< প্রকাশিত বাক্য ৬:১-১৭ >
“পরে আমি দেখিলাম, যখন সেই মেষশাবক সেই সপ্তের মধ্যে প্রথম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি সেই চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণীর মেঘগর্জ্জনের তুল্য এই বাণী শুনিলাম, আইস। আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক শুক্লবর্ণ অশ্ব, এবং তাহার উপরে যিনি বসিয়া আছেন, তিনি ধনুর্ধারী, ও তাঁহাকে এক মুকুট দত্ত হইল; এবং তিনি জয় করিতে করিতে ও জয় করিবার জন্য বাহির হইলেন। আর তিনি যখন দ্বিতীয় মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি দ্বিতীয় প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আর একটী অশ্ব বাহির হইল, সেটী লোহিতবর্ণ, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহাকে ক্ষমতা দত্ত হইল, যেন সে পৃথিবী হইতে শান্তি অপহরণ করে, আর যেন মনুষ্যেরা পরস্পরকে বধ করে; এবং একখান বৃহৎ খড়গ তাহাকে দত্ত হইল। পরে তিনি যখন তৃতীয় মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি তৃতীয় প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক কৃষ্ণবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার হস্তে এক তুলাদণ্ড। পরে আমি চারি প্রাণীর মধ্য হইতে নির্গত এইরূপ বাণী শুনিলাম, এক সের গোমের মূল্য এক সিকি, আর তিন সের যবের মূল্য এক সিকি, এবং তুমি তৈলের ও দ্রাক্ষারসের হিংসা করিও না। পরে তিনি যখন চতুর্থ মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি চতুর্থ প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক পাণ্ডুবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার নাম মৃত্যু, এবং পাতাল তাহার অনুগমন করিতেছে; আর তাহাদিগকে পৃথিবীর চতুর্থ অংশের উপরে কর্ত্তৃত্ব দত্ত হইল, যেন তাহারা তরবারি, দুর্ভিক্ষ, মারী ও বনপশু দ্বারা বধ করে। পরে তিনি যখন পঞ্চম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি দেখিলাম, বেদির নীচে সেই লোকদের প্রাণ আছে, যাঁহারা ঈশ্বরের বাক্য প্রযুক্ত, এবং তাঁহাদের কাছে যে সাক্ষ্য ছিল, তৎপ্রযুক্ত নিহত হইয়াছিলেন। তাঁহারা উচ্চ রবে ডাকিয়া কহিলেন, হে পবিত্র সত্যময় অধিপতি, বিচার করিতে এবং পৃথিবী নিবাসীদিগকে আমাদের রক্তপাতের প্রতিফল দিতে কত কাল বিলম্ব করিবে? তখন তাঁহাদের প্রত্যেককে শুক্ল বস্ত্র দত্ত হইল, এবং তাঁহাদিগকে বলা হইল যে, তাঁহাদের যে সহদাস ও ভ্রাতৃগণকে তাঁহাদের ন্যায় নিহত হইতে হইবে, যে পর্য্যন্ত তাঁহাদের সংখ্যা পূর্ণ না হয়; আর কিঞ্চিৎ কাল বিরাম করিতে হইবে। পরে আমি দেখিলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ মুদ্রা খুলিলেন, তখন মহাভূমিকম্প হইল; এবং সূর্য্য লোমজাত কম্বলের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ ও পূর্ণচন্দ্র রক্তের ন্যায় হইল; আর ডুমুরগাছ প্রবল বায়ুতে দোলায়িত হইয়া যেমন আপনার অপক্ব ফল ফেলিয়া দেয়, তেমনি আকাশমণ্ডলস্থ তারা সকল পৃথিবীতে পতিত হইল; আর আকাশমণ্ডল সঙ্কুচ্যমান পুস্তকের ন্যায় অপসারিত হইল, এবং সমস্ত পর্ব্বত ও দ্বীপ স্ব স্ব স্থান হইতে চালিত হইল। আর পৃথিবীর রাজারা ও মহতেরা ও সহস্রপতিগণ ও ধনবানেরা ও বিক্রমিবর্গ এবং সমস্ত দাস ও স্বাধীন লোক গুহাতে ও পর্ব্বতীয় শৈলে আপনাদিগকে লুকাইল, আর পর্ব্বত ও শৈল সকলকে কহিতে লাগিল, আমাদের উপরে পতিত হও, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখ হইতে এবং মেষশাবকের ক্রোধ হইতে আমাদিগকে লুকাইয়া রাখ; কেননা তাঁহাদের ক্রোধের মহাদিন আসিয়া পড়িল, আর কে দাঁড়াইতে পারে?”
টীকা
পদ ১: “পরে আমি দেখিলাম, যখন সেই মেষশাবক সেই সপ্তের মধ্যে প্রথম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি সেই চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণীর মেঘগর্জ্জনের তুল্য এই বাণী শুনিলাম, আইস।”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, যীশু পিতা হতে প্রাপ্ত প্রথম সংকল্প পুস্তক খুললেন, যার মধ্যে মানবজাতির জন্য সমস্ত সংকল্প লিপিবদ্ধ রয়েছে৷
পদ ২: “আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক শুক্লবর্ণ অশ্ব, এবং তাহার উপরে যিনি বসিয়া আছেন, তিনি ধনুর্ধারী, ও তাঁহাকে এক মুকুট দত্ত হইল; এবং তিনি জয় করিতে করিতে ও জয় করিবার জন্য বাহির হইলেন। ”
ঈশ্বরের প্রথম মুদ্রা ঈশ্বরের সংকল্প অনুসারে যীশুতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রতিস্থাপনের কথা বলছে এবং মানবজাতিকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করতে এবং এই সংকল্পের বিজয়ের কথা বলছে৷ ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রদানের মাধ্যমে মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করে তাঁর লোক করার সংকল্প করেছিলেন, যা, যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করার দ্বারা৷
ঈশ্বর জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা পৃথিবীতে আত্মাগণের সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করেছিলেন এবং এখন আমরা যেরূপ বলছি, তিনি অবিরত তদ্রুপ করে যাচ্ছেন৷ এটা মানবজাতির জন্য ঈশ্বর নিরূপিত প্রথম সংকল্প৷ ঈশ্বরের প্রথম সংকল্প হল, যীশু খ্রীষ্টের এই পৃথিবীতে আসা, বাপ্তিস্ম গ্রহণ, ক্রুশবিদ্ধ এবং পুনরুত্থানের দ্বারা মানবজাতিকে পরিত্রাণ করা৷
এই শুক্লবর্ণ অশ্বের যুগ ঈশ্বরের সুসমাচারে ধার্মিকতার যুদ্ধের বিজয় নির্দেশ করে, যা তিনি মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করতে সিদ্ধ করেছেন৷ এটা আমাদের আরো বলছে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারের বিজয়োল্লাস অবিরত চলতে থাকবে৷
পদ ৩-৪: “আর তিনি যখন দ্বিতীয় মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি দ্বিতীয় প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আর একটী অশ্ব বাহির হইল, সেটী লোহিতবর্ণ, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহাকে ক্ষমতা দত্ত হইল, যেন সে পৃথিবী হইতে শান্তি অপহরণ করে, আর যেন মনুষ্যেরা পরস্পরকে বধ করে; এবং একখান বৃহৎ খড়গ তাহাকে দত্ত হইল। ”
এটা আমাদের বলে, ঈশ্বর নিরুপিত দ্বিতীয় যুগের সময় এই পৃথিবী শয়তানের পৃথিবীতে রূপান্তরিত হবে৷ লোহিত অশ্বের যুগের অর্থ হল, এই পৃথিবীটা শয়তানের রাজত্ব হয়ে যাবে৷
শয়তান পৃথিবীর শান্তি হরণ করে যুদ্ধ ডেকে আনবে৷ তার কারণে পৃথিবী বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে, ফলে অসংখ্য লোক তাদের প্রাণ হারাবে এবং যারা এই ধ্বংসে বেঁচে থাকবে, তারা অনিশ্চিত জীবনযাপন করবে৷ এমনকি এখন সারা পৃথিবীতে এক দেশ অন্য দেশকে অবিশ্বাস করছে এবং একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শান্তি এবং স্থান ধ্বংস করছে৷ এই যুগ, যুদ্ধ ও জাতিগণের বিলোপ সাধনের যুগ৷
পদ ৫-৬: “পরে তিনি যখন তৃতীয় মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি তৃতীয় প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক কৃষ্ণবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার হস্তে এক তুলাদণ্ড। পরে আমি চারি প্রাণীর মধ্য হইতে নির্গত এইরূপ বাণী শুনিলাম, এক সের গোমের মূল্য এক সিকি, আর তিন সের যবের মূল্য এক সিকি, এবং তুমি তৈলের ও দ্রাক্ষারসের হিংসা করিও না।”
ঈশ্বর যে তৃতীয় যুগের কথা বলেছেন তা, কৃষ্ণবর্ণ অশ্বের যুগ, মানবজাতির দৈহিক এবং আত্মিক দুর্ভিক্ষের যুগ৷ আজকের পৃথিবীতে অনেক লোক তাদের আত্মিক অনাহারের জন্য মুক্তি পাবে না, এবং এরূপে আরো অনেকে দৈহিকভাবে বুভুক্ষু হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে৷ আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, আমরা এখন তৃতীয় যুগে বাস করছি৷ এই যুগ অতিক্রম করতে করতে পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগে পৌঁছাব৷
পদ ৭-৮: পরে তিনি যখন চতুর্থ মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি চতুর্থ প্রাণীর এই বাণী শুনিলাম, আইস। পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক পাণ্ডুবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার নাম মৃত্যু, এবং পাতাল তাহার অনুগমন করিতেছে; আর তাহাদিগকে পৃথিবীর চতুর্থ অংশের উপরে কর্ত্তৃত্ব দত্ত হইল, যেন তাহারা তরবারি, দুর্ভিক্ষ, মারী ও বনপশু দ্বারা বধ করে।”
ঈশ্বর নিরূপিত চতুর্থ যুগ হল, পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ৷ বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, এটা সেই সময়, যখন খ্রীষ্টারী তার কাজ আরম্ভ করবে এবং এই যুগ সাধুদের সাক্ষ্যমরের যুগ৷ এটা সেই সময়, যখন খ্রীষ্টারী সাধুগণের বিশ্বাস হরণ করবে, এবং যারা তার পূজা এবং চিহ্ন গ্রহণ না করবে, তাদেরকে নির্যাতন ও হত্যা করবে৷ তখন পৃথিবী সপ্ত তুরীর দুর্দশাপূর্ণ অবস্থায় জর্জরিত হবে৷ এই সময় সাধুগণ অপরিহার্যভাবে সাক্ষ্যমর হবে৷
পদ ৯-১১: “পরে তিনি যখন পঞ্চম মুদ্রা খুলিলেন, তখন আমি দেখিলাম, বেদির নীচে সেই লোকদের প্রাণ আছে, যাঁহারা ঈশ্বরের বাক্য প্রযুক্ত, এবং তাঁহাদের কাছে যে সাক্ষ্য ছিল, তৎপ্রযুক্ত নিহত হইয়াছিলেন। তাঁহারা উচ্চ রবে ডাকিয়া কহিলেন, হে পবিত্র সত্যময় অধিপতি, বিচার করিতে এবং পৃথিবী নিবাসীদিগকে আমাদের রক্তপাতের প্রতিফল দিতে কত কাল বিলম্ব করিবে? তখন তাঁহাদের প্রত্যেককে শুক্ল বস্ত্র দত্ত হইল, এবং তাঁহাদিগকে বলা হইল যে, তাঁহাদের যে সহদাস ও ভ্রাতৃগণকে তাঁহাদের ন্যায় নিহত হইতে হইবে, যে পর্য্যন্ত তাঁহাদের সংখ্যা পূর্ণ না হয়; আর কিঞ্চিৎ কাল বিরাম করিতে হইবে।”
পঞ্চম যুগ সাধুগণের পুনরুত্থান এবং উর্দ্ধে নীত হওয়ার যুগ৷ এই যুগের পরে সহস্রাব্দের রাজ্য শুরু হবে৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলছে যে, অবশ্যই আমাদের জন্য প্রতীক্ষামান সাক্ষ্যমরত্ব, পুনরুত্থান এবং উর্দ্ধে গমনে বিশ্বাস করতে হবে, এবং ঈশ্বর যে আমাদের জন্য নূতন পৃথিবী এবং নূতন আকাশের প্রতিজ্ঞা করেছেন তাতে প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস সহ জীবনযাপন করতে হবে৷
পদ ১২: “পরে আমি দেখিলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ মুদ্রা খুলিলেন, তখন মহাভূমিকম্প হইল; এবং সূর্য্য লোমজাত কম্বলের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ ও পূর্ণচন্দ্র রক্তের ন্যায় হইল;”
ঈশ্বরের নিরুপিত ষষ্ঠ যুগ হল, ঈশ্বর সৃষ্ট প্রথম পৃথিবীর ধ্বংসের যুগ৷ এটা এই সময়, যখন পৃথিবীর উপরে মহামারীর সপ্ত বাটি অবতরণ করবে, তখন চন্দ্র, সূর্য্য এবং তারকামন্ডলী তাদের জ্যোতি হারাবে এবং ভুমিকম্পের দ্বারা পৃথিবী জলের নীচে ডুবে যাবে৷
পদ ১৩: “আর ডুমুরগাছ প্রবল বায়ুতে দোলায়িত হইয়া যেমন আপনার অপক্ব ফল ফেলিয়া দেয়, তেমনি আকাশমণ্ডলস্থ তারা সকল পৃথিবীতে পতিত হইল;”
ষষ্ঠ যুগের সময় মহামারীর সপ্ত বাটির দ্বারা ঈশ্বর-সৃষ্ট পৃথিবীর ধ্বংস ঘটবে৷ আকাশ থেকে তারকামন্ডলী পতিত হবে এবং পৃথিবী ওলটপালট হয়ে যাবে, এইরূপে সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর মহাবিনাশ সাধিত হবে৷
পদ ১৪: “আর আকাশমণ্ডল সঙ্কুচ্যমান পুস্তকের ন্যায় অপসারিত হইল, এবং সমস্ত পর্ব্বত ও দ্বীপ স্ব স্ব স্থান হইতে চালিত হইল।”
এই পদ আমাদেরকে বলছে যে, যখন মহামারী সপ্তবাটি প্রবাহিত হবে, তখন আকাশমণ্ডল সঙ্কুচ্যমান পুস্তকের ন্যায় অপসারিত হবে এবং পৃথিবীর সমস্ত পর্বত ও দ্বীপ স্ব স্ব স্থান থেকে চালিত হবে, যা পৃথিবীর গঠন নিমেষের মধ্যে চূর্ণবিচূর্ণ ইঙ্গিত করে৷
পদ ১৫: “আর পৃথিবীর রাজারা ও মহতেরা ও সহস্রপতিগণ ও ধনবানেরা ও বিক্রমিবর্গ এবং সমস্ত দাস ও স্বাধীন লোক গুহাতে ও পর্ব্বতীয় শৈলে আপনাদিগকে লুকাইল,”
ষষ্ঠ মুদ্রার যুগের সময় যখন ঈশ্বর মহামারীর সপ্ত বাটি প্রবাহিত করবেন, তখন এই পৃথিবীতে মেষশাবকের ক্রোধের ভয়ে যারা কম্পিত হবে না, তারা কেউ জীবিত থাকবে না, রাজা বা বিক্রমীরা কেউ নয়৷
পদ ১৬: “আর পর্ব্বত ও শৈল সকলকে কহিতে লাগিল, আমাদের উপরে পতিত হও, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখ হইতে এবং মেষশাবকের ক্রোধ হইতে আমাদিগকে লুকাইয়া রাখ;”
ঈশ্বরের ক্রোধ এত প্রচন্ড হবে যে, সমগ্র মানবজাতি ভয়ে কম্পিত হবে৷ এটা প্রথম এবং শেষ সময় এবং সমস্ত মানুষ ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে যাবে৷
পদ ১৭: “কেননা তাঁহাদের ক্রোধের মহাদিন আসিয়া পড়িল, আর কে দাঁড়াইতে পারে?”
যখন সপ্ত মহামারীর বাটি প্রবাহিত হবে, প্রত্যেকে, বিক্রমী কি ক্ষমতাবান এই আকস্মিক দুর্ঘটনার ভয়ে কম্পিত হবে এবং এটা ঈশ্বরের ক্রোধ হতে নেমে আসবে৷ ঈশ্বর ভয় ব্যতীত কেউই তাঁর ক্রোধের সম্মুখে দাঁড়াতে পারে না৷
তাহলে সপ্ত যুগ কি? ঈশ্বর নিরূপিত সপ্ত যুগ হল, যেখানে সাধুগণ সহস্রাব্দের রাজ্যে বসবাস করবে, এবং নূতন আকাশ ও নূতন পৃথিবী, যেখানে তারা অনন্তকাল বাস করবে৷