Search

Проповіді

বিষয় ১১: আবাস

[17-1] বহু জলের উপর বসে থাকা বেশ্যার বিচারদন্ড (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-১৮)

বহু জলের উপর বসে থাকা বেশ্যার বিচারদন্ড
<প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-১৮>
“পরে ঐ সপ্ত বাটি যাঁহাদের হস্তে ছিল, সেই সপ্ত দূতের মধ্যে এক জন আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, “বহু জলের উপরে বসিয়া আছে” যে ঐ মহাবেশ্যা, আমি তোমাকে তাহার বিচারসিদ্ধ দণ্ড দেখাই, “যাহার সহিত পৃথিবীর রাজগণ ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবী-নিবাসীরা যাহার বেশ্যাক্রিয়ার মদিরাতে মত্ত হইয়াছে”। পরে তিনি আত্মাতে আমাকে প্রান্তর মধ্যে লইয়া গেলেন; তাহাতে আমি এক নারীকে দেখিলাম, সে সিন্দূরবর্ণ পশুর উপরে বসিয়া আছে; সেই পশু ধর্ম্মনিন্দার নামে পরিপূর্ণ, এবং তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ। আর সেই নারী বেগুনিয়া ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা, এবং সুবর্ণে ও মূল্যবান্‌ মণিতে ও মুক্তায় মণ্ডিতা, এবং তাহার হস্তে সুবর্ণময় এক পানপাত্র আছে, ইহা ঘৃণার্হ দ্রব্যে ও তাহার বেশ্যাক্রিয়ার মালিন্যে পরিপূর্ণ। আর তাহার ললাটে এই নাম লিখিত আছে, এক নিগূঢ়তত্ত্ব; “ মহতী বাবিল, পৃথিবীর বেশ্যাগণের ও ঘৃণাস্পদ সকলের জননী৷” আর আমি দেখিলাম, সেই নারী পবিত্রগণের রক্তে ও যীশুর সাক্ষিগণের রক্তে মত্তা। তাহাকে দেখিয়া আমার অতিশয় আশ্চর্য্য বোধ হইল। আর সেই দূত আমাকে কহিলেন, তুমি আশ্চর্য্য জ্ঞান করিলে কেন? আমি ঐ নারীর ও উহার বাহনের অর্থাৎ যাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ, সেই পশুর নিগূঢ়তত্ত্ব তোমাকে জানাই। তুমি যে পশুকে দেখিলে, সে ছিল, কিন্তু নাই; সে অগাধলোক হইতে উঠিবে ও বিনাশে যাইবে। আর পৃথিবী-নিবাসী যত লোকের নাম জগতের পত্তনাবধি জীবন-পুস্তকে লিখিত হয় নাই, তাহারা যখন সেই পশুকে দেখিবে যে ছিল, এখন নাই, পরে হইবে, তখন আশ্চর্য্য জ্ঞান করিবে। এস্থলে জ্ঞানযুক্ত মন দেখা যায়। ঐ সপ্ত মস্তক সপ্ত পর্ব্বত, তাহাদের উপরে ঐ নারী বসিয়া আছে; এবং তাহারা সপ্ত রাজা; তাহাদের পাঁচ জন পতিত হইয়াছে, এক জন আছে, আর এক জন এ পর্য্যন্ত আইসে নাই; আসিলে তাহাকে অল্পকাল থাকিতে হইবে। আর যে পশু ছিল, এখন নাই, সে আপনি অষ্টম; সে সেই সাতটীর একটী, এবং সে বিনাশে যায়। আর তুমি যে দশ শৃঙ্গ দেখিলে, সে দশ রাজা; তাহারা এ পর্য্যন্ত রাজ্য প্রাপ্ত হয় নাই, কিন্তু এক ঘন্টার নিমিত্তে সেই পশুর সহিত রাজাদের ন্যায় কর্ত্তৃত্ব পাইবে। তাহারা একমনা, এবং আপনাদের পরাক্রম ও কর্ত্তৃত্ব সেই পশুকে দেয়। তাহারা মেষশাবকের সহিত যুদ্ধ করিবে, আর মেষশাবক তাহাদিগকে জয় করিবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁহারা তাঁহার সহবর্ত্তী, আহূত ও মনোনীত ও বিশ্বস্ত, তাঁহারাও জয় করিবেন। আর তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি যে জল দেখিলে, ঐ বেশ্যা যাহাতে বসিয়া আছে, সেই জল প্রজাবৃন্দ ও লোকারণ্য ও জাতিবৃন্দ ও ভাষাসমূহ। আর তুমি যে ঐ দশ শৃঙ্গ এবং পশুটা দেখিলে তাহারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করিবে, এবং তাহাকে অনাথা ও নগ্না করিবে, তাহার মাংস ভক্ষণ করিবে, এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দিবে। কেননা ঈশ্বর তাহাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়াছিলেন, যেন তাহারা তাঁহারই মানস পূর্ণ করে, এবং একমনা হয়; আর যে পর্য্যন্ত ঈশ্বরের বাক্য সকল সিদ্ধ না হয়, সেই পর্য্যন্ত আপন আপন রাজ্য সেই পশুকে দেয়। আর তুমি যে নারীকে দেখিলে, সে ঐ মহানগরী, যাহা পৃথিবীর রাজগণের উপরে রাজত্ব করিতেছে।”
 
 

টীকা

 
পদ ১: “পরে ঐ সপ্ত বাটি যাঁহাদের হস্তে ছিল, সেই সপ্ত দূতের মধ্যে এক জন আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, বহু জলের উপরে বসিয়া আছে যে ঐ মহাবেশ্যা, আমি তোমাকে তাহার বিচারসিদ্ধ দণ্ড দেখাই,”
১৭ অধ্যায় বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে হলে মূল অনুচ্ছেদের এই বেশ্যা, নারী এবং পশুটি কে, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন৷ ১ম পদের “বেশ্যা” বলতে যেখানে পৃথিবীর ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়েছে, সেখানে “নারী” বলতে পৃথিবীকে বোঝানো হয়েছে৷ অন্যদিকে “পশুটি” বলতে খ্রীষ্টারীকে বোঝানো হয়েছে৷ “বহুজল” বলতে এখানে শয়তানের শিক্ষাকে বোঝাচ্ছে৷ “বহু জলের উপরে বসিয়া আছে যে ঐ মহাবেশ্যা, আমি তোমাকে তাহার বিচারসিদ্ধ দণ্ড দেখাই,” বাক্যাংশটি আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর পৃথিবীর ধর্মগুলোর বিচার করবেন যা শয়তানের বহু শিক্ষার উপরে দন্ডায়মান৷
 
পদ ২: “যাহার সহিত পৃথিবীর রাজগণ ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবী-নিবাসীরা যাহার বেশ্যাক্রিয়ার মদিরাতে মত্ত হইয়াছে।”
“বেশ্যাক্রিয়া” বলতে এখানে ঈশ্বরের চেয়ে জগত এবং জগতের বিষয়সমূহের প্রতি আসক্তিকে বোঝানো হয়েছে৷ পৃথিবীর জিনিস দিয়ে প্রতিমা নির্মান করে ঈশ্বরের ন্যায় সেগুলোকে ভজনা করা বস্তুতঃ ব্যাভিচারের সমান৷
উপরোক্ত বাক্যাংশটির “ যাহার সহিত পৃথিবীর রাজগণ ব্যভিচার করিয়াছে,” অর্থ হল পৃথিবীর নেতাগণ পার্থিব ধর্মের মদিরা পান করে পৃথিবীতে জীবনযাপন করেছে এবং পার্থিব ধর্ম যে পাপ আনয়ন করে, সেই পাপের মদিরা পান করে পৃথিবীর লোকেরাও জীবনযাপন করছে৷
 
পদ ৩: “পরে তিনি আত্মাতে আমাকে প্রান্তর মধ্যে লইয়া গেলেন; তাহাতে আমি এক নারীকে দেখিলাম, সে সিন্দূরবর্ণ পশুর উপরে বসিয়া আছে; সেই পশু ধর্ম্মনিন্দার নামে পরিপূর্ণ, এবং তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ। ”
“এক নারীকে দেখিলাম, সে সিন্দূরবর্ণ পশুর উপরে বসিয়া আছে”, বাক্যাংশটি আমাদের বলে যে, সাধুগণকে নির্যাতন ও হত্যা করতে এই পৃথিবীর লোকেরা খ্রীষ্টারীর সঙ্গে তাদের হৃদয় একীভূত করবে৷ এটা আমাদেরকে দেখায় যে, শেষপর্যন্ত পার্থিব লোকেরা ঈশ্বরের শত্রুদের সেবকে পরিনত হবে, এবং খ্রীষ্টারীর আহ্বানে তার কার্যসমূহ করবে৷ পশুটিই হল খ্রীষ্টারী যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়৷ খ্রীষ্টারী বহু রাজার উপরে কর্ত্তৃত্ব করবে এবং পৃথিবীর বহু জাতির উপরেও রাজত্ব করবে৷ 
অনর্থক ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঈশ্বরনিন্দা এবং চরম দর্পের কথা বলতে খ্রীষ্টারী মোটেই দ্বিধান্বিত হবে না৷ চরম দর্পপুর্ণ কথা বলার দ্বারা সে ঈশ্বরের নিন্দা করবে, দাবি করবে যে, সে স্বয়ং ঈশ্বর বা যীশু এবং সে নিজেকে ঈশ্বরের ন্যায় উচ্চে উঠাবে৷ অতএব, তার ক্ষমতা পৃথিবীর সমস্ত রাজাগণ ও জাতিগণের উপরে পৌঁছাবে এবং রাজত্ব করবে৷
“তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ। ” বাক্যাংশটি হতে “সপ্ত মস্তক” বলতে এখানে পৃথিবীর সপ্ত রাজাকে বোঝানো হয়েছে এবং দশ শৃঙ্গ” বলতে এখানে পৃথিবীর দশ জাতিকে বোঝানো হয়েছে৷
 
পদ ৪: “আর সেই নারী বেগুনিয়া ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা, এবং সুবর্ণে ও মূল্যবান্‌ মণিতে ও মুক্তায় মণ্ডিতা, এবং তাহার হস্তে সুবর্ণময় এক পানপাত্র আছে, ইহা ঘৃণার্হ দ্রব্যে ও তাহার বেশ্যাক্রিয়ার মালিন্যে পরিপূর্ণ।”
“আর সেই নারী বেগুনিয়া ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা, এবং সুবর্ণে ও মূল্যবান্‌ মণিতে ও মুক্তায় মণ্ডিতা” বাক্যাংশটি দ্বারা অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, পার্থিব ধর্মগুলি খ্রীষ্টারীর যোগসাজশে তাকে তাদের রাজারূপে ভাববে৷ এইরূপে, তারা কেবল এটা যথার্থভাবে বিচার করবে যে, যারা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তারা মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত হবে এবং বস্তুতঃ তারা সাধুগণের বিরুদ্ধে তাদের কার্যের মধ্যে দিয়ে তারা তাদের চিন্তাভাবনাগুলো কার্যে পরিণত করবে৷
আর অনন্ত সুখের রাজ্য হিসাবে সজ্জিত করতে তারা এই পৃথিবীকে পার্থিব স্বর্ণে, মূল্যবান মণিতে ও মুক্তায় মন্ডিত করবে৷ কিন্তু এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করা অবস্থায় তারা কত বেশি তাদের মাংসিক সুখাভিলাষ পূর্ণ করতে পারে, তাদের বিশ্বাস কেবল সেই বিষয়ের নিমিত্ত অতিশয় অনুরাগী হবে৷ কেননা ঈশ্বর যখন এই পৃথিবীর লোকেদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন, তখন তিনি পাপ মালিন্যে পূর্ণ একটি পৃথিবীকে দেখতে পাবেন, সে সমস্ত সকলই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ঘৃণার্হ দ্রব্যরূপে আবির্ভূত হবে৷
 
পদ ৫: “আর তাহার ললাটে এই নাম লিখিত আছে, এক নিগূঢ়তত্ত্ব; মহতী বাবিল, পৃথিবীর বেশ্যাগণের ও ঘৃণাস্পদ সকলের জননী৷ ”
যদিও পৃথিবীর ধর্মাবলম্বী লোকেরা নিজেদেরকে রানীর ন্যায় বিভুষিতা করতে চাইবে, বস্তুতঃ তারা বেশ্যারূপে প্রকাশিত হবে৷ অন্যদিকে “মহতী বাবিল” নাম দ্বারা তার বেশ্যাবৃত্তি, ও অহংকারী চরিত্র প্রকাশ করে; আবার অপর দিকে, “জননী” বলতে বোঝায় যে, ইতিহাসে খ্রীষ্টারীর সমস্ত ক্ষমতার উত্স এই জগৎ ছাড়া আর কিছু নয়, জগতই সমস্ত প্রকার পৌত্তলিকতা ও অপরাধের সূতিকাগার৷
এই পৃথিবী সুন্দর ও চাকচিক্যময় অলংকারে বিভুষিতা হলেও, খ্রীষ্টারী ঈশ্বরের বিপক্ষ এবং জগত প্রসুতি হিসাবে লোকেদের হৃদয়ে কাজ করবে৷ তাই আমাদের প্রভু তাঁর সপ্তবাটির মহামারীর দ্বারা তাদের সমস্ত কিছু বিনষ্ট করার সংকল্প করেছেন৷ 
 
পদ ৬: “আর আমি দেখিলাম, সেই নারী পবিত্রগণের রক্তে ও যীশুর সাক্ষিগণের রক্তে মত্তা। তাহাকে দেখিয়া আমার অতিশয় আশ্চর্য্য বোধ হইল।”
“সাধুগণ” বলতে সমগ্র মন্ডলীর বিবরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বাসের লোকদেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছিল৷ “যীশুর সাক্ষিগণের” বাক্যাংশটি সাধুগণের মধ্যে তাদেরকে নির্দেশ করে যারা সত্য সাক্ষ্য দিয়েছে যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র ও তাদের ত্রাণকর্তা এবং যারা তাদের এই বিশ্বাস রক্ষা করতে গিয়ে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করেছে৷
এই পদ একটি বিষয়ে জোর দিয়েছে, আর তা হল, সাধুগণকে যারা নির্যাতন ও হত্যা করবে, তারা এই পৃথিবীর ধর্মাবলম্বী লোক ভিন্ন অন্য কেউ নয়৷ খ্রীষ্টারীর বাহিনীগণের অগ্রদূত হিসাবে তারা এই সমস্ত মন্দতা করবে৷
যোহন এখানে বলেন যে, যখন তিনি সেই নারীকে দেখেছিলেন তখন তিনি “অতিশয় আশ্চর্য্য বোধ” করলেন৷ এই পৃথিবী একটা অদ্ভুত পৃথিবী৷ এখানে সাধুগণের ক্ষতিকারক কিছুই নেই, তথাপি খ্রীষ্টারীর সাথে এই পৃথিবী যোগসাজশ করবে এবং সাধুগণকে হত্যা করবে৷ এই পৃথিবী কিছুই নয় কিন্তু কিভাবে এটা অদ্ভুত হতে পারে? পৃথিবীর লোকদের দ্বারা এই সমস্ত জিনিস নিশ্চিতভাবে ধার্মিকগণের প্রতি আনীত হবে৷ কেননা এই পৃথিবীর লোকেরা খ্রীষ্টারীর সেবকরূপে তার নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে এবং সাধুগণকে বন্দী করবে ও তাদেরকে হত্যা করবে৷ 
অতএব, তারা বাস্তবিকভাবে আমাদের কাছে অপরিচিত হিসাবে আবির্ভূত হবে৷ যখন আমরা পার্থিব লোকদের দিকে তাকাই, বস্তুতঃ তারা কি আমাদের কাছে অদ্ভুত কোনো কিছুরূপে দৃষ্টিগোচর হয় না? মানুষ যখন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে নির্মিত, তখন তারা কিভাবে খ্রীষ্টারীর সেবক হতে পারে এবং লোকদেরকে হত্যা করতে পারে;- কেবল যে কোনো লোককেই নয়; বরং অগনিত লোক যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদেরকে তারা কিভাবে হত্যা করতে পারে? এর কারণ হল এই পৃথিবী শয়তানের সেবক৷
 
পদ ৭: “আর সেই দূত আমাকে কহিলেন, তুমি আশ্চর্য্য জ্ঞান করিলে কেন? আমি ঐ নারীর ও উহার বাহনের অর্থাৎ যাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ, সেই পশুর নিগূঢ়তত্ত্ব তোমাকে জানাই।”
এখানে “নারী” বলতে এই পৃথিবীর লোকদেরকে বোঝানো হয়েছে৷ এই পদ আমাদেরকে বলে যে, খ্রীষ্টারী নামের পশুটি এই পৃথিবীর সমস্ত রাজা এবং জাতিগণের উপরে রাজত্ব করবে, তাদের মধ্যে দিয়ে সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কাজ এবং সাধুগণকে নির্যাতনের কাজ এবং তাদেরকে হত্যা করার কাজ করবে৷ “পশুর নিগূঢ়তত্ত্ব” বলতে খ্রীষ্টারীর স্বরূপকে বোঝানো হয়, যে শয়তানের নির্দেশে চলাচল করে৷ আর যে পৃথিবীর জাতিগণকে নিজের জাতিতে পরিণত করবে৷
এই পৃথিবীর লোকেরা খ্রীষ্টারীর সাথে দলবদ্ধ হয়ে শয়তানের কাজের উপকরণ হিসাবে তারা প্রচুর সংখ্যায় প্রভুর লোকদেরকে হত্যা করবে৷ এই পৃথিবী এবং শয়তানের উপকরণগুলি বর্তমানে আমাদের দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছে৷ কিন্তু মহাক্লেশের প্রথম সাড়ে তিন বছর যখন গত হবে, তখন তারা জেগে উঠবে এবং সাধুগণকে হত্যা করবে৷ এই পৃথিবীতে যখন বহু বুদ্ধিমান, বিজ্ঞ, তীক্ষ্ণ চটপটে লোক, রাজনীতিবিদ থেকে শিক্ষিত, দার্শনিক এবং অনেক পি এইচ ডি রয়েছে, তখন কেউ হয়তো আশ্চর্য্য হবে যে, এটা কিভাবে সম্ভব হবে৷ যেহেতু পৃথিবী খ্রীষ্টারীর সাথে একযোগে কাজ করবে, তখন সাধুগণকে নির্বিচারে হত্যা করার সাথে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত বিষয়সমূহ সবই সম্ভব হবে৷ আর এইরূপে এই পৃথিবী খ্রীষ্টারীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং খ্রীষ্টারীর নিগূঢ়তত্ত্ব সমাধানের চাবিকাঠিই হবে সাধুগণকে হত্যা করা৷ 
 
পদ ৮: “তুমি যে পশুকে দেখিলে, সে ছিল, কিন্তু নাই; সে অগাধলোক হইতে উঠিবে ও বিনাশে যাইবে। আর পৃথিবী-নিবাসী যত লোকের নাম জগতের পত্তনাবধি জীবন-পুস্তকে লিখিত হয় নাই, তাহারা যখন সেই পশুকে দেখিবে যে ছিল, এখন নাই, পরে হইবে, তখন আশ্চর্য্য জ্ঞান করিবে।”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, পুরাতন যুগের রাজগণের মধ্যে খ্রীষ্টারীকে পাওয়া গিয়েছিল, এবং যদিও সে বর্তমানে এই পৃথিবীতে নেই, ভবিষ্যতে সে এই পৃথিবীতে প্রকাশিত হবে৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, যখন এই পৃথিবীর লোকেরা খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব এবং সাধুগণের হত্যা দেখবে, তখন তারা মারাত্মকভাবে বিস্মিত হবে৷ 
এই পৃথিবীতে নতুন রাজনীতিতে অংশগ্রহণের দ্বারা খ্রীষ্টারী তার উদ্দেশ্য হাসিল করবে৷ সে পৃথিবীর লোকদের কাছে ক্রমাগতভাবে রহস্যপূর্ণ হবে, তথাপি সে আশ্চর্য্যভাবে লোকদের মনের মধ্যমণিস্বরূপ ব্যক্তিতে পরিণত হবে৷ কেননা, সে পৃথিবীর অনেক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, অধিবিদ্যা সংক্রান্ত এবং ধর্মীয় সমস্যাগুলো নিজের ক্ষমতায় সমাধান করবে, অনেক লোক তার বিষয়ে চিন্তা করবে এবং তাকে যীশু খ্রীষ্ট, যিনি শেষ সময়ে আসবেন, তাঁর ন্যায় অনুসরণ করবে৷ অতএব, সে পৃথিবীর মানুষের চোখের সামনে আশ্চর্য্যক্রিয়া সাধনকারী রূপে বাস করবে৷
 
পদ ৯: “এস্থলে জ্ঞানযুক্ত মন দেখা যায়। ঐ সপ্ত মস্তক সপ্ত পর্ব্বত, তাহাদের উপরে ঐ নারী বসিয়া আছে;”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, খ্রীষ্টারী এই পৃথিবীর লোকেদের উপরে তার শাসনকার্য পরিচালিত করতে নিজস্ব আইন প্রবর্তন করবে এবং তার উদ্দেশ্য সাধন করতে এই সমস্ত আইন সে নিজের প্রশাসনিক অবকাঠামোতে পরিণত করবে৷ খ্রীষ্টারীর ছাব গ্রহণের দ্বারা পৃথিবীর লোকেরা শয়তানের শাসনের অধীনে একত্রিত হতে এবং ঈশ্বর ও তাঁর সাধুগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক প্রণীত আইনের ক্ষমতায় বিশ্বাস স্থাপন করতে তারা একত্রে একীভূত হবে৷ 
 
পদ ১০: “এবং তাহারা সপ্ত রাজা; তাহাদের পাঁচ জন পতিত হইয়াছে, এক জন আছে, আর এক জন এ পর্য্যন্ত আইসে নাই; আসিলে তাহাকে অল্পকাল থাকিতে হইবে।”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, ঠিক পূর্বে যেমন রাজাদের উত্থান হত, ঠিক তেমনিভাবে এই পৃথিবীতে একজন রাজা প্রকাশিত হবে, যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে৷ যখন চূড়ান্ত মহাক্লেশের সময় আসবে, তখন এই পৃথিবীর একজন নেতা খ্রীষ্টারীরূপে আবির্ভূত হবে এবং সাধুগণকে নির্বিচারে হত্যা করবে৷ কিন্তু এই পৃথিবীর যে নেতা খ্রীষ্টারী হবে তার নির্যাতন ঈশ্বর কর্ত্তৃক কেবল ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী হবে৷
 
পদ ১১: “আর যে পশু ছিল, এখন নাই, সে আপনি অষ্টম; সে সেই সাতটীর একটী, এবং সে বিনাশে যায়।”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, খ্রীষ্টারীর এই পৃথিবীতে আসা হবে এই পৃথিবীর শেষ রাজা হিসাবে আবির্ভূত হওয়া৷ যখন পৃথিবীর রাজাদের থেকে খ্রীষ্টারীর উত্থান হবে সে যেভাবে নাগের আত্মা লাভ করবে, ঈশ্বরের ন্যায় আশ্চর্য্য কাজ এবং চিহ্ন প্রদর্শণ করবে, তাতে পৃথিবীর বহু লোক খ্রীষ্টারীকে অনুসরণ করবে৷ ঈশ্বরের সেবকগণ এবং সাধুগণও খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক হত হবে, কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা ঈশ্বরের অনুমোদনক্রমে কেবল ক্ষণকালের নিমিত্ত স্থায়ী হবে৷ এই সমস্ত বিষয় গত হওয়ার পরে খ্রীষ্টারী অগাধ লোকের কূপে যেতে বাধ্য হবে এবং তারপরে অগ্নিময় নরকে নিক্ষিপ্ত হবে, সে আর কখনও এটা থেকে মুক্ত হবে না৷
 
পদ ১২: “আর তুমি যে দশ শৃঙ্গ দেখিলে, সে দশ রাজা; তাহারা এ পর্য্যন্ত রাজ্য প্রাপ্ত হয় নাই, কিন্তু এক ঘন্টার নিমিত্তে সেই পশুর সহিত রাজাদের ন্যায় কর্ত্তৃত্ব পাইবে।”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, সমগ্র পৃথিবীর উপরে শাসনকার্য পরিচালনা করতে দশ জাতি তাদের ক্ষমতা একীভূত করবে৷ এই দশ জাতি খ্রীষ্টারীর সঙ্গে সমগ্র পৃথিবীতে তাদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে অল্প সময়ের জন্য এইরূপে একত্রিত হবে৷ কিন্তু বাক্য আমাদেরকে এটাও বলে যে, এই পৃথিবীর রাজারা খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক শাসিত রাজ্য এখনও লাভ করে নি৷ যাহোক, অদূর ভবিষ্যতে কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর এই রাজাগণ পশুটির সাথে অন্ধকারের রাজার ন্যায় রাজত্ব করবে৷ কিন্তু তাদের রাজত্ব কেবল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য স্থায়ী হবে এবং এইরূপে, তারা কেবল ক্ষণকালের নিমিত্ত অন্ধকারের রাজ্যে রাজত্ব করবে৷
 
পদ ১৩: “তাহারা একমনা, এবং আপনাদের পরাক্রম ও কর্ত্তৃত্ব সেই পশুকে দেয়।”
যখন সময় আসবে, তখন এই পৃথিবীর রাজগণ তাদের সমস্ত পরাক্রম এবং ক্ষমতা খ্রীষ্টারীর কাছে সমর্পণ করবে৷ এই সময়ে ঈশ্বরের মন্ডলী, তার সাধুগণ খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক মহাযাতনাগ্রস্থ হবে এবং সাক্ষ্যমর হবে৷ কিন্তু খ্রীষ্টের পরাক্রম, ক্ষমতা এবং তাঁর মুখের বাক্যের খড়গ দ্বারা খ্রীষ্টারী নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে৷
 
পদ ১৪: “তাহারা মেষশাবকের সহিত যুদ্ধ করিবে, আর মেষশাবক তাহাদিগকে জয় করিবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁহারা তাঁহার সহবর্ত্তী, আহূত ও মনোনীত ও বিশ্বস্ত, তাঁহারাও জয় করিবেন।”
যদিও শয়তান যীশু খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজন করবে, তথাপি সে তার সম প্রতিদন্ধী হতে পারবে না৷ সাধুগণও শয়তানের বিপক্ষে যুদ্ধে তাকে জয় করবে৷ প্রভু খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাদেরকে শক্তি প্রদান করবেন এবং বিশ্বাসের দ্বারা তারা খ্রীষ্টারীকে জয় করবে৷ এইরূপে, সাধুগণ খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামে ভয় করবে না, কিন্তু প্রভুতে তাদের বিশ্বাসের দ্বারা শেষ সময়ে তারা শান্তিতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করবে৷ তারা প্রভুতে তাদের বিশ্বাসের দ্বারা তাদের শত্রুদের জয় করবে৷
সাধুগণের এই বিজয়ের অর্থ হল যে, তারা তাদের বিশ্বাস রক্ষা করবে এবং সাক্ষ্যমর হবে৷ যখন সময় আসবে, তখন সাধুগণ যীশু খ্রীষ্টতে তাদের বিশ্বাসের কারণে স্বর্গরাজ্যে তাদের প্রত্যাশা সহ সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা দ্বারা শয়তান ও খ্রীষ্টারীকে জয় করবে, তাদের পুনরুত্থান ও রূপান্তরে অংশগ্রহণ করবে, খ্রীষ্টের নুতন রাজ্য লাভ করবে এবং তারপরে অনন্তকাল গৌরবে জীবনযাপন করবে৷
 
পদ ১৫: “আর তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি যে জল দেখিলে, ঐ বেশ্যা যাহাতে বসিয়া আছে, সেই জল প্রজাবৃন্দ ও লোকারণ্য ও জাতিবৃন্দ ও ভাষাসমূহ।”
পার্থিব ধর্মগুলোর শয়তানের শিক্ষা দ্বারা লোকবৃন্দ ও জাতিগণের উপরে শাসন কার্য পরিচালনা করবে এবং তাদেরকে প্রতারিত করবে৷ এই বাক্য আমাদেরকে বলে যে, পার্থিব ধর্মগুলোর মধ্যে শয়তানের শিক্ষার কাজ চলছে এবং এটা সমস্ত জাতি ও ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে, আর এর প্রভাব এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা লোকবৃন্দের আত্মাসমূহের ধ্বংস আনয়নের সামিল৷ 
 
পদ ১৬: “আর তুমি যে ঐ দশ শৃঙ্গ এবং পশুটা দেখিলে তাহারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করিবে, এবং তাহাকে অনাথা ও নগ্না করিবে, তাহার মাংস ভক্ষণ করিবে, এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দিবে।”
বাক্যটি আমাদেরকে বলে যে, এই পৃথিবীর ধার্মিক লোকদেরকে হত্যা ও ধ্বংস করতে জাতিগণ এবং খ্রীষ্টারী একত্রে কাজ করবে৷ অন্যকথায়, এটা আমাদেরকে বলে যে, এই পৃথিবীর লোকেরা এবং খ্রীষ্টারী ধার্মিকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং তাদেরকে ঘৃনা করবে, আর এই পৃথিবী থেকে সমস্ত ধর্মকে উন্মুলিত করবে৷ যদিও পার্থিব ধর্মাবলম্বী লোকেরা খ্রীষ্টারীর সহযোগিতায় সাধুগণকে হত্যা করেছিল, শয়তান এবং সেই যুগের লোকেদের দ্বারা এখন তারা নিজেরাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে৷ শেষ সময়ে শয়তান পার্থিব ধর্মগুলোকে কেবল নিজেকে ঈশ্বরের তুল্য করতে ব্যবহার করবে৷
 
পদ ১৭: “কেননা ঈশ্বর তাহাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়াছিলেন, যেন তাহারা তাঁহারই মানস পূর্ণ করে, এবং একমনা হয়; আর যে পর্য্যন্ত ঈশ্বরের বাক্য সকল সিদ্ধ না হয়, সেই পর্য্যন্ত আপন আপন রাজ্য সেই পশুকে দেয়। ”
এটা আমাদেরকে বলে যে, এই পৃথিবীর লোকেরা তাদের রাজ্য ও ক্ষমতা শয়তানকে প্রদান করবে৷ এইরূপে, স্বেচ্ছায় খ্রীষ্টারীর ছাব ধারণ করে তারা খ্রীষ্টারীর লোকে পরিণত হবে, তার সেবক হতে পেরে তারা গর্বিত হবে, আর যারা তার চাব ধারণ করতে চাইবে না, তারা তাদেরকে হত্যা করবে৷ যাহোক, ঈশ্বরের বাক্য যেমনি অনুমোদিত সময়ের জন্য হবে৷ এই অনুমোদিত সময়কালে, খ্রীষ্টারী তার হৃদয়ের সমস্ত মন্দতা ঢেলে দেবে এবং স্বাধীনভাবে ঈশ্বর ও তাঁর সাধুগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে৷
 
পদ ১৮: “আর তুমি যে নারীকে দেখিলে, সে ঐ মহানগরী, যাহা পৃথিবীর রাজগণের উপরে রাজত্ব করিতেছে।”
এখানে ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, এই পৃথিবীর রাজগণের উপর নিয়ন্ত্রণ ও শাসনের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণীত হবে এবং পৃথিবীর রাজগণ এই নতুন নীতিমালার বাধ্যবাধকতায় নিয়ন্ত্রিত হবে৷ একজন মহাক্ষমতাধর ব্যক্তি এই পৃথিবীর সমস্ত রাজগণের উপর কর্ত্তৃত্ব করবে৷ অন্যকথায়, এই পৃথিবী একটি ব্যবস্থা তৈরী করবে যা, সমস্ত রাজগণকে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করবে এবং ঈশ্বরের ন্যায় তাদেরকে শাসন করবে৷
“মহানগরী” বলতে যে রাজনৈতিক আইনের ভিত্তির মধ্যে দিয়ে খ্রীষ্টারী রাজত্ব করবে সেটাকে বোঝায়৷ শেষ পর্যন্ত এই জগতের প্রত্যেকে জগত শাসনের এই সত্ত্বাকে সেবা করবে, কেননা ঈশ্বরই তাদেরকে এই প্রবৃত্তি দেবেন, তারা মনে করবে যেন স্বয়ং ঈশ্বরই এই সত্ত্বা, আর এর দ্বারা তারা শাসিত হবে৷ যেহেতু, লোকবৃন্দ শয়তানের সেবক হয়েছে, তাই এভাবেই ধ্বংস হবে৷ 
গীতসংহিতা ৪৯: ২০ পদ আমাদেরকে বলে, “ যে মনুষ্য ঐশ্বর্য্যশালী অথচ অবোধ, সে নশ্বর পশুদিগের সদৃশ৷” এইরূপে এই পৃথিবীর লোকবৃন্দকে অবশ্যই শয়তানের পরিচালনা সম্পর্কে পূর্বেই জানতে হবে, এই যুগের সাধুগণ কর্ত্তৃক প্রচারিত জল ও আত্মার সুসমাচার এখনই বিশ্বাস করুন এবং শয়তানের সেবক হওয়ার অভিশাপ থেকে দুরে থাকুন, আর তার পরিবর্তে ঈশ্বরের প্রজা হিসাবে অনন্ত স্বর্গরাজ্যের আশীর্বাদে আবৃত হয়ে জীবনযাপন করুন৷
The New Life Mission

зьміть участь у нашому опитуванні

Як ви дізналися про нас?