Search

শিক্ষা

বিষয় ১১: আবাস

[13-2] খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব (প্রকাশিত বাক্য ১৩:১-১৮)

খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব
< প্রকাশিত বাক্য ১৩:১-১৮ >
 
মূল অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে আমি এখন খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব এবং সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু সম্পর্কে আলোচনা করব৷ ১৩ অধ্যায় থেকে আমরা দেখি সমুদ্রের মধ্যে থেকে একটি পশু উঠে আসছে৷ এই যে পশুটি দশ শৃঙ্গ এবং সপ্ত মস্তক বিশিষ্ট, সে খ্রীষ্টারী ব্যতীত অন্য কেউ নয়৷ অনুচ্ছেদটি আমাদের বলে যে, পশুটির শৃঙ্গগুলিতে দশ কিরীট আর তার মস্তকে ঈশ্বর নিন্দার কতিপয় নাম ছিল৷ আমাদেরকে আরো বলা হয়েছে যে, এই পশু চিতাবাঘের তুল্য, তার চরণ ভল্লুকের ন্যায় এবং তার মুখ সিংহমুখের ন্যায় ছিল৷ তত্সঙ্গে সেই নাগ আপনার পরাক্রম, আপনার সিংহাসন এবং মহৎ কর্তৃত্ব প্রদান করেছিল৷ ঐ সমস্তের মধ্যে একটি মস্তক মৃত্যুজনক আঘাতে আহত হয়েছিল, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই মৃত্যুজনক আঘাতের প্রতিকার করা হয়েছিল৷
সমগ্র পৃথিবী এর দ্বারা চমত্কৃত হয়ে সেই পশুটির পশ্চাতে চলল৷ যেহেতু সে পশুটিকে আপনার কর্তৃত্ব দিয়েছিল, তাই তারা সেই নাগ ও পশুটির ভজনা করেছিল এবং বলছিল, “এই পশুর তুল্য কে? কে এর সাথে যুদ্ধ করতে পারে?” অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আরো বলে যে, আর এমন এক মুখ তাকে দত্ত হয়েছিল যা দর্প ও ঈশ্বরনিন্দা করে এবং তাকে বিয়াল্লিশ মাস পর্যন্ত কার্য করার ক্ষমতা দত্ত হয়েছিল৷ 
 
 

সমুদ্রের মধ্য থেকে উঠে আসা পশুটি

 
প্রেরিত যোহন যা দেখেছিলেন তা ছিল পৃথিবীর শাসকদের মধ্য হতে শেষকালে খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব৷ এই খ্রীষ্টারী ছিল সমুদ্র থেকে উঠে আসা দশ শৃঙ্গ এবং সপ্ত মস্তক বিশিষ্ট অদ্ভুত পশু৷
যে পশুটি প্রকৃতই পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে, এই পশুটি সেই পশু কিনা তা অবশ্যই আমাদেরকে খুঁজে বার করতে হবে৷ পশুটির দুটি প্রধান বিষয় আমাদেরকে কৌতুহলী করে: প্রথমত, প্রকৃতই এই পশুটি পৃথিবীতে তার আবির্ভাব ঘটাবে কিনা বহু লোককে হত্যা করবে কিনা, দ্বিতীয়ত, পৃথিবীর শাসকদের মধ্য হতে যে অত্যাচারী খ্রীষ্টারী উত্থিত হবে, এই পশুটি দ্বারা তাকে বোঝায় কিনা৷ বিতর্কের এই বিষয়গুলো লোকেদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে৷ যারা এই ইস্যুগুলি সম্পর্কে জানে, তারা হয়তো বলে যে, সেগুলো বোঝা খুবই সহজ, কিন্তু যারা এইগুলি সম্পর্কে অজ্ঞান, তারা স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নের উপর সম্পূর্ণ সন্দিহান যে, বাস্তবিকই শেষকালে পৃথিবীতে এইরূপ পশু আবির্ভূত হবে কিনা, এবং লোকেদের উপরে কর্তৃত্ব করবে কিনা৷ 
ভবিষ্যতে একজন রাজা এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে, যে শয়তান দ্বারা শাসিত হবে, এ সম্পর্কে ১৩ অধ্যায়ে আমাদেরকে তা বলা হয়েছে৷ “সমুদ্রের মধ্য হইতে এক পশু উঠিতেছে” বাক্যাংশটির অর্থ হল, পৃথিবীতে সাতজন রাজার মধ্য হতে একজন রাজা খ্রীষ্টারী হবে৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আরো বলে যে, খ্রীষ্টারীর সাথে দশ জাতি একাত্মতা করবে এবং সমগ্র পৃথিবীর উপর ধ্বংসের কর্তৃত্ব করবে৷
অন্যকথায়, সেই পশুটির একটি মস্তকে মৃত্যুজনক আঘাত এবং এর প্রতিকার আমাদেরকে বলে যে, সাত রাজার মধ্যে একজন রাজা মৃত্যুজনক আঘাতে আহত হবে, কিন্তু তার মৃত্যুজনক আঘাতের প্রতিকারও হবে৷ এই পশুর চিকিত্সা শাস্ত্রের ঘোষণামতে মৃত্যু হবে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাকে জীবিত করা হবে, আর তারপরে সে নাগের ন্যায় কার্য করবে৷ নাগ বলতে এখানে শয়তানকে বোঝায়৷ নাগের ন্যায় পশুটিরও লোকেদেরকে ধ্বংস এবং ক্ষতি করার সমস্ত ক্ষমতা থাকবে৷ যখন শেষ সময় আসবে, তখন পশুত্ব স্বভাবের এইরূপ একজন মানুষ তার আবির্ভাব ঘটাবে এবং সিনেমায় গর্জিলা যেমন অদ্ভুত তেমনি সে বাছবিচার না করে লোকদেরকে হত্যা করবে৷ 
শয়তানের সেবকের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে এই পৃথিবী এর ধ্বংসের সংগ্রাম শুরু করবে৷ শয়তান শেষকালে তার অধীনে মানুষকে নেওয়ার জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করবে সেটা হল তার দাসের মাধ্যমে মানুষের প্রতি বর্বরোচিত নৃসংসতা চালাবে৷ ঈশ্বর যেমন তাঁর সাধুগণের মাধ্যমে পাপীদের পরিত্রাণ দেওয়ার রীতি অনুসরণ করেছেন, শয়তানও তদ্রুপ তার দাসের মাধ্যমে মানুষকে আয়ত্বে নেওয়ার একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে৷
এই অনুচ্ছেদ প্রকৃতভাবে আমাদের নিমিত্ত কি অর্থ প্রকাশ করে তা সুক্ষভাবে আমাদের নির্ণয় করা প্রয়োজন৷ অনুচ্ছেদটিতে যেমন একটি পশুর মস্তক আঘাতে আহত হয়েছিল, তেমনি মৃত্যুজনক আঘাতের দ্বারা এই পৃথিবীর একজন শাসকেরও অভ্যুদয় হবে, সে নাগ হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে এবং ঈশ্বর রূপে মানুষের কাছে সমাদৃত হবে৷ এ কারণে লোকেরা যে ঘোষণা করেছিল তা আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে, “এই পশুর তুল্য কে? কে এর সাথে যুদ্ধ করতে পারে?”
বর্তমান অনুচ্ছেদে যে খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব রয়েছে, সে শয়তানের দলের অধীনস্ত সমস্ত লোকের দ্বারা সম্মানিত হবে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে৷ এর অর্থ হল শেষ সময়ের পৃথিবীতে একজন পরাক্রমশালী নেতার উত্থান হবে এবং সে পৃথিবী শাসন করবে৷ এই নেতা পৃথিবীর জাতিগনের শাসকদের মধ্যে একজন৷ শয়তানের থেকে খ্রীষ্টারীর আত্মা গ্রহণ করে সে একজন পরাক্রমশালী নেতা রূপে আবির্ভূত হবে৷ পৃথিবী তখন এই নেতার শাসনাধীনে চলে আসবে এবং তার দ্বারা শাসিত হবে৷ ভবিষ্যতে পৃথিবী একত্রিত হয়ে একটি একক রাষ্ট্র হয়ে যাবে৷
বর্তমান যুগের অগ্রসরমান লোকেরা একে অপরের সাথে সহযোগিতা করবে এবং পরাক্রমশালী নেতার সম্মুখস্ত হওয়ার দ্বারা সমগ্র পৃথিবীর উপরে তাদের শাসন বিস্তার করবে৷
আমরা জানি ইউরোপ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রয়েছে, এবং এশিয়া ও আমারিকাতেও তেমন রয়েছে, বিভিন্ন দলগুলি একটি একক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একীভূত হয়ে একক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করছে৷ যখন এইরূপ দলগুলোর আরো উন্নতি হবে, তখন যুক্ত আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হবে, এবং এইরূপ একীভূত রাষ্ট্র থেকে খুবই পরাক্রমশালী নেতার উত্থান হবে৷ এই নেতা খ্রীষ্টারীর ভূমিকায় কাজ করবে, এবং ঈশ্বরের বিপক্ষে দাঁড়াবে৷ তার সন্তুষ্টি অনুসারে সমগ্র পৃথিবীকে দমন করতে এবং ক্ষমতার সাথে রাজত্ব করতে সে একজন ক্যারিসমাটিক নেতা হবে৷
কেন? কেননা শয়তান এবং নাগ হতে মহা ক্ষমতা এবং পরাক্রম লাভের দ্বারা সাধারণ লোকের থেকে তার জ্ঞান ভিন্ন হবে, এবং সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা থেকে তার চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হবে৷ তার জ্ঞান ও ক্ষমতা আকাশচুম্বী হবে৷ সে যা বলবে তা কোনো সমস্যা ছাড়াই সাধিত হবে, আর কেউই তার স্থানের লালসা করতে সাহস করবে না৷ তার এই রাজত্বের সময় হল প্রকাশিত বাক্যে লিখিত পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ৷
অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যম্ভাবীভাবে পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ আসবে এবং পৃথিবী তখন সব কিছু সময়ের জন্য খ্রীষ্টারীর অধিকৃত হয়ে যাবে৷ কিন্তু যারা প্রকৃতপক্ষে এই সত্য জানে না, তারা খ্রীষ্টারীর ন্যায় একজন ক্ষমতাপূর্ণ নেতার আবির্ভাব দেখতে চাইবে৷ যাহোক, সাধুগণ এই সত্য জানে এবং তারা এইযুগে জেগে উঠবে, আর যখন সময় আসবে, তখন তারা খ্রীষ্টারীকে প্রতিরোধ এবং খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম হবে, এবং তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে সাক্ষ্যমর হবে৷
আজকাল বহু লোক তাদের নিজেদের দেশের নেতাদেরকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করে না৷ তারা যে দেশই বাস করুক না কেন, তাদের রাজনৈতিক নেতাদের উপর তাদের সাধারণ কিছু অসন্তোষ রয়েছে৷ সমগ্র বিশ্বের লোক একজন ক্ষমতাপন্ন ও দক্ষ নেতার জন্য প্রতীক্ষা করছে৷ কেন? কারণ, তারা একজন নেতা চায় যে এই পৃথিবীতে বৃদ্ধি পাওয়া খাদ্য ঘাটতি থেকে পরিবেশ বিপর্যয়, ধর্মীয় সমস্যাসমূহ, অর্থনৈতিক মন্দা, সম্মুখ ধাবনের উত্কন্ঠা এবং এইরূপ সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে৷যখন একজন বিশ্বনেতা মহাজ্ঞান ও ক্ষমতায় ভুষিত হবে, এবং সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে, তখন পৃথিবীর প্রত্যেকে তাকে ঈশ্বরের ন্যায় সম্মান করবে এবং তার দ্বারা শাসিত হয়ে আনন্দিত হবে৷ এই নেতাই সেই খ্রীষ্টারী, সমস্ত পৃথিবী যার হাতের মুঠোয় থাকবে এবং যে সমস্ত কিছুর তত্ত্বাবধান করবে৷
আমরা সকলে একজন রাজনৈতিক নেতা চাই, যাকে সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা সম্মান করতে পারি, এই ধরনের অভিলাষকে বাস্তবে রূপ দেওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার, যেহেতু এই প্রকার নেতা উঠতে পারবে না, বাস্তবিকভাবে এর অস্তিত্বপ্রাপ্ত আসবে৷ কিন্তু খ্রীষ্টারী এই পৃথিবীতে এসে যেভাবে অনেক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবে, তাতে সে সকলের প্রত্যাশিত নেতা হয়ে যাবে, সে পৃথিবীতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিরতা আনয়ন করতে পারবে৷
যখন কৃষ্ণবর্ণ অশ্বের যুগ পার হয়ে যাবে এবং পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ শুরু হবে, তখন ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবী একজন শক্তিশালী এবং সক্ষম নেতা খুঁজবে৷ ছোট দেশের ক্ষমতাহীন নেতারা বিশ্বব্যাপী সমস্যার সমাধান করতে পারে না৷ এইরূপ লোকেরা তখন একজন শ্রেষ্ঠ নেতা খুঁজবে৷ খ্রীষ্টারী এই সময় আবির্ভূত হয়ে ঈশ্বরের ন্যায় কথা বলবে ও কাজ করবে৷ কেননা সে মৃত্যুজনক আঘাতের প্রতীকার করবে, লোকেরা তার দ্বারা চমত্কৃত হবে৷ যেভাবে সে পুনরায় বেঁচে উঠবে এবং ক্ষমতা, বীরত্ব, জ্ঞান এবং দৃঢ়তার সাথে কাজ করবে, তাতে সমগ্র পৃথিবীর লোকেরা ঈশ্বর রূপে তার ধন্যবাদ করবে৷
এইরূপে এমনকি ইস্রায়েলের লোকেরা তাকে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মসীহ হিসাবে বিশ্বাস করবে৷ কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা শীঘ্রই বুঝতে পারবে যে, সে একজন মিথ্যাবাদী এবং যীশু খ্রীষ্টই তাদের সত্য মসীহ, আর তাদের মধ্যে অনেকে এইভাবে রক্ষা পাবে৷ খ্রীষ্টারী শুনতে পাবে লোকেরা বলছে, “কে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে?” যারা তাকে মান্য করে না, কোনো রকম আপত্তি ছাড়াই তারা সকলে তখন হত হবে৷
যখন পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ আসবে, সমগ্র পৃথিবী তখন প্রাকৃতিক মারী হতে শুধু মহাযন্ত্রণাভোগই করবে না, কিন্তু অগ্নির দ্বারা ধ্বংস হবে, যাতে এর এক-তৃতীয়াংশ বন পুড়ে যাবে এবং দুর্বহ ধুয়া দ্বারা বন্ধ হয়ে যাবে, তথাপি পৃথিবীর লোকেরা তাকে রাজা হিসাবে তার সেবা করতে তার শাসনের অধীনে একত্রিত হবে৷ যে সকল সমস্যার সমাধান করতে সে তাদের দ্বারা ঈশ্বরের ন্যায় উচ্চে উঠবে৷
এই যে সমস্ত জিনিসগুলো ঘটবে, তা সবই ঈশ্বরের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল৷ এই সমস্ত জিনিসগুলো পৃথিবীতে আসার নিমিত্ত অবশ্যই প্রথমে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত ভয়ঙ্কর পরিবর্তন হবে এবং শাসন ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার প্রয়োজনে প্রত্যেক জাতির নেতাদের মধ্যে ঐক্যমত্যের সৃষ্টি হবে৷ এই প্রকার ঐক্য এই ধরনের শাসক খুঁজবে আজকের কৃষ্ণবর্ণ অশ্বের যুগে বর্তমানে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে পৃথিবী বর্তমানে একজন খুব শক্তিশালী নেতা প্রত্যাশা করে৷ যেমনিভাবে প্রত্যেক জাতির নেতারা তাদের নিজেদের লোকেদের অতৃপ্ততা দূরীভূত করতে অসমর্থ, মানবজাতি বর্তমানে একজন ক্ষমতাশালী নেতার অন্বেষণ করছে যে তাদের সম্মুখস্ত সমস্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে৷
পৃথিবীতে যা ঘটছে তা যদি আপনি খুব কাছ থেকে দেখেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, সমস্ত জিনিসগুলোই বাস্তবে পরিণত করা খুবই সম্ভব৷ ভাববাণীকৃত নেতারা চরম ভয়ঙ্কর হবে, অসীম শক্তি এবং মহাক্ষমতাশালী মানুষ হবে, যেমনটি তার বর্ণনা দেওয়া আছে, তেমন, ভল্লুকের ন্যায় চরম, সিংহের মুখের ন্যায় এবং চিতাবাঘের তুল্য হবে৷
এই মানুষটি নাগ হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ঈশ্বর, তাঁর স্বর্গস্থিত দূত, এবং সাধুগণের নিন্দা করবে৷ আর সে সাধুগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তাদের উপরে জয়লাভ করবে৷ এবং খ্রীষ্টারী সাধুগণের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে তাদেরকে হত্যা করবে, তাদেরকে তাদের বিশ্বাস অস্বীকার করাতে চাইবে৷ যেহেতু সাধুগণ এই সময় তাদের বিশ্বাস অস্বীকার করবে না, তারা সকলে সাক্ষ্যমর হবে৷ আর যেহেতু সমগ্র পৃথিবীর উপরে খ্রীষ্টারীর ক্ষমতা থাকবে, তাই যারা তার আদেশ না শুনবে সে স্বাধীনভাবে সকলকে হত্যা ও ধ্বংস করবে৷
৮ পদ আমাদেরকে বলে, “তাহাতে পৃথিবী-নিবাসীদের সমস্ত লোক তাহার ভজনা করিবে, যাহাদের নাম জগৎপত্তনের সময়াবধি হত মেষশাবকের জীবন পুস্তকে লিখিত নাই। ” কেননা এই সময় খ্রীষ্টারী অসীম ক্ষমতাধর হিসাবে রাজত্ব করবে, যারা তাকে না মানবে, তাদের প্রত্যেককে তাদের নির্দেশে হত হতে হবে৷ যাহোক, এই সময়ে সমস্ত সাধুগণের নিমিত্ত তাদের সাক্ষ্যমরের সময় হবে৷
উপরে ৮ পদ থেকে উদ্ধৃত “ভজনা” অর্থ এখানে যে, অসীম, তাকে সম্মান এবং তার সেবা করা৷ পূর্বে কোনো রাজা যত সম্মান লাভ করেছে খ্রীষ্টারী তার চেয়ে মহা সম্মান লাভ করবে এবং শেষ সময়ে সে পৃথিবীর লোকেদের দ্বারা সে ঈশ্বরের ন্যায় পূজিত হবে৷ তথাপি একদল লোক এই নেতার ভজনা করবে না৷ তারা “নুতন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান” ছাড়া অন্য কেউ নয়৷ তারা খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বর রূপে জানবে না এবং এইরূপে তার ভজনা করবে না বরং তার পরিবর্তে তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে সাক্ষ্যমর হবে৷
 
 

আর এক পশু স্থল হইতে উঠিল

 
খ্রীষ্টারীর ভাক্ত ভাববাদীও রয়েছে৷ এই ভাক্ত ভাববাদী খ্রীষ্টারীকে উচ্চে উঠাবে, যেমন, যারা পশুটিকে মান্য না করবে তাদেরকে সে ভীতি প্রদর্শন এবং হত্যা করবে৷ প্রকাশিত বাক্য ১৩:১১ পদ বলে, “পরে আমি আর এক পশুকে দেখিলাম, সে স্থল হইতে উঠিল, এবং মেষশাবকের ন্যায় তাহার দুই শৃঙ্গ ছিল, আর সে নাগের ন্যায় কথা কহিত।” দ্বিতীয় যে পশুটি আবির্ভূত হল, সে ওই প্রথম পশুটির সেবক- অর্থাৎ খ্রীষ্টারীর সেবক৷ খ্রীষ্টারীর ন্যায় সেও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সে পৃথিবীর লোকদেরকে ও ধার্মিকদেরকে হত্যা করবে৷
যারা খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বর রূপে ভজনা করতে সামনে আসবে, নাগ হতে ক্ষমতাগ্রহণ করে দ্বিতীয় পশুটি এই সমস্ত লোকদেরকে খ্রীষ্টারীর সন্তান তৈরী করবে৷ কেননা সেও নাগ হতে ক্ষমতাগ্রহণ করবে, তাই নাগ তাকে যা করতে বলবে, সে তা-ই করবে৷ যারা খ্রীষ্টারীর সম্মুখে আসবে অথচ তার ভজনা করবে না ও তার আজ্ঞা পালন করবে না, তাদেরকে সে কেবল হত্যাই করবে না, বরং সে খ্রীষ্টারীর ন্যায় আকাশ থেকে আগুন নামিয়ে আনার মত অলৌকিক কার্যও করবে৷ যে পশুটি মৃত্যুজনক আঘাতে আহত হয়েছিল আর সকলের সম্মুখে তার আঘাতের প্রতীকার লাভ করেছিল, সে তাকে ঈশ্বরতুল্য করবে এবং তাদেরকে দিয়ে তার উপাসনা করাবে৷ 
তাহলে কে এই সমস্ত জিনিস করবে? এটা খ্রীষ্টারীর ভাববাদী৷ তার কাজ হল খ্রীষ্টারীর প্রতিমা নির্মান করা, এবং লোকদের দ্বারা এই খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বর রূপে উঠানো৷ এই রূপ করতে, সে এই খ্রীষ্টারীর প্রতিমাকে দিয়ে কথা বলাতে তার মধ্যে নিঃশ্বাস প্রদান করবে এবং যারা এই পশুটির প্রতিমাকে ভজনা না করবে, তারা সংখ্যায় যতই হোক না কেন, সে তাদেরকে হত্যা করবে৷ কারণ প্রতিমা পূজা প্রত্যাখ্যান করার কারণে সাধুরা সাক্ষ্যমর হবে, এই সময় অগনিত সাক্ষ্যমর বেরিয়ে আসবে৷
অন্যকথায়, যারা নুতন জন্ম প্রাপ্ত হয় নি, তারা প্রত্যেকে তাদের মৃত্যুর পূর্বে কম্পিত হবে এবং মৃত্যুর দাসে পরিণত হবে৷ এইরূপে তারা সকলে খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বররূপে ভজনা করবে৷ হয়তো খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে বুদ্ধিপ্রসুত নৈতিক চেতনা উদয় হতে পারে, কিন্তু খ্রীষ্টারী এবং ভাক্ত ভাববাদীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা আগুনের দ্বারা সেগুলি স্তিমিত হয়ে যাবে৷
প্রতিমা নির্মান করে এই ভাববাদী বলবে, “প্রত্যেককেঅবশ্যই তার নাম বা সংখ্যা ধারণ করতে হবে৷” তখন সে তার নিয়ম তৈরী করবে যে, যার কাছে পশুর সংখ্যা না থাকবে তার কাছে অন্য কারো ক্রয় বিক্রয় করা নিষেধ, যাতে বাস্তবিক প্রত্যেকে এই পশুর নামের চিহ্ন ধারণ করে৷ ১৮ পদ বলে, “এস্থলে জ্ঞান দেখা যায়। যে বুদ্ধিমান্‌, সে ঐ পশুর সংখ্যা গণনা করুক; কেননা তাহা মনুষ্যের সংখ্যা, এবং সেই সংখ্যা ছয় শত ছেষট্টি।”
এটা আরো স্পষ্ট৷ যদিও ৬৬৬ সংখ্যাকে আমরা জটিল বিষয় হিসাবে চিন্তা করি, এটা সাধারনভাবে খ্রীষ্টারী বা তার নামের সংখ্যাকে বোঝায়৷ পশুর চিহ্ন ধারণ করার অর্থ হল, তার নামের সংখ্যা কপালে বা ডান হাতে ধারণ করা৷ তার মানে শাসকের নাম নিজের দেহে মুদ্রাঙ্কিত করা, সংখ্যার বা ‘বারকোডের’ সাহায্যে৷
যখন কেউ কোথাও কোনো জিনিস কিনতে চেষ্টা করবে, সব স্থানে এই চিহ্নের প্রয়োজন হবে৷ এমনকি যখন আপনারা বাসে উঠবেন, তখন আপনার দেহে ছাপাকৃত এই ডিজিট্যাল সংখ্যার প্রয়োজন হবে, এবং এটা ব্যতীত আপনি নিষিদ্ধ হবেন৷ আজকের যুগ প্রকৃতই ডিজিটাল যুগ৷ এটা সংখ্যার যুগ৷ যেহেতু সমস্ত কিছুই সংখ্যায় অনুদিত হচ্ছে, তাই একদা যা চরম দুর্বোধ্য ছিল, বর্তমানে তা চরম সাধারণে পরিণত হয়েছে৷ এই রকম একটি যুগেই পশুর সংখ্যার আবির্ভাব হবে৷ 
খ্রীষ্টারী তার নিজের একটা প্রতিমা নির্মান করবে এবং চাইবে, যেন লোকেরা তাকে ঈশ্বরের ন্যায় ভজনা করে৷ যখন প্রকৃতই সময় আসবে তখন লোকেরা খ্রীষ্টারীকে তাদের “ঈশ্বর” বলে ডাকতে শিখবে, সম্মানের সাথে তার নাম ডাকবে এবং তার প্রশংসা করবে এবং কপালে বা ডান হাতে তার নাম ধারণ করবে৷ যখন এই রূপ ঘটনা ঘটবে, তখন সমস্ত সাধুরা সাক্ষ্যমর হবে৷ খ্রীষ্টারী সাধুদেরকে তার চিহ্ন ধারণ করাতে এবং তার ভজনা করাতে চাইবে, বলবে, “তুমি যীশুতে বিশ্বাস কর? তুমি কি তাঁকে তোমার ঈশ্বর রূপে বিশ্বাস কর? তাঁকে তুমি ছুড়ে ফেলে দাও৷ পরিবর্তে এই প্রতিমার সাক্ষাতে নত হও, এবং আমাকে প্রভু বলে ডাক৷ আমাকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে বিশ্বাস কর৷ যদি তুমি না কর তুমি নিশ্চয় মরবে৷”
সমস্ত পৃথিবীতে খ্রীষ্টারী একক বিশ্বাস প্রত্যাশা করবে৷ আর সে চাইবে যেন প্রত্যেকে তাকে ঈশ্বর রূপে ভজনা করে৷ এই সময় যারা স্বীকার করবে না যে, সে-ই ঈশ্বর, তারা সকলে মরবে৷ যে সমস্ত সাধুরে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তাদেরকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হবে৷
যাদের নাম মেষশাবকের জীবন পুস্তকে লিখিত নেই, তারা সকলে এই সংখ্যা ধারণ করবে এবং তার ভজনা করবে৷ যখন আমরা হৃদয়ে পাপের ক্ষমা লাভ করি, পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস করেন, এবং আমাদের নাম স্বর্গরাজ্যের জীবন-পুস্তকে লিখিত হয়৷ যেহেতু আমাদের নাম জীবন-পুস্তকে লিখিত হয়েছে এবং যেহেতু পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয়কে মুদ্রাঙ্কিত করেছেন, যখন তিনি আমাদেরকে আহ্বান করবেন, তখন আমরা সকলে তাঁর সন্তানরূপে তাঁর কাছে নীত হব৷
যীশু খ্রীষ্ট, যিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, আমরা কখনও তাঁকে পরিত্যাগ করতে পারবে, এবং পশুটির প্রতিমাকে কি এই বলে ঘোষণা করতে পারব যে, এটা আমাদের ঈশ্বর এবং ত্রাণকর্তা? অবশ্যই না! প্রভুর সাক্ষাতে আমি যতই অযোগ্য হই না কেন, তিনি মাংসের দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নেওয়ার দ্বারা আমাদেরকে ধৌত করেছেন এবং ক্রুশে পাপ যন্ত্রনায় বিচারিত হওয়ার দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন৷
যেহেতু আমাদের প্রভু ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে যা কিছু আসছে সে সম্পর্কে বলেছেন, খ্রীষ্টারীর সময়কালে আমরা সাধুরা কখনই আমাদের বিশ্বাসকে অস্বীকার করতে পারি না৷ যদিও মহাক্লেশের সময় আমাদের কাছে আসবে এবং আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে, তথাপি আমরা তখনও বিশ্বাস করব যে, আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে দ্রুত আমাদের পুনরুত্থান এবং রুপান্তরের দ্বারা আমাদের প্রভু আমাদেরকে তাঁর স্বর্গরাজ্যে বাস করতে দেবেন৷ 
কেননা আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের রুপান্তরের পরে ঈশ্বর তাঁর সপ্তবাটির মহামারী প্রবাহিত করার দ্বারা এই পৃথিবী ধ্বংস করবেন, এবং এর পরে আমরা পৃথিবীতে নেমে আসব এবং সহস্র বত্সর রাজত্ব করব, আমরা কখনই প্রতিমার সামনে জানু নত করতে পারি না৷ এই কারণেই ঈশ্বরের সেবক এবং সাধুগণ স্বেচ্ছায় তাদের জীবন দান করবেন৷
পক্ষান্তরে, ভাক্ত ভাববাদী তখন যুক্তি প্রমাণাদি সাপেক্ষ আমাদের মধ্যে দৃঢ় প্রত্যয় করতে চেষ্টা করবে৷ সে আমাদেরকে কেনার চেষ্টা করবে, বলবে, “ দেখ, বর্তমানে এই পৃথিবীতে প্রচন্ড বিশৃঙ্খলা চলছে৷ সমস্ত বুদ্ধিমান এবং পন্ডিত সহ প্রত্যেকে যখন আমাদের সবচেয়ে বড় নেতাকে বিশ্বাস ও অনুসরণ করছে, সেখানে কিভাবে তুমি এখনও আমাদের শেষ রাজাকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করছ?” কিন্তু যদি আমরা ঈশ্বরের বাক্য জানি এবং সর্বদা বিশ্বাস করি, তাহলে শেষকালে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গনের দ্বারা আমরা বিজয়োল্লাস করব৷
প্রকাশিত বাক্য ১৪ অধ্যায়ে ১৪৪,০০০ সাধু দৃষ্টিগোচর হয়, যারা স্বর্গে ঈশ্বরের প্রশংসা করেন৷ এটা আমাদেরকে সাধুগণের সাক্ষ্যমরের পরে পুনরুত্থান এবং রূপান্তরের কথা বলে৷ পৌল যেমন আমাদেরকে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের কথা বলেছেন বা পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের অন্যান্য ভক্তগণ যেমন ভাববাণী করেছিলেন, সেইরূপ বাইবেলের অন্যস্থানেও আমরা রূপান্তরের বিষয়টি খুঁজে পাই, যার দ্বারা সাধুগণ উর্দ্ধে নীত হবেন এবং প্রভুর সাথে মেষশাবকের বিবাহ ভোজে অংশগ্রহণ করবেন৷ এই বিবাহ ভোজে সাধুগণ প্রবেশ করবেন৷
এইভাবে সাধুগণ যখন স্বর্গে মেষশাবকের বিবাহ ভোজে প্রবেশ করবেন, সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের নিমিত্ত পৃথিবীতে সপ্তবাটির মহামারী প্রবাহিত হবে৷ এরপরে পৃথিবীর নুতনীকরণ করা হবে, তখন সাধুগণ প্রভুর সাথে পৃথিবীতে নেমে আসবেন এবং সহস্র বত্সর ধরে খ্রীষ্টের সাথে রাজত্ব করবেন৷ যখন আমরা সমস্ত ঘটনা জানি, এমনকি যদি সে আমাদের তার প্রতিমার সামনে নত করতে, তাকে ঈশ্বরের ন্যায় ভজনা করতে এবং সত্য ঈশ্বরের বিশ্বাস করতে অস্বীকার করতে সমস্ত প্রকার প্রশান্তি এবং প্রলোভন দেখায়, তাহলে কি আমরা প্রকৃতই খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বর বলে ডাকব? অবশ্যই না!
বাইবেলে যেমন লেখা আছে, “আর বিশ্বাস প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান, অদৃশ্য বিষয়ের প্রমাণ প্রাপ্তি। (ইব্রীয় ১১:১)”, তেমনি কোনো জিনিস শুরুর পূর্বে ঈশ্বর যা বলতেন ভাববাদীগণ তা বিশ্বাস করতেন৷ ঈশ্বরের যে ভক্তগণ এবং লোকেরা বাক্য বিশ্বাস করে, তারা সকলেই যাজক এবং ভাববাদী৷ আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের সমগ্র বিশ্বব্যাপী পাপমোচনে সুসমাচার প্রচার করানোর দ্বারা অনেক আত্মাকে পাপমোচন লাভ করতে পরিচালিত করছেন৷ প্রভুর সামনে আমরা যতই অযোগ্য থাকি না কেন, তিনি যেভাবে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন, তেমনি ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর সন্তান করেছেন, এবং এই মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আমাদেরকে ভালোবেসেছেন, পরিচালনা দিয়েছেন ও অপরিবর্তনীয়ভাবে আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছেন৷
প্রভু কেবল আমাদেরকে আত্মার শান্তি প্রদান করেন নি, কিন্তু পবিত্র আত্মা প্রদানের দ্বারা তিনি আমাদেরকে স্বর্গরাজ্যে আমাদের প্রত্যাশা স্থাপন করতে দিয়েছেন৷ এইরূপে যখন আমরা শুনব, খ্রীষ্টারী আমাদেরকে তাকে ঈশ্বররূপে ভজনা করতে বলছে, তখন আমরা আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে তাকে প্রতিরোধ না করে পারব না৷
যখন আমরা হটাৎ করে উপলব্ধি করব যে, ঈশ্বরের যে সময়ের কথা বলেছিলেন, তা চূড়ান্তভাবে উপস্থিত, তখন হয়ত প্রকাশিত ঘটনাগুলোর দ্বারা প্রথমে আমরা অবাক হব, কিন্তু আমরা সাধুরা শীঘ্রই আমাদের শান্তি পুনরুদ্ধার করব এবং খ্রীষ্টারীকে প্রতিরোধ করতে শুরু করব৷ সুতরাং আওনি কি মনে করেন আপনি প্রকৃতই ঈশ্বর? আপনি কি বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন? আপনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন? আপনি কি প্রকৃতই লোকেদের আত্মার প্রভু? এই সমস্ত বাক্য দ্বারা আমরা খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব৷
এই সময়ে যখন খ্রীষ্টারী সাধুগণকে এবং ঈশ্বরের দাসগণকে হত্যা করবে, তখন আমরাও মৃত্যুবরণ করব৷ আমাদের কাছে আমাদের ঈশ্বরের কখনই পরিবর্তন হবে না৷ দমন নীতির দ্বারা শাসক কর্তৃক বিশ্বাস আসে না৷ যুক্তির বলপ্রয়োগের দ্বারা উদিত বা হারিয়ে যায় না৷ বস্তুতঃ, দমনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে সত্য বিশ্বাসের মহাক্ষমতা রয়েছে৷ অতএব, সাধুগণ সাক্ষ্যমর হবেন এবং খ্রীষ্টারী শেষপর্যন্ত সাধুগণকে হারাতে থাকবে৷
খ্রীষ্টারী যখন নিজের প্রতিমা নির্মান করবে, এবং সাধুগণকে দিয়ে তাকে ঈশ্বররূপে ভজনা করাতে চাইবে, তখন সাধুগণ ও ঈশ্বরের সেবকেরা তাকে চিত্কার করে বলবে, “ তুমি ঈশ্বরের সেবক নাকি শয়তানের সেবক? তুমি কি জল ও আত্মার সুসমাচার জানো? তুমি কি জানো এবং বিশ্বাস কর যে, যীশু খ্রীষ্টই ঈশ্বর? যীশু খ্রীষ্ট যখন এই পৃথিবীতে পুনরাগমন করবেন, তখন তিনি তোমার মত লোকেদেরকে গহীনে নিক্ষেপ করবেন৷ তুমি কি বুঝতে পেরেছ, তুমি শয়তানের সন্তান?” খ্রীষ্টারী এবং তার ভাববাদী তখন সাধুগণকে হত্যা করবে এবং সাধুগণ ঈশ্বরের পক্ষে সানন্দে তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে৷
১০ পদ আমাদেরকে বলে যে, “যদি কেহ খড়গ দ্বারা হত্যা করে, তাহাকে খড়গ দ্বারা হত হইতে হইবে।” এর অর্থ হল, খ্রীষ্টারী এই পৃথিবীতে যেভাবে সাধুগণকে হত্যা করবে, ঈশ্বরও তেমনি তাকে এবং তার অনুসারীদেরকে অগাধ লোকের কূপে নিক্ষেপ করবেন৷ তখন যারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাধুগণকে নির্যাতন করবে, তারাও ঈশ্বর হতে মহাপীড়নের মুখোমুখি হবে৷
এইরূপে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের সংরক্ষিত বিশ্বাসের সাথে শয়তানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে৷ সাধুগণের নির্যাতনের এই সময় সর্বমোট কেবল সাড়ে তিন বছরের নিমিত্ত স্থায়ী হবে৷ কিন্তু ঈশ্বর হয়তো সাধুগণের নির্যাতন এবং ক্লেশ প্রশমিত করবেন, তাদের সময়কে শুধু কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহে সংক্ষেপিত করবেন৷ যদিও সাধুগণ সাক্ষ্যমর হবে, তথাপি তারা পুনরায় জীবিত হবেন৷ তারা পুনরুত্থিত ও রূপান্তরিত হবে, এবং তারা যীশু খ্রীষ্টের সাথে সহস্রাব্দের রাজ্যে রাজত্ব করতে আশীর্বাদযুক্ত হবে৷
যখন সহস্রাব্দের রাজ্য আসবে, তখন প্রকৃতই এর সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্য বিকশিত হবে এবং সাধুরা তাদের পুরাতন দেহ থেকে পরিবর্তীত হয়ে পবিত্র দেহে প্রভুর সাথে রাজত্ব করবেন৷ তখন তারা অনন্তকাল নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে প্রভুর সাথে সুখ-সাচ্ছন্দ্যে বাস করবে৷ আমরা যারা এই সমস্ত বিষয় জানি ও বিশ্বাস করি, যীশুতে বিশ্বাসের কারণে যে ক্ষনস্থায়ী ক্লেশ আসবে, আমরা কিভাবে তার মধ্যে বিশ্বাস অটল না রেখে পারব?
ক্লেশের এই সময়গুলো যতই কঠোর হোক না কেন, তত্সত্ত্বেও অগনিত সাধু সাক্ষ্যমর হবে, সুতরাং আমরাও কেন আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করব না, তার কোনো কারণ নেই৷ এই সমস্ত বিষয়গুলো যেমন সত্য, তেমনি এই পৃথিবীতে অল্পক্ষণের ক্ষণস্থায়ীক্লেশে আমরা কখনই আত্মসমর্পণ করব না৷ আরও দৃষ্টান্তস্বরূপ, এমনকি যদি পৃথিবী শত বা সহস্র বত্সরের কাছে আত্মসমর্পণ করব না৷ এ সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের থেকে দুরে নয়, কিন্তু খুবই অদূর সময়ের মধ্যে তা আমাদের কাছে আসবে৷
অতএব, পৃথিবীর এই শান্ত অবস্থাতেই এখন আমাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে৷ মহাক্লেশের সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে, আমরা এখনই দৃঢ়তার সাথে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছি৷ আমরা যে সুসমাচার প্রচার করছি তা এক বছর সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়করভাবে সুসমাচারের কাজে আসবে৷ লোকেরা হয়তো প্রথমবার হালকাভাবে জল ও আত্মার সুসমাচার গ্রহণ করবে, কিন্তু অনেকে আছে যারা প্রকাশিত বাক্য জানে না, তারা এটা অনুসন্ধান করবে ও শুনবে এবং জল ও আত্মার সুসমাচারের কাছে ফিরে আসবে, কেননা তারা প্রকাশিত বাক্যে খুবই কৌতুহলী হবে এবং সেটাকে হালকাভাবে গ্রহণ করতে পারবে না৷
প্রকাশিত বাক্য ১৩ অধ্যায় সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর অধ্যায়৷ যখন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় আসবে, তখন সাধুগণ খড়গ বা গুলির দ্বারা হত হবে৷ এভাবে অনেক সাধু খ্রীষ্টারীর হাতে হত হবে৷ কেননা আমরা কোনো প্রকার ভীতি ব্যতীতই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারি, যেহেতু এটা হবে আমাদের মাংসের মৃত্যু, আমাদের বিশ্বাসের মৃত্যু নয়৷ বিশ্বাস এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে আমরা অবর্ণনীয় সাহসের বাক্যে চিত্কার করব৷
আপনি যদি কথা বলতে পারদর্শী না হন বা ভীতু হন, আপনার ভয়ের কিছু নেই৷ শুধু আদি মন্ডলীর সময়ে পুরাতন সাধুদের কথা চিন্তা করুন৷ সেই সময়ের সাধুগণ শয়তানের বলপ্রয়োগে আত্মসমর্পণ করেন নি, কারণ তারা একা নয়, বরং একত্রে হত হয়েছিলেন৷ এবং তারা পবিত্র আত্মায় পূর্ণও ছিলেন৷ শুধু স্মরণ করুন যে, যীশু ইতিমধ্যেই আমাদেরকে বলেছেন, “কিন্তু যখন লোকে তোমাদিগকে সমর্পণ করিবে, তখন তোমরা কিরূপে কি বলিবে, সে বিষয়ে ভাবিত হইও না; কারণ তোমাদের যাহা বলিবার, তাহা সেই দণ্ডেই তোমাদিগকে দান করা যাইবে। কেননা তোমরা কথা বলিবে, এমন নয়, কিন্তু তোমাদের পিতার যে আত্মা তোমাদের অন্তরে কথা কহেন, তিনিই বলিবেন” (মথি ১০:১৯-২০)। ঈশ্বরের রাজ্য লাভ করতে ঈশ্বরের লোক হিসাবে আমরা সকলে এটাকে বহন করতে পারি৷
যখন খ্রীষ্টারী নামের একজন অসীম অত্যাচারী শাসক কিছু সময়ের জন্য রাজত্ব করবে, তখন ঈশ্বরের সপ্ততুরীর মহামারীর দ্বারা এই পৃথিবী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে৷ তখন কোনো কিছু যতই মনোরম হোক না কেন, কিভাবে আমরা এই পৃথিবীর সেই জিনিসটার দ্বারা অনন্ত স্বর্গকে বিনিময় করতে পারি? যখন পৃথিবী বাসের অযোগ্য স্থানে পরিনত হবে, যেখানে নদীর জল তিক্ততায় পরিণত হবে, সমুদ্র রক্তে পরিণত হবে এবং প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন পশুত্ব স্বভাবের যে মানুষটি আমাদের বিশ্বাস ভঙ্গকারী তৈরী করতে চেষ্টা করবে, আমরা তার কাছে আত্মসমর্পনের খুব কাছে চলে যাব৷
সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর দিন থেকে, যারা এই পৃথিবীতে অবশিষ্ট থাকবে, তাদের জন্য একটি মাত্র প্রতীক্ষা থাকবে, এবং তা হল অজানা মহামারী ভয়ঙ্কররূপে আবির্ভূত হবে, ক্ষেতে কোনো শস্য হবে না, হয় সেগুলো শুকিয়ে যাবে অথবা শিলা দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাবে৷ যতই বিশ্বাস থাকুক না কেন এই রকম পৃথিবীতে কেউই বেঁচে থাকতে চাইবে না৷
প্রকাশিত বাক্য আমাদেরকে ভবিষ্যতের বিষয়গুলো প্রদর্শন করে৷ আজকের কৃষ্ণবর্ণ অশ্বের যুগ যখন শুধু সামান্য অগ্রসর হবে, তখন প্রকৃতপক্ষে পান্ডুরবর্ণ অশ্বের যুগ উপস্থিত হবে৷ অন্যকথায়, আমাদের প্রভু শীঘ্রই আসবেন৷ আমি যা বলছি সেটা এই নয় যে, প্রভুর আগমনের নৈকট্যের কারণে আপনি আপনার সমস্ত সম্পত্তির অধিকার ত্যাগ করবেন৷ বরং আমি যা বলছি তা হল, বর্তমানের ন্যায় অপরিবর্তিত এবং বিশ্বস্তভাবে আমাদেরকে খ্রীষ্টারীর খ্রীষ্টারীর আবির্ভাবের নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত অবিরত প্রভুর সেবা করতে হবে৷
বর্তমানে আপনি যদি কোনক্রমে সমস্যা কবলিত বা বিষন্ন হন, আপনার আর দুঃখ করা উচিত নয়৷ যখন আপনি এবং আমি উপলব্ধি করি যে, আমরা সাক্ষ্যমর হব, আমাদের হৃদয় শান্তিপূর্ণ এবং শান্ত হয়ে যাবে৷ অন্যকথায়, যেহেতু আমরা সাক্ষ্যমর হব, তাই আমাদের মধ্যে কি আকাঙ্খা রয়েছে? যদি আমাদের মধ্যে একটি ইচ্ছা থাকে, তা হবে, সমগ্র বিশ্বের প্রত্যেকের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা, শেষ সময়ে অনেক সাধুরা উঠে আসে, রক্ষা পায় এবং এই সুসমাচারের কারণে সাক্ষ্যমর হয়, আর এভাবে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী লাভ করে৷ এছাড়া আমার প্রত্যাশা যে, সাধুগণ তাদের বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টের রাজ্যকে তাদের করে নিতে এবং এই সত্যে বিশ্বাসের দ্বারা প্রতিপালিত হবে এবং খ্রীষ্টারীর সময়ে তাদের নিমিত্ত যে সমস্ত বিষয় প্রতীক্ষা করছে, তারা এভাবে স্বেচ্ছায় সেগুলোর মধ্যে দিয়ে গমন করবে৷ 
ঈশ্বর আমাদেরকে সাক্ষ্যমরের অনুগ্রহ প্রদান করেছেন৷ শুধু যে কেউ সাক্ষ্যমর হতে পারে না এবং যে কেউপ্রভুর জন্য জীবন যাপন করতে পারে না এইরূপ অনুগ্রহ প্রদানের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ, আমি শুধু এই ঘটনার জন্য খুশী যে, আমি বিশ্বাসের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ করব৷ কেননা এই পৃথিবীতে আমাদের দীর্ঘকাল ব্যাপী থাকার কোনো আসক্তি আছে বা কোনো প্রত্যাশা আছে৷
আমাদেরকে যা কিছু করতে হবে তা হল, ঈশ্বর আমাদের জন্য যে স্বর্গ এবং সহস্রাব্দের রাজ্য প্রস্তুত করেছেন তার জন্য প্রত্যাশা করা, প্রভুর নির্দিষ্ট দিন আসা পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার প্রচারের একীভূত প্রচেষ্টার দ্বারা জীবনযাপন করা, যখন তিনি ফিরে আসেন, আনন্দে তাঁকে গ্রহণ করা এবং যে স্থানের প্রত্যাশায় আমরা আছি, শুধু তার প্রত্যাশা করা৷
যেহেতু আমরা স্বর্গরাজ্যের লোক, সেহেতু আমরা খ্রীষ্টারীর চিহ্ন গ্রহণ করতে পারি না৷ কেননা গ্রহণ করা হবে ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, এটা শারীরিক বলপ্রয়োগের দ্বারা করা হবে না, কিন্তু হৃদয়ের গ্রাহ্যতার দ্বারা হবে৷
এমনকি আমাদের সন্তানদের হৃদয়েও যদি জল ও আত্মার সুসমাচার পাওয়া যায়, তাহলে তারা বয়স্কদের চেয়ে আরো দৃঢ়ভাবে তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে, যেহেতু তাদের ভেতরেও পবিত্র আত্মা বাস করবেন৷ বয়স্করা যেমনভাবে স্বীকার করে যে, যীশু তাদের ত্রাণকর্তা, যদি সন্তানদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা থাকেন, তাহলে তারাও তেমনি অবশ্যম্ভাবীরূপে স্বীকার করবে যে, যীশুই তাদের ত্রাণকর্তা এবং ঈশ্বর৷ যখন আমরা খ্রীষ্টারীর সম্মুখে নিষ্পেষিত হব তখন যা বলতে হবে সে বিষয়ে বাইবেল আমাদেরকে চিন্তা করতে বলে নি, যেহেতু পবিত্র আত্মা তাঁর বাক্য দ্বারা আমাদের হৃদয় পূর্ণ করবেন, যাতে সেই বাক্য দ্বারা আমরা কথা বলতে পারি৷
আত্মিকভাবে বয়স অল্প হলে বা দুর্বল হলে ঈশ্বরের সন্তানেরা হয়ত ভীত হতে পারে, কিন্তু পবিত্র আত্মা কখনও ভীত হন না৷ আমাদের অন্তরে বসবাসকারী পবিত্র আত্মার সাহসে তারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে বরণ করবে৷ কারণ তারাও ঈশ্বরের, তিনি তাদের আত্মা গ্রহণ করবেন, তাদের দেহ হত হওয়ার অনুমোদন দেবেন এবং তাদেরকে উত্তম পৃথিবীতে রাজত্ব করতে পুরস্কৃত করেন৷
যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা নুতন জন্ম লাভ করেছে, তাদের কথার নিমিত্ত ঈশ্বর তাদের হৃদয় তাঁর বাক্যে পূর্ণ করবেন৷ কেননা ঈশ্বর কর্তৃক মনোনীত এবং গ্রহনীয় আত্মাই সাক্ষ্যমর হতে পারবে, ঈশ্বর তাঁর নামের নিমিত্ত তাদের বিশ্বাস প্রস্তুত না করে পারেন না৷ আমাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা থাকেন, যেহেতু আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাই আমরা সহস্রাব্দের রাজ্যে এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর পুরস্কার লাভ করব৷
শেষ সময়ে আমরা সকলে হৃদয়ে পবিত্র আত্মার পূর্ণতার অভিজ্ঞতা অর্জন করব৷ সাক্ষ্যমরের মৃত্যু যেমন আমাদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে, এভাবে আমরা ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুসারে প্রশংসা করতে করতে, তাঁকে ভজনা করতে করতে, তাঁকে গৌরব প্রদান করতে করতে সাক্ষ্যমর হব৷ কেননা আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের বিশ্বাসের দ্বারা তাঁকে অনুসরণ করি, যে বিশ্বাস চিত্কার করে বলে, আমেন! যেহেতু আমরা জানি যে, আমরা সাক্ষ্যমর হব, আমাদের হৃদয়কে নিঁখুত খাঁটি করে প্রস্তুত করে স্বাভাবিকভাবে আমাদের হতে সেচিত হয়েছে৷ 
সাক্ষ্যমরের মৃত্যু বরণ করা হল মহাআশীর্বাদ লাভ করা এবং মহাভাবে গৌরাবন্বিত হওয়া, যা ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রত্যাশা করেন৷ সাধুগণের যেমন নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বাস করার প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ করতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচার রক্ষা করতে হবে৷ মহাক্লেশের এই সময়ে সাধুগণ যীশু খ্রীষ্টকে তাদের ঈশ্বর রূপে জানবেন এবং তাঁর প্রদত্ত পরিত্রাণ যথার্থ বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে তারা তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন৷ 
আমি প্রভুর ধন্যবাদ করি, কারণ তিনি আমাদেরকে এই সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণের অনুগ্রহ প্রদান করেছেন৷