Search

শিক্ষা

বিষয় ৮: পবিত্র আত্মা

[8-6] বিশ্বাস করুন যে পবিত্র আত্মা আপনার মধ্যে বাস করেন (মথি ২৫:১-১২)

বিশ্বাস করুন যে পবিত্র আত্মা আপনার মধ্যে বাস করেন
< মথি ২৫:১-১২ >
 “তখন স্বর্গরাজ্য এমন দশটি কুমারীর তুল্য বলিতে হইবে, যাহারা আপন আপন প্রদীপ লইয়া বরের সহিত সাক্ষাত করিতে বাহির হইল। তাহাদের মধ্যে পাঁচজন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচজন সুবুদ্ধি ছিল। কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না; কিন্তু সুবুদ্ধিরা আপন আপন প্রদীপের সহিত পাত্রে করিয়া তৈল লইল। আর বর বিলম্ব করাতে সকলে ঢুলিতে ঢুলিতে ঘুমাইয়া পড়িল। পরে মধ্যরাত্রে এই উচ্চস্বব হইল, দেখ, বর! তাঁহার সহিত সাক্ষাত করিতে বাহির হও। তাহাতে সেই কুমারীরা সকলে উঠিল, এবং আপন আপন প্রদীপ সাজাইল। আর নির্বুদ্ধিরা সুবুদ্ধিদিগকে বলিল, তোমাদের তৈল হইতে আমাদিগকে কিছু দেও, কেননা আমাদের প্রদীপ নিবিয়া যাইতেছে। কিন্তু সুবুদ্ধিরা উত্তর করিয়া কহিল, হয়ত তোমাদের ও আমাদের জন্য কুলাইবে না; তোমরা বরং বিক্রেতাদের নিকটে গিয়া আপনাদের জন্য ক্রয় কর।
 তাহারা ক্রয় করিতে যাইতেছে, ইতি মধ্যে বর আসিলেন; এবং যাহারা প্রস্তুত ছিল, তাহারা তাঁহার সঙ্গে বিবাহ বাটিতে প্রবেশ করিল; আর দ্বার রুদ্ধ হইল। শেষে অন্য সকল কুমারী ও আসিয়া কহিতে লাগিল, প্রভু, প্রভু, আমাদিগকে দ্বার খুলিয়া দিউন। কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমি তোমাদিগকে চিনি না।”
 
 

কুমারীদের দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী কে যার অন্তরে বাসকারী পবিত্র আছে ?

 
কার উপরে পবিত্র আত্মা নেমে আসেন?
তিনি তাদের উপরেই আসেন যারা যীশুর বাপ্তিস্মে ও তাঁর রক্তে বিশ্বাস দ্বারা তাদের পাপের জন্য ক্ষমা পেয়েছেন।
 
 উপরের অংশটুকুতে পাঁচজন সুবুদ্ধি কুমারী ও পাঁচজন নির্বুদ্ধি কুমারী।পাঁচজন নির্বুদ্ধি কুমারী পাঁচজন সুবুদ্ধি কুমারীকে তাদের তেলের অংশ নিতে বলেছে। কিন্তু সুবুদ্ধিরা নির্বুদ্ধিগণকে বলিল, “না, হয়তো তোমাদের ও আমাদের জন্য কুলাইবে না, বরং বিক্রেতাদের কাছে যাও এবং তোমাদের নিজেদের জন্য ক্রয় কর।” সুতরাং নির্বুদ্ধিরা তৈল ক্রয় করতে বাইরে গেল, পাঁচজন সুবুদ্ধি কুমারী যাদের প্রদীপে তৈল ছিল তারা বিবাহ অনুষ্ঠানে চলে গেল। কিভাবে আমরা প্রভুর অন্য তেল প্রস্তুত করতে পারি ? আমাদের কেবল একটি জিনিস দরকার আমাদের অন্তরে পাপের ক্ষমা নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করা।
 আমরা লোকদের মধ্যে দুই ধরণের বিশ্বাস দেখতে পাই। একটা হল পাপের ক্ষমা নিয়ে সুসমাচারে বিশাস।এটা পবিত্র আত্মার গ্রহণে পরিচালিত করে। অন্যটি নিজের ধর্মমতের ওপর সাধারণ ভাবে বিশ্বস্ত- দুইয়ের মধ্যে কোনটিই সাধারণ শ্রেণীর অথবা প্রভু কারো পাপ ক্ষমা করেন নাই।
যারা তাদের নিজের ধর্মমতের ওপর বিশ্বস্ত, সুন্দর সুসমাচার তাদের কাছে দু:সহ। নির্বুদ্ধি কুমারীদের মত যখন বর আসছিল তখন তারা তেল কিনতে বাইয়ে গিয়েছিল, যারা এক আরাধনা গৃহ থেকে অন্য আরাধনা গৃহে পবিত্র আত্মা পাওয়ার আশায় ঘুরে বেড়ায় তারা অন্যকে নয় কিন্তু নিজেকে ভুলায় বাস্তবতা হলো এরূপ লোকেরা আজ্ঞা, তাদের অন্তরে বিচার দিনে গুরুত্ব অনুসারে সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস থাকা আবশ্যক। তারা আবেগপূর্ণ আগ্রহ নিয়ে ঈশ্বরের উপর প্রভাব বিস্তার করে তারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে ইচ্ছা করে। আমরা একজন ডিকনের স্বীকারোক্তির দিকে তাকাই যিনি পবিত্র আত্মা গ্রহণের জন্যে মহাকাজ সাধন করেন। এই স্বীকারোক্তি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
আমি পবিত্র আত্মা গ্রহণের জন্য সবকিছু করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যে যদি আমি ব্যগ্রতার সাথে আমার নিজের বিশ্বাসে নিজেকে উৎস্বর্গ করি, আমি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারব এবং আমি এক প্রার্থনাগৃহ থেকে অন্য প্রার্থনা গৃহে যেতে পারব। লোকেরা এই সব প্রার্থনা গৃহে তাদের সেবার অংশ হিসাবে বৈদ্যুতিক পিয়ানো ও ড্রাম বাজিয়ে থাকে। পালক যিনি সভা পরিচালনা করছিলেন তিনি যারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের এক একজন করে ডাকলেন এবং তিনি যেন প্রত্যেকের কপালে চড়মারলেন, তিনি নানা ভাষায় কথা বলতে শুরু করলেন। তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ছুটাছুটি করতে লাগলেন এবং চিৎকার করতে থাকলেন,“আগুন, আগুন গ্রহণ করুন এবং তার হাত লোকদের মাথার উপর রাখলেন, ফলে অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পবিত্র আত্মা গ্রহণের এই অনুশীলনী দেখে আমার সন্দেহ হলো কিন্তু আমি ইতিমধ্যে এই সভাগুলিতে অভ্যস্ত ছিলাম। এসব সত্ত্বেও আমি কখনো পবিত্র গ্রহণের সফল হই নাই।”
ঐ অভিজ্ঞতার পর আমি পাহাড়ে গেলাম এবং সারারাত পাইন গাছ ধরে কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করতে থাকি। পরে আমি একটি গুহার মধ্যে প্রার্থনা করতে থাকি কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কোন কাজ হলো না। এর পর আমি চল্লিশ দিন ধরে সারা রাত প্রার্থনা করতে থাকলাম কিন্ত, আমি কখনো পবিত্র আত্মা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। তারপর একদিন আমি পবিত্র আত্মার উপর একটি সেমিনারে নিমন্ত্রি হই। এক সপ্তাহ ধরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সাতদিন যাবৎ স্থায়ী হয়েছিল।
সেমিনার ছিল ঈশরের প্রেম, ক্রুশ, যীশুর পুনরুত্থান, হস্তাপর্ণ আত্মার ফল এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়ন। ঐ সময় যখন সেমিনারের প্রোগ্রাম প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল, সেমিনারের প্রচারক আমার মাথার উপরে তার হাত রাখলেন এবং পবিত্র আত্মার জন্য প্রার্থনা করলেন, তিনি যেমন বললেন আমি তাই করলাম আমি একটু স্বাভাবিক হলাম এবং উর্দ্ধে আমার সামনে হাত উঠালাম এবং চিৎকার করে বলতে থাকলাম “ লা - লা - লা – লা” জোরে আরো জোরে। হঠাৎ যখন আমি অদ্ভুত ভাষায় অনর্গল কথা বলতে থাকলাম। অনেক লোক পবিত্র আত্মা গ্রহণ করায় আমাকে অভিবাদন জানাল। কিন্তু যখন আমি ঘরে একাকী ছিলাম, আমি ভীত হলাম। সুতরাং আমি সেমিনারে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে শুরু করলাম। আমি চিন্তা করলাম আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সম্ভবত অনেক বেশী কাজ করতে পারব এভাবে আমার সেবায় আত্মা নিয়োগ করে আমি সারা দেশ ঘুরে বেড়াব। যখন আমি কোন রোগীর উপর হস্তাৰ্পণ করি, তাদের অসুস্থতা থেকে সুস্থ্য হলো বলে মনে হলো, যদিও তারা খুব শীঘ্রই পূর্বের খারাপ অবস্থায় ফিরে গেল। তখন আমি আমার চোখের সামনে একটি দর্শন দেখলাম, আমি ভবিষ্যতের কথা বলছি। বিষ্ময়কর ভাবে আমার ভবিষ্যত বাণী সর্বদা সত্য হত। ঐ সময় থেকে আমি বিভিন্ন স্থান হতে নিমন্ত্রন পেতে থাকলাম এক একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি হিসাবে গণ্য হতে লাগলাম। কিন্ত আমি তখনও ভীত ছিলাম। তারপর একদিন, আমি একটি স্বর শুনলাম, “একস্থান থেকে অন্যস্থানে এভাবে ঘুরে বেড়াইও না, এর পরিবর্তে যাও এবং তোমার পরিবারকে পরিত্রাণ গ্রহণে সাহায্য কর।” যাহাহউক, আমি জানতাম না পরিত্রাণ কি? আমি কেবল জানতাম অন্যেরা আমাকে কি বলত - যদি আমি এই পবিত্র আত্মার দান গ্রহণ না করি, তাহলে তিনি এটা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। এক দিকে আমি আমার কর্মক্ষমতা ব্যবহার করতে ভীত ছিলাম তবুও আমি এরূপ করতে থেমে থাকি নাই।
 একদিন আমি শুনলাম যে একজন মহিলা শামান যীশুতে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, সুতরাং আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে তাকে দেখতে গেলাম। আমরা যে তাকে দেখতে যাচ্ছি একথা আগে তাকে জানালাম না। কিন্ত মহিলা শামান ইতিমধ্যে তার দরজায় বাহিরে বসে অপেক্ষা করছিলেন এবং বললেন, “আমি জানতাম আপনি আসছেন।”তখন সে হঠাৎ আমাদের দিকে জল ছিটাতে শুরু করল এবং বলল, “পূবাঞ্চলীয় শামানিজম ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শামানিজম এর মধ্যে কোন তফাৎ নেই!” সে আমাদিগকে “যীশুশামান” বলে চিহ্নিত করল এবং বলল, “এই অদ্ভুত চেহারা যুক্ত লোক ভয়ানক,কিন্তু অন্যজন নয়।” মহিলা শামান মাথায় আঘাত লাগার মত আমার কাছে কি বলল। আমি ঐসব চিন্তা করতে থাকলাম আমি যা করেছিলাম শামানের করার মধ্যে কোন তফাৎ নেই; পবিত্র আত্মাকে আমার কাছে আনার মত আমি কিছুই করি নাই কারণ আমার অন্তরে তখনও পাপ ছিল এই স্বীকারোক্তি থেকে আমরা শিখলাম যে পবিত্র আত্মা গ্রহণ আমাদের কর্মক্ষমতার নাগালের বাইরে কারণ এরূপ একটি বিশ্বাস ঈশ্বরের সুসমাচারের উপর ভিত্তি করে নয়, যারা এরকম ধৰ্ম্মময় জীবন-যাপন করে তাদের প্রদীপে তেল থাকে না।
 বাইবেল প্রদীপকে মন্ডলী এবং প্রদীপকে পবিত্র আত্মা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাইবেল এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে যারা মন্ডলীর সেবা করে, এটা ঈশ্বরের মন্ডলী অথবা নাও হতে পারে, পবিত্র আত্মা গ্রহণ ব্যতীত তারা বোকা।
 বোকারা তাদের আবেগ ও দেহকে দিনের পর দিন পুড়িয়ে ফেলে। বোকারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের ঈর্ষান্বিত দেহ দ্বারা তাদের অনুভূতিকে পুড়িয়ে ফেলে। যদি আমরা বলি যে আমাদের আবেরেগ পরিমাণ ২০ সেন্টিমিটার এবং এটা একদিনে প্রজ্জলিত করে ১ সেন্টিমিটার, তাহলে আমাদের সমস্ত আবেগ আগুন ভোগ করতে পারে কেবল ২০ দিন। আবেগ তাদের বিশ্বাসের পশ্চাতে খুব সকালের প্রার্থনা, সারা রাতের প্রার্থনা, উপবাস প্রার্থনা, এবং পুনরুজ্জীবনসভার মাধ্যমে নূতন শক্তি লাভ করতে পারে কিন্তু তাদের আবেগ সারা জীবন তাদের প্রজ্জলিত করতে তারা কখনো। শেষ হবে না পদ্ধতিতে আসক্ত।
 তাদের আবেগ যীশুর নামে প্রজ্জলিত। তারা মন্ডলীর সেবা করে এবং তাদের আবেগ প্রজ্জলিত করে কিন্তু তাদের হৃদয় তথাপি এলোমেলো থাকে এবং কোন কিছুর জন্য অন্বেষন করতে থাকে। এর কারণ হলো তাদের বিশ্বাস দেহিক অভিজ্ঞতা থেকে আসে। তারা অতিরিক্ত লোক ও জিনিসপত্র দিয়া তাদের এই অনুভূতি গুলিকে শক্তিশালী করতে থাকে, সুতরাং অগ্নিশিখা শেষ হয়ে যায় না। যাহোক, তারা এই প্রকার বিশ্বাস দ্বারা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারে না। তদের আবেগ প্রজ্জলিত করে তাদেরকে পবিত্র আত্মা গ্রহণে পরিচালিত করবে না।
 আমাদের সকলকে সঠিক বিশ্বাসে প্রস্তুত হয়ে ঈশ্বরের পূর্ণ উপস্থিতিতে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করা উচিত। তখন কেবল আমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণের নৈতিক গুনের অধিকারী হব। কিভাৱে আমার বিশ্বাস অর্জন করে পবিত্র আত্মা গ্রহণে আমাদের নৈতিক গুন তৈরী করতে পারি? সুন্দর সুসমাচারের মধ্যেই সত্য নিহিত আছে যা যর্দ্দনে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্ত সেচনের দ্বারা গুনান্বিত হয়েছি।
 ঈশ্বর আমাদিগকে “ দুষ্টলোকের সার্থক দল” হিসাবে উল্লেখ করেছেন (যিশাইয় ১:১৪ )। আমরা অবশ্যই এটা স্বীকার করি। লোকেরা মূলতঃ ১২ প্রকার পাপের দ্বারাই জন্ম গ্রহণ করে (মার্ক ৭:২১ - ২৩ )। মানব জাতি তার জন্মের দিন থেকে তাদের মৃত্যু দিন পর্যন্ত পাপে রত থেকে সাহায্য করতে পারে না।
 যোহন ১:৬-৭ পদে লিখিত আছে, “একজন মনুষ্য উপস্হিত হইলেন, তিনি ঈশ্বর হইতে প্রেরিত হইয়াছিলেন, তাঁহার নাম যোহন তিনি সাক্ষের জন্য আসিয়াছিলেন, যেন সেই জ্যোতির বিষয় সাক্ষ্য দেন, যেন সকলে তাঁহার দ্বারা বিশ্বাস করে।” যোহন বাপ্তাইজক যীশুকে ৰাপ্তাইজিত করেছিলেন এবং তাঁর উপরে জগতের সমস্ত পাপভার বর্ত্তালেন, বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান”
(যোহন ১:২৯ )। আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পাওয়ায় যীশু খ্রীষ্টের ওপর যোহনের বাপ্তিস্মের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। যদি যোহন যীশুকে বাপ্তাইজিত না করতেন এবং উহা ঘোষনা না করতেন যে তিন ঈশ্বরের মেষশাবক যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান, আমরা জানতেই পারতাম না যে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তাঁহাতে ক্রুশে তুলে নিয়েছেন। এখন আমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণের উপায় জানতে পেরেছি।কিন্তু যোহনের সাক্ষ্য দানের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি, আমরা বুঝতে পেরেছি যে যীশু আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং আমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণের যোগ্য হয়েছি।
 এই বিশ্বাসে, যীশুকে বর রূপে গ্রহণ করতে আমরা ভার্য্য রূপে সম্পূর্ণই প্রস্তুত। আমরা কুমারী যারা যীশুতে বিশাস করি এবং পবিএ
আত্মা গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আপনি কি জল ও আত্মার সুসমাচার আপনার সমস্ত অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্মে তিনি আপনার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন ? বাইবেল বলে, “বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়” (রোমীয় ১০:১৭)। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণের আদেশ দিয়ে। ক্রুশের ওপর মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা অবশ্যই উপলব্ধি করব যে পবিত্র আত্মা গ্রহণের বিশ্বাস থেকে কেবল আসতে পারে যে মাবন জাতির কল্যাণে যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং যোহনের দ্বারা যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, যেন ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেন এবং পুনরুত্থিত হন।
 তাই আজও, বিশ্বাসীদের মধ্যে দুই দল আছে, ঠিক যেন দশ কুমারীর দৃষ্টান্তের মত দুই প্রকারের লোক আছে। আপনি কোন দলে ? আপনি জল ও আত্মায় বিশ্বাস করে অবশ্যই পবিত্র আত্মা গ্রহণ করবেন। আপনি কি মন্ডলীর সেবায় নিয়োজিত, তবুও আপনার উপর পবিত্র আত্মা নেমে আসার জন্য অপেক্ষত ? পবিত্র আত্মা গ্রহণের সত্য উপায় কোনটি তা আপনার জানা আবশ্যক।
 কিরূপ বিশ্বাসে আমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারি ? আপনি কি গভীর আগ্রহে উৎফুল্লজনক ভাবে শামানিজমের মাধ্যমে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারেন ? আপনি কি রোগ বা আঘাতের জন্য গভীর নিদ্ররমত অবস্থায় পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারেন ? আপনি কি ধর্মীয় উপ্তমাদোনায় বিশ্বাস করে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারেন? আপনি কি আপনার থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে অবিচলিত ভাবে প্রার্থনা করেছেন? বাইবেল বলে যে যখন যীশু বাপ্তাইজিত হলেন এবং জল থেকে উঠলেন, ঈশ্বরের আত্মা কপোতের ন্যায় তার উপরে অবতরণ করল তিনি আমাদের সমস্ত পাপ বহন করবার জন্যই বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং আমাদিগকে বলেন যে তিনি ক্রুশারোপিত হয়ে আমাদের সমস্ত অপরাধের দেনা শোধ করে দিয়েছেন।
 যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের পাপভার বহন করেছেন এবং ক্রুশে গিষেছেন সুতরাং আমরা রক্ষা পেতে ও পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারি। এটাই সত্য। যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হলেন, এবং পুনরুত্থিত হলেন, ক্রুশের ওপর আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হলেন এবং পুনরুথিত হলেন। যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তার ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করা আবশ্যক। আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম থেকে দেখতে পাই ( মথি ৩:১৩ - ১৫ ) যে পবিত্র আত্মা শান্তি পূর্ণভাবে কপোতের ন্যায় নেমে আসেন যারা তার বাপ্তিস্মে বিশ্বাস দ্বারা পরিষ্কৃত হয়েছে।
 পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তার ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করা আবশ্যক। পবিত্র আত্মা একজন ব্যক্তির ওপর নেমে আসে শান্তি পূর্ণ ভাবে কপোতের ন্যায় যখন সে পাপের ক্ষমা বিশ্বাস করে। যারা ইতিমধ্যে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছেন তারা জানেন যে বিশ্বাস দ্বারা পাপের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। পবিত্র আত্মা তাদের ওপর অবতরণ করেন যারা তাদের সমস্ত অন্তর দিয়ে পাপের ক্ষমা বিশ্বাস করেন।
 যীশু খ্রীষ্ট অনন্ত জীবনের রুটি ও দ্রাক্ষারসের দ্বারা এসেছেন (মথি ২৬:২৬ – ২৮,যোহন ৬:৫৩ - ৫৬ )। যখন যীশু তার বাপ্তিস্মের পর জল থেকে উঠে আসলেন, তখন স্বর্গ থেকে একটি বাণী হল, বললেন, “ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতে আমি প্রীত” ( মথি ৩:১৭ )।
 ত্রিত্ত্ব ঈশ্বর হিসাবে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা সহজ। ঈশ্বর যীশুর পিতা ও যীশু ঈশ্বরের পুত্র। পবিত্র আত্মা ও ঈশ্বর ত্রিত্ত্ব ঈশ্বর আমাদের এক ঈশ্বর। আপনার জানা আবশ্যক যে আপনি কখনো পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারবেন না কেবল ক্রুশে বিশ্বাস দ্বারা অথবা নিজের শুদ্ধতা ধার্মিকতার কাজের দ্বারা। আপনি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারেন কেবলযখন আপনি বিশ্বাস করবেন যে যোহন যীশুকে বাপ্তাইজিত করলেন- আমাদের সমস্ত পাপ তার উপর বর্ত্তালো এবং তিনি আমাদেরকে সমস্ত পাপের জন্য ক্রুশে প্রায়শ্চিত্ত করলেন। কেমন অমায়িক ও পরিষ্কার সত্য! পাপের ক্ষমা ও পবিত্র আত্মা গ্রহণ কঠিন বিষয় নয়।
 ঈশ্বর আমাদেরকে একটি মাত্র বিষয়ে কথা বলেন। একজন সাধারণ মানুষের আইকিউ ১১০ থেকে ১২০ তার সুসমাচা সাধারণ লোকের বুঝার জন্য যথেষ্ট সহজ এমন কি ছেলেময়েদের ৪ অথবা ৫ বছর হলে সুন্দর সুসমাচার বুঝা কোন সমস্যা নয়। কিন্তু যদি ঈশ্বর অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা সম্পর্কে অধিক বিকৃত বিষয় বলেন, আমরা কি তাঁকে বুঝতে পারব? ঈশ্বর যথার্থই আমাদরে সমস্ত পাপের ক্ষমা করেছেন এবং যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে দান স্বরূপ পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
 ঈশ্বর আমাদিগকে বলেন যে আমরা হস্তার্পণ ও অনুতাপের প্রার্থনার মাধ্যমে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারি না। অথবা উৎস্বর্গী করণ অথবা এমন কি পাহাড়ে সারা রাত প্রার্থনার কারণে ও পবিত্র আত্মা আসে না। পবিত্র আত্মা গ্রহণ করলে আমাদের মধ্যে বিশ্বাসের কি ধরণের পরিপ্রকাশ হয়? বিশ্বাসের ইহাই বাস্তবতা যে যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, ক্রুশে মরলেন এবং পুনরুত্থিত হলেন।
 


আমাদের কি বাস্তবিক এতে বিশ্বাস আছে ?

 
আমরা কেন এভাবে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করি এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণ করি? ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজাবৃন্দ হিসাবে, আমাদের তাঁর আত্মার প্রয়োজন। অতএব, পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে, যীশুকে আমাদের ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করা প্রয়োজন, তাঁর বাপ্তিস্মে ও রক্তে, এবং চূড়ান্ত ভাবে, আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা পাওয়া আবশ্যক।
 কেন ঈশ্বর যাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে তাদের জন্য পবিত্র আত্মা দিতে রাজি হলেন? কারন তাঁর জাতি হিসাবে তাদেরকে সীল মোহর করা। যারা ঈশ্বরের বাক্যের উপর ভিত্তি করে যীশুতে বিশ্বাস করে তাদেরকে মুদ্রাঙ্কিত করা, তিনি তাদেরকে জামিনদার হিসাবে পবিত্র আত্মা দিয়েছেন।
 সুতরাং অনেক লোক ভ্রান্ত বিশ্বাস দ্বারা চালিত। যীশুর বাপ্তিস্মে বিশাস এ পবিত্র আত্মা গ্রহণ আর ও সহজ। এটা আমাদের মধ্যে তাদের সহজ যারা ইতিমধ্যে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছে, কিন্তু এটা তাদের জন্য অসম্ভব যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেনি। তারা সত্য জানে না এবং পবিত্র আত্মা গ্রহণের জন্য অন্য কোন উপায় খোঁজে না, এরূপ ধর্ম্মীয় গভীর নিদ্রার মাধ্যমে ধৰ্ম্মোন্মাদ কার্য্য নিজেকে ডুবিয়ে দেওয়া। তারা এত অজ্ঞ যে শয়তান দ্বারা রোপিত বীজের ন্যায় তারা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে, এবং ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্নতায় প্রভাবিত হয়।
 পবিত্র আত্মা তাদের মধ্যে বাস করেন যারা যীশুর বাপ্তিস্মে ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেন এবং যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে।
 কেবল যারা ঈশরের পরিত্রাণ স্বীকার করে ও বিশ্বাস করে, “আমার কোন পাপ নাই।” যদি কোন ব্যক্তি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করে তখন তারা বলতে পারে না যে, তাদের কোন পাপ নাই। এইরূপে, ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের কাছে পবিত্র আত্মা দিতে রাজি হয়েছেন যারা বিশ্বাস করে যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশের ওপর তাঁর রক্ত এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ। কে পরীক্ষা করেছে যে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন? যীশু তাঁর শিষ্যগণ এবং পবিত্র আত্মা এরূপ পরীক্ষিত হয়েছিলেন। কে লোকদের সমস্ত পাপ থেকে তাদের রক্ষার পরিকল্পনা করেছিলেন? যীশু খ্রীষ্ট করেছিলেন। কে চূড়ান্ত ভাবে এই পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল? পবিত্র আত্মা করেছিলেন।
 ঈশ্বর আমাদিগকে তাঁর সন্তান তৈরী করতে চেয়েছেন এবং যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত দ্বারা আমাদেরকে সমস্ত পাপ হতে ক্ষমা করবার সংকল্প করেছেন। অতএব স্বর্গীয় ত্রিত্ত্ব ঈশ্বর আমাদের অন্তিম পরিত্রাণের জামিনদার হয়েছেন এবং আমাদের পাপ হতে ক্ষমা অনুমোদন করেছেন।
মথি ৩:১৭ পদে লিখিত আছে, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত।” ঈশ্বরের লোকদের ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা কার আছে। তারা তাঁর সন্তান। “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতে আমি প্রীত।” যীশু প্রকৃতই ঈশ্বর পিতা ঈশ্বর আমাদিগকে বলেন, “তুমি যদি তোমার পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করতে চাও, বিশ্বাস কর যে আমার অদ্বিতীয় পুত্র যীশু দ্বারা মানব জাতির সমস্ত পাপ চিরতরে তুলে নেওয়া হয়েছে, পবিত্র আত্মা গ্রহণ করে এবং আমার সন্তান হও।” যারা বিশ্বাস করে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করে, তারা ঈশ্বরের পুত্র কন্যা হবে। তিনি তাদেরকে পবিত্র আত্মার দান দিয়ে তাঁর সন্তান রূপে মুদ্রাঙ্কিত করবেন। আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করি কেবল যখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে এক সঙ্গে বিশ্বাস করি।
 যখন লোকেরা তাদের অন্তর শূণ্য করে না এবং ক্ষমার মসমাচার বিশাস করে না, তারা বিশ্বাসের প্রতি মনযোগী হয় যে প্রকৃত পাপ ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে কিন্তু তারা তথাপি তাদের আসল পাপের জন্য ক্ষমা আনতে অবিরাম প্রার্থনা অনুতাপের প্রার্থনা করতে থাকে। যদি তারা প্রতারিত লোকের চিন্তায় দূর্বল হয়, তাহলে বাইবেল বোধাতীত ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। অতএব, তাঁর শিষ্যদের অপেক্ষা তাদের বিশ্বাসের বিভিন্নতা দেখা দেয়।
 কেহ কেহ বলে পবিত্র আত্মা “প্রার্থনার মধ্যমে তাদের উপরে আসে। এটা বাইবেলের লক্ষ্য অনুসারে দৃঢ় সত্য নহে। এটা সম্পূর্ণ সত্য বলিয়া মনে হয়, কিন্তু বাইবেল বলে যে যখন যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জল থেকে নির্গত হলেন, পবিত্র আত্মা কপোতের ন্যায় তাঁর উপর নেমে আসল। এটা প্রমাণ দেয় যে যদি আমরা পবিত্র আত্মা পেতে ইচ্ছা করি, আমাদের বিশ্বাস যারা প্রয়োজন যে, যীশু এই জগতে এসেছিলেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, তাদের জন্য ক্রুশের ওপর বিচারিত হয়েছেন এবং পুনরুত্থিত হয়ে আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন।
 ঈশ্বর আমাদের কি বলেন যখন আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করি ও পবিত্র আত্মা গ্রহণ করি? তিনি বলেন, “তুমি আমার পুত্র। এই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতে আমি প্রীত।” ঈশ্বর একই বিষয় বলবেন যারা যীশুতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা পায়। এই সত্য ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞায় আমাদিগকে তাঁর সন্তান তৈরী করে।
 কিন্তু তথাপি লোকেরা চিন্তা করে যে তারা অন্য উপায়ে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারে। আপনি কি চিন্তা করেন যে পবিত্র আত্মা আপনার ক্রন্দন ও জাগতিক কার্য্যর মধ্য দিয়ে আপনার উপরে আসবে? ঈশ্বরের কাজ তাঁর ইচ্ছার দ্বারা চালিত এবং তিনি পবিত্র আত্মা দেনতাদের, যারা তাদের পাপের জন্য ক্ষমা পেয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার পুত্রকে বাপ্তাইজিত করেছি সুতরাং তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং তাঁকে ক্রুশারোপিত করে তাদের জন্য বিচারিত হয়েছেন। “আমি আমার পুত্রকে তোমাদের ত্রাণকর্তা বলে নিযুক্ত করলাম। যদি তুমি পাপের ক্ষমা গব্দহন কর তাহলে আমার পুত্র গুনান্বিত হবেন, তখন আমি তোমার কাছে পবিত্র পাঠাব।”
 আমাদের পিতা যেমন ইচ্ছা করেন তিনি তাই করেন। এমন কি যদি একজন মানুষ সারা রাত হাঁটু পেতে থাকে ও তার ফুসফুস ফেটে যাবার উপক্রম হওয়া পর্যন্ত কাঁদতে থাকে। ঈশ্বর তাকে পবিত্র আত্মা পাঠাবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কনেন না। “তুমি সত্য জ্ঞান গ্রহণ কর নাই এবং ভুল বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ়রূপে সংলগ্ন থেকে। সত্য বিশাস কে অগ্রাহ্য করার জন্য আপনাকে পবিত্র আত্মা দিতে অসম্ম হবেন।”
 এই পৃথিবীর ঘটনা অনুসারে মানব জাতি সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তীত হতে পারে; কিন্তু ঈশ্বর পাপের ক্ষমার বিধান প্রতিষ্ঠিত করেন এবং পবিত্র আত্মা অপরিবর্তনীয় রূপে দিতে স্বীকৃত হন। যদি আপনি ভুল বিশ্বাসের অধিনে পতিত হন, তাহলে পুনরায় সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাইবেল বলে যে যীশুতে তারাই বিঘ্ন পায় যারা অবাধ্য ( ১ পিতর ২:৮)। লোকেরা যারা যীশুতে বিশ্বাস করে এবং তথাপি জানে না কেন তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন কেবল পাপ ক্ষমার সুসমাচারে অসম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নিশ্চিত ভাবেই নরকে পতিত হবেন। অতএব যখন আপনি প্রথমে যীশুকে বিশ্বাস করবেন, আপনাকে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্ত সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া আবশ্যক, যাহা পাপ ক্ষমার সুসমাচার দ্বারা মিমাংসিত। এবং যদি আপনি পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেন, তাহলে আপনি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারবেন।
 পৃথিবীতে যীশুর জীবন সম্পর্কে চিন্তা করি, যীশু একজন মানুষ হলেন এবং তাঁর বাপ্তিস্ম দ্বারা এই জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। তিনি ক্রুশের উপর মরলেন এবং নরকের আগুন থেকে আমাদিগকে রক্ষা করতে আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হলেন। যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তারা দান হিসাবে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করবে।
 অতএব, আমাদের সকলকে সত্য পথ অনুসরন করতে করে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করা আবশ্যক। সত্যের বাক্য অনুসারে চিন্তার প্রয়োজনীয়তা কি। যখন এটা আমরা করি, যীশু আপনাকে রক্ষা করবেন ও আশীর্বাদ করবেন। যারা তাদের অন্তরকে শূণ্য করবে, তারা পাপের ক্ষমা গ্রহণের দ্বারা তাঁর বাক্যের সত্যে বিশ্বাস করতে পারবে, এবং পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হবে। উপরন্তু, তারা পবিত্র আত্মার সাহায্যে অন্যকে ও সঠিক পথে চালিত করতে পারবে।
 যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে গুনান্বিত পাপের ক্ষমায় বিশ্বাস করুন। কেবল তখন আমরা তাঁকে বিশ্বাসে অনুসরন করতে পারি এবং পাপের ক্ষমার আশীর্বাদ, অনন্ত জীবন ও অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারি। যীশু পাপ ক্ষমার প্রভু, যিনি তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্ত দ্বারা জগতের পাপভার তুলে নিয়েছেন। যীশু আমাদের সমস্ত পাপ পরিষ্কার করেছেন এবং যারা সত্যের সুসমাচার বিশ্বাস করেন তাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছেন। সত্য বিশ্বাস অবলম্বন দ্বারা আপনি পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারেন।