Search

佈道

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-32] মহাযাজকের শুচিকরণের পাপার্থক বলি (যাত্রাপুস্তক ২৯:১-১৪)

মহাযাজকের শুচিকরণের পাপার্থক বলি
(যাত্রাপুস্তক ২৯:১-১৪)
“আর আমার যাজন কর্ম্ম করণার্থে তাহাদিগকে পবিত্র করিবার জন্য তুমি তাহাদের প্রতি এই সকল কর্ম্ম করিবে; নির্দোষ একটি পুংগোবৎস ও দুইটি মেষ লইবে; আর তড়ীশূন্য রুটি, তৈলমিশ্রিত তাড়ীশূন্য পিষ্টক ও তৈলাক্ত তাড়ীশূন্য সরুচাকলী গোমের ময়দা দ্বারা প্রস্তুত করিবে; এবং সেইগুলি এক ডালিতে রাখিবে, আর সেই ডালিতে করিয়া আনিবে। আর হারোকে ও তাহার পুত্রগণকে সমাগম-তাম্বুর দ্বার-সমীপে আনিয়া জলে স্নান করাইবে। আর সেই সকল বস্ত্র লইয়া হারোণকে অঙ্গরক্ষিণী, এফোদের পরিচ্ছদ ও বুকপাটা পরাইবে, এবং এফোদের বুনানি করা পটুকা তাহাতে আবদ্ধ করিবে। আর তাহার মস্তকে উষ্ণীষ দিবে, ও উষ্ণীষের উপরে পবিত্র মুকুট দিবে। পরে । অভিষেকার্থ তৈল লইয়া তাহার মস্তকের উপরে ঢালিয়া তাহাকে অভিষেকার্থ তৈল লইয়া তাহার মস্তকের উপরে ঢালিয়া তাহাকে অভিষিক্ত করিবে। আর তুমি তাহার পুত্রগণকে আনিয়া অঙ্গরক্ষক বস্ত্র পরাইবে। আর হারোণকে ও তাহার পুত্রগণকে কটিবন্ধন পরাইবে, ও তাহার মস্তকে শিরোভূষণ বাঁধিয়া দিবে; তাহাতে যাজকত্বপদে তাহাদের চিরস্থায়ী অধিকার থাকিবে। আর তুমি হারোণের ও তাহার পুত্রগণের হস্তপূরণ করিবে। পরে তুমি সমাগম-তাম্বুর সম্মুখে সেই গোবৎসকে আনাইবে,এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ গোবৎসটির মস্তকে হস্তার্পন করিবে। তখন তুমি সমাগম- তাম্বুর দ্বারসমীপে সদাপ্রভুর সম্মুখে ঐ গোবৎস হনন করিবে। পরে গোবৎসের কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া অঙ্গুলি দ্বারা বেদির শৃঙ্গের উপরে দিবে, এবং বেদির মূলে সমস্ত রক্ত ঢালিয়া দিবে। আর তাহার অন্ত্রের উপরিস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রাপ্লাবক ও দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থ মেদ লইয়া বেদিতে দগ্ধ করিবে। কিন্তু গোবৎসটীর মাংস ও তাহার চর্ম্মও গোময় শিবিরের বাহিরে অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে; তাহা পাপার্থক বলি ”।
 
 
আজকে আমরা আমদের মনোযোগটাকে মহাযাজকের কাছে উৎসর্গ করব।এখানে ঈশ্বর মোশিকে বিস্তারিত ভাবে আদেশ করেছেন যে, কীভাবে হারোণকে এবং তাঁর পুত্রদের উৎসর্গ করবে। ৯ পদে ‘‘উৎসর্গ’’ কথাটির অর্থ হচ্ছে বিশুদ্ধ করা, প্রস্তাব করা, উৎসর্গ করা, শ্রদ্ধা করা, অথবা পবিত্ররুপ আচারণ করা। অন্য ভাবে, উৎসর্গীকরণের মানে হচ্ছে বিশুদ্ধ করার মাধ্যমে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে দিয়ে দেওয়া। যা হোক,“ মহাযাজক রুপে উৎসর্গ হওয়ার মানে হচ্ছে মহাযাজকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব লাভ করা। ঈশ্বর হারোণ এবং তাঁর পুত্রদেরকে মহাযাজক এবং যাজকদের ক্ষমতা দিয়েছেন, যা তাদেরকে পাপের পরিত্রাণে তাঁর লোকদেরকে ফিরে আসতে সমর্থন করবে। 
ঈশ্বর মোশিকে মহাযাজকের বস্ত্রে হারোণকে অঙ্গরক্ষিণী এবং তাঁর মস্তকে পাগড়ী দিবে, এবং তাঁর পুত্রগণকেও অঙ্গরক্ষক বস্ত্র পরাইবে। তারপরে হারোণ নিজেকে মহাযাজক এবং তাঁর পুত্ররা যাজক রুপে উৎসর্গ করবে। তাদের উৎসর্গের জন্য তাঁরা একটি ষাঁড় এবং দুটি নিখুঁত মেষ আনবে। মহাযাজকদের সবচেয়ে বড় যে দায়িত্ব ছিল তা হচ্ছে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পাপ প্রায়শ্চিত করণার্থে পাপার্থক বলিরুপে ঐ দিনে পাপ মুক্ত করা। তাঁরা সে ভাবেই করল, প্রথমে হারোণ এবং তাঁর পুত্রেরা সকলের আগে নিজেদের পাপ ধৌত করলেন, তাই কেন তাঁরা নিজেদেরকে প্রথমে তাদের পাপ পাপার্থক বলিরূপে তাদের উৎসর্গীকরণের দিনে উৎসর্গ করল।
এখানে আমরা কি বুঝব, যজ্ঞীয় প্রাণীর রক্ত ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করার আগে যাজক প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করিবে যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে । সাত দিনের দিন মহাযাজক তাঁর উৎসর্গীকরণের জন্য পাপার্থক বলি উৎসর্গ করবে।
বলিরূপে যাজকের জন্য বা তাঁর পরিবারের জন্য যে নৈবেদ্য দেওয়া হচ্ছে তাতে সেও ঐ যজ্ঞীয় প্রাণীকে মারার আগে তার উপরে ইস্রায়েলের সমস্ত পাপ অর্পন করে তার মস্তকে হর্স্তপন করে যজ্ঞীয় প্রাণীকে উৎসর্গ করবে। ঈশ্বরের জন্য মহাযাজকরূপে কাজ করতে হলে তাকে শিখতে হবে যে কীভাবে মানুষের পাপ নৈবেদ্য রুপে উৎসর্গ করে দিতে হয়। মহাযাজক প্রথমে তাঁর পাপ পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করবে এর অর্থ হচ্ছে, সে নিজেকে প্রশিক্ষিত করছে যেন সে পরবতীতে তাঁর লোকদের জন্য পাপার্থক বলি উৎসর্গ করতে পারে। প্রাণীর মস্তকে হর্স্তাপন করে পরে তাকে হনন করিবে এবং তার কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া বেদীর উপরে ছিটাইয়া দিবে। 
এখানে মহাযাজককে মনে রাখতে হবে যে, তাঁর পাপ এবং তার লোকদের পাপ অর্পন করতে তাকে যজ্ঞীয় প্রাণীর উপরে হর্স্তাপন করতে হবে। যাত্রা পুস্তক ২৯:১০-১২পদে আছে, “পরে তুমি সমাগম-তাম্বুর সম্মুখে সেই গোবৎসকে আনাইবে, এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ গোবৎসটির মস্তকে হস্তার্পন করিবে। তখন তুমি সমাগম -তাম্বুর দ্বারসমীপে সদাপ্রভুর সম্মুখে ঐ গোবৎস হনন করিবে। পরে গোবৎসের কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া অঙ্গুলি দ্বারা মূলে সমস্ত রক্ত ঢালিয়া দিবে ”।
মহাযাজক এবং তাঁর পুত্রেরা সেই মেষের মস্তকে হস্তার্পন করিবে। কারণ, যখন হারোণ মহাযাজক এবং তাঁর পুত্রেরা প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করিবে তখন তাঁদের সমস্ত পাপ ঐ প্রাণীর উপরে চলে যাবে। যখন হস্তার্পন দ্বারা তাঁদের সমস্ত পাপ এই প্রাণীর চলে আসবে, তখন তাঁহাকে হনন করা হবে। এরপরে মহাযাজক তার কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে বেদির চারিদিকে ছিটিয়ে দিয়ে চারিদিকে শুচি করিবে। সে তাহার অন্ত্রের উপরিস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রাপ্লাবক ও দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থ মেদ লইযা বেদিতে দ্বগ্ধ করিবে।
তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অজান্তে পাপ করে তাদের প্রায়শ্চিত করার জন্য তারা তাদের পাপার্থক বলি উৎসর্গের জন্য স্ত্রী জাতীয় নির্দোষ একটি ছাগবৎস নিয়ে আসবে। যেমনটি লেখা আছে, “পরে ঐ পাপার্থক বলির মস্তকে হস্তার্পন করয়িা হোমবলি স্থানে সেই পাপার্থক বলি হনন করিবে। পরে যাজক অঙ্গুলি দ্বারা তাহার কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া হোমবেদির শৃঙ্গের উপরে দিবে, এবং ততাহার সমস্ত রক্ত বেদির মূলে ঢালিয়া দিবে। আর মঙ্গলার্থক বলি হইতে নীত মেদের ন্যায় তাহার সকল মেদ ছাড়াইয়া লইবে; পরে যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সৌরভার্থে বেদীর উপরে তাহা দগ্ধ করিবে; এইরূপে যাজক তাহার জন্য প্রায়শ্চিত করিবে, তাহাতে তাহার পাপের ক্ষমা হইবে” (লেবীয়পুস্তক৪:২৯-৩১)। 
ঈশ্বরের দ্বারা এই যজ্ঞীয় পদ্ধতির হর্স্তাপন, এবং রক্তপাত নৈবেদ্যের উৎসর্গ করা এগুলো অত্যাবশকীয় উপাদান হিসেবে স্থাপিত হয়েছে। এমন কি পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপনের পূর্বে, ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করেছিলেন। পরে যীশু খ্রীষ্ট এসে আমাদের সমস্ত পাপ নীল, বেগুনে পাঁচটি উজ্জ্বল লাইলন সুতার মাধ্যমে মুছে দিযেছেন। ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, যখন তারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে তখন তিনি তাদের সাথে দেখা করবেন। যাত্রাপুস্তক ২৯:৪২ পদে লেখা আছে, “ইহা তোমাদের পুরুষানুক্রমে নিয়ত [কর্ত্তব্য]হোম; সমাগম- তাম্বুর দ্বারসমীপে সদাপ্রভুর সম্মুখে, যে স্থানে আমি তোমার সহিত আলাপ করিতে তোমাদের কাছে দেখা দিব, সেই স্থানে [ইহা কর্তব্য] ”। মহাযাজক প্রত্যেক সকালে এবং সন্ধ্যায় হোমবলি উৎসর্গ করবে, উদার প্রকৃতির লোকের জন্যও এমনকি আত্মিক ইস্রায়েল, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে পাপের ক্ষমা লাভ করেছে। ঈশ্বর আমাদেরকে বলিতেছেন যে, সে আমাদের সাথে এই নৈবেদ্যের মাধ্যমে দেখা করবেন।
 
 

মহাযাজকের মাধ্যমে দেওয়া হোমবলির মানে কি

 
যারা যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে তাদের সমস্ত পাপ অর্পন করে, এবং নৈবেদ্য তা গ্রহণ করে, তারপরে তাকে হনন করে বেদীতে দ্বগ্ধ হতে হয়। ঈশ্বর যজ্ঞীয় পদ্ধতিতে পাপার্থক বলির মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে কি চান,“ কারণ আমি তাঁর সম্মুখে বার বার পাপ করছি, আমি অবশ্যই পাপের পরিত্রাণ লাভ করব। আমাদের পাপ ধুয়ে মুছে ফেলার জন্য ঈশ্বরের পরিত্রানের নিয়ম অনুসারে আমরা যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হর্স্তাপন করিব, এবং তার রক্ত নিয়ে শৃঙ্গে দিব এবং হোমবেদীর মূলে ঢালিব এবং তার মাংস হোমবেদরি উপরে দ্বগ্ধ করিব, তাহাতে আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমাদের পাপের ক্ষমা হইবে। 
আমাদের হৃদয় ও আচার - ব্যবহার দ্বারা যে সমস্ত পাপ করেছি সেই সমস্ত পাপ প্রথমেই ঈশ্বরের কাছে স্বীকার করব। আমরা স্বীকার করব যে, আমরা পাপ জিনিস ত্যাগ করতে পারি না। এর কারণে ঈশ্বরকে তাঁর সঠিক পরিত্রাণের জন্যও ধন্যবাদ দিতে পারি না। ঈশ্বর আমাদেরকে এতটাই ভালবাসেন যে, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন। যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে মৃত্যুর মাধ্যমে তিনি সমস্ত প্রকার পাপ প্রায়শ্চিত করলেন, এবং যারা তাঁহাকে বিশ্বাস করল তারা বিনষ্ট না হয়ে অনন্ত জীবন পেল।
যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে, নৈবেদ্য অবশ্যই হর্স্তাপণের মাধ্যমে এবং রক্তপাতের মাধ্যমেই দেওয়া হবে। এটা বিশ্বাসের প্রমাণ সাক্ষ্যকে নির্দেশ করে যে, বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমাদের সমস্ত পাপ চলে গিয়েছে, আর তাহাতেই বিশ্বাস করেছি। প্রত্যেক পাপী যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হর্স্তাপন করে যার অর্থ হচ্ছে তারা তাদের সমস্ত পাপ গুলো তার উপরে অর্পন করছে। যখন মহাজক পাপার্থক বলি উৎসর্গ করেন তখন তিনিও তাঁর পাপ গুলো স্বীকার করবে যে, আমিও ঈশ্বরের সম্মুখে পাপ করেছি, আর এটার জন্যই আমাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বাসের কারণেই আমাদেরকে পাপ থেকে প্রায়শ্চিত করেছেন এবং বিশ্বাসের মাধ্যমেই পাপের ক্ষমা লাভের ক্ষমতাও দিয়েছেন। 
ঈশ্বর বলেছেন,“ আমি তোমাদের সাথে দেখা করব”। তিনি শুধুমাত্র মহাযাজকদেরকে বলেননি বরং প্রত্যেককে এমনকি সাধারণ মানুষদেরকেও বলেছেন, এতে বোঝা যায় যে, ঈশ্বর আমাদের সকলকে পাপের ক্ষমা দিয়েছেন এবং তাঁর নিজের লোক হিসেবে তৈরী করেছেন। ঈশ্বর কেমন করে আমাদের সাথে দেখা করবেন? আমাদের জন্য তাঁর পরিত্রাণের যে পরিকল্পনা তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন, এবং তিনি অবশ্যই আমাদের সাথে দেখা করবেন, কিন্তু একটি শর্ত আছে, শর্তটা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা ঈশ্বরের স্থাপিত যজ্ঞীয় পদ্ধতির নিযম অনুসারে তাদের সমস্ত পাপ পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করবে। কারণ ঈশ্বর খুব ভাল করেই জানেন যে, মানুষ পাপী হয়েই জন্ম করেছে এবং তারা পাপের শিকলে বদ্ধ। তিনি কৃপা করে আমাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন যা তাঁর পরিত্রানের যজ্ঞীয় পদ্ধতিতে প্রকাশিত, আর এ ভাবেই তিনি আমাদের তাঁর নিজের সন্তান তৈরী করেছেন। এই জন্য ঈশ্বর যজ্ঞীয় পদ্ধতি স্থীর করেছিলেন যেন ইস্রায়েলের অগণিত লোক যজ্ঞীয় বলির মস্তকে হ¯তার্পন করে পাপের ক্ষমা লাভ করে। 
যে পদ্ধতিতে ইস্রায়েল লোকেরা তাদের পাপ যজ্ঞীয নৈবেদ্যে অর্পন করে “সেটি হর্স্তাপনের মতো”। ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের নিয়ম অনেক বার ভেঙ্গেছে এবং অনেক বার বিভিন্ন প্রকার পাপ কাজ করেছে। তা স্বত্তে¡ও তারা তাদের দোষ “হর্স্তাপনের” পদ্ধতিতে যজ্ঞীয় নৈবেদ্যে অর্পন করে এবং এতে তারা পাপ থেকে মুক্তি পাই। ঈশ্বর তাদের সাথে দেখা করবেন যারা তাঁকে বিশ্বাস করেন, আর তিনি তাদের ঈশ্বর হবেন, আর তিনি তাদেরকে তাঁর লোক তৈরী করবেন, তাদের পরিচারনা করবেন, স্বর্গীয় আশীর্বাদ প্রদান করবেন এমনকি তাদেরকে তিনি জগতের স্থুলতার দিক থেকেও আশীর্বাদ করবেন। এই সমস্ত কিছু সমাগম- তাম্বু ও যজ্ঞীয় পদ্ধতির উপর বিশ্বাসের কারণে আসে।
সমাগম-তাম্বুর যজ্ঞীয় পদ্ধতির চারিদিকেই ঈশ্বর পুর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন এবং ইস্রায়েলের লোকেরা তাদের বলির মস্তকে হর্স্তাপনের দ্বারা তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারত এবং সে ভাবে তারা ঈশ্বরের পদ্ধতির নিয়ম অনুসরে তাদের পাপ অর্পন করত। কারণ ঈশ্বর ঐ সমস্ত লোকদেরকে সামর্থ্য দিয়েছেন যারা হর্স্তাপনের শক্তিকে রক্তপাতে বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর কাছে আসে, তারা তাদের পাপ থেকে ধৌত হতে পারবে এবং যারা এই সত্যে বিশ্বাস করবে তারা পবিত্র ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে পারবে। এই দুইটি নৈবেদ্য ১. হর্স্তাপণ ২. রক্তপাত ছাড়া ঈশ্বর ইস্রায়েলের কোন লোকের সাথে দেখা করবেন না । এ ছাড়াও ইস্রায়েল জাতিদের কত দূর্গত ছিল এবং কত পাপ-ই না তারা করেছে, এরপরে ঈশ্বর কী ভাবে তাদের সাথে দেখা কতে পারেন , আর এর কারণে ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এক যজ্ঞীয় পদ্ধতির নিয়ম স্থাপন করেছেন, আর নিয়মটি হচ্ছে মস্তকে হর্স্তাপন দ্বারা পাপার্থক বলি এবং তার রক্তপাত। এই কারণে আমরা অবশ্যই অনুভব এবং বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর আমাদের কাছে পাপের পরিত্রাণ স্থায়ী করেছেন এবং যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হর্স্তাপন এবং তার রক্তপাত এই দুটোই ঈশ্বর তৈরী করেছেন।
যাজক প্রত্যেক সকালে এবং সন্ধ্যায় হোমবলি উৎসর্গ করবে। তারা এটা করবে তার কারণ হচ্ছে সকালে হোমবলি উৎসর্গ করার পর, তারা সারাদিনে আরো অনেক ধরণের পাপ করতে পারে, আর সে জন্য সারা দিনের পাপ মোচনের জন্য সন্ধ্যায় আরেকটি হোমবলি উৎসর্গ করতে হবে। প্রত্যেকদিন যে হোমবলি দেওয়া হচ্ছে তা ইস্রায়েলদের বিশ্বাস সম্বন্ধে স্মরণ করে দেয় যে, যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন আর তাহাতেই সমগ্র জগতের পাপ মুছে গেছে। সারা দিনে আমরা যে পাপ গুলো করি সে গুলো আমরা অবশ্যই সকালে এবং সন্ধ্যায় বিশ্বাসে নৈবেদ্য উৎসর্গ করব। বিশ্বাসের এই নৈবেদ্যটি যা পুরাতন নিয়মে পরিস্কার হৃদয়কে ধৌত হইবার জন্য দেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে নতুন নিয়মের সময়েও ধৌত হইবার জন্য যীশুর বাপ্তিস্মকে দিয়েছেন যা যীশু যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন, আর যীশুর এই বাপ্তিস্মকে এবং তার রক্তপাতকে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আমরা ধৌত হতে পারি। 
পিতা ঈশ্বর আমাদের সাথে দেখা করবেন যখন তিনি আমাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাসটি খুঁজে পাবেন যে, যীশুই আমাদের একমাত্র উদ্ধারকর্তা। এবং তিনিই আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন। পুরাতন নিয়মের যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে যীশু খ্রিস্ট তার সময়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন, এবং নতুন নিয়মের শুরুতেই যোহন বাপ্তাইজকের বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সকলের পাপ গ্রহণ করেছেন (মথি৩:১৫)। যীশু এটা কেন বলেছেন,    “আর যোহন বাপ্তাইজকের কাল হইতে এখন পর্য্যন্ত স্বর্গ-রাজ্য বলে আক্রান্ত হইতেছে, এবং আক্রমীরা সবলে তাহা অধিকার করিতেছে”(মথি১১:১২)। সত্য সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হতে পারি এবং নিখঁত ভাবে পরিষ্কৃত হতে পারি। 
এছাড়াও যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, অনেকে অনেক ধরণের পাপ করেছে এবং আমরা যারা খ্রীষ্টান আমরা আগে থেকে বা পরে যীশুকে জানার পরেও অজান্তে অনেক পাপ করেছি। কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসে এবং যোহন বাপ্তাইজকের কাছ থেকে বাপ্তিস্ম নিয়ে এবং ক্রুশে তার রক্ত সেচনের মাধ্যমে জগতের পাপ মুছে দিয়েছেন। এরুপে ঈশ্বর যখন বললেন যে, সে হোমবলির মাধ্যমে ইস্রায়েলীয়দের সাথে দেখা করবেন, ইহার অর্থ এই যে, ঈশ্বর সমস্ত লোকদের সাথেই দেখা করতে চান, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারকে বিশ্বাস করে। ঈশ্বর এই সমস্ত লোকদেরকেই ভালবাসেন যারা বিশ্বাস করে যে, তিনি সত্যিকারার্থে নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা বস্ত্রের মাধ্যমে তাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন। কিন্তু একই ভাবে যারা এই সত্যকে অবিশ্বাস করে তাদেরকে তিনি ভালবাসেন না। 
নতুন নিয়মের সময়ে, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে পারি। কিন্তু পুরাতন নিয়মের সময়ে, বিশ্বাসের মাধ্যমেই নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা বস্ত্রের পাঁচটি যে লাইলনের সুতাই প্রকাশিত, তা যদি কেউ গ্রহণ করে তবে যে কেউ পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারত- এই দুই বিষয়ের ধারনা একটি পরিপূর্ণ সুসমাচারে পরিণত করে। পুরাতন নিয়ম হচ্ছে ঈশ্বরের পরিত্রানের ভাবষ্যৎবাণী এবং নতুন নিয়ম হচ্ছে ঐ সমস্ত ভাববাণী গুলোর পূর্ণতা এবং প্রতিজ্ঞা গুলোর সমাপ্তির সুসমাচার। যা হোক, ইব্রীয় ১:১-২ পদে বলে, “ঈশ্বর পূর্ব্বকালে বহুভাগে ও বহুরুপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া, এই শেষ কালে পুত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন। তিনি ইহাকেই সর্ব্বাধিকারী দয়া করিয়াছেন, এবং ইহারই দ্বারা যুগকলাপের রচনাও করিয়াছেন”। 
যীশু হচ্ছেন রাজাধিরাজ এবং সর্বক্ষমতার ঈশ্বর। কিন্তু এই ঈশ্বরই পৃখিবীতে এসেছিলেন মানুষরূপে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশে হত হয়েছিলেন, এবং তিনদিন পরে আবার মৃত্যুকে জয় করে উঠেছিলেন, আর এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে এবং পাপের দোষারোপ থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে ধার্ম্মিক করেছিলেন, এতে আমরা সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারি। আমরা যে সমস্ত পাপ কাজ গুলো করেছিলাম, সেই সমস্ত পাপ থেকে এখন আমাদের পাপের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব। আমরা ঝুঁকিহীন ভাবে আমরা আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করতে চেয়েছি এবং ঈশ্বর তা চির কালের জন্য যজ্ঞীয় পদ্ধতির হস্তার্পন এবং রক্তপাতের মাধ্যমে ধৌত করেছেন আর তা হলো যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশের উপরে রক্তপাত; যা জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রকৃত উপাদান (১ যোহন ৫:৬-৮)। আমরা যখন এটা বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ সম্পূর্ণ রুপে মুছে দিয়েছেন, আমাদেরকে তিনি তাঁর নিজের লোক তৈরী করছেন এবং তিনি আমাদের সাথে দেখা করেছেন।
 
      

হস্তার্পনের গুরুত্ব

 
লেবীয়পুস্তক ১:১-৪ পদে বলে, “পরে সদাপ্রভু মোশিকে ডাকিয়া সমাগম- তাম্বু হইতে এই কথা কহিলেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, তোমাদের কেহ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার উৎসর্গ করে, তবে সে পশুপাল হইতে অর্থাৎ গোরু কিম্বা মেষপাল হইতে আপন উপহার লইয়া উৎসর্গ করুক। সে যদি গোপাল হইতে হোমবলির উপহার দেয়, তবে নির্দোষ এক পুংপশু আনিবে; সদাপ্রভুর সম্মুখে গ্রাহ্য হইবার জন্য সমাগম- তাম্বুর দ্বারসমীপে আনয়ন করিবে। পরে হোমবলির মস্তকে হস্তার্পন করিবে;আর তাহা তাহার প্রায়শ্চিতরুপ তাহার পক্ষে গ্রাহ্য হইবে ”। 
৪ (চার) পদটি খুব মনোযোগ সহকারে দেখি, এখানে বলছে যে, পরে হোমবলির মস্তকে হস্তার্পন করিবে; আর তাহা তাহার প্রায়শ্চিত্তরূপে তাহার পক্ষে গ্রাহ্য হইবে”। অন্য বাক্যে একজন পাপী যখন মস্তকে হস্তার্পনের পর তার পাপার্থক বলি উৎসর্গ করেন তখন ঈশ্বর খুঁশিতে তার নৈবেদ্য গ্রহন করেন। পাপীরা কার মস্তকে হস্তার্পন করে? যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে। শুধুমাত্র এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঈশ্বর তাদের পাপ মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তাই পুরাতন নিয়মে যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করা হয়, তাহলে নুতন নিয়মে কি করা হয়? নূতন নিয়মের সময়ে সত্য নৈবেদ্যের যজ্ঞীয় বলি কে? সমস্ত মানবকুলের উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কেউ না। যীশু খ্রীষ্টই একমাত্র সমগ্র মানবকুলের পাপ মুছে ফেলার বলির নৈবেদ্য। কারণ এক মানুষের দ্বারাই পাপ জগতে প্রবেশ এবং আরেক জনের মাধ্যমে সকলে পাপ থেকে পরিস্কৃত হল এবং অনন্ত জীবন লাভ করল।
আমরা আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের হস্ত যীশুর মস্তকের উপরে রাখব এবং আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পন করব। অন্য ভাবে, আমরা আমাদের সত্য বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর মস্তকে হস্তার্পন করিব, যেন ঈশ্বর আমাদের বলির নৈবেদ্যটি সাদরে গ্রহণ করেন। যীশু মথি ১১:১২পদে বলেছেন যে, “আর যোহন বাপ্তাইজকের কাল হইতে এখন পর্যন্ত স্বর্গ-রাজ্য বলে আক্রান্ত হইতেছে, এবং আক্রমনকারীরা সবলে তাহা অধিকার কারিতেছে।” আমাদের সমস্ত পাপ বলির নৈবেদ্যে অর্পন করতে হস্তার্পন আমাদেরকে সমর্থন করে; আর ঈশ্বর বিশ্বাসের এই উৎসর্গকে সাদরে গ্রহণ করেন। কারণ যোহন বাপ্তাইজক যীশুকে বাপ্তি¯ম দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সমস্ত মানব কুলের পাপ যীশুর উপরে অর্পন করেছেন, আর যখন তারা সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাঁর বাপ্তিস্মকে এবং তাঁর ক্রুশের উপরে মর্মান্তিক মৃত্যুকে বিশ্বাস করে তখন ঈশ্বর প্রত্যেককে পাপ থেকে ধৌত হইবার জন্য এবং পাপের দোষারোপ থেকে মুক্তি পেতে সামর্থ্য দেন। যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা আদের সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পন করতে পারি। 
 ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিদের যজ্ঞীয় পদ্ধতি দিযেছেন, যা যীশু খ্রীষ্টের দেহকে বলির নৈবেদ্য স্বরুপ আভাস দিয়েছেন। আর যীশু খ্রীষ্ট ঈশরের সেই যজ্ঞীয় পদ্ধতিটি তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে রক্তপাতের মাধ্যমে পরিত্রাণের নিয়মটি পরিপূর্ণ করেছেন। আমাদের জন্য তাঁর নিত্য ভালবাসায় ঈশ্বর তাঁর একমাত্র সন্তান যীশু খ্রীষ্টকে দানের মাধ্যমে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। আর এখনই সময়, যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্মকে এবং ক্রুশের উপরে তাঁর রক্তপাতকে বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রত্যেকের রক্ষা পাওয়ার। 
সর্বজ্ঞ ঈশ্বর, সৃষ্টির পূর্বে পাপীদের পরিত্রাণের পরিকল্পনাটি ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন এবং তাঁর সময়ানুসারে তিনি তা পূর্ণ করেছেন। পরিত্রানের পরিকল্পনা অনুসারে যোহন বাপ্তাইজক যীশুর আসার ছয মাস আগে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। সমস্ত মনুষ্যজাতির অপেক্ষা যোহন অনেক মহান ছিলেন। যেমন যীশু তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন, “স্ত্রী লোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক হইতে মহান কেহই উৎপন্ন হয় নাই ”(মথি ১১:১১)। অন্য দিক থেকে, যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি। যোহন বাপ্তাইজক ঈশ্বরের দাস ছিলেন, যিনি মোশি, এলিয়, এবং ভাববাদি যিশাইয় এদের চেয়ে মহান ছিলেন। বহু লোকই যোহন বাপ্তাইজককে কঠোর সংযমী মানুষ হিসেবে চেনে যিনি মরুভূমিতে বাস করেন। কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে সমস্ত মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যোহন বাপ্তাইজক পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অপেক্ষা মহান ছিলেন। তিনি মহাযাজক হারোণের বংশ থেকে এসেছেন ( লুক ১:৫-৭)। যেমন একজন রাজা রাজার পরিবার থেকে জন্ম গ্রহণ করেন। যোহন বাপ্তাইজক হচ্ছেন সর্বশেষ মহাযাজক, যিনি মহাযাজক হারোণের বংশ থেকে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন, আর তিনিই যীশু খ্রীষ্টকে যর্দন নদীতে বাপ্তিস্ম দিয়েছিলেন এবং মনুষ্যের সকল পাপ তাঁর উপরে অর্পন করেছিলেন। যোহন বাপ্তাইজক পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অপেক্ষা মহান ছিলেন। কিন্তু কিছু লোক এরূপ প্রশ্ন করেন,তারা যদি নিজেদেরকে বিশ্বাস না করাতে সংকল্প করে, তারা এভাবেই জিজ্ঞাসা করে যে, “বাইবেলের কোথায় বলা আছে যে, যোহন বাপ্তাইজক একজন মহাযাজক”?
আজকে তাদেরকে পরিস্কারভাবে আমাকে উত্তর দিচ্ছি; আসলেই যোহন বাপ্তাইজক সমস্ত মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি এবং মহাযাজক ছিলেন, আর এগুলো ঈশ্বরের বাক্যেই লেখা আছে, “কেননা সমস্ত ভাববাদী ও ব্যবস্থা যোহন পর্য্যন্ত ভাববানী বলিয়াছে। আর তোমরা যদি গ্রহণ করিতে সম্মত হও, তবে জানিবে, যে এলিয়ের আগমন হইবে, তিনি এই ব্যক্তি”( মথি ১১:১৩-১৪)। ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি আমাদের নিকটে এলিয় ভাববাদিকে প্রেরণ করিবেন ( মালাখি ৪:৫)। যীশু বলেছেন যে, এই এলিয় যিনি আসবেন তিনি যোহন বাপ্তাইজক ছাড়া আর কেউ নয়। এর কারণটা হচ্ছে যোহন বাপ্তাইজক হারোণের প্রতিনিধি হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং তিনি মহাযাজকের নিয়ম পূর্ণ করেছেন। 
পুরাতন নিয়মে, পাপী লোকেরা যখন যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে তাদের পাপ অর্পন করত, তখন প্রাণীটিকে হনন করত এবং আগুনে দ্বগ্ধ করা হত। যে কেউ তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে চায় তাদেরকে যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করতে হবে এবং তার উপরে পাপ অর্পন করবে। যখন লোকেরা যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করবে তখন তার অর্থ হচ্ছে যে, তারা তাদের পাপ তাঁর উপরে অর্পন করেছে। প্রায়শ্চিত্তের দিনে হারোণ মহাযাজক ঐ ছাগের মস্তকে হস্তার্পন করবে যার উপরে ইস্রায়েলের সমস্ত পাপ অর্পিত হয়েছে। এখানেও হস্তার্পন খুবই অপরিহার্য এবং এর অর্থ হচ্ছে আত্মিক ভাবে পাপ অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে। যোহন বাপ্তাইজক আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তাঁর উপরে তুলে দিয়েছেন, আর যীশু এই বাপ্তিস্মের মাধ্যমেই জগতের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছেন এবং ক্রুশে রক্তপাত করেছেন। যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে বাপ্তাইজিত হয়ে, তার মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নেওয়ার মাধ্যমে এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত দানের মাধ্যমে তিন দিন পরে মৃত্যু থেকে উঠে আসার মাধ্যমে যীশু খ্রীষ্ট আমার উদ্ধার কর্তা হয়ে উঠেছেন। 
ইস্রায়েল জাতিরাও মস্তকে হস্তার্পনের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে তাদের নৈবেদ্য উৎসর্গ করে। আবার যখন ইস্রায়েল জাতিরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করে তখন তারা ঈশ্বরের কাছে পাপী হয়ে উঠে, তখন তারা আবার তাদের পাপ এক প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে তার উপরে পাপ অর্পন করে এবং তা নৈবেদ্য স্বরুপ ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করে। ঈশ্বর ঐ নৈবেদ্য যা এক প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পনের মাধ্যমে পাপ অর্পন করে নৈবেদ্য উৎসর্গ করে তা সাদরে গ্রহণ করেন। ইস্রায়েল জাতিরা হস্তার্পনের মাধ্যমে পাপ অর্পন করার মাধ্যমে তাদের বলির নৈবেদ্য উৎসর্গ করে এবং ঈশ্বর তাদের সাথে দেখা করেন। যেহেতু যজ্ঞীয় নৈবেদ্য হস্তার্পণ প্রক্রিয়ার তাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছিল এবং তাদের প্রতিনিধিরুপে তাদের পাপের জন্য শাস্তি ভোগ করেছিল, সেহেতু ঈশ্বর ও যারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছিল তাদেরকে উদ্ধার করেছেন; যা এই নৈবেদ্যের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ছিল। ঈশ্বর কেন ঐ ধরণের যজ্ঞীয় প্রাণীর নৈবেদ্য গ্রহণ করতে এতটা আনন্দিত? কারণটা হচ্ছে তিনি অর্থাৎ ঈশ্বর কখনো চান না যে কেউ নরকে যাক। 
একইরূপে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের উপর তাঁর রক্তপাত এই উভয়ই আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে। যীশু খ্রীষ্ট যোহন বাপ্তাইজকের মাধ্যমে বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং জগতের পাপ মুছে দিয়েছেন যেন তিনি আমাদের পাপের জন্য ক্রুশে হত হন এবং ধার্ম্মিকতা বহন করেন। আমাদের পাপ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছেন এবং ধার্ম্মিকতাকে জন্ম দিয়েছেন, আর আমাদের পাপের কারণে তাঁকে ক্রুশে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে যেন তিনি আমাদেরকে পাপ থেকে স্বাধীন করতে পারেন। তাঁর বাপ্তিস্মে এবং যীশু খ্রীষ্টের সহিত দেখা করতে পারি। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে এবং যীশুর মাধ্যমে আমরা সকলে ঈশ্বরের সহিত দেখা করতে পারি। যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য অনন্তকালের উদ্ধারকর্তা যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে।
প্রকৃতপক্ষে আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের সাথে দেখা করব। যীশু খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসেবে যিনি নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা সুতার মাধ্যমে এসেছিলেন, তাঁকে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে পারব। যারা ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে চেষ্টা করে এবং ঈশ্বরের দেওয়া যজ্ঞীয় পদ্ধতি যা হলো হস্তার্পন এবং রক্তপাত এই দুই বিষয়ে যারা বিশ্বাস করবে তাদের সাথেই ঈশ্বর দেখা করবেন। যদি তারা তাদের জাগতিক চিন্তা দ্বারাও না বুঝতে পারে এবং এই বিষয়ে তাদের সন্দেহ আছে, তারা অবশ্যই ঈশ্বরের বাক্য খুলবে এবং তাদের জন্য নিশ্চিত করবে। তারা অবশ্যই এটা বিশ্বাস করবে যে, ঈশ্বরের বাক্য যা বলে তা সঠিক।
আমরা আমাদের নিজেদের চিন্তা দ্বারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করব না, এই খাঁটি সুসমাচার থেকে আমরা অবশ্যই অন্যান্য সুসমাচার সম্বন্ধে দূর থেকে বুঝতে পারব। আমরা আমাদের চিন্তাতে জেদ ধরব না, আমাদের বোঝা, শেখার উপরেই নির্ভর করব। আপনার চিন্তা সঠিক হতে পারে না। মানব জাতি খুবই দূর্বল, অবাধ্য এবং ঈশ্বরের সম্মুখে কঠিন হৃদয় ধারণ কারী, তাই তারা তাদের নিজেদের ধার্ম্মিকতা এবং চিন্তার কাছে প্রথমে নত হবে এবং ঈশ্বরের বাক্যকে পেছনে না ফেলে, তাদের ঐ দূর্বলতা গুলোকে ত্যাগ করবে। ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের হৃদয়কে খোলা এবং তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করাই হচ্ছে আশীর্বাদ পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম পথ। 
যখন মহাযাজক পাপার্থক বলি হিসেবে গোবৎসটি নৈবেদ্য স্বরুপ উৎসর্গ করবে ঈশ্বর তখন তাকে বলেছেন, তাহার অন্ত্রের উপরিস্থিত মেদ ও যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রা প্লাবক ও দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থ মেদ লইয়া বেদিতে দ্বগ্ধ করিবে, কিন্তু গোবৎসটির মাংস ও তাহার চর্ম্ম ও গোময় শিবিরের বাহিরে অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে। ঈশ্বর মোশিকে যেমনটি আদেশ দিয়েছিলেন মহাযাজক ঠিক সেভাবে নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। যখন হোমবলি দেওয়া হবে তখন মহাযাজক নিখুঁত এক মেষ আনিবে এবং তার মস্তকে হস্তার্পন করে নৈবেদ্য স্বরুপ উৎসর্গ করবে। মহা যাজক তাঁর নিজের জন্য এবং তাঁর পরিবারের জন্য সকালে এবং সন্ধ্যায় প্রাণীর মস্তকে যাজক এবং তাঁর পুত্ররা হস্তার্পন করে নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে, প্রাণীটিকে হনন করবে এবং তার রক্ত বেদীর চারিদিকে ছিটাইয়া দিবে। তারপরে গোবৎসটির চর্ম ও গোময় শিবিরের বাহিরে অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে, কিন্তু মেষটির খন্ড খন্ড অংশ গুলো নিয়ে বেদীর উপরে দিয়ে তাহা আগুনে দ্বগ্ধ করিবে। হোমবলি উৎসর্গ করার সময় যে ভাবে করা হয় ঠিক সে ভাবেই মহাযাজক ও করবে।
বিশেষত, মহাযাজকের উৎসর্গীকরণের সময়, বলির নৈবেদ্যের সমস্ত স্থুলতা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দ্বগ্ধ করতে হবে। বলির সৌরভে ঈশ্বর আনন্দিত হবেন, যা ঈশ্বর তাঁর বাক্য অনুসারে যজ্ঞীয় পদ্ধতিটি স্থাপন করেছিলেন, যাতে ঈশ্বর আমাদের আবার নুতন জন্ম দিতে পারেন। ঈশ্বর এখানে মাংসল বিষয়কে পবিত্র আত্মাকে প্রকাশ করেছেন। ঈশ্বর আমাদের যজ্ঞীয় পদ্ধতি দিয়েছেন, এবং তাঁর যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্র্পন করে প্রাণীকে হনন করে তাকে নৈবেদ্য স্বরুপ ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ কর। আর যখন এই যজ্ঞীয় পদ্ধতিটি ঈশ্বরের ইচ্ছার অনুসারে সম্পন্ন করা হবে এবং তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে তখন ঈশ্বর আনন্দের সাথে গ্রহণ করবেন।
যাত্রাপুস্তক ২৯: ১০ পদে বলেছেন, “ হারোণ ও তাহার পুত্রগণ গোবৎসটীর মস্তকে হস্তার্পন করিবে”। এটা ঈশ্বরের আদেশ ছিল। এছাড়াও মহাযাজকের উৎসর্গীকরণের তাঁর পোশাক হবে এফোদের এবং তা নিশ্চয়ই স্বর্ণ এবং নীল, বেগুনে লাল পাকান সাদা মসীনা সুত্রে হবে। এখানে সোনার সুতা বলতে বোঝানো হচ্ছে বিশ্বাসকে, নীল সুতাকে বোঝানো হচ্ছে যীশুর বাপ্তিস্মকে যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন, যা পুরাতন নিয়মের হস্তার্পনের মতো; সাদা সুতা বলতে বোঝানো হচ্ছে যীশু ঈশ্বরের পুত্র, এবং উজ্জ্বল মসীনা সুতা প্রকাশ করে যীশুর ত্যাগকে যা তিনি মৃত্যুর সময়ে করেছিলেন, আর পাঁচটি শনের কাপড় এখানে প্রকাশ করে যে ঈশ্বর আমাদেরকে নির্র্দোষ তৈরী করেছেন। স্বর্ণের সুতা বিশ্বাসকে প্রকাশ করে, যে বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর আমাদেরকে সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন এবং আমাদের হৃদয়কে বরফের মতো সাদা করেছেন। আমাদের সকলেরই এই বিশ্বাস থাকতে হবে, আর বিশ্বাস করতে হবে যে ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে এবং ক্রুশের রক্তের মাধ্যমে ধৌত করেছেন। ঈশ্বর আমাদেরকে যে সকল কথা বলেছেন, এবং যে ভাবে তিনি আমাদেরকে সমস্ত পাপ ধৌত করে দিয়েছেন, সে অনুসারে আমরা সকলে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব। ঈশ্বর কি ভাবে পরিত্রাণের যজ্ঞীয় পদ্ধতি স্থাপন করেছেন এবং যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তিনি কি ভাবে তা সম্পন্ন করেছেন এবং কি ভাবে আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন সে অনুসারে আমরা সকলে অবশ্যই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করব।
অনেকে বলে, “আপনারা কেন তাঁকে এভাবে বিশ্বাস করেন? আপনারা কেন এত সন্দেহবাদী? এর কারণ হচ্ছে আপনাদের অনেক ব্যক্তিগত স্পষ্ট ধারণা থাকতে পারে এবং আপনারা সব সময় এ সম্পর্কে নিশ্চিত কহতে চান কিন্তু আমার ব্যক্তিত্ব উভয়ই মুখী এবং আমি বিশ্বাস করি একই সময়ে দুই বিপরীত মুখী ধারণা সঠিক হতে পারে। আপনাদের মতো, যারা তাঁকে বিশ্বাস করে ঈশ্বর কি শুধুমাত্র তাদেরকেই রক্ষা করেন? আমি যদি বলি, আমি যে কোন প্রকারেই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি, তবে এই বিশ্বাস কি ঈশ্বরের জন্য যথেষ্ট নয়”? আপনি যদি এই ভাবে বিশ্বাস করেন তবে ঈশ্বর আপনার প্রতি সদয় হবেন না । তিনি সত্যের ঈশ্বর। ঈশ্বর আমাদেরকে নিরর্থক অর্থে রক্ষা করেন নি। ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষে উজ্জ্বল আলো, যার কথা খুবই ধারালো, দ্বিধার তীক্ষè তরবারির মতো। তিনি ঊরীম এবং তাম্মীম অনুসারে বিচার করবেন, যার অর্থ হচ্ছে যে, তিনি আমাদেরকে পূর্ণ আলোয় রক্ষা করেছেন। 
ঈশ্বর অধিকাংশ উচ্চতর মাইক্রোস্কোপ এর চেয়েও অনেক মূল্যবান যা দূরের সমস্ত ক্ষুদ্র জিনিস গুলো দেখে চিহ্নিত করে তার অবস্থান পরিমাপ করতে পারে। তিনি আর অন্য কেউ না, তিনি ঈশ্বর যিনি আমাদের পরিত্রান অনুমোদন করেন যখন আমরা যে কোন ভাবেই বিশ্বাস করি। কারণ ঈশ্বর সত্য, তিনি আমাদের গুপ্ত চিন্তার সমস্ত কিছুই জানেন; যেমন, আমাদের হৃদয়ের পাপ এবং পূর্বে যে সমস্ত পাপ করেছি এবং এখনও করছি আর ভবিষ্যতেও করব সে সমস্ত তিনি জানেন। তাহলে ঈশ্বর কেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, হস্তার্পনের দ্বারা এবং রক্তপাতের দ্বারা আমাদের ঐ ধরণের সমস্ত পাপ মুছে দেবেন, এবং কেন আমরা ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্ট যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে ঈশ্বরের পরিত্রাণে অবশ্যই করব। 
প্রভু বলেছেন যে, আমরা যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে বলির নৈবেদ্য উৎসর্গ করব এবং ঈশ্বর তা খুশি মনে গ্রহণ করবেন। যখন একজন পাপী যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে তার পাপ অর্পন করবে তখন সে প্রাণীকে হনন করবে এবং তার রক্ত নিয়ে বেদীর চারিদিকে ছিটিয়ে দিবে। এখানে রক্ত, বেদীর উপরে ছিটিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যে, পাপসমূহ যে গুলো বিচার পুস্তকে লেখিত আছে সে গুলো ধৌত হয়ে গেছে (প্রকাশিত বাক্য ২০:১২-১৫)। এর পরে রক্তের কিছু অংশ বাইরে ফেলে দিতে হবে। আর এর অর্থ হচ্ছে তাঁর হৃদয় ধৌত হয়েছে। 
আমার আপনার জন্যই যীশু খ্রীষ্ট বাপ্তাইজিত হয়েছেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং মৃত্যুকে জয় করে উঠেছেন, আর এভাবে করেই তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। আমাদের মতো মহাযাজকদেরও একই বিশ্বাস আছে। বর্তমান যুগে আমার আপনার মধ্যে যে বিশ্বাস আছে, এই বিশ্বাস মহাযাজকদের চেয়ে আলাদা নয় বরং একই বিশ্বাস। মহাযাজকগণও নীল, বেগুনে উজ্জ্বল মসীনা বস্ত্রে প্রকাশিত সে সত্যে বিশ্বাস করেম যাতে তার যাজকীয় কর্তব্য পূর্ণ করতে পারে, এবং এই একই বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমি আপনি ধার্ম্মিক গণিত হয়েছি। এর কারণ হচ্ছে ঈশ্বরের মাধ্যমে আমাদেরকে যে পরিত্রাণ দেওয়া হয়েছে তাতে বিশ্বাস করেই আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি, যা এখন আমরা তাঁর সাথে দেখা করতে পারি। আপনার সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করূন এবং আমাদের জীবনকে তাঁর নিজের লোকদের মতো পরিচালিত করুন। আমরা যেমন আমাদের যাজকীয় কর্তব্য পালন করেছি, তোমরাও পাপীদের কাছে সুসমাচার প্রচার কর।
 
 
পার্থিব মহাযাজক এবং যজ্ঞীয় পদ্ধতি ঈশ্বর দ্বারা স্থাপিত হয়েছে
 
মহাযাজক এবং যজ্ঞীয় পদ্ধতিটি ঈশ্বর দ্বারা স্থাপিত হয়েছে। এইরূপে ঈশ্বর তাঁকে যা করতে আদেশ করেন পার্থিব মহাযাজক তাই করেন। আর এটা করার মাধ্যমেই তাঁর লোকদের পাপ মুছে যাজকীয় কর্তব্য পালন করেন। কেমন করে যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র হয়েছেন এবং স্বর্গীয় মহাযাজকের মতো আমাদের পাপ ধৌত করেছেন? পার্থিব বলির নৈবেদ্যের পরিবর্তে তিনি ঐ বলির নৈবেদ্যে নিজের নিখুঁত দেহকে রেখেছেন এবং তাতে আমাদের সমস্ত পাপ ঐ বেদীর মধ্যে রেখেছেন । যীশু যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে মানবজাতির সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে আবার মৃত্যুকে জয় করে উঠে সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এটা কেমন এক ভালবাসা এবং কেমন একটা বিস্ময়কর পরিত্রাণ! 
আপনি কি এটা করতে পারেন? আপনি কি কোন ব্যক্তির পরিবর্তে আপনার উপরে নিয়ে তার পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করবেন? অসম্ভব! তা ছাড়া আপনার দেহ ঐ যজ্ঞের জন্য উপযুক্ত নয়, কিছু লোক আছে যারা প্রকৃতপক্ষে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে পরের জন্য বা তার জাতির জন্য করে। যদিও কেউ কেউ মানব জাতির জন্য সব কিছু করে কিন্তু সেগুলো সবই অসার, তারা নিজেরাই নিজেদের পাপের সমাধান করতে পারে না, আর অন্যদের কীভাবে রক্ষা করবে। পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে মানবজাতিকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট পবিত্র ঈশ্বরের পুত্র তিনিই পারেন তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করতে। পবিত্র বাইবেল আমাদের বলে যে, আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে (প্রেরিত ৪:১২)। 
এছাড়া, আপনাদের মধ্যে কেউ কি বলবান ব্যক্তি আছেন যে চিন্তা করছে যে, “আমি এটা করতে সক্ষম। আমি কি নিজেকে অন্যের জন্য উৎসর্গ করতে এবং বলি দিতে সক্ষম”? এরকম যজ্ঞ এবং উৎসর্গীকরণ হয়তো বা মানুষদের দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল, কিন্তু সময়ের বির্বতনে এবং সমস্ত কিছুর উন্নয়নে, এরুপ পূণ্য কাজও স্বাভাবিক ভাবে বিলুপ্ত হবে। ইব্রীয় ১৩:৯ পদ আমাদেরকে বলে যে, “কেননা হৃদয় যে অনুগ্রহ দ্বারা স্থিরীকৃত হয়, তাহা ভাল; খাদ্য বিশেষ অবলম্বন করা ভাল নয়, তদাচারীদের কোন সুফল দর্শে না”। ঈশ্বর থেকে কোন ধরণের উপকার এবং সুশোভিতকরণ গ্রহণ করার জন্য আমাদের হৃদয়ে আসে? ইহা ঈশ্বরের ভালবাসার পরিত্রাণ যা আমাদের হৃদয়কে তাঁর আশীর্বাদে মগ্ন এবং পূর্ণ করে। অন্যের শারীরিক সাহায্য আমাদের অনন্ত দিনের জন্য কিছুই না। আমরা যখন আরামদায়ক হই, তখন আমরা পৃথিবীর মহান ব্যক্তিদের ভুলে যাওয়ার প্রবণে পড়ি, যেমন সক্রেটিস, কুনফুসিয়াস, এবং সিদ্ধার্থ এরা সবাই পৃথিবীর এক একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। আর এই জ্ঞানী ব্যক্তিরা আপনার কেমন করে উদ্ধার কর্তা হবে? সিদ্ধার্থ কি আপনার পাপ পরিস্কার করে দিতে পারবে? তাদের মধ্যে এটা করতে কেউই পারবে না । যখন মনুষ্যেরা নিজের বা অন্যের পাপ ক্ষমা করতে পারে না ঐ মুহুর্তে তাদের উদ্ধারকর্তা কে হবে? এমন কি মহাযাজকও নিজের ক্ষমতায় তার নিজের লোকদের পাপ মুছে ফেলতে পারবে না। ইস্রায়েলজাতিদের পাপ দুর হয়ে যাবে যখন তারা ঈশ্বরের দেওয়া যজ্ঞীয় পদ্ধতিতে বিশ্বাস করবে এবং যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারে যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পনের মাধ্যমে তাদের পাপ বলির নৈবেদ্যে উৎসর্গ করবে এবং তা হনন করে তাহার কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া বেদীর শৃঙ্গের উপরে দিবে, কিন্তু তার মাংস ও তার চর্ম ও গোময় শিবিরের বাহিরে অগ্নিতে পোড়ইয়া দিবে। 
বছরে পাপের মূল্য মার্জনা করতে মহাযাজক সপ্তম মাসের দশম দিনে যজ্ঞীয় প্রাণীর মস্তকে হস্তার্পন করে তার উপরে পাপ অর্পন করিবে; তারপরে তাকে হনন করে তার কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে শৃঙ্গের পূর্ব দিকে ছিটিয়ে দিবে, যা তার প্রবেশ পথকে নির্দেশ করে। যখন মহাযাজক সাত বার রক্ত ছিটাবেন তখন তার নীল দড়ির প্রান্ত ভাগে ঝোলানো ঘন্টাগুলো বেজে উঠতো ( এই নীল, বেগুনে এবং লালচে সুতা দ্বারা তৈরী অঙ্গরক্ষক বস্ত্রের মধ্যে ঝোলানো থাকতো) যখন তিনি হাঁটতেন বা রক্ত ছিটাতেন তখন সোনালী ঘন্টা গুলোর সুরুচী সম্পন্ন শব্দ শুনা যেত। 
 এই সুসমাচার ছাড়া আর কিছু না। এই শব্দ সুসংবাদের ইঙ্গিত করে, শক্তিশালী সুসমাচার, যা আমাদের সমস্ত পাপসমূহ ধৌত করে। মহাযাজক নিজের ক্ষমতাতে তাঁর লোকদের পাপের ক্ষমা দিতে পারে না কিন্তু ঈশ্বরের দেওয়া যজ্ঞীয় পদ্ধতি অনুসারেই পারবে। নুতন নিয়মের যুগে যীশু খ্রীষ্ট আমাকে আপনাকে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে ক্রুশে মৃত্যুবরণের মাধ্যমে এবং মৃত্যু থেকে উঠে সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করেছেন। ঈশ্বর নিজে যে নিয়ম স্থাপন করেছিলেন, সে নিয়ম যীশু পূর্ণ করে আমাদেরকে ধার্ম্মিক গণিত করেছেন। 
যারা প্রকৃতপক্ষে আবার নুতন জন্ম লাভ করতে চাই, তারা তাদের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে শুধুমাত্র তারা যদি সম্মত হয় এবং খোলা মনে ঈশ্বরের বাক্য শুনতে পছন্দ করে, তবে তারা পাপের ক্ষমা পাবে যা “বিরেন” আত্মার মত। আর যারা এই সত্যে বিশ্বাস করতে পারেনা এবং তাদের পাপের জন্য পরিত্রাণ গ্রহণ করতে পারে না, আর ঈশ্বরের বাক্যে তাদের কাছে যে কইবারই প্রচার করা হোক না কেন সে কোন মতে বিশ্বাস করবে না, তার কাছে এটা কোন বিষয় না, প্রকৃত পক্ষে তারা বোকা। মানুষের বুদ্ধি কত দুর ডেতে পারে? ঈশ্বরের বুদ্ধির চেয়ে তাদের বুদ্ধি অনেক কম। এই সমসÍ লোকদের থেকে বোকা লোক খুজে পাওয়া অনেক কঠিন। 
প্রিয়তমেরা, জগৎ খুব দ্রুত গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে, সাথে প্রযুক্তি দিক থেকেও। যা হিউম্যান ক্লোনিং বলেছেন যে, প্রযুক্তি দ্বারা সমস্ত কিছু করা সম্ভব । নাস্তিকতাও সর্বব্যাপী এবং এখন ধর্মের যুগ চলছে। যা হোক, যদিও এই পৃথিবী অনেক বিশৃংখলা এবং গালিগালাজে পূর্ণ। আমরা যারা পূর্ন জন্ম লাভ করেছি আমাদের সকলকে প্রধান যাজকের মতো ঈশ্বরের কাছে বিশ্বস্ত যাজক হতে হবে। অধার্ম্মিকতা ও সূদুরপ্রসারি স্রোতের দিক চিন্তা না করে , বর্তমানে সারা পৃথিবীতে খুব দ্রুত সহকারে জল ও আত্মার সুসমাচার ছড়িয়ে পড়ছে। একমাত্র আমরাই স্রোতের বিপরীতে চলতে পারি।
আমি বিশ্বাস করি যে, জল ও আত্মার সুসমাচার, পরিত্রাণ এবং যজ্ঞীয় পদ্ধতি সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, আর এগুলো খুব শীঘ্রই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা আজকের দিনের যাজকেরা, আমরা আমাদের জন্য এবং সারা পৃথিবীর সমস্ত আত্মা গুলোর জন্য প্রার্থনা করব, এবং আমাদের জীবনকে সুসমাচারের সাথে তুলনা করে পরিচালনা করব। আমি বিশ্বাস করি যে, যখন আমরা বিশ্বাসের মাধ্যমে বাস করি, তখন আমরা তাদের একজনের মতো যারা ঈশ্বরের সাথে চলাফেরা করে এবং সুসমাচার ছড়ানোর মতো মহৎ কাজ গুলো করে। আমরা এই শেষ সময়ে ঈশ্বরের অনুরোধকৃত কাজগুলো খুজছি এবং সেগুলো সম্পন্ন করছি। আমি বিশ্বাস করি যে, কাজের সুসমাচার পৃথিবীর প্রান্ত গুলোতেও ছড়িয়ে পড়বে এবং ফুলের মিষ্টি গন্ধের মতো ছড়িয়ে পড়বে। 
তিনি তাঁর কাজে আমাদেরকে যাজক হিসেবে উৎসর্গ করছেন বলে এবং তাঁর কাজে নিয়োগ করছেন বলে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।