Search

শিক্ষা

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[9-1] রোমীয় পুস্তকের নবম অধ্যায়ের উপস্থাপন

ইস্রায়েল এবং পরজাতি উভয়ের জন্যই জল ও আত্মার সুসমাচার

 
 পৌল কেন বলেছিলে যে, তাঁর স্বজাতীয় মানুষের জন্য তাঁর হৃদয়ে মহাদুঃখ এবং নীরবচ্ছিন্ন বেদনা রয়েছে? তার কারণ ছিল যে, সহভ্রাতাদের জন্য পৌলের হৃদয়ে এমন আকাঙ্খা ছিল যে, তিনি নিজে তাদের জন্য অভিশপ্ত এবং খ্রীষ্টের থেকে আলাদা হতে চেয়েছিলেন। তার নিজের মাংসময় দেহ অনুসারে তিনি সত্যিই চেয়েছিলেন যেন তার স্বজাতীয় মানুষেরা পরিত্রাণ পায়।
এই শেষকালে সারা পৃথিবী ব্যাপী জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সত্য সুসমাচার প্রচার করা ঈশ্বরের সর্বোত্তম অভিপ্রায় এবং সেই সাথে নূতন জন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। এই শেষকালে ইস্রায়েলীয়রা জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করবে কি করবে না, আমাদের মনোযোগ আকর্ষনের সেটাও একটা দিক। আমাদের অবশ্যই ইস্রায়েলীয়দের জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যেতে হবে, যেন তারা সুসমাচার গ্রহণ করে, কারণ প্রভুর দ্বিতীয় আগমন একেবারেই আসন্ন।
এই বছরই আমার প্রার্থনার বিষয় হল, সারা পৃথিবী ব্যাপী সুসমাচার প্রচার করা এবং ইস্রায়েলীয়রা যেন সত্য সুসমাচার গ্রহণ করে। আমি আরো প্রার্থনা করছি যে, ইস্রায়েলদের নিজেদের ভিতর থেকে ঈশ্বরের সেবক বের হয়ে আসবে। একদা ঈশ্বর ইস্রায়েলদের তাঁর ব্যবস্থা দিয়েছিলেন এবং তিনি তাদেরকে তাঁর দৃষ্টিতে স্বর্গরাজ্যের প্রচারক তৈরী করেছিলেন। ইস্রায়েলদের মধ্য থেকে খ্রীষ্ট নিজেই মাংসময় দেহে এসেছিলেন। যদিও এখনও তারা তাঁকে বিশ্বাস করতে অ-স্বীকার করে।
 
 

প্রভু আমাদেরকে বলেন যে, তিনি যখন আবার আসবেন তখন কঠোরভাবে সত্যের সন্ধান করবেন

 
এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা যে, জল এবং আত্মার সুসমাচার যেরুশালেম হতে উদ্ভুত হয়ে সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করেছে। তথাপি এখনকার মানুষের হৃদয় কঠিনতর, অনেক লোক ভুল পথে সত্যের সন্ধান করছে।
সাম্প্রতিক কোরিয়াতে মুক্তি প্রাপ্ত একটি ছবির নাম দেয়া হয়েছে “দ্যা লাষ্ট টেম্পটেশন অব ক্রাইষ্ট” যেখানে যীশুকে জারজ সন্তান হিসাবে দেখান হয়েছে। এটা ছিল সম্পূর্ণ ঈশ্বর নিন্দা এবং এর প্রধান বার্তা ছিল যে, যীশু কখনই ঈশ্বর ছিলেন না, কিন্তু কেবল একজন সাধারণ মানুষ যেমন ইন্ডিয়ার যুবরাজ সিদ্ধার্থ বুদ্ধের মত পরিচিত ছিলেন। যীশু, ঈশ্বর এবং আমাদের মুক্তিদাতা এ সত্যকে এই ছবি পদদলিত করেছে। এ কারণে ঈশ্বর বলেছেন, “মনুষ্য পুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?” (লূক ১৮:৮)।
যীশু খ্রীষ্ট, যাকে আমরা বিশ্বাস করি, তিনি ঈশ্বর, তাঁর সমস্ত সৃষ্টির উর্দ্ধে এবং অনন্ত কালের জন্য সমস্ত প্রশংসার যোগ্য। ইস্রায়েলীয় হয়ে জন্ম গ্রহণ করেও, যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে মানব জাতির সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করে রক্ত বিসর্জন দিলেন এবং ক্রুশে মৃত্যু বরণ করলেন, তৃতীয় দিবসে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন এবং যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের মুক্তিদাতা হলেন। প্রভু যিনি ধার্মিকতার ঈশ্বর, যারা তাঁকে সমর্থন করে এবং বিশ্বাস করে তাদের, এবং আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন।
 পৌল আমাদেরকে বলেন, অব্রাহামের বংশউদ্ভুত কতজন ইস্রায়েলীয় যারা ঈশ্বরের সন্তান বলে দাবী করতে পারে, একমাত্র তারাই পারে যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে।
ইস্রায়েলীয়রা ভবিষ্যতে অনেক দুঃখ কষ্ট এবং পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। ঈশ্বরের ইচ্ছা যে, শেষে অনেকেই আসবে এবং আমাদের প্রভুকে তাদের মুক্তিদাতা হিসাবে বিশ্বাস করবে। যদিও আমাদের প্রভু পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং ঐ সমস্ত ইস্রায়েলীয়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যারা এখনও যীশুকে তাদের মুক্তিদাতা হিসাবে বিশ্বাস করতে অ-স্বীকার করে।
আপনি কি দূর্বল? হতে পারে, আমাদের মধ্যে অন্যদের থেকে দূর্বল অথবা শক্তিশালী। কিন্তু ঈশ্বরের সম্মুখে আমরা প্রত্যেকেই সম্পূর্ণ দূর্বলের ন্যায়। আমরা ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি, যারা একমাএ বিশ্বাস করে যে, প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন, বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর স্কন্ধে বহন করেছেন, এবং আমাদের জন্য বিচারিত ও দন্ডিত হয়ে ক্ৰুশে মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত। আমরা অবশ্যই ধন্যবাদ দেই এবং ঈশ্বরের শক্তিতে বিশ্বাস করি, যাহা তিনি তাঁর লোকদের এবং আমাদের পাপ থেকে মুক্তির জন্য দিয়েছেন। আমাদের ঈশ্বর সত্যিই মহৎ।
অনেকে মনে করেন যে, মানুষের কারণে সব কিছু জীবিত থাকে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, তারা মনে করে যে, মানুষের কারণে ব্যবস্থা শর্তহীন এবং মানুষের জন্য ব্যবস্থার উৎপত্তি। সে যাই হোক আমরা অবশ্যই বুঝতে পেরেছি, মানুষের দ্বারা সব কিছু সৃষ্টি করা সম্ভব নয়; একমাত্র ঈশ্বরের ইচ্ছায় এসব তৈরী করা সম্ভব। ঈশ্বর এই পৃথিবী এবং সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন। এমনকি মানুষের তৈরী ব্যবস্থা যাহা অপরিহার্যভাবে পৃথিবীতে আমাদিগকে পরিচালিত করে, তাহাও ঈশ্বরের ইচ্ছায় নিহি।
কারণ সমস্ত কিছুর মধ্যেই ঈশ্বরের কাজ এবং সমস্ত কিছুই তাঁর ইচ্ছানুসারে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা অবশ্যই সমস্ত কিছুর মধ্যে তাঁর ধার্মিকতা আবিস্কার করতে পারি। আমরা যখন দূর্বল ছিলাম, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যখন পাপ করেছিলাম এবং যখন তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, আমাদের পাপের পূর্ণতার কারণে ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টকে পাঠাতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। যীশু খ্রীষ্টকে মানব দেহে পাঠিয়ে তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেছিলেন, এবং তাঁর বাপ্তিস্ম, যার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের ও সমস্ত পৃথিবীর পাপ মুছে দিলেন।
এখন জল ও আত্মার সুসমাচার যখন পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে, ঈশ্বরের সঠিক পরিকল্পনা তখন পূর্ণ হবে। পৃথিবী উদঘাটিত হওয়ার ঘটনার দিকে যখন আমরা তাকাই, আমরা দেখি যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েল পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থিত, আমার বিশ্বাস ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আর একটি বিশ্বযুদ্ধ হওয়া খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার যখন ধংস হয়েছিল, সমগ্র বিশ্বে এর ভয়ানক প্রভাব পড়েছিল, এই সময় সমগ্র বিশ্ব যদি পুনরায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে? আর একটি বিশ্বযুদ্ধ হলে এ ক্ষতিপূরণ করার সামর্থ আমাদের নাই। এমনকি আমাদের সৃষ্ট এই সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি প্রকৃতিও পূরণ করতে পারবে না। আমি আশা করি আপনার সকলে প্রার্থনা করবেন, যেন জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারিত হয় এবং সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি বয়ে আনতে সমর্থ হয়। আমাদের দুর্ভাবনা এই যে, পৃথিবীতে শান্তি ব্যাতিত হয়তো আমরা এই কাজ করতে সমর্থ হব না। যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ করার প্রাণপণ চেষ্টা এবং শান্তির জন্য আমাদের সকলের প্রার্থনা করা উচিত।
মানুষের সৃষ্টি কোন ধর্ম মানুষের পাপসমূহ পরিহার করতে পারে না।একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট এবং তিনি একাই আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। একমাত্র যোহনের দ্বারা তাঁর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্ত আমাদের পাপ ধৌত করতে পারে। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তাদেরকেই এই আর্শীবাদ দেওয়া হয়েছে। যীশু খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম এবং তার রক্ত এই একটি মাত্র পথ বিশ্বাস করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আর অন্য কোন পথ নেই। অন্যান্য ধর্মের লোকেরা যেমন ধর্মীয় আচার- অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমার জন্য অনুতাপ করে, আমরা সেভাবে অনুতাপ করি না। বরং, আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য একটি মাত্র পথ হচ্ছে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করা যা আমাদেরকে সম্পূর্ণ এবং পরিপূর্ণ ভাবে আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে, যীশু মানব দেহে অবতারনের মাধ্যমে তিনি বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছে।
 
 
জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছি
 
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তে অবশ্যই এই সত্য প্রচারিত হতে হবে। আমাদের অশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, ইস্রায়েলীয়দের অনুরূপ পরজাতীয়রা এই সত্যে বিশ্বাস না করে পাপ করছে। প্রত্যেকেরই জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্যে অবশ্যই বিশ্বাস করা উচিত।
ইস্রায়েলীয়রা এবং পরজাতীয়রা উভয়েই এই পৃথিবীতে থাকা কালীন পাপ না করে পারে নাই। কিন্তু আমাদের প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম দ্বারা তৎক্ষণাৎ এবং চিরকালের জন্য এই সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশীয় রক্তের সত্য থেকে আর কি কোন পরিষ্কার এবং সরল সত্য হতে পারে? যোহন কেন যীশুকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন? তিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন যাতে তিনি তৎক্ষণাৎ আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিতে পারেন। মানুষ এই সত্যকে হৃদয়ে বিশ্বাস এবং গ্রহণ না করার দ্বারা, নিজেদের পাপের কারণে, তাদের নিজেদের ধংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
 যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন, “এইরূপে” (মথি ৩:১৫) সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করেছিলেন। ‘এইরূপে’ শব্দটি গ্রীক ভাষায়, যার অর্থ এই উপায়ে’, ‘এছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।’ এই শব্দ দ্বারা দেখান হয়েছে যে, যীশু যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তিস্ম হওয়ার মাধ্যমে সমস্ত মানব জাতির পাপ নিশ্চিতভাবে তুলে নিয়েছেন, তিনি আমাদের পক্ষে ক্রুশ বহন করছিলেন এবং ক্রুশে রক্তপাত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এটাই প্রায়শ্চিত্তের সত্য যার দ্বারা সমগ্র মানব জাতির পথ তাদের পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে।
আমাদের প্রভু আমাদিগকে বলেছেন, “তোমরা যদি আমার বাক্যে স্থির থাক, তাহা হইলেসত্যই তোমরা আমার শিষ্য; আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে।” ইহা ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণভাবে আছে যে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর রক্ত ঈশ্বরের সত্য, যা আমাদিগকে পাপ থেকে মুক্ত করে। প্রায়শ্চিত্তের চরম সত্য হল জল ও আত্মার সুসমাচারেই অনন্ত জীবন। পিতা ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছানুযায়ী যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্তের দ্বারা পাপীদের পাপ মোচনের সংকল্প করেছিলেন। যখন আমরা আমাদের মুক্তির জন্য তাঁর বাপ্তিস্ম রক্তে বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাদের জন্য নিরূপন করে রেখেছিলেন। আমাদের পাপ শুধু তখনই মোচন হয়, যখন আমরা জল ও আত্মার সত্যে বিশ্বাস করি।
এই মুহূর্তে আপনি যদি খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় রক্তকে আপনার পাপ মোচনের সত্য হিসাবে বিশ্বাস করেন, তাহলে এখন আপনি একজন ধার্মিক। কিন্তু অন্যকথায়, আপনি যদি বিশ্বাস না করেন, তাহলে আপনি পাপী রয়ে গেলেন। “সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব বিহীন হইয়াছে।” একমাত্র যীশুকে ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস দ্বারাই আমরা আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা পেতে পারি এবং ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি। কেউ কেন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করবে না, এর কোন কারণ নেই। এমন কেউ নেই যার এই পাপ মোচনের সুসমাচারের প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকের এটা প্রয়োজন। জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য তার (পুরুষ/নারী) সম্মুখে যখন এতই পরিষ্কার তাহলে কেনসবাই এটা বিশ্বাস করছে না এবং এটা কি তার (পুরুষ/নারী) পাপ পরিষ্কার করতে তার (পুরুষ/নারী) অনীহা?
অনেকে ভাবেন পৃথিবী জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করেছে এবং এমনকি আরো এটা প্রচারিত হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ আমাদের বইগুলোর স্বেচ্ছায় বিতরণকারী হতে চেয়েছে। যদি আপনি শুধু ক্ৰুশীয় রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা পাপ থেকে মুক্ত হতে পারেন, তাহেল এই পৃথিবীর সবাই পাপমুক্ত হয়ে ধার্মিক হয়ে যাবে। যদি কেউ শুধু ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে, নিয়ম মাফিক প্রতিদিনের প্রার্থনার মত যদি অনুতাপের প্রার্থনা করে এবং খাঁটি ধার্মিকের ন্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে তবে, তারা অবিরত পাপ করতে থাকে।
যদি অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা আপনার পাপ ধৌত করার চেষ্টা করেন, তাহলে এই ধরণের কাজের জন্য ঈশ্বর এবং তাঁর ধার্মিকতার বিরুদ্ধে আপনি আসলেই একজন কবর প্রাপ্ত পাপী, নিজের ইচ্ছায় পূর্ণতায় আপনি আপনার পাপ ধৌত করতে পারেন না, কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশে আত্মেউৎসর্গ যার মাধ্যমে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং আমাদের স্থলে শাস্তি ভোগ করেছেন, শুধুমাত্র এর দ্বারাই পারবেন।
যদি আপনি যীশুকে ত্রাণকর্তা হিসাবে গ্রহণ করেন তাহেল বিশ্বাস করুন যে, যীশুর বাপ্তিস্ম এবং তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আপনার পাপ মোচন হচ্ছে। যীশু পাপীদের পাপ থেকে মুক্ত করতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, এবং যোহনের দ্বারা যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়ে এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনের দ্বারা তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছিলেন। এই সত্যে আমাদের বিশ্বাস না করার কি কারণ থাকতে পারে? আপনাকেই অবশ্যই আপনার পাপের মোচন হিসাবে যীশুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত সেচনে বিশ্বাস করতে হবে।
মথি ৩:১৩-১৭ পদে এই সত্য পাওয়া যায় যে, যখন যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন তখন পৃথিবীর সমস্ত পাপ তিনি তাঁর নিজের উপর তুলে নিয়েছেন। যারা স্বেচ্ছায় এই সত্য বিশ্বাস না করে তাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা প্রত্যাখান করা হবে। আপনি ঈশ্বরের সন্তান হতে পারেন এবং অনন্ত জীবন লাভ করতে পারেন শুধু মাত্র যদি জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্যে বিশ্বাস করেন-অন্য কিছুই আপনাকে পাপ থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। এই সত্যে বিশ্বাসের চমৎকার আর কিছু নেই, তাঁর ক্ষমতার চেয়ে ঈশ্বরের কোন উত্তম দান আর নেই; ঈশ্বর আমাদিগকে যা কিছু দান করেছেন তার মধ্যে পাপ মোচনই সর্ব শ্রেষ্ট দান।
ঈশ্বর দ্বিতীয় যে সর্বশ্রেষ্ঠ দান আমাদিগকে দিয়েছেন তা হল, আগত সহস্রাব্দ, যেখানে আমরা রাজত্ব করব, এবং তৃতীয় দান হল, অন্তকালের জন্য আমরা স্বর্গরাজ্যে ঈশ্বরের সাথে রাজত্ব করব। এমনকি এই শেষ কালে ঈশ্বর এই পাপ মোচনের সত্যকে ইস্রায়েলীয় এবং পরজাতীয়দের মধ্যে প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছেন।
শাস্ত্রের ভাববাণী অনুসারে, ইস্রায়েলদের মধ্য হইতে ঈশ্বরের দুই সেবক উঠে আসবে এবং ঈশ্বর তাদের মাধ্যমে সুসমাচারের অদ্ভুদ আশ্চর্য্য কাজ করবেন। ঈশ্বরের পাঠানো সেই দুই ব্যক্তি মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচার ঈশ্বর ইস্রায়েলদের শুনাবেন এবং অনেকেই যীশুকে যীশুকে তাদের মশীহ বলে বিশ্বাস করবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষ করি, যোহন যেমন প্রতিক্ষা করতেন “প্রভু যীশু, আইস!”
প্রভুর যখন আগমনের সময় আসবে, আপনি অনুধাবন করতে পারবেন, এই বিশ্বাস থাকার কারণে আপনি কত কৃতজ্ঞ, যার দ্বারা আপনি ক্ষমা পেয়েছেন এবং মুক্ত হয়েছেন। এটা আমার অন্তরের লব্ধ ইচ্ছা যে আপনি আপনার সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হতে জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করুন। পৃথিবী পরিবর্তিত হবে, কিন্তু যার দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন, সেই জল ও আত্মার সত্য সুসমাচার পরিবর্তিত হবে না, তা অনন্তকাল স্থায়ী। আমাদের অবশ্যই পাপ মোচনের অপরিবর্তনীয় পরিত্রাণের নিমিত্ত এই সত্য বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে আপনি ঈশ্বরের প্রায়শ্চিতে সত্যের অধিকারী হবেন।
 
 
ঈশ্বর আমাদেরকে অনুগ্রহেরপাত্র করার দ্বারা আমাদেরকে মুক্ত করেছেন
 
 রোমীয় ৯ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ আছে যে, ঈশ্বর যাকোবকে রক্ষা করেছিলেন, কারণ তিনি তাকে এষৌর চেয়ে বেশী প্রেম করতেন। এরূপে এষৌ যখন ক্রোধের পাত্র তখন যাকোব একজন অনুগ্রহের পাত্র হয়েছিলেন। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে কেন? তাহলে ঈশ্বর কি এষৌকে বাদ দিয়ে যাকোবের পক্ষে ছিলেন? নিঃসন্দেহে, প্রচুর লোক আপত্তি করতে পারে “কারণ ঈশ্বর একতরকাভাবে এবং কুসংস্কারগ্রস্থভাবে একজনকে প্রেম করতে নির্বাচন করলেন, অন্য দিকে অন্যজনকে কোন কারণ ব্যতিত ঘৃণা করলেন, তার পূর্বে নিরূপন এবং নির্বাচন ভুল ছিল।”
 আমরা যখন ঈশ্বরের সৃষ্ট পৃথিবীর দিকে তাকাই, আমরা তাঁর সৃষ্ট গুলো কত সুন্দর এবং নিখুত। বৃক্ষ, জীবজন্তু এবং ঈশ্বরের অন্যান্য জিনিস মনে হয় আসলে যথার্থ। তাহলে ঈশ্বর কিভাবে একজনে আসক্ত হয়ে তাকে প্রেম করেন এবং অন্য জন ঘৃণা করেন? কিন্তু এটা কোন ঘটনা নয়।
 আদম এবং হবার অবধ্যতার কারণে জগতে পাপ প্রবেশ করল এবং পাপের কারণে যারা তাদের পরে আসল তাদের গন্তব্য ও ছিল পাপ এবং তারা নরকের প্রায়শ্চিত্ত এড়াতে পারবে না। এ কারণেই ঈশ্বর যাকোবকে পাপ মুক্ত করলেন এবং এষৌকে করলেন না, এতে তার কোন ভুল কাজ প্রকাশ পায় না, ঈশ্বরের প্রত্যোটি এরকম কাজের কারন হয়েছে।
খ্রীষ্টিয়ান সমাজে এষৌর মত স্বভাবের অনেককেই আমরা খুঁজে পাই। প্রকারভেদ, এই ধরণের লোকেরা কখনো উপসনা বাদ দেয় না, সকাল রাতের উপাসনা গুলো কোথায় কখন করে সেটা কোন ব্যপার নয়। অনেকে বাড়ী থেকে মন্ডলীতে বেশী সময় ব্যয় করে, মন্ডলীর কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয় বাড়ীর কাজ বাদ দিয়ে। আমরা তাদেরকে বলি “ধর্মের দালাল।” যাহোক, তাদের মধ্যে অনেকেই ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে যথার্থভাবে গ্রহণ করে না। তারা এরূপ করেছে কারণ তারা নিজেদের ধার্মিকতা তৈরী করছে এবং ঈশ্বরের ধার্মিকতা অগ্রাহ্য করছে।
এমনকি যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে অগ্রাহ্য করে, স্বর্গেও যেতে চায় এবং তাদের পাপের ক্ষমা পেতে চায়। কিন্তু ঈশ্বরের সম্মুখে, তাদের ইচ্ছা হল নিজেদের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করা, তাদের পাপ থেকে মুক্ত হবার চেষ্টা নয়। যারা তার ধার্মিকতায় বিশ্বাস না করে, তিনি তাদের বলেছেন যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস প্রত্যেকের জন্য নয়।
তাহলে কোন ধরণের লোকেরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করতে পারে? এরা এই ধরণের লোক যারা তাদের পাপকে চিনতে পারে, নিজেকে চিনতে পারে, এবং বুঝতে পারে যে, তারা মূল্যহীন। তারা এই ধরণের লোক যখন তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে তাঁর প্রায়শ্চিত প্রতীয়মান করার মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা উদ্ভাবন করে, তখন তাৎক্ষণিক ভাবে এতে বিশ্বাস করে এবং ঈশ্বরের গৌরবের কাছে ফিরে আসে। তারা মনে করে আমরা তুচ্ছ মানুষ, তাদের ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রয়োজন। নতুবা, আমাদের বাকী জীবনে পাপের দন্ড পেতে হবে।
কিন্তু ঈশ্বরের সম্মুখে বা নিজেদের ধার্মিকতার অনুসন্ধান করে তারা অহংকারী। এই ধরণের মানুষেরা অবশ্যই বলে “প্রভু আমি দশমাংশ দিয়েছি, সারা রাত তোমার কাছে প্রার্থনা করে কাটিয়েছি, গত দশ বছরের জন্য কখনও প্রতিদিনের সকালের উপাসনা বাদ দেই নাই এবং তোমার জন্য উত্তম কাজ করেছি।”
 যাহোক, যদি সে বুঝতে পারে যে তার (পুরুষ/নারী) অদৌ কোন ধার্মিকতা নেই; এভাবে নিজস্ব ইচ্ছা প্রমাণ করার চেষ্টা ব্যতিত সে যদি জল ও আত্মার প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, যা সে করে নাই এবং যে বিশ্বাস তার নাই, তাহলে ঈশ্বরের অনেক সন্তুষ্ট হবেন।
 এমন কি বর্তমান খ্রীষ্টিয়ান সমাজে এই ধরণের প্রচুর লোক আছে, যারা নিজেদের ধার্মিকতা দেখানোর জন্য সব ধরণের করছে এমন কি কেউ বিশস্ত ভাবে তাদের কথায় কাজ করে। কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় স্পষ্ট বিশ্বাস না করার কারণে, তাদের পাপ সম্পূর্ণ ভাবে ধৌত হয় না। ঈশ্বর তাদের নিঃশেষ করতে সংকল্পবদ্ধ। আমরা আশা করি যে, প্রভুর প্রাশিজত্তের সত্য অনুসারে তাঁর বাপ্তিস্ম এবং রক্তে বিশ্বাসের দ্বারা পাপমুক্তি মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের সন্তান হতে পারে।
পরিত্রাণের পাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পৌল বলেছেন যে, ঈশ্বর যাদের অনুগ্রহ করেন তাদের অনুগ্রহই করেন, আর যাদের করুণা করেন তাদের করুণাই করেন। এই সমস্ত লোক কারা যারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করে? সমস্ত মানব জাতি ঈশ্বরের ব্যাখ্যানুযায়ী জীবন- যাপন করে না। যদিও আসলে সেই করতে চায়। তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করতে এবং জীবন-যাপন করতে গিয়ে তারা বার বার হোচট খায় এবং নিজেদের স্বইচ্ছাকে অবজ্ঞা করে। তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে শেষকালেযন্ত্রনা অনুভব করবে, পাপের জর্জরিত হবে, এবং ভাবে যে, তারা অযোগ্য এবং নরকে যাবে। এভাবে তারা ঈশ্বরের নিকট অনুগ্রহ যন্ত্রনা করে এবং বুঝতে পারে যে, এই পৃথিবী এবং স্বর্গ-রাজ্য উভয় স্থানে তারা তুচ্ছ। কারণ তারা জানে যে তাদের উপর ঈশ্বরের অনুগ্রহ ব্যতিত তারা রক্ষা পাবে না, এজন্য তারা তাঁর নিকট হতাশভাবে অনুগ্রহ যাচ্ঞা করে।
অন্যকথায়, তারা পাপ থেকে মুক্তি পায় যাদের জন্য ঈশ্বর ব্যাথ্যা অনুভব করেন এবং তাদেরকে তিনি অনুগ্রহ করেন। এই সমস্ত লোকদের জন্য ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্রের বাপ্তিস্ম, ক্রুশীয় মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের দ্বারা সমস্ত পাপ তাঁর উপর অর্পণ করার মাধ্যমে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রদান করলেন-তাদের সবাইকে অবশ্যম্ভাবী ধংস থেকে রক্ষা করবেন আমাদের পিতা তাদের অনুগ্রহ করেন যারা তুচ্ছ।
কিন্তু পৃথিবীতে যাদের অনুগ্রহ করেন, মনে হয় তাদের চাইতে আরো অনেক লোক আছে, কারণ যাদের উপরে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত। ঈশ্বর আমাদিগকে বলেছেন যে, এই বর্তমান খ্রীষ্টিয়ান সমাজে অনুগ্রহের পাত্র এবং ক্রোধের পাত্র উভয়ই রয়েছে। অন্যকথায়, কিছু মানুষকে প্রেম করেন এবং কিছু মানুষকে প্রেম করেন না।
রোমীয় ৯ অধ্যায়ে ১৭ পদে বলা হয়েছে, “কেননা শাস্ত্র ফরৌণকে বলে ‘‘আমি এই জন্যই তোমাকে উঠাইয়াছি, যেন তোমাতে আমার পরাক্রম দেকাই, আর যেন সমস্ত পৃথিবীতে আমার নাম কীৰ্ত্তিত হয়।” ঈশ্বর ফরৌণের মত লোকদের উঠান, যাতে তাঁর শক্তি পরাক্রম প্রকাশ পেতে পারে। যাহোক, অনুগ্রহের পাত্রদের প্রতি তিনি তাঁর প্রেম প্রদর্শন করেন, যেন সারা পৃথিবীতে তার নাম ঘোষিত হয়। আমাদে পাপের এবং ঈশ্বরের ক্ৰেধের কারণে আমরা সবাই নরকগামী। কিন্তু আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত এবং ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতার প্রেম আমাদিগকে দান করেছেন, এজন্য যারা তাকে বিশ্বাস করে তিনি তাদের অনুগ্রহ করেন।
যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না, এবং শুধু নিজেদের ধার্মিকতার পিছনে দোঁড়াতে আগ্রহী তারা ঈশ্বরের বিপক্ষে চলছে। এরাই সেই লোক যাদের জন্য ঈশ্বর ক্রোধ রেখেছেন, তাঁর বিপক্ষ অবশ্যই একজন প্রয়োজন। এভাবেই ঈশ্বরের বিচারের ন্যায্যতা দেখানো হয়েছে।
যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা অগ্রাহ্য করে তারা ফরৌণের ন্যায়। ফরৌণের জন্য ঈশ্বর দশ আঘাত দেখিয়েছিলেন, শেষ আঘাত ছিল মৃত্যু। যারা ঈশ্বরকে অগ্রাহ্য করে তাদের জন্য অনন্ত আগুনের হ্রদ অপেক্ষা করছে। এটাই ঈশ্বরের শক্তির ক্রাধ। পৃথিবীতে অনেক শক্তিমান লোক আছে এবং অনেকে আছে যারা ঈশ্বরকে অস্বীকার করে, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর পরাক্রম প্রকাশ করতে পরিনামস্বরূপ তাদেরকে নীচে নামাবেন। এজন্য যারা তাঁকে অস্বীকার করে, তিনি সে সমস্ত কঠিন হৃদয়ের লোকদের পরিত্যাগ করবেন।
তাহলে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কি, এরূপ হওয়ার কারণে কিভাবে আমরা তাঁর অনুগ্রহের পাত্র হতে পারি, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রেমে বিশ্বাস করতে পারে। ঈশ্বরেরধার্মিকতার প্রেমে বিশ্বাসের জন্ম হওয়ার ব্যতিরেক ঈশ্বরের সম্মুখে দেখানোর আমাদের কিছুই নাই। বাইবেল আমাদেরকে একজন করগ্রাহী ও একজন ফরাশী ঈশ্বরে সম্মুখে প্রার্থনা করছিল। ঈশ্বর প্রথম জনের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন কিন্তু পরের জনের কাছে হিসাবে পরিচিত, তারা উত্তম কিছু করে না। সেজন্য সেজন্য তারা গৌরববিহীন হয়। অতএব তারা ঈশ্বরের কাছে অনুগ্রহ যাচ্ঞা করে।
এই ধরণের লোকেরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রেমে আবৃত হবে। কিন্তু যেসমস্ত লোকেরা ফরীশীদের ন্যায় ঈশ্বরের পক্ষে কি করছে, তাই নিয়ে বড়াই করে যেমন, তারা দশমাংশ দেয়, সপ্তাহে দুই দিন উপবাস করে, তারা প্রার্থনা করে এবং তারা ধার্মিক। ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের কর্মের উপরে নির্ভর করেই হয়ত তাঁর ধার্মিকতার প্রেমে আবৃত হব নয়তো তাঁর ক্রোধে শাস্তির যোগ্য হব। আমরা যদি ঈশ্বরের সম্মুখে আমার হৃদয় কঠিন করি, তাহলে আমাদের পাপসমূহ চিরদিনের জন্য ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যাবে। ক্ষমা ব্যতিত আমাদের গন্তব্য নরক।
 জল ও আত্মার সুসমাচার সারা পৃথিবীতে প্রচারিত হচ্ছে। তাদের হৃদয়ে কঠিনতর কারণে অমুক্তিপ্রাপ্তরা অমুক্তিপ্রাপ্তই থেকে যাবে। মানুষের ধার্মিকতায় কিছুই নেই; শুধুমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রেমে আবৃত হতে পারি। যাদেরকে ঈশ্বর সৃষ্টি কেরছেন, তারা যদি তাঁর ধার্মিকতাকে চিনতে না পারে, তবে তিনি তাদের ঘৃণা করেন। কিন্তু যারা ঈশ্বরের ধর্মিকতায় জল ও আত্মার সুসমাচরে বিশ্বাস করে, তারা প্রত্যেকে তাঁর প্রেম ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে।
পৃথিবীতে আজকে অনেক লোক ঈশ্বরের সম্মুখে ক্রোধের পাত্র হয়ে জীবন যাপন করছে। এই করণে আমাদেরকে ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে শিখতে হলে রোমীয় পুস্তক পড়ার প্রয়োজন। কিছু লোককে ঈশ্বর প্রেম করেন এবং অন্যদের করেন না, এর কারণ হচ্ছে, কেউ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, কেউ করে না। এই সত্যটাই আমি বলতে চাচ্ছি। যাকোব এবং এষৌর প্রতি ঈশ্বর যা করেছিলেন তা সঠিক ছিল। যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, তাদের মধ্যে অনেকে জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাস ব্যাতিত ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র হবে। এই ধরনের লোকেরা এষৌর মত এবং ঈশ্বর তাদের পাপ ধরে বিচার করবেন। 
 যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত করতে ঈশ্বর যীশুকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন একেবারে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তুলে নিতে। আপনি কি এই সত্য বিশ্বাস করেন? আপনি আপনার হৃদয়ে গভীরভাবে এই সত্য বিশ্বাস করেন? জল ও আত্মার সুসমাচারে দেখানো ঈশ্বরের ধার্মিকতায় যখনই আমরা বিশ্বাস করি, তৎক্ষনাৎ আমরা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হই। যীশু একেবারে পৃথিবীর সমস্ত পাপ তাঁর কাঁধে তুলে নিতে ক্রুশে মরেছেন এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, যাতে আমরা একেবারে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হই।
কিন্তু আমরা যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা ব্যাতিত পাপের প্রতিকার করতে উদ্বত হই, তাহলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করি। যদি আমরা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস না করি, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে, আমাদের পাপের জন্য প্রতিদিন যীশুকে বাপ্তাইজিত এবং মরতে হবে। অসীম জ্ঞানের ঈশ্বর কি এই ধরনের পথ পছন্দ করবেন? আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করতে ঈশ্বর একবারই তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছিলেন বাপ্তাইজিত হতে, ক্রুশবিদ্ধ হতে এবং শুধু একবারই পুনরুত্থিত হতে, যাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে একবারেই আমাদেরকে মুক্ত করতে পারেন।
 আমাদের ঈশ্বর ধার্মিক ঈশ্বর। ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা আমাদের পাপ মোচনের সংকল্প করেছিলেন। আমরা পাপ করে সবসময় ঈশ্বরের ক্ষমা প্রার্থনা করলেই ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দেন না। পরন্তু, তিনি তাদের পাপ মুছে দেন, যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা তৎক্ষনাৎ এবং একেবারের জন্য পাপ মুক্ত হয়েছে।
তাহলে আমরা প্রতিদিন যে পাপ করছি, তার কি হবে? যখন আমরা ধন্যবাদ সহকারে তাঁর ধার্মিকতার বন্দনা করি এবং তাঁকে সমস্ত গৌরব প্রদানকরি, এগুলো আমাদের পাপ তুলে নেয়। ঈশ্বরের দৃষ্টিকোন থেকে, যীশুর বাপ্তিস্ম, ক্রুশে রক্ত সেচন এবং আমাদের হলে বিচারিত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের পূর্ণ পরিত্রাণে জন্য পৃথিবীর সমস্ত পাপ তৎক্ষনাৎ এবং একেবারে তুলে নিয়েছেন। ঈশ্বরের সংকল্পিত পৃথিবীর সমস্ত পাপ একেবারে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রেমের ধার্মিকতা পূর্ণ হয়েছে।
 রোমীয় ৯:২৫ পদে বলা হয়েছে, “যেমন তিনি হোশেয়-গ্রন্থেও বলেন, “যাহারা আমার প্রজা নয়, তাহাদিগকে আমি নিজ প্রজা বলি, এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাহাকে প্রিয়তমা বলিব।””” হ্যাঁ, ঈশ্বর বলেন যে, তিনি তাদেরকে আহবান করবেন, যারা তাঁর লোক নয় । আমরা যে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, তা কোন পদ্ধতি নয়, কিন্তু সত্য হল যে, আমরা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হই। কারণ, এটাই সত্য যে, যারা তাঁর ধার্মিকতা অগ্রাহ্য করে তারা ঘৃনিত এবং এষৌর মত বিচারিত হবে। ঈশ্বরের সম্মুখে তার (পুরুষ/নারী) ধার্মিকতার দম্ভ করতে পারে না।
আমাদের সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করতে ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতার মাধ্যমে আমাদেরকে মুক্ত করলেন। তাহলে কেন আমরা তাঁর ধন্যবাদ ও প্রশংসা করতে পারি না? আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা এবং সুসমাচার ধন্যবাদ এবং বিশ্বাস সহকারে চারিদিকে না ছড়িয়ে পারি না।