Search

শিক্ষা

বিষয় ৮: পবিত্র আত্মা

[8-19] সুন্দর সুসমাচার যা মন্দিরের তিরস্করিণী চীরে গেল (মথি ২৭:৪৫-৫৪)

সুন্দর সুসমাচার যা মন্দিরের তিরস্করিণী চীরে গেল
< মথি ২৭:৪৫-৫৪ >
 “পরে বেলা ছয় ঘটিকা হইতে নয় ঘটিকা পর্য্যন্ত সমুদয় দেশ অন্ধকারময় হইয়া রহিল। আর নয় ঘটিকার সময় যীশু উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া ডাকিয়া কহিলেন, “এলী এলী লামা শবক্তানী,” অর্থাৎ “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?” তাহাতে যাহারা সেখানে দাঁড়াইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ সেই কথা শুনিয়া কহিল, এ ব্যক্তি এলিয়কে ডাকিতেছে। আর তাহাদের একজন অমনি দৌড়িয়া গেল, একখান স্পঞ্জ লইয়া তাহাতে সিরকা ভরিল, এবং একটা নলে লাগাইয়া তাঁহাকে পান করিতে দিল। কিন্তু অন্য সকলে কহিল থাক্‌, দেখি, এলিয় উহাকে রক্ষা করিতে আইসেন কি না। পরে যীশু আবার উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া নিজ আত্মাকে সমর্পণ করিলেন। আর দেখ, মন্দিরের তিরস্করিণী উপর হইতে নীচ পর্য্যন্ত চিরিয়া দুইখান হইল, ভূমিকম্প হইল, ও শৈল সকল বিদীর্ণ হইল, এবং কবর সকল খুলিয়া গেল, আর অনেক নিদ্রাগত পবিত্র লোকের দেহ উত্থাপিত হইল; এবং তাঁহার পুনরুত্থানের পর তাঁহারা কবর হইতে বাহির হইয়া পবিত্র নগরে প্রবেশ করিলেন, আর অনেক লোককে দেখা দিলেন। শতপতি এবং যাহারা তাঁহার সঙ্গে যীশুকে চৌকি দিতেছিল, তাহারা ভূমিকম্প ও আর যাহা যাহা ঘটিতেছিল, দেখিয়া অতিশয় ভয় পাইয়া কহিল, সত্যই, ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।”
 
 
যখন যীশু ক্রুশের  উপর তাঁর আত্ম ত্যাগ করলেন তখন কেন ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা চিরিয়া গেল ?
কারণ যারা তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় মৃত্যুতে বিশ্বাস করে তাদের জন্য ঈশ্বরের রাজ্য খুলে গেল।
 
পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের সাক্ষাতে বলিদান প্রথা সম্পাদনের মাধ্যমে লোকদের পাপের ক্ষমা হয়েছিল তারা এই সুন্দর সুমাচারের সত্যে জ্ঞাত হয়েছিল ও বুঝেছিল। আপনি অবশ্যই এই সত্য জ্ঞাত হবেন ও বিশ্বাস করবেন।
 পুরাতন নিয়মে লেবীয় ১৬ অধ্যায়ে লিখিত প্রায়শ্চিত্তের প্রাচীন বলিদান প্রথা অনুসারে মহা যাজক জীবিত ছাগলের উপর হস্ত বিস্তার করে লোকদের বছরের জমানো সমস্ত পাপ ইহাতে স্থানান্তর করেন । তারপর ইস্রায়েলদের পক্ষে মহা যাজক বলি উৎসর্গ করে ইহার রক্ত মহাপবিত্র স্থানে প্রক্ষেপন করেন । এভাবেই ইস্রায়েল জাতির পাপের প্রায়শ্চিত্ত সাধন করা হয়। অধিকন্তু , কেবল যারা হস্তাপর্ণে বিশ্বাস করে, রক্ত ও ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে পবিত্র মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে।
যাজক সর্বদাই সেবাকার্য্য সম্পাদনের জন্য মন্দিরের প্রথম অংশে প্রবেশ করেন। কিন্তু দ্বিতীয়অংশে মহাপবিত্র স্থানে, মহাযাজক কেবল। একবার একাকী প্রবেশ করতে পারেন, কিন্তু রক্ত ব্যাতীত পারে না, যা তিনি নিজের নিমিত্ত এবং প্রজা লোকদের অজ্ঞানকৃত পাপের নিমিত্ত উৎসর্গ করেন ( ইব্রীয় ৯:৬-৭ )। তাছাড়া বিশ্বাসে হস্তাপর্ণের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত বলিদানের রক্ত ব্যাতীত মহাযাজক মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে পারেন না।
 
 

নূতন নিয়মে যেমন বলা হয়েছে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য বলিকৃত হয়েছেন।

 
নূতন নিয়মে আছে, আমাদের বলা হয়েছে, যে কেহ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। কখন মন্দিরের তিরস্কিণী উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে গিয়েছিল? যখন যীশু এই জগতে এসে যোহনের দ্বারা বাস্তাইজিত ও ক্রুশারোপিত হয়েছিল।
 এর কারণ ছিল? যীশু ঈশ্বরের মেষশাবক নামে এই জগতে এসে বলিকৃত হয়েছিলেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের পাপ তুলে নিলেন এবং যখন তিনি ক্রুশারোপিত হলেন তখন মানব জাতিকে তাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিস্কৃত করলেন। পর্দা চিরে যাওয়ার অর্থ সমস্ত মানব জাতির পাপ তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে ঈশ্বর থেকে পৃথক করলেন।
 যীশু নিজে তাঁর মৃত্যুর দ্বারা পাপের দেনা শোধ করে এই বাধার প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছেন। এই কারণে ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা চিরে দুই ভাবে বিভক্ত হয়েছিল। ঠিক যেমন যাজক হস্তাপর্ণে বিশ্বাস দ্বারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন, এখন আমরা যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তে আমাদের বিশ্বাসের কৃতজ্ঞতায় স্বর্গীয় রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি।
 যখন যীশু ক্রুশারোপিত ছিলেন, তিনি উচ্চ রবে চিৎকার করে বললেন, “এলী, এলী, লামা শবক্তানী?” “ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?” (মথি ২৭:৪৬)। যখন তিনি তাঁর আত্মাকে চূড়ান্ত ভাবে ত্যাগ করলেন, তিনি বললেন “সমাপ্ত হইল!” (যোহন ১৯:৩০) যীশু ক্রুশে থাকা কালীন তাঁর পিতা কর্ত্তৃক এক মুহূর্তের জন্য পরিত্যাক্ত হয়েছিলেন কারণ তিনি যোহনের দ্ধারা যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম হওয়া পর্যন্ত জগতের সমন্ত পাপের জন্য বিদ্ধ হয়েছিলেন।
 তিনি সমস্ত মানব জাতির পরিত্রাণের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। ফল স্বরূপ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু, যারা তাঁহাতে বিশ্বাস করেছিলেন তারা রক্ষা পেয়েছিলেন। কারণ আমরা জগত পাপী এবং দন্ডের জন্য নির্ধারিত ছিলাম, যীশু বাপ্তাইজিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
 স্বর্গরাজ্যের দরজা দৃঢ় ভাবে বদ্বছিল যে পর্যন্ত না যীশু আমাদের পাপ সকল থেকে আমাদিগকে মুক্ত করেন। যখন যীশু যোহনের দ্ধারা বাপ্তাইজিত হলেন ও ক্রুশে প্রাণ দিলেন তখন ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুই ভাগ হয়েগেল সুতরাং যে কেহ সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে সে ঈশ্বরের স্বর্গীয় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে।
 আমি প্রভুর কাছে কৃতজ্ঞ হই যে আমি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছি। আমি এখন আমার বিশ্বাসের মাধ্যমে স্বর্গীয় রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি যা যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তের মাধ্যমে গুণান্বিত করেছেন। আমি আমার নিজের ক্ষমতা, কৃতিত্বপূর্ণ কাজ ও চেষ্টার মাধ্যমে পরিত্রাণ অর্জন করতে পারি না। পবিত্রতা যা আমাদিগকে স্বর্গীয় রাজ্যে চালিত করে তা কেবল প্রার্থনা, দান ও উৎসর্গী করণের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। কেহ কেবল মাত্র যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস দ্বারা পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারে। কেহ কেবল এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে স্বর্গীয় রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। যীশু স্বর্গের দ্বার। যারা যীশুতে বিশ্বাস করে তাদের অন্য কোন বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। স্বর্গে প্রবেশ করতে কারো উৎসর্গকৃত দান, পার্থিব কাজ অথবা অন্য কোন ভালো কাজের ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বিশ্বাসীদের জন্য স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশের সত্যই প্রয়োজনীয় বিষয় হল যীশুর যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তের সুসমাচারে বিশ্বাস স্থাপন করা।
 জল (যীশুর যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম) ও তাঁর রক্তে (ক্রুশ) বিশ্বাস আপনাকে স্বর্গীয় রাজ্যে চালিত করবে। যে ব্যক্তি অন্তরে এখনো পাপ আছে, এমন কি যদিও সে যীশুতে বিশ্বাস করে, তার একটি বিষয়ে বিশ্বাস করা প্রয়োজনঃ জল ও আত্মার সুসমাচারে। “আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে” ( যোহন ৮:৩২ )।
 আমরা কখন আমাদের মৃত্যুর প্রকৃত সময় জানি না কিন্ত যীশু সবই জানেন। যেহেতু তিনি আমাদের পাপ পূর্ণ স্বভাব খুব ভাল জানেন, তিনি প্রায় দু`হাজার বছর আগে তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তের মাধ্যমে আমাদের পাপ সকল ধূয়ে দিয়েছেন।
 
 

আমাদের এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করা আবশ্যক যা ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা চিরে দিয়েছিল

 
মানব জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষার জন্য কুমারীর গর্ভে মুক্তি দাতা জন্মে ইহা ৩০ বছর বয়সে যর্দ্দন নদীতে, তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন। মানব জাতির সমস্ত পাপের পরিণামে তাদের দূর্বলতা ও দোষ ক্রুটি যীশুতে ধ্যনাবাদ দিতে দিতে ক্ষমা হয়েছিল। তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত সমস্ত মানব জাতির পরিত্রাণের অনন্ত চাবি। যীশু বাস্তাইজিত ও ক্রুশীয় রক্ত সেচন করেছিলেন এবং এখন যারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে।
 ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা চিরে গিয়েছিল যখন যীশু ক্রুশে তাঁর আত্মা ত্যাগ করেছিলেন। কিভাবে ঈশ্বরের মন্দিরের পর্দা চিরে দুই ভাগ হয়েছিল যখন যীশু ক্রুশে মরলেন? এর কারণ হল সুন্দর সুসমাচারে তাঁর দ্বারা মানব জাতির পরিত্রাণ অর্জন করা। পুরাতন নিয়মে, আমরা ইস্রায়েলর মন্দির বিষয়ে শিক্ষা লাভ করলাম। সেখানে অগ্নি উৎসর্গকারী বেদী ও প্রক্ষালন পাত্র ছিল। এই প্রক্ষালন পাত্র আগে মন্দিরে ছিল এবং মন্দিরের ভেতরে তিরস্কারিনীর পিচনে নিয়ম সিন্দুক ছিল, তথায় ঈশ্বরের উপস্থিতি ও প্রতাপ বর্তমান ছিল। তিরস্কারিণী এমন দৃঢ়ভাবে বোনা ছিল যে চারদিকে থেকে চারটি ঘোড়া টানলে ও এর সূতা ছিড়তে পারত না। যদিও রাজা শলোমন মন্দিরের সহিত ভজনালয় স্থাপন করেছিলেন, যার মূল গঠণ অপরিবর্তনীয় ছিল, এবং তিরস্করিণী মহাপবিত্র স্থানের পথে বাধা দিয়ে রেখেছিল। যাহাহউক ইহা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুই অংশে বিভক্ত হল যখন যীশু ক্রুশে রক্ত সেচন করে প্রাণ দিলেন। এই ঘটনা সাক্ষ্য দেয় যে এই সুসমাচার কেমন সুন্দর ও পবিত্র যা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে পূর্ণতা সাধিত হয়েছে।
 পাপের ক্ষমা দ্বারা ঈশ্বর সমস্ত মানব জাতিকে পবিত্র করেন ও অনন্ত জীবন দান করেন, ও সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে তাদের আলিঙ্গন করেন। যীশু যেমন বলীকৃত হলেন, পাপের দেনা পরিশোধ করলেন যখন তিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হলেন এবং ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেন। বাইবেল বলে, “পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমীয় ৬:২৩)। পুরাতন নেয়মের যুগে কেহ বলিদানের রক্ত ও পাপের প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করে ঈশ্বরের মন্দিরে প্রবেশ করতে পারত, সুতরাং আমরা আমাদের মলিদান সহ ঈশ্বরের সাক্ষাতে আসতে পারি, যখন যীশু আমাদের অপরাধের ক্ষমা করেছেন। এই হল সত্য। এবং “পাপের বেতন মৃত্যু” এই বাক্য আমাদের দেখায় যে এই সুন্দর সুসমাচার কত পবিত্র।
 সুন্দর সুসমাচারে স্বর্গের পথ বিশ্বাস করা হয়। তিরস্করিনী প্রতিনিধিত্ব করে। যখন আমরা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করি, বলি, “হে, যীশু আমার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছে। হে, যীশু ক্রুশের ওপর আমার পাপের সমস্ত দেনা শোধ করেছে।” আমাদের সাক্ষাতে স্বর্গের দ্বার খুলে দিয়েছেন। যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তে তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা পেয়েছে তাদের জন্য স্বর্গ এখনো খোলা রয়েছে। যীশুর রক্ত পাপীদেরকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করে এই তাঁর বাপ্তিস্ম সকল মানব জাতির পাপ তুলে নেওয়ার অর্থে সাধিত হয়েছে।
 যখন যীশু ক্রুশের উপর তাঁর আত্মা ত্যাগ করলেন তখন পৃথিবী কম্পিত হল ও পর্বত সকল বিদির্ণ হল। ঠিক তখন, তাঁর রক্ত পৃথিবীর দিকে ফোঁটা ফোঁটা পড়তে লাগল এবং ভূমির দিকে প্রবাহিত হতে লাগল। যখন যীশু ক্রুশের ওপর মরলেন, মানব জাতির সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে গেল, সুন্দর সুসমাচার সম্পূর্ণ হল এবং সমস্ত বিশ্বাসীগণ স্বর্গরাজ্যের প্রবেশের যোগ্য হল, এই হল নূতন জন্ম প্রাপ্তদের অত্যন্ত সত্য বিষয়।
 অনেক পন্ডিতগণ যারা গবেষনা পরিচালনা করে একজন প্রকৃত ব্যক্তি হিসাবে যীশু খ্রীষ্টের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন। কিন্ত তাঁর অস্তিত্বের বহু সংখ্যক ঐতিহাসিক প্রমাণের বিরুদ্ধে তারা কোন কল্পনা কাজে লাগাইতে পারে নাই। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রহণ করেছে এবং যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুসমাচারে বিশ্বাস করেছে। তারা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে যীশুর সাক্ষী হওয়া তাঁর অস্তিত্বের বাস্তবতা অস্বীকার করা, তারা যীশুকে তাদের ত্রাণকর্তা রূপে গ্রহণ করল যখন তারা জ্ঞাত হল এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস। করল,যথাঃ তাঁর জন্ম, বাস্তিস্ম, মৃত্যু, পুনরুত্থান, স্বর্গারোহন ও দ্বিতীয় আগমন।
 আমরা যীশুর বাপ্তিস্মের সাক্ষী ছিলাম না। প্রায় দুই হাজার বছর আগে কেমন স্থানে নিয়েছিলেন তা আমাদের চক্ষু দেখে নাই। যাহাহউক, যা লেখা হয়েছে এর মাধ্যমে যে কেহ এই সুন্দর সুমাচারের সংস্পর্শে আসতে পারে যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্তের মাধ্যমে ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সমস্ত বাধা ভেঙ্গে দিয়েছেন, এবং এরূপে ঈশ্বরের রাজ্যের তিরস্করিণী উপরে থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুই অংশে হয়েছিল।
 এখন যে কেহ যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে আপনি কি যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের ঐ বাস্তবতায় বিশ্বাস করেন, যাহা এই সুন্দর সুসমাচার যা স্বর্গরাজ্যের চাবি?।
 আমিও নিজে এক সময় পাপী ছিলাম, যীশুকে আমার ত্রাণকর্তা রূপে বিশ্বাস করেছিলাম কিন্তু সুন্দর সুসমাচারে সতর্ক ছিলাম না। যাহাহউক, একদিন আমি বাইবেলে তাঁর শর্তহীন প্রেমের বিষয় পড়ছিলাম, আমি জানলাম যে তিনি আমার জন্য বাপ্তাইজিত হয়েছেন, আমার জন্য ক্রুশে মরেছেন এবং আমার জন্য পুনরুত্থিত হয়েছেন যীশু যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়ে ও ক্রুশে আমাদের পাপের দেনা শোধ করে আমাদিগকে রক্ষা করেছেন কারণ তিনি আমাদিগকে প্রেম করেন। আমরা এই সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে সমর্থ হই।
 এই হল মানব জাতির জন্য ঈশ্বরের মহা ধার্মিকতা এই ইতিহাসের বিখ্যাত ঘটনার দ্বারা চিহ্নিত কাল। তার সমস্ত যাজকত্ব তাঁর জন্ম, যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম, ক্রুশীয় মৃত্যু এবং পুনরুত্থান- আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদিগকে রক্ষা করে। আমাদের মৃত্যুর পর আমরা নরকের জন্য নির্ধারিত ছিলাম, কিন্তু যীশু আমাদের আত্মা অনন্ত নরকের থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন এবং আমাদিগকে সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
 প্রিয় ভ্রাতৃগণ, যখন যীশু ক্রুশের ওপর মারা গেলেন, একজন সৈনিক বর্শা দিয়ে তাঁর কুক্ষিদেশে আঘাত করল, তৎক্ষনাৎ রক্ত ও জল বের হয়ে আসল। ইহা যেমন বাইবেলে লিখিত আছে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর রক্তের সুন্দর সুসমাচারের সত্য এই সাক্ষ্য দেয়।
 আপনি কি বিবেচনা করেন যে যীশুকে ক্রুশীয় রক্তে আপনার যে বিশ্বাস তা আপনার সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে মুক্ত করতে যথেষ্ট? যীশুর বাপ্তিস্মের গুরুত্ব কি কম অথবা আপনার পরিত্রাণের আকষ্মিক ঘটনা? যদি আপনি বিশ্বাস করেন তাহলে অনুগ্রহ করে অনুতপ্ত হোন। আমরা এখন যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুসমাচার বিশ্বাস করি এবং ঈশ্বরের সত্য রূপে স্বীকার করি।
 
 

আপনি কি আপনার সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কৃত হতে চান?

 
ঠিক যেমন আমাদের পাপের দেনা শোধ করা প্রয়োজন, আমরা অবশ্যই যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে, আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কৃত হব। যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের সুসমাচারে অবিশ্বাসের পাপে জিম্মি হওয়া আমাদের উচিত নয়। যদিও আমরা আমাদের পাপ সরাসরি যীশুতে স্থানান্তর করতে পারি নাই। একজন মধ্যস্থ ব্যক্তি নাম যোহন অবগাহক আমাদের জন্য করেছেন।
 যখন যীশু ক্রুশে মরলেন, যিরুশালেমে পবিত্র গণের কয়েকজনের কবর খুলে গেল এবং তিন দিন পর তিনি পুনরুত্থিত হলেন এবং গালিলে গেলেন। এই বিষ্ময়কর ঘটনা বাস্তবিক ঘটেছিল, কিন্তু সেখানে অনেক লোক ছিল যারা তারা বিশ্বাস করে নাই।
 আমাদের ঈশ্বর আমাদিগকে ধার্মিকগণকে, যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে তাদেরকে স্বর্গ রাজ্যের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমরা আমাদের নিজেদের দৈহিক ক্ষমতা অথবা ধর্মীয় কাজের মাধ্যমে নয় কিন্তু সুন্দর সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা নূতন জন্ম প্রাপ্ত হয়েছি ও রক্ষা পেয়েছি। এই সুসমাচার কোন কল্পিত কাহিনী নয়। জগতের সমস্ত পাপ যীশুতে স্থানান্তরিত হল যখন তিনি বাপ্তাইজিত হলেন। তাঁহাতে পাপের কোন লেশ ছিল না, কিন্তু তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে ক্রুশে মরে প্রায়শ্চিও করলেন।
 যখন যীশু তাঁর আত্মা ত্যাগ করলেন, যখন ভুমিকম্প হল ও পর্বত সকল বিদির্ণ হল। যখন শতপতি ও যারা যীশুর দেহ পাহাড়া দিচ্ছিল, তারা ভুমিকম্প ও আর যা কিছু ঘটেছিল তা দেখল, তারা প্রচন্ড ভয়ে কম্পিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়ে বলল, “সত্যই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন”( মথি ২৭:৫৪ )।
 আরিমারিয়ার যোষেফ একজন ধনী লোক ছিলেন তিনি যীশুর দেহ নিলেন, পাতলা মনীনা বস্ত্রে জড়ালেন এবং তাঁর নিজের কবলে রাখলেন। মহাযাজক এবং ফরিশিগণ তিন দিন পর্যন্ত তাঁর কবরে পাহাড়া দিবার আদেশ দিল।
 যাহা হউক, যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের নূতন জীবন দিতে পুনরুত্থিত হলেন। তিনি গালীলে গেলেন, যেখানে তিনি ক্রুশারোপিত হওয়ার পূর্বে তার শিষ্যদের সাক্ষাত দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। এই সমস্ত বিষয় গুলি তাঁর জন্ম, বাপ্তিস্ম, ক্রুশারোপন, পুনরুত্থান, স্বর্গারোহন এবং দ্বিতীয় আগমন-যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদেরকে নিদের্শ করে। আমি ও একজন সাক্ষী যিনিসাক্ষ্য দেন যে যীশু জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র ও আমার ত্রাণকর্তা।
 
 
কার দ্বারা সত্য সুসমাচার প্রচারিত হয়েছিল?
 
যীশুর বাপ্তিস্ম ও রক্তের বিশ্বাসীগণ সুন্দর সুসমাচারের সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দেয় । সুন্দর সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়ে এই লোকেরা তাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পায়। যখন একজন ব্যক্তি সুসমাচারে বিশ্বাস করে পাপ থেকে মুক্ত হয়, ঈশ্বরের আত্মা তাকে পরিচালিত করে, এবং সে তাকে পরিবর্তন করতে থাকে, তার নিজের ইচ্ছা পালনে মনোযোগী হয় না। আত্মা ঈশ্বরের বাক্যে বিজয়ী হয়ে অবিরত একজন ধার্মিক মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে এবং তাকে শক্তিশালী বিশ্বাস দ্রেয়া হয়। ফলে সে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে থাকে ঈশ্বরের বাক্য তাহাতে অবস্থান করতে থাকে ফলে সে দিনের পর দিন নূতনীকৃত হতে থাকে, তাকে এরূপ রূপান্তরীকৃত পরিলক্ষিত হওয়ায় লোকেরা সাক্ষ্য দিতে থাকে।“সে বাস্তবিক মুক্ত মানুষ”। সে আসল খ্রীষ্টিয়ানে ও ঈশ্বরের সন্তানে পরিণত হয়।
 এমন কি দিয়াবল গ্রহণ করে এবং এই সুন্দর সুসমাচারে বশীভূত হয়। কিন্ত ইহা সত্য যে পৃথিবীতে কোন পাপ নেই। কারো অন্তরে ও পাপ থাকে না। সে কারণে দিয়াবল লোকের চিন্তার মধ্যে কাজ করে, তাদের বিশস্ত জীবনে সে নাক লাগাতে থাকে। দিয়াবলের কাজ তাদেরকে আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করে।
 যীশুর সঙ্গে যুদ্ধে শয়তান সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়। মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রন করে যীশুকে ক্রুশে টাঙ্গিয়ে শয়তান কৃতকার্য্য হয়েছিল। যীশু ইতিমধ্যে জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন যখন তিনি বাপ্তাইজিত হলেন এবং যখন তিনি ক্রুশে মরে আমাদের পাপের দেনা শোধ করলেন। এই কারণে তিনি সুসমাচারের সকল বিশ্বাসীদের সম্পূর্ণ রূপেই রক্ষা করলেন। মানব জাতিকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করায় ঈশ্বরীয় পরিকল্পনা শয়তান বাধা দিতে অসমর্থ যীশু বাপ্তিস্ম ও রক্তের মাধ্যমে সুন্দর সুসমাচারে মাসবজাতির সম্পূর্ণ পাপের দেনা শোধ করেছে। এখন পৃথিবীতে আর কোন পাপ নেই। যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং ক্রুশে তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমস্ত পাপের পরিসমাপ্ত করে বলেন,“সমাপ্ত হইল” ( যোহন ১৯:৩০ )। শয়তান সমস্ত ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদের কাছে। যারা সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে। যীশু তাঁর জন্ম, বাপ্তিস্ম ক্রুশীয়। মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে দিয়াবলকে পরাজিত করেছেন।
 আপনার অন্তরে কি এখন ও পাপ আছে ? না। সুন্দর সুমাচারে সত্যে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে খ্রীষ্টিয়ান দৃঢ়তার সহিত বলতে পারে, “আমার অন্তরে কোন পাপ নেই। যে ব্যক্তি যীশুর বাপ্তিসু ও রক্তের সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাঁর অন্তরে অতি সামান্য পরিমান। পাপও থাকতে পারে না।
 এখন সুন্দর আমাদের অন্তরে মুদ্ৰঙ্কিত হয়ে আছে। এখন আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে যে কোন অনুতাপ থেকে মুক্ত। আপনারা সকলে কি বিশ্বাস করেন যে যীশু যর্দ্দনে তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আপনার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন? যদি তাই করেন, তাহলে আপনার ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করবে। সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা এই পৃথিবীতে আমাদের পাপ থেকে মুক্ত ও পবিত্র হয়েছি।
 “তিনিই আমাদিগকে অন্ধকারের কর্ত্তৃত্ব হইতে উদ্ধার করিয়া আপন প্রেম ভুমি পুত্রের রাজ্যে আনয়ন করিয়াছেন, ইহাতেই আমার মুক্তি পাপের মোচন, প্রাপ্ত হইয়াছি” (কলসীয় ১:১৩-১৪)। হাল্লিলূয়া, ঈশ্বরের প্রশংসা হোক।
 যীশু সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে পরিত্রাণের দরজা খুলে দিয়েছেন। সুন্দর সুসমাচারের শক্তিতে আপনার অন্তরের প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে দূর করা আবশ্যক ঠিক যেমন মন্দিরের তিরস্করিণী চিরে দুই অংশ হয়েছিল। সুন্দর সুসমাচার আপনার ও আমার জন্য তৈরী হয়েছিল। আমরা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি। ইহাই অন্তিম সত্য যা আমাদিগকে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে।