কোভিড-১৯ এবং আন্তর্জাতিক ডাক পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে, আমরা সাময়িকভাবে আমাদের ‘বিনামূল্যের মুদ্রিত বইয়ের পরিষেবা’ বন্ধ রেখেছি|
এহেন পরিস্থিতিতে এই মুহুর্তে আমরা আপনাদের কাছে ডাকযোগে বই প্রেরণে অসমর্থ| এই অতিমারীর যেন আশু সমাপন ঘটে এবং ডাক পরিষেবার পুনরাম্ভের জন্য প্রার্থনা করুন৷
মহাক্লেশের সময়ে প্রত্যেককে নিজের কর্তৃত্বে আনার জন্য খ্রীষ্টারী মানুষের ডান হাত এবং কপালে ছাব নেওয়ার জন্য জোর করবে৷ প্রত্যেককে যেন নিজের দাস তৈরী করতে পারে এই জন্য খ্রীষ্টারী প্রত্যেককে ছাব নিতে বাধ্য করবে৷ সে রাজনৈতিক পন্থায় অগ্রসর হবে এবং মানুষের উপরে শক্তি প্রয়োগ করবে৷ যে লোক পশুর ছাব নিতে অস্বীকার করবে, খ্রীষ্টারী তাকে কেনাবেচা করতে বাধা দেবে৷ ছবিটি হবে পশু নাম অথবা সংখ্যার ছাব নিতে চাপ সৃষ্টি করবে৷ এই পশুর ছাব গুনলে দেখা যাবে ৬৬৬৷ তার মানে নিজেকে ঈশ্বর হিসাবে দাবি করার এই পশুই সেই খ্রীষ্টারী৷ অন্য কথায়, এর দ্বারা মানুষের ঈশ্বর হওয়ার চেষ্টা করার ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়৷ সে জন্য যে কেউ হাতে অথবা কপালে ছাব নেবে, সে খ্রীষ্টারীকে ঈশ্বর হিসাবে সেবা করবে৷ পৃথিবীতে সপ্ততুরীর মারীর মহাধ্বংস যখন নেমে আসবে, তখন শয়তানের দাস খ্রীষ্টারী সমগ্র পৃথিবীকে নিজের অধীনে আনবে এবং রাজত্ব করবে৷ নৈতিক ক্ষত সুস্থ করার মাধ্যমে এবং আকাশ থেকে আগুন নামিয়ে আনার মত আশ্চর্য কাজ করার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সে তাক লাগিয়ে দেবে এবং প্রত্যেককে নিজের অনুসারী করতে চাইবে৷ সংকটের সময়ে যেমন নেতার আবির্ভাব হয়, তেমনি শয়তানের ক্ষমতা নিয়ে একজন মানুষ খ্রীষ্টারী রূপে আবির্ভূত হবে৷ সে মহাক্ষমতা দ্বারা তত্কালীন সমস্যাগুলোর সমাধান করবে এবং এইভাবে পৃথিবীর সবার কাছে ঈশ্বর রূপে সমাদৃত হবে৷ এইভাবে শয়তান খ্রীষ্টারীকে মানুষের দ্বারা সমাদর করাবে এবং এইভাবে তার আরাধনা করবে৷ এই পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসা আর একটি পশুর সাহায্যে খ্রীষ্টারী তার চূড়ান্ত কাজ সমাপ্ত করবে৷ দ্বিতীয় পশুটি প্রথম পশুর অর্থাৎ খ্রীষ্টারীর প্রতিমা তৈরী করার জন্য মানুষের উপর চাপ দেবে, শয়তানের ক্ষমতায় পশুর প্রতিমায় প্রাণবায়ু সঞ্চার করবে, কথা বলার শক্তি দেবে এবং পশুর প্রতিমাকে যারা পূজা না করবে তাদেরকে হত্যা করবে৷ হয় ডান হাতে, অথবা কপালে তার ছাব নেওয়ার জন্য সে বাধ্য করবে, যারা এই ছাব নিতে চাইবে না, তাদের জন্য কেনাকাটা প্রতিরোধ করবে৷ পশুর ছাব ধারণ করা মানে তার কাছে আত্মসমর্পণ করা ও তার দাস হওয়া৷ ছাবটা যে দৈহিকভাবে নিতে হবে এমন নয়, এটা ব্যক্তিগত ও নৈতিকভাবে নিতে হবে৷ কিন্তু ছাব না নিলে কেউই ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না, এমনকি বাঁচতেও পারবে না; পৃথিবীতে যারা পাপের ক্ষমা লাভ করে নি, তারা আত্মসমর্পণ করে পশুর পক্ষ নেবে৷ এভাবে যারা পশুটির কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং যারা ছাব নেবে তারাও দিয়াবলের সাথে অগ্নি ও গন্ধকের হ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে৷ নামধারী খ্রীষ্টিয়ানেরা, যারা নুতন জন্ম পায় নি, অর্থাৎ যাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা বাস করেন না, তারা শয়তানের কাছে একত্রিত হয়ে হাতে বা কপালে ছাব নেবে এবং তাকে ঈশ্বর বলে মানবে৷ এই সময়ে, যারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে এবং যাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা বাস করছেন, কেবলমাত্র তারাই পশুর ছাব নেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করতে পারবে এবং বিশ্বাসের যুদ্ধে খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে৷