Search

শিক্ষা

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[10-1] রোমীয় পুস্তকের দশম অধ্যায়ের উপস্থাপন

লোকেরা কি তাদের নিজেদের ধর্ম প্রবণতা, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করনার্থে অন্বেষণ করে না? বাইবেল বলে যে, এইরূপ লোকেরা, ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে বিশ্বাস করে না বরং ঈশ্বরের বিপরীতে গিয়ে তাদের নিজেদের ধার্মিকতাকে অনুসন্ধান করে। এই লোকেরা কি করবে?
 ঈশ্বরের পরিকল্পনা ছিল কি সমস্ত মানবজাতিকে তাঁর সাধিত পরিত্রাণ দেওয়া, যাহা ঈশ্বরের ধার্মিকতা এবং ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে দিয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন? অবশ্যই তিনি করেছেন! যীশু অতিশয় মূল্য দিয়ে সমস্ত পাপী মানুষকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তিনি এই পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন, ক্রুশের ওপরে পেরেকে বিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন, এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। তিনি এসেছিলেন, বস্তুতঃ যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের রক্ষা করতে।
 পিতা ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টকে ইস্রায়েলীয়দের কাছে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের ধার্মিকতা যীশুকে গ্রহণ করে নাই। পরিবর্তে তাদের নিজেদের ধার্মিকতার প্রতি মন সম্পূর্ণ আবিষ্ট করেছে, এমনকি এই পর্যন্ত তারা তাকে তাদের লোকদের মুক্তিদাতা এবং তাদের আত্মাগণের রক্ষাকারী হিসাবে গ্রহণ করতে অসমর্থ হয়েছে। 
পৌল বলেন যে, যারা ঈশ্বর থেকে প্রেরিত হয়েছেন তারা সুন্দর সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে ইহা শুনতে পারবেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরূপ তাঁর প্রেরিত সুসমাচার ঈশ্বরের দাসদের কাছ থেকে শুনতে পারবেন। আপনি এই সুযোগ নষ্ট করতে পারেন না। কেবলমাত্র ঈশ্বরের দাসগণের দ্বারা প্রচারিত যিনি তাঁর ধার্মিকতা জানেন এবং বিশ্বাস করেন সেই জল এবং আত্মার সুসমাচার শুনতে শুনতে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন যে, ঈশ্বর আপনাকে পাপের ক্ষমা এবং তাঁর ধার্মিকতা দিয়েছেন।
জল এবং আত্মার সুসমাচার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম এবং সুন্দর সুসংবাদ। ইহা এমন উত্তম এবং সুন্দর সুসংবাদ যাহা পাপীদেরকে তাদের পাপ থেকে রক্ষা করেছে। এই সুন্দর সুসংবাদ লোকদের আত্মা পূর্ণ করেছে, কারণ, জল ও আত্মার সুসমাচার ঈশ্বর আত্মার জন্য যথার্থ খাদ্য রূপে দিয়েছেন।
এই সুন্দর সুসমাচারে যীশু খ্রীষ্ট কর্ত্তৃক পাপীদের উদ্ধারের শর্তে ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রত্যেকের পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জল ও আত্মার সুসমাচারে পাপের মোচনের দ্বারা আমাদের মনে শান্তি আনতে আশীর্বাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 
ঈশ্বরের ব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করি, ইস্রায়েলীয়রা তাদের নিজেদের ধার্মিকতার অন্বেষণ করতে ব্যস্ত ছিল। কারণ, তারা ভাবত যে তাদের ব্যবস্থার প্রতি বাধ্যতা তাদের নিজেদের ধার্মিকতাকে সমৃদ্ধ করেছিল, তারা তাদের ত্রাণকর্তা রূপে যীশুকে গ্রহণ করে নাই। তারা তাদের নিজেদের ব্যবস্থা অনুসন্ধানে এত উৎসুক ছিল যে, তারা এমনকি ঈশ্বরের ধার্মিকতাকেও সহ্য করতে পারে নাই। তারা তাদের নিজেদের ধার্মিকতা অনুসন্ধানে চেষ্টা করতে গিয়ে এমনকি আজও তারা তাদের মুক্তিদাতারূপে প্রভুকে গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাইবেল আমাদেরকে কি বলে যে, ইস্রায়েলীয়রা তাদের ধার্মিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইস্রায়েলীয়রা বলেছে যে তাদের মন ব্যবস্থার দ্বারা সম্পূর্ণরূপে আবিষ্ট, পৌল তাদের বিশ্বাসের প্রতি কঠোর ভর্ৎসনা করে বলেছেন, “কেননা ধার্মিকতার নিমিত্ত, প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে, খ্রীষ্টই ব্যবস্থার পরিণাম” (রোমীয় ১০:৪)। 
বিধিসংগত বিশ্বাস চালোনা দেয় যে ঈশ্বরের বিপরীতে নিজেদের ধার্মিকতার বিশ্বাস সঠিক নয়। যদিও ইস্রায়েলীয়রা পুরাতন নিয়মে বিধি পালন করতে নিষ্ঠাবান ছিল, তারা যীশুকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যিনি ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরূপ তাদের ত্রাণরর্তা ছিলেন, এবং তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের আবেগ পূর্ণ অহংকারের বিষয় যে ঈশ্বরের দত্ত বাক্য অনুসারে তারা মনোনীত জাতি যাহা তারা অনুসরণ করেছিল, ইস্রায়েলীয়রাই ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ব্যর্থ জাতি।
 
 

আপনি কি আপনার নিজের ধার্মিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে মন সম্পূর্ণরূপে আবিষ্ট করেছেন?

 
ব্যবস্থার প্রতি আবেগপূর্ণ আগ্রহ ছিল ইস্রায়েলীয়দের সমস্যা তবে তাদের প্রবল ইচ্ছা ছিল তাদের নিজেদের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করা। তাদের নিজেদের ধার্মিকতার কারণে আমাদের প্রভুর দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করতে সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করেছিল। 
ইস্রায়েলীয়দের বিধিসংগত বিশ্বাসের ফলে তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, এবং ফলে অপরিবর্তনীয় থাকায় সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোন উপলব্ধি ছিল না। তাদের এই বিধি বিধান অনুসরণে কি কোন ভাল অথবা লাভ এনে দিয়েছে? ইহা ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে তাদের ভাবাবেগ ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে জানতে এবং বিশ্বাস করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। পুনরায় আমরা অবশ্যই উপলব্ধি করব যে, “আবেগ পূর্ণ আগ্রহ” তাদের ব্যবস্থার যথার্থতা যাচাই করতে দেয় নাই বরং শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিরুদ্ধে নিজেদেরকে চালোনা দিয়েছে।
 বাইবেল পরিষ্কার ভাবে আমাদিগকে বলেছে যে, প্রত্যেকে বিশ্বাস করে যীশু ধার্মিকতার পক্ষে শেষ বিধান। আমাদের প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের ওপর রক্ত সেচন দ্বারা জগতের পাপভার তুলে নিয়ে ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণতা সাধন করেছেন, ইস্রায়েলীয় এবং পরজাতীয় সকলের পাপ ধৌত করেছেন। এইরূপে জল ও আত্মার সুসমাচার ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে অন্তর্ভূক্ত করেছে, ব্যবস্থাকে নয়, যেন সকল পাপীদের পক্ষে মরুভুমির উদ্যান স্বরূপ হয়। জল ও আত্মার সুসমাচার আমাদের পক্ষে সত্য অনুমোদন করার শর্তে আমাদের সকল পাপ মুছে দিয়েছে। তাছাড়া কিভাবে জল ও আত্মার সুসমাচার পৃথিবীর সকল পাপীদের অন্তরে সত্য অনুমোদন করতে পারেন?
এখানে রোমীয়দের পুস্তকে, পৌল আমাদেরকে বলেছেন যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাস ব্যাতিত কারো নিজের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করা গুরুত্বপূর্ণ পাপ। পরজাতিগণ, তথা আমাদের জন্য কি ধরনের সুন্দর সুসমাচার দেওয়া হয়েছে? এই সুসমাচার আমাদেরকে বলেছে যে, আমাদের প্রভু যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন।
এই সুসমাচার মথি ৩:১৩-১৭ পদে সংরক্ষন করা হয়েছে, যাহা সাক্ষ্য বহন করেছে যে, যীশু জগতের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, “তৎকালে যীশু যোহন দ্বারা বাপ্তাইজিত হইবার জন্য গালীল হইতে, যর্দ্দনে তাঁহার কাচে আসিলেন। কিন্তু যোহন তাঁকে বারণ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, আপনার দ্বারা আমারই বাপ্তাইজিত হওয়া অবশ্যক, আর আপনি আমার কাছে আসিতেছেন? কিন্তু যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত। তখন তিনি তাঁহার কথায় সম্মত হইলেন। পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া আপনি জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন। আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত”। এইভাবে যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্মের মাধ্যমে জগতের পাপভার নিজের উপরে তুলে নিলেন।
 পৌল ব্যবস্থাবেত্তাদের কঠোর ভাবে ভর্ৎসনা করলেন যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না বললেন “কে স্বর্গ পর্যন্ত উঠবে? (উহা এই, খ্রীষ্টকে উপর থেকে নামানো হলো)।” ভিন্নভাবে এই প্রশ্ন করে বললেন, “কে কেবলমাত্র ব্যবস্থা পালন করে তার পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারেন?” পৌলের প্রশ্নের উদ্দেশ্য ছিল নির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থা পালন করে কখনো পাপ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না। তিনি আমাদের বলেছেন যে, অন্যথায় আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আর কিছুই করতে পারি না।
পৌল প্রায়ই তার পত্রে ঈশ্বরের ধার্মিকতার বিষয়ে বলতেন পৌলের উত্তরে বিশ্বাসের সত্যতা দেখতে পাওয়া যায় রোমীয় ১০:১০পদে, সেখানে বলা হয়েছে, “কারণ লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে, ধার্মিকতা জন্য, এবং মুখে স্বীকার করে, পরিত্রাণের জন্য।” পৌলের দ্বারা প্রচারিত সুসমাচার ছিল আমাদের প্রভুর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশের উপরে তাঁর রক্ত সেচন এবং সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা গ্রহণ করতে পারি; যার মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, প্রভু আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন, এবং তিনি তাঁকে অনুমোদন করেন যিনি এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে মনে প্রকৃত শান্তি পেয়েছেন।
 
 

ঈশ্বরের বাক্য শ্রবণের মধ্য দিয়ে প্রকৃত বিশ্বাস উন্নয়ন হয়

 
 প্রকৃত বিশ্বাস সম্পর্কে পৌল আমাদের কি বলতে চাচ্ছেন? রোমীয় ১০:১৭ পদ বলে, “অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়।” অন্যকথায় প্রকৃত বিশ্বাস আসে যখন আমরা সুসমাচার শ্রবণ করি যাহা তাঁহার দাসগণ ঈশ্বরের কথাগুলি তাঁর বাক্যের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাছে প্রচার করেন।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ঈশ্বরের বাক্য শোনার মধ্য দিয়ে প্রকৃত বিশ্বাস আসে, এবং এইরূপে প্রকৃত বিশ্বাসের লোক হবে, আমরা অবশ্যই তাঁর বাক্য শুনব এবং বিশ্বাস করব। কেবলমাত্র ঈশ্বরের বাক্য শোনার মধ্যে দিয়ে আমরা প্রকৃত বিশ্বাস পেতে পারি এবং কেবলমাত্র এই ভাবে আমাদের বিশ্বাস উৎপন্ন হতে পারে, এই কারণে ঈশ্বর তাঁর দাসগণকে আমাদের জন্য প্রেরণ করেন, যারা তাঁর ধার্মিকতা প্রচার করেন।
যখন আমরা বিশ্বাস করি ঈশ্বর মানুষের জন্য জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন, আমরা পাপের ক্ষমা এবং আমাদের অন্তরে শান্তি পেতে পারি। কেবলমাত্র ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে পাপ হতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, যেখানে আমরা আমাদের মনে শান্তি খুঁজে পাব।
 আমরা কি বলতে পারি না যে, আমাদের প্রভুর ধার্মিকতা আমাদের চোখের জল মুছে দেবে এবং আমাদের বিরামহীন বেদনা ও যাতনা থেকে মুক্তি দেবে? অবশ্যই আমরা তা পারি। ঈশ্বর প্রদত্ত জল আত্মার সুসমাচারে ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের সমস্ত যাতনা তুলে নেওয়া হয়েছে। জল ও আত্মার সুসমাচার হলো ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণতা সাধনে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সুসংবাদ। 
ঈশ্বর আমাদের প্রভুকে পাঠিয়েছেন, ইস্রায়েলীয়দের জন্য ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করতে, কিন্তু তারা তাদের নিজেদের ধার্মিকতার অন্বেষণ করতে গিয়ে তারা তাঁকে অস্বীকার করেছে। তখন ঈশ্বর কি করলেন? ইর্ষান্বিত ইস্রায়েলীদের প্রতি কূপিত হলেন, ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতা পূর্ণতা সাধন করতে পরজাতিগণকে বিশ্বাস করনার্থে সুসমাচার দিলেন। ঈশ্বর কি তখন জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস স্ক্রপন করতে পরজাতিগণকে সুযোগ দিলেন? বস্তুতঃ ইস্রায়েলীয়দের অপেক্ষা কম ব্যবধানে থাকায় তিনি তাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করার সুযোগ দিলেন, এমন কি যখন তারা তাঁকে খোঁজ করে নাই, তাঁকে ডাকে নাই, এবং তাঁর আরাধনা করে নাই।
এই কারণে পরজাতিগণ সুন্দর সুসমাচারে বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে তাঁর ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করে ঈশ্বরের সন্তান হবার যোগ্য হলেন। এই কারণে বাইবেল আরোও আমাদেরকে বলে যে ইস্রায়েলীয়দের বাইরে ঈশ্বরের ধার্মিকতা গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত হয়েছে।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনে আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দেওয়ার জন্য বাস্তবিক কত লোক প্রভুকে ধন্যবাদ দিচ্ছে? আমাদের প্রভু জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারের মধ্য দিয়ে জগতের পাপ ভার তুলে নিয়েছেন। তবুও দূরর্ত্তী অনেক খ্রীষ্টিয়ান যারা এই সত্য বিশ্বাস করছে না। আমাদের কি এমন কোন ধার্মিকতা আছে, যা আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থাপন করতে পারি? না আমরা পারি না। তাহলে কেন আমরা বিশ্বাস করি? ইহার কারণ এই নয় যে, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনের সুসমাচার কি তা জানিনা? কিন্তু খুব সামান্যই এই সুসমাচার জানি!
     আমরা এই প্রকার লোক, যারা আমরা নিজেদের ধার্মিকতা দ্বারা পরিচালিত, ঠিক যেমন ইস্রায়েলীয়রা করেছিল, কিন্তু ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রদত্ত জল ও আত্মার সুন্দর সুসমাচারের মাধ্যমে আমাদিগকে সকল পাপ হতে রক্ষা করেছেন। আমরা প্রভুকে ধন্যবাদ করি যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনে, আমাদের বিশ্বাসের জন্যে, তিনি আমাদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচার দিয়েছেন।
 
 
 বলিও না, “কে স্বর্গে আরোহণ করবে ?”
 
৬পদে আছে, “কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতা এই কথা বলে, “তুমি মনে মনে বলিও না, “কে স্বর্গে আরোহণ করবে?” (উর্দ্ধ থেকে খ্রীষ্টকে নিচে নামানো হয়েছে)।” যীশু খ্রীষ্ট কর্ত্তৃক আমাদের উদ্ধার এবং সত্যের সুসমাচার পালন এবং এই উভয়ের দ্বারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস স্থাপন সম্ভব হয়েছে, কিন্তু আমাদের কর্মের দ্বারা নয়। আমাদের সত্যে বিশ্বাসের জন্যে ইহা ছিল না, যাহা ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করেছে। আমরা কিছুই নই, কিন্তু পাপীরা যারা তাদের নিজেদের ধার্মিকতার বৈতধা অন্বেষন করছে, এতে ঈশ্বর বিরক্ত হচ্ছেন।
 যেহেতু আমাদের পরিত্রান ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস হেতু এসেছে, এই ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রভুর পক্ষে জীবন যাপন করতে পারি। আমাদের ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস থেকে আমাদের জীবনের ভার বহন করার শক্তি আসে, জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের বিশ্বাস হেতু আমাদের এই ধার্মিকতার জ্ঞান উৎপন্ন হয়।
 ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস ব্যতিত অন্য কোন সত্য কি আছে যে, মূল্য দিয়ে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করতে পারে? কেহই নাই। খ্রীষ্টিয়ানের অস্থিত্ব হলো বিশ্বাসের উপর কেন্দ্রীভূত হওয়া, ইহা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, খ্রীষ্ট ধৰ্ম্মীর বিশ্বাসই হল ঈশ্বরের ধার্মিকতা। যারা ন্যায় সংগতভাবে বেঁচে থাকতে পারে, তারা তাদের এই ধার্মিকতায় বিশ্বাস হেতু সুসমাচার প্রচার করতে পারে। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তারা কি ভালভাবে বিপদের সম্মুখিন হতে পারবে? তারা পারবে। কেননা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা তারা সমস্ত বিপদ থেকে উত্তীর্ন হতে পারবে। যেমন তাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এবং নির্ভরতা তাদেরকে সমস্যাগুলির তত্ত্বাবধান করবে। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস থেকে এরূপ বিশ্বাস সৃষ্টি হয়।
 অন্য কোন বিলাস আছে যা ঈশ্বরের ধার্মিকতার অন্তর্ভূক্ত নয়? মানুষের কর্মের ভিত্তির ন্যায় সেগুলো কি ভ্রান্ত বিশ্বাস? বস্তুতঃ তাই। যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস ব্যতিত অন্য বিশ্বাস সত্য নয়।
ঈশ্বরের ধার্মিকতায় প্রথম বিশ্বাস ব্যতিত আপনি এবং আমি কি আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি? তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস স্থাপন ব্যতিত আমরা কি আমাদের বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে পারি? কিছুতেই সম্ভব নয়। প্রভূর সেবা করণার্থে ধার্মিকের শক্তি পবিত্র আত্মার শক্তি থেকে আসে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস তাদেরকে উপহার স্বরূপ দত্ত হয়েছে। আপনি কি আপনার নিজের শক্তি অথবা পৃথিবীর সম্পত্তির জোরে জগতে বেঁচে থাকতে পারেন? এই জিনিসগুলি দ্বারা আপনি কি বাস্তবিক আপনার মনের শান্তি খুঁজে পেয়েছেন? 
আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে শান্তির সুসমাচার পরিবেশন করতে পারি। যাদের বিশ্বাস, সাহস, শক্তি এবং শান্তি আছে, তারাই জল ও আত্মার সুসমাচার পরিবশন করতে পারে। ধার্মিকত লোকেরা যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণতা সাধনে জল ও আত্মার সুসমাচার পরিবেশন করে না, তাদের শান্তিও নাই সাহসও নাই। ধার্মিকের মনে শান্তির প্রয়োজন? তারা তা করতে পারে। তাদের জল আত্মার সুসমাচার প্রচার করা নয়, কিন্তু বহুল পরিমাণে তাদের পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে কেবলমাত্র শান্তির প্রয়োজন।
আপনার মন শান্তিতে আছে? যদি আপনি কেবলমাত্র আপনার নিজের জন্য বেঁচে থাকেন, আপনার মনে শান্তি উথলিয়ে উঠার কোন কারণ থাকতে পারে না। কেন আপনার যে কোনভাবে শান্তি অথবা বিশ্বাস প্রয়োজন যখন আপনার কেবলমাত্র ধার্মিকতায় জীবন-যাপন করতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ও মাংসিকতার প্রয়োজন? কিন্তু যদি আপনি ঈশ্বরের সেবা করতে চান, তাহলে আপনার মনে শান্তি উথলিয়ে ওঠা প্রয়োজন। ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধন করতে সুসমাচার পরিবেশন করুন, আপনার বিশ্বাস এবং শান্তি অবশ্যই উথলিয়ে উঠবে।
যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা সমুদয় পৃথিবীতে শান্তির বাণী প্রচারের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত। কারণ ইহা কোন সংরক্ষণ নয়, তবে ব্যক্তিগত সংস্রব, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা প্রত্যেককে প্রদত্ত মনের শান্তি প্রচার করা প্রয়োজন, সমুদয় জগতে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচার আমাদের প্রচার করা প্রয়োজন। আমাদের ন্যায় অন্যদের জন্য ঈশ্বরের শান্তি প্রয়োজন। আমাদের প্রয়োজন অন্যদের কাছে এই শান্তি প্রচারের সুবিধার্থে আরও অধিক ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করা। যদি আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিস্তার অতিবাহিত করি, আমাদের মনে শান্তি বর্ধিত হবে, এবং আমরা আমাদের জীবনের জন্য পরিষ্কার এবং মূল্যবান গন্তব্যস্থল খুঁজে পাব।
যদি আপনি ঈশ্বর প্রদত্ত প্রকৃত শান্তি সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করতে চান, তবে তাঁর ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনে আপনার সুসমাচার জানা এবং বিশ্বাস করা প্রয়োজন। আপনার নিজের মনের শান্তি অনুভব করা প্রয়োজন যা আপনার জন্য ঈশ্বর প্রস্তুত করেছেন। 
যতদূর সম্ভব আপনি প্রভুকে প্রচার করেছেন, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি ভালভাবে স্মরণ করা পর্যন্ত আপনার তাঁকে প্রচার করা প্রয়োজন, এই জন্য যে অন্যেরা আপনার শান্তিতে অংশীদার হতে পারে। যখন আপনি শান্তির জন্য ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস পর্যন্ত পৌঁছিবেন, ঐ বিশ্বাসীগণ যারা আপনার পাপ মোচনের পদচিহ্ন অনুরণ করে অন্যের শান্তির জন্য বেঁচে থাকতে পারে।
 যারা তাদের বিশ্বাসের কার্যক্ষেত্রে শিক্ষানবীশ ও বিশ্বাসে তরুণ তাদের ইহা বুঝবার ক্ষেত্রে সামর্থ খুবই সীমিত। কিন্তু যখন আমরা আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে পশ্চাতে ফেলে বিশ্বাসে জীবন-যাপন করি, যদিও ইহা কখনো কখননো ঘটে থাকে, আমাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে তাদের প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারে, অবশেষে এ ব্যাপারে একটা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
আপনার নেতৃত্বে অনসরণ করে কিভাবে বিশ্বাসে জীবন-যাপন করবে আপনি কি শিক্ষদানের এই সুবিধাগুলি খুঁজে পেয়েছেন? এরূপ শিক্ষাদানের জীবন রাত্রিকাল পর্যন্ত পৌঁছায়ন। এমনকি এই ক্ষমতা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পূর্বে আপনি শান্তিতে জীবন যাপনের নিমিত্তে তাদেরকে বিশ্বাসের ধরন সম্পর্কে পরিচালনা দিতে পারেন। কিন্তু যথাসময়ে, ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে যারা পাপের মোচন পেয়ে অবশেষে বিশ্বাসের লোক হিসাবে শান্তিতে জীবন-যাপন করার শিক্ষা পেয়েছে, আমাদের মাধ্যমে শিক্ষা লাভের দ্বারা যারা সম্মুখবর্তী হয়ে প্রাচীন বিশ্বাসীদের মত ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত থেকে তাঁর কাছে তাদের মনের শান্তি খুঁজে পেয়েছে।
 আপনি এবং আমি আমারা সকলে অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা বিশ্বাস দ্বারা বেঁচে আছি। ধার্মিকেরা অবশ্যই তাদের থাকা বিশ্বাসের দ্বারা বেঁচে থাকবে। আমাদের বর্তমানে এবং ভবিষ্যৎ জীবন-যাপন অবশ্যই বিশ্বাসের দ্বারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব। বাইবেল আমাদেরকে বলেছে, “প্রচারক ব্যাতিত কিভাবে তারা শুনবে?” কারণ আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, আমরা অবশ্যই সমুদয় জগতে সুসমাচার প্রচার করব। আমরা সুসমাচার প্রচারে যে সব বাধার সম্মুখীন হব, বিশ্বাস দ্বারা আমরা সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে পারব।
 যারা তাদের মনের শান্তি হারিয়ে ফেলেছে, সেই সব ধার্মিকদের জীবন বিশ্বাসে যাপন করে না। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে লোকেরা তাদের মনের শান্তি অর্জনের চেষ্টা করে। যখন আমরা সব বিষয়ের জন্য ঈশ্বরের রাজ্য এবং তার ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, আমাদের শান্তি আমাদেরকে দেওয়া যাইবে।
 আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসী হয়ে আপনার শান্তি এবং বিশ্বাস রক্ষার্থে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের প্রশংসা করুন, কারণ প্রভু আমাদেরকে পাপ হতে পরিত্রাণ দিয়ে ধার্মিকতা এবং শান্তির মধ্যে জীবন-যাপন করার অনুমতি দিয়েছেন। আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস দ্বারা সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে আপনার জীবন-যাপন করুন, যার কাছ থেকে আপনি আপনার শান্তি গ্রহণ করেছেন।
 আমরা রোমীয় পুস্তক হতে শিখতে সমর্থ হয়েছি যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা কত নিষ্কলঙ্ক? ঈশ্বরের ধার্মিকতা কেমন তা রোমীয় পুস্তকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ঈশ্বরের ধার্মিকতা যা আমরা বলে থাকি, তা মানুষের ধার্মিকতা নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিজের ধার্মিকতা।
ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিষ্কলঙ্ক এবং আমাদের সকল পাপ হতে রক্ষ করতে যথেষ্ট। তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে সমুদয় জগতের পাপভার আপনার উপরে তুলে নিয়েছে; যীশু পূর্ণতা সাধনের জন্য তাদের তত্ত্বাবধান করেছেন। আমরা বাস্তবিক যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিষ্কলঙ্ক। যেহেতু ঈশ্বরের এই ধার্মিকতা আমাদের সমস্ত পাপ হতে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনে বিশ্বাসে চলতে ইহা সম্পূর্ণ প্রয়োজন। 
 ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা, আমরা বিস্ময় ও আনন্দের সহিত ধন্যবাদ এবং প্রশংসায় জীবন-যাপন করতে পারি। লোকেরা কেবলমাত্র তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে ঈশ্বরের পবিত্রতার মধ্যে বাস করতে পারে। তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের মন নির্মল হয়, আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারি এবং আমাদের জীবন তাঁর গৌরবার্থে যাপন করতে পারি।
 তবে যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিষ্কলঙ্ক না হত, তবে আমরা পাপ হতে মুক্তি পেতে সমর্থ হতাম না। যদিও আমাদের প্রকৃত পাপ যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষমা হয়েছে, সেই অনুসারে প্রতিদিন অনুতাপের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিজের পাপভার বিশ্বাসে অর্পণ করতে পারি।
জল ও আত্মার সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আমরা প্রায়শ্চিত্ত করেছিলাম, তখন আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলাম যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা ছিল শর্তহীন। এই কারণে ঈশ্বরের ধার্মিকতা অনন্তকালের জন্য বিশ্বাস যোগ্য এবং নিষ্কলঙ্ক, বাস্তবিক, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ হই। কারণ ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদিগকে সম্ভাব্য সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করে, যা আমারা আমাদের জীবনকালে বিশ্বাসে অর্পণ করতে পেরেছিলাম, আমরা তাঁর ধার্মিকতায় দ্বারা সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
যারা আমাদের অশ্লীলতাকে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সাথে তুলনা করে, তার তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করতে পারে না। কারন ঠিক এটা কত বড় তা তারা সরলভাবে উপলব্ধি করে না। এমনটি সবচেয়ে খাঁটি লোক যখন ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে পরীক্ষা করে না, তখন সে কিছুই নয়, এই কারণ আমরা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, এবং সেই সূত্রে তাঁর পবিত্রতার মধ্যে বাস করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অন্য কথায়, আমরা যোগ্য হই, যারা বিশ্বাসে তাঁর ধার্মিকতায় বাস করার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করি।
আমাদের অন্তরে ঈশ্বরের ধার্মিকতার সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন; তাহলে আমরা অবশ্যই উপলব্দি করতে পারব যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদের সমস্ত পাপ হতে সম্পূর্ণভাবে আমাদেরকে মুক্ত করেছে। আমরা কি বিশ্বাস করি না যে, আমাদের সমস্ত জীবন অসংখ্য পাপ রয়েছে? তাহলে কিভাবে ঈশ্বর আপন ধার্মিকতা দ্বারা আমাদের অগণ্য পাপ হতে মুক্ত করলেন? তিনি আমাদের ন্যায় মাংসময় দেহ ধারন করে এই পৃথিবীতে এসে ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতার পরিপূর্ণতা সাধনে, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে, ক্রুশীয় মৃত্যু এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
 প্রত্যেক যুবক এবং বৃদ্ধ, ধনী এবং গরীব, সবল এবং দূর্বল সকলে পাপ বিশ্বাস করে। কে জগতের এইসব পাপ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে? ইনি যীশু খ্রীষ্ট, যিনি ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনে আমাদের সমস্ত পাপ হতে আমাদিগকে রক্ষা করলেন। ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ সম্পূর্ণরূপে তুলে নেওয়ার জন্য যীশুকে পাঠালেন এবং ঈশ্বরের অতিশয় ধার্মিকতার গুনে সেই পাপ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করলেন।
অন্য কোন কিছু অপেক্ষা ঈশ্বরের ধার্মিকতা পৃথিবীর সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে। তাঁর ধার্মিকতা কি সম্পূর্ণরূপে নিষ্কলঙ্ক নয়? আমরা এই প্রেমে ডাকি, যা ঈশ্বর আমাদিগকে দিয়েছেন, যা কেবলমাত্র আমাদের জীবনকাল পর্যন্ত স্থায়ী হবে না কিন্তু ঈশ্বরের এই ধার্মিকতা অনন্তকাল পর্যন্ত স্থায়ী।
যীশুর বাপ্তাইজিত হওয়ার দিনে যোহন বাপ্তাইজক যীশুকে আপনার নিকটে আসতে দেখে উচ্চকণ্ঠে ঘোষনা করলেন, “ঐ দেখ! ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভাব লইয়া যান।” যখন সে তাঁকে প্রথমে বাপ্তাইজিত করতে অস্বীকার করলেন, তখন যীশু যোহনকে বললেন, “এখন সম্মত হও, কেননা এইরূপে সমস্ত ধার্মিকতা সাধন করা আমাদের পক্ষে উপযুক্ত” (মথি ৩:১৫)। এই অংশের অর্থ কি? এর অর্থ সত্যকে খাটো করা নয় কিন্তু যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু ঈশ্বরের অতিশয় ধার্মিকতা। যখন আমরা দূর্বল হই এবং তাঁর গৌরবের কাছে কম আসি তখন ও ঈশ্বরের ধার্মিকতা আমাদেরকে পরিত্যাগ করে না।
আমরা কেবলমাত্র ঈশ্বরের প্রশংসা এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করি যে তিনি আমাদিগকে রক্ষা করেছেন এবং তাঁর ধার্মিকতার মধ্যে বাস করার অনুমতি দিয়েছেন। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন এবং তাঁর ধার্মিকতার মধ্যে জীবন-যাপন করেন তাদের তিনি বিশ্রাম দিবেন। মানুষ অথবা জগতের উপর নির্ভরশীল হওয়া অপেক্ষা ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল হওয়া আমাদের জন্য অধিক মঙ্গলজনক। পাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তকারী এই সুসমাচারে প্রচারিত জীবন হল সবচেয়ে সুন্দর জীবন এই কারণে অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পূর্ণরূপে জানব এবং বিশ্বাস করব।
যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে তারা এই সাক্ষ্য দিবে, “যীশু যোহনের বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন! এবং তিনি জগতের সমস্ত পাপের প্রতিকার করেছেন!” যখন আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করি, কেবলমাত্র এইরূপ আশীর্বাদের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
যখন আপনি আপনার দূর্বলতার জন্য হোঁচট খান, মাংসিকতার কারণে পাপে পতিত হন, যখন আপনি আপনার পাপের কারণে নিরাশ এবং হতবুদ্ধি হন, তখন ঈশ্বরের ধার্মিকতার দিকে দৃষ্টিপাত করুন, যিনি আপনার সমস্ত কিছু তৈরী করেছেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতা কি আমাদেরকে ধার্মিক তৈরী করতে পারে না? যীশু কি তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের পাপ সকল সম্পূর্ণরূপে তুলে নেননি? তাঁর মুক্তি সাধন কি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করে নাই, আমরা কি এইগুলির ব্যাপারে ভবিষ্যতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হব না?
 যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করেছেন, আমরা ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতাকে বিশ্বাস করি। যখন আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে বিশ্বাস করি, তখন আমরা ন্যায় সঙ্গত হয়েছে বলে প্রমাণিত হই। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তারা তাঁর পক্ষে অস্ত্রে পরিণত হতে পারে। ঈশ্বরের ধার্মিকতার চরম শ্রেষ্ঠতা হল অলন্ড। যারা নিজেদের ধার্মিকতা দ্বারা চালিত হয়, যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পর্কে অজ্ঞান, তারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক অভিশপ্ত হয়ে তাদের নিজের ধংসের উপর মূর্খের মত বসে আছে।
 
 
পৌলের বক্তব্যে মনোযোগী হোন, “ঈশ্বরের প্রতি তাদের আবেগপূর্ণ আগ্রহ আছে, কিন্তু অজ্ঞান অনুসারে নয়”
 
প্রায়শ্চিত্ত করে এবং ঈশ্বরের লোক হয়ে যদি তাঁর ধার্মিকতা সম্পর্কে অজ্ঞান থাকি তবে কিভাবে আমরা বিশ্বাসে জীবন-যাপন করতে পারি? যারা ব্যবস্থা পালন করে তারা অবশ্যই জানবে যে, তাদের পাপ তাদেরকে চালনা দিয়ে ধংসের দিকে নিয়ে যাবে, কিন্তু যারা ধন্যবাদে পরিপূর্ণ, ঈশ্বরের ধার্মিকতা তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করেছে। যীশু আমাদের মুক্তিদাতা, আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি। আমরা তাঁকে গৌরবান্বিত করি, কারণ ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানি এবং বিশ্বাস করি। কেবলমাত্র তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা তাঁর সন্তান হই, পাপমুক্ত ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হই। যারা যীশুকে দৃঢ়তার সহিত বিশ্বাস করে তারা বিশ্বাসে পরিপূর্ণ-জীবন যাপন করে। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে অজ্ঞান তারা অভিশপ্ত।
পৌল রোমীয়দের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে বললেন যে, ইস্রায়েলীয়েরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে অজ্ঞান থেকে ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে অমান্য করে তাদের নিজেদের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাপৃত রয়েছে। যদিও তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে।
আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর আমাদিগকে জগতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। পৃথিবীর এই পাপগুলির সঙ্গে আমাদের পাপগুলি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ঈশ্বরের ধার্মিকতার পূর্ণতা সাধনের মাধ্যমে তাদের সবগুলি অন্তর্হিত করেছেন। আপনি কি এই সত্যে বিশ্বাস করেন?
 
 
“ধার্মিকতায় বিশ্বাসকারী প্রত্যেকের পক্ষে খ্রীষ্টই ব্যবস্থার চরম ফল”
 
ঈশ্বরের ধার্মিকতাই ব্যবস্থার চরম ফল। এই হেতু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা জগতের পাপভার নিজের উপর তুলে নিয়ে ব্যবস্থার ফল ভোগ করেছেন।
বাস্তবিক পাপের ফলাফল মৃত্যু, এমনকি ইহা ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ ব্যবস্থার চরম ফলরূপে লিখিত হয়েছে। কেন? কেননা পিতা ঈশ্বর তাঁর অদ্বিতীয় পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে বাপ্তিস্ম গ্রহণ, ক্রুশের উপর মৃত্যু এবং মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে মানুষের সকল পাপ তুলে নিয়ে আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষ করেছেন। 
আপনার অন্তরে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করা এবং ব্যবস্থার ধার্মিকতার অনুসরণ করা দুটো ভিন্ন বিষয়। আপনি কি আপনার কর্মের মধ্য দিয়ে পাপের ক্ষমা পেয়েছেন? আপনি কি আপনার নিজের কোন উত্তম কর্মের মধ্য দিয়ে পরিত্রাণ পেয়েছে? জগতের অন্যান্য ধর্মে এই শিক্ষা দেওয়া হয় যে, উত্তম কর্মের মধ্য দিয়ে পাপের মুক্তি পাওয়া যায়। পাপ সম্পর্কে বৌদ্ধদের ধারনা দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায় যে, আপনি আপনার বর্তমান জীবনের কর্মের দ্বারা আপনার অতীত জীবনের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারেন। ইহা কি আপনার মধ্যে কোন অনুভূতি তৈরী করেছে?
 মানুষ একবার জন্মগ্রহণ করে এবং একবার মরে, তৎপরে বিচার নিরুপিত। যেহেতু এই পৃথিবীতে প্রত্যেকে একবার জন্মগ্রহণ করে, তারপরে ঈশ্বরের কাছে ফিরে যায়। অন্য জীবন চক্রের মাধ্যমে কেহই পৃথিবীতে ফিরে আসে না। এই কারণে এই পৃথিবীতে থেকে মানুষ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে। কর্ম বৌদ্ধদের কেমন বোধহীন শিক্ষা? 
আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের পাপ হতে উদ্ধার পেয়ে থাকি। ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস অর্থাৎ আমাদের কর্মের দ্বার নয়, কেবলমাত্র তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাসে দ্বারা। কিভাবে আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করতে পারি? যেমন, রোমীয়দের পুস্তকে লিখিত হয়েছে, ইহা এভাবে প্রকাশিত হয়েছে, “মনে মনে বলিও না, কে স্বর্গ পর্যন্ত উঠবে?” এই হেতু অন্তরে বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু শারীরিক শক্তির মাধ্যমে নয়।
আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তান এবং পাপমুক্ত মানুষ হিসাবে অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারি। কারণ আমরা নিজেরা আমাদের পাপের মিমাংসা করতে পারি না, এমন কোন উত্তম কাজও নেই, যা আমরা করতে পারি, আমাদের কাজ ঈশ্বরের সম্মুখে অধিক পাপ করা। এই কারণে এইরূপ বিশ্বাস আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। তাই তাঁর ধার্মিকতায় চালিত হয়ে বিশ্বাসে ঈশ্বরের ধার্মিকে পরিণত হওয়া আবশ্যক। কোন কোন লোক প্রশ্ন করে, “ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পর্কে যখন আমরা অজ্ঞান, তখন কি যীশুতে বিশ্বাস করে আমরা রক্ষা পেতে পারি না?” ইহা লিখিত হয় নাই যে, “যে কেহ প্রভুর নামে ডাকবে সেই রক্ষা পাবে?” কিন্তু যীশুর নামে ডাকার মধ্য দিয়ে পরিত্রাণ আসে না, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতা জেনে এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তা আসে।
 
 
যে কেহ ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না
 
 ১১ পদে আছে, “যে কেহ তাঁর উপর বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না।” এই অংশের অর্থ কি? যে কেহ তাঁর উপর বিশ্বাস করে সে কখনো লজ্জিত হবে না, কারণ সে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে। “যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে” এই শব্দগুলি দ্বারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস নির্দ্দেশ করছে।
এই অংশে কি বলা হয়েছে, “যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে রক্ষা পাবে?” অর্থ এই যে, কেহ জল ও আত্মার সুসমাচার জেনে এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে যীশুকে ডাকে, যেমন তারা তাঁকে মুক্তিদাতা ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করে। সেহেতু আমরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার মাধ্যমে আমাদের পরিত্রাণ গ্রহণ করেছি; আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সত্যে বিশ্বাস দ্বারা আমাদের মুক্তি সাধিত হয়েছে।
অন্য কথায়, এই বিশ্বাস ব্যতিত আমরা অনর্থক কতবার যীশু নামে ডাকি, এটা কোন বিষয় নয়। এতে আমরা পাপ থেকে রক্ষাপ পাব না। কারণ বাইবেলের বাক্যানুসারে ঈশ্বরের সমস্ত ধার্মিকতা যীশুতে, প্রভুর নামে ডাকলে আমরা আমাদের মুক্তি পাব না।
আদি থেকে ঈশ্বরের ধার্মিকতার কথা বাইবেল আমাদিগকে বলেছে। বাইবেলের আদি পুস্তকে আছে, ঈশ্বর এদোন উদ্যানে ভাল ও মন্দের নিদর্শন স্বরূপ জীবন বৃক্ষ এবং সদ্ সদ্ জ্ঞানদায়ক বৃক্ষ রাখলেন এবং আদম ও হবাকে বললেন, সদ সদ্ জ্ঞানদায়ক বৃক্ষের ফল খেওনা। তাঁর বাক্যে তাদের কতটা বিশ্বাস আছে সেটা ঈশ্বর যাচাই করতে চেয়েছিলেন। ঈশ্বর ইহা ভিন্নভাবে রেখেছিলেন, তাদেরকে বলেছিলেন, অনন্ত জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য জীবন বৃক্ষের ফল খাও।
ঈশ্বররে বাক্য বলছে, “ধার্মিকত বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে।” আমরাও আমাদের জীবনকালে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা বেঁচে আছি- যখন আমরা প্রথম তাঁকে বিশ্বাস করেছিলাম, রক্ষ পাবার জন্য অবশেষে আমরা আমাদের পরিত্রাণ গ্রহণ করেছিলাম, যে পর্যন্ত না আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে উপস্থিত হই।
এই জগতের অনেক খ্রীষ্টিয়ান বলে যে, যীশুতে বিশ্বাসে মাধ্যমে পরিত্রাণ পাওয়া যায়, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, তাদের মধ্যে অনেকে ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে অজ্ঞান থাকার কারণে পাপ থেকে মুক্ত হয় নাই। যখন লোকেরা ঈশ্বরের ধার্মিকতা না জেনে যীশুতে বিশ্বাস করছে তখন ফলাফল কী হবে? এরূপ লোকেরা তাদের বাহিরের অবস্থাটা প্রকাশ করতে পারে যেন তারা আরাধনা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ধর্মনিষ্ঠ বিশ্বাসীরূপে পরিণত হয়। কিন্তু বস্তুত, তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সম্বন্ধে অজ্ঞান, তারা মুক্ত করা হয় নাই এমন পাপীদের ন্যায় কেবলমাত্র ধর্মের অনুশীলনকারী হিসাবে থাকতে আগ্রহী।
 অনেক খ্রীষ্টিয় সমাজ এবং ইস্রায়েলীয় উভয়েই ঈশ্বরের ধার্মিকতার সম্পর্কে অজ্ঞান এবং তারা তাঁর ধার্মিকতা মান্য করে না। যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, কিন্তু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না, তারা অতিশয় ধার্মিকতার উপর সীল মোহর স্বরূপ। ইহা বড় কোন উপহার সামগ্রী দিয়ে উত্তম কর্ম অথবা যীশুতে বিশ্বাসীদের ন্যায় ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের নিজেদের অন্য কোন কার্য্য সম্পাদন করে নয়, এতকাল পর্যন্ত ধার্মিকতা গ্রহণ করে তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্বন্ধে অজ্ঞান থেকেছে।
যারা এরূপ বিশ্বাসে ঈশ্বরের ধার্মিকতা বিশ্বাস করে, তাদের নিজেদের মধ্যে এমন অবস্থা সম্পর্কে অমনোযোগী থেকেছে, এবং এরূপে ঈশ্বরের গৌরবার্থে ধন্যবাদ ও প্রশংসার মধ্যে জীবন-যাপন করে। আমাদের মধ্যে যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, আমাদের অধিক দোষ ব্যক্ত হয়, তাঁর ধার্মিকতা অধিক উজ্জ্বলভাবে আমাদের অন্তরে আলো দেয়। আমি প্রার্থনা করি যে, আপনার মধ্যে ও এরূপে ধর্মের পূণর্জাগরন হতে পারে। 
আমরা কি কোন প্রকারে আমাদের মাংসিক শুদ্ধতা দ্বারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা গ্রহণ করতে পারি? অবশ্যই না। ঈশ্বরের ধার্মিকতা অপেক্ষা আমাদের সাধুতা কিছুই নয়। কারণ তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ হতে সম্পূর্ণভাবে আমাদিগকে রক্ষা করেছেন। আমরা এই ধার্মিকতায় বিশ্বাস এবং প্রশংসা করি। তাঁর ধার্মিকতা আমাদের সমস্ত পাপ হতে সম্পূর্ণভবে রক্ষ করেছে।
যখন আপনি আপনার জীবনের অন্ধকারময় অবস্থার মোকাবেলা করছেন, তখনও উজ্জ্বল বিশ্বাস থেকে পতিত হবেন না; কিন্তু সর্বদা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করুন; আপনি সার্বিক অবস্থায় অমনোযোগী হবেন না, ঈশ্বরের ধার্মিকতা অনন্তকাল পর্যন্ত নিষ্কলঙ্ক। এই জগতের প্রত্যেকে তার ধার্মিকতা অবশ্যই জানবে, এবং তারা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করবে। এমন অনেকে যারা ব্যবস্থার ধার্মিকতা দ্বারা যীশুতে বিশ্বাস আছে বলে দৃঢ় কণ্ঠে স্বীকার করে, তাদের অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতা নিশ্চিত ভাবে জানতে হবে।
পৌল যুক্তির সাহায্যে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, ঈশ্বরের সুসমাচার তাঁর ধার্মিকতা পূর্ণ করেছে। ঈশ্বরের সুসমাচারের সত্যের জ্ঞান ব্যাতিত কেহই তাঁর ধার্মিকতা কি তা ব্যাখ্যা করতে পারে না। এরূপ লোকেরা সাধ্যানুসারে বলে, যখন ঈশ্বরের ধার্মিকতার অর্থ কি তা নিয়ে আলোচন করে, “যীশু আমার মুক্তিদাতা, যিনি ক্রুশের উপরে মরেছেন, মৃত্যু থেকে পূনরুত্থিত হয়েছে এবং আমাকে আমার পাপ থেকে রক্ষা করেছেন।” এমনটি তারা তাদের প্রতিদিনের পাপ অবশ্যই অনুতাপের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে নিবেদন করবে, এবং নিষ্কলঙ্ক হবে, তারা অবশ্যই পরিত্রাণের মধ্যে দিয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
 প্রথমে আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে আপনাকে নিজেকে জানতে হবে। যদি আপনি ঈশ্বরের ধার্মিকতা ও নিজের সম্পর্কে জানেন, তবে তাঁর ধার্মিকতার বিশ্বাস ছাড়া আপনার আর কোন বিকল্প থাকবে না। আপনি উপলব্দি করুন যে, নিজের থেকে ঈশ্বরের ধার্মিকতা কত মহান, বৃহৎ এবং প্রসারিত। যদি আপনি তাঁর ধার্মিকতা না জানেন, তবে আপনার নিজের ধার্মিকতা দ্বারা চালিত হয়ে সম্পূর্ণরূপে আবিষ্ট রয়েছেন। যারা নিজের ধার্মিকতায় আবিষ্ট রয়েছে তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতা মান্য করে না, তারা তাদের নিজের সমর্থনে ইচ্ছামত চালিত হয়।
 আমার অবশ্যই ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানব, ইহা বিশ্বাস করব এবং এর জন্য ধন্যবাদ দেব। ঈশ্বরের ধার্মিকতা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশে মৃত্যুবরণের মাধ্যমে জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন। যদি আমরা আমাদের উত্তম কার্য সমর্থন করি, তাহলে ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরূপ পরিত্রাণ আমাদের প্রয়োজন নেই। যখন আমরা ইহা সম্ভব নয় বলে উপলব্দি করি, আমরা তাঁর ধার্মিকতাকে অধিক মূল্য দেই, কারণ ঈশ্বর আমাদিগকে রক্ষা করেছেন, অতএব, আমরা কোন উত্তম কর্মের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন-যাপনের ভিত্তি তৈরী করতে পারি না।
আপনার চিন্তা এবং কর্ম কি ভাল? অবশ্যই না। কারণ আমাদের অনেক ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা আমাদিগকে রক্ষা করেছেন। যেহেতু ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস দ্বারা আমরা রক্ষা পেয়ে থাকি, তাই এই জগতে যারা জানে না তাদের কাছে ঈশ্বরের ধার্মিকতা প্রচার করতে আমরা ইচ্ছা করি।
যখন কেহ অন্যের দ্বারা নিজের দোষ খুঁজে পায় না, তখন তাদেরকে মন্দ কথা বলে। যদি সে ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসী হয়ে থাকে, সে অবশ্যই এই ধার্মিকতার বিষয়ে গর্বের সহিত উচ্চকণ্ঠে ঘোষনা করবে, এবং অবশ্যই নিজের ধার্মিকতার বিষয়ে গর্ব করবে না। কিন্তু যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে না, তারা তাঁর ধার্মিকতায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পাপের ভার অর্পণ করে, ঈশ্বর তাদের পাপের বিচার করবেন।
ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এই জগতে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর ধার্মিকতা আপনাকে দিয়েছেন। আমরা যেমন গতদিনের নিকটবর্ত্তী হই, আমাদের ব্যবস্থার ধার্মিকতা অধিকতর ভাল অথবা মন্দ- এ বিষয়ে নিয়ে একে অপরের মধ্যে বাদানুবাদ করা উচিত নয়। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে তাদের নিজেদেরকে মাংসিকতার সঙ্গে সম্বন্ধ করা উচিত নয়, কিন্তু তাঁর ধার্মিকায় বিশ্বাস করে কেবল মাত্র ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি, যিনি আমাদেরকে তাঁর ধার্মিকতা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করেছেন, কারণ ঈশ্বরের ধার্মিকতা আপনার সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছে, আপনি অবশ্যই তাদের মত নন, যারা ঈশ্বরের বিপক্ষে গিয়ে তাদের নিজেদের ধার্মিকতায় চালিত হচ্ছে।