Search

শিক্ষা

বিষয় ১১: আবাস

[20-2] কিভাবে আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে প্রবেশ করতে পারি? (প্রকাশিত বাক্য ২০:১-১৫)

কিভাবে আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে প্রবেশ করতে পারি?
< প্রকাশিত বাক্য ২০:১-১৫ >
 
ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, যখন তিনি এই পৃথিবী ধ্বংস করে তার পরিবর্তে আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দান করবেন, তখন তিনি প্রত্যেক পাপী ব্যক্তিদেরকে, যারা পূর্বে এই পৃথিবীতে বসবাস করছিল এবং যারা তাদের সমাধিতে নিদ্রাগত ছিলেন, তাদেরকে উঠাবেন৷ ১৩ পদে বলা হয়েছে, “আর সমুদ্র আপনার মধ্যবর্ত্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল, এবং মৃত্যু ও পাতাল আপনাদের মধ্যবর্ত্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল,” মানুষের যে সমস্ত দেহ জলে ডুবে যায় সেগুলি স্বভাবিকভাবে মাছে খেয়ে ফেলে, আবার যে সব আগুনে পুড়ে যায়, সেগুলোর কোনো আকৃতি থাকে না, কেবল আত্মাই বেঁচে থাকে৷ কিন্তু বাইবেল আমাদেরকে বলে, যখন শেষ সময় আসবে, ঈশ্বর অতীতের সমস্ত জীবনকে পুনরুত্থিত করবেন এবং তাদের বিচার করে স্বর্গে বা নরকে পাঠাবেন; শয়তান দ্বারা কবলিত হোক, বা পাতালে মৃত্যুবরণ করুক, বা আগুনে পুড়ে মরুক, প্রত্যেকের জন্যই ঈশ্বর এই ব্যবস্থা করবেন৷
ঈশ্বর প্রথমে জীবন-পুস্তক নেবেন, যাদের নাম এই পুস্তকে লেখা থাকবে, তারা অনন্তকালীন স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করবে৷ আরেকটি পুস্তক রয়েছে, স্মরণ পুস্তক, যাদের নাম ও পাপ এই পুস্তকে লিপিবদ্ধ থাকবে, তারা নরকে নিক্ষিপ্ত হবে৷ এই স্মরণ পুস্তকে তাদের সমস্ত পাপ লিপিবদ্ধ থাকবে, যা পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় তারা করেছিল৷ এই সমস্ত কিছুই ঈশ্বর কর্ত্তৃক ধার্য্য হয়েছে তার দূরদর্শিতায়৷
 
 
প্রভুর কাছে দু ধরনের পুস্তক রয়েছে
 
ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির ক্রম অনুসারে ইতিমধ্যেই মানুষকে দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন৷ ঈশ্বর এটা নির্ধারণ করেছেন যে, সমস্ত মৃতরাই পুনরুত্থিত হবে এবং তাঁর দুটি পুস্তকের সম্মুখে দাঁড়াবে এবং বিচারিত হবে৷ জীবন পুস্তকে কেবলমাত্র তাদের নাম লিখিত হয়েছে, যারা পৃথিবীতে থাকাকালীন অবস্থায় যীশুকে বিশ্বাস করেছে, পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে, আর এভাবে স্বর্গে প্রবেশ করতে নির্ধারিত হয়েছে৷ এর পর ঈশ্বরের চূড়ান্ত বিচার নির্ভর করবে তাদের জন্য যাদের নাম দ্বিতীয় পুস্তকে লিখিত রয়েছে৷ অপরদিকে বলা যায়, কারা স্বর্গে প্রবেশ করবে, আর কারা নরকে নিক্ষিপ্ত হবে, ঈশ্বর ইতিমধ্যেই তা নিরুপন করেছেন৷ 
এরপর ঈশ্বর মৃতদেরকে বসবাস করার নিমিত্ত পুনরায় উঠাবেন, তাঁর পুস্তক খুলবেন, আর দেখবেন ওই পুস্তকে কাদের নাম লিখিত রয়েছে৷ তখন যাদের নাম জীবন পুস্তকে লিখিত আছে, তাদেরকে স্বর্গে পাঠাবেন, আর যাদের নাম জীবন পুস্তকে পাওয়া যাবে না, তাদেরকে নরকে নিক্ষিপ্ত করা হবে৷ ঈশ্বর কর্ত্তৃক ধার্য্যকৃত এই প্রতিষ্ঠিত বিষয় আমাদের অবশ্যই নিশ্চিতভাবে জানতে এবং বিশ্বাস করতে হবে৷
কাদেরকে স্বর্গে পাঠাবেন ও কাদেরকে নরকে পাঠাবেন তা স্থির করতে ঈশ্বর সমস্ত মৃতদেরকে উঠাবেন এবং তাদের বিচার করবেন৷ এটা ঈশ্বর কর্ত্তৃক নির্ধারিত হয়েছে যে, ঈশ্বর তাদের বিচার করবেন, যাদের নাম জীবনপুস্তকে পাওয়া যাবে না, বরং স্মরণ পুস্তকে (বিচার পুস্তক) পাওয়া যাবে৷
যারা ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াবে, তাদের সকলের জন্য ঈশ্বর ইতিমধ্যেই দুটি স্থান প্রস্তুত করেছেন৷ এগুলো স্বর্গ ও নরক ছাড়া অন্য কিছুই নয়৷ নরক হচ্ছে অগ্নিহ্রদ, যেখানে অগ্নিশিখা ও গন্ধক প্রজ্বলিত হচ্ছে৷ ঈশ্বর নির্ধারণ করেছেন যে, যাদের নাম জীবন পুস্তকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, তাদেরকে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত করা হবে, অপরদিকে যাদের নাম জীবনপুস্তকে পাওয়া যাবে তাদের স্বর্গে স্বাগতম জানানো হবে৷
স্বর্গে জীবন জলের তীরে জীবন বৃক্ষ রয়েছে, যা প্রত্যেক ঋতু অনুসারে বারো রকমের ভিন্ন ফল ধারণ করে৷ সেই অনিন্দনীয় স্বর্গে, সাধুগণ না অসুস্থ বোধ করবে, না যন্ত্রণা ভোগ করবে, বরং ঈশ্বরের সাথে যুগ পর্যায়ে যুগে যুগে আনন্দে বাস করবে৷ অপরদিকে, যারা যীশুতে বিশ্বাস করে নি, তাদের নাম স্মরণ পুস্তকে লিখিত আছে৷ কেননা পাপীরা জগতে থাকাকালীন অবস্থায় যত পাপ করেছে, তা এই পুস্তকে লিপিবদ্ধ রয়েছে৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, যীশুতে বিশ্বাস না করার জন্য এই পুস্তকে লিখিত তাদের পাপের জন্য তাদেরকে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত করবেন৷ এখানে গুরুত্ব হচ্ছে যে, কোন পুস্তকে আপনার এবং আমার নাম লিখিত আছে৷
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায়, আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এই পৃথিবীর জীবনই সব নয়৷ যেমন গীতসংহিতা ৯০:১০ পদে বলা হয়েছে, “আমাদের আয়ুর পরিমান সত্তর বত্সর, বলযুক্ত হইলে আশি বত্সর হইতে পারে; তথাপি তাহাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখমাত্র কেননা তাহা বেগে পলায়ন করে, এবং আমরা উড়িয়া যাই৷” আমরা যদি এই পৃথিবীতে ৭০ কি ৮০ বছরও বেঁচে থাকতে পারি, আমরা সকলেই ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হব৷ আর যখন আমরা বাস্তবিক এভাবে আমাদের প্রভুর সম্মুখে দাঁড়াব, যে পুস্তকে আমাদের নাম লিখিত রয়েছে, তা জীবন পুস্তক হোক বা স্মরণ পুস্তকই (বিচার পুস্তক) হোক, এটা নির্ধারণের জন্য যে, আমরা স্বর্গে যাব নাকি অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হব৷ আমাদেরকে অবশ্যই এই উপলব্ধিতে পৌঁছাতে হবে যে, এই পৃথিবীর জীবনই মূল কথা নয়৷ 
 
 

যার নাম জীবন পুস্তকে লেখা হয়েছে

 
চলুন লুক ১৬: ১৯-২৬ পদ দেখি, “এক জন ধনবান্‌ লোক ছিল, সে বেগুনে কাপড় ও সূক্ষ্ম বস্ত্র পরিধান করিত, এবং প্রতিদিন জাঁকজমকের সহিত আমোদ প্রমোদ করিত। তাহার ফটক-দ্বারে লাসার নামে এক জন কাঙ্গালকে রাখা হইয়াছিল, সে ঘায়ে ভরা ছিল, এবং সেই ধনবানের মেজ হইতে পতিত গুঁড়াগাঁড়া খাইতে বাঞ্ছা করিত; আবার কুকুকেরাও আসিয়া তাহার ঘা চাটিত। কালক্রমে ঐ কাঙ্গাল মরিয়া গেল, আর স্বর্গদূতগণ তাহাকে লইয়া অব্রাহামের কোলে বসাইলেন। পরে সেই ধনবান্‌ও মরিল, এবং কবরপ্রাপ্ত হইল। আর পাতালে, যাতনার মধ্যে, সে চক্ষু তুলিয়া দূর হইতে অব্রাহামকে এবং তাঁহার কোলে লাসারকে দেখিতে পাইল। তাহাতে সে উচ্চৈঃস্বরে কহিল, পিতঃ, অব্রাহাম, আমার প্রতি দয়া করুন, লাসারকে পাঠাইয়া দিউন, যেন সে অঙ্গুলির অগ্রভাগ জলে ডুবাইয়া আমার জিহ্বা শীতল করে, কেননা এই অগ্নিশিখায় আমি যন্ত্রণা পাইতেছি। কিন্তু অব্রাহাম কহিলেন, বৎস, স্মরণ কর; তোমার সুখ তুমি জীবনকালে পাইয়াছ, আর লাসার তদ্রূপ দুঃখ পাইয়াছে; এখন সে এই স্থানে সান্ত্বনা পাইতেছে, আর তুমি যন্ত্রণা পাইতেছ। আর এ সকল ছাড়া আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বৃহৎ এক শূন্যস্থলী স্থির রহিয়াছে, যেন এখান হইতে যাহারা তোমাদের কাছে যাইতে চাহে, তাহারা না পারে, আবার ওখান হইতে আমাদের কাছে কেহ পার হইয়া আসিতে না পারে।”
এই অনুচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যীশু আমাদেরকে এটাই শিখিয়েছেন যে বাস্তবিকই স্বর্গ এবং নরকের অস্তিত্ব আছে৷ এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধনী ব্যক্তির ন্যায় অনেক লোক রয়েছে যারা স্বর্গ ও নরকের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না৷ অব্রাহম বিশ্বাসীদের পিতা৷ এখানে বলা হয়েছে, যখন দরিদ্র লাসার অব্রাহমের কোলে বসে ছিল, এর অর্থ হল, অব্রাহম সঠিকভাবে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করতেন, তেমনিভাবে লাসারও তার ত্রাণকর্তারূপে যীশুকে বিশ্বাস করেছিল, তার পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছিল এবং শেষপর্যন্ত স্বর্গে গিয়েছিল৷ এই জগতে বাস করে, আমাদের প্রত্যেকের লাসার ও ধনী ব্যক্তির প্রতি অবলোকন করা ও সে বিষয়ে চিন্তা করা উচিত৷ 
এই পৃথিবীর প্রত্যেকের জন্য ঈশ্বর আমাদের বলেছেন যে, এই পৃথিবীর জীবন আদৌ মূল বিষয় নয়৷ জীবিত অবস্থায় সর্বোচ্চ ৭০ বা ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষ যত পরিশ্রম করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে, তার জন্য পরিশ্রম ও দুঃখই অবশিষ্ট রয়েছে৷
সুতরাং, এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করার মধ্য দিয়ে আমাদের সকলকে অবশ্যই পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে৷ আর আমরা অবশ্যই আমাদের বিশ্বাস আমাদের সন্তানদের উপর হস্তার্পণ করব যেন, তারাও উত্তম স্থানে যেতে পারে৷ এই পৃথিবীতে বাস করার পর যখন শেষে সে বিচারিত হতে ঈশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হবে এবং অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে, তখন কি একজন মানুষের পক্ষে এটা মর্মান্তিক হবে না?
ঈশ্বর কর্ত্তৃক যা নির্ধারিত হয়েছে কোনো মানুষই তা পরিবর্তন করতে পারে না, যেমন যাদের নাম স্মরণ পুস্তকে লিখিত রয়েছে, তারা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ এই অগ্নিহ্রদ প্রতিহত করার কেবলমাত্র একটি পথ রয়েছে, তা হল আমাদের নাম জীবন পুস্তকে লিখিত করাকে নিশ্চিত করা৷ জীবন পুস্তকে আমাদের নাম লেখা ব্যতীত অগ্নিহ্রদ থেকে রক্ষা পাওয়ার আমাদের আর কোনো পথ নেই৷ 
তাহলে কিভাবে আমাদের নাম জীবন পুস্তকে লেখানো যেতে পারে? ঠিক যেমন লাসার অব্রাহমের কোলে ছিল, সুতরাং আমরাও অবশ্যই তাঁর বাক্যের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের ধার্মিক আচরণ না কার্য জানা এবং বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপের ক্ষমা গ্রহণ করব (রোমীয় ৫: ১৮)৷ কেবলমাত্র তখনই আমরা স্বর্গে প্রবেশ করতে পারব৷ জীবন পুস্তকে আমাদের নাম লিখতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই যীশুতে বিশ্বাস করতে হবে৷ যীশু নিজেই আমাদের ঈশ্বর এবং আমাদের মসীহ৷ মসীহের অর্থ হল, একজন যিনি, যারা পাপে পতিত তাদেরকে উদ্ধার করেন৷ কেবলমাত্র যীশুই আমাদেরকে উদ্ধার করতে পারেন, কেননা আমাদের পাপের কারণে আমরা ঈশ্বর কর্ত্তৃক বিচারিত হতে এবং অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য ছিলাম৷ 
এই পৃথিবীতে কে আছে যে, ঈশ্বরের সাক্ষাতে এখনও পাপ করে নি এবং আমাদের মধ্যে কে আছে যে কার্যে ১০০ ভাগ পবিত্র? কেউ নেই! আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, যেহেতু আমরা সকলে পাপে পূর্ণ, তাই আমরা পাপে পতিত না হয়ে পারি না৷ আমাদের এই পাপের জন্য আমরা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য৷
কিন্তু ঈশ্বর এই পৃথিবীতে যীশুকে পাঠিয়েছেন আমাদেরকে উদ্ধার করতে, কিন্তু যারা উদ্ধার পাবে না, তারা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ “যীশু” নামের অর্থ একজন যিনি তাঁর সন্তানদেরকে তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন (মথি ১:২১)৷ সুতরাং আমরা কেবল তখনই স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি যখন আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করি যে, যীশু এই পৃথিবীতে এসেছেন এবং তাঁর ধর্মময় কার্যের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন৷
 
 
তাহলে করা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে?
 
প্রকাশিত বাক্য ২১: ৮ পদে বলা হয়েছে, করা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে! “কিন্তু যাহারা ভীরু, বা অবিশ্বাসী, বা ঘৃণার্হ, বা নরঘাতক, বা বেশ্যাগামী, বা মায়াবী বা প্রতিমাপূজক, তাহাদের এবং সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে প্রজ্বলিত হ্রদে হইবে; ইহাই দ্বিতীয় মৃত্যু।”
বাইবেলে প্রথমে কাদেরকে “ভীরু” হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে? এটা সেইসব নামধারী খ্রীষ্টিয়ানদের প্রকাশ করে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে তাদের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও তারা যেভাবে হোক যীশুকে বিশ্বাস করে, তথাপি তারা ঈশ্বরের সম্মুখে আতঙ্কগ্রস্থ৷ ঈশ্বর নির্ধারণ করেছেন যে, এই সমস্ত লোকেরা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ ঈশ্বর আরো নির্ধারণ করেছেন যে, যারা অবিশ্বাসী, ঘৃণার্হ, নরঘাতক, বেশ্যাগামী, মায়াবী, প্রতিমাপূজক এবং মিথ্যাবাদী তারা সকলে নিক্ষিপ্ত হবে৷
ঐতিহ্যগতভাবে, কোরিয়াতে অনেক প্রতিমাপূজক রয়েছে৷ এমনকি, এটা কোনো সাধারণ বিষয় নয় যে, এখনও লোকদেরকে, ঈশ্বরের নিজের সৃষ্ট বস্তুর কাছে মাথা নত করতে এবং তাদের প্রার্থনা উত্সর্গ করতে দেখা যায়৷ লোকেরা এসব করছে, তার কারণ তারা অজ্ঞ ও বোকা৷ লোকেরা যখন নিস্প্রান মূর্তিগুলোকে পুত পবিত্ররূপে ভজনা করে, তখন ঈশ্বর এগুলোকে ঘৃনা করেন৷
ঈশ্বর তাঁর নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করলেন (আদিপুস্তক ১:২৭)৷ তাছাড়া মানবজাতি সমস্ত সৃষ্টির সেরা৷ এই কারণে আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি৷ কারণ আমরা ঈশ্বরের সাদৃশ্যে, আমাদের অস্তিত্ব চিরস্থায়ী, যেমন ঈশ্বর নিজেই চিরস্থায়ী৷ আমাদের মৃত্যুর পর সেখানে আমাদের নিমিত্ত চিরস্থায়ী পৃথিবী রয়েছে৷ এই কারণে আমরা একমাত্র জীবন্ত ঈশ্বর, তাঁকেই ভজনা করতে বলেছেন৷ তাহলে, তখন কি ঘটবে, যখন আমরা ঈশ্বরের নিজের সৃষ্টির সামনে প্রণিপাত করব? ঈশ্বর যে প্রতিমাপূজাকে ঘৃনা করেন, তাতে অংশগ্রহন করার দরুন আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মহাপাপ করব৷ মানবজাতি এত বোকা ও এত নির্বোধ হতে পারে না৷ আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে, ঈশ্বর নির্ধারণ করেছেন, যাদের এই প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস রয়েছে, তারা সকলে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ 
মানুষ, যারা নরকে নিক্ষিপ্ত হবে, তারা দুবার মৃত্যুবরণ করবে৷ এটা ঈশ্বর নিজেই ধার্য্য করেছেন৷ প্রথম মৃত্যু আসবে, এই ক্লান্তিকর পৃথিবীতে চলার পর, এই পৃথিবীতে তাদের সমস্যাময় জীবনের শেষে৷ প্রায়ই একটা কথা বলা হয়েছে, মানুষ প্রথমে চারপায়ে চলে, তারপর দুই পায়ে এবং শেষে তিন পায়ে, কিন্তু মৃত্যুই তার পরিনতি৷
এভাবে চলতে চলতে একদা মৃত্যুবরণ করার পর, মানুষ যখন পাপী হিসাবে ঈশ্বরের সম্মুখে দাঁড়াবে, তারা বিচারের সম্মুখীন হবে, তখনই অন্তহীন দ্বিতীয় মৃত্যু তাদের কাছে উপস্থিত হবে, অর্থাৎ তাদেরকে অনন্তকালের জন্য অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত করা হবে৷ এই অগ্নিহ্রদে যদি তারা মারা যেত, তবে তাদের সেই কষ্টটা দূর হয়ে যেত৷ কিন্তু এই মহা যাতনার স্থানে তারা মনে প্রাণে মৃত্যু কামনা করলেও মৃত্যু তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷
প্রত্যেকেরই আজীবন বেঁচে থাকার আকাঙ্খা রয়েছে, মৃত্যুকে মোকাবিলা করতে নয়৷ বস্তুত, মানবজাতির অস্তিত্ব বাস্তবিকই অনন্তকালীন, যেভাবে মানুষ চিন্তা করে৷ এইজন্য যখন কেউ মারা যায়, তখন বাইবেল সেটাকে মৃত্যু হিসাবে বর্ণনা করে না, বরং নিদ্রাগত বলে বর্ণনা করে৷ অতএব আমরা সকলে অবশ্যই সেই দ্বিতীয় মৃত্যু থেকে রক্ষা পাব, যা আমাদেরকে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত করবে৷ আমাদের সকলকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, জীবন-পুস্তকে আমাদের নাম লিখিত হলে আমাদেরকে কি করতে হবে৷ আর জীবন-পুস্তকে আমাদেরকে নাম লেখাতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই যীশুকে সঠিকভাবে বিশ্বাস করতে হবে৷
কখনও কখনোই মানুষ চিন্তা করে এবং বলে যে, যীশু, বুদ্ধ, কনফুসিয়াস, এবং মহম্মদ এরা সকলে মানুষ, উত্তম ব্যক্তির ন্যায় জীবনযাপন করতে এসব ঠিক আছে৷ কি কারণে তারা বুঝতে পারে না যে, কেন আমরা বলছি, তাদেরকে যীশুতে বিশ্বাস করা উচিত৷ কিন্তু এগুলো সবই তাদের ভ্রান্ত চিন্তা-চেতনা৷ জগতের অন্যান্য সবকিছুর ন্যায় আপনি এবং আমি ঈশ্বরের সম্মুখে প্রকৃত সৃষ্টি ও মানবজাতি ছাড়া অন্য কিছুই নই৷ আমরা যখন যীশুর জন্মের দিকে তাকাই, এবং তিনি জগতে থাকাকালীন অবস্থায় কি করেছিলেন সে বিষয়ে লক্ষ্য করি, আমরা সমস্ত কিছুই বুঝতে পারি যে, তিনি কেবল বাকি চার মহাজ্ঞানী ব্যক্তির ন্যায় একজন মানব ছিলেন না৷ তিনি নিজেই ঈশ্বর ছিলেন, যিনি মানবজাতিকে উদ্ধার করতে মানুষের বেশে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্যে দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, আমাদের পাপের জন্য আমাদের স্থলে সমস্ত শাস্তিভোগ করেছেন, আর এভাবেই মানবজাতিকে তাদের পাপ থেকে তাদের মুক্তির কার্য্য সম্পন্ন করেছেন৷
সাধারণ মানুষের জন্মের থেকে খ্রীষ্টের জন্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল৷ নারী এবং পুরুষের মিলনের দ্বারা একটি শিশুর জন্ম হয়৷ ঠিক যেভাবে এই পৃথিবীতে প্রত্যেকে জন্মলাভ করেছে৷ কিন্তু যীশু একজন কুমারীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি কোনো পুরুষকে জানতেন না৷ মানবজাতিকে উদ্ধার করতে এবং ৭০০ বছর পূর্বে যিশাইয় ভাববাদীর দ্বারা উল্লিখিত ভাববাণী বাক্য সম্পূর্ণ করতে, যীশু, যিনি নিজেই ঈশ্বর ছিলেন, তিনি একজন কুমারীর গর্ভের মধ্যে দিয়ে মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন (যিশাইয় ৭:১৪)৷ আর এই পৃথিবীতে এসে তিনি কেবল মৃত্যুকে জীবন দেন নি, এবং অসুস্থ ও খঞ্জকেই সুস্থ করেন নি, বরং এছাড়াও তিনি জগতের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন৷
ঈশ্বর, যিনি সৃষ্টির প্রভু, যিনি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন, তিনি নিজেই সমগ্র মানবজাতিকে পাপ থেকে রক্ষা করতে, অল্প সময়ের জন্য মানুষ হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন৷ যে কারণে আমরা অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব, তাহল, প্রথমত, তিনি নিজেই ঈশ্বর৷ দ্বিতীয়তঃ তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন যেন, আমাদের নাম জীবনপুস্তকে লিখিত হতে পারে, এবং আমাদেরকে ঈশ্বরের নিস্পাপ সন্তান করেছেন৷ এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে, আমরা সকলে অবশ্যই একদিন মারা যাব, আর আমাদের মৃত্যুর পরে আমরা সকলে অবশ্যই বিচারিত হব৷ 
কিন্তু যীশু এই পৃথিবীতে এসেছেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, আমাদের স্থলে বিচারিত হয়ে ক্রুশারোপিত হয়েছেন, আর এভাবে, আমাদের মধ্যে যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, তাদেরকে তাঁর সাথে অনন্তকালীন স্বর্গরাজ্যে যুগ পর্যায়ে যুগে যুগে বাস করার অধিকার দিয়েছেন৷ অপরদিকে, আমাদের পাপের বিচার থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করতে, ঈশ্বর নিজেই আমাদের সমস্ত পাপ পরিস্কার করেছেন৷ এই কারণে আমরা অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব, যিনি আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন৷
যীশু কেবল একজন মানুষই ছিলেন না৷ কারণ ঈশ্বর মানবজাতির কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি তাদের রক্ষা করবেন, এবং তাঁর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ করতে, একজন কুমারীর গর্ভের মধ্যে দিয়ে মাংসময় দেহে এই পৃথিবীতে এসেছেন, আর বাস্তবিক তিনি তাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন, আমরা সকলে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব যিনি নিজেই ঈশ্বর৷ আমরা যখন সঠিকভাবে যীশুকে বিশ্বাস করি, তখন আমাদের নাম জীবন পুস্তকে লিখিত হয়৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেছেন, একমাত্র এভাবেই জল ও আত্মার নুতন জন্মের দ্বারাই একজন মানুষ স্বর্গরাজ্য দেখতে পারে এবং প্রবেশ করতে পারে৷ অতএব, আমরা সকলে অবশ্যই যীশুতে বিশ্বাস করব৷
 
 

যীশু যিনি স্বর্গের পথ হয়েছেন

 
তাহলে, আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যীশু কিভাবে আমাদের সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন৷ এই পৃথিবীতে এসে যীশু যোহনের দ্বারা যর্দন নদীতে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেন (মথি ৩: ১৩-১৭)৷ যিনি যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন যেন, মানবজাতির (আপনার এবং আমার সকলের) সমস্ত পাপ তুলে নিতে পারেন৷ মানবজাতির প্রতিনিধি, যোহন বাপ্তাইজকের হস্তার্পনের মধ্যে দিয়ে সমগ্র মানবজাতির প্রত্যেকের পাপ যীশুর উপরে চলে গেছে৷ যোহনের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নেওয়ার পর, যীশু ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করলেন এবং মরলেন৷ আর পরে, তৃতীয় দিবসে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন৷
আমাদের প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করবে, সে অনন্তজীবন গ্রহণ করবে৷ ঈশ্বর নির্ধারণ করেছেন যে, যে কেউ এই সত্যে বিশ্বাস করবে যে, যীশু তার (নারী/পুরুষ) সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন এবং সেই পাপের জন্য ক্রুশের উপরে শাস্তিভোগ করেছেন, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে না, বরং তার (নারী/পুরুষ) নাম জীবন পুস্তকে লিখিত হবে৷
যোহন ১৪: ৬ পদে যীশু বলেন, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন, আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না৷” মানবজাতিকে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে, যিনি স্বর্গে যাওয়ার পথ৷ যীশু আমাদের ত্রাণকর্তা৷ যীশু আমাদের ঈশ্বর৷ যীশুই হলেন একজন এবং একমাত্র যিনি জগতের প্রকৃত সত্য৷ আর যীশুই হলেন জীবনের কর্তা৷ আমাদের নাম জীবন পুস্তকে লিখিত হয়েছে তা নিশ্চিত করতে এবং আমরা যে এভাবে স্বর্গরাজ্যে সাদরে অভ্যর্থিত হব তা নিশ্চিত করতে, আমরা সকলে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব৷
কেননা যীশু যর্দন নদীতে যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাস্তবিকই আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন৷ আমরা অবশ্যই তাঁকে বিশ্বাস করব, যিনি আমাদের প্রায়শ্চিত্তকারী ত্রাণকর্তা হয়েছেন৷ আর এই কারণেই যীশু, আমাদের পাপের শাস্তিরূপে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন এবং ক্রুশে রক্ত সেচন করেছেন এবং আমাদের সকলের পরিত্রাণ সম্পন্ন করেছেন, তাই আপনি এবং আমি এখন স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি৷ 
যীশু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন করা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ যারা বিশ্বাস করে না এবং যারা ভীরু, তারা সকলে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ তাদের অবিশ্বাসের জন্য কেবল তারাই অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে না, বরং তাদের সন্তানগণ ও তাদের বংশধরগণও নিক্ষিপ্ত হবে৷ আত্মিক এবং শারীরিক উত্তমতায় পৌঁছাবে প্রত্যেকে দ্বার্থ্যহীনভাবে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করবে৷
 
 

যীশু যদি বাপ্তিস্ম গ্রহণ না করতেন তাহলে কি হত?

 
একমাত্র ঈশ্বরই যিনি প্রত্যেক মানুষকে তাঁর আশীর্বাদ অথবা অভিশাপ দিয়ে থাকেন৷ তাই আমরা অবশ্যই তাঁকে বিশ্বাস করব৷ আপনি কি জানেন কেন অসংখ্য লোক এত দারিদ্রতায় জীবনযাপন করে, কেন এই পৃথিবীতে জাতিসমূহের পতন হবে? এর কারণ ঈশ্বর বলেছেন যে, যারা তাঁকে অবজ্ঞা করে এবং দেবদেবীর ভজনা করে, তিনি তাদের তিন, চার পুরুষ পর্যন্ত অভিশপ্ত করবেন৷ আবার তিনি আরো বলেছেন, যারা তাঁকে প্রেম করে, তাঁর সেবা করে এবং তাঁর আজ্ঞা সকল পালন করে, তিনি তাদের সহস্র পুরুষ পর্যন্ত আশীর্বাদযুক্ত করবেন (যাত্রাপুস্তক ২০:৫-৬)৷
এর অর্থ এই নয় যে, যে কেউ যীশুকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বিশ্বাস করবে, তিনি তাকে (নারী/পুরুষ) শর্তহীনভাবে আশীর্বাদ করবেন৷ তাকে অবশ্যই যীশুর প্রতি প্রকৃত স্ব্জ্ঞানতা দ্বারা তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে৷ অপরদিকে লোকেরা যদি বিশ্বাস করে যে, যীশু নিজেই ঈশ্বর, যিনি এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে নিজের উপরে তুলে নিয়েছেন, আর তাদের স্থলে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে তিনি তাদের প্রকৃত ত্রাণকর্তা হয়েছেন, তারা যদি বিশ্বাস করে যে, যীশু তাদের ঈশ্বর এবং স্বয়ং ত্রাণকর্তা, ঈশ্বর বলেন, যারা এভাবে বিশ্বাস করবে তাদেরকে তিনি সহস্র পুরুষ যাবৎ আশীর্বাদ করবেন৷
কিন্তু একই সাথে ঈশ্বর আমাদের কাছে এও প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, যারা যীশুকে বিশ্বাস করবে না, তাদের তৃতীয়, চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত তাদেরকে অভিশপ্ত করবেন৷ এই কারণে প্রত্যেককে, সে যেমনই হোক না কেন, তাকে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে এবং এই সত্যে বিশ্বাস করতে হবে যে, কেন তাদেরকে জল ও আত্মায় নুতন জন্ম লাভ করতে হবে৷ যাদের এরূপ বিশ্বাস রয়েছে তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা হবে, তারা অনন্তজীবন গ্রহণ করবে, স্বর্গে প্রবেশ করবে, যেভাবে তারা পৃথিবীতে গ্রহণ করেছিল, সমস্ত আশীর্বাদ যা ঈশ্বর পূর্বে অব্রাহমকে দান করেছিলেন৷
ঈশ্বর আমাদের জন্য যে বাক্য নির্ধারণ করেছেন আমরা অবশ্যই সেই বাক্যের মধ্যে অবস্থান করব, এবং আমাদের বিশ্বাসও লিখিত বাক্য অনুসারে হবে৷ আমরা অবশ্যই এই বিষয়টিতে বিশ্বাস করব এবং অনুধাবন করব যে, যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে না, তারা অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু যারা বিশ্বাস করবে, তাদের নাম জীবন-পুস্তকে লিখিত হবে, এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে সাদরে অভ্যর্থিত হবে৷ আর এছাড়াও আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করব যে, আমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করবে, তারা পুনরায় বাস করবে৷ তাই কেবলমাত্র জল ও আত্মার সুসমাচারে আমাদের পুনরায় নুতন জন্ম লাভ করা সম্ভব৷
যেমন কেউই জল ব্যতীত বাঁচতে পারে না, তেমনিভাবে আমাদের পরিত্রাণের জন্য রক্তের সুসমাচারের সাথে জলের সুসমাচার সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ যীশু যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন তখন তিনি আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপরে গ্রহণ করলেন৷ আর তিনি জলে অবগাহন করলেন এবং জল থেকে উঠলেন৷ এর অর্থ হচ্ছে, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থান৷ অন্যভাবে বলা যায় আমাদের প্রভু, আমাদের পাপের জন্য আমাদের স্থলে বিচারিত হয়েছেন৷ আর আমাদের প্রভুর জল থেকে উঠে আসার চিহ্ন হল তাঁর পুনরুত্থান৷ এছাড়াও এটা আমাদের পুনরুত্থানকে বোঝায়, আমরা যারা তাঁকে বিশ্বাস করি৷
স্বাভাবিকভাবে আমরা বিশ্বাস করি যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন৷ যীশু যদি বাপ্তিস্ম গ্রহণ না করতেন, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হত? তাহলে অগ্নিহ্রদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আমাদের জন্য আর কোনো পথ থাকত না৷ ঠিক যেভাবে বৃষ্টি ব্যতীত কেউই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে না, জলের কারণে পৃথিবী নামক এক গ্রহের অস্তিত্ব টিকে আছে৷ তেমনিভাবে আমাদের জন্য যীশুর বাপ্তিস্ম খুবই গুরুত্ব্পূর্ব৷ এর অর্থ হচ্ছে, তিনি আমাদের স্থলে আমাদের পাপের জন্য বিচারিত হয়েছেন৷ আমরা যদি ঈশ্বরের অভিশাপ ও শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই দ্বার্থ্যহীনভাবে যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে৷ আর আমরা যদি আমাদের পাপসমূহ পরিস্কার করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন, তখনই আমাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপরে চলে গেছে৷ 
খ্রীষ্টিয়ান কোনো প্রকার ধর্ম নয়, যা মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে৷ প্রত্যেককে অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে৷ নুতন জন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তি অবশ্যই নুতন জন্ম প্রাপ্তদের মন্ডলীতে যায় এবং বিশ্বাসে প্রতিপালিত হতে বাক্য শোনে৷
অনেকে দাবি করে যে, তারা যীশুকে বিশ্বাস করে এবং আশীর্বাদ গ্রহণ করতে চায়, কিন্তু এ সমস্ত কিছুই কেবল মিথ্যাবাদী প্রতারনামূলক দাবি৷ অবশ্যই আমরা ধার্মিক খ্রীষ্টিয়ানদের জীবনযাপন করব, উত্তম কার্য করব, কিন্তু যেহেতু পরিত্রাণ আমাদের সমস্ত সমস্যার মূল বিষয়, কারণ আমাদের এই মাংসময় দেহ মন্দতায় এতই পরিপূর্ণ যে, আমরা ১০০ ভাগ শুচী জীবনযাপন করতে পারি না৷ এই কারণে যারা দাবি করে যে তারা উত্তম কার্যের দ্বারা রক্ষা পাবে, তারা সকলে মিথ্যাবাদী, তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে অজ্ঞ, এবং তারা মানুষকে প্রতারিত করে৷
যখন আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা অবশ্যম্ভাবীরূপে পাপ করতে বাধ্য, যীশু যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছেন এবং ঈশ্বরের লিখিত বাক্য অনুযায়ী তিনি আমাদের জন্য যে ক্রুশ বহন করেছেন আমরা যখন তা উপলব্ধি করতে পারি, এবং আমরা যখন এ সমস্ত কিছুই স্বীকার করি, কেবল তখনই আমরা ধার্মিক হতে পারি, এবং যার হৃদয় পাপমুক্ত, সে স্বর্গে প্রবেশ করার যোগ্য হবে৷ যতক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস না করছেন, এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ না করছেন, হাজার চেষ্টা করলেও আমরা কখনও ভাল হতে পারব না৷
ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ মুছে ফেলার দ্বারা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন৷ আমাদেরকে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত করার পরিবর্তে, তিনি জীবন-পুস্তকে আমাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন, আমাদেরকে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী দান করেছেন৷ আর ভার্য্যা যেমন বরের নিমিত্ত নিজেকে সজ্জিত করে, তিনিও তেমনি আমাদেরকে পরিস্কার, ও খুবই চমত্কার গৃহ, বাগান এবং ফুল দিয়েছেন৷ আর এছাড়াও তিনি, আমাদের সমস্ত অসুস্থতাকে তুলে নেবেন, এবং তাঁর রাজ্যে তিনি আমাদের সাথে যুগপর্যায়ে যুগে যুগে বাস করবেন৷ আমাদের পরবর্তী জীবনের জন্য আমরা অবশ্যই যীশুকে বিশ্বাস করব, এছাড়া আমাদের বর্তমান জীবনেও আমরা তাঁকে বিশ্বাস করব৷ আমাদের সন্তানদের জন্যও আমরা তাঁকে বিশ্বাস করব৷ 
আপনি কি স্বর্গে অভ্যর্থিত হতে চান, অথবা আপনি কি অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হতে চান? আপনি আপনার সন্তানদের জন্য কি রেখে যাচ্ছেন? এমনকি আপনি যদি যীশুতে আপনার বিশ্বাসের জন্য কিছু সমস্যা বা দুঃখভোগ করে থাকেন, তথাপি আপনি অবশ্যই তাঁকে বিশ্বাস করে যাবেন, কেননা এরূপ করলে আপনি, আপনার ও আপনার সন্তানদের জন্য মহা আশীর্বাদ আনয়ন করবেন৷
আমার প্রিয় সাধুগণ, ঈশ্বর তাঁর বাক্যের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে বলেছেন, কেন আমরা অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করব, এবং কেন আমাদের পরিচয় অবশ্যই রক্ষা পাবে৷ আমি ঈশ্বরকে আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি৷