Search

Проповіді

বিষয় ১১: আবাস

[15-1] মধ্যাকাশে ঈশ্বরের অদ্ভুত কার্যসমূহের প্রশংসাকারী সাধুগণ (প্রকাশিত বাক্য ১৫:১-৮)

মধ্যাকাশে ঈশ্বরের অদ্ভুত কার্যসমূহের প্রশংসাকারী সাধুগণ
< প্রকাশিত বাক্য ১৫:১-৮ >
“পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত; সপ্ত দূতকে সপ্ত আঘাত লইয়া আসিতে দেখিলাম; সেই সকল শেষ আঘাত, কেননা সেই সকলে ঈশ্বরের রোষ সমাপ্ত হইল। আর আমি দেখিলাম, যেন অগ্নিমিশ্রিত কাচময় সমুদ্র; এবং যাহারা সেই পশু ও তাহার প্রতিমা ও তাহার নামের সংখ্যার উপরে বিজয়ী হইয়াছে, তাহারা ঐ কাচময় সমুদ্রের তীরে দাঁড়াইয়া আছে, তাহাদের হস্তে ঈশ্বরের বীণা। আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, 
“মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল,
হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্‌;
ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, 
হে জাতিগণের রাজন্‌! 
 হে প্রভু, কে না ভীত হইবে?
 এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে?
 কেননা একমাত্র তুমিই সাধু,
 কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে,
 কেননা তোমার ধর্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”
 আর তাহার পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গে সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির খুলিয়া দেওয়া হইল; তাহাতে ঐ সপ্ত আঘাতের কর্ত্তা সপ্ত দূত মন্দির হইতে বাহিরে আসিলেন, তাঁহারা বিমল ও উজ্জ্বল মসীনা-বস্ত্র পরিহিত, এবং তাঁহাদের বক্ষঃস্থলে সুবর্ণ পটুকা বদ্ধ। পরে চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণী ঐ সপ্ত দূতকে সপ্ত সুবর্ণ বাটি দিলেন, সেগুলি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ। তাহাতে ঈশ্বরের প্রতাপ হইতে ওতাঁহার পরাক্রম হইতে উৎপন্ন ধূমে মন্দির পরিপূর্ণ হইল; এবং ঐ সপ্ত দূতের সপ্ত আঘাত সমাপ্ত না হওয়া পর্য্যন্ত কেহ মন্দিরে প্রবেশ করিতে পারিল না।”
 
 

টীকা

 
পদ ১: “পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত; সপ্ত দূতকে সপ্ত আঘাত লইয়া আসিতে দেখিলাম; সেই সকল শেষ আঘাত, কেননা সেই সকলে ঈশ্বরের রোষ সমাপ্ত হইল।”
সপ্তদূত কর্ত্তৃক সপ্ত আঘাত আনয়নের দ্বারা পৃথিবীর শেষ হওয়ার কথা ১৫ অধ্যায়ে বলা হয়েছে৷ প্রেরিত যোহন যা দেখেছিলেন, “পরে আমি স্বর্গে আর এক চিহ্ন দেখিলাম, তাহা মহৎ ও অদ্ভুত;” এটা কি? এটা সাধুগণের কাঁচময় সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে থেকে ঈশ্বরের প্রশংসা করার দৃশ্য৷
 
পদ ২: “আর আমি দেখিলাম, যেন অগ্নিমিশ্রিত কাচময় সমুদ্র; এবং যাহারা সেই পশু ও তাহার প্রতিমা ও তাহার নামের সংখ্যার উপরে বিজয়ী হইয়াছে, তাহারা ঐ কাচময় সমুদ্রের তীরে দাঁড়াইয়া আছে, তাহাদের হস্তে ঈশ্বরের বীণা।”
“যেন অগ্নিমিশ্রিত কাচময় সমুদ্র” বাক্যাংশটি আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর যেভাবে সপ্তবাটির মহামারী এই পৃথিবীতে ঢেলে দেবেন তাতে এখানকার যন্ত্রণাভোগের বিলাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে, অন্যদিকে সাধুগণ স্বর্গে প্রভুর প্রশংসা করতে থাকবে৷ ঈশ্বর কর্ত্তৃক পৃথিবীতে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেওয়া হল সাধুগণের পক্ষে তাদের শত্রুগণের উপরে প্রতিশোধ নেওয়া
 এই সময়ে সাধুগণ ঈশ্বর কর্ত্তৃক তাদের পুনরুত্থান এবং রূপান্তরে অংশগ্রহণ করে, তাঁর প্রশংসা করতে করতে কাঁচ মিশ্রিত সমুদ্রের তীরে দাঁড়াবে৷ এই পৃথিবীতে সাক্ষ্যমর হওয়ার দ্বারা যে সাধুগণ পুনরুত্থিত এবং রূপান্তরিত হয়েছে, তারা প্রভুর পরিত্রাণ ও প্রতাপের জন্য তাঁর প্রতাপের মধ্য দিয়ে অনন্তকাল প্রভুর প্রশংসা করবে৷ প্রশংসারত সাধুগণ হল তারাই, যারা খ্রীষ্টারীকে, তার প্রতিমূর্তিকে এবং তার নামের বা সংখ্যার চিহ্নকে ত্যাগ করে বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টারীর উপরে বিজয় অর্জন করবে৷
 
পদ ৩: “আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্‌; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্‌!”
সাধুগণ কাঁচময় সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে মোশি এবং মেষশাবকের গীত গান করছেন৷ আর এই গানের কথাগুলো হল : “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্‌; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্‌!” গানের কথাগুলি যেভাবে লেখা হয়েছে তা হল এই ঘটনার জন্য ঈশ্বরের প্রশংসা কর যে, তাঁর সর্বশক্তিমান প্রতাপের দ্বারা এমন কাজ নেই যা তিনি করতে পারেন না৷ এটাও এখানে লেখা রয়েছে যে, “মহৎ ও আশ্চর্য্য [তাঁর] ক্রিয়া সকল৷”
এখানে “আশ্চর্য্য” শব্দটির অর্থ “এত মহৎ বিজয় যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷” অন্যকথায়, ঈশ্বর যে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, এটা সাধারণভাবে অদ্ভুত এবং আশ্চর্য্য ব্যাপার, জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে নুতন এবং পুরাতন উভয় নিয়মের সাধুগণকে পাপহীন করেছেন এবং যারা তাদের বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে রক্ষা পেয়েছে, তিনি সেই সমস্ত সাধুগণকে তাদের মাংসের দেহের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত এবং উর্দ্ধে তুলে নেওয়ার দ্বারা স্বর্গে প্রভুর প্রশংসা করতে অনুমোদন দিয়েছেন৷ প্রভু ঈশ্বর এই সমস্ত সাধুগণের ত্রাণকর্তা, প্রভু এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হওয়ার জন্য তারা তাঁর প্রশংসা করছে৷
আপনি কি প্রকৃতই বিশ্বাস করেন যে, প্রভু ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে সহ এই বিশ্বব্রহ্মান্ড এবং এর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই বাস্তবিক আপনার প্রভু? কেবলমাত্র যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে তারাই জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাসী হতে পারে৷ যাদের এই বিশ্বাস রয়েছে, তারা এমন লোক যাদের সবচেয়ে সত্য বিশ্বাস রয়েছে৷ খ্রীষ্টিয়ানদের অবশ্যই জানতে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশুই ত্রাণকর্তা, যিনি সম্পূর্ণ বিশ্বব্রহ্মান্ড এবং ভেতরের সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন৷ আর প্রভু ঈশ্বরের কাজ জানা এবং বিশ্বাস করার দ্বারা তাদেরকে অবশ্যই তাঁর প্রশংসা এবং ভজনা করতে হবে৷ “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্‌!” যে সমস্ত সত্যিকারের নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুগণ মোশি এবং মেষশাবকের গীত গান করে, তাদের এই বিশ্বাসের প্রশংসাই সত্য বিশ্বাস প্রদর্শন করে৷
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, প্রভু যীশুই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর? যারা বিশ্বাস করে যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর যিনি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন, তারা আরো বিশ্বাস করে যে, প্রভু মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, মানবজাতির পাপ সমূহ একেবারে তুলে নিতে তিনি ৩০ বছর বয়সে যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং তিনি ক্রুশে রক্ত সেচন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন৷ তারা তাদের বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পাপের মোচন লাভ করেছে এবং সাধু হয়েছে৷ যারা এই সত্য জানে এবং যাদের এই সত্য বিশ্বাস রয়েছে, বাস্তবিক তারা মহাবিশ্বাসের লোক হিসাবে বর্ণিত হবে৷
অনুচ্ছেদটি এখানে বলে যে, রূপান্তরিত সাধুগণ স্বর্গে প্রশংসা করে বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল”৷ অন্যকথায়, তারা মানবজাতি এবং পৃথিবী সৃষ্টি করার জন্য যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তিস্ম গ্রহণের দ্বারা প্রভু সমস্ত পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে ধৌত করার দ্বারা রক্ষা করার জন্য, এবং তাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার প্রদান করার জন্য তারা প্রভুর প্রশংসা করছিল – সমস্ত কিছু প্রভুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে হয়েছিল৷ সাধুগণ যাতে খ্রীষ্টের পক্ষে তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুতে, পুনরুত্থান এবং রূপান্তরে এবং অনন্তজীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে- সেজন্য এই সমস্তই ঈশ্বরের দেওয়া আশীর্বাদ৷
সমস্ত সাধুগণকে অবশ্যই ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করতে পাপীদের নিমিত্ত প্রভু যে ধার্মিকতার কার্য সাধন করেছেন, অর্থাৎ এই পৃথিবীতে থাকাকালীন তিনি অন্যান্য সকল কাজের মত যেভাবে সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত কার্যের গৌরব প্রকাশ করে৷ সাধুগণ স্বর্গে মোশির ও মেষশাবকের গীত গান করে৷ সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর পাপীদের এবং তাঁর শত্রুদের জন্য যা কিছু করেছেন সেই অদ্ভুত এবং আশ্চর্য্য কাজ যে কত মহৎ সেই গীত গানই তারা করছে৷
বাস্তবিক, সাধুগণ এবং যারা সকলে প্রভুর বিপক্ষে দাঁড়ায়, তিনি তাদের জন্য যা করেছেন তা কেবল আশ্চর্য্যই নয়, অদ্ভুতও বটে৷ ঈশ্বরের এই পৃথিবী সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে তাঁর প্রজা তৈরী করা৷ এইরূপে, তিনি মানবজাতির জন্য যে সমস্ত কাজ করেছেন, সেগুলো আমাদের সাক্ষাতে অদ্ভুত এবং আশ্চর্য্যরূপে প্রকাশিত৷ তিনি আমাদের নিমিত্ত যা কিছু করেছেন, সেগুলো বিশ্বাসের দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করি, এবং তাঁর সমস্ত কার্যে বিশ্বাসে আমরা তাঁর প্রশংসা করি৷
ঈশ্বর নিজের প্রতিমূর্তিতে যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাও অদ্ভুত৷ তিনি প্রত্যেককে তাঁর যে ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং যীশু খ্রীষ্টকে এই জগতে পাঠাতে কুমারী মরিয়মের মধ্য দিয়ে যে কাজ করেছেন, তা আমাদের দৃষ্টিতে অদ্ভুত কিন্তু একই সময়ে আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সমস্ত কাজ করার অর্থ হল সমস্ত পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করা৷ আরো অদ্ভুত ঘটনা হল যে, আমাদের প্রভু ঈশ্বর যোহন বাপ্তাইজক কর্ত্তৃক বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, যীশু খ্রীষ্টের দেহে পৃথিবীর সমস্ত পাপ একেবারে স্থানান্তরিত করেছেন, যাতে তিনি মানবজাতির প্রত্যেকটির পাপ যথার্থ এবং সম্পূর্ণভাবে মুছে দিতে পারেন৷
 যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাদের নিমিত্ত প্রভু তাদের পাপের অনন্ত ক্ষমা প্রদান করেছেন এবং তাদের নিমিত্ত তাঁর পবিত্র আত্মাও আশ্চর্য্য ও অদ্ভুত৷ আর তিনি যে তাঁর রক্ষাপ্রাপ্ত সাধুগণকে দিয়ে সমগ্র পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করেছেন, তাও অন্য একটা আশ্চর্য্য অনুগ্রহ, আবার এমন একটা কিছু যা আমাদের প্রতি অদ্ভুত৷ প্রভু ঈশ্বর যে সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে অনুমোদন করবেন, তাদের পুনরুত্থান এবং রূপান্তর হওয়ার যোগ করবেন এবং স্বর্গে অনন্ত গৌরব তাদেরকে প্রদান করবেন – এই সমস্ত কার্যগুলি অদ্ভুত ও অনুগ্রহের বিষয়৷
 যখন সময় আসবে তখন পরিকল্পনার সমস্ত কিছুই ঈশ্বর করবেন- ঈশ্বরকে গৌরাবন্বিত এবং প্রশংসিত করবার সাধুগণের এই সমস্ত কার্য আমাদের হৃদয়ে মহাআশীর্বাদে পরিবর্তিত হবে৷ যেহেতু তিনি নিজেই সপ্তবাটির মহামারীর মধ্য দিয়ে তাঁর সর্বময় ক্ষমতার দ্বারা তাঁর বিপক্ষদের উপরে প্রতিশোধ নেবেন, এই ঘটনার দ্বারা আমরা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়েছি, এজন্য আমরা প্রভুর ধন্যবাদ করি৷
যেহেতু প্রভু ঈশ্বরের সমস্ত কার্য ধার্মিকদের চোখের সম্মুখে তাদের সাধ্যের অতীত কোনো কিছুর ন্যায় প্রকাশিত, তাই তারা তাঁর প্রশংসা করবে৷ অতএব, তারা তাঁর অদ্ভুত এবং সর্বশক্তিমান ক্ষমতার জন্য তাঁর প্রশংসা করবে৷ আমাদের প্রভু কেবল সমগ্র মানবজাতির প্রশংসা গ্রহণের যোগ্য নন, কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেকটি সৃষ্টিরও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য৷ হাল্লিলুয়া!
প্রভু ঈশ্বর তাদের জন্য যা করেছেন, যারা তা জানে, সে অভিজ্ঞ, এবং নিজেদের চোখে দেখেছে, তারা তাঁর সর্বশক্তিমান ক্ষমতা, তাঁর জ্ঞান, ধার্মিকতা, তাঁর অনন্ত অপরিবর্তনীয় ন্যায্য বিচার এবং তাঁর অনন্তকালস্থায়ী প্রেমের জন্য তাঁর প্রশংসা না করে পারে না৷ প্রভু তাঁর অদ্ভুত কার্যের জন্য সাধুগণকে অনন্তকাল তাঁর প্রশংসা করতে অনুমোদন করেছেন৷
এইরূপে, প্রভু ঈশ্বর সাধুগণের নিমিত্ত যে সমস্ত অনন্তকালীয় কার্যসাধন করেছেন এবং তাঁর মঙ্গলভাব ও তাঁর মহত্ত্বের জন্য সাধুগণ তাঁর প্রশংসা করে৷ আমাদের প্রভু বিশ্বের সমস্ত জিনিস হতে এবং কেবল তাঁর সর্বশক্তিমান ক্ষমতার দ্বারা প্রস্তুতকৃত তাঁর সমস্ত কাজের জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য৷ হাল্লিলুয়া! আমি প্রভুর প্রতাপ এবং তাঁর অনন্তকালস্থায়ী, অপরিবর্তনীয় এবং অনুগ্রহযুক্ত প্রেমের জন্য তাঁর প্রশংসা করি৷
 
পদ ৪: “হে জাতিগণের রাজন্‌! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”
স্বর্গে সাধুগণ তাদের মুখ দিয়ে প্রভুর কার্যের প্রশংসা করে৷ “হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে?” এটা বিশ্বাস এবং দৃঢ় প্রত্যয়পূর্ণ একটি প্রশংসা, যা আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘোষণা করে যে, কেউই কখনও প্রভু ঈশ্বরের গৌরবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না এবং কেউ কখনও তাঁর প্রশংসা গ্রহণ হতে বিরত রাখার দুঃসাহস করতে পারে না৷ ভয়ে কম্পিত ব্যতীত কে প্রভুর নামের সম্মুখে দাঁড়াতে পারে? এই পৃথিবীতে, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডে এবং সমগ্র অনন্ত রাজ্যের এমন কিছুই নেই যা আমাদের প্রভুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং তাঁকে জয় করতে পারে, যেহেতু যীশুই রাজাদের রাজা এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর৷
যীশু খ্রীষ্টের নাম, প্রভু ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান ক্ষমতা এবং তাঁর সত্যের সম্মুখে পৃথিবীর সমস্ত জিনিস এবং সাধুগণ ভয়ে কম্পিত না হয়ে পারে না৷ কেননা প্রভু ঈশ্বরের ক্ষমতা অনন্ত মহৎ এবং যেহেতু তিনি সত্য এবং যথার্থ, তাই সমস্ত সৃষ্টি তাঁর নামের সাক্ষাতে প্রশংসা এবং গৌরব প্রদান করে৷ প্রত্যেকের ঈশ্বর-ভয়কারী হৃদয় থাকতে হবে৷ আর এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত জিনিসকে অবশ্যই তাঁর নামের প্রশংসা করতে হবে৷ কেন? যেহেতু আমাদের প্রভু পবিত্র, এবং তিনি সমগ্র মানবজাতিকে তাদের অধর্ম থেকে মুক্ত করেছেন৷
 যেহেতু প্রভু খ্রীষ্টারী এবং তার অনুসারীদের উপরে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেবেন, এবং এই পৃথিবীর উপরিস্থ ধর্মবিদগণ তাঁর ধার্মিকতা ঘোষণা করবে, তাই আমরা তাঁর প্রশংসা না করে পারি না, সপ্তবাটির মহামারীর মধ্যে দিয়ে প্রভুর ধর্মময় বিচার প্রকাশিত, আমাদের প্রভু সমস্ত সৃষ্ট জীব, দূতগণ এবং আকাশের নক্ষত্র মন্ডলী হতে আরাধনা, প্রশংসা এবং গৌরব পাওয়ার যোগ্য৷
কে যীশু খ্রীষ্টের নামে ভীত না হতে সাহস করতে পারে? আমাদের প্রভু কোনো সৃষ্টি নয়, তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর৷ যারা তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাদের উপরে সপ্তবাটির ভয়াবহ মারী ঢেলে দেওয়ার দ্বারা এটা স্বাভাবিকভাবে অবশ্যম্ভাবী করবেন যে, তাঁর সমস্ত সৃষ্টি তাঁর ক্ষমতা ও প্রতাপের সম্মুখে তাঁর প্রশংসা করবে৷
“কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।” অতএব আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, যারা প্রভুর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এবং তাঁর নামের নিন্দা করে তারা কখনই সুখে জীবনযাপন করতে পারে না৷ কেবল প্রভুর নামের সম্মুখে জানু পাতা ও তাঁতে বিশ্বাস করাই হল সর্বময় ক্ষমতা, দৃঢ়তা ও তাঁর অনুগ্রহের নিমিত্ত প্রশংসা করা, আর তাঁর মহাপরিত্রাণ এবং প্রেমের ভজনা এমন এক প্রকার ভজনা যা তার নামের যোগ্য৷ অতএব, পৃথিবীতে থাকাকালীন প্রভু তাদের নিমিত্ত যা করেছেন, সমগ্র সৃষ্টিকে অবশ্যই তা বিশ্বাস করতে হবে এবং তাঁর প্রশংসা ও ভজনা করতে হবে৷ আমাদের প্রভু সমগ্র জাতি এবং সমস্ত লোকের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য৷ আমেন হাল্লিলুয়া!
 
পদ ৫: “আর তাহার পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গে সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির খুলিয়া দেওয়া হইল” 
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, যখন শেষকালে প্রভু ঈশ্বর এই পৃথিবীর উপরে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেবেন, তখন ঈশ্বর সাধুগণকে তাঁর স্বর্গের গৃহ দান করবেন৷ এই সমস্ত জিনিস প্রভু ঈশ্বর কর্ত্তৃক সাধিত হবে৷ তাহলে সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির কি? এটা ঈশ্বরের গৃহ যা পৃথিবীর সমাগম-তাম্বুর ন্যায়৷ “স্বর্গে সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির খুলিয়া দেওয়া হইল” বাক্যাংশটির অর্থ হল, তখন থেকে প্রভু ঈশ্বরের রাজ্যের যুগ খুলে দেওয়া হবে৷
সাক্ষ্য-তাম্বুর মন্দির খুলে দেওয়ার সাথে সাথে সব শেষ মারী এবং প্রভুর রাজ্য এই পৃথিবীতে আনীত হবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচার জানা ব্যতিরেকে কোনো বিশ্বাসই প্রভুর সম্মুখে গ্রাহ্য হবে না৷ এইরূপে, আমাদেরকে অবশ্যই এই সুসমাচারের সত্য জানতে এবং বিশ্বাস করতে হবে, এবং এছাড়া বুঝতে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, খ্রীষ্টের রাজ্যে বাস করতে এবং তাঁর সাথে গমনাগমন করার সময় এখন আমাদের অতি নিকটে৷
 
পদ ৬: “তাহাতে ঐ সপ্ত আঘাতের কর্ত্তা সপ্ত দূত মন্দির হইতে বাহিরে আসিলেন, তাঁহারা বিমল ও উজ্জ্বল মসীনা-বস্ত্র পরিহিত, এবং তাঁহাদের বক্ষঃস্থলে সুবর্ণ পটুকা বদ্ধ।”
এই বাক্য আমাদেরকে প্রদর্শন করে যে, ঈশ্বর যখন এই পৃথিবীর উপরে সপ্তবাটির মারী ঢালবেন, তখন তিনি তাঁর দূতগণের মধ্যে দিয়ে কাজ করবেন, যারা এই সপ্তমারীর অপরিহার্য্য বিচার এবং সততায় বিশ্বাস করে৷ অন্যকথায়, এটা আমাদেরকে বলে যে,ঈশ্বরের দাসগণ তখনই প্রভুর দাসগণ হিসাবে তাঁর সেবা করার যোগ্য হতে পারে, কেবলমাত্র যখন তারা সর্বদা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে এবং তাঁর ঈশ্বরত্বে তাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে৷
কেবলমাত্র তখনই ঈশ্বরের দাসগণ প্রভুর কাজের ন্যায় কাজ করতে পারে, যখন তারা বিশ্বাস করে যে, প্রভুর কার্যাবলী সর্বদা ন্যায্য৷ কেবলমাত্র সাধুগণই এইভাবে ঈশ্বরের অমূল্য দাস হতে পারে, যখন তারা সর্বদা প্রভুর ধার্মিকতার বস্ত্রে আচ্ছাদিত হয়, শিরস্ত্রানের ন্যায় পরিত্রাণের উপর প্রত্যাশা রাখে, তাদের বিশ্বাস রক্ষা করে এবং প্রভুকে গৌরাবন্বিত করার জীবনযাপন করে৷
 
পদ ৭: “পরে চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণী ঐ সপ্ত দূতকে সপ্ত সুবর্ণ বাটি দিলেন, সেগুলি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ।”
এটা আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর যখন তাঁর দাসগণের মধ্যে দিয়ে কাজ করেন, তিনি তাদেরকে সু-স্বভাবের তৈরী করেন, এবং এইরূপ কাজগুলি সুবিন্যস্তভাবে সাধন করেন৷ ““পরে চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণী” বাক্যাংশটি আমাদের দেখায় যে, প্রভু তাঁর মূল্যবান দাসগণকে তাঁর উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নিরূপণ করেছেন এবং তিনি তাদের মধ্যে দিয়ে কাজ করেন৷ চারটি প্রাণী এখানে প্রভুর চারটি মহামূল্যবান দাস হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে, যারা সর্বদা প্রভুর সাক্ষাতে দন্ডায়মান এবং যারা তাঁর উদ্দেশ্য সাধন প্রথমেই করেন৷ আমাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের সর্বময় ক্ষমতা এবং তাঁর দৃঢ়তাকে বুঝতে হবে, এছাড়া আমাদেরকে আরো বুঝতে হবে যে, তিনি তাঁর দাসগণের মধ্যে দিয়ে কাজ করেন৷
 
পদ ৮: “তাহাতে ঈশ্বরের প্রতাপ হইতে ওতাঁহার পরাক্রম হইতে উৎপন্ন ধূমে মন্দির পরিপূর্ণ হইল; এবং ঐ সপ্ত দূতের সপ্ত আঘাত সমাপ্ত না হওয়া পর্য্যন্ত কেহ মন্দিরে প্রবেশ করিতে পারিল না।”
প্রভু ঈশ্বরের এই পৃথিবীর বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কেউ স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না৷ ঈশ্বরের পবিত্রতা কত যথার্থ, এটা আমাদেরকে সেটাই বলে৷ এটা আমাদেরকে আরো বলে যে, তিনি দুষ্টতাপ্রিয় ঈশ্বর নন (গীতসংহিতা ৫:৪)৷ অতএব, আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে যে, যদি কেউ ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে চায়, তাকে (নারী/পুরুষ)অবশ্যই মানবজাতিকে প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, কেবলমাত্র তাঁরাই তাঁর রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে৷ 
ঈশ্বর সপ্তবাটির মহামারী দ্বারা তাঁর শত্রুগণকে ধ্বংস করবার পরে, যে সমস্ত সাধুগণ পাপের ক্ষমা লাভ করেছে তাদেরকে তিনি তাঁর রাজ্যে বাস করার অনুগ্রহ প্রদান করবেন৷ ঈশ্বরের সমস্ত কাজ তাঁর মহত্ব ও সর্বময় ক্ষমতা প্রকাশ করে, যা মানুষের কল্পনার অতীত৷ ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের বিচার করার দ্বারা তাঁর দৃঢ়তা প্রকাশ করেন৷ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাপের জন্য তাঁর শত্রুদেরকে শাস্তি প্রদান করার ক্ষমতা কি তাঁর ছিল না? তিনি সকলের নিকট হতে তাঁর প্রশংসা গ্রহণ করবেন না৷
তবে ঈশ্বরের বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, তাদেরকে শাস্তি দিতে তাঁর যথেষ্ট ক্ষমতাও অধিক ক্ষমতা তাঁর রয়েছে, ঈশ্বর প্রভু তাঁর শত্রুগণের উপরে তাঁর বিচার আনয়ন করবেন এবং অনন্ত নরকের শাস্তির দোষে দোষী করবেন৷
আমাদের প্রভু ঈশ্বর প্রত্যেক জাতির প্রত্যেক লোকের দ্বারা অনন্তকালের ও অধিক প্রশংসিত হওয়ার যোগ্য৷ ঈশ্বর এভাবে তাঁর শত্রুগণের উপরে তাদের সমস্ত পাপের জন্য বিচার সম্পন্ন করবেন এবং তাঁর রাজ্য খুলে দেবেন৷ আমেন৷ আমরা ঈশ্বরের মহা পরাক্রম, প্রতাপ ও পবিত্রতার জন্য ধন্যবাদ করি৷ হাল্লিলুয়া!
The New Life Mission

зьміть участь у нашому опитуванні

Як ви дізналися про нас?