Search

শিক্ষা

বিষয় ১১: আবাস

[8-2] সপ্ততুরীর মহামারীগুলো কি আক্ষরিক? (প্রকাশিত বাক্য ৮:১-১৩)

সপ্ততুরীর মহামারীগুলো কি আক্ষরিক?
< প্রকাশিত বাক্য ৮:১-১৩>
 
প্রকাশিত বাক্য ৫ অধ্যায় প্রকাশ করে যে, যীশু সপ্তমুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত একটি পুস্তক হাতে নিলেন৷ এর অর্থ হচ্ছে, যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যেন তিনি পৃথিবীকে ঈশ্বরের সংকল্প অনুযায়ী চালিত করতে পারেন৷ প্রকাশিত বাক্য ৮ অধ্যায়ের এই অনুচ্ছেদে, “আর তিনি যখন সপ্তম মুদ্রা খুলিলেন, তখন স্বর্গে অর্দ্ধ ঘটিকা পর্য্যন্ত নিঃশব্দতা হইল। পরে আমি সেই সপ্ত দূতকে দেখিলাম, যাঁহারা ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াইয়া থাকেন; তাঁহাদিগকে সপ্ত তূরী দত্ত হইল। ” এইরূপে যীশু সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত পুস্তকটি খুললেন, এবং যে বিষয়গুলো ঘটবে তা আমাদের কাছে প্রকাশ করলেন৷
৮ অধ্যায় আমাদেরকে এই কথা বলছে যে, পবিত্রগণের প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে সপ্ততুরীর মহামারীর আরম্ভ হবে৷ ৬ পদ সপ্ততুরীর মহামারীর সমন্ধে বলে যা এই পৃথিবীতে ঘটবে৷
 
 

প্রথম তুরীর মহামারী

 
প্রথম তুরী – পদ ৭: “প্রথম দূত তূরী বাজাইলেন, আর রক্তমিশ্রিত শিলা ও অগ্নি উপস্থিত হইয়া পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, তাহাতে পৃথিবীর তৃতীয় অংশ পুড়িয়া গেল, ও বৃক্ষসমূহের তৃতীয় অংশ পুড়িয়া গেল, এবং সমুদয় হরিদ্বর্ণ তৃণ পুড়িয়া গেল।”
প্রথম বিষয়টি আমাদেরকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে যে, আমরা পবিত্র হই আর না হই, যখন এই সপ্তমারী এই পৃথিবীতে নেমে আসবে, তখন আমাদেরকে এই মারীর মধ্যে পড়তে হবে৷ 
সপ্তম দূত তুরী বাজাতে আসছে৷ আমাদেরকে অবশ্যই এই সপ্ত মহামারী বুঝতে হবে, আমরা এই পৃথিবীতে অবস্থান করব এবং প্রথম ছয়টি মারীর মধ্যে দিয়ে গমন করব৷ আমাদেরকে আরো বুঝতে হবে যে, যখন সপ্তম তুরী বাজবে, আমরা রূপান্তরিত হব, এবং এগুলো সপ্তবাটির মহামারী দ্বারা ঘটবে৷
৭ পদে আমাদেরকে বলা হয়েছে, যখন প্রথম দূত তার তুরী বাজিয়েছিল, তখন রক্ত মিশ্রিত শিলা ও অগ্নি পৃথিবীতে পড়েছিল, এবং পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ ও বৃক্ষসমূহের এক-তৃতীয়াংশের পুড়ে গেল৷ অর্থাৎ পৃথিবী ও প্রকৃতির এক-তৃতীয়াংশের পুড়ে গেল৷
পৃথিবী যখন এইভাবে পুড়ে ছাই হবে, তখন কি আমরা বেঁচে থাকতে পারব? রক্ত মিশ্রিত শিলা ও অগ্নি বৃষ্টির ন্যায় যখন আমাদের উপর পড়বে, বৃক্ষসমূহ ছাইয়ে পরিণত হবে, তখন দগ্ধ ও ভস্ম হয়ে যাওয়া এই ধরণের প্রাকৃতিক পরিবেশে আমরা কি সত্যিই বেঁচে থাকতে পারব? যখন আমরা রক্ত ও শিলা মিশ্রিত অগ্নি বৃষ্টির মত কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের আবাসস্থল হারাবো, ভস্মীভূত বনজঙ্গল ও পাহাড়পর্বতের মাঝে অবস্থান করব, তখন আর আমাদের কারোরই বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকবে না, ইচ্ছা থাকলেও আর কোনো উপায় থাকবে না৷
আপনাকে ও আমাকে যে অবশ্যই প্রথম মারীর মধ্যে দিয়ে গমন করতে হবে, এটা ভুলে গেলে চলবে না৷ যখন এটা আমাদের উপর নামবে, মনে হবে যেন আমরা এক প্রকান্ড মহামারীর মধ্যে প্রবেশ করছি, আমাদেরকে আরো বুঝতে হবে, তখন থেকেই এই পৃথিবীতে খ্রীষ্টারীর উত্থান হবে৷ কারণ খ্রীষ্টারী সম্পূর্ণরূপে এই জগতের রাজত্ব গ্রহণ করার পূর্বেই এই রকম মহামারী শুরু হবে, পৃথিবীর সমস্ত নেতারা একত্রিত হয়ে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং একজন নির্দিষ্ট নেতা অন্য সাত নেতাকে একত্র করে মহাশক্তিধর হবে৷
একচ্ছত্র ক্ষমতাধর হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই খ্রীষ্টারীর উত্থান হবে৷ যেহেতু, খ্রীষ্টারী তার ক্ষমতাবলে অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে পারবে, তাই অনেকেই তার ক্ষমতায় অভিভূত হয়ে তার অনুসারী হবে, তাকে স্বর্গীয় শক্তিধর বলে মনে করবে৷ এইভাবে ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে, কিন্তু নিশ্চিতভাবে অনেকেই তার প্রতি আসক্ত হবে৷
বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, প্রথম দূত যখন তুরী বাজাবে, তখন তা সপ্ততুরীর প্রথম মারী আনয়ন করবে, যা পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ পুড়িয়ে ফেলবে৷ যখন এই মারী পৃথিবীতে আঘাত করবে, আমরা পবিত্রগণ ও জগতের লোকেরা সকলেই পৃথিবীতে বসবাস করতে থাকব৷ তখন পৃথিবীতে কি-ই-না ঘটবে? মহাধ্বংস এবং হতাহতের মধ্যে প্রচন্ড গন্ডগোল চলতে থাকবে, অগ্নিহ্রদের ধোঁয়া এবং গ্যাসে সমস্ত পৃথিবী আচ্ছাদিত হয়ে যাবে, এমন অবস্থা হবে যে, অক্সিজেন তৈরী করার ক্ষমতাও পৃথিবী হারিয়ে ফেলবে৷ প্রথম মহামারীতেই পৃথিবী ভস্মীভূত হবে, এমন ধ্বংস হবে যে আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাও দূরীভূত হয়ে যাবে৷
এই মারী থেকে আমাদেরকে অবশ্যই একটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ স্বাভাবিক পৃথিবীতে বাস করে, আমরা হয়তো মহাবিপর্যয় এবং মহামারী আসতে দেখে ভীত হতে পারি৷ কিন্তু ভীত হওয়ার পরিবর্তে আমরা স্বাধীন ও সাহসী হতে পারি৷ পৃথিবীর প্রকৃতির তৃতীয়াংশ যখন অগ্নিশিখায় গমন করবে, তখন লোকেরা চারিদিকে আর্তনাদ করবে৷ অনেক পূর্বেই আমরা জেনেছি যে, এই মহামারী পৃথিবীতে আঘাত করবে, এবং এর পরেও আরো মহামারী আসবে৷ কারণ আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে, এবং এই প্রত্যাশায় আমাদের সব সময় পূর্ণ থাকতে হবে, কেননা আমরা কখনও ভীত হয়ে পড়তে পারি৷ কিন্তু, যেহেতু আমরা ভবিষ্যত জানি, তাই আমাদের প্রত্যাশা এই পৃথিবীতে নয়, বরং ঈশ্বরের রাজ্যের নিমিত্ত৷ এই বিশ্বাসেই আমরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আরো বেশী সাহসী ও দৃঢ় হতে পারি৷
জগতের লোকেরা উচ্চস্বরে আর্তনাদ করবে, এবং আমাদেরও উচিত হবে, যদি আমাদের পরিবারের মধ্যে কেউ পাপের ক্ষমা না পেয়ে থাকে, তাহলে তাদের জন্য বিলাপ করা৷ আমাদের মাংসের আত্মীয় স্বজনও খাদ্যের বিনিময়ে আমদেরকে খ্রীষ্টারীর কাছে বিক্রি করে দিতে পারে৷ আবার অন্যেরাও আমাদের কাছে আসতে পারে, আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারে যে, কিভাবে তারা তাদের পাপের ক্ষমা পেতে পারে৷ এটা এখনও সম্ভব কেননা তাদের উদ্ধারের সুযোগ এখনও অপেক্ষা করছে৷ বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, যখন সপ্ততুরীর মহামারী আসবে, সমস্ত পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করবে৷ পৃথিবীর জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যখন মৃত্যুতে দগ্ধ হবে, আমরা বুঝতে পারব যে, আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু এবং প্রভুর ফিরে আসার সময় আর বেশী দুরে নয়৷ ঈশ্বর বলেছেন যে, তিনি আকাশ থেকে অগ্নি ও শিলা মিশ্রিত বৃষ্টি বর্ষণ করবেন৷
ঈশ্বর যখন আমাদের উপর অগ্নি ও শিলাবৃষ্টি আনয়ন করবেন, তখন সেগুলোকে প্রতিহত করতে আমরা ব্যর্থ হব৷ এমনকি বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষ, এবং জলবায়ু থেকে আত্মরক্ষার্থে উন্নতি সাধন করলেও, অগ্নি ও শিলা স্রোত থেকে সমস্ত পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারাটা তার পক্ষেও অসম্ভব৷ এমনকি আমরা যদি এরূপ কোনো পরিকল্পনা তৈরী করি, সেগুলো প্রভুর নিকট থেকে আগত মারীর ক্ষমতার সমকক্ষ হবে না৷ এই ঘটনা আমাদের হৃদয়াঙ্গম করতে হবে যে, বাস্তবিক এই মহামারী আমাদের উপরে আসবে এবং ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞাত বাক্য হৃদয়ে বিশ্বাসের দ্বারা বর্তমান জীবন-যাপন করতে হবে৷
কয়েকদিন আগে আমি শুনেছিলাম যে, চীন দেশে মানুষের মাথার মত বড় বড় শিলা পাথর পড়েছিল, যার পরিমাপ ৪৫ সে.মি ব্যাসের মাথার আকৃতির মত, এই সমস্ত বরফের খন্ড এত ভয়ঙ্কর ও দ্রুতবেগে পড়ছিল যে, তাদের পথ, বাড়ি ঘরের ছাদ সমস্ত কিছুই ধবংস করে ফেলেছিল৷ এই বেগের চাইতেও প্রথম মারী আরো বেশী বেগে পতিত হবে৷ আমাদের হৃদয়ে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, যে আগুন এই পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ পুড়িয়ে ফেলবে, তা চীনের শিলা পাথরের চাইতেও আরো বেশী ধ্বংসাত্মক৷ আমাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাস ধারণ করতে হবে, এবং সত্যই যখন এই মারী উপস্থিত হবে, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, এই পৃথিবী শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে৷ এবং এরূপ বিশ্বাসের দ্বারা এই মারীর সম্মুখীন হওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং সাক্ষ্যমরের জন্য আমাদেরকে জাগ্রত থাকতে হবে৷ যখন সপ্ত তুরী বাজবে, এই পৃথিবীতে সপ্ত মারী উপস্থিত হবে৷ এই মারীর এটাই প্রথম৷
 
 

ঈশ্বর কর্তৃক আনীত দ্বিতীয় তুরীর মারী

 
দ্বিতীয় তুরী- পদ ৮-৯: “পরে দ্বিতীয় দূত তূরী বাজাইলেন, আর যেন অগ্নিতে প্রজ্বলিত এক মহাপর্ব্বত সমুদ্র মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইল; তাহাতে সমুদ্রের তৃতীয় অংশ রক্ত হইয়া গেল ও সমুদ্রমধ্যস্থ তৃতীয় অংশ জীবনবিশিষ্ট সৃষ্ট জন্তু মরিয়া গেল, এবং জাহাজ সমুদয়ের তৃতীয় অংশ নষ্ট হইল।”
এই বিষয়ের প্রতি আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে, কেননা পবিত্রগণেরাও দ্বিতীয় মারীর মধ্যে থাকবে৷
এখানে বলা হয়েছে যে, বিরাট এক পর্বত যা সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হল, তাতে সমুদ্রের এক-তৃতীয়াংশ রক্তে পরিনত হল ও সমুদ্রাস্থিত জীবনবিশিষ্ট সৃষ্ট জন্তুর এক-তৃতীয়াংশ মারা গেল৷ যখন শেষ সময় আসবে, বিশ্বব্রহ্মান্ড ভেঙ্গে পড়বে, তারা-নক্ষত্র সমূহ একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয়ে ভেঙ্গে পড়বে এবং অসংখ্য উল্কা পৃথিবীর দিকে ধাবিত হয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করবে৷ উল্কাসমূহের কিছু বায়ুমন্ডলের ভেতর দিয়ে জলন্ত ও দ্রুত গতিতে সমুদ্রে গিয়ে পড়বে, তাতে সমুদ্রের এক-তৃতীয়াংশ রক্তে পরিণত হবে, সমুদ্রে অবস্থিত জীবন-বিশিষ্ট সৃষ্ট জীবের এক-তৃতীয়াংশ মারা পড়বে, এবং সমুদ্রে অবস্থিত জাহাজ সমূহের এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস হয়ে যাবে৷ সপ্ততুরীর মহামারীর মধ্যে এটাই দ্বিতীয় মারী৷
যখন এই ঘটনা ঘটবে, তখন কি আমরা সমুদ্রের মাছ খেতে পারব, বা সেখানে সাঁতার কাটতে পারব? এটা কখনও সম্ভবপর হবে না৷ বিরাট পর্বতের ন্যায় তারাসমূহ যখন সমুদ্রে পড়বে, সমুদ্রের এক-তৃতীয়াংশ রক্তে পরিণত হবে, জীবন বিশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ জীব মারা পড়বে, সমুদ্র তাদের মৃতদেহগুলো পঁচিয়ে ফেলবে, এবং সমুদ্রের জলোচ্ছাস ও ভূমিকম্প কেবল জাহাজসমূহই ধ্বংস করবে না, বরং অনেক লোককেও ধ্বংস করবে৷
আমার মনে আছে আমি একটি ছায়াছবি দেখেছিলাম, যেখানে দেখানো হয়েছে যে, একটি তারা সমুদ্রে পড়ছে এবং এর ফলে যে মহাজলোচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে তা পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছে৷ আমি নিশ্চিত যে, ছায়াছবিটির পরিচালক যখন এই ছায়াছবিটি তৈরী করেছিলেন তখন তিনি তার হৃদয়ে শেষ কালের বিষয়ে চিন্তা করে এই প্রানবন্ত ছবিটি তৈরী করেছিলেন৷ আকস্মিক মহাদুর্ঘটনা যখন পৃথিবীকে আঘাত করবে, এটা সত্য যে অবিশ্বাসীরা তখন সহজেই এটা বুঝতে পারবে৷ উল্কাপিন্ড পতনের এই মারী দ্বারা অগনিত লোক মারা পড়বে, কিন্তু যেহেতু পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, কাজেই সপ্তবাটির মহামারী স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনি এবং আমি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব৷
লোকেরা বিশ্বাস করত যে, মহাক্লেশ চলে যাওয়ার পরেই রূপান্তর ঘটবে, কিন্তু প্রাক-মহাক্লেশ রূপান্তরের মতবাদ সৃষ্টির সাথে সাথে অনেক ধর্মতত্ত্ববিদগণ প্রাক-মহাক্লেশ রূপান্তরের মতবাদে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করেছে৷ এর চেয়েও মারাত্মক বিষয় হল, বর্তমানে সহস্রাব্দ এসেছে, যা সহস্রাব্দের রাজ্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ ধর্মতত্ত্ববিদেরা প্রকাশিত বাক্যের নিগুঢ়তত্ত্বকে বুঝতে অসমর্থ হওয়ায় এই পুস্তক থেকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে৷ মহামারীর আগমন হেতু যারা এই পৃথিবীতে তাদের প্রত্যাশা হারিয়ে ফেলবে, তাদের সাথে নুতন জন্মপ্রাপ্ত সাধুগণের পার্থক্য হচ্ছে তারা যেকোনো অবস্থায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ধরে রাখতে পারবে৷ প্রভু কর্তৃক প্রতিজ্ঞাত নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী এবং সহস্রাব্দের রাজ্যে তাদের প্রত্যাশা রয়েছে৷
যেহেতু শেষ সময় আমাদের নিকটবর্তী হচ্ছে, তাই আমাদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন, কিন্তু এরূপ করার পরিবর্তে অনেকে প্রাক-মহাক্লেশ রূপান্তর বা সহস্রাব্দের কথা বলে তারা প্রকৃত সত্য উপেক্ষা করার চেষ্টা করছে৷ তারা বিশ্বাস করে যে, যীশু মেঘরথে আসবেন, তারা দৈনন্দিন কাজকর্মে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে এভাবে চলে যাবে৷ কারণ তারা বিশ্বাস করে যে, তারা কোনো মহামারীর মধ্যে দিয়ে গমন করা ছাড়াই সরাসরি ঈশ্বরের রাজ্যে নীত হয়ে যাবে৷ তারা আদৌ মহাক্লেশের জন্য নিজেদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত করে নি৷
আপাতদৃষ্টিতে যারা নিজেদেরকে মহাক্লেশের জন্য প্রস্তুত করছে না, তারা অনেকে সাহসী হয়ে উঠতে পারে৷ পাপীরা কেন সাহসী হয়ে উঠবে? তার কারণ হল মহাক্লেশের পূর্বেই তাদের আত্মা ভ্রান্ত ভাববাদীদের শিক্ষায় বিপথগামী হয়ে যাবে৷ তারা আত্মিকভাবে মৃত, আত্মিক কোনো প্রত্যাশায় তাদের থাকবে না৷ যেহেতু তারা আত্মিকভাবে মৃত, তাই তারা জল ও আত্মার সুসমাচার শুনবে না, বরং তা প্রত্যাখান করবে৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস তাদেরকে নুতন জন্ম (যোহন ৩:৫) দান করে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশাধিকার দিতে পারে৷
আর নুতন জন্ম প্রাপ্তরা শেষ সময়ে ক্লেশের জন্য অবশ্যই তাদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত রাখবে, কেননা তাদের বর্তমান জীবনযাপন কত মনোরম এটা কোনো বিষয় নয়৷ যারা ঈশ্বরের বিশ্বস্ত হবে, ভবিষ্যতে তাদের কাছে সুসমাচার প্রচারের আকাঙ্খা তাদের চিন্তা চেতনার ধারণের দ্বারা তারা অবশ্যই প্রস্তুত হবে, যেন তারা মহাক্লেশের সময়ে তাদের আত্মাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়৷
আসন্ন মহাক্লেশকে অগ্রাহ্য করা অবিশ্বাস্যরকম বোকামী৷ যারা এমন করবে, তারা মারীর সাক্ষাতে অসহায় হয়ে পড়বে, কোরিয়ান যুদ্ধে যেমনটি ঘটেছিল৷ কোরিয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে, আমেরিকা, উত্তর কোরিয়ায় হটাৎ আক্রমন সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছিল৷ কিন্তু দক্ষিন কোরিয়া সরকার বা সামরিক বাহিনী সেই সতর্কবাণী সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছিল, এবং তারা হটাৎ আক্রমনের নির্দিষ্ট দিনেই তাদের সৈন্যবাহিনীকে সরিয়ে নিয়েছিল, এবং সাপ্তাহিক ছুটিভোগ করতে অনুমতি দিয়েছিল৷
আর উত্তর কোরিয়ায় আক্রমন সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পেরেও তারা প্রস্তুত হয় নি৷ সেই আক্রমনে তারা মুহুর্তের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিল, এবং তাদেরকে একেবারে দক্ষিন কোনায় ঠেলে দিয়েছিল৷ ইতিমধ্যে দক্ষিন কোরিয়া তাত্ক্ষনিকভাবে ছুটি ভোগরত সামরিক বাহিনীকে তলব করে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু সম্মুখ সমরের যোদ্ধা ভীত হয়ে পড়েছিল, পরিস্থিতির কারণে ভীত না হওয়া ছাড়া তাদের উপায় ছিল না৷
এত এক ধরণের সন্তাপ, শেষকাল সম্পর্কে ঈশ্বর আমাদেরকে যা বলেছেন আমরা যদি সেই বাক্যে বিশ্বাস না করি, তাহলে এই প্রকার সন্তাপ আমাদের উপর পড়বে৷ সুতরাং আমরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে এতে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা এই প্রকার সন্তাপ থেকে রক্ষা পাব৷ শেষ সময়ের ক্লেশ সম্পর্কে প্রকাশিত বাক্য একটি আশ্রয় স্থাপনের সমন্ধে বলে, কিন্তু এটি আমাদেরকে এর সঠিক গন্তব্য/স্থান সমন্ধে বলে না৷ তত্সত্ত্বেও, এটি আমাদেরকে বলে যে, পবিত্রগণ আশ্রয়স্থলে আশ্রয় ও পরিচর্যা পাবে৷ এই আশ্রয়স্থল মন্ডলী ভিন্ন অন্য কিছুই নয়৷ এই পৃথিবীর কোথায় যে কেউ আশ্রয় পেতে পারে? কিছু লোক বলে, যদি তারা ইস্রায়েলে পালিয়ে যেতে পারে, তাহলে তারা বাঁচতে পারবে৷ কিন্তু বাস্তবে ইস্রায়েল আরো বেশী দুঃখ-দুর্দশা বা ক্লেশের সম্মুখীন হবে৷ আপনাকে বুঝতে হবে যে, একজন খ্রীষ্টারী নিজেই ইস্রায়েলের সদর দপ্তরে পরিণত হবে, এবং এর চতুর্দিকে মারী আরো প্রকট আকার ধারণ করবে৷
যদিও মহাক্লেশের এই বাক্য বাস্তবিকের ন্যায় এখনই হয়তো প্রকাশিত হবে না, তত্সত্ত্বেও, আপনাকে হৃদয়ে অবশ্যই ধরে রাখতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে৷ আপনাকে হৃদয় দিয়ে এতে বিশ্বাস করতে হবে এবং এই বিশ্বাসে আপনাকে অবশ্যই লোকেদের কাছে সুসমাচার প্রচার করতে হবে, যেভাবে আপনি ইতিমধ্যে এই মহাক্লেশের মধ্যে বেঁচে রয়েছেন৷ আপনাকে অবশ্যই মানুষের হৃদয়কে প্রস্তুত করতে হবে এবং তাদের মধ্যে জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রচার দ্বারা তাদেরকে তাদের আশ্রয়স্থলে ফেরৎ নিয়ে যেতে হবে৷ ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর মন্ডলীসমূহ দিয়েছেন, কাজেই যে সমস্ত বিষয়গুলো আসছে, সে বিষয় লোকদেরকে আমাদের শিক্ষা দিতে হবে এবং শেষকালের নিমিত্ত তাদের বিশ্বাস প্রস্তুতির নিমিত্ত তাদের সাহায্য করতে হবে৷
এই কারণে আমরা যা করছি তা হল, - আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি৷ আমরা প্রকাশিত বাক্যের বাক্য প্রচার করছি আমাদের নিজেদের দাম্ভিকতায় নয়, বরং এই বাক্য বর্তমান যুগের বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী সকলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়, যখন আমাদের উপর ক্লেশ ও মাহামারী নেমে আসবে, তখন আমাদের হৃদয় যেন অবিচল থাকে, এই জন্য এখন থেকেই বিশ্বাস প্রচার করছি৷
ঈশ্বর আমাদেরকে অবশ্যই তাঁর বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দান করবেন, কেননা আমরা ভয়ঙ্কর, প্রচন্ড এবং কঠিন পৃথিবীতে বাস করছি, যদি আমরা জানি যে শেষ কালে কি আসছে এবং ক্লেশকে জয় করার জন্য আমাদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত করতে চাই, তাহলে আমরা আরো বেশী সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে পারি৷ তাছাড়া, যেহেতু আমাদের স্থান হবে এবং ঈশ্বরের রাজ্যের প্রত্যাশা আরো বেশী, সুতরাং আমরা কখনও চলমান জগতের মত চলতে পারি না, বরং তার পরিবর্তে আমরা আরো বেশী বিশ্বস্ত কার্য করতে পারি৷ এই কারণে আমরা প্রকাশিত বাক্যের বাক্য প্রচার করি এবং বিশ্বস্ত কার্য করি৷
 
 
তৃতীয় তুরীর মহামারী
 
তৃতীয় তুরী,- পদ ১০-১১: ““পরে তৃতীয় দূত তূরী বাজাইলেন, আর প্রদীপের ন্যায় প্রজ্বলিত এক বৃহৎ তারা আকাশ হইতে পড়িয়া গেল, নদ নদীর তৃতীয় অংশের ও জলের উনুই সকলের উপরে পড়িল। সেই তারার নাম নাগদানা, তাহাতে তৃতীয় অংশ জল নাগদানা হইয়া উঠিল, এবং জল তিক্ত হওয়া প্রযুক্ত অনেক লোক মরিয়া গেল।”
পবিত্রগণও এই তৃতীয় মারীর মধ্যে থাকবে৷ দ্বিতীয় তুরীর মারী সমুদ্রের উপর আনয়ন হয়েছিল, কিন্তু একই সময় তৃতীয় তুরীর মারী নদ-নদী ও উনুইয়ের উপরে আনীত হবে৷ আকাশ থেকে যে বৃহৎ তারা খসে পড়বে তা ধুমকেতুকে নির্দেশ করে৷ ধুমকেতুর আঘাতে নদ-নদী ও উনুইয়ের জলতিক্ত হয়ে উঠল, নাগদানা হয়ে উঠল৷ প্রাচীন কালে ভূমির নাগদানা ব্যবহার করা হত এবং ঔষধ হিসাবে এর রস ব্যবহার করা হত, যা কল্পনাতীত তিক্ত ছিল৷ বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, এই তিক্ত নাগদানা জলপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে, এবং অনেক লোক এটি পান করে মারা পড়বে৷
 
পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশের জল নাগদানায় পরিণত হবে, এতে অনেক লোক মারা যাবে, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সন্তানদেরকে এই মহামারীর মধ্যে রক্ষা করবেন৷ জল থেকে সৃষ্ট রোগের কারণে অধিকাংশের মৃত্যু হবে, বিশেষভাবে ধুমকেতু পতিত হওয়ার দরুন প্রাণ-রসায়ন চিকিত্সা বা বায়োকেমিক্যাল পরিবর্তন ঘটবে৷ অপর দিকে, লোকেরা জল তিক্ত হওয়ার কারণে মারা যাবে৷ আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি যে, এই সমস্ত বিষয়গুলি সত্য এবং ভবিষ্যতে অবশ্যই আসবে৷
 
 
চতুর্থ তুরীর মারী
 
চতুর্থ তুরীর মারী- পদ ১২ : “পরে চতুর্থ দূত তূরী বাজাইলেন, আর সূর্য্যের তৃতীয় অংশ ও চন্দ্রের তৃতীয় অংশ ও তারাগণের তৃতীয় অংশ আহত হইল, যেন প্রত্যেকের তৃতীয় অংশ অন্ধকারময় হয়, এবং দিবসের তৃতীয় ভাগ আলোকরহিত হয়, আর রাত্রিও তদ্রূপ হয়।”
এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, চতুর্থ তুরীর মারীর মধ্যে সাধুগণও এই পৃথিবীতে বাস করতে থাকবে৷
দিবসের তৃতীয়ভাগ যদি আলোকিত না হয়, এর অর্থ হচ্ছে গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৪ ঘন্টা আলোকিত হবে৷ তাছাড়া চন্দ্র ও তারাগণ যদি তাদের এক-তৃতীয়াংশ দীপ্তি হারায়, তাহলে সমস্ত পৃথিবী অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে৷ “Rapture” ছায়াছবিপ্রাক-মহাক্লেশ রূপান্তরের মতবাদ অনুসরণ করে, কিন্তু এতে আপনি দেখতে পাবেন সমগ্র পৃথিবীর দিনের আলো অন্ধকারে পরিনত হয়েছে, ফলে প্রত্যেকে আতঙ্কিত ও আর্তনাদ করছে৷ এই বিষয় নিজেই চিন্তা করুন; ধরা যাক সকাল ১১ টার সময় হটাৎ করেই সূর্য আলোকরোহিত হল এবং আর কোনো আলো থাকলো না৷ আপনিও ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন, যেন মনে হবে আপনি মৃত্য দুতের সাক্ষাত পেয়েছেন৷
আমরা জানি যে, এই ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনামূলক সময়ের মধ্যে আমরা এখন বাস করছি, কিন্তু আপনার ভয় পাওয়া উচিত নয়৷ ঈশ্বর আমাদেরকে রক্ষা করবেন এবং আরো বেশী আশীর্বাদ করবেন৷ এই সময়ে, আপনার বিশ্বাসকে এত শক্তিশালী করতে হবে, যেন ঈশ্বর আপনার প্রার্থনার উত্তর দেন এবং যে মুহুর্তে আপনি তাঁর নিকট প্রার্থনা করেন তিনি যেন আপনার জন্য কাজ করেন৷ কেননা ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি সর্বদা আমাদের সঙ্গে আছেন, এমনকি জগতের শেষদিন পর্যন্ত, ঈশ্বর কখনই মহাক্লেশের সময় আমাদের পরিত্যাগ করবেন না৷ কোনো প্রকার সন্দেহ ব্যতিরেকেই তিনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন৷ এইভাবে ঈশ্বর সব সময়েই আমাদের হবেন, আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যে, ঈশ্বর আমাদেরকে রক্ষা করবেন এবং আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবেন, এবং আমরা অবশ্যই এই বিশ্বাস অন্যের কাছে ছড়িয়ে দেব এবং তাদের বিশ্বাসকে ভালোভাবে প্রস্তুত করব৷
 
 
আরো তিনটি মারীর আগমন হবে
 
১৩ পদ বলে, “পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর আকাশের মধ্যপথে উড়িয়া যাইতেছে, এমন এক ঈগল পক্ষীর বাণী শুনিলাম, সে উচ্চ রবে বলিল, অবশিষ্ট যে তিন দূত তূরী বাজাইবেন, তাঁহাদের তূরীধ্বনি হেতু, পৃথিবীনিবাসীদের সন্তাপ, সন্তাপ, সন্তাপ হইবে।”
যেহেতু দূত আরো তিনবার উচ্চস্বরে সন্তাপ, সন্তাপ, সন্তাপ বলবে, তখন আর তিনবার মহামারী এই পৃথবীতে ঘটবে৷ অন্যকথায়, সপ্ততুরীর মহামারীর আরো তিনটি মারী তখনও অবশিষ্ট থাকবে৷ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, সপ্ততুরীতেই আমাদের রূপান্তর ঘটবে৷ যখন ষষ্ঠ তুরীর সমস্ত মারী সম্পন্ন হবে, এবং সপ্তম দূত তার তুরী বাজাবে, তত্ক্ষনাত সাধুগণ পুনরুত্থিত এবং রূপান্তরিত হবেন৷ যখন সমস্ত সাধুগণ উর্দ্ধে নীত এবং আকাশে প্রভুর সাথে মিলিত হবেন, তখন সপ্তবাটির মহামারী স্রোতের ন্যায় পৃথিবীতে ঢেলে দেওয়া হবে৷
আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, পৃথিবী শীঘ্রই সপ্ত বাটির প্রথম মারীতে প্রবেশ করবে, পরে যে সপ্ততুরীর মারী স্রোতের ন্যায় ঢালা হবে তা ঈশ্বরের ইচ্ছায় হবে৷ আমাদের হৃদয় দিয়ে আমরা অবশ্যই এগুলোতে বিশ্বাস করব, এবং এখন থেকেই আমাদের বিশ্বাসকে প্রতিপালন করব যেন, সমস্ত মারীর মধ্যে দিয়ে আমাদের বিশ্বাস স্থির থাকতে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়৷ শেষকাল সমন্ধে পূর্বতন জ্ঞান ব্যতিরেকে লোকেরা যদি বিশ্বাস করে, তাহলে সত্যই যখন মহাক্লেশ আসবে, তারা এতই স্তম্ভিত হয়ে পড়বে যে, হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বধর্মত্যাগ করবে৷
এইরূপে, শেষ সময়ে আমাদের নিমিত্ত বিজয়োত্সব করতে শেষ দিন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের দ্বারা এই বিষয়ে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস থাকতে হবে৷ সুতরাং, আজকে আমরা কখনই মন্ডলীকে অবহেলা করব না বা তার থেকে দুরেও চলে যাব না৷ আমাদের হৃদয়কে অবশ্যই মন্ডলীর সাথে একতাবদ্ধ করতে হবে, এবং এটা কোনো বিষয় নয় যে, মন্ডলীর মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে প্রচারিত ঈশ্বরের বাক্যে আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব, একে অন্যের কাছে ধারণ করব এবং বিশ্বাসে বেঁচে থাকব৷ 
যখন এই মারী আসবে, হতে পারে, আপনার আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধব, এমনকি আপনার পরিবারের কেউ কেউ উদ্ধার পাবে না৷ স্বাভাবিকভাবে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, কারা আমাদের আত্মীয়, ভাই-বোন, পিতা-মাতা, প্রভু আমাদেরকে বলেন, যারা পিতার ইচ্ছা পালন করে তারা আমাদের পরিবার, পিতা-মাতা এবং ভাই-বোন৷ যখন বিশ্বময় মহাক্লেশ নেমে আসবে, তখন নুতন জন্ম প্রাপ্তেরা এবং তাদের সত্যিকারের ভাই-বোনেরা এবং পরিবার তা বুঝতে পারবে৷ কেননা, আমরা বুঝতে পেরেছি এবং অন্যদেরকে এই বিশ্বাস বুঝতে সাহায্য করেছি, যেহেতু ঈশ্বর ইতিমধ্যেই আপনাকে এবং আমাকে এই মারী থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি এই মারী থেকে আমাদের রক্ষা করবেন, আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন এবং তিনি আমাদেরকে তাঁর সন্তানরূপে তাঁর মন্ডলীতে লালন-পালন করবেন৷ এই বিশ্বাস আমাদের মধ্যে অবশ্যই দৃঢ়রূপে ধারণ করতে হবে৷
শেষ কালে যারা আমাদেরকে খ্রীষ্টারীর কাছে বিক্রি করবে, তারা আমাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়৷ যদিও তারা আমাদের পরিবারের ও আমাদের আত্মীয়-স্বজন, কিন্তু যদি তারা জল ও আত্মা হতে নুতন জন্ম লাভ না করে, তাহলে আমাদের বিশ্বাস শুরু থেকেই তাদেরকে বিদেশী হিসাবে বিবেচনা করতে যথেষ্ট সমর্থ হবে৷ অন্যকথায়, তারা অনাত্মীয়দের চেয়েও আমাদের প্রতি আরো বেশী দুর্ব্যবহার করতে পারে৷ যদি তারা উদ্ধার পেয়ে থাকে,- তাহলে তারা আমাদের মাংসিক পরিবার, এটা কোনো বিষয় নয়, তখন আমরা অবশ্য অবশ্যই বুঝতে পারব যে, তারা আমাদের শত্রু৷ আমরা মাঝে মাঝে ঈশ্বরের বাক্য থেকে যা শুনে থাকি, সেই উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের হৃদয় উন্মুক্ত করে দেব এবং সত্য বিশ্বাস স্বরূপ তাতে বিশ্বাস করব৷
যেভাবে ঈশ্বর অগ্নি ও গন্ধকের বৃষ্টি বর্ষণের দ্বারা সদোম ও ঘোমরাকে অগ্নিহ্রদে পরিণত করেছিলেন, ঠিক সেইভাবে তিনি শেষ কালে পাপীদের নিমিত্ত এইরূপ মহামারী আনয়ন করবেন৷ ঈশ্বর যে সদোম ও ঘোমরা ধ্বংস করেছেন, প্রত্নতাত্ত্বিক উপান্ত থেকে তা প্রমানিত হয়েছে৷
বর্তমান সময়েও, মানবজাতির ধ্বংসের উপর ভিত্তি করে অনেক ছায়াছবি তৈরী করা হচ্ছে যে কিভাবে নক্ষত্রসমূহ পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে৷ এই সমস্ত ছায়াছবি বাইবেলের বাক্যের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছে, যা সেই দিনের মহামারী সম্পর্কে লিপিবদ্ধ রয়েছে, যা পৃথিবীতে অবশ্যই ঘটবে৷ বাস্তবিকই অনেক উপর থেকে পৃথিবীর উপরে উল্কাপিন্ড পতিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, এই পৃথিবীতে মহামারীর চাইতে এর প্রভাব আরো বেশী হবে৷
জীবাশ্ম সংক্রান্ত উপাত্ত থেকে ডাইনোসরের জীবাশ্ম হচ্ছে এর একটি প্রকৃত উদাহরণ, যা বর্ণনা করে যে, এই পৃথিবী প্রাচীনকাল থেকেই পরিবর্তিত হয়ে আসছে৷ তাদের জীবাশ্ম আমাদেরকে তাদের নির্বাপিত জীবনের অস্তিত্বের বিষয় বলে৷ বিজ্ঞানীদের মতে এই নির্বাপিত জীবনের অস্তিত্বের সাথে ডাইনোসর সম্পৃক্ত৷ উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে যে, তারার সাথে পৃথিবীর আকস্মিক সংঘর্ষে এই বিবর্তনের সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রকাশিত বাক্য ৮ অধ্যায়ে উল্কাসমূহের মহামারীর বিষয় লিখিত আছে, সুতরাং এই পৃথিবীতে এটা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে৷
 
 
ভবিষ্যত বেশী দুরে নয়
 
আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এই ধরনের মহামারী পৃথিবীতে আসবে এবং সেই দিন বেশী দুরে নয়৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই মানব ক্লোনিংয়ের চেষ্টা করছে, যা ঈশ্বরের সাথে খুব ভয়ানক প্রতিদ্বন্দিতা করার মত৷ সুতরাং এই যুগে ঈশ্বর কর্তৃক আনয়নের নিমিত্ত সমস্ত মারী প্রস্তুত রয়েছে৷ বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল হয়ে মানুষকে ঈশ্বরকে ভুলে গেলে চলবে না৷
মানুষ এখন তার বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার জ্ঞানে পৃথিবীর সমস্ত মহামারীর উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এমন কোনো বৈজ্ঞানিক সাফল্য ঈশ্বরের মহামারী কখনই প্রতিহত করতে পারে না, এইজন্য অন্যান্য আকস্মিক দুর্ঘটনার চাইতে এগুলো আরো খারাপ যা মানুষ পূর্বেই এর মধ্যে দিয়ে গমন করেছে৷ আজকে, যখন আমরা মানুষের তৈরী বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষের দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে, মানুষ ঈশ্বরের ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দিতা করছে, তাঁর মত হওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি কতটুকু সাধন হয়েছে এটা কোনো বিষয় নয়, কেননা কেউই ঈশ্বর কর্তৃক পরিকল্পিত মহামারী ঠেকাতে পারবে না৷ অন্যদের চাইতে মানুষ নিজের দ্বারাই এই সমস্ত মহামারী সমন্ধে জিজ্ঞাসা করেছে৷
ঈশ্বর যে মহামারী আনয়ন করেছেন তা থেকে রক্ষা পাওয়ার কেবলমাত্র একটি পথ রয়েছে, তাহল, জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে পরিত্রাণের সত্য প্রকাশ করা৷ জল ও আত্মার সুসমাচারে আপনার বিশ্বাসই, ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ, যা অনুসরণ এবং বিশ্বাসের দ্বারাই আপনি এই মারী থেকে রক্ষা পেতে পারেন৷
সমস্ত আশীর্বাদ এবং অমঙ্গল ঈশ্বরের হস্তেই নিহিত৷ ঈশ্বর যদি এই পৃথিবী রক্ষা করতে চান, তাহলে এই পৃথিবী রক্ষা পেতে পারে, যদি তিনি তা না চান, তাহলে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না৷ এই প্রকার যুগে বাস করে, আপনি যদি বিশ্বাস করেন এবং ঈশ্বরের বাক্য আরো সঠিকভাবে অনুসরণ করেন, এবং তাঁকে আরো বেশী ভয় করেন, তাহলে ঈশ্বর আপনাকে জল ও আত্মার সুসমাচারের পথ দেখাবেন, যা যে ভয়ঙ্কর মহামারী আসছে, তা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে৷
এমনকি এখনও, পৃথিবীর অনেকে ভূমিকম্প, টাইফুন এবং রোগেশোকে, ভয়ে মারা যাচ্ছে৷ তাছাড়া সর্বত্র যুদ্ধ শেষ হবে না, এবং জাতির বিরুদ্ধে জাতি ও রাজ্যের বিরুদ্ধে রাজ্য দাঁড়াবে৷ যেমন অদূর ভবিষ্যতে যখন খ্রীষ্টারীর আগমন হবে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সে সব সমস্যার জরুরী সমাধান দিতে চেষ্টা করবে, তখন অনেকেই তার অনুসারী হবে৷ তারপরই আরো ভয়বহ প্রচন্ড মহামারী এই পৃথিবীতে নেমে আসবে এবং শেষে ঈশ্বরের পরিকল্পিত মহামারী দ্বারা পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হবে৷ 
ঈশ্বর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করবেন৷ যারা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছে, তাদেরকে তিনি এই নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দান করবেন৷ ঈশ্বরের নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য হল যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের বিশ্বাস দ্বারা নুতন জন্ম লাভ করবে, তাদেরকে তিনি তা দান করবেন৷ সে দিন বেশী দুরে নয়, যে দিন ঈশ্বর প্রথম পৃথিবী ধ্বংস করবেন এবং নুতন পৃথিবী খুলে দেবেন৷ যেভাবে প্রাচীন ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিল, সেই ভাবেই আধুনিক সভ্যতার জগত ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আমরা ঈশ্বরের পরিকল্পিত নুতন পৃথিবী স্বচক্ষে দেখতে পাব৷ 
আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে আমাদের কিভাবে বাস করতে হবে৷ বর্তমান অনুচ্ছেদে যেভাবে আগত মারী সমন্ধে লিপিবদ্ধ আছে, তাতে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে ও বিশ্বাসের পরবর্তী পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে৷ অবশ্যই আমাদেরকে প্রকাশিত বাক্যের ভাববাণী বাক্যে জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে৷ আমি এটা বলি, কেননা যখন সেই দিন আসবে, তখন আপনার যে সমস্ত জ্ঞান রয়েছে, এবং আপনার বিশ্বাসকে দৃঢ় করার জন্য তা সফল হবে৷
মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে ধুমকেতুর যে অসংখ্য এবং অজানা চক্র রয়েছে এবং মহাকাশের যে সমস্ত বস্তু পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে, সেগুলোকে একসঙ্গে বলা হয়, Near Earth Objects (NEO)৷ এক সময় NASA সৌরজগতে এরকম ৮৯৩ টি NEO-এর সন্ধান পেয়েছিল৷ যদি এদের মধ্যে একটি মাত্র NEO পৃথিবীকে আঘাত করে, তবে তার ধ্বংসযজ্ঞ হবে কল্পনাতীত৷ সহস্র সহস্র পারমানবিক বোমা একসঙ্গে বিস্ফোরিত হলে যে ধ্বংস নেমে আসবে, এই ধ্বংস তার চাইতেও মারাত্মক হবে৷
ভাবতে পারেন তখন পৃথিবীতে কি ঘটবে৷ বিশ্বের বনায়ন, জলরাশি ও জাহাজ সমুদয় যা দত্ত হয়েছিল সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে৷ অতএব, সমস্ত মানুষকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে এবং অনন্ত জীবনের নিমিত্ত প্রচারকার্যে তাদের জীবনযাপন করতে হবে৷
প্রভু আমাদেরকে বলেছেন যে, যখন প্রাকৃতিক মহামারী পৃথিবীতে নেমে আসবে তখন সূর্য, চন্দ্র ও তারাগণের তৃতীয় অংশ তাদের উজ্বলতা হারাবে, কিন্তু অল্প লোকেই তা জানে ও বিশ্বাস করে৷ যেভাবে খুব অল্প সংখ্যক লোক জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেছে এবং তা প্রচার করেছে৷
আমাদের চিন্তা চেতনাকে অবশ্যই জাগ্রত করতে হবে৷ এইসব মহামারী শীঘ্রই আসবে এবং আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে যে, বাকি জীবন আমরা কতটা দৃঢ় বিশ্বাসে যাপন করব৷ আপনাকে এবং আমাকে অবশ্যই এটা বুঝতে হবে যে, বর্তমান যুগ মহাক্লেশের একটি প্রথম ধাপ এবং আমরা যেন কোনো সন্দেহ ছাড়া দৃঢ় বিশ্বাসে অবশ্যই বেঁচে থাকব৷
মহাক্লেশের নিমিত্ত ভাববাণী বাক্যে বিশ্বাস হেতু আমরা যদি বেঁচে থাকতে না পারি, তাহলে আমাদের হৃদয় শূন্য হয়ে যাবে, আমাদের উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে, এবং আমরা দুঃশ্চিন্তায় খোঁড়া বা অক্ষম হয়ে যাব৷ অবশ্যই এটা হতে পারে না৷ বরং এর পরিবর্তে আমরা যেন এই পৃথিবী ত্যাগ না করি এজন্য পৃথিবীতে আমাদের প্রত্যাশা স্থাপনের মাধ্যমে আমরা বেঁচে থাকব৷ অনেকেরই, অল্পপরিমান বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আছে যারা ভালোভাবে জানে যে, এই পৃথিবীতে কোনো আশা নেই৷ ঈশ্বর নিশ্চয় এই পৃথিবীর ধ্বংসসাধন করবেন৷ 
ঈশ্বর রাজ্য তৈরী করবেন এবং ধার্মিকদেরকে এই রাজ্যে বাস করার অনুমতি দেবেন৷ আর তিনি তাদেরকে তাঁর সাথে চিরতরে বাস করার অনুমতি দেবেন, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে৷
ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদের নিজেদের ইচ্ছা ও চিন্তা-চেতনাকে নত করতে হবে, এবং নম্রতাকে গ্রহণ করতে হবে ও তাঁর ভাববাণী বাক্যে বিশ্বাস করতে হবে, আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে, তাহলে যখন তিনি আসবেন, তখন আমরা প্রভুর সাথে মিলিত হতে পারব৷ চলুন আমরা ঈশ্বরের এই কাজ করি৷ প্রভু যখন এই পৃথিবীতে আসবেন, আমরা তখন নুতন জীবন গ্রহণ করব, আমাদের শরীর তাঁর মত রূপান্তরিত হবে এবং আমরা পুনরায় তাঁর নুতন পৃথিবীতে বসবাস করব, যেভাবে তিনি এই সমস্ত কথা আগেই জানিয়েছেন৷
প্রভুর আগমনের সঠিক দিন ও সময় আমরা জানি না৷ কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন লক্ষণ ও চিহ্ন দেখে আমরা জেনেছি যে সমস্ত মহামারী সম্পর্কে ঈশ্বরের বাক্যে যা লেখা আছে, তা আমাদের খুবই কাছে এসে পড়েছে৷ কাজেই আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারি, যিনি এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং যিনি আমাদেরকে পরিত্রাণের পথ দেখিয়েছেন৷