Search

佈道

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-16] সাক্ষ্য সিন্দুকে নিহিত আত্মিক নিগুঢ়তত্ত্ব (যাত্রাপুস্তক ২৫:১০-২২)

সাক্ষ্য সিন্দুকে নিহিত আত্মিক নিগুঢ়তত্ত্ব
(যাত্রাপুস্তক ২৫:১০-২২)
 “তাহারা শিটীম কাষ্ঠের এক সিন্দুক নির্ম্মাণ করিবে; তাহা আড়াই হস্ত দীর্ঘ, দেড় হস্ত প্রস্থ ও দেড় হস্ত উচ্চ হইবে। পরে তুমি নির্ম্মল সুবর্ণে তাহা মুড়িবে; তাহার ভিতর ও বাহির মুড়িবে, এবং তাহার উপরে চারিদিকে স্বর্ণের নিকাল গড়িয়া দিবে। আর তাহার জন্য সুবর্ণের চারি কড়া ছাঁচে ঢালিয়া তাহার চারি পায়াতে দিবে; তাহার এক পার্শ্বে দুই কড়া, ও অন্য পার্শ্বে দুই কড়া থাকিবে। আর তুমি শিটীম কাষ্ঠের দুইটী বহন-দণ্ড করিয়া স্বর্ণে মুড়িবে। আর সিন্দুক বহনার্থে ঐ বহন-দণ্ড সিন্দুকের দুই পার্শ্বস্থ কড়াতে দিবে।সেই বহন-দণ্ড সিন্দুকের কড়াতে থাকিবে, তাহা হইতে বহিষ্কৃত হইবে না। আর আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যপত্র দিব, তাহা ঐ সিন্দুকে রাখিবে। পরে তুমি নির্ম্মল স্বর্ণে আড়াই হস্ত দীর্ঘ ও দেড় হস্ত প্রস্থ পাপাবরণ প্রস্তুত করিবে। আর তুমি স্বর্ণের দুই করূব নির্ম্মাণ করিবে; পাপাবরণের দুই মুড়াতে পিটান কার্য্য দ্বারা তাহাদিগকে নির্ম্মাণ করিবে। এক মুড়াতে এক করূব ও অন্য মুড়াতে অন্য করূব, পাপাবরণের দুই মুড়াতে তৎসহিত অখণ্ড দুই করূব করিবে। আর সেই দুই করূব ঊর্দ্ধে পক্ষ বিস্তার করিয়া ঐ পক্ষ দ্বারা পাপাবরণকে আচ্ছাদন করিবে, এবং তাহাদের মুখ পরস্পরের দিকে থাকিবে, করূবদের দৃষ্টি পাপাবরণের দিকে থাকিবে। তুমি এই পাপাবরণ সেই সিন্দুকের উপরে রাখিবে, এবং আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যপত্র দিব, তাহা ঐ সিন্দুকের মধ্যে রাখিবে। আর আমি সেই স্থানে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিব, এবং পাপাবরণের উপরিভাগ হইতে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ দুই করূবের মধ্য হইতে তোমার সঙ্গে আলাপ করিয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের প্রতি আমার সমস্ত আজ্ঞা তোমাকে জ্ঞাত করিব।”
 
 
নিয়ম সিন্ধুক
 অদ্যকার আলোচ্য বিষয় হলো সাক্ষ্য-সিন্দুক। সাক্ষ্য-সিন্দুকের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৩ সেঃমিঃ, প্রস্থে ৬৮ সেঃমিঃ, উচ্চতা ৬৮ সেঃমিঃ এবং এটা ছিল শিটীম কাষ্ঠের তৈরী ও খাঁটি স্বর্ণ দ্বারা মুড়িত। সিন্দুকের অভ্যন্তরে ছিল দশ আজ্ঞা সম্বলিত খোদাই করা দুইটি পাথরের ফলক ও মান্না সম্বলিত একটি স্বর্ণের পাত্র এবং পরে হারণের মুকুলিত যষ্ঠি ও এদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। সাক্ষ্য-সিন্দুকের মধ্যে রাখা এই তিন প্রকারের জিনিষ তাহলে আমাদেরকে কি বলছে? এই তিন ধরণের জিনিষের মধ্য দিয়ে আমি যীশু খ্রীষ্টের তিনটি কার্যকাল সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করতে চাই। চলুন, এখন আমরা সাক্ষ্য-সিন্দুকে রাখা এই তিন ধরণের জিনিষে প্রতিয়মান আত্মিক সত্যের পরিক্ষা দেই। 
 
 
ব্যবস্থা দ্বারা খোদিত দুইটি পাথর ফলক 
 
নিয়ম সিন্ধুকের সামগ্রী
 সাক্ষ্য-সিন্দুকের অভ্যন্তরে রক্ষিত ব্যবস্থা দ্বারা খোদিত দুইটি পাথরের ফলক আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর যিনি আমাদেরকে তাঁর ব্যবস্থা দিয়েছেন তিনিই ব্যবস্থা গঠণকারী। রোমীয় ৮:১-২ পদ অনুযায়ী, “অতএব এখন, যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাহাদের প্রতি কোন দন্ডাজ্ঞা নাই। কেননা, খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।” এই অনুচ্ছেদ থেকে আমরা দেখতে যে ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে দুইটি ব্যবস্থা স্থির করেছেন: জীবনের ব্যবস্থা এবং বিচারের ব্যবস্থা। 
 এই দুই প্রকার ব্যবস্থা দ্বারাই ঈশ্বর সমগ্র মানব জাতির প্রতি পরিত্রাণ এবং শাস্তি আনয়ন করেছেন। প্রথমতঃ ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে আমরা উপলব্দি করতে পারি যে আমরা পাপীরা অবশ্যম্ভাবীভাবে নরকে যেতে বাধ্য। যাইহোক, যারা তাদের পাপীয় স্বভাব এবং পরিনতির বিষয় জানে, ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণের ব্যবস্থা, “খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার ব্যবস্থা” দিয়েছেন। এই দুই ব্যবস্থা দানের দ্বারা ঈশ্বর তাদের সকলের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। 
 
 
স্বর্ণপাত্রে মান্না রাখা হত
 
 সিন্দুকের অভ্যন্তরে যে স্বর্ণপাত্র রাখা হত, তাতে মান্না ছিল। ইস্রায়েল লোকেরা যখন ৪০ বছর প্রান্তরে কাটিয়েছিল, সেই সময় ঈশ্বর তাদের জন্য স্বর্গ থেকে খাবার দিতেন, আর ইস্রায়েল জাতি বিভিন্ন ভাবে এই মান্না রান্না করে খেত, তাদের জীবন ধারন করত। আর এটা ছিল শুভ্র ধনে বীজের মত, এবং এর স্বাদ ছিল মধুমিশ্রিত সুস্বাদু মচমচে কেকের মত। যতদিন পর্যন্ত না ইস্রায়েল জাতি কনান দেশে প্রবেশ করেছিল, ততদিন যাবৎ ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে তাদের জীবন ধারনের জন্য এই মান্না দিয়ে আসছিলেন। এই রূপে স্মরনার্থে এই খাদ্য একটি পাত্রে রাখা হত। 
 এই বিষয়টি আমাদের বলে যে, আজকের বিশ্বাসীদেরও উচিত জীবনদায়ক রুটি ভোজন করা, যেন ঈশ্বরের আত্মিক সন্তানেরা স্বর্গে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত জগতে থাকা কালীন এই খাদ্য অবশ্যই ভোজন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা যখন জগতের খাদ্য চাইছি আর তাহল ঈশ্বরের বাক্যের পরিবর্তে এই জগতের শিক্ষা। এমতাবস্থায়, ঈশ্বরের সন্তানগণকে আত্মিক কনান দেশে পৌছানোর পূর্বে বাস্তবিক এবং সত্যই যেভাবে বেঁচে থাকতে হবে, তাহল ঈশ্বরের বাক্যে; যা সত্য জীবনের আত্মিক খাদ্য, যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে। 
 সর্বদা চেষ্টা করেও যে কেউ এই প্রকৃত জীবন-খাদ্য পেতে পারে না। আমাদের যত বেশী এই আত্মিক খাদ্য থাকবে, এটা আমাদের আত্মার জন্য ততবেশী সত্য জীবন হয়ে উঠবে। কিন্তু আমরা যদি ঈশ্বরের বাক্যের পরিবর্তে জাগতিক শিক্ষার খাবার ভোজন করি, তাহলে আমাদের আত্মা স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুতে পর্যবশিত হবে। 
 স্বর্গ হতে যে মান্না নেমে আসছিল সেগুলো একটি পাত্রে ধরে রাখার জন্য ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে আজ্ঞা দিয়েছিলেন। যেভাবে যাত্রাপুস্তক ১৬:৩৩ পদে দেখান হয়েছে, “ঈশ্বর বলেছিলেন, একটা পাত্র লইয়া পূর্ন এক ওমর পরিমান মান্না সদাপ্রভুর সম্মুখে রাখ; তাহা তোমাদের পুরুষপরম্পরার নিমিত্ত রাখা যাইবে।” যে মান্না স্বর্গ থেকে নেমে আসছিল তা ছিল মানুষের আত্মার নিমিত্ত প্রকৃত জীবন খাদ্য। “তিনি তোমাকে নত করিলেন, ও তোমাকে ক্ষুধিত করিয়া তোমার অজ্ঞাত ও তোমার পিতৃপুরুষদের অজ্ঞাত মান্না দিয়া প্রতিপালন করিলেন; যেন তিনি তোমাকে জানাইতে পারেন যে, মনুষ্য কেবল রুটিতে বাঁচেনা, কিন্তু সদাপ্রভুর মুখ হইতে যাহা যাহা নির্গত হয়, তাহাতেই মনুষ্য বাঁচে” (দ্বিতীয় বিবরণ ৮:৩)। 
 
 

তাহলে আমাদের জন্য প্রকৃত জীবন-খাদ্য কে?

 
 আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর দেহে বহন করতে যীশু খ্রীষ্ট যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন এবং রক্ত সেচন করেছেন; তা-ই আমাদের প্রকৃত জীবন-খাদ্য। তাঁর মাংস এবং রক্ত আমাদেরকে প্রদানের দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট অনন্ত জীবনের খাদ্য হয়েছেন। যেভাবে যোহন ৬:৪৮-৫৪পদ আমাদেরকে বলে, “আমিই জীবন খাদ্য। তোমাদের পিতৃপুরুষেরা প্রান্তরে মান্না খাইয়াছিল, আর তাহারা মরিয়া গিয়াছে। এ সেই খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আইসে, যেন লোকে তাহা খায়, ও না মরে। আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। কেহ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে, আর আমি যে খাদ্য দিব, সে আমার মাংস, জগতের জীবনের জন্য। অতএব যিহুদীরা পরষ্পর বাগযুদ্ধ করিয়া বলিতে লাগিল, এ ব্যক্তি কেমন করিয়া আমাদিগকে ভোজনের জন্য আপনার মাংস দিতে পারে? যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, সত্য, সত্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা যদি মনুষ্যপুত্রের মাংস ভোজন ও তাঁহার রক্ত পান না কর, তোমাদের জীবন নাই। যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে, এবং আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব।”
 আমাদের প্রভু বলেন,“এ সেই খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আইসে, যেমন তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মান্না খাইয়াছিল, আর তাহারা মরিয়া গিয়াছে, এমন নয়। যে কেহ এই খাদ্য খায়, সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে।” “স্বর্গ হইতে যে খাদ্য নামিয়া আইসে” তা কি ছিল? এর অর্থ হল, যীশুর মাংস এবং রক্ত। বাইবেল, যীশুর মাংস আমাদেরকে বলে যে, যীশুখ্রীষ্ট যোহনের দ্বারা যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন। যীশুর রক্ত আমাদেরকে বলে যে, যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, তিনি জগতের সমস্ত পাপ বহন করেছেন, এবং ক্রুশারোপণের মধ্যদিয়ে আমাদের পাপের নিমিত্ত শাস্তি ভোগ করেছেন। 
 ইস্রায়েল জাতি যখন প্রান্তরে ছিল, তখন সাক্ষ্য-সিন্দুকের ভেতরে পাত্রে যে মান্না রাখা হত; তা ছিল তাদের নিমিত্ত জীবনখাদ্য, আর নূতন নিয়মের কালে এর আত্মিক অর্থ রূপে যীশু খ্রীষ্টের মাংসকে প্রকাশ করা হয়েছে। এই সত্য আমাদেরকে যীশুর বাপ্তিস্মের বিষয় দেখায়, যার মধ্য দিয়ে যীশু খ্রীষ্ট পাপীদের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, এবং রক্ত যা তিনি ক্রুশে সেচন করেছেন। কেননা যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্যদিয়ে জগতের সমস্ত পাপ তাঁর নিজ দেহে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছেন ও ক্রুশে মরেছেন, তাঁর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত সেচন নূতন জীবনের চিরস্থায়ী ঝরনাধারা হয়েছে, যা বিশ্বাসীদের নূতন জন্ম লাভ করতে সক্ষম করেছে। 
 যীশু বাপ্তিস্মের মধ্যদিয়ে পাপীদের অপরাধ নিজের উপর তুলে নিতে যে মাংস ত্যাগ করেছেন এবং ক্রুশে যে রক্ত তিনি সেচন করেছেন, তা-ই জীবন-খাদ্য; যা সমস্ত পাপীদেরকে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। অতএব, আমরা অবশ্যই এটা উপলব্দি করব যে কেন যীশু বলেছেন, “তোমরা যদি মনুষ্য পুত্রের মাংস ভোজন ও তাঁহার রক্ত পান না কর, তোমাদিগেতে জীবন নাই” (যোহন ৬:৫৩)। 
 
 
কে মহৎ? 
 
 আমরা যখন যোহন ৬ অধ্যায়ে লক্ষ্য করি, তখন আমরা দেখতে পাই যে ঐ সময়ে অধিকাংশ যিহুদীরা মোশিকে যীশুর চাইতেও মহৎ ব্যক্তি বলে মনে করত। যীশু যখন এই পৃথিবীতে আসলেন, তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি তোমার পিতৃপুরুষ মোশির চাইতেও মহৎ?” বস্তুতঃ তারা মনে করত সকলের মধ্যে মেশিই মহৎ কেননা যিহুদীরা যীশুকে মোশিহ রূপে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারা তাকে চক্ষুশূলের ন্যায় ভাবছিল। সুতারাং তারা এই ভাবে তাঁকে প্রশ্ন করে চ্যালেজ্ঞ করছিল,“তুমি কি মোশির চাইতে মহৎ?” ইস্রায়েলর লোকেরা যিহোবা ঈশ্বরে বিশ্বাস করত, আর যখন মাত্র ৩০ বছর বয়সের একজন যুবক এসে দাবি করল, “যদিও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মান্না খাইয়াছিল, আর মরিয়া গিয়াছে, আমি যে খাদ্য দিব, কেহ যদি তাহা খায়, তবে সে মরিবে না।” এই কারনেই তারা মোশি এবং যীশু এই দুই জনের ক্ষমতার তারতম্য করছিল।
 তাই, পরে যীশু বললেন, “অব্রাহামের জন্মের পূর্বাবধি আমি আছি” সমগ্র মানব ইতিহাসের যেকোন মানব অপেক্ষা তিনিই মহৎ কেননা তিনি নিজেই হলেন স্রষ্টা। কী করে সাধারণ সৃষ্টি তার সৃষ্টিকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে? এমন কি এখনও কিছু লোক রয়েছে যারা বলে যে, যীশু কেবলমাত্র একজন বড় মাপের শিক্ষক, মানব ইতিহাসে কেনল একজন মহাজ্ঞানী ব্যক্তি। কি লজ্জাস্কর! যীশু হলেন ঈশ্বর, রাজাদের রাজা এবং সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা। তিনি হলেন সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। তথাপি, তিনি আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হতে, নিজেকে নত করেছিলেন, আপনাকে এবং আমাকে আমাদের সমস্ত পাপ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। 
 যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “ভাববাদিগণের গ্রহে লেখা আছে, ‘তাহারা সকলে ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাইবে।’ যে কেহ পিতার নিকটে শুনিয়া শিক্ষা পাইয়াছে, সেই আমার কাছে আইসে। যে কেহ পিতাকে দেখিয়াছে তাহা নয়; যিনি ঈশ্বর হইতে আসিয়াছেন, কেবল তিনিই পিতাকে দেখিয়াছেন।” অবশেষে যীশু দ্ব্যর্থহীন ভাবেই বলেছেন যে, তিনিই খ্রীষ্ট, যার জন্য যীহুদীরা অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু তারা এটা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল যে, যীশু তাদেরকে কি বলতে চেয়েছেন, না তারা একথা বিশ্বাস করেছিল, না গ্রহণ করেছিল, আর এর ফলাফল ছিল মারাত্মক ভূল, তাই তারা অবাক হল,
 “তুমি কিভাবে আমাদেরকে তোমার মাংস খেতে দিতে পার? তুমি কিভাবে বলছ যে, আমরা যদি সত্যিই তোমার মাংস ও তোমার রক্ত পান করি, তাহলে আমরা অনন্তজীবনের অধিকারী হব? তুমি কি মনে কর আমরা মাংসভোগী প্রাণীর ন্যায়।” 
 কিন্তু যারা যীশুর মাংস ভোজন করবে এবং তাঁর রক্ত পান করবে তারা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। যীশুর মাংসই হচ্ছে জীবন খাদ্য। যে মান্না পাত্রে রাখা হত, তার মূল বিষয়বস্তু হল, জীবন খাদ্য, যীশু খ্রীষ্টের মাংস এবং রক্ত। এই পৃথিবীতে এসে তাঁর মাংস এবং রক্ত দানের দ্বারা যীশু আমাদেরকে জীবনদায়ক রূটি ভোজন করতে এবং অনন্তরাজ্য গ্রহণ করতে সক্ষম করেছেন। 
 তাহলে, কিভাবে প্রত্যেকে যীশুর মাংস এবং রক্ত ভোজন ও পান করতে পারে? কেবলমাত্র একটি পন্থায় যীশুর মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান করা যায়, তাহলে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করা। আমরা অবশ্যই বিশ্বাসে যীশুর মাংস ভোজন করব এবং তাঁর রক্ত পান করব। আপনাকে এবং আমাকে পাপের ক্ষমা দিতে এবং স্বর্গরাজ্যে অনন্তকালের নিমিত্ত বাস করতে, আমাদের প্রভু বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ একেবারেই মুছে দিয়েছেন এবং তাঁর রক্ত সেচন করেছেন, আর এই ভাবে তিনি আমাদের আত্মার খাদ্য হয়েছেন। অতএব এখন, ঈশ্বরের জল ও আত্মার বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা অবশ্যই এই আত্মিক খাদ্য ভোজন করব এবং অনন্ত জীবন গ্রহণ করব।
 আমাকে আরও বিস্তারিত ভাবে আশ্বাদান করতে দিন, যে কিভাবে আমরা যীশুর মাংস খেতে পারি এবং আমি ভালভাবে জানি যে, যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, ৩০ বছর বয়সে মানব জাতির সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করে যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং তারপরে ক্রুশে রক্ত সেচন করে মৃত্যুর দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছিলেন। এই মহা সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা তাঁর মাংস খেতে পারি? এবং তাঁর রক্ত পান করতে পারি। বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্যে দিয়ে মানব জাতির সমস্ত পাপ যীশুর দেহে চলে গিয়েছিল, আর এইরূপে পাপ ধৌতকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর রক্ত পান করার অর্থ হল, যেহেতু যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচনের করেছেন, এই যে রক্ত তিনি সেচন করেছেন তা আমাদের পাপের দন্ড বহন করেছেন। 
 এইরূপে, যারা তাদের হৃদয় দিয়ে যীশুর রক্তে বিশ্বাস করে তাদের তৃষ্ণা মিটে, আর যীশু যে ক্রুশীয় শাস্তি বহন করেছেন তার দ্বারা তাদের সমস্ত পাপের দন্ড সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়েছে। আমরা অবশ্যই এই সত্য অনুধাবন করব। এবং আমরা অবশ্যই এতে বিশ্বাস করব। কেননা যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করলেন, এই সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা একবারেই সমস্ত পাপ থেকে পরিস্কৃত হয়েছি।
 ঈশ্বর আমাদেরকে বিশ্বাসে যীশুর মাংস ভোজন এবং রক্ত পান করতে বলেছেন। কেননা যীশু যোহনের কাছ থেকে যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে দিয়ে সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, কারও অর্ধৰ্মই বাদ দেয়া হয় নাই, তার কারণ ক্রুশীয় শাস্তি ভোগ করতে তিনি তাঁর দেহ দান করলেন এবং তাঁর মহামূল্যবান রক্ত সেচন করলেন, যাদের হৃদয় এতে বিশ্বাস করে তারা পরিষ্কার এবং পিপাসা মুক্ত, এই ভাবে তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে ধৌত হয়েছে এবং বিশ্বাসে সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছে। এই কারণে যীশু বলেছেন, “কারণ আমার মাংস প্রকৃত ভক্ষ্য, এবং আমার রক্ত প্রকৃত পানীয়” (যোহন ৬:৫৫)। 
 নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, ঈশ্বরের পুত্র এই যীশু সত্যই ত্রাণকর্তা, যিনি আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন এবং আমাদের পাপের শাস্তি ভোগ করেছেন। যে ব্যবস্থা ঘোষনা করে যে, পাপের বেতন মৃত্যু, সেই ব্যবস্থা থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে, সমস্ত পাপ আমাদেরকে ধৌত করতে, এবং সমস্ত শাস্তি থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করতে, এই একজনই, ত্রাণকর্তা এবং ঈশ্বরের পুত্র, যিনি তাঁর নিজ দেহ ক্রুশে দান করেছেন, রক্ত সেচন করেছেন, আর যারা এতে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের হৃদয় পরিস্কার করেছেন এবং তাদের পিপাসা মিটিয়েছেন। এটাই যীশুর মাংস এবং রক্তের বাস্তবতা। 
 যীশুই ত্রাণকর্তা, যিনি মানব জাতির পাপ এবং দন্ডের বিষয় চিন্তা করেছেন। যীশুই ত্রাণকর্তা, যিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্য দিয়ে মানব জাতির সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছেন, যিনি এই সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করতে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন এবং রক্ত সেচন করেছেন। এর কারণ, আমাদের থেকে অর্পিত সমস্ত পাপ যীশু তাঁর নিজের উপরে গ্রহণ করেছিলেন, এবং ঐ পাপ বহন করার কারণে তিনি যে ক্রুশীয় শাস্তি ভোগ করেছিল সেই শাস্তি আমাদেরই ছিল।
 জল ও আত্মার এই সত্যে বিশ্বাস আমরা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারি। আপনার নিজের পাপের ক্ষমার নিমিত্ত আপনারা সকলে অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্ত সেচনে বিশ্বাস করবেন। এই সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস যে, আত্মিকভাবে আমরা যীশুর মাংস ও রক্ত ভোজন এবং পান করতে পারি। অন্যভাবে বলা যায়, ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের পাপ সমূহ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, ক্রুশের উপর আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড ভোগ করেছেন, এই বিশ্বাসের দ্বারা আমরা একজন হতে পারি, যারা তাঁর মাংস ভোজন এবং রক্ত পান করতে সক্ষম, আর এভাবেই অনন্ত জীবন গ্রহণ করতে সক্ষম। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত সেচনে বিশ্বাসের দ্বারা, আমরা এখন তাঁর মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান করতে পারি। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং রক্ত, যা তিনি আমাদের পাপের ক্ষমার খাদ্য রূপে ক্রুশে সেচন করেছেন তাতে বিশ্বাসের দ্বারা সমস্ত পাপ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। এটা সেই বিশ্বাস যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি, ঈশ্বরের সন্তান হয়েছি এবং যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে ঈশ্বরের রাজ্যে বেঁচে থাকব।
 
 
হারোণের মুকুলিত যষ্ঠি 
 
 সাক্ষ্য-সিন্দুকের অভ্যন্তরের রাখা বিষয়গুলোর মধ্যে হারাণের মুকুলিত যষ্ঠি; যীশু খ্রীষ্টকে স্বর্গরাজ্যের অনন্তকালীন মহা যাজক রূপে প্রকাশ করে। তাছাড়া এটা আমাদেরকে এ ও বলে যে তার মধ্যে অনন্ত জীবন রয়েছে। এই বিষয় আমাদের ধারণাকে আরও সহজতর করতে, চলুন আমরা গণনাপুস্তক ১৬:১-২ পদ দেখি, “লেবির সন্তান কহাৎ, তাঁহার সন্তান যিষহর, সেই যিষহরের সস্তান যে কোরহ, সে এবং রূবেন-সস্তানগণের মদ্যে ইলীয়ারের পুত্র দাথন ও অবীরাম, এবং পেলতের পুত্র ওন দল বাঁধিল; আর ইস্রায়েল-সন্তানদের দুইতশ পঞ্চাশ জনের সহিত মোশির সম্মুখে উঠিল; ইহারা মন্ডলীর অধ্যক্ষ, সমাজে সমাহূত ও প্রসিদ্ধ লোক ছিল।” 
 এই অনুচ্ছেদটি এখানে আমাদেরকে বলে যে, লেবিয়দের মধ্যে মন্ডলীর ২৫০ জন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হল, এবং মোশিল বিরুদ্ধে উঠিল। তারা বলল, “মিশর দেশ থেকে বের করে আনতে মোশি এবং হারোণ আমাদের নিমিত্ত যা করেছিল, তোমার কি আছে? তুমি আমাদেরকে দ্রাক্ষাক্ষেত্র দিতে পার? তুমি কি আমাদেরকে মরূদ্যানে নিয়ে যেতে পার? আমাদের জন্য তোমার কি করার আছে? শেষ পর্যন্ত কেবল মরূভূমিতে মরতে তুমি কি আমাদের প্রান্তরে নিয়ে যেতে পার না? তুমি কিভাবে নিজেকে ঈশ্বরের দাস বলে বলতে পার? ঈশ্বর কি কেবল তোমার মধ্য দিয়ে কার্য্য করেন?” অন্য ভাবে বলা যায় যে, তারা মোশি এবং হারোণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠিল। 
 ঐ সময় ঈশ্বর কোরহ, দাথন এবং মন্ডলীর অন্যান্য অধ্যক্ষ যার বিদ্রোহ করছিল তাদেরকে বললেন, “তুমি এক এক পিতৃকুলের জন্য এক এক যষ্ঠি আন, এবং প্রত্যেক যষ্ঠিতে তাহার নাম লেখ। পরে ঐ সকল যষ্ঠি লইয়া সমাগম তাম্বুতে রাখিলেন। এক রাত্রির নিমিত্ত তিনি চলে গেলেন, এবং পরবর্তী দিবসে সেগুলো দেখতে আসলেন।” পরে সদাপ্রভু কহিলেন, “যে ব্যক্তি আমার মনোনীত, আমি সেই ব্যক্তির যষ্ঠি হইব, তাহার যষ্ঠি হইবে; তাহাতে ইস্রায়েল সস্তানগণ তোমাদের প্রতিকুলে যে যে বচসা করে, তাহা আমি আপনার নিকট হইতে নিবৃত্ত করি” (গণনাপুস্তক ১৭:৫)। ৮ পদে আমরা দেখতে পাই, “লেবি বংশ সম্পৰ্কীয় হারোণের যষ্ঠি অঙ্কুরিত, মুকুলিত ও পুষ্পিত হইয়া বাদাম ফল ধরিয়াছে।”
 তারপর, ১০ পদে আমরা দেখতে পাই, “আর সদাপ্রভু মোশীকে কহিলেন, তুমি হারোণের যষ্ঠি পুনর্বার সাক্ষ্য সিন্ধুকের সম্মুখে রাখ, তাহা বিদ্রোহ সন্তানদের বিরুদ্ধে চিহ্নের জন্য রাখা যাক; এইরূপে আমার বিরুদ্ধে ইহাদের বচসা নিবৃত্ত কর, যেন ইহারা না মরে।” এভাবেই হারোণের মুকুলিত যষ্ঠি এসেছিল এবং সাক্ষ্য-সিন্দুকে রাখা হয়েছিল।
 এই বিষয়টি বলে যে, লেবীয় বংশদ্ভুত হারোণ, ইস্রায়েল জাতির মহা যাজক রূপে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। মোশি ছিলেন ঈশ্বরের ভাববাদি এবং হারোণ ও তাঁর বংশধরেরা ছিল ইস্রায়েল জাতির মহাযাজক। ঈশ্বর নিজেই হারোণকে জগতের মহাকার্য্যের ভার অর্পণ করেছিলেন। ঈশ্বর মোশিকে বলিদানের প্রথা দেখিয়েছিলেন, যেখানে ইস্রায়েল লোকেরা বলির উপহার আনয়ন করত এবং যখনই তারা পাপ করত, তারা এগুলো ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎস্বর্গ করত, আর বলিদান প্রথা অনুসারে প্রয়োজনীয় বস্তু উপহার তত্ত্বাবধান করতে হারোণকে প্রস্তুত করেছিলেন।
 যেহেতু ঈশ্বর মহাযাজক হারোণকে সমস্ত যাজকীয় কার্য্য পরিচালনার ভার অর্পণ করেছিলেন, তাই সেখানে কিছু লোক ছিল যারা তাঁর যাজকত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছিল, আর এই কারণে ঈশ্বর এটা প্রমাণ করতে হারাণের যষ্ঠি আনয়ন করলেন যে, তাঁর যাজকত্ব এসেছে ঈশ্বর থেকে। তারপর তিনি এই বিষয়টি স্মরণ রাখতে ইস্রায়েল জাতিকে এই যষ্ঠি সাক্ষ্য-সিন্দুকের অভ্যান্তরে রাখতে বললেন। এই কারণে সাক্ষ্য- সিন্দুকের অভ্যান্তরে ব্যবস্থা সম্বলিত দুইটি পাথর ফলক, মান্না সম্বলিত পাত্র এবং হারোণের মুকুলিত যষ্ঠি রাখা হয়েছিল। আত্মিকভাবে এই তিনটি বিষয় প্রকাশ করে? এগুলো আমাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের কার্যকালকে প্রকাশ করে।
 
 

আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিতে যীশু খ্রীষ্ট কোন কার্যকাল সম্পূর্ণ করেছেন?

 
 প্রথমত, তিনি ভাবাদির কার্যকাল সম্পূর্ণ করেছেন। তিনিই আলফা এবং ওমেগা। তিনি আদি এবং অন্ত জানেন, আর তিনি আমাদেরকে প্রথম থেকে শেষ পর্যণত সমস্ত কিছু সম্বন্ধেই শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের প্রভু জানেন, যদি আপনি এবং আমি পাপীয় অবস্থায় থাকি তাহলে মানবজাতির প্রতি কি ঘটবে?
 দ্বিতীয়ত; যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গরাজ্যের অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন। তিনি এই পৃথিবীতে এসেছেন, তার কারণ তিনি নিজেই আমাদের নিজস্ব ত্রাণকর্তা হয়ে পাপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধা করতে এবং স্বর্গরাজ্যের প্রকৃত মহাযাজক হয়ে আমাদের সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করতে চেয়েছেন।
 তৃতীয়ত, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের রাজা। বাইবেল বলে, “আর তাঁহার পরিচ্ছেদ ও ঊরুদেশ এই নাম লেকা আছে,-রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু” (প্রকাশিত বাকা ১৯:১৬)। তিনি সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা, আর এই কারণে এর সমস্ত কিছুর উপর কর্ত্তৃত্ব করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। 
 আমাদের অবশ্যই বুঝা উচিত যে, যীশু খ্রীষ্ট, যিনি আমাদের প্রকৃত রাজা, ভাববাদি যিনি আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণের সত্যের বিষয় শিখিয়েছেন; এবং যিনি স্বর্গের অনন্তকালীন মহাযাজক, তিনি আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হয়েছেন।
 আমাদের আপনাকে এবং আমাকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন, আমাদের ঈশ্বরের লোক হয়েছেন, তাঁর সন্তান ও তাঁর কার্যকারী করেছেন, আর তিনি আমাদেরকে উত্তম উত্তম কার্য করতে সক্ষম করেছেন। তিনি আমাদের আত্মাকে নূতন জন্ম পেতে প্রস্তুত করেছেন, যেন আমরা এই পৃথিবীতে নূতন জীবনে বসবাস করতে পারি, এবং তিনি আমাদেরকে নূতন জীবন দিয়েছেন যেন যখন সেই সময় আসবে, তিনি আমাদের দেহকে উঠাতে পারেন এবং আমাদেরকে তাঁর সাথে স্বর্গে অনন্তকাল বাস করতে সক্ষম করাতে পারেন। আপনার এবং আমার জন্য যীশু খ্রীষ্ট কে? তিনি আমাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা এবং মুক্তিদাতা। আর যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ভাববাদি, আমাদের চিরস্থায়ী মহাযাজক এবং আমাদের রাজা।
 যদিও আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে অসম্মান করতে চাইনা, তথাপি আমরা এত অক্ষম এবং দূর্বল যে, আমরা সর্বদা পাপ না করে পারি না। আমরা যদি অবিরত এই ভাবে জীবন-যাপন করতে থাকি, এভাবে মারা যাই এবং তারপর ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াই তাহলে আমাদের যাওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান কি হবে? এটা কি স্বর্গ অথবা নরক হবে? আমাদের সকলের যদি ব্যবস্থা অনুযায়ী বিচারিত হতে হয়, যেভাবে লেখা আছে, “পাপের বেতন মৃত্যু,” তাহলে আমরা কি সকলে ধংস হয়ে যাব না? আমাদের মত এই ধরণের লোক যাদেরকে তিনি পাপ এবং ধংস থেকে উদ্ধার করেছেন, এবং আমাদের মুক্তিদাতা হয়েছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্ট। তিনি নিজেই এই পৃথিবীতে এসেছেন, আমাদেরকে ভালবেসেছেন আর আমাদের মধ্যে যারা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে তাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন, এভাবেই তিনি তাঁর পালের উত্তম মেষপালক হয়েছেন। 
 যোহন ৩:১৬ পদ অনুযায়ী, “কারণ ঈশ্বর জগতের এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, যে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাদের এত বেশী ভালবেসেছেন যে, তিনি নিজেই আমাদের জন্য এই পৃথিবীতে নেমে আসলেন জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিতে বাপ্তাইজিত হলেন, ক্রুশবিদ্ধ হলেন এবং ক্রুশে মরলেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠলেন, আর এই ভাবে তিনি আমাদের সত্যিকারের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। সুতরাং এই যীশু খ্রীষ্ট যিনি আমাদের হৃদয়ের ত্রাণকর্তা হয়েছেন, তাঁকে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা তাদের মত হয়েছি যারা পাপ থেকে পরিস্কার হয়েছে, যারা পরিত্রাণ গ্রহণ করেছে, যে পরিত্রাণ আমাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান হতে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে সক্ষম করেছে। 
 আর একটা বিষয় আছে, তাহল ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদেরকে অবশ্যই দ্ব্যর্থহীনভাবে বিশ্বাসে নিশ্চিত হতে হবে। এর কারণ হল, ঈশ্বর আমাদের ভালবেসেছেন এবং আমাদের পাপ মুছে দিয়েছেন, তিনি রক্তমাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশে মরেছেন, মৃত্যু থেকে উঠেছেন আর এই ভাবে বামাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হয়েছেন। যীশু মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান করা, ইহা হৃদয়ে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা অনন্তজীবনের সাথে সংযুক্ত হতে পারি। কেননা এই ঘটনাটি ছাড়া অন্য কিছু পরিস্কার করতে পারে না, এই জ্ঞান ব্যতিত আমরা কিছু করতে পারি না এবং এতে বিশ্বাস করতে পারি না।
 আমরা অবশ্যই বিশ্বাসে যীশুর মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান করব। আর যে কারো এই বিশ্বাস রয়েছে, যা যীশু খ্রীষ্টে সাধিত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, এটাই তাই। বিশ্বাস ব্যতিত আমাদের কি করার আছে? ঈশ্বরের বিরুদ্ধোচারন করা ব্যতিত আমরা আর কিছুই করতে পারি না। আমরা মুহূর্তের মধ্যে ঈশ্বরকে অসম্মান করি এবং পাপ করি। কিন্তু ঈশ্বর এখনও আপনাকে এবং আমাকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, কেননা তিনি আমাদের সকলকে ভালবাসেন।
 
 
পুরাতন যুগে ঈশ্বর কিভাবে তাঁর পরিত্রাণের কথা বলেছেন?
 
 তাহলে কি পন্থায় প্রভু আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন? পুরাতন নিয়মে মহা যাজকের পোষাক এবং সমাগম তাম্বুর দ্বারে প্রতিয়মান রং এর মধ্য দিয়ে তিনি এই পরিত্রাণের কথা বলেছেন। সমাগম তাম্বুতে প্রতিয়মান নীল, বেগুনে ও লাল সূতা এবং পাকানো মসীনা সূতা হল মুক্তি, যা আমাদেরকে তাঁর পরিত্রাণ দেখায়। আর মহাযাজকের পোষাকে সূবর্ণের সূতা সম্পৃক্ত ছিল।
 নীল সূতা আমাদেরকে বলে যে যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মুক্তিদাতারূপে এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন। বেগুনে সূতা আমাদের বলে যে, যীশু খ্রীষ্ট হলেন রাজাদের রাজা এবং ঈশ্বর স্রষ্টা যিনি এই বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড তৈরী করেছেন। লাল সূতা আমাদেরকে বলে যে, যেহেতু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, জগতের সমস্ত পাপ তিনি বহন করেছেন, এবং এগুলোর জন্য ক্রুশে শাস্তি ভোগ করেছেন, রক্ত সেচন করেছেন এবং মরেছেন, এবং এভাবেই তিনি আমাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন, আর যা আমাদের সমস্ত পাপের দন্ড থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন। 
 পাকানো মিহি মসীনা সূতার অর্থ নূতন এবং পুরাতন নিয়মের বাক্যের সম্প্রসারন যা আমাদেরকে বলে যে, আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন,বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশে মরেছেন, পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন আর এই ভাবে যারা সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করেছে তাদের পাপ মুছে দিয়েছেন শুভ্র তুষারের ন্যায় তাদের আত্মা পরিস্কার করেছেন, এবং তাদেরকে রক্ষা করেছেন। সূবর্ণের সূতা বিশ্বস্ততার চিহ্ন, আমাদের জন্য যীশু খ্রীষ্ট যা করেছেন এটা তা বিশ্বাস করে। এই কারণে সূবর্ণের সূতা উজ্জললদীপ্ত। আপনার এবং আমার দম্ভ করার কিছুই করার নাই, বরং ঈশ্বর নিজেই এবং ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য যা করেছেন আমাদের আমাদের সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে তাতে বিশ্বাস করি। ঈশ্বরের প্রেমে আমরা সত্যিকার ভাবে পরিস্কৃত হতে পারি, তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করতে পারি, এবং তিনি যে ধার্মিকতার কার্য করেছেন কেবল তাতে বিশ্বাস করে তাঁর দ্বারা প্রতিপালিত হতে পারি। সমাগম তাম্বুর মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে যা বলেছেন, এটাই তাই।
 সমাগম তাম্বুতে রাখা সাক্ষ্য-সিন্দুকে মধ্য দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে যা বলছেন তা আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হতে। আমরা অবশ্যই জাতি এবং বিশ্বাস করি যে যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছেন যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের ও সমগ্র মানব জাতির পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন, আমাদের পাপের দন্ড ভোগ করতে ক্রুশে মরেছেন, এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছেন। সাক্ষ-সিন্দুকের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর এই তাম্বু স্থাপন করেছেন, যেন আমরা আমাদের ত্রাণকর্তা রূপ আমাদের নিজস্ব ঈশ্বর রূপে যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করি। যারা নিজেদের পাপ তুলে নিতে যীশুতে বিশ্বাস করে, তাদের পাপের শাস্তিরূপে যীশুর ক্রুশীয় রক্ত সেচনে যারা নিজেদের পাপ তুলে নেওয়ার ন্যায় যীশুর বাপ্তিস্মে, নিজেদের পাপের শান্তির ন্যায় যীশুর ক্রূশীয় রক্ত সেচনে, নিজেদের মৃত্যুর ন্যায় যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যুতে, নিজের পুনরুত্থানের ন্যায় তাঁর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে, -এরাই সেই লোক যাদেরকে ঈশ্বর উদ্ধার করেছেন। সুতরাং, তাহলে এই সমাগম তাম্বু কাকে প্রকাশ করে? এই যীশু খ্রীষ্টকে প্রকাশ করে। এটা আমাদেরকে পরিত্রাণের পদ্ধতির বিষয় বলে যার দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট আপনাকে এবং আমাকে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। নূতন নিয়মে ছিলেন যীশু খ্রীষ্ট যিনি বাপ্তাইজিত হয়েছেন ও ক্রুশে মরেছেন, এভাবে আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন, তাদেরকে ধৌত করেছেন, আমাদের সমস্ত পাপের জন্য দন্ড ভোগ করেছেন, এবং একেবারেই সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন।
 সুতরাং, তাহলে এই সমাগম-তাম্বু কাকে প্রকাশ করে? এটা যীশু খ্রীষ্টকে প্রকাশ করে। এটা আমাদেরকে পরিত্রাণের পদ্ধতির বিষয় বলে যার দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট আপনাকে এবং আমাকে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। নতুন নিয়মে ছিলন যীশু খ্রীষ্ট যিনি বাপ্তাইজিত হয়েছেন ও ক্রুশে মরেছেন, এভাবে আমাদের সমস্ত পাপ মুক্ত করেছেন, তাদের কে ধৌত করেছেন, আমাদের সমস্ত পাপের জন্য দন্ড ভোগ করেছেন, এবং একবারেই সমস্ত পাপ থেকেই উদ্ধার করেছেন।
 পূরাতন নিয়মে এটা ছিল বলির উপহার, যা তাদের পাপ গ্রহণের দ্বারা তাদেরকে রক্ষা করত, যেমন তাদের হস্ত বলির উপরে রাখা হত, এর রক্ত সেচনের নিমিও হত্যা করা হত। পুরাতন নিয়মে বলির উপহারের মৃত্যুকে এভাবে বর্ণনা করা হয় যে, প্রায়শ্চিত্তের মৃত্যুর ন্যায় তাদের স্থলে মরতে, হস্ত অর্পণের মধ্য দিয়ে এই সমস্ত পাপীদের পাপ বলির উপর তুলে নেওয়া হত। প্রায়শ্চিত্তের বলির প্রথা পুরাতন নিয়মে প্রতিয়মান ছিল, যখন পাশাপাশি নূতন নিয়ম, জল ও আত্মার সুসমাচারের পূর্ণাঙ্গতাকারী হিসাবে প্রকাশ করে, যিনি বাপ্তিস্ম এবং রক্ত এসেছেন।
 তাহলে কে এই পরিত্রাণের ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন এবং প্রস্তুত করেছেন? ঈশ্বর এই পরিত্রাণের ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন যা পাপীদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করেছে, এবং তিনি আমাদের এই ব্যবস্থা দিয়েছেন। সাক্ষ্য-সিন্দুকের মধ্যে দুইটি ব্যবস্থা ফলক ছিল, মান্না সম্বলিত পাত্র এবং হারোণের মুকুলিত যষ্ঠি, আর এই সমস্ত কিছু আমাদেরকে যীশুর কার্যকাল এবং গুনাগুন সম্বন্ধে বলে। 
 হারোণের মুকুলিত যষ্ঠি আমাদেরকে বলে যে, যীশু খ্রীষ্ট যিনি আত্মিক ভাবে স্বরাজ্যের মহাযাজক হয়েছেন এবং আমাদের উত্তম মেষপালক হয়েছেন, যখন আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি তখন ঈশ্বর আমাদেরকে রক্ষা করেন। মান্না সম্বলিত পাত্র আমাদেরকে যীশু খ্রীষ্টের মাংস এবং রক্তের বিষয় বলে, যিনি আমাদের জীবন-দায়ক খাদ্য হয়েছেন। তাছাড়া ব্যবস্থা সম্বলিত দুটি পাথর ফলক আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বরই হলেন ব্যবস্থাবিধানকর্তা। ঈশ্বর কর্ত্তৃক স্থির কৃত ব্যবস্থা হল, পাপ ও মৃত্যুর ব্যবস্থা এবং পাপ ক্ষমা ও পরিত্রাণের ব্যবস্থা। আমাদের ঈশ্বর রূপে, যীশু আমাদের জন্য জীবনের ব্যবস্থা ও শাস্তির ব্যবস্থা স্থির করেছেন। 
 এই ভাবে সাক্ষ্য-সিন্দুক এবং এর অভ্যান্তরের সমস্ত কিছু আমাদেরকে যীশুর সম্বন্ধে বলে। আমাদের ত্রাণকর্তা রূপে যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিস্কার হতে পারি এবং পরিত্রাণ গ্রহণ করতে পারি। আমরা কত দূর্বল এবং অক্ষম এটা কোন বিষয় নয়; আমরা যদি যীশুর স্থিরকৃত দুইটি ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং অনুসরন করি, তাহলে আমরা আবারও পাপী হয়ে যাই, তারপর আমরা আবার পূনরায় আমাদের ক্ষমা গ্রহণ করে আমরা ধার্মিক হই, আর এই ভাবে আমরা ঈশ্বরের সন্তান হই। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন?
 এখন এই বর্তমান সময়েও জগতের প্রায় সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানেরাই আত্মশ্লাঘায়, পক্ষপাতিত্তে যীশুতে বিশ্বাস করে, কেননা সমাগম তাম্বুতে প্রতিয়মান সত্য তারা জানে না। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা কেবল ক্রুশে যীশুর রক্তে বিশ্বাস কেরই পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারে। অন্যভাবে, তারা বিশ্বাস করে যে, যীশু কেবল ক্রুশীয় রক্তে তাদেরকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু বাস্তবিক কি যীশু আমাদের পরিত্রাণের নিমিত্ত ক্রুশে মরেছেন? এটাই কি সব যা তিনি আমাদের মুক্তির জন্য করেছেন। বিপরীতে তিনি কি যোহনের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ একেবারেই তুলে নেন নাই (মথি ৩:১৩-১৫, ১ পিতর ৩:২১, ১ যোহন ৫:৬)? 
 অধিকন্তু আজকের খ্রীষ্টিয়ানেরা কেবল যীশুর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে অর্ধেক পাপের ক্ষমা গ্রহণ করছে। সুতরাং তাদের ত্রাণকর্তা রূপে যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের দ্বারা তারা তাদের মূল পাপের ক্ষমা পেতে তারা প্রতিদিন তাদরে অনুতাপের প্রার্থনা প্রদানের দ্বারা নিজেদের পাপ ধৌত করার চেষ্টা করে। কি অসঙ্গত এই পরিত্রাণ? এই ভাবে বিশ্বাসে কেবল তাদের অর্ধেক পাপ ধৌত হয় এবং তারপর তারা তাদের নিজেদের চেষ্টা দ্বারা অবশিষ্ট পাপ ধৌত করার চেষ্টা করে।
 যখন এটাই বিষয়, তখন আমি কি ভাবে বার বার যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্ত এক সাথে প্রচার না করে পারি? এখন পর্যন্ত এই জগতে অনেক খ্রীষ্টিয়ান আছে যারা গির্জার প্রথম সময় থেকে এই অর্ধশূণ্য পরিত্রাণের পৃথক ভাবে বিশ্বাস করে আসছে। এই কারণেই লোকেরা এখন খ্রীষ্ট ধর্মকে শুধুমাত্র একট বৈয়ষিক ধর্ম রূপে বিশ্বাস করে না?
 বেশী দিন আগে নয়, ভ্যালেরীয়া জনস্ নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ভদ্রমহিলা সমাগম তাম্বুর সিরিজের প্রথম ধন্ড বইটি পড়ার পর পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন। এই বইটি পড়ার পূর্বে তিনি আমাদের আরো অন্যান্য প্রকাশিত বই পড়েছিলেন। আমাদের বইগুলো কি বলছে তা জানার জন্য যদিও তিনি আগ্রহী ছিলেন তথাপি তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে জল ও আত্মার সুসমাচারের কাছে আনয়ন করতে পারেন নাই। তিনি আমাদেরকে বলেন যে, তার কিছু সন্দেহ, বিস্ময় রয়েছে, “এটা সঠিক মনে হয় কিন্তু তাহলে কিভাবে এত বেশী লোকেরা এটা প্রচার করছে না?” কিন্তু যখন তিনি সমাগম তাম্বু সিরিজের প্রথম খন্ড বইটি পড়া শেষ করলেন, তিনি দ্বিধান্বিত হলেন, তিনি তিনি পরিত্রাণের বিশ্বাস সম্বন্ধে পরিস্কার ধারণা পেতে আসলেন, বিশ্বাস করলেন যে জলের সুসমাচার সঠিক, সমাগম তাম্বুতে প্রতিয়মান এটা হল মহা সত্য। 
 এই বইয়ের পাঠক বনীন আমাদেরকে লিখেছেন, “আপনি কি এটা জেনে খুবই আশ্চার্যান্বিত হবেন যে, আপনার বই পড়ার পরে। আমি পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি, আমি এখনই আমার মন্ডলী ত্যাগ করব।” যে মন্ডলীতে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম, কেন আমি সেই মন্ডলী ছেড়ে দেব? কারণ তারা ক্রমবর্ধমান পবিত্রকরণ মতবাদ প্রচার করছে যা বাইবেল শিক্ষা দেয় না। ক্রমবর্ধমান পবিত্রকরণ মতবাদ সম্পূর্ণরূপে বাইবেল ভিত্তি হীন। তাদের শিক্ষার ধরণ এই যে, আমি অবশ্যই পবিত্র হতে পারি, তথাপি আমার মাংস কখনও পবিত্র হতে পারে না, এই ধরণের উপদেশ শোনা আমার জন্য ছিল বাইবেল ভিত্তি হীন। 
 এই কারনে আমি এই মন্ডলী থেকে বের হয়ে আসি এবং এর থেকে নিজেকে আলাদা করি। কেননা আমি আপনাদের বই পড়ে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি, মন্ডলী ছাড়তে আমার কোন পছন্দ ছিলনা যে এর থেকে আমি এখনই নিজেকে আলাদা এবং সম্পৃক্ত করেছিলাম। তাই আমরা যারা এই সমস্ত মধ্যদিয়ে গমন করেছি, তারা এখন ঈশ্বরের লোক হয়েছি এবং আমাদেরকে ঈশ্বরের মন্ডলী একত্রিত করেছি, এই জগতের সমস্ত লোকেরা পরিবর্তন করতে পারে, যদি তারা সত্য জানে, যেমন বাইবেল বলে, “তুমি সত্য জানবে এবং সত্য তোমাকে স্বাধীন করবে।”
 তাছাড়া, সমাগম তাম্বুর সাক্ষ্য-সিন্দুক যীশু খ্রীষ্টকে প্রতিয়মান করে। সমাগম তাম্বুর গভীর অংশে এই সাক্ষ্য-সিন্দুক রাখা হত। সমাগম তাম্বু পর্দা উঠিয়ে এবং এর মধ্যে প্রবেশ করে এবং পরে মহা পবিত্র তিরস্করিণী উঠিয়ে এবং হেটে কেবল তারপর কেই এটা দেখতে পারত। অপর দিকে, সমাগম তাম্বুর দ্বার ছিল পূর্ব দিকে, এবং সিন্দুক ছিল সমামগ তাম্বুর শেষ প্রান্তে পশ্চিম দিকে।
 
 
সিন্দুক থেকে বহন দন্ড উচ্ছিন্ন হবে না 
 
 যাত্রাপুস্তক ২৫:১৪-১৫ পদে বলা হয়েছে, “আর সিন্দুক বহনার্থে ঐ বহনদন্ড সিন্দুকের দুই পার্শ্বস্থ কড়াতে দিবে। সেই বহন দন্ড সিন্দুকের কড়াতে থাকিবে, তাহা হইতে বহিস্কৃত হইবে না।” এই পদগুলোর অর্থ কি? এই পদের দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে বলেছেন যে,তাঁর সাথে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করে আমাদের উচিৎ জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা। সুসমাচার তখনই প্রচার লাভ করবে যখন আমরা নিজেদেরকে তার কার্য্যর সাথে সম্পৃক্ত করব। আমাদের নিজেদেরকে সুসমাচারে সম্পৃক্ত করে প্রভুর প্রচার করতে হলে ক্রূশের পথ অনুসরন করতে হয়, যেমন পূর্বে আমাদের প্রভু হেটে ছিলেন। এই কারণে তিনি তাঁর শিষ্যদের বলেছেন, “কেহ যদি আমার পশ্চাতে আসিতে ইচ্ছা করে, সে আমাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রূশের তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদগামী হউক” (মার্ক ৮:৩৪)।
 সমগ্র জগতে সত্য সুসমাচার প্রচার করনার্থে ভয়ঙ্কর আত্মত্যাগ এবং দুঃখভোগের বিষয় বলা হয়েছে। এটা আমরা প্রেরিত পৌলের দুঃখভোগ থেকে দেখতে পাই যে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে যে কি পরিমাণ দুঃখকষ্ট ভোগ করেছেন, “উহারা কি খ্রীষ্ট্রের পরিচারক? হতবুদ্ধির ন্যায় বলিতেছি-আমি ধিকরূপে; আমি পরিশ্রমে অতিমাত্ররূপে, কারাবন্ধনে অতিমাত্ররূপে, প্রহারে অতিমাত্ররূপে, প্রাণসংশয়ে অনেকবার। যিহূদীদের হইতে পাঁচবার ঊনচল্লিশ আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছি। তিনবার বেত্রাঘাত, একবার প্রস্তরঘাত, তিনবার নৌকাভঙ্গ সহ্য করিয়াছি, অগাধ জরে এক দিবারাত্র যাপন করিয়াছি; যাত্রায় অনেকবার নদীসংকটে, দস্যুসংকটে, স্বজাতি-ঘটিত সংকটে, পরজাতি-ঘটিত সঙ্কটে, নগর সঙ্কটে মরুসঙ্কটে, সমুদ্র সঙ্কটে, সমুদ্র সঙ্কটে, ভাক্ত ভাতৃগণের মদ্যে ঘটিত সঙ্কটে, পরিশ্রমে ও আয়াসে, অনেকবার নিদ্রার অভাবে, ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায়, অনেকবার অনাহারে ও শীতে ও উলঙ্গতায়। আর সকল বিষয়ের কথা থাকুক; একটি বিষয় প্রতিদিন আমার উপরে চাপিয়ে রহিয়াছে, সমস্ত মন্ডলীর চিন্তা” (২ য় করিন্থীয় ১২:২৩-২৮)।
 যাহোক, প্রভু যিনি নিজেই তাদের সমস্ত দন্ড থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেছেন, সেই প্রভুর চেয়ে যারা নিজেদেরকে বেশী ভালবাসে, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে পারে না। জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করার পথ এত সহজ নয়। ঘাম ঝরান ব্যতিত কিভাবে একজন কৃষক ভাল শষ্য পেতে পারে? 
 এমনি ভাবে আমাদেরকে উৎসর্গের দ্বারা সাক্ষ্য-সিন্দুক বহন করতে হবে। একদিন রাজাদায়ূদ বহন দন্ড দ্বারা বহন ব্যতিত তাঁর লোকদের দ্বারা নূতন গরুর গাড়ীতে করে ঈশ্বরের সিন্দুক বহন করে আনয়ন করেছিলেন পথে গরুদ্বয়-হোঁচট খেল এবং ঊষ নামে একব্যক্তি তার হস্ত বিস্তার করে ঈশ্বরের সিন্দুক ধরল। তাতে ঊষের প্রতি ঊষের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ প্রজ্জলিত হল, এবং তার হটকারীতার জন্য ঈশ্বর সেই স্থানে তাকে আঘাত করলেন এবং সে ঈশ্বরের সিন্দুকের পাশে মরে গেল।(২ শমূয়েল ৬:১-৭)। আর দায়ূদ সেইদিন সদাপ্রভু হতে ভীত হলেন, এবং গাতীয় ওবেদ- ইদোমের বাটীতে সিন্দুক রাখলেন। এটা কেবল তাঁর লোকদের দ্বারা কাঁধে বহন করে আনার কথাছিল, অথচ তিনি তিন মাস পূর্বে তা তিনি তার গরুর গাড়ীতে বহন করে আনয়ন করেছিলেন। এই বিষয়টি যেমন ব্যাখ্যা করা হয়েছে, আমরা অবশ্যই ঈশ্বর যেভাবে বলেছেন ঠিক সেইভাবে আমাদের ঘাম ও রক্ত দ্বারা আমাদের ত্যাগ স্বীকার দ্বারা আমাদের অবিরাম উৎসর্জন দ্বারা তার সুসমাচারকে সাক্ষ-সিন্দুক বহন করব। 
 মহা কৃতজ্ঞতার সাথে যারা সত্যিকার ভাবে পাপের ক্ষমা পেয়েছে তারা প্রভুর কাছে নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে আরও বেশী আনন্দিত কেবল প্রভু নিজেকেই আমাদের কাছে উৎসর্গ করেছেন। আমরা প্রভুকে পুনরায় বারংবার আমাদের প্রশংসা দিব কেননা তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা এবং ঈশ্বর। এই পৃথিবীতে সুসমাচার প্রচার করতে অনুমোদন করার জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
 এই স্বপ্নময় ঘটনা দ্বারা আমরা আর আনন্দিত এবং চমত্‍কৃত হয়েছি যে, প্রভু আমাদেরকে এই সত্য সুসমাচার প্রচার করতে মনোনীত করেছেন, তাঁকে অনুসরন করতে এবং এই প্রকার জীবনে বাস করতে যা তাঁকে আনন্দিত করে। আমাদের পরিত্রাণের সত্য জানার অনুমতি প্রদান করে তিনি আমাদের ভীষন অভিভুত করেছেন, এবং প্রভু আমাদের এই সুসমাচার প্রচার করার জন্যও অনুমতি প্রদান করেছেন। তিনি আমাদের এরূপ মহৎ আর্শিবাদ প্রদান করেছেন আমরা কিভাবে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারি? আমরা ঈশ্বরকে আমাদের সমস্ত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। একারণে আমরা পৃথিবীব্যাপী এই পবিত্র সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমাদের সমস্ত চেষ্টা, সময়, সম্পত্তি ত্যাগ করে নিজেদের উৎসর্গ করেছি। 
 বস্তুত, আমরা যেহেতু পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি, এটা এমন কিছু যার জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ হব। কিন্তু ঈশ্বর এটা থামিয়ে দেবেন না, বরং তিনি আমাদেরকে সত্য সুসমাচার প্রচার করতে লড়াই সক্ষম করেছেন, জল ও আত্মার সুসমাচার, -এটা কি আমাদের জন্য মহা আশীর্বাদের না? 
 জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে অন্য আর কে দুঃসাহস দেখাতে পারে? যে কেউ এই সুসমাচার প্রচার করতে পারেন? রাজনীতিবিদরা কি পারে? মেয়র? প্রেসিডেন্ট? রাজাগণ? তাদরে সামাজিক মর্যাদা কত উচ্চে এটা কোন বিষয় নয়; যদি না তারা জানে, এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করে থাকে, তাহলে তারা কখনোই সত্য সুসমাচার প্রচার করতে পারে না। কিন্তু এই সুসমাচার প্রচার করতে ঈশ্বর আমাদেরকে অযাচিত সুযোগ দিয়েছেন এবং প্রকৃতপক্ষেই সক্ষম করেছেন। এটা কি মহা আশীর্বাদ? 
 যে অনুগ্রহ আমাদের রক্ষা করেছে তার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই, কেননা তিনি আমাদেরকে প্রেম করেন। ভাই ও বোনেরা, আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের ঈশ্বর এবং মুক্তিদাতা। আমরাই ঈশ্বরের সন্তান যারা আমাদের আত্মিক বিশ্বাসের মধ্য যীশুর মাংস ভোজন এবং তাঁর রক্ত পান করেছি। বাইবেল আমাদের বলে যে, যীশু কেবল মৃতগণের ঈশ্বর নন, বরং জীবিতদেরও ঈশ্বর (লূক ২০:৩৮), আর এখানে জীবিতেরা আর অন্য কেউ নয়, যারা জল ও আত্মার সু-সমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা অনন্ত জীবন গ্রহণ করেছে তারাই। যে কেউ সুসমাচারের এই সত্যে বিশ্বাস করে না, সে আত্মিক ভাবে মৃত, আর যে কেউ এতে বিশ্বাস করে সে আত্মিক ভাবে জীবিত। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষে তাদেরই ঈশ্বর।
 ভাই ও বোনেরা, যীশু নিজেই তাঁর মাংস এবং রক্তের মধ্যদিয়ে আমাদেরকে পাপের ক্ষমা দিয়েছেন। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনি যদি এই সত্যে বিশ্বাস না করেন, তাহলে আপনার যীশুর পক্ষে কিছুই করার থাকবে না। যীশুখ্রীষ্ট আপনাকে পাপের ক্ষমা দিয়েছেন, স্বর্গীয় আর্শিবাদ দিয়েছেন, এবং অনন্ত জীবন দিয়েছেন। কে সেই ব্যক্তি, যিনি মেষপলক হয়েছেন, যিনি আপনাকে চীরস্থায়ী আর্শিবাদ দেন, যিনি আপনাকে পথ দেখানও রক্ষা করেন? ইনি যীশু খ্রীষ্ট, জল ও আত্মার সুসমাচারের সিদ্ধতাকারী। যীশুই হলেন এই ঈশ্বর। আমার প্রত্যাশা এবং প্রর্থনা এই যে আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের ঈশ্বর রূপে যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করেন।
 অনুরূপ ভাবে আমার জন্যও করেছেন, আমি কেবল এই সত্যে বিশ্বাস এবং ঈশ্বরকে প্রচারই করি না, বরং আমি ভবিষ্যতের জন্য সর্বদা অবিরত একাজ করে যাব। কিন্তু আপনি? আপনি কি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন? আর আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, আপনাকে অবশ্যই আপনার বিশ্বাসে খ্রীষ্টের প্রেমে এবং ঈশ্বরের গৃহে বাস করতে হবে? চলুন, আমরা যতদিন পর্যন্ত না প্রভুর সাথে মিলিত হচ্ছি, আমরা জলও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা জীবন যাপন করি।