা পুনরুদ্ধর হয়ে পরিচালিত হয়। এটা ছিল নব জাগরন।
 ষষ্টদশ শতাব্দীতে, এই অন্তঃপ্রবাহ সংকৃতি ইটালীতে শুরু হয়ে সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, এবং যারা মানুষের তৈরি মানবশাস্ত্র দর্শন অধ্যায়ন করত তারা ধর্মতত্ত্ব অধ্যায়ন করা শুরু করেছিল। নিজেদের মত করে বাইবেল অনুবাদ করে তারা খ্রীষ্টিয়ানদের ডকট্রিন তৈরি করতে শুরু করেছিল। কারণ তারা সত্য সম্বন্ধে জানত না, তাই তারা বাইবেল সঠিক ভাবে এবং পুরোপুরি ভাবে বুঝত না। সুতরাং যা তারা বুঝত না, তা তারা সকলের যাজকীয় জ্ঞান এবং চিন্তা ধারা বা দর্শন দিয়ে জয় করত আর এভাবে তারা নিজেদের খ্রীষ্টিয়ান ডকট্রিন তৈরি করত।
 এর ফল স্বরূপ, খ্রীষ্টিয়ানদের ইতিহাসে নানা রকম মতবাদের এবং ধর্মতত্ত্বের উদ্ভব হয়ঃ লথারিজম, ক্যালভিনিজম, আরযিনিজম, নূতন থিউলিজম, কনসারভ্যাটিজম, ব্যাশানমিজম, ক্রিটিক্যাল থিউলজি, মাইষ্টিক্যাল থিইলজি, লিবারেশন থিউলজি, ফেমেনিষ্ট থিউলজি, ব্লাক থিইলজি এমনকি এ্যাথিষ্টিক থিউলজি ইত্যাদি।
 সম্ভাবত খ্রীষ্টধর্মের ইতিহাস আনেক লম্বা মনে হয়, আসলে এটা কিন্তু এত লম্বা ইতিহাস নয়। তিনশ বছর ধরে গির্জার প্রারম্ভে, লোকজন বাইবেল সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করে, কিন্তু এটা ছিল মধ্যযুগীয় অন্ধকার যুগের খ্রীষ্টধর্ম। এই যুগের সময় কোন অপেশাদরে লোক যদি নিজে বাইবেল পড়ত তবে এ অপরাধের তার শাস্তি ছিল। শিরচ্ছেদ দ্বারা তার মৃত্যুবরণ করা। এটা ১৭০০ খ্রীষ্টাব্দে যখন খ্রীষ্টধর্ম তত্তের বাতাস প্রবাহিত হতে শুরু করে তখন পর্যন্ত না, এবং এরপর ১৮০০ ও ১৯০০ খ্রীষ্টাদ্বে খ্রীষ্টধর্ম মুকলিত হতে শুরু করে সক্রিয় এবং শিহরিত হয়ে এটা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, কিন্তু এখন অনেক লোক গুঢ় মতবাদের ভিতর পতিত হয়, ঈশ্বরকে তাদের নিজের ব্যক্তি গত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধর্মতত্ত্বের এই বৈচিত্রতা সত্তেও, সমস্ত খ্রীষ্টিয়ান সম্প্রদায় একটা জিনিসেই বিশ্বাস করে, সেটি হল শুধুমাত্র যীশুর রক্তে বিশ্বাস করা। 
কিন্তু এটাই কি সত্য? যখন আপনি এভাবে বিশ্বাস করেন, তখন আসলেই কি আপনার পাপ অদৃশ্য হয়ে যায়? আপনি প্রতিদিন পাপ করেন। আপনি প্রতিদিন আপনার হৃদয়, চিন্তাধারা, কাজকর্মে প্রভৃতি দিয়ে পাপ করেন। এরপরও কি আপনি কেবল মাত্র যীশু ক্রুশে যে রক্ত সেচন করেছিলেন এতে বিশ্বাস করেই পাপ মুক্ত হতে পারেন? কেননা যীশু আমাদের পাপ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন এটাই হল বাইবেলের সত্যতা। তথাপি অনেক লোক আছে যারা বলে যে, তাদের পাপ কেবল মাত্র ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস এবং প্রতিদিনের অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা মোচন হয়েছে। আপনার হৃদয়ের এবং বিবেকের পাপ কি এরূপ অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা পরিস্কৃত হয়? এটা অসম্ভব। 
যত আপনি খ্রীষ্টিয়ান হন, তাহলে আপনাকে এখন অবশ্যই জানতে ও বিশ্বাস করতে হবে পরিত্রাণের সত্যতা যে, যীশু খ্রীষ্ট এই জগতে এসেছিলেন এবং আমাদের পৃথিবীর পাপ যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তুলে নিয়েছিলেন। এটা সত্ত্বেও আপনি এই সত্যকে অবজ্ঞা করবেন এমনকি জানার চেষ্টা না করে অথবা এটা বিশ্বাস না করে? যদি তাই হয়, তবে আপনি যীশুকে উপহাস করে, নিচে নামিয়ে, তাঁর নাম অবজ্ঞা করে পাপ করেছেন এবং আপনি বলতে পারেন না যে, আপনি সত্যিই যীশুকে আপনার ত্রাণকর্তা রূপে বিশ্বাস করেন। যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা যে পরিত্রাণ সম্পন্ন হয়েছিল এটা থেকে আপনি যদি তার বাপ্তিস্ম বাদ দেন এবং আপনি যে ভাবে ইচ্ছা তাঁকে সেভাবে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি কখনই অনুগ্রহের পরিত্রাণের কাপড় পড়তে পারেন না।
 তথাপি অনেক খ্রীষ্টিয়ান এটা যেমন যীশু আমাদের পাপমোচন করেছিলেন তেমন ভাবে বিশ্বাস করে না, তারা তাদের নিজেদের বিশ্বাস এবং চিন্তা ধারা দিয়ে দুটো সত্য বিশ্বাস করার পরিবর্তে তারা যা ইচ্ছা করে তা বিশ্বাস করে। বর্তমানে তাদের হৃদয় ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসের কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে গেছে, তারা বিশ্বাস করে যে কেবলমাত্র একাকী ক্রুশের রক্তে বিশ্বাস করইে তাদের পাপমোচন হতে পারে।
কিন্তু পরিত্রাণ সম্বন্ধে ঈশ্বরের পরিকল্পনার উত্তর নিয়ে প্রদত্ত হলঃ আমরা পাপ থেকে অনন্ত মুক্তি পাই যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস, তার ক্রুশীয় মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করার মাধ্যমে। তথাপি অগনিত লোক পরিত্রাণের এই সত্য থেকে যীশুর বাপ্তিস্মকে বাদ দিয়ে বিশ্বাস করে, ভুল বোঝে এবং অবিশ্বাস করে নিচের এই উদ্ধৃতির অপরিবর্তনীয় নিয়মকেঃ “যীশু (ক্রুশ এবং তাঁর পুনরুত্থান) + অনুতাপের প্রার্থনা + ধার্মিকের কার্য = অপরিমেয় পবিত্রতার মাধ্যমে পরিত্রাণ গ্রহণ করা।” যারা এভাবে বিশ্বাস করে, কেবলমাত্র তাদের মূখ দিয়ে বলে, তারাই তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে। যাহোক, এটাই সত্য যে, আসলে তাদের হৃদয় পাপের পরিপূর্ণ যা এখনো অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছে।
 আপনার হৃদয়ে কি এখনো পাপ আছে? যদি যীশুকে বিশ্বাস করার পরও আপনার হৃদয়ে এখন পাপ থাকে, তাহলে পরিস্কার ভাবে বলা যায় যে, আপনার বিশ্বাসের মধ্যে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। এর কারণ হলো আপনি যীশুকে কেবলমাত্র ধর্মীয় ব্যাপার হিসাবে বিশ্বাস করেন যা দ্বারা আপনার বিবেক পরিস্কৃত নয় এবং আপনার ভিতরে পাপ রয়েছে। যাহোক, প্রথম ব্যাপার হল যে আপনি বুঝতে পারেন এখনো আপনার হৃদয়ে পাপ রয়েছে, সত্যিই সৌভাগ্য বশত আপনি এটা বুঝতে পারেন। কেন? কেননা যারা সত্যিকারে বুঝতে পারে যে তাদের পাপ রয়েছে তারা তা এড়িয়ে যেতে পারে না কিন্তু পাপের জন্য তারা নরকে যেতে বাধ্য, এবং যখন তারা এটা করে তখন তারা চূড়ান্তভাবে আত্মায় দরিদ্র হয়ে যায় এবং এজন্য তারা পরিত্রাণের সত্য বাক্য শুনতে সক্ষম হয়।
আপনি যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে পাপের ক্ষমা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার হৃদয়কে প্রস্তুত করতে হবে। যাদের হৃদয় ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রস্তুত, “ঈশ্বর, আমি পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে চাই। আমি অনেক আগে থেকে যীশুকে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমার ভিতরে এখনো পাপ আছে। কেননা পাপের বেতন মৃত্যু, আমি নরকে নিক্ষিপ্ত না হয়ে পারি না।” এরূপ ভাবে, তারা নিজেদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে সম্পূর্ণ পাপমুক্ত ভাবে দেখতে পারে। যারা ঈশ্বরের বাক্য বুঝতে পারে, যারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের বাক্য যেমন বলা হয়েছে নিশ্চিন্ত ভাবে তেমনি পূর্ণতা লাভ করেছে শুধুমাত্র যারা প্রস্তুত আছে তাদের আত্মা ছাড়া আর কারো না।
ঈশ্বর কোন রূপ ভিন্নতা ব্যতীত এরূপ আত্মাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরূপ লোক তাঁর বাক্য শ্রবন করে, তাদের নিজেদের চেয়ে বাক্য দেখে এবং দৃঢ় এটাতে দৃঢ় হয়, আর এরূপ করার জন্য তারা বুঝতে পারে যে, “আহ, আমি ভুল ভাবে বিশ্বাস করেছিলাম এবং এখন অগনিত লোক ভুল ভাবে বিশ্বাস করছে।” এবং জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করার মাধ্যমে, অন্যেরা তাদের পাপ ক্ষমা সম্বন্ধে যাই বলুক না কেন।
 
 

যারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে তাদের অবশ্যইজল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করার মাধ্যমে তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে।

 
যাহোক, এ পৃথিবী অগনিত দুষ্ট বা মিথ্যা ডকট্রিনে ভরপুর যা এমন কি নূতন জন্ম প্রাপ্তদের হৃদয়েও বিশৃঙ্খল ও অপবিত্র করতে পারে। প্রভু যীশু আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন, “তোমরা ফরীশীদের তাড়ীর বিষয়ে ও হেরদের তাড়ীর বিষয়ে সাবধান থাকিও” (মার্ক ৮:১৫ পদ)। কিন্তু আমরা হিসাব করতে পারিনা যে এরূপ কত প্রকার দুষিত বা খারাপ শিক্ষা রয়েছে, শুধু মাত্র এক বার শোনার পরই মানুষের হৃদয় অপবিত্র হয়ে যায়। আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে এই পৃথিবী কেমন অনৈতিক যৌনতার ঢেউয়ে দুলছে।
আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে আমরা কোন প্রকারের যুগে বাস করছি এবং বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে। যদিও আমরা এরূপ পাপে পূর্ণ জগতে বাস করছি তথাপি আমাদের হৃদয়ে এই অযাচিত সত্য যে প্রভু আমাদের পাপ থেকে রেহাই দিয়েছে। জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের পরিত্রাণের অপরিবর্তনীয় প্রশংসার সাক্ষ্য বহন করে।
আমাদের এমন বিশ্বাস অবশ্যই থাকতে হবে যা এই পৃথিবীর কোন কিছু নাড়াতে বা আকৃষ্ট করতে পারবে না। এই বিশ্বের প্রতিটি জিনিসই সত্য নয়। ঈশ্বর আমাদের বলেছিলেন যে, ধার্মিক এই পৃথিবী জয় করবে। এটা তাদের অপরিবর্তনীয় সত্য সুসমাচার যা দ্বারা ধার্মিক এই বিশ্বের দুষ্টতা জয় করবে এবং পৃথিবীতে সাফল্য বয়ে আনবে। যদিও আমরা অসম্পূর্ণ আমাদের হৃদয়, চিন্তাধারায় আমরা দৃঢ় ভাবে সুসমাচারের পরিত্রাণের এবং শারীরিকভাবে তথাপি আমরা দৃঢ় ভাবে সুসমাচ বিশ্বাস করে ঈশ্বরের গৃহে দাড়িয়ে আছি। আমরা দৃঢ় ভাবে প্রভু আমাদের যে জল ও রক্তের সুসমাচার দ্বারা পাপ মুক্ত করেছেন তারা উপর দাড়িয়ে আছি।
 এই কারণে, আমরা ঈশ্বরের নিকট খুবই কৃতজ্ঞ। এটা কোন বিষয় নয় যে এ পৃথিবীতে কত রকম পাপ আছে, অন্ততপক্ষে আমরা যারা থাকি আমাদের দাগহীন বিবেক এবং স্বর্ণের মত উজ্জল বিবেক থাকতে হবে। আমাদের ধার্মিকদের একত্রে বাস করতে হবে যা বিশ্বাসে এই পৃথিবীকে জয় করে। প্রভুর ফিরে না আসা পর্যন্ত, এবং আমরা যেন তাঁর রাজ্যে রয়েছি এই বিশ্বাসে আমাদেরকে তাঁর প্রশংসা করতে হবে। আমরা চিরদিন প্রভুর প্রশংসা করব যিনি আমাদের পাপমুক্ত করেছেন এবং আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা করব যিনি আমাদের এই বিশ্বাস দিয়েছেন।
ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের যেমন সত্যতা পূর্ণ বিশ্বাস পাথরের মত বিশ্বাস আছে যা কোন প্রকার পরিবেশেই নড়বে না। এরূপে, এটা কোন বিষয় নয় যে ঈশ্বরের সাক্ষাতে দাঁড়ানো পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকা কালিন সময়ে আমাদের কি ঘটে, আমরা আমাদের হৃদয়ের বিশ্বাস দ্বারা রক্ষা পাবো। যদি পৃথিবীর কোন কিছু ধ্বংস হয়ে যায়, যদি এ জগত পাপে ডুবে যায় আর যদি এই জগত পুরাতন নিয়মে সদম ও ঘাোমরার সময়ের চেয়েও খারাপ হয়, তথাপি আমরা এ জগতকে অনুসরন করব না, কিন্তু আমরা পবিত্র ভাবে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করব, আমরা তাঁর ধার্মিকতায় চলব, এবং আমরা নিয়মিত এই দুটি কাজ (যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্ৰুশীয় মৃত্যু বরণ) যা পরিত্রাণ এবং ঈশ্বরের সত্য অনুগ্রহ প্রকাশ করে তা প্রচার করব।
 
 
যারা সত্য সুসমাচার বিশ্বাস করার ভান করে
 
কিছু লোক যদিও তারা সত্যি কারের জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে না, এখনো নীল, বেগুনী ও লাল সুতার সত্যতা বিশ্বাস করতে ছলনা করে। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে, এরূপ ব্যক্তিরা আন্তরিক ভাবে জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে না তাই না। বিশ্বাস করার জন্য তাদের হৃদয়ে পাপ থাকে। তারা হল ঐ লোকের মত যে কুড়ালের ফলা জলে হারিয়ে ফেলেছিল যা প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার করে এনে ছিল (২য় রাজাবলি ৬:৫ পদ)।
একই ধারায়, এটা সম্ভব, যেমন কিছু লোকের জন্য খুব অল্প সময়ের জন্য জলও আত্মার সুসমাচার ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, এই সত্য জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্যতা বিশ্বাস করা ব্যতীত, যখন তারা প্রচার করে বা ফেলোসিপ করে তখন তারা কথা বলতে অজ্ঞতা প্রকাশ করে। এবং যারা বিশ্বাস ব্যতীত এই সত্য করুনভাবে উপস্থাপন করে তারা মাঝপথেই তাদের বিশ্বাসের জীবন পরিত্যাগ করে। কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য কখনো পরিবর্তীত হবে না, এবং এজন্য তাদের জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করতে হবে।
কিন্তু ইব্রীয় ৭:১২ পদ বলে, “যাজকত্ব যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ইহা আবশ্যক” কিছু লোক দাবী করে, “আদনও পরিবর্তীত হয়। সুতরাং পরিত্রাণ যা যীশু সম্পন্ন করেছিলেন তা পুরাতন নিয়মে একই পদ্ধতি অনুসারে সত্যিকারে সম্পন্ন নয়। যীশু খ্রীষ্ট এসেছিলেন এবং আমাদের পাপ মুক্ত করেছিলেন কেবলমাত্র ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেন, এটা হল একটা সংশোধিত পদ্ধতি।” অন্যান্যরা দাবী করে, “এটা এরূপ মনে হয় যে, যখন যীশু ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তখন ঈশ্বর আমাদের পাপ তাঁর উপর অর্পন করেছিলেন।”
কিন্তু এরূপ সব দাবী ফাটল যুক্ত এবং ভিত্তিহীন। আমরা তাদের দাবী সহজে এমন জিজ্ঞাসা করে খন্ডন করতে পারি, তাহলে এর মানে হল যে, “ঈশ্বর কি যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিলেন শুধুমাত্র যারা পাপ মুক্ত তাদের জন্য তারপর তার উপর জগতের পাপ অর্পন। করেছিলেন।” যখন আমরা ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাস করি, তখন আমাদের অবশ্যই এটা যেমন তেমন ভাবে বিশ্বাস হবে, আমাদের নিজেদের চিন্তাধারা পিড়াপিড়ি করা দ্বারা নয়। যদিও আমদের নিজেদের মধ্যে বিবাদ ঘটে, যদি বাইবেল আমাদের বলে যে, এই বিবাদ গুলো ভুল, তাহলে আমাদের কে নিজেদের ধার্মিকতা ভেঙ্গে ফেলতে হবে এবং ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতে হবে। 
অনেক সময় চলে গেছে এটা অধিক গুরুত্ব পূর্ণ ও মূল্যবান ব্যাপার যে প্রভু আমাদের তার জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পাপ মুক্ত করেছেন। যখন আমরা আমাদের নিজেদের চিন্তা ধারা অনুসারে বিশ্বাস করেছিলাম তখন আমাদের জিবনের বিশ্বাস একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে ছিল এবং আমরা প্রায়ই গির্জা থেকে পতিত হতাম। কিন্তু কেবল মাত্র সমাগম তাম্বুর প্রতিটি তক্তার দুটো পায়া রৌপ্যের চুঙ্গি দুটো ধরে রেখেছে, আমাদের বিশ্বাস হল যীশুর সত্যতা, তিনি বাপ্তিস্মের দ্বারা তিনি আমাদের পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন, আর দৃঢ়তার সঙ্গে আমাদের ধরে রেখেছিলেন। যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে এবং ক্রুশেবিদ্ধ হয়ে আমাদের দন্ডাজ্ঞা বহন করে, তারা রক্ত সেচন করে, আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। যেন, আমাদের বিশ্বাস চির তরে দ্বিধাগ্রস্থ না হয়।
 হিতোপদেশ ২৫:৪পদ বলে, “রৌপ্য হতে খাদ বাহির করিয়া ফেল, স্বর্ণকারের যোগ্য এক পাত্র বাহির হইবে;” এই অনুচ্ছেদের মত, যদিও আমাদের মাংসিক চিন্তাধারায় অনেক দুষ্ট, নোংরা এবং কুলষিত ভাবে উদয় হয় যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত দ্বারা আমাদের এসব আর্বজনা, মানব জাতির পাপ ধৌত করেছেন এবং আমাদের ঈশ্বরের ধার্মিকতার কার্যকারী রূপে গঠন করেছেন। প্রভু আমাদের জগতের পাপ থেকে খাঁটি করেছেন। যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে এবং একেবারে চিরতরে আমাদের পাপ তুলে নিয়ে, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন ও তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন এবং এভাবে আমাদের সমস্ত পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করে যীশু আমাদের জগতের পাপ থেকে পরিস্কার রূপে উদ্ধার করেছেন। 
এরূপে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা অনন্ত পরিত্রাণ পেতে নিশ্চিত। এক সময় সম্ভবত আমাদের কাজ গুলো ভুল মনে হতে পারে, কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচার দৃঢ়রূপে আমাদের বিশ্বাস ধরে রেখেছে, যেমন প্রতিটি তক্তায় দুটি পায়া রৌপ্যের চুঙ্গি দ্বারা ধরে রেখেছে।
 
 
অনন্ত পরিত্রাণ যা আমাদের ধরে রেখেছে 
 
 এখন আসুন আমরা সমাগম তাম্বুর হুড়কাগুলোর মনোযোগ দিই যা তক্তাগুলোকে একত্রিত করেছিল। যাত্রা পুস্তুক ২৬:২৬-২৭ পদ বলে, “আর তুমি শিটীম কাষ্ঠের অর্গল প্রস্তুত করিবে, আবাসের এক পার্শ্বের তক্তাতে পাঁচ অর্গল, ও আবাসের অন্য পার্শ্বের তক্তাতে পাঁচ অর্গল দিবে।” সমাগম তাম্বুর সম্পূর্ণ আকৃতি ছিল আয়তাকার। সমাগম তাম্বুর পিলার গুলো দরজা এবং মহাপবিত্র স্থানের পর্দার জন্য স্থাপন করা হয়েছিল আর অন্যান্য গুলো তক্তার জন্য নির্মান করা হয়েছিল, এই তক্তাগুলো ৫টি হুক দ্বরা মোড়া ছিল। 
এই হুক গুলোকে আটকে রাখার জন্য ৫টি স্বর্ণের চাকা এবং হুক প্রতিটি তক্তায় ছিল; শিটিম কাঠ দ্বারা তৈরি স্বর্ণ দ্বারা মোড়া ছিল। সমাগম তাম্বুর দিকের উত্তর, দক্ষিন ও পশ্চিম কোনে এই পাঁচটি করে তক্তার হুক বসানো ছিল। তক্তাগুলো হুকের দ্বারা স্বর্ণের রিং এর সাহায্যে আটকানো ছিল, তাই এগুলো একেবারে আটসাট ভাবে আটকানো ছিল। তাই, রৌপ্যের চুঙ্গি এবং হুক দ্বারা আটকানো থাকাতে তক্তাগুলো ছিল দৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো এবং অনড়। 
আর যেমন ৪৮টি তক্তা ৫টি অর্গল দ্বারা মোড়া ছিল এবং একে অপরকে সাপোর্ট দিত, তেমনি ঈশ্বরের লোকেরাও ঈশ্বরের সহিত জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা এরত্র বাঁধা। ঈশ্বরের গির্জা হল সে সব লোকের জন্য যারা জল ও আত্মার পরিত্রাণ গ্রহন করেছে এবং বিশ্বাসে জীবন যাপন করছে। যীশু পিতরকে বলেছিলেন যেন সে তার গির্জা পাথরের উপর স্থাপন করে (মতি ১৬:১৮-১৯ পদ)। এরূপে ঈশ্বরের রাজ্য হল সেসব লোকের মিলেত হবার স্থান যারা ঈশ্বরের গির্জায় পাপের ক্ষমা গ্রহন করেছেন। ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, তিনি আমাদের সম্পূর্ণ রূপে জগতের পাপ থেকে ক্ষমা করেছেন যীশুর কাজের দ্বারা যা নীল, বেগুনী ও লাল সুতায় প্রতীয় মান হয়েছিল।
যাত্রাপুস্তক ২৬:২৮ পদ বলে, “এবং মধ্যবর্তী অর্গল তক্তাগুলোর মধ্যস্থান দিয়া এক প্রান্ত অবধি অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাইবে।” মঝি খানের অর্গলটি অনেক লম্বা করে তৈরি করা ছিল যেন একেবারে এটা সব তক্তাকে বেঁধে রাখতে পারে, তাহলে, মাঝখনে দিয়ে যে লম্বা অর্গলটি শেষ পর্যন্ত গিয়েছিল এর অর্থ কি? এর অর্থ হল ধার্মিকতা একে অপরকে একত্রিত করে, আর তাদের বিশ্বাস তাদের প্রত্যেককে একত্রিত করে। অন্য কথায়, পরিত্রাণে বিশ্বাস যা প্রভু জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করেছিলেন, এই বিশ্বাস তাদের একত্রিত করে।ধার্মিক চোখের বিশ্বাসে মিলিত হয়। এজন্য যখন আমরা পবিত্রগনের সঙ্গে মিলিত হই এবং তাদের সঙ্গে একত্রে সভা করি, তখন আমরা সত্যিকারের হৃদয়ের এরতা অনুভব করি।
 
 
“প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক”
 
আসুন আমার ইফিষীয় ৪:৩-৭ পদ দেখি, “প্রেমে পরস্পর ক্ষমাশীল হও, শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করিতে যত্নবান হও। দেহ এক, এবং আত্মা এক; যেমন আবার তোমাদের আহ্বানের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহুত হইয়াছ। প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক, সকলের ঈশ্বর ও পিতা এক, তিনি সকলের উপরে, সকলের নিকটে ও সকলের অন্তরে আছেন। কিন্তু খ্রীষ্টের দানের পরিমান অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে।” প্রেরিত পৌল আমাদের বলেছেন যে, শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করতে যত্নবান হবার জন্য। যীশু বাপ্তিস্ম ও ক্রুশ-যখন আমরা এ দুটো উপহারের পরিত্রাণ গ্রহণ করি, তখন আমাদের হৃদয়ে শান্তি আসে। যখন আমরা আমাদের হৃদয়ে পাপের ক্ষমা গ্রহন করি, তখন খ্রীষ্টে আমরা এক পরিবারের হই। আমরা এক দেহের আত্মা হই।
 “প্রভু এক।” যীশু খ্রীষ্ট যিনি আমাদের পাপ মুক্ত করেছেন তিনি এক “বিশ্বাস এক।” আপনি কি বিশ্বাস করেন ? আপনি যীশুর জল, রক্ত ও আত্মার পরিত্রাণ বিশ্বাস করেন যা নীল, বেগুনী ও লাল এবং সদা মসীনা বস্ত্রে প্রতীয়মান হয়েছে। “বাপ্তিস্ম এক।” প্রেরিত পৌল দৃঢ়ভাবে আবার যীশুর বাপ্তিস্মের কথা বলেছেন। তিনি এখানে ক্রুশের কথা বলেননি, কিন্তু তিনি বরং যীশুর বাপ্তিস্মের উপর জোর দিয়েছেন যা শর্তহীন ভাবে সকল বিশ্বাসীদের পরিস্কৃত করেছে। খ্রীষ্ট বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন আমাদের বাপ্তিস্মের জন্য আর এভাবে আমরা খ্রীষ্টকে পরিধান করি (গালাতীয় ৩:২৭ পদ)। “প্রভু এক।” ঈশ্বর এক।এই ঈশ্বর তাঁর নিজের পুত্র পাঠিয়ে আমাদের পাপ মুক্ত করেছেন।
এই সব কিছুই হল জল, রক্ত ও আত্মার এক বিশ্বাস নির্দেশ করে (১ম যোহন ৫:৮ পদ)। এটা তখনই হয় যখন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসে আমাদের একে অপরের হৃদয় একত্রিত হয়। যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে তারা একে অপরের হৃদয়ে এক হতে পারে। সম্ভাবত খুব কম সময় যখন তারা একে অপরকে পুরোপুরি ভাবে বুঝতে পারে না। কিন্তু মাঝের অর্গল যেমন তক্তার মধ্য দিয়ে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত গিয়েছে, যদি তারা সত্যিকারে পাপের ক্ষমা হৃদয়ের গভীরে গ্রহণ করে থাকে, তবে তারা সকলেই একে অপরে একত্রিত হতে পারে, “এই ভ্রাতাও পাপ মুক্ত হয়েছে কিন্তু তার মাংস দূর্বল তার হৃদয়ে অনেক যৌনতার পাপ রয়ে গেছে। প্রত্যেকের মত সে ও, এক অসৎ বিচী, কিন্তু প্রভু এখনো তার পাপ জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা ক্ষমা করেছেন।” এভাবে, দারা একে অপরকে বুঝতে পারে এবং প্রভুর ধন্যবাদ করে। 
এটা কোন বিষয় না যে, মানুষ কতটা অসম্পূর্ন, যদি তারা পাপের ক্ষমা গ্রহন করে এবং গির্জায় গমনাগমন করে, তাহলে, তাদের মুখ, চিন্তা-ধারা, তাদের হৃদয়ের সকলই আলোকিত হবে, এবং তারা একে অপরে একত্রিত হতে সক্ষম হবে। ধার্মিক একে অপরকে দেখতে পারে। কি এটা সম্ভব করল? বিশ্বাস এটাকে সম্ভব করেছে। তারা একে অপরকে দেখতে পারে এটা অন্য কোন অবস্থার জন্য নয়, কারণ বিশ্বাসে তারা এটা পারে। তাহলে, অন্যদের সাথে আমাদের এতত্রিত না হবার অক্ষমতা ব্যাখ্যা করুন? আমরা যারা খ্রীষ্টে নেই তাদের সাথে আমাদের হৃদয় শেয়ার করতে পারিনা, কারণ তারা তাদের হৃদয় জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার বিশ্বাস করে না। যারা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার বিশ্বাস করে না তারা কখনো আমাদের সাথে একত্রিত হতে পারে না।
ভাইবোন, আসলে ঈশ্বরের গৃহ কি? এটা হল তাদের একত্রিত হবার স্থান যারা খ্রীষ্ট যীশুতে পবিত্ৰকৃত হয়েছে, যাদের কে পবিত্র বলা হয় (১ করিন্থীয় ১:২ পদ)। এটা হল তাদের সভা যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে যে, যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তাদের পাপ ধৌত করেছেন, আর তিনি তাদের পাপ কাঁধে নিয়ে তাদের পাপ মুক্ত করেছেন এবং তাদের সমস্ত দন্ডাজ্ঞা ক্রুশে বহন করেছেন আর তিনি মৃত্যু থেকে আবার পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং আমাদের নিজেদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সন্তান হয়েছেন ঈশ্বরের গৃহ তাদের মিলিত হবার স্থান ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এটার কারণ হল যে এই বিশ্বাস আপনার এবং আমার উভয়ের হৃদয়ের বিশ্বাস যা আমাদের একে অপরকে দেখতে সাহায্য করে যখন আমরা তাঁর গৃহে থাকি। ঈশ্বর যেমন আমাদের বাহিরের চেহারা দেখেন না কিন্তু তিনি আমাদের হৃদয় দেখেন, যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন তারাও বাইরের চেহারা দেখেন না, কিন্তু প্রত্যেকে গভীরে বিশ্বাসে একত্রিত হন। “এই ব্যক্তি কি প্রকৃত পক্ষে হৃদয়ে এ সত্য বিশ্বাস করেছে?”-যা আমরা দেখি। এটা কোন বিষয় নয় যে ব্যক্তিত্ব কতটা আলাদা, এটা কোন বিষয় নয় যে সে কতদিন যাবৎ “প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক, প্রভু এক এবং সকলের পিতা এটাতে বিশ্বাস করছে।”
কেননা আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সমাগম তাম্বুর পিলার এবং তক্তা হয়েছি, আর আমরা বিশ্বাস করি এজন্য ঈশ্বরের পরিবার ভূক্ত হয়েছি। আপনি কি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন? এর কারণ হল যে আমরা বিশ্বাস করি আমরা পৃথিবীব্যাপি পরিত্রাণের আলো ছড়াচ্ছি, যেমন খাঁটি সোনা (বিশ্বাস) ঈশ্বরের গৃহের কিরন। আমরা আমাদের হৃদয় কেবল মাত্র তাদের সঙ্গেই শেয়ার করতে পারি যারা সম্প্রতি পাপের ক্ষমা লাভ করেছেন আর তাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মাও বাস করে। আমরা যদি শুধু মাত্র পাপের ক্ষমা গ্রহণ করি তাহলে আমরা সকলে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে পারি, কিন্তু আমরা যদি পাপের ক্ষমা গ্রহন না করি তবে আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে পারিনা। যারা পাপী তারা লোকদের বাহিরের চেহারা উপর ভিত্তি করে তাদের মধ্যে প্রভেদ করে, তারা একে অপরের ধন-সম্পদ, যশ, খ্যতি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে তাদের বিচার করে, কিন্তু আমরা যারা ধার্মিক তারা তাদের হৃদয় দিয়ে এটা করি না। ধার্মিকদের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই।
যখন লোকজন পাপের ক্ষমা লাভ করে, তখন আমি প্রায়ই তাদের জিজ্ঞাসা করি, “আপনি কি সত্যই পাপের ক্ষমা লাভ করেছেন? আপনার কি এখনো পাপ আছে, নাকি সব পাপ অদৃশ্য হয়ে গেছে? এভাবে, আপনার অবশ্যই বাইবেল সম্বন্ধে অনেক প্রশ্ন থাকতে পাপে, পারে না কি? তাদের জিজ্ঞাসা করি কি বিশ্বাসে আপনি জীবনে চলছেন? আপনার ক্রটি অবশ্যই প্রকাশিত হবে এবং সম্ভবত আপনি কিছু ভুল করবেন। কিন্তু নেতারা এবং যারা আগেই খ্রীষ্টের কাছে চলে গেছে তারা আপনাকে সাহায্য করবে, সুতরাং সব কিছু সুন্দর ভাবে চলবে।”
ভাইবোন, ধার্মিকের জন্য গির্জার প্রয়োজন। সমাগম তাম্বুর অর্থ হল গৃহ। যারা জল ও আত্মা বিশ্বাস করে না তারা ঈশ্বরের গৃহে আসতে ও বাস করতে পারে না। যারা জল ও আত্মার সুসমাচার যা নীল, বেগুনী ও লাল সুতায় বস্ত্রে প্রতীয়মান হয়েছে এতে বিশ্বাস করে না তারা আসতে পারে না। কেবলমাত্র যারা এ সত্যে বিশ্বাস করে, তারা ঈশ্বরের গৃহে বাস করে, ঈশ্বরের সন্তান হয়, তাঁর কার্যকারী হয় এবং ঈশ্বরের গৌরবও দেখতে পায়। এটা শুধুমাত্র রক্ত অথবা তাদের মাংসিক কিছু যোগ্যকার দ্বারা মানুষ ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে না। এটা কোন বিষয় নয় যে পাষ্টার কতটা প্রামানিক, যদি তারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস না করে, তবে তারা ঈশ্বরের সন্তান না।
 
 

যীশু যিনি জল ও আত্মা দ্বারা এসেছিলেন আমাদের যথার্থরূপে পাপ মুক্ত করতে

 
 প্রভু পৃথিবীতে যা করেছিরেন, এটা তাঁর জন্ম, বাপ্তিস্ম রক্ত সেচন এবং পুনরুত্থানের বর্নিত হয়েছে। এসকলই ছিল তাঁর রাজত্বে পাপ ক্ষমার উদ্দেশ্য। যীশু তাঁর সময়ে তাঁর উদ্দেশ্য নীল, বেগুনী ও লাল সুতার বস্ত্র দ্বারা সম্পন্ন করেছিলেন। সমাগম তাম্বুতে বর্নিত নীল, বেগুনী ও লাল সুতার বস্ত্র আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতীয়মান হয়েছিল। ঈশ্বরের পরিত্রাণ এতই বিশাদ যে এটা আমাদের নিজেদের মত করে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। এটা যেমন আমাদের তেমনি এটাতে বিশ্বাস করতে হবে।
আমাদের বিশ্বাস তাঁর পরিত্রাণের দুটো সত্যের সঙ্গে যথার্থভাবে সামঞ্জস্য হওয়া উচিৎঃ তাঁর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত। এই জন্য দুটো পায়ার ছিদ্র রৌপ্যের চুঙ্গি সংঙ্গে যথার্থরূপে আটকানো ছিল। আমরা এসত্যকে এভাবে বিবেচনা করতে পারি না যে যীশু এক মাত্র আমাদের এ জগতের একটি জ্ঞান দান করেছেন এবং এটা শুধুমাত্র এরূপে বিশ্বাস করতে হবে। আপনি এবং আমি আমরা পূর্বেই ঈশ্বরের দ্বারা পাপ মুক্ত হয়েছি যীশুর পরিত্রাণের কাজ দ্বারা যা দুটো রৌপ্যের চুঙ্গিতে প্রতীয়মান হয়েছিল।
সমাগম তাম্বুর আমাদের যীশুর পরিত্রাণের পদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত করে, এবং এই পরিত্রাণের সত্যিকারেই ইতিমধ্যে আমাদের জন্য সম্পন্ন হয়েছে। পরিত্রাণের দুটো আর্শিবাদে বিশ্বাস করুন যা ঈশ্বর আপনাকে দিয়েছেন। স্বর্ণ যা সমাগম তাম্বুতে ব্যবহারিত হয়েছিল তা হল বিশ্বাস। যদি আপনি এ সত্য যেমন তেমনি ভাবে বিশ্বাস করেন, তবে প্রভুর গৌরব এবং পরিত্রাণ আপনার হবে, কিন্তু আপনি যদি বিশ্বাস না করেন তবে তা আপনাতে প্রকাশিত হবে না। আপনি কি বিশ্বাসে সমাগম তাম্বুর ভিতরে বাস করতে চান, ঈশ্বরের গৌরব পরিধান করতে এবং তাঁর দ্বারা রক্ষা পেতে চান নাকি আপনি বিশ্বাস না করে চিরকাল অভিশপ্ত হয়ে থাকতে চান? যদি আপনি কেবলমাত্র ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করতে চান, তবে আপনি পাপ মুক্ত হতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই ক্ৰুশীয় রক্ত এবং বাপ্তিস্মকে একত্রে বিশ্বাস করতে হবে। প্রভুর আর্শিবাদ এদুটো জিনিস গঠন করেছেন।
ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা কেবল মাত্র তখনই আমাদের হৃদয়ে বাস করে যখন আমরা এই দুটো উপাদানে (যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্ত সেচন) বিশ্বাস করি। পবিত্র আত্মা কখনই তাদের হৃদয়ে বাস করে না যারা এদুটোতে বিশ্বাস না করে। আপনি যদি কেবল মাত্র আপনার মুখ দ্বারা বিশ্বাস স্বীকার করেন এবং হৃদয়ে বিশ্বাস না করেন এবং আপনার জ্ঞান যদি কেবল মাত্র একটি ব্যক্তিগত অনুশীলনের চেয়ে বেশী হবে, তবে আপনি তখনই পাপ মুক্ত হবেন না। পাপ মুক্ত হবার জন্য, প্রথমে আপনাকে পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই একটি সীমারেখা টানতে হবে: “এই সময় পর্যন্ত, আমি পাপ মুক্ত হইনি। যে পরিত্রাণের আমি বিশ্বাস করেছিলাম প্রকৃত পক্ষে এটা সত্যিকারের পরিত্রাণ ছিল না। কিন্তু যীশুতে বিশ্বসা দ্বারা যিনি জল ও রক্ত দ্বারা এসেছিলেন, আমি এখন পাপ মুক্ত।” মানুষ তখনই ধার্মিক হয় প্রথমে যখন তারা অনন্তত পক্ষে একবার পাপি থাকে। তাদের অবশ্যই পাপি থাকে। তাদের অবশ্যই এটা মেনে নিতে হবে যে তারা পাপ মুক্ত নয় তারা তাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত এবং এরপর তারা যথার্থরূপে জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করার মাধ্যমে পাপ মুক্ত হয়।
নীল ও বেগুনী সুতা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের মাধ্যমে আমাদের ঠিক পরিত্রাণ পেতে হবে। তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত দিয়ে প্রভু আ যথার্থ পরিত্রাণের আর্শিবাদ প্রদান করেছেন। আমাদের নিজেদের দর্শনের উপর ভিত্ত করে বিশাস স্থাপন করা থেকে বিরত রেখে প্রভু সমাগম তাম্বুর মাধ্যমেও এই পরিত্রাণের সব টুকু অংশ প্রকাশ করেছেন। কেননা এই পরিত্রাণ খুবই মূল্যবান এবং যথার্থ, যারা বিশ্বাসের যোগ্য এটা তাদের জন্য। এটা তাদের পরিত্রাণের একটা একক বিষয় এভাবে বিশ্বাস করার জন্য নয়, শুধুমাত্র ক্রুশীয় রক্ত, কিন্তু উভয় যীশুর বাপ্তিস্ম ও তার রক্তে একত্রে বিশ্বাস। যদি আমাদের মধ্যে এমন কেউ থাকেন যিনি এখনো পাপ মুক্ত হননি, তবে এটা আমার আন্তরিক আশা যে, তিনি এখনই এই সত্য বিশ্বাস করার দ্বারা পাপ মুক্ত হবেন।
 আপনাদের মধ্যে এমন কি কেউ আছেন? সর্বদাই এমন সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমার আশা হল যে, এমন সম্ভাবনা আমাদের কারো মধ্যে কখনই নেই। কি ঘটবে এটা কোন বিষয় নয়, আমি যারা পাপ মুক্ত নয় তাদের ভীড়ে থাকতে পারিনা। আমরাই হলাম তারা। যারা এই দুটো জিনিসে বিশ্বাস দ্বারা যথার্থভাবে পাপ মুক্ত হয়েছেন। (নীল এবং বেগুনী সুতা) যা হল যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্ত। আমি ঈশ্বরকে এই দুটো পরিত্রাণের আর্শিবাদের জন্য ধন্যবাদ দিই যার দ্বারা প্রভু আমাকে পাপ মুক্ত করেছেন। কেননা ঈশ্বর সঠিক রূপে আমার পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন, আমি ইতিমধ্যেই আভিষাপ এবং দন্ডাজ্ঞা থেকেও মুক্তি লাভ করেছি।
প্রকৃতপক্ষে, আমাদের পরিত্রাণ যা নীল ও লাল বস্ত্রের সতার দ্বারা এসেছেন তা হল সবচেয়ে মূল্যবান শব্দ। মনেরাখুন এবং বিশ্বাস করুন যে আপনার পরিত্রাণ আপনাকে যথার্থ রূপে গঠন করেছে সেটা কিবলমাত্র ক্ৰুশীয় রক্ত দ্বারা বা শুধু মাত্র যীশুর বাপ্তিস্ম দ্বারা সাধিত হয়নি, এবং এই দুটো জিনিসের বিশ্বাস করা যা আপনাকে ঈশ্বরের সন্তান তৈরি করতে পারে। আমরা অনন্ত জীবন গ্রহণ করেছি জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস দ্বারা, সমাগম তাম্বুর তক্তার দুটো পায়া এবং রৌপ্যের চুঙ্গির মধ্যেই রহস্যটি লুকিয়ে ছিল।
আমি আমার সকল কৃতজ্ঞতা প্রভুকে জানাই যিনি জগতের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন। হাল্লেলুইয়া!