< প্রকাশিত বাক্য ১৯:১-২১ >
পূর্বের অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, কিভাবে ঈশ্বর এই পৃথিবীতে তাঁর ভয়ঙ্কর মহামারী আনয়ন করবেন৷ এই অধ্যায়ে আমরা দেখতে পাই যে, খ্রীষ্ট এবং তাঁর গৌরাবন্বিত সৈনিক, খ্রীষ্টারীর সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং জয়লাভ করেছে, সেই পশু এবং তার দাসগণকে অগ্নিহ্রদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে, প্রভুর মুখ নির্গত বাক্যের তরবারি দ্বারা খ্রীষ্টারীর অবশিষ্ট সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং এইভাবে শয়তানের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ সমাপ্ত করেছে৷
এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তুকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে; ১) এই পৃথিবীতে মহাক্লেশের বিচার আনয়নের নিমিত্ত রুপান্তরিত সাধুগণের ঈশ্বরের প্রশংসা ২) মেষশাবকের বিবাহভোজের আগমনের নিমিত্ত ঘোষণা; এবং ৩) সৈন্যসহ খ্রীষ্টের স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ৷
ঈশ্বর প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি অবশ্যই এবং শীঘ্রই সমস্ত কিছু পূর্ণ করবেন, এবং আমাদেরকে অবশ্যই তা বুঝতে হবে৷
ঈশ্বরের বিচার
যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা বিশ্বাসে ঈশ্বরের সন্তান হয়েছে, জগতের সমস্ত পাপ থেকে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য তারা তাঁর প্রশংসা করবে৷ চলুন ৩-৫ পদের দিকে লক্ষ্য করি, “পরে তাহারা দ্বিতীয় বার কহিল, হাল্লিলূয়া; আর যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে সেই বেশ্যার ধূম উঠিতেছে। পরে সেই চব্বিশ জন প্রাচীন ও চারি প্রাণী প্রণিপাত করিয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের ভজনা করিলেন, কহিলেন, আমেন; হাল্লিলূয়া। পরে সেই সিংহাসন হইতে এই বাণী নির্গত হইল, হে ঈশ্বরের দাসগণ, তোমরা যাহারা তাঁহাকে ভয় কর, তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান্ সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান কর।”
ইব্রীয় ৯: ২৭ পদ আমাদেরকে বলে, “আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত এক বার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরূপিত আছে,”৷ মানুষ একবার ঈশ্বরের সম্মুখে বিচারিত হবে, আর এই বিচারই চূড়ান্ত এবং তা কখনও উল্টাবে না৷ অন্যকথায়, তাঁর এই এক বারের বিচারেই ঈশ্বর প্রত্যেকের পাপের বিচার করবেন, এবং পাপীদেরকে অনন্ত আগুনে নিক্ষেপ করবেন৷ এই জন্যই বাইবেল বলে, “আর যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে সেই বেশ্যার ধূম উঠিতেছে।”
কিছু লোক চিন্তা করে এবং বলে যে, “একদা আপনি মৃত্যুবরণ করবেন, এটাই শেষ৷” কিন্তু এটা মানুষের নিজস্ব চিন্তাচেতনা, ঈশ্বরের নয়৷ কেননা প্রত্যেকেরই একটি দেহ ও একটি মন আছে, মানুষ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করুক বা না-ই করুক, তারা প্রকৃতই জানে যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে, এবং আগে হোক কি পরে হোক, তারা সকলেই তাদের পাপের নিমিত্ত তাঁর সাক্ষাতে বিচারিত হবে৷
যেহেতু মনুষ্যের জন্য একটি আত্মিক রাজ্য আছে, তারা জানে যে অদৃশ্য হলেও ঈশ্বর রয়েছেন৷ যে রাজ্য চোখে দেখা যায় তা চিরস্থায়ী নয়, কিন্তু সত্যের এক রাজ্য আছে তা আমরা মাংসময় চোখে দেখতে পাই না৷ পৃথিবীতে জীবিত অবস্থায় বস্তুগত উন্নতি, অর্থাৎ, অর্থ ও জাগতিক লোভ-লালসার প্রতি ধাবিত হওয়া মানুষের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, জল ও আত্মার সুসমাচার জানার মাধ্যমে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে জানার দ্বারা আশীর্বাদের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করা৷
ঈশ্বর আমাদের যা বলেছেন তা শুধু আমাদের জানলেই হবে না, বরং এতে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে৷ আমরা অবশ্যই শুধুমাত্র আমাদের চিন্তাচেতনায় বিশ্বাস ও নির্ভরতার দ্বারা নরকে যাব না৷ আমাদের পাপের জন্য অনন্ত শাস্তি ভোগ করার পূর্বে, আমরা অবশ্যই বিশ্বাসে আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা এবং অনন্তজীবন গ্রহণ করব, যদি এই পৃথিবীতে এখন যীশুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচার দেওয়া হয়েছে৷
প্রত্যকের জন্য এই পৃথিবীর জীবন খুবই ক্ষনস্থায়ী৷ যেভাবে সূর্য প্রতিদিন উদিত হয় এবং অস্ত যায়, আমাদের জীবনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমনও দ্রুত ফলহীন ও অর্থহীন ভাবে সমাপ্ত হয়, যেন মনে হয় কাঠবেড়ালির মত একঘেয়েভাবে আমরা চলেছি৷ এমনকি আপনাকে যদি ১০০ বছর বাঁচতে হয় তবু, আপনি বলতে পারবেন না যে, আপনি ততদিন বেঁচে থাকবেন৷
আপনি যখন আপনার দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজগুলোর সময় বিয়োগ করেন, অর্থাৎ ঘুম, খাওয়া, শৌচাগারের কাজ এবং অন্যান্য গতানুগতিক কাজের সময় গুলোও আপনার দৈনন্দিন জীবন থেকে বিয়োগ করেন, তাহলে খুব অল্প সময়ই অবশিষ্ট থাকে৷ যখন আপনি আপনার জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত অতীত জীবনের দিকে তাকাবেন, এযাবৎ আপনি যা দেখে এসেছেন, যত জনের সাথে আপনার সাক্ষাত হয়েছে, এই একটা পর্যায়ে এসে আপনার সব মনে পড়বে, আপনার চুলে পাক ধরবে, হটাৎ আপনি আবিস্কার করবেন যে আপনি শেষ পর্যায়ে উপনীত৷
আমাদের বিশ্বাসীদের জীবন কেন মূল্যহীন নয়, তার একমাত্র কারণ হল আমাদের জীবনে আমরা প্রভুর দেখা পেয়েছি, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি৷ কতটা ভাগ্যবান ও কৃতজ্ঞ আমরা! প্রভু যদি জল ও আত্মার মাধ্যমে না আসতেন, তবে আমাদের সকলকে অনন্ত আগুনে যাতনা ভোগ করতে হত৷
যখনই আমি এই সকল বিষয়ে চিন্তা করি, এগুলো আমাকে আতঙ্কিত করে, এবং আমি আরো বেশি প্রভুর বিষয়ে চিন্তা করতে থাকি৷ নরক, শয়তানের জন্য যার অস্তিত্ব এসেছে, তা খুবই ভয়ানক স্থান, যেখানে যাতনা খুবই মারাত্মক যে, যেখানে কেউ মরতে চাইলেও, মরতে পারবে না৷ এটা এমনই জায়গা যেখানে অগ্নি ও গন্ধক জ্বলতে থাকে৷
যীশু প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার সঠিকভাবে জানতে এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে, তাকে অবশ্যই প্রভুর সেই দাসের সাথে যুক্ত হতে হবে, যিনি এই জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে রয়েছেন এবং যিনি নুতন জন্ম প্রাপ্ত হয়েছেন৷ খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে জীবনযাপন করে, যে কেউ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা নুতন জন্ম গ্রহণ করে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায়, এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে চায়, তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা সমস্ত কিছুর সমাধান করতে পারে৷
বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, তাদেরকে উপহার স্বরূপ ঈশ্বরের আত্মা দত্ত হয়েছে (প্রেরিত ২:৩৮)৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমা হওয়ার দ্বারা, যাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা রয়েছে, বলা যেতে পারে যে যীশুতে তাদের প্রকৃত বিশ্বাস রয়েছে, এবং একমাত্র তারাই এই বিশ্বাসের দ্বারা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারে (যোহন ৩:৫)৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা পাপের ক্ষমা লাভ করলেই স্থির করা যায় যে, সে আশীর্বাদ প্রাপ্ত না অভিশপ্ত৷
উজ্বল ও শুচী মসীনা বস্ত্র পরিহিত
যারা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত, এবং যারা তাদের বর্তমান সমস্যা পাপের ক্ষমা পেতে চায়, তারাই সেই লোক যারা জ্ঞানী ও আশীর্বাদ প্রাপ্ত৷ হতে পারে কেউ সম্পূর্ণ ক্ষনস্থায়ী পরীক্ষিত জীবনযাপন করছে, কিন্তু যদি তিনি (নারী/পুরুষ)জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন, এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেন, এবং পবিত্র আত্মা তার হৃদয়ে থাকেন, তাহলে সকলের মধ্যে এই ব্যক্তি উন্নত জীবনে বাস করছে৷
প্রকাশিত বাক্য ১৯: ৪-৫ পদ বলে, “পরে সেই চব্বিশ জন প্রাচীন ও চারি প্রাণী প্রণিপাত করিয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের ভজনা করিলেন, কহিলেন, আমেন; হাল্লিলূয়া। পরে সেই সিংহাসন হইতে এই বাণী নির্গত হইল, হে ঈশ্বরের দাসগণ, তোমরা যাহারা তাঁহাকে ভয় কর, তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান্ সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান কর।”
এখানে "তাঁহাকে ভয় কর`` এই অংশের অর্থ হল যীশু খ্রীষ্টের বাক্য হৃদয়ে গ্রহণ করা এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে বাস করা৷ একমাত্র যাদেরকে তাদের পাপের ক্ষমা দেওয়া হয়েছে, তারাই স্বর্গরাজ্য দেখতে পারে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারে৷ কিন্তু যারা তাদের পাপের ক্ষমা পায় নি, তারা ঈশ্বরের অভিশপ্ত এবং জলন্ত নরকের কষ্ট ভোগ করবে৷
চলুন একইভাবে ৬-৯ পদ দেখি, “পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জ্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্ব্বশক্তিমান্, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন। আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল। আর ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে, কারণ সেই মসীনা-বস্ত্র পবিত্রগণের ধর্ম্মাচরণ। পরে তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি লিখ, ধন্য তাহারা, যাহারা মেষশাবকের বিবাহভোজে নিমন্ত্রিত। আবার তিনি আমাকে কহিলেন, এ সকল ঈশ্বরের সত্য বাক্য।”
এখানে বলা হচ্ছে যে, প্রেরিত যোহন প্রশংসার ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন, এই ধ্বনি ছিল, বৃহৎ লোকারন্যের রবের মত, বহুজলের কল্লোলের মত এবং প্রবল মেঘগর্জনের ন্যায়৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে পাপের ক্ষমা পেয়েছে, এই রব তাদের সকলের একত্রিত প্রশংসার রব৷ প্রথমতঃ এই প্রশংসার গীত হল, সেই প্রশংসা, সাধুগণ যে ঈশ্বরের রাজ্যে আসতে পেরেছেন এবং তাঁর গৌরবে প্রকাশ করতে পেরেছেন সেই প্রশংসার গীত৷ এই জন্য তারা সুখে এবং আনন্দে অবিভূত, তাই তারা চিত্কার করে তাঁর প্রশংসা না করে পারছে না, “আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি”৷
দ্বিতীয়ত, সাধুগণ অবিরত তাদের প্রশংসা করতে থাকবে: “কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল। আর ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে, কারণ সেই মসীনা-বস্ত্র পবিত্রগণের ধর্ম্মাচরণ।” এর অর্থ কি? এর অর্থ হল, তিনি মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যীশু পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তাঁকে বিশ্বাস এবং নুতন জন্ম গ্রহণের দ্বারা, যারা পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করবে, তিনি তাদেরকে বিবাহ করবেন, এবং তাদের সাথে অনন্তকাল বাস করবেন৷
বিবাহ হল, বর এবং তার কনের মিলন৷ অন্যকথায়, যখন যীশু এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তখন তিনি কেবল তাদেরকে গ্রহণ করবেন ও তাদের সাথে বাস করবেন, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে নুতন জন্ম লাভ করেছে৷ আর এর অর্থ হচ্ছে, তিনি তাঁর সাধুদের সাথে যুগপর্যায়ে যুগে যুগে বাস করার জন্য, সহস্রাব্দের রাজ্য, নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী তৈরী করবেন৷ বরের সাথে কনের গৌরবময় বসবাস এত মহৎ, যা বর্ণনাতীত৷ এটা চিন্তা করলেও আমাদের হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়৷
এই পৃথিবীতে যখন খ্রীষ্টের রাজ্য নেমে আসবে, তাঁর ভার্য্যাগণ এতই আনন্দিত হবে, যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না৷ উত্তম মেষপালকের দ্বারা যখন তারা পরিচালিত হবে, তখন তারা কত খুশি হবে? কেননা, যীশু খ্রীষ্ট, প্রকৃত গুণসম্পন্ন বর, কাজেই তাঁর রাজ্য প্রকৃত গুণসম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ হবে৷ তিনিই স্বর্গরাজ্যের উপর রাজত্ব করবেন৷
কেবল একটি মাত্র সুসমাচার, যা আপনাকে স্বর্গের নিমিত্ত যোগ্য করবে
কাউকে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে হলে এবং স্বর্গে প্রবেশ করতে হলে, তাকে (নারী/পুরুষ) অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে যীশুকে, তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তকে বিশ্বাস করতে হবে৷ কেননা আমাদের প্রভু পৃথিবীর সমস্ত পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, মানুষের এরূপ সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করে যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন৷ এভাবে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, আমাদের স্থানে আমাদের সমস্ত পাপের জন্য বিচারিত হয়ে, যীশু নিজেই ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন, মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন এবং যারা বিশ্বাস করে তিনি তাদের জন্য অনন্ত পরিত্রাণের প্রভু হয়েছেন৷
এই প্রভু যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তাঁর লোকেরা যারা বিশ্বাসে তাঁর কনে হয়েছে, তারা উত্থিত হবে এবং তাঁর সাথে অনন্তকালের জন্য বাস করবে৷ যারা তাঁর ভার্য্যা হয়েছে, তারা প্রভুর সাথে নুতন পৃথিবীতে বাস করবে, ভার্জ্যার জন্য এটা একটা মহৎ এবং গৌরবময় আশীর্বাদ৷ ঈশ্বরের মনোনীত সন্তানগণ তাঁকে প্রশংসা দ্বারা অনন্তকালের নিমিত্ত যীশু খ্রীষ্টকে গৌরব দেবে৷ যারা ঈশ্বরের দ্বারা পরিচালিত হবে, তাদের উল্লাস তাদের আনন্দে পরিণত হবে৷ আর এই আনন্দ, তাদের সমস্ত গৌরব তারা কেবল বরকে প্রদান করবে৷
সমস্ত মানবজাতি সেই সৃষ্টি থেকে এই পরিণতি ভোগ করার জন্য অপেক্ষা করছে৷ যীশু যখন আসবেন, তখন এই পরিনতি সম্পন্ন হবে, যারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছে, তারা উর্দ্ধে নীত হবে এবং ঈশ্বর তাদের সঙ্গে বাস করবেন৷ ঈশ্বর মানুষের নিমিত্ত নুতন পৃথিবী তৈরী করেছেন এবং আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন৷ এর জন্য আমাদের অস্তিত্ব, এবং এর জন্য আমরা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি৷
মূল অনুচ্ছেদ যেভাবে আমাদের বলে, “তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল। আর ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে” ঈশ্বর তাদেরকে উজ্বল ও শুচী মসীনা বস্ত্রে সজ্জিত করেন, যারা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে৷ অর্থাৎ, যারা এই বাক্যে বিশ্বাস করে, তারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে এবং তাদের হৃদয় তুষারের ন্যায় শুভ্র হয়েছে৷
এইভাবে পূর্ব থেকেই জল ও আত্মার সুসমাচারে ইতিমধ্যেই যীশু খ্রীষ্টের ভার্য্যা প্রস্তুত হয়ে আছে৷ এই পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে এবং তাতে বিশ্বাস করে যে কেউ যীশু খ্রীষ্টের ভার্য্যারূপে নুতন জন্ম লাভ করতে পারে৷ এই বিশ্বাস আপনাকে খ্রীষ্টের ভার্য্যা তৈরী করে এবং আপনাকে স্বর্গে প্রবেশের যোগ্য করে তোলে৷
যারা প্রত্যাশায় অপেক্ষা করে
মূল অনুচ্ছেদটি আমাদের বলে, “ধন্য তাহারা, যাহারা মেষশাবকের বিবাহভোজে নিমন্ত্রিত।” তাদের কি প্রকারের বিশ্বাস থাকা উচিত, যারা তাদের পাপের ক্ষমা পেয়েছে? ভার্য্যাগণ, যারা বর যীশুর সাথে মিলিত হয়ে, এবং গৌরবে বাস করছে, তাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস ও প্রত্যাশায় জীবনযাপন করতে হবে, এবং বরের সাথে, একসাথে থাকার প্রত্যাশায় অপেক্ষা করতে হবে৷
যদিও পৃথিবী অন্ধকার থেকে অন্ধকারতর হয়ে চলেছে, তথাপি উদ্ধারপ্রাপ্ত ভার্য্যাদের প্রত্যাশা রয়েছে৷ এই প্রত্যাশা হল যীশু খ্রীষ্টের সেই দিনের অপেক্ষা, তাঁর ভার্য্যাদের জন্য নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর প্রত্যাশা, তাদেরকে পুনরায় নিতে আসবেন এই প্রত্যাশা ব্যতীত অন্য কিছু নয়৷ তারপর বর তাঁর সমস্ত ভার্য্যাদের পুনরুত্থিত করবেন এবং তাদেরকে অনন্তজীবন দান করবেন৷ পৃথিবীতে যেখানে বর এবং ভার্য্যাগণ একত্রে অনন্তকাল বাস করবেন, সেই স্থান এমন যা সমস্ত মন্দতা থেকে মুক্ত, যেখানে কোনো পাপ নেই, এবং যেখানে কোনো কিছুর অভাব থাকবে না৷ ভার্য্যাগণ কেবল সেইদিনের অপেক্ষা করবে৷ আর এ কারণে যারা তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে তারা এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশায় বেঁচে থাকে৷
এই বর্তমান যুগে বসবাসকারী ভার্য্যাগণেরও অনেক মাংসিক অধর্ম রয়েছে৷ কিন্তু ১ করিন্থীয় ১৩:১৩ পদে বলা হয়েছে, “আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা, প্রেম, এই তিনটী আছে, আর ইহাদের মধ্যে প্রেমই শ্রেষ্ঠ৷” কারণ বর ভার্য্যাকে এতই প্রেম করেছেন যে, নিজে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পাপ তুলে নিয়ে, তাদেরকে প্রকৃত ভার্য্যা করেছেন৷
বর্তমান পৃথিবী ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রত্যাশা নেই৷ কিন্তু, যেহেতু সমস্ত কিছুই ধ্বংসের নিকটবর্তী হচ্ছে, এই অবস্থায় ভার্য্যাগণের উচিত তাদের প্রত্যাশায় দৃঢ় জীবনযাপন করা৷ এই প্রত্যাশা পূরণের ক্ষণটি ক্রমান্বয়ে নিকটবর্তী হচ্ছে৷ বস্তুতঃ সমগ্র পৃথিবী ভুমিকম্পের ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার হুমকির সম্মুখীন৷ প্রাচীন যুগে ডাইনোসরের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মতই, প্রত্যেকেরই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সময় নিকটবর্তী হচ্ছে৷ হটাৎ করেই পৃথিবীটা মুখ থুবড়ে পড়বে৷
তাই প্রত্যেক ভার্য্যার এই প্রত্যাশা রয়েছে যখন সময় আসবে, ভার্য্যাগণের দেহ শুচী দেহে রূপান্তরিত হবে, আর প্রভু, যিনি তাদের বর হয়েছেন, সেই প্রভুর সাথে তারা বাস করবে৷
চলুন আমরা ঈশ্বরের সত্যের বাক্যে বিশ্বাস করি
যোহন ৩: ৫ পদে যীশু আমাদেরকে বলেন যে, “সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না।” তাহলে জল ও আত্মার সুসমাচার কি? সর্বপ্রথমে বাইবেল আমাদের বলে যে, “জল” বলতে যীশুর বাপ্তিস্ম কেই পরিষ্কারভাবে বোঝানো হয়েছে, যা পরিত্রাণের প্রতিরূপ (১ পিতর ৩: ২১)৷
যীশুর বয়স যখন ৩০, তখন তিনি যোহনের কাছে আসলেন, যিনি ইস্রায়েলের লোকেদের যর্দন নদীতে বাপ্তিস্ম দিচ্ছিলেন৷ যীশু বললেন যে, পুরাতন নিয়মে যোহন বাপ্তাইজক ছিলেন সর্বশেষ মহাযাজক এবং মানবজাতির প্রতিনিধি৷ এবং যোহনের সাক্ষাতে তার কাছ থেকে যীশু তার বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন, যীশু ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ ছিলেন (মথি ৩:১৫, ১১:১১-১৪)৷ যে বাপ্তিস্ম যীশু গ্রহণ করেছিলেন তা অনন্তকালীয় দান, যার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট নিজেই জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করেছেন৷
পবিত্র আত্মার আবেশে যীশুর জন্ম, তাঁর বাপ্তিস্ম, তাঁর রক্ত ও ক্রুশীয় মৃত্যু, এবং তাঁর পুনরুত্থান ও স্বর্গারোহন – এ সমস্ত কিছুই ছিল পবিত্র আত্মার কাছে৷ যখন কেউ বিশ্বাস করে যে, যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং জল ও আত্মার মধ্যে দিয়ে তাদের (নারী/পুরুষ) সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন, তখন সে (নারী/পুরুষ) একজন ধার্মিক ব্যক্তি হতে পারে, সে পাপ থেকে মুক্ত এবং খ্রীষ্টের একজন ভার্য্যা৷ মানুষের চিন্তায় এই সমস্ত বিষয়ে সাধিত হয় নি, বরং ঈশ্বরের নিজস্ব চিন্তাচেতনাই এটি আসে৷
সত্য হল এই যে, পাপ থেকে মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য জল, রক্ত ও পবিত্র আত্মা এই তিনটি অত্যন্ত মূল্যবান উপাদান, এবং তাদের মধ্যে কোনটিই অবর্তমান থাকতে পারে না৷ এই বিষয়ে বাইবেলে ১ যোহন ৫ অধ্যায়ে পরিস্কার ও নিঁখুতভাবে প্রকাশ করা আছে৷ এই অংশ আমাদেরকে বলে যে, এই তিনটি উপাদান জল, রক্ত ও পবিত্র আত্মা সকলে এক এবং তাদের কোনো একটির অনুপস্থিতিতে পাপ থেকে আমাদের পরিত্রাণ সম্পূর্ণ হতে পারে না৷
আমরা যেহেতু জানি ও এই সত্যে বিশ্বাস করি যে, সঠিক পরিত্রাণ হল এই তিনটি বিশ্বাসে জল, রক্ত ও পবিত্র আত্মায়, তাই আমরা উপলব্ধি করতে পারি, এবং যীশুর প্রেমকে গ্রহণ করতে পারি, যে প্রেম আমাদেরকে উদ্ধার করেছে এবং এইভাবেই আমাদের হৃদয় সম্পূর্ণভাবে, সঠিকভাবে মুক্ত হতে পারে৷ প্রেরিত ২:৩৮ পদে বাইবেল আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করে যে, “মন ফিরাও, এবং তোমরা প্রত্যেকজন তোমাদের পাপমোচনের নিমিত্ত যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজিত হও; তাহা হইলে পবিত্র আত্মারূপ দান প্রাপ্ত হইবে৷”
তাহলে এই বাক্য কি পবিত্র আত্মা গ্রহণে আমাদেরকে সমর্থ করে? এটা যীশুর বাক্য বাপ্তিস্ম (জল), ক্রুশীয় মৃত্যু (রক্ত), এবং ঈশ্বর হয়ে তাঁর পুনরুত্থান ও স্বর্গারোহন (পবিত্র আত্মা) ছাড়া অন্য কিছু নয়৷ পুরাতন নিয়মের যুগে মোশি ও অন্যান্য ভাববাদীর সময়ে এই পরিত্রাণের বাক্যের ভাববাণী করা হয়েছিল ও লিখিত হয়েছিল, এবং নুতন নিয়মে চারটি সুসমাচারে এ বিষয়ে পরিপূর্ণতা পেয়েছে এবং সাক্ষ্য বহন করছে৷ তাছাড়া, “এখনই প্রায়শ্চিত্তের অনন্ত পরিত্রাণ সম্পন্ন হয়েছে,” যা ইব্রীয় পুস্তকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার বারবার সাক্ষ্য দিচ্ছে; যা আমাদের বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে আমরা গ্রহণ করেছি৷
যদিও প্রত্যেকে এই পাপময় পৃথিবীতে মাংসিক দেহে জীবনযাপন করেছে, যা ঈশ্বরের সম্মুখে পতিত হবে, সে (নারী/পুরুষ) অবশ্য ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রদত্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করবে, এবং স্বর্গের প্রত্যাশায় তাঁর (নারী/পুরুষ) জীবনযাপন করবে৷ এটাই ঈশ্বরের দান, যা তিনি মানবজাতির নিমিত্ত দান করেছেন৷ আমাদেরকে মুক্ত করতে আমরা অবশ্যই এই অনুগ্রহ গ্রহণ করব৷ এই বাক্য বিশ্বাসে, তা হল আমাদের প্রভু ফিরে আসবেন, তাঁর নুতন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবেন, আর আমাদের এই সত্য প্রত্যাশায় আমরা জীবনযাপন করি৷ আমরা অবশ্যই এই প্রত্যাশায় বেঁচে থাকব, এবং এই বিশ্বাসকেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি৷
আপনি কি জানেন এই পৃথিবীতে পাপ কি বিস্তৃত? নোহের প্লাবনের সময় থেকে তুলনা করুন, এই যুগের মারী আর কত বিস্তৃত৷ নোহের সময় দেখা যায় যে, মানুষের চিন্তা-চেতনা সর্বদা মন্দ ছিল, ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নিলেন যে, জল প্লাবনের দ্বারা তিনি প্রথম পৃথিবী ধ্বংস করবেন, তিনি নোহকে একটি জাহাজ তৈরী করতে বললেন, এবং যারা তাঁর বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা এই জাহাজে প্রবেশ করেছেন তাদেরকে রক্ষা করতে বলেছেন৷
ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি অবশ্যই জল প্লাবনের দ্বারা পৃথিবীর বিচার করবেন, তাঁর এই বাক্যে কেবলমাত্র নোহের পরিবারের আট জনই বিশ্বাস করেছিল৷ কাজেই এভাবে প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা এই জাহাজটি তৈরী করেছিল, এবং জল প্লাবন থেকে রক্ষা পেতে এতে প্রবেশ করেছিল৷ যখন তারা সমস্ত কিছু সম্পন্ন করেছিল, ঈশ্বর তাঁর প্রথম পৃথিবীতে তাঁর বিচার আনতে আরম্ভ করলেন৷ হটাৎ আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে আরম্ভ করল, এবং অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি হতে আরম্ভ করল৷ এক ঘন্টার মধ্যেই জল প্রায় চতুর্থ তলা পর্যন্ত পৌছে গেল৷ কাজেই ৪০ দিনের এই বৃষ্টিতে সমস্ত পৃথিবী জলের নীচে তলিয়ে গেল৷
যেভাবে নোহ ও তার পরিবার বিশ্বাসে জাহাজে প্রবেশ করেছিল, তেমনিভাবে আপনি এবং আমি অবশ্যই এই প্রত্যাশায় বেঁচে থাকব যে, একটি নুতন পৃথিবী মুক্ত করা হবে৷ যেভাবে তারা ১০০ বছর ধরে জাহাজ তৈরী করেছিল, এর কারণ তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছিল, আমি বিশ্বাস করি আমরাও সচেষ্ট হব এবং সুসমাচার প্রচার করব৷ ঈশ্বর নোহকে বলেছিলেন, “একটি জাহাজ নির্মান কর (আদিপুস্তক ৬:১৬)৷” এই বাক্য আমাদেরকে বলে যে, আমরা যেন আমাদের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করি, প্রথমে আমরা অবশ্যই আমাদের প্রভুর কাছে নিজেদের সমর্পণ করব এবং পরে সুসমাচার প্রচার করব৷
যেহেতু নুতন জন্ম প্রাপ্তদের প্রত্যাশা রয়েছে, কিন্তু যারা সুসমাচারে বিশ্বাস করে নি, তাদের জন্য কোনো প্রত্যাশা নেই৷ সুসমাচারে অবিশ্বাসীদের জন্য কেবল হতাশা রয়েছে৷ লোকেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করুক বা নাই করুক, আমরা বিশ্বাসে তাদের কাছে এই সুসমাচার অবশ্যই প্রচার করে যাব৷ বর্তমান যুগই হচ্ছে সময়, সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করব৷ আমাদের প্রচারিত এই সুসমাচারে যারা বিশ্বাস করবে, তারা আনন্দ খুঁজে পাবে৷ যারা সুসমাচারে বিশ্বাস করে নি- তারা নির্বোধ, তারা ঈশ্বরের অনন্ত বিচারে বিচারিত হবে এবং নরকে নিক্ষিপ্ত হবে৷
আপনার প্রত্যাশা হারাবেন না৷ ধার্মিকেরা যদি তাদের প্রত্যাশা হারিয়ে ফেলে, তাহলে তাদের জন্য কেবল মৃত্যুই অপেক্ষা করবে৷ আমাদের যদি কোনো প্রত্যাশা না থাকত, তাহলে বেঁচে থাকার না আমাদের কোনো আকাঙ্খা থাকত, না কোনো স্বার্থ থাকত৷ কাজেই চলুন আমরা প্রত্যাশায় জীবনযাপন করি৷
এই বর্তমান কালে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে নুতন জন্ম গ্রহণ করেছে তারাই প্রকৃত সুখী ব্যক্তি৷ মানবজাতির জন্য পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে কেবল এই প্রত্যাশায় রয়েছে, - তা হল, পবিত্র আত্মা গ্রহণ, এটা ব্যতীত আর কোনো প্রত্যাশা নেই৷ মানুষ যখন তাদের সমস্ত পাপ পরিত্যাগ করে, তখন তাদের অনন্ত সুখে বসবাস করার প্রত্যাশা থাকে, কিন্তু যখন তাদের এই প্রত্যাশা থাকে না, তখন কেবল তাদের জন্য ধ্বংসই অপেক্ষা করে, কেননা তারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করে নি৷
কেননা, আমি আমার সমস্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি, তাই বিশ্বাসে আমি বর্তমান পৃথিবীতে বাস করতে পারি৷ এটা আমার প্রত্যাশা ও প্রার্থনা যেন, আপনি এই প্রত্যাশায় জীবনযাপন করতে পারেন৷ আমি প্রার্থনা করি যেন আপনি নিজেকে মন্দ চিন্তা-চেতনায় জড়িয়ে না ফেলেন, বরং তার বিপরীতে আপনি সুবুদ্ধির ন্যায় জীবনযাপন করেন, আপনার ধার্মিক ভ্রাতা ও ভগ্নিদেরকে ভালবাসেন, তাদেরকে খ্রীষ্টে দৃঢ় থাকতে সাহায্য করেন, আপনার বিশ্বাস হারাবেন না, বরের জন্য অপেক্ষা করুন, এবং তিনি যখন আপনাকে নিতে আসবেন, তাঁর সাথে মিলিত হোন৷
আমাদেরকে তাঁর গৌরবে বাস করতে দেওয়ার জন্য আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই৷